Category: দেশ

Get updates on India News Headlines National News from the Madhyom news portal madhyom.com, West Bengal leading news portal Madhyom.com

  • Nagrakata Incident: ‘নাগরাকাটায় পরিকল্পিত হামলা চালায় তৃণমূল’, মমতা ও রাজ্য সরকারকে নিশানা কেন্দ্রীয় বিজেপির

    Nagrakata Incident: ‘নাগরাকাটায় পরিকল্পিত হামলা চালায় তৃণমূল’, মমতা ও রাজ্য সরকারকে নিশানা কেন্দ্রীয় বিজেপির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আহত বিজেপি সাংসদ খগেন মুর্মুকে হাসপাতালে দেখতে নয় কেবলমাত্র ফটোশুট, ভিডিও শুট করতেই গিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বুধবার সাংবাদিক বৈঠক করেন বিজেপির মুখপাত্র শেহজাদ পুনাওয়ালা এমনই দাবি করলেন।। জলপাইগুড়ির নাগরাকাটার ঘটনা নিয়ে ফের তৃণমূল কংগ্রেস ও রাজ্য সরকারকে কড়া ভাষায় আক্রমণ করলেন তিনি। বিজেপির সর্বভারতীয় মুখপাত্র তৃণমূলকে তালিবানি মানসিকতার বলে কটাক্ষ করেন। তিনি এদিন সাংবাদিক বৈঠক করে বিজেপি সাংসদ ও বিধায়কদের মারার ঘটনার প্রসঙ্গে রাজ্যের মানসিকতা নিয়েও প্রশ্ন তোলেন।

    কেন গিয়েছিলেন মমতা?

    বুধবার সাংবাদিক বৈঠক করে বিজেপির মুখপাত্র শেহজাদ পুনাওয়ালা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন। তাঁর অভিযোগ, “কেবলমাত্র ফটোশুট, ভিডিও শুট করতে, লোক দেখাতে হাসপাতালে গিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। এক মিনিটের কম সময় থাকেন। আর বাইরে বেরিয়ে এসেই ভিডিও শুট করে বলেন, কেবল কানের নীচে একটু চোট লেগেছে। আসলে চোখের নীচের কয়েক সেন্টিমিটার দূরত্বেই হাড় ভেঙেছে, চোখটা নষ্ট হয়ে যেতে পারত।” শেহজাদ বলেন, “আমাদের আদিবাসী সম্প্রদায়ের সাংসদ খগেন মুর্মুকে ঘৃণ্যভাবে মারা হয়েছে। ওনার ওপর প্রাণঘাতী হামলা হয়েছে। ওনার পরিস্থিতি এতটাই আশঙ্কাজনক, চোখটা নষ্ট হতে বসেছিল। কোনওভাবে রক্ষা করা গিয়েছে। আইসিইউ তে ভর্তি রয়েছেন। তাঁর এক্স রে রিপোর্টে স্পষ্ট দেখা গিয়েছে, মুখে চোখের নীচের হাড় ভেঙে গিয়েছে। আরেকজন আদিবাসী সম্প্রদায়ের বিধায়ক মনোজ ওঁরাওকে হেনস্থা করা হয়েছে।”

    গোটাটাই তৃণমূলের পরিকল্পিত হামলা

    পুরো হামলার নেপথ্যে তৃণমূল জড়িত বলে আরও একবার অভিযোগ করেন বিজেপির সর্বভারতীয় মুখপাত্র শেহজাদ। তিনি বলেন, “গোটাটাই তৃণমূলের পরিকল্পিত হামলা। উত্তরবঙ্গে বিপর্যস্ত মানুষের পাশে যাঁরা দাঁড়াতে গিয়েছিলেন, তাঁদের ওপর হামলা হল। তৃণমূল নেতাকর্মীরা তালিবানি সংস্কৃতি পালন করছে। শঙ্কর ঘোষের ওপর হামলা হয়েছে। শঙ্কর ঘোষও বলেছেন, কীভাবে তৃণমূলের নেতাকর্মীদের নেতৃত্বে পরিকল্পিত হামলা ছিল। কেন্দ্রীয় জওয়ানরাও রক্ষা পাননি।” উল্লেখ্য, মঙ্গলবারই এমন দাবি করেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি শমীক ভট্টাচার্য। তিনি এই ঘটনায় এনআইএ তদন্ত দাবি করেন। একই দাবি করেন শুভেন্দু অধিকারীও। এই হামলার পিছনে রোহিঙ্গা, বাংলাদেশিরা জড়িত বলে অভিযোগ বিজেপি নেতৃত্বের।

    এখনও পর্যন্ত অধরা অভিযুক্তরা

    বর্তমানে শিলিগুড়ি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন খগেন। ওষুধের ও বিশ্রামের মাধ্যমে আপাতত তাঁর চোখের নীচের হাড় জোড়ার চেষ্টা চলছে। চার সপ্তাহ তাঁকে পর্যবেক্ষণে রাখা হবে। যদি তাতে উন্নতি না হয়, তাহলে অপারেশন করে পাত বসানো হতে পারে। সেক্ষেত্রে দিল্লির এইমসেও নিয়ে যাওয়ার হতে পারে খগেনকে। ইতিমধ্যেই ৮ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে বিজেপির তরফে। কিন্তু ঘটনার পর ৪৮ ঘণ্টা পেরিয়ে গেলেও, এখনও পর্যন্ত এক জনকেও গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ।

  • Air Force Day 2025: “সাহসিকতা, শৃঙ্খলা ও নির্ভুলতার প্রতীক”, বায়ুসেনা দিবসে আকাশ-যোদ্ধাদের শুভেচ্ছা রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রীর

    Air Force Day 2025: “সাহসিকতা, শৃঙ্খলা ও নির্ভুলতার প্রতীক”, বায়ুসেনা দিবসে আকাশ-যোদ্ধাদের শুভেচ্ছা রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রীর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বায়ুসেনা দিবসে বুধবার ভারতীয় বিমানবাহিনীর বীর যোদ্ধাদের শুভেচ্ছা জানালেন রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু ও প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।

    শুভেচ্ছা রাষ্ট্রপতির

    বুধবার সকালে সমাজ মাধ্যম এক্স-এ (পূর্বতন ট্যুইটার) এক বার্তায় রাষ্ট্রপতি উল্লেখ করেন, ভারতীয় বায়ুসেনা সর্বদা সাহস, অঙ্গীকার ও উৎকর্ষতা প্রদর্শন করে এসেছে। বায়ুসেনা দিবসে সমস্ত বিমান যোদ্ধা, প্রবীণ সৈনিক এবং তাঁদের পরিবারবর্গকে আন্তরিক শুভেচ্ছা জানিয়েছেন রাষ্ট্রপতি। এক্স মাধ্যমে রাষ্ট্রপতি বলেছেন, “ভারতীয় বায়ুসেনা সর্বদা সাহস, অঙ্গীকার ও উৎকর্ষতা প্রদর্শন করে এসেছে। আমাদের বিমান যোদ্ধারা আমাদের আকাশ রক্ষা করে ও দুর্যোগ এবং মানবিক অভিযানের সময় অক্লান্ত নিষ্ঠার সঙ্গে দেশের সেবা করে। আমাদের বায়ুসেনা শক্তি এবং প্রতিটি চ্যালেঞ্জ মোকাবিলার প্রস্তুতি দিয়ে দেশকে গর্বিত করেছে। ভবিষ্যতের সমস্ত প্রচেষ্টায় সাফল্যের জন্য আমি ভারতীয় বায়ুসেনাকে আমার শুভেচ্ছা জানাই।”

    শুভেচ্ছা বার্তা প্রধানমন্ত্রীর…

    এক্স পোস্টে ভারতীয় বায়ুসেনার প্রতিষ্ঠা দিবসে শুভেচ্ছা বার্তায় প্রধানমন্ত্রী লিখেছেন, “বায়ুসেনা দিবসে সমস্ত সাহসী বিমান যোদ্ধা এবং তাঁদের পরিবারবর্গকে শুভেচ্ছা। ভারতীয় বায়ুসেনা সাহসিকতা, শৃঙ্খলা ও নির্ভুলতার প্রতীক। বায়ুসেনা ভারতের আকাশ রক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে, এমনকি সবচেয়ে চ্যালেঞ্জিং পরিস্থিতিতেও। প্রাকৃতিক দুর্যোগের সময়ও তাঁদের ভূমিকা অত্যন্ত প্রশংসনীয়। তাঁদের প্রতিশ্রুতি, পেশাদারিত্ব এবং অদম্য মনোবল প্রতিটি ভারতীয়কে গর্বিত করে।”

    এদিন গাজিয়াবাদের হিন্দন এয়ারবেসে বুধবার অনুষ্ঠিত হল ভারতীয় বায়ুসেনার ৯৩তম প্রতিষ্ঠা দিবসের বর্ণাঢ্য অনুষ্ঠান। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন সিডিএস, স্থলবাহিনী ও নৌবাহিনীর প্রধানরা। ঐতিহ্যবাহী বিমানগুলির দুর্দান্ত আকাশ প্রদর্শন এবং তিন বাহিনীর মার্চপাস্ট মন কেড়েছে উপস্থিত দর্শকদের।

    কী বললেন বায়ুসেনা প্রধান?

    বায়ুসেনা প্রধান এয়ার চিফ মার্শাল এপি সিং এদিন তাঁর ভাষণে বলেন, “ভারতীয় বায়ুসেনা আজ প্রযুক্তি, দক্ষতা ও সক্ষমতার ক্ষেত্রে শীর্ষে রয়েছে। আমি গর্বিত যে এমন এক বাহিনীর অংশ, যা কেবল আধুনিক প্রযুক্তিতে সজ্জিত নয়, সাহস ও সমর্পণেও অতুলনীয়।” তিনি স্মরণ করান ১৯৪৮, ১৯৭১, ১৯৯৯-এর যুদ্ধ থেকে শুরু করে বালাকোট এয়ার স্ট্রাইক ও সাম্প্রতিক ‘অপারেশন সিন্ধুর’-এর মতো অভিযানে বায়ুসেনার অনন্য ভূমিকার কথা। তিনি বলেন, “আমাদের বীর সেনারা প্রতি ক্ষেত্রেই ইতিহাস তৈরি করেছেন। ভারতীয় বিমান বাহিনী প্রতিরক্ষা এবং সম্মানের নতুন উদাহরণ স্থাপন করেছে।”

    এয়ার চিফ মার্শাল সিং জানান, ‘অপারেশন সিন্ধুর’-এ ভারতীয় বায়ুসেনার সিদ্ধান্তমূলক পদক্ষেপ দেশের কৌশলগত অবস্থানকে আরও শক্তিশালী করেছে। তিনি বলেন, “এই অভিযান প্রমাণ করেছে যে নিবিড় প্রশিক্ষণ, শৃঙ্খলা ও নিষ্ঠার মাধ্যমে কত বড় সাফল্য অর্জন করা সম্ভব।” বায়ুসেনা প্রধান বলেন, “নিয়মিত প্রশিক্ষণই আমাদের সক্ষম রাখে। প্রতিটি বায়ুযোদ্ধাকে অঙ্গীকার করতে হবে—পরিস্থিতি যাই হোক, আমি দুর্বল হব না, এবং আমাদের ঐক্য অটুট থাকবে।” ভবিষ্যৎ প্রস্তুতির প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “সতর্কতা ও অবিরাম অনুশীলনই সাফল্যের চাবিকাঠি।”

  • Amit Shah: ‘মাওবাদীদের সঙ্গে কোনও ধরনের আলোচনার সম্ভাবনাই নেই’, সাফ জানালেন শাহ

    Amit Shah: ‘মাওবাদীদের সঙ্গে কোনও ধরনের আলোচনার সম্ভাবনাই নেই’, সাফ জানালেন শাহ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মাওবাদীদের (Maoists) সঙ্গে কোনও ধরনের আলোচনার সম্ভাবনাই নাকচ করে দিয়েছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ (Amit Shah)। সাফ জানিয়ে দিয়েছেন, তাঁদের অস্ত্র সমর্পণ করে সরকারের আকর্ষণীয় আত্মসমর্পণ ও পুনর্বাসন নীতি গ্রহণ করতে হবে। ছত্তিশগড়ের বস্তার জেলার সদর জগদলপুরে অনুষ্ঠিত ‘বস্তার দুর্গা উৎসব’ ও ‘স্বদেশি মেলা’য় বক্তব্য রাখতে গিয়ে তিনি বলেন, “৩১ মার্চ, ২০২৬-কে মাওবাদী সমস্যার অবসানের সময়সীমা হিসেবে নির্ধারণ করা হয়েছে।”

    কী বললেন অমিত শাহ? (Amit Shah)

    শাহ বলেন, “আমি আমার সমস্ত আদিবাসী ভাই-বোনেদের বলতে চাই, আপনারা আপনাদের গ্রামের তরুণদের বোঝান যেন তারা অস্ত্র ত্যাগ করে। তারা যেন হিংসার পথ ছেড়ে সমাজের মূলধারায় ফিরে আসে এবং বস্তার অঞ্চলের উন্নয়নের অংশীদার হয়।” মাওবাদীদের সতর্ক করে দিয়ে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, “মাওবাদীরা যদি বস্তারে শান্তি বিঘ্নিত করার চেষ্টা করে, তবে তাদের উপযুক্ত জবাব দেবে সিআরপিএফ ও ছত্তিশগড়ের পুলিশের মতো নিরাপত্তা বাহিনী।” তিনি জানান, তিনি এখানে মা দন্তেশ্বরী মন্দির পরিদর্শন করেছেন এবং প্রার্থনা করেছেন যাতে নিরাপত্তা বাহিনী আগামী বছরের ৩১ মার্চের মধ্যে পুরো বস্তার অঞ্চলকে লাল সন্ত্রাস মুক্ত করার শক্তি অর্জন করে।

    অস্ত্র নামিয়ে রাখুন

    উল্লেখ্য যে, ২০২৩ সালে বিজেপি ক্ষমতায় আসার পর ছত্তিশগড়ে মাওবাদবিরোধী অভিযান জোরদার হয়। গত বছরের জানুয়ারি থেকে এখন পর্যন্ত নিরাপত্তা বাহিনী একাধিক অভিযানে ৪৫০ জনেরও বেশি মাওবাদীকে হত্যা করেছে, যার বেশিরভাগই ঘটেছে বস্তার অঞ্চলে। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, “কিছু মানুষ মাওবাদীদের সঙ্গে আলোচনার আহ্বান জানিয়েছেন। আমি আবারও স্পষ্ট করে বলতে চাই যে ছত্তিশগড় ও কেন্দ্র – উভয় সরকারই বস্তার ও মাও-প্রভাবিত সমস্ত অঞ্চলের উন্নয়নে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। আলোচনার মতো কী আছে? আত্মসমর্পণ ও পুনর্বাসনের জন্য আকর্ষণীয় একটি নীতি চালু করা হয়েছে। সামনে আসুন এবং আপনারা অস্ত্র নামিয়ে রাখুন।”

    উন্নয়ন যজ্ঞ চলছে

    তিনি আরও (Amit Shah) বলেন, “দিল্লির কিছু মানুষ বহু বছর ধরে ভুল তথ্য ছড়িয়েছেন যে মাওবাদ জন্মেছিল উন্নয়নের জন্য লড়াই হিসেবে। কিন্তু আমি আমার আদিবাসী ভাইদের বলতে এসেছি গোটা বস্তারকে উন্নয়ন থেকে বঞ্চিত করে রাখা হয়েছে। এর মূল কারণই হল নকশালবাদ।” শাহ বলেন, “আজ ভারতে বিদ্যুৎ, পানীয় জল, রাস্তা, ঘরে ঘরে শৌচাগার, ৫ লক্ষ টাকা পর্যন্ত স্বাস্থ্যবিমা এবং ৫ কেজি করে বিনামূল্যের চাল দেশের প্রতিটি গ্রামে পৌঁছে গিয়েছে, কিন্তু বস্তার এমন উন্নয়ন থেকে বঞ্চিত রয়েছে (Amit Shah)।”

    তিনি বলেন, “ছত্তিশগড় সরকার দেশের মধ্যে সর্বোত্তম আত্মসমর্পণ নীতি প্রণয়ন করেছে। এক মাসের মধ্যেই ৫০০ জনের বেশি আত্মসমর্পণ করেছে। সবারই আত্মসমর্পণ করা উচিত। একটি গ্রাম মাওবাদ মুক্ত হওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই রাজ্য সরকার সেই গ্রামকে উন্নয়নের জন্য ১ কোটি টাকা দেবে।” কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, “নরেন্দ্র মোদি সরকার গত ১০ বছরে ছত্তিশগড়কে উন্নয়নমূলক কাজের জন্য ৪ লক্ষ কোটি টাকারও বেশি অর্থ দিয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর পক্ষ থেকে আমি আপনাদের আশ্বস্ত করতে চাই যে ৩১ মার্চ, ২০২৬-এর পর মাওবাদ আপনার এলাকার উন্নয়নকে আর থামাতে পারবে না। তারা আপনাদের অধিকারও (Maoists) কেড়ে নিতে পারবে না (Amit Shah)।”

  • World Bank: ২০২৫-২৬ অর্থবর্ষেও ভারতের অর্থনৈতিক বৃদ্ধি বিশ্বে দ্রুততম থাকবে, বলছে বিশ্বব্যাঙ্ক

    World Bank: ২০২৫-২৬ অর্থবর্ষেও ভারতের অর্থনৈতিক বৃদ্ধি বিশ্বে দ্রুততম থাকবে, বলছে বিশ্বব্যাঙ্ক

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ২০২৫-২৬ অর্থবর্ষেও বিশ্বের দ্রুততম বর্ধনশীল প্রধান অর্থনীতির দেশ হিসেবে তার জায়গা ধরে রাখবে ভারত (India)। এর পেছনে রয়েছে শক্তিশালী ভোগব্যয়ের বৃদ্ধি, কৃষি উৎপাদনের উন্নতি এবং গ্রামীণ মজুরি বৃদ্ধি। মঙ্গলবার প্রকাশিত বিশ্বব্যাঙ্কের (World Bank) এক প্রতিবেদনেই এই তথ্য জানানো হয়েছে। বিশ্বব্যাঙ্ক ২০২৫-২৬ অর্থবর্ষের জন্য ভারতের প্রবৃদ্ধির পূর্বাভাস ৬.৩ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ৬.৫ শতাংশ করেছে। এর পেছনে কারণ হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে স্থিতিশীল অভ্যন্তরীণ চাহিদা, শক্তিশালী গ্রামীণ পুনরুদ্ধার এবং কর সংস্কারের ইতিবাচক প্রভাব।

    বাংলাদেশের প্রবৃদ্ধি (World Bank)

    প্রতিবেদন অনুযায়ী, বাংলাদেশের প্রবৃদ্ধি ২৬ অর্থবর্ষে ৪.৮ শতাংশ হবে বলে আশা করা হচ্ছে। ভুটানের ক্ষেত্রে জলবিদ্যুৎ প্রকল্প নির্মাণে দেরির কারণে ২৬ অর্থবর্ষে প্রবৃদ্ধির পূর্বাভাস ৭.৩ শতাংশে নামিয়ে আনা হয়েছে। তবে ২৬ অর্থবর্ষে নির্মাণের গতি বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে এই প্রবণতা উল্টে যাওয়ার সম্ভাবনাও রয়েছে। দ্বীপরাষ্ট্র মলদ্বীপে ২৬ অর্থবর্ষে প্রবৃদ্ধি কমে ৩.৯ শতাংশে নেমে আসবে বলে অনুমান। নেপালে সাম্প্রতিক অস্থিরতা এবং ক্রমবর্ধমান রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক অনিশ্চয়তার কারণে ২৬ অর্থবর্ষে প্রবৃদ্ধি কমে ২.১ শতাংশে নেমে আসবে বলেও উল্লেখ করা হয়েছে ওই প্রতিবেদনে।

    দক্ষিণ এশিয়ার প্রবৃদ্ধি

    শ্রীলঙ্কায় পর্যটন ও সেবা খাতে রফতানির শক্তিশালী প্রবৃদ্ধির কারণে ২০২৫-২৬ অর্থবর্ষের জন্য প্রবৃদ্ধির পূর্বাভাস বাড়িয়ে ৩.৫ শতাংশ করা হয়েছে। দক্ষিণ এশিয়ার প্রবৃদ্ধি এই বছর ৬.৬ শতাংশে শক্তিশালী থাকার সম্ভাবনা রয়েছে। তবে ২৬ সালে তা কমে ৫.৮ শতাংশে নেমে আসবে বলে অনুমান। এটি এপ্রিলের পূর্বাভাসের তুলনায় ০.৬ শতাংশ পয়েন্ট কম। সম্ভাব্য নেতিবাচক ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে বৈশ্বিক অর্থনৈতিক মন্দার প্রভাব, বাণিজ্য নীতির অনিশ্চয়তা, আঞ্চলিক সামাজিক-রাজনৈতিক অস্থিরতা এবং এআইয়ের মতো প্রযুক্তির কারণে শ্রমবাজারে অস্থিরতা।

    বিশ্বব্যাঙ্কের বক্তব্য

    বিশ্বব্যাঙ্কের দক্ষিণ এশিয়ার সহ-সভাপতি জোহানেস জুট বলেন, “দক্ষিণ এশিয়ার অর্থনৈতিক সম্ভাবনা বিপুল এবং এটি এখনও বিশ্বের দ্রুততম বর্ধনশীল অঞ্চল। তবে প্রবৃদ্ধির ঝুঁকিগুলির মোকাবিলায় দেশগুলির সক্রিয়ভাবে পদক্ষেপ নেওয়া প্রয়োজন।” তিনি বলেন, “দেশগুলি এআইয়ের সুবিধা সর্বাধিক ব্যবহার এবং বিশেষ করে মধ্যবর্তী পণ্যের বাণিজ্য বাধা কমিয়ে উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধি, বেসরকারি বিনিয়োগ উৎসাহিত এবং দ্রুত সম্প্রসারিত শ্রমশক্তির জন্য কর্মসংস্থান তৈরি করতে পারে (World Bank)।”

    বিশ্বব্যাঙ্কের ওই রিপোর্টে উৎপাদনশীলতা ও আয় বাড়াতে এআইয়ের সম্ভাবনাকে কাজে লাগানোর সুপারিশ করেছে। এআইয়ের দ্রুত বিকাশ বৈশ্বিক অর্থনীতিকে রূপান্তরিত করছে এবং শ্রমবাজারকে পুনর্গঠন করছে। দক্ষিণ এশিয়ার শ্রমশক্তি মূলত কম দক্ষ, কৃষিভিত্তিক ও হাতের কাজ নির্ভর হওয়ায় এআই গ্রহণের ক্ষেত্রে তাদের সম্পৃক্ততা সীমিত। তবে মাঝারি (India) শিক্ষিত তরুণ শ্রমিকরা, বিশেষত ব্যবসা, পরিষেবা ও তথ্যপ্রযুক্তি খাতে কর্মরতরা তুলনামূলকভাবে ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় রয়েছেন। রিপোর্টে চাকরির সুযোগ সৃষ্টির গতি ত্বরান্বিত করতে কিছু সুপারিশও করা হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে সংস্থাগুলির প্রবৃদ্ধিতে বাধা সৃষ্টি করে এমন নিয়মনীতিগুলির সরলীকরণ, উন্নত পরিবহণ এবং ডিজিটাল সংযোগ, আবাসন অনুসন্ধানে আরও স্বচ্ছ বিকল্প, দক্ষতা উন্নয়ন ও চাকরির মিল খুঁজে দেওয়া, এবং ক্ষতিগ্রস্ত শ্রমিকদের জন্য সামাজিক নিরাপত্তা দেওয়া (World Bank)।

  • Keir Starmer: বাণিজ্যের লক্ষ্যে দু’দিনের সফরে ভারতে কিয়ের স্টার্মার, বৈঠক হবে মোদির সঙ্গেও

    Keir Starmer: বাণিজ্যের লক্ষ্যে দু’দিনের সফরে ভারতে কিয়ের স্টার্মার, বৈঠক হবে মোদির সঙ্গেও

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দু’দিনের ভারত (India) সফরে এলেন ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী কিয়ের স্টার্মার (Keir Starmer)। তাঁর সঙ্গে ব্রিটেন থেকে এ দেশে এসেছেন ১০০ জনেরও বেশি ব্যবসায়িক প্রতিনিধির একটি দল। এটি ব্রিটেন থেকে ভারতে এ পর্যন্ত পাঠানো সবচেয়ে বড় বাণিজ্যিক প্রতিনিধিদল বলেই সূত্রের খবর। এই প্রতিনিধিদলের ঘোষিত লক্ষ্য হল ভারত ও ব্রিটেনের মধ্যে ২০২৫ সালের মুক্ত বাণিজ্য চুক্তিকে (Free Trade Deal) আরও এগিয়ে নেওয়া এবং ২০৩০ সালের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য ১০০ বিলিয়ন মার্কিন ডলারে উন্নীত করা।

    ভারতে এলেন ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী (Keir Starmer)

    বুধবার নির্ধারিত বৈঠকের আগে ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী মুম্বইয়ে পৌঁছান প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে সাক্ষাতের উদ্দেশ্যে। স্টার্মার ও তাঁর প্রতিনিধিদলকে ছত্রপতি শিবাজি মহারাজ আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে স্বাগত জানান মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী দেবেন্দ্র ফড়ণবীস, উপমুখ্যমন্ত্রী একনাথ শিন্ডে ও অজিত পওয়ার এবং রাজ্যপাল আচার্য দেবব্রত। চলতি ভারত সফরে কী কী বিষয় নিয়ে আলোচনা হতে পারে, তার ইঙ্গিতও দিলেন ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, “ভারতের সঙ্গে ব্রিটেনের সম্প্রতি স্বাক্ষরিত মুক্ত বাণিজ্যচুক্তিতে সম্পূর্ণরূপে ব্যবসা ও বাণিজ্যচুক্তি এবং বিনিয়োগই গুরুত্ব পাবে।” ভিসা নিয়ে আলোচনার সম্ভাবনা উড়িয়ে দিয়ে ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী বলেন, “এটা পরিকল্পনার অংশ নয়। ব্রিটেনের অভিবাসন নীতির কোনও পরিবর্তন হবে না।” ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী বলেন, “বিশ্বজুড়ে শীর্ষ প্রতিভাদের সন্ধান করে ব্রিটেন। কিন্তু ট্রাম্পের অধীনে এইচ-১বি ভিসা ব্যবস্থা পরিবর্তনের পর ভারতীয় প্রযুক্তিবিদদের জন্য এখনই কোনও নতুন পথ খোলার কোনও পরিকল্পনাই নেই আমাদের।”

    মোদির সঙ্গে বৈঠক

    ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পর এই প্রথমবার ভারতে (India) এলেন স্টার্মার। আমেরিকার সঙ্গে ভারতের বাণিজ্যচুক্তি এখনও ঝুলেই রয়েছে। ট্রাম্প প্রশাসনের সঙ্গে কূটনৈতিক টানাপোড়েন চলছে নয়াদিল্লির। এই দড়ি টানাটানির মধ্যেই সম্প্রতি স্বাক্ষরিত হয়েছে ভারত ও ব্রিটেনের মধ্যে বাণিজ্য চুক্তি। এহেন আবহে আরও গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীর ভারতে আগমন। প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকের পরে মুম্বইয়ে প্রধানমন্ত্রী মোদির সঙ্গে একটি আলোচনাচক্রেও যোগ দেওয়ার কথা রয়েছে স্টার্মারের। সেখানে বিভিন্ন শিল্প প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে জড়িত বিশেষজ্ঞ ও উদ্যোগপতিদের সঙ্গে আলাপচারিতায় যোগ দিতে পারেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী (Keir Starmer)।

    মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি

    প্রসঙ্গত, গত ২৪ জুলাই লন্ডন থেকে যৌথ সাংবাদিক বৈঠকে এই চুক্তির কথা ঘোষণা করেছিলেন মোদি (India) ও স্টার্মার। এই চুক্তি কার্যকর হওয়ার পর ব্রিটেনে তৈরি বা ব্রিটেন থেকে আমদানিকৃত চিকিৎসা সরঞ্জাম, বিমান সরঞ্জাম ভারতীয় সংস্থাগুলির জন্য আগের চেয়ে সস্তা হয়ে যাবে। ভারতীয়দের জন্য সহজলভ্য হবে ব্রিটেনে তৈরি সফট ড্রিঙ্কস, চকোলেট, প্রসাধনী সামগ্রী, বিস্কুট এবং স্যামন মাছ। এই সব পণ্যে এত দিন গড়ে ১৫ শতাংশ করে শুল্ক কার্যকর ছিল। মুক্ত বাণিজ্যচুক্তির ফলে তা কমে দাঁড়াবে তিন শতাংশে। বৈদ্যুতিক গাড়ির শুল্ক ১১০ শতাংশ থেকে নেমে আসবে ১০ শতাংশে।

    সিইও ফোরামে অংশ নেবেন দুই রাষ্ট্রনেতা

    জানা গিয়েছে, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এবং কিয়ের স্টার্মার (Keir Starmer) শহরে সিইও ফোরাম এবং গ্লোবাল ফিনটেক ফেস্টের ষষ্ঠ সংস্করণে অংশ নেবেন। তাঁদের বৈঠকের সময় মোদি এবং স্টার্মার ইন্ডিয়া-ইউকে যৌথ কৌশলগত অংশীদারিত্বের বিভিন্ন ক্ষেত্রে অগ্রগতির মূল্যায়ন করবেন। এই মূল্যায়ন হবে ভিশন ২০৩৫ রোডম্যাপের ভিত্তিতে, যা বাণিজ্য ও বিনিয়োগ, প্রযুক্তি ও উদ্ভাবন, প্রতিরক্ষা ও নিরাপত্তা, জলবায়ু ও জ্বালানি, স্বাস্থ্য, শিক্ষা এবং জনগণের মধ্যে সম্পর্কের মতো ক্ষেত্রকে অন্তর্ভুক্ত করে।

    ব্যবসায়ীদের সঙ্গে আলোচনা

    দুই রাষ্ট্রনেতা প্রধানমন্ত্রী মোদি ও স্টার্মার ভারত-ব্রিটেন (India) যৌথ অর্থনৈতিক ও বাণিজ্য চুক্তির সুযোগ নিয়ে ব্যবসায়ী ও শিল্পখাতের নেতাদের সঙ্গে আলোচনা করবেন। এই চুক্তিকে ভবিষ্যতে ভারত-ব্রিটেন অর্থনৈতিক অংশীদারিত্বের একটি কেন্দ্রীয় স্তম্ভ হিসেবে দেখা হচ্ছে। তাঁরা আঞ্চলিক ও বৈশ্বিক গুরুত্বপূর্ণ ইস্যু নিয়েও মতবিনিময় করবেন। এছাড়াও, উভয় নেতা শিল্প বিশেষজ্ঞ, নীতিনির্ধারক এবং উদ্ভাবকদের সঙ্গেও আলোচনা করবেন (Keir Starmer)। বিদেশমন্ত্রকের তরফে জারি করা এক বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে বৈঠক করবেন স্টার্মার। প্রযুক্তি, উদ্ভাবন, প্রতিরক্ষা, জলবায়ু, জ্বালানি থেকে শুরু করে বাণিজ্য, বিনিয়োগ নিয়ে আলোচনা হবে তাঁদের। এর পাশাপাশি দুই দেশের মধ্যে কৌশলগত অংশীদারিত্ব নিয়েও আলোচনা হওয়ার কথা রয়েছে বৈঠকে।

    প্রসঙ্গত, চলতি বছর জুলাই মাসেই ব্রিটেন সফরে গিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। সেখানে ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গেও বৈঠক করেন তিনি। ওই সফরেই দুই দেশের মধ্যে স্বাক্ষরিত হয় দুই দেশের মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি। আগামী বছর থেকেই কার্যকর হবে এই চুক্তি (Keir Starmer)।

  • Unified Payment Interface: পিন ছাড়াই ইউপিআই লেনদেন, এবার মুখ দেখিয়ে ও আঙুলের ছাপেই পেমেন্ট

    Unified Payment Interface: পিন ছাড়াই ইউপিআই লেনদেন, এবার মুখ দেখিয়ে ও আঙুলের ছাপেই পেমেন্ট

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বদলে যেতে চলেছে ইউপিআই (Unified Payment Interface) লেনদেনের অভিজ্ঞতা। সূত্রের খবর, আজ ৮ অক্টোবর বুধবার থেকে নাকি বড় বদল আসতে চলেছে ইউনিফায়েড পেমেন্টস ইন্টারফেস বা ইউপিআই নেটওয়ার্কে। এখন থেকে নাকি অনলাইনে পেমেন্টের ক্ষেত্রে বাধ্যতামূলক সংখ্যাভিত্তিক পিন দিতে হবে না। জানা গিয়েছে পিনের বদলে গ্রাহকরা আঙুলের ছাপ বা ফেসিয়াল রেকগনিশন ব্যবহার করে অনুমোদন দিতে পারবেন। কেন্দ্রীয় সরকারের ইউনিক আইডেন্টিফিকেশন সিস্টেম অর্থাৎ আধারের ডেটাবেস ব্যবহার করে এই বায়োমেট্রিক অথেন্টিকেশন হবে। নতুন এই পিন বিহীন ব্যবস্থা ভারতীয় রিজার্ভ ব্যাঙ্ক বা আরবিআই-এর সাম্প্রতিক গাইডলাইন মেনে চালু হচ্ছে।

    গ্লোবাল ফিনটেক ফেস্টিভালে প্রদর্শন

    বর্তমানে মুম্বাইতে চলা গ্লোবাল ফিনটেক ফেস্টিভালে ন্যাশনাল পেমেন্টস কর্পোরেশন অফ ইন্ডিয়া বা এনপিসিআই নয়া এই ফিচারটি প্রদর্শন করার পরিকল্পনা করেছে। ডিজিটাল লেনদেনে এক নতুন দিগন্ত খুলে দেবে এই ব্যবস্থা। পিন ছাড়া ইউপিআই হলে একাধিক সুবিধা হতে পারে। প্রথমত, কোনও পেমেন্টের সময় ৬টি বা ৪টি ডিজিট প্রেস করে তারপর পেমেন্ট হত। সেটা বন্ধ হবে। ফলে, একটা টাচেই পেমেন্ট ডান। এ ছাড়াও যাঁরা রোজ ইউপিআই ব্যবহার করেন না, তাঁরা অনেক সময় পিন মনে রাখতে পারেন না। আর সেই কারণেই পিন-মুক্ত লেনদেন ইউপিআই ব্যবহারকারী কোটি কোটি মানুষের জন্য স্বস্তিদায়ক হবে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।

    বায়োমেট্রিক অথেন্টিকেশন-এর সুবিধা

    ইউপিআই (Unified Payment Interface) ভারতের ডিজিটাল পেমেন্ট ইকোসিস্টেমের মেরুদণ্ড হয়ে উঠেছে, প্রতি মাসে কোটি কোটি লেনদেন হয় এর মাধ্যমে। বায়োমেট্রিক প্রমাণীকরণ প্রবর্তনের ফলে ব্যবহারকারীদের সুবিধা এবং সুরক্ষা আরও বৃদ্ধি পাবে, পিনের উপর নির্ভরতা হ্রাস পাবে এবং সুরক্ষা মান বজায় থাকবে। বায়োমেট্রিক ভেরিফিকেশন পিন-ভিত্তিক সুরক্ষার চেয়ে অনেক বেশি নিরাপদ। এর ফলে আর্থিক প্রতারণার ঝুঁকি অনেকটাই কমে যাবে। পিন টাইপ করার ঝামেলা না থাকায় কেনাকাটার সময় বা অন্য যেকোনও জরুরি মুহূর্তে খুব দ্রুত পেমেন্ট করা সম্ভব হবে। ডিজিটাল প্রযুক্তি ব্যবহারে অনভ্যস্ত, যেমন গ্রামের মানুষ বা বয়স্ক ব্যক্তিরা, তাঁরাও সহজে এই পদ্ধতিতে লেনদেন করতে পারবেন। যেহেতু বায়োমেট্রিক তথ্য, যেমন মুখ বা আঙুলের ছাপ চুরি করা কঠিন, তাই ইউপিআই সম্পর্কিত জালিয়াতি উল্লেখযোগ্যভাবে হ্রাস পাবে বলে আশা করা হচ্ছে। ব্যবহারকারীর বায়োমেট্রিক তথ্যের গোপনীয়তা রক্ষা করা এবং এটি যাতে কোনওভাবেই অপব্যবহার না হয়, তা নিশ্চিত করা একটি বড় চ্যালেঞ্জ। পরিকাঠামোগত উন্নয়ন এবং সমস্ত ব্যবহারকারীর কাছে এই প্রযুক্তি পৌঁছে দেওয়াও একটি গুরুত্বপূর্ণ দিক।

     

     

     

     

     

     

  • Assembly Elections 2025: দু’দফায় হবে বিহার বিধানসভার নির্বাচন, ফল ঘোষণা ১৪ নভেম্বর

    Assembly Elections 2025: দু’দফায় হবে বিহার বিধানসভার নির্বাচন, ফল ঘোষণা ১৪ নভেম্বর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ঘোষণা হয়ে গেল বিহার বিধানসভা নির্বাচনের (Assembly Elections 2025) নির্ঘণ্ট। নির্বাচন কমিশন জানিয়েছে, নভেম্বরে দুদফায় হতে চলেছে বিহার (Bihar) বিধানসভার নির্বাচন। ৬ এবং ১১ নভেম্বর ভোট হবে বিহারের ২৪৩টি আসনে। ফল ঘোষণা হবে ১৪ নভেম্বর। ভোটার রয়েছেন ৭ কোটি ৪২ লাখ।

    নির্বাচনের নির্ঘণ্ট (Assembly Elections 2025)

    প্রথম দফায় নির্বাচন হবে ১২১টি আসনে, বাকি ১২২টি আসনে ভোট হবে দ্বিতীয় দফায়। প্রথম দফার মনোনয়নপত্র জমা দেওয়া যাবে ১০ অক্টোবর থেকে। জমা দেওয়ার শেষ দিন ১৭ অক্টোবর। মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের চূড়ান্ত সময়সীমা ২০ অক্টোবর। আর দ্বিতীয় দফার নির্বাচনে মনোনয়নপত্র জমা দেওয়া যাবে ১৩ অক্টোবর থেকে, চলবে ২০ অক্টোবর পর্যন্ত। এই দফার ভোটে মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের চূড়ান্ত সময়সীমা ২৩ অক্টোবর। লড়াইয়ের ময়দানে প্রধান প্রতিপক্ষ ক্ষমতাসীন ভারতীয় জনতা পার্টি এবং জনতা দল ইউনাইটেডের নেতৃত্বাধীন জোট এবং কংগ্রেস ও রাষ্ট্রীয় জনতা দলের নেতৃত্বাধীন মহোজোটবন্ধনের মধ্যে লড়াই।

    বিশেষ সংশোধনের কাজ সম্পূর্ণ

    এদিকে, বিহারে ভোটার তালিকার বিশেষ সংশোধনের কাজ সম্পূর্ণ হয়েছে। নির্বাচন কমিশনের বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী, ২০২৫ সালের জুন মাসে বিহারে ভোটার সংখ্যা ছিল ৭ কোটি ৮৯ লাখ। মঙ্গলবার যে চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে, তাতে নাম রয়েছে ৭ কোটি ৪২ লাখের। বাদ পড়ল ৪৭ লক্ষ ভোটারের নাম। এর পাশাপাশি নির্বাচনী নির্ঘণ্ট প্রকাশের পাশাপাশি বিহারে গত কয়েক মাস ধরে চলতে থাকা বিশেষ নিবিড় সংশোধনীর ভূয়সী প্রশংসা করেন কমিশনার (Assembly Elections 2025)।

    বিহার বিধানসভা নির্বাচনকে আরও স্বচ্ছ করার লক্ষ্যে নির্বাচন কমিশন বুথ-পর্যায়ের কর্মকর্তাদের জন্য পরিচয়পত্র, পোলিং স্টেশনের বাইরে মোবাইল ফোন জমা রাখার ব্যবস্থা এবং সম্পূর্ণ ওয়েবকাস্টিং চালু করার ঘোষণা করেছে। নির্বাচন কমিশনের একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপের ফলে বিহার দেশের প্রথম রাজ্য হতে চলেছে, যেখানে প্রতিটি পোলিং স্টেশনে এখন ১২০০-এর কম ভোটার থাকবেন। এর উদ্দেশ্য হল ভোটারদের সুবিধা বাড়ানো এবং লাইনের দৈর্ঘ্য কমানো।

    উল্লেখ্য, ভাগলপুর, পাটনা, পূর্ব চম্পারন, মধুবনী, গোপালগঞ্জ, সরনের মতো ছয় জেলায় গতবার এনডিএর সঙ্গে আরজেডি-কংগ্রেসের মহাজোটের জোরদার লড়াই (Bihar) হয়েছিল। ছয় জেলার ৫৯ আসনের মধ্যে এনডিএ পেয়েছিল ৩৪টি। মহাজোট ২৫টি (Assembly Elections 2025)।

  • Madhya Pradesh: ভারতমাতা সম্পর্কে অবমাননাকর মন্তব্য করার অভিযোগে গ্রেফতার কংগ্রেস নেতা

    Madhya Pradesh: ভারতমাতা সম্পর্কে অবমাননাকর মন্তব্য করার অভিযোগে গ্রেফতার কংগ্রেস নেতা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সোশ্যাল মিডিয়ায় ভারতমাতা সম্পর্কে অবমাননাকর মন্তব্য করার অভিযোগে গ্রেফতার কংগ্রেস নেতা আসাদ খান জিলানি (Asad Khan Jilani)। তিনি মধ্যপ্রদেশের (Madhya Pradesh) বিদিশা জেলার সিরোঁজের নেতা।

    কংগ্রেস নেতার আপত্তিকর মন্তব্য (Madhya Pradesh)

    আরএসএসের শতবর্ষ পূর্তি উপলক্ষে একটি স্মারক মুদ্রা প্রকাশ করে কেন্দ্র। সেই মুদ্রায় ভারতমাতার প্রতীকী ছবি রয়েছে। ফেসবুকে স্মারকের সেই ছবি দিয়ে আপত্তিকর মন্তব্য করেন মধ্যপ্রদেশের ওই কংগ্রেস নেতা। ওই পোস্টে জিলানি লিখেছেন, “এই ডাইনিকে পিশাচরা পূজা করুক। যার হাতে তিরঙ্গা নেই, সে আমাদের ভারতমাতা নয়।” মন্তব্যটি দ্রুত ভাইরাল হয়। দেশজুড়ে শুরু হয় সমালোচনা। অভিযোগ, তিনি জাতীয় প্রতীকের প্রতি অসম্মান প্রদর্শন করেছেন এবং সাম্প্রদায়িক উত্তেজনা উসকে দেওয়ার চেষ্টা করেছেন। বিশ্ব হিন্দু পরিষদ-সহ একাধিক সংগঠন সিরোঁজ থানায় অভিযোগ দায়ের করে। তারা দেশদ্রোহ-সহ সংশ্লিষ্ট আইনের অধীনে কঠোর পদক্ষেপের দাবি জানায়। তাদের অভিযোগ, জিলানি আগেও অনলাইনে উত্তেজনামূলক মন্তব্য করেছেন। অভিযোগ পেয়ে দ্রুত ব্যবস্থা নেয় স্থানীয় প্রশাসন। গ্রেফতার করে জিলানিকে। শুরু হয়েছে তদন্ত। কংগ্রেস এখনও এই ঘটনায় আনুষ্ঠানিক কোনও বিবৃতি দেয়নি।

    জিলানির মন্তব্যকে কেন্দ্র করে ব্যাপক জনরোষ

    জিলানির “ভারতমাতা” সংক্রান্ত মন্তব্যকে কেন্দ্র করে ব্যাপক জনরোষ ছড়িয়ে পড়ে মধ্যপ্রদেশের বিভিন্ন জায়গায়। রাস্তায় রাস্তায় শুরু হয়েছে বিক্ষোভ। বিক্ষোভকারীরা জিলানির কুশপুত্তলিকা দাহ করেন। তাঁর ছবির ওপর পা দিয়ে স্লোগান দেন, “জয় শ্রী রাম”, “দেশদ্রোহীদের কঠোর শাস্তি চাই” (Madhya Pradesh)। এক্স হ্যান্ডেলে এক ইউজার স্থানীয় কর্তৃপক্ষকে ট্যাগ করে জিলানির তথাকথিত “বিরোধী-হিন্দু” পোস্টগুলির ইতিহাস তুলে ধরেন। সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি রক্ষায় অবিলম্বে তাঁর গ্রেফতারির দাবিও জানানো হয়।

    সিরোঁজ পুলিশ ভারতীয় দণ্ডবিধির ২৯৫এ ধারায় জিলানির বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছে। এই ধারা ইচ্ছাকৃতভাবে ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত করার সঙ্গে সম্পর্কিত। বৃহস্পতিবার রাতে জিলানিকে হেফাজতে নেয় পুলিশ (Asad Khan Jilani)। পরে বছর পঁয়তাল্লিশের ওই নেতাকে সিরোঁজের রাস্তায় হাঁটানো হয়। জিলানিকে জনসমক্ষে ক্ষমা চাওয়ার ভঙ্গিতে কানে হাত দিয়ে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা যায় তাঁকে। জিলানিকে বাধ্য করা হয় “ভারতমাতা কি জয়” স্লোগান দিতেও (Madhya Pradesh)।

  • Gyanesh Kumar: “আধার জন্মতারিখ, বাসস্থান বা নাগরিকত্বের প্রমাণ নয়”, বললেন মুখ্য নির্বাচন কমিশনার

    Gyanesh Kumar: “আধার জন্মতারিখ, বাসস্থান বা নাগরিকত্বের প্রমাণ নয়”, বললেন মুখ্য নির্বাচন কমিশনার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “সুপ্রিম কোর্টের আদেশ এবং আধার আইনের অধীনে আধারকে (AADHAAR) জন্মতারিখ, বাসস্থানের প্রমাণ বা নাগরিকত্বের প্রমাণ হিসেবে গণ্য করা যায় না”, সাফ জানালেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার জ্ঞানেশ কুমার (Gyanesh Kumar)। ভোটার তালিকা প্রণয়নে আধারের ব্যবহারের বিষয়ে বক্তব্য রাখতে গিয়ে তিনি জানান, আধার নম্বর প্রদান সম্পূর্ণ ঐচ্ছিক। আধার আইন ও ১৯৫০ সালের জনগণ প্রতিনিধিত্ব আইন উভয়েরই অধীনে।

    প্রধান নির্বাচন কমিশনারের বক্তব্য (Gyanesh Kumar)

    প্রধান নির্বাচন কমিশনার বলেন, “সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ এবং আধার আইনের অধীনে আধারকে জন্মতারিখ, বাসস্থানের প্রমাণ বা নাগরিকত্বের প্রমাণ হিসেবে গণ্য করা যায় না। নির্বাচন কমিশন ভোটার তালিকা তৈরির ফর্মের মধ্যেই আধার কার্ডের অনুরোধ করেছিল। তবে আধার নম্বর প্রদান আধার আইনের অধীনে বাধ্যতামূলক নয়, তেমনি ১৯৫০ সালের জনগণ প্রতিনিধিত্ব আইনের ২৬ ধারা অনুযায়ীও নয়। এটি সম্পূর্ণ ঐচ্ছিক। এটি আধার কার্ডধারীর ওপর নির্ভর করে। আধার আইনের অধীনেও আধার কার্ড না বাসস্থানের প্রমাণ, না নাগরিকত্বের প্রমাণ।”

    আধার বাধ্যতামূলক নয়

    তিনি জানান, নির্বাচন কমিশন তালিকাভুক্তির ফর্মে আধার গ্রহণ করলেও এটি বাধ্যতামূলক নয় এবং যোগ্যতা প্রমাণের জন্য অন্যান্য নথিও প্রয়োজন হতে পারে, যা সুপ্রিম কোর্টের রায়ের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ। জ্ঞানেশ কুমার (Gyanesh Kumar) বলেন, “যদি কেউ ২০২৩ সালের পর আধার কার্ড করে থাকেন বা ২০২৩ সালের পর আধার কার্ড ডাউনলোড করে থাকেন, তাহলে সুপ্রিম কোর্টের একাধিক নির্দেশ অনুযায়ী আধার কার্ডেই স্পষ্টভাবে উল্লেখ করা রয়েছে যে আধার কার্ড জন্ম তারিখের প্রমাণ নয়। সুপ্রিম কোর্ট বলেছে এবং আমরা সেই নির্দেশই মেনে চলছি যে আধার কার্ড গ্রহণ করতে হবে। আমরা গণনার ফর্মে আধার কার্ড গ্রহণ করছিলাম এবং এখনও করছি। তবে সুপ্রিম কোর্ট তার নির্দেশে এটাও স্পষ্ট করেছে (AADHAAR) যে আধার কার্ড নাগরিকত্বের প্রমাণ নয়। যোগ্যতা যাচাইয়ের জন্য অন্যান্য নথিরও প্রয়োজন হতে পারে (Gyanesh Kumar)।”

  • ISSA: সামাজিক সুরক্ষা সম্প্রসারণে মোদি সরকারকে বিশেষ সম্মাননা আইএসএসএ-র

    ISSA: সামাজিক সুরক্ষা সম্প্রসারণে মোদি সরকারকে বিশেষ সম্মাননা আইএসএসএ-র

    মাধ্যম ডেস্ক নিউজ: এবার মোদি সরকারের (PM Modi) সামাজিক সুরক্ষা বিষয়ে সম্প্রসারণের কাজের স্বীকৃতি দিল বিশ্ব। ভারতের এই উল্লেখযোগ্য অগ্রগতির জন্য আন্তর্জাতিক সামাজিক সুরক্ষা সংস্থা (ISSA) পুরষ্কার ২০২৫- সম্মানে সম্মানিত করা হয়েছে ভারতকে। এই পুরস্কারকে বলা হয় সামাজিক সুরক্ষায় অসামান্য সাফল্য অর্জন। কেন্দ্রীয় শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রী মনসুখ মাণ্ডবীয়  মালয়েশিয়ার কুয়ালালামপুরে বিশ্ব সামাজিক সুরক্ষা ফোরাম (WSSF) ২০২৫-এ যোগদান করে ভারতের পক্ষে এই পুরষ্কার গ্রহণ করেছেন। আন্তর্জাতিক এই সম্মেলনে বিশ্বব্যাপী ১৬৩টি দেশের ১,২০০ জনেরও বেশি নীতিনির্ধারক এবং বিনিয়োগকারীরা অংশগ্রহণ করেছেন। মোদির নেতৃত্বে ভারতের মুকুটে আরও এক পালক।

    বিশ্বে পঞ্চম স্থান দখল ভারতের (ISSA)

    এই সম্মাননা হল ত্রিবার্ষিক পুরস্কার। ভারতের সামাজিক নিরাপত্তার প্রেক্ষিতকে ২০১৫ সালে ১৯% থেকে ২০২৫ সালে ৬৪.৩%-এ সম্প্রসারণ হয়েছে বলে প্রতিবেদনে তুলে ধরা হয়েছে। দেশের ৯৪ কোটিরও বেশি নাগরিককে উপকৃত করছে বলে জানা গিয়েছে। তবে ভারতের মতো দেশের জন্য আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থা (ILO) কর্তৃক এই মূল্যায়নকে একটি মাইলফলক হিসেবে দেখার পক্ষপাতী বিশেজ্ঞরা। এই খেতাব অর্জন করে ভারত এখন বিশ্বে পঞ্চমস্থান দখল করে নিয়েছে। ফলে বিশ্বব্যাপী সামাজিক সুরক্ষা ব্যবস্থায় শীর্ষস্থানীয় দেশগুলির মধ্যে ভারতের অবস্থান এখন অগ্রগণ্য।

    কেন্দ্রীয় মন্ত্রী মনসুখ মাণ্ডবীয় বলেন, “গর্বের সঙ্গে জানাচ্ছি যে, ভারত ২০২৫ সালে সামাজিক নিরাপত্তায় অসাধারণ সাফল্যের জন্য মর্যাদাপূর্ণ আইএসএসএ পুরস্কারে ভূষিত হয়েছে। মোদিজি প্রতিটি নাগরিকের জন্য সামাজিক কল্যাণ নিশ্চিত করার প্রচেষ্টার এই প্রমাণ প্রকৃষ্ট প্রমাণ। গত দশকে, ভারত বিশ্বের দ্রুততম সামাজিক নিরাপত্তা সম্প্রসারণনীতির সাক্ষী হয়েছে।  যা ২০১৫ সালে ১৯% থেকে বেড়ে ২০২৫ সালে ৬৪.৩% হয়েছে, যা ৯৪ কোটিরও বেশি নাগরিককে অন্তর্ভুক্ত হয়েছে।”

    পিছিয়ে থাকা বর্গের শেষ ব্যক্তিকে ক্ষমতায়ন

    কেন্দ্রীয় মন্ত্রী মাণ্ডবীয় (PM Modi) এই সাফল্যের জন্য প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বকে বিশেষ ভাবে উল্লেখ করেছেন। তাঁর অন্ত্যোদয়ের দৃষ্টিভঙ্গির জন্যই সমাজের সবচেয়ে প্রান্তিক অংশের ক্ষমতায়নে সম্ভব হয়েছে বলে মন্তব্য করেন। তিনি আরও বলেন, “এই পুরস্কার (ISSA) আমাদের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ভাবনা চিন্তার ফসল। তাঁর দৃষ্টিভঙ্গি এবং ভাবনাই আমাদের পথপ্রদর্শক নীতি। সমাজের একদম পিছিয়ে থাকা শ্রেণির শেষ ব্যক্তিকে ক্ষমতায়নের কেন্দ্রে নিয়ে আসায় বদ্ধপরিকর মোদি সরকার। আর এটি সর্বজনীন সামাজিক সুরক্ষার মন্ত্রই আমাদের যাত্রাকে একটি বিশেষ রূপ দিয়েছে। সেই সঙ্গে দেশবাসীকেও ধন্যবাদ জানাই।”

    ৩১ কোটিরও বেশি শ্রমিককে নিবন্ধন করেছেন

    সামাজিক সুরক্ষাকে সম্প্রসারণের একটি মূল চালিকাশক্তি হল ই-শ্রম পোর্টাল (ISSA)। এটি  ২০২১ সালে চালু হওয়া একটি জাতীয় ডিজিটাল ডাটাবেস। মাত্র চার বছরে ৩১ কোটিরও বেশি অসংগঠিত ক্ষেত্রের শ্রমিককে নিবন্ধিত করেছে। এই পোর্টালটি বহুভাষিক ইন্টারফেসের মাধ্যমে বিভিন্ন সমাজকল্যাণমূলক প্রকল্পের সঙ্গে শ্রমিকদের সংযুক্ত করার জন্য “ওয়ান-স্টপ সমাধান” রূপে কাজ করে আসছে। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী মাণ্ডবীয় ন্যাশনাল কেরিয়ার সার্ভিস (এনসিএস) পোর্টালের কাজের বিষয়ে বলেন, “সামাজিক নিরাপত্তা ও সুবিধার কথা ভেবে বিশ্বব্যাপী সুযোগ-সুবিধা প্রদানের জন্য ই-শ্রমের সঙ্গে যুক্ত করা হয়েছে। ভারতের সামগ্রিক পরিসরকে আরও জোরদার করতে হবে। আর্থিক বিলগ্নীকরণ, প্রযুক্তির ব্যবহার, দক্ষতা বৃদ্ধি, কর্মসংস্থান এবং একটি শক্তিশালী সামাজিক নিরাপত্তা বলয় তৈরির জন্য এই ডিজিটাল পোর্টাল বিশেষ ভাবে কাজ করবে।”

    অসাধারণ সাফল্য অর্জন

    কেন্দ্রীয় মন্ত্রী মাণ্ডবীয় (PM Modi) নিবন্ধন করা সকল শ্রমিক-কর্মীদের স্বাস্থ্যসেবা, বীমা, পেনশন প্রকল্প প্রদান এবং ভবিষ্যতের তহবিল সংস্থা (EPFO) এবং রাজ্য বীমা কর্পোরেশন (ESIC) এর ভূমিকা তুলে ধরেন। তিনি বলেন, “ভারত একটি সামগ্রিক পদ্ধতির মাধ্যমে নতুন আয়ের সুযোগ এবং সামাজিক সুরক্ষার একটি বড় পরিসর তৈরি করতে প্রযুক্তিও ব্যবহার করার কাজ শুরু করেছে। বিশ্বব্যাপী যুবসমাজকে অনুপ্রাণিত করতে আমরা আরও প্রস্তুত।” আইএসএসএ তার অফিসিয়াল চ্যানেলের মাধ্যমে ভারতকে অভিনন্দন জানিয়েছে। তারা জানিয়েছে, “২০২৫ সালে সামাজিক নিরাপত্তায় অসাধারণ সাফল্য অর্জন করেছে ভারত। আইএসএসএ (ISSA) পুরস্কার জেতার জন্য ভারত সরকারকে অনেক অনেক অভিনন্দন।”

LinkedIn
Share