Category: দেশ

Get updates on India News Headlines National News from the Madhyom news portal madhyom.com, West Bengal leading news portal Madhyom.com

  • AkashTeer: স্তম্ভিত আমেরিকা-চিন! পাক হামলার মোকাবিলায় ভারতের বৈপ্লবিক প্রতিরক্ষা প্রযুক্তি ‘আকাশতীর’

    AkashTeer: স্তম্ভিত আমেরিকা-চিন! পাক হামলার মোকাবিলায় ভারতের বৈপ্লবিক প্রতিরক্ষা প্রযুক্তি ‘আকাশতীর’

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিশ্বজুড়ে ইজরায়েলের আয়রন ডোমের দিকে নজর থাকলেও, গত কয়েক দিনে ভারত যে সাহসিকতা দেখিয়েছে, তা এখন সারা বিশ্বে আলোচিত। ভারত চুপচাপ তার নিজস্ব আকাশসীমা প্রতিরক্ষা সক্ষমতা শক্তিশালী করার দিকে মনোযোগ দিয়েছে আকাশতীর (AkashTeer) প্রকল্পের মাধ্যমে। ভারতীয় সেনাবাহিনীর ‘ডিকেড অব ট্রান্সফরমেশন’ এবং ‘ইয়ার অব টেক অ্যাবজর্বশন’ উদ্যোগের অধীনে আকাশতীর তৈরি করা হয়েছে, যা আধুনিক আকাশ প্রতিরক্ষা হুমকির বিরুদ্ধে কার্যকরী সুরক্ষা নিশ্চিত করেছে। সাম্প্রতিক ভারত-পাক যুদ্ধে ভারতের এই বহুস্তরীয় প্রতিরক্ষা কৌশল আমেরিকা, চিন, রাশিয়া, তুরস্ক সকলকেই চমকে দিয়েছে। আকাশতীর ভারতের আত্মনির্ভর প্রতিরক্ষা প্রযুক্তির যাত্রায় একটি গুরুত্বপূর্ণ গেম-চেঞ্জার হয়ে দেখা দিয়েছে। বিশ্বের প্রথম ন্যাটো-বহির্ভূত কোনও দেশের হাতে এত উন্নত প্রতিরক্ষা প্রযুক্তি দেখেছে বিশ্ববাসী। সম্পূর্ণ দেশীয়, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (AI) দ্বারা পরিচালিত, উপগ্রহ-সংযুক্ত স্বয়ংক্রিয় কমব্যাট সিস্টেম হিসেবে আকাশতীর বিশ্বের তামাম প্রতিরক্ষা বিশ্লেষকদের চমকে দিয়েছে।

    কী এই আকাশতীর?

    “আকাশতীর” একটি বহুস্তরীয়, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা পরিচালিত, স্বয়ংক্রিয় প্রতিরক্ষা এবং আক্রমণ সমন্বয় ব্যবস্থা। বিশ্ব প্রতিরক্ষা কৌশলে এক যুগান্তকারী পরিবর্তন এনেছে ভারত। ডিআরডিও (DRDO), ভারত ইলেকট্রনিক্স লিমিটেড (BEL) এবং ইসরো (ISRO)-এর যৌথ উদ্যোগে সম্পূর্ণভাবে দেশীয় প্রযুক্তিতে নির্মিত হয়েছে “আকাশতীর”। এটি হল একটি বাস্তব-সময়ে লক্ষ্য নির্ধারণ ও স্বয়ংক্রিয় প্রতিরক্ষা এবং আক্রমণ পরিচালন পদ্ধতি। এটি কোনও একক ডিভাইস নয়, বরং একটি সমন্বিত ও স্বয়ংক্রিয় প্রতিরক্ষা নেটওয়ার্ক, যা নিজে থেকে বিপদ আঁচ করে যথাযথ প্রতিক্রিয়া নিয়ে বিপদকে নিষ্ক্রিয় করতে সক্ষম। আকাশতীর হলো বহুস্তরীয় সমন্বিত প্রতিরক্ষা এবং প্রতি-আক্রমণ ব্যবস্থাপনা প্রযুক্তি। যা এআই, স্যাটেলাইট নজরদারি, স্বয়ংক্রিয় সোয়ার্ম ড্রোন, রেডার এবং মোবাইল কমান্ড ইউনিট মিলিয়ে এক নতুন ধরনের “কমব্যাট ক্লাউড” গঠন করে।

    আকাশতীরের মূল বৈশিষ্ট্য

    সেনা সূত্রে খবর, ৭ তারিখ রাত থেকে ৮ তারিখ ভোরের মধ্যে ১৫টি সেনা ছাউনিতে হামলার পরিকল্পনা করেছিল পাক সেনা। সেই আক্রমণ শুধু প্রতিহতই করেনি ভারত। উল্টে যোগ্য জবাবও দিয়েছে। অপারেশন সিঁদুরের পর একের পর এক ড্রোন হামলা চালায় পাকিস্তান। যা রুখে দেয় ভারত। ভারতের চার স্তরের বায়ু প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা এতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে। যা ‘আয়রন ডোম’-এর অনুরূপ বলে মনে করা হচ্ছে। এই সিস্টেমটি বিভিন্ন প্রযুক্তির সমন্বয়ে তৈরি এবং ‘আকাশতীর’ কমান্ড নেটওয়ার্ক দ্বারা পরিচালিত। আকাশতীর সিস্টেম সেনাবাহিনী ও বায়ুসেনার সমস্ত রেডার এবং স্যাটেলাইট ডেটা একটি একক নেটওয়ার্কের সাথে সংযুক্ত করেছিল। এই সমন্বিত চিত্রটি নির্ধারণ করেছিল যে কোন ব্যবস্থা কোন হুমকিকে ধ্বংস করবে। ফলস্বরূপ, পাকিস্তানের একের পর এক হামলা প্রতিহত করে ভারত।

    চার স্তরের আকাশতীর সিস্টেম

    ইসরোর উপগ্রহ নজরদারি: কার্টোস্যাট ও রিস্যাট উপগ্রহের মাধ্যমে রিয়েল-টাইম মানচিত্র এবং লক্ষ্য নির্ধারণ। বিদেশি স্যাটেলাইট ডেটার উপর নির্ভরতা ছাড়াই, নিজস্ব স্যাটেলাইট থেকে সরাসরি যুদ্ধভূমির তথ্য সংগ্রহ ভারতকে কয়েক কদম এগিয়ে দিয়েছে।

    নাবিক ব্যবস্থার ব্যবহার: ভারতের নিজস্ব জিপিএস ন্যাভিগেশন সিস্টেম, যা উপমহাদেশীয় ভূখণ্ডে অত্যন্ত কার্যকর। এই বিশেষ সিস্টেম পার্বত্য, মরুভূমি ও শহরাঞ্চলে অত্যন্ত কার্যকর।

    সোয়ার্ম ড্রোন: আকাশতীরের প্রতিটি সোয়ার্ম ড্রোন সিস্টেম— ৫-১০ কেজি পেলোড বহনে সক্ষম। চিনা ও পাকিস্তানি রেডার এড়াতে সক্ষম। স্টেলথ প্রযুক্তিতে সজ্জিত। উচ্চ গতিতে উড়তে সক্ষম। অনুপ্রবেশ করতে এবং স্বয়ংক্রিয়ভাবে শত্রুর ড্রোন ধ্বংস করতে সক্ষম। সেলফ-নেভিগেশন রয়েছে। নিজেই লক্ষ্যকে স্থির করে নিতে সক্ষম। মিশনের প্রয়োজন অনুযায়ী, মাঝপথে নিজের প্রোগ্রামে বদল আনতে সক্ষম। এগুলি বাণিজ্যিক ড্রোন নয়। বরং কৌশলগত, বুদ্ধিমান কামিকাজে ইউনিট যা শত্রুর হাই-ভ্যালু টার্গেট পর্যবেক্ষণ করে, শত্রুর আকাশসীমায় প্রবেশ করে স্বয়ংক্রিয়ভাবে টার্গেট ধ্বংস করতে সক্ষম।

    এআই কমব্যাট ক্লাউড: তাৎক্ষণিক তথ্য বিশ্লেষণ ও সিদ্ধান্ত গ্রহণের মাধ্যমে কোনও মানুষের হস্তক্ষেপ ছাড়াই স্বয়ংক্রিয়ভাবে আক্রমণ পরিচালনা করে এই পদ্ধতি। কয়েক সেকেন্ডের মধ্যে শত্রুর রেডার সংকেত, ভূখণ্ড বিশ্লেষণ, আবহাওয়ার তথ্য এবং উপগ্রহ চিত্র সহ বিস্তৃত যুদ্ধের তথ্য প্রক্রিয়া করতে পারে আকাশতীর। এআই-এর দৌলতে আকাশতীর সিস্টেম স্বয়ংক্রিয়ভাবে মিশন নতুন করে সাজাতে পারে, ড্রোন রিডিরেক্ট করতে পারে এবং সার্জিক্যাল স্ট্রাইক চালাতে পারে, যা মার্কিন বা চিনা সিস্টেমের চেয়ে অনেক উন্নত, কারণ সেখানে মানুষের প্রয়োজন হয়।

    আন্তর্জাতিক প্রতিক্রিয়া

    অপারেশন সিঁদুরের পর, ভারতের বায়ু প্রতিরক্ষা মডেল এখন বিশ্বব্যাপী আলোচিত হচ্ছে। এই মডেলটি দেখায় যে নিরাপত্তা কেবল নতুন প্রযুক্তি কেনার মাধ্যমেই আসে না, বরং সেগুলিকে একীভূত করার মাধ্যমেও আসে। কীভাবে একইসঙ্গে শত্রুর হানা রুখছে, আবার শত্রুর ডেরায় গিয়ে আঘাত হানছে আকাশতীর,তা দেখে আমেরিকা থেকে শুরু করে চিন, তুরস্ক থেকে শুরু করে পাকিস্তান— সকলেই কার্যত থ বনে গিয়েছে। বিশেষজ্ঞরা এখন ভারতের এই স্তরযুক্ত প্রতিরক্ষাকে বিশ্বের জন্য একটি নতুন মানদণ্ড হিসেবে বিবেচনা করছেন। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের একাধিক বিশ্লেষক ভারতের এই প্রযুক্তি নিয়ে বিস্ময় প্রকাশ করেছেন। তাঁরা আকাশতীরের অনুকরণে পেন্টাগনের অভ্যন্তরীণ কৌশল পুনর্বিবেচনার কথাও বলছেন। চিনের বেইডু স্যাটেলাইট ও ড্রোন বিশেষজ্ঞরা এখন আকাশতীরের অনুকরণে অ্যালগোরিদম পুনঃর্গঠনের চেষ্টা করছে। ভারতের অগ্রগতি দেখে অবিলম্বে বায়রাক্তার ড্রোনের প্রযুক্তি আপগ্রেডে ব্যস্ত তুরস্ক।

    কেন আকাশতীর অনন্য

    ভারত দীর্ঘদিন ধরে তার আকাশ প্রতিরক্ষা সক্ষমতা বাড়ানোর গুরুত্ব উপলব্ধি করেছে, বিশেষ করে আঞ্চলিক উত্তেজনা এবং অত্যাধুনিক বিমান আক্রমণের হুমকি বৃদ্ধি পাওয়ায়। আয়রন ডোমের মতোই ভারতের আকাশতীর এই চ্যালেঞ্জগুলো মোকাবিলার জন্য একটি শক্তিশালী সমাধান। এটি অত্যাধুনিক রেডার, ক্ষেপণাস্ত্র নির্দেশনা এবং কমান্ড কন্ট্রোল সিস্টেমের সমন্বয়ে তৈরি। আকাশতীর বিশেষভাবে উচ্চ-গতি, কম উচ্চতার এবং স্টেলথ লক্ষ্যবস্তু শনাক্তকরণের জন্য ডিজাইন করা হয়েছে। আকাশতীরের রেডার সিস্টেম প্রযুক্তির ক্ষেত্রে একটি বিশাল অগ্রগতি। এটি একাধিক লক্ষ্যবস্তু বিভিন্ন উচ্চতায় শনাক্ত করতে সক্ষম, এবং অত্যাধুনিক সিগন্যাল প্রসেসিং অ্যালগোরিদমের মাধ্যমে স্টেলথ বিমান, ড্রোন এবং সুপারসনিক ক্ষেপণাস্ত্র পর্যন্ত শনাক্ত করতে পারে। ঐতিহ্যবাহী রেডার সিস্টেমের তুলনায়, আকাশতীরের রেডার প্রায় মাটি ঘেঁষে চলা লক্ষ্যবস্তুও শনাক্ত করতে সক্ষম, যা ভারতের গুরুত্বপূর্ণ অবকাঠামোকে ৩৬০-ডিগ্রি সুরক্ষা প্রদান করে। একশো শতাংশ দেশীয় প্রযুক্তিতে তৈরি এই পদ্ধতি কোনও বিদেশি চিপ বা সিস্টেমের উপর নির্ভরশীল নয়। এটি দেশের সরকারি সংস্থাগুলোর দুর্দান্ত সমন্বয়ে তৈরি এক প্রকল্প। ডিআরডিও, ইসরো ও ভারত ইলেক্ট্রনিক্সের যুগান্তকারী সমন্বয়ে তৈরি আকাশতীরের পূর্ণ কৌশলগত স্বাধীনতা রয়েছে। এটি একটি মোবাইল কমান্ড ইউনিট, যা জিপে রেখেও চালানো সম্ভব। আকাশতীর শুধু একটি প্রযুক্তি নয়, এটি ভারতের প্রতিরক্ষা ক্ষেত্রে আত্মনির্ভরতার প্রতীক। এটি ভারতকে আর অনুসরণকারী নয়, বরং নেতৃত্বকারী হিসেবে বিশ্বমঞ্চে প্রতিষ্ঠা করেছে।

  • Supreme Court: রোহিঙ্গা মুসলমান অভিবাসীদের সাময়িক স্বস্তি দেওয়ার আবেদন প্রত্যাখ্যান সুপ্রিম কোর্টের

    Supreme Court: রোহিঙ্গা মুসলমান অভিবাসীদের সাময়িক স্বস্তি দেওয়ার আবেদন প্রত্যাখ্যান সুপ্রিম কোর্টের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দিল্লি থেকে বহিষ্কারের মুখোমুখি রোহিঙ্গা মুসলমান অভিবাসীদের সাময়িক স্বস্তি দেওয়ার আবেদন প্রত্যাখ্যান করল সুপ্রিম কোর্ট। দেশের শীর্ষ আদালত জানিয়েছে, ভারতের আইনে তারা বিদেশি হিসেবে গণ্য হওয়ায় বিদেশি আইন অনুযায়ী তাদের ডিপোর্টেশন অপরিহার্য (Supreme Court)। বিচারপতি সূর্য কান্ত, দীপঙ্কর দত্ত এবং এন কোটিশ্বর সিংয়ের তিন সদস্যের বেঞ্চ ৮ মে নির্ধারিত বহিষ্কার বন্ধে দায়ের করা জরুরি আবেদনের শুনানি করেন। বিষয়টির পরবর্তী শুনানির দিন ধার্য হয়েছে ৩১ জুলাই।

    আবেদন উত্থাপন (Supreme Court)

    প্রবীণ আইনজীবী কলিন গনসালভেস এবং প্রশান্ত ভূষণ এই আবেদনগুলি উত্থাপন করেন। তাঁরা বলেন, “মায়ানমারের রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠী গণহত্যার মারাত্মক ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে। রাষ্ট্রসংঘের শরণার্থী বিষয়ক হাইকমিশনার তাদের শরণার্থী হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে।” গনসালভেস আদালতের এই অবস্থানে উদ্বেগ প্রকাশ করে একে চরম সীমা অতিক্রম আখ্যা দেন। পূর্ববর্তী রায়ে আদালতের এই জনগোষ্ঠীকে রক্ষার ভূমিকাকেও স্মরণ করিয়ে দেন তিনি। ভূষণ এও উল্লেখ করেন, মণিপুরের পক্ষ থেকে দাখিল করা একটি হলফনামায় বলা হয়েছে, মায়ানমার রোহিঙ্গা শরণার্থীদের ফেরাবে না বলে সাফ জানিয়ে দিয়েছে। কারণ তারা রাষ্ট্রহীন।

    বিচারপতি দত্তের মন্তব্য

    আবেদনকারীদের ইউএনএইচসিআর কার্ডের ওপর নির্ভরতার প্রেক্ষিতে বিচারপতি দত্ত মন্তব্য করেন, “আদালত এই বিষয়টি অস্বীকার করে না যে অভিবাসীরা শুধুমাত্র এই নথির ভিত্তিতে নির্দিষ্ট কোনও স্বস্তি দাবি করতে পারেন না।” ভূষণ রাষ্ট্রসংঘ কর্তৃক গৃহীত গণহত্যা কনভেনশনের প্রসঙ্গও উল্লেখ করেন, যা ভারত দ্বারা অনুমোদিত, এবং আদালতকে এর বিধানগুলি বিবেচনার আহ্বান জানান। তবে বিচারপতি কান্ত সাফ জানিয়ে দেন, “ভারতের মাটিতে অভিবাসীদের থাকার অধিকার আছে কি না, সে বিষয়ে একটি চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত প্রয়োজন। যদি ভারতের আইনের অধীনে তাদের থাকার কোনও অধিকার না থাকে, তাহলে নির্ধারিত প্রক্রিয়া অনুযায়ী বহিষ্কার করা হবে।” বিচারপতি দত্তের গলায়ও এই মতেরই প্রতিধ্বনি শোনা যায়। তিনিও বলেন, “ফরেনার্স অ্যাক্টের আওতায় আসা বিদেশিদের মতো রোহিঙ্গাদের ক্ষেত্রেও সেই অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”

    সরকারের যুক্তি

    সরকারের পক্ষে সলিসিটর জেনারেল তুষার মেহতা এবং আইনজীবী কানু আগরওয়াল আবেদনকারীদের যুক্তির বিরোধিতা করেন। সুপ্রিম কোর্টের আগের রায়গুলির উল্লেখ করেন তাঁরা। ওই রায়গুলিতে অসম এবং জম্মু ও কাশ্মীর থেকে রোহিঙ্গা মুসলমানদের বহিষ্কারের প্রক্রিয়া থামানোর আবেদন খারিজ করা হয়েছিল। তারা ফের কেন্দ্রীয় সরকারের উদ্বেগের কথা বলেন, যে রোহিঙ্গাদের উপস্থিতি ভারতের জাতীয় নিরাপত্তার ক্ষেত্রে উদ্বেগের অন্যতম বড় কারণ (Supreme Court)।সলিসিটর জেনারেল বলেন, “ভারত রোহিঙ্গাদের শরণার্থী হিসেবে স্বীকৃতি দেয় না। ভারত রাষ্ট্রসংঘের শরণার্থী কনভেনশনের সদস্যও নয়। সেই প্রেক্ষাপটে ইউএনএইচসিআরের শরণার্থী স্বীকৃতি প্রশ্নের মুখে।” তিনি বলেন, “বহিষ্কারের বিরুদ্ধে অধিকারটি মূলত বসবাসের মৌলিক অধিকারটির সঙ্গে যুক্ত, যা শুধুমাত্র ভারতীয় নাগরিকদের জন্যই সংরক্ষিত।”

    সংবিধানের ২১ নম্বর অনুচ্ছেদ

    ভারতীয় সংবিধানের ২১ নম্বর অনুচ্ছেদ অনুযায়ী রোহিঙ্গা অভিবাসীদের জীবনের অধিকার প্রযোজ্য বলে স্বীকার করলেও, বেঞ্চ তাদের বিদেশি হিসেবে শ্রেণিবদ্ধ করে। ফলে আদালত জানিয়ে দেয়, তাদের অবস্থা বিদেশি আইন অনুযায়ী নিয়ন্ত্রিত হবে, যা দেশে অবৈধভাবে বসবাসরত ব্যক্তিদের শনাক্তকরণ, আটক ও বহিষ্কারের প্রক্রিয়া নির্ধারণ করে। প্রসঙ্গত, সুপ্রিম কোর্টের এই রায় অভিবাসন এবং বিদেশিদের সঙ্গে আচরণ সংক্রান্ত বিষয়ে জাতীয় আইনের প্রাধান্যকে তুলে ধরে (Supreme Court)। ইউএনএইচসিআর কার্ডের ওপর আবেদনকারীদের নির্ভরতার প্রতিফলন ঘটিয়ে বিচারপতি দত্তের পর্যবেক্ষণ, “ইউএনএইচসিআর কার্ডের ওপর ভিত্তি করে আবেদনকারীরা ত্রাণ দাবি করতে পারবেন না, এমন কোনও কিছুই অস্বীকার করা হয়নি।”

    গণহত্যা কনভেনশনটিও বিবেচনা করা উচিত

    ভূষণের যুক্তি, ভারত কর্তৃক অনুমোদিত গণহত্যা কনভেনশনটিও বিবেচনা করা উচিত। এর প্রেক্ষিতে বিচারপতি কান্ত একটি চূড়ান্ত রায়ের প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দিয়ে বলেছিলেন, “যদি তাদের (রোহিঙ্গাদের) এখানে থাকার অধিকার থাকে, তবে তা স্বীকার করা উচিত। এবং যদি তারা তা না করে, তারা পদ্ধতি অনুসরণ করবে এবং আইন অনুসারে নির্বাসন দেবে।” বিচারপতি দত্তের মন্তব্য, তারা (রোহিঙ্গারা) সকলেই বিদেশি এবং যদি তারা বিদেশি আইনের আওতায় আসে, তাহলে তাদের সঙ্গে আচরণ করতে হবে বিদেশি আইন অনুসারেই। এদিন বেঞ্চ সাফ জানিয়ে দেয়, ভারতের যে কোনও জায়গায় বসবাসের অধিকার কেবলমাত্র তার নাগরিকদের মধ্যেই সীমাবদ্ধ, যা ইঙ্গিত দেয় যে অ-নাগরিকদের বিদেশি আইন অনুসারে পরিচালিত করা হবে (Supreme Court)।

  • Joint Military Briefing: “পাকিস্তানের যা কিছু ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে, তার জন্য ওরা নিজেরাই দায়ী,” বললেন এয়ার মার্শাল ভারতী

    Joint Military Briefing: “পাকিস্তানের যা কিছু ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে, তার জন্য ওরা নিজেরাই দায়ী,” বললেন এয়ার মার্শাল ভারতী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সাংবাদিক বৈঠক (Joint Military Briefing) করলেন ডিজিএমও লেফটেন্যান্ট জেনারেল রাজীব ঘাই। উপস্থিত ছিলেন জল-স্থল ও আকাশ – তিন বাহিনীর শীর্ষকর্তারা। সফল (DGMO) অপারেশন সম্পর্কে এয়ার মার্শাল এ কে ভারতী বলেন, “আমাদের লড়াই ছিল জঙ্গিদের বিরুদ্ধে, পাকিস্তানের সেনার সঙ্গে নয়। কিন্তু পাক সেনা জঙ্গিদের হয়ে ময়দানে নামে।” তিনি বলেন, “আফশোস এই যে পাক সেনা জঙ্গিদের পাশে দাঁড়ানোটাই উচিত বলে মনে করল। এই লড়াইয়ে তারা নিজেরাই ময়দানে নামল। আজ পাকিস্তানের যা কিছু ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে, তার জন্য ওরা নিজেরাই দায়ী।”

    মাল্টি লেয়ার এয়ার ডিফেন্সের ব্যবস্থা (Joint Military Briefing)

    ভারতে ছিল মাল্টি লেয়ার এয়ার ডিফেন্সের ব্যবস্থা। লো লেভেল গান থেকে শুরু করে সারফেস টু এয়ার মিসাইল – সবই ছিল। এয়ার কমান্ড এবং কন্ট্রোল সিস্টেমও কাজ করেছে বলে তিনি জানান। তিনি বলেন, “পাকিস্তানের লং রেঞ্জ মিসাইল, কপ্টার, ড্রোন সব ধ্বংস করা হয়েছে। কেউই আঘাত হানতে পারেনি। আমাদের আকাশ এয়ার ডিফেন্স সিস্টেম সব সময় কাজ করেছে।” প্রমাণ হিসেবে এদিন এয়ার মার্শাল একগুচ্ছ ছবিও দেখিয়েছেন। তাতে দেখানো হয়েছে, কীভাবে ধ্বংস করা হয়েছে চিনা পিএল-১৬ মিসাইল। জায়ান্ট স্ক্রিনে তার টুকরোগুলোও দেখানো হয়। দেখানো হয়েছে পাকিস্তানের ছোড়া একটি রকেটের টুকরোও। পাকিস্তানের নূর খান এয়ারবেস, রহিমিয়ার খান এয়ারবেসের কতটা ক্ষতি হয়েছে,  তাও দেখিয়েছেন (Joint Military Briefing) এয়ার মার্শাল একে ভারতী।

    কী বললেন ডিজিএমও? 

    ডিজিএমও রাজীব ঘাই বলেন, “পাকিস্তানের পাপের ঘড়া পূর্ণ হয়ে গিয়েছিল। আমরা যেহেতু লাইন অব কন্ট্রোল পার না করেই আঘাত করেছিলাম, তাই ভেবেছিলাম পাকিস্তানও বর্ডারের ওপার থেকেই হামলা করবে। তাই এয়ার ডিফেন্স জোরদার করা হয়েছিল।” তিনি বলেন, “পাকিস্তান পরপর আমাদের বায়ুসেনাঘাঁটিতে হামলা করার চেষ্টা করেছিল। কিন্তু ভারতের প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার কাছে হার মানতে হয় তাদের।” ক্রিকেটের প্রসঙ্গ টেনে তিনি বলেন, “সব সিস্টেম পার করলেও এয়ারফিল্ডে পৌঁছতে পারবে না পাকিস্তান। এমনই ব্যবস্থা রাখা হয়েছিল।” ভারতের সব এয়ারফিল্ড সক্রিয় রয়েছে বলেও জানান তিনি। রাজীব বলেন, “বিএসএফের ডিজি থেকে শেষ জওয়ান পর্যন্ত প্রত্যেক সদস্য সাহসিকতার সঙ্গে কাজ করেছে। গত কয়েক বছরে জঙ্গি কার্যকলাপের চরিত্র বদলেছে। এখন সাধারণ মানুষকে নিশানা করে জঙ্গিরা। পাক হামলা প্রতিহত করতে বিএসএফের ভূমিকা প্রশংসনীয়।’’

    বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন ভাইস অ্যাডমিরাল এএন প্রমোদও। ভারতের এয়ার ডিফেন্স সিস্টেম সম্পর্কে তিনি বলেন, “শত্রুপক্ষের কোনও বিমান কয়েকশো কিলোমিটার দূর থেকেও চিহ্নিত করতে সক্ষম ভারত।” এয়ার মার্শাল বলেন, “প্রয়োজন হলে আমাদের সব মিলিটারি বেস পরবর্তী (DGMO) মিশনের জন্যও প্রস্তুত হয়ে (Joint Military Briefing) যাবে।”

  • Punjab Police: ভারতের সেনা ঘাঁটির তথ্য-ছবি টাকার বিনিময়ে তুলে দিত পাকিস্তানের হাতে, পাঞ্জাবে গ্রেফতার ২

    Punjab Police: ভারতের সেনা ঘাঁটির তথ্য-ছবি টাকার বিনিময়ে তুলে দিত পাকিস্তানের হাতে, পাঞ্জাবে গ্রেফতার ২

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পাকিস্তানকে ভারতীয় সেনা ঘাঁটির বিভিন্ন তথ্য ও ছবি তুলে দেওয়ার কারণে পাঞ্জাব (Punjab Police) থেকে গ্রেফতার করা হল দুই জনকে। জানা গিয়েছে, ওই দুজনের নাম গুজালা এবং ইয়ামিন মহম্মদ। এই দু’জন পাকিস্তানের হয়ে গুপ্তচরবৃত্তির কাজ করত বলে পুলিশ জানিয়েছে। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, সম্প্রতি অমৃতসর গ্রামীণ পুলিশ একই অপরাধে আরও দু’জনকে গ্রেফতার করেছে।

    কী জানাল পাঞ্জাবের প্রশাসন?

    পাঞ্জাব পুলিশের (Punjab Police) ডিজিপি গৌরব যাদব সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, পাকিস্তান হাইকমিশনে নিযুক্ত একজন কর্মকর্তার সঙ্গে যোগাযোগ ছিল এই দুই অভিযুক্তের। পাকিস্তান থেকে সেনার বিভিন্ন ছবি ও তথ্যের বিনিময়ে দু’জনকে টাকাও পেমেন্ট করা হত বলে জানা গিয়েছে। মালেরকোটলার এসএসপি গগন অজিত সিং সংবাদমাধ্যমকে জানান, গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে অভিযুক্ত গুজালাকে প্রথমে গ্রেফতার করা হয়। তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করেই দ্বিতীয় অভিযুক্ত ইয়ামিন মহম্মদের খোঁজ পায় পুলিশ (Punjab Police)। সেনার এই গোপন তথ্য তুলে দেওয়ার জন্য পাকিস্তানি ওই কর্মকর্তার কাছ থেকে মোট ৩০ হাজার টাকা নিয়েছে এই দুজনে। এমনটাই জানা গিয়েছে।

    আইএনএস বিক্রান্তের অবস্থান জানতে চেয়ে কোচিতে গ্রেফতার এক

    অন্যদিকে, কোচির বন্দর পুলিশ এক ব্যক্তিকে আটক করেছে। তার বিরুদ্ধে অভিযোগ রয়েছে কোচির নৌ বাহিনীর ঘাঁটিতে সে ফোন করে আইএনএস বিক্রান্তের (INS Vikrant) অবস্থান জানতে চেয়েছিল। জানা গিয়েছে, কোঝিকোড়ের বাসিন্দা মুজিব রহমান কোচির নৌ বাহিনীর ঘাঁটিতে শুক্রবার সকাল ৯টা ১৫ নাগাদ নাগাদ ফোন করে এবং জানতে চায় আইএনএস বিক্রান্তের (INS Vikrant) অবস্থান ঠিক কোন জায়গায়! মুজিব রহমান ফোনে জানায়, তার নাম রাঘবন। সে প্রধানমন্ত্রীর অফিস থেকে ফোন করছে বলে জানায়। অপারেশন সিঁদুরের আবহে এই ফোন কল আসার সঙ্গে সঙ্গেই তদন্ত শুরু করে প্রশাসন। ভারতীয় ন্যায় সংহিতার ৩১৯ (২) ধারা অনুসারে আটক মুজিবের বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।

  • Pakistan: পারমাণবিক বোমার জুজু দেখিয়ে ভারতকে দমানো যাবে না, হাড়ে হাড়ে টের পেল পাকিস্তান

    Pakistan: পারমাণবিক বোমার জুজু দেখিয়ে ভারতকে দমানো যাবে না, হাড়ে হাড়ে টের পেল পাকিস্তান

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পারমাণবিক বোমার জুজু দেখিয়ে যে ভারতকে আর আঘাত করা যাবে না, তা হাড়ে হাড়ে টের পাচ্ছে পাকিস্তান (Pakistan)। এয়ারবেসগুলির মতোই ভূপতিত পাকিস্তানের পরমাণু ভাঁওতাবাজি (Nuclear Deterrence)।

    কার্গিল যুদ্ধ (Pakistan)

    ১৯৯৯ সালে ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে হয়েছিল কার্গিল যুদ্ধ। তখনও দুই দেশই পরমাণু শক্তিধর রাষ্ট্রই ছিল। তবুও, সেই সংঘর্ষ সীমিত পরিসরেই নিয়ন্ত্রিত ছিল। যুদ্ধ হয়েছিল কার্গিলের কঠিন পার্বত্য এলাকায়। সেই সময়ও ভারত সিদ্ধান্ত নিয়েছিল যে তারা লাইন অফ কন্ট্রোল (LoC) অতিক্রম করবে না কিংবা পাকিস্তানের অভ্যন্তরে কোনও টার্গেটে হামলা চালাবে না। তখন পড়শি এই দুই দেশই সদ্য পরমাণু শক্তিধর হয়ে উঠছিল। তারা তখনও ছিল কমান্ড ও কন্ট্রোল প্রোটোকল এবং ম্যাচিওরিং ডেলিভারি সিস্টেমের মধ্যে।পহেলগাঁওকাণ্ডের জেরে ভারত পাকিস্তানে যে অভিযান চালায়, তার নাম ‘অপারেশন সিঁদুর’। কার্গিল যুদ্ধের চেয়ে এটি সম্পূর্ণ আলাদা। এটি কৌশলগত দৃষ্টিকোণ থেকে একটি যুগান্তকারী মুহূর্ত তৈরি করেছে, যেখানে ভারত পরমাণু যুদ্ধের মধ্যে না গিয়েও পাকিস্তানকে শাস্তি দেওয়ার ক্ষমতা দেখিয়ে দিয়েছে বিশ্বকে।

    পাকিস্তানের উসকানি

    আগের মতো এবারও ভারত-পাক সংঘাতের কারণ সেই পাকিস্তানের উসকানি। গত ২২ এপ্রিল দক্ষিণ কাশ্মীরের পহেলগাঁওয়ে বেছে বেছে ২৭ জন হিন্দু পর্যটককে হত্যা করে পাক মদতপুষ্ট জঙ্গিরা। অন্যান্যবারের ঘটনাগুলির মতো এবার আর নয়াদিল্লি শুধু প্রতীকী বিমান হামলা বা এয়ারস্ট্রাইকের মধ্যেই সীমাবদ্ধ থাকেনি। কূটনৈতিকভাবেও শিক্ষা দিয়েছে পাকিস্তানকে (Pakistan)। এবার  পাকিস্তান ও পাক অধিকৃত কাশ্মীরের ৯টি জঙ্গিঘাঁটিতে হামলা চালায় ভারত। যার অর্থ, কয়েক দশকের সংযমের বাঁধ ভেঙে মারমুখী হয়ে উঠেছিল ভারত। তবে ভারত কেবল জঙ্গিঘাঁটিগুলিকেই টার্গেট করেছিল, পাকিস্তানের মতো নিরীহ মানুষকে মারেনি। ভারত জঙ্গিদের যেসব ডেরায় আঘাত করেছে, তার মধ্যে ছিল বাহাওয়ালপুরে জইশ-ই-মহম্মদের ঘাঁটি, আর ছিল মুরিদকেতে লস্কর-ই-তৈবার আস্তানা। এই দুটি জায়গায় যে কেবল জঙ্গিদের প্রশিক্ষণ দেওয়া হত, তাই নয়, সংসদে হামলা, মুম্বই হামলা, পুলওয়ামাকাণ্ড এবং আরও বহু হামলার ঘটনায় নাম জড়িয়েছে এই দুই জায়গার (Nuclear Deterrence)।

    পাকিস্তানকে শিক্ষা ভারতের

    পাকিস্তানের আশ্রয়ে এবং প্রশ্রয়ে গত ২৫ বছর ধরে এই ঘাঁটিগুলি থেকে ভারতে চালিয়ে যাওয়া হচ্ছিল একের পর এক নাশকতার কাজ। ভারত উপযুক্ত জবাব না দেওয়ায় পাকিস্তানের মাথারা ভেবেছিলেন, সে দেশের পরমাণু শক্তিকে ভয় পাচ্ছে ভারত। এই ভাবনা থেকেই জঙ্গিরাও ছিল চিন্তামুক্তভাবে। এবার ‘অপারেশন সিঁদুরে’র মাধ্যমে ভারত পাকিস্তান এবং তার আশ্রিত জঙ্গিদের বুঝিয়ে দিয়েছে, ভারত কী পারে, আর পারে না। অপারেশন সিঁদুরে ৯টি জায়গায় হামলা চালিয়ে ভারত ধ্বংস করে দিয়েছে ২৪টি জঙ্গি ঘাঁটি। এক সময় যেখানে জঙ্গিদের আনাগোনা ছিল, ভারতের বিরুদ্ধে হামলা চালানোর নীল নকশা কষা হত, পাকিস্তানের সেসব জায়গাই দুরমুশ করে দিয়েছে ভারত।

    চ্যালেঞ্জ নিবি না…   

    এবং এখানেই থেমে থাকেনি (Pakistan) ভারত। পাকিস্তানের প্রতিটি প্রতিশোধের জবাবে ভারত আরও কঠোরভাবে আঘাত হানে। ১৯৭১ সালের যুদ্ধের পর এই প্রথমবার ভারত ইচ্ছাকৃতভাবে এবং প্রকাশ্যে পাকিস্তানের প্রচলিত সামরিক পরিকাঠামোকে টার্গেট করে। জঙ্গি ঘাঁটি গুঁড়িয়ে দেওয়ার পাশাপাশি ভারত অন্তত ১১টি পাকিস্তান বিমানঘাঁটিতে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা অক্ষম করে দেয়। ধ্বংস করে গুরুত্বপূর্ণ সম্পদও। এর মধ্যে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ছিল রাওয়ালপিন্ডির বিমানঘাঁটির ওপর হামলা, যা পাকিস্তান সেনাবাহিনীর জেনারেল হেডকোয়ার্টার্স থেকে মাত্রই ১২ কিলোমিটার দূরে। এটি কেবল একটি কৌশলগত অভিযান ছিল না। এটি ছিল একটি সুপরিকল্পিত উত্তেজনা বৃদ্ধির পদক্ষেপ, পাকিস্তানের সামরিক নেতৃত্বকে সরাসরি চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দেওয়া। রাওয়ালপিন্ডির বিমানঘাঁটিতে হামলা  চালিয়ে ভারত পাকিস্তানকে বুঝিয়ে দিয়েছে, পাকিস্তানের ওয়ার মেশিনারি যেখান থেকে পরিচালিত হয়, তাও ভারতের নাগালের বাইরে নয় (Pakistan)।

    পাকিস্তানকে স্পষ্ট দুটি বার্তা ভারতের

    এই হামলা চালিয়ে ভারত পাকিস্তানকে স্পষ্ট দুটি বার্তা দিয়েছে। এক, পাকিস্তানের প্রচলিত সামরিক যন্ত্রে আঘাত হানার ক্ষমতা ভারতের রয়েছে। আর, দুই, এবং আরও গুরুত্বপূর্ণ বার্তাটি হল, পাকিস্তানের পারমাণবিক হুমকি সত্ত্বেও ভারত পিছিয়ে থাকবে না (Nuclear Deterrence)। কার্গিল যুদ্ধের পর সবাই ভেবেছিল, পাকিস্তান পরমাণু শক্তিধর দেশ হওয়ায় নয়াদিল্লির হাত-পা বাঁধা। আর রাওয়ালপিন্ডির নীতি ছিল, সন্ত্রাসকে রাষ্ট্রীয় নীতির অংশ হিসেবে ব্যবহার কর, বারবার ভারতকে উসকে দাও, এবং প্রতিশোধের সম্ভাবনা এলেই পারমাণবিক অস্ত্রের কার্ড দেখাও। ২০০১–’০২ সালে ভারতীয় সংসদে হামলার পর সৃষ্ট উত্তেজনার প্রেক্ষিতে ভারত সেনা মোতায়েন করেছিল, যদিও শেষ পর্যন্ত হামলা চালায়নি। কেউ কেউ এটিকে সংযমের উদাহরণ মনে করলেও, অন্যরা একে প্রতিরোধ এবং প্রস্তুতির ব্যর্থতা হিসেবেই দেখেছে। কিন্তু ‘অপারেশন সিঁদুর’ এই সমীকরণ বদলে দিয়েছে। ভারত এখন প্রমাণ করেছে যে তারা শুধু প্রতীকীভাবে নয়, প্রাণঘাতী শক্তি ব্যবহার করেও প্রতিশোধ নিতে পারে। পারমাণবিক সীমা লঙ্ঘন না করেই পাকিস্তানকে যোগ্য জবাব দিতে পারে (Pakistan)।

    ‘অপারেশন সিঁদুর’

    ‘অপারেশন সিঁদুর’ স্রেফ পহেলগাঁওয়ের প্রতিশোধ নেওয়া ছিল না। এটি ছিল কৌশলগত সমীকরণ পুনর্নির্ধারণের একটি প্রচেষ্টাও। দীর্ঘদিন ধরে পাকিস্তান এই বিভ্রমে ছিল যে তাদের পারমাণবিক অস্ত্রের মালিকানা তাদেরকে ভারতকে “হাজার বার কাটা” নীতিতে রক্তাক্ত করার অবাধ সুযোগ দেয়। ইসলামাবাদের সেই বিভ্রম এখন ভেঙে চৌচির। ভারতের যে কোনও শক্তিশালী প্রতিক্রিয়া স্বয়ংক্রিয়ভাবে পারমাণবিক যুদ্ধের রূপ নেবে—বিশ্বের বহু দেশের এই আশঙ্কাকে নিশ্চিতভাবে ভুল প্রমাণ করেছে নয়াদিল্লি। ভারতের এই জয় শুধুমাত্র রাজনৈতিক বা প্রতীকী নয়, অপারেশনাল দৃষ্টিকোণ থেকে ভারত তাদের সামরিক প্রস্তুতি, সমন্বয় এবং প্রযুক্তিগত দক্ষতার এমন এক মাত্রা দেখিয়ে দিয়েছে, যার জেরে তাদের আঘাত হয়েছে কার্যকর ও নির্ভুল লক্ষ্যে (Nuclear Deterrence)। দূরপাল্লার অস্ত্র থেকে শুরু করে ইলেকট্রনিক যুদ্ধ, রিয়েল-টাইম নজরদারি থেকে আকাশ প্রতিরক্ষা—ভারত এমন বিভিন্ন ক্ষমতা ব্যবহার করেছে, যা তাদের সংঘাত নিয়ন্ত্রণ করতে, যুদ্ধক্ষেত্রে প্রাধান্য অর্জন করতে সাহায্য করেছে।

    ট্রাম্পের দ্বারস্থ পাকিস্তান

    ‘অপারেশন সিঁদুরে’র পিছনে থাকা রাজনৈতিক সদিচ্ছাও সমান গুরুত্বপূর্ণ। ভারত শুধু হুঁশিয়ারিই দেয়নি, কার্যকর পদক্ষেপও করেছে। তারা প্রথমে আঘাত হেনেছে এবং বারবার হেনেছে। আর যখন পাকিস্তান প্রত্যুত্তর দিয়েছে, তখনও ভারত পিছু হটেনি। বরং তারা পাকিস্তানকে উপযুক্ত জবাব দিয়েছে। যে জবাবের প্রেক্ষিতে ভয়ে সিঁটিয়ে গিয়েছিল পাকিস্তান। তাই সংঘাত থামাতে তারা দ্বারস্থ হয়েছিল ৪৭তম মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের। ভারতের দিকে পাকিস্তানই আগে বাড়িয়ে দিয়েছে শান্তি-বারতার হাত। ভারত যেহেতু যুদ্ধ-অশান্তি চায় না, তাই পাকিস্তানের শান্তিবার্তায় সাড়া দিয়েছে বুদ্ধের দেশ।

    পারমাণবিক অস্ত্রের জুজু

    পাকিস্তান ভেবেছিল পারমাণবিক অস্ত্রের জুজু দেখিয়ে ভারতকে চুপ করিয়ে রাখবে। কিন্তু ‘অপারেশন সিঁদুর’ চালিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ভারত পাকিস্তানকে বুঝিয়ে দিল, পারমাণবিক অস্ত্র প্রয়োগ না করেও, বিশাল কিছু ক্ষতি না করেও তাদের উচিত শিক্ষা দিতে পারে। ভারতের এই পাল্টা ‘মারে’ পাকিস্তান বুঝে গিয়েছে, পারমাণবিক বোমার ছাতা আর নিরাপদ নয়, যেমন নিরাপদ নয় ভারতে জঙ্গি হামলা চালানো। মোদির নয়া ভারত জবাব দিতে জানে, জানে শত্রুকে কীভাবে শায়েস্তা করতে হয় (Nuclear Deterrence)।

    ভারতের ভদ্রতা যে দুর্বলতা নয়, ‘অপারেশন সিঁদুর’ চালিয়ে তা প্রমাণ করে দিল নয়াদিল্লি (Pakistan)।

  • India-Pakistan War: আবারও মুখ পুড়ল, ভারতের মহিলা পাইলটকে আটকের খবর ভুয়ো, মেনে নিল পাকিস্তান

    India-Pakistan War: আবারও মুখ পুড়ল, ভারতের মহিলা পাইলটকে আটকের খবর ভুয়ো, মেনে নিল পাকিস্তান

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পাকিস্তানের (India-Pakistan War) কাছে ভারতীয় বায়ুসেনার (IAF) কোনও পাইলট আটক নেই। এই খবর সম্পূর্ণ মিথ্যা। এটি একটি গুজব, যা সমাজমাধ্যমে ছড়ানো হয়েছে। একথা স্পষ্ট করে জানালেন পাকিস্তান সেনাবাহিনীর একজন উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা। এর আগে পাকিস্তানিরা দাবি করছিল, ভারতীয় বায়ুসেনার মহিলা পাইলট স্কোয়াড্রন লিডার শিবানি সিং (Shivani Singh) পাক সেনার হাতে বন্দি। যদিও ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে চলমান উত্তেজনার মধ্যে, আগেই পিআইবি ফ্যাক্ট চেক করে জানায়, খবরটি ভুয়ো। রবিবার ভারতীয় বায়ুসেনার কড়া বার্তার পর অবশেষে সত্যি স্বীকার করল পাকিস্তান।

    স্বীকারোক্তি পাকিস্তানের

    পাকিস্তানের (India-Pakistan War) আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ দফতরের (ISPR) আধিকারিক আহমেদ শরিফ চৌধুরি সাংবাদিক সম্মেলনে বলেন, “আমি নিশ্চিত করতে পারি, আমাদের হেফাজতে কোনও ভারতীয় পাইলট নেই। এটি সম্পূর্ণরূপে সামাজিক মাধ্যমে ছড়ানো ভুয়ো খবর এবং প্রোপাগান্ডা।” এর আগে, সামাজ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে যে ভারতীয় বিমানবাহিনীর মহিলা পাইলট স্কোয়াড্রন লিডার শিবানি সিং পাকিস্তানে ধরা পড়েছেন। তবে ভারতের প্রেস ইনফরমেশন ব্যুরো (PIB) দ্রুত এই গুজব খণ্ডন করে জানায়, “ভারতীয় মহিলা পাইলট আটক হয়নি। এটি একটি সম্পূর্ণ ভুয়ো খবর। যে ছবিটি দেখানো হচ্ছে, সেটি আসলে ২০২১ সালে পাঞ্জাবের মোগায় একটি মিগ-২১ ভেঙে পড়ার সময়ের ছবি।”

    আগেই বলেছিল ভারত

    পাকিস্তান ও পাক অধিকৃত কাশ্মীরে অপারেশন সিঁদুরের (Operation Sindoor) পর ইসলামাবাদ (Islamabad) এই ধরনের ভুয়ো প্রচারের আশ্রয় নেয়। ভারতীয় বিমানবাহিনীর এয়ার মার্শাল একে ভারতী রবিবার জানিয়েছেন, “আমরা আমাদের সব লক্ষ্যে পৌঁছেছি এবং সব ভারতীয় পাইলট নিরাপদে ফিরে এসেছেন।” তিনি আরও বলেন, “পাকিস্তানের কয়েকটি যুদ্ধবিমান ভারতের আকাশসীমা লঙ্ঘনের চেষ্টা করেছিল, কিন্তু সেগুলিকে প্রতিহত করা হয়েছে। কয়েকটি শত্রু বিমান ভূপাতিত হয়েছে বলেও নিশ্চিত করেন তিনি। প্রেস ইনফরমেশন ব্যুরো আগেই জানিয়েছিল অপারেশন সিঁদুর চলাকালীন পাকিস্তান-ভিত্তিক সোশ্যাল মিডিয়া হ্যান্ডল থেকে অন্তত ৪০টি ভুয়ে খবর ছড়ানো হয়েছে। কেন্দ্রের মোদি সরকার (Modi Government) ভারতীয়দের (India-Pakistan War) বারবার যাচাই না করে গুজব বা ভুয়ো তথ্য শেয়ার করতে নিষেধ করে। বিশ্লেষকরা বলছেন, যুদ্ধকালীন সময়ে প্রোপাগান্ডা চালানো নতুন কিছু নয়, তবে পাকিস্তানের সেনা মুখপাত্রের এই স্বীকারোক্তি নিশ্চিত করেছে যে, ভারতীয় পাইলট আটক করার খবরটি সম্পূর্ণ মিথ্যা ছিল।

  • India-Pakistan War: “চাইলে গুঁড়িয়ে দেওয়া যেত, ভারত নিয়ন্ত্রিত এবং পরিমিত জবাব দিয়েছে”, পাকিস্তানের উদ্দেশে বার্তা সেনার

    India-Pakistan War: “চাইলে গুঁড়িয়ে দেওয়া যেত, ভারত নিয়ন্ত্রিত এবং পরিমিত জবাব দিয়েছে”, পাকিস্তানের উদ্দেশে বার্তা সেনার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অপারেশন সিঁদুর (Operation Sindoor) পাক জঙ্গি দমনে করা হলেও, তার পাল্টা বারবার জবাব দিয়েছে পাকিস্তানি সেনা। ভারত (India-Pakistan War) তাদের সেনা বা নাগরিকের কোনও ক্ষতি করতে চায়নি। চেয়েছে সীমান্তে বসে থাকা জঙ্গিদের শেষ করতে। যা করেছেও। কিন্তু তার পাল্টা ভারতে হামলা চালিয়েছে পাক সেনা। যার প্রত্যাঘাত হিসেবে পাকিস্তানের একাধিক সেনা ঘাঁটি বাধ্য হয়েই উড়িয়ে দিয়েছে ভারত। রবিবার সন্ধ্যায় সাংবাদিক বৈঠকে তা স্পষ্ট করে দিল ভারত। এক ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে ভারতীয় সেনার ‘ডিরেক্টর জেনারেল অফ মিলিটারি অপারেশন্‌স’ লেফটেন্যান্ট জেনারেল রাজীব ঘাই, বায়ুসেনার ‘ডিরেক্টর জেনারেল অফ এয়ার অপারেশন্‌স’ এয়ার মার্শাল একে ভারতী এবং নৌসেনার ‘ডিরেক্টর জেনারেল অফ নেভাল অপারেশন্‌স’ ভাইস অ্যাডমিরাল এএন প্রমোদ গত কয়েক দিনের সামরিক অভিযানের খুঁটিনাটি তথ্য তুলে ধরেন। এদিন বৈঠক শুরু হয় শিব তাণ্ডব স্তোত্র দিয়ে।

    বেয়াদপি করলে বরদাস্ত নয়

    সংঘর্ষ বিরতি (India Pakistan Ceasefire) ঘোষণার পর বিশ্বাসঘাতকতা করে বারবার হামলা চালিয়েছে পাকিস্তান। রবিবার সেনার সাংবাদিক বৈঠকে কড়া ভাষায় বার্তা দিয়ে জানানো হল পাকিস্তানের পক্ষ থেকে আর কোনওরকম ভারত-পাক সমঝোতা ভঙ্গ হলে ভারতও চুপ থাকবে না। ভারতের লড়াই সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে। পাকিস্তানি সেনা বা সীমান্তের ও পারের বাসিন্দাদের সঙ্গে ভারতের কোনও লড়াই নেই। অপারেশন সিঁদুর তা গোটা বিশ্বকে বুঝিয়ে দিয়েছে। ভারত আর সন্ত্রাসবাদকে কোনও ভাবে বরদাস্ত করবে না। পাকিস্তান যে জঙ্গিদের মদত দেয় সেটা জলের মতো পরিষ্কার। এর পর পাকিস্তান কোনও রকমের বেয়াদপি করলে ভারত কোনও রকমে রেয়াত করবে না। তিন বাহিনীর কর্তারা জানান, এই সংঘাতের আবহে পাক সেনার ৩৫-৪০ জন জওয়ান নিহত হয়েছেন। পাকিস্তানের অভ্যন্তরে বেশ কিছু সামরিক ঘাঁটিও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এমনকি ইসলামাবাদের কাছে চাকলালা ঘাঁটিও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। করাচিতেও যে কোনও মুহূর্তে আঘাত করার মতো কৌশলগত অবস্থানে ছিল ভারতীয় নৌসেনা। তবে সংঘর্ষ বিরতি চুক্তির জন্য আপাতত চুপ রয়েছে ভারত।

    ১০০-র বেশি জঙ্গি, ৩৫-৪০ পাক সেনার মৃত্যু

    ডিজিএমও লেফটেন্যান্ট জেনারেল রাজীব ঘাই জানান, পাকিস্তান নিয়ন্ত্রণরেখা (India-Pakistan War) লঙ্ঘন করে বেশ কিছু জনবহুল গ্রাম এবং মন্দির, গুরুদ্বারের মতো ধর্মীয় স্থানে আঘাত করার চেষ্টা করে। ভারতের জম্মু, উধমপুর, ভাটিন্ডা, বিভিন্ন জায়গায় হামলা চালিয়েছে পাকিস্তান। হামলার কড়া প্রত্যাঘাত করেছে ভারতও। পাকিস্তান ও পিওকের ৯টি জঙ্গিঘাঁটি ধ্বংস করা হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে চাকলালা, রফিকি-সহ বেশ কিছু অঞ্চল রয়েছে। ১০০-র বেশি জঙ্গির মৃত্যু হয়েছে। তার মধ্যে রয়েছে ইউসূফ আজহার, আব্দুল মালিক রাউফ এবং মুদস্‌সর আহমেদ। নিহত জঙ্গিদের মধ্যে আইসি ৮১৪ অপহরণ এবং পুলওয়ামা হামলায় জড়িত জঙ্গিও রয়েছে। ৩৫-৪০ পাক সেনার মৃত্যু হয়েছে। সাংবাদিক বৈঠকে ছবি ও ভিডিও দেখিয়ে জঙ্গি দমনের সাফল্য এসেছে কী ভাবে তার ব্যাখ্যা দেয় ভারতীয় সেনা।

    পাক হামলার প্রত্যাঘাত করা হয়েছে মাত্র

    তিন বাহিনীর যৌথ সাংবাদিক বৈঠকে জানানো হয়, ৮-৯ মে’র রাতে পাকিস্তান বেশ কিছু ড্রোন এবং বিমান ভারতীয় আকাশসীমায় প্রবেশের চেষ্টা করে। সেগুলির লক্ষ্য ছিল ভারতীয় সামরিক ঘাঁটি। তার মধ্যে বেশির ভাগই ব্যর্থ হয়েছে। শ্রীনগর থেকে নালিয়া পর্যন্ত বিস্তীর্ণ অঞ্চলে ড্রোন, পাইলটহীন বিমান দিয়ে হামলার চেষ্টা করে পাকিস্তান। কিন্তু ভারতের আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার জন্য সেগুলি নির্দিষ্ট লক্ষ্যে আঘাত হানতে পারেনি। এ ছাড়া পাকিস্তানি কিছু যুদ্ধবিমানকেও গুলি করে নামানো হয়েছে বলে জানিয়েছে ভারতীয় বায়ুসেনা। তবে সেগুলি ভারতের সীমান্তে প্রবেশ করার আগেই সেগুলিকে আটকে দেওয়া গিয়েছে। ভারত স্পষ্ট করে দেয়, পাকিস্তানের এই হামলার কারণেই প্রত্যাঘাত করতে হয়েছে ভারতীয় সেনাকে।

    সম্পূর্ণ ধ্বংস করে দেওয়ার ক্ষমতা ছিল

    পাক হামলার (India-Pakistan War) পরে ভারতও পাকিস্তানের বেশ কিছু বায়ুসেনা ঘাঁটি, কমান্ড সেন্টার এবং অন্য সামরিক ঘাঁটিতে আঘাত করে। প্রত্যাঘাত করা হয় পাকিস্তানের ওয়েস্টার্ন ফ্রন্টের আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থাতেও। পাকিস্তানের যে সামরিক ঘাঁটিগুলিতে প্রত্যাঘাত করা হয়েছে, তার মধ্যে ইসলামাবাদ সংলগ্ন এলাকাও রয়েছে। এয়ার মার্শাল ভারতী বলেন, “আমরা যে ঘাঁটিগুলিকে নিশানা করেছিলাম তার মধ্যে ছিল চাকলালা, রফিকি। উল্লেখ্য, চাকলালা ইসলামাবাদে অবস্থিত।” এ ছাড়া পাকিস্তানের রহিম ইয়ার খান, সরগোদা, জাকোকাবাদ এবং ভুলারির মতো এলাকাতেও সামরিক ঘাঁটিতে হামলা করা হয়েছে। এয়ার মার্শাল জানান, এই ঘাঁটিগুলিকে সম্পূর্ণ ধ্বংস করে দেওয়ার ক্ষমতা ছিল ভারতের। কিন্তু ভারত নিয়ন্ত্রিত এবং পরিমিত জবাব দিয়েছে।

    ভারতীয় নৌসেনার কৌশলগত অবস্থান

    গত কয়েক দিন ধরে পাক নৌসেনাকে কৌশলগত ভাবে চাপে রেখেছিল ভারতীয় নৌসেনাও। ভাইস অ্যাডমিরাল এএন প্রমোদ জানান, পহেলগাঁও কাণ্ডের পরে নৌসেনার ডুবোজাহাজ, বিমান-সহ সমস্ত বিভাগকে সংঘাতের জন্য পূর্ণ প্রস্তুতি নিয়ে সমুদ্রে মোতায়েন করে দেওয়া হয়েছিল। সন্ত্রাসবাদী হামলার ৯৬ ঘণ্টার মধ্যে নৌসেনা আরব সাগরে বেশ কিছু কৌশলগত অবস্থান নেয়। উত্তর আরব সাগরে এমন জায়গায় বাহিনীকে মোতায়েন করা হয়েছিল যেখান থেকে নিজেদের পছন্দ মতো সময়ে করাচি-সহ বিভিন্ন স্থানে নির্দিষ্ট লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানার ক্ষমতা ছিল নৌসেনার। ভারতীয় নৌসেনার কৌশলগত অবস্থানের জন্য পাকিস্তানি নৌসেনাকে রক্ষণমূলক অবস্থান নিতে হয়েছিল এবং সেগুলি বেশির ভাগই নিজেদের বন্দর বা উপকূলের কাছাকাছিই রয়ে গিয়েছিল।

    প্রতিটি হামলার পাল্টার জন্য প্রস্তুত থাকতে হবে

    ডিজিএমও লেফটেন্যান্ট জেনারেল রাজীব ঘাই জানান, প্রাথমিকভাবে ৩৬ ঘণ্টার জন্য সংঘর্ষবিরতির সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। তবে, পাকিস্তান যদি কোনও রকমভাবে যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘন করে তাহলে এপার থেকেও উচিত শিক্ষা দেওয়া হবে পাক সেনাকে। এক বিন্দু জমিও ছাড়বে না ভারত। প্রতিটি হামলার পাল্টার জন্য প্রস্তুত থাকতে হবে ইসলামাবাদকে।

  • Operation Sindoor: জঙ্গিদের শেষকৃত্যে হাজির থাকা পাক সেনা, পুলিশ কর্তাদের নাম প্রকাশ করল ভারত

    Operation Sindoor: জঙ্গিদের শেষকৃত্যে হাজির থাকা পাক সেনা, পুলিশ কর্তাদের নাম প্রকাশ করল ভারত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: জঙ্গিদের মদতদাতা পাকিস্তান তা ফের একবার সামনে এসেছিল অপারেশন সিঁদুর-র (Operation Sindoor) পরেই। একটি ছবিতে দেখা যায়, ভারতের প্রত্যাঘাতে বাহাওয়ালপুরে জইশের হেড কোয়ার্টারে নিহত জঙ্গিদের স্যালুট করছে পাক সেনা। শুধু তাই নয়, অ্যাম্বুল্যান্সে করে জইশ জঙ্গিদের দেহ যখন নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল, তখন পাকিস্তান আর্মি কোর অফ মিলিটারি পুলিশ তাদের স্যালুট ঠোকে। জঙ্গিদের শেষকৃত্যে হাজির থাকতে দেখা গিয়েছে পাক সেনা অফিসার, পুলিশকে।

    মুরিদকে ক্যাম্পে খতম জঙ্গিদের শ্রদ্ধা পাক সেনা-পুলিশের

    মুরিদকে জঙ্গি ক্যাম্পে খতম হওয়া জঙ্গিদের সার দিয়ে দাঁড়িয়ে শ্রদ্ধা জানাতে দেখা গিয়েছে পাকিস্তান সেনার (Pak Army) আধিকারিকদের। শুধু তাই নয়, জঙ্গিদের কফিন বন্দি মৃতদেহ ঘাড়ে করে নিয়ে যেতেও দেখা গিয়েছে (Operation Sindoor) পাক সেনাকে। একইসঙ্গে জঙ্গিদের কফিনও মুড়ে দেওয়া হয় পাকিস্তানের পতাকায়। এই আবহে জঙ্গিদের শেষকৃত্যে হাজির থাকা পাক সেনা অফিসারদের নাম সামনে আনল দিল্লি। ভারত যে ছবি প্রকাশ করেছে, তাতে শেষকৃত্যের অনুষ্ঠানে দেখা গিয়েছে লস্কর-ই-তৈবা জঙ্গি হাফিজ আবদুল রাউফকে। আমেরিকার তৈরি সন্ত্রাসবাদীদের তালিকায় বিশেষ ভাবে চিহ্নিত তার নাম। ভারতের প্রত্যাঘাতে (Operation Sindoor) এই শিবিরে থাকা তিন শীর্ষ কমান্ডার সহ একাধিক জঙ্গি খতম হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। তিন শীর্ষ কমান্ডার হল, কারি আব্দুল মালিক, খালিদ এবং মুদাস্‌সির। তাদেরই শেষকৃত্যের ছবি প্রকাশ করেছে ভারত, এমনটাই জানা যাচ্ছে।

    কোন কোন উচ্চপদস্থ পাক সেনা হাজির ছিল জঙ্গিদের শেষকৃত্যে

    পাক সেনা ও পুলিশ আধিকারিকদের নাম প্রকাশ করল ভারত সরকার (Operation Sindoor)। উল্লেখ করা হয়েছে তাদের পদও। সেই তালিকায় রয়েছে-

    লেফটেন্যান্ট জেনারেল ফৈয়াজ হোসেন শাহ, লাহোরের চতুর্থ কোরের কমান্ডার।

    লাহোরের ১১তম পদাতিক ডিভিশনের মেজর জেনারেল রাও ইমরান সরতাজ

    ব্রিগেডিয়ার মহম্মদ ফুরকান শাব্বির

    পাঞ্জাব পুলিশের ইনস্পেক্টর জেনারেল ডঃ উসমান আনোয়ার

    মালিক সোহাইব আহমেদ ভের্থ, পাঞ্জাব প্রাদেশিক পরিষদের সদস্য।

    আগেই সাংবাদিক সম্মেলন করে বিষয়টি উত্থাপন করেন বিদেশ সচিব বিক্রম মিস্রি

    পাকিস্তান দীর্ঘদিন ধরে মিথ্যা দাবি করে আসছে তারা কোনও ধরণের সন্ত্রাসবাদকে আশ্রয় দেয় না বা মদত দেয় না, তবে ভারতীয় সশস্ত্র বাহিনী ছবি অনুসারে, অনেক পাকিস্তানি সেনা আধিকারিকরা জঙ্গিদের শেষকৃত্যে অংশ নিতে দেখা গিয়েছে। এই বিষয়টি আগেই সাংবাদিক সম্মেলন করে উত্থাপন করেন বিদেশ সচিব বিক্রম মিস্রি। তিনি নিহত জঙ্গিদের কফিনের পিছনে প্রার্থনারত পাকিস্তানি সেনা ও পুলিশ সদস্যদের উর্দি পরিহিত একটি ছবি তুলে ধরে প্রশ্ন তোলেন যে, এই ছবিটি (Operation Sindoor) কী বার্তা দেয়।

  • Yogi Adityanath: ‘‘পাকিস্তানকে যোগ্য জবাব দিয়েছে অপারেশন সিঁদুর’’, বললেন যোগী আদিত্যনাথ

    Yogi Adityanath: ‘‘পাকিস্তানকে যোগ্য জবাব দিয়েছে অপারেশন সিঁদুর’’, বললেন যোগী আদিত্যনাথ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ‘‘অপারেশন সিঁদুর (Operation Sindoor) পাকিস্তানকে যোগ্য জবাব দিয়েছে, সময় এসে গিয়েছে প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে আমাদের একসঙ্গে জোটবদ্ধ হওয়ার।’’ রবিবার উত্তরপ্রদেশের লখনউয়েও ব্রহ্মস ক্ষেপণাস্ত্র তৈরির নতুন কারখানার উদ্বোধন হয়। সেখানে এসেই ‘অপারেশন সিঁদুর’ নিয়ে এমন মন্তব্য করেন যোগী আদিত্যনাথ (Yogi Adityanath)।

    কী বললেন যোগী আদিত্যনাথ?

    যোগী আদিত্যনাথ (Yogi Adityanath) বলেন, ‘‘যতক্ষণ আমরা সন্ত্রাসবাদকে দমন না করতে পারব, ততক্ষণ সমস্যার সমাধান হবে না। সময় এসে গিয়েছে। আমাদের একসঙ্গে প্রধানমন্ত্রীর নেতৃ্ত্বে জোট হতে হবে। সন্ত্রাসবাদীদের ভাষায় তাদের জবাব দেওয়ার জন্য তৈরি হতে হবে। অপারেশন সিঁদুর পাকিস্তানকে যোগ্য জবাব দিয়েছে।’’ একইসঙ্গে সন্ত্রাসবাদকে কুকুরের লেজের সঙ্গে তুলনা করেছেন যোগী আদিত্যনাথ। তাঁর দাবি, এই লেজ কখনওই সোজা হয় না। উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রীর (Yogi Adityanath) কথায়, ‘‘প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ঘোষণা করেছেন যে ভবিষ্যতে যে কোনও জঙ্গি কার্যকলাপকে যুদ্ধ হিসাবে বিবেচনা করা হবে। সন্ত্রাসবাদকে সম্পূর্ণরূপে ধ্বংস করা না গেলে কখনওই এই সমস্যার সমাধান সম্ভব নয়।’’

    অপারেশন সিঁদুর (Operation Sindoor)

    প্রসঙ্গত, গত ২২ এপ্রিল জম্মুর পহেলগাঁওয়ের বৈসরন উপত্যকায় জঙ্গি হামলায় ২৬ জনের মৃত্যু হয়। ধর্ম বেছে বেছে হিন্দু পর্যটকদের হত্যা করে জঙ্গিরা। তার পর থেকেই অ্যাকশন মোডে নামে মোদি সরকার। প্রত্যাঘাত হিসাবে গত ৭ মে রাতে পাকিস্তান এবং পাক অধিকৃত কাশ্মীরে অপারেশন সিঁদুর প্রয়োগ করে ৯টি জঙ্গিঘাঁটি উড়িয়ে দেয় ভারত। এই আবহে রবিবার সকালেই অপারেশন সিঁদুর এখনও চলছে বলে জানিয়ে দেয় বায়ুসেনা। তারা জানিয়েছে, জাতীয় উদ্দেশ্যপূরণে নির্দিষ্ট লক্ষ্যে গোপনীয়তার সঙ্গে অপারেশন চলছে। বেছে বেছে নির্দিষ্ট লক্ষ্যে আঘাত হানা হচ্ছে বলেও জানিয়েছে বায়ুসেনা।প্রসঙ্গত, শনিবার সংঘর্ষবিরতি সমঝোতার কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই সীমান্তে লাগাতার হামলা চালায় পাক-বাহিনী। এর পরেই ইসলামাবাদকে কড়া বার্তা দেয় ভারত। ভারতের বিদেশমন্ত্রক জানায়, যে কোনও পরিস্থিতিতে জবাব দেওয়ার জন্য তৈরি আছে সেনা।

  • Operation Sindoor: পাকিস্তানের গোলাবর্ষণের যোগ্য জবাব দেবে ভারত, বৈঠকে কড়া বার্তা মোদির

    Operation Sindoor: পাকিস্তানের গোলাবর্ষণের যোগ্য জবাব দেবে ভারত, বৈঠকে কড়া বার্তা মোদির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শনিবার বিকাল ৫টায় ভারত-পাক সংঘর্ষবিরতি ঘোষণা করা হয়। তবে অপারেশন সিঁদুর (Operation Sindoor) যে থামেনি রবিবারই দিল্লিতে প্রধানমন্ত্রীর বাসভবনে উচ্চপর্যায়ের বৈঠকে স্পষ্ট জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)। সূত্রের খবর, তিনি নির্দেশ দিয়েছেন, সীমান্তে পাকিস্তানের যে কোনওরকম গোলাবর্ষণের যোগ্য জবাব দেবে ভারত।

    রবিবার প্রধানমন্ত্রীর বাসভবনে উচ্চ পর্যায়ের বৈঠক

    রবিবার প্রধানমন্ত্রীর বাসভবনে আয়োজিত ওই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর, প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং, জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত ডোভাল, চিফ অফ ডিফেন্স স্টাফ জেনারেল অনিল চৌহান, বায়ুসেনা প্রধান এ পি সিং, নৌসেনা প্রধান অ্যাডমিরাল দীনেশ কুমার ত্রিপাঠী এবং সেনাপ্রধান জেনারেল উপেন্দ্র দ্বিবেদী। প্রসঙ্গত, গত ৭ মে পাকিস্তান অধীকৃত কাশ্মীরে অপারেশন সিঁদুর প্রয়োগ করে নয় জঙ্গি ঘাঁটি গুঁড়িয়ে দেয় ভারতীয় সেনা। সেই হামলার পরে ভারতের অবস্থান একেবারে স্পষ্ট। পাকিস্তান গুলি চালালে (Operation Sindoor) ভারত পাল্টা আরও জোরালো হামলা চালাবে।

    অপারেশন সিঁদুর’ (Operation Sindoor) এখনও শেষ হয়নি

    সূত্রের মাধ্যমে জানা যাচ্ছে, অপারেশন সিঁদুর’ (Operation Sindoor) এখনও শেষ হয়নি। এদিন এক্স হ্যান্ডেলে ভারতীয় বায়ুসেনার তরফে লেখা হয়েছে, “অপারেশন সিঁদুরে নিজের দায়িত্ব সফলভাবে পালন করেছে ভারতীয় বায়ুসেনা। দেশের স্বার্থে নিখুঁতভাবে পেশাদারিত্বের সঙ্গে সেই কাজ করেছে তারা। সতর্কতা এবং বিচক্ষণতার সঙ্গে সেই অভিযান করা হয়েছে।” ওই পোস্টেই বায়ুসেনা জানিয়েছে, ‘‘এই অভিযান চলছে। সময়মতো সেই বিষয়ে তথ্য দেওয়া হবে। জল্পনা এবং ভুয়ো তথ্যে কান না দেওয়ার জন্য সকলকে অনুরোধ করছে আইএএফ।’’

    সীমান্ত পেরিয়ে সন্ত্রাস ছড়ালে তার খেসারত অবশ্যই দিতে হবে পাকিস্তানকে

    এছাড়াও, পাকিস্তানকে কড়া বার্তা দিয়ে ভারত জানিয়েছে, সীমান্ত পেরিয়ে সন্ত্রাস ছড়ালে তার খেসারত অবশ্যই দিতে হবে পাকিস্তানকে। পাকিস্তান একদিকে জঙ্গি কার্যকলাপ চালিয়ে যাবে, আর অন্যদিকে ভারতের সঙ্গে জলবণ্টন বা বাণিজ্যে সহযোগিতা পাবে, এই দুটো একসঙ্গে চলবে না। অর্থাৎ এটা একদম স্পষ্ট হয়ে উঠেছে যে, সন্ত্রাসবাদ নিয়ে ভারত জিরো টলারেন্স নীতি মেনেই চলছে। অপারেশন সিঁদুর (Operation Sindoor) শুধু প্রতিরক্ষা নয়, কূটনৈতিক ও কৌশলগত দিক থেকেও পাকিস্তানকে একাধিক বার্তা দিচ্ছে।

LinkedIn
Share