Author: user

  • Daily Horoscope 31 october 2024: প্রিয়জনের কাছ থেকে আঘাত পেতে পারেন এই রাশির জাতকরা

    Daily Horoscope 31 october 2024: প্রিয়জনের কাছ থেকে আঘাত পেতে পারেন এই রাশির জাতকরা

    চাকরি থেকে ব্যবসা, বন্ধু থেকে ব্যক্তিগত জীবন, ভ্রমণ থেকে স্বাস্থ্য—কী বলছে ভাগ্যরেখা? কেমন কাটতে পারে দিন?

    মেষ

    ১) স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে মতান্তর সৃষ্টি হতে পারে।

    ২) কাজের জায়গায় কথার ওপর নিয়ন্ত্রণ রাখতে না পারলে ক্ষতি হতে পারে।

    ৩) দিনটি প্রতিকূল।

    বৃষ

    ১) একাধিক পথে আয় বাড়তে পারে।

    ২) ভ্রমণের জন্য বাড়িতে আলোচনা হতে পারে।

    ৩) সতর্ক থাকবেন সব বিষয়ে।

    মিথুন

    ১) আগুন থেকে বিপদের আশঙ্কা।

    ২) সংসারের জন্য অনেক করেও বদনাম হবে।

    ৩) বাণীতে সংযম জরুরি।

    কর্কট

    ১) ব্যবসায় বাড়তি লাভ হতে পারে।

    ২) প্রিয়জনের কাছ থেকে আঘাত পেতে পারেন।

    ৩) সবাইকে ভালোভাবে কথা বলুন।

    সিংহ

    ১) ব্যবসায় দায়িত্ব বাড়তে পারে।

    ২) নেশার প্রতি আসক্তি বৃদ্ধি পেতে পারে।

    ৩) প্রতিকূল কাটবে দিনটি।

    কন্যা

    ১) বন্ধুদের দিক থেকে খারাপ কিছু ঘটতে পারে।

    ২) প্রেমে বিবাদ বাধতে পারে।

    ৩) দিনটি ভালো-মন্দ মিশিয়ে কাটবে।

    তুলা

    ১) ব্যবসায় চাপ বাড়লেও আয় বৃদ্ধি পাবে।

    ২) বুদ্ধির দোষে কোনও কাজ পণ্ড হতে পারে।

    ৩) দিনটি মোটামুটি কাটবে।

    বৃশ্চিক

    ১) কর্মক্ষেত্রে সুনাম বাড়তে পারে।

    ২) ব্যবসায় নিজের বুদ্ধিতেই আয় বাড়বে।

    ৩) আশাপূরণ।

    ধনু

    ১) চাকরির স্থানে উন্নতির সুযোগ পেতে পারেন।

    ২) ব্যবসায় মহাজনের সঙ্গে তর্ক বাধতে পারে।

    ৩) ধৈর্য ধরতে হবে।

    মকর

    ১) দাম্পত্য সম্পর্কে উন্নতির সময়।

    ২) ব্যবসায় বিবাদ থেকে দূরে থাকুন।

    ৩) গুরুজনের পরামর্শ মেনে চলুন।

    কুম্ভ

    ১) বন্ধুদের সঙ্গে বিবাদের যোগ রয়েছে।

    ২) কর্মস্থানে সম্মানহানির সম্ভাবনা।

    ৩) আশা পূরণ।

    মীন

    ১) খেলাধুলায় নাম করার ভাল সুযোগ হাতছাড়া হতে পারে।

    ২) পেটের ব্যথায় কষ্ট পেতে পারেন।

    ৩) ভালো-মন্দ মিশিয়ে কাটবে দিনটি।

     

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Maharashtra: মহারাষ্ট্রে ১৪৮টি আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছে বিজেপি, ঢের পিছিয়ে কংগ্রেস

    Maharashtra: মহারাষ্ট্রে ১৪৮টি আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছে বিজেপি, ঢের পিছিয়ে কংগ্রেস

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মহারাষ্ট্রে (Maharashtra) ১৪৮টি আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছে বিজেপি। কংগ্রেস (Congress) প্রার্থী দিতে পেরেছে মাত্র ১০৩টি আসনে। মঙ্গলবার মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ দিন ছিল। মহারাষ্ট্র বিধানসভার আসন সংখ্যা ২৮৮। সব মিলিয়ে মনোনয়ন দাখিল করেছেন ৮ হাজার প্রার্থী। এর মধ্যে রয়েছে মহায়ুতি এবং বিরোধী মহা বিকাশ আগাড়ি জোটের প্রার্থীরাও।

    করুণ অবস্থা কংগ্রেসের! (Maharashtra)

    মুখ্যমন্ত্রী একনাথ শিন্ডের নেতৃত্বাধীন শিবসেনা মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছে ৮০টি আসনে। উপমুখ্যমন্ত্রী অজিত পাওয়ারের এনসিপির হয়ে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন ৫৩ জন। মহায়ুতি জোটকে দেওয়া হয়েছে পাঁচটি আসন। প্রসঙ্গত, নভেম্বরের ২০ তারিখে একদিনেই নির্বাচন হবে মহারাষ্ট্রের ২৮৮টি আসনে। সব আসনে প্রার্থী দিতে পারেনি কংগ্রেস। মাত্র ১০৩টি আসনে প্রার্থী দিয়েছে রাহুল গান্ধীর দল। উদ্ধব ঠাকরের নেতৃত্বাধীন শিবসেনা প্রার্থী দিয়েছে ৮৯টি আসনে। শারদ পাওয়ারের এনসিপি (এসপি) লড়ছে ৮৭টি আসনে। মহা বিকাশ আগাড়ি জোটকে ছাড়া হয়েছে ৬টি আসন।

    জমা পড়ল রেকর্ড মনোনয়নপত্র

    সব মিলিয়ে মনোনয়ন জমা দিয়েছেন ৭ হাজার ৯৯৫ প্রার্থী। মনোনয়নপত্র জমা পড়েছে ১০ হাজার ৯০৫টি। ২২ অক্টোবর নমিনেশন জমা (Maharashtra) দেওয়া শুরু হয়েছিল। শেষ হল মঙ্গলবার, ২৯ অক্টোবর। বুধবার, ৩০ অক্টোবর হয়েছে মনোনয়নপত্র পরীক্ষা। মনোনয়ন তুলে নেওয়ার শেষ দিন নভেম্বরের ৪ তারিখ, বিকেল ৩টে পর্যন্ত। উনিশের বিধানসভা নির্বাচনে মনোনয়নপত্র জমা পড়েছিল ৫ হাজার ৫৪৩টি। সে বছর লড়াইয়ের ময়দানে ছিলেন ৩ হাজার ২৩৯জন প্রার্থী। এবার নাসিক জেলায় মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন ৩৬১ জন প্রার্থী। মনোনয়নপত্র জমা পড়েছে ৫০৬টি। এর মধ্যে মঙ্গলবারই মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন ২৫৫ জন।

    আরও পড়ুন: দীপোৎসবে মেতেছে উত্তরপ্রদেশের অযোধ্যা, নেপালের জনকপুরও

    বিখ্যাত প্রার্থীদের মধ্যে রয়েছেন মন্ত্রিসভার সদস্য শিবসেনার দাদা ভুসে। তিনি লড়ছেন মালেগাঁও আউটার থেকে। ইয়োল থেকে লড়ছেন এনসিপির ছগন ভুজবল, নন্দগাঁও থেকে লড়ছেন শিবসেনার সোহাস কান্দে, নাসিক পূর্ব থেকে লড়ছেন বিজেপির রাহুল ধিকলে, শিবসেনা ইউবিটির বসন্ত গিতে লড়ছেন নাসিক সেন্ট্রাল থেকে (Congress)। তিনি প্রাক্তন বিধায়ক। দেউলালি থেকে লড়ছেন এনসিপির বিদায়ী বিধায়ক সরোজ আহিরে (Maharashtra)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Deepawali: দীপোৎসবে মেতেছে উত্তরপ্রদেশের অযোধ্যা, নেপালের জনকপুরও

    Deepawali: দীপোৎসবে মেতেছে উত্তরপ্রদেশের অযোধ্যা, নেপালের জনকপুরও

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দীপাবলি (Deepawali) উৎসবে মেতেছে উত্তরপ্রদেশের অযোধ্যা। চলতি বছরই জানুয়ারি মাসের ২২ তারিখে প্রাণপ্রতিষ্ঠা হয়েছে রামলালার। তার পর এবারই দীপাবলি উৎসবে মেতেছে অযোধ্যা। দীপোৎসবে (Deepotsav) মেতেছে রামলালার শ্বশুরবাড়ির দেশ নেপালও। সেখানকার জনকপুরে পালিত হচ্ছে দীপোৎসব। এই জনকপুরই মা সীতার জন্মস্থান বলে হিন্দুদের বিশ্বাস। কেবল দীপোৎসব নয়, উৎসবমুখর পরিবেশে কেনাকাটায়ও মেতেছেন জনকপুরবাসী।

    কী বলছেন অযোধ্যার মহন্ত (Deepawali)

    সংবাদ মাধ্যমে সাক্ষাৎকার দিতে গিয়ে মহন্ত রাম রোশন দাস চলতি বছরের দীপোৎসবের তাৎপর্য ব্যাখ্যা করতে গিয়ে বলেন, “২২ জানুয়ারি রামলালা মন্দিরের প্রাণ প্রতিষ্ঠা হয়েছিল। এটি সারা বিশ্বের হিন্দুদের, সনাতনীদের কাছে একটা স্বপ্ন পূরণের মতো ছিল। যে মন্দিরে রামলালা প্রতিষ্ঠিত, সেখানে প্রথমবারের মতো দীপোৎসব পালিত হতে চলেছে। এটি সাধারণ দীপোৎসব নয়। কারণ কিশোরী (সীতা) ও রামজি দুজনকেই সজ্জিত করা হবে। কিশোরীজির রূপে লক্ষ্মী এবং রামলালার রূপে বিষ্ণুজি। এটি তাঁর নতুন গৃহ নির্মাণের পর প্রথম দীপোৎসব, যা আমাদের কাছে অত্যন্ত গর্ব ও আনন্দের বিষয় (Deepawali)।”

    আরও পড়ুন: ‘‘শেষের শুরু’’! হিজবুল্লার নতুন প্রধান কাশেমকে হুঁশিয়ারি ইজরায়েলের, বার্তা ইরানকেও

    দীপোৎসব রামের শ্বশুরবাড়ির দেশেও

    অযোধ্যার জন্মস্থানে যখন উৎসবের প্রস্তুতি তুঙ্গে, তখন বুধবার সরযূ নদীর তীরে দীপোৎসব উপলক্ষে ২৫ লাখ দীপ প্রজ্জ্বলন করা হয়েছে। দীপাবলি নিয়ে সমানভাবে উৎসাহী জনকপুরের বাসিন্দারাও। দীপাবলি উদযাপনের প্রস্তুতিতে শহরের রাস্তাগুলো আলোকিত করে রাখা হয়েছে। জনকপুরের বাসিন্দা অমর নাথ গুপ্ত বলেন, “অযোধ্যা এবং জনকপুরে রাম মন্দিরের প্রাণ প্রতিষ্ঠার পর প্রথমবারের মতো আমরা দীপাবলি উদযাপন করছি। জনকপুর হল ভগবান রামের শ্বশুরালয়। জনকপুরধামের মানুষদের মধ্যে এবার দীপাবলি নিয়ে প্রবল উচ্ছ্বাস রয়েছে। এই বিশেষ দিনটিকে স্মরণীয় করে (Deepotsav) রাখতে আমরা বিভিন্ন স্থানে রং করার কাজ, নির্মাণ করার কাজ সম্পন্ন করেছি। দীপাবলির দিনে পুরো শহরকে আলোয় ভরিয়ে তোলার পরিকল্পনাও করা হয়েছে। এবারের দীপাবলি সত্যিই এমন কিছু হবে যা সারা জীবনের জন্য মনে থাকবে (Deepawali)।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Assembly Bypoll: নভেম্বরে রাজ্যে ৬ আসনে উপনির্বাচন, ভোটারদের তালিকা প্রকাশ কমিশনের

    Assembly Bypoll: নভেম্বরে রাজ্যে ৬ আসনে উপনির্বাচন, ভোটারদের তালিকা প্রকাশ কমিশনের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আগামী ১৩ নভেম্বর রাজ্যের ছয়টি বিধানসভা আসনে (Assembly Bypoll) উপনির্বাচনের প্রস্তুতি প্রায় শেষের দিকে। সিতাই, মাদারিহাট, নৈহাটি, হাড়োয়া, মেদিনীপুর ও তালড্যাংড়ায় উপনির্বাচন রয়েছে। চলতি মাসের তৃতীয় সপ্তাহেই প্রার্থী তালিকা প্রকাশ করেছে রাজনৈতিক দলগুলি। এবার চূড়ান্ত ভোটার তালিকা প্রকাশ করল নির্বাচন কমিশন। 

    সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য মেদিনীপুর

    বিধাসভা উপনির্বাচনের (Assembly Bypoll) জন্য ইতিমধ্যেই প্রস্তুতি তুঙ্গে বাংলার সমস্ত রাজনৈতিক দলের অন্দরে৷ সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ ভোট করার লক্ষ্যে প্রস্তুতি নিয়েছে নির্বাচন কমিশনও৷ নির্বাচন সম্পর্কে রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকের দফতরে একটি ভার্চুয়াল বৈঠক হয়। সূত্রের খবর, বৈঠকে দেশের মুখ্য নির্বাচন কমিশনার রাজীব কুমার স্পষ্ট জানিয়ে দেন, লোকসভা নির্বাচনের মতো গুরুত্ব সহকারে করাতে হবে উপনির্বাচনও। কেন্দ্রীয় বাহিনী নিয়ে কোনও রকম অভিযোগ বরদাস্ত করা হবে না৷ রাজ্যের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ আসন মেদিনীপুর। এখানে পুরুষ ভোটারের তুলনায় মহিলা ভোটারের সংখ্যা বেশি। এই কেন্দ্রে মোট ভোটার রয়েছে ২ লক্ষ ৯১ হাজার ৭১৪ জন। পুরুষ ভোটার ১ লক্ষ ৪৩ হাজার ৫৭৩ জন ও মহিলা ভোটার ১ লক্ষ ৪৮ হাজার ১৪০ জন। তৃতীয় লিঙ্গের ভোটার রয়েছেন মাত্র একজন। মোট পোলিং স্টেশনের সংখ্যা ৩০৪।

    আরও পড়ুন: সাইবার প্রতারণার নতুন ছক ‘ডিজিটাল অ্যারেস্ট’ রুখতে উচ্চ পর্যায়ের কমিটি গঠন কেন্দ্রের

    কোথায় কত ভোটার

    কমিশনের তথ্য অনুযায়ী, সিতাইয়ে ভোটারের (Final voter List) সংখ্যা ৩ লক্ষ ৫৫ হাজার ৬৫। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার ১ লক্ষ ৫৮ হাজার ৪৭৪ জন। মহিলা ভোটার ১ লক্ষ ৪৭ হাজার ৯১। তৃতীয় লিঙ্গের কোনও ভোটার নেই এই কেন্দ্রে। মোট ৩০০টি পোলিং স্টেশন রয়েছে। মাদারিহাট কেন্দ্রে মোট ভোটার ২ লক্ষ ২০ হাজার ৩৪৩ জন। পুরুষের থেকে মহিলা বেশি এখানে। পুরুষ ভোটারের সংখ্যা ১ লক্ষ ৮ হাজার ৩৬৭ জন ও মহিলা ভোটারের সংখ্যা ১ লক্ষ ১১ হাজার ৯৭০ জন। তৃতীয় লিঙ্গের ৫ জন ভোটার রয়েছেন এই কেন্দ্রে। মোট ২২৬টি পোলিং স্টেশন রয়েছে। বাঁকুড়ার তালড্যাংড়া কেন্দ্রে মোট ভোটার রয়েছে ২ লক্ষ ৪১ হাজার ৪৯৭ জন। যার মধ্যে পুরুষ ভোটার রয়েছে ১ লক্ষ ২২ হাজার ৫০৯ জন ও মহিলা ভোটার ১ লক্ষ ১৮ হাজার ৯৮৮ জন। তৃতীয় লিঙ্গের কোনও ভোটার নেই এই কেন্দ্রে। মোট পোলিং স্টেশন রয়েছে ২৬৪টি। নৈহাটি বিধানসভা কেন্দ্রে মোট ভোটারের সংখ্যা ১ লক্ষ ৯৩ হাজার ৮৩৫ জন। যার মধ্যে পুরুষ ভোটার ৯৬ হাজার ৭৪ জন ও মহিলা ভোটার ৯৭ হাজার ৭৫৩ জন। তৃতীয় লিঙ্গের ভোটার এই কেন্দ্রে রয়েছে ৪ জন। মোট পোলিং স্টেশনের সংখ্যা ২১০টি। উত্তর ২৪ পরগনার হাড়োয়া বিধানসভা কেন্দ্রে মোট ভোটারের সংখ্যা ২ লক্ষ ৬৯ হাজার ১০৩ জন। পুরুষ ভোটার রয়েছে ১ লক্ষ ৩৮ হাজার ৭০৫ জন। মহিলা ভোটার ১ লক্ষ ৩০ হাজার ৩৯৩ জন। তৃতীয় লিঙ্গের ভোটার রয়েছে ৫ জন। এখানে পোলিং স্টেশন রয়েছে ২৭৯টি।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Bangladesh: শুরু হয়ে গেল ভোটের তোড়জোড়, নয়া নির্বাচন কমিশন গড়তে সার্চ কমিটি বাংলাদেশে

    Bangladesh: শুরু হয়ে গেল ভোটের তোড়জোড়, নয়া নির্বাচন কমিশন গড়তে সার্চ কমিটি বাংলাদেশে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নয়া নির্বাচন কমিশন গড়ছে বাংলাদেশের (Bangladesh) অন্তর্বর্তী সরকার। সেজন্য মঙ্গলবার ছয় সদস্যের সার্চ কমিটি গড়ল ইউনূস সরকার। হাসিনা-উত্তর জমানায় (New Election Commission) দায়িত্ব নিয়েই ইউনূস জানিয়েছিলেন, যত দ্রুত সম্ভব জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আয়োজন করবেন। সেই মতো এদিন সার্চ কমিটি গড়ল ইউনূস সরকার।

    আইনি উপদেষ্টার বক্তব্য (Bangladesh)

    ইউনূস সরকারের আইনি উপদেষ্টা আসিফ নজরুল। দিন কয়েক আগে তিনি জানিয়েছিলেন, আগামী বছরের মধ্যে নির্বাচন করা সম্ভব হতে পারে। তাঁর ওই মন্তব্যের পর সরকারের সদিচ্ছা নিয়েই প্রশ্ন উঠতে শুরু করে। এক সাক্ষাৎকারে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল জানিয়েছিলেন, সংস্কার নিয়ে তাঁদের মাথাব্যথা কম। বিএনপি চায় যত দ্রুত সম্ভব নির্বাচনের ব্যবস্থা করা হোক। এই আবহে মঙ্গলবার সার্চ কমিটি গড়ল বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকার।

    সার্চ কমিটি

    ইউনূস সরকারের (Bangladesh) তরফে জানানো হয়েছে, ছয় সদস্যের সার্চ কমিটি নয়া প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও অন্যান্য নির্বাচন কমিশনার নিয়োগের জন্য প্রতিটি পদে দুজন করে ব্যক্তির নাম সুপারিশ করবে। তাঁদের মধ্যে থেকেই প্রতিটি পদের জন্য বেছে নেওয়া হবে একজন করে। সার্চ কমিটিতে সদস্য হিসেবে থাকছেন প্রধান বিচারপতি মনোনীত হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতি একেএম আসাদুজ্জামান এবং রাষ্ট্রপতি মনোনীত দুই বিশিষ্ট নাগরিক।

    আরও পড়ুন: ‘‘শেষের শুরু’’! হিজবুল্লার নতুন প্রধান কাশেমকে হুঁশিয়ারি ইজরায়েলের, বার্তা ইরানকেও

    এঁদের মধ্যে একজন পিএসসির প্রাক্তন চেয়ারপার্সন জিন্নাতুননেসা তাহমিদা বেগম এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অবসরপ্রাপ্ত অধ্যাপক সিআর আরবার। পদাধিকারবলে সার্চ কমিটিতে থাকছেন বাংলাদেশের মহাহিসাব নিরীক্ষক ও নিয়ন্ত্রক মহম্মদ নূরুল ইসলাম ও পিএসসি চেয়ারম্যান মোবাশ্বের মোনেম। এদিন সাংবাদিক বৈঠকে আসিফ বলেন, “ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের যাত্রা শুরু হল। নির্বাচন কমিশন গড়ার উদ্দেশ্যে সার্চ কমিটি গঠন করা হচ্ছে। দ্রুত এ সংক্রান্ত বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হবে।”

    এদিকে, শেখ হাসিনার দল আওয়ামি লীগকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করতে উঠেপড়ে লেগেছিল ইউনূস সরকার। মঙ্গলবার সেই মামলা থেকে সরে আসেন (New Election Commission) বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতারা (Bangladesh)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Ramakrishna 180: “বিষয়ী লোকদের রোখ নাই, হল হল না হল না হল, জলের দরকার হয়েছে কূপ খুঁড়ছে”

    Ramakrishna 180: “বিষয়ী লোকদের রোখ নাই, হল হল না হল না হল, জলের দরকার হয়েছে কূপ খুঁড়ছে”

    শ্রীরামকৃষ্ণ ভক্তসঙ্গে দক্ষিণেশ্বর-মন্দিরে ও বলরাম-মন্দিরে

    অষ্টাদশ পরিচ্ছেদ

    ১৮৮৩, ৮ই এপ্রিল

    শ্রীযুক্ত অধর সেনের দ্বিতীয় দর্শন—গৃহস্থের প্রতি উপদেশ

    শ্রীরামকৃষ্ণ (Ramakrishna) সমাধিস্থ। ছোট খাটটিতে বসিয়া আছেন। ভক্তেরা চতুর্দিকে উপবিষ্ট। শ্রীযুক্ত অধর সেন কয়টি বন্ধুসঙ্গে আসিয়াছেন। অধর ডেপুটি ম্যাজিস্ট্র্রেট। ঠাকুরকে এই দ্বিতীয় দর্শন করিতেছেন। অধরের বয়স ২৯/৩০। অধরের বন্ধু সারদাচরণ পুত্রশোকে সন্তপ্ত। তিনি স্কুলের ডেপুটি ইন্‌স্পেক্টর ছিলেন; পেনশন লইয়া, এবং আগেও তিনি সাধন-ভজন করিতেন। বড় ছেলেটি মারা যাওয়াতে কোনরূপে সান্ত্বনালাভ করিতে পারিতেছেন না। তাই অধর ঠাকুরের নাম শুনাইয়া তাঁহার কাছে লইয়া আসিয়াছেন। অধরের নিজেরও ঠাকুরকে দেখিবার অনেকদিন হইতে ইচ্ছা ছিল।

    সমাধি ভঙ্গ হইল। ঠাকুর দৃষ্টিপাত করিয়া দেখিলেন, একঘর লোক তাঁহার দিকে চাহিয়া রহিয়াছেন। তখন তিনি আপনা-আপনি কি বলিতেছেন।

    ঈশ্বর কি তাঁর মুখ দিয়া কথা কহিতেছেন ও উপদেশ দিতেছেন?

    শ্রীরামকৃষ্ণ (Ramakrishna)—বিষয়ী লোকের জ্ঞান কখনও দেখা দেয়। এক-একবার দীপ শিখার ন্যায়। না, না, সূর্যের একটি কিরণের ন্যায়। ফুটো দিয়ে যেন কিরণটি আসছে। বিষয়ী লোকের ঈশ্বরের নাম করা—অনুরাগ নাই। বালক যেমন বলে, তোর পরমেশ্বরের দিব্যি। খুড়ী-জেঠীর কোঁদল শুনে “পরমেশ্বরের দিব্যি” শিখেছে (Kathamrita)!

    “বিষয়ী লোকদের রোখ নাই। হল হল; না হল না হল। জলের দরকার হয়েছে কূপ খুঁড়ছে। খুঁড়তে, খুঁড়তে যেমন পাথর বেরুল, অমনি সেখানটা ছেড়ে দিলে। আর-এক জায়গা খুঁড়তে বালি পেয়ে গেল; কেবল বালি বেরোয়। সেখানটাও ছেড়ে দিলে। যেখানে খুঁড়তে আরম্ভ করেছে, সেইখানেই খুঁড়বে (Kathamrita) তবে তো জল পাবে।

    আরও পড়ুনঃ “আবার সেই সমাধি! আবার নিস্পন্দন দেহ, স্তিমিতি লোচন, দেহ স্থির

    আরও পড়ুনঃ দেখিয়াই ঠাকুর উচ্চহাস্য করিয়া ছোকরাদের বলিয়া উঠিলেন, “ওই রে আবার এসেছে”

    আরও পড়ুনঃ “ধ্যান করবার সময় তাঁতে মগ্ন হতে হয়, উপর উপর ভাসলে কি জলের নিচে রত্ন পাওয়া যায়?”

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Ramakrishna 179: “ঠাকুর সমাধিস্থ! কেবল চক্ষের বাহিরের কোণ দিয়া আনন্দধারা পড়িতেছে”

    Ramakrishna 179: “ঠাকুর সমাধিস্থ! কেবল চক্ষের বাহিরের কোণ দিয়া আনন্দধারা পড়িতেছে”

    শ্রীরামকৃষ্ণ ভক্তসঙ্গে দক্ষিণেশ্বর-মন্দিরে ও বলরাম-মন্দিরে

    সপ্তদশ পরিচ্ছেদ

    ১৮৮৩, ৮ই এপ্রিল

    শ্রীরামলাল প্রভৃতির গান ও শ্রীরামকৃষ্ণের সমাধি

    তুমি হে উপায়, তুমি হে উদ্দেশ্য, তুমি স্রষ্টা পাতা তুমি হে উপাস্য,
    দণ্ডদাতা পিতা, স্নেহময়ী মাতা, ভবার্ণবে কর্ণধার (তুমি) ॥

    শ্রীরামকৃষ্ণ (ভক্তদের প্রতি Ramakrishna)—আহা কি গান! “তুমি সর্বস্ব আমার!” গোপীরা অক্রুর আসবার পর শ্রীমতীকে বললে (Kathamrita), রাধে! তোর সর্বস্ব ধন হরে নিতে এসেছে! এই ভালবাসা। ভগবানের জন্য এই ব্যাকুলতা।

    আবার গান চলিতে লাগিল:

    (১)— ধোরো না ধোরো না রথচক্র রথ কি চক্রে চলে,
    যে চক্রের চক্রের চক্রী হরি যার চক্রে জগৎ চলে।

    (২)—প্যারী! কার তরে আর, গাঁথ হার যতনে।

    গান শুনিতে (Kathamrita) শুনিতে ঠাকুর শ্রীরামকৃষ্ণ গভীর সমাধিসিন্ধুমধ্যে মগ্ন হইলেন! ভক্তেরা একদৃষ্টে ঠাকুরের দিকে অবাক্‌ হইয়া দেখিতেছেন। আর সাড়াশব্দ নাই। ঠাকুর সমাধিস্থ! হাতজোড় করিয়া বসিয়া আছেন, যেমন ফটোগ্রাফে দেখা যায়। কেবল চক্ষের বাহিরের কোণ দিয়া আনন্দধারা পড়িতেছে।

    ঈশ্বরের সহিত কথা—শ্রীরামকৃষ্ণের (Ramakrishna) দর্শন—কৃষ্ণ সর্বময় 

    অনেকক্ষণ পরে ঠাকুর (Ramakrishna) একটু প্রকৃতস্থ হইলেন। কিন্তু সমাধির মধ্যে যাঁকে দর্শন করিতেছিলেন, তাঁর সঙ্গে কি কথা কহিতেছেন। একটি-আধটি কেবল ভক্তদের কানে পৌঁছিতেছে। ঠাকুর আপনা-আপনি বলিতেছেন, “তুমিই আমি আমিই তুমি। তুমি খাও, তুমি আমি খাও!… বেশ কিন্তু কচ্ছ।

    “এ কি ন্যাবা লেগেছে। চারিদিকেই তোমাকে দেখছি!

    “কৃষ্ণ হে দীনবন্ধু প্রাণবল্লভ! গোবিন্দ!”

    প্রাণবল্লভ! গোবিন্দ! বলিতে (Kathamrita) বলিতে আবার সমাধিস্থ হইলেন। ঘর নিস্তব্ধ। ভক্তগণ মহাভাবময় ঠাকুর শ্রীরামকৃষ্ণকে (Ramakrishna)—অতৃপ্ত-নয়নে বারবার দেখিতেছেন।

    আরও পড়ুনঃ “ধ্যান করবার সময় তাঁতে মগ্ন হতে হয়, উপর উপর ভাসলে কি জলের নিচে রত্ন পাওয়া যায়?”

    আরও পড়ুনঃ “সচ্চিদানন্দলাভ হলে সমাধি হয়, তখন কর্মত্যাগ হয়ে যায়”

    আরও পড়ুনঃ “তিনি দাঁড়াইলে ঠাকুর বলিলেন, বলরাম! তুমি? এত রাত্রে?”

    আরও পড়ুনঃ “তিনি দাঁড়াইলে ঠাকুর বলিলেন, বলরাম! তুমি? এত রাত্রে?”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Kali Puja 2024: শিকড়ের ঝাড়ের মধ্যে গুহাই এখানে মন্দির! ছিল রঘু ডাকাতের প্রধান আস্তানা

    Kali Puja 2024: শিকড়ের ঝাড়ের মধ্যে গুহাই এখানে মন্দির! ছিল রঘু ডাকাতের প্রধান আস্তানা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মূর্তি নেই। অশ্বত্থ গাছ-ই কালী রূপে পূজিতা হন। বারাসতের অন্যতম পুরানো কালীমন্দির কাঠোর রোডের ডাকাত কালীবাড়ি। এই ডাকাত কালীবাড়ি  ঘিরে বহু কথা প্রচলিত রয়েছে আজও। আজও কালীপুজোয় (Kali Puja 2024) এখানে ভক্তদের ভিড় হয় চোখে পড়ার মতো। শুধু তাই নয়, প্রতিমা তো নেই-ই, নেই কোনও পুরোহিতও৷ সেখানে কোনও প্রতিমাও নেই। অশ্বত্থ গাছেরও সঠিক বয়স এখন জানা নেই কারও। এখানে এসে মায়ের কাছে মানত করে নমস্কার করে মোমবাতি-ধূপকাঠি জ্বালিয়ে নিজেই পুজো করে যায়।

    মন্দিরের কোনও দরজা নেই (Kali Puja 2024)

    আনুমানিক ৪০০ বছরের পুরানো এই কালীমন্দির। বারাসতের ২২ নম্বর ওয়ার্ডে এই ডাকাত কালীবাড়ি বর্তমানে পাঁচিল দিয়ে ঘিরে দেওয়া হয়েছে পুরসভার তরফে। স্থানীয় বাসিন্দা অরুণ বিশ্বাস বলেন, এক সময় রঘু ডাকাত (Raghu dakat) এই মন্দির থেকেই পুজো করে ডাকাতির উদ্দেশ্যে বের হতেন। আবার ডাকাতি করে তাঁর দলবল নিয়ে এই মন্দিরেই ফিরে আসতেন৷ এটাই তাঁর প্রধান আস্তানা ছিল। রঘু ডাকাত সেসময় জমিদারদের বাড়ি ডাকাতি করে গরিবদের বিলিয়ে দিতেন৷ রঘু ডাকাত কখনও গরিবদের ওপর অত্যাচার করতেন না৷ এসব কথা তিনিও শুনেছেন৷ পাশাপাশি আর এক বাসিন্দা সোমনাথ ব্রহ্মচারী জানান এই মন্দিরের কোনও দরজা নেই। যতবারই দরজা লাগানোর চেষ্টা করা হয়েছে, ততবারই সকালে ঘুম থেকে উঠে দেখা গিয়েছে, সেই দরজা নেই। সবার বিশ্বাস, মা স্বয়ং দরজায় দাঁড়িয়ে আছেন। তাই দরজার কোনও দরকার পড়ে না এই মন্দিরে।

    এই ডাকাত কালীবাড়ি জাগ্রত

    এক সময় এই এলাকায় মানুষ আসতে ভয় পেতেন৷ গোটা এলাকা জঙ্গলে ঘেরা ছিল৷ রাতে এই রাস্তায় কেউ যাতায়াত করত না৷ বাড়িঘরও তেমন ছিল না এখানে৷ আজ চিত্রটা সম্পূর্ণ বদলে গিয়েছে। তবে আজও দূর-দূরান্তের মানুষের কাছে এই ডাকাত কালীবাড়ি (Kali Puja 2024) জাগ্রত। মন্দিরটির ছাদ বলতে অশ্বত্থ গাছের শিকড়৷ ইটগুলি রঘু ডাকাত সহ তার দলবলই কাঠের ডাইস বানিয়ে তাতে মাটি দিয়ে সেই সময় তৈরি করেছিল বলেই শোনা যায়৷ তাঁর দাবি, এই ইট দেখলেই বোঝা যায় একেবারে আলাদা। নেই কোনও নম্বর এবং অক্ষর, যা অন্যান্য ইটের থেকে সম্পূর্ণ আলাদা। মন্দির বলতে গাছে শিকড়ের ঝাড়ের মধ্যে গুহা, যার চারিদিকে ইট দিয়ে গাঁথা। আজও উত্তর ২৪ পরগনা জেলার মধ্যে অন্যতম এই মন্দির।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Kali Puja 2024: নিরঞ্জনের আগে মাতা মহিষখাগীকে দেওয়া হয় পান্তা ভাত, খয়রা মাছ এবং রুইমাছের ভোগ!

    Kali Puja 2024: নিরঞ্জনের আগে মাতা মহিষখাগীকে দেওয়া হয় পান্তা ভাত, খয়রা মাছ এবং রুইমাছের ভোগ!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “আমার কুঁড়ে ঘরে থাকতে ভালো লাগছে না, অতি তাড়াতাড়ি মন্দির তৈরি করে দে।” রাজাকে স্বপ্নাদেশ দেওয়ার পরে এতটুকুও বিলম্ব না করে মন্দির তৈরি করেন রাজা। এর পর থেকেই ১৫ ফুট উচ্চতার হাড়িকাঠে ১০৮টি মহিষ বলি দিয়ে শুরু হয় জাগ্রত দেবী মহিষখাগীর বিশেষ পুজো-অর্চনা (Kali Puja 2024)।

    তান্ত্রিকের হাতে পুজোর সূচনা

    নদিয়ার শান্তিপুর শহরের প্রায় ৩৫০ বছরের প্রাচীন মহিষখাগী কালীমাতার পুজোর ইতিহাস অনন্য। শোনা যায়, এই স্থানে এক তান্ত্রিকের হাতে পুজোর সূচনা হয়। পরবর্তীতে চ্যাটার্জি বংশের কাঁধে পুজোর দায়িত্বভার পড়ে। কিন্তু দেবীর মন্দির না থাকায় স্বপ্নাদেশে মন্দির নির্মাণ করেন স্বয়ং নদিয়ার মহারাজ কৃষ্ণচন্দ্র। বর্তমানে স্থানীয় বারোয়ারির তত্ত্বাবধানেই হয়ে আসছে এই জাগ্রত কালীমায়ের পুজো। প্রথমদিকে মন্দির ছিল একটি কুঁড়েঘরের আদলে। পুজোটি (Kali Puja 2024) আগে ছিল চ্যাটার্জি বংশের দায়িত্বে, পরে তাঁরা গত হলে বারোয়ারির হাতে দিয়ে যান পুজোর দায়িত্বভার। আগের মন্দির বহু প্রাচীন হয়ে যাওয়ায় এখন মন্দিরটি নতুন করে নির্মাণ হয় এলাকাবাসীর সহযোগিতায়। শোনা যায়, বাঙালি বিয়ের রীতি অনুযায়ী পুজো করা হয় মহিষীখাগী কালীমা’কে। মাকে প্রথম পাটে তোলার সময় থাকে একাধিক নিয়মরীতি। পাটে তোলার পরে মন্দির প্রাঙ্গণ পরিষ্কার করে সেদিন ভোররাতে হয় দধিমঙ্গল। তারপরে অমাবস্যা শুরু হলে বিয়ের রীতি মেনেই পুজো করা হয় দেবীকে। পরের দিন পালন করা হয় বাসি বিয়ের রীতি। বাসি বিয়ের রীতি অনুযায়ী পূজিত হন মা। পুজো সম্পন্ন হওয়ার পর কাঁধে করে নিয়ে যাওয়া হয় মা’কে নিরঞ্জনের জন্য।

    আগে এই পুজোয় উৎসর্গ করা হত মহিষকে (Kali Puja 2024)

    পুজো উদ্যোক্তাদের কাছে জানা যায়, বহু বছর আগে এই পুজোয় উৎসর্গ করা হত মহিষকে, পরবর্তীতে হয় পাঁঠা বলি। তবে অনেক বছর আগে একবার পুজার্চনা করতে দেরি হয়ে যাওয়াতে বলি উৎসর্গের সময় পেরিয়ে যায়। সেই দিন থেকেই মহিষখাগী কালীমায়ের পুজোতে কোনও রকম বলি উৎসর্গ করা হয় না। সেই থেকেই বন্ধ হয়ে যায় মহিশখাগী মাতার পুজোতে বলি প্রথা। তবে নিরঞ্জনের আগে মাতা মহিষখাগীকে (Goddess Mahishkhagi) দেওয়া হয় পান্তা ভাত, খয়রা মাছ এবং রুইমাছের ভোগ। এই পুজোকে (Kali Puja 2024) কেন্দ্র করে সারা শান্তিপুরবাসী মেতে ওঠেন দীপাবলির আনন্দে। দেবীর নিরঞ্জনের ক্ষেত্র রয়েছে দেবী ও ভক্তদের মেলবন্ধন, ভক্তদের কাঁধে করেই নিরঞ্জনযাত্রায় নিয়ে যাওয়া হয় দেবী মহিষখাগীকে। মনের ভক্তি ও মায়ের আবার আগমনীর আহ্বান জানিয়ে চিৎকার করতে থাকেন হাজার হাজার ভক্তবৃন্দ।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Kali Puja 2024: সেবক পাহাড় কেটে তৈরি হয়েছে মন্দির! কালীপুজোয় ভেসে যায় আলোর ঝর্নাধারায়

    Kali Puja 2024: সেবক পাহাড় কেটে তৈরি হয়েছে মন্দির! কালীপুজোয় ভেসে যায় আলোর ঝর্নাধারায়

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পাহাড় কেটে তিনশো ফুট উঁচুতে তৈরি হয়েছে মায়ের মন্দির। এখানে রয়েছে দক্ষিণাকালীর মুর্তি। সেবক পাহাড়ে মন্দিরটি হওয়ায় এর নাম সেভকেশ্বরী কালীমন্দির। মায়ের দর্শন পাওয়ার জন্য সেবক পাহাড়ে ১০৭টি সিঁড়ি ভেঙে উঠতে হবে। কালীপুজোর দিন ভক্তদের ঢল নামে এই কালীমন্দিরে (Kali Puja 2024)। শিলিগুড়ি ও লাগোয়া এলাকাই নয়, কলকাতা, নেপাল, ভুটান, বাংলাদেশ থেকেও বহু মানুষ কালীপুজোর দিন এখানে আসেন, রাত জেগে পুজো দেন ও দেখেন। ভোর হতে প্রসাদ নিয়ে ফিরে যান।

    কোথায় এই মন্দির? (Kali Puja 2024)

    শিলিগুড়ি শহর থেকে ২০ কিমি দূরে এই মন্দির। শিলিগুড়ি থেকে গ্যাংটক, কালিম্পং বা ডুয়ার্স যাওয়ার পথে সেবক পাহাড়ে ওঠার মুখে রাস্তার বাঁ-দিকে সেভকেশ্বরী কালীমন্দির। স্বপ্নে পাওয়া এই মন্দির জাগ্রত বলে প্রচলিত। কথিত আছে, এখানে মানত করে সকলেরই মনোবাসনা পূর্ণ হয়। তাই সারা বছরই সেভকেশ্বরী কালীমন্দিরে ভক্তদের ভিড় লেগেই থাকে। এই রাস্তা দিয়ে যাওয়ার পথে অনেক গাড়ি থামে। মন্দিরে গিয়ে পুজো দিয়ে যাত্রা করেন সকলে। আবার কিছু গাড়ি না থামলেও মন্দিরের সামনে এসে গতি মন্থর করে। যাত্রী ও গাড়ির ড্রাইভার নীচ থেকেই মা’কে প্রণাম করে যান।

    সেভকেশ্বরী মন্দির তৈরির কাহিনি

    এখানকার অন্যতম পুরোহিত নন্দকিশোর গোস্বামী বলেন, সেবকে রাজ্য সরকারের একটি অফিসের কর্মী ছিলেন মাতৃসাধক দীনেন্দ্রনাথ সান্যাল। তিনি স্বপ্নে দেখেন, সেবক পাহাড়ের জঙ্গলে ঢাকা পড়ে রয়েছে পঞ্চমুন্ডির আসন ও ত্রিশূল (Kali Puja 2024)। সেই মতো জঙ্গল কেটে সেই আসন বের করে সেবক পাহাড়ে তিনি কয়েক জনের সহযোগিতায় ১৯৫২ সালে এই মন্দির প্রতিষ্ঠা করেন। মন্দিরের সামনে সেই পঞ্চমুন্ডির আসন ও ত্রিশূল রাখা আছে। তারপর ভক্ত সংখ্যা বাড়তে থাকে। ভক্তদের সহযোগিতায় ১৬ বছর আগে পুরো মন্দির ও সিঁড়ি পাকা করা হয়।

    কালীপুজোর রাতে পাহাড়ে নামে আলোর ঝর্নাধারা (Kali Puja 2024)

    নিত্যপুজোর পাশাপাশি প্রতি অমাবস্যায় এখানে বড় করে মায়ের পুজো হয়। কালীপুজোর দিন ধুমধাম করে পুজো হয়। ভক্তদের মানসিক পুজোর ডালায় ভরে যায়। এখনও একই রকম ধুমধাম করে পুজো হয়। গোটা এলাকা ভেসে যায় আলোর ঝর্নাধারায়। তবে গত বছর থেকে এখানে পশুবলি বন্ধ হয়ে গিয়েছে। পুরোহিত (Sevokeshwari Kali Temple) নন্দকিশোর গোস্বামী বলেন, গত বছর থেকে শুধু ফল ও সবজি বলি দেওয়া হয়। ভক্তরা কেউ পশু বলি মানত করে থাকলে আমরা তা মা’কে উৎসর্গ করে ছেড়ে দেই।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share