মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কালিয়াগঞ্জে (Kaliagang) বিজেপি কর্মী মৃত্যুঞ্জয় বর্মনের মৃত্যু মামলায় আদালতের দ্বারস্থ দলের যুব মোর্চার রাজ্য সভাপতি ইন্দ্রনীল খাঁ। কলকাতা হাইকোর্টে জনস্বার্থ মামলা দায়ের করলেন তিনি। শুক্রবার ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানমের এজলাসে মামলা দায়ের করেন ইন্দ্রনীল। আগামী সপ্তাহে মামলার শুনানি হতে পারে। অন্যদিকে, এবার কালিয়াগঞ্জের পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে, এলাকা পরিদর্শন করে দেখবে রাজ্য মানবাধিকার কমিশনের প্রতিনিধি দল।
সিবিআই তদন্তের দাবি পরিবারেরও
নাবালিকাকে ধর্ষণ-খুনের অভিযোগে উত্তপ্ত কালিয়াগঞ্জে পুলিশের বিরুদ্ধে যুবককে গুলি করে খুনের অভিযোগ উঠেছে। বুধবার রাতে কালিয়াগঞ্জের (Kaliaganj incident) ভারত – বাংলাদেশ সীমান্ত লাগোয়া চাঁদগাঁয় গুলিবিদ্ধ হয়ে মৃত্যু হয় বিজেপি কর্মী মৃত্যুঞ্জয় বর্মনের। পরিবারের দাবি গুলি চালিয়েছে পুলিশ। সেই ঘটনার সিবিআই তদন্তের দাবিতে ইতিমধ্যে সরব হয়েছে মৃতের পরিবার।
পুলিশে ভরসা নেই
কালিয়াগঞ্জ (Kaliaganj incident) থানায় হামলার ঘটনায় জড়িত সন্দেহে বুধবার রাত আড়াইটেয় চাঁদগাঁয় বিজেপির স্থানীয় পঞ্চায়েত সমিতির সদস্য বিষ্ণু বর্মনকে গ্রেফতার করতে যায় পুলিশ। বিষ্ণুবাবুকে না পেয়ে তাঁর বৃদ্ধ বাবাকে মারতে মারতে গাড়িতে তুলছিল পুলিশ। তখন বৃদ্ধ জ্যেঠাকে থানায় নিয়ে যাওয়ার কারণ জানতে চান বিষ্ণু বর্মনের খুড়তুতো ভাই মৃত্যুঞ্জয়। অভিযোগ জবাব না দিয়ে বৃদ্ধকে গাড়িতে তুলে রওনা দেয় পুলিশ। এর পর চলন্ত গাড়ির পিছন থেকে যুবককে লক্ষ্য করে গুলি চালান এক পুলিশ আধিকারিক। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় যুবকের। যদিও পুলিশের তরফে গুলি চালানোর অভিযোগ অস্বীকার করা হয়েছে। এই ঘটনার পর থেকেই সিবিআই তদন্তের দাবি জানিয়েছে পরিবার। স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছে পুলিশের তরফে কোনও ভরসা নেই তাঁদের।
আরও পড়ুুন: ‘‘বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় আমাদের ভগবান, ওঁকে ফেরাতে হবে’’, বলছেন চাকরিপ্রার্থীরা
বৃহস্পতিবার রাতে গ্রামে নিয়ে আসা হয় মৃত্যুঞ্জয়ের দেহ। যাতে কোনও অপ্রীতিকর ঘটনা না ঘটে সেজন্যে বিশাল পুলিশবাহিনী মোতায়েন করা হয় রাধিকাপুর সহ গোটা এলাকাতে। র্যাফ থেকে শুরু করে কমব্যাট ফোর্সও মোতায়েন ছিল। জানা গিয়েছে, দেহ পোড়ানো হয়নি। দেহ সমাধিস্থ করা হয়েছে। সিবিআই তদন্তের নির্দেশ যদি আদালত দেয় তাহলে যাতে ময়নাতদন্ত ফের করা যায় সেজন্যেই এহেন সিদ্ধান্ত এলাকার মানুষের। ২৪ ঘন্টা পেরিয়ে গেলেও গোটা এলাকা থমথমে।
রাজ্য মানবাধিকার কমিশনের দল
কালিয়াগঞ্জের (Kaliaganj incident) এক নাবালিকাকে ধর্ষণ করে খুনের অভিযোগে উত্তাল বাংলা। শুধু তাই নয়, কালিয়াগঞ্জে বিজেপি নেতা খুনের ঘটনা নিয়েও থমথমে পরিস্থিতি উত্তর দিনাজপুরের এই এলাকায়। এবার সেইসব কিছুই খতিয়ে দেখতে কালিয়াগঞ্জ যাচ্ছে রাজ্য মানবাধিকার কমিশনের (State Human Rights Commission) একটি প্রতিনিধি দল। কমিশনের পুলিশ সুপার শান্তিদাস বসাকের নেতৃত্বে এই দল খতিয়ে দেখবে গোটা পরিস্থিতি। সূত্রের খবর, দুই পরিবারের সঙ্গে কথাও বলবে এই দল।
Leave a Reply