মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সরকারি স্কুলে (School) ইসলামিক প্রার্থনা (Islamic Prayer)! তার জেরে শুরু হয় বিতর্ক। উত্তর প্রদেশের বরেলির (Bareilly) স্কুলের ওই প্রার্থনার ভিডিও ভাইরাল হয় সোশ্যাল মিডিয়ায়। তার জেরে সাসপেন্ড করা হয়েছে ওই প্রধান শিক্ষককে। সূত্রের খবর, বরেলির ওই স্কুলের প্রার্থনায় ‘মেরা আল্লা বুরাই সে বাচানা মুঝকো’ গাওয়া হয়। অভিভাবকদের একাংশের পাশাপাশি অভিযোগ জানানো হয় উত্তর প্রদেশের স্কুল শিক্ষা দফতরের কাছে। তার পরেই সাসপেন্ড করা হয় প্রধান শিক্ষককে। প্রার্থনা সঙ্গীত হিসেবে এদিন যে গানটি গাওয়া হয়েছিল, সেটি উর্দু কবি মহঃ ইকবালের লেখা। তিনিই লিখেছিলেন সারে জাহাঁ সে আচ্ছা গানটি। তাঁরই লেখা গানকে প্রার্থনা সঙ্গীত হিসেবে গাইয়ে বিতর্কে বরেলির ওই স্কুলের প্রধান শিক্ষক।
কমলা নেহরু কম্পোজিট বিদ্যালয়...
বেরিলির বেসিক শিক্ষা অধিকারী বিনয় কুমার বলেন, ফরিদপুরের কমলা নেহরু কম্পোজিট বিদ্যালয়ের একটি ইসলামিক প্রার্থনা গাওয়া হয়। স্কুলের প্রিন্সিপাল নাহিদ সিদ্দিকিকে সাসপেন্ড করা হয়েছে। শিক্ষামিত্র ওয়াজিরুদ্দিনের বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু হয়েছে। বিশ্ব হিন্দু পরিষদের নেতা সোমপাল সিং রাঠোর বলেন, ওই প্রার্থনা সঙ্গীতটি মহঃ ইকবাল লিখেছিলেন মাদ্রাসার জন্য, সরকারি স্কুলের জন্য নয়।
আরও পড়ুন: মমতাকে প্রাক্তন করার দায়িত্ব তাঁর! রানাঘাটের সভায় বিস্ফোরক শুভেন্দু
জানা গিয়েছে, বরেলির (Bareilly) ওই স্কুলের প্রার্থনার ভিডিও প্রকাশ্যে আসতেই শুরু হয় বিতর্ক। উত্তর প্রদেশ শিক্ষা দফতরে অভিযোগ জানায় বিশ্ব হিন্দু পরিষদ। তার পরেই সাসপেন্ড করা হয় প্রধান শিক্ষককে। ওই গানটি স্কুলের প্রার্থনা সঙ্গীতের তালিকায় ছিল না বলেই জানা গিয়েছে। উত্তর প্রদেশ স্কুল শিক্ষা দফতর জানিয়েছে, প্রাথমিক প্রমাণের ভিত্তিতে সাসপেন্ড করা হয়েছে প্রধান শিক্ষককে। গোটা ঘটনার তদন্ত করা হবে। ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত করা ও স্কুলের পরিবেশ নষ্ট করার অভিযোগে প্রধান শিক্ষক নাহিদ সিদ্দিকির বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করেছে পুলিশ। প্রসঙ্গত, ২০১৯ সালে উত্তর প্রদেশেরই পিলিভিটের একটি স্কুলেও প্রার্থনায় মহঃ ইকবালের লেখা এই গানটি গাওয়া হয়। সেবারও ব্যাপক বিতর্ক হয়। ফের সেই গান নিয়েই বিতর্ক। এবং সরকারি স্কুলে গাওয়ানোয়।
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।
+ There are no comments
Add yours