Author: Susanta Das

  • Bangladesh Crisis: বাংলাদেশে ডামাডোলের বাজারে সূচ হয়ে ঢুকতে চাইছে ড্রাগনের দেশ!

    Bangladesh Crisis: বাংলাদেশে ডামাডোলের বাজারে সূচ হয়ে ঢুকতে চাইছে ড্রাগনের দেশ!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পাকিস্তানের পর এবার চিন (China)। বাংলাদেশে ডামাডোলের বাজারে সূচ হয়ে ঢুকতে চাইছে ড্রাগনের দেশ। সূত্রের খবর, বাংলাদেশের (Bangladesh Crisis) বিভিন্ন রাজনৈতিক দলকে সাহায্য করতে ‘লক্ষ্মীর ভাণ্ডার’ খুলে দিয়েছে বেজিং। এহেন আবহে আওয়ামি লিগ বিরোধী বাংলাদেশের ৮টি রাজনৈতিক দল ও সংগঠনের নেতাদের আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে চিনে। আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশেষজ্ঞদের মতে, হাসিনা-উত্তর জমানায় বাংলাদেশের অশান্তি পৌঁছেছে চরমে। এমতাবস্থায় সে দেশের অভ্যন্তরীণ রাজনীতিতে মাথা গলিয়ে কার্যোদ্ধার করতে চাইছে শি জিনপিংয়ের দেশ।

    সেই একই ‘গেম’ (Bangladesh Crisis)

    বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের জেরে গত ৫ অগাস্ট প্রধানমন্ত্রী পদে ইস্তফা দিয়ে বাংলাদেশ ছাড়েন আওয়ামি লিগ সুপ্রিমো শেখ হাসিনা। তার পর অন্তর্বর্তী সরকারের দায়িত্ব নেয় শান্তিতে নোবেল জয়ী মহম্মদ ইউনূস। অভিযোগ, তার পরেই বাংলাদেশে ক্রমশ বেড়েছে অশান্তির আগুন। সাম্প্রদায়িক হিংসায় জ্বলে-পুড়ে খাক হয়ে গিয়েছে বহু সংখ্যালঘুর বাড়ি-ঘরদোর-দোকানদানি। উন্মত্ত জনতার রোষের শিকার হয়েছেন মূলত হিন্দুরা। বাংলাদেশের এহেন অস্থির পরিস্থিতিতে ঘোলা জলে মাছ ধরতে নেমে পড়েছে পাকিস্তান। এবার সেই একই ‘গেম’ খেলতে ময়দানে নেমে পড়েছে শি জিনপিংয়ের দেশ চিন।

    বেজিং যাচ্ছে ৮টি রাজনৈতিক দল

    জানা গিয়েছে, চিনা কমিউনিস্ট পার্টির আমন্ত্রণে সোমবার বেজিং যাচ্ছে বিএনপি-সহ ৮টি রাজনৈতিক দল। এই দলে আওয়ামি লিগের কেউ নেই। যদিও বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও জাতীয় নাগরিক কমিটির চার নেতা রয়েছেন। বুধবার এই দুই সংগঠন আনুষ্ঠানিকভাবে একটি নয়া রাজনৈতিক দল গড়ার কথা ঘোষণা করবে। বাংলাদেশের (Bangladesh Crisis) সংবাদ মাধ্যম সূত্রে খবর, এদিন রাত পৌনে ১১টায় ঢাকা আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে চিনের উদ্দেশে রওনা দেবে বাংলাদেশের প্রতিনিধি দলটি।

    ২২ সদস্যের এই প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দেবেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আবদুল মঈন খান। প্রতিনিধি দলে খালেদা জিয়ার বিএনপি ও তার সহযোগী সংগঠনের পাঁচজন নেতা রয়েছেন। রয়েছেন দুই সাংবাদিক সহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও সংগঠনের সদস্যরা। এদিকে, জাতীয় সংসদের নির্বাচন নিয়ে বিএনপির পাশে দাঁড়াল প্রয়াত মহম্মদ এরশাদের দল জাতীয় পার্টি। দলের চেয়ারম্যান জিএম কাদের বলেছিলেন, “সংস্কারের বিষয়ে মতামত জানাতে সরকার আমাদের ডাকেনি। সংস্কার নিয়ে আমাদের সঙ্গে কোনও আলোচনাও হয়নি। আমাদের সঙ্গে আলোচনা হলে এটাই বলব যে সংস্কার প্রস্তাবগুলো প্রকাশ করুন। নির্বাচনের পরে যারা (China) সরকার গড়বে, তারাই সংস্কারের বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে (Bangladesh Crisis)।”

  • PM Modi: “পরীক্ষা চলছে, তাই দেরি হয়ে গেল”, বললেন প্রধানমন্ত্রী

    PM Modi: “পরীক্ষা চলছে, তাই দেরি হয়ে গেল”, বললেন প্রধানমন্ত্রী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দু’দিনব্যাপী ইনভেস্ট এমপি গ্লোবাল ইনভেস্টর সামিট ২০২৫-এর উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)। মধ্যপ্রদেশের ভোপালে (Bhopal) হচ্ছে ওই সম্মেলন। এখানে অন্তত ৬০টি দেশের উদ্যোক্তাদের স্বাগত জানান প্রধানমন্ত্রী। সোমবার সম্মেলনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে ভাষণ দেন তিনি। ১৫ মিনিট দেরিতে পৌঁছনোর জন্য দুঃখপ্রকাশও করেন।

    কী বললেন প্রধানমন্ত্রী (PM Modi)

    তিনি জানান, রাজভবন থেকে তাঁর রওনা হওয়ার সময়সূচি আজ অনুষ্ঠিত দশম ও দ্বাদশ শ্রেণির পরীক্ষার সময়ের সঙ্গে মিলে যাওয়ায় এই অসুবিধা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী বলেন, “গতকাল এখানে পৌঁছে জানলাম, আজ দশম ও দ্বাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থীদের পরীক্ষা রয়েছে। পরীক্ষার সময় ও রাজভবন থেকে আমার রওনা হওয়ার সময় এক সঙ্গে পড়ে যাচ্ছিল।” তিনি বলেন, “আমার নিরাপত্তার ব্যবস্থা করতে গিয়ে রাস্তাগুলি বন্ধ থাকবে। তাতে শিক্ষার্থীদের পরীক্ষাকেন্দ্রে পৌঁছতে অসুবিধা হবে। এই অসুবিধা এড়ানোর জন্য, শিক্ষার্থীরা যাতে সময়ে তাদের পরীক্ষাকেন্দ্রে পৌঁছতে পারে, আমি ভেবেছিলাম সব শিক্ষার্থী তাদের পরীক্ষাকেন্দ্রে পৌঁছনোর পরেই আমি রাজভবন থেকে রওনা হব। তাই আমি সচেতনভাবে আমার যাত্রার সময় ১৫-২০ মিনিট দেরি করেছি (PM Modi)।”

    জিআইএস ২০২৫ ইভেন্টে বক্তৃতা

    জিআইএস ২০২৫ ইভেন্টে বক্তৃতা দেওয়ার সময়, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বলেছিলেন, ভারতের অর্থনীতির ভবিষ্যৎ নিয়ে বিশ্ব আশাবাদী। তিনি বলেন, “মধ্যপ্রদেশ জনসংখ্যার বিচারে ভারতের পঞ্চম বৃহত্তম রাজ্য। কৃষি ও খনিজ সম্পদের দিক থেকেও এটি শীর্ষ রাজ্যগুলির মধ্যে একটি।” তিনি বলেন, “গত দু’দশকে মধ্যপ্রদেশে বহু রূপান্তর ঘটেছে। একসময় বিদ্যুৎ ও জলের সমস্যা ছিল, আইন-শৃঙ্খলাও খুব খারাপ অবস্থায় ছিল। সেই পরিস্থিতিতে শিল্পোন্নয়ন কঠিন ছিল। কিন্তু গত বিশ বছরে, জনগণের সহায়তায়, বিজেপি রাজ্য সরকার শাসন ব্যবস্থার ওপর গুরুত্ব দিয়েছে। দু’দশক আগে, মানুষ এখানে বিনিয়োগ করতে সংকোচ বোধ করতেন। আর আজ এটি দেশের শীর্ষ বিনিয়োগবান্ধব রাজ্যগুলির মধ্যে একটি।”

    সম্মেলনে ৬০টি দেশের উদ্যোক্তা, ১৩ জন রাষ্ট্রদূত, ৬ জন হাই কমিশনার এবং বেশ কয়েকজন কনসাল জেনারেল (Bhopal) অংশগ্রহণ করেন। বিশিষ্ট শিল্পপতিদের মধ্যে রয়েছেন কুমার মঙ্গলম বিড়লা, গৌতম আদানি, নাদির গোদরেজ, পিরুজ খানবাটা, বাবা এন কল্যাণী, রাহুল আওয়াস্থী এবং নীরজ আখৌরি (PM Modi)।

  • S Jaishankar: “বাংলাদেশকেই সিদ্ধান্ত নিতে হবে তারা ভারতের সঙ্গে কেমন সম্পর্ক রাখতে চায়,” বললেন জয়শঙ্কর

    S Jaishankar: “বাংলাদেশকেই সিদ্ধান্ত নিতে হবে তারা ভারতের সঙ্গে কেমন সম্পর্ক রাখতে চায়,” বললেন জয়শঙ্কর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “বাংলাদেশকেই সিদ্ধান্ত নিতে হবে তারা ভারতের সঙ্গে কেমন সম্পর্ক রাখতে চায়।” এমনই মন্তব্য করলেন ভারতের বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর (S Jaishankar)। শনিবার এক জনসভায় ভাষণ দিতে গিয়ে তিনি (Bangladesh crisis) বলেন, “ঢাকা একদিকে ভালো সম্পর্ক চাওয়ার কথা বলবে, আর অন্যদিকে দেশের অভ্যন্তরীণ সব সমস্যার জন্য ভারতকে দোষারোপ করবে — এ ধরনের অবস্থান গ্রহণ করা যায় না।”

    নেতিবাচকতা না ছড়ানোর আহ্বান (S Jaishankar)

    ভারতের পক্ষ থেকে ঢাকার কর্তৃপক্ষকে দুই দেশের সম্পর্কে নেতিবাচকতা না ছড়ানোর আহ্বানও জানান তিনি। বিদেশমন্ত্রী বলেন, “প্রতিদিন যদি অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের কেউ উঠে ভারতের ওপর সব কিছুর জন্য দোষারোপ করে, তার মধ্যে কিছু বিষয় রিপোর্ট অনুযায়ী একেবারেই অযৌক্তিক। আপনি একদিকে বলতে পারেন যে আপনি ভারতের সঙ্গে ভালো সম্পর্ক রাখতে চান, কিন্তু প্রতিদিন সকালে উঠে সব সমস্যার জন্য ভারতকে দায়ী করেন — এটা তো একসঙ্গে চলতে পারে না। এটি তাদেরই একটি সিদ্ধান্ত, যা তাদের নিতে হবে।”

    জয়শঙ্করের বক্তব্য

    তিনি (S Jaishankar) বলেন, “দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের সমস্যাগুলির দুটি দিক রয়েছে, প্রথমটি হল সংখ্যালঘুদের ওপর সাম্প্রদায়িক হামলা। আর দ্বিতীয় দিকটি হল তাদের অভ্যন্তরীণ রাজনৈতিক বিষয়।” জয়শঙ্কর বলেন, “বাংলাদেশে সংখ্যালঘুদের ওপর একের পর এক হামলার ঘটনা, অবশ্যই এটি এমন একটি বিষয় যা আমাদের চিন্তাভাবনাকে প্রভাবিত করে এবং এটি এমন একটি বিষয় যা নিয়ে আমাদের কথা বলা প্রয়োজন — যা আমরা করেছি। দ্বিতীয় দিকটি হল, তাদের নিজেদের রাজনৈতিক বিষয়। তবে দিনের শেষে, দুই দেশ প্রতিবেশী।”

    এর পরেই ভারতের বিদেশমন্ত্রী বলেন, “তাদের (বাংলাদেশকে) সিদ্ধান্ত নিতে হবে যে ভবিষ্যতে আমাদের সঙ্গে তারা কী ধরনের সম্পর্ক বজায় রাখতে চায়। বাংলাদেশের সঙ্গে আমাদের দীর্ঘ ইতিহাস রয়েছে। বাংলাদেশের সঙ্গে আমাদের খুবই বিশেষ একটি ইতিহাস রয়েছে, যা ১৯৭১ সালের সময় থেকে চলে আসছে।” প্রসঙ্গত, গত (Bangladesh crisis) ৫ অগাস্ট প্রধানমন্ত্রী পদে ইস্তফা দিয়ে বাংলাদেশ ছাড়েন শেখ হাসিনা। তারপর থেকে হিন্দুদের ওপর অত্যাচার চরমে উঠেছে সে দেশে। তার জেরেই অবনতি ঘটেছে ভারত-বাংলাদেশ সম্পর্কে (S Jaishankar)।

  • Friedrich Merz: বদলের হাওয়া জার্মানিতেও, সাধারণ নির্বাচনে জয়ী রক্ষণশীলরা, পরবর্তী চ্যান্সেলর কে?

    Friedrich Merz: বদলের হাওয়া জার্মানিতেও, সাধারণ নির্বাচনে জয়ী রক্ষণশীলরা, পরবর্তী চ্যান্সেলর কে?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: হার স্বীকার করে নিলেন জার্মানির চ্যান্সেলর ওলাফ শোলৎজ। রবিবার রক্ষণশীল বিরোধী দলের নেতা ফ্রেডরিখ মার্জকে (Friedrich Merz) অভিনন্দনও জানান তিনি। জনমত সমীক্ষার ফল বলছে, জার্মানির রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে একটি স্পষ্ট পরিবর্তন হয়েছে। মার্জকে উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, “সামাজিক গণতান্ত্রিক দলের জন্য এটি একটি তিক্ত নির্বাচনী ফল। এটি একটি নির্বাচনী পরাজয়ও। নির্বাচনী ফলের জন্য অভিনন্দন (Exit Polls)।”

    ২১তম সাধারণ নির্বাচন (Friedrich Merz)

    রবিবার অনুষ্ঠিত হয়েছে জার্মানির ২১তম সাধারণ নির্বাচন। ভোট গ্রহণ শুরু হয়েছিল সকাল ৮টায়। শেষ হয় সন্ধ্যা ছটায়। নির্বাচন শেষ হওয়ার পরপরই প্রাথমিক নির্বাচনী সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে, নির্বাচনে ফ্রেডরিখ মার্জের দল ক্রিশ্চিয়ান গণতান্ত্রিক ইউনিয়ন জয়ী হয়েছে। তবে অতি ডানপন্থীদেরও উত্থান ঘটেছে। নির্বাচনে রক্ষণশীল ক্রিশ্চিয়ান গণতান্ত্রিক ইউনিয়ন দল ২৯ শতাংশ, কট্টরবাদী জার্মানির জন্য বিকল্প দল ১৯.৫ শতাংশ, সামাজিক গণতান্ত্রিক দল ১৬ শতাংশে এগিয়ে রয়েছে। পরিবেশবাদী সবুজ দল ১৩.৫ শতাংশ এবং বাম দল দ্য লিঙ্কে ৮.৬ শতাংশে এগিয়ে রয়েছে।

    কোন দলের ঝুলিতে কত ভোট

    বিরোধী রক্ষণশীল সিডিইউ/সিএসইউ জোট ২৮.৫ শতাংশ ভোট পেয়েছে, জেডডিএফ পাবলিক ব্রডকাস্টারের প্রকাশিত এক্সিট পোল অনুযায়ী (Exit Polls)। চরম ডানপন্থী অল্টারনেটিভ ফর জার্মানি ২০ শতাংশ ভোট পেয়ে দ্বিতীয় স্থানে এসেছে, যা জাতীয় নির্বাচনে তাদের সর্বোচ্চ ফল। সোশ্যাল ডেমোক্র্যাটস দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর থেকে তাদের সব চেয়ে খারাপ ফল করেছে। তারা ভোট পেয়েছে মাত্র ১৬.৫ শতাংশ। এই ফল জটিল জোট আলোচনার জন্য মঞ্চ তৈরি করেছে। মের্জ আরও শক্তিশালী নেতৃত্বের ধরন ও মিত্রদের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সহযোগিতার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। বিভক্ত রাজনৈতিক পরিবেশে তাকে একটি জোট গঠন করতে হবে।

    রফতানি নির্ভর অর্থনীতি

    কোয়ালিশন আলোচনা চলাকালীন শোলৎজ হয়তো তত্ত্বাবধায়ক ভূমিকায় পদে থাকতে পারেন। এটি টানা দুবছর অর্থনৈতিক সংকোচনের পর চ্যালেঞ্জ মোকাবিলার চেষ্টাকে বিলম্বিত করতে পারে। জার্মানির রফতানি নির্ভর অর্থনীতি এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে তাদের নিরাপত্তার সম্পর্ক এই অনিশ্চয়তাকে আরও বাড়িয়ে তুলেছে। জনমত সমীক্ষায় অভিবাসনের বিষয়ে দৃষ্টিভঙ্গি পরিবর্তিত হয়েছে বলে বোঝা যাচ্ছে। এটি ২০১৫ সালের থেকে আলাদা, যখন জার্মানি বিপুল সংখ্যক শরণার্থীকে স্বাগত জানিয়েছিল। এএফডি এই পরিবর্তনকে কাজে লাগিয়ে তাদের অবস্থান শক্তিশালী করেছে। যদিও তারা কোয়ালিশনের আলোচনার বাইরে রয়েছে (Friedrich Merz)।

    এএফডির উত্থান

    এএফডির উত্থান শাসনকে জটিল করে তুলেছে। যদিও তাদের এখনই সরকারে প্রবেশের সম্ভাবনা নেই, তবে তাদের ক্রমবর্ধমান সমর্থন ভবিষ্যতের নির্বাচনে প্রভাব ফেলতে পারে। ফলাফলটি এমন একটি সরকার গঠনে অবদান রাখতে পারে যা জার্মানি এবং ইউরোপীয় ইউনিয়নের মধ্যে নীতিগুলি এগিয়ে নিয়ে যেতে পারে। রক্ষণশীল নেতা মার্জ জার্মানির পরবর্তী চ্যান্সেলর হতে চলেছেন। কারণ জাতীয় নির্বাচনে তার দল ক্রিশ্চিয়ান ডেমোক্র্যেটিক ইউনিয়ন (CDU) সব চেয়ে বেশি ভোট পেয়ে জয়ী হয়েছে। এই জয় জার্মান রাজনীতিতে একটি গুরুত্বপূর্ণ পরিবর্তন নির্দেশ করে। কারণ তাঁর দল বর্তমান চ্যান্সেলর ওলাফ শোলৎজের মধ্য-বামপন্থী সোশ্যাল ডেমোক্র্যাটিক পার্টি (SPD)-কে পরাজিত করেছে।

    জয়ী সিডিইউ/সিএসইউ জোট

    এদিকে, শেষ পর্যন্ত পাওয়া খবরে জানা গিয়েছে, সিডিইউ/সিএসইউ জোট রবিবার জাতীয় নির্বাচনে জয়ী হয়েছে। এর জেরে ফ্রেডরিখ মার্জকে দেশের পরবর্তী চ্যান্সেলর হওয়ার পথে এগিয়ে রেখেছে। ২৮.৫ শতাংশ ভোট পেয়ে মের্জের সংরক্ষণশীল দল কট্টর-ডানপন্থী অল্টারনেটিভ ফর জার্মানিকে পেছনে ফেলে দিয়েছে। তারা রেকর্ড ভোট পেয়েছে ২০ শতাংশ। তবে এই জয় সত্ত্বেও মের্জের জন্য একটি স্থিতিশীল জোট গঠন করা একটি কঠিন চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে। কারণ, তার নেতৃত্ব এমন একটি সময়ে শুরু হচ্ছে যখন জার্মানি কয়েক দশকের সব চেয়ে জটিল অর্থনৈতিক ও ভূরাজনৈতিক পরিস্থিতির মুখোমুখি। এদিন মার্জ সমর্থকদের উদ্দেশে প্রতিশ্রুতি দেন, জার্মানি আবারও স্থিতিশীল ও নির্ভরযোগ্য নেতৃত্ব পাবে (Exit Polls)।

    মার্জ জার্মানির ঋণ সীমা পর্যালোচনার প্রস্তাব দিয়েছেন, যা একটি সাংবিধানিক নিয়ম যা সরকারি ঋণ গ্রহণের সীমা নির্ধারণ করে। সমর্থকদের যুক্তি, এই নিয়মে পরিবর্তন আনা হলে বিনিয়োগ বৃদ্ধি পাবে, যা দেশের অর্থনৈতিক আলোচনায় একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় (Friedrich Merz)। জার্মানির এক মহিলা ভোটার বলেন, “নির্বাচনের ফল কেমন হবে, তা আগে থেকেই পরিষ্কার ছিল। আমি নিজে অবশ্য মার্জকে পছন্দ করি না। কিন্তু অভিবাসী ইস্যুতে তিনি গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নেবেন এবং এএফডিকে ঠেকাতে পারবেন। দি লিংক বিরোধী দল নির্বাচিত হওয়ায় আমি খুশি।”

  • PM Modi: “কিছু নেতা ধর্মকে উপহাস করেন, মানুষকে বিভক্ত করেন,” বললেন প্রধানমন্ত্রী

    PM Modi: “কিছু নেতা ধর্মকে উপহাস করেন, মানুষকে বিভক্ত করেন,” বললেন প্রধানমন্ত্রী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “কিছু নেতা ধর্মকে উপহাস করেন এবং বিদেশি শক্তির সমর্থনে মানুষকে বিভক্ত করেন। এভাবে তাঁরা আদতে দেশকেই দুর্বল করার চেষ্টা করেন।” রবিবার এমনই অভিযোগ করলেন (Bageshwar Dham) প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)। ভারতের ধর্মীয় ও সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের বিরোধিতা যাঁরা করেন, তাঁদেরও সমালোচনা করেন প্রধানমন্ত্রী।

    কিছু নেতা ধর্মকে উপহাস করছে (PM Modi)

    তিনি বলেন, “আজকাল আমরা দেখি কিছু নেতা ধর্মকে উপহাস করছে। তারা মানুষকে বিভক্ত করার কাজে লিপ্ত। প্রায়ই বিদেশি শক্তিগুলি, যারা এই নেতাদের সমর্থন করে, তারাও দেশ ও ধর্মকে দুর্বল করার চেষ্টা করে। যারা হিন্দুদের ঘৃণা করে, তারা শতাব্দীর পর শতাব্দী ধরে এখানে বসবাস করছে। দাসত্বের মানসিকতা নিয়ে থাকা লোকেরা আমাদের বিশ্বাস, মন্দির, ধর্ম এবং আদর্শের ওপর আক্রমণ চালিয়ে যাচ্ছে। তারা আমাদের উৎসব এবং ঐতিহ্যকে অপমান করে, আমাদের ধর্মকে আক্রমণ করে, সমাজকে বিভক্ত করে আমাদের ঐক্য ভেঙে দেওয়ার চেষ্টা করছে।”

    মহাকুম্ভ ভারতের ঐক্যকে আরও শক্তিশালী করবে

    মহাকুম্ভ সমালোচকদেরও তীব্র আক্রমণ করেন প্রধানমন্ত্রী (PM Modi)। বলেন, “প্রয়াগরাজের মহাকুম্ভ ভারতের ঐক্যকে আরও শক্তিশালী করবে। লক্ষ লক্ষ ভক্ত ইতিমধ্যেই ত্রিবেণীতে পবিত্র স্নান করেছেন। মহাকুম্ভ ঐক্যের প্রতীকে পরিণত হয়েছে এবং আমাদের ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে অনুপ্রাণিত করে চলবে। আমি কুম্ভে কঠোর পরিশ্রম করা পরিচ্ছন্নতা কর্মী ও পুলিশ কর্মীদের অভিনন্দন জানাই।”

    প্রসঙ্গত, মহাকুম্ভ নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর (PM Modi) এহেন মন্তব্য এমন একটা সময়ে এসেছে, যখন বিরোধী দলের কিছু নেতা কুম্ভমেলায় অব্যবস্থা এবং ভক্তদের জন্য পর্যাপ্ত ব্যবস্থার অভাবের অভিযোগে সরব হয়েছেন। পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তো এক কদম এগিয়ে এই মেলাকে ‘মৃত্যুকুম্ভ’ বলে অভিহিত করেছেন। সমাজবাদী পার্টি সুপ্রিমো অখিলেশ যাদবের দাবি, ত্রিবেণী সঙ্গমে গঙ্গার জলের গুণমান সংক্রান্ত তথ্য নিয়ে উত্তরপ্রদেশ সরকার ও কেন্দ্রীয় সংস্থার পরিসংখ্যানে অমিল রয়েছে।

    প্রসঙ্গত, এদিন প্রধানমন্ত্রী মধ্যপ্রদেশের ছত্রপুর জেলায় বাগেশ্বর ধাম মেডিক্যাল ও সায়েন্স রিসার্চ ইনস্টিটিউট ফর ক্যান্সারের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন। ২০০ কোটিরও বেশি মূল্যের এই হাসপাতালটিতে অত্যাধুনিক যন্ত্রপাতি ও বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক থাকবেন (Bageshwar Dham)। এখানে দরিদ্র ক্যান্সার রোগীদের বিনামূল্যে চিকিৎসা পরিষেবা দেওয়া হবে (PM Modi)।

  • PM Modi: “এক দিনের জন্য বিজ্ঞানী হোন,” ‘মন কি বাতে’ দেশবাসীকে পরামর্শ প্রধানমন্ত্রীর

    PM Modi: “এক দিনের জন্য বিজ্ঞানী হোন,” ‘মন কি বাতে’ দেশবাসীকে পরামর্শ প্রধানমন্ত্রীর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “এক দিনের জন্য বিজ্ঞানী হোন।” রবিবার দেশবাসীকে পরামর্শ দিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)। রবিবার ১১৯তম ‘মন কি বাতে’ (Mann Ki Baat) এই পরামর্শ দেন তিনি। কীভাবে তা সম্ভব, সেই পথও বাতলে দিলেন তিনি। প্রধানমন্ত্রীর মন কি বাতে উঠে এল কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার প্রসঙ্গও।

    কী বললেন প্রধানমন্ত্রী? (PM Modi)

    প্রধানমন্ত্রী বলেন, “ইসরো (ভারতীয় মহাকাশ গবেষণা সংস্থা) একের পর এক সাফল্য অর্জন করেছে। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে মহাকাশে আমাদের অর্জনের তালিকা দীর্ঘ হচ্ছে। সে তা উৎক্ষেপণ যান তৈরি করা হোক কিংবা বিভিন্ন ভারতীয় মহাকাশযানের সাফল্য।” এর পরেই তিনি বলেন, “দেশের প্রত্যেকেই এক দিনের জন্য বিজ্ঞানী হোন। বছরের যে কোনও দিনই তা হতে পারে।” সেই নির্দিষ্ট দিনে বিভিন্ন বিজ্ঞানমূলক কাজের অংশ হওয়ার আহ্বান জানান তিনি।

    এআইয়ের অগ্রগতি নিয়েও উচ্ছ্বসিত প্রধানমন্ত্রী

    ভারতে এআইয়ের অগ্রগতি নিয়েও উচ্ছ্বসিত প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, “ভারত কারও থেকে পিছিয়ে নেই। সম্প্রতি আমি একটি বড় এআই সম্মেলনে যোগ দিতে প্যারিসে গিয়েছিলাম। গোটা বিশ্ব, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার ক্ষেত্রে ভারতের অগ্রগতির প্রশংসা করেছে। মহাকাশ হোক বা এআই, আমাদের তরুণদের ক্রমবর্ধমান অংশগ্রহণ একটি নতুন বিপ্লব এনেছে (PM Modi)। মহাকাশ বিজ্ঞানে নারীদের যোগদান বৃদ্ধি পেয়েছে, যা অভাবনীয়।”

    চলতি বছরের শুরুর দিকেই ইসরো অন্ধ্রপ্রদেশের শ্রীহরিকোটার সতীশ ধাওয়ান মহাকাশ কেন্দ্র থেকে শততম উৎক্ষেপণের নজির গড়েছে। প্রধানমন্ত্রীর এদিনের মন কি বাতে উঠে এসেছে সেই প্রসঙ্গও। চন্দ্রযান, মঙ্গলযান, আদিত্য এল-১-এর সাফল্য নিয়েও উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেন প্রধানমন্ত্রী।

    এদিন প্রধানমন্ত্রীর মনের কথায় উঠে এসেছে ওবেসিটির প্রসঙ্গও। তিনি বলেন, “ফিট ও স্বাস্থ্যকর দেশ গড়ে তুলতে ওবেসিটির (স্থুলত্ব) সমস্যা সব চেয়ে বড় অন্তরায় হচ্ছে। গবেষণা অনুযায়ী, আজ প্রতি ৮ জনের মধ্যে একজন ওবেসিটির সমস্যায় ভুগছেন। গত কয়েক বছরে ওবেসিটির সমস্যা বেড়েছে। তবে সব চেয়ে চিন্তার বিষয় হল, শিশুদের মধ্যে ওবেসিটির সমস্যা ৪ গুণ বেড়েছে।” প্রধানমন্ত্রী বলেন, “আপনারা সিদ্ধান্ত নিতে পারেন প্রতি মাসে ১০ শতাংশ তেল কম খাওয়ার। প্রতি মাসে তেল কেনার সময় ১০ শতাংশ কম করে হিসেব করে কিনতে পারেন (Mann Ki Baat)। ওবেসিটি রুখতে এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ হতে পারে (PM Modi)।”

  • Amit Shah: “সমবায় ক্ষেত্রকে গতি দিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকারের প্রচেষ্টা,” বললেন অমিত শাহ

    Amit Shah: “সমবায় ক্ষেত্রকে গতি দিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকারের প্রচেষ্টা,” বললেন অমিত শাহ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “কেন্দ্রীয় সরকারের প্রচেষ্টা দেশের সমবায় ক্ষেত্রকে গতি দিয়েছে। ২০৪৭ সালের মধ্যে ভারতকে একটি উন্নত দেশ হিসেবে গড়ে তুলতে এই ক্ষেত্রের গুরুত্বকে তুলে ধরেছে।” শনিবার কথাগুলি বললেন (Modi Govt) কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ (Amit Shah)।

    কী বললেন শাহ (Amit Shah)

    এদিন পুণেতে জনতা সহকারী ব্যাংক লিমিটেডের হীরক জয়ন্তী উৎসবের সমাপ্তি অনুষ্ঠানে ভাষণ দেন তিনি। সেখানেই কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, “প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বাধীন সরকার ভারতের সমবায় ক্ষেত্রকে বাজারের উপযোগী করে তুলেছে।” সমবায় সেক্টরকে উন্নত প্রযুক্তির সাহায্য নেওয়ার অনুরোধও জানান তিনি। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, “গত তিন বছরে কেন্দ্র দেশজুড়ে সমবায় আন্দোলনকে গতি দেওয়ার জন্য কাজ করেছে। আমরা ভারতের সমবায় খাতের মডেলটিকে বাজারজাত করার উপযোগী করে তুলেছি। আমরা একটি সমবায় বিশ্ববিদ্যালয় বিল আনার মাধ্যমে সমবায় শিক্ষাকে শক্তিশালী করছি।”

    সমবায় খাতকে দিশা দেখিয়েছেন মোদি

    তিনি বলেন, “প্রধানমন্ত্রী মোদী সমবায় খাতকে দিশা দেখিয়েছেন এবং সমবায় ক্ষেত্রে নতুনত্ব আনার ওপর গুরুত্ব দিয়েছেন (Amit Shah)।” কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, “প্রধানমন্ত্রী মোদি জাতির সামনে দুটি সংকল্প নিয়েছেন – ২০৪৭ সালের মধ্যে ভারতকে একটি সম্পূর্ণ উন্নত দেশ হিসাবে গড়ে তোলা এবং ২০২৭ সালের মধ্যে দেশকে ৫ ট্রিলিয়ন ডলারের অর্থনীতিতে পরিণত করা। সমবায় খাতের উন্নয়ন ছাড়া এই সংকল্পগুলি অসম্পূর্ণ থেকে যাবে।” তিনি বলেন, “প্রত্যেক ব্যক্তির উন্নয়ন এবং প্রতিটি ঘরের সমৃদ্ধি না হলে, এই দুটি সংকল্প বাস্তবায়িত নাও হতে পারে।”

    শাহ বলেন, “প্রতিটি ব্যক্তিকে তাদের দক্ষতা অনুযায়ী কাজ দেওয়া এবং দেশের উন্নয়নের সঙ্গে তাদের সংযুক্ত করা, যাতে প্রতিটি পরিবার সমৃদ্ধ হয়, তা কেবলমাত্র সমবায় আন্দোলনের মাধ্যমেই সম্ভব।” কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, “প্রধানমন্ত্রী মোদি গত ১০ বছরে (Modi Govt) দেশের কোটি কোটি মানুষকে অনেক মৌলিক সুবিধা দিয়েছেন। এখন, এই মানুষগুলো ভারতের উন্নয়নে অবদান রাখতে চান (Amit Shah)।”

  • VHP: গোরুকে ‘রাষ্ট্রমাতা’ ঘোষণার দাবি বিশ্ব হিন্দু পরিষদের

    VHP: গোরুকে ‘রাষ্ট্রমাতা’ ঘোষণার দাবি বিশ্ব হিন্দু পরিষদের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এবার গোরুকে ‘রাষ্ট্রমাতা’ (Rashtra Mata) এবং ‘রাষ্ট্রধরোহর’ ঘোষণার দাবি বিশ্ব হিন্দু পরিষদের (VHP)। প্রয়াগরাজের কুম্ভমেলা এলাকায় গৌ রক্ষা সম্মেলনের আয়োজন করেছিল বিশ্বহিন্দু পরিষদ। সেখানেই এই দাবি জানানো হয়। স্বেচ্ছাসেবকরা গোরুর লালন-পালন ও সুরক্ষার জন্য একটি অভয়ারণ্য গড়ে তোলার দাবিও জানান।

    গৌ রক্ষা প্রধানের বক্তব্য (VHP)

    অখিল ভারতীয় গৌ রক্ষা প্রধান দীনেশ উপাধ্যায় বলেন, “সংগঠনের গৌ রক্ষা শাখা জনসাধারণের মধ্যে গৌ পালন, গৌ রক্ষণ এবং গৌ সম্বর্ধনের বিষয়ে সচেতনতা সৃষ্টি করছে।” তিনি বলেন, “স্বাধীনতা আন্দোলনের সময় তিনটি বিষয় ছিল – গোরু, গ্রাম এবং দরিদ্র। এখন আমাদের প্রধান দাবি, গোরুকে রাষ্ট্রমাতার মর্যাদা দিতে হবে।” ভারতীয় গৌ রক্ষা প্রধান বলেন, “যদি গোরু রক্ষা পায়, তবে বিশ্ব রক্ষা পাবে। যখন লক্ষ লক্ষ ভক্ত মহাকুম্ভে যোগ দিচ্ছেন, আমরা সেই বার্তাও ছড়িয়ে দিতে চাই যে যারা গোরুকে দুর্ঘটনার মুখে ছেড়ে দেন, তারা কখনও মুক্তি পান না।” তিনি বলেন, “গৌ মাতার গুরুত্ব বর্ণিত হয়েছে এবং গোরুই আমাদের শারীরিক, অর্থনৈতিক এবং মানসিক উন্নয়নের ভিত্তি।”

    গো রক্ষার প্রয়োজন

    উপাধ্যায় বলেন (VHP), “একমাত্র হিন্দুরাই গোরুকে মা বলেন এবং বিশ্বকল্যাণের অনুভূতি পোষণ করে।” সম্মেলনের সভাপতি তিরুপিতা স্বামীজি বলেন, “সারা দেশে, বিশেষ করে গ্রামাঞ্চলে, গোরুর জন্য কাজ এবং সংরক্ষণ করা হচ্ছে।” তিনি বলেন, “আমি ব্যক্তিগতভাবে দেখেছি যে ৯৮ শতাংশ গোরু দেশীয়, যার মধ্যে ৩০০-রও বেশি প্রজাতি রয়েছে।” গোরু রক্ষা এবং সংরক্ষণের প্রয়োজন রয়েছে এবং বিভিন্ন কর্মসূচির মাধ্যমে সমাজকে গোরুর উপকারিতা সম্পর্কে সচেতন করা দরকার। তিনি স্বেচ্ছাসেবকদের তাদের দায়িত্ব বুঝতে এবং গোরু সংরক্ষণের জন্য পরিকল্পনা নেওয়ার ডাক দেন।

    বিশ্ব হিন্দু পরিষদের (গৌরক্ষা শাখা, কাশী প্রান্ত) আঞ্চলিক সম্পাদক লালমণি তিওয়ারি বলেন, “গোরুর জন্য নির্দিষ্ট জমি উন্নয়নের প্রয়োজন এবং সমস্ত কারাগারে গোশালা খোলার উদ্যোগ নেওয়া উচিত (Rashtra Mata)।” প্রসঙ্গত, সারা দেশ থেকে ৪ হাজারেরও বেশি স্বেচ্ছাসেবক ও কর্মকর্তা এই সম্মেলনে অংশগ্রহণ করেছিলেন (VHP)।

  • JP Nadda: “সেঙ্গোল জাদুঘরে রেখেছিলেন নেহরু, সংসদে স্থাপন করেছেন মোদি”, বললেন নাড্ডা

    JP Nadda: “সেঙ্গোল জাদুঘরে রেখেছিলেন নেহরু, সংসদে স্থাপন করেছেন মোদি”, বললেন নাড্ডা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “১৯৪৭ সালে ব্রিটিশদের কাছ থেকে ক্ষমতা হস্তান্তরের প্রতীক হিসেবে চোল যুগের সেঙ্গোলকে জাদুঘরে রেখে দিয়েছিলেন তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী জওহরলাল নেহরু। বর্তমান প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi) বৈদিক প্রথা অনুযায়ী এটিকে প্রতিষ্ঠিত করেছেন নয়া সংসদ ভবনে।” শুক্রবার কথাগুলি বললেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী তথা বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডা (JP Nadda)।

    নেহরুকে নিশানা নাড্ডার (JP Nadda)

    কাশী-তামিল সংঘম ৩.০-তে বক্তব্য রাখতে গিয়ে নাড্ডা বলেন, “স্বাধীনতার সময়, তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী জওহরলাল নেহরু সেঙ্গোল, যা ক্ষমতা হস্তান্তরের প্রতীক, সেটিকে জাদুঘরে রেখে দিয়েছিলেন। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বৈদিক ঐতিহ্য অনুযায়ী এটিকে নতুন সংসদ ভবনে স্থাপন করেছেন। পূর্ব হোক বা পশ্চিম, উত্তর হোক বা দক্ষিণ — প্রধানমন্ত্রী মোদি সারা দেশে সাংস্কৃতিক ঐক্য বজায় রাখার জন্য বহু চেষ্টা করেছেন।” প্রসঙ্গত, রূপার তৈরি ও সোনার প্রলেপযুক্ত সেঙ্গোল, যাকে প্রধানমন্ত্রী মোদি ২০২৩ সালে ক্ষমতা হস্তান্তরের প্রতীক হিসেবে বর্ণনা করেছিলেন, যা সংসদ সদস্যদের অনুপ্রাণিত করে চলেছে, সেটি দিল্লির নতুন সংসদ ভবনে স্থান পাওয়ার আগে এলাহাবাদ মিউজিয়ামের নেহরু গ্যালারিতে সংরক্ষিত ছিল।

    মোদি-স্তুতি

    নাড্ডা (JP Nadda) বলেন, “কাশী-তামিল সংঘম, কাশী-তেলুগু সংঘম এবং সৌরাষ্ট্র-তামিল সংঘম হল সেই প্রচেষ্টার উদাহরণ, যা প্রধানমন্ত্রী দেশকে ঐক্যের সুতোর মধ্যে বাঁধার জন্য করেছেন।” তিনি বলেন, “এই ধরনের প্রচেষ্টা দেশের অর্থনৈতিক ও সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য এবং ভাষাগুলিকে সমৃদ্ধ করতে সাহায্য করে। কাশী-তামিল সংঘমকে দুটি সংস্কৃতির মিলন হিসেবে বর্ণনা করে নাড্ডা বলেন, “এই অনুষ্ঠানটি দূরদৃষ্টিসম্পন্ন ভারতীয় সংস্কৃতির বৈচিত্র্যের মধ্যে ঐক্যের সুতোর দ্বারা গেঁথে পরিকল্পিত হয়েছে।” তিনি বলেন, ‘এক ভারত, শ্রেষ্ঠ ভারত’ উদ্যোগকে মাথায় রেখে ২০২২ সালে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি কাশী-তামিল সংঘম শুরু করেছিলেন।

    বিজেপি প্রধান মনে করিয়ে দেন, সুব্রহ্মণ্যম ভারতী, আদিভীরা পাণ্ড্যন এবং অগস্ত্য ঋষির প্রচেষ্টার কথা, যাঁরা দেশের ঐক্যকে মজবুত করতে কাজ করেছিলেন। বক্তব্য শেষে নাড্ডা বিভিন্ন মন্ত্রক আয়োজিত কাশী-তামিল সংঘম উদ্যোগের প্রদর্শনী পরিদর্শন করেন (PM Modi) এবং সংস্কৃতি ও পর্যটন মন্ত্রক আয়োজিত সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করেন। কাশী বিশ্বনাথ মন্দিরে পুজোও দেন তিনি (JP Nadda)।

  • Bangladesh Crisis: বাংলাদেশে শুরু মুষল পর্ব! খেয়োখেয়ি বিএনপি-ইউনূস সমর্থকদের

    Bangladesh Crisis: বাংলাদেশে শুরু মুষল পর্ব! খেয়োখেয়ি বিএনপি-ইউনূস সমর্থকদের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: লাফান ঝাঁপান শেষ। এবার নিজেদের মধ্যেই খেয়োখেয়ি লেগে গিয়েছে বাংলাদেশের (Bangladesh Crisis) ছাত্রদের মধ্যে। আওয়ামি লিগকে দেশ থেকে নিশ্চিহ্ন করতে কোমর কষে নেমে পড়েছিল খালেদা জিয়ার বিএনপি এবং মহম্মদ ইউনূসের (Muhammad Yunus) প্রশাসন। এবার এই দুই নেতা-নেত্রীর অনুগামী ছাত্ররাই নিজেদের মধ্যে মারামারি করছে।

    নয়া সঙ্কটে ইউনূস প্রশাসন (Muhammad Yunus)

    শেখ হাসিনা যখন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী ছিলেন, তখন ছাত্রদের আন্দোলন (পড়ুন পরিকল্পিত) ছিল সরকারের বিরুদ্ধে। গত বছরের ৫ অগাস্ট প্রধানমন্ত্রী পদে ইস্তফা দিয়ে ভারতে পালিয়ে আসেন হাসিনা। তারপর থেকে নতুন খেলা শুরু হয়েছে বাংলাদেশে। এই খেলা খেলতে গিয়েই নয়া সঙ্কটের সম্মুখীন ইউনূস প্রশাসন। ফেরা যাক খবরে, খুলনার একটি প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে সংঘর্ষের জেরে জখম হয়েছেন ১৫০ পড়ুয়া। সংঘর্ষ হয়েছে শেখ হাসিনাকে অপসারণের দাবিতে আন্দোলনকারী ছাত্র সংগঠন ও তার বিরোধী গোষ্ঠীর শিক্ষার্থীদের মধ্যে।

    দুর্নীতির বিরুদ্ধে ছাত্র আন্দোলন

    জানা গিয়েছে, বিএনপির যুব শাখা জাতীয়তাবাদী ছাত্র দল (জেসিডি) বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের ভর্তি করার চেষ্টা করেছিল। বাধা দেয় ইউনূস সমর্থিত দুর্নীতির বিরুদ্ধে ছাত্র আন্দোলন স্টুডেন্টস এগেইনস্ট কোরাপশন (এসএডি)-এর সদস্যরা। এরাই হাসিনা সরকারের বিরুদ্ধে আন্দোলনে নেতৃত্ব দিয়েছিল। যার জেরে দেশ ছাড়তে হয় আওয়ামি লিগ সুপ্রিমোকে। এই ঘটনার পরে পরেই জেসিডি বিশ্ববিদ্যালয় নির্বাচন আয়োজন এবং ভাইস চ্যান্সেলর মোহাম্মদ মাসুদকে অপসারণের দাবি জানিয়েছে। এসএডি এই দুই দাবিরই বিরোধিতা করেছে। তার জেরেই হয় সংঘর্ষ। জখম হন দেড়শো জন।

    ছাত্র সংঘর্ষ

    সংঘর্ষের পরে ৫০ জনেরও বেশি পড়ুয়াকে চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। সংঘর্ষের ভিডিও ফুটেজে দেখা গিয়েছে প্রতিদ্বন্দ্বী দুই গোষ্ঠীর সদস্যরা চাপাতি হাতে একে অপরের সঙ্গে লড়াই করছে (Muhammad Yunus)। সংঘর্ষের দায় একে অপরের ওপর চাপাচ্ছে দুই গোষ্ঠীই (Bangladesh Crisis)। জেসিডি প্রধান নাসিরউদ্দিন নাসির বলেন, “সাম্প্রতিক হিংসায় উসকানি দিয়েছে এসএডি। জামাতে ইসলামি এসএডিকে সহিংস কার্যকলাপে লিপ্ত হতে সমর্থন জোগাচ্ছে।” জেসিডির আরও অভিযোগ, এসএডি ক্যাম্পাসে রাজনীতি নিয়ে এসেছে। তারা বলছে যে তারা ক্যাম্পাসকে রাজনীতিমুক্ত রাখতে চেয়েছিল। কিন্তু এসএডি তা হতে দেয়নি।

    খসে পড়েছে ঐক্যের মুখোশ

    হাসিনা-উত্তর জমানায় বাংলাদেশের শীর্ষ নেতৃত্ব একটি ঐক্যবদ্ধ চিত্র তুলে ধরেছিল। তখন মনে হয়েছিল, অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান ইউনূস, বিএনপি এবং জামাত সবাই এক জোট হয়েছে। তাদের এই ঐক্য তখনই পর্যন্ত টিকে ছিল, যতক্ষণ তারা হাসিনার বিরুদ্ধে লড়াই করছিল। রাজনৈতিক দৃশ্যপট থেকে হাসিনা সরে যাওয়ার পরেই খসে পড়ে ঐক্যের মুখোশ। বিএনপি ইউনূসের প্রতি অত্যন্ত সন্দেহপ্রবণ হয়ে উঠেছে। বিএনপি নেতৃত্ব মনে করছে, ইউনূস এখনই দেশে সাধারণ নির্বাচনের আয়োজন করতে আগ্রহী নন। বিএনপির অভিযোগ, ইউনূস সংবিধান সংশোধনের চেষ্টা করছেন যাতে তিনি নির্বাচন না করেই ক্ষমতায় টিকে থাকতে পারেন।

    মিলিট্যান্ট ধাঁচের সংগঠন

    ওয়াকিবহাল মহলের মতে (Bangladesh Crisis), ইউনূস জামাত এবং এসএডি উভয়ের ওপরই যথেষ্ট জোর দিচ্ছেন। প্রকৃতপক্ষে, তিনি এসএডিকে এমন এক মিলিট্যান্ট ধাঁচের সংগঠন তৈরি করতে সমর্থন করছেন, যা শেষ পর্যন্ত বাংলাদেশের আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির ওপর নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা করবে। এই নির্দিষ্ট অ্যাজেন্ডাটি পর্যবেক্ষণ করলে স্পষ্ট হয়ে যায় যে, ইউনূস প্রশাসনের প্রকৃত উদ্দেশ্য হল বাংলাদেশকে শরিয়া আইন দ্বারা পরিচালিত করে একটি ইসলামপন্থী রাষ্ট্রে পরিণত করা। দুই ছাত্র সংগঠনের মধ্যে সর্বশেষ সংঘর্ষটি আরও একটি ইঙ্গিত দেয়। সেটা হল, ইউনূস সমর্থিত ছাত্র শাখা এবং বিএনপির ছাত্র সংগঠনের মধ্যে বিভেদ কতটা গভীর। উভয় পক্ষই প্রতিটি স্তরে সংঘর্ষে লিপ্ত এবং এটি স্পষ্ট যে বিএনপি ইউনূসের (Muhammad Yunus) স্বৈরাচারী শাসনের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করছে।

    কী বলছেন পর্যবেক্ষকরা

    বাংলাদেশের রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের মতে, এটা অনিবার্যই ছিল। দুই সংগঠনের বিভেদের রেখাগুলো স্পষ্ট এবং ঐক্যের মুখোশ খুলে পড়েছে। যার জেরে কাছাকাছি আসতে শুরু করেছে বিএনপি এবং আওয়ামি লিগের ক্যাডাররা। এতদিন বিএনপি এবং ইউনূসের অনুগামীদের কমন শত্রু ছিল হাসিনার দল। আর এখন বিএনপি এবং আওয়ামি লিগ দুপক্ষই কমন শত্রু হিসেবে দেখছে ইউনূসকে। ক্ষমতার চিটে গুড়ে ইউনূসের পা আটকে যেতেই, বিপত্তি বেঁধেছে বাংলাদেশে। আজ বিএনপি এবং আওয়ামি লিগ দুই দলই ইউনূসকে (Bangladesh Crisis) কমন শত্রু হিসেবে দেখছে। তার কারণ দুই দেশই চায়, অবিলম্বে দেশে হোক সাধারণ নির্বাচন। তাদের আশঙ্কা, ইউনূস যতদিন ক্ষমতায় থাকবেন, ততদিন তিনি হস্তক্ষেপ করবেন এবং শেষ পর্যন্ত সংবিধান সংশোধনের মাধ্যমে আজীবনের জন্য শাসনের রাস্তা পরিষ্কার করবেন।

    ইউনূসের অনুগামীরা বিএনপির সঙ্গে লড়াই করলেও, ইউনূস স্বয়ং এখনও আওয়ামি লিগকেই সবচেয়ে বেশি ভয় পান। রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, এখনই যদি অবাধ ও সুষ্ঠুভাবে সাধারণ নির্বাচন হয়, তাহলে কোনও সন্দেহ নেই যে আওয়ামি লিগই দেশের ক্ষমতায় ফিরবে। প্রসঙ্গত, ইউনূস (Muhammad Yunus) যাদের টার্গেট করেছেন, তাঁদের দাবি, দেশে গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠা এবং আইনের শাসন ফিরিয়ে আনার জন্য অবিলম্বে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়া উচিত (Bangladesh Crisis)।

LinkedIn
Share