Category: দেশ

Get updates on India News Headlines National News from the Madhyom news portal madhyom.com, West Bengal leading news portal Madhyom.com

  • Smartphone’s Export: ২০১৪-এ ১৬৭তম স্থানে, ২০২৫ ভারতের শীর্ষ রফতানি পণ্য স্মার্টফোন! মোদি জমানার ১০ বছরে বিপুল সাফল্য

    Smartphone’s Export: ২০১৪-এ ১৬৭তম স্থানে, ২০২৫ ভারতের শীর্ষ রফতানি পণ্য স্মার্টফোন! মোদি জমানার ১০ বছরে বিপুল সাফল্য

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারতের বাজারে তৈরি হওয়া মোবাইল (India’s Smartphone) এখন বিশ্ব বাজারে দাপট দেখাচ্ছে। তৈরি হল নতুন মাইলস্টোন। ২০২৪-২৫ অর্থবছরের প্রথম ১০ মাসে ভারতে তৈরি মোবাইল বিশ্বের বাজারে ২ লক্ষ কোটি রফতানি (Smartphone’s Export) করা হয়েছে। এর ফলে ভারতের স্মার্টফোন রফতানি এক নজিরবিহীন উচ্চতায় পৌঁছেছে । এই সময়কালে, মোবাইল ফোন রফতানির মূল্য দাঁড়িয়েছে $১৮.৩১ বিলিয়ন (প্রায় ₹২ লক্ষ কোটি), যা ইতিহাসে প্রথমবারের মতো দেশের সর্ববৃহৎ একক রফতানি পণ্যে পরিণত হয়েছে। আইসিইএ-র পক্ষ থেকে এই তথ্য তুলে ধরা হয়েছে। ফলে ভারতে তৈরি মোবাইল শিল্প যে আগামীদিনে বিশ্বের বাজারে দাপট দেখাবে সেটা বলাই যায়।

    মেক ইন ইন্ডিয়া প্রকল্পের সাফল্য

    ভারতের বাণিজ্য দফতরের তথ্য অনুযায়ী, হরমোনাইজড সিস্টেম কোড (HS code)-এর ভিত্তিতে স্মার্টফোন এখন দেশের সর্বাধিক রফতানি হওয়া পণ্য, যা অটোমোটিভ ডিজেল ফুয়েলকে (মূল্য $১৬.০৪ বিলিয়ন) পেছনে ফেলেছে। ২০২৪-এ একই সময়ে (এপ্রিল-জানুয়ারি) স্মার্টফোন ছিল চতুর্থ স্থানে। এই অভাবনীয় উত্থানকে ‘মেক ইন ইন্ডিয়া’ প্রকল্প ও উৎপাদন-ভিত্তিক প্রেরণা (PLI) প্রকল্পের সাফল্য হিসেবে দেখছেন বিশেষজ্ঞরা। ২০১৪ সালে যেখানে স্মার্টফোন রফতানি ছিল ১৬৭তম স্থানে, আজ তা উঠে এসেছে শীর্ষে। ২০১৪ সালে ক্ষমতায় আসেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। তারপরই এই পরিবর্তন। ১০ বছরের মধ্যেই সাফল্যের শীর্ষে ভারতের স্মার্টফেন।

    যুক্তরাষ্ট্রে ২০৮% বেশি রফতানি

    আইসিইএ-র পক্ষ থেকে বলা হয়েছে এই শিল্পে যে হারে ভারত উন্নতি করছে তাতে এই শিল্প আগামীদিনে আরও উন্নতি করবে। চলতি বছরে এই শিল্পে ৫,১০,০০০ কোটি টাকার টার্গেট রাখা হয়েছে। এরফলে বিশ্বের বাজারে মোবাইল শিল্পে ভারত যে শুধু আত্মনির্ভর হয়েছে তাই নয়, ভারতে তৈরি মোবাইল (India’s Smartphone) বিশ্বের বাজারে যে কতটা স্থান নিয়েছে সেটাও সামনে এসে গিয়েছে। ২০২৫ অর্থবর্ষের এপ্রিল-জানুয়ারি সময়কালে স্মার্টফোন রফতানি বৃদ্ধি পেয়েছে ৫৪.৭ শতাংশ, যেখানে গত অর্থবছরে একই সময়ে তা ছিল $১১.৮৩ বিলিয়ন। বিশেষ করে অ্যাপল-এর আইফোন-এর নেতৃত্বে যুক্তরাষ্ট্রে রফতানির পরিমাণ বৃদ্ধি পেয়েছে ২০৮%। ভারতের স্মার্টফোন রফতানির $৬.৬ বিলিয়ন গেছে যুক্তরাষ্ট্রে।

    মহিলা কর্মসংস্থানে নতুন দিগন্ত

    ইলেকট্রনিক্স ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব জানিয়েছেন, ২০২৫ অর্থবর্ষে ২ লক্ষ কোটি মূল্যের রফতানি (Smartphone’s Export) হয়েছে স্মার্টফোন খাতে, যার মধ্যে আইফোন-এর অংশ ১.৫ লক্ষ কোটি। তিনি বলেন, “এই সাফল্য ১০ বছরের সরকার ও শিল্পক্ষেত্রের যৌথ প্রচেষ্টার ফল।” এই খাতে লক্ষ লক্ষ নতুন কর্মসংস্থান তৈরি হয়েছে, বিশেষ করে নারীদের জন্য, এবং ভারতের ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প উদ্যোগী সংস্থাগুলির জন্য নতুন সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে। মন্ত্রী আরও জানান, গত দশ বছরে ইলেকট্রনিক্স উৎপাদন পাঁচ গুণ এবং রফতানি ছয় গুণ বেড়েছে। বর্তমানে উৎপাদন বৃদ্ধির হার ১৭% রফতানির ক্ষেত্রে তা ২০%। দেশের ৪০০-রও বেশি উৎপাদন ইউনিট এখন বিভিন্ন ইলেকট্রনিক্স কম্পোনেন্ট তৈরি করছে। সেই সঙ্গে, সরকার নতুন ইলেকট্রনিক্স কম্পোনেন্ট ম্যানুফ্যাকচারিং স্কিম-এর বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করতে চলেছে। কেন্দ্র ইতিমধ্যেই ২২,৯১৯ কোটি টাকা অনুমোদন দিয়েছে এই প্রকল্পে। এর আওতায় কনজিউমার ইলেকট্রনিক্স, মেডিকেল ইলেকট্রনিক্স, পাওয়ার ইলেকট্রনিক্স, অটোমোবাইল ও অন্যান্য সেক্টরে ব্যবহৃত অ্যাকটিভ ও প্যাসিভ কম্পোনেন্ট তৈরির ওপর জোর দেওয়া হবে।

    আন্তর্জাতিক বিনিয়োগ

    বিগত বছর থেকে এই রফতানির পরিমান অনেকটাই বেশি তা এবারের এই হার থেকেই স্পষ্ট। ভারতের তৈরি মোবাইল ফোন যে গোটা বিশ্ব মেনে নিয়েছে তা এখান থেকেই স্পষ্ট। তবে এই সফর এখানেই থেমে থাকবে না। এই শিল্পে আরও সুযোগ রয়েছে। যেভাবে ভারতের (India’s Smartphone) বাজারে মোবাইলের যন্ত্রাংশ তৈরিতে জোর দেওয়া হয়েছে সেখান থেকে আগামীদিনে এই পরিস্থিতি আরও উন্নতি ঘটবে। কেন্দ্রীয় সরকার এবিষয়ে বিশেষ উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। ভারতে তৈরি মোবাইল যাতে বিশ্বের দরবারে আরও ব্যবসা করবে সেটাই এখন প্রধান টার্গেট। মনে করা হচ্ছে আগামী কয়েক বছরের মধ্যে ভারত মোবাইল ফোন তৈরিতে অনেক বেশি আত্মনির্ভর হয়ে যাবে। সেখান থেকে ভারতে এই শিল্প অনেক বেশি কর্মসংস্থানও তৈরি করবে। বিশ্বখ্যাত সংস্থা মার্ক ও লিন্ডে ইতিমধ্যেই ভারতে তাদের উৎপাদন কেন্দ্র স্থাপন করছে। সরকার জানিয়েছে, দেশে ক্যাপিটাল ইকুইপমেন্ট তৈরিতে পূর্ণ সহযোগিতা করা হবে। এই অসাধারণ সাফল্য ভারতের ইলেকট্রনিক্স উৎপাদন ক্ষমতা ও রফতানি সক্ষমতার এক যুগান্তকারী দৃষ্টান্ত—এমনটাই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।

    চিন নির্ভরতা অতীত

    এতদিন পর্যন্ত ভারত মোবাইলের বিষয়ে প্রধানত চিনের উপর নির্ভর করে থাকত। সেখান থেকে আসা মোবাইল ফোন নিয়ে নানা ধরনের সমস্যা এবং বিতর্ক তৈরি হয়েছিল। তবে সেখান থেকে ধীরে ধীরে সরে এসেছে ভারত। এখন সম্পূর্ণ দেশীয় পদ্ধতিতে মোবাইল ফোন বানিয়ে ভারত নিজের আলাদা পরিচিতি তৈরি করেছে। এই রফতানির (Smartphone’s Export) হিসেব তার বিরাট প্রমাণ।

     

     

  • RSS: ‘এক কূপ-এক মন্দির-এক শ্মশান’ নীতিতে জোর, জাতিগত বৈষম্য ভুলে হিন্দু ঐক্য গড়ার ডাক ভাগবতের

    RSS: ‘এক কূপ-এক মন্দির-এক শ্মশান’ নীতিতে জোর, জাতিগত বৈষম্য ভুলে হিন্দু ঐক্য গড়ার ডাক ভাগবতের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: জাতিভেদ প্রথার বিরুদ্ধে বরাবরই সরব আরএসএস। এনিয়ে দেশজুড়ে চলছে সংঘের (RSS) অজস্র কর্মসূচি। এই আবহে জাতিগত বৈষম্য দূর করতে এবং হিন্দু ঐক্য গড়ে তুলতে, রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘের (আরএসএস) প্রধান মোহন ভাগবত ‘‘এক কূপ, এক মন্দির এবং এক শ্মশান’’ নীতির কথা উল্লেখ করেন। তাঁর মতে, ‘‘ভারতের সর্বশ্রেষ্ঠ সম্পদ হল সংস্কৃতি। এটি সংরক্ষণ করা আমাদের দায়িত্ব।’’

    আলিগড়েই এই কথাগুলি বলেন মোহন ভাগবত (Mohan Bhagwat)

    আরএসএস প্রধান (RSS) মোহন ভাগবতের মতে, ‘‘সামাজিক সদ্ভাবনা তখনই বাস্তবে পরিণত হবে, যদি আমরা এক কূপ, এক মন্দির এবং এক শ্মশানের নীতিকে অনুসরণ করে চলি। এটি হিন্দুদের মধ্যে জাতিগত পার্থক্য, বৈষম্য দূর করবে। একইসঙ্গে সমাজের সকল শ্রেণির মধ্যে ঐক্য গড়ে তুলতে সাহায্য করবে।’’ প্রসঙ্গত, গত ১৯ এপ্রিল শনিবার আলিগড়ে আরএসএস স্বয়ংসেবকদের উদ্দেশে ভাষণ দেওয়ার সময় মোহন ভাগবত একথাগুলি বলেন।

    ‘পঞ্চ পরিবর্তন’-এর কথাও বলেন ভাগবত (Mohan Bhagwat)

    আরএসএস (RSS) প্রধান মোহন ভাগবত পাঁচ দিনের সফরে রয়েছেন উত্তরপ্রদেশে। শনিবারই তিনি হাজির ছিলেন আলিগড়ের এইচবি ইন্টার কলেজে। সেখানেই তিনি বক্তব্য রাখেন। হিন্দু সমাজ, হিন্দু জীবন দর্শনের নানা দিকে তিনি আলোকপাত করেন। হিন্দু সমাজে ঐক্য গড়ে তোলার আহ্বানও জানান তিনি। এর পাশাপাশি, ভাগবত আরএসএস-র নীতি ‘পঞ্চ পরিবর্তনের কথা বলেন। এরই মাধ্যমে ভারতীয় সমাজে পরিবর্তন আসবে বলেও জানা তিনি। ‘পঞ্চ পরিবর্তন’-এর পাঁচটি নীতি হল কুটুম্ব প্রবোধন (পারিবারিক সচেতনতা), সামাজিক সদ্ভাবনা (সামাজিক সম্প্রীতি), স্বদেশী (আত্মনির্ভরশীলতা), পরিবেশ (পরিবেশ) এবং নাগরিক অনুশাসন (নাগরিক শৃঙ্খলা)। নিজের ভাষণে ভাগবত বলেন, ‘‘শান্তি ও সমৃদ্ধির দিকে এগিয়ে যেতে গোটা বিশ্ব ভারতের দিকে তাকিয়ে আছে। সমাজ নিজে নিজেই পরিবর্তিত হবে না। আমাদের ঘরে ঘরে পৌঁছে সমাজকে জাগিয়ে তুলতে হবে।’’ একই সঙ্গে হিন্দু সমাজকে ঐক্যবদ্ধ করতে তিনি প্রত্যেক স্বয়ংসেবককে (RSS) সক্রিয় হতে বলেন। হিন্দু সমাজের মধ্যে ভ্রাতৃত্ববোধ জাগিয়ে তোলার কথাও বলেন তিনি।

  • Jammu and Kashmir: বিপর্যস্ত জম্মু-কাশ্মীর! হড়পা বানে মৃত এক শিশু সহ তিন, নজর রাখছে কেন্দ্র

    Jammu and Kashmir: বিপর্যস্ত জম্মু-কাশ্মীর! হড়পা বানে মৃত এক শিশু সহ তিন, নজর রাখছে কেন্দ্র

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: জম্মু-কাশ্মীরে (Jammu and Kashmir) ব্যাপক প্রাকৃতিক দুর্যোগ দেখা দিয়েছে। জানা গিয়েছে, সে রাজ্যের রামবান জেলার ধর্মকুন্ড গ্রামে রাতভর বৃষ্টির জেরে হড়পা বান (Heavy Rain) নামে। এর জেরেই প্রাণ হারিয়েছেন ৩ জন। মৃতদের মধ্যে রয়েছে এক শিশুও। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত এখনও নিখোঁজ রয়েছেন এক জন। হড়পা বানের জেরে ভেসে গিয়েছে বহু বাড়ি। একইসঙ্গে বিপুল ক্ষয়ক্ষতির মুখে পড়েছে গোটা এলাকা।

    নজর রাখছে কেন্দ্র

    পরিস্থিতির ওপর নজর রাখছে কেন্দ্রও, একথা জানিয়েছেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী জিতেন্দ্র সিং। এক্স হ্যান্ডেলে তিনি লিখেছেন, ‘‘রাতভর প্রবল শিলাবৃষ্টি, একাধিক ভূমিধসের কারণে রামবান অঞ্চলের (Heavy Rain) আশেপাশের এলাকাগুলি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। জাতীয় সড়ক অবরুদ্ধ হয়েছে। দুর্ভাগ্যবশত কয়েকটি পরিবারের ৩ জন নিহত হয়েছে। আর্থিক এবং অন্যান্য সকল ধরণের ত্রাণ সরবরাহ করা হচ্ছে। কেউ আতঙ্কিত হবেন না। আমরা সকলে মিলে এই প্রাকৃতিক দুর্যোগ কাটিয়ে উঠব।’’

    বৃষ্টির জেরে বহু জায়গায় ধসও নেমেছে

    একটানা ভারী বৃষ্টির (Jammu and Kashmir) জেরে বহু জায়গায় ধসও নেমেছে। ধসের কারণে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বহু ঘর-বাড়ি। প্রশাসনের তরফ থেকে শুরু হয়েছে উদ্ধারকাজ। ধসপ্রবণ এলাকা থেকে একাধিক পরিবারকে নিরাপদ জায়গায় সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। এর পাশাপাশি জাতীয় সড়কে পণ্যবাহী গাড়িগুলির যাতায়াতও আপাতত বন্ধ রাখা হয়েছে। ভূমিধসের কারণে শত শত গাড়ি ইতিমধ্যে আটকে পড়েছে রাস্তায়। প্রশাসনের তরফে জানানো হয়েছে, আবহাওয়ার উন্নতি না হওয়া পর্যন্ত পর্যটকদের সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে।

    পুলিশের বিবৃতি (Jammu and Kashmir)

    অন্যদিকে ভয়ঙ্করভাবে বাড়তে দেখা যাচ্ছে চন্দ্রভাগা নদীর জলস্তর। এর ফলে নিচু এলাকাগুলি প্লাবিত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। স্থানীয় কর্তৃপক্ষের তরফে জানানো হয়েছে, বন্যার কারণে দশটি বাড়ি সম্পূর্ণ ধ্বংস হয়ে গিয়েছে এবং ২৫-৩০ টি বাড়ি আংশিক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।ধর্মকুন্ডের পুলিশের তরফ থেকে বিবৃতি দেওয়া হয়েছে সংবাদমাধ্যমের সামনে। তারা জানিয়েছে, রবিবার সকাল থেকেই বৃষ্টির পরিমাণ আরও বাড়ে। এরপরেই দ্রুত উদ্ধারকার্য শুরু হয়। ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা থেকে ৯০-১০০ জনকে উদ্ধার করা হয় বলে জানিয়েছে পুলিশ। তাঁদেরকে বর্তমানে নিরাপদ স্থানে আশ্রয় দেওয়া হয়েছে। পুলিশের তরফ থেকেই জানানো হয়েছে, দুর্যোগের কারণে তিনজনের মৃত্যু হয়েছে (Jammu and Kashmir)। মৃতদের মধ্যে একটি শিশুও রয়েছে বলে জানা যাচ্ছে। একজন নিখোঁজও রয়েছেন বলে জানিয়েছে পুলিশ। ওই ব্যক্তির সন্ধানে তল্লাশি চলছে।

  • Maharashtra: বরফ যুগের শেষে বাস করত ভারতে, ২৫,০০০ বছরের পুরনো হাতির জীবাশ্ম আবিষ্কার মহারাষ্ট্রে

    Maharashtra: বরফ যুগের শেষে বাস করত ভারতে, ২৫,০০০ বছরের পুরনো হাতির জীবাশ্ম আবিষ্কার মহারাষ্ট্রে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ২৫ হাজার বছর আগে বিলুপ্ত হয়ে যাওয়া হাতির জীবাশ্মের সন্ধান পাওয়া গেল মহারাষ্ট্রে (Maharashtra)। মহারাষ্ট্রে এই ধরনের আবিষ্কার প্রথম করেছেন এক গবেষক। সে রাজ্যের চন্দ্রপুরে গবেষক অধ্যাপক সুরেশ চপান মহারাষ্ট্রে বিলুপ্ত স্টেগোডন গণেশের বিরল জীবাশ্ম খুঁজে পেয়েছেন। যা একটি প্রাচীন হাতির প্রজাতি। একে আধুনিক কালের এশিয়াটিক হাতির পূর্বপুরুষ বলা হয়। অধ্যাপক চোপান জানিয়েছেন, জীবাশ্মগুলি ২৫,০০০ বছরের পুরনো এবং তা প্লাইস্টোসিন যুগের শেষের দিকে ছিল পৃথিবীতে। এই জীবাশ্মগুলি ওয়ার্ধা এবং পাইনগঙ্গা নদীর সঙ্গমস্থলে পাওয়া গিয়েছে (Fossils Of Extinct Elephant)।

    ৯ বছর ধরে চলেছে গবেষণা

    জানা যাচ্ছে, এই কাজে গবেষকরা (Maharashtra) নয় বছর ধরে একটানা গবেষণা চালিয়েছিলেন। এই জীবাশ্ম বিশ্লেষণ করার পর, ওয়াদিয়া ইনস্টিটিউট অফ হিমালয়ান জিওলজির প্রাক্তন অধ্যাপক এবং গবেষক অবিনাশ নন্দ সহ অন্যান্য বিদেশী গবেষকরাও জানিয়েছেন যে জীবাশ্মগুলি বিলুপ্ত স্টেগোডন হাতির। অধ্যাপক সুরেশ চপান এবিষয়ে বলছেন, ‘‘ বিলুপ্ত হাতিদের এশীয় হাতির পূর্বপুরুষ বলা হয়। এই স্থানে বিলুপ্ত হাতির মতো মাথা এলিফাস নামাডিকাসের আবিষ্কার করা গিয়েছে। এই প্রজাতির হাতি ২ লক্ষ থেকে ১১,৭০০ বছর আগে প্লাইস্টোসিন যুগে ভারতে বাস করত। বরফ যুগের একেবারে শেষের দিকে। যখন এই বরফ যুগ শেষ হয়, তখন ভারতে বিশাল বন্যা হয়। এই বন্যায় অনেক প্রজাতি ভেসে যায়।’’

    জীবাশ্মের হাতিটি ছিল ১৫ ফুট লম্বা (Fossils Of Extinct Elephant)

    সুরেশ জানিয়েছেন, যে জীবাশ্ম মিলেছে ওই হাতিটি ১৫ ফুট লম্বা ছিল এবং এর জীবাশ্মগুলি প্রথমবারের মতো মহারাষ্ট্রে (Maharashtra) পাওয়া গিয়েছে। গবেষক জানিয়েছেন, এই জীবাশ্ম আবিষ্কারের পর তিনি কলকাতায় জিওলজিক্যাল সার্ভে অফ ইন্ডিয়ার সদর দফতরে এই বিষয়ে অবহিত করেন। গবেষক জানিয়েছেন, নয় বছর আগে, তিনি ওয়ার্ধা নদী থেকে আনা বালিতে জীবাশ্ম প্রথম খুঁজে পেয়েছিলেন। এই জীবাশ্মগুলি খুবই ছোট এবং ভঙ্গুর ছিল।এরপর তিনি নদীর তলদেশে আরও জীবাশ্ম খুঁজে পেয়েছিলেন বলে জানিয়েছেন। ২০২০ সালে, চন্দ্রপুর তালুকে ওয়ার্ধা এবং পাইনগঙ্গা নদীর সঙ্গমস্থলে তিনি জীবাশ্ম খুঁজে পেয়েছিলেন।

  • MK Stalin: ডিএমকে জোটে আসছে না পিএমকে, জানালেন তামিলনাড়ুর মুখ্যমন্ত্রী স্ট্যালিন

    MK Stalin: ডিএমকে জোটে আসছে না পিএমকে, জানালেন তামিলনাড়ুর মুখ্যমন্ত্রী স্ট্যালিন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ২০২৬ সালের বিধানসভা নির্বাচন রয়েছে তামিলনাড়ুতে (Tamil Nadu)। কোন দল কোন জোটে থাকবে, তা নিয়ে জোর চর্চা শুরু হয়েছে। সম্প্রতি দক্ষিণ ভারতের এই রাজ্যের সফর করেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। তিনি ফের একবার বিজেপি ও এআইএডিএমকে জোটের কথা ঘোষণা করেন এক সাংবাদিক সম্মেলনের মাধ্যমে। এই সময়ই জল্পনা ছড়িয়ে পড়ে যে তামিলনাড়ুর অন্যতম ছোট রাজনৈতিক দল পিএমকে তারা শাসক দল ডিএমকে জোটে যোগ দিতে চলেছে। কিন্তু তামিলনাড়ুর মুখ্যমন্ত্রী এম কে স্ট্যালিন সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া এক বিবৃতিতে একথা অস্বীকার করেছেন। স্ট্যালিন (MK Stalin) এই ঘটনাকে গুজব বলে উড়িয়ে দিয়েছেন।

    তামিলনাড়ুতে (Tamil Nadu) জোট রাজনীতি নিয়ে চলছে চর্চা

    প্রসঙ্গত, এআইএডিএমকে ও বিজেপির জোট চূড়ান্ত হওয়ার পর থেকে তামিলনাড়ুর রাজনৈতিক মহলে ফের একবার ব্যাপক আলোড়ন শুরু হয়ে গিয়েছে। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ সেই সাংবাদিক বৈঠকেই ঘোষণা করেন এই জোটের গৌরবময় অধ্যায় নিয়ে। তখন তাঁকে বলতে শোনা যায়, একসময় এই জোটই তামিলনাড়ুতে ৩৯টির মধ্যে ত্রিশটি লোকসভার আসনে জয়ী হয়েছিল। অন্যদিকে ডিএমকে জোটসঙ্গীদের মধ্যে রয়েছে কংগ্রেস-ভিসিকে এবং অন্যান্য বামপন্থী দলগুলি। এই অবস্থায় জল্পনা ছড়ায় যে তামিলনাড়ুর দল পিএমকে, ডিএমকে জোটে যোগ দিতে আগ্রহী হয়েছে। কিন্তু এমন দাবি নস্যাৎ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী এম কে স্ট্যালিন (MK Stalin)।

    উত্তর তামিলনাড়ুতে ভালোই ভোট ব্যাঙ্ক রয়েছে পিএমকে দলের

    বিশেষজ্ঞ মহল বলছে, উত্তর তামিলনাড়ুতে পিএমকে-র বেশ ভালোই ভোট ব্যাঙ্ক রয়েছে। অন্যদিকে, ডিএমকে দলের জোট সঙ্গী ভিসিকে দলের সে রাজ্যের তপশিলি জাতিদের মধ্যে ভালো প্রভাব রয়েছে। এবার পিএমকে, ডিএমকে সঙ্গে জোটে এলে ভিসিকে জোট ছেড়ে যাওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছে। এই পরিস্থিতিতে সম্প্রতি একটি ইংরেজি দৈনিককে সাক্ষাৎকার দেন তামিলনাড়ুর মুখ্যমন্ত্রী এম কে স্ট্যালিন (MK Stalin)। সেখানেই তাঁকে প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করা হয় পিএমকে-র সঙ্গে ডিএমকে জোট নিয়ে। তারই জবাবে স্ট্যালিন জানান, সাংবাদিক যে ধরনের প্রশ্ন করছেন সেটি একটি গুজব। তাঁদের এধরনের জোটের কোনও ইচ্ছা নেই।

  • Amit Shah: ওজন কমানোর ‘মন্ত্র’ দিলেন অমিত শাহ, ফাঁস করলেন রহস্যও

    Amit Shah: ওজন কমানোর ‘মন্ত্র’ দিলেন অমিত শাহ, ফাঁস করলেন রহস্যও

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ওজন কমানোর ‘মন্ত্র’ দিলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ (Amit Shah)। শনিবার তিনি ফাঁস করলেন তাঁর ফিট থাকার রহস্য। কীভাবেই বা তিনি দিনে এত পরিশ্রম করতে পারেন (Weight Loss Mantra), তাও খোলসা করলেন বিজেপির এই নেতা। শনিবার বিশ্ব লিভার দিবস উপলক্ষে ইনস্টিটিউট অফ লিভার অ্যান্ড বিলিয়ারি সায়েন্সেসের এক অনুষ্ঠানে ভাষণ দেওয়ার সময় তিনি জানান তাঁর ফিট থাকার রহস্য।

    শাহি পরামর্শ (Amit Shah)

    সুস্বাস্থ্য নিশ্চিত করতে যুব সমাজকে প্রতিদিন দু’ঘণ্টা করে ব্যায়াম ও ছ’ঘণ্টা করে ঘুমোনোর পরামর্শ দেন। নিজে কীভাবে ওজন কমিয়েছেন, তাও জানিয়েছেন শাহ। বলেন, “২০২৯ সালের মে মাস থেকে এখনও পর্যন্ত আমি অনেক বড় পরিবর্তন করেছি। সঠিক পরিমাণে ঘুম, বিশুদ্ধ জল পান, খাবার এবং ব্যায়ামের মাধ্যমে আমি জীবনে অনেক কিছু অর্জন করেছি। গত সাড়ে চার বছরে আমি সমস্ত অ্যালোপ্যাথিক ওষুধ থেকে মুক্ত হয়েছি।” তিনি বলেন, “এটি আমার কাজ করার, চিন্তা করার এবং সিদ্ধান্ত গ্রহণের ক্ষমতা বৃদ্ধিতে সাহায্য করেছে।”

    কার্টুন উপভোগ করেন!

    কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী (Amit Shah) এদিন আইএলবিএসে একটি লিভার প্রতিস্থাপন কেন্দ্রের উদ্বোধন করেন। একটি কার্টুন গ্যালারিও পরিদর্শন করেন। তিনি বলেন, “আমি কার্টুনগুলো উপভোগ করি, যার মধ্যে আমার ওপর ভিত্তি করে তৈরি কার্টুনগুলোও রয়েছে।” লিভারের স্বাস্থ্য সম্পর্কে সচেতনতা বৃদ্ধিতে তৈরি গ্যালারি ও ইনস্টিটিউটের অন্যান্য উদ্যোগের জন্য আইএলবিএস পরিচালক ডঃ এস সারিনের প্রশাংসাও করেন তিনি।

    এর পরেই দেশবাসীকে ব্যায়াম করার পরামর্শ দেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। ঘুমকেও গুরুত্ব দিতে বলেন। কর্পোরেট সংস্থাগুলিকে লিভারের স্বাস্থ্যের গুরুত্ব প্রচার করার ও লিভারের চিকিৎসা ও গবেষণার ক্ষেত্রে কাজ করছে যেসব প্রতিষ্ঠান, সেগুলিকে সমর্থন করার আহ্বানও জানান তিনি। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, “আমি তাঁদের অনুরোধ করছি, তাঁরা যেন প্রতিদিন তাঁদের শরীর সুস্থ্য রাখতে দু’ঘণ্টা করে ব্যায়াম করেন এবং তাঁদের মস্তিষ্কের জন্য ছ’ঘণ্টা ঘুমোন (Amit Shah)। এটি অত্যন্ত কার্যকর হবে। এটি আমার নিজস্ব অভিজ্ঞতা (Weight Loss Mantra)।”

  • Kailash Mansarovar Yatra: গলেছে ভারত-চিন সম্পর্কের বরফ, ৫ বছর পর ফের শুরু হচ্ছে কৈলাশ-মানস যাত্রা

    Kailash Mansarovar Yatra: গলেছে ভারত-চিন সম্পর্কের বরফ, ৫ বছর পর ফের শুরু হচ্ছে কৈলাশ-মানস যাত্রা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফি বছর হাজার হাজার ভক্তকে আকর্ষণ করে কৈলাস-মানস সরোবর যাত্রা (Kailash Mansarovar Yatra)। গত পাঁচ বছর বন্ধ ছিল এই যাত্রা। এবার ফের চালু হতে চলেছে। শীঘ্রই জারি হবে নাম নথিভুক্তকরণের বিজ্ঞপ্তি (New Route)। এটি ভারত-চিন সম্পর্কের ক্ষেত্রে একটি উল্লেখযোগ্য অগ্রগতির ইঙ্গিত। কোভিড-১৯ অতিমারি এবং দুই দেশের মধ্যে সীমান্তে উত্তেজনা বৃদ্ধির কারণে ২০২০ সাল থেকে বন্ধ ছিল এই তীর্থ যাত্রা। এবারই ফের শুরু হচ্ছে যাত্রা। হিন্দু, বৌদ্ধ ও জৈন ধর্মাবলম্বীদের কাছে সমানভাবে পবিত্র কৈলাস মানস সরোবর যাত্রা। এই যাত্রাকে ঐতিহ্যগতভাবে আধ্যাত্মিক মুক্তি ও শুদ্ধির পথ হিসেবে বিবেচনা করা হয়, যা হিমালয়ের দুর্বোধ্য প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের মাঝে আন্তঃসাংস্কৃতিক সম্প্রীতির প্রতীকও।

    কৈলাশ মানস সরোবর যাত্রা (Kailash Mansarovar Yatra)

    ভারত ও চিনের মধ্যে উত্তেজনা প্রশমিত হওয়ার ফলশ্রুতিতেই কৈলাশ মানস সরোবর যাত্রা ফের শুরু করার কথা ঘোষণা করা হয়েছে। গালওয়ান উপত্যকায় সহিংস সংঘর্ষের পর দুই দেশের সম্পর্ক প্রবল উত্তপ্ত হয়ে উঠেছিল। ভারত ও চিনের মধ্যে কূটনৈতিক আলোচনার প্রেক্ষিতে পূর্ব লাদাখের ডেমচোক ও ডেপসাংয়ের মতো সংবেদনশীল অঞ্চলগুলিতে উল্লেখযোগ্যভাবে সৈন্য প্রত্যাহার করা হয়েছে। তার জেরে যাত্রা ফের চালুর অনুকূল পরিবেশ সৃষ্টি হয়েছে। বিদেশমন্ত্রকের তরফে শীঘ্রই ফের যাত্রা শুরু সংক্রান্ত একটি সরকারি বিজ্ঞপ্তি জারি হতে পারে বলে জানানো হয়েছে। মন্ত্রকের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল প্রস্তুতির কথা স্বীকার করে বলেন, “আমরা শীঘ্রই এ সংক্রান্ত বিজ্ঞপ্তি জারি করব। যাত্রা অচিরেই শুরু হওয়ার প্রবল সম্ভাবনা রয়েছে (New Route)।”

    নয়া পথের সন্ধান

    কৈলাশ মানস সরোবর যাত্রা ফের শুরু করতে ভারত ও চিনের কর্তাদের মধ্যে আলোচনার পর নয়া পথের সন্ধান মিলেছে। সূত্রের খবর, লিপুলেখ পাসের ঐতিহ্যবাহী পথের পাশাপাশি ডেমচোক দিয়েও যাত্রাপথ বিবেচনা করা হতে পারে। তবে এটি চূড়ান্ত হবে আরও কিছু সমীক্ষার পর। দুই দেশের মধ্যে চলা আলোচনার প্রেক্ষাপটে যাত্রার নিরাপত্তা ও সুগমতা বাড়াতেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এটি  একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ বলেই ধারণা ওয়াকিবহাল মহলের (Kailash Mansarovar Yatra)।যদিও নতুন রুটগুলির নির্দিষ্ট বিবরণ এখনও প্রকাশ করা হয়নি। তবে বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র পুণ্যার্থীদের এই বলে আশ্বস্ত করেছেন যে ২০২৫ সালে এই যাত্রা অনুষ্ঠিত হবে। শীঘ্রই এ ব্যাপারে আরও তথ্য শেয়ার করা হবে। তিনি বলেন, “আমরা প্রস্তুতি নিচ্ছি, এবং শীঘ্রই জনসাধারণের জন্য আরও তথ্য প্রকাশ করা হবে।”

    যাত্রা বন্ধ ছিল পাঁচ বছর

    সাধারণত জুন থেকে সেপ্টেম্বরের মধ্যে অনুষ্ঠিত কৈলাশ মানস সরোবর যাত্রা। লক্ষাধিক ভক্তের কাছে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ধর্মীয় তীর্থযাত্রাগুলির মধ্যে একটি এই কৈলাশ মানস সরোবর যাত্রা। তবে, কোভিড-১৯ অতিমারি ও পরবর্তী কালে ভারত ও চিনের মধ্যে সীমান্তে উত্তেজনার কারণে এই যাত্রা ব্যাহত হয়েছে। উভয় দেশই এই উত্তেজনা কমানোর লক্ষ্যে কাজ করেছে। তারই প্রেক্ষিতে যাত্রা ফের শুরু করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে (Kailash Mansarovar Yatra)। ভারত ও চিন দুই দেশের সম্পর্কের এই অগ্রগতি দুই দেশের মধ্যে কূটনৈতিক সম্পর্কের ৭৫তম বার্ষিকীর সঙ্গেও মিলে যাচ্ছে। চলতি বছরের মার্চ মাসে উভয় দেশের শীর্ষ কর্তারা বেইজিংয়ে বৈঠক করে বিভিন্ন দ্বিপাক্ষিক বিষয়ে অগ্রগতি মূল্যায়ন করেন, যার মধ্যে কৈলাশ মানস সরোবর যাত্রা পুনরায় শুরু করাও অন্তর্ভুক্ত ছিল (New Route)।

    গালওয়ান উপত্যকায় সংঘাত

    প্রসঙ্গত, গালওয়ান উপত্যকায় সংঘাতের পর কূটনৈতিক আলোচনার পাশাপাশি গত বছর নভেম্বর মাসে রিও ডি জেনিরোতে জি-২০ শীর্ষ সম্মেলনের সময়ও কৈলাশ মানস সরোবর যাত্রা নিয়ে আলোচনা হয় ভারত ও চিনের মধ্যে। ভারতের বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর এবং চিনের বিদেশমন্ত্রী ওয়াং ই যাত্রার ভবিষ্যৎ নিয়ে কথা বলেন। তার পরেই তীর্থযাত্রা ফের শুরু করতে কূটনৈতিক আলাপ-আলোচনা আরও শক্তিশালী হয়। ২০২৫ সালের শুরুতেই ভারত ও চিনের বিদেশমন্ত্রকের কর্তারা কৈলাস মানস সরোবর যাত্রা পুনরায় চালুর বিষয়ে চূড়ান্ত বিস্তারিত আলোচনা করেন। জানুয়ারি ২০২৫-এর আলোচনায় যাত্রা পুনরায় শুরু করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়, যা এই পবিত্র যাত্রায় অংশ নিতে আগ্রহী ভক্তদের জন্য একটি ইতিবাচক ফল নিয়ে আসে (Kailash Mansarovar Yatra)।

    কোন পথে যাত্রা

    এর আগে মূলত সিকিমের নাথু লা এবং উত্তরাখণ্ডের লিপুলেখ পাসের মাধ্যমে ভারত থেকে তিব্বতে প্রবেশ করতেন ভারতীয়রা। তারপর কড়া নিরাপত্তার বলয়ে তাঁদের কৈলাস-মানস পর্যন্ত নিয়ে যেত চিন প্রশাসন। উত্তরাখণ্ডের পথে এই যাত্রার তিনটি ভাগ রয়েছে। প্রথম ভাগে যেতে হয় পিথোরাগড় থেকে তাওয়াঘাট। দ্বিতীয় পর্যায়ে যাত্রা শুরু হয় তাওয়াঘাট থেকে। পৌঁছতে হয় ঘটিয়াবগড় (New Route)। এই ঘটিয়াবগড় থেকে চিন সীমান্ত লাগোয়া লিপুলেখ পাস পর্যন্ত রাস্তার দূরত্ব ৮০ কিলোমিটার। বর্তমানে এই রাস্তাটা গাড়িতেই পৌঁছে যাওয়া যায় (Kailash Mansarovar Yatra)।

  • PM Modi: আমন্ত্রণ স্বয়ং যুবরাজের,  ফের একবার সৌদি সফরে যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি

    PM Modi: আমন্ত্রণ স্বয়ং যুবরাজের,  ফের একবার সৌদি সফরে যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফের একবার সৌদি আরবে (Saudi Arabia) যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)। সৌদির প্রধানমন্ত্রী তথা সে দেশের যুবরাজ মুহাম্মদ বিন সলমনের আমন্ত্রণে দু’দিনের সফরে সেখানে যাচ্ছেন তিনি। গত ১০ বছরে এই নিয়ে তৃতীয়বার সৌদিতে যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী। ২০১৪ সালে ক্ষমতায় আসার পর ২০১৬ সালে মোদি প্রথম গিয়েছিলেন সৌদি আরবে। তারপর গিয়েছিলেন উনিশে। ফের যাচ্ছেন এবার। ২০২৩ সালের সেপ্টেম্বরে জি২০ শীর্ষ সম্মেলনে যোগ দিতে ভারতে এসেছিলেন সৌদির যুবরাজ। ওই সময়ই ভারত ও সৌদি আরবের স্ট্র্যাটেজিক পার্টনারশিপ কাউন্সিলের প্রথম বৈঠক হয়েছিল। ওই বৈঠকের প্রায় দেড় বছর পরে প্রধানমন্ত্রী মোদির সৌদিযাত্রা এই সফরের গুরুত্বকে আরও বাড়িয়ে দিয়েছে।

    হজযাত্রা সংক্রান্ত জটিলতা কেটেছে (PM Modi)

    দিন কয়েক আগেই মক্কায় ভারতীয়দের হজযাত্রা সংক্রান্ত বিষয়ে জটিলতা কেটেছে। হজযাত্রীদের ভিড় নিয়ন্ত্রণ করতে সম্প্রতি বেশ কিছু পদক্ষেপ করেছে সৌদি প্রশাসন। যদিও গত সপ্তাহেই তারা সিদ্ধান্ত নিয়েছে, আরও ১০ হাজার ভারতীয় হজযাত্রায় যেতে পারবেন। গত মঙ্গলবার কেন্দ্রের সংখ্যালঘু বিষয়ক মন্ত্রক জানিয়েছে, তারা বিষয়টি নিয়ে সৌদি আরবের সঙ্গে কথা বলেছে। এর পরেই হজ পোর্টাল খোলার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সৌদি সরকার। এই আবহেই ভারতের বিদেশমন্ত্রক জানিয়ে দিল সৌদির যুবরাজের আমন্ত্রণে ২২-২৩ এপ্রিল সৌদি সফর করবেন প্রধানমন্ত্রী।

    ভারতের প্রধানমন্ত্রীকে অভ্যর্থনা জানাবেন ক্রাউন প্রিন্স স্বয়ং

    ভারতের প্রধানমন্ত্রীকে জেড্ডা শহরে আনুষ্ঠানিকভাবে অভ্যর্থনা জানাবেন ক্রাউন প্রিন্স স্বয়ং। এই সফরে মোদি ও সালমান যৌথভাবে দ্বিতীয় কৌশলগত অংশীদারিত্ব পরিষদের বৈঠকে সভাপতিত্ব করবেন। ভারতের বিদেশ সচিব বিক্রম মিশ্রি জানিয়েছেন, সৌদি আরব ভারতের এক কৌশলগত অংশীদারিত্ব। এই সফরের মাধ্যমে দুই দেশের সম্পর্ক আরও মজবুত হবে। প্রসঙ্গত, ভারত ও সৌদির মধ্যে রাজনীতি, প্রতিরক্ষা, নিরাপত্তা, বাণিজ্য, বিনিয়োগ, জ্বালানি, প্রযুক্তি, স্বাস্থ্য, শিক্ষা, সংস্কৃতি ও প্রবাসী ভারতীয়দের মাধ্যমে শক্তিশালী দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক গড়ে উঠেছে। মোদি ও সালমানের ব্যক্তিগত সম্পর্কও এই বন্ধনকে আরও গভীর করেছে (PM Modi)।

    ভারতে সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল মুকুন্দ নারাভানে ২০২০ সালের ডিসেম্বরে সৌদি সফরে গিয়েছিলেন। সেবার দ্বিপাক্ষিক নৌ-মহড়া আল মোহেদ আল হিন্দি অনুষ্ঠিত হয়। সৌদি নৌবাহিনীর প্রধান ২০২৪ সালের জানুয়ারিতে প্রথমবার ভারতে আসেন। গত বছর প্রথমবার ভারত-সৌদি যৌথ (Saudi Arabia) স্থলবাহিনীর মহড়া এক্স-সাদা তানসিক-১ অনুষ্ঠিত হয় রাজস্থানে (PM Modi)।

  • Waqf Amendment Act 2025: সংশোধিত ওয়াকফ আইন লাগু হলে ২৫৬টি ঐতিহাসিক কাঠামোর মালিকানা বদল হতে পারে

    Waqf Amendment Act 2025: সংশোধিত ওয়াকফ আইন লাগু হলে ২৫৬টি ঐতিহাসিক কাঠামোর মালিকানা বদল হতে পারে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সংশোধিত ওয়াকফ আইন কার্যকর (Waqf Amendment Act 2025) হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে ২৫৬টি ঐতিহাসিক কাঠামোর মালিকানায় বদল ঘটতে পারে। এই সম্পত্তিগুলির অনেকগুলিই ইতিমধ্যেই ভারতীয় পুরাতত্ত্ব সর্বেক্ষণের (এএসআইয়ের) (ASI) সুরক্ষায় রয়েছে। শীঘ্রই এগুলিকে আনুষ্ঠানিকভাবে এএসআইয়ের কাছে হস্তান্তর করা হতে পারে। আর যদি তা হয়, তাহলে বাতিল হয়ে যাবে ওয়াকফ বোর্ডগুলির দীর্ঘদিনের অবৈধ দাবি।

    মূল বিতর্কের কেন্দ্রে (Waqf Amendment Act 2025)

    মূল বিতর্কের কেন্দ্রে রয়েছে “ব্যবহারের মাধ্যমে ওয়াকফ” বিভাগে অন্তর্ভুক্ত সম্পত্তিগুলি, যেগুলি ঐতিহাসিকভাবে ধর্মীয় কাজে ব্যবহৃত হলেও ওয়াকফ সম্পত্তির প্রমাণপত্র নেই। সংশোধিত আইন অনুযায়ী, ওয়াকফ বোর্ডগুলিকে ছ’মাসের মধ্যে একটি কেন্দ্রীয় অনলাইন পোর্টালে বৈধ মালিকানার নথি আপলোড করতে হবে। সর্বোচ্চ আরও ছ’মাসের সময় বাড়তি দেওয়া হতে পারে। নির্দেশিকা মেনে না চললে আপনাআপনিভাবেই দাবি বাতিল হয়ে যাবে এবং ঐতিহ্য সুরক্ষা আইনের অধীনে তালিকাভুক্ত স্মৃতিসৌধগুলির ক্ষেত্রে সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ এএসআইয়ের হাতে ফিরে যাবে। বিতর্কিত কাঠামোগুলির মধ্যে রয়েছে দিল্লির পুরানো কেল্লা, অগ্রসেন কি বাওলি, হুমায়ূনের সমাধি এবং মোতি মসজিদ, রাজস্থানের আমের জামা মসজিদ, মহারাষ্ট্রের আওরঙ্গজেবের সমাধি, এবং প্রতাপগড় দুর্গও।

    প্রধান বিচারপতির মন্তব্য

    দিল্লির অগ্রসেন কি বাওলি এএসআইয়ের তালিকাভুক্ত একটি সুরক্ষিত স্থান। এর পশ্চিম পাশে একটি ছোট মসজিদ রয়েছে। এই মসজিদকে ভিত্তি করে ওয়াকফ বোর্ড সুরক্ষিত স্থানেরও মালিকানার দাবি করেছে। বিষয়টি সুপ্রিম কোর্ট পর্যন্ত গড়ালে আইনি জটিলতার সৃষ্টি হয়। কোর্ট আইনটি স্থগিত না করলেও কেন্দ্রকে সাত দিনের মধ্যে জবাব দাখিলের পরামর্শ দিয়েছে (Waqf Amendment Act 2025)। ভারতের প্রধান বিচারপতি (সিজেআই) মন্তব্য করেছেন যে, আরও নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত সংশোধিত আইনের অধীনে নতুন কোনও নিয়োগ করা যাবে না। তবে আদালত স্পষ্ট করেছে যে বিদ্যমান ওয়াকফ রেজিস্ট্রেশন বাতিল করা হবে না এবং একতরফা পদক্ষেপ রোধ করতে বর্তমান অবস্থা বজায় রাখার আহ্বানও জানানো হয়েছে। আদালত আরও অনুরোধ করেছে যে আবেদনকারীরা যেন শুনানিকে সহজলভ্য করতে তাদের যুক্তির পরিধি পাঁচটি মূল ইস্যুতেই সীমাবদ্ধ রাখে।

    প্রসঙ্গত, ওয়াকফ বোর্ড এবং এএসআইয়ের মধ্যের এই দ্বন্দ্ব নতুন নয়। তাজমহলের মতো স্মারকগুলিকে ওয়াকফ সম্পত্তি হিসেবে শ্রেণিবদ্ধ করার প্রচেষ্টা নথিভিত্তিক প্রমাণের অভাবে ব্যর্থ হয়েছে (ASI)। ২০০৫ সালে সুন্নি ওয়াকফ বোর্ড তাজমহলকে ওয়াকফ সম্পত্তি ঘোষণা করেছিল। ২০১০ সালে সুপ্রিম কোর্ট এই দাবি খারিজ করে দেয়। প্রশ্ন তোলে, এর বিশ্বাসযোগ্যতা ও আইনি বৈধতা নিয়েও (Waqf Amendment Act 2025)।

  • Amit Shah: ছত্তিশগড়ে ফের আত্মসমর্পণ ২২ নকশালের, কী বললেন শাহ?

    Amit Shah: ছত্তিশগড়ে ফের আত্মসমর্পণ ২২ নকশালের, কী বললেন শাহ?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কাজ হয়েছে ‘শাহি দাওয়াই’য়ে! ফের আত্মসমর্পণ করলেন ২২ জন নকশাল। শুক্রবার ছত্তিশগড়ের (Chhattisgarh) সুকমায় আত্মসমর্পণ করেন তাঁরা। দৃশ্যতই খুশি কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ (Amit Shah)। ফের একবার নকশালদের অস্ত্র ত্যাগ করার আহ্বান জানান তিনি। বলেন, ২০২৬ সালের মার্চের মধ্যে নকশালবাদের অবসান ঘটানোর জন্য মোদি সরকার দৃঢ়প্রতিজ্ঞ।

    কী বললেন শাহ (Amit Shah)

    এক্স হ্যান্ডেলে শাহ লেখেন, “ছত্তিশগড়ের বিজাপুর জেলায় বিভিন্ন অভিযানে কোবরা কমান্ডো ও রাজ্য পুলিশ আধুনিক অস্ত্র ও বিস্ফোরক সামগ্রী-সহ ২২ জন নকশালকে গ্রেফতার করেছে। সুকমার বাদেসেট্টি পঞ্চায়েতে ১১ জন নকশাল আত্মসমর্পণ করেছে, যার ফলে এই পঞ্চায়েত সম্পূর্ণ নকশালমুক্ত হয়েছে।” তিনি বলেন, “আমি নকশালদের প্রতি আবেদন জানাই, তাঁরা যত শীঘ্র সম্ভব অস্ত্র সমর্পণ করুন এবং মোদি সরকারের আত্মসমর্পণ নীতি গ্রহণ করে মূলধারায় ফিরে আসুন। ২০২৬ সালের ৩১ মার্চের আগেই আমরা দেশকে নকশালবাদের অভিশাপ থেকে মুক্ত করতে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ।”

    ২২ জন নকশালের আত্মসমর্পণ

    এদিকে, ছত্তিশগড়ের মুখ্যমন্ত্রী বিষ্ণু দেব সাই বলেন, আত্মসমর্পণকারী নকশালদের পুনর্বাসনের জন্য নিয়ম অনুযায়ী সর্বাত্মক চেষ্টা চালানো হবে। সুকমা জেলায় নিরাপত্তা বাহিনীর কাছে ৪০ লক্ষ টাকার পুরস্কারপ্রাপ্ত ১১ জন-সহ মোট ২২ জন নকশাল আত্মসমর্পণ করেছে। তিনি জানান, এটি আনন্দের বিষয় যে মাওবাদীরা এখন মূলস্রোতের সমাজে ফিরে আসার চেষ্টা করছে। আত্মসমর্পণকারী নকশালদের পুনর্বাসনে নিয়ম অনুসারে সবরকম সাহায্য করা হবে। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহজির সংকল্প অনুযায়ী, ২০২৬ সালের মার্চের মধ্যে দেশ ও রাজ্য থেকে লাল সন্ত্রাসের সম্পূর্ণ উচ্ছেদ নিশ্চিত (Amit Shah)।

    ছত্তিশগড় বিজেপির প্রধান কিরণ সিং দেব বলেন, রাজ্যের বস্তার জেলা শান্তির দিকে এগিয়ে চলেছে। তিনি বলেন, “বস্তার জেলা ধীরে ধীরে শান্তির পথে এগোচ্ছে। পূর্বে দুর্গম ছিল এমন অনেক সরকারি কল্যাণমূলক প্রকল্প ও উন্নয়নমূলক উদ্যোগ এখন জেলার বিভিন্ন অঞ্চলে পৌঁছতে পারছে। সকলের উচিত মূলস্রোতের সঙ্গে যুক্ত হওয়া।”

    এর আগে আজ, সুকমায় পুলিশ সুপারিন্টেন্ডেন্ট (এসপি) কিরণ গঙ্গারাম চবানের উপস্থিতিতে ৯ জন মহিলা-সহ (Chhattisgarh) মোট ২২ জন নকশাল আত্মসমর্পণ করেন (Amit Shah)।

LinkedIn
Share