Author: Susanta Das

  • Healthy Liver: তিন ফলেই হবে বাজিমাত! লিভার সুস্থ রাখতে বিশেষজ্ঞদের ভরসা এই ত্রিফল

    Healthy Liver: তিন ফলেই হবে বাজিমাত! লিভার সুস্থ রাখতে বিশেষজ্ঞদের ভরসা এই ত্রিফল

    তানিয়া বন্দ্যোপাধ্যায় পাল

    হজম থেকে হরমোনের ভারসাম্য রক্ষা, শরীর সুস্থ রাখতে একাধিক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে লিভার। কিন্তু আধুনিক জীবন‌যাপন আর খাদ্যাভ্যাস লিভারের উপরেই সবচেয়ে বেশি খারাপ প্রভাব ফেলছে। এমনটাই জানাচ্ছেন চিকিৎসকদের একাংশ। তাঁরা জানাচ্ছেন, তরুণ প্রজন্মের মধ্যে লিভারের অসুখের ঝুঁকি বাড়ছে। তার মূল কারণ অস্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস। লিভার সুস্থ রাখতে তাই বিশেষ কিছু খাবার ফি-দিনের মেনুতে রাখার পরামর্শ দিচ্ছেন পুষ্টিবিদদের একাংশ।

    কেন লিভারের বাড়তি যত্ন জরুরি?

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, তরুণ প্রজন্মের একাংশ খুব কম বয়স থেকেই লিভারের অসুখে কাবু। নিয়মিত হজমের গোলমাল, বমির মতো উপসর্গ দেখা দেওয়ার পাশাপাশি চুল পড়ে যাওয়া, ত্বক শুষ্ক হয়ে যাওয়ার মতো নানান সমস্যাও দেখা যায়। লিভার শরীরের একাধিক হরমোনের ভারসাম্য রক্ষা করে। তাই সেই ভারসাম্য নষ্ট হলে চুল ও ত্বকের উপরে গভীর প্রভাব পড়ে। শরীর সুস্থ রাখতে ও স্বাভাবিক জীবন যাপন চালাতে লিভারের কার্যক্ষমতা বজায় রাখা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। বিশেষজ্ঞদের একাংশ জানাচ্ছেন, অধিকাংশ মানুষ এখন চটজলদি প্যাকেটজাত খাবারে অভ্যস্ত হয়ে পড়ছেন। কিন্তু এই সমস্ত প্যাকেটজাত খাবারে স্বাদ ধরে রাখতে কমবেশি প্রক্রিয়াজাত রাসায়নিক দেওয়া থাকে। যা মানুষের শরীরে খুব খারাপ প্রভাব ফেলে। সবচেয়ে বেশি ক্ষতিকারক প্রভাব ফেলে লিভারের উপরেই। তাছাড়া, পিৎজা, বার্গার কিংবা তেলে ভাজা জাতীয় খাবার নিয়মিত খাওয়ায় অনেকেই অভ্যস্ত। তাই লিভারের কার্যক্ষমতা কমতে থাকে। তাই লিভারের সুস্থতার দিকে বাড়তি নজরদারি প্রয়োজন।

    কোন তিন ফল বাজিমাত করবে?

    পুষ্টিবিদদের একাংশ জানাচ্ছেন, লিভার সুস্থ রাখতে নিয়মিত তিনটি ফল খেলে বিশেষ উপকার পাওয়া যাবে। আর সেই তালিকায় প্রথমেই রাখছেন আপেল। পুষ্টিবিদদের একাংশের পরামর্শ, দারচিনির গুঁড়ো ছড়িয়ে আপেলের কয়েকটি টুকরো নিয়মিত খেলে লিভার সুস্থ থাকবে। চিকিৎসকেরা জানাচ্ছেন, তরুণ প্রজন্মের মধ্যে ফ্যাটি লিভারের সমস্যা বাড়ছে। এই সমস্যা নিয়ন্ত্রণে দারচিনির গুঁড়ো মেশানো আপেল অত‌্যন্ত উপকারি। পুষ্টিবিদদের একাংশ জানাচ্ছেন, আপেলে পেকটিন এবং পলিফেনলসের মতো উপাদান। আবার দারচিনি ইনসুলিন সেনসিটিভিটি নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে। ফলে লিপিডের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে থাকে। তাই এই খাবার ফ্যাটি লিভার নিয়ন্ত্রণে বিশেষ সাহায্য করে।

    পাতিলেবুর রস মেশানো তরমুজের সরবত সপ্তাহে তিন দিন খেলেই লিভারের কার্যক্ষমতা বাড়বে বলে জানাচ্ছেন পুষ্টিবিদদের একাংশ। তাঁরা জানাচ্ছেন, তরমুজ নাইট্রিক অক্সাইড উৎপাদনে সাহায্য করে। আবার লেবু হলো‌ ভিটামিন সি সমৃদ্ধ ফল। এই দুই ফল একসঙ্গে খেলে লিভারে রক্ত সঞ্চালন ঠিকমতো হয়। তাই এই ফল শরীরের জন্য বাড়তি উপকারি।

    লিভারের ভিতরে ক্ষত কিংবা অন্য কোনও সমস্যা তৈরি হলে তা নিরাময়ে সাহায্য করে বেদানা। চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, বেদানায় রয়েছে পলিফেনল। এই যৌগ উপাদান লিভারের ভিতরের ক্ষত সারাতে বিশেষ সাহায্য করে। তাই সপ্তাহে দুই থেকে তিন দিন বেদানাকে খাবারের মেনুতে রাখার পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞদের একাংশ।

    এই তিন ফলের পাশপাশি বেরি জাতীয় ফল এবং বিট, গাজর, পালং শাকের মতো নানান রঙের সব্জি নিয়মিত খেলে হজমের ক্ষমতা বাড়বে। লিভারের শক্তিও বাড়বে। শরীর সুস্থ থাকবে। এমনটাই জানাচ্ছেন বিশেষজ্ঞ মহল।

     

     

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না। এখানে বলা যে কোনও উপদেশ পালন করার আগে অবশ্যই কোনও চিকিৎসক বা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

  • COPD: উৎসবের উদযাপনেও নজরে থাকুক সিওপিডি! সুস্থ থাকার জন্য কী পরামর্শ দিচ্ছেন চিকিৎসকরা?

    COPD: উৎসবের উদযাপনেও নজরে থাকুক সিওপিডি! সুস্থ থাকার জন্য কী পরামর্শ দিচ্ছেন চিকিৎসকরা?

    তানিয়া বন্দ্যোপাধ্যায় পাল

    আর মাত্র কয়েক দিনের অপেক্ষা। তারপরেই শুরু হবে আলোর উৎসব! শহর থেকে গ্রাম, বাঙালি মেতে উঠবে দীপাবলির (Diwali 2025) আনন্দে! মাটির প্রদীপ হোক কিংবা অ্যারোমা ক্যান্ডেল, নানান রকমের আলোয় সাজবে বাড়ি। তবে তার সঙ্গে বাড়বে বাজির দাপট (Diwali Fireworks)। চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, উৎসবের উদযাপনে যেন স্বাস্থ্যেও নজর থাকে। তাই উদযাপনের ক্ষেত্রেও সচেতনতা জরুরি। বিশেষত কলকাতার মতো শহরে এ ক্ষেত্রে বাড়তি সতর্কতা প্রয়োজন বলেও মনে করছেন চিকিৎসকদের একাংশ। তাঁরা জানাচ্ছেন, যে হারে এই শহরে ক্রনিক অবস্ট্রাকটিভ পালমোনারি ডিজিজ (COPD) আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বাড়ছে, তাতে বাজির উৎসবের দাপটে রাশ জরুরি!

    কী বলছে পরিসংখ্যান?

    বিশ্ব জুড়ে ফুসফুসের রোগে আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে। বিশেষত সিওপিডি-র মতো রোগে আক্রান্তের সংখ্যা উল্লেখযোগ্য ভাবে গত কয়েক বছরে বেড়েছে। সিওপিডি (COPD) আক্রান্তেরা শ্বাসকষ্ট, ঘনঘন কাশি-সর্দিতে ভোগান্তি, বুকের ভিতরে একটা চাপ অনুভব করার মতো নানান উপসর্গে ভোগেন। এর জেরে তাঁরা ক্লান্তি অনুভব করেন। স্বাভাবিক জীবন যাপন ব্যহত হয়। বিশেষত শিশু ও বয়স্কদের মধ্যে এই রোগের প্রকোপ বাড়ছে। তাই ফুসফুসের কার্যক্ষমতা কমছে। নিউমোনিয়ার মতো রোগের দাপটও বাড়ছে।

    বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার রিপোর্ট অনুযায়ী, প্রতি বছর বিশ্ব জুড়ে প্রায় ৩৫ লাখ মানুষ সিওপিডি-তে (COPD) আক্রান্ত হয়ে মারা যাচ্ছেন। প্রতি দশ সেকেন্ডে একজন সিওপিডি আক্রান্তের মৃত্যু হচ্ছে। ভারতের অবস্থাও ব্যতিক্রম নয়। বিশেষত কলকাতার মতো শহরে সিওপিডি আক্রান্তের সংখ্যা উল্লেখযোগ্য ভাবে বেড়েছে। কারণ, কলকাতা, হাওড়ার মতো শহরে বায়ুদূষণ (Air Pollution) মারাত্মকভাবে বেড়েছে। তাই এ রাজ্যেও সিওপিডি বাড়তি আতঙ্ক তৈরি করছে। সম্প্রতি একটি বেসরকারি সংস্থার তত্ত্বাবধানে পরিচালিত সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে, গত পাঁচ বছরে কলকাতায় শিশুদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য ভাবে সিওপিডি-র (COPD) সমস্যা বেড়েছে। পাঁচ বছরের কম বয়সী ৩০ শতাংশ শিশু হাঁপানির মতো রোগে আক্রান্ত হচ্ছে। যার ফলে সারাজীবন তাদের নানান শারীরিক জটিল পরিস্থিতির মধ্যে পড়তে হতে পারে বলেই আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন চিকিৎসকদের একাংশ।

    বাজি নিয়ে বাড়তি সতর্কতার কথা চিকিৎসকদের

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, বাজি বায়ুদূষণের (Air Pollution) মাত্রা কয়েকগুণ বাড়িয়ে দেয়। কলকাতা ও তার আশপাশের একাধিক শহর, এছাড়াও দুর্গাপুর, আসানসোলের মতো রাজ্যের বিভিন্ন শহরের বাতাস পরীক্ষা করে দেখা গিয়েছে, সেখানে মানুষের সহনশীলতার তুলনায় পাঁচ থেকে ছয় গুণ বেশি দূষিত পদার্থ রয়েছে। এর জেরেই রাজ্যে ফুসফুসের অসুখ (COPD) বাড়ছে। বাজি এই পরিস্থিতিকে আরও বেশি জটিল করে তুলতে পারে বলেই আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন বিশেষজ্ঞদের একাংশ। তাঁরা জানাচ্ছেন, শব্দ বাজির পাশপাশি নানান ধরনের আলোর বাজি পোড়ালে বাতাসে একধরনের সাদা ধোঁয়া (Diwali Fireworks Air Pollution) মিশে যায়। এই ধোঁয়া আসলে বিষাক্ত রাসায়নিক। কার্বন মনোঅক্সাইড, কার্বন ডাই অক্সাইড, সালফারের মতো একাধিক শরীরের পক্ষে বিষাক্ত গ্যাস ও উপাদান বাতাসে মিশতে থাকে। বাতাসে অক্সিজেনের পরিমাণ কমে। ফলে শ্বাসকষ্ট, হাঁপানি সহ একাধিক ফুসফুসের রোগের দাপট বাড়ে। তাছাড়া সিওপিডি আক্রান্তদের জন্য ও পরিস্থিতি সঙ্কটজনক‌ হয়ে ওঠে।

    সুস্থ থাকতে কী পরামর্শ দিচ্ছে বিশেষজ্ঞ মহল?

    সকলে একসঙ্গে উৎসব পালন করতে পারলে তবেই উদযাপনে আনন্দ। তাই সুস্থ থাকতে সচেতন উৎসব উদযাপনের পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞদের একাংশ। তাঁরা জানাচ্ছেন, পরিবেশবান্ধব গ্রিন বাজি পোড়ানো যেতেই পারে। কিন্তু পরিবেশবান্ধব না হলে সেই বাজি পোড়ানো উচিত নয়। তাতে নতুনভাবে সিওপিডি (COPD) আক্রান্তের সংখ্যা বাড়বে। রোগীদের পরিস্থিতিও সঙ্কটজনক হতে পারে। তাই বাজি পোড়ানোর ক্ষেত্রে সচেতনতা জরুরি। পাশপাশি প্রশাসনের তৎপরতাও প্রয়োজন বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।‌ তাঁরা জানাচ্ছেন, বেআইনি বাজি নির্মাণ বন্ধ করা, বাজারে পরিবেশবান্ধব নয়, এমন বাজি যাতে রমরমিয়ে বিক্রি হতে না পারে সে দিকে নজর রাখার দায়িত্ব প্রশাসনের। সাধারণ মানুষের সচেতনতার পাশাপাশি প্রশাসনের সক্রিয়তা না বাড়লে এই পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ কঠিন।

    সুস্থ থাকতে এই সময়ে মাস্ক ব্যবহারের পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞদের একাংশ। তাঁরা জানাচ্ছেন, শিশু ও বয়স্কদের ঠিকমতো নাক ও মুখ ঢাকা মাস্ক পরে তবেই বাইরে যাওয়া উচিত। কারণ এই সময়ে বাতাসে দূষিত (Air Pollution) উপাদানের পরিমাণ বেড়ে যায়। তাই মাস্ক পরলে কিছুটা (COPD) রেহাই পাওয়া যেতে পারে। নিয়মিত আদা এবং এলাচের মতো মশলা রান্নার উপকরণ হিসাবে ব্যবহারের পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞদের একাংশ। তাঁরা জানাচ্ছেন, এই ধরনের মশলা ফুসফুসের কার্যক্ষমতা বাড়ায়। ফুসফুসের সংক্রমণের ঝুঁকিও কমায়। তাই এই সময়ে এই ধরনের মশলাযুক্ত খাবার খেলে বাড়তি উপকার হতে পারে।

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না। এখানে বলা যে কোনও উপদেশ পালন করার আগে অবশ্যই কোনও চিকিৎসক বা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

  • India UK Defence Deal: ৩,৮৮৪ কোটি টাকায় ব্রিটেন থেকে হালকা মাল্টিরোল মিসাইল কিনছে ভারত, কী এর বৈশিষ্ট্য?

    India UK Defence Deal: ৩,৮৮৪ কোটি টাকায় ব্রিটেন থেকে হালকা মাল্টিরোল মিসাইল কিনছে ভারত, কী এর বৈশিষ্ট্য?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দেশের প্রতিরক্ষাকে আরও মজবুত ও নিশ্ছিদ্র করার লক্ষ্যে এবার ব্রিটেনের থেকে অত্যাধুনিক ক্ষেপণাস্ত্র কিনতে চলেছে ভারত। ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী কিয়ের স্টার্মারের সদ্যসমান্ত ভারত সফরের মধ্যেই এই প্রতিরক্ষা চুক্তির (India UK Defence Deal) বিষয়ে সম্মত হয়েছে দুই পক্ষ, বলে জানা গিয়েছে।

    ৩,৮৮৪ কোটি টাকার ক্ষেপণাস্ত্র চুক্তি

    সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত খবর অনুযায়ী, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এবং ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীর মধ্যে হওয়া বৈঠকে দুই দেশ ৪৬৮ মিলিয়ন মার্কিন ডলার (প্রায় ৩,৮৮৪ কোটি টাকা) মূল্যের একটি প্রতিরক্ষা চুক্তিতে (India UK Defence Deal) সম্মত হয়েছে। এই চুক্তির আওতায় ব্রিটেন ভারতীয় সেনাবাহিনীকে লাইটওয়েট মাল্টিরোল মিসাইল (এলএমএম) বা ‘মার্টলেট’ সরবরাহ করবে। ব্রিটিশ প্রতিরক্ষা সরঞ্জাম উৎপাদনকারী সংস্থা থ্যালেস এই মিসাইলগুলি তৈরি করবে। ফলে ভারতের আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা (এয়ার ডিফেন্স) আরও মজবুত হবে বলে নয়াদিল্লির তরফে আশাপ্রকাশ করা হয়েছে।

    ভারতে আসছে পৌরাণিক পাখি…

    এলএমএম বা মার্টলেট হল হালকা ওজনের একধরনের মাল্টিরোল মিসাইল (Lightweight Multirole Missile) বা বহুমুখী ক্ষেপণাস্ত্র। এই হালকা মিসাইলটি আকাশ থেকে ভূমি (এয়ার-টু-সারফেস), আকাশ থেকে আকাশ (এয়ার-টু-এয়ার), ভূমি থেকে আকাশ (সারফেস-টু-এয়ার) ও ভূমি থেকে ভূমিতে (সারফেস-টু-সারফেস) থাকা লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানতে সক্ষম। ‘মার্টলেট’ নামটি মূলত একটি পৌরাণিক পাখির নাম। ইংরেজদের যুদ্ধের সাজে এই পাখির একটি কাল্পনিক ছবি থাকে, যার পা নেই। অর্থাৎ এই পাখি কখনও বিশ্রাম নেয় না। ভারতীয় সেনাবাহিনী এই এয়ার ডিফেন্স মিসাইল সিস্টেম এবং লঞ্চার পাবে (India UK Defence Deal)। এলএমএম দ্রুত, নির্ভুল এবং বহুমুখী, ড্রোন, হেলিকপ্টার এবং ছোট বিমান ধ্বংস করতে সক্ষম। এই মিসাইল সাঁজোয়া যান, হেলিকপ্টার এবং যুদ্ধজাহাজ থেকে ছোড়া যেতে পারে। ৬ কিলোমিটার দূরত্ব পর্যন্ত আঘাত হানতে পারে ‘মার্টলেট’। লেজার বিম গাইডেন্স-ভিত্তিক এলএমএম নানা কনফিগারেশনে পাওয়া যায়। মাত্র ১৩ কিলোগ্রাম ওজনের এই মিসাইলটির গতি ম্যাক ১.৫ (শব্দের গতির দেড় গুণ) এবং এটি ২০১৯ সাল থেকে ব্রিটিশ সেনাবাহিনীতে মোতায়েন রয়েছে।

    থ্যালেস তৈরি করবে এই মিসাইল

    ব্রিটিশ সরকার এই চুক্তিকে নিজেদের প্রতিরক্ষা শিল্প এবং ভারতের সঙ্গে গভীরর কৌশলগত সম্পর্কের জন্য একটি ঐতিহাসিক মোড় হিসেবে বর্ণনা করেছে। ব্রিটিশ সরকার বলেছে যে, এই চুক্তিটি (India UK Defence Deal) প্রায় ৭০০ ব্রিটিশ কর্মীর চাকরি নিশ্চিত করবে। এই একই মিসাইল ব্যবহার করছে ইউক্রেন। ব্রিটেনের প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের তরফে জানানো হয়েছে, যেখানে ইউক্রেনের জন্য তৈরি করা হচ্ছে, উত্তর আয়ারল্যান্ডের বেলফাস্টে অবস্থিত থ্যালেস সেই কারখানাতেই এই মিসাইল (Lightweight Multirole Missile) তৈরি হবে। সেখানেই ভারতীয় সেনার জন্য এয়ার ডিফেন্স মিসাইল এবং লঞ্চার তৈরি করা হবে। অন্যদিকে, নয়াদিল্লির তরফে জানানো হয়েছে, সেই মিসাইল চুক্তির হাত ধরে ভারত এবং ব্রিটেনের মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ অস্ত্রের ক্ষেত্রে দীর্ঘকালীন সমন্বয়ের পথ আরও প্রশস্ত হল। আত্মনির্ভর ভারতের যে ভিত্তি আছে, সেটার পথও প্রশস্ত হয়েছে।

    সমুদ্রেও ভারত-ব্রিটেন সমঝোতা

    এছাড়াও, সামুদ্রিক খাতে দুই দেশের মধ্যে বেশ কয়েকটি বড় চুক্তি (India UK Defence Deal) স্বাক্ষরিত হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে ইন্দো-প্যাসিফিক ওশেন ইনিশিয়েটিভ (IPOI) এর অধীনে একটি রিজিওনাল মেরিটাইম সিকিউরিটি সেন্টার অফ এক্সিলেন্স (RMSCE) প্রতিষ্ঠা। এটি প্রশিক্ষণ, তথ্য ও জ্ঞান ভাগাভাগি এবং প্রযুক্তির উন্নয়নের উপর জোর দেবে। যৌথ বিবৃতিতে, দুই দেশ জানিয়েছে যে এই কেন্দ্রটি জলদস্যু, অবৈধ মাছ ধরা এবং দুর্যোগ ব্যবস্থাপনার মতো আঞ্চলিক চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় কাজ করবে। এছাড়া, মেরিটাইম ইলেকট্রিক প্রপালশন সিস্টেম তৈরির বিষয়ে দু’দেশ গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা করেছে। সেই বিষয়টিকে পরবর্তী ধাপে নিয়ে যাওয়ার জন্য সই-সাবুদও হয়েছে।

  • Weight Gain Problem: উৎসবের পরে বেড়েছে ওজন! দীপাবলির আগে কোন দিকে বাড়তি নজর দিতে হবে?

    Weight Gain Problem: উৎসবের পরে বেড়েছে ওজন! দীপাবলির আগে কোন দিকে বাড়তি নজর দিতে হবে?

    তানিয়া বন্দ্যোপাধ্যায় পাল

    উৎসবের রেশ এখনো কাটেনি! বাঙালির সবচেয়ে বড় উৎসব দুর্গাপুজো শেষ হলেও, উৎসবের মরসুম কিন্তু হাজির! আর মাত্র কয়েক দিন! আর তারপরেই দীপাবলির উৎসবে মেতে উঠবেন আমজনতা! দীপাবলি আর ভাইফোঁটা! বছরের এই দুই উৎসবে বাঙালি বাড়িতে বাড়তি আয়োজন! শহর হোক বা গ্রাম, কালীপুজো আর ভাইফোঁটা উপলক্ষে বাঙালির রান্নাঘরে বাড়তি আয়োজন চলে! গভীর রাত পর্যন্ত আড্ডা চলছে থাকে।‌ তাই দুর্গোৎসব আর দীপাবলির মাঝের দু’সপ্তাহে শরীরে বাড়তি নজরদারি প্রয়োজন বলেই মনে করছেন চিকিৎসকদের একাংশ। তাঁরা জানাচ্ছেন, দুর্গাপুজোর সময় অনেকেই নিয়মিত অস্বাস্থ্যকর খাওয়া-দাওয়া করেছেন‌।‌ রাত জেগে প্যান্ডেলে প্রতিমা দর্শন করেছেন। বন্ধুদের সঙ্গে দেদার আড্ডা আর খানাপিনা ও চলেছে! আর তার জেরে অনেকেই কাবু হচ্ছেন। চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, হজমের গোলমালে জেরবার অনেকেই। আবার কেউ কেউ বাড়তি ওজন নিয়ে দুশ্চিন্তায় আছেন। দীপাবলির উৎসবে মেতে ওঠার আগে, তাই কয়েক দিন শরীরের বাড়তি যত্ন জরুরি।

    কোন দিকে বাড়তি খেয়াল রাখার পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞ মহল?

    নিয়মিত সকালে আধ-ঘণ্টা হাঁটা!

    উৎসবের মরশুমে শরীর সুস্থ রাখতে এবং ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতে এই সময়ে নিয়মিত সকালে আধ ঘণ্টা হাঁটার পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞদের একাংশ।‌ তাঁরা জানাচ্ছেন, সকালে হাঁটলে শরীরের একাধিক রোগ মোকাবিলা সহজ‌ হয়। ওজন ও ডায়াবেটিসের মতো সমস্যা নিয়ন্ত্রণে থাকে। ফলে হৃদরোগ, কোলেস্টেরলের ঝুঁকি কমে। সকালে হাঁটলে মানসিক চাপ কমে। ফলে শরীরের একাধিক হরমোন ঠিকমতো কাজ করে। এর জেরে মানসিক স্বাস্থ্য ঠিক থাকে। পাশপাশি, সকালে হাঁটলে রক্ত সঞ্চালন ঠিকমতো হয়। তাই উচ্চ রক্তচাপের সমস্যা ও এড়ানো যায়। তাই পুজোর পেট পুজোর জেরে‌, যারা বাড়তি ওজন নিয়ে চিন্তিত, তাদের নিয়মিত সকালে অন্তত আধ ঘণ্টা হাঁটার পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞদের একাংশ।‌ তাঁরা জানাচ্ছেন, দু’সপ্তাহ নিয়মিত হাঁটলে তার প্রভাব শরীরে পড়বে।

    রাতে নির্দিষ্ট সময়ে ঘুম জরুরি!

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, উৎসবের মরসুমে অনেকেই রাত জেগে থাকেন। রাতে পর্যাপ্ত ঘুম হয় না। একদিকে অতিরিক্ত মশলাদার খাবার খাওয়া, আরেকদিকে অপর্যাপ্ত ঘুম! এই দুই কারণেই হজমের সমস্যা দেখা দেয়। তাছাড়াও একাধিক শারীরিক সমস্যা হতে থাকে। দীপাবলির উৎসবের আনন্দ করার জন্য‌ এই কয়েকদিন তাই রাতে নির্দিষ্ট সময়ে ঘুম জরুরি। শরীর সুস্থ রাখতে মস্তিষ্ক, স্নায়ু এবং পেশির বিশ্রাম জরুরি। তাই প্রতিদিন আট ঘণ্টা ঘুম জরুরি। দুর্গাপুজোর সময়ে অনেকেই রাত জেগে ঠাকুর দর্শন করেন। তাই উৎসবের পরে শরীরে বাড়তি ক্লান্তিবোধ তৈরি হয়। এই সময় তাই মস্তিষ্কের বিশ্রামের প্রয়োজন। অতিরিক্ত রাত জেগে থাকার অভ্যাস বাড়তি সমস্যা তৈরি করতে পারে।

    কম তেলে রান্না খাবার প্রয়োজন!

    বাঙালির ভুরিভোজ মানেই মাছ, মাংসের হরেক পদ। আর তার সঙ্গে চলে ভাজাভুজি! আর তার জেরেই ওজন বৃদ্ধি, উচ্চ রক্তচাপ, কোলেস্টেরলের মাত্রা বেড়ে যাওয়ার মতো বিপদ‌ তৈরি হয়। তাই সুস্থ থাকতে আপাতত ভুরিভোজে রাশ টানার পরামর্শ‌ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞদের একাংশ। তাঁরা জানাচ্ছেন, প্রাণীজ প্রোটিন খেলেও অতিরিক্ত মশলাদার খাবার খাওয়া চলবে না। বরং স্যুপ কিংবা স্টু জাতীয় পদ বানিয়ে খাওয়া যেতে পারে। আর তেলে ভাজা জাতীয় খাবার এড়িয়ে চলার পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞদের একাংশ। তাঁরা জানাচ্ছেন, অতিরিক্ত তেল ও মশলা ওজন বাড়ানোর পাশাপাশি হজমের গোলমাল তৈরি করে।

    সব্জি আর ফলেই ভরসা রাখার পরামর্শ!

    পুষ্টিবিদদের একাংশ জানাচ্ছেন, ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতে, হজমের গোলমাল এড়াতে এবং অন্যান্য রোগের দাপট কমাতে সব্জি এবং ফলের উপরেই ভরসা রাখা যায়। তাঁরা জানাচ্ছেন, উৎসবের মরসুমে সুস্থ থাকতে নিয়মিত সব্জি এবং ফল খাওয়া জরুরি। তাঁদের পরামর্শ, এই সময়ে অধিকাংশ বাঙালি অতিরিক্ত প্রাণীজ প্রোটিন খান। কিন্তু সেই অনুপাতে ফল আর সব্জি খাওয়া হয় না। আর তার জেরেই সমস্যা বাড়ে‌। নিয়মিত লেবু, পেয়ারা, কলা, নাশপাতি জাতীয় ফল খাওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞদের একাংশ। তাঁরা জানাচ্ছেন এগুলো অন্ত্রের জন্য ভালো। আবার এগুলো শরীরের প্রয়োজনীয় খনিজ পদার্থের জোগান দেয়। রোগ প্রতিরোধ শক্তি বাড়ায়। তার পাশপাশি গাজর, পালং শাক, পটল, ঝিঙে লাউয়ের মতো সব্জি শরীরের প্রয়োজনীয় ভিটামিনের জোগান দেবে।‌ তাই শরীর সুস্থ থাকবে।

     

     

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না। এখানে বলা যে কোনও উপদেশ পালন করার আগে অবশ্যই কোনও চিকিৎসক বা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

  • Air Force Day 2025: “সাহসিকতা, শৃঙ্খলা ও নির্ভুলতার প্রতীক”, বায়ুসেনা দিবসে আকাশ-যোদ্ধাদের শুভেচ্ছা রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রীর

    Air Force Day 2025: “সাহসিকতা, শৃঙ্খলা ও নির্ভুলতার প্রতীক”, বায়ুসেনা দিবসে আকাশ-যোদ্ধাদের শুভেচ্ছা রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রীর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বায়ুসেনা দিবসে বুধবার ভারতীয় বিমানবাহিনীর বীর যোদ্ধাদের শুভেচ্ছা জানালেন রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু ও প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।

    শুভেচ্ছা রাষ্ট্রপতির

    বুধবার সকালে সমাজ মাধ্যম এক্স-এ (পূর্বতন ট্যুইটার) এক বার্তায় রাষ্ট্রপতি উল্লেখ করেন, ভারতীয় বায়ুসেনা সর্বদা সাহস, অঙ্গীকার ও উৎকর্ষতা প্রদর্শন করে এসেছে। বায়ুসেনা দিবসে সমস্ত বিমান যোদ্ধা, প্রবীণ সৈনিক এবং তাঁদের পরিবারবর্গকে আন্তরিক শুভেচ্ছা জানিয়েছেন রাষ্ট্রপতি। এক্স মাধ্যমে রাষ্ট্রপতি বলেছেন, “ভারতীয় বায়ুসেনা সর্বদা সাহস, অঙ্গীকার ও উৎকর্ষতা প্রদর্শন করে এসেছে। আমাদের বিমান যোদ্ধারা আমাদের আকাশ রক্ষা করে ও দুর্যোগ এবং মানবিক অভিযানের সময় অক্লান্ত নিষ্ঠার সঙ্গে দেশের সেবা করে। আমাদের বায়ুসেনা শক্তি এবং প্রতিটি চ্যালেঞ্জ মোকাবিলার প্রস্তুতি দিয়ে দেশকে গর্বিত করেছে। ভবিষ্যতের সমস্ত প্রচেষ্টায় সাফল্যের জন্য আমি ভারতীয় বায়ুসেনাকে আমার শুভেচ্ছা জানাই।”

    শুভেচ্ছা বার্তা প্রধানমন্ত্রীর…

    এক্স পোস্টে ভারতীয় বায়ুসেনার প্রতিষ্ঠা দিবসে শুভেচ্ছা বার্তায় প্রধানমন্ত্রী লিখেছেন, “বায়ুসেনা দিবসে সমস্ত সাহসী বিমান যোদ্ধা এবং তাঁদের পরিবারবর্গকে শুভেচ্ছা। ভারতীয় বায়ুসেনা সাহসিকতা, শৃঙ্খলা ও নির্ভুলতার প্রতীক। বায়ুসেনা ভারতের আকাশ রক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে, এমনকি সবচেয়ে চ্যালেঞ্জিং পরিস্থিতিতেও। প্রাকৃতিক দুর্যোগের সময়ও তাঁদের ভূমিকা অত্যন্ত প্রশংসনীয়। তাঁদের প্রতিশ্রুতি, পেশাদারিত্ব এবং অদম্য মনোবল প্রতিটি ভারতীয়কে গর্বিত করে।”

    এদিন গাজিয়াবাদের হিন্দন এয়ারবেসে বুধবার অনুষ্ঠিত হল ভারতীয় বায়ুসেনার ৯৩তম প্রতিষ্ঠা দিবসের বর্ণাঢ্য অনুষ্ঠান। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন সিডিএস, স্থলবাহিনী ও নৌবাহিনীর প্রধানরা। ঐতিহ্যবাহী বিমানগুলির দুর্দান্ত আকাশ প্রদর্শন এবং তিন বাহিনীর মার্চপাস্ট মন কেড়েছে উপস্থিত দর্শকদের।

    কী বললেন বায়ুসেনা প্রধান?

    বায়ুসেনা প্রধান এয়ার চিফ মার্শাল এপি সিং এদিন তাঁর ভাষণে বলেন, “ভারতীয় বায়ুসেনা আজ প্রযুক্তি, দক্ষতা ও সক্ষমতার ক্ষেত্রে শীর্ষে রয়েছে। আমি গর্বিত যে এমন এক বাহিনীর অংশ, যা কেবল আধুনিক প্রযুক্তিতে সজ্জিত নয়, সাহস ও সমর্পণেও অতুলনীয়।” তিনি স্মরণ করান ১৯৪৮, ১৯৭১, ১৯৯৯-এর যুদ্ধ থেকে শুরু করে বালাকোট এয়ার স্ট্রাইক ও সাম্প্রতিক ‘অপারেশন সিন্ধুর’-এর মতো অভিযানে বায়ুসেনার অনন্য ভূমিকার কথা। তিনি বলেন, “আমাদের বীর সেনারা প্রতি ক্ষেত্রেই ইতিহাস তৈরি করেছেন। ভারতীয় বিমান বাহিনী প্রতিরক্ষা এবং সম্মানের নতুন উদাহরণ স্থাপন করেছে।”

    এয়ার চিফ মার্শাল সিং জানান, ‘অপারেশন সিন্ধুর’-এ ভারতীয় বায়ুসেনার সিদ্ধান্তমূলক পদক্ষেপ দেশের কৌশলগত অবস্থানকে আরও শক্তিশালী করেছে। তিনি বলেন, “এই অভিযান প্রমাণ করেছে যে নিবিড় প্রশিক্ষণ, শৃঙ্খলা ও নিষ্ঠার মাধ্যমে কত বড় সাফল্য অর্জন করা সম্ভব।” বায়ুসেনা প্রধান বলেন, “নিয়মিত প্রশিক্ষণই আমাদের সক্ষম রাখে। প্রতিটি বায়ুযোদ্ধাকে অঙ্গীকার করতে হবে—পরিস্থিতি যাই হোক, আমি দুর্বল হব না, এবং আমাদের ঐক্য অটুট থাকবে।” ভবিষ্যৎ প্রস্তুতির প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “সতর্কতা ও অবিরাম অনুশীলনই সাফল্যের চাবিকাঠি।”

  • Auto Immune Disease: শরীরের রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থা শরীরকেই কাবু করবে না তো! তিন নোবেলজয়ীর কাজ ফের আলোচনায়

    Auto Immune Disease: শরীরের রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থা শরীরকেই কাবু করবে না তো! তিন নোবেলজয়ীর কাজ ফের আলোচনায়

    তানিয়া বন্দ্যোপাধ্যায় পাল

    শরীর সুস্থ রাখতে রোগ প্রতিরোধ শক্তি (Immunity Power) জরুরি। তবে নিজের দেহের শক্তির রাশ নিয়ন্ত্রণে না থাকলে বাড়বে বিপদ! নিজের দেহের রোগ প্রতিরোধ শক্তি তৈরি করবে জটিল সমস্যা। যার জেরে সুস্থ জীবন যাপন ব্যাহত হবে। তাই নিজের শরীরের রোগ প্রতিরোধ শক্তি যাতে বাড়তি বিপদ তৈরি না করে, এই শক্তি নিয়ন্ত্রণ করে, অসুখের মোকাবিলা করা যায়, এ নিয়ে চিকিৎসা বিজ্ঞানে চর্চা দীর্ঘকালের। গত প্রায় দু’দশক ধরে এই নিয়ে লাগাতার চর্চা চালিয়ে যাচ্ছেন তিন বিজ্ঞানী। ম্যারি ই ব্রুঙ্কো, ফ্রেড র‌্যাম্‌সডেল এবং শিমন সাকাগুচি, এই তিনজন মানব শরীরের ‘অটোইমিউন’ ডিজিজ নিয়ে গবেষণা করেছেন। সেই গবেষণার জন্যই ২০২৫ সালে চিকিৎসা বিজ্ঞান শাখায় এই তিনজন বিজ্ঞানী নোবেল পুরস্কার বিজয়ী (Nobel Prize in Medicine) হয়েছেন।

    অটোইমিউন ডিজিজ (Autoimmune Disease) কী?

    ক্যান্সার কিংবা রিউমাটোয়েড আর্থারাইটিস, মানুষের শরীরে এমন নানান রোগ রোগ রয়েছে, যা অটোইমিউন ডিজিজ নামে পরিচিত। অর্থাৎ, নিজের শরীরের রোগ প্রতিরোধ শক্তির জেরেই এই ধরনের রোগের প্রকোপ দেখা দেয়। নিজের শক্তির দ্বারাই জীবন শক্তি ক্ষয় হয়। অর্থাৎ নিজের দেহের বিভিন্ন সুস্থ কোষকে শরীর নিজেই আক্রমণ করে। ফলে নানান জটিল অসুখ দেখা দেয়। তাই শরীর সুস্থ রাখতে এই ইমিউনিটি পাওয়ার সম্পর্কে ওয়াকিবহাল থাকা জরুরি। অটোইমিউন ডিজিজ (Autoimmune Disease) থেকে মানব দেহকে বাঁচাতেও এই সম্পর্কে জ্ঞান অত্যন্ত জরুরি। দীর্ঘ দুই দশক ধরে এই তিন বিজ্ঞানী তাই চর্চা চালিয়েছেন মানুষের শরীরের রোগ প্রতিরোধ শক্তি নিয়ে!

    কী বলছে গবেষণা?

    মানুষের শরীরকে প্রতি মুহূর্তে আক্রমণ করছে ভাইরাস, ব্যাকটেরিয়া, ছত্রাক! চিকিৎসা বিজ্ঞানীরা জানাচ্ছেন, প্রত্যেকটি জীবাণুর গঠন আলাদা রকম। মানুষের শরীরের ভিতরে থাকা রোগ প্রতিরোধ শক্তি এই আক্রমণ প্রতিহত করছে। তার ফলেই আমরা সুস্থ জীবন যাপন করতে পারছি। কিন্তু বেশ কিছু জীবাণু এমন রয়েছে, যার গঠন সম্পূর্ণ নয়। কিংবা যার গঠন অনেকটাই আমাদের শরীরের ভিতরে থাকা প্রয়োজনীয় কোষের মতোই! ফলে তখন মানুষের শরীরের রোগ প্রতিরোধ শক্তি দ্বিধায় পড়ছে। আর তখন তৈরি হচ্ছে অটোইমিউন ডিজিজ (Autoimmune Disease)। অর্থাৎ রোগ প্রতিরোধকারী শক্তি ভুলবশত নিজের কোষের ক্ষয় করছে। ভাইরাস আর কোষের মধ্যে পার্থক্য করতে পারছে না।‌

    তবে এই তিন নোবেলজয়ী বিজ্ঞানীর (Nobel Prize in Medicine) গবেষণায় দেখা যায়, মানব শরীরের রোগ প্রতিরোধ শক্তি প্রক্রিয়ায় খুব গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে টি-সেল নামে এক ধরনের কোষের! কোনটি ভাইরাস আর কোনটি শরীরের নিজস্ব কোষ, কার ক্ষয় জরুরি, এটি চিহ্নিত করতে সাহায্য করে এই টি-সেল (T-Cell)। অর্থাৎ, টি-সেল কিংবা রেগুলেটরি টি-সেল জাতীয় কোষ দেহের রোগ প্রতিরোধ শক্তিকে ঠিকমতো কাজে লাগানোর পথ দেখায়। যাতে নিজের শক্তি ভুলভাবে ক্ষয় না করে, প্রয়োজনীয় ভাইরাসের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে কাজে লাগাতে পারে।

    এই তিন বিজ্ঞানীর গবেষণার মূল বিষয় ছিল পেরিফেরাল ইমিউন টলারেন্স (Peripheral Immune Tolerance)! অর্থাৎ, শরীরের কিছু রোগ প্রতিরোধ শক্তিধারী কোষ বোন ম্যারো থেকে তৈরি হওয়ার সময় বুঝতে পারে, তাদের ইমিউনিটি পাওয়ার কোথায় ব্যবহার করতে হবে। কিন্তু কিছু রোগ প্রতিরোধ শক্তিধারী কোষ তৈরি হয় শরীরের অন্যান্য অঙ্গে যেমন লিম্ফ গ্ল্যান্ডে। যাকে চিকিৎসা বিজ্ঞানের ভাষায় বলা হয় পেরিফেরাল ইমিউন সিস্টেম। সেখানে বেশ কিছু কোষ থাকে, যা নিজের শক্তি সম্পর্কে ওয়াকিবহাল থাকে না। ফলে অটোইমিউন ডিজিজ (Autoimmune Disease) হওয়ার ঝুঁকি থাকে। এই সিস্টেম সম্পর্কেই ওয়াকিবহাল করেছে এই গবেষণা।

    চিকিৎসা বিজ্ঞানের জন্য কেন নতুন দিশা?

    ক্যান্সার সহ একাধিক জটিল অটোইমিউন ডিজিজের চিকিৎসা কোন পথে হবে, এ নিয়ে নয়া দিশা দেখায় এই গবেষণা। এমনটাই জানাচ্ছেন চিকিৎসকদের একাংশ। তাঁরা জানাচ্ছেন, শরীরের নিজস্ব শক্তি যখন শরীরের বিপক্ষে চলে যায়, তখন কীভাবে বাইরে থেকে ওষুধ কাজ করবে, এ নিয়ে বহু ধোঁয়াশা ছিলো। কিন্তু এই গবেষণা পথ দেখিয়েছে। কীভাবে কোন কোষগুলোর সক্রিয়তা বাড়ালে এই ধরনের অটোইমিউন রোগের (Autoimmune Disease) মোকাবিলা করা যাবে। তাই এই গবেষণা চিকিৎসা বিজ্ঞানের ইতিহাসে নতুন পথ তৈরি করেছে!

     

     

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না। এখানে বলা যে কোনও উপদেশ পালন করার আগে অবশ্যই কোনও চিকিৎসক বা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

  • Encephalitis: দেশের ৫০ শতাংশ এনসেফালাইটিস আক্রান্ত পূর্ব ভারতেই! কেন বাড়ছে এই রোগ?

    Encephalitis: দেশের ৫০ শতাংশ এনসেফালাইটিস আক্রান্ত পূর্ব ভারতেই! কেন বাড়ছে এই রোগ?

    তানিয়া বন্দ্যোপাধ্যায় পাল

    দেশজুড়ে বাড়ছে বিপদ! চলতি বছরে উদ্বেগজনক ভাবে বেড়েছে এনসেফালাইটিস (Encephalitis)! যা নিয়ে আশঙ্কা বাড়ছে চিকিৎসক মহলে! সাম্প্রতিক সর্বভারতীয় সংস্থার দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, দেশ জুড়ে এনসেফালাইটিস বেড়েছে (Encephalitis in India)। বিশেষত বিহার, ঝাড়খণ্ড, অসম, তামিলনাড়ু এবং পশ্চিমবঙ্গে উল্লেখযোগ্য ভাবে এই রোগের প্রকোপ বেড়েছে। ওই সমীক্ষার তথ্য অনুযায়ী, দেশের মোট এনসেফালাইটিস আক্রান্তের ৫০ শতাংশের বেশি রোগী এই কয়েকটি রাজ্যে দেখা যাচ্ছে। তাই এই রাজ্যগুলোতে এনসেফালাইটিস নিয়ে বাড়তি সতর্কতা জরুরি। সচেতন না হলে আগামী কয়েক বছরে পরিস্থিতি আরও ভয়ঙ্কর হয়ে উঠতে পারে বলেই আশঙ্কা প্রকাশ করছেন চিকিৎসক মহল।

    কেন এনসেফালাইটিস (Encephalitis) বাড়ছে?

    এনসেফালাইটিস হল মস্তিষ্কের প্রদাহ বা ফোলা। এনসেফালাইটিস সবার প্রথমেই মস্তিষ্কে প্রদাহ তৈরি করে। এটি বিভিন্ন কারণে হতে পারে। তবে বিশেষজ্ঞদের একাংশ জানাচ্ছেন, এনসেফালাইটিস মূলত মশাবাহিত রোগ। মশার মাধ্যমেই এই রোগ সংক্রমিত হয়। জাপানি এনসেফালাইটিস মশার মাধ্যমে একজনের দেহ থেকে আরেক জনের মধ্যে ছড়িয়ে পড়ে। ভারতে মশাবাহিত রোগের প্রকোপ বাড়ছে। বিশেষত পূর্ব ভারতের (Encephalitis in India) রাজ্যগুলো যেমন পশ্চিমবঙ্গ, বিহার কিংবা ঝাড়খণ্ডের মতো রাজ্যে মশার প্রকোপ বেশি। এইসব জায়গায় ম্যালেরিয়া কিংবা ডেঙ্গির মতো মশাবাহিত রোগের প্রকোপ দেখা যায়। তেমনি এনসেফালাইটিসও (Encephalitis) ছড়িয়ে পড়ে। মশার দাপট বেশি থাকার জেরেই এই ধরনের রোগ সংক্রমণ বেশি হচ্ছে।

    আবহাওয়ার পরিবর্তন এই রোগ সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ার অন্যতম কারণ বলেই মনে করছেন পরজীবী রোগ বিশেষজ্ঞদের একাংশ। তাঁরা জানাচ্ছেন, জলবায়ুর পরিবর্তন হচ্ছে। এর ফলে বাতাসে ভাইরাসের চরিত্র বদল হচ্ছে। আবার ভাইরাসের সক্রিয়তা বাড়ছে। তাই এনসেফালাইটিসের মতো রোগের প্রকোপ বাড়ছে‌।‌ অপরিচ্ছন্নতাকেও এনসেফালাইটিস (Encephalitis) ছড়ানোর অন্যতম কারণ বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। তাঁরা জানাচ্ছেন, অপরিচ্ছন্ন জায়গায় মশার উপদ্রব বাড়ে। ফলে মশাবাহিত রোগের প্রকোপও বাড়ে।

    কাদের বিপদ বেশি?

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, যেকোনও বয়সের মানুষ এনসেফালাইটিস (Encephalitis) রোগে আক্রান্ত হতে পারেন। তাই সংক্রমণের ঝুঁকি সকলের। তবে রোগ প্রতিরোধ শক্তি কম থাকলে, কো-মরবিটি বেশি থাকলে দুশ্চিন্তা বেশি বলেই মনে করছেন চিকিৎসকদের একাংশ। তাই শিশু ও বয়স্কদের নিয়ে বাড়তি উদ্বেগ। কারণ তাদের রোগ প্রতিরোধ শক্তি তুলনামূলক ভাবে কম থাকে। আবার ডায়াবেটিস, কোলেস্টেরলের মাত্রা বেশি থাকলে, কিডনি বা হৃদরোগের সমস্যায় ভুগলে তাদের ও এনসেফালাইটিস আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি বেশি থাকে। কারণ তাদের শরীরে রোগ প্রতিরোধ শক্তি কম হয়।

    এই রোগের লক্ষণ কী?

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, এনসেফালাইটিস (Encephalitis) রোগের প্রথম উপসর্গ হল জ্বর। দেহের তাপমাত্রা বেড়ে যাওয়া। এর পাশাপাশি মাথা ব্যথা, খিঁচুনি, ঘাড়ে প্রবল যন্ত্রণার মতো উপসর্গ ও দেখা যায়। অনেক সময়েই আক্রান্তের স্মৃতিশক্তি সংক্রান্ত সমস্যা দেখা দেয়। চিনতে অসুবিধা হওয়া, যে কোনও কাজে মনোসংযোগে সমস্যা হওয়া, কিংবা জ্ঞান হারানোর মতো উপসর্গ ও দেখা দেয়। এই রোগে সংক্রমিত হলে অনেকের আচরণগত পরিবর্তন দেখা দেয়। অর্থাৎ, কথা বলার ক্ষমতা কমে যায়। ক্লান্তিভাব বাড়ে। অনেক সময়েই রোগী তন্দ্রাচ্ছন্ন হয়ে থাকে। বিশেষজ্ঞদের একাংশের পরামর্শ, এই ধরনের কোনও উপসর্গ দেখা দিলে দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া জরুরি। কারণ এনসেফালাইটিস একটি প্রাণঘাতী অসুখ হয়ে উঠতে পারে।

    কীভাবে এই রোগের মোকাবিলা করবেন?

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, পরিচ্ছন্ন পরিবেশ এই রোগ সংক্রমণ রুখতে সাহায্য করবে। এই রোগ মূলত মশাবাহিত। তাই মশার দাপট কমাতে পারলেই রোগের দাপট কমবে। তাই নিয়মিত এলাকা পরিষ্কার রাখা জরুরি। যাতে মশার জন্ম না হয়! তাহলেই পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ সহজ হবে। আবার রোগ সম্পর্কেও ওয়াকিবহাল থাকা জরুরি বলেই জানাচ্ছেন চিকিৎসকদের একাংশ (Encephalitis in India)। তাঁরা জানাচ্ছেন, রোগ প্রথম পর্বে চিহ্নিত করতে পারলে সংক্রমণ আটকানো সহজ হয়। আবার আক্রান্তের প্রাণঘাতী পরিস্থিতিও এড়ানো যায়। তাই এই রোগের যেকোনও একটি উপসর্গ দেখা দিলেই চিকিৎসকের পরামর্শ মতো শারীরিক পরীক্ষা করানো প্রয়োজন। তাতে রোগের জটিলতা কমতে পারে। এমনটাই মত বিশেষজ্ঞদের।

     

     

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না। এখানে বলা যে কোনও উপদেশ পালন করার আগে অবশ্যই কোনও চিকিৎসক বা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

  • Kojagori Lakshmi Puja 2025: আজ আশ্বিন পূর্ণিমার লক্ষ্মীপুজো, জানেন কেন একে ‘কোজাগরী’ বলা হয়?

    Kojagori Lakshmi Puja 2025: আজ আশ্বিন পূর্ণিমার লক্ষ্মীপুজো, জানেন কেন একে ‘কোজাগরী’ বলা হয়?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ‘এসো মা লক্ষ্মী বসো ঘরে, আমার এ ঘরে থাকো আলো করে’— এই ছন্দেই বাঙালি ধনদেবীর আরাধনা করে থাকে। দেবীকে এই রীতিতে আবাহন করার মধ্যেই লুকিয়ে রয়েছে কোজাগরী লক্ষ্মী (Kojagori Lakshmi Puja 2025) পুজোর মাহাত্ম্য। শারদীয়া দুর্গাপুজোর অন্তে পূর্ণিমা তিথিতে পুজো হয় দেবী লক্ষ্মীর। হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের কাছে তিনি ধন, ঐশ্বর্য, সমৃদ্ধি, সুখ ও শান্তি প্রদানকারী দেবী (Kojagori Puja)। বাংলার গৃহস্থ থেকে সমাজের বণিক বা ব্যবসায়ী, প্রত্যেকের কাছেই সাদরে পূজিতা হন দেবী। প্রতিমা ছাড়া শুধুমাত্র ঘট এবং অন্যান্য প্রতীকের মাধ্যমেও অনেক গৃহে দেবীর উপাসনা হয়। দুর্গাপুজোর মণ্ডপগুলিতেও কোজাগরী লক্ষ্মীপুজো (Kojagori Lakshmi Puja 2025) নিশ্চয়ই আমাদের দৃষ্টি এড়ায় না। গ্রাম বাংলায় ধানের গোলা সমেত মাটির দেওয়ালের বাড়ি এখন আর সেভাবে দেখা যায় না। লক্ষ্মীপুজো (Lakshmi Puja) উপলক্ষে গোবরের গোলা এবং আলপনায় এই মাটির বাড়িগুলোই যেন সবথেকে বেশি প্রাণবন্ত হয়ে উঠত।

    ‘কোজাগরী’ (Kojagori Puja) কেন বলা হয়?

    এবার আসা যাক, ‘কোজাগরী’ শব্দের আক্ষরিক বিশ্লেষণে। কোজাগরী শব্দটির উৎপত্তি সংস্কৃত শব্দ ‘কো জাগতী’ থেকে। এর অর্থ ‘কে জেগে আছো?’ বিশ্বাস মতে, কোজাগরী লক্ষ্মীপুজোর (Kojagori Lakshmi Puja 2025) দিনে ধন-সম্পদ-ঐশ্বর্য এর দেবী লক্ষ্মী স্বর্গ থেকে মর্ত্যে অবতীর্ণ হন এবং প্রতিটি ভক্তের বাড়ি গিয়ে সুখ, সমৃদ্ধি প্রদান করেন। কথিত আছে, এ ক্ষেত্রে যে বাড়ির দরজা খোলা থাকে, একমাত্র সেই বাড়িতেই প্রবেশ করেন দেবী (Lakshmi Puja)। কারও বাড়ির দরজা বন্ধ থাকলে, তাঁর বাড়িতে লক্ষ্মী প্রবেশ করেন না ও সেখান থেকে ফিরে চলে যান। এ কারণে লক্ষ্মীপুজোর রাতে জেগে থাকার রীতি প্রচলিত আছে। সারা রাত জেগে লক্ষ্মী আরাধনাই এই পুজোর বিশেষ বৈশিষ্ট্য। এখানেই ‘কোজাগরী’ শব্দ এই লক্ষ্মীপুজোর সঙ্গে সম্পর্কিত হয়ে ওঠে। বাংলার প্রতিটি ঘর শঙ্খধ্বনিতে মুখরিত হয়ে ওঠে, প্রদীপের আলোতে সুসজ্জিত থাকে।

    কোজাগরী পুজোর (Kojagori Puja) বিভিন্ন রীতি

    প্রচলিত ধারণা অনুযায়ী, দুর্গাপুজোর পরে এই বিশেষ পূর্ণিমার রাতে যে ব্যক্তি জেগে পাশা খেলেন, দেবী লক্ষ্মী তাঁকে ধনসম্পদ দান করেন। মূর্তি ছাড়াও নানান প্রতীকের মাধ্যমে দেবীকে কল্পনা করে পুজো করা হয়, এই বিশেষ পূর্ণিমার রাতে। গৃহস্থরা এই প্রতীকগুলির ভিন্ন ভিন্ন নামকরণও করেছেন, যেমন আড়ি লক্ষ্মী (Kojagori Lakshmi Puja 2025)। এ ক্ষেত্রে ধান ভর্তি ঝুড়ির ওপর কাঠের লম্বা দুটি সিঁদুর কৌটো লালচেলিতে মুড়ে লক্ষ্মীর রূপ দেওয়া হয়। “বাণিজ্যে বসতে লক্ষ্মী”-বাণিজ্যের উপর মা লক্ষ্মীর কৃপা দৃষ্টি পেতে আবার কোন বণিক না চায়! তাই কলার পেটোর তৈরি নৌকা লক্ষ্মী (Lakshmi Puja) আরাধনার অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ অংশ। এগুলিকে সপ্ততরী বলা হয়। বাণিজ্যিক নৌকার প্রতীক এই সপ্ততরী। অনেকেই পুজোর সময় এই সপ্ততরীতে টাকা, শস্য, হরিতকি, কড়ি, হলুদ রাখেন।

    লক্ষ্মীপুজো করলে কী কী ফল মেলে?

    পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন জেলায় লক্ষ্মীসরা বা পটচিত্র আঁকা হয়। বাংলার বিভিন্ন অঞ্চল ভেদে এই সরায় অঙ্কিত পুতুলের সংখ্যাও বদল হয়ে যায়। কোথাও তিনটি, কোথাও পাঁচটি, কোথাও সাতটি পুতুল আঁকা হয়। এতে থাকে লক্ষ্মী, জয়া ও বিজয়া-সহ লক্ষ্মী, রাধাকৃষ্ণ, সপরিবার দুর্গা ইত্যাদি। সুরেশ্বরী সরা নামক এক প্রকারের সরা দেখা যায়, যেখানে মহিষাসুরমর্দিনী অর্থাৎ মা দুর্গা আঁকা থাকে। আর এই সরার নীচের দিকে থাকেন সবাহন লক্ষ্মী (Kojagori Lakshmi Puja 2025)। আবার কলার বের ও লক্ষ্মীর মুখ সমন্বিত পোড়া মাটির ঘটকেও লক্ষ্মী রূপে কল্পনা করে পুজো করা হয়। এই ঘটে চাল বা জল ভরে সেটিকে লক্ষ্মী কল্পনা করে পুজো করা হয়। অনেক জায়গায় গৃহস্থ কত্রীরা নিজেরাই এই পুজো করতে পারেন৷ শ্বেতপদ্ম ও শ্বেতচন্দন দ্বারা দেবী লক্ষ্মীর (Kojagori Puja) আরাধনা করা হয়। নৈবেদ্যতে ফলমূল তো রাখতেই হয়, বিশেষ ভাবে থাকে চিঁড়ে এবং নারকেল। আতপ চাল তো লাগেই। ঘরে ঘরে আলো জ্বেলে রাখা হয়। ভক্তদের বিশ্বাস রয়েছে যে ঘরে আলো জ্বলে সেখানেই মা লক্ষ্মী পা রাখেন। মা লক্ষ্মীর (Lakshmi Puja) ঘটের সামনে কড়ি রাখা হয়। প্রতিটি দ্বারে আলপনা দেন গৃহস্থ কত্রীরা। লক্ষ্মী দেবীর ১০৮ নাম জপ করলে এবং কোজাগরী পূর্ণিমার দিন লক্ষ্মী পাঁচালি (Kojagori Lakshmi Puja 2025) পড়লে সৌভাগ্যের উদয় হয়, গৃহে সুখ, শান্তি, ধন, সম্পত্তি আসে বলেই ভক্তদের বিশ্বাস রয়েছে।

  • North Bengal Flood: কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের বার্তা পেয়েই দুর্গতদের সহায়তায় মাঠে রাজ্য বিজেপি, সোমেই উত্তরবঙ্গে শমীক

    North Bengal Flood: কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের বার্তা পেয়েই দুর্গতদের সহায়তায় মাঠে রাজ্য বিজেপি, সোমেই উত্তরবঙ্গে শমীক

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রবির দুপুরে কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের নির্দেশ আসতেই, উত্তরবঙ্গের দুর্যোগে ক্ষতিগ্রস্তদের সহায়তায় ঝাঁপিয়ে পড়ল বঙ্গ বিজেপি। ত্রাণ ও উদ্ধারকাজের পাশাপাশি, সিকিমে আটকে পড়া পর্যটকদের রাজ্যে ফেরানোর ক্ষেত্রেও সক্রিয় হয়েছেন রাজ্য বিজেপি নেতৃত্ব। সামগ্রিক পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে সোমবারই উত্তরবঙ্গে যাচ্ছেন রাজ্য বিজেপি সভাপতি শমীক ভট্টাচার্য।

    রবিবার কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ জানান, বিপর্যয় মোকাবিলার জন্য কেন্দ্রীয় দল প্রস্তুত। একইসঙ্গে, বিজেপির স্থানীয় কর্মকর্তারাও দুর্গতদের সাহায্য করতে মাঠে নেমেছেন বলে তিনি উল্লেখ করেন। অমিত শাহ বলেন, ‘‘দার্জিলিংয়ের সাংসদ রাজু বিস্তার সঙ্গে কথা বলেছি এবং পরিস্থিতি পর্যালোচনা করেছি। এনডিআরএফ-এর দলগুলি ঘটনাস্থলে পৌঁছেছে, এবং প্রয়োজনে আরও দল তাদের সঙ্গে যোগ দেওয়ার জন্য প্রস্তুত রয়েছে।’’ তিনি আরও বলেন, ‘‘বিজেপি কর্মীরাও বিপর্যস্ত মানুষদের প্রয়োজনীয় সহায়তা দিচ্ছেন।’’

    উত্তরের জেলা কমিটিগুলিকে ত্রাণ-উদ্ধারকাজে নামার নির্দেশ

    এর পর বিকেলে বিজেপি রাজ্য সভাপতি শমীক ভট্টাচার্য জানান, প্রধানমন্ত্রীর দফতর থেকে প্রতি মিনিটে পরিস্থিতির খবর নেওয়া হচ্ছে। এনডিআরএফ ও বিপর্যয় মোকাবিলা কর্মীরা উদ্ধারকাজে নেমেছেন, আর সিকিমে আটকে পড়া পর্যটকদের সহায়তার জন্য ত্রিপুরার প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব দেবকে পাঠানো হয়েছে। শমীক জানান, উত্তরবঙ্গে বিজেপির সব জেলা কমিটিকে ত্রাণ ও উদ্ধারকাজে নামার নির্দেশ দিয়েছেন বিজেপির রাজ্য নেতৃত্ব। রাজ্য বিজেপির সভাপতি বলেছেন, ‘‘আমাদের সীমিত সাধ্যের মধ্যে দিয়ে উত্তরবঙ্গে আমাদের দলের সমস্ত শাখাকে ত্রাণ ও উদ্ধারের কাজে নামার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। যে সব জেলা ক্ষতিগ্রস্ত নয়, সেখানকার সমস্ত বিজেপি নেতৃবৃন্দ এবং কর্মীরা উদ্ধারকার্যে নামবেন। আর আজ সন্ধ্যার পর থেকে আমাদের কর্মীরা বাড়ি বাড়ি যাবেন। আমাদের সাধ্যমতো যতটা সহযোগিতা এবং ত্রাণ এই মুহূর্তে আমরা দিতে পারি, আমরা তার ব্যবস্থা করব।’’

    সিকিমে আটকে পড়া পর্যটকদের ফেরাতে উদ্যোগ

    শুধু দুর্গত এলাকায় ত্রাণ পৌঁছে দেওয়া নয়, ভিন্‌রাজ্যে আটকে পড়া পর্যটকদের রাজ্যে ফেরানোর ক্ষেত্রেও সক্রিয় হয়েছেন বিজেপি নেতৃত্ব। বঙ্গ বিজেপির নির্বাচন সহ-প্রভারী তথা ত্রিপুরার প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব রবিবার যোগাযোগ করেছেন সিকিমের মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে। তাঁদের মধ্যে দীর্ঘ আলোচনা হয়েছে বলে রাজ্য বিজেপির সভাপতি শমীক ভট্টাচার্য জানিয়েছেন। শমীক বলেন, ‘‘বিপ্লবের ফোন পেয়ে সিকিমের মুখ্যমন্ত্রী তাঁর সচিবালয়ের আধিকারিকদের নিয়ে বৈঠক করেছেন। তিনি বিপ্লবকে জানিয়েছেন যে, সিকিম থেকে পশ্চিমবঙ্গে যাতায়াতের একটি মাত্র রাস্তা আপাতত খোলা রয়েছে। বাকি সব রাস্তা দুর্যোগে বিপর্যস্ত। সেই একটিমাত্র অক্ষত রাস্তা দিয়েই যত দ্রুত সম্ভব বাঙালি পর্যটকদের নিরাপদে ফেরানোর জন্য সিকিম সরকার সচেষ্ট হচ্ছে।’’ সিকিম সরকারের সঙ্গে এ বিষয়ে বিজেপির তরফ থেকে নিরন্তর যোগাযোগ রেখে চলা হচ্ছে বলে রাজ্য বিজেপির সভাপতি জানিয়েছেন।

  • Pakistan: “পাকিস্তান ডুবন্ত টাইটানিক, এই জাহাজে উঠতে রাজি নন কেউ,” বললেন জামিল মাকসুদ

    Pakistan: “পাকিস্তান ডুবন্ত টাইটানিক, এই জাহাজে উঠতে রাজি নন কেউ,” বললেন জামিল মাকসুদ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “পাকিস্তান (Pakistan) এখন ডুবন্ত টাইটানিক। পাক অধিকৃত জম্মু-কাশ্মীরের মানুষ আর এই ডুবন্ত জাহাজে উঠতে রাজি নন।” কথাগুলি বললেন ইউনাইটেড কাশ্মীর পিপলস ন্যাশনাল পার্টির (UKPNP) বিদেশ বিষয়ক কমিটির সভাপতি জামিল মাকসুদ। তিনি বলেন, “দুর্নীতি, স্বজনপ্রীতি ও মৌলিক পরিষেবা থেকে বঞ্চনা মানুষের মধ্যে তীব্র অসন্তোষের সৃষ্টি করেছে। এই সব কারণেই পাক অধিকৃত জম্মু-কাশ্মীরে হিংসাত্মক বিক্ষোভ হচ্ছে।”

    কী বললেন জামিল মাকসুদ (Pakistan)

    রাষ্ট্রসংঘের মানবাধিকার পরিষদের ৬০তম অধিবেশনের ফাঁকে সংবাদমাধ্যমে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, “এখানে সীমাহীন দুর্নীতি চলছে। ব্যক্তিগত পছন্দ-অপছন্দ, স্বজনপ্রীতি ও যে ধরনের শাসন ব্যবস্থা আমাদের ওপর চাপিয়ে দেওয়া হয়েছে, সেটাই আজকের পরিস্থিতির জন্য দায়ী। সাংবিধানিক বিধিনিষেধ স্থানীয় জনগণের মধ্যে ক্ষোভের আগুন ছড়িয়ে দিয়েছে। পাক অধিকৃত জম্মু-কাশ্মীর এখন পাকিস্তানে উৎপাদিত ভেজাল ও নকল খাদ্যপণ্যের অন্যতম বড় বাজারে পরিণত হয়েছে।” মাকসুদ বলেন, “এখানকার মানুষ স্বাস্থ্য, শিক্ষা, উন্নয়ন ও কর্মসংস্থানের মতো মৌলিক অধিকার থেকে বঞ্চিত। তরুণ প্রজন্ম এখন রাস্তায় নেমে বলছে আমরা একটি ঐক্যবদ্ধ জম্মু ও কাশ্মীর চাই। আমরা আমাদের স্থানীয় পরিচয়কে পাকিস্তানের সঙ্গে একীভূত, ধ্বংস বা বিলীন হতে দেব না। পাকিস্তান ডুবন্ত টাইটানিক, আর আমরা তাতে চড়তে রাজি নই।”

    সংঘর্ষ অব্যাহত

    প্রসঙ্গত, গত কয়েকদিন ধরে পাক অধিকৃত জম্মু-কাশ্মীরে বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে পাকিস্তানি নিরাপত্তা বাহিনীর সংঘর্ষ অব্যাহত রয়েছে। পাক সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, অন্তত ১০ জন নিহত এবং অনেকেই গুরুতর জখম হয়েছেন। এই অস্থিরতার প্রেক্ষিতে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরিফ একটি আট সদস্যের মন্ত্রিসভা কমিটি মুজাফফরাবাদে পাঠিয়েছেন। এই কমিটিতে রানা সানাউল্লাহ, আহসান ইকবাল এবং পিপিপি নেতা রাজা পারভেজ আশরাফ-সহ অন্যরা রয়েছেন। তাঁরা আন্দোলনের নেতৃত্ব দেওয়া সিভিল সোসাইটি অ্যালায়েন্সের সঙ্গে আলোচনায় বসবেন।

    ক্রম বর্ধমান দুর্নীতি

    ক্রম বর্ধমান দুর্নীতি, দুর্বল শাসনব্যবস্থা এবং নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের ঘাটতির বিরুদ্ধে ক্ষোভ থেকে শুরু হওয়া (Pakistan) এই সব বিক্ষোভ সোমবার থেকে যোগাযোগ ব্যবস্থার ওপর সম্পূর্ণ নিষেধাজ্ঞা আরোপের কারণ হয়েছে। মোবাইল ও ইন্টারনেট পরিষেবা স্থগিত থাকায় বিদেশে থাকা প্রবাসী আত্মীয়-স্বজনের সঙ্গে পরিবারের যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে মন্তব্য করতে গিয়ে জামিল মাকসুদ পাকিস্তানকে একটি দুষ্কৃতিকারী রাষ্ট্র বলে অভিহিত করেন। তাঁর দাবি, পাকিস্তান এমন একটি রাষ্ট্র যে বারবার স্বদেশের জনগণের ওপর বলপ্রয়োগ করেছে। পাকিস্তানের বিরুদ্ধে তাঁর অভিযোগ, তারা নিজেদের জনগণ, বিশেষ করে বালুচিস্তান, সিন্ধু এবং আরও অনেক অঞ্চলের মানুষের মৌলিক মানবাধিকার অস্বীকার করছে। তিনি বলেন, “পাকিস্তান একটি দুষ্কৃতিকারী রাষ্ট্র। এর জনগণকে দমন করার একটি দীর্ঘ ইতিহাস রয়েছে। বালুচিস্তান, সিন্ধু, খাইবার পাখতুনখোয়া, গিলগিট-বালটিস্তান এবং পাকিস্তান অধিকৃত জম্মু ও কাশ্মীরে মানুষ ক্রমাগত দমন-পীড়নের শিকার হচ্ছে।”

    হিংসাত্মক বিক্ষোভ

    তিনি বলেন, “এখন হিংসাত্মক বিক্ষোভ শুরু হয়েছে। আর পাকিস্তান (Pakistan) এসব শান্তিপূর্ণ আন্দোলনকে জোরপূর্বক দমন করার চেষ্টা করছে।” তিনি জানান, পাক অধিকৃত জম্মু-কাশ্মীরের মানুষ আর পাকিস্তানের সঙ্গে থাকতে চায় না। তিনি বলেন, “মানুষ এখন বুঝতে পেরেছে যে তারা আর পাকিস্তানের সঙ্গে থাকতে রাজি নয়। এই সমস্ত অঞ্চলের মানুষের প্রধান দাবি এবং লক্ষ্যই হল ভেঙে যাওয়ার জম্মু-কাশ্মীর রাজ্যের সঙ্গে পুনর্মিলিত হওয়া। এই ধারণার কারণেই পাকিস্তান বলপ্রয়োগ করে জনগণের কণ্ঠরোধ করার চেষ্টা করছে। কিন্তু মানুষ আর চুপ করে থাকতে রাজি নয়।” মকসুদের অভিযোগ, পাকিস্তান পিওজেকের পরিচয় মুছে ফেলার চেষ্টা করছে, সেটিকে পাকিস্তানের সংলগ্ন আবোটাবাদ ও মুরির মতো জেলাগুলির সঙ্গে একীভূত করার পরিকল্পনার মাধ্যমে। সন্ত্রাসবাদ নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে তিনি বলেন, “পিওজেকে এখন জঙ্গি সংগঠনগুলির ঘাঁটিতে পরিণত হয়েছে।” তিনি মনে করিয়ে দেন, চলতি বছরের ৫ ফেব্রুয়ারি লস্কর-ই-তৈবা রাওয়ালাকোটে হামাসের সদস্যদের প্রকাশ্যে অস্ত্র-সহ শোভাযাত্রা করেছিল। তিনি বলেন, “মানুষকে জোর করে প্রক্সি সন্ত্রাসবাদের দিকে ঠেলে দেওয়া হচ্ছে। আমরা পাকিস্তানের সন্ত্রাসবাদের বলির পাঁঠা হতে রাজি নই।”

    প্রতিবাদ পঞ্চম দিনে

    প্রসঙ্গত, পাকিস্তানের (Pakistan) দখলদারির বিরুদ্ধে পাক অধিকৃত কাশ্মীরে প্রতিবাদ পঞ্চম দিনে পা দিয়েছে। বিক্ষোভকারীরা প্রশাসনিক ও অর্থনৈতিক অবহেলার বিরুদ্ধে ক্রমবর্ধমান ক্ষোভ প্রকাশ করছেন। ২৯ সেপ্টেম্বর থেকে স্থানীয় বাসিন্দারা রাস্তায় নেমে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে স্লোগান দিচ্ছে, ভর্তুকিযুক্ত আটা, বিদ্যুৎ এবং শরণার্থীদের জন্য সংরক্ষিত পরিষদ আসন বাতিল-সহ মৌলিক চাহিদা পূরণের দাবিও জানাচ্ছে। ওয়াকিবহাল মহলের মতে, এই অস্থিরতা ১৯৪৭ সাল থেকে পাকিস্তানের কঠোর নিয়ন্ত্রণে থাকা পাক অধিকৃত কাশ্মীরের জনগণের মধ্যে জমে থাকা হতাশা ও ক্ষোভের বহিঃপ্রকাশ।

LinkedIn
Share