Author: user

  • Cough and cold: ঋতু পরিবর্তনে বাতাসে ভাইরাসের দাপট! দীপাবলির পরেই সর্দি-কাশিতে নাজেহাল বঙ্গবাসী

    Cough and cold: ঋতু পরিবর্তনে বাতাসে ভাইরাসের দাপট! দীপাবলির পরেই সর্দি-কাশিতে নাজেহাল বঙ্গবাসী

    তানিয়া বন্দ্যোপাধ্যায় পাল

    আট থেকে আশি, সর্দি-কাশির (Cough and cold) দাপটে নাজেহাল বঙ্গবাসী! কদিন আগেই সকলে দীপাবলির উৎসবে মেতেছিলেন। চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, ঠিক তার পরেই কাশির দাপটে নাজেহাল অনেকেই। সঙ্গে নাক দিয়ে জল ঝরা, সর্দি ইত্যাদি। বিভিন্ন বয়সের মানুষ বেশি করে গলার নানান সংক্রমণের শিকার। অ্যালার্জির সমস্যাও বেড়েছে। তার সঙ্গে দেখা দিচ্ছে ফুসফুসের একাধিক সমস্যা। বক্ষঃরোগ বিশেষজ্ঞদের একাংশ জানাচ্ছেন, চলতি সপ্তাহে নানান সংক্রমণে আক্রান্তদের সংখ্যা বাড়ছে। তার মধ্যে বয়স্ক এবং শিশুদের সংখ্যা বেশি। তার মধ্যে আবার হাঁপানি রোগীদের সমস্যা বাড়তি উদ্বেগের কারণ হয়ে উঠছে।

    কেন বাড়ছে ভোগান্তি? (Cough and cold)

    বিশেষজ্ঞদের একাংশ জানাচ্ছেন, বাতাসে ধূলিকণার পরিমাণ অনেকটাই বেড়ে গিয়েছে। বাতাসে বেড়েছে কার্বন ডাই অক্সাইড, কার্বন মনো অক্সাইডের মতো একাধিক বিষাক্ত উপাদান। বিশেষত কলকাতা, হাওড়া, উত্তর চব্বিশ পরগনা, হুগলি, নদিয়া জেলায় বাতাস পরীক্ষা করে দেখা গিয়েছে, সেখানে এই দূষিত উপাদানের পরিমাণ অনেকটাই বেড়ে গিয়েছে। এর জেরেই ফুসফুসের রোগের ঝুঁকি বাড়ছে। তাঁরা জানাচ্ছেন, কাশি (Cough and cold) আসলে বিভিন্ন ধরনের অ্যালার্জি থেকে হচ্ছে। আপার রেসপিরেটরি ট্র্যাকে ইনফেকশন কিংবা ফুসফুসের সংক্রমণের জেরেই উপসর্গ হিসেবে কাশি দেখা যাচ্ছে। আর এই দূষিত উপাদান হঠাৎ বেড়ে যাওয়ার অন্যতম কারণ বাজিকেই মনে করছেন সংশ্লিষ্ট মহল। তাঁরা জানাচ্ছেন, কালীপুজোর আগের রাত থেকেই শহর থেকে জেলা-সর্বত্র বাজির দাপট দেখা গিয়েছে। আকাশ জুড়ে আতসবাজির ধোঁয়া দেখা গিয়েছে। সাদা ধোঁয়ায় ঢেকে গিয়েছিল রাতের আকাশ। আর ওই বিষাক্ত ধোঁয়ার জেরেই বাতাসে কার্বন ডাই অক্সাইড, কার্বন মনো অক্সাইডের পরিমাণ হঠাৎ করেই অনেকটা বেড়ে গিয়েছে। কমে গিয়েছে অক্সিজেন! ফলে হাঁপানি বা অ্যাজমা আক্রান্তদের ভোগান্তি বেড়েছে। ক্রনিক পালমোনারি ডিজিজে আক্রান্তদেরও বিপদ বাড়ছে। বিশেষজ্ঞদের একাংশ জানাচ্ছেন, রাজ্য জুড়ে প্রয়োজনের তুলনায় সবুজায়ন যথেষ্ট নয়। বিশেষত কলকাতার মতো বড় শহরে গাছের সংখ্যা একেবারেই পর্যাপ্ত নয়। তার উপরে এই চরম অসচেতনতা বিপত্তি বাড়াচ্ছে।

    কোন বিপদের আশঙ্কা করছেন চিকিৎসক মহল? (Change of season)

    চিকিৎসকদের একাংশের আশঙ্কা, বিপদ (Cough and cold) আরও বাড়বে। তাঁরা জানাচ্ছেন, শীতের শুরুতে আবহাওয়ার অনেকটাই পরিবর্তন হয়। একদিকে ঋতু পরিবর্তনের জেরে বাতাসে ভাইরাসের দাপট বাড়ে‌। তাই এই সময়ে ভাইরাস ঘটিত অসুখে আক্রান্তের সংখ্যাও বাড়ে‌। আবার বাতাসে ধূলিকণার পরিমাণ এই সময়ে বাড়ে। তাই ফুসফুস ঘটিত নানান সংক্রমণের ঝুঁকি বাড়ে। কিন্তু তার সঙ্গে যুক্ত হচ্ছে বায়ুদূষণ। যার জেরে ভোগান্তি আরও বাড়তে পারে বলেই আশঙ্কা করছেন চিকিৎসকদের একাংশ। তাঁরা জানাচ্ছেন, শিশুদের ভোগান্তি বাড়বে‌। তাঁদের আশঙ্কা, আরও বেশি সংখ্যক শিশু হাঁপানিতে আক্রান্ত হতে পারে। পাশপাশি ফুসফুসের কার্যকারিতা কমতে পারে। ফলে প্রবীণ নাগরিকদের আরও ভোগান্তি বাড়তে পারে বলেও আশঙ্কা প্রকাশ করছেন চিকিৎসকদের একাংশ (Change of season)।

     

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না। এখানে বলা যে কোনও উপদেশ পালন করার আগে অবশ্যই কোনও চিকিৎসক বা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Daily Horoscope 11 November 2024: পারিবারিক ভ্রমণে আনন্দ লাভ করবেন এই রাশির জাতকরা

    Daily Horoscope 11 November 2024: পারিবারিক ভ্রমণে আনন্দ লাভ করবেন এই রাশির জাতকরা

    চাকরি থেকে ব্যবসা, বন্ধু থেকে ব্যক্তিগত জীবন, ভ্রমণ থেকে স্বাস্থ্য—কী বলছে ভাগ্যরেখা? কেমন কাটতে পারে দিন?

    মেষ

    ১) আপনার কর্মদক্ষতার কারণে জীবিকার স্থানে শত্রু বাড়তে পারে।

    ২) বাড়িতে বদনাম থেকে সবাই খুব সতর্ক থাকুন।

    ৩) দিনটি প্রতিকূল।

    বৃষ

    ১) জমি বা সম্পত্তি ক্রয়-বিক্রয় করার শুভ দিন।

    ২) শেয়ারে বাড়তি লগ্নি চিন্তাবৃদ্ধি ঘটাতে পারে।

    ৩) সতর্ক থাকবেন সব বিষয়ে।

    মিথুন

    ১) সঞ্চয়ের ব্যাপারে বিশেষ নজর দেওয়া উচিত।

    ২) শরীরে বিভিন্ন রোগ সৃষ্টি হতে পারে। 

    ৩) বাণীতে সংযম জরুরি।

    কর্কট

    ১) সন্তানের ব্যবহারে আমূল পরিবর্তন লক্ষ করতে পারবেন।

    ২) শরীরে কোথাও আঘাত লাগার আশঙ্কা রয়েছে।

    ৩) সবাইকে ভালোভাবে কথা বলুন।

    সিংহ

    ১) ব্যবসা বা অন্য কোনও কাজে বাড়তি বিনিয়োগ না করাই শ্রেয়।

    ২) মাথাগরম করার ফলে হাতে আসা কাজ ভেস্তে যাবে।

    ৩) প্রতিকূল কাটবে দিনটি।

    কন্যা

    ১) ব্যবসা গতানুগতিক ভাবেই চলবে।

    ২) ভাই-বোনের কাছ থেকে ভালো সাহায্য পেতে পারেন।

    ৩) দিনটি ভালো-মন্দ মিশিয়ে কাটবে।

    তুলা

    ১) উচ্চশিক্ষার্থীদের সামনে ভালো যোগ রয়েছে।

    ২) পারিবারিক ভ্রমণে আনন্দ লাভ।

    ৩) দিনটি মোটামুটি কাটবে।

    বৃশ্চিক

    ১) অতিরিক্ত দৌড়ঝাঁপ করার ফলে শারীরিক অসুস্থতা দেখা দিতে পারে।

    ২) কোনও অসৎ লোকের জন্য আপনার বদনাম হতে পারে।

    ৩) আশাপূরণ।

    ধনু

    ১) কারও কুপ্রভাবে সংসারে অশান্তি হতে পারে।

    ২) সামাজিক সুনাম বৃদ্ধি বা প্রতিপত্তি বিস্তারের যোগ।

    ৩) ধৈর্য ধরতে হবে।

    মকর

    ১) অবাক করে দেওয়া কোনও সুখবর পেতে পারেন।

    ২) কাউকে টাকা ধার দিলে বিপদ ঘটতে পারে।

    ৩) গুরুজনের পরামর্শ মেনে চলুন।

    কুম্ভ

    ১) সম্পত্তি নিয়ে সমস্যা মিটে যাওয়ায় আনন্দ লাভ।

    ২) সংসারে শান্তি বজায় থাকবে।

    ৩) আশা পূরণ।

    মীন

    ১) আপনার রূঢ় আচরণে বাড়িতে বিবাদ বাধতে পারে।

    ২) ব্যবসায় বিশেষ লাভের শুভ যোগ দেখা যাচ্ছে।

    ৩) ভালো-মন্দ মিশিয়ে কাটবে দিনটি।

     

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • PM Modi: “কংগ্রেস-জেএমএমের ষড়যন্ত্রের বিষয়ে সতর্ক থাকুন”, বার্তা মোদির

    PM Modi: “কংগ্রেস-জেএমএমের ষড়যন্ত্রের বিষয়ে সতর্ক থাকুন”, বার্তা মোদির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “কংগ্রেস-জেএমএমের ষড়যন্ত্র ও দূরভিসন্ধির বিষয়ে সতর্ক থাকুন।” রবিবার ভোটমুখী ঝাড়খণ্ডের বোকারোয় এক নির্বাচনী জনসভায় (Jharkhand Assembly Polls 2024) কথাগুলি বললেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)।

    কী বললেন প্রধানমন্ত্রী (PM Modi)

    তিনি বলেন, “ক্ষমতা দখলের জন্য তারা যে কোনও পর্যায়ে যেতে পারে। স্বাধীনতার পর থেকে কংগ্রেস সবসময়ই এসসি, এসটি এবং ওবিসি ঐক্যের বিরোধী ছিল। যখনই এই ঐক্য ছিল না, কংগ্রেস কেন্দ্রে সরকার গঠন করে দেশকে লুট করেছে।” শনিবার মহারাষ্ট্রের পর এদিন প্রধানমন্ত্রীর মুখে ফের শোনা গেল ‘এক রহেগা তো সেফ রহেগা’ (এক থাকলে নিরাপদে থাকবেন) স্লোগান। তিনি বলেন, “ছোটনাগপুর অঞ্চলে ১২৫টিরও বেশি উপজাতিকে ওবিসি হিসাবে গণ্য করা হয়। কংগ্রেস-জেএমএম ওবিসি একতাকে ভাঙতে চায় এবং উপজাতিগুলিকে একে অপরের বিরুদ্ধে লড়াতে চায়। আমি আপনাদের সতর্ক করছি, এক থাকলে নিরাপদে থাকবেন।”

    আক্রমণ শানিয়েছিলেন শাহও

    শনিবারই ঝাড়খণ্ডে জেএমএম নেতৃত্বাধীন জোট সরকারকে আক্রমণ শানিয়েছিলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। পূর্ব সিংভূম জেলার পোৎকায় এক সমাবেশে তিনি বলেন, “জেএমএম-নেতৃত্বাধীন জোট বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারীদের জন্য লাল গালিচা বিছিয়েছে, যারা ঝাড়খণ্ডে এসে বসতি স্থাপন করে, উপজাতিদের জমি দখল করে, যুবকদের চাকরি কেড়ে নেয় এবং দেশবিরোধী কার্যকলাপে লিপ্ত হয়। বিজেপি সরকার ক্ষমতায় এলে, তাদের বহিষ্কার করা হবে। একটি পাখিকেও সীমান্ত পার হতে দেওয়া হবে না। তার পরেই এদিন শাসক দলের দিকে ধেয়ে এল প্রধানমন্ত্রীর (PM Modi) বিভাজনের রাজনীতি-বাণ। শাহ এমনও অভিযোগ করেছিলেন, কংগ্রেস ও জেএমএম মিথ্যা প্রচার করছে যে অভিন্ন দেওয়ানি বিধি উপজাতিদের অধিকার কেড়ে নেবে। তিনি সাফ জানিয়ে দেন, পদ্ম পার্টি উপজাতিদের অভিন্ন দেওয়ানি বিধির আওতামুক্ত রাখবে।

    আরও পড়ুন: “জম্মু-কাশ্মীর ভারতের অবিচ্ছেদ্য অংশ ছিল, আছে, থাকবেও”, রাষ্ট্রসঙ্ঘে সাফ জানাল ভারত

    ঝাড়খণ্ড বিধানসভার আসন সংখ্যা ৮১। নির্বাচন হবে দুই পর্যায়ে – ১৩ ও ২০ নভেম্বর। উনিশের বিধানসভা নির্বাচনে জেএমএম ৩০টি আসনে জয়ী হয়েছিল। বিজেপি জয়ী হয়েছিল ২৫টি আসনে। ১৬টি আসনে জয়ী হয়েছিল কংগ্রেস। সরকার গড়েছিল জেএমএম-কংগ্রেস জোট। তার আগের বিধানসভা নির্বাচনে এ রাজ্যে (Jharkhand Assembly Polls 2024) পদ্ম ফুটেছিল ৩৭টি আসনে। জেএমএম পেয়েছিল ১৯টি আসন। কংগ্রেস জয়ী হয়েছিল মাত্রই ৬টি আসনে (PM Modi)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  WhatsappFacebookTwitterTelegram এবং Google News পেজ। 

  • Bangladesh Crisis: হাসিনাকে বাংলাদেশে ফেরাতে ইন্টারপোলের দ্বারস্থ হচ্ছে ইউনূস সরকার!

    Bangladesh Crisis: হাসিনাকে বাংলাদেশে ফেরাতে ইন্টারপোলের দ্বারস্থ হচ্ছে ইউনূস সরকার!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বাংলাদেশের (Bangladesh Crisis) প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে (Sheikh Hasina) দেশে ফেরাতে ইন্টারপোলের দ্বারস্থ হওয়ার কথা ভাবছে মহম্মদ ইউনূসের সরকার। রবিবার এ কথা জানান বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের আইনি উপদেষ্টা আসিফ নজরুল। তিনি অবশ্য সরাসরি হাসিনার নাম উল্লেখ করেননি।

    রেড কর্নার নোটিশ (Bangladesh Crisis)

    আসিফ বলেন, “জুলাই-অগাস্ট মাসে গণহত্যা চালিয়ে যাঁরা পালিয়ে গিয়েছেন, তাঁদের ধরতে আমরা শীঘ্রই ইন্টারপোলের মাধ্যমে রেড নোটিশ জারি করতে যাচ্ছি। এটি খুব দ্রুত হবে। তাঁরা যেখানেই থাকুন না কেন, আমরা তাঁদের গ্রেফতার করে বাংলাদেশে নিয়ে আসতে সর্বোচ্চ পদক্ষেপ করব।” কাউকে খুঁজে পেতে ইন্টারপোলের মাধ্যমে নোটিশ জারি করার অর্থ হল, ইন্টারপোলের সদস্য প্রতিটি রাষ্ট্রকে সতর্ক করে দেওয়া।

    ইন্টারপোলের সাত রংয়ের নোটিশ

    ইন্টারপোলের সাত রংয়ের নোটিশ রয়েছে-লাল, নীল, হলুদ, কালো, সবুজ, কমলা এবং বেগুনি। এক এক রংয়ের নোটিশের এক এক রকম অর্থ। পলাতক কোনও অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে দেশে ফেরাতে রেড কর্নার নোটিশ জারি করা হয়। রেড কর্নার নোটিশ জারি হলে সদস্য রাষ্ট্রগুলির তদন্তকারী সংস্থা নিজ নিজ দেশে অভিযুক্তের খোঁজ চালায়।সংরক্ষণকে কেন্দ্র করে অশান্তির জেরে উত্তাল হয়ে ওঠে বাংলাদেশ। তার জেরে ৫ অগাস্ট প্রধানমন্ত্রী পদে ইস্তফা দিয়ে দেশ ছাড়েন হাসিনা (Bangladesh Crisis)।

    আরও পড়ুন: গাজায় লাগাতার বোমাবর্ষণ ইজরেয়েলি বায়ুসেনার, ১৩ শিশু-সহ মৃত ৩০! উদ্বেগ মধ্যপ্রাচ্যে

    তার পর থেকে বাংলাদেশের বিভিন্ন থানায় হাসিনার বিরুদ্ধে অন্তত ২৩৩টি ফৌজদারি মামলা দায়ের হয়েছে। এর মধ্যে ১৯৮টি ক্ষেত্রে দায়ের হয়েছে খুনের অভিযোগ। হাসিনা-সহ ১৪৩ জনের বিরুদ্ধে আগেই গ্রেফতারি পরওয়ানা জারি করেছিল বাংলাদেশের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইবুনাল। গ্রেফতারি পরওয়ানা জারি হয় ১৭ অক্টোবর। তারপর থেকে হাসিনাকে দেশে ফেরাতে সেই অর্থে কড়া কোনও পদক্ষেপ করেনি সে দেশের (Bangladesh Crisis) অন্তর্বর্তী সরকার। এবার ইন্টারপোলের দ্বারস্থ হতে চলেছে ইউনূস সরকার।

    অক্টোবর মাসে এক সাক্ষাৎকারে ইউনূস সরকারের প্রধান উপদেষ্টা বলেছিলেন, “হাসিনার বিরুদ্ধে মানবতা বিরোধী অপরাধের অভিযোগ রয়েছে। আদালতের রায় ঘোষণা হলে আমরা ভারতের সঙ্গে অপরাধী প্রত্যর্পণ চুক্তি অনুসারে তাঁকে দেশে ফেরানোর চেষ্টা করব।” তবে আদালতের রায়ের আগে এ ধরনের কোনও পদক্ষেপ করা হবে না বলেও (Sheikh Hasina) ওই সাক্ষাৎকারে জানিয়েছিলেন (Bangladesh Crisis) ইউনূস।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  WhatsappFacebookTwitterTelegram এবং Google News পেজ।

     
     
  • Israel: গাজায় লাগাতার বোমাবর্ষণ ইজরেয়েলি বায়ুসেনার, ১৩ শিশু-সহ মৃত ৩০! উদ্বেগ মধ্যপ্রাচ্যে

    Israel: গাজায় লাগাতার বোমাবর্ষণ ইজরেয়েলি বায়ুসেনার, ১৩ শিশু-সহ মৃত ৩০! উদ্বেগ মধ্যপ্রাচ্যে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রবিবার সকাল থেকে গাজায় লাগাতার বোমাবর্ষণ ইজরেয়েলি (Israel) বায়ুসেনার। এখনও পর্যন্ত জাবালিয়া অঞ্চলে ১৩ জন শিশু-সহ মৃত ৩০। খোঁজ মিলছে না বহু মানুষের। গাজা (Gaza) প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, কেবল উত্তর গাজাই নয়, পূর্ব এবং দক্ষিণ গাজাতেও হামলা জারি রেখেছে ইজরায়েল। এই এলাকার তাফায় স্কুলকে লক্ষ্য করে হামলা চালানোর অভিযোগ উঠেছে। ব্যাহত হচ্ছে উদ্ধারকাজ। ঘটনায় ব্যাপক উদ্বেগ তৈরি হয়েছে মধ্যপ্রাচ্যে।

    উদ্ধারের জন্য পৌঁছানো যাচ্ছে না (Israel)

    জানা গিয়েছে ইজরায়েলের (Israel) বিমান হামলার পাশাপাশি উত্তর গাজার (Gaza) বিভিন্ন এলাকায় বাড়িতে বাড়িতে ঢুকে তল্লাশি অভিযানে নেমেছে ইহুদি সেনা। গাজা প্রশাসনের উদ্ধারকারী বাহিনীর দাবি, বোমার আঘাতে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকার পরিবারগুলির কাছে সাহায্য বা উদ্ধারের জন্য পৌঁছানো যাচ্ছে না। প্রচুর বাড়ি-ঘর কার্যত ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে। মৃত্যুর সংখ্যা প্রত্যেকদিন বেড়ে চলেছে। সূত্রে আরও জানা গিয়েছে, শনিবারও দুটি পৃথক হামলার ঘটনায় শিশু এবং মহিলা-সহ ১৩ জনের দেহাবশেষ উদ্ধার হয়েছে। কিন্তু এই ঘটনার পরপর রবিবার ভোর থেকেই ফের ইজরায়েলি বায়ুসেনা নতুন করে হামলার ধারা অব্যাহত রেখে চলেছে। খান ইউনিসে একটি আশ্রয় শিবিরেও হামলা চালানো হয়েছে বলে অভিযোগ ইহুদি বাহিনীর বিরুদ্ধে।

    হামাস গোপন ডেরা বানিয়ে রেখেছে

    আবার ইজরায়েলি (Israel) সেনা সূত্রে জানা গিয়েছে, এবার টার্গেট করা হয়েছে জাবালিয়াকে। ওই এলাকায় হামাস জঙ্গিরা গোপন ডেরা বানিয়ে রেখে নাশকতামূলক কাজ চালিয়ে যাচ্ছিল। সঠিক খবর মিলতেই গাজার (Gaza) জাবালিয়াতে আক্রমণ শুরু করে বায়ু সেনা। তবে উত্তর গাজায় কোনও রকম ভাবেই উদ্ধারকারী বাহিনী কাজ চালাতে পারছে না। উদ্ধারকারী বাহিনীদের বক্তব্য, লাগাতার আক্রমণের ফলে উদ্ধারকাজ বাধাপ্রাপ্ত হচ্ছে। তবে এই হামলা শুধু উত্তর গাজাতেই নয়, পূর্ব এবং দক্ষিণ গাজাতেও হামলা জারি রাখা হয়েছে।

    আরও পড়ুনঃ মন্দিরে হামলা, সিসিটিভি ফুটেজ দেখে খালিস্তানপন্থী দুষ্কৃতীকে গ্রেফতার করল কানাডা পুলিশ

    আলোচনা চালানো সম্ভব নয়

    উল্লেখ্য ইজরায়েল (Israel) এবং গাজার (Gaza) মধ্যে সংঘর্ষবিরতি নিয়ে আলোচনা হওয়ার কথা ছিল কাতারে। কিন্তু আলোচনার মাধ্যমে সংঘর্ষ থামাতে কোনও রকম সদিচ্ছা দেখা যায়নি উভয় পক্ষের। ১০ দিন আগেই দু’পক্ষকে বৈঠকে বসার আহ্বান জানানো হয়েছিল কাতারের পক্ষ থেকে। কিন্তু আপাতত সেই দিকে কোনও সদর্থক মনোভাবের প্রকাশ দেখা যাচ্ছে না। তবে কাতারের পক্ষ থেকে একটি বিবৃতি দিয়ে বলা হয়েছে, “উভয় পক্ষ যদি সংঘর্ষ থামাতে সদিচ্ছা প্রকাশ না করে, তাহলে আলোচনা চালানো সম্ভব নয়।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Dedicated Railway Test Track: বিশ্বের সব চেয়ে লম্বা! রাজস্থানে তৈরি হচ্ছে ভারতের প্রথম “ডেডিকেটেড রেলওয়ে টেস্ট ট্র্যাক’

    Dedicated Railway Test Track: বিশ্বের সব চেয়ে লম্বা! রাজস্থানে তৈরি হচ্ছে ভারতের প্রথম “ডেডিকেটেড রেলওয়ে টেস্ট ট্র্যাক’

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারতের প্রথম ডেডিকেটেড রেলওয়ে টেস্ট ট্র্যাক (Dedicated Railway Test Track) তৈরি হচ্ছে রাজস্থানে। ৬০ কিলোমিটার দীর্ঘ এই টেস্ট ট্র্যাকটি আকারে সম্পূর্ণ সোজা নয়, থাকছে অনেকগুলি বাঁক। আগামী নতুন বছর শেষ হওয়ার আগেই সম্পন্ন হবে এই ট্র্যাকের কাজ। রেলের বিভিন্ন ধরনের পরীক্ষা-নিরীক্ষা চালানো হবে এই ট্র্যাকের ওপর। ফলে ভবিষ্যৎ সুরক্ষা এবং দুর্ঘটনা প্রতিরোধে এটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।

    টেস্ট ট্র্যাকে একাধিক বাঁক (Dedicated Railway Test Track)

    মূলত রোলিং স্টক পরীক্ষার জন্যই এই জাতীয় টেস্ট ট্র্যাক তৈরি করা হয়। ট্র্যাকের কয়েকটি জায়গায় রয়েছে বাঁক। এসব বাঁক রাখার অর্থ, গতি না কমিয়ে বাঁকা ট্র্যাকের ওপর দিয়ে ট্রেন কীভাবে যায়, তা পরীক্ষা করা। এই ট্র্যাকের কাজ শেষ হলে তার ওপর ঘণ্টা প্রতি ২৩০ কিলোমিটার বেগে চলে এমন ট্রেনের গতি পরীক্ষা করা হবে। রেল সূত্রে খবর, ৬০ কিমি দীর্ঘ এই ট্র্যাক কেবল ভারত নয়, বিশ্বের সব চেয়ে লম্বা ডেডিকেটেড টেস্ট ট্র্যাক হতে চলেছে। ট্র্যাকটি তৈরির প্রকল্প ব্যয় ৮২০ কোটি টাকা। ট্র্যাকটি তৈরি হবে দুটি পর্যায়ে। থাকবে অত্যাধুনিক সিগন্যাল-সহ সব বিষয়ের অত্যাধুনিক প্রযুক্তির ব্যবহার।

    কী কী রয়েছে ট্র্যাকে

    ৬০ কিলোমিটার দীর্ঘ এই ট্র্যাকে রয়েছে সাতটি বড় সেতু, ১২৯টি ছোট সেতু এবং চারটি স্টেশন। এই স্টেশনগুলি হল, গুঢ়া, জবদিনগর, নাওয়ান এবং মিঠাদি। প্রকল্পের আওতায় ২৭ কিমি রাস্তার কাজ সম্পন্ন হয়েছে। পুরো কাজ ২০২৫ সালের ডিসেম্বরের মধ্যে শেষ করার লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়েছে। উচ্চগতির রোলিং স্টক এবং অন্যান্য সামগ্রীর ব্যাপক পরীক্ষার সুবিধাগুলোও এই প্রকল্পের আওতায় তৈরি করা হচ্ছে। এর মধ্যে গতি পরীক্ষা, স্থিতিশীলতা, সুরক্ষা, দুর্ঘটনা প্রতিরোধ ক্ষমতা, রোলিং স্টকের গুণমান ইত্যাদি অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। এই নির্দিষ্ট পরীক্ষা ট্র্যাকের উপাদান, সেতু, টিআরডি সরঞ্জাম, সিগন্যালিং যন্ত্রপাতি এবং ভূ-প্রযুক্তিগত স্টাডিও অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। ট্র্যাকের (Dedicated Railway Test Track) ওপর বিভিন্ন কাঠামো যেমন সেতু, আন্ডার ব্রিজ এবং ওভার ব্রিজ নির্মাণ করা হয়েছে।

    আরও পড়ুন: “প্রকাশিত ‘সঙ্কল্পপত্র’ মহারাষ্ট্রের জনগণের আকাঙ্ক্ষার প্রতিফলন”, বললেন শাহ

    নাওয়া স্টেশনে একটি দ্রুত পরীক্ষা লুপ ৩ কিলোমিটার এবং মিঠাদিতে একটি ২০ কিলোমিটারের বাঁকানো পরীক্ষা লুপ তৈরি করা হয়েছে। এই লুপগুলো বিভিন্ন ডিগ্রির বাঁকে তৈরি করা হয়েছে। খারাপ ট্র্যাকে ট্রেন কাঁপতে ও ঝাঁকুনি দিতে শুরু করে। যদি ট্র্যাক ক্ষতিগ্রস্ত হয়, তবে সেই অবস্থায় ট্রেনের গতি কী হওয়া উচিত এবং তার প্রভাব কী হবে তা পরীক্ষা করা হবে (Dedicated Railway Test Track)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  WhatsappFacebookTwitterTelegram এবং Google News পেজ।

  • Jammu and Kashmir: সকাল থেকে উত্তপ্ত কাশ্মীর, জঙ্গিদের সঙ্গে গুলির লড়াই, কিস্তওয়ারে জখম তিন জওয়ান

    Jammu and Kashmir: সকাল থেকে উত্তপ্ত কাশ্মীর, জঙ্গিদের সঙ্গে গুলির লড়াই, কিস্তওয়ারে জখম তিন জওয়ান

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রবিবার সকাল থেকেই গুলির লড়াইয়ে উত্তপ্ত কাশ্মীর (Jammu and Kashmir)। জঙ্গিদের সঙ্গে গুলির লড়াইয়ে জখম হয়েছেন তিনজন ভারতীয় জওয়ান। জানা গিয়েছে, তাঁদের উদ্ধার করা হয়েছে। বেশ কয়েকজন জঙ্গির সন্ধানে এখনও (প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত) সন্ধান চালাচ্ছেন নিরাপত্তা আধিকারিকরা (Kashmir Fresh Encounter)। রবিবার সকাল থেকেই কিস্তওয়ারের জঙ্গলাকীর্ণ চাস এলাকায় ও শ্রীনগরের হারওয়ান অঞ্চলে অভিযানে নামে সেনা। শুরু হয় গুলির লড়াই।

    কিস্তওয়ারে সেনা অভিযান, জখম ৩ জওয়ান

    কিস্তওয়ারের জঙ্গলাকীর্ণ চাস এলাকায় রবিবার সাত সকালে অভিযান শুরু করেন ভারতীয় জওয়ানরা (Jammu and Kashmir)। প্রসঙ্গত, দুদিন আগেই গত ৮ নভেম্বর এই এলাকাতে দু’জন গ্রামসুরক্ষা জওয়ানকে (ভিলেজ ডিফেন্স গার্ড) খুন করা হয়েছিল। ওই খুনে অভিযুক্ত জঙ্গিরা জঙ্গলে লুকিয়ে রয়েছে, খবর পেয়েই অভিযানে নামে সেনা। জঙ্গিদের সঙ্গে নিরাপত্তা বাহিনীর গুলির লড়াই শুরু হয়। সেখানেই জঙ্গিদের ছোড়া গুলিতে তিন জওয়ান জখম হন।

    অভিযান শ্রীনগরেও (Jammu and Kashmir) 

    রবিবার সকালে শ্রীনগরের হারওয়ান এলাকাতেও সংঘর্ষ শুরু হয়। ওই এলাকায় কয়েক জন জঙ্গি গা ঢাকা দিয়ে আছে বলে গোপন সূত্রে জানতে পেরেছিল নিরাপত্তা বাহিনী। তারপরেই শুরু করা হয় অভিযান। যদিও সেখানে কোনও হতাহতের খবর এখনও পাওয়া যায়নি (প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত)।

    শনিবার বারামুলায় সেনা অভিযানে হত ১ জঙ্গি 

    গতকাল শনিবারই পুলিশ এবং নিরাপত্তা বাহিনীর যৌথ অভিযানে বারামুলায় এক জঙ্গি নিহত হয়। সন্ধ্যায় বারামুলার (Jammu and Kashmir) সোপোরে এলাকায় হানা দিয়েছিল জম্মু ও কাশ্মীর পুলিশ এবং নিরাপত্তা বাহিনীর যৌথ দল। রাতে জঙ্গিদের সঙ্গে বেশ কিছুক্ষণ গুলির লড়াই চলে, সেখানেই গুলিতে এক জঙ্গির মৃত্যু হয়েছে বলে জানিয়েছে কাশ্মীর পুলিশ। কাশ্মীর পুলিশ সমাজমাধ্যমে এই অভিযান সম্পর্কে লিখেছে, ‘‘বারামুলার রামপোরা সোপোরে এলাকায় জঙ্গিরা ঘাঁটি গেড়েছে বলে আমাদের কাছে খবর এসেছিল। তার ভিত্তিতে শনিবার রাতেই পুলিশ এবং সেনাবাহিনী যৌথ অভিযান চালায় ওই এলাকায়। জঙ্গিদের খোঁজে তল্লাশি চালানো হয়। তাদের সঙ্গে গুলির লড়াইও হয় কিছু ক্ষণ। এক জঙ্গির মৃত্যু হয়েছে নিরাপত্তা বাহিনীর গুলিতে।’’ 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Ramakrishna 189: “অনুরাগ আগে, পরে প্রার্থনা…ডাক দেখি মন ডাকার মতো, কেমন শ্যামা থাকতে পারে”

    Ramakrishna 189: “অনুরাগ আগে, পরে প্রার্থনা…ডাক দেখি মন ডাকার মতো, কেমন শ্যামা থাকতে পারে”

    ভক্তসঙ্গে শ্রীরামকৃষ্ণ

    চতুর্থ পরিচ্ছেদ

    ১৮৮৩, ২২শে এপ্রিল

    শ্রীরামকৃষ্ণ সিঁথির ব্রাহ্মসমাজে ব্রাহ্মভক্তসঙ্গে

    ঠাকুর শ্রীরামকৃষ্ণ (Ramakrishna) শ্রীযুক্ত বেণী পালের সিঁথির বাগানে শুভাগমন করিয়াছেন। আজ সিঁথির ব্রাহ্মসমাজের ষান্মাসিক মহোৎসব। চৈত্র পূর্ণিমা (১০ই বৈশাখ, রবিবার), ২২শে এপ্রিল, ১৮৮৩ খ্রীষ্টাব্দ; বৈকাল বেলা। অনেক ব্রাহ্মভক্ত উপস্থিত; ভক্তেরা ঠাকুরকে ঘিরিয়া দক্ষিণের দালানে বসিলেন। সন্ধ্যার পর আদি সমাজের আচার্য শ্রীযুক্ত বেচারাম উপাসনা করিবেন।

    ব্রাহ্মভক্তেরা ঠাকুরকে মাঝে মাঝে প্রশ্ন করিতেছেন (Kathamrita)।

    ব্রাহ্মভক্ত—মহাশয়, উপায় কি?

    শ্রীরামকৃষ্ণ (Ramakrishna)—উপায় অনুরাগ, অর্থাৎ তাঁকে ভালবাসা। আর প্রার্থনা।

    ব্রাহ্মভক্ত—অনুরাগ না প্রার্থনা।

    শ্রীরামকৃষ্ণ—অনুরাগ আগে, পরে প্রার্থনা।

    “ডাক দেখি মন ডাকার মতো, কেমন শ্যামা থাকতে পারে”—

    শ্রীরামকৃষ্ণ সুর করিয়া এই গানটি গাইলেন (Kathamrita)।

    “আর সর্বদাই তাঁর নামগুণগান-কীর্তন, প্রার্থনা করতে হয়। পুরাতন ঘটি রোজ মাজতে হবে, একবার মাজলে কি হবে? আর বিবেক, বৈরাগ্য, সংসার অনিত্য, এই বোধ।”

    ব্রাহ্মভক্ত ও সংসারত্যাগ—সংসারে নিষ্কামকর্ম 

    ব্রাহ্মভক্ত—সংসারত্যাগ কি ভাল?

    শ্রীরামকৃষ্ণ(Ramakrishna)—সকলের পক্ষে সংসারত্যাগ নয়। যাদের ভোগান্ত হয় নাই তাদের পক্ষে সংসারত্যাগ নয়। দুআনা মদে কি মাতাল হয়?

    ব্রাহ্মভক্ত—তারা তবে সংসার করবে (Kathamrita)?

    শ্রীরামকৃষ্ণ—হাঁ, তারা নিষ্কামকর্ম করবার চেষ্টা করবে। হাতে তেল মেখে কাঁঠাল ভাঙবে। বড় মানুষের বাড়ির দাসী সব কর্ম করে, কিন্তু দেশে মন পড়ে থাকে; এরই নাম নিষ্কামকর্ম। এরই নাম মনে ত্যাগ। তোমরা মনে ত্যাগ করবে। সন্ন্যাসী বাহিরের ত্যাগ আবার মনে ত্যাগ দুইই করবে।

    আরও পড়ুনঃ “ধ্যান করবার সময় তাঁতে মগ্ন হতে হয়, উপর উপর ভাসলে কি জলের নিচে রত্ন পাওয়া যায়?”

    আরও পড়ুনঃ “আবার সেই সমাধি! আবার নিস্পন্দন দেহ, স্তিমিতি লোচন, দেহ স্থির

    আরও পড়ুনঃ দেখিয়াই ঠাকুর উচ্চহাস্য করিয়া ছোকরাদের বলিয়া উঠিলেন, “ওই রে আবার এসেছে”

    আরও পড়ুনঃ “ধ্যান করবার সময় তাঁতে মগ্ন হতে হয়, উপর উপর ভাসলে কি জলের নিচে রত্ন পাওয়া যায়?”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Dakshin Dinajpur: বালুরঘাট-হিলি রেল প্রকল্পের জমিজট না কাটায় চূড়ান্ত হতাশ সুকান্ত, দুষলেন রাজ্যকে

    Dakshin Dinajpur: বালুরঘাট-হিলি রেল প্রকল্পের জমিজট না কাটায় চূড়ান্ত হতাশ সুকান্ত, দুষলেন রাজ্যকে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বালুরঘাট-হিলি (Dakshin Dinajpur) রেল প্রকল্পের জমিজট এখনও না কাটায় হতাশ বালুরঘাটের সাংসদ তথা কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar)। তাঁর অভিযোগ, জেলা প্রশাসন জমি অধিগ্রহণের কাজ শেষ করে পুরো জমি রেলমন্ত্রককে দিতে না পারায় প্রকল্পের কাজ বাস্তবায়িত হচ্ছে না। বাজেট বরাদ্দের টাকা রেল দফতর জেলা প্রশাসনকে হস্তান্তর করেছে বেশ কয়েক মাস আগে। কিন্তু এখনও অর্ধেক জমি অধিগ্রহণ করতে পারেনি রাজ্য প্রশাসন। হতাশ সুকান্তবাবু দ্রুত এই কাজ শেষ করে জেলা প্রশাসনকে রেল দফতরের কাছে জমি হস্তান্তর করার দাবি তুলেছেন। সাংসদ সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar) বলেন, “জেলা প্রশাসন কিছু জমি রেলকে হস্তান্তর করেছে। কিন্তু এখনও পুরোটা হয়নি। কবে এই প্রকল্প বাস্তবায়ন হবে আমি জানি না, আমরা চূড়ান্ত হতাশ।”

    মাত্র ১০ কিমি রেলপথের জমি হস্তান্তর (Dakshin Dinajpur)!

    ২০০৪ সালে বালুরঘাট (Dakshin Dinajpur) পর্যন্ত ট্রেন ব্যবস্থা চালু হওয়ার পরেই আন্তর্জাতিক সীমান্ত হিলি পর্যন্ত রেলপথ সম্প্রসারণের দাবি ওঠে। সেই দাবিকে মান্যতা দিয়ে ইউপিএ সরকার ওই রেলপথের অনুমোদন দিয়ে দেয়। বালুরঘাট থেকে হিলি পর্যন্ত ২৯.৭ কিলোমিটার পথের জন্য ৩৮৬ একর জমি চিহ্নিত করা হয়। দীর্ঘদিন ওই প্রকল্পের কাজ বন্ধ থাকার পর চলতি বছরেই জমি অধিগ্রহণের কাজ শুরু হয়। বেশ কিছু জমিদাতা ইতিমধ্যেই টাকা পেয়ে গিয়েছেন। জমিজট কেটে যাওয়ায় এখনও পর্যন্ত ১০ কিলোমিটার জমি রেলমন্ত্রককে হস্তান্তর করা হয়েছে। কিন্তু বাকি জমি অধিগ্রহণ শেষ করে রেলকে কবে হস্তান্তর করা হবে তা নিয়ে উঠেছে প্রশ্ন।

    বিজেপি সাংসদের বক্তব্য

    বালুরঘাটের (Dakshin Dinajpur) বিজেপি সাংসদ সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar) বলেন, “জেলা প্রশাসন কিছু জমি রেলকে হস্তান্তর করেছে। কিন্তু এখনও পুরোটা হয়নি। রাজ্য সরকার সম্পূর্ণভাবে অসহযোগিতা করছে। এখন কবে এই প্রকল্প বাস্তবায়ন হবে আমি জানি না। আমরা চূড়ান্ত হতাশ।”

    আরও পড়ুনঃ রাজ্যের ৩ কোটি মহিলা কেন পান না লক্ষ্মীর ভাণ্ডার? মুখ্যমন্ত্রীকে প্রশ্ন বিজেপির

    প্রশাসনের বক্তব্য

    দক্ষিণ দিনাজপুরের (Dakshin Dinajpur) জেলাশাসক বিজিন কৃষ্ণা অবশ্য আশার কথা শুনিয়েছেন। তিনি বলেন, “আরও দু-একটি দাগের সমস্যা রয়েছে। আগামী ২০ নভেম্বরের মধ্যে সেই সমস্যা মিটিয়ে নিয়ে প্রথম পর্যায়ের জন্য প্রয়োজনীয় ১৪ কিলোমিটার জমি রেলকে হস্তান্তর করা হবে। নভেম্বর মাসের শেষ বা ডিসেম্বরের প্রথম থেকেই রেললাইন তৈরির কাজ শুরু করতে পারবে রেল দফতর।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • PM Modi: “যাঁরা ঝাড়খণ্ড তৈরিতে বাধা দিয়েছিলেন, তাঁরা রাজ্যের উন্নয়ন করবেন না”, ইন্ডি জোটকে তোপ মোদির

    PM Modi: “যাঁরা ঝাড়খণ্ড তৈরিতে বাধা দিয়েছিলেন, তাঁরা রাজ্যের উন্নয়ন করবেন না”, ইন্ডি জোটকে তোপ মোদির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রবিবারই ঝাড়খণ্ডে (Jharkhand Poll) নির্বাচনী প্রচারে হাজির হন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)। সেখানে বোকারোতে জনসভা করেন তিনি। নির্বাচনী প্রচারসভা থেকে ইন্ডি জোটকে তীব্র আক্রমণ করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। তিনি বলেন, ‘‘যাঁরা ঝাড়খণ্ড তৈরিতে বাধা দিয়েছিলেন, তাঁরা রাজ্যের উন্নয়ন করবেন না’’। তিনি আরও বলেন, ‘‘ এনডিএ-র একটাই মন্ত্র। আমরা ঝাড়খণ্ড তৈরি করেছি, রাজ্যের উন্নয়ন আমরাই করব।’’

    ছোটনাগপুরের মালভূমিও বলছে, রোটি-বেটি-মাটি কি পুকার, বিজেপি সরকার

    তিনি আরও বলেন, ‘‘ঝাড়খণ্ডে (Jharkhand Poll) বিজেপির পক্ষে ঝড় শুরু হয়েছে। ছোটনাগপুরের মালভূমিও বলছে, রোটি-বেটি-মাটি কি পুকার, বিজেপি সরকার।’’ এদিন নিজের বক্তব্যে প্রধানমন্ত্রী (PM Modi) ঝাড়খণ্ডের প্রাক্তন মন্ত্রী আলমগির আলমের উদাহরণ টেনে আনেন। যাঁকে ইডি গ্রেফতার করেছিল। তাঁর বাড়ি থেকে অবৈধভাবে ৩৫ কোটি ২৩ লাখ টাকা উদ্ধার হয়। প্রধানমন্ত্রী এনিয়ে ঝাড়খণ্ড মুক্তি মোর্চার সরকারকে আক্রমণ করেন এবং বলেন, ‘‘রাজ্যের জনগণ যেখানে জীবন-জীবিকার জন্য সংগ্রাম করছেন, সেখানে আলমগির আলমের মতো নেতারা বালি পাচার করে কোটি কোটি টাকা আয় করছেন।’’

    পাঁচ বছরে কোনও পরিষেবাই দেয়নি ঝাড়খণ্ডের সরকার

    নিজের বক্তব্যে প্রধানমন্ত্রী (PM Modi) আরও বলেন, ‘‘বিজেপি সর্বদাই চায় যে দরিদ্ররা ভালো বাড়ি পাক, তাঁদের জন্য ভালো রাস্তা তৈরি হোক। উন্নত শহর এবং গ্রাম তৈরি হোক। বিদ্যুৎ পরিষেবা আসুক। তাঁদের প্রত্যেকের বাড়িতে জলের পরিষেবা পৌঁছে যাক। প্রত্যেকের স্বাস্থ্য পরিষেবা ঠিক থাকুক। তাঁদের সন্তানদেরকে শিক্ষা ব্যবস্থা ঠিক থাকুক। কিন্তু বিগত পাঁচ বছর ধরে এই সমস্ত পরিষেবাগুলি দিতে পারেনি ঝাড়খণ্ডের সরকার।’’ ইন্ডি জোটকে তীব্র আক্রমণ করে প্রধানমন্ত্রী (PM Modi) এদিন বলেন, ‘‘যখন কংগ্রেসের সরকার ছিল ২০০৪ থেকে ২০১৪ সাল পর্যন্ত তারা ঝাড়খণ্ডকে নামমাত্র টাকা দিত উন্নয়নের জন্য। কিন্তু বিজেপি ক্ষমতায় আসার পরে আমরা চারগুণ বরাদ্দ বাড়িয়েছি।’’

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share