Dilip Ghosh at Suvendu House: কাঁথিতে অধিকারীদের ‘শান্তিকুঞ্জে’ দিলীপ ঘোষ, কী কথা হল?

dilip_f

মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শুভেন্দু (Suvendu) অধিকারীর বাড়িতে মধ্যাহ্নভোজ সারলেন বিজেপির (BJP) কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতি দিলীপ ঘোষ (Dilip Ghosh)। যা নিয়ে রাজনৈতিক মহলে শুরু হয়েছে জোর চর্চা। শুক্রবার কাঁথি আদালতে যান দিলীপ। সেখানে তাঁর সঙ্গে দেখা হয় তমলুকের সাংসদ তৃণমূলের দিব্যেন্দু অধিকারীর সঙ্গে। তার পরেই বিজেপির প্রাক্তন রাজ্য সভাপতিকে নিয়ে কাঁথিতে দিব্যেন্দুর বাড়ি শান্তিকুঞ্জে ফেরেন দুজনে। সেখানেই দিলীপ সারেন দ্বিপ্রাহরিক আহার।

তৃণমূলনেত্রীর সঙ্গে মতানৈক্যের জেরে একুশের বিধানসভা নির্বাচনের আগে বিজেপিতে যোগ দেন শুভেন্দু। পরে বিজেপিতে যোগ না দিলেও, কাঁথিতে বিজেপি নেতা অমিত শাহের সভায় উপস্থিত ছিলেন শান্তিকুঞ্জের গৃহকর্তা বর্ষীয়ান সাংসদ তৃণমূলের শিশির অধিকারী। এরপরেই শান্তিকুঞ্জে একাসনে বসত করে বিজেপি-তৃণমূল। কারণ শুভেন্দুর এক ভাই দিব্যেন্দু এখনও তৃণমূলেই রয়েছেন। উনিশের লোকসভা নির্বাচনে তমলুক লোকসভা কেন্দ্রে তিনি জয়ী হয়েছিলেন তৃণমূলের টিকিটে।

শুভেন্দুর তৃণমূল-ত্যাগ এবং তৎপরবর্তীকালে অমিত শাহের সভায় শিশিরের হাজিরা- এই জোড়া কারণে অধিকারী পরিবারের সঙ্গে দূরত্ব তৈরি হয় তৃণমূলের। যার জেরে পূর্ব মেদিনীপুর জেলা রাজনীতিতে এক প্রকার কোণঠাসা হয়েই রয়েছেন দিব্যেন্দু-শিশির।

এই আবহে এদিন কাঁথি আদালতে দিব্যেন্দুর সঙ্গে দেখা হয় দিলীপের। সৌজন্য সাক্ষাতের পরে দুজনে যান শান্তিকুঞ্জে। বিজেপি নেতার শান্তিকুঞ্জে আগমন প্রসঙ্গে তৃণমূল নেতা দিব্যেন্দু বলেন, কেউ যদি বাড়িতে যান তাঁকে যা আপ্যায়ণ করা হয়, দিলীপ ঘোষকেও তাই করা হবে। সৌজন্যের খাতিরে বাড়ি যেতে চাইলে, তাঁকে কি কেউ না বলতে পারে। তাঁর যুক্তি, বাম আমলে সিপিএমের উঁচুতলার নেতারা যেতেন শান্তিকুঞ্জে। তৃণমূলের আমলেও বহু কংগ্রেস নেতা এসেছেন তাঁদের বাড়িতে।

কেন কাঁথি আদালতে গিয়েছিলেন দিলীপ? জানা গিয়েছে, ২০১৯ সালে অমিত শাহের সভাস্থলে গন্ডগোল সংক্রান্ত একটি মামলায় হাজিরা দিতে গিয়েছিলেন তিনি। ২০০১ সালের একটি মামলায় হাজিরা দিয়ে এদিন ওই আদালতেই গিয়েছিলেন দিব্যেন্দুও। সেখানেই দেখা হয় দুই মেরুর দুই রাজনীতিবিদের। কাঁথি আদালতে হাজিরার কারণ প্রসঙ্গে দিলীপ বলেন, দু’বছর আগে কাঁথিতে অমিত শাহজির সভার পর তৃণমূলের গুণ্ডারা আমাদের উপর হামলা চালায়। কিন্তু তাদের কিছু না বলে পুলিশ আমাদের বিরুদ্ধে মামলা করে। এবং বন্দুক রাখা, বিস্ফোরক রাখা সহ ১১টি ফৌজদারি ধারায় মিথ্যা মামলা দেওয়া হয়। সেই মামলায় জামিন নিতে আজ কাঁথি আদালতে উপস্থিত ছিলাম।

 

Please follow and like us:

Comments

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

LinkedIn
Share