Category: দেশ

Get updates on India News Headlines National News from the Madhyom news portal madhyom.com, West Bengal leading news portal Madhyom.com

  • BJP: রাজ্যে রাজ্যে চলছে বিজেপির সভাপতি নির্বাচনের প্রক্রিয়া, জুলাইতেই ঘোষণা নাড্ডার উত্তরসূরি?

    BJP: রাজ্যে রাজ্যে চলছে বিজেপির সভাপতি নির্বাচনের প্রক্রিয়া, জুলাইতেই ঘোষণা নাড্ডার উত্তরসূরি?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজ্যে রাজ্যে চলছে বিজেপির (BJP) সভাপতি নির্বাচনের প্রক্রিয়া। রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের মতে, এর মাধ্যমে ত্বরান্বিত হচ্ছে বিজেপির জাতীয় সভাপতির নাম ঘোষণার সম্ভাবনা। নিয়ম অনুযায়ী বা বিজেপির সংবিধান অনুসারে জাতীয় সভাপতির (JP Nadda) নির্বাচন করতে সারা দেশের যে ৩৭টি সাংগঠনিক রাজ্য রয়েছে, তার মধ্যে অন্ততপক্ষে ১৯ সভাপতি নির্বাচন সম্পন্ন করতেই হবে।

    মঙ্গলবারই ১৯টি রাজ্যে সভাপতি নির্বাচন সম্পূর্ণ হতে চলেছে

    মঙ্গলবার ১৯টি রাজ্যে সভাপতি (BJP) নির্বাচন সম্পূর্ণ হতে চলেছে। এই দিনই আবার পশ্চিমবঙ্গ বিজেপির রাজ্য সভাপতি নির্বাচন সংক্রান্ত নোটিশ প্রকাশিত হয়েছে। ওই নোটিশ অনুযায়ী, আগামী ৩ জুলাই দুপুরের পর রাজ্য সভাপতির নাম ঘোষণা করা হবে। সোমবারই পুদুচেরি ও মিজোরামে বিজেপির নতুন সভাপতি নির্বাচিত হয়েছেন। পুদুচেরিতে সভাপতি হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন ভিপি রামালিঙ্গম, অন্যদিকে মিজোরামে দলের দায়িত্বে এসেছেন কে বেইচুয়া।

    কর্নাটক এবং মধ্যপ্রদেশে বিজেপির রাজ্য সভাপতির নাম ঘোষণা করা হবে শীঘ্রই

    যে রাজ্যগুলিতে ইতিমধ্যেই নতুন সভাপতি নির্বাচিত হয়েছেন, সেখানে দেখা যাচ্ছে অনেকেই পুনঃনির্বাচিত হয়েছেন। মঙ্গলবার এই সংখ্যা আরও বাড়বে বলে মনে করা হচ্ছে। আগামী কয়েক দিনের মধ্যেই কর্নাটক এবং মধ্যপ্রদেশে বিজেপির রাজ্য সভাপতি নাম ঘোষণা করা হবে বলে গেরুয়া শিবির সূত্রে জানা গেছে। তেলেঙ্গানায় বিজেপি নতুন সভাপতি হিসেবে বেছে নিয়েছে রামচন্দ্র রাউকে এবং অন্ধ্রপ্রদেশে নির্বাচিত হয়েছেন পি.ভি.এন. মাধব। জনগণের মাঝে দুজনের পরিচিতি কিছুটা কম হলেও, তাঁরা দক্ষ সংগঠক বলে দাবি করেছে গেরুয়া শিবির (BJP) ।

    জুলাই মাসেই জেপি নাড্ডার উত্তরসূরির নাম ঘোষণা?

    অন্যদিকে, মহারাষ্ট্র থেকে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, সেখানকার বর্তমান কার্যকরী সভাপতি ও চারবারের বিধায়ক রবীন্দ্র চৌহানের স্থলাভিষিক্ত হতে পারেন রাজ্যের ক্যাবিনেট মন্ত্রী চন্দ্রশেখর বাওয়ানকুলে। উত্তরাখণ্ডে আবার সভাপতি হিসেবে পুনরায় দায়িত্ব পেয়েছেন রাজ্যসভার সাংসদ মহেন্দ্র সিং ঘাটি। এটি তাঁর দ্বিতীয় দফার কার্যকাল। একের পর এক রাজ্যে বিজেপির সভাপতি (BJP) পদের নাম ঘোষণার পর রাজনৈতিক মহল মনে করছে, চলতি জুলাই মাসেই জেপি নাড্ডার (JP Nadda) উত্তরসূরির নাম ঘোষণাও শুধু সময়ের অপেক্ষা।

  • Census 2026: দায়িত্বে ৩৪ লক্ষেরও বেশি কর্মী! আগামী বছরেই শুরু হবে জনগণনা, কীভাবে হবে?

    Census 2026: দায়িত্বে ৩৪ লক্ষেরও বেশি কর্মী! আগামী বছরেই শুরু হবে জনগণনা, কীভাবে হবে?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ২০২৬ সালের ১ এপ্রিল শুরু হবে জনগণনা (Census 2026)। ভারত সরকারের তরফে এ খবর আগেই জানানো হয়েছে। এটি হবে দেশের ষোড়শতম জনগণনা, স্বাধীনতার পর অষ্টমবার (Caste Data)। এই কর্মসূচির সূচনা হবে হাউসলিস্টিং অপারেশন দিয়ে। এটিই শুরু হবে পয়লা এপ্রিল। রেজিস্ট্রার জেনারেল ও জনগণনা কমিশনার মৃত্যুঞ্জয় কুমার নারায়ণ একটি চিঠির মাধ্যমে সমস্ত রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের মুখ্য সচিবদের উদ্দেশে একথা জানিয়ে দেন। এই বৃহৎ তথ্যসংগ্রহ প্রচেষ্টায় যাতে ৩৪ লক্ষেরও বেশি কর্মী (গণনাকারী, তদারক ও ১.৩ লাখ জনগণনা আধিকারিক) থাকবেন, তাঁদের সম্পূর্ণ সহযোগিতা করতে দেশবাসীকে আহ্বান জানান তিনি ।

    ১০ বছর অন্তর জনগণনা (Census 2026)

    দেশ যখন পরাধীন ছিল, তখনও জনগণনা হত। দেশ স্বাধীন হওয়ার পরেও হয়। প্রতি ১০ বছর অন্তর জনগণনা করা হয়। তবে কোভিড অতিমারির কারণে বন্ধ ছিল সপ্তদশ জনগণনা। সেটাই শুরু হবে ২০২৬ সালের পয়লা এপ্রিল। এই জনগণনা হবে ভারতের ইতিহাসে প্রথম ডিজিটাল জনগণনা। মোবাইল অ্যাপ্লিকেশন ব্যবহার করে তথ্য সংগ্রহ ও আপলোড করার এই পদ্ধতি তথ্য সংগ্রহের নির্ভুলতা, গতি ও দক্ষতায় বিপ্লব ঘটাবে বলে আশা করছেন আধিকারিকরা। দেশবাসীদের জন্য স্ব-গণনার (self-enumeration) সুযোগও থাকছে। এই পদ্ধতিতে তাঁরা নিজেরাই অনলাইনে জনগণনা সংক্রান্ত ফর্ম পূরণ করতে পারবেন। এটি হবে জনসাধারণের বড় পরিসরে অংশগ্রহণের প্রথম উদাহরণ।

    জনগণনা হবে দু’টি ধাপে

    প্রসঙ্গত, ফিজিক্যাল ও ডিজিটাল গণনার এই হাইব্রিড মডেলটি ভারতের প্রযুক্তিনির্ভর শাসনব্যবস্থার দিকে একটি সাহসী পদক্ষেপ। এর উদ্দেশ্য হল নির্ভুল তথ্য সংগ্রহ, মনুষ্যকৃত ভুল কমানো এবং জনকল্যাণ ও নীতিনির্ধারণে সহায়ক একটি কার্যকর জনতথ্যভান্ডার গড়ে তোলা। এবার জনগণনা হবে দু’টি ধাপে। প্রথম ধাপে হবে গৃহতালিকা প্রস্তুতের কাজ। এটাই শুরু হবে ১ এপ্রিল। এই ধাপে গৃহের অবস্থা, গৃহস্থালির সম্পদ এবং সুবিধা-অসুবিধা সম্পর্কে তথ্য সংগ্রহ করা হবে। এর মাধ্যমে শহর ও গ্রামাঞ্চলজুড়ে পরিকাঠামোগত উন্নয়ন ও জীবনধারার একটি চিত্র পাওয়া যাবে (Caste Data)। দ্বিতীয় ধাপে হবে জনগণনা। এটি শুরু হবে ২০২৭ সালের ১ ফেব্রুয়ারি।  এই ধাপে সংগ্রহ করা হবে ব্যক্তিগত স্তরে জনসংখ্যার তথ্য যেমন, জনতাত্ত্বিক (Census 2026) বৈশিষ্ট্য, সামাজিক-আর্থিক অবস্থা, ধর্ম, ভাষা ও সাংস্কৃতিক বিবরণ।

    জনগণনায় জাতিভিত্তিক তথ্য সংগ্রহ

    এবারই প্রথম জনগণনায় জাতিভিত্তিক তথ্য সংগ্রহ অন্তর্ভুক্ত থাকবে। এটি পূর্ববর্তী সরকারি প্রতিশ্রুতি এবং বিভিন্ন রাজ্য সরকার ও সামাজিক ন্যায়বিচারের পক্ষে অবস্থানকারীদের দাবির সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ। ওয়াকিবহাল মহলের ধারণা, এই সিদ্ধান্ত ভবিষ্যতের কল্যাণমূলক কর্মসূচি, সংরক্ষণ নীতি এবং নির্বাচনী কৌশলে গুরুত্বপূর্ণ প্রভাব ফেলবে। জানা গিয়েছে, আগামী বছর যে জনগণনা শুরু হতে যাচ্ছে, তাতে অংশ নেবেন ৩৪ লক্ষেরও বেশি কর্মী। এঁরা ভারতের প্রতিটি রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে যাবেন। এটি হবে বিশ্বের বৃহত্তম প্রশাসনিক কর্মকাণ্ডগুলির একটি। জানা গিয়েছে, তথ্য সংগ্রাহক ও তত্ত্বাবধায়কদের নিয়োগ ও প্রশিক্ষণ অবিলম্বে শুরু হবে। এঁদের নিয়োগ ও প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে কেন্দ্র, রাজ্য ও জেলা প্রশাসনের যৌথ সমন্বয়ে।

    তথ্য সংগ্রহ ও যাচাই

    এই কর্মীরা মেট্রোপলিটন ফ্ল্যাট থেকে শুরু করে প্রত্যন্ত গ্রামের কুঁড়েঘর পর্যন্ত প্রতিটি বাড়ি পরিদর্শন করে তথ্য সংগ্রহ ও যাচাই করবেন। তাঁদের কাজকে সহায়তা করবে অ্যাপ-ভিত্তিক টুল এবং রিয়েল-টাইম তত্ত্বাবধায়ক ট্র্যাকিং সিস্টেম। এর ফলে নিশ্চিত হবে স্বচ্ছতা ও দায়বদ্ধতা (Caste Data)। জানা গিয়েছে, রেজিস্ট্রার জেনারেল এবং জনগণনা কমিশনারের কার্যালয় নাগরিকদের জন্য প্রায় তিন ডজন প্রশ্ন তৈরি করেছে। এই সমীক্ষায় ফোন, ইন্টারনেট, সাইকেল, স্কুটার, মোটরসাইকেল, গাড়ি, ভ্যান, রেডিও, টিভি-র মতো জিনিসপত্র আছে কিনা, সেই বিষয়ে জানতে চাওয়া হবে (Census 2026)। এছাড়াও, পরিবারে পানীয় জলের উৎস, আলোর উৎস, শৌচাগারের ধরন, বর্জ্য জল নিষ্কাশনের ব্যবস্থা, স্নান ও রান্নাঘরের সুবিধা, রান্নার জন্য ব্যবহৃত জ্বালানি এবং এলপিজি বা পিএনজি সংযোগের মতো বিষয়গুলি সম্পর্কেও জনতে চাওয়া হবে। বাড়ির মেঝে, দেওয়াল এবং ছাদ কী দিয়ে তৈরি, সেটির অবস্থা, কতজন সদস্য সেখানে থাকেন, ঘরের সংখ্যা, বিবাহিত দম্পতি কতজন, পরিবারের প্রধান মহিলা নাকি তিনি তফশিলি জাতি-উপজাতির অন্তর্ভুক্ত, এই ধরনের নানা প্রশ্নও করা হবে।

    প্রশাসনিক ইউনিট

    কেন্দ্রীয় সরকার রাজ্য এবং কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলিকে প্রশাসনিক ইউনিটগুলির সীমানা পরিবর্তনের প্রস্তাবিত কাজ ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে সম্পন্ন করতে বলেছে। জনগণনার কাজের জন্য এই সীমানা চূড়ান্ত বলে বিবেচিত হবে (Census 2026)। মুখ্যসচিবদের লেখা চিঠিতে কর্পোরেশন, রাজস্ব গ্রাম, তহশিল, মহকুমা বা জেলার সীমানা পরিবর্তনের প্রস্তাবিত কাজ ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে শেষ করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। গণনাকারীদের কাজের চাপ কমানোর জন্য প্রতিটি প্রশাসনিক অঞ্চলকে কতগুলি অংশে ভাগ করা হয়। এগুলিকে ব্লক বলা হয়। জনগণনার উদ্দেশ্যে তৈরি করা মানচিত্রে একটি ব্লককে একটি গ্রাম বা শহরের মধ্যে স্পষ্টভাবে চিহ্নিত করা হয়েছে (Caste Data)। প্রসঙ্গত, শেষবার জনগণনা হয়েছিল ২০১১ সালে (Census 2026)।

  • RSS: শতবর্ষে আরএসএস, দেশজুড়ে দেড় হাজারেরও বেশি হিন্দু সম্মেলন করার পরিকল্পনা সংঘের

    RSS: শতবর্ষে আরএসএস, দেশজুড়ে দেড় হাজারেরও বেশি হিন্দু সম্মেলন করার পরিকল্পনা সংঘের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ২০২৫ সালে শততম বছরে পা দিচ্ছে রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘ (RSS)। এই আবহে সংগঠনের এই ঐতিহাসিক যাত্রাপথকে স্মরণীয় করে রাখতে সারা দেশজুড়ে হিন্দু সম্মেলন করার কথা ভাবছে আরএসএস। প্রসঙ্গত, ১৯২৫ সালের বিজয়া দশমীর দিন প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল আরএসএস। চলতি বছরে বিজয়া দশমী উৎসব পড়েছে ২ অক্টোবর। আরএসএস সূত্রে জানা গিয়েছে, শততম বর্ষের আনুষ্ঠানিক উৎসব শুরু হয়ে যাবে ২৬ অগাস্ট থেকেই। ওই দিন থেকে তিন দিন ধরে চলবে বিভিন্ন বিষয়ে সর সংঘচালক মোহন ভাগবতের বক্তব্য।

    দেশের চার মহানগরে বক্তব্য রাখবেন সংঘ প্রধান (RSS)

    দেশের চার মহানগর দিল্লি, মুম্বাই, বেঙ্গালুরু ও কলকাতায় বক্তব্য রাখবেন মোহন ভাগবত। এইভাবেই শতবর্ষে আরএসএস-এর যাত্রাপথ, দেশের প্রতি অবদান, সমাজ গঠনে ভূমিকা, এই সমস্ত কিছুই তিনি তুলে ধরবেন। প্রসঙ্গত, আরএসএস-এর (RSS) নীতিই হল প্রথমে দেশ, মাঝখানে সংস্কৃতি এবং নিঃস্বার্থ সেবাভাব সবার উপরে (Hindu Conferences)।

    ১,৫০০-১,৬০০ সম্মেলন করবে আরএসএস (RSS)

    শততম বর্ষে আরএসএস-এর পক্ষ থেকে লক্ষ্যমাত্রা রাখা হয়েছে যে দেশের প্রতিটি ব্লকে যেন সংঘের কাজ পৌঁছে যায়। আরএসএস-এর আদর্শ, নিঃস্বার্থ সেবাভাব এই সমস্ত কিছু দেশের প্রতিটি কোণায় পৌঁছে দিতে চায় সংঘ। দিল্লির প্রান্ত কার্যবাহ অনিল গুপ্ত এনিয়ে বলেন, “আমরা লক্ষ্য রেখেছি যে সারাদেশে এক লাখেরও বেশি শাখা চালু করব।” প্রসঙ্গত, শাখাই হল আরএসএস-এর সংগঠনের ভিত্তি। আরএসএস (Hindu Conferences) চলতি বছরে ১৫০০ থেকে ১৬০০ হিন্দু সম্মেলন করার কথা ঘোষণা করেছে। এই সম্মেলনগুলির প্রতিটিই হবে স্বয়ংসেবক, সমাজের নেতা, সাধু-সন্ত, গবেষক, যুব, মহিলা এবং শিল্পীদের নিয়ে। আরএসএস নেতার বক্তব্য অনুযায়ী, “এটা শুধুমাত্র কোনও সম্মেলন হবে না বরং এটা হবে এক সভ্যতার মিশন।”

    হিন্দু সমাজকে সংগঠিত করে আরএসএস (RSS)

    সম্প্রতি পুনেতে বক্তব্য রাখেন সরসংঘচালক (RSS) মোহন ভাগবত। সেখানে আয়ুর্বেদ আচার্য দাদা খাদিওয়ালে-র জীবনী প্রকাশ অনুষ্ঠানে হাজির ছিলেন তিনি। সেখানে মোহন ভাগবত বলেন, “যদি কেউ এক কথায় জিজ্ঞেস করে যে আরএসএস কী করে, তার উত্তর হবে , হিন্দু সমাজকে সংগঠিত করে।” তিনি আরও বলেন, “প্রকৃতপক্ষে ঐক্য তখনই সামনে আসে, যখন আমরা দেখি যে মানুষ নিঃস্বার্থভাবে কাজ করে।”

  • Indus Treaty: সিন্ধুর জল নিয়ে পাকিস্তানকে জবাব! আন্তর্জাতিক সালিশি আদালতের অস্তিত্বই মানল না ভারত

    Indus Treaty: সিন্ধুর জল নিয়ে পাকিস্তানকে জবাব! আন্তর্জাতিক সালিশি আদালতের অস্তিত্বই মানল না ভারত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সিন্ধু জলচুক্তি প্রসঙ্গে আন্তর্জাতিক আদালতের অস্তিত্বই অস্বীকার করল নয়াদিল্লি। সিন্ধু জলচুক্তি বা (Indus Treaty) তিলের ফলে গভীর সঙ্কটের মুখে পাকিস্তান। পরিস্থিতি পাল্টাতে আন্তর্জাতিক সালিশি আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিল ইসলামাবাদ। এ প্রসঙ্গে ভারত জানিয়েছে, ওই আদালত অবৈধ। বিদেশ মন্ত্রকের তরফে একটি বিবৃতি পেশ করা হয়েছে। সেখানে পরিষ্কার জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, রাতলে ও কিষেনগঙ্গায় ভারতের জলবিদ্যুৎ প্রকল্প ১৯৬০ সালের সিন্ধু জলচুক্তির অন্তর্গত। এই নিয়ে আপত্তি করেছে পাকিস্তান। এবার এই বিষয়ে মামলা শুনবে কিনা তা নিয়ে আন্তর্জাতিক আদালত জানিয়েছে, তারা তা বিচার করবে।

    আন্তর্জাতিক সালিশি আদালতকে অস্বীকার

    এদিন বিদেশ মন্ত্রক জানিয়েছে, ‘ভারত কখনও এই তথাকথিত সালিশি আদালতের অস্তিত্বকে আইনত স্বীকৃতি দেয়নি। এবং ভারতের অবস্থান সর্বদাই এই যে এই তথাকথিত সালিশি সংস্থার গঠন নিজেই সিন্ধু জলচুক্তির একটি গুরুতর লঙ্ঘন। ফলস্বরূপ এর দ্বারা গৃহীত কোনও রায় বা সিদ্ধান্তও সেই কারণে অবৈধ এবং স্বতঃস্ফূর্তভাবেই বাতিল।’উল্লেখ্য, পহেলগাঁও জঙ্গি হামলার প্রতিবাদে পাকিস্তানের সঙ্গে সিন্ধু জলচুক্তি বাতিল করেছে দিল্লি। যা নিয়ে ক্রমাগত অপপ্রচার চালিয়ে যাচ্ছে ইসলামাবাদ। বারবার দাবি করছে, ভারত নাকি এই চুক্তি লঙ্ঘন করেছে। কিন্তু ভারত আগেও রাষ্ট্রসংঘে জানিয়েছে পাকিস্তানের উপর আস্থা রেখে, বিশ্বাস করে ৬৫ বছর আগে ভারত এই চুক্তি করেছিল। কিন্তু সেই বিশ্বাস ভেঙে ভারতের বুকে ৩টি যুদ্ধ ও হাজার হাজার জঙ্গি হামলা চালিয়েছে পাক সন্ত্রাসীরা।

    ভারতের জল কোথাও যাচ্ছে না

    প্রসঙ্গত, পাকিস্তানের বিদেশমন্ত্রী বিলাওল ভুট্টো হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, ‘ভারত যদি আমাদের ন্যায্য জল অধিকার না দেয়, তাহলে যুদ্ধ অনিবার্য।’ সেই প্রেক্ষিতেই ভারতের এই প্রতিক্রিয়া। জলশক্তি মন্ত্রী সি আর পাটিল বলেন, ‘পাকিস্তান যতবারই চিঠি পাঠাক না কেন, এটা একরকম ফর্মালিটি ছাড়া আর কিছু নয়। আমাদের অবস্থানে কোনও পরিবর্তন আসবে না।’ তিনি সাফ জানান, ভারতের জল কোথাও যাচ্ছে না। চুক্তি নিয়ে সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনার কোনও পরিকল্পনাও নেই।

  • Hul Diwas: ৩০ জুন ‘হুল’ দিবস, ১৮৫৫ সালের এই দিনেই শুরু হয় সাঁওতাল বিদ্রোহ, জানুন সেই ইতিহাস

    Hul Diwas: ৩০ জুন ‘হুল’ দিবস, ১৮৫৫ সালের এই দিনেই শুরু হয় সাঁওতাল বিদ্রোহ, জানুন সেই ইতিহাস

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ১৮৫৫ সালের ৩০ জুন ব্রিটিশ শক্তির ভিত কেঁপে উঠেছিল সাঁওতাল বিদ্রোহে। এই আন্দোলনের (Santhal Rebellion) ধ্বনি ছিল ‘হুল’ (Hul Diwas), যার আক্ষরিক অর্থ বিদ্রোহ। ফি বছর ৩০ জুন পালিত হয় ‘হুল দিবস’। একই পরিবারের ছয় ভাইবোনের (সিধু, কানু, বিরসা, চাঁদ, ভৈরব, আর দুই বোন ফুলমণি এবং ঝানু মুর্মু ) নেতৃত্বে এই জনজাতি আন্দোলন শুধুমাত্র ভারত নয়, পৃথিবীর ইতিহাসে বিরল। ‘সাঁওতাল বিদ্রোহ’ এক দৃষ্টান্তও বটে। শাসকের শোষণ, অত্যাচার, বঞ্চনার বিরুদ্ধে মাথা উঁচু করে অধিকার চাওয়ার এই সংগ্রাম আজও প্রেরণার স্রোত। সিপাহী বিদ্রোহ সংঘটিত হয়েছিল ১৮৫৭ সালে। তার আগে ১৮৫৫ তে এই বিদ্রোহ ব্রিটিশ ভারতের প্রথম সশস্ত্র সংগ্রাম বলে মনে করেন অনেক ঐতিহাসিক।

    কেন অস্ত্র হাতে নিতে বাধ্য হয়েছিলেন সহজ, সরল সাঁওতালরা?

    সহজ, সরল জনজাতিদের জল-জঙ্গলের অধিকার থেকে বঞ্চিত করতে থাকে ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি (Hul Diwas)। ভূমির ওপর কর চাপায় তারা। যা আদায় করত কোম্পানির লেঠেল বাহিনী। এছাড়া সাঁওতাল রমণীদেরও খারাপ নজরে দেখা হত। যা কখনও মেনে নিতে পারেনি সাঁওতালরা। বঞ্চিত ক্ষোভ পূঞ্জীভূত হতে হতে তা বিদ্রোহের আকার নেয়। বর্তমান ঝাড়খণ্ডের সাহেবগঞ্জ জেলার ভাগনাদিহির মাঠে শুরু হয় জমায়েত। গবেষকদের মতে, আশপাশের চারশোর বেশি গ্রামের সাঁওতাল সেদিন জড়ো হয়েছিলেন অধিকার আদায়ের লড়াইয়ে। সংখ্যা ক্রমশ বাড়তে থাকে। ঐতিহাসিকদের মতে, সেদিন জমায়েত হয়েছিল প্রায় ৩০ হাজারেরও বেশি জনজাতি সমাজের মানুষজন। শুধুমাত্র ইংরেজ নয়, পাশাপাশি স্থানীয় জমিদার ও মহাজনরাও সাঁওতালিদের ওপর জোর-জুলুম ও অত্যাচার চালাত। সেখানেই প্রাপ্য দাবি ছিনিয়ে নিতে অস্ত্র তুলে নিয়েছিলেন জনজাতির বীর সন্তানরা। এরপরেই শুরু হয় যুদ্ধ। বিদ্রোহের (Hul Diwas) থেকে যুদ্ধ বলাই ভালো। কারণ ব্রিটিশ সেনাকে সেদিন নামতে হয়েছিল বীর জনজাতিদের বিরুদ্ধে লড়তে। ‘হুল’ ‘হুল’ ধ্বনিতে সেদিন আকাশ-বাতাস কেঁপে উঠেছিল বর্তমান ভারতের বিহার, ঝাড়খণ্ড, বাংলার পুরুলিয়া প্রভৃতি এলাকার।

    ভাগনাদিহি থেকে কলকাতার অভিমুখে সশস্ত্র পদযাত্রা

    সিধু-কানুর (Hul Diwas) নেতৃত্বে ভাগনাদিহি থেকে কলকাতার অভিমুখে পদযাত্রা শুরু করে প্রায় ৩০ হাজার সাঁওতাল। পরবর্তীকালে দেশ অনেক গণপদযাত্রার সাক্ষী থেকেছে। কিন্তু আজ থেকে ১৬৮ বছর আগে অধিকারের দাবিতে এমন পদযাত্রা যে কোনও স্বাধীনতাকামী মানুষের মনকে নাড়া দেয়। ঐতিহাসিকদের মতে, পদযাত্রার সময় অত্যাচারী দারোগা মহেশাল দত্ত ছয়-সাতজন সাঁওতাল নেতাকে বিনা অপরাধে গ্রেফতার করে। এরপর ব্রিটিশ পুলিশ সিধু ও কানুকে গ্রেফতার করতে উদ্যত হলে বিক্ষুব্ধ সাঁওতাল বিপ্লবীরা ৭ জুলাই পাঁচকাঠিয়া নামক স্থানে মহাজন কেনারাম ভগত, মহেশাল দত্ত সহ ইংরেজ পক্ষের ১৯ জনকে হত্যা করেন এবং সেখানেই সাঁওতাল বিদ্রোহের আগুন প্রজ্বলিত হয়। গবেষকরা বলছেন, এরপর টানা আট মাস ধরে চলে সাঁওতাল বিদ্রোহ। দাপট, শৌর্য, বীরত্বে তখন ওই অঞ্চলগুলিতে শেষ হয় ব্রিটিশ আধিপত্য। ২১ জুলাই কাতনা গ্রামে ইংরেজ বাহিনী বিপ্লবীদের কাছে পরাজয় স্বীকার করে। রণে ভঙ্গ দেয় ব্রিটিশরা।

    বীরভূম জেলার তৎকালীন জনপদ নাগপুর বাজার ধ্বংস করে বিদ্রোহীরা

    জুলাই মাসেই বীরভূম জেলার (Santhal Rebellion) তৎকালীন জনপদ নাগপুর বাজার ধ্বংস করে বিদ্রোহীরা। অভিযোগ, সেখানে সাঁওতাল জনগণকে ন্যায্যমূল্যে পণ্য দেওয়ার পরিবর্তে অত্যাচার করা হত। ১৮৫৫ সালের অক্টোবরের দ্বিতীয় সপ্তাহে সিধু-কানুর বিরুদ্ধে ইংরেজ সরকার ‘অস্বা সামরিক আইন’ (অস্ত্রশস্ত্র বহনের ক্ষেত্রে নিষেধাজ্ঞা) জারি করে। কিন্তু আন্দোলনের সামনে এখানেও পিছু হঠতে হয় ব্রিটিশদের। ১৮৫৬ সালের ৩ জানুয়ারি সামরিক আইন প্রত্যাহার করে তারা। বিদ্রোহের অন্যতম বীরাঙ্গনা ফুলমণি মুর্মুকে ব্রিটিশ সেপাইরা নৃশংসভাবে ধর্ষণ ও হত্যা করে তাঁর লাশ রেললাইনে ফেলে রেখে যায়, এমনটাই মত কোনও কোনও গবেষকদের। আজও এই বীরাঙ্গনা জনজাতি সমাজে শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণীয় হয়ে আছেন।

    ফাঁসির মঞ্চে কানুর ঘোষণা

    ইংরেজ আমলে স্থানীয় মহাজন ও দাদন ব্যবসায়ীদের শোষণ ও নিপীড়ন এবং ব্রিটিশদের অত্যাচারের শিকার হয়ে তা থেকে মুক্তির লক্ষ্যেই এই আন্দোলনের সূচনা হয়েছিল। কিন্তু বিশ্বাস ভঙ্গ করেন কয়েকজন। ব্যক্তিস্বার্থে ভেসে গিয়ে ইংরেজদের ফাঁদে পা দেন কয়েকজন সাঁওতাল। ব্যর্থ হয় বিপ্লব। ব্রিটিশের হাতে গ্রেফতার হন সিধু। পরে তাঁকে গুলি করে হত্যা করা হয়। অন্যদিকে ১৮৫৬ সালের ২৩ ফেব্রুয়ারি ভগনডিহির সন্নিকটে পাঁচকাঠিয়া বটবৃক্ষে ফাঁসির মঞ্চে তোলা হয় কানুকে। ফাঁসির মঞ্চ থেকে তিনি ঘোষণা করেছিলেন, “আমি আবার আসব, আবার সারা দেশে বিদ্রোহের আগুন জ্বালিয়ে তুলব।” ব্যর্থ হলেও পরোক্ষে সাঁওতাল বিদ্রোহই সিপাহী বিদ্রোহের ভিত গড়ে দেয়। অত্যাচারিত মানুষ বুঝতে পারে লড়াই করে বড় শক্তিকেও নাড়িয়ে দেওয়া যায়। অধিকার চাইলে পাওয়া যায় না, ছিনিয়ে নিতে হয়।

  • S-400 in South India: চিন-পাক সীমান্তের পর এবার সাগর-সুরক্ষাতেও এস-৪০০ মোতায়েনের পথে ভারত?

    S-400 in South India: চিন-পাক সীমান্তের পর এবার সাগর-সুরক্ষাতেও এস-৪০০ মোতায়েনের পথে ভারত?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ‘অপারেশন সিঁদুর’-এ কামাল দেখিয়েছে এস-৪০০ (S-400 in South India)। এই ‘সুদর্শন চক্রে’-ই ধ্বংস হয়েছে একের পর এক পাক ড্রোন। ভারতের মাটিতে পাক ড্রোনকে আঁচও কাটতে দেয়নি এই এস-৪০০। ভারতের ‘রক্ষাকবচ’ তথা ‘সুদর্শন চক্র’ হয়ে কাজ করেছে এটি। তাই উত্তরে ভারত-পাক সীমান্তের পর এবার দক্ষিণ ভারতের সুরক্ষাতেও এস-৪০০ বসাতে পারে প্রতিরক্ষা মন্ত্রক। মোট পাঁচটি এস-৪০০ পুতিনের দেশের থেকে কিনেছে ভারত। এখনও পর্যন্ত তিনটি ডেলিভারি হয়েছে। বাকি আরও দু’টি। ওই দুটিও খুব শীঘ্রই দিল্লির হাতে তুলে দেবে মস্কো। এছাড়া, আরও ২ এস-৪০০ রেজিমেন্ট অতিরিক্ত কিনতে পারে ভারত, এমন খবরও ঘোরাফেরা করছে। শোনা যাচ্ছে, দক্ষিণ ভারতের কেরলে একটি নতুন রেডার কেন্দ্র স্থাপনের পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। সেখানেই একটি এস-৪০০ মোতায়েন করা হবে।

    এস-৪০০ এর গুরুত্ব

    রাশিয়ায় তৈরি এই ‘সুরক্ষাকবচ’ আধুনিক যুদ্ধে বিশ্বের প্রথম সারির প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা। অন্তত ৬০০ কিলোমিটার দূর থেকে উড়ে আসা ক্ষেপণাস্ত্র চিহ্নিত করতে পারে ‘সুদর্শন চক্র’। ৩৮০ কিলোমিটার দূর থেকে ক্ষেপণাস্ত্র নিষ্ক্রিয় করতে পারে। আপাতত ভারতের চারটি জায়গায় এই সিস্টেম মোতায়েন রয়েছে। এস-৪০০ রাশিয়ার তৈরি দূরপাল্লার ভূমি থেকে আকাশে নিক্ষেপযোগ্য ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবস্থা। যা অত্যাধুনিক রেডার ব্যবহার করে আকাশে হুমকি শনাক্ত এবং ট্র্যাক করে, তারপর তা ধ্বংস করার জন্য ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করে। এটি একটি বহু-স্তরযুক্ত ব্যবস্থা যার বিভিন্ন ধরণের ক্ষেপণাস্ত্র রয়েছে যা বিমান এবং ড্রোন থেকে শুরু করে ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র পর্যন্ত বিস্তৃত লক্ষ্যবস্তুকে কভার করে।

    কেন দক্ষিণ ভারতে প্রয়োজন এস-৪০০

    এদিকে, ভারতীয় বায়ুসেনা কেরলের কোঝিকোড় জেলার চালিয়ামে একটি উন্নত রেডার কেন্দ্র স্থাপনের প্রস্তাব দিয়েছে। ৪০ একর জমির এই কেন্দ্রটি বেয়পুর বন্দরের নিকটে এবং প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের এক প্রকল্পের অংশ। এখানে এমন রেডার স্থাপন করা হবে যা যুদ্ধবিমান, ড্রোন, ক্রুজ ও ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র শনাক্ত করতে সক্ষম হবে। এটি আইএএফ-এর সার্বভারতীয় নজরদারি ব্যবস্থার (IACCS) সঙ্গে সংযুক্ত থাকবে। বিশেষজ্ঞদের মতে, হাম্বানটোটা বন্দরসহ ভারত মহাসাগর অঞ্চলে চিনের প্রভাব বৃদ্ধির পরিপ্রেক্ষিতে দক্ষিণ ভারতের প্রতিরক্ষা জোরদার করার এই পরিকল্পনা অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ।

    ভারত মহাসাগরে চিনের তৎপরতা বৃদ্ধি

    ইরান-ইজরায়েল সংঘাতের আবহে যখন বিশ্বজুড়ে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়েছে, ঠিক সেই সময় ভারত মহাসাগরে নতুন করে কারসাজি শুরু করেছে চিন। সাম্প্রতিক সময়ে চিনের সন্দেহজনক সামরিক গতিবিধি ভারতীয় গোয়েন্দা এবং প্রতিরক্ষা মহলে উদ্বেগ সৃষ্টি করেছে। এই পরিস্থিতিতে দক্ষিণ ভারতের কেরলে প্রথমবার বসানো হচ্ছে এক অত্যাধুনিক এবং উচ্চপ্রযুক্তি সম্পন্ন রেডার। যার মাধ্যমে নজর রাখা যাবে চিনা উপস্থিতির উপর। কেরলের কোঝিকোড় জেলার বেপোর সংলগ্ন চালিয়ামে ভারতীয় বায়ুসেনা এই শক্তিশালী রেডারটি স্থাপন করেছে। এর ফলে গ্বদর (পাকিস্তান) এবং হাম্বানোটাটা (শ্রীলঙ্কা) বন্দরের উপরে সরাসরি নজরদারি চালাতে পারবে ভারত। জানা গিয়েছে, চিন ইতিমধ্যেই এই দুটি গুরুত্বপূর্ণ বন্দরকে ৯৯ বছরের জন্য লিজে নিয়ে সেখানে নৌবাহিনীর জাহাজ এবং গুপ্তচর জাহাজ পাঠিয়ে রেখেছে, যা ‘অর্থনৈতিক উন্নয়ন’-এর আড়ালে একটি সুপরিকল্পিত সামরিক তৎপরতা বলে মনে করছে ভারত।

    এস-৪০০-এ ভরসা ভারতের

    অপারেশন সিঁদুরের সময় এস-৪০০ মোতায়েনের ফলে ভারতের কোনও ক্ষতি না করেই কার্যকরভাবে পাক হুমকির সফল মোকাবিলা করতে সক্ষম হয়েছে সেনা। তাই প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের আশা, ভবিষ্যতের আকাশ হুমকির বিরুদ্ধে প্রতিরোধক হিসেবে কাজ করবে এস-৪০০ (S-400 in South India)। ভারতের প্রতিরক্ষামূলক অবস্থানকে আরও শক্তিশালী করবে এবং এর সামরিক সম্পদ এবং জনগণের নিরাপত্তা নিশ্চিত করবে এই অত্যাধুনিক ক্ষেপণাস্ত্র। এস-৪০০-তে জ্যামিং প্রযুক্তিকে ঠেকানোর ব্যবস্থাও রয়েছে। লক্ষ্যে আঘাত হানতে ছোট রেডার প্রযুক্তি রয়েছে। একটি কমান্ড এবং একটি নিয়ন্ত্রণ কেন্দ্র রয়েছে। ভারত, রাশিয়া, চিন, তুরস্ক, বেলারুসের মতো দেশ এস-৪০০ ক্ষেপণাস্ত্র প্রযুক্তি ব্যবহার করে। চিন এবং পাকিস্তানকে ঠেকাতে রাশিয়ার থেকেই এই ক্ষেপণাস্ত্র প্রযুক্তি কেনে ভারত। ২০১৬ সালের ১৫ অক্টোবর সেই মতো চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। সবমিলিয়ে খরচ পড়ে ৪০ হাজার কোটি টাকা।

    চিনকে মাত দিতে ভারতের চাল

    চিনের যুদ্ধবিমান এবং যুদ্ধজাহাজ ভারত মহাসাগরে সন্দেহজনকভাবে ঘোরাফেরা করছে। এই পরিস্থিতিতে দক্ষিণ ভারতের রেডার নেটওয়ার্ককে আরও আধুনিক ও শক্তিশালী করার সিদ্ধান্ত নেয় ভারতীয় বায়ুসেনা। এই প্রেক্ষিতে প্রশ্ন উঠছে—সত্যিই কি এস-৪০০ রেজিমেন্টগুলোর একটি কেরলে মোতায়েন করা হবে? যদি তাই হয়, তবে এটি চালিয়ামের প্রস্তাবিত রেডার কেন্দ্রের সঙ্গে সমন্বয় রেখে ভারতের আকাশ ও সামুদ্রিক নিরাপত্তাকে আরও সুদৃঢ় করতে পারে বলে মনে করছেন প্রতিরক্ষা বিশ্লেষকরা।

  • Indian Railways: রেলের নিয়মে বড় বদল ১ জুলাই থেকে, ৮ ঘণ্টা আগে টাঙানো হবে সংরক্ষিত আসন তালিকা

    Indian Railways: রেলের নিয়মে বড় বদল ১ জুলাই থেকে, ৮ ঘণ্টা আগে টাঙানো হবে সংরক্ষিত আসন তালিকা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ১ জুলাই থেকে বড় পরিবর্তন আসছে ভারতীয় রেলের (Indian Railways) সংরক্ষিত আসনের তালিকা প্রকাশের ক্ষেত্রে। এতদিন পর্যন্ত ট্রেন ছাড়ার চার ঘণ্টা আগে ওই তালিকা টাঙানো হত, কিন্তু আগামী ১ জুলাই থেকে তা ট্রেন ছাড়ার ৮ ঘণ্টা আগে টাঙানো হবে বলে রেল সূত্রে জানা গিয়েছে। রেলের আধিকারিকরা জানিয়েছেন, যেসব ট্রেন দুপুর ২টার আগে ছাড়বে, সেক্ষেত্রে তালিকাগুলি আগের দিন রাত ৯টায় টাঙানো হবে। জানা গিয়েছে, রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব এই বিষয়ে রেল আধিকারিকদের নির্দেশ দিয়েছেন, যাতে পুরো প্রক্রিয়াটি অত্যন্ত সংগঠিতভাবে সম্পন্ন হয়।

    ১ জুলাই থেকে তৎকাল টিকিট বুকিংয়ের ক্ষেত্রে আধার কার্ড বাধ্যতামূলক

    এছাড়াও, আরেকটি বড় পরিবর্তন এসেছে। রেলের (Indian Railways) তরফ থেকে ঘোষণা করা হয়েছে যে, আগামী দিনে অর্থাৎ ১ জুলাই থেকে তৎকাল টিকিট বুকিংয়ের ক্ষেত্রে আধার কার্ড বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। এই নিয়ম সমস্ত ধরনের দূরপাল্লার টিকিটের ক্ষেত্রেই প্রযোজ্য হবে। এর পাশাপাশি আরও বেশ কিছু পরিবর্তন আসছে বলে জানিয়েছে রেল কর্তৃপক্ষ। তার মধ্যে অন্যতম হল একটি রেলওয়ে (Railways) অ্যাপ, যার মাধ্যমে যাত্রীরা একটি মাত্র অ্যাপ থেকেই রেলের সব ধরনের পরিষেবা ও সুবিধা ব্যবহার করতে পারবেন।

    অন্যান্য সুবিধা (Indian Railways)

    তাছাড়া, ওয়েটিং লিস্ট সংক্রান্ত প্রক্রিয়াতেও বড় পরিবর্তন আনা হচ্ছে। রেলের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, যাত্রীদের সঙ্গে আলোচনা করেই এই সমস্ত পরিবর্তন আনা হচ্ছে। যদিও এখনও পর্যন্ত রেলের অনেক পরিষেবা নিয়ে যাত্রীদের মধ্যে অভিযোগ রয়েছে, রেল (Railways) আধিকারিকরা জানিয়েছেন সেগুলিও খুব দ্রুত নিরসন করা হবে। এছাড়াও, আইআরসিটিসি (IRCTC) যাত্রীদের জন্য নতুন কিছু সুবিধা চালু (Indian Railways) করেছে, যার মধ্যে অন্যতম হল ‘টিকিট ডিপোজিট রিসিট’। যে কোনও পরিস্থিতিতে যেমন ট্রেন তিন ঘণ্টা বা তার বেশি দেরিতে চলছে, এসি কাজ করছে না, রুট পরিবর্তন হয়েছে, অথবা ট্রেন দেরিতে পৌঁছেছে- এই সবক্ষেত্রেই টিডিআর ফাইল করা যাবে। এই আবেদন আইআরসিটিসির ওয়েবসাইট বা যে কোনও মোবাইল অ্যাপের মাধ্যমেও করা যাবে এবং যাত্রীরা টাকা ফেরতের দাবি জানাতে পারবেন।

  • Parag Jain: অপারেশন সিঁদুরে বড় ভূমিকা! পাকিস্তানের খুঁটিনাটি নখদর্পণে, আইপিএস পরাগ জৈন এবার ‘র’-এর প্রধান

    Parag Jain: অপারেশন সিঁদুরে বড় ভূমিকা! পাকিস্তানের খুঁটিনাটি নখদর্পণে, আইপিএস পরাগ জৈন এবার ‘র’-এর প্রধান

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অপারেশন সিঁদুর ছিল তাঁরই মস্তিষ্ক প্রসূত। পাকিস্তানের খুঁটিনাটি তাঁর নখদর্পণে। ভারতের ‘রিসার্চ অ্যান্ড অ্যানালিসিস উইং’ বা র (R&AW) -এর পরবর্তী প্রধান হলেন ১৯৮৯-র ব্যাচের আইপিএস অফিসার পরাগ জৈন (Parag Jain)। কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার নিয়োগ সংক্রান্ত কমিটি তাঁকে ‘র’ প্রধান হিসেবে মনোনীত করেছে। এতদিন পর্যন্ত ভারতীয় এই গুপ্তচর সংস্থার প্রধান ছিলেন রবি সিং। মঙ্গলবার, ১ জুলাই থেকে টানা দুবছর এই নতুন দায়িত্ব সামলাবেন পরাগ।

    অপারেশন সিঁদুরে বড় ভূমিকা

    অপারেশন সিঁদুর চলাকালীন তিনি ছিলেন ‘অ্যাভিয়েশন রিসার্চ সেন্টার’-এর প্রধান পদে। গত ২২ এপ্রিল পহেলগাঁওয়ে নৃশংস জঙ্গি হামলার পর মোদি সরকার পাক জঙ্গি ঘাঁটিতে প্রত্যাঘাতের জন্য মরিয়া হয়ে ওঠে। কিন্তু একদেশ থেকে আরেক দেশে বেছে বেছে জঙ্গি ঘাঁটিগুলিতে প্রাণঘাতী আক্রমণ শানানোর মতো কাজটা মোটেই সহজ ছিল না। সেই কঠিন কাজটি সহজ করে দিয়েছিলেন এই দুঁদে আইপিএস অফিসার। তাঁর দেওয়া তথ্যের উপর ভিত্তি করে ভারতীয় বায়ুসেনা বিভাগ পাক পাঞ্জাব ও পাক অধিকৃত কাশ্মীরে থাকা ৯টি জঙ্গি ঘাঁটিতে লক্ষ্যভেদী হামলা চালায়। পাকিস্তানের মাটি থেকে শুরু করে পাক অধিকৃত কাশ্মীরে তার দেখানো পথেই পাকিস্তানকে নাস্তানাবুদ করে ভারতীয় সেনা।

    পাকিস্তান সম্পর্কে গভীর জ্ঞান

    জম্মু-কাশ্মীরের পরিস্থিতি নিয়েও বিস্তারিত অভিজ্ঞতা রয়েছে পরাগ জৈনের (Parag Jain)। ‘র’-এর অন্দরে ‘পাকিস্তান বিশেষজ্ঞ’ হিসেবে পরিচিতি পরাগ। পূর্বে তিনি জম্মু ও কাশ্মীরের সন্ত্রাস দমন অভিযানেও নেতৃত্ব দিয়েছিলেন। ২০১৯ সালে পাকিস্তানের জঙ্গিঘাঁটিতে ভারতীয় বায়ুসেনার অপারেশন বালাকোটের সময় কাশ্মীর উপত্যকাতেই ছিলেন পরাগ। দেশের গোয়েন্দা মহলে পরাগকে ‘সুপার স্লিউথ’ বলে ডাকা হয়। পাকিস্তান সম্পর্কে তাঁর তথ্যভাণ্ডার অনেক গুপ্তচরেরই ঈর্ষার কারণ। হিউম্যান ইন্টেলিজেন্স-এর সঙ্গে আর্টিফিসিয়াল ইন্টেলিজেন্স-এর সমন্বয়ের জন্য তাঁর খ্যাতি রয়েছে গোয়েন্দা মহলে। এর আগে তিনি পাঞ্জাব পুলিশের ডিজিপি-র দায়িত্ব পালন করেছিলেন।

    দক্ষ অফিসার হিসেবে প্রসিদ্ধ

    পাঞ্জাব ক্যাডারের আইপিএস পরাগ জৈন। ক্যারিয়রের শুরু দিকে পাঞ্জাবের ভাটিন্ডা, হোশিয়ারপুর, মানসা এলাকায় পোস্টিং ছিল এই আইপিএস অফিসারের। খালিস্তানপন্থী সন্ত্রাসের মোকাবিলায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা ছিল তাঁর। পরবর্তীকালে লুধিয়ানার ডিআইজি থাকাকালীন পাঞ্জাবে মাদক পাচার চক্র দমনেও দক্ষতার পরিচয় দেন এই আইপিএস অফিসার। তবে এবার সেখান থেকে উঠে এসে তার ওপর আরও বড় দায়িত্ব দিল কেন্দ্রীয় সরকার। দেশের নিরাপত্তা নিয়ে কোনও ধরণের আপোষ করা হবে না। সেটা আগেই জানিয়ে দিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। এবার সেই পথেই করা হল পদক্ষেপ।

  • PM Modi: ‘মন কি বাত’-এর ১২৩তম পর্বে চিকিৎসক-চার্টার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্টদের প্রশংসা করলেন প্রধানমন্ত্রী

    PM Modi: ‘মন কি বাত’-এর ১২৩তম পর্বে চিকিৎসক-চার্টার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্টদের প্রশংসা করলেন প্রধানমন্ত্রী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রবিবার ‘মন কি বাত’-এর ১২৩তম পর্বে চিকিৎসক ও চার্টার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্টদের অমূল্য অবদানের প্রশংসা করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)। এই দুই পেশাকে তিনি সমাজের দুটি ‘স্তম্ভ’ বলেও অভিহিত করেন। প্রধানমন্ত্রী বলেন, “এই দুই স্তম্ভ একদিকে (Mann Ki Baat) যেমন স্বাস্থ্যরক্ষায় নিয়োজিত, অন্যদিকে তেমনি অর্থনৈতিক জীবনের পথপ্রদর্শক।” তিনি বলেন, “১ জুলাই আমরা দুটি গুরুত্বপূর্ণ পেশাকে সম্মান জানাই-চিকিৎসক এবং চার্টার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্ট। এই দুই পেশাই সমাজের এমন স্তম্ভ, যারা আমাদের জীবনকে আরও উন্নত করে তোলে। চিকিৎসকেরা আমাদের স্বাস্থ্যরক্ষক, আর সিএ-রা আমাদের অর্থনৈতিক জীবনের দিশারী। আমি সমস্ত চিকিৎসক এবং সিএ-দের জানাই আমার শুভকামনা।”

    পরিবেশ রক্ষার গুরুত্ব (PM Modi)

    এদিনের মন কি বাতে প্রধানমন্ত্রীর ভাষণে উঠে এসেছে পরিবেশ রক্ষার গুরুত্বের দিকটিও। তিনি বলেন, “এই মাসে আমরা সবাই মিলে ‘বিশ্ব পরিবেশ দিবস’ উদযাপন করেছি। আমি আপনাদের হাজার হাজার বার্তা পেয়েছি। অনেকেই আমাকে তাঁদের সেই বন্ধুদের কথা জানিয়েছেন, যাঁরা একাই পরিবেশ রক্ষার উদ্যোগ শুরু করেছিলেন এবং পরে গোটা সমাজই তাঁদের সঙ্গে যোগ দিয়েছে। এই সম্মিলিত প্রচেষ্টাই আমাদের পৃথিবীর জন্য এক বিশাল শক্তিতে পরিণত হচ্ছে।”

    কী বললেন প্রধানমন্ত্রী?

    দেশের নানা প্রান্তের মানুষের উদাহরণ তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী (PM Modi) বলেন, “পুনের রমেশ খারমালে, তাঁর কাজের কথা জানলে আপনি আকও বেশি করে অনুপ্রাণিত হবেন। যখন সবাই সপ্তাহ শেষে বিশ্রাম নেন, তখন রমেশজি এবং তাঁর পরিবার কোদাল নিয়ে বেরিয়ে পড়েন। জানেন কোথায় যান? জুন্নারের পাহাড়ের দিকে। রোদ হোক বা খাড়া চড়াই, তাঁদের যাত্রা থেমে থাকে না। তাঁরা ঝোপঝাড় পরিষ্কার করেন, জল ধরে রাখার জন্য খাল খোঁড়েন এবং বীজ বপন করেন। মাত্র দু’মাসে তাঁরা ৭০টি খাল খুঁড়েছেন (Mann Ki Baat)।”

    গুজরাটের আহমেদাবাদ শহরের প্রসঙ্গ টেনে প্রধানমন্ত্রী (PM Modi) বলেন, “ওখানে মিউনিসিপ্যাল কর্পোরেশন ‘মিশন ফর মিলিয়ন ট্রিজ’ অভিযান শুরু করেছে। এই অভিযানের লক্ষ্য লক্ষ লক্ষ গাছ রোপণ করা। এই অভিযানের একটি বিশেষ দিক হল ‘সিঁদুর বন’।” িতিন বেলন, “এই বনটি অপারেশন সিঁদুরের বীর সৈনিকদের উৎসর্গ করা হয়েছে। যাঁরা দেশের জন্য সবকিছু বিসর্জন দিয়েছেন, তাঁদের স্মরণে এখানে সিঁদুর গাছের চারা লাগানো হচ্ছে। এখানেই আর একটি অভিযানকে নতুন গতি দেওয়া হয়েছে — ‘এক পেড মা কে নাম’। এই অভিযানের অধীনে দেশে কোটি কোটি গাছ লাগানো হয়েছে। আপনিও আপনার গ্রাম বা শহরে চলতে থাকা এমন অভিযানে অংশ নিন (Mann Ki Baat)।”

  • VHP: হিন্দু মন্দির হোক সরকারি নিয়ন্ত্রণ মুক্ত, ফের একবার দাবি জানাল বিশ্ব হিন্দু পরিষদ

    VHP: হিন্দু মন্দির হোক সরকারি নিয়ন্ত্রণ মুক্ত, ফের একবার দাবি জানাল বিশ্ব হিন্দু পরিষদ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দেশজুড়ে হিন্দুত্বের এক প্রবল জাগরণ শুরু হয়েছে, আর সেই ঢেউ-ই ভারতকে পুনর্জাগরণের পথে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে। ঠিক এমনটাই বললেন বিশ্ব হিন্দু পরিষদের (VHP) কেন্দ্রীয় সহ-সাধারণ সম্পাদক ড. সুরেন্দ্র জৈন। শনিবার উত্তরপ্রদেশের কানপুরে একটি সাংবাদিক বৈঠকে এই মন্তব্য করেন তিনি। ড. জৈন বলেন, “দেশ আজ প্রতিটি ক্ষেত্রে অগ্রসর হচ্ছে। সারা বিশ্ব ভারতের দিকে তাকিয়ে রয়েছে। আমরা এমন এক সমাজব্যবস্থা গড়ে তুলতে চাইছি, যেখানে বেআইনিভাবে ধর্মান্তকরণ পুরোপুরি নিষিদ্ধ হবে। সেইসঙ্গে হিন্দু মন্দিরগুলিকে সরকারে নিয়ন্ত্রণমুক্ত করা হবে।”

    মিশনারি ও জেহাদীদের অ্যাজেন্ডা আর চলবে না

    তিনি বলেন, “খ্রিস্টান মিশনারি ও ইসলামিক জিহাদীদের এটা বুঝে নেওয়া উচিত যে তাদের অ্যাজেন্ডা আর চলবে না। আজ গোটা দেশে এক আধ্যাত্মিক ভাবনার সঞ্চার হয়েছে। অযোধ্যায় রাম মন্দিরের প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে বিশ্বজুড়ে এক নতুন চেতনার সৃষ্টি হয়েছে। এই মন্দির কেবল ধর্মীয় কেন্দ্রীকরণ নয়, জেহাদি সন্ত্রাস ও নকশালবাদের বিরুদ্ধেও এক শক্তিশালী বার্তা দিয়েছে। দেশের (Bharat) শত্রুরা এখন আতঙ্কিত এবং প্রত্যেক ভারতীয় নাগরিক আজকের ভারতকে দেখে গর্ব অনুভব করছেন।”

    সরকারি নিয়ন্ত্রণমুক্ত মন্দিরের দাবি

    মন্দিরগুলিকে (VHP) সরকারের নিয়ন্ত্রণ থেকে মুক্ত করার প্রসঙ্গে ড. জৈন বলেন, “হিন্দু সমাজের কাছে এটি একপ্রকার প্রতারণা, যেখানে সরকার মন্দিরগুলিকে পরিচালনা করছে। এটা সম্পূর্ণ অনুচিত। হিন্দু মন্দিরগুলিকে হিন্দু সমাজেরই হাতে তুলে দেওয়া উচিত।” এনিয়ে তিনি পশ্চিমবঙ্গের দিঘার জগন্নাথ মন্দিরের প্রসঙ্গ তুলে বলেন, “সেখানে জগন্নাথ মন্দিরের প্রসাদ নাকি হালাল বিক্রেতাদের মাধ্যমে প্রস্তুত হচ্ছে। এটি অত্যন্ত দুঃখজনক। এই ধরনের ঘটনা প্রমাণ করে যে তথাকথিত ধর্মনিরপেক্ষ সরকার কখনও হিন্দুদের বিশ্বাস (VHP) ও সংস্কৃতিকে যথাযথ মর্যাদা দেয় না।”

    সারা দেশে প্রচার অভিযান চলছে

    ড. জৈন জানান (VHP), সরকার-নিয়ন্ত্রিত মন্দিরগুলিকে মুক্ত করার দাবিতে বিশ্ব হিন্দু পরিষদ সারা দেশে প্রচার অভিযান চালাচ্ছে। এই আন্দোলন ইতিমধ্যে অন্ধ্রপ্রদেশ থেকে শুরু হয়েছে। বিজয়ওয়াড়ায় গত ৫ জানুয়ারি থেকে এই ইস্যুতে প্রচার শুরু হয়েছে বলে তিনি জানান। তিনি আরও বলেন, “আমাদের দাবি হল, ধর্মস্থানকে সরকারি নিয়ন্ত্রণ থেকে মুক্ত করে হিন্দু সমাজের হাতে অর্পণ করা হোক। প্রতিটি রাজ্য সরকারকে এগিয়ে এসে এই দাবিকে সমর্থন করা উচিত।”

LinkedIn
Share