Author: Susanta Das

  • BrahMos Missiles: ড্রাগনকে শুঁড়ে জড়াচ্ছে হাতি! চিনকে বাগে আনতে চাই ব্রহ্মোস, আওয়াজ উঠছে দক্ষিণ চিন সাগরে

    BrahMos Missiles: ড্রাগনকে শুঁড়ে জড়াচ্ছে হাতি! চিনকে বাগে আনতে চাই ব্রহ্মোস, আওয়াজ উঠছে দক্ষিণ চিন সাগরে

    সুশান্ত দাস

     

    গত এপ্রিল মাসে, ভারতে তৈরি ব্রহ্মোস সুপারসনিক ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র (BrahMos Missiles) ভর্তি দ্বিতীয় বিমানটি ফিলিপিন্সে অবতরণ করে। পহেলগাঁওয়ে সন্ত্রাসী হামলার জবাবে ভারত প্রত্যাঘাত করতে পারে এমন আশঙ্কা করে চিন যখন পাকিস্তানে অস্ত্র সরবরাহ করছিল, ঠিক সেই সময়ই ফিলিপিন্সে ব্রহ্মোস নিয়ে পৌঁছয় ভারতের বিমানটি। ভারতের থেকে ৩৭৫ মিলিয়ন ডলারের ব্রহ্মোস ক্ষেপণাস্ত্র কেনার চুক্তি করেছিল দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার (South-East Asia) এই দ্বীপপুঞ্জ-রাষ্ট্রটি। এর মধ্যে গত বছর এপ্রিল মাসে ব্রহ্মোসের প্রথম ব্যাচ সরবরাহ করা হয়েছিল। এবার পাঠানো হল দ্বিতীয় ব্যাচ।

    পথ দেখাল ফিলিপিন্স

    ভারতের থেকে ফিলিপিন্সের ব্রহ্মোস ক্ষেপণাস্ত্র (BrahMos Missiles) কেনার সিদ্ধান্ত নিছক কোনও ছোটখাটো বিষয় নয়। এর প্রধান দুটি ইতিবাচক দিক রয়েছে, অবশ্যই ভারতের দিক দিয়ে। এক, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বাধীন ভারত সরকারের নীতি অনুসারে দেশীয় অস্ত্র রফতানি করা হল। দুই, দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় (South-East Asia) চিনের ক্রমবর্ধমান প্রভাবের ফলে তৈরি হওয়া বিপদের ওপর রাশ টানার একটা গুরুত্বপূর্ণ কৌশলগত পন্থা হাতে পেল ভারত। দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার প্রথম দেশ হিসেবে ফিলিপিন্স ভারতের থেকে ব্রহ্মোস কেনার সাহস দেখিয়েছে। বাকিরা হয়ত মনে মনে চাইলেও, প্রকাশ্যে বলতে ভয় পাচ্ছিল। কারণ, গোটা দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া অঞ্চলে ভারত বাদে চিনকে চোখরাঙানি দেওয়া দূর, চিনের চোখে চোখ রেখে কথা বলার ঔদ্ধত্য কিছুদিন আগে পর্যন্ত কেউ দেখানোর সাহস পেত বলে মনে হয় না। সেক্ষেত্রে ফিলিপিন্স ভারতের থেকে ব্রহ্মোস (BrahMos Missiles) কিনে সেই ভীতি অতিক্রম করে। তারা পথ দেখিয়েছে। বাকিরা সেই সাহস পেল সদ্যসমাপ্ত ভারত-পাক সংঘাতের পর।

    চিনের মায়াজাল ছিন্নভিন্ন

    ‘অপারেশন সিঁদুর’ (Operation Sindoor)। এই একটা নাম পাকিস্তানের হাল এমন বেহাল করে ছেড়েছে, যে তার আওয়াজ ইসলামাবাদ থেকে ছাড়িয়ে শোনা যাচ্ছে বেজিংয়েও। ভারতীয় সেনার এই সামরিক অভিযানে শুধু পাকিস্তান বেআব্রু হয়েছে, তাই নয়। বিশ্বের দরবারে ধসে গিয়েছে চিনা অস্ত্রের গরিমাও। এতদিন চিন তাদের অস্ত্রসম্ভারের বিপণন করে বিশ্বের কাছে যে মায়াজাল বুনেছিল, ভারতের ক্ষেপণাস্ত্র (BrahMos Missiles) ও ড্রোনের হামলা কার্যত তাকে ছিন্নভিন্ন করে দিয়েছে। চিন এতদিন নিজের অস্ত্রের ভয় দেখিয়ে সকলকে (বিশেষ করে দক্ষিণ চিন সাগর ও লাগোয়া অঞ্চলে অবস্থিত দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়াভুক্ত রাষ্ট্রগুলি) ভীতি প্রদর্শন করে দমিয়ে রাখত। কিন্তু, পাকিস্তানে চিনা এয়ার-ডিফেন্স থেকে শুরু করে চিনা যুদ্ধবিমান ও ক্ষেপণাস্ত্র যেভাবে মুখ থুবড়ে পড়েছে, তাতে সকলের সংবিৎ ফিরেছে। চিনা বস্তু নিয়ে ভারতে প্রবলভাবে জনপ্রিয় একটা শব্দবন্ধ রয়েছে— ‘চাইনিজ প্রোডাক্ট’। এক এক করে এই দেশগুলিও তা উপলব্ধি করছে।

    ভারতীয় অস্ত্রের বৈপ্লবিক উত্থান

    ‘অপারেশন সিঁদুর’-এর (Operation Sindoor) পর বদলে যায় গোটা প্রেক্ষাপট। একদিকে যেমন চিনা অস্ত্রের মুখোশ খুলে যায়। অন্যদিকে, বিশ্বের দরবারে ভারতীয় অস্ত্রের বৈপ্লবিক উত্থান। তারা একটা বিষয় সকলে বুঝে গিয়েছে। চিনকে বাগে আনতে হলে, চিনা প্রভাব খাটো করতে হলে, ভারতের ‘ব্রহ্মাস্ত্র’-কে (BrahMos Missiles) ঘরে তুলতেই হবে। তাই কালবিলম্ব না করে, ফিলিপিন্সের মতো ভারতের দুয়ারে লাইন দিতে শুরু করে দিয়েছে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার (South-East Asia) একের পর এক দেশ। কে নেই! তালিকায় রয়েছে— ইন্দোনেশিয়া, ভিয়েতনাম, মালয়েশিয়া, তাইল্যান্ড, সিঙ্গাপুর। সকলেই ব্রহ্মোস কেনার ইচ্ছাপ্রকাশ করেছে। হয়ত আগামীদিনে এই অঞ্চলের আরও দেশ ভারতের শরণাপন্ন হবে। ভারতের থেকে ব্রহ্মোস ক্ষেপণাস্ত্র (BrahMos Missiles) কিনতে চাইবে। ফলে যেটা শুরু হয়েছিল ফিলিপিন্স দিয়ে, এখন তা ছড়িয়ে পড়েছে গোটা অঞ্চলে।

    চিনা অত্যাচারের শিকার

    এই দেশগুলির মধ্যে একটা বিষয় কমন বা অভিন্ন। তা হল, এরা সকলেই দক্ষিণ চিন সাগর এলাকায় চিনের নীপিড়ন-অত্যাচারের শিকার। চিনের ঔদ্ধত্যপূর্ণ আচরণ, দমন করার নীতি, শোষণের স্বভাব, জবরদখলের ইতিহাস— এরা সকলেই তার সঙ্গে পরিচিত। সামরিক শক্তি দেখিয়ে চিন সাগর অঞ্চলে দীর্ঘদিন ধরে গা-জোয়ারি করে আসছে চিন। ফলে বাধ্য হয়ে মুখ বন্ধ করে, মাথা নিচু করে থাকতে হতো সকলকে। তারা সকলেই চিনের ওপর বীতশ্রদ্ধ। কিন্তু, ভারতের হাতে পাকিস্তানের পরাজয় চিনকে মাটিতে আছড়ে ফেলেছে।

    ভারতের তুরুপের তাস

    ভারতও চিনের এই নীতির সঙ্গে ভালোভাবেই অবগত। চিন এতদিন এইভাবেই ভারতকে চারদিক দিয়ে ঘেরার চেষ্টা চালিয়েছে। চিনের এই কৌশলের নাম ‘স্ট্রিং অফ পার্লস’ বা মুক্তোমালা। এখন চিনকে মোক্ষম সবক শেখাতে চাইছে ভারত। তাই, চিনা দমনের শিকার দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশগুলি হতে পারে ভারতের তুরুপের তাস। আর প্রধান হাতিয়ার ব্রহ্মোস (BrahMos Missiles)। তবে অস্ত্র নিক্ষেপ নয়, অস্ত্র বেচে এই কাজ হাসিল করতে উদ্যোগী ভারত। বেজিংকে শিক্ষা দিয়ে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় (South-East Asia) ভারসাম্য আনার চেষ্টায় নয়াদিল্লি। ধীরে ধীরে নিঃশব্দে ‘ড্রাগন’কে (চিনের প্রতীক) তার শুঁড়ে পেঁচিয়ে নিতে শুরু করেছে ‘হাতি’ (ভারতের প্রতীক)।

  • BrahMos Missile: ‘অপারেশন সিঁদুরে’ বাজিমাত, কীভাবে বিশ্বের নয়নের মণি হয়ে উঠল বাজপেয়ী-কালামের ‘মানসপুত্র’ ব্রহ্মোস

    BrahMos Missile: ‘অপারেশন সিঁদুরে’ বাজিমাত, কীভাবে বিশ্বের নয়নের মণি হয়ে উঠল বাজপেয়ী-কালামের ‘মানসপুত্র’ ব্রহ্মোস

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ৯ মে ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র দিয়ে ভারতের ১৬টি জায়গায় হামলার চেষ্টা চালায় পাক সেনা। এর প্রত্যাঘাত হিসেবে ১০ মে ভোররাতে পাকিস্তানি সামরিক ঘাঁটিগুলি লক্ষ্য করে আকাশপথে পিন-পয়েন্ট অভিযান চালায় ভারত (Operation Sindoor)। প্রতিবেদন অনুসারে, ভারতীয় বায়ুসেনা পাকিস্তানের গভীরে ঢুকে রফিকি, মুরিদ, নূর খান, রহিম ইয়ার খান, সুক্কুর, সারগোধা এবং চুনিয়ান বিমানঘাঁটির মতো গুরুত্বপূর্ণ সামরিক পরিকাঠামো লক্ষ্য করে অভিযান চালায়। অভিযান চালানো হয় স্কার্দু, ভোলারি, জাকোবাবাদ এয়ারবেস এবং সিয়ালকোট ও পারসুরে অবস্থিত রেডার স্টেশনেও।

    প্রথমবার লড়াইতেই বাজিমাত ব্রহ্মোসের

    একাধিক সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদন অনুযায়ী, স্কার্দু থেকে শুরু করে ভোলারি, জাকোবাবাদ এবং সারগোধার এয়ারবেসগুলিতে ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। প্রতিবেদনগুলিতে এও দাবি করা হয়, ওই ক্ষতির নেপথ্যে ছিল নাকি ভারতের ব্রহ্মোস ক্ষেপণাস্ত্র (BrahMos Missile)। সেখানে বলা হয়, প্রথমবারের মতো ব্রহ্মোস সুপারসনিক ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্রটি সরাসরি যুদ্ধে ব্যবহার করেছে ভারতীয় সামরিক বাহিনী। যদিও, ভারত সরকারের তরফে এখনও পর্যন্ত এই বিষয়ে খোলসা করা হয়নি। কিন্তু, ১১ তারিখ, উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ সরাসরি জানান, ব্রহ্মোসের ক্ষমতা টের পেয়েছে পাকিস্তান। এর পরই, একাধিক সংবাদমাধ্যমে জোরালো হতে শুরু করে ‘অপারেশন সিঁদুরে’ সাফল্যের নেপথ্যে ব্রহ্মোসের ভূমিকার কথা।

    আলোচনার কেন্দ্রবিন্দু ‘শব্দভেদী’ ব্রহ্মোস

    পাকিস্তানে মোতায়েন চিনা আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা ‘এইচকিউ-০৯’ এবং ‘এইচকিউ-১৬’ ব্রহ্মোসের উপস্থিতি টেরই পায়নি। যদিও এই প্রথম নয়। মিয়াঁ চান্নুর কথা অনেকেরই মনে থাকার কথা। ২০২২ সালে ভারতের ব্রহ্মোস ভুলবশতঃ পাকিস্তানে গিয়ে আছড়ে পড়ে। ভারত জানিয়েছিল, ওটা ‘মিসফায়ার’ হয়েছে। পাকিস্তানের আকাশসীমার ভিতরে মিসাইলটি প্রায় দেড় মিনিট ছিল। কিন্তু, ‘অপারেশন সিঁদুর’ (Operation Sindoor) কোনও মিসফায়ার নয়। উল্টে এটা ছিল একেবারে ক্যালকুলেটেড, প্রিশিসন স্ট্রাইক। নির্দিষ্ট লক্ষ্যেই আঘাত। যাতে সম্পূর্ণ সফল ভারতের ব্রহ্মোস। ‘অপারেশন সিঁদুর’-এর পর থেকে একদিকে বিশ্বে চিনা প্রতিরক্ষা সিস্টেমের ব্যর্থতা নিয়ে তীব্র সমালোচনা হচ্ছে, চিনা যুদ্ধবিমান ও ক্ষেপণাস্ত্র যেমন বিশ্বে হাসির পাত্র হয়ে উঠেছে। তেমন উল্টোদিকে, এখন তামাম বিশ্বের আলোচনার কেন্দ্রবিন্দু হয়ে উঠেছে ভারতের ‘শব্দভেদী’ ব্রহ্মোস (BrahMos Missile)। চিনা এয়ার ডিফেন্সকে ভূপতিত করে রাতারাতি জায়ান্ট-কিলার হয়ে উঠে এসেছে ভারত-রাশিয়ার যৌথ সহযোগিতায় তৈরি এই সুপারসনিক ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র। এতদিন বিশ্ববাসী শুধু ব্রহ্মোসের গুণগান শুনেছিল। এবার প্রথমবার তারা এই ক্ষেপণাস্ত্রের ক্ষমতা প্রত্যক্ষ করল। আর হাড়ে হাড়ে টের পেল পাকিস্তান। কয়েকটি আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমে এও বলা হচ্ছে, ব্রহ্মোসে ঘায়েল হয়েই পাক প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরিফ বুঝে যান, ভারতকে রোখা অসম্ভব। আর কোনও উপায় নেই দেখে সঙ্গে সঙ্গে হোয়াইট হাউস নিবাসীকে ফোন করেন।

    ১৭টি দেশ কিনতে চায় ব্রহ্মোস

    ব্রহ্মোস নিয়ে যে বিশ্বের তাবড় তাবড় দেশ মেতে উঠেছে, তা নিছক কল্পনা নয়, ঘোর বাস্তব। এর প্রমাণ মিলতে শুরু করে দিয়েছে। একাধিক সংবাদমাধ্যমের দাবি, বিশ্বের অন্তত ১৭টি দেশ ব্রহ্মোস কেনার বিষয়ে আগ্রহ দেখিয়েছে। তারা সকলেই ব্রহ্মোসকে ঘরে তুলতে চায়। লক্ষ্যণীয় বিষয় হল, এদের অনেককেই চিনের মোকাবিলা করতে হয়। ফলে, বিশ্বে স্পষ্ট বার্তা চলে গিয়েছে— চিনের মোকাবিলা করতে একমাত্র ভরসা ভারত, মায় ভারতের ব্রহ্মোস (BrahMos Missile)। ইতিমধ্যেই ফিলিপিন্সের মতো দেশকে ৩৭.৫ কোটি ডলারে ব্রহ্মোস বিক্রি করেছে ভারত। এবার দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া থেকে মধ্যপ্রাচ্য, ইউরোপ-আফ্রিকা থেকে লাতিন আমেরিকা— সকলেই ব্রহ্মোস কেনার বিষয়ে বিপুল উৎসাহ প্রকাশ করেছে। কে নেই সেই তালিকায়— ইন্দোনেশিয়া, ভিয়েতনাম, মালয়েশিয়া, তাইল্যান্ড, সিঙ্গাপুর, ব্রুনেই, মিশর, সৌদি আরব, আমিরশাহি, কাতার, ওমান, ব্রাজিল, চিলি, আর্জেন্টিনা, ভেনেজুয়েলা, দক্ষিণ আফ্রিকা, ও বুলেগেরিয়া।

    উপসাগরীয় যুদ্ধ দেখায় প্রয়োজনীয়তা

    তবে, ব্রহ্মোসের এই বিশ্ব-জয় একদিনে আসেনি। আজকের এই সাফল্য ভারতের দুই ভবিষ্যৎদ্রষ্টার চিন্তাভাবনা এবং কয়েক দশকের প্রচেষ্টার ফসল। ব্রহ্মোসের (BrahMos Missile) ভাবনার পত্তন হয়েছিল ১৯৮৩ সালে। সে বছর শুরু হয় ভারতের উচ্চাকাঙ্ক্ষী ইন্টিগ্রেটেড গাইডেড মিসাইল ডেভেলপমেন্ট প্রোগ্রাম। প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি ডঃ এপিজে আবদুল কালামের নেতৃত্বে এই প্রোগ্রাম চলাকালীন, ভারতীয় রকেট বিজ্ঞানী এবং প্রকৌশলীরা পৃথ্বী এবং অগ্নি ব্যালিস্টিক মিসাইল তৈরি করেছিলেন, যা বর্তমানে দেশের পারমাণবিক-ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষায় অবদান রাখে। তবে, ১৯৯১ সালের উপসাগরীয় যুদ্ধ, ব্যালিস্টিক মিসাইলের পাশাপাশি অস্ত্রাগারে ক্রুজ মিসাইল থাকার প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরে। ভারতীয় নৌসেনা এই প্রয়োজনীয়তা সম্পর্কে সম্পূর্ণ সচেতন ছিল। ভারত মহাসাগীয় অঞ্চলে সামরিক ও প্রযুক্তিগত আধিপত্য অর্জন করা ভারতের মতো দ্রুত উন্নয়নশীল নৌবাহিনীর জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ লক্ষ্য ছিল। সেই সময়ে, রাশিয়ার সঙ্গে ভারতের দীর্ঘস্থায়ী বন্ধুত্ব নতুন ক্ষেপণাস্ত্র তৈরি করাকে পাখির চোখ করেছিল, অবশ্যই তৎকালীন জোটনিরপেক্ষ নীতির সুক্ষ্ম ভারসাম্যকে ভেঙে না ফেলে।

    বাজপেয়ী-কালামের মানসপুত্র ব্রহ্মোস

    অতঃপর, ১৯৯৮ সালের ১২ ফেব্রুয়ারি, ভারত ও রাশিয়ার সরকার যৌথ সংস্থা ব্রহ্মোস প্রাইভেট লিমিটেড প্রতিষ্ঠার জন্য একটি চুক্তি স্বাক্ষর করে। ব্রহ্মোস হল দুই দেশের দুটি গুরুত্বপূর্ণ নদী, ভারতের ব্রহ্মপুত্র এবং রাশিয়ার মস্কোর নামের প্রাথমিক অক্ষরের সংমিশ্রণ। রাশিয়ার এনপিও মাশিনোস্ত্রোয়েনিয়া এবং ভারতের প্রতিরক্ষা গবেষণা ও উন্নয়ন সংস্থার (ডিআরডিও) মধ্যে একটি আন্তঃসরকারি চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়, যার মাধ্যমে নতুন ক্ষেপণাস্ত্র তৈরির জন্য একটি সমবায় সংস্থা গঠন হয় এবং ব্রহ্মোস এরোস্পেস প্রাইভেট লিমিটেড (বিএপিএল) প্রতিষ্ঠিত হয়। ১৯৯৯ সালের ৯ জুলাই, প্রধানমন্ত্রী অটল বিহারী বাজপেয়ীর আমলে ব্রহ্মোস (BrahMos Missile) প্রকল্পের জন্য প্রথম চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। ভারতের পক্ষে চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন বিশিষ্ট ভারতীয় রকেট বিজ্ঞানী ডঃ এপিজে আবদুল কালাম, যিনি তখন ডিআরডিও-র দায়িত্বে ছিলেন।

    ২০০১ সালে প্রথম পরীক্ষামূলক উৎক্ষেপণ

    সেই সময় এই সংস্থার মূলধন হিসেবে ২৫ কোটি ডলার অনুমোদিত হয়েছিল, যার বর্তমান মূল্য ২,১৩৫ কোটি টাকারও বেশি। গবেষণার জন্য অনুমোদিত অর্থের ৫০.৫ শতাংশ ভারত থেকে এসেছিল, বাকি ৪৯.৫ শতাংশ রাশিয়া সরবরাহ করেছিল। অর্থাৎ, রুশ এবং ভারত সরকার যথাক্রমে ১২.৩৭৫ কোটি ডলার এবং ১২.৬২৫ কোটি ডলার অনুদান দেয়। প্রকল্পটি সেই বছরই একাধিক ডিআরডিও এবং এনপিওএম ল্যাবে শুরু হয়েছিল। ঠিক ২ বছর পর, ২০০১ সালের ১২ জুন, প্রথমবার পরীক্ষামূলক উৎক্ষেপণ হয় ব্রহ্মোসের (BrahMos Missile)। ওড়িশার চাঁদিপুরের মিসাইল টেস্ট রেঞ্জের একটি ফিক্সড লঞ্চার থেকে এই উৎক্ষেপণ করা হয়েছিল। সেই বছরের অগাস্ট মাসে মস্কোর আন্তর্জাতিক এভিয়েশন শোয়ে আত্মপ্রকাশ করে ব্রহ্মোস। আরও ২ বছর পর, ২০০৩ সালে বঙ্গোপসাগরে একটি জাহাজ থেকে এই ক্ষেপণাস্ত্রের নৌ-সংস্করণের প্রথম পরীক্ষা হয়। পরের বছর, অর্থাৎ ২০০৪ সালে, মোবাইল গ্রাউন্ড লঞ্চার থেকে প্রথমবার উৎক্ষেপণ করা হয় ব্রহ্মোস।

    আর ফিরে তাকাতে হয়নি…

    ১৯৯৮ থেকে ২০০৪ সাল পর্যন্ত কেন্দ্রে ক্ষমতায় প্রধানমন্ত্রী অটলবিহারী বাজপেয়ীর নেতৃত্বাধীন বিজেপি সরকার। বাজপেয়ীর নেতৃত্বে ব্রহ্মোস ক্ষেপণাস্ত্রের উৎপাদন ও মোতায়েনের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিলেন তৎকালীন প্রতিরক্ষামন্ত্রী জর্জ ফার্নান্দেজ। ভারতীয় সেনাবাহিনী ২০০৬ থেকে ২০০৯ সালের মধ্যে ব্রহ্মোস সুপারসনিক ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্রের (BrahMos Missile) প্রথম অর্ডার দিয়েছিল। ২০০৮ সালে প্রথমবারের মতো আইএনএস রণবীর থেকে ক্ষেপণাস্ত্রটি সফলভাবে উল্লম্বভাবে (ভার্টিক্যাল লঞ্চ) উৎক্ষেপণ করা হয়েছিল। আর ফিরে তাকাতে হয়নি ব্রহ্মোসকে। ২০০৫ সালে ভারতীয় নৌবাহিনীতে, ২০০৭ সালে ভারতীয় সেনাবাহিনীতে এবং ২০১২ সালে ক্ষেপণাস্ত্রের বিমান থেকে উৎক্ষেপণযোগ্য (এয়ার-লঞ্চ) সংস্করণটি অন্তর্ভুক্ত হয় বায়ুসেনায়।

  • India Pakistan War: আকাশপথে পাকিস্তানের ৬টি এয়ারবেসে প্রত্যাঘাত বিরাট কৌশলগত জয় ভারতের, কেন তাৎপর্যপূর্ণ?

    India Pakistan War: আকাশপথে পাকিস্তানের ৬টি এয়ারবেসে প্রত্যাঘাত বিরাট কৌশলগত জয় ভারতের, কেন তাৎপর্যপূর্ণ?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শুক্রবার রাতে নিয়ন্ত্রণরেখা লাগোয়া ভারতের ২৬টি জায়গায় হামলা চালায় পাকিস্তান। মূলত, ড্রোন এবং অন্যান্য মাধ্যমে হামলা চালায় পাকিস্তান (India Pakistan War)। শুক্রবার সন্ধে পেরিয়ে রাত গড়াতেই জম্মু-কাশ্মীর-সহ পঞ্জাব ও রাজস্থানের সীমান্তবর্তী এলাকাগুলিতে ড্রোন হামলা চালায় পাক সেনা। হামলা চালানো হয় জম্মু-কাশ্মীর, পাঞ্জাব ও রাজস্থানে অবস্থিত এয়ার বেস সহ বিভিন্ন সামরিক পরিকাঠামোকে লক্ষ্য করে। তবে, ভারতের এয়ার ডিফেন্স সিস্টেম সব হামলাকে প্রতিহত করে। পাশাপাশি, জনবসতি লক্ষ্য করেও ড্রোন হামলা চালায় পাকিস্তান। তাতে নিহত হন কাশ্মীরের এক শীর্ষস্থানীয় প্রশাসনিক কর্তা। আহত হয় বেশ কয়েক জন ভারতীয় নাগরিকও।

    শনিতে প্রত্যাঘাত ভারতের, স্বীকার পাকিস্তানের

    এর পরই, শনিবার ভোরে প্রত্যাঘাত করে ভারত। আকাশপথে অভিযান চালিয়ে ধ্বংস করে দেওয়া হয় পাকিস্তানের বেশ কয়েকটি সামরিক পরিকাঠামো। এর মধ্যে সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য যে, ৬টি পাক বায়ুসেনা ঘাঁটিতে একসঙ্গে আক্রমণ শানিয়েছে ভারতীয় বায়ুসেনা (India Airstrike Pak Bases)। এই অভিযানের কথা ভারত সরকার জানিয়েছে। এদিন প্রতিরক্ষা ও বিদেশ মন্ত্রকের যৌথ বিবৃতিতে জানানো হয়, ভারত পাকিস্তানের ঠিক কোন কোন সামরিক অবকাঠামোয় আঘাত হেনেছে (India Pakistan War)। এদিন সেনা অফিসার কর্নেল সোফিয়া জানিয়েছেন— যুদ্ধবিমান থেকে আকাশ থেকে ভূমি ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করে রফিকি, মুরিদ, চাকলালা (নূর খান) এবং রহিম ইয়ার খানে স্থিত পাক এয়ারবেসে ভারত অভিযান চালিয়েছে। এ ছাড়া, সুক্কুর ও চুনিয়ায় পাক বায়ুঘাঁটি, পসরুর রেডার স্টেশন এবং শিয়ালকোটের ঘাঁটিতেও প্রত্যাঘাত হানা হয়েছে। ভারত জানিয়েছে, যুদ্ধবিমান থেকে নিক্ষিপ্ত আকাশ থেকে ভূমি ক্ষেপণাস্ত্র দিয়ে এই অভিযান সংগঠিত করা হয়েছে। ভারতের এই প্রত্যাঘাতের (India Airstrike Pak Bases) কথা স্বীকার করে নেওয়া হয় পাকিস্তানের তরফেও। পাকিস্তানের প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের জনসংযোগ বিভাগ ইন্টার-সার্ভিস পাবলিক রিলেশন্স বা আইএসপিআর-এর ডিজি লেফটেন্যান্ট জেনারেল আহমেদ চৌধুরি তাদের দেশের সংবাদমাধ্যমগুলিকে জানিয়েছেন, নূর খান, মুরিদ ও রফিকি পাক বায়ুসেনা ঘাঁটিতে আক্রমণ করেছে ভারত।

    পাকিস্তানের এয়ারবেসে ভারতের এই প্রত্যাঘাত (India Pakistan War) ভীষণই তাৎপর্যপূর্ণ। প্রতিরক্ষা বিশেষজ্ঞদের মতে, এটা পাকিস্তানের কাছে বড় ধাক্কা। শুধু তাই নয়, এর অভিযানের ফলে পাকিস্তান আরও দিশেহারা হয়ে পড়বে। কারণ, ভারত যে জায়গাগুলিতে বেছে বেছে আক্রমণ শানিয়েছে, পাকিস্তানের জন্য সেগুলির সামরিক ও কৌশলগত গুরুত্ব অপরিসীম। এক নজরে দেখে নেওয়া যাক এই এয়ারবেসগুলিতে কী হয়? কেন ভারতের এই সামরিক অভিযান এত তাৎপর্যবহ।

    চাকলালা বা নূর খান এয়ারবেস (Chaklala/Noor Khan)

    ইসলামাবাদ থেকে মাত্র ১০ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত চাকলালা বিমান ঘাঁটি পাকিস্তানের সবচেয়ে সংবেদনশীল ও উচ্চ-সুরক্ষিত সামরিক পরিকাঠামোগুলির মধ্যে একটি। পাক বায়ুসেনার বিভিন্ন অভিযান থেকে ভিআইপি পরিবহণ— উভয় ক্ষেত্রেই গুরুত্বপূর্ণ এই ঘাঁটি। এটি ১৯৬৫ এবং ১৯৭১ সালের যুদ্ধ সহ অতীতের ভারত-পাক সংঘাতগুলিতে (India Pakistan War) গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে। মাঝ-আকাশে যুদ্ধবিমানে জ্বালানি ভরা এবং সামরিক পরিবহণ মিশনে অংশ নেওয়ার ব্যবস্থা রয়েছে এই ঘাঁটিতে। একইসঙ্গে, এটি শীর্ষ রাজনৈতিক ও সামরিক নেতাদের ব্যবহৃত বিমান সহ পাঁচ থেকে ছয়টি শীর্ষ সামরিক পণ্যবাহী স্কোয়াড্রনের ঘাঁটিও। ভবিষ্যতের অফিসারদের প্রশিক্ষণের জন্য এখানে পাক বায়ুসেনার কলেজও রয়েছে। চাকলালায় আক্রমণ (India Airstrike Pak Bases) করে ভারত ইঙ্গিত দিয়েছে যে, পাকিস্তানের সবচেয়ে সুরক্ষিত সম্পদও নাগালের বাইরে নয়।

    মুরিদ (Murid) এয়ারবেস, চাকওয়াল

    গত দুই দিন ধরে ভারতকে লক্ষ্য করে ড্রোন অভিযানের কেন্দ্রস্থল হিসেবে আবির্ভূত হয়েছে পাকিস্তানের চকওয়াল জেলায় অবস্থিত মুরিদ বিমানঘাঁটি। এখানে পাক বায়ুসেনার একাধিক স্কোয়াড্রন রয়েছে, যারা ‘শাহপার-১’ এবং তুরস্কের ‘বায়রাক্তার টিবি২’-এর মতো উন্নত ইউএভি (নজরদারি ড্রোন) এবং ইউসিএভি (হামলাকারী ও আত্মঘাতী ড্রোন) পরিচালনা করে। পাকিস্তানের ড্রোন যুদ্ধ কর্মসূচিতে এই ঘাঁটিটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। নজরদারি এবং গোয়েন্দা তথ্য সংগ্রহে সহায়তা থেকে শুরু করে হামলা— সব কিছুই সংগঠিত হয় এই এয়ারবস থেকে। ভারতের ওপর শয়ে শয়ে ড্রোন হামলাগুলি এখান থেকেই সংগঠিত করেছে পাকিস্তান। ফলে, এখানে প্রত্যাঘাত করে (India Airstrike Pak Bases) ভারত কড়া জবাব দিয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে।

    রফিকি (Rafiqui) এয়ারবেস, শারকোট

    ১৯৬৫ সালের যুদ্ধের (India Pakistan War) নায়ক স্কোয়াড্রন লিডার সরফরাজ আহমেদ রফিকির নামে নামকরণ করা এই ঘাঁটিতে জেএফ-১৭ এবং মিরাজ যুদ্ধবিমানের একাধিক স্কোয়াড্রন এবং ইউটিলিটি হেলিকপ্টার রয়েছে। জানা গিয়েছে, ভারতের উপর সাম্প্রতিক আক্রমণে ব্যবহৃত প্রধান জেটগুলির তালিকার মধ্যে একটি ছিল জেএফ-১৭ যুদ্ধবিমান। মধ্য পাঞ্জাবে এই বায়ুঘাঁটির অবস্থানের ফলে পূর্ব এবং পশ্চিম উভয় ফ্রন্টে দ্রুত যুদ্ধবিমন মোতায়েন করতে পারে পাক বায়ুসেনা এবং পরিকাঠামোর দিক দিয়েও এই ঘাঁটি পাকিস্তানের বিমান প্রতিরক্ষা নেটওয়ার্কের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ। ফলে, এখানে প্রত্যাঘাত বিরাট সাফল্যের।

    রহিম ইয়ার খান (Rahim Yaar Khan) এয়ারবেস, দক্ষিণ পাঞ্জাব

    রহিম ইয়ার খান ঘাঁটি দক্ষিণ পাক-পাঞ্জাবের রহিম ইয়ার খান শহরের কাছে অবস্থিত একটি পাক বায়ুসেনার অন্যতম বড় সামরিক পরিকাঠামো। এটি শেখ জায়েদ বিমানবন্দর নামেও পরিচিত। এটি ভারতের রাজস্থানের দিকে মুখ করে গড়ে ওঠা একটি গুরুত্বপূর্ণ ফরোয়ার্ড অপারেটিং ঘাঁটি। ভৌগলিক অবস্থানের কারণে, দক্ষিণ ও পূর্ব পাকিস্তান জুড়ে দ্রুত বাহিনী মোতায়েনের এবং অভিযানের জন্য এই ঘাঁটির কৌশলগত মূল্য রয়েছে। পাকিস্তানের হামলার মুখ ভোঁতা করতে এখানে প্রত্যাঘাত প্রয়োজন ছিল।

    সুক্কুর (Sukkur) এয়ারবেস / পিএএফ ঘাঁটি ভোলারি

    সিন্ধুর প্রদেশের জামশোরো জেলায় করাচি এবং পাক-হায়দরাবাদের মাঝামাঝি অবস্থিত সুক্কুর বায়ুঘাঁটি। এটি ভোলারি বেস নামেও পরিচিত। পাক বায়ুসেনার এই ঘাঁটি দক্ষিণ বায়ুসেনা কমান্ডের অধীনে পড়ে। এটি নতুন পরিকাঠামো, সম্প্রতি উদ্বোধন করা হয়েছে। এখানে রয়েছে পাক বায়ুসেনার ১৮ এবং ১৯ স্কোয়াড্রন, যা যথাক্রমে জেএফ-১৭ এ/বি ব্লক-২ যুদ্ধবিমান পরিচালনা করে। এছাড়া, অপারেশনাল কনভার্সন ইউনিট (ওসিইউ) এর ঘাঁটিও হল সুক্কুর। এখানে ক্ষেপণাস্ত্র দিয়ে প্রত্যাঘাত (India Airstrike Pak Bases) করে পাকিস্তানকে জোর ধাক্কা দিয়েছে ভারত।

    চুনিয়ান (Chunian) এয়ারবেস

    চুনিয়ান বায়ুঘাঁটি পাকিস্তান বিমান বাহিনীর প্রাথমিক অপারেশনাল ঘাঁটিগুলির মধ্যে একটি। পাঞ্জাবের চুনিয়ান শহরের কাছে অবস্থিত। এটি লাহোর থেকে প্রায় ৭০ কিলোমিটার দক্ষিণে অবস্থিত (India Pakistan War)।

  • India Pakistan War: ১৯৭১-এর পর ফের ভারতের নৌসেনার হামলা করাচিতে, বিধ্বস্ত পাকিস্তানের বন্দর-শহর

    India Pakistan War: ১৯৭১-এর পর ফের ভারতের নৌসেনার হামলা করাচিতে, বিধ্বস্ত পাকিস্তানের বন্দর-শহর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ১৯৭১ সালে ভারত-পাক যুদ্ধের (India Pakistan War) সময় ভারতের রণতরী হামলা করেছিল এই করাচি বন্দরে। সেই সময় এক সপ্তাহ ধরে জ্বলেছিল করাচি বন্দর (Karachi Port)। ফের আবার করাচিতে একই ভাবে আঘাত হানল ভারত। বৃহস্পতিবার রাত থেকে ফের ভারতীয় নৌসেনার হানায় জ্বলছে করাচি। সম্পূর্ণ বিধ্বস্ত পাকিস্তানের এই গুরুত্বপূর্ণ বন্দর-শহর। পাকিস্তানের সমুদ্রপথ আটকে দিয়েছে ভারতের বিশাল নৌবহর। বৃহস্পতিবার রাতে ভারতের ত্রিফলা আক্রমণে বিধ্বস্ত পাকিস্তানের একাধিক শহর। পাঁচটি শহরের এয়ার ডিফেন্স নষ্ট করে দিয়েছে ভারত।

    ভারতে হামাস-ধাঁচে হামলা পাকিস্তানের

    ‘অপারেশন সিঁদুর’-এর পর ভারত স্পষ্ট করে দিয়েছিল, পহেলগাঁও হামলার প্রত্যাঘাতে সন্ত্রাসী ঘাঁটিগুলি ধ্বংস করতে সংগঠিত হয়েছিল ওই অভিযান। সেই সঙ্গে এও হুঁশিয়ারি দিয়ে দেয়, পাকিস্তান এর পর হামলা করলে ভারতও শক্ত হাতে জবাব দেবে (India Pakistan War)। বোধহয় ইসলামাবাদের কর্তাদের কানে সে কথা ঢোকেনি। বুধবার রাতের পর বৃহস্পতিবার রাতেও ভারতের সীমান্তবর্তী রাজ্যগুলিতে মুহুর্মুহু ড্রোন, ক্ষেপণাস্ত্র ও যুদ্ধবিমান নিয়ে হামাস-ধাঁচে হামলা চালায়। হামলা চালানো হয় ভারতের সামরিক প্রতিষ্ঠান ও ঘাঁটি লক্ষ্য করে। এমনকি, হামলা চালানো হয় বৈষ্ণোদেবী সহ ভারতের একাধিক ধর্মীয় স্থানেও। তবে, ভারত তৈরি ছিল। ভারতের এয়ার ডিফেন্স যে এত শক্তিশালী, তা বোধহয় কল্পনাতীত ছিল পাকিস্তানের। প্রতিটা হামলা প্রতিহত করেছে ভারতের বহুস্তরীয় আকাশসীমা সুরক্ষা ব্যবস্থা।

    পাকিস্তানের ৫টি শহরের এয়ার ডিফেন্স সিস্টেম ধ্বংস

    পাকিস্তানের কাপুরুষোচিত হামলায় ধৈর্য্যের বাঁধ ভাঙে ভারতের। তাই, পাকিস্তানি হামলার ঠিক পরই, কোনও সময় নষ্ট না করে বৃহস্পতিবার রাতেই ভারত শুরু করে প্রত্যাঘাতের দ্বিতীয় পর্ব। এবার পাক হামলার পাল্টা অ্যাকশনে দিশেহারা হয়ে পড়ে পাকিস্তান। একসঙ্গে অ্যাকশনে নামে ভারতের নৌ, স্থল, বায়ুসেনা। এই ত্রিফলা আক্রমণ (India Pakistan War) হতেই পাকিস্তানে ত্রাহি ত্রাহি রব ওঠে। মুখ থুবড়ে পড়ল পাকিস্তানের চিনা এয়ার ডিফেন্স ব্যবস্থা। একটা বা দুটো নয়, পাকিস্তানের ১৬টি শহরে একসঙ্গে প্রত্যাঘাত হানে ভারতীয় ফৌজ। ভারতের অল-আউট অ্যাকশনে ব্ল্যাকআউট হয়ে যায় একের পর এক শহর। শুধু ড্রোন দিয়েই পাকিস্তানের ৫টি শহরের এয়ার ডিফেন্স সিস্টেম ধ্বংস করে দেয় ভারত। আতঙ্কে দিশেহারা হয়ে পড়ে পাকিস্তান।

    পাকিস্তানের ১৬টি শহরে বিশাল ক্ষয়ক্ষতি

    সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত খবর অনুযায়ী, ভারতের ড্রোন আছড়ে পড়ে একের পর এক শহরে। লাহোর, ইসলামাবাদ, সিয়ালকোট, রাওয়ালপিন্ডি, করাচি, ফয়সলাবাদ — বাদ ছিল না কোনও শহরই। পাকিস্তানের বড় বড় শহরগুলির রেডার সিস্টেম তছনছ করে দেয় ভারত (India Pakistan War)। পাকিস্তানের রাজধানী ইসলামাবাদে লাগাতার বিস্ফোরণের শব্দ পাওয়া গিয়েছে গতকাল রাতে। ভারতীয় সেনার প্রত্যাঘাতে পাকিস্তানের ১৬টি শহরে বিশাল ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। শেহবাজ শরিফের বাসভবনের কাছেও বিস্ফোরণ হয়। যার পর তড়িঘড়ি পাক প্রধানমন্ত্রীকে বাঙ্কারে পাঠিয়ে দেওয়া হয়।

    পাকিস্তানের সমুদ্রপথ আটকে রেখেছে ভারতের নৌবহর

    বায়ুসেনা-স্থলবাহিনী প্রথমে পাকিস্তানের শিরদাঁড়া ভেঙে দেওয়ার পর বুলডোজারের ভূমিকায় অবতীর্ণ হয় ভারতীয় নৌসেনা। নেতৃত্বে ছিল আইএনএস বিক্রান্ত। ভারতীয় বিমানবাহী রণতরী রাতেই করাচি বন্দরে (Karachi Port) ভয়াবহ হামলা চালায়। কার্যত বিধ্বস্ত হয়ে যায় করাচি বন্দর শহর। একসঙ্গে ভারতের তিন বাহিনীর প্রবল প্রত্যাঘাতে জ্বলছে করাচি। শেষ পর্যন্ত মেলা খবরে জানা গিয়েছে, পাকিস্তানের সমুদ্রপথ আটকে রেখেছে ভারতীয় নৌসেনার ২৬টি রণতরী (India Pakistan War)। আরও জানা গিয়েছে, আরব সাগরে ভারতীয় নৌসেনা নামিয়েছে পি-৮১ শক্তিশালী নজরদারি বিমানও। এটি অ্যান্টি-সাবমেরিন এয়ারক্রাফ্ট। পাকিস্তানের সাবমেরিন হামলা চালাতে পারে, সেই হামলা ঠেকাতেই বিমান নামানো হয়েছে।

  • Operation Sindoor: আকাশ-যুদ্ধে পালাচ্ছে, সমাজমাধ্যমে রাফাল ধ্বংস করছে! ভারতের বিরুদ্ধে পাকিস্তানের অস্ত্র ‘প্রোপাগান্ডা ওয়ার’

    Operation Sindoor: আকাশ-যুদ্ধে পালাচ্ছে, সমাজমাধ্যমে রাফাল ধ্বংস করছে! ভারতের বিরুদ্ধে পাকিস্তানের অস্ত্র ‘প্রোপাগান্ডা ওয়ার’

    সুশান্ত দাস

    পি ফর পাকিস্তান। পি ফর প্রক্সি। পি ফর প্রোপাগান্ডা। ভারতের পশ্চিম প্রান্তের প্রতিবেশি রাষ্ট্রের জন্য এটা একেবারে ধ্রুব সত্য। ভারতের আত্মায় আঘাত হানার পরিণাম কী ভয়ানক হতে পারে, তা মঙ্গলবার রাতে হাড়ে হাড়ে টের পেয়েছে পাকিস্তান। এখনও টের পাচ্ছে। ‘অপারেশন সিঁদুর’-এর (Operation Sindoor) মাধ্যমে সারাজীবন জঙ্গিদের দিয়ে প্রক্সি ওয়ার বা ছায়াযুদ্ধ চালানো পাকিস্তানের কঙ্কালসার সামরিক শক্তির হাড়ির হাল একেবারে বিশ্বের সামনে উন্মুক্ত করে দিয়েছে ভারত। ইসলামাবাদ ভালোই বুঝে গিয়েছে, গোলাবারুদের যুদ্ধে (India Firepower) ভারতের সঙ্গে পাঙ্গা নেওয়া যাবে না। ফলে, ভারতের সঙ্গে সরাসরি যুদ্ধে (India Pakistan War) না উঠতে পেরে, পাকিস্তান এখন সেই কৌশল অবলম্বন করেছে, যা তারা ভালো পারে— প্রোপাগান্ডা ওয়ার (Pakistan Propaganda War)। অর্থাৎ, ফেক প্রোপাগান্ডা তৈরি করে চারদিকে প্রচার করো। লক্ষ্য, ভুয়ো তথ্য এবং মিথ্যে খবর এত ছড়িয়ে দিতে হবে যে, যাতে কেউ সত্যিটাকেই না বিশ্বাস করে। সব সত্যি মিথ্যের আড়ালে চাপা পড়ে যায়। ওই যে কথায় বলে, দশচক্রে ভগবান ভূত! এটাই পাকিস্তানের মন্ত্র। আর তাদের সঙ্গী হিসেবে এই মিথ্যে তথ্য ছড়িয়ে দেওয়ার অভিযানে অবতীর্ণ তাদের বি-টিম (অর্থাৎ, বি ফর বাংলাদেশ)। এটা একেবারে বাস্তব। করাচি ও রাওয়ালপিন্ডি থেকে যখন যা নির্দেশ দেওয়া হচ্ছে, তা অক্ষরে অক্ষরে পালন করে চলেছে পদ্মাপাড়ে বাস করা মৌলবাদীর দল।

     

    নেটওয়ার্ককে অ্যাক্টিভেট পাকিস্তানের…

    মঙ্গলবার গভীর রাতে পাকিস্তান ও পাক-অধিকৃত কাশ্মীরে ‘অপারেশন সিঁদুর’ চালিয়ে ৯টি জঙ্গি-ঘাঁটি ধ্বংস করেছে ভারত। ওই অভিযানে অংশ নিয়েছিল ভারতীয় বায়ুসেনার রাফাল যুদ্ধবিমান। বুধবার ভোরের আলো ফোটার সঙ্গে সঙ্গেই গোটা ফেক প্রোপাগান্ডা (Pakistan Propaganda War) নেটওয়ার্ককে অ্যাক্টিভেট করে ইসলামাবাদ। ব্যাস, কালক্ষেপ না করে কাজে লেগে পড়ে পাকিস্তান ও বাংলাদেশের ‘সাইবার-জেহাদি’রা। ভুলে গেলে চলবে না, তাতে যোগ দেয় ভারতেও বসবাসকারী গুটিকয়েক পাক-সমব্যথী। গোড়া থেকেই সোশ্যাল মিডিয়া জুড়ে ভারতের অভিযানকে (Operation Sindoor) ‘ব্যর্থ’ দেখানোর শত চেষ্টা করা হয় এবং এখনও হয়ে চলেছে। এর জন্য গড়ে তোলা হয়েছে একের পর এক ফেক বা ভুয়ো ন্যারেটিভ (Fake Narrative) ও স্টোরি। আর সেই ভুয়ো তথ্যকে সমাজমাধ্যমে সত্যি বলে চালানোর জন্য ব্যবহার করা হয়েছে একাধিক প্রযুক্তিগত ও ছলচাতুরি কৌশল।

     

    সমাজমাধ্যমে ভুয়ো দাবির বম্বিং…

    কখনও বলা হয়েছে, ভারতের তিন রাফাল (Rafale Shotdown) সহ পাঁচটি যুদ্ধবিমান ধ্বংস করা হয়েছে। ভারতের পাইলটকে আটক করা হয়েছে। তো কখনও বলা হয়েছে পাকিস্তান ভারতের শ্রীনগর, অমৃতসর বায়ুসেনা ঘাঁটি ধ্বংস করেছে। আবার কখনও বলা হয়েছে ভারতের একটি ব্রিগেড হেডকোয়ার্টার নাকি গুঁড়িয়ে দিয়েছে পাকিস্তান। এখানেই শেষ নয়। কোথাও এও দেখানো হয়েছে যে, ভারতীয় সেনা সাদা পতাকা হাতে আত্মসমর্পণ করেছে। প্রত্যেকটি দাবির (Pakistan Propaganda War) ক্ষেত্রে কখনও পুরনো ছবি, তো কখনও বিদেশের ছবি তো কখনও দাবানলের ছবিও ব্যবহার করে ভারতের বিরাট ক্ষতি করা হয়েছে বলে দেখোনোর চেষ্টা চলছে। এমনকি, ভিডিও গেমসের ফুটেজকে ব্যবহার করেও চালানোর চেষ্টা হয়। যুদ্ধবিমানের ড্রপ-ট্যাঙ্ক (যুদ্ধবিমানের ডানায় থাকা অতিরিক্ত জ্বালানির ট্যাঙ্ক, যা খালি হলে ফাঁকা জায়গা দেখে মাঝ-আকাশ থেকেই ড্রপ বা ফেলে দেওয়া হয়) দেখিয়ে বলা হয়েছে এটা রাফালের ধ্বংসাবশেষ। আবার কোথাও, প্রযুক্তির সাহায্যে রাফাল বিমানের নকল ছবি দেখিয়ে বলা হয়েছে— এই যে রাফাল ধ্বংস হয়েছে।

     

    এআই-এর নজরে সবকিছুই…

    সম্প্রতি এমনই একটি ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল করে দিয়েছে পাকিস্তান ও বাংলাদেশের ‘সাইবার-জেহাদি’দের দল। ছবিতে দেখা যাচ্ছে, মাঠে পড়ে রয়েছে একটা ধাতব টুকরো, যার সঙ্গে যুদ্ধবিমানের টেল(লেজ) অংশের দৃশ্যত মিল রয়েছে। ওই টুকরোর এক প্রান্তে ইংরেজি হরফে লেখা ‘BS 001’। অন্যদিকে, ইংরেজিতে লেখা ‘Rafale’। দাবি করা হয়, এটি ভারতের প্রথম রাফাল যুদ্ধবিমানের লেজের অংশ। প্রমাণ হিসেবে, ভারতীয় বায়ুসেনার রাফাল যুদ্ধবিমানের ছবি দেখানো হয়, যাতে লেজের দিকে এই দুই শব্দবন্ধ জ্বলজ্বল করছে। এক ঝলকে দেখে জনসাধারণের মনে হতেই পারে, এটা রাফাল যুদ্ধবিমানেরই অংশ। কিন্তু, প্রযুক্তি-কারবারিরা সহজেই ধরে ফলেবে কোথায় কারচুপি করা হয়েছে। এখন কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বা আর্টিফিসিয়াল ইন্টেলিজেন্সের যুগ। এআই ব্যবহার করে যেমন ভুয়ো জিনিস সহজেই তৈরি করা যায়, তেমনভাবেই, সহজেই ভুয়ো জিনিস ধরাও যায়। এছাড়া, ‘ডুপ্লিচেকার’ বা ‘রিভার্স ইমেজ সার্চ’ সহ ইন্টারনেটে একাধিক ‘টুল’ এবং ওয়েবসাইট আছে, যা দিয়ে এধরেনর কারচুপি ও সত্য-মিথ্যে যাচাই করা যায়। এমনকি, এক্স হ্যান্ডলের (সাবেক ট্যুইটার) নিজস্ব এআই প্ল্যাটফর্ম ‘গ্রোক’-ও জানিয়ে দিয়েছে, এই (পাকিস্তানের) দাবি ভুয়ো। এই দাবির কোনও সারবত্তা নেই। ইসলামাবাদের কুকীর্তি দুনিয়ার সামনে ফাঁস করে দেয় মার্কিন সমাজমাধ্যম সংস্থা (Pakistan Propaganda War)।

     

    রাফালের লেজ-বিতর্ক…

    পাকিস্তানের ফেক প্রোপাগান্ডা ধরে পড়ে যায় সেখানেই। দেখা যায়, রাফালের ছবি বলে বিভিন্ন পাকিস্তানি, বাংলাদেশি ও ভারত-বিরোধী হ্যান্ডল থেকে প্রচার করা হচ্ছে যে ছবি, তা আদতে ৭ মাস পুরনো। সেই ছবিতে এডিট করে ‘BS 001’ এবং ‘Rafale’ শব্দটি জুড়ে ছেড়ে দেওয়া হয়। তাহলে তফাত কোথায়? দেখা যাচ্ছে দুটো ছবির মধ্যে আসল রাফালের টেল সেকশনের নাম্বারিং এবং ফেক এডিটিং করা ছবির অক্ষরের পজিশন ও তার আকারে পার্থক্য আছে। এটা দেখে স্পষ্ট বোঝা যাচ্ছে। ছবি তো না হয় এডিট করা যাবে। কিন্তু, রেকর্ড তো থেকে যাবে! আর ভারতীয় বায়ুসেনায় রাফালের কোড অন্য কথা বলছে। বায়ুসেনায় বর্তমানে দুটি রাফাল স্কোয়াড্রন আছে। একটা পশ্চিমে পাক-সীমান্ত লাগোয়া আম্বালায়। অন্যটি পূর্বে চিন-সীমান্ত লাগোয়া পশ্চিমবঙ্গের হাসিমারায়। আম্বালাস্থিত ১৭ নম্বর স্কোয়াড্রনে থাকা রাফালগুলির বিমানের টেল (লেজে) ইংরেজি হরফে ‘RB’ থাকে, প্রাক্তন বায়ুসেনা প্রধান এয়ার চিফ মার্শাল আরএস ভাদৌরিয়ার নামে। অর্থাৎ, এই স্কোয়াড্রনের সবকটি বিমানগুলি ‘RB’ সিরিজের। অন্যদিকে, হাসিমারাস্থিত ১০১ স্কোয়াড্রনে থাকা রাফালগুলির লেজে রয়েছে ‘BS’। এটা প্রাক্তন বায়ুসেনা প্রধান এয়ার চিফ মার্শাল বিএস ধানোয়ার নামে। এখানকার বিমানগুলি ‘BS’ সিরিজের। এটা বোধহয় ‘সাইবার-জেহাদি’রা জানত না। বা তাড়াহুড়োয় ভুল করে ফেলেছে। যার ফলে, এই কাঁচা কারচুপির কাজ ধরা পড়ে গেছে। কারণ, তাদের দাবি অনুযায়ী, আম্বালা বাদ দিয়ে হাসিমারা থেকে রাফাল পাঠানো হয়েছিল ‘অপারেশন সিঁদুর’-এ (Operation Sindoor) অংশ নিতে! যুক্তি ও বাস্তব জ্ঞান বলে, এটা হতে পারে না, এটা অবাস্তব। ফলে, ‘সাইবার-জেহাদি’দের দাবিকে হাস্যকর বললেও কম বলা হয়।

     

    রাফাল-ন্যারেটিভের নেপথ্য…

    কিন্তু, হঠাৎ, রাফাল ধ্বংসের ভুয়ো ন্যারেটিভ নিয়ে কেন এত মাতামাতি পাক ‘সাইবার-জেহাদি’দের? এর নেপথ্যে রয়েছে এক সুনির্দিষ্ট অপ-কৌশল। কী সেটা? পাকিস্তান ভালো করেই জানে, ভারতীয় বায়ুসেনার অন্যতম শক্তিশালী অংশ হল রাফাল যুদ্ধবিমান। অত্যন্ত সচতুরভাবে এই ‘সাইবার-জেহাদি’রা রাফালকে টার্গেট করে। কীভাবে? বুধবার ভোর থেকেই খবর ছড়িয়ে দেওয়া হয়, পাকিস্তান ভারতের তিনটি রাফাল যুদ্ধবিমান ধ্বংস করেছে। একটা বিষয় পরিষ্কার। এই ‘সাইবার-জেহাদি’রা জানে যে, রাফাল হল বিশ্বের অন্যতম সেরা এবং এই মুহূর্তে ভারতের শ্রেষ্ঠ যুদ্ধবিমান। ফলে, এই বিমান ধ্বংস হয়েছে শুনলে ভারতীয়দের মনোবলে চিড় ধরবে। তাদের আত্মাভিমানে ধাক্কা লাগবে। পাকিস্তান ও তাদের বি-টিম ভীষণভাবে, যাকে বলে প্রাণপণ চেষ্টা করেছে। কিন্তু, ভারতকে টলানো সম্ভব নয়। ভারত ওদের এক কাঠি ওপরে, ওরা সেটা ভুলে গিয়েছে। তাই, পাকিস্তানের এই ফেক ন্যারেটিভ ভারত, মায় বিশ্ব ধরে ফেলেছে।

     

    যস্মিন দেশে যদাচার…

    ‘সাইবার-জেহাদি’দের ফেক প্রোপাগান্ডাকে হাতিয়ার করে গত ৩৬ ঘণ্টায় বেশ লাফালাফি করছে পাকিস্তানের তাবড় তাবড় নেতা-মন্ত্রীরা। কিন্তু, সত্য তো আর চাপা থাকে না। তা ঠিক বেরিয়ে আসে। ফলে, পাকিস্তানের চিনা এয়ার ডিফেন্স সিস্টেমের মতো তাদের রাফাল ধ্বংসের ভুয়ো ন্যারেটিভ মুখ থুবড়ে পড়তেই পালানোর পথ পাচ্ছেন না তাঁরা। রাফাল ধ্বংসের প্রমাণ আছে কিনা জানতে চেয়ে পাক প্রতিরক্ষা মন্ত্রী খোয়াজা আসিফকে এই নিয়ে প্রশ্ন করেছিল বিদেশি সংবাদমাধ্যম। অন-এয়ার পাক মন্ত্রী বলছেন, ‘‘প্রমাণ তো সোশ্যাল মিডিয়ায় রয়েছে’’! যখন তাঁকে ফের প্রকৃত তথ্য বা প্রমাণ পেশ করতে বলা হয়, তখন তিনি পালানোর পথ খোঁজেন। এই হচ্ছে পাকিস্তানের প্রতিরক্ষামন্ত্রীর অবস্থা। সেদেশের প্রতিরক্ষার কী অবস্থা, তা সহজেই অনুমেয়। অবশ্য, তিনি একা নন। খোদ পাক প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরিফও ‘ন্যাশনাল অ্যাসেম্বলি’-তে দাঁড়িয়ে ভারতের বিমান ধ্বংস করার দাবি করে নিজের দেশের সেনাকে বাহবা দিয়েছেন। সেখানে প্রতিরক্ষামন্ত্রী এসব বলবেন, সেটাই কাম্য। এর চেয়ে বেশি পাকিস্তানের থেকে আশা করাটাও ভুল। এদের চেয়ে বরং বিচক্ষণতা দেখিয়েছে পাক সেনার জনসংযোগ বিভাগ। বিবৃতিতে ভারতের অভিযানের (Operation Sindoor) কথা স্বীকার করলেও, সেখানে কোনও ভারতীয় যুদ্ধবিমানকে মেরে নামানোর কথা উল্লেখ করা হয়নি।

     

    ফলে একটা বিষয় পরিষ্কার। পি ফর প্যাথেটিক। পাকিস্তান এরকমই ছিল, আছে ও থাকবে।

  • Operation Sindoor: বোঝার আগেই শেষ! পাক-ভূমে জঙ্গি ঘাঁটি গুঁড়িয়ে দিতে তিন ‘স্মার্ট’ অস্ত্র ব্যবহার ভারতের

    Operation Sindoor: বোঝার আগেই শেষ! পাক-ভূমে জঙ্গি ঘাঁটি গুঁড়িয়ে দিতে তিন ‘স্মার্ট’ অস্ত্র ব্যবহার ভারতের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পহেলগাঁও হামলার জবাবে মঙ্গলবার গভীর রাতে পাকিস্তান ও পাক-অধিকৃত কাশ্মীরে ‘অপারেশন সিঁদুর’ (Operation Sindoor) চালিয়েছে ভারত। প্রায় ২৫ মিনিটের এই ‘প্রিসিশন স্ট্রাইক’-এ ৯টি জঙ্গি ঘাঁটির ২১টি টার্গেটকে ধ্বংস করেছে ভারতীয় যুদ্ধবিমান। পাকিস্তান কিছু বুঝে ওঠার আগেই গোটা অপারেশন শেষ। আর জঙ্গি ঘাঁটিগুলিকে গুঁড়িয়ে দিতে রাফালে চাপিয়ে পাঠানো হয় বিশেষ কয়েকটি মিসাইল ও বম্ব (Special Weapons)। গোটা অভিযানের পরিচালন তিন বাহিনীর সমন্বয়ে সংগঠিত হয়। তবে, বম্ব নিক্ষেপ করার কাজ করেছে ভারতীয় বায়ুসেনার রাফাল যুদ্ধবিমান। প্রতিরক্ষা মন্ত্রক সূত্রে জানা গিয়েছে, ‘অপারেশন সিঁদুর’-এ ব্যবহার করা হয়েছে হ্যামার বোমা, স্ক্যাল্প ক্রুজ মিসাইল এবং লয়টারিং মিউনিশন। মূলত নির্ভুল লক্ষ্যে আঘাত হানতে সক্ষম, দূরপাল্লার এই বিশেষ অস্ত্রশস্ত্র ব্যবহার করেছে ভারতীয় বায়ুসেনা। এক ঝলকে দেখে নেওয়া যাক এই অস্ত্রগুলির বিশেষত্ব—

    স্ক্যাল্প ক্রুজ মিসাইল (Scalp Cruise Missile)—

    এটি স্টর্ম শ্যাডো নামেও পরিচিত। এটি একটি দীর্ঘ পাল্লার আকাশ থেকে ভূমি ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র। যুদ্ধবিমান থেকে ছোড়া হয় এই ক্ষেপণাস্ত্র, যা ২৫০ কিলোমিটারের বেশি দূরত্ব অতিক্রম করে শত্রুপক্ষের ঘাঁটিতে (Operation Sindoor) আঘাত হানতে সক্ষম। দিনে হোক বা রাতে, যে কোনও মরসুমে এটি নির্ভুলভাবে লক্ষ্যে আঘাত হানতে সক্ষম। যে কারণে, বিশ্বের সব সামরিক বাহিনীর কাছে এটি অত্যন্ত প্রিয়।

    হ্যামার স্মার্ট বম্ব (Hammer Smart Bomb)—

    পুরো নাম হাইলি অ্যাজাইল মডিউলার মিউনিটন এক্সটেন্ডেড রেঞ্জ। শক্তিশালী পরিকাঠামো যেমন রিইনফোর্সড বাঙ্কার বা বহুতল বিল্ডিং অথবা অস্ত্রভাণ্ডার গুঁড়িয়ে দিতে ওস্তাদ হ্যামার স্মার্ট বোমা। ৫০-৭০ কিলোমিটার দূরত্বে আঘাত হানতে সক্ষম হ্যামার। কত উঁচু থেকে ছোড়া হচ্ছে, তার উপর নির্ভর করে আঘাতের তীব্রতা। এই অভিযানে (Operation Sindoor) হ্যামার দিয়ে লস্কর-ই-তৈবা ও জৈশ-ই-মহম্মদের প্রশিক্ষণ কেন্দ্রগুলিকে গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়।

    লয়টারিং মিউনিশন (Loitering Munition)—

    এগুলি কামিকাজে বা আত্মঘাতী ড্রোন হিসেবেও পরিচিত। মূলত লুকিয়ে এলাকার পর নজরদারি চালানোর জন্য, কোথায় জঙ্গি ঘাঁটি রয়েছে, তাতে কী কী রয়েছে বা কারা-কতজন রয়েছে, তা জানতে এই যন্ত্র ব্যবহার করে সেনাবাহিনী (Operation Sindoor)। যত ক্ষণ পর্যন্ত না লক্ষ্য নির্ধারণ হচ্ছে, তত ক্ষণ উড়ে বেড়ায় এই ড্রোন। স্বয়ংক্রিয় ভাবেও উড়তে পারে এই ড্রোন, আবার রিমোটের মাধ্যমেও নিয়ন্ত্রণ করা যায় (Special Weapons)। লক্ষ্যবস্তুকে চিহ্নিত করার পাশাপাশি, এই ড্রোনে বিস্ফোরক বা পেলোডও বসানো যায়। ড্রোনের মাধ্যমেই আঘাত হানা যায় লক্ষ্যে।

  • Pahalgam Attack: পহেলগাঁওকাণ্ডের জের! নিরাপত্তা উপদেষ্টা পর্ষদের মাথায় বসানো হল ‘র’-এর প্রাক্তনীকে

    Pahalgam Attack: পহেলগাঁওকাণ্ডের জের! নিরাপত্তা উপদেষ্টা পর্ষদের মাথায় বসানো হল ‘র’-এর প্রাক্তনীকে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পহেলগাঁওকাণ্ড (Pahalgam Attack) ও পাকিস্তানের সঙ্গে সংঘাতের আবহে পুনর্গঠন করা হল নিরাপত্তা উপদেষ্টা পর্ষদ (NSA Board)। ভারতীয় গুপ্তচর সংস্থা ‘র’-এর প্রাক্তন ডিরেক্টর অলোক জোশীকে ওই পর্ষদের প্রধান করা হয়েছে।

    নিরাপত্তা উপদেষ্টা পর্ষদ পুনর্গঠন (Pahalgam Attack)

    গত ২২ এপ্রিল দক্ষিণ কাশ্মীরের পহেলগাঁওয়ে সন্ত্রাসবাদীরা বেছে বেছে হত্যা করে ২৬ জন হিন্দু পর্যটককে। এছাড়া স্থানীয় এক মুসলিম যুবক সন্ত্রাসীদের হাত থেকে বন্দুক কেড়ে নেওয়ার চেষ্টা করায় তাঁকেও খুন করে পাক মদতপুষ্ট জঙ্গিরা। মৃত্যু হয় এক খ্রিস্টান পর্যটকেরও। এই প্রেক্ষিতে সৃষ্টি হয়েছে ভারত-পাকিস্তান সংঘাতের আবহ। সেই সময়ই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সরকার পুনর্গঠন করল নিরাপত্তা উপদেষ্টা পর্ষদ।

    কারা রয়েছেন পর্ষদে

    এই পর্ষদের সদস্য সংখ্যা সাত। এই সদস্যরা হন অবসরপ্রাপ্ত সেনা কিংবা সিভিল সার্ভিস আধিকারিক। রয়েছেন প্রাক্তন কূটনীতিক বি বেঙ্কটেশ বর্মা। ভারতীয় বায়ুসেনার পশ্চিমাঞ্চলীয় কমান্ডের প্রাক্তন প্রধান এয়ার মার্শাল পিএম সিং, স্থলসেনার দক্ষিণাঞ্চলীয় কমান্ডের প্রাক্তন জিওসি লেফটেন্যান্ট জেনারেল একে সিং এবং নৌসেনার অবসরপ্রাপ্ত রিয়ার অ্যাডমিরাল মন্টি খান্নাও রয়েছেন এই পর্ষদে।

    অলোক ছাড়াও রয়েছেন দুই অবসরপ্রাপ্ত আইপিএস অফিসার রাজীবরঞ্জন বর্মা এবং মনমোহন সিং। প্রসঙ্গত, জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত ডোভালের নেতৃত্বাধীন জাতীয় নিরাপত্তা পরিষদ সুরক্ষা সংক্রান্ত মূল পদক্ষেপের দায়িত্বে রয়েছ। অলোকের নেতৃত্বাধীন উপদেষ্টার কাজ হবে সুরক্ষাজনিত দৃষ্টিকোণ পর্যালোচনা করে ডোভালের কমিটিকে প্রয়োজনীয় পরামর্শ দেওয়া।

    প্রসঙ্গত, ২০১৮ সালের পর এই প্রথম পুনর্গঠিত হল জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা পর্ষদ (Pahalgam Attack)। ওয়াকিবহাল মহলের মতে, ভারতের প্রত্যাঘাতের পাল্টা যদি পাকিস্তান কোনওভাবে হামলা চালায় বা পাকিস্তানের বন্ধু বলে পরিচিত দেশগুলি ভারতে অশান্তি তৈরির চেষ্টা করে, সেজন্যও প্রস্তুত থাকা দরকার। সম্ভবত সেই কারণেই উপদেষ্টা বোর্ডকে আরও শক্তিশালী করা হচ্ছে, প্রাক্তন গোয়েন্দাপ্রধানকে শীর্ষে রেখে।

    ২২ এপ্রিল পহেলগাঁওয়ে পর্যটকদের ওপর হামলা চালায় যে জঙ্গিরা, তাদের একজনেরও খোঁজ মেলেনি। ওই ঘটনার জেরে উত্তেজনা বেড়েছে ভারত-পাকিস্তানের। সেই সঙ্গে উপত্যকাজুড়ে চলছে সেনা তৎপরতা। এই ঘটনার দায় স্বীকার (NSA Board) করে পাক জঙ্গিগোষ্ঠী লস্কর-ই-তৈবার ছায়া সংগঠন দ্য রেজিস্ট্যান্স ফ্রন্ট (Pahalgam Attack)।

  • Pahalgam Attack: পহেলগাঁও হামলার পাল্টা ভারতের ‘জল-বোমা’! বানের জলে ভাসছে পাকিস্তান

    Pahalgam Attack: পহেলগাঁও হামলার পাল্টা ভারতের ‘জল-বোমা’! বানের জলে ভাসছে পাকিস্তান

    সুশান্ত দাস

    পহেলগাঁও হামলার (Pahalgam Attack) প্রেক্ষিতে ভারত সিন্ধু জলবণ্টন চুক্তি স্থগিত করে দেওয়ায় অনেকে প্রশ্ন তুলতে শুরু করেছেন এসব করে কী লাভ? তাঁদের মতে, পাকিস্তানকে শিক্ষা দিতে হলে সেখানে সার্জিক্যাল স্ট্রাইক করতে হবে। এসব জল বন্ধ করে (Water Treaty) লাভের লাভ কিছুই হবে না।

    ভারতের মাস্টারস্ট্রোক! (Pahalgam Attack)

    তাঁদের প্রশ্নগুলোকে সম্মান দিয়েও প্রশ্নকর্তাদের উদ্দেশে কিছু কথা। জল চুক্তি স্থগিত করার বিষয়টি এত হালকাভাবে নিলে হবে না। এই চুক্তির অনেক ভূ-রাজনৈতিক তাৎপর্য রয়েছে বিশেষ করে ভারত ও পাকিস্তানের। এটা ভারতের একটা মাস্টারস্ট্রোক। কেন? এটা এমন একটা অদৃশ্য অস্ত্র, যা যে কোনও পরমাণু ক্ষেপণাস্ত্রের মতোই শক্তিশালী। এর প্রভাব মারাত্মক। কীভাবে? এটা জানতে হলে আগে একটু ইতিহাস আওড়ে নেওয়া যাক। ১৯৬০ সালে ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে সিন্ধু জল চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। এই চুক্তিতে সিন্ধু এবং এর উপনদীগুলির জল দুই দেশের মধ্যে ন্যায্যভাবে ভাগ করার কথা বলা হয়েছিল। চুক্তির অধীনে, পূর্বাঞ্চলীয় ৩ নদী- বিয়াস (বিপাশা), রাভি (ইরাবতী) এবং সাতলেজ (শতদ্রু)র জল ভারতকে এবং পশ্চিমাঞ্চলীয় ৩ নদী- চেনাব (চন্দ্রভাগা), সিন্ধু (ইন্ডাস) এবং ঝিলাম (বিতস্তা)-র জল পাকিস্তানকে বরাদ্দ করা হয়েছিল।

    পাকিস্তানে সিন্ধু নদের গুরুত্ব

    এতদিন ধরে এই চুক্তি লাগু থাকার ফলে, সিন্ধুর জলের ওপর কার্যত দাঁড়িয়ে পাকিস্তানের কৃষি। পরিসংখ্যান বলছে, পাকিস্তানের ৮০ শতাংশ কৃষিজমিতে জল সরবরাহ হয় এই চুক্তির মাধ্যমেই। গম, চাল, আখ, তুলো চাষের জন্য এই জল ব্যবহার হয়। পাকিস্তানের সেচের জন্য প্রয়োজনীয় জলের ৯০ শতাংশেরও বেশি আসে সিন্ধু নদ থেকে। এর পাশাপাশি, পাকিস্তানের তারবেলা এবং মাংলার জলবিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্রও চলে সিন্ধুর জলেই। ফলে, পাকিস্তানের জিডিপির ২৫ শতাংশ নির্ভর করে এই সিন্ধুর জলের ওপরেই (Water Treaty)। এবার ভারত এই চুক্তি স্থগিত করায় কৃষি থমকে (Pahalgam Attack) যাবে। এমনিতেই, পাকিস্তানে খাদ্যসঙ্কট চূড়ান্ত। তার ওপর কৃষি লাটে উঠলে দেশজুড়ে হাহাকার দেখা দেবে। এমনিতেই পাকিস্তানে প্রতিদিন কয়েক ঘণ্টা করে বিদ্যুৎ থাকে না। তার ওপর বিদ্যুৎ উৎপাদন বন্ধ হলে চরম অন্ধকার নেমে আসবে। সেটাও শরিফ সরকার বিলক্ষণ জানে।

    মসজিদের মাইকে সাইরেন

    এখানেই শেষ নয় কিন্তু। চুক্তি স্থগিত হওয়ার কারণে এবার ভারত আর তথ্য সরবরাহ করবে না। সিন্ধু, ঝিলাম এবং চেনাব- এই তিন নদীর ওপরে কোনও বড় বাঁধ নেই। তথ্য আদান প্রদান বন্ধ হওয়ায় আবহাওয়া সংক্রান্ত কোনও আপডেট আর পাকিস্তানের কাছে যাবে না। যেমন বন্যার পূর্বাভাস, সেচ ব্যবস্থা -এ সংক্রান্ত তথ্য প্রতি বছরের জুলাই থেকে অক্টোবর মাসের মধ্যে পৌঁছে যেত পাকিস্তানে। সেই মতো ব্যবস্থা গড়ে উঠত পাকিস্তানে। বন্যা-খরার আগাম মোকাবিলাও পাকিস্তান করতে পারত ভারতের দেওয়া তথ্যের ওপরে ভিত্তি করেই। এবার সেসব কিছুই বন্ধ হল। এর প্রভাব কী হতে চলেছে, তার প্রমাণ মিলেছে শনিবারই। এদিন দুপুরবেলা পাক অধিকৃত কাশ্মীরের মুজাফফরাবাদে বিপদঘণ্টি (Pahalgam Attack) বেজে ওঠে। চারদিকে হই-হই পড়ে যায়। প্রতিটা মসজিদের মাইকে সাইরেন বেজে ওঠে। জানা যায়, আচমকা ঝিলম নদীর জলস্তর হু-হু করে বাড়তে শুরু করে দিয়েছে। সেকি কাণ্ড! ভরা গ্রীষ্মে প্লাবিত ঝিলম! বিপদসীমার ওপর দিয়ে বইতে শুরু করে দিয়েছে জল। চকোঠি সীমান্ত থেকে মুজাফফরাবাদ শহর পর্যন্ত, নদীর জল দ্রুত বৃদ্ধি পেতে থাকে। যা দেখে স্থানীয়দের আত্মারাম খাঁচা হয়ে যায়। নদী তীরবর্তী সমস্ত গ্রাম – হাতিয়ান বালা, ঘড়ি দুপাট্টা, মাঝোই – সর্বত্র ত্রাহি ত্রাহি রব পড়ে যায়। দ্রুত খালি করা হয় গ্রাম। পরিবারগুলি নিরাপদ স্থানে সরে যাওয়ার জন্য দৌড়াদৌড়ি শুরু করে দেয় (Water Treaty)।

    প্রমাদ গুণছে পাকিস্তান

    সিন্ধু চুক্তি স্থগিত হওয়ার পর থেকেই পাকিস্তান প্রমাদ গুণতে শুরু করে দিয়েছিল। তবে, তারা যেখানে খরার আশঙ্কা করে প্রস্তুতি নিচ্ছিল, সেখানে প্লাবন চলে এল। যাকে বলে, আউট অফ সিলেবাস কোশ্চেন! এর চেয়ে আরও বড় প্রভাব দেখা যায় পাকিস্তানের অন্য প্রান্তে। পহেলগাঁও হত্যার পরের দিনই হামলার দায় নিয়েছিল লস্কর-এ-তৈবার ছায়া সংগঠন দ্য রেজিস্ট্যান্স ফ্রন্ট। ঝিলম প্লাবিত হওয়ার কিছুক্ষণের মধ্যেই আগের দায় ঝেড়ে ফেলে তারা (Pahalgam Attack)। অর্থাৎ, মৌচাকে ঢিল পড়েছে! ফলে, যাঁরা বলছিলেন সার্জিক্যাল স্ট্রাইকের কথা, এটাও একটা সার্জিক্যাল স্ট্রাইক। তফাতের মধ্যে এখানে অস্ত্র আগুন নয়, এখানে অস্ত্র জল। ভারতের পূবদিকের প্রতিবেশীর নোবেলজয়ী সর্বেসর্বা, তিনি খবর শুনছেন তো! নয়তো কোনওদিন তারাও বানের জলে ভেসে (Pahalgam Attack) যেতে পারে…

  • Pahalgam Attack: পহেলগাঁওয়ের পাল্টা ‘বালাকোট-২’! ভারতের প্রত্যাঘাতের ভয়ে পাকিস্তানজুড়ে জারি হাই-অ্যালার্ট

    Pahalgam Attack: পহেলগাঁওয়ের পাল্টা ‘বালাকোট-২’! ভারতের প্রত্যাঘাতের ভয়ে পাকিস্তানজুড়ে জারি হাই-অ্যালার্ট

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: জম্মু ও কাশ্মীরের পহেলগাঁওয়ে মঙ্গলবারের জঙ্গি হামলার (Pahalgam Attack) খবরের পর থেকে তীব্র আতঙ্কের সৃষ্টি হয়েছে পাকিস্তানে। বিশেষ করে রাওয়ালপিন্ডিতে। পুলওয়ামা হামলার প্রত্যুত্তরে ভারত পাকিস্তানের বালাকোটে সার্জিক্যাল স্ট্রাইক চালিয়েছিল। পহেলগাঁওয়ের পর দেশজুড়ে ফের একটা সার্জিক্যাল স্ট্রাইকের দাবি উঠতে শুরু করেছে। কেউ কেউ আবার ইজরায়েলি দাওয়াই প্রয়োগ করার কথা বলছেন। এমনও বলছেন, পাকিস্তান হামাসের মতো হামলা করেছে। ভারতের উচিত ইজরায়েলের মতো জবাব দেওয়া। পাক সেনার আশঙ্কা, পহেলগাঁওয়ের (Pahalgam Attack) পরও ভারত যে প্রত্যাঘাত করবে, তা একপ্রকার অনিবার্য। তবে ভারতের সেই পাল্টা মার কবে, কোথায় ও কীভাবে আছড়ে পড়বে, তা নিয়ে দিশেহারা পাক সেনাকর্তারা। এহেন পরিস্থিতিতে পাকিস্তানজুড়ে জারি করা হয়েছে হাই-অ্যালার্ট (Pakistan On High Alert)। ভারতের প্রত্যাঘাতের আশঙ্কায় পাক ফৌজের মধ্যে ত্রাহি ত্রাহি রব পড়ে গিয়েছে। যে দেশ সন্ত্রাসীদের মদত দিয়ে এসেছে চিরকাল, যে দেশ প্রতিনিয়ত আতঙ্কীদের আশ্রয়দাতা হয়ে রয়েছে, তারা এখন নিজেরাই আতঙ্কিত। যা দেখে ভারতের অনেকেই বলছেন, এটা হওয়া উচিত, ‘ইয়ে ডর আচ্ছা লাগা’। অর্থাৎ, পাকিস্তানের এই ভয় দেখে ভালো লাগছে।

    লাহোর এবং রাওয়ালপিন্ডিতে ত্রাহি ত্রাহি রব

    বুধবার সকাল থেকে সমাজমাধ্যমে একাধিক পোস্টে এমন দাবি করা হচ্ছে যে, পাকিস্তান তার ফৌজকে ভারত সীমান্তবর্তী জায়গায় মোতায়েন করছে। আন্তর্জাতিক ফ্লাইট ট্র্যাকিং ওয়েবসাইট ‘ফ্লাইটরেডার২৪’ থেকে নেওয়া স্ক্রিনশটগুলির পোস্টে ভরে গিয়েছে এক্স। পোস্টগুলিতে দেখা যাচ্ছে, পাকিস্তান বিমান বাহিনীর বিমানগুলি করাচির দক্ষিণাঞ্চলীয় এয়ার কমান্ড থেকে উত্তরে অবস্থিত লাহোর এবং রাওয়ালপিন্ডির কাছে বায়ুসেনা ঘাঁটির উদ্দেশে রওনা হচ্ছে। রাওয়ালপিন্ডিতে অবস্থিত পাক বায়ুঘাঁটি নূর খান, তাদের বায়ুসেনার অন্যতম প্রধান অপারেশনাল ঘাঁটি। তাৎপর্যপূর্ণভাবে এই লাহোর ও রাওয়ালপিন্ডি বিমানঘাঁটি ভারত সীমান্তের খুব কাছেই। ঘাঁটি দুটি থেকে জম্মু-কাশ্মীরের (Pahalgam Attack) দূরত্ব খুব একটা বেশি নয়। পোস্টগুলিতে দুটি নির্দিষ্ট ফ্লাইট হাইলাইট করা হয়েছে— একটি পিএএফ-১৯৮ ফ্লাইট, যা পাক বায়ুসেনার একটি লকহিড সি-১৩০ই হারকিউলিস পরিবহণ বিমান। দ্বিতীয়টি, পিএএফ-১০১। এটি একটি ছোট এমব্রেয়ার ফেনম-১০০ জেট, যা প্রায়শই ভিআইপি পরিবহণ বা নজরদারির জন্যও ব্যবহৃত হয়। পাশাপাশি, সীমান্ত এলাকায় ব্যাপকভাবে যুদ্ধাস্ত্র (Pakistan On High Alert) এবং সেনা মোতায়েন করা হচ্ছে বলেও দাবি।

    কোন পথে হামলা করবে ভারত? আতঙ্কে পাকিস্তান

    এর থেকে পরিষ্কার, ভারত সীমান্তের কাছে নজরদারি বাড়িয়েছে পাক বায়ুসেনা। নিয়ন্ত্রণরেখার কাছে নিজেদের আকাশসীমায় প্রতিনিয়ত চক্কর কাটছে ওই নজরদারি বিমানগুলি। এর কারণটাও স্পষ্ট। ২০১৯ সালে পুলওয়ামায় সেনা কনভয়ে জঙ্গি-হামলায় ৪০ জওয়ানের হত্যার প্রত্যাঘাত হিসেবে পাক-অধিকৃত কাশ্মীরে ঢুকে বালাকোটে গজিয়ে ওঠা জয়েশ-ই-মহম্মদ গোষ্ঠীর তিনটি জঙ্গি শিবিরে মুহুর্মুহু বোমাবর্ষণ করে ভারতীয় বায়ুসেনার মিরাজ যুদ্ধবিমানগুলি। সেই অভিযানে পাকিস্তান কিছু বুঝে ওঠার আগেই খতম হয়েছিল ৩২৫ জঙ্গি। ওই হামলার ফলে, পাকিস্তানের মুখ পুড়েছিল। সেই কারণে, ভারতের প্রত্যাঘাত (Pahalgam Attack) অনিবার্য ধরে নিয়ে এখন থেকেই নজরদারি শুরু করেছে পাক বায়ুসেনা। কিন্তু, পাকিস্তান বুঝতে পারছে না, ভারত কীভাবে, কখন ও কোথায় হামলা করবে। এই নিয়ে প্রবল আশঙ্কা ও আতঙ্কের মধ্যে রয়েছে পাক সেনা ও সেদেশের গুপ্তচর সংস্থা আইএসআই। পাকিস্তানের আরও একটি বড় সমস্যা হল আন্তর্জাতিক সম্পর্ক। পহেলগাঁও হামলার (Pahalgam Attack) জেরে ভারতের পাশে দাঁড়িয়েছে বিশ্বের তাবড় তাবড় দেশগুলি। শুধু পাশে থেকে সমবেদনা জানানোই নয়, সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে ভারতকে পূর্ণ সমর্থনের আশ্বাসও দিয়ে রেখেছে তারা। সেই তালিকায় রয়েছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র থেকে শুরু করে ফ্রান্স, সৌদি আরব (যে দেশে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি থাকাকালীন হামলা হয়) থেকে শুরু করে ইজরায়েল। ফলে, ভারত প্রত্যাঘাত করলেও, কেউ তার বিরুদ্ধাচরণ করবে না (Pakistan On High Alert)।

    ‘‘ইজরায়েলের মতোই প্রতিক্রিয়া হওয়া উচিত’’

    এদিকে, ভারতে বাড়ছে ক্ষোভের আগুন। জনমানসে জমছে প্রত্যাঘাতের দাবি। জম্মু ও কাশ্মীর পুলিশের প্রাক্তন ডিজি এসপি বৈদ বুধবার পহেলগাঁও হামলাকে ‘‘ভারতের জন্য পুলওয়ামার দ্বিতীয় মুহূর্ত’’ বলে অভিহিত করেছেন। এসপি বৈদের মতে, এটি একটি সুপরিকল্পিত আক্রমণ ছিল এবং তিনি এও দাবি করেছেন যে, হামলাকারীরা আসলে পাকিস্তান স্পেশাল সার্ভিস গ্রুপ-এর (এসএসজি) কমান্ডো ছিল।’’ তিনি বলেন, ‘‘আমি বিশ্বাস করি যে এটি ভারতের জন্য পুলওয়ামার দ্বিতীয় মুহূর্ত। এটি কোনও কাকতালীয় ঘটনা নয়। এটি একটি সুপরিকল্পিত আক্রমণ (Pahalgam Attack)। আমি আগেও বলেছি, এরা সন্ত্রাসীদের পোশাক পরে পাকিস্তানি এসএসজি কমান্ডো।’’ এখানেই থেমে থাকেননি বৈদ। হামলার নেপথ্যে পাক সেনাপ্রধানের সাম্প্রতিক উসকানিমূলক মন্তব্যকেও দায়ী করেন তিনি। একইসঙ্গে জানান, এর জবাব দিতে হবে ইজরায়েলের ঢঙে। তিনি বলেন, ‘‘কয়েকদিন আগে, পাকিস্তানের সেনাপ্রধান আসিম মুনির একটি বিবৃতি দিয়েছিলেন। তার সঙ্গে এই হামলার ধরন মিলে যাচ্ছে। আসিম মুনির ‘জিহাদের’ ভাষা ব্যবহার করছেন, আক্রমণটিও একইভাবে করা হয়েছে। হামাসের হামলার পর ইজরায়েল যা করেছিল তার মতোই প্রতিক্রিয়া হওয়া উচিত। উপযুক্ত প্রতিক্রিয়া হওয়া উচিত।’’

  • China Visa: পাশে চাই ভারতকে! তাই কি ৮৫ হাজার ভারতীয়কে ভিসা চিনের?

    China Visa: পাশে চাই ভারতকে! তাই কি ৮৫ হাজার ভারতীয়কে ভিসা চিনের?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শুল্ক যুদ্ধে আমেরিকার সঙ্গে লড়াইতে ভারতকে পাশে পেতে চাইছে চিন (China Visa)। তার জেরে আপাতত ভারত-চিন সম্পর্কে উন্নতি হয়েছে (Trump Tariff Threats)। প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখা আগের চেয়ে এখন ঢের বেশি শান্ত। এহেন আবহে বেজিং বারবার ভারতের দিকে বাড়িয়ে দিচ্ছে বন্ধুত্বের হাত। ভারত-চিন সম্পর্কের কী উন্নতি হয়েছে তা জানাতে গিয়ে চিনা রাষ্ট্রদূত জু ফেইহং জানান, চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে এখনও পর্যন্ত ৮৫ হাজার ভারতীয়কে ভিসা দিয়েছে শি জিনপিংয়ের দেশ। তিনি জানান, ৯ এপ্রিল পর্যন্ত ভারতে অবস্থিত চিনা দূতাবাস ও উপদূতাবাস চিনে যাওয়ার জন্য ৮৫ হাজারেরও বেশি ভারতীয়কে ভিসা দিয়েছে। শুধু তাই নয়, ভারতীয়রা যাতে আরও বেশি করে চিন ভ্রমণ করেন, সেই আহ্বানও জানানো হয়েছে।

    ভিসা নিয়ম শিথিল (China Visa)

    ভারত ও চিনের মধ্যে সফর অনায়াস করতে ইতিমধ্যেই বেশ কয়েকটি পদক্ষেপ করেছে বেজিং। শিথিল করা হয়েছে বেশ কয়েকটি নিয়মও। আগে চিনে যাওয়ার জন্য ভিসার আবেদন করতে গেলে আগে থেকে অনলাইনে সময় নিতে হত। এখন আর তা করতে হয় না। সরাসরি ভিসা কেন্দ্রে গিয়ে আবেদন করতে পারেন ভারতীয় নাগরিকরা। ভিসা দ্রুত মঞ্জুর করার বিষয়টির ওপরও জোর দিয়েছে শি জিনপিংয়ের দেশ।

    দিল্লিকে পাশে চাইছে বেজিং

    মূলত প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির উদ্যোগেই বদলাতে শুরু করেছে ভারত ও চিনের মধ্যে কূটনৈতিক সম্পর্ক (China Visa)। তিক্ততা ভুলে দুই দেশই ক্রমশ কাছাকাছি আসতে চাইছে। সম্প্রতি ট্রাম্প বিশ্বের বিভিন্ন দেশের পণ্যের ওপর শুল্কহার বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন। চিনের ক্ষেত্রে এই হার ছিল অত্যধিক চড়া। এ নিয়ে শুরু হয় চিন আমেরিকা শুল্ক যুদ্ধ। শুল্ক হার নিয়ে তামাম বিশ্ব তোলপাড় হওয়ায় তিন মাসের জন্য শুল্ক আরোপের সিদ্ধান্ত স্থগিত রেখেছে ট্রাম্প প্রশাসন। তবে এই তালিকায় নেই চিন। উল্টে চিনা পণ্যের ওপর চাপানো হয়েছে আরও চড়া শুল্ক হার। চিন-মার্কিন শুল্ক যুদ্ধ যখন তুঙ্গে, তখন ক্রমশই চিন বেশি করে ঝুঁকছে ভারতের দিকে। চিনের একাধিক কর্তার মতে, ক্ষমতার রাজনীতি ও আধিপত্যবাদের বিরুদ্ধে নেতৃত্ব দিতে হবে চিন ও ভারতকেই (Trump Tariff Threats)।

    দুঃসময়ে যে ‘হাতি’কে বড্ড বেশি প্রয়োজন ‘ড্রাগনে’র (China Visa)!

LinkedIn
Share