Category: দেশ

Get updates on India News Headlines National News from the Madhyom news portal madhyom.com, West Bengal leading news portal Madhyom.com

  • India Pakistan Relation: পাকিস্তানি বিমানের জন্য আকাশসীমা বন্ধ করে দিল ভারত, বিরাট ক্ষতির মুখে ইসলামাবাদ

    India Pakistan Relation: পাকিস্তানি বিমানের জন্য আকাশসীমা বন্ধ করে দিল ভারত, বিরাট ক্ষতির মুখে ইসলামাবাদ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পহেলগাঁওকাণ্ডের জেরে আরও এক পদক্ষেপ ভারতের। পাকিস্তানি বিমানের জন্য আকাশসীমা বন্ধ করে দিল ভারত (India Pakistan Relation)। বুধবার রাতে নয়াদিল্লির তরফে এই ঘোষণা করা হয়েছে। ভারত সরকারের এই ঘোষণার জেরে এখন থেকে পাক সংস্থার কোনও বিমান (Pakistani Flights) আর ভারতের আকাশসীমা ব্যবহার করতে পারবে না। কেন্দ্রের তরফে এদিন একটি ‘নোটিশ টু এয়ারম্যান’ জারি করা হয়েছে। তাতে বলা হয়েছে, পাকিস্তানে নথিভুক্ত বিমান বা পাকিস্তান দ্বারা পরিচালিত কোনও বিমান ভারতের আকাশসীমা ব্যবহার করতে পারবে না। সামরিক বিমানের ক্ষেত্রেও এই নির্দেশিকা প্রযোজ্য হবে।

    পহেলগাঁওকাণ্ডের জের! (India Pakistan Relation)

    প্রসঙ্গত, গত ২২ এপ্রিল দক্ষিণ কাশ্মীরের পহেলগাঁওয়ে বেছে বেছে হিন্দু পর্যটকদের হত্যা করে পাক মদতপুষ্ট জঙ্গিরা। এক জঙ্গির হাত থেকে বন্দুক কেড়ে নেওয়ার চেষ্টা করায় খুন করা হয় স্থানীয় এক মুসলিম যুবককেও। এর পরেই সিন্ধু জল চুক্তি স্থগিত-সহ পাকিস্তানের বিরুদ্ধে একাধিক পদক্ষেপ করে ভারত। বুধবার কেন্দ্রের এই ঘোষণা সেই তালিকায় নয়া সংযোজন। ভারত সিন্ধু জল চুক্তি স্থগিত করার পরপরই পদক্ষেপ করে পাকিস্তানও। এর মধ্যে অন্যতম ছিল ভারতের জন্য পাকিস্তানের আকাশসীমা বন্ধ করে দেওয়া। বলা হয়েছিল, ভারতের কোনও বিমান পাকিস্তানের আকাশসীমা ব্যবহার করতে পারবে না। পাক সরকারের সেই ঘোষণার ছ’দিনের মধ্যেই একই পদক্ষেপ করল কেন্দ্রের নরেন্দ্র মোদির সরকার।

    ‘নোটিশ টু এয়ারম্যান’

    বুধবার রাতে ভারতের বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ জারি করে ‘নোটিশ টু এয়ারম্যান’। এটি প্রযোজ্য হবে ২৩ মে পর্যন্ত। বিমানবন্দরের এক কর্তার মতে, বৃহস্পতিবার রাত ১২টা থেকে এই নিষেধাজ্ঞা কার্যকর হবে। ‘নোটিশ টু এয়ারম্যান’ হল একটি নোটিশ যাতে বিমান পরিচালনার সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের জন্য প্রয়োজনীয় তথ্য থাকে। আর এক কর্তা জানান (India Pakistan Relation), পহেলগাঁওয়ে জঙ্গি হামলার পর উত্তেজনাকর পরিস্থিতির মধ্যেই প্রতিশোধমূলক পদক্ষেপ হিসেবে এই সিদ্ধান্তের কথা জানাল ভারত। পাকিস্তানে নিবন্ধিত বিমানের পাশাপাশি পাকিস্তান বিমান সংস্থা এবং অপারেটরদের দ্বারা পরিচালিত, মালিকানাধীন বা লিজ নেওয়া বিমানগুলির জন্য ভারতীয় আকাশসীমা উপলব্ধ থাকবে না (Pakistani Flights)।

    বিশেষ নজরদারি

    পহেলগাঁওকাণ্ডের জন্য পাকিস্তানকেই দুষছে নয়াদিল্লি। তবে ইসলামাবাদ সাফ জানিয়ে দিয়েছে, এই হত্যাকাণ্ডে তাদের হাত নেই। মুখে এ কথা বললেও, ভারতের প্রত্যাঘাতের আশঙ্কায় কাঁটা পাকিস্তান। ভারত যে কোনও দিন তাদের বিরুদ্ধে সামরিক কোনও অভিযান করতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। এই আশঙ্কায় নজরদারি বাড়ানো হয়েছে পাকিস্তানের আকাশসীমায়। ভারতের বিমান তো সেখানে নিষিদ্ধই, তবে ভারতের আকাশসীমা দিয়ে যদি কোনও বিদেশি বিমানও পাক আকাশে প্রবেশ করে, তাতেও বিশেষ নজরদারি চালানো হচ্ছে। অনুমতি ছাড়া পাক আকাশে কোনও বিমান প্রবেশ করতে পারবে না বলেই জানানো হয়েছে (India Pakistan Relation)। বুধবার পাক অধিকৃত কাশ্মীরের সব বিমান বাতিল করে দেওয়া হয়েছে।

    গোদের ওপর বিষফোঁড়া

    মূলত দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া এবং ওশিয়ানিয়ার দেশগুলিতে যাওয়ার জন্য পাকিস্তানের বিমান যাতায়াত করে ভারতের ওপর দিয়ে। সেই পথ বন্ধ হয়ে যাওয়ায় বিরাট সমস্যায় পড়তে হবে ইসলামাবাদকে। কারণ ওই বিমানগুলিকে অনেকটা ঘুরে পৌঁছতে হবে গন্তব্যে। যাত্রাপথ দীর্ঘ হওয়ায় স্বাভাবিকভাবেই বিমানে জ্বালানিও লাগবে আগের চেয়ে ঢের বেশি। সেই সঙ্গে লাগবে বেশি সময়ও। তাই বাড়তে পারে টিকিটের দাম। কমে যেতে পারে যাত্রী সংখ্যা। এমনিতেই পাক অর্থনীতির হাঁড়ির হাল।  অধিকাংশ ফ্লাইট মধ্যপ্রাচ্য বা মালয়েশিয়ায় যায়। ভারতীয় আকাশসীমা বন্ধ হওয়ায় মালয়েশিয়াগামী বিমানগুলিকে হয় চিন নয়তো শ্রীলঙ্কা হয়ে যেতে হবে। তাই এই সময় (Pakistani Flights) গোদের ওপর বিষফোঁড়ার মতো ভারতের নিষেধাজ্ঞায় বিপাকে পড়েছে ইসলামাবাদ (India Pakistan Relation)। প্রসঙ্গত, ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে সরাসরি কোনও বিমান চলাচল করে না।

    অর্থনৈতিক যুদ্ধ!

    অবসরপ্রাপ্ত এক ভারতীয় কূটনীতিকের মতে, “এটি শান্তিপূর্ণ উপায়ে অর্থনৈতিক যুদ্ধ। ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের সময়ও ভারত পাকিস্তানের জন্য তার আকাশসীমা বন্ধ করেছিল। এবার পাকিস্তানের বিপর্যস্ত অর্থনীতির জন্য ঝুঁকি আরও বেশি।” ইউরোপীয় এভিয়েশন সেফটি এজেন্সির নিষেধাজ্ঞার (চার বছর পর গত বছর প্রত্যাহার করা হয়) মধ্যেই সঙ্কটে থাকা পাকিস্তান ইন্টারন্যাশনাল এয়ারলাইন্সের (পিআইএ) সামনে এখন নতুন অস্তিত্ব সঙ্কট। সর্বসাকুল্যে মাত্র ৩২টি বিমান রয়েছে পিআইএ-র। সেখানে ভারতের সব মিলিয়ে হাজারের বেশি। এক বিমান বিশেষজ্ঞের মন্তব্য, “এটি পিআইএ-র কফিনে শেষ পেরেক হয়ে উঠতে পারে (Pakistani Flights)।”

    পাকিস্তানের বড় ক্ষতি

    পাকিস্তানের আকাশসীমা দিয়ে আগে সপ্তাহে ৮০০-এরও বেশি ভারতীয় ফ্লাইট চলাচল করত, যার মাধ্যমে তারা দৈনিক প্রায় ১,২০,০০০ মার্কিন ডলার আয় করত। এটি তাদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ বৈদেশিক মুদ্রার উৎস ছিল। কিন্তু তাদেরই প্রতিশোধমূলক নিষেধাজ্ঞায় এখন এই আয় বন্ধ হয়েছে। এক ভারতীয় ঊর্ধ্বতন বিমান কর্তৃপক্ষের কথায়, “ভারতীয় এয়ারলাইন্স বন্ধের পাকিস্তানের এই সিদ্ধান্ত নিজের পায়ে নিজেই কুড়ুল মারার শামিল। এখন তাদের আরও বড় ধাক্কার জন্য প্রস্তুত হতে হবে (India Pakistan Relation)।”

  • Char Dham Yatra 2025: শুরু চারধাম যাত্রা, শুক্রবার খুলছে কেদারনাথের দ্বার, মন্দির সাজবে ১৩ কুইন্টাল ফুলে

    Char Dham Yatra 2025: শুরু চারধাম যাত্রা, শুক্রবার খুলছে কেদারনাথের দ্বার, মন্দির সাজবে ১৩ কুইন্টাল ফুলে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শুক্রবার ২ মে খুলছে কেদারনাথ ধামের দ্বার (Char Dham Yatra 2025)। ভগবান কেদারনাথের মন্দিরকে সাজানো হচ্ছে ১৩ কুইন্টাল ফুল দিয়ে। বৃহস্পতিবার ১ মে কেদারনাথের মূর্তি ধামে পৌঁছাচ্ছে বলে জানা যাচ্ছে। শুক্রবার সকাল ৭টা নাগাদ কেদারনাথের দরজা খুলবে। অন্যদিকে, গঙ্গোত্রী ও যমুনোত্রী ধামের দরজা খুলে গিয়েছে গত ৩০ এপ্রিল। অক্ষয় তৃতীয়ার পুণ্য তিথিতে বৈদিক মন্ত্রোচ্চারণ এবং পুজো অনুষ্ঠানের মধ্যে দিয়ে এই দরজা খোলা হয়। এর সঙ্গেই শুরু হয়ে গিয়েছে উত্তরাখণ্ডের চারধাম যাত্রার আনুষ্ঠানিক সূচনা।

    প্রথম পুজো করেন উত্তরাখণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী (Char Dham Yatra)

    অক্ষয় তৃতীয়ার দিনে হেলিকপ্টারের মাধ্যমে ভক্তদের ওপর পুষ্প বৃষ্টি করা হয়। গঙ্গোত্রী ও যমুনেত্রী মন্দিরে। অন্যদিকে, যমুনেত্রী মন্দিরে উত্তরাখণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী পুস্কর সিং ধামি প্রথম পুজো করেন। মন্দির খোলার সঙ্গে সঙ্গেই তিনি পুজো শুরু করেন (Char Dham Yatra 2025)। প্রথম কোনও মুখ্যমন্ত্রী, চারধাম যাত্রার দ্বারোদঘাটনের পুজোয় অংশ নেন। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নামে পুজো দেন তিনি। এর সঙ্গে সঙ্গে চারধাম যাত্রা যাতে সফলভাবে সংঘটিত হয় এবং ভক্তদের জীবনে যাতে সুখ সমৃদ্ধি শান্তি আসে সেই কামনাও করেন উত্তরাখণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী। বৈদিক রীতি রীতি মেনে ৩০ এপ্রিল সকালেই পুজো শুরু হয় গঙ্গোত্রী মন্দিরে, ভক্তদের জন্য গঙ্গোত্রী মন্দিরের দরজা খোলা হয় ঠিক সকাল সাড়ে দশটায়।

    কী বললেন উত্তরাখণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী?

    অন্যদিকে, যমুনেত্রী ধামের দরজা খোলা হয় ঠিক সকাল ১১:৫৫ মিনিট নাগাদ। এখানেও বৈদিক রীতি মেনে পুজো অনুষ্ঠিত হয়। এরপরেই সাংবাদিকদের সামনে উত্তরাখণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী পুস্কর সিং ধামি বলেন, ‘‘চারধাম যাত্রার অনুষ্ঠানিক সূচনা অক্ষয় তৃতীয়া থেকে শুরু হল। চারধাম যাত্রার এক গুরুত্বপূর্ণ তীর্থ। এখানে প্রতিবছর লক্ষ লক্ষ ভক্ত দেশ থেকে আসেন। বিদেশ থেকেও আসেন অনেকে।’’ তিনি আরও জানিয়েছেন, উত্তরাখণ্ডের পরম্পরা হল অতিথি দেব ভব। তাই সমস্ত ভক্তরা চারধাম যাত্রায় আসবেন, তাঁদের যথাযোগ্য স্বাগত জানানো হবে। একই সঙ্গে সবার প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন উত্তরাখণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী (Char Dham Yatra 2025)। যাতে এই চারধাম যাত্রা পরিবেশবান্ধব হয়।

  • Caste Census: দেশজুড়ে জাতিভিত্তিক গণনার ঘোষণা নরেন্দ্র মোদি সরকারের

    Caste Census: দেশজুড়ে জাতিভিত্তিক গণনার ঘোষণা নরেন্দ্র মোদি সরকারের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এবার দেশজুড়ে জাতিভিত্তিক গণনার (Caste Census) ঘোষণা করল নরেন্দ্র মোদির সরকার। বুধবার মন্ত্রিসভার বৈঠকে এমনই সিদ্ধান্ত হয়েছে বলে জানান কেন্দ্রীয় তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব। এ নিয়ে কংগ্রেসকে নিশানাও করেন (Population Survey) তিনি। অশ্বিনী সাফ জানিয়ে দেন, আলাদা করে দেশে জাতি শুমারির প্রয়োজন নেই। জনগণনার সঙ্গেই হবে জাতিভিত্তিক গণনা।

    আদমশুমারি (Caste Census)

    প্রতি ১০ বছর অন্তর হয় আদমশুমারি। শেষবার জনগণনা হয়েছিল ২০১১ সালে। করোনা অতিমারির কারণে জনগণনা হয়নি ২০২১ সালে। তার জেরে ব্যাপক সমালোচনার মুখে পড়তে হয় মোদি সরকারকে। বুধবার, এপ্রিল মাসের একেবারে শেষ দিনে সরাসরি জাতিশুমারির কথা ঘোষণা করে দিল কেন্দ্র।

    জাতিভিত্তিক জনশুমারি

    বিহারে ইতিমধ্যেই জাতিভিত্তিক জনশুমারি হয়েছে। এদিন জাতিভিত্তিক জনশুমারি ঘোষণা করার সময় কংগ্রেস ও ইন্ডি জোটে থাকা অন্যান্য দলকেও নিশানা করেন তথ্য সম্প্রচার মন্ত্রী। তিনি বলেন, “কংগ্রেস বরাবর জাতিভিত্তিক জনশুমারির বিরোধিতা করেছে। ২০১০ সালে প্রয়াত প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং বলেছিলেন যে, ক্যাবিনেটের উচিত জাতিভিত্তিক জনশুমারি নিয়ে বিবেচনা করা। মন্ত্রীদের নিয়ে কমিটিও গঠন করা হয়। অধিকাংশ রাজনৈতিক দলই জাতিভিত্তিক জনশুমারির সুপারিশ করেছিল। তার পরেও কংগ্রেস সরকার জাতিভিত্তিক (Caste Census) সমীক্ষা করেছিল।” অশ্বিনী বলেন, “কংগ্রেস ও ইন্ডি জোটের সদস্যরা জাতিভিত্তিক জনশুমারিকে রাজনৈতিক অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করতে চেয়েছে। কিছু রাজ্য এই সমীক্ষা করেছে শুধুমাত্র কোনও জনজাতির সংখ্যা জানতে। কিছু রাজ্য ভালো কাজ করেছে, কেউ আবার রাজনৈতিক স্বার্থে করেছে।”

    প্রসঙ্গত, ২০২৩ সালের অক্টোবর মাসে বিহারে নীতীশ কুমারের সরকার জাতিভিত্তিক জনশুমারি করেছিল। তবে তখন বিহারে জেডিইউ, আরজেডি এবং কংগ্রেসের জোট সরকার ছিল। ওই সমীক্ষায় দেখা গিয়েছিল, রাজ্যের ৩৬ শতাংশ জনগণ প্রান্তিক শ্রেণির, ২৭.১ শতাংশ মানুষ অনগ্রসর শ্রেণির, ১৯.৭ শতাংশ মানুষ জনজাতি সম্প্রদায়ের এবং উপজাতির নাগরিক ১.৭ শতাংশ।

    চলতি বছরেই রয়েছে বিহার বিধানসভা নির্বাচন। এই বিহারই প্রথম জাতিভিত্তিক জনশুমারি করেছিল (Population Survey)। বিহার বিধানসভা নির্বাচনের আগে তাই কেন্দ্রের এই ঘোষণা নিঃসন্দেহে তাৎপর্যপূর্ণ (Caste Census)।

  • PM Modi: পাকিস্তানের সঙ্গে যুদ্ধ পরিস্থিতি ভারতের, ৯ মে রাশিয়া সফর বাতিল করলেন মোদি

    PM Modi: পাকিস্তানের সঙ্গে যুদ্ধ পরিস্থিতি ভারতের, ৯ মে রাশিয়া সফর বাতিল করলেন মোদি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ৯ মে নিজের রাশিয়ার সফর বাতিল করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)। প্রসঙ্গত রাশিয়াতে ৯ মে বিজয় দিবস পালিত হয়। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় ওই দিনেই নাৎসি জার্মানিকে পরাস্ত করে সোভিয়েত রাশিয়া। তারপর থেকেই দিনটি পালিত হয়ে আসছে। চলতি বছরের তা ৮০তম বিজয় উৎসব। কিন্তু জম্মু-কাশ্মীরের ভয়াবহ সন্ত্রাসী হামলার ঘটনা ঘটেছে। যুদ্ধ পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে পাকিস্তানের সঙ্গে। সেই পরিপ্রেক্ষিতেই নিজের রাশিয়া সফর বাতিল করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi), এমনটাই মনে করছে রাজনৈতিক মহল।

    ক্রেমলিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ জানিয়েছেন মোদির সফর বাতিলের কথা

    পহেলগাঁও-তে ২৭ জন হিন্দু নাগরিককে যেভাবে তাঁদের ধর্মীয় পরিচয় বেছে বেছে হত্যা করা হয়েছে, তাতে ব্যাপক ক্ষোভের সঞ্চার হয়েছে প্রত্যেকটি ভারতবাসীর মধ্যে। এই আবহে যুদ্ধ পরিস্থিতিও তৈরি হয়েছে পাকিস্তানের সঙ্গে। বৃহস্পতিবারই এই খবর সামনে এল যে ৯ মে রাশিয়া সফর বাতিল করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)। ক্রেমলিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ এক সাংবাদিক সম্মেলনে জানিয়েছেন একথা। তিনি জানিয়েছেন, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি রাশিয়া সফরে যোগ দিচ্ছেন না। তাঁর বদলে অন্য একজন কূটনৈতিক প্রতিনিধি এই বিজয় উৎসবে যোগদান করবেন।

    আগেই আমন্ত্রণ পেয়েছিলেন মোদি, তারই মধ্যে ঘটে পহেলগাঁও হামলা

    আগেই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে (PM Modi) রাশিয়া সফরের জন্য আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল। একথা ঘোষণা করেছিলেন সে দেশের উপ-বিদেশ মন্ত্রী অ্যান্দ্রে রুডেনেকো। তিনি সে সময় জানিয়েছিলেন যে, সারা মস্কো অপেক্ষা করছে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে স্বাগত জানাতে। তাঁকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। পরবর্তীকালে ভারতের বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল আমন্ত্রণের বিষয়টি স্বীকার করেন। তিনি জানান, ভারতের প্রধানমন্ত্রী আমন্ত্রণ পেয়েছেন এবং উপযুক্ত সময়ই আমরা জানাব যে বিজয় উৎসবে অংশগ্রহণের কথা। কিন্তু এরপরেই পহেলগাঁওয়ে সন্ত্রাসী হামলা ঘটে। পরিস্থিতি বদলে যায়। প্রসঙ্গত নরেন্দ্র মোদি (PM Modi), গত বছর অর্থাৎ ২০২৪ সালের জুলাই মাসে ২২তম রাশিয়া-ভারত শীর্ষ সম্মেলনে অংশগ্রহণ করেছিলেন এবং সে সময় তিনি মস্কোতে (Russia) পা রেখেছিলেন।

  • Pahalgam Attack: পহেলগাঁওকাণ্ডের জের! নিরাপত্তা উপদেষ্টা পর্ষদের মাথায় বসানো হল ‘র’-এর প্রাক্তনীকে

    Pahalgam Attack: পহেলগাঁওকাণ্ডের জের! নিরাপত্তা উপদেষ্টা পর্ষদের মাথায় বসানো হল ‘র’-এর প্রাক্তনীকে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পহেলগাঁওকাণ্ড (Pahalgam Attack) ও পাকিস্তানের সঙ্গে সংঘাতের আবহে পুনর্গঠন করা হল নিরাপত্তা উপদেষ্টা পর্ষদ (NSA Board)। ভারতীয় গুপ্তচর সংস্থা ‘র’-এর প্রাক্তন ডিরেক্টর অলোক জোশীকে ওই পর্ষদের প্রধান করা হয়েছে।

    নিরাপত্তা উপদেষ্টা পর্ষদ পুনর্গঠন (Pahalgam Attack)

    গত ২২ এপ্রিল দক্ষিণ কাশ্মীরের পহেলগাঁওয়ে সন্ত্রাসবাদীরা বেছে বেছে হত্যা করে ২৬ জন হিন্দু পর্যটককে। এছাড়া স্থানীয় এক মুসলিম যুবক সন্ত্রাসীদের হাত থেকে বন্দুক কেড়ে নেওয়ার চেষ্টা করায় তাঁকেও খুন করে পাক মদতপুষ্ট জঙ্গিরা। মৃত্যু হয় এক খ্রিস্টান পর্যটকেরও। এই প্রেক্ষিতে সৃষ্টি হয়েছে ভারত-পাকিস্তান সংঘাতের আবহ। সেই সময়ই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সরকার পুনর্গঠন করল নিরাপত্তা উপদেষ্টা পর্ষদ।

    কারা রয়েছেন পর্ষদে

    এই পর্ষদের সদস্য সংখ্যা সাত। এই সদস্যরা হন অবসরপ্রাপ্ত সেনা কিংবা সিভিল সার্ভিস আধিকারিক। রয়েছেন প্রাক্তন কূটনীতিক বি বেঙ্কটেশ বর্মা। ভারতীয় বায়ুসেনার পশ্চিমাঞ্চলীয় কমান্ডের প্রাক্তন প্রধান এয়ার মার্শাল পিএম সিং, স্থলসেনার দক্ষিণাঞ্চলীয় কমান্ডের প্রাক্তন জিওসি লেফটেন্যান্ট জেনারেল একে সিং এবং নৌসেনার অবসরপ্রাপ্ত রিয়ার অ্যাডমিরাল মন্টি খান্নাও রয়েছেন এই পর্ষদে।

    অলোক ছাড়াও রয়েছেন দুই অবসরপ্রাপ্ত আইপিএস অফিসার রাজীবরঞ্জন বর্মা এবং মনমোহন সিং। প্রসঙ্গত, জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত ডোভালের নেতৃত্বাধীন জাতীয় নিরাপত্তা পরিষদ সুরক্ষা সংক্রান্ত মূল পদক্ষেপের দায়িত্বে রয়েছ। অলোকের নেতৃত্বাধীন উপদেষ্টার কাজ হবে সুরক্ষাজনিত দৃষ্টিকোণ পর্যালোচনা করে ডোভালের কমিটিকে প্রয়োজনীয় পরামর্শ দেওয়া।

    প্রসঙ্গত, ২০১৮ সালের পর এই প্রথম পুনর্গঠিত হল জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা পর্ষদ (Pahalgam Attack)। ওয়াকিবহাল মহলের মতে, ভারতের প্রত্যাঘাতের পাল্টা যদি পাকিস্তান কোনওভাবে হামলা চালায় বা পাকিস্তানের বন্ধু বলে পরিচিত দেশগুলি ভারতে অশান্তি তৈরির চেষ্টা করে, সেজন্যও প্রস্তুত থাকা দরকার। সম্ভবত সেই কারণেই উপদেষ্টা বোর্ডকে আরও শক্তিশালী করা হচ্ছে, প্রাক্তন গোয়েন্দাপ্রধানকে শীর্ষে রেখে।

    ২২ এপ্রিল পহেলগাঁওয়ে পর্যটকদের ওপর হামলা চালায় যে জঙ্গিরা, তাদের একজনেরও খোঁজ মেলেনি। ওই ঘটনার জেরে উত্তেজনা বেড়েছে ভারত-পাকিস্তানের। সেই সঙ্গে উপত্যকাজুড়ে চলছে সেনা তৎপরতা। এই ঘটনার দায় স্বীকার (NSA Board) করে পাক জঙ্গিগোষ্ঠী লস্কর-ই-তৈবার ছায়া সংগঠন দ্য রেজিস্ট্যান্স ফ্রন্ট (Pahalgam Attack)।

  • Jammu Kashmir: জম্মু-কাশ্মীরে তীব্র গতিতে চলছে জঙ্গি নিকেশ অভিযান

    Jammu Kashmir: জম্মু-কাশ্মীরে তীব্র গতিতে চলছে জঙ্গি নিকেশ অভিযান

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: জঙ্গি নিকেশ করতে জম্মু-কাশ্মীর (Jammu Kashmi) একেবারে তেড়েফুঁড়ে নেমেছে মোদি সরকার। পহেলগাঁও হামলার পরবর্তীকালে ইসলামিক সন্ত্রাসবাদীদের খতম করতে বদ্ধপরিকর দিল্লি। এই কারণে জম্মু-কাশ্মীরে সন্ত্রাসবিরোধী অভিযান (Jammu Kashmi) পরিচালনা করা হচ্ছে তীব্র গতিতে। বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে প্রকাশিত খবর অনুযায়ী, অভিযান জোরকদমে তীব্র গতিতে চলছে। তবে এনিয়ে কোনও আনুষ্ঠানিক বিবৃতি সামনে আনছে না প্রশাসন। কারণ এতটাই গোপন রাখা হয়েছে সেই অভিযান।

    কল্পনার থেকেও বেশি শাস্তির কথা ঘোষণা করেছিলেন মোদি

    পহেলগাঁওতে এক ভয়াবহ সন্ত্রাসী হামলার ঘটনা (Counter Terror Operations) ঘটে যেখানে ধর্ম বেছে বেছে হিন্দু পর্যটকদের গুলি করে হত্যা করা হয়। নিহত হন ২৬ জন মানুষ। সারাদেশের নাগরিকদের মধ্যে এনিয়ে তীব্র ক্ষোভের সঞ্চার হয়। আমেরিকা, ব্রিটেন সমেত অনেক দেশ এই ঘটনার নিন্দা জানায়। হামলার কয়েকদিন পরেই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বিহারের মধুবনিতে একটি জনসভা করেন। নিজের বক্তব্যে প্রধানমন্ত্রী জানিয়েছিলেন যে এই হামলার সঙ্গে যুক্ত এবং হামলার নেপথ্যে থাকা ব্যক্তিদের কল্পনার থেকেও বেশি শাস্তি হবে। পৃথিবীর শেষ প্রান্ত পর্যন্ত এদেরকে তাড়া করা হবে বলেও জানান মোদি।

    প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির কথাই বাস্তবায়িত হচ্ছে জম্মু-কাশ্মীরে

    প্রসঙ্গত জম্মু-কাশ্মীরে বিভিন্ন জেলায় তীব্রগতিতে (Counter Terror Operations) নিরাপত্তা বাহিনীর এই অভিযান বৃদ্ধি পাওয়ার ফলে অনেকেই মনে করছেন, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি যা বলেছিলেন সেটাই বাস্তবায়িত (Jammu Kashmi) হচ্ছে। গত ২৮ এপ্রিল পাকিস্তানের প্রতিরক্ষামন্ত্রী খাজা আসিফ রয়টার্সকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে দাবি করেন যে, ভারত সামরিক হামলার (Jammu Kashmi) প্রস্তুতি নিচ্ছে। এই আবহে মঙ্গলবারই সেনাকে পূর্ণ স্বাধীনতা দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। এদিন প্রধানমন্ত্রী মোদি বৈঠক করেন প্রতিরক্ষামন্ত্রী, এনএসএ, সিডিএস এবং ৩ বাহিনীর প্রধানদের সঙ্গে। প্রধানমন্ত্রীর বাসভবনে ওই জরুরি বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন রাজনাথ সিং, অজিত দোভাল এবং অনিল চৌহান। কাশ্মীরে কাপুরুষোচিত হামলার পর কীভাবে পাকিস্তানকে জবাব দেওয়া যায়, সেই গুরুত্বপূর্ণ রোডম্যাপই তৈরি করা হয় এই বৈঠকে।

  • PM Modi: প্রত্যাঘাত স্রেফ সময়ের অপেক্ষা! সেনাকে ‘পূর্ণ স্বাধীনতা’ দিলেন মোদি

    PM Modi: প্রত্যাঘাত স্রেফ সময়ের অপেক্ষা! সেনাকে ‘পূর্ণ স্বাধীনতা’ দিলেন মোদি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পাকিস্তানের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করতে সেনাবাহিনীকে ‘পূর্ণ স্বাধীনতা’ দিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)। মিশনের জন্য একেবারে প্রস্তুত সেনাবাহিনী। কীভাবে হবে প্রত্যাঘাত তা নিয়েই এদিন জরুরি বৈঠক করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। এদিন প্রধানমন্ত্রী মোদি বৈঠক করেন প্রতিরক্ষামন্ত্রী, এনএসএ, সিডিএস এবং ৩ বাহিনীর প্রধানদের সঙ্গে। প্রধানমন্ত্রীর বাসভবনে ওই জরুরি বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন রাজনাথ সিং, অজিত দোভাল এবং অনিল চৌহান। কাশ্মীরে কাপুরুষোচিত হামলার পর কীভাবে পাকিস্তানকে জবাব দেওয়া যায়, সেই গুরুত্বপূর্ণ রোডম্যাপই তৈরি করা হয় এই বৈঠকে। এবার প্রত্যাঘাত স্রেফ সময়ের অপেক্ষা বলেই মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল।বৈঠকশেষে প্রধানমন্ত্রী মোদির বাসভবনে যান স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। সূত্রের খবর, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বৈঠকে সেনার উপরে সম্পূর্ণ আত্মবিশ্বাস ব্যক্ত করেছেন।

    ভারত একাধিক পদক্ষেপ আগেই করেছে (PM Modi)

    দেশজুড়ে পহেলগাঁও হামলার নিন্দা ও ক্ষোভের আবহে আগেই পাকিস্তানি নাগরিকদের ভিসা বাতিল করেছে কেন্দ্র। একইসঙ্গে সিন্ধু জল চুক্তি স্থগিত, এবং আটারি সীমান্ত বন্ধের মতো নানা পদক্ষেপ করেছে মোদি সরকার। জানা গিয়েছে, কেন্দ্রীয় সরকার পাকিস্তানি বিমান সংস্থাগুলির জন্য ভারতীয় আকাশসীমা বন্ধ করার বিষয়টি সক্রিয়ভাবে বিবেচনা করছে। শুধু যে আকাশসীমা তাই নয়, সরকারি আধিকারিকদের সূত্র বলছে, ভারতীয় বন্দরগুলিতেও পাকিস্তানি জাহাজের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হতে পারে।

    মঙ্গলবারই ৭ দিন পূর্ণ হল পহেলগাঁও হামলার (PM Modi)

    মঙ্গলবারই পহেলগাঁও হামলার এক সপ্তাহ পূরণ হয়েছে। ধর্ম বেছে ২৬ জনকে নির্মমভাবে হত্যা করে জঙ্গিরা। এর পরেই কাশ্মীরে বেশ কয়েকটি অভিযান ও ধরপাকড় চালায় সেনা। ধূলিস্যাৎ করে দেওয়া হয় জঙ্গিদের বাড়ি। এদিকে এই হামলার পরেই পাকিস্তানের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপের ইঙ্গিত দেন মোদি। এই পরিস্থিতিতে মঙ্গলবারের জরুরি বৈঠকে বসেন প্রধানমন্ত্রী। সেখানেই গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্তের কথা জানান প্রধানমন্ত্রী (PM Modi)। সোমবারও এই একই ধরনের বৈঠক হয় প্রধানমন্ত্রীর বাসভবনে।

  • Rafale-M Jets: ২৬টি রাফাল-মেরিন জেট কিনছে ভারত, সীমান্তে অশান্তির মধ্যেই ফ্রান্সের সঙ্গে চুক্তি স্বাক্ষর

    Rafale-M Jets: ২৬টি রাফাল-মেরিন জেট কিনছে ভারত, সীমান্তে অশান্তির মধ্যেই ফ্রান্সের সঙ্গে চুক্তি স্বাক্ষর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কথাবার্তা চূড়ান্ত হয়েই ছিল। ২৬টি ‘রাফাল মেরিন’ (Rafale-M Jets) যুদ্ধবিমান কেনার ব্যাপারে ফ্রান্সের সঙ্গে অবশেষে চুক্তি সই করে ফেলল ভারত। প্রতিরক্ষা মন্ত্রক সূত্রে খবর, সোমবার ফ্রান্সের সঙ্গে প্রায় ৬৪ হাজার কোটি টাকার বিনিময়ে ২৬টি রাফাল-এম যুদ্ধবিমানের চুক্তি করেছে নয়াদিল্লি। ভারতীয় প্রতিরক্ষা বাহিনীর ইতিহাসে সবচেয়ে মহার্ঘ প্রতিরক্ষা চুক্তি (India France Deal)। দুই দেশের সরকারের মধ্যে হওয়া এই চুক্তি অনুযায়ী, ২২টি এক আসনের নৌ-সংস্করণ এবং চারটি দুই আসনের প্রশিক্ষণ যুদ্ধবিমান ২০৩০ সালের মধ্যেই ভারতে সরবরাহ করা হবে। শুধু তা-ই নয়, যুদ্ধবিমানের রক্ষণাবেক্ষণ, লজিস্টিক সহায়তা, কর্মীদের প্রশিক্ষণও চুক্তির আওতায় রয়েছে।

    সেনাবাহিনীর শক্তিবৃদ্ধি

    রাফাল-এম (Rafale-M Jets)  বিশ্বের সবচেয়ে উন্নত নৌ-যুদ্ধবিমান, যা শুধু এখন ফ্রান্সের কাছেই রয়েছে। এ বার তা ভারতও পেতে চলেছে। পহেলগাঁও কাণ্ড নিয়ে ভারত এবং পাকিস্তানের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের অবনতি হয়েই চলেছে। সিন্ধু জলবণ্টন চুক্তি স্থগিত করায় যুদ্ধের হুঁশিয়ারি দিয়ে চলেছে পাকিস্তান। এই পরিস্থিতিতে সেনাবাহিনীর শক্তিবৃদ্ধিকে ইতিবাচক হিসাবেই দেখছেন বিশেষজ্ঞেরা। এই রাফাল বিমানগুলি বিমানবাহী রণতরী আইএনএস বিক্রান্ত থেকে পরিচালিত হবে। সেখানে বর্তমানে থাকা মিগ-২৯কে বিমানগুলিকে অবসরে পাঠানো হবে। এই যুদ্ধবিমানগুলি নৌসেনার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এই ২৬টি ‘রাফাল-এম’ যুদ্ধবিমান এলে জলপথ থেকেই আক্রমণ শানাতে পারবে ভারত। এই ২৬টি যুদ্ধবিমানের মধ্যে ২২টিতে এক জন পাইলট বসার জায়গা থাকছে। বাকি চারটি বিমানে দু’জন করে পাইলট বসতে পারবেন। দুই আসন বিশিষ্ট জেটগুলি কেবলমাত্র প্রশিক্ষণের জন্য। এগুলি বিমানবাহী রণতরী থেকে ওঠানামা করতে পারবে না।

    কবে আসছে নতুন রাফাল এম

    এর আগে ২০১৬ সালে ফ্রান্স থেকে ৩৬টি রাফাল যুদ্ধবিমান ভারতে আনার চুক্তি হয়। সেগুলি ভারতীয় বায়ুসেনার জন্য। রাফালের প্রথম ব্যাচটি এসে পৌঁছায় ২০২০ সালের জুলাই মাসে। এ বার দেশের প্রতিরক্ষা ব্যবস্থাকে আরও উন্নত করতে বায়ুসেনার পাশাপাশি নৌসেনার হাতেও রাফাল শ্রেণির যুদ্ধবিমান তুলে দেওয়ার লক্ষ্যমাত্রা নেওয়া হয়েছে। প্রশাসনিক সূত্রে খবর, রাফাল-এম ভারতে আসা শুরু করবে ২০২৮ সাল থেকে ২৯ সালের মধ্যে এবং ২০৩০ সালের মধ্যে শেষ হবে গোটা ডেলিভারির কাজ। প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের সূত্রে জানা গেছে, ২০২৮ সালে ৯টি, ২০২৯ সালে ১২টি এবং ২০৩০ সালে বাকি ৫টি রাফাল-এম ভারতীয় নৌবাহিনীর হাতে আসবে। একজন কর্মকর্তা জানিয়েছেন, “রাফাল-এম একটি ক্যারিয়ার-নির্ভর বহুমুখী যুদ্ধবিমান, যার প্রমাণিত অভিযানক্ষমতা রয়েছে। এটি সমুদ্রে ভারতের আকাশক্ষমতা অনেকগুণ বাড়াবে।” ভারতের স্টোবার-প্রযুক্তির বিমানবাহী যুদ্ধজাহাজ থেকেই উড়ান কিংবা অবতরণ করতে পারবে রাফাল-এম।

    চুক্তির অধীনে কী কী

    সোমবার সাউথ ব্লকে প্রতিরক্ষামন্ত্রকের দফতরে এই চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। চুক্তিতে ভারতের প্রতিনিধিত্ব করেন প্রতিরক্ষা সচিব রাজেশ কুমার সিং। অন্যদিকে, ফ্রান্সের প্রতিনিধিত্ব করেন ভারতে ফরাসি রাষ্ট্রদূত থিয়েরি ম্যাতু। উপস্থিত ছিলেন নৌসেনার উপপ্রধান এবং বিমান ও অস্ত্র নির্মাণকারী সংস্থা যথাক্রমে দাসো ও এমবিডিএ- কর্তারা। ডিজিটালি উপস্থিত ছিলেন রাজনাথ সিং ও ফরাসি প্রতিরক্ষামন্ত্রী। এই চুক্তিতে ইতিমধ্যে ভারতীয় বায়ুসেনায় থাকা ৩৬টি রাফালের জন্যও অতিরিক্ত যন্ত্রাংশ সরবরাহ অন্তর্ভুক্ত। যদিও এই চুক্তিতে মোট প্রযুক্তি স্থানান্তরের কথা নেই, তবে ভবিষ্যতে ভারতীয় প্রযুক্তিতে তৈরি ক্ষেপণাস্ত্র যেমন ‘অস্ত্র’ মিসাইল এবং ডিআরডিও-র তৈরি নৌবাহিনীর এনএসএম ক্ষেপণাস্ত্র রাফাল-এম যুদ্ধবিমানে সংযুক্ত করার ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। চুক্তির আওতায় ভারতে একটি বিমানের ফিউসেলাজ উৎপাদন কেন্দ্র এবং ইঞ্জিন, সেন্সর ও অস্ত্রের এমআরও (মেইনটেন্যান্স, রিপেয়ার ও ওভারহল) কেন্দ্র স্থাপনের ব্যবস্থাও থাকবে।

    ‘রাফাল-এম’ যুদ্ধবিমান ছাড়াও ফ্রান্সের ডুবোজাহাজ!

    ইতিমধ্যেই ভারতীয় বায়ুসেনা শুরু করেছে এক বিরাট সামরিক মহড়া। যার নাম ‘আক্রমণ’। বিমানবাহিনী পাহাড় এবং স্থলে লক্ষ্যবস্তুতে আক্রমণের ড্রিল সারছে। দেশের মূলধারার যুদ্ধবিমানগুলি সেখানে আকাশ দাপাচ্ছে। রয়েছে সুখোই স্কোয়াড্রন। বায়ুসেনা রাফাল যুদ্ধবিমানগুলি বর্তমানে হরিয়ানার অম্বালা এবং আলিপুরদুয়ারের হাসিমারা— এই দুই ঘাঁটি থেকে পরিচালিত হয়। ‘রাফাল-এম’ যুদ্ধবিমান ছাড়াও ফ্রান্সের থেকে স্করপিন শ্রেণির ডুবোজাহাজ কেনার বিষয়ে আলোচনা চলছে ভারতের। ওই ডুবোজাহাজগুলির জন্যও কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা ছাড়পত্র দিয়েছে। তবে মন্ত্রিসভার নিরাপত্তা সংক্রান্ত কমিটি এখনও তাতে অনুমোদন দেয়নি। এছাড়া, এমআরএফে চুক্তির আওতায় ভারতীয় বায়ুসেনার জন্য আরও ১১৪টি রাফাল কেনার প্রাথমিক কথাবার্তাও চলছে বলে জানা গিয়েছে।

    কোথায় অন্য যুদ্ধবিমানদের মাত দেয় রাফাল

    বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, গোটা বিশ্বজুড়ে এক নামে পরিচিতি রাফালের। মাল্টি রোলিং ক্ষমতা সঙ্গে শত্রু নিক্ষেপে ধুরন্ধর। সব মিলিয়ে রাফালের দক্ষতা প্রশ্নাতীত। তার সঙ্গে রয়েছে অত্যাধুনিক প্রযুক্তির তৈরি অস্ত্র। যত দূরেই থাকুক শত্রু, রাফালের স্ক্যাল্প (SCALP) ক্রুজ মিসাইল তাকে নিমিষে ধ্বংস করতে সক্ষম। এছাড়াও, রাফাল কিন্তু নিজের মধ্যে বইতে পারে পরমাণু বোমাও। ওয়াকিবহাল মহল বলছে, ঘণ্টায় ২ হাজার ২২২ কিলোমিটার গতিবেগে আকাশকে চিরে দিয়ে ছুটে যেতে পারে রাফাল। যা মিনিটে পার করে দেবে পাকিস্তানকে। বুঝে উঠতেও পারবে না তারা। যখন একদিকে মাথার উপর বসে সর্বক্ষণ হুঁশিয়ারি দিয়ে যাচ্ছে চিন। তাদের আবার দোসর হচ্ছে পাকিস্তানও। সেই আবহে এদের মুখ বন্ধ করতেই রাফালকেই মোক্ষম জবাব বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।

  • Pegasus Spyware: “জাতীয় নিরাপত্তার স্বার্থে পেগাসাস স্পাইওয়্যার ব্যবহার করা অন্যায় নয়,” সাফ জানাল সুপ্রিম কোর্ট

    Pegasus Spyware: “জাতীয় নিরাপত্তার স্বার্থে পেগাসাস স্পাইওয়্যার ব্যবহার করা অন্যায় নয়,” সাফ জানাল সুপ্রিম কোর্ট

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সুপ্রিম কোর্টে (Supreme Court) ফের মুখ পুড়ল বিরোধীদের। পেগাসাস স্পাইওয়্যার (Pegasus Spyware) ব্যবহারকাণ্ডে দেশের শীর্ষ আদালত সাফ জানিয়ে দিল, নাগরিক সমাজকে নিশানা করা না হলে, জাতীয় নিরাপত্তার স্বার্থে স্পাইওয়্যার ব্যবহার করা অন্যায় নয়। ২০২১ সালে পেগাসাস স্পাইওয়্যার ব্যবহার প্রসঙ্গে জমা পড়া রিট পিটিশনের শুনানি হয় মঙ্গলবার, সুপ্রিম কোর্টের ডিভিশন বেঞ্চে। পেগাসাস নিয়ে এই জনস্বার্থ মামলার শুনানি চলাকালীন এদিন এমনই মন্তব্য করে শীর্ষ আদালত।

    আড়ি পাতার অভিযোগ (Pegasus Spyware)

    প্রসঙ্গত, পেগাসাস সফটওয়্যারের মাধ্যমে বিরোধীদের ফোনে আড়ি পাতার অভিযোগ উঠেছিল নরেন্দ্র মোদি সরকারের বিরুদ্ধে। আন্তর্জাতিক বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমেও এনিয়ে বিশদ রিপোর্ট প্রকাশিত হয়েছিল। তা নিয়ে একটি কমিটি গড়ে তদন্তের নির্দেশ দেয় দেশের শীর্ষ আদালত। যদিও সেই তদন্তের রিপোর্ট আজও দেখেনি দিনের আলো।

    কী বলল বেঞ্চ

    এদিন মামলাটির শুনানি হচ্ছিল বিচারপতি সূর্যকান্ত এবং বিচারপতি এন কোটিশ্বর সিংয়ের ডিভিশন বেঞ্চে। বেঞ্চের প্রশ্ন, “দেশ স্পাইওয়্যার ব্যবহার করলে সমস্যা কোথায়? বেঞ্চ সাফ জানিয়ে দেয়, একটা বিষয় স্পষ্ট হওয়া দরকার, স্পাইওয়্যার ব্যবহারে কোনও সমস্যা নেই। কারও কারও বিরুদ্ধে ব্যবহার করা যেতে পারে। দেশের নিরাপত্তার সঙ্গে আপস না করাই ভালো। কার বিরুদ্ধে ব্যবহার করা হচ্ছে, অবশ্যই সে প্রশ্ন উঠবে।” এর পরেই বেঞ্চ বলে, “নাগরিক সমাজের কারও বিরুদ্ধে ব্যবহার করা হলে, অবশ্যই দেখা হবে।” বিচারপতি সূর্যকান্ত (Supreme Court) বলেন, “আমরা যে পরিস্থিতির মুখোমুখি হচ্ছি, তাতে সাবধানী হতে হবে। ওয়াকিবহাল মহলের মতে, দক্ষিণ কাশ্মীরের পহেলগাঁওয়ে পর্যটকদের ওপর জঙ্গি হামলার প্রসঙ্গেই তিনি এমন মন্তব্য করেছেন।

    তদন্তের রিপোর্ট প্রকাশের দাবি

    আবেদনকারীর হয়ে এদিন আইনজীবী শ্যাম দিওয়ান পেগাসাস (Pegasus Spyware) তদন্তের রিপোর্ট প্রকাশের দাবিও জানান। সে প্রসঙ্গে সুপ্রিম কোর্ট সাফ জানিয়ে দেয়, দেশের নিরাপত্তা ও সার্বভৌমিকতার প্রশ্ন জড়িয়ে যে রিপোর্টের সঙ্গে, তা ছোঁয়া যাবে না। কিন্তু কোনও ব্যক্তি যদি জানতে চান, তাঁর নাম আছে কি না, আলাদাভাবে তাঁকে তা জানানো যাবে। এদিন মামলাকারীদের হয়ে সওয়াল করেছিলেন দীনেশ দ্বিবেদী নামেও এক আইনজীবী। তিনি বেঞ্চকে বলেন, পেগাসাস স্পাইওয়্যার কেন্দ্রীয় সরকার কিনেছে না কেনেনি, সেটা আমাদের সমস্যা নয়। আমার মামলাকারীদের অভিযোগ, কেন্দ্রের কাছে যদি সত্যই এটা থাকে, তবে তাদের এটা ব্যবহার করা থেকে নিয়ন্ত্রণ করার মতো কেউ নেই। এই প্রসঙ্গেই বিচারপতি সূর্যকান্তের পর্যবেক্ষণ, “সরকার যদি এই স্পাইওয়্যার ব্যবহার করেও, তাহলে সমস্যাটা কোথায়? স্পাইওয়্যার রাখায় কোনও সমস্যা নেই। আমরা কোনও মতেই দেশের নিরাপত্তাকে সঙ্কটে ফেলতে পারি না।”

    সলিসিটর জেনারেলের বক্তব্য

    কেন্দ্রের তরফে এদিন আদালতে সওয়াল করেছিলেন সলিসিটর জেনারেল তুষার মেহতা। তিনি বলেন, “জঙ্গিদের গোপনীয়তা রক্ষার কোনও অধিকার নেই (Supreme Court)।” এদিকে, অন্য কয়েকজন মামলাকারীর তরফে সওয়াল করেন আইনজীবী কপিল সিব্বল। মার্কিন ডিস্ট্রিক্ট আদালতের রায় তুলে ধরে তিনি বলেন, “ওদের আদালত আগেই বলেছিল, ভারত অন্যতম যেখানে পেগাসাস (Pegasus Spyware) ব্যবহার করতে দেখা গিয়েছে।”

    স্পাইওয়্যার পেগাসাস

    প্রসঙ্গত, ২০২১ সালে কেন্দ্রীয় সরকারের বিরুদ্ধে অভিযোগ ওঠে, ইজরায়েলি স্পাইওয়্যার পেগাসাস ব্যবহার করে বিরোধী দলের নেতানেত্রী এবং কয়েকজন সাংবাদিক ও বিশিষ্ট ব্যক্তির ফোনে আড়ি পাতছে কেন্দ্র। এই অভিযোগ নিয়ে সরব হয়েছিলেন কংগ্রেস সাংসদ রাহুল গান্ধী, তৃণমূল সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়, ভোটকুশলী প্রশান্ত কিশোর-সহ একাধিক নেতা। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণবের ফোনেও আড়ি পাতার অভিযোগ ওঠে। তা নিয়ে ব্যাপক শোরগোল হয়েছিল সেই সময়। সেই অভিযোগের ভিত্তিতেই সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হন কয়েকজন। সেই মামলারই শুনানি হল এদিন।

    ব্যক্তিগত গোপনীয়তার অধিকার

    পেগাসাসকে আড়িপাতার অভিযোগে দায়ি করেছিল আমেরিকার একটি আদালত। সেই সময় জানা গিয়েছিল, ১৪০০ ডিভাইসে তাদের স্পাইওয়্যার ইনস্টল করা হয়েছিল। মার্কিন আদালতের সেই রায়ের কপিও এদিন দেখতে চায় আদালত। ব্যক্তিবিশেষের উদ্বেগের কারণ থাকলেও, সেই সংক্রান্ত নথি রাস্তায় মুখরোচক আলোচনার বিষয় হতে পারে না বলেও জানিয়ে দেয় সুপ্রিম কোর্ট। দেশের শীর্ষ আদালত এদিন এও জানিয়ে দেয়, যাঁদের ব্যক্তিগত গোপনীয়তার অধিকার রয়েছে, তাঁদের সেই অধিকার নিশ্চিত করা হবে সংবিধানের আওতায়। ডিভিশন বেঞ্চ এটাও জানিয়ে দেয়, দেশের সুরক্ষা এবং সার্বভৌমত্ব সংক্রান্ত কোনও রিপোর্টে হাত দেওয়া যাবে না। তবে ব্যক্তিগত আশঙ্কার সমাধান করা হবে। সুপ্রিম কোর্ট (Supreme Court) এও জানিয়ে দিয়েছে, টেকনিক্যাল কমিটির রিপোর্টের কতটা অংশ কাউকে দেওয়া হবে, সেটা খতিয়ে দেখবে শীর্ষ আদালত (Pegasus Spyware)।

  • Pahalgam Attack: হামলার পর সক্রিয় একাধিক স্লিপার সেল! বন্ধ করা হল জম্মু-কাশ্মীরের ৪৮টি পর্যটন স্থল

    Pahalgam Attack: হামলার পর সক্রিয় একাধিক স্লিপার সেল! বন্ধ করা হল জম্মু-কাশ্মীরের ৪৮টি পর্যটন স্থল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পহেলগাঁওকাণ্ডের (Pahalgam Attack) জেরে বন্ধ করে দেওয়া হল জম্মু-কাশ্মীরের (Jammu and Kashmir) ৪৮টি পর্যটন স্থল। সব মিলিয়ে এখানে রয়েছে ৮৭টি পর্যটন স্থান। তারই একটা বড় অংশ আপাতত বন্ধ করে দেওয়া হল পর্যটকদের নিরাপত্তার কথা ভেবে। গত মঙ্গলবার দুপুরে দক্ষিণ কাশ্মীরের পহেলগাঁওয়ে জঙ্গিরা বেছে বেছে হত্যা করে ২৬ জন হিন্দু পর্যটককে। এক জঙ্গির হাত থেকে বন্দুক কেড়ে নিতে গিয়ে খুন হন স্থানীয় এক মুসলিমও। সব মিলিয়ে নিহতের সংখ্যা ২৮। জঙ্গিদের খোঁজে উপত্যকায় চলছে চিরুনি তল্লাশি। এমন আবহে গোয়েন্দারা জানতে পারেন, পহেলগাঁওয়ে হামলা সফল হওয়ায় উৎসাহিত হয়েছে জঙ্গিরা। তাই সক্রিয় হয়েছে উপত্যকায় বিভিন্ন জঙ্গি সংগঠনের কিছু স্লিপার সেল। তাদের অপারেশন শুরু করার নির্দেশও দেওয়া হয়েছে ওপর মহল থেকে। গোয়েন্দারা জেনেছেন, অদূর ভবিষ্যতে নিরাপত্তা বাহিনীর পাশাপাশি কাশ্মীরি নন, এমন ব্যক্তিদেরও লক্ষ্য করে হামলা চালানোর পরিকল্পনা করা হয়েছে। গোয়েন্দা সূত্র মারফত এমন খবর পেয়ে তৎপর হয়েছে প্রশাসন। তার জেরেই আপাতত বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে ৪৮টি পর্যটনস্থলের দ্বার।

    বাড়ছে জঙ্গিদের প্রতিশোধ স্পৃহা! (Pahalgam Attack)

    গোয়েন্দা সূত্রেই জানা গিয়েছে, পাকিস্তানের গোয়েন্দা সংস্থা আইএসআই শ্রীনগর ও গান্ডেরবাল জেলায় বিশেষ করে স্থানীয় নন এমন ব্যক্তি, সিআইডি কর্তা-কর্মচারী এবং কাশ্মীরি পণ্ডিতদের লক্ষ্য করে হামলার পরিকল্পনা করেছে (Jammu and Kashmir)।পহেলগাঁওকাণ্ডের পর কাশ্মীরে ৯ জন জঙ্গির বাড়ি ভেঙে গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। গোয়েন্দা সূত্রে খবর, এর পরেই জঙ্গিদের প্রতিশোধ স্পৃহা আরও জোরালো হয়েছে। সেই কারণেই এবার তারা শুরু করেছে আরও বড় ধরনের হামলা চালানোর সলতে পাকানোর কাজ। গোয়েন্দা রিপোর্টে আরও বলা হয়েছে, রেল পরিকাঠামোর সংবেদনশীলতা ও উপত্যকায় স্থানীয় নন এমন রেলকর্মীদের ব্যাপক (Pahalgam Attack) উপস্থিতির কারণে রেলওয়েকে লক্ষ্য করে জঙ্গি হামলার সম্ভাবনা উড়িয়ে দেওয়া যায় না। সেই কারণে গোয়েন্দা সংস্থাগুলি রেলওয়ে নিরাপত্তাকর্মীদের তাঁদের নির্ধারিত ক্যাম্প ও বারাকের বাইরে যাতায়াত না করার পরামর্শ দিয়েছে।

    এই জায়গাগুলি ঝুঁকিপূর্ণ

    কাশ্মীর প্রশাসনের প্রধান লক্ষ্য হল পর্যটকদের নিরাপত্তা। সে কথা বিবেচনা করেই আগেভাগে পদক্ষেপ করা হল। প্রশাসন সূত্রে খবর, এই ৪৮টি জায়গাকে ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। এই জায়গাগুলি হল, শ্রীনগরের জামিয়া মসজিদ, বাদামওয়ারি, রাজোরি কাদল হোটেল কানাজ, আলি কাদল জেজে ফুড রেস্তোরাঁ, আইভরি হোটেল, পদশপাল রিসর্ট এবং রেস্তোরাঁ, চেরি ট্রি রিসর্ট (ফকির গুজরি), নর্থ ক্লিফ ক্যাফে এবং স্টে প্যাটার্ন দ্বারা রিট্রিট, ফরেস্ট হিল কটেজ, ইকো ভিলেজ রিসর্ট, আস্তানমার্গ ভিউ পয়েন্ট, আস্তানমার্গ প্যারাগ্লাইডিং, মামনেথ এবং মহাদেব পাহাড়, বৌদ্ধ মঠ, দাচিগাম – বিয়ন্ড ট্রাউট ফার্ম / ফিশারিজ ফার্ম এবং আস্তানপোরা (বিশেষ করে কায়াম গাহ রিসর্ট এবং লাচপাত্রি)।

    দ্বার বন্ধ

    বারমুল্লা জেলার যে পর্যটন স্থলগুলি বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে নিরাপত্তার স্বার্থে, তার মধ্যে রয়েছে, উলার / ওয়াটল্যাব, রামপোরা এবং রাজপোরা, চেয়ারহার, মুন্ডিজ-হামাম-মারকুট জলপ্রপাত, খাম্পু, বসনিয়া, ভিজিটপ, বাবরেশি, শ্রুঞ্জ জলপ্রপাত, কামানপোস্ট, নাম্বলান জলপ্রপাত (Pahalgam Attack), ইকোপার্ক খাদনিয়ার, গোগলদারা, হাব্বা খাতুন পয়েন্ট, রিঙ্গাওয়ালি এবং বদরকোট। বদগাঁও জেলায় যেসব স্পট বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে, সেগুলি হল ইউসমার্গ, তৌসিময়দান এবং দুধপাথরি (Jammu and Kashmir)। অনন্তনাগ জেলায় বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে সূর্য মন্দির, ভেরিনাগ গার্ডেন, সিন্থান টপ, মারগানটপ এবং আকদ পার্ক। কুলগাঁও জেলায় বন্ধ করা হয়েছে আহরবাল এবং কাউসারনাগের দরজা। কুপওয়াড়া জেলায় বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে বাঙ্গুস, কারিওয়ান ডুবুরি চান্দিগাম এবং বাঙ্গুস ভ্যালি। গান্ডেরবাল জেলায় বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে হাং পার্ক এবং নারানাগ। পুলওয়ামা জেলায় বন্ধ করা হয়েছে একটিমাত্র পর্যটনস্থল। সেটি হল সাঙ্গারওয়ানি।

    এনআইএ-র তদন্ত

    প্রসঙ্গত, পহেলগাঁওয়ে জঙ্গি হামলার পরেও ভূস্বর্গে আসছেন পর্যটকরা। পহেলগাঁওয়েও বেড়াতে আসছিলেন পর্যটকরা। নিরাপত্তা রক্ষীরা রাজ্যজুড়ে জোরালো জঙ্গিদমন অভিযান শুরু করে। আটক করা হয় শতাধিক সন্দেহভাজন জঙ্গি এবং জঙ্গিদের প্রতি সহানুভূতিশীলকে (Pahalgam Attack)। গোয়েন্দারা জেনেছেন, পহেলগাঁওকাণ্ডে পাক মদতপুষ্ট জঙ্গিদের রাস্তা চিনিয়ে দিয়েছিল স্থানীয় এক জঙ্গি। সেই কারণেই আটক করা হয়েছে সন্দেহভাজনদের। দুরমুশ করে দেওয়া হয়েছে ৯ জঙ্গির বাড়ি। এদিকে, পহেলগাঁওয়ে জঙ্গি হামলার তদন্ত শুরু করেছে এনআইএ। ঘটনাস্থলে গিয়ে তারা অপরাধের দৃশ্য পুনর্নির্মাণ করেছে। এনআইএর আধিকারিকরা স্থানীয় কর্মচারীদের জিজ্ঞাসাবাদও করছেন। গুজরাটি পর্যটক ঋষি ভট্টের মতো যাঁরা সেদিন বেঁচে ফিরেছেন পহেলগাঁও থেকে এবং যাঁর (Jammu and Kashmir) ভিডিও ফুটেজে জঙ্গিদের ছবি ধরা পড়েছে, তাঁদেরও জেরা করা হবে বলে এনআইএ সূত্রে খবর (Pahalgam Attack)।

LinkedIn
Share