Category: দেশ

Get updates on India News Headlines National News from the Madhyom news portal madhyom.com, West Bengal leading news portal Madhyom.com

  • Indian Railways: ৩.০২ কোটি ভুয়ো আইডি ব্লক রেলের, অনলাইন তৎকালে চালু ওটিপি ভেরিফিকেশন

    Indian Railways: ৩.০২ কোটি ভুয়ো আইডি ব্লক রেলের, অনলাইন তৎকালে চালু ওটিপি ভেরিফিকেশন

    মাধ্যম ডেস্ক নিউজ: ভুয়ো আইডি দিয়ে রেলের টিকিট বুকিং সিস্টেমের বিরুদ্ধে শক্তিশালী পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে ভারতীয় রেল। জানা গিয়েছে, ৩.০২ কোটি ভুয়ো আইডি বন্ধ করে দিয়েছে ভারতীয় রেল (Indian Railways)। রেল হল ভারতের অন্যতম প্রধান গুরুত্বপূর্ণ যোগাযোগের মাধ্যম। সম্প্রতি রেলের টিকিট সংরক্ষণ এবং নিরাপদ যাত্রায় বৈধ টিকিটের জন্য এই পদক্ষেপ অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ। যাত্রীদের সুবিধা এবং সঠিক পরিষেবার রেশ বজায় রাখতে এই পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে। রেলের টিকিটে (Irctc) কালো বাজারি বহুল অংশে বন্ধ হবে বলে মনে করছেন যাত্রীদের একাংশ।

    অ্যান্টি-বট সিস্টেম ইনস্টল করা হয়েছে (Indian Railways)

    সূত্রে জানা গিয়েছে, এই বছর ২০২৫ সালের জানুয়ারি থেকে ট্রেনের টিকিটে কালোবাজারি রোধ করতে ৩ কোটি ২০ লক্ষ সন্দেহজনক ইউজার আইডি ব্লক করেছে। এখন তৎকালে টিকিট বুকিংয়ের (Indian Railways) জন্য অ্যান্টি-বট সিস্টেম ইনস্টল করা হয়েছে। এই সিস্টেমের মাধ্যমে কেবলমাত্র যথার্থ যাত্রীরাই বুকিং করতে পারবেন। অপর দিকে ৩২২টি ট্রেনে অনলাইন তৎকাল টিকিটের জন্য আধার ভিত্তিক ওটিপি ভেরিফিকেশন চালু হয়েছে। সেই সঙ্গে ২১১টি ট্রেনের (Irctc) রিজার্ভিশন কাউন্টারে এই সুবিধা কার্যকর করা হয়েছে।

    তবে রেলমন্ত্রকের সিদ্ধান্তের ফলে একাধিক প্রভাব লক্ষ্য করা গিয়েছে। এখনও পর্যন্ত ৯৬টি জনপ্রিয় ট্রেনের মধ্যে ৯৫ শতাংশ ট্রেনের তৎকাল টিকিট (Irctc) সহজলভ্য সময় বৃদ্ধি পেয়েছে। ফলে আগের তুলনায় যাত্রীরা খুব সহজেই নিজেদের টিকিট নিশ্চিত ভাবে তৈরি করতে পারবেন। তবে রেলের পক্ষ থেকে বার বার আধিকারিকরা বলেন, “ট্র্যাভেল ওয়েবসাইটগুলির উপর বিশ্বাস না রেখে টিকিট সংগ্রহ করুন। প্রিমিয়াম পরিষেবার নামে কিছু ওয়েবসাইট ৩ গুণ রিফান্ডের মতো স্কিম উপলব্ধ করে। কিন্তু এই ধরনের সুবিধা পাওয়ার আগে গ্রাহকদের সতর্ক থাকতে হবে।”

    আইআরসিটিসি-র ওয়েবসাইট বা অ্যাপ ব্যবহার করুন

    অনলাইন প্রতারকরা নানা সময়ে বিভিন্ন লিঙ্ক পাঠিয়ে রেলের (Indian Railways) সস্তায় টিকিট দেওয়ার কথা বলে। কিন্তু পাঠানো লিঙ্কে ক্লিক করলেই ভুয়ো ওয়েবসাইট খুলে যায়। তবে একবার ব্যক্তিগত ভুল তথ্য দিলে প্রতারকরা দ্রুত টাকা হ্যাক করে নেয়। তাই ট্রেনের টিকিট (Irctc) বুক করার সময় সর্বদা আইআরসিটিসি-র ওয়েবসাইট বা অ্যাপ ব্যবহার করুন। একই ভাবে টাকা পেমেন্ট করার সময় শুধুমাত্র গুগুল-পে স্টোর, অ্যাপেল অ্যাপ স্টোর ডাউনলোড করুন। এইগুলি ছাড়া অন্য কোনও সাইটে এই সব আবেদন করা অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ। যে কোনও সময়ে প্রতারণা হওয়ার সুযোগ থাকে। তবে যদি নিজে প্রতারণার শিকার হয়েছেন বলে মনে করেন, তাহলে সাইবার ক্রাইম বিভাগে অভিযোগ জানাতে পারেন।

  • ISIS: ভারতে বড়সড় হামলা করতে বাংলাদেশের মাটি ব্যবহার করছে পাক জঙ্গিরা? দাবি গোয়েন্দাদের

    ISIS: ভারতে বড়সড় হামলা করতে বাংলাদেশের মাটি ব্যবহার করছে পাক জঙ্গিরা? দাবি গোয়েন্দাদের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারত-পাক সীমান্তে কড়া প্রহরার জেরে ফোকর গলে ভারতে ঢুকে জঙ্গি (ISIS) হামলা করতে গেলে ধরা পড়ে যাওয়ার ভয় রয়েছে। তাই এবার ‘প্ল্যান বি’ রূপায়ণ করতে চলেছে লস্কর-ই-তৈবা। গোয়েন্দা সূত্রে খবর, পাক অধিকৃত কাশ্মীর থেকে একদল জঙ্গি লস্কর-ই-তৈবার শীর্ষ নেতৃত্বের নির্দেশে বাংলাদেশে (Bangladesh) ঢোকার প্রস্তুতি নিচ্ছে। এই দলটি বিস্ফোরক তৈরিতে দক্ষ। তারা বাংলাদেশের জঙ্গিদের প্রশিক্ষণ দিতে সেখানে যাওয়ার তোড়জোড় করছে।

    বাংলাদেশের উদ্দেশে বিস্ফোরক বিশেষজ্ঞ (ISIS)

    এর আগে জইশ-ই-মহম্মদ এবং লস্কর-ই-তৈবা পশ্চিমবঙ্গ এবং উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্যগুলিতে তাদের মডিউল ফের সক্রিয় করার চেষ্টা করছে বলে জানতে পেরেছিলেন গোয়েন্দারা। এক আধিকারিক জানান, এই জঙ্গি সংগঠনগুলি বাংলাদেশের উদ্দেশে বিস্ফোরক বিশেষজ্ঞ পাঠাচ্ছে। বড় ধরনের কিছু একটি যে ঘটতে চলেছে, এটিই তারই ইঙ্গিত। আর এক আধিকারিক বলেন, সীমান্ত এলাকায় হাই অ্যালার্ট জারি করা হয়েছে। কারণ ভারত ভূখণ্ডে অনুপ্রবেশ ও বোমা বিস্ফোরণের চেষ্টা হতে পারে।

    আইএসআইয়ের সমর্থনে চলছে কার্যকলাপ

    ভারতীয় সংস্থাগুলি জেনেছে, বাংলাদেশে আইএসআইয়ের সমর্থনে বহু কার্যকলাপ চালানো হচ্ছে। যদিও পশ্চিমবঙ্গ এবং উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্যগুলি দীর্ঘদিন ধরেই বাংলাদেশভিত্তিক জঙ্গি সংগঠনগুলির হুমকির মুখে ছিল, এবার পরিস্থিতি সম্পূর্ণ ভিন্ন। পাকিস্তান, যার বাংলাদেশে একটি ‘বন্ধু’ সরকার রয়েছে, বড় ধরনের কিছু পরিকল্পনা করছে। সাম্প্রতিক জঙ্গি যাতায়াত-সহ যে সব বার্তা মিলেছে, তা স্পষ্ট ইঙ্গিত দিচ্ছে, ভারতকে লক্ষ্য করে আইএসআই একটি বড় ধরনের অভিযানের ছক কষছে।

    এই অভিযানে যৌথভাবে কাজ

    গোয়েন্দা সংস্থা সূত্রে খবর, এই অভিযানে জইশ-ই-মহম্মদ এবং লস্কর-ই-তৈবা একসঙ্গে কাজ করবে (ISIS)। ভবিষ্যতে যৌথ অভিযান চালানোর সিদ্ধান্তটি আইএসআইয়ের নির্দেশের পর গৃহীত হয়। এর পর পাকিস্তানে দুই জঙ্গি গোষ্ঠীর শীর্ষ নেতারা বৈঠক করে। আলোচনা করে কীভাবে একটি একক কমান্ড কাঠামোর আওতায় তারা এগোবে। বাংলাদেশে বিস্ফোরক বিশেষজ্ঞ পাঠানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। ভারতে ধারাবাহিক বিস্ফোরণ ঘটানোর উদ্দেশ্যে বাংলাদেশে অপারেটিভদের প্রশিক্ষণ দেওয়ার জন্য নয় সদস্যের একটি দলও গঠন করা হয়েছে (Bangladesh)।

    বাংলাদেশে বহুবার গিয়েছে পাক জঙ্গি দল

    জইশ-ই-মহম্মদ এবং লস্কর-ই-তৈবার বেশ কয়েকটি দল বাংলাদেশে বহুবার গিয়েছে। আলাপ-আলোচনা করেছে স্থানীয় জঙ্গি সংগঠনগুলির সঙ্গেও। সম্প্রতি হাফিজ সাঈদের এক ঘনিষ্ঠ সহযোগী বাংলাদেশে ছিল স্থানীয় জঙ্গিদের সঙ্গে দেখা করতে এবং তাদের উৎসাহিত করতে। গোয়েন্দা সংস্থা সূত্রের খবর, চলতি মাসের কোনও এক সময় লস্কর-ই-তৈবার প্রধান হাফিজ সাঈদের ঢাকায় আসার কথা রয়েছে। সে তার নিজের গোষ্ঠীর সদস্য-সহ অন্যান্যদের সঙ্গেও দেখা করবে। এও জানা গিয়েছে, ভারতে হামলার পরিকল্পনা চূড়ান্ত পর্যায়ে রয়েছে। সাঈদ ঢাকা সফর শেষ করলেই এই গোষ্ঠীগুলি তা বাস্তবায়নের চেষ্টা করতে পারে। এদিকে, আইএসআই ইতিমধ্যেই নিজেদের চিহ্ন মুছে ফেলার কাজ শুরু করেছে। এ থেকেই স্পষ্ট, হামলার চেষ্টা খুব শীঘ্রই হতে পারে (ISIS)।

    বড় ধরনের হামলার পরিকল্পনা

    উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্যগুলি এবং পশ্চিমবঙ্গে সুপ্ত নেটওয়ার্কগুলির সক্রিয় হওয়া স্পষ্ট ইঙ্গিত দেয় যে একটি বড় ধরনের হামলার পরিকল্পনা করা হচ্ছে। এছাড়া, বাংলাদেশের অনেক মাদ্রাসা সাময়িকভাবে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। এই মাদ্রাসাগুলি বিশেষভাবে প্রভাবিতকরণ এবং উগ্রপন্থায় দীক্ষিত করার উদ্দেশ্যে তৈরি করা হয়েছিল (Bangladesh)। এই মাদ্রাসাগুলির সবক’টিই আইএসআই-চালিত, যেখানে প্রচারকরা লস্কর-ই-তৈবা এবং জইশ-ই-মহম্মদের সদস্য। তাদের মধ্যে কিছু ভারতের ভেতরে ধারাবাহিক বিস্ফোরণ ঘটানোর নির্দিষ্ট উদ্দেশ্য নিয়েই গড়ে উঠেছিল। এখন যেহেতু পরিকল্পনা শেষ পর্যায়ে, তাই সাময়িকভাবে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে ওই মাদ্রাসাগুলি।

    আধিকারিকের বক্তব্য

    এক আধিকারিক বলেন, “এটি পাকিস্তানের একটি পাঠ্যবই-ধাঁচের অপারেশন। বড় ধরনের হামলার পরিকল্পনা চলার সময় যদি এসব মাদ্রাসা খোলা থাকে, তাহলে এর সূত্রের খেই খুব সহজেই আইএসআইয়ের দিকে পৌঁছে যাবে। জিজ্ঞাসাবাদের সময় এসব মাদ্রাসার সদস্যদের কঠোরভাবে প্রশ্ন করা হলে জানা যাবে কে ওই যুবকদের উগ্রপন্থায় দীক্ষিত করেছিল এবং কোন সংগঠনের সঙ্গে তাদের যুক্ত করেছিল (ISIS)।” বিশেষজ্ঞদের মতে, এটি একটি ক্লাসিক আইএসআই অপারেশন। এবার আইএসআই বাংলাদেশের মধ্যে একটি বলির পাঁঠা খুঁজে পেয়েছে। কোনও হামলা হলে তার সূত্র বাংলাদেশের কিছু ব্যক্তির দিকেও নির্দেশ করবে। এটি পাকিস্তানের ঘাড় থেকে দোষ নামিয়ে ফেলে বাংলাদেশের দিকে ঠেলে দেওয়ার একটি কৌশল (Bangladesh)। ফলে পাকিস্তান দায় অস্বীকার করার সুযোগ পেয়ে যাবে, আর দোষ পড়বে বাংলাদেশের ওপর।

  • PM Modi: পশ্চিম এশিয়ার তিন দেশ সফরের প্রস্তুতি নিচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি, সোমে রওনা দেবেন

    PM Modi: পশ্চিম এশিয়ার তিন দেশ সফরের প্রস্তুতি নিচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি, সোমে রওনা দেবেন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পশ্চিম এশিয়ায় তিন দেশ সফরের প্রস্তুতি নিচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)। আগামী সপ্তাহে তিনি জর্ডন, ইথিওপিয়া এবং ওমান সফর করবেন। পশ্চিম এশিয়ার এই তিন দেশের সঙ্গে সম্পর্ক মজবুত (West Asia) করতেই এই সফর তাঁর। প্রতিবেদন অনুযায়ী, রাজা আব্দুল্লাহ দ্বিতীয় বিন আল হুসেইনের আমন্ত্রণে ১৫ থেকে ১৬ ডিসেম্বর জর্ডন সফর করবেন মোদি। ১৬ থেকে ১৭ ডিসেম্বর তিনি সফর করবেন ইথিওপিয়া। ১৭ তারিখে ওমানে পৌঁছবেন। ১৮ তারিখে শেষ হবে তাঁর তিন দেশ সফর।

    জর্ডন সফর (PM Modi)

    জানা গিয়েছে, জর্ডন সফরের সময় প্রধানমন্ত্রী সে দেশের রাজার সঙ্গে বৈঠক করবেন। দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক পর্যালোচনা করতে এবং আঞ্চলিক ইস্যু নিয়ে মত বিনিময়ের জন্যই করবেন এই বৈঠক। এই সফর দু’দেশের কূটনৈতিক সম্পর্কের ৭৫তম বার্ষিকীকে চিহ্নিত করবে। সম্পর্ক আরও মজবুত করা, পারস্পরিক উন্নয়নের জন্য নয়া সহযোগিতার পথ খুঁজে বের করা এবং আঞ্চলিক শান্তি, সমৃদ্ধি, নিরাপত্তা ও স্থিতিশীলতার প্রতি অঙ্গীকার করার সুযোগ দেবে বলে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের তরফে জারি করা এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে।

    ইথিওপিয়া সফরে প্রধানমন্ত্রী

    ইথিওপিয়া সফরে প্রধানমন্ত্রী সে দেশের প্রধানমন্ত্রী আবিয় আহমেদ আলির সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্যের সব দিক নিয়ে বিস্তৃত আলোচনা করবেন। বিবৃতিতে বলা হয়েছে, “গ্লোবাল সাউথের অংশীদার হিসেবে এই সফর দুই দেশের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক ও দ্বিপাক্ষিক সহযোগিতা আরও গভীর করার যৌথ প্রতিশ্রুতিকে পুনর্ব্যক্ত করবে।” এও বলা হয়েছে, মোদির ইথিওপিয়া সফর আফ্রিকার সঙ্গে নয়াদিল্লির সম্পৃক্ততা বাড়ানোর ইচ্ছেকে তুলে ধরে। নিউ ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বিদেশ মন্ত্রকের উদ্ধৃতি দিয়ে জানিয়েছে, “গ্লোবাল সাউথের অংশীদার হিসেবে এই সফর দুই দেশের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক ও দ্বিপাক্ষিক সহযোগিতা অগ্রসর করার যৌথ প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করবে (PM Modi)।”

    মোদির ওমান সফর

    প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ওমান সফরটি দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক প্রতিষ্ঠার ৭০ বছর পূর্তি চিহ্নিত করবে। তাঁর এই সফর হচ্ছে ২০২৩ সালের (West Asia) ডিসেম্বর মাসে ভারতে ওমানের সুলতানের রাষ্ট্রীয় সফরের পর। ভারত ও ওমান সর্বব্যাপী কৌশলগত অংশীদারিত্ব, বাণিজ্যিক সংযোগ এবং দুই দেশের জনগণের মধ্যে সংযোগ শেয়ার করে। এই সফরে বাণিজ্য, বিনিয়োগ, জ্বালানি এবং প্রতিরক্ষা-সহ দ্বিপাক্ষিক অংশীদারিত্বের বিভিন্ন ক্ষেত্র পর্যালোচনা করার কথা রয়েছে। আলোচনার অন্যান্য বিষয়গুলির মধ্যে রয়েছে নিরাপত্তা, প্রযুক্তি, কৃষি ও সংস্কৃতি। এর পাশাপাশি আঞ্চলিক ও বৈশ্বিক পারস্পরিক স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিষয়েও মতামত বিনিময় অন্তর্ভুক্ত থাকবে।

    ভারত ও ওমানের মধ্যে যৌথ অর্থনৈতিক অংশীদারিত্ব চুক্তি (CEPA) আনুষ্ঠানিকভাবে ঘোষণা ও স্বাক্ষরিত হওয়ার আশাও করা হচ্ছে। ওমানের শূরা কাউন্সিল এই সপ্তাহে চুক্তিটি অনুমোদন করেছে। এর লক্ষ্য হল দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য, বিনিয়োগ ও বাজারে প্রবেশাধিকার বৃদ্ধি করা (PM Modi)। এদিকে, তিন দিনের ভারত সফরে রয়েছেন ইতালির উপপ্রধানমন্ত্রী আন্তোনিও তাজানি। একাধিক খাতে দ্বিপাক্ষিক অংশীদারিত্ব জোরদার করার লক্ষ্যে একাধিক কর্মসূচির অংশ হিসেবে তিনি সাক্ষাৎ করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে (West Asia)। তাঁর এই সফরে রয়েছে বড় ব্যবসায়ীদের একটি প্রতিনিধিদলও। বিশেষজ্ঞদের মতে, এটি ভারতের সঙ্গে অর্থনৈতিক সহযোগিতা সম্প্রসারণে ইতালি যে যথেষ্ট মনোযোগী, তারই প্রতিফলন আন্তোনিওর এই সফর (PM Modi)।

  • ADB: মোদি জমানায় ঊর্ধ্বমুখী ভারতের অর্থনীতি, প্রবৃদ্ধির পূর্বাভাস বাড়িয়ে ৭.২ শতাংশ করল এডিবি

    ADB: মোদি জমানায় ঊর্ধ্বমুখী ভারতের অর্থনীতি, প্রবৃদ্ধির পূর্বাভাস বাড়িয়ে ৭.২ শতাংশ করল এডিবি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির জমানায় যে ভারতের অর্থনীতির লেখচিত্র ক্রমেই ঊর্ধ্বমুখী, তার ইঙ্গিত মিলেছে দেশ-বিদেশের নানা রিপোর্টে। এবার নয়া আশার বাণী শোনাল এশীয় উন্নয়ন ব্যাঙ্ক বা এডিবি (ADB)। সংস্থাটি ২০২৬ সালের জন্য ভারতের প্রবৃদ্ধির (India’s Growth) পূর্বাভাস ৬.৫ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে করেছে ৭.২ শতাংশ। সাম্প্রতিক কর ছাড়ের ফলে ঘরোয়া চাহিদা বেড়ে যাওয়ায়ই এই উন্নীত পূর্বাভাসের মূল কারণ হিসেবে দেখেছে এই ব্যাঙ্ক। এই সংশোধন এশিয়া অঞ্চলের সামগ্রিক প্রবৃদ্ধির পূর্বাভাসেও ইতিবাচক অবদান রাখছে। ২০২৫ সালের আঞ্চলিক পূর্বাভাস ৪.৮ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে করা হয়েছে ৫.১ শতাংশ। ব্যাঙ্কটি জানিয়েছে, সরবরাহের ক্ষেত্রে উৎপাদন ও সেবা খাতে শক্তিশালী সম্প্রসারণ এবং চাহিদার ক্ষেত্রে ভোগ ও বিনিয়োগের সুস্থ সমন্বয় দেশের প্রবৃদ্ধিকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে। তবে, তাদের ২০২৭ সালের প্রবৃদ্ধির পূর্বাভাস ৬.৫ শতাংশেই রয়ে গিয়েছে।

    এডিবির রিপোর্ট (ADB)

    এডিবির সদ্য প্রকাশিত এশিয়ান ডেভেলপমেন্ট আউটলুক (ডিসেম্বর ২০২৫) অনুযায়ী, “ভারতের ২০২৫ সালের প্রবৃদ্ধির পূর্বাভাস বাড়িয়ে ৭.২ শতাংশ করা হয়েছে। কারণ কর কমানোর ফলে ভোক্তা ব্যয় বাড়ায় দ্বিতীয় ত্রৈমাসিকে প্রবৃদ্ধি আরও শক্তিশালী হয়েছে।” জুলাই–সেপ্টেম্বর ত্রৈমাসিকে অর্থনীতি ৮.২ শতাংশ হারে বৃদ্ধি পেয়েছে, যা গত ছয় ত্রৈমাসিকের মধ্যে দ্রুততম এবং আগের ত্রৈমাসিকের ৭.৮ শতাংশের তুলনায় বেশি। দু’টি ত্রৈমাসিক মিলিয়ে চলতি অর্থবর্ষের প্রথমার্ধেই ভারত ইতিমধ্যেই ৮ শতাংশ প্রবৃদ্ধি করে ফেলেছে।

    রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া

    চলতি মাসের শুরুর দিকে রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়াও তাদের বার্ষিক প্রবৃদ্ধির পূর্বাভাস ৬.৮ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ৭.৩ শতাংশ করেছে। এটি দ্বিতীয় ত্রৈমাসিকের আশাতীত শক্তিশালী প্রবৃদ্ধিকে প্রতিফলিত করে। তবুও তারা বছরের দ্বিতীয়ার্ধে সামান্য মন্থরের আশঙ্কা করছে। কারণ সরকারি মূলধনি ব্যয় কমবে এবং আমেরিকার চড়া শুল্ক নির্দিষ্ট রফতানি খাতে চাপ সৃষ্টি করবে। তাদের আশা, তৃতীয় ত্রৈমাসিকে প্রকৃত জিডিপি প্রবৃদ্ধি ৭ শতাংশ এবং চতুর্থ ত্রৈমাসিকে ৬.৫ শতাংশ হবে।

    প্রত্যাশার চেয়েও বেশি প্রবৃদ্ধি

    এডিবি আরও উল্লেখ করেছে যে, “তৃতীয় ত্রৈমাসিকে প্রত্যাশার চেয়ে বেশি প্রবৃদ্ধির পর ভারতের ২০২৫ সালের প্রবৃদ্ধির পূর্বাভাস (ADB) ০.৭ শতাংশ পয়েন্ট বাড়িয়ে ৭.২ শতাংশ করা হয়েছে, যা মূলত সাম্প্রতিক কর কমানোর ফলে শক্তিশালী অভ্যন্তরীণ ভোগ বৃদ্ধির দ্বারা চালিত।” প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, ঝুঁকি মোটের ওপর সামঞ্জস্যপূর্ণ রয়ে গিয়েছে। বলা হয়েছে, “ঝুঁকি সামঞ্জস্যপূর্ণ রয়েছে, যেখানে বাণিজ্য উত্তেজনা তীব্র হলে এবং আবহাওয়া-সংক্রান্ত ধাক্কা এলে নিম্নমুখী ঝুঁকি সৃষ্টি হতে পারে, আর যদি যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বাণিজ্য আলোচনায় ভারতের জন্য শুল্ক হার কমে, তবে প্রবৃদ্ধি আরও বাড়ার সুযোগ তৈরি হতে পারে (India’s Growth)।”

    মুদ্রাস্ফীতির পূর্বাভাসও কমানো হয়েছে। ২০২৬ সালের অনুমান ৩.১ শতাংশ থেকে কমিয়ে ২.৬ শতাংশ করা হয়েছে। কারণ এতে অবদান রয়েছে অনুকূল বর্ষা, শক্তিশালী কৃষি উৎপাদন এবং জিএসটি হার সমন্বয়ের প্রভাবের। যদিও শাক-সবজি ও ডালের দাম কমায় সাম্প্রতিক সময়ে হেডলাইন-ভিত্তিক মুদ্রাস্ফীতি নেমে এসেছে। এডিবি এই বলে সতর্ক করেছে যে, ২০২৭ সালের শুরুর দিকে বেস এফেক্ট ক্ষীণ হয়ে এলে এই প্রবণতা ফের ঘুরে দাঁড়াতে পারে (ADB)।

  • Modi-Trump Talk: পুতিন-সফরের পরেই মোদির সঙ্গে ফোনালাপ ট্রাম্পের! ভারত-রাশিয়া সম্পর্কের উষ্ণতায় কি শঙ্কিত আমেরিকা?

    Modi-Trump Talk: পুতিন-সফরের পরেই মোদির সঙ্গে ফোনালাপ ট্রাম্পের! ভারত-রাশিয়া সম্পর্কের উষ্ণতায় কি শঙ্কিত আমেরিকা?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারত–মার্কিন বাণিজ্য চুক্তি নিয়ে জল্পনা তুঙ্গে। এই আবহে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প (Modi-Trump Talk) বৃহস্পতিবার ফোনে কথা বলেন। দুই নেতা বাণিজ্য, গুরুত্বপূর্ণ প্রযুক্তি, জ্বালানি, প্রতিরক্ষা ও নিরাপত্তাসহ নানা ক্ষেত্রে সহযোগিতা বাড়ানোর বিষয় নিয়ে কথা বলেন। দুই নেতা ভারত-মার্কিন কৌশলগত অংশীদারিত্বের অগ্রগতি পর্যালোচনা করেছেন। পাশাপাশি সকল ক্ষেত্রে দ্বিপাক্ষিক সহযোগিতা ধারাবাহিকভাবে জোরদার করার বিষয়েও সন্তোষ প্রকাশ করেছেন। মনে করা হচ্ছে ভারত-রাশিয়া সখ্য বৃদ্ধিতে চাপ বেড়েছে আমেরিকার। আলোচনার সময়, প্রধানমন্ত্রী মোদি এবং প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প দুই নেতাই দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য বৃদ্ধির লক্ষ্যে নিজেদের প্রচেষ্টা এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার প্রয়োজনীয়তার উপর জোর দেন।

    কী কী নিয়ে আলোচনা দুই নেতার মধ্যে

    প্রধানমন্ত্রী মোদি এবং প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প (Modi-Trump Meeting) দুই দেশের মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ প্রযুক্তি, জ্বালানি, প্রতিরক্ষা এবং নিরাপত্তা ক্ষেত্রে দুই দেশের সহযোগিতা বৃদ্ধির বিষয়ে আলোচনা করেছেন। এই বিষয়গুলি ভারত-মার্কিন কমপ্যাক্ট-এর মূল উপাদান। এর লক্ষ্য একবিংশ শতাব্দীর জন্য সামরিক অংশীদারিত্ব, দ্রুত বাণিজ্য এবং অত্যাধুনিক প্রযুক্তির ক্ষেত্রে সহযোগিতার সুযোগগুলিকে আরও এগিয়ে নিয়ে যাওয়া। দুই নেতা বিশ্বব্যাপী ও আঞ্চলিক বিভিন্ন ঘটনা নিয়েও আলোচনা করেছেন। পাশাপাশি, দুই দেশের অভিন্ন চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় একসঙ্গে কাজ করার গুরুত্বের উপরও জোর দিয়েছেন তাঁরা। দুই পক্ষই যোগাযোগ অব্যাহত রাখার মাধ্যমে অভিন্ন স্বার্থকে এগিয়ে নেওয়ার প্রতিশ্রুতিতে জোর দিয়েছেন।

    উষ্ণ ও অর্থবহ আলোচনা

    মনে করা হচ্ছে, পুতিনের ভারতের সফরের পরেই নড়েচড়ে বসেছে ওয়াশিংটন। সফরের মাঝেই ঘোষণা করা হয়, বাণিজ্য চুক্তির আচলনার জন্য ভারতে আসবে মার্কিন দল। এবার দুই নেতার ফোনালাপ। সরকারি বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, দু’দেশের অংশীদারিত্বে অগ্রগতি পর্যালোচনা করেন মোদি ও ট্রাম্প এবং বিশেষভাবে বাণিজ্যের ওপর জোর দিয়ে বলেন যে দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য বৃদ্ধির প্রচেষ্টার গতি বজায় রাখা জরুরি। নেতারা চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা ও যৌথ স্বার্থ অগ্রসর করতে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করার প্রতিশ্রুতিও দেন। প্রধানমন্ত্রী মোদি ‘এক্স’-এ পোস্ট করে ফোনালাপকে “উষ্ণ ও আন্তরিক” বলে উল্লেখ করেন। তিনি লেখেন, “প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের সঙ্গে অত্যন্ত উষ্ণ ও অর্থবহ আলোচনা হল। আমরা দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের অগ্রগতি পর্যালোচনা করেছি এবং আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা করেছি। ভারত ও যুক্তরাষ্ট্র বৈশ্বিক শান্তি, স্থিতিশীলতা ও সমৃদ্ধির জন্য একসঙ্গে কাজ করে যাবে।”

    ভারত-রাশিয়া সম্পর্ক-চাপে ট্রাম্প

    রাশিয়ান তেল কেনার জন্য ভারতকে যুক্তরাষ্ট্রের তরফে ২৫ শতাংশ অতিরিক্ত জরিমানা—আগেই থাকা ২৫ শতাংশ শুল্কের সঙ্গে—গত ২৭ অগাস্ট থেকে কার্যকর হওয়ার পর দিল্লি–ওয়াশিংটন সম্পর্কের টানাপোড়েন বেড়েছে। ভারত বারবার বলছে, এই শুল্ক “অন্যায্য”, কারণ রাশিয়ান তেলের সর্বাধিক ক্রেতা চিন এবং এলএনজি কেনে ইউরোপীয় ইউনিয়ন। এ অবস্থায়, রাশিয়া সফরে ভ্লাদিমির পুতিন ও মোদির ঘনিষ্ঠতা এবং তাদের একসঙ্গে গাড়ি করে প্রধানমন্ত্রীর বাসভবনে যাত্রা যুক্তরাষ্ট্রে বহু সমালোচনার জন্ম দিয়েছে। মার্কিন কংগ্রেসেও এই ছবি দেখিয়ে ট্রাম্পের বিদেশনীতি নিয়ে সমালোচনা করেন ডেমোক্র্যাট সদস্য সিডনি কামলাগার-ডোভ। তিনি বলেন, “ট্রাম্পের ভারতনীতি যুক্তরাষ্ট্রের কৌশলগত স্বার্থের ক্ষতি করছে এবং দুই দেশের বিশ্বাসের সম্পর্ক নষ্ট করছে।” এরপর মোদি-ট্রাম্প ফোনালাপের সময়টিও গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে, কারণ একই সময়ে যুক্তরাষ্ট্রের একটি প্রতিনিধি দল দিল্লিতে রয়েছে সম্ভাব্য বাণিজ্য চুক্তি নিয়ে আলোচনার জন্য।

    ডেডলাইন মেনে আলোচনা নয়

    অন্যদিকে, বেঁধে দেওয়া সময়ের মধ্যে বাণিজ্য চুক্তি না হলে বেশি হারে শুল্ক চাপানোর হুঁশিয়ারি দিয়ে থাকেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প (Modi-Trump Meeting)। তাঁর সেই ‘ডেডলাইন’ নিয়ে এ বার বার্তা দিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির মন্ত্রিসভার সদস্য পীযূষ গোয়েল। কেন্দ্রীয় বাণিজ্য মন্ত্রী পীযূষ বলেন, “ডেডলাইন মেনে আমরা আলোচনা চালাই না!” ঘটনাচক্রে, নয়াদিল্লির সঙ্গে বাণিজ্য-বৈঠক করতে মঙ্গলবারই ভারতে এসেছে ওয়াশিংটনের প্রতিনিধি দল। প্রথম দফায় আমেরিকার সঙ্গে ভারতের বাণিজ্য নিয়ে আলোচনা সফল হয়নি।

    ভালো ও ফলপ্রসূ কথা-বার্তা

    চলতি বছরের শুরু থেকে দফায় দফায় বাণিজ্যচুক্তি নিয়ে আলোচনা চলছে ভারত ও আমেরিকার। ২০২৫ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে প্রস্তাবিত এই চুক্তির লক্ষ্য ছিল, ২০৩০ সালের মধ্যে ভারত-মার্কিন বাণিজ্য বর্তমানে ১৯১ বিলিয়ন মার্কিন ডলার থেকে ৫০০ বিলিয়ন মার্কিন ডলারে নিয়ে যাওয়া। গত ২৩ অক্টোবর ভার্চুয়াল মাধ্যমেও আলোচনা হয়েছিল দুই দেশের। এ প্রসঙ্গে বাণিজ্যমন্ত্রী পীযূষ গোয়াল বৃহস্পতিবার বলেন, আলোচনা “খুব ভালো ও ফলপ্রসূ” হলেও কোনো সময়সীমা নির্ধারণ করা হয়নি। তিনি মন্তব্য করেন, “যখন দুই পক্ষই লাভবান হয়, তখনই একটি চুক্তি সম্পন্ন হয়। সময়সীমার চাপে আলোচনা করা উচিত নয়, তাতে ভুল হওয়ার সম্ভাবনা থাকে।” মার্কিন বাণিজ্য প্রতিনিধি জেমিসন গ্রিয়ারের মন্তব্য—ভারত তাদের “এতদিনের সেরা” প্রস্তাব দিয়েছে—উল্লেখ করে গোয়াল বলেন, “যদি সত্যিই তাই হয়, তাহলে ট্রাম্প প্রশাসন এখনই সই করে দিতে পারে।”

  • India’s Desi GPS: দেশীয় জিপিএস ‘নাবিক’ তৈরি করেছে ভারত, কোথায় ব্যবহার হচ্ছে জানেন?

    India’s Desi GPS: দেশীয় জিপিএস ‘নাবিক’ তৈরি করেছে ভারত, কোথায় ব্যবহার হচ্ছে জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারতে এখন দেশীয় উৎপাদনে বিরাট সাফল্য অর্জন করেছে। তারই একটি উদাহরণ হল স্বদেশীয় জিপিএস সিস্টেম— নেভিগেশন থ্রু ইন্ডিয়ান কনস্টিলেশন বা ‘নাবিক’ (India’s Desi GPS), যা তৈরি করেছে ভারতের তুখোড় প্রযুক্তিবিদরা। এই অত্যাধুনিক জিপিএস সিস্টেম এখন ১৫ লক্ষ গাড়ি থেকে শুরু করে ১০ হাজার ট্রেনে, ৩০ হাজারের বেশি মাছ ধরার ট্রলারে, ৬০টির বেশি স্মার্টফোনে ব্যবহার করা হচ্ছে। গবেষকরা মনে করছেন, এই প্রযুক্তি বিকশিত ভারতের লক্ষ্যে আরও একধাপ।

    মহাকাশ বিভাগ সম্প্রসারিত করেছে (India’s Desi GPS)

    লোকসভায় এক লিখিত প্রশ্নের উত্তরে কেন্দ্রীয় বিজ্ঞান এবং প্রযুক্তি মন্ত্রী জিতেন্দ্র সিং বলেন, “মহাকাশ বিভাগ দেশব্যাপী নাবিক (India’s Desi GPS) প্রযুক্তির ব্যবহারকে সম্প্রসারিত করছে। নাবিকক ব্যবহারে করা হচ্ছে একাধিক কর্মকাণ্ড। এই সিস্টেমের মধ্যে রয়েছে পাইলট প্রকল্প, ভারতীয় শিল্পে প্রযুক্তি স্থানান্তর, প্রযুক্তির ব্যবহারিক প্রয়োগ এবং পরীক্ষামূলক সহায়তা। জাতীয় এবং আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে এখন ডিওএস বা মহাকাশ বিভাগ কাজ করে চলেছে। ধারাবাহিক, নিরবচ্ছিন্ন এবং পণ্য পরিবহণকে সরল এবং সহজ করতে এই প্রযুক্তির ব্যবহার করা হবে। এই জন্য নাবিককে অত্যাধুনিক ভাবে তৈরি করা হয়েছে। গ্লোবাল পজিশন সেট করতে বিরাট ভূমিকা পালন করবে দেশীয় উৎপাদন নাবিক।”

    পিএনটি অ্যাপ্লিকেশন নাবিকের

    কেন্দ্রীয় মন্ত্রী আরও বলেন, “জাতীয় এবং আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে নাবিককে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। বিভিন্ন সংস্থার নির্মিত ৬০টির বেশি অতিরিক্ত স্মার্ট মোবাইলে নাবিককে যুক্ত করা হয়েছে। এই নাবিককে ব্যবহার করে যে যে ক্ষেত্রে কাজ করা যাবে তাঁর মধ্যে হল ১> রিয়েল টাইম ট্রেন ট্র্যাকিং (India’s Desi GPS)। এখানে ১০ হাজারের বেশি ট্রেনে নাবিক ট্র্যাকিং ডিভাইস রয়েছে। ২> মাছ ধরার ট্রলার ট্র্যাকিং, যেখানে ৩০ হাজারের বেশি জাহাজে নাবিক ট্রান্সপন্ডার রয়েছে। পাবলিক এবং বাণিজ্যিক যানবাহন পরিচালনায় ট্র্যাকিং যেখানে ১৫ লক্ষের বেশি গাড়িতে স্থাপন করা হয়েছে নাবিক।” তবে সরকার ভারতীয় স্মার্টফোন বা ইলেকট্রনিক্স কোম্পানিগুলির তৈরি ডিভাইসগুলিতে নাবিকের ক্ষমতা অন্তর্ভুক্ত করেছে। তবে নাবিককে এখনও বাধ্যতামূলক করা হয়নি। পজিশন, নেভিগেশন এবং টাইমিং অর্থাৎ পিএনটি অ্যাপ্লিকেশনের জন্য নাবিকের অসামরিক সিগন্যালগুলি অবাধে ব্যবহার করতে সুবিধা দেওয়া হয়েছে।

  • Delhi: সুরক্ষিত দিল্লির আকাশ! দেশীয় প্রযুক্তিতে তৈরি অত্যাধুনিক দুই এয়ার ডিফেন্স সিস্টেম নিয়ে পাহারায় ডিআরডিও

    Delhi: সুরক্ষিত দিল্লির আকাশ! দেশীয় প্রযুক্তিতে তৈরি অত্যাধুনিক দুই এয়ার ডিফেন্স সিস্টেম নিয়ে পাহারায় ডিআরডিও

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দিল্লির আকাশকে আরও সুরক্ষিত করতে ঢেলে সাজানো হচ্ছে নিরাপত্তা ব্যবস্থা। দিল্লি ও দিল্লি এনসিআরকে আকাশ হামলা থেকে বাঁচাতে রাজধানীতে মোতায়েন করা হচ্ছে ইন্ট্রিগ্রেটেড এয়ার ডিফেন্স উইপন্স সিস্টেম (IADWS)। মূলত ড্রোন হামলা থেকে রাজধানীকে বাঁচাতেই এই ব্যবস্থা। অপারেশন সিঁদুরের সময় একের পর ড্রোন হামলা করেছিল পাকিস্তান। অত্যন্ত দক্ষতার সঙ্গেই সেই হামলা প্রতিহত করেছিল ভারত। তার পরেও রাজধানীর জন্য নেওয়া হচ্ছে এই সাবধানতা। এই নেটওয়ার্কে দুই ধরনের দেশীয় প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা থাকছে। দেশীয় প্রযুক্তিতে তৈরি এই প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা গোটা বিশ্বের কাছে ভারতের সক্ষমতাও আরও একবার তুলে ধরবে বলেই মনে করা হচ্ছে।

    দেশীয় প্রযুক্তির উপর জোর

    আমেরিকার কাছ থেকে ন্যাশনাল অ্যাডভান্সড সারফেস টু এয়ার মিসাইল সিস্টেম কেনার ব্যাপারে কথাবার্তা বলছিল ভারত। আমেরিকার রাজধানী এই মিসাইল ডিফেন্স সিস্টেম দ্বারাই সুরক্ষিত থাকে। ট্রাম্প প্রশাসনের সঙ্গে ওই কথাবার্তা আপাতত থমকে রয়েছে কারণ ওই এয়ার ডিফেন্স সিস্টেমের জন্য বিপুল দাম চাইছিল আমেরিকা। তার পরই বিদেশি নির্ভরতা কাটিয়ে উঠে ভারত নিজের প্রযুক্তিতে তৈরি এয়ার ডিফেন্স সিস্টেম মোতায়েন করতে চাইছে। দেশীয় প্রযুক্তিতে তৈরি এই এয়ার ডিফেন্স সিস্টেম ক্যুইক রিঅ্য়াকশন সার্ফেস টু এয়ার মিসাইল (QRSAM) ও ভেরি শর্ট রেঞ্জ এয়ার ডিফেন্স সিস্টেমে (VSHORADS) যুক্ত থাকবে। প্রতিরক্ষা মন্ত্রক সূত্রে খবর এই এয়ার ডিফেন্স সিস্টেমটি চালনা করবে ভারতীয় বায়ুসেনা। এটি আটকে দেবে সুপারসনিক, সাবসনিক ক্রুজ মিসাইল থেকে শক্তিশালী সব ড্রোনের হামলাও। এই এয়ার ডিফেন্স সিস্টেম চোখের পলকে কান ধরে নিচে নামাতে পারে শত্রুর ফাইটার জেটকে। এগুলির স্ট্যাটিক লঞ্চার সম্ভবত ব্যাটারির বদলে কনস্ট্যান্ট পাওয়ার সাপ্লাই পাবে। ফলে প্রযুক্তিগত দিক থেকে এটি অন্যদের থেকে আরও কয়েকধাপ এগিয়ে রয়েছে।

    কীভাবে কাজ করবে এই এয়ার ডিফেন্স সিস্টেম

    প্রতিরক্ষা মন্ত্রক সূত্রে খবর, দিল্লির উপরে তৈরি করা এয়ার ডিফেন্স সিস্টেমে থাকবে ৩টি স্তর। একেবারে ভেতরের স্তরে থাকবে ৬ কিলোমিটার উচ্চতার উড়তে থাকা ড্রোন ও কপ্টার ধ্বংস করার মতো পরিকাঠামো। দিল্লি আয়রন ডোমের মাঝের স্তরে থাকছে এমন এক ব্যবস্থা যা ফাইটার জেট, ক্রুজ মিসাইল ও আনম্যানড ভেহিকেলস ৩০ কিলোমিটার উচ্চতা পর্যন্ত ধ্বংস করতে পারবে। একটি সেন্সরের সাহায্য়ে দুটি স্তরের সমন্বয় বজায় থাকবে। এই অত্যাধুনিক প্রযুক্তি মাত্র তিন থেকে ৫ সেকেন্ডের মধ্যে যে কোনও আসন্ন হুমকি ধরে ফেলতে পারে। এমনকী ধরার সঙ্গে সঙ্গে পাল্টা প্রত্যাঘাতী ক্ষেপণাস্ত্রও ছুড়ে দিতে পারে। ফলে আকাশেই খতম হয়ে যাবে শত্রুর খেলা। গোটা ব্যবস্থাটাই দেখাশোনা করছে ডিআরডিও। উল্লেখ্য, ডিআরডিও ইতিমধ্য়েই তৈরি করেছে কিউআরস্যাম ও মিডিয়াম রেঞ্জের সারফেস টু এয়ার মিসাইল (MRSAM)। পাশাপাশি রাশিয়ার কাছ থেকে ভারত এস-৫০০ এয়ার ডিফেন্স সিস্টেম কেনার চেষ্টা করছে। এই নতুন মাল্টিলেয়ার্ড এয়ার ডিফেন্স সিস্টেম চালু হলে দিল্লির আকাশসীমা আরও নিরাপদ হবে বলেই মত ওয়াকিবহাল মহলের।

  • Anurag Thakur: সংসদে বসেই ই-সিগারেটে সুখটান তৃণমূল সাংসদের! স্পিকারকে নালিশ অনুরাগের

    Anurag Thakur: সংসদে বসেই ই-সিগারেটে সুখটান তৃণমূল সাংসদের! স্পিকারকে নালিশ অনুরাগের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বাংলার তৃণমূল সাংসদদের (Parliament) কুকর্মের সীমা নেই। কেউ প্রাক্তন উপরাষ্ট্রপতির বিকৃতি করেন, কেউ আবার ‘ছু কিত কিত’ খেলেন। এবারে খোদ লোকসভায় বসে নিষিদ্ধ ই-সিগারেট খাওয়ার মতো গুরুতর অভিযোগে সরব হয়েছেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী তথা বিজেপি সাংসদ অনুরাগ ঠাকুর (Anurag Thakur)। যাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ তিনি হলেন তৃণমূলেরই এক বিতর্কিত সাংসদ। লোকসভার স্পিকার ওম বিড়লার কাছে অভিযোগ করে কড়া শাস্তির কথা ঘোষণা করেছেন সাংসদ অনুরাগ ঠাকুর। ইতিমধ্যে লোকসভার স্পিকার তৃণমূল সাংসদকে কড়া ভাষায় সতর্ক করে দিয়ে বলেন, “ভবিষ্যতে আরও কোনও অভিযোগ পেলে রেহাই পাবেন না।”

    সিগারেটে অনুমতি নেই (Anurag Thakur)

    লোকসভায় বসে ই-সিগারেট কেন খাচ্ছেন? কার্যত তৃণমূল সাংসদ নাম উল্লেখ না করেই প্রশ্ন তোলেন হিমাচলের সাংসদ অনুরাগ ঠাকুর (Anurag Thakur)। ধূমপানের মতো বিধিনিষেধের মতো বিষয় অপরাধ কিনা, তা জানতে চেয়ে নিজের আসন থেকে উঠে দাঁড়িয়ে অনুরাগ প্রশ্ন তোলেন। স্পিকারকে বলেন, “দেশজুড়ে তো ই-সিগারেট নিষিদ্ধ হয়ে গিয়েছে। আপনি কি সাংসদকে অনুমতি দিয়েছেন?” উত্তরে স্পিকার বলেন, “কোনও অনুমতি দেওয়া হয়নি।” আবার অনুরাগ বলেন, “তৃণমূলের সাংসদ (Parliament) তো রোজই খাচ্ছেন। অনেক দিন ধরে খাচ্ছেন। আপনি বিষয়টি ভালো করে যাচাই করুন।”

    সামাজিক মাধ্যমে ই-সেগারেট ভাইরাল

    স্পিকার এরপর লোকসভার অধিবেশনে উপস্থিত সকল সাংসদদের (Parliament) উদ্দেশে বলেন, “সংসদের সকল সদস্যের প্রতি আমার অনুরোধ আপনারা সংসদীয় পরম্পরা, নিয়ম মেনে কাজ করুন। পরবর্তী সময়ে যদি অভিযোগ আসে তাহলে ব্যবস্থা গ্রহণ করতে বাধ্য হব।” তবে অনুরাগ (Anurag Thakur) জোর দিয়ে বলেন “আপনি এখনই পরীক্ষা করুন। যাচাই করুন।” শেষে বিজেপি এবং তৃণমূল পক্ষের সাংসদের মধ্যে বিরাট তর্ক বাধে। যদিও গোটা ঘটনায় লোকসভায় চরম অস্বস্তিতে পড়েছে তৃণমূল কংগ্রেস। তবে সংসদে অধিবেশন শুরু হওয়ার পর থেকেই ওই সাংসদকে কয়েকদিন ধরে সিগারেট খেতে দেখেছেন অনেকেই। কেউ কেউ আবার নিষেধও করেন। কিন্তু ওই সাংসদ কান দেননি। তৃণমূলের এক প্রবীণ সাংসদ বলেছেন, “কিছু দিন আগে দলের এক মহিলা সাংসদও সতর্ক করেছিলেন। কিন্তু তিনি শোনেননি।”

    তবে তৃণমূল সাংসদের বিরুদ্ধে আনা এই অভিযোগ সামাজিক মাধ্যমে বিরাট শোরগোল ফেলে দিয়েছে। বিজেপি সংসদের একটি ভাষণের ভিডিওটিকে তুলে ধরে দিয়ে লেখা হয়, “সংসদে কোন তৃণমূল সাংসদ সিগারেট খাচ্ছিলেন? দয়া করে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কি তাঁর নাম প্রকাশ করবেন?”

  • PM Modi: মোদিকে ফোন নেতানিয়াহুর, দীর্ঘক্ষণ কথা দুই রাষ্ট্রনেতার, কী আলোচনা হল?

    PM Modi: মোদিকে ফোন নেতানিয়াহুর, দীর্ঘক্ষণ কথা দুই রাষ্ট্রনেতার, কী আলোচনা হল?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফের ফোনালাপ হল ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির (PM Modi) সঙ্গে ইজরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুর (Netanyahu)। অক্টোবর মাসের পর এই প্রথম দুই রাষ্ট্রপ্রধানের কথা হল। সেই সময় নেতানিয়াহু ব্যস্ত ছিলেন মন্ত্রিসভার গুরুত্বপূর্ণ বৈঠকে। ওই বৈঠক চলাকালীনই তিনি ফোনে কথা বলেছিলেন মোদির সঙ্গে। এবারের ফোনালাপ হল এমন একটা সময়ে, যখন ইজরায়েল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সমর্থিত গাজা শান্তি পরিকল্পনার দ্বিতীয় পর্যায়ের প্রস্তুতি নিচ্ছে।

    মোদিকে ফোন (PM Modi)

    বুধবার ভারতের প্রধানমন্ত্রীকে ফোন করেন নেতানিয়াহু। প্রধানমন্ত্রীর দফতরের তরফে জারি করা বিবৃতিতে বলা হয়েছে, “প্রধানমন্ত্রী মোদি ন্যায়সঙ্গত ও স্থায়ী শান্তি প্রতিষ্ঠার চেষ্টাকে ফের একবার সমর্থন জানিয়েছেন, যার মধ্যে গাজা শান্তি পরিকল্পনার দ্রুত বাস্তবায়নও রয়েছে।” বিবৃতিতে বলা হয়েছে, উভয় রাষ্ট্রনেতাই ভারত-ইজরায়েল কৌশলগত অংশীদারত্বের ধারাবাহিক অগ্রগতিতে সন্তুষ্টি প্রকাশ করেছেন এবং পারস্পরিক স্বার্থে এই সম্পর্ক আরও মজবুত করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, “দুই নেতা সন্ত্রাসবাদের কঠোর নিন্দা করেছেন এবং সন্ত্রাসবাদের সব ধরনের রূপ ও প্রকাশের বিরুদ্ধে তাঁদের জিরো টলারেন্স নীতির অবস্থান ফের নিশ্চিত করেছেন।” এতে আরও উল্লেখ করা হয়েছে, দুই নেতা পরস্পরের সঙ্গে যোগাযোগ বজায় রাখতে রাজিও হয়েছেন।

    খুব শীঘ্রই সাক্ষাৎ!

    এদিকে, নেতানিয়াহুর দফতর ফের জানিয়েছে, দুই রাষ্ট্রপ্রধান খুব শীঘ্রই সাক্ষাৎ করবেন। প্রধানমন্ত্রী মোদি এবং নেতানিয়াহুর মধ্যে টেলিফোনিক আলোচনার সময়টি কূটনৈতিক দৃষ্টিকোণ থেকে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কারণ এটি গাজা শান্তি পরিকল্পনার দ্বিতীয় পর্যায়ের আগে অনুষ্ঠিত হয়েছে (PM Modi)। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রসংঘের দূত মাইক ওয়াল্ট্জ আগেই জানিয়েছিলেন, তিনি গাজায় শান্তি পরিকল্পনার অগ্রগতির বিষয়ে দ্রুত ঘোষণার ব্যাপারে আশাবাদী। তিনি আরও বলেন, এই কাঠামোর আওতায় ওয়াশিংটন হামাসকে পুনর্গঠিত হতে দেবে না।

    মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রসংঘের দূতের বক্তব্য

    ওয়াল্টজ বলেন, “আমরা এখন সেই অনুমোদন পেয়েছি। আমার মনে হয় আমরা শীঘ্রই সেই ঘোষণার কথা শুনতে পাব প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের নেতৃত্বাধীন পিস বোর্ডের মাধ্যমে। এর মূল উপাদানগুলির মধ্যে রয়েছে একটি প্রযুক্তিনির্ভর প্যালেস্তাইন কর্তৃপক্ষ, যাঁরা গাজায় জল, গ্যাস, নিকাশি এবং অন্যান্য মৌলিক সেবাগুলি ফের চালু করবে। এর মধ্যে অবশ্যই রয়েছে মালিকদের ক্ষতিপূরণ দেওয়ার জন্য একটি অর্থায়ন ব্যবস্থা এবং তার পরে আন্তর্জাতিক স্থিতিশীলতা বাহিনীও (Netanyahu)।” তিনি এও বলেন, “আমি যা স্পষ্ট করে বলে দিতে চাই, হামাসকে সরতেই হবে (PM Modi)।”

    নেতানিয়াহুর বক্তব্য

    ইজরায়েলের প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহু জানান, তিনি চলতি মাসের শেষে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে সাক্ষাৎ করবেন এবং দাবি করেন যে গাজা শান্তি পরিকল্পনার দ্বিতীয় পর্যায় ঘনিয়ে এসেছে। পরিকল্পনার পরবর্তী ধাপ নিয়েও আলোচনা চলছে।চলতি বছরের অক্টোবর মাসে ইজরায়েল এবং হামাস গাজা শান্তি পরিকল্পনার প্রথম পর্যায়ে রাজি হয়েছিল। প্রথম পর্যায়ে গাজা উপত্যকায় যুদ্ধবিরতি, ইজরায়েলি বন্দিদের মুক্তি এবং প্যালেস্তাইনি বন্দিদের মুক্তিও অন্তর্ভুক্ত ছিল। সোমবার ইজরায়েলি পার্লামেন্টে ভাষণ দিতে গিয়ে নেতানিয়াহু দেশের ব্যাপারে নিজের অবস্থান দৃঢ়ভাবে তুলে ধরে বলেন, ইহুদি রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে বাড়তে থাকা ইহুদি-বিরোধী মনোভাব সত্ত্বেও বহু দেশ এবং নেতার, বিশেষ করে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির, নজিরবিহীন সমর্থন ইজরায়েল পেয়ে  যাচ্ছে (PM Modi)।

    ‘৪০-স্বাক্ষর বিতর্ক’

    ‘৪০-স্বাক্ষর বিতর্ক’ নামে পরিচিত (Netanyahu) এক আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে নেতানিয়াহু তাঁর সরকারের নীতির কথা তুলে ধরেন, বিশেষ করে ইজরায়েলের বৈদেশিক সম্পর্ক এবং বিভিন্ন দিক থেকে তাকে দৃঢ়ভাবে রক্ষা করার কথা। উল্লেখ্য যে, ‘৪০-স্বাক্ষর বিতর্ক’ এমন একটি সংসদীয় প্রক্রিয়া যার মাধ্যমে বিরোধীরা প্রধানমন্ত্রীকে মাসে একবার কনেসেটের (ইজরায়েলের পার্লামেন্ট) সামনে হাজির হতে বাধ্য করতে পারে। তিনি বলেন, “আরও কিছু বিশ্বশক্তি আমাদের দিকে এগিয়ে আসছে। আমি প্রায়ই আমার বহুদিনের বন্ধু, ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে কথা বলি। আমাদের শীঘ্রই সাক্ষাৎ করার কথা হয়েছে, এবং আমি আপনাদের বলতে চাই, ভারত, দেড়শো কোটি মানুষের বিশাল দেশ। তারাও আমাদের সঙ্গে সম্পর্ক আরও জোরদার করতে আগ্রহী।”

    ভারত-ইজরায়েল সম্পর্ক

    প্রসঙ্গত, ভারত ও ইজরায়েলের মধ্যে সম্পর্ক বহু পুরানো। প্রতিরক্ষা ও নিরাপত্তা খাতে দুই দেশের মধ্যে বাণিজ্যিক সম্পর্কও রয়েছে। বিদেশনীতি থেকে শুরু করে আঞ্চলিক শান্তির ক্ষেত্রেও দুই দেশ একে অন্যকে সমর্থন ও সাহায্য করেছে। ২০১৭ সালে ভারত সফরে এসেছিলেন নেতানিয়াহু। সেই সময় (Netanyahu) দুই রাষ্ট্রনেতা দ্বিপাক্ষিক কৌশলগত অংশীদারিত্বের ওপর বেশ কয়েকটি চুক্তি স্বাক্ষর করেছিলেন। আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশেষজ্ঞদের মতে, মোদি-নেতানিয়াহুর ফোনালাপ আরও একবার প্রমাণ করল যে ভারত ও ইজরায়েলের সম্পর্ক শুধুই আনুষ্ঠানিক নয়, কৌশলগতভাবেও গুরুত্বপূর্ণ (PM Modi)।

  • Amit Shah on SIR: ‘বিদেশিদের ভোট হারানোর ভয়েই কি এসআইআর-এর বিরোধিতা?’, নাম না করে মমতাকে তোপ শাহের

    Amit Shah on SIR: ‘বিদেশিদের ভোট হারানোর ভয়েই কি এসআইআর-এর বিরোধিতা?’, নাম না করে মমতাকে তোপ শাহের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নির্বাচনী সংস্কার নিয়ে দু’দিনের আলোচনার শেষে জবাবি ভাষণে অনুপ্রবেশ প্রশ্নে সরব হলেন অমিত শাহ (Amit Shah on SIR)। কংগ্রেস ও তৃণমূল নেতৃত্ব অনুপ্রবেশকারীদের সুরক্ষা কবচ দিতেই এসআইআর-এর বিরুদ্ধে সরব। এমনই দাবি করেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। তাঁর স্পষ্ট হুঁশিয়ারি, ‘‘একজনও বিদেশিকে ভোট দিতে দেব না। আমাদের নীতি হল, ডিকেক্ট, ডিলিট অ্যান্ড ডিপোর্ট।’’ একই সঙ্গে ২২১৬ কিলোমিটার ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তের এখনও ৫৬৩ কিলোমিটার বেড়া না হওয়ায় দায়ী করলেন পশ্চিমবঙ্গ সরকারকেই।

    ভিনদেশিরা কেন ভোট দেবেন?

    লোকসভায় ভোটার তালিকায় বিশেষ নিবিড় সমীক্ষার (এসআইআর) আলোচনা-পর্বে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ- প্রশ্ন তোলেন, বিরোধীরা কেন এসআইআর নিয়ে বিরোধিতা করছেন? ভিনদেশি ভোটারদের কি ভারতের প্রধানমন্ত্রী বেছে নেওয়ার অধিকার আছে? কোনও রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী বেছে নেওয়ার অধিকার রয়েছে? বিরোধীদের কটাক্ষ করে শাহ বলেন, ‘‘এসআইআর আর কিছু নয়, এটা স্রেফ ভোটার তালিকার সংশোধন। আমি মেনে নিচ্ছি যে এটার কারণে কয়েকটি রাজনৈতিক দলের ঘা লাগবে। ওই দলগুলির প্রতি একদিক থেকে আমার সহানুভূতিও আছে। কারণ দেশের ভোটাররা তো ভোট দেন না। কয়েকটি ভোট বিদেশিরা দিয়ে দিতেন, সেটাও চলে যাবে। কিন্তু ভারতীয় হিসেবে আমাদের ঠিক করতে হবে যে এই দেশের সাংসদদের নির্বাচনের ক্ষেত্রে, রাজ্যের বিধায়কদের নির্বাচনের জন্য বিদেশিদের ভোটাধিকার দেওয়া উচিত কি? আমাদের মতে, সেটা দেওয়া উচিত নয়।’’

    ভোটে হারলেই নির্বাচন কমিশনকে দোষ কেন?

    নাম না করে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে নিশানা করেন শাহ। তিনি বলেন যে বিজেপিও নির্বাচনে হেরেছে। কিন্তু ভোটে হারলেই নির্বাচন কমিশনকে দোষারোপ করেনি। এখন মমতা, হেমন্ত সোরেন, এমকে স্টালিনরাও কমিশনের দিকে আঙুল তুলেছেন। আগে শুধু কংগ্রেস সেই কাজটা করত। কিন্তু বন্ধুত্বের ছোঁয়া লেগে গিয়েছে ইন্ডি জোটের দলগুলিতেও। তারইমধ্যে লোকসভার বিরোধী দলনেতা রাহুল গান্ধীর উপরে চটে যান শাহ। বুধবার লোকসভায় শাহ অভিযোগ করেছেন যে, বিরোধীরা এসআইআর নিয়ে মিথ্যা প্রচার করছে। বুধবার লোকসভায় ভাষণ দেওয়ার সময় শাহ বাংলার সীমান্তে অনুপ্রবেশের প্রসঙ্গ তোলেন। রাজ্যের দিকে অনুপ্রবেশকারী তোষণের অভিযোগ তোলেন তিনি।

    ‘অঙ্গ-বঙ্গ-কলিঙ্গের’ স্বপ্ন শীঘ্রই পূর্ণ হবে

    পাশাপাশি, ‘অঙ্গ-বঙ্গ-কলিঙ্গের’ স্বপ্ন খুব শীঘ্রই পূর্ণ হবে বলেই এদিন বার্তা দিলেন শাহ। এদিন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘ভারত-বাংলাদেশের সীমান্ত হয়ে এদেশে অনুপ্রবেশকারীরা ঢুকে পড়ছে। আমাদের বাংলাদেশের সঙ্গে মোট ২ হাজার ২১৬ কিলোমিটার সীমান্ত রয়েছে। এর মধ্য়ে ১ হাজার ৬৫৩ কিলোমিটার এলাকায় কাঁটাতার বসানোর কাজ শেষ। কিন্তু ৫৬৩ কিলোমিটার এখনও বাকি। অসম, ত্রিপুরায় কাজ শেষ। শুধু বাংলা এখনও বাকি।’ এই কাঁটাতার না বসানোর নেপথ্যে অনুপ্রবেশকারী তোষণকেই দায়ী করেছেন শাহ। তাঁর দাবি, ‘রাহুলের মতো অনুপ্রবেশকারীদের বাঁচানোর চেষ্টা করলে তৃণমূলেরও ওদের মতোই অবস্থা হবে। বিজেপি জয় ছিনিয়ে নেবে।’ অবশ্য শুধু অনুপ্রবেশ ইস্যুতেই থেমে থাকেননি শাহ। ভোটার তালিকার নিবিড় পরিমার্জন নিয়ে আলোচনায় রাজ্য থেকে তৃণমূলকে ‘সাফ’ করে দেওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। শাহের কথায়, ‘এসআইআর বিরোধিতা করলে বিহারের মতো বাংলা-তামিলনাড়ুতেও সাফ হয়ে যাবে।’

    রাহুল ও শাহের মধ্যে তীব্র বিতর্ক

    এর পাশাপাশি বিরোধী নেতা রাহুল গান্ধীর অতীতে করা অভিযোগেরও এদিন জবাব দিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। কংগ্রেস সাংসদ হরিয়ানায় ভোটচুরির অভিযোগও করেছিলেন। এই নিয়ে রাহুল ও শাহের মধ্যে তীব্র তর্ক-বিতর্ক হয়। রাহুল সংসদে দাঁড়িয়ে শাহকে সাংবাদিক বৈঠক করা নিয়ে বিতর্কের চ্যালেঞ্জ জানান। এতে ক্ষুব্ধ হয়ে শাহ বলেন, ‘‘সংসদ এভাবে চলবে না। আমি যে ক্রমে কথা বলব তা আমি সিদ্ধান্ত নেব। আমি এটি পরিষ্কার করতে চাই যে আমি ৩০ বছর ধরে বিধানসভা এবং সংসদে নির্বাচিত হয়েছি। সংসদীয় ব্যবস্থা নিয়ে আমার দীর্ঘ অভিজ্ঞতা রয়েছে।’’

    নেহরু-গান্ধী পরিবারকে নিশানা শাহের

    নেহরু-গান্ধী পরিবারকে নিশানা করে ভোটচুরি প্রসঙ্গে এদিন শাহ বলেন, ‘‘আপনার পরিবার ভোটচোর। স্বাধীনতার পরে কংগ্রেসের অন্দরে সর্দার বল্লভভাই প্যাটেল ২৮টি প্রদেশ কংগ্রেস কমিটির সমর্থন পেয়েছিলেন, যেখানে নেহরু পেয়েছিলেন মাত্র দু’টি। কিন্তু প্যাটেলের বদলে প্রধানমন্ত্রী হয়েছিলেন নেহরু। এটিই ছিল দেশের প্রথম ভোটচুরি।’’ নেহরু প্রসঙ্গের পরে জরুরি অবস্থার কথা টেনে শাহ নিশানা করেন ইন্দিরাকে। তিনি বলেন, ‘‘এলাহাবাদ হাইকোর্ট ইন্দিরা গান্ধীর নির্বাচন বাতিল করে দিয়েছিল। তখন তিনি গদি বাঁচাতে সংবিধান সংশোধন করেছিলেন। এটি ছিল গণতন্ত্রের উপর আঘাত এবং ভোটচুরির দ্বিতীয় নির্লজ্জ উদাহরণ।’’ তাঁর নিশানা থেকে বাদ পড়েননি রাহুলের মা সোনিয়া গান্ধীও। শাহ অভিযোগ করেন, ভারতের নাগরিকত্ব পাওয়ার আগেই ভোটার তালিকায় নাম তুলেছিলেন সোনিয়া। তিনি বলেন, ‘‘সোনিয়া গান্ধী ভারতের নাগরিক হওয়ার আগে কী ভাবে ভোটার হয়েছিলেন? ভোটচুরির এই তৃতীয় উদাহরণটি সম্প্রতি দেওয়ানি আদালতেও গিয়েছে।’’

LinkedIn
Share