Category: দেশ

Get updates on India News Headlines National News from the Madhyom news portal madhyom.com, West Bengal leading news portal Madhyom.com

  • Human Milk Bank: অন্ধ্রপ্রদেশে নবজাতকদের জন্য আশীর্বাদ হিউম্যান মিল্ক ব্যাংক, জানেন এর গুরুত্ব?

    Human Milk Bank: অন্ধ্রপ্রদেশে নবজাতকদের জন্য আশীর্বাদ হিউম্যান মিল্ক ব্যাংক, জানেন এর গুরুত্ব?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অন্ধ্রপ্রদেশে (Andhra Pradesh) তিরুপতির সরকারি মাতৃসদনে এক বছর আগে স্থাপিত রোটারি হিউম্যান মিল্ক ব্যাংক (Human Milk Bank) এখন অসংখ্য দুর্বল ও অপরিণত নবজাতকের জীবনরক্ষাকারী আশীর্বাদ হয়ে উঠেছে। শুধু নবজাতকদেরই নয়, এই দুধ দানের মাধ্যমে উপকৃত হচ্ছেন দুগ্ধ দানকারী মায়েরাও। সরকারি মাতৃসদনের সুপারিন্টেন্ডেন্ট ডা. জি. পার্থ সারথি বলেন, “আমরা অতিরিক্ত মাতৃদুগ্ধ থাকা মায়েদের এগিয়ে আসার জন্য উৎসাহ দিই। আমাদের হাসপাতালের চিকিৎসক ও নার্সরা সচেতনতা মূলক কার্যক্রম পরিচালনার মাধ্যমে প্রসূতি মায়েদের দুধ দানে আগ্রহী করে তুলছেন।”

    সঠিক পদ্ধতি দুধের ব্যবহার

    এই ব্যাংক থেকে দুধ সংগ্রহ করে প্রক্রিয়াকরণের মাধ্যমে নিরাপদ ও জীবাণুমুক্ত করে নবজাতকদের খাওয়ানো হয়, বিশেষত তাদের যাদের মা কোনও কারণে দুধ পান করাতে অক্ষম। পার্থ সারথি জানান, “দানকৃত দুধকে সুরক্ষিত ও ভালো রাখা আমাদের কাছে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। সম্ভাব্য দানকারীদের ক্ষেত্রে আন্তর্জাতিক মান অনুযায়ী বিভিন্ন স্ক্রিনিং পরীক্ষা করা হয়, যার মধ্যে রয়েছে এইচআইভি, হেপাটাইটিস বি সারফেস অ্যান্টিজেন (HBsAg) ও হেপাটাইটিস সি (HCV)। এই পরীক্ষাগুলো সাধারণত মায়েরা সন্তান জন্মদানের সময় হাসপাতালে ভর্তি হলে করা হয়।” অন্ধ্রপ্রদেশে মাতৃদুগ্ধ দানের এই উদ্যোগটি একটি জনস্বাস্থ্য সচেতনতা কার্যক্রমের অংশ। এর মাধ্যমে সমাজের বিভিন্ন স্তরের মানুষকে মাতৃদুগ্ধের উপকারিতা সম্পর্কে সচেতন করা হয়।

    এই মিল্ক ব্যাঙ্কের গুরুত্ব

    এই মহতী উদ্যোগ কেবল অসহায় শিশুদের জীবনরক্ষা করছে না, পাশাপাশি মা’দের মধ্যেও মাতৃত্বের এক নতুন অনুভব তৈরি করছে। বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, অতিরিক্ত দুধ দান করলে মা’দের শরীরেও কিছু ইতিবাচক প্রভাব পড়ে। অনেক মা দুধ দানের মাধ্যমে মানসিক আনন্দ ও পরিতৃপ্তি লাভ করেন, কারণ তাঁরা জানেন, তাঁদের দান করা দুধ অন্য কোনো নবজাতকের জীবন বাঁচাতে পারে। স্তন্যদানকারী মায়েদের মাতৃদুগ্ধ শিশুদের জন্য একটি প্রাকৃতিক এবং পুষ্টিকর খাদ্য। এই দুধের মাধ্যমে শিশুরা প্রয়োজনীয় অ্যান্টিবডি এবং ভিটামিন পায়, যা তাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়।

  • Foxconn in UP: ভারতে বাণিজ্যের অনুকূল পরিবেশ, উৎপাদন বাড়াতে সক্রিয় ফক্সকন

    Foxconn in UP: ভারতে বাণিজ্যের অনুকূল পরিবেশ, উৎপাদন বাড়াতে সক্রিয় ফক্সকন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অ্যাপলের সর্ববৃহৎ গ্লোবাল ভেন্ডর ফক্সকন উত্তর ভারতের গ্রেটার নয়ডার যমুনা এক্সপ্রেসওয়ের ধারে ৩০০ একর জমি অধিগ্রহণের পরিকল্পনা করছে। যেখানে তারা তাদের প্রথম একক ম্যানুফ্যাকচারিং ইউনিট স্থাপন করতে চায় বলে সংস্থার তরফে জানানো হয়েছে। এই প্রকল্পটি বেঙ্গালুরুতে নির্মাণাধীন ফক্সকনের (Foxconn in UP) দ্বিতীয় বৃহত্তম গ্লোবাল ইউনিটের থেকেও বড় হতে পারে বলে অনুমান করা হচ্ছে।

    প্রকল্পটি আলোচনার পর্যায়ে

    নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক সংস্থার এক কর্তা জানান, “এখনও নির্ধারণ হয়নি যে, এই প্ল্যান্টে ঠিক কী ধরনের পণ্য উৎপাদন হবে, তবে সরকারের সঙ্গে আলাপ-আলোচনা চলছে।” আরেকটি সূত্রে খবর, এই জমি এইচসিএল-ফক্সকন এর ওএসএএসটি (OSAT) সেমিকন্ডাক্টর প্রকল্পের কাছাকাছি এলাকাতেই অবস্থিত, যা বর্তমানে অনুমোদনের অপেক্ষায় রয়েছে। ওই আধিকারিকের কথায়, “গত বছর ভারত সরকার ৩০০ একর জমি ফক্সকন (Foxconn in UP) ইন্ডাস্ট্রিয়াল পার্ক প্রকল্পের জন্য প্রস্তাব করেছিল। সেই জমিতেই এই মুহূর্তে আলোচনার প্রাথমিক স্তরে আছে প্রকল্পটি।”

    স্ট্র্যাটেজিক অবস্থান

    যমুনা এক্সপ্রেসওয়ে, যা গ্রেটার নয়ডা থেকে আগ্রা পর্যন্ত বিস্তৃত, এই জমিগুলো যমুনা এক্সপ্রেসওয়ে ইন্ডাস্ট্রিয়াল ডেভেলপমেন্ট অথরিটির (YEIDA) আওতায় পড়ে। কাউন্টারপয়েন্ট রিসার্চের ভাইস প্রেসিডেন্ট নীল শাহ বলেন, “যুক্তরাষ্ট্রের ট্রেড ট্যারিফ এবং ভূ-রাজনৈতিক অনিশ্চয়তার কারণে ফক্সকনের জন্য ভারতের মতো দেশে নতুন ম্যানুফ্যাকচারিং হাব গড়ে তোলা একটি নিরাপত্তামূলক পদক্ষেপ।” তিনি আরও বলেন, “ফক্সকনের জন্য ভারতের ভৌগোলিক বৈচিত্র্য এবং সম্ভাব্য ক্লায়েন্টদের কাছাকাছি অবস্থান তাকে স্মার্ট ডিভাইস থেকে শুরু করে অটোমোটিভ ইন্ডাস্ট্রিতেও সুযোগ করে দেবে।” ভারতকে বৈশ্বিক রফতানির কেন্দ্র হিসেবে গড়ে তোলার যে প্রচেষ্টা চলছে, তা ফক্সকনের এই নতুন বিনিয়োগকে আরও তাৎপর্যপূর্ণ করে তোলে। “ভারত ইতিমধ্যেই একটি শক্তিশালী বাজার এবং সরবরাহ চেইন রি-অ্যালাইনমেন্টের ফলে এর গুরুত্ব আরও বেড়ে যাচ্ছে” বলে জানান শাহ। তিনি বলেন, “নয়ডা ক্লাস্টার এখন চেন্নাইয়ের মতো একটি শক্তিশালী ম্যানুফ্যাকচারিং হাব হিসেবে গড়ে উঠেছে, যেখানে প্রয়োজনীয় অবকাঠামো, স্থানীয় দক্ষ জনবল এবং সাপ্লায়ারদের একটি বড় চেইন রয়েছে।” তাঁর দাবি, ফক্সকন এখন শুধুমাত্র স্মার্টফোনেই সীমাবদ্ধ থাকতে চায় না। গত বছর ভারতে সফরের সময় ফক্সকন চেয়ারম্যান ইয়াং লিউ জানিয়েছিলেন, কোম্পানির লক্ষ্য তথ্যপ্রযুক্তি, ইলেকট্রিক ভেহিকল, এনার্জি এবং ডিজিটাল হেলথ সেক্টরের জন্য উৎপাদনে অংশ নেওয়া।

  • Muslim population: চার বছরে কর্নাটকে মুসলিম জনসংখ্যা বেড়েছে ৫.১৬ শতাংশ, উঠে এল সমীক্ষায়

    Muslim population: চার বছরে কর্নাটকে মুসলিম জনসংখ্যা বেড়েছে ৫.১৬ শতাংশ, উঠে এল সমীক্ষায়

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: চার বছরের কর্নাটকে মুসলিম জনসংখ্যা (Muslim population) বেড়েছে ৫.১৬ শতাংশ। এমনটাই উঠে এসেছে একটি আর্থ-সামাজিক সমীক্ষায়। জানা যাচ্ছে, ২০১১ সালে যে জনগণনা হয়েছিল তখন মুসলিম জনসংখ্যা ছিল ১২.৯২ শতাংশ। কিন্তু বর্তমানে তা ১৮.০৮ শতাংশে দাঁড়িয়েছে। জানা যাচ্ছে, মাত্র চার বছরের মধ্যেই ৫.১৬ শতাংশ জনসংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েছে। ওয়াকিবহাল মহলের মতে, রাজনৈতিক কারণে মুসলিমদের জন্য যে সংরক্ষণ নীতি চালু হয় কর্নাটকে, তারই প্রভাব এখানে লক্ষ্য করা যাচ্ছে।

    কর্নাটকে মুসলমান সংরক্ষণ ৪ শতাংশ থেকে ৮ শতাংশ করার সুপারিশ

    এক্ষেত্রে উল্লেখ করা দরকার কর্নাটক রাজ্যে (Muslim population) ২০১৫ সালে একটি আর্থ-সামাজিক সমীক্ষা করা হয়েছিল। সেই সময় রাজ্যের মোট জনসংখ্যা ছিল ৬.৩৫ কোটি। বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমের প্রকাশিত প্রতিবেদন অনুসারে এই সমীক্ষায় অন্যান্য অনগ্রসর শ্রেণী বা ওবিসির মধ্যে মুসলমানরাই সবথেকে বড় জনগোষ্ঠী হিসেবে সামনে আসে। রাজ্যে এই জনগোষ্ঠীর সংখ্যা ছিল ৭৫.২৫ লক্ষ। কর্নাটকে ওবিসির মধ্যে মুসলমানরা আছে ২-বি ক্যাটাগরিতে। ঠিক এই কারণে কর্নাটকের কমিশন মুসলমান সংরক্ষণ ৪ শতাংশ থেকে ৮ শতাংশ করার সুপারিশ করেছে। সামগ্রিকভাবে ওবিসি সংরক্ষণ ৩২ শতাংশ থেকে বৃদ্ধি করে ৫১ শতাংশ করারও প্রস্তাব করা হয়েছে। এক্ষেত্রে উল্লেখ করা দরকার কর্নাটকে মোট জনসংখ্যার ৬৯.৬ শতাংশই হল ওবিসি।

    ১৭ এপ্রিল বৈঠকে বসছেন কর্নাটকের মুখ্যমন্ত্রী

    প্রসঙ্গত, কর্নাটক রাজ্যের (Muslim population) সমীক্ষা বলছে যে মোট মুসলিম জনসংখ্যার ৪৪.৬৩ মানুষ শহরাঞ্চলে বসবাস করেন। অন্যদিকে মাত্র ৩২.৩৬ লক্ষ মুসলিম গ্রামীণ কর্নাটকে বাস করেন। অর্থাৎ এক্ষেত্রে দেখা যাচ্ছে যে মুসলিমরা শহরেই বেশি বাস করছে। এই আবহে আগামী ১৭ এপ্রিল কর্নাটকে (Karnataka) কংগ্রেসের মুখ্যমন্ত্রী সিদ্ধরামাইয়ার নেতৃত্বে একটি মন্ত্রিসভার বৈঠক অনুষ্ঠিত হতে চলেছে। এখানে কোন কোন সুপারিশগুলি রাখা সম্ভব মুসলিম সংরক্ষণের (Muslim population) ক্ষেত্রে সে নিয়ে আলোচনা হবে বলে জানা যাচ্ছে। এক্ষেত্রে উল্লেখ করা দরকার, ভারতে ১৯৫০ সালে হিন্দু জনসংখ্যা ছিল ৮৪ শতাংশ। ২০১৫ সালের তা হ্রাস পেয়ে হয়েছে ৭৮ শতাংশ। একইভাবে মুসলমানদের জনসংখ্যা ১৯৫০ সালে ছিল ৯.৮৪ শতাংশ। বর্তমানে তা বৃদ্ধি পেয়ে হয়েছে ১৪.০৯ শতাংশ।

  • Operation Brahma: ভূমিকম্প বিধ্বস্ত মায়ানমারে অপারেশন ব্রহ্মা চলাকালীন মাঝ আকাশে সাইবার হামলা, মোকাবিলা বায়ুসেনার

    Operation Brahma: ভূমিকম্প বিধ্বস্ত মায়ানমারে অপারেশন ব্রহ্মা চলাকালীন মাঝ আকাশে সাইবার হামলা, মোকাবিলা বায়ুসেনার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভূমিকম্প বিধ্বস্ত মায়ানমারে অপারেশন ব্রহ্মা (Operation Brahma) চলাকালীন ‘জিপিএস-স্পুফিং’ সাইবার হামলার (Cyber Attack) শিকার ভারতীয় বায়ুসেনার C-130J এয়ারক্রাফট। স্পুফিংয়ের ফলে বদলে যায় রিয়েল-টাইম কোয়ার্ডিনেটস। বদলের ফলে মাঝ আকাশে উড়ানের সময় বিমানের নেভিগেশন সিস্টেম বিভ্রান্ত হয়। তবে হার মানেনি বায়ুসেনা। প্রতিরক্ষা সূত্রে জানা গিয়েছে বিপদ বুঝতেই সঙ্গে সঙ্গে ইন্টার্নাল নেভিগেশন সিস্টেমে (আইএনএস) সুইচ করে ফেলে এয়ার ফোর্স পাইলটরা। নিরাপদ ভাবে নেভিগেট করতেই পাইলটদের এই পদক্ষেপ সফল হয়।

    কীভাবে ঘটে সাইবার হামলা

    গত ২৮ মার্চ ভয়াবহ ভূমিকম্পে কেঁপে ওঠে মায়ানমার। রিখটার স্কেলে ৭.৭ মাত্রার সেই ভূমিকম্পের জেরে রীতিমতো ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয় মায়ানমারের একাধিক শহর। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি মায়ানমারের পাশে দাঁড়ানোর কথা ঘোষণা করেন। তার পরেই ভারতীয় বায়ুসেনার এয়ারফ্রাফ্ট (IAF Aircraft Faces Cyberattack) ত্রাণসামগ্রী নিয়ে যায় মায়ানমারের বিভিন্ন শহরে। সি-১৩০ জে এবং সি-১৭ গ্লোবমাস্টার এয়ারক্রাফ্টের মাধ্যমে নিয়ে যাওয়া হয় ত্রাণ। মোট ৬টি মিলিটারি এয়ারক্রাফ্ট মায়ানমারে পৌঁছয়। জানা গিয়েছে, ২৯ মার্চ সি-১৩০ জে সুপার হারকিউলিস এয়ারক্রাফ্টেই সাইবার হানা হয়েছিল। ওই এয়ারক্রাফ্ট মায়ানমারের আকাশসীমায় ঢোকার পরেই জিপিএস সিগন্যাল নষ্ট করার চেষ্টা করে সাইবার ক্রিমিনালরা। সে সময়ে ইন্টারনাল নেভিগেশন সিস্টেমসের মাধ্যমে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনা হয়েছিল এবং বাকি এয়ারক্রাফ্টগুলিকেও এ ব্যাপারে সতর্ক করা হয়েছিল।

    জিপিএস-স্পুফিং কাকে বলে?

    এটি এক ধরনের সাইবার হামলা যেখানে আসল স্যাটেলাইট ডেটাকে মুছে দেয় ভুয়ো সিগনাল। একই ধাঁচের স্পুফিংয়ের ঘটনা আগে কয়েকবার ঘটেছে ভারত-পাকিস্তান বর্ডারে। নভেম্বর ২০২৩ থেকে এখনও পর্যন্ত অমৃতসর এবং জম্মুর কাছে প্রায় ৪৬৫ টি স্পুফিংয়ের ঘটনা ঘটেছে। এবার ঘটল মায়ানমারে। এই বিষয়টি নিয়ে জোর চর্চা শুরু হয়েছে প্রতিরক্ষা মন্ত্রকে। বিশেষজ্ঞদের কথায়, ‘জিপিএস স্পুফিংয়ের মাধ্যমে লোকেশনের ব্যাপারে পাইলটদের বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করা হয়। অন্য দেশের আকাশসীমায় ঘটা এই ধরনের ঘটনার তদন্তও যথেষ্ট সমস্যার। জিপিএস স্পুফিংয়ের জেরে ফ্লাইট দুর্ঘটনার মুখে পড়ার আশঙ্কাও তৈরি হয়।’

     

     

     

     

  • Gujrat ATS: উপকূল রক্ষাবাহিনী ও গুজরাট এটিএস-র যৌথ অভিযানে ৩০০ কেজি মাদক উদ্ধার

    Gujrat ATS: উপকূল রক্ষাবাহিনী ও গুজরাট এটিএস-র যৌথ অভিযানে ৩০০ কেজি মাদক উদ্ধার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারতীয় উপকূলরক্ষী বাহিনী এবং গুজরাটের এন্টি টেরোরিস্ট গুজরাট এটিএস-এর (Gujrat ATS) যৌথ অভিযানে ৩০০ কেজি মাদক উদ্ধার হল। জানা যাচ্ছে, এই বিপুল পরিমাণে উদ্ধার হওয়া মাদকের (Narcotics) বর্তমান বাজার মূল্য ১,৮০০ কোটি টাকা। এমনটাই জানিয়েছে উপকূল রক্ষা বাহিনী। জানা যাচ্ছে, মধ্য সমুদ্রে অপারেশন চালিয়ে এই বিপুল পরিমাণে মাদক উদ্ধার করে উপকূল রক্ষা বাহিনী (Gujrat ATS)। সঙ্গে ছিল গুজরাট এটিএস।

    গোয়েন্দা মারফত খবর পেয়েই শুরু অভিযান (Gujrat ATS)

    এ নিয়ে বিবৃতিও সামনে এসেছে। নিজেদের এক বিবৃতিতে ভারতীয় উপকূল রক্ষা বাহিনী জানিয়েছে, গত ১২ এবং ১৩ এপ্রিল গোয়েন্দা মারফত খবর পেয়ে এই অভিযান শুরু করে তারা। মাদকবিরোধী এই অভিযানে তাদের সঙ্গে সামিল হয় গুজরাটে এটিএসও (Gujrat ATS)। এর ফলে ৩০০ কেজি মাদক উদ্ধার হয় যার বর্তমান বাজার মূল্য ১৮০০ কোটি টাকা। জানা গিয়েছে, একটি বিদেশি নৌকো করে এভাবেই ওই মাদক পাচার করা হচ্ছিল। তারপরে এই অভিযান চালিয়ে তা ধরে ফেলে ভারতীয় উপকূল রক্ষা বাহিনী। জানা গিয়েছে, এই অভিযান চালানো হয় উত্তর মহারাষ্ট্র এবং দক্ষিণ গুজরাটের উপকূল অঞ্চলে। ইন্টারন্যাশনাল মেরিটাইম বাউন্ডারি লাইনের মধ্যেই উদ্ধার করা হয় এই বিপুল মাদক (Narcotics)।ওই সন্দেহভাজন নৌকো দেখেই ধাওয়া করে উপকূল রক্ষা বাহিনী। এরপর আটক করা হয় ওই নৌকোটি।

    গত বছরেই গুজরাট উপকূলে উদ্ধার হয়েছিল ৩,৩০০ কেজি মাদক

    সাম্প্রতিককালে ২০২৪ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে সবচেয়ে বেশি পরিমাণে মাদক উদ্ধার হয়েছিল গুজরাট উপকূল থেকে। ভারতীয় নৌসেনা, নারকোটিক্স কন্ট্রোল ব্যুরো, গুজরাট পুলিশ মিলে যৌথ উদ্যোগে অভিযান চালায়। গুজরাত উপকূলে একটি সন্দেহজনক নৌকা থেকে ৩,৩০০ কেজি মাদক উদ্ধার করা হয়। এর মধ্যে ৩ হাজার ৮৯ কেজির চরস, ১৫৮ গ্রাম মেথামফেটামিন, ২৫ কেজি মরফিন পাওয়া যায়। নৌকায় থাকা ৫ জনকে গ্রেফতার করে ভারতীয় নৌসেনা।

  • Vivek Agnihotri: ‘বাংলা কি নতুন কাশ্মীর’? মুর্শিদাবাদ প্রসঙ্গে প্রশ্ন ‘দ্য কাশ্মীর ফাইলস’ পরিচালক বিবেক অগ্নিহোত্রীর

    Vivek Agnihotri: ‘বাংলা কি নতুন কাশ্মীর’? মুর্শিদাবাদ প্রসঙ্গে প্রশ্ন ‘দ্য কাশ্মীর ফাইলস’ পরিচালক বিবেক অগ্নিহোত্রীর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ওয়াকফ বিরোধী আন্দোলন নিয়ে যে তাণ্ডব দেখেছিল শহর, তা নিয়েই ‘কলকাতা না কাশ্মীর?’ প্রশ্ন তুলেছিল ‘মাধ্যম’। এবার বাংলাকে অশান্ত কাশ্মীরের সঙ্গে তুলনা করলেন ‘দ্য কাশ্মীর ফাইলস’ খ্যাত পরিচালক বিবেক অগ্নিহোত্রী। ওয়াকফ বিরোধী আন্দোলন (Anti Waqf Protests in Murshidabad) ঘিরে উত্তপ্ত মুর্শিদাবাদ। আদালতের নির্দেশে নেমেছে কেন্দ্রীয় বাহিনী। এবার মুর্শিদাবাদ নিয়ে গলা চড়ালেন বলিউডের এই নামী পরিচালক। বাংলা কি নতুন কাশ্মীর? প্রশ্ন তুললেন তিনি। ‘দ্য দিল্লি ফাইলস: দ্য বেঙ্গল চ্যাপ্টার’ ছবির শ্যুটিং করতে তিনি মুর্শিদাবাদে এসেছিলেন, এবং তখনই বিপদ আঁচ করতে পেরেছিলেন বলে সোশ্য়াল মিডিয়ায় দাবি করেছেন বিবেক।

    বাংলাকে কেন কাশ্মীরের সঙ্গে তুলনা

    ওয়াকফ সংশোধনী আইন চালু হওয়ার পর থেকেই অশান্তির আগুন জ্বলতে শুরু করেছে বাংলায়। কিছুদিন আগেই খাস কলকাতার পার্ক সার্কাসের মোড় বিক্ষোভ-প্রতিবাদে সোচ্চার হয়েছিল। সেই উত্তাপ পরবর্তীতে ছড়ায় জেলায় জেলায়। বিগত কয়েক দিন ধরে মুর্শিদাবাদের পরিস্থিতি হয়ে রয়েছে অগ্নিগর্ভ। প্রায় প্রতিদিনই কোনো না কোনো অশান্তির খবর আসছে সেখান থেকে। বিবেকের (Vivek Agnihotri) কথায়, ‘‘বাংলা কি নতুন কাশ্মীর? মুর্শিদাবাদে যখন ‘দ্য দিল্লি ফাইলস’-এর গল্পের প্রেক্ষাপট গড়ে তুলি, তখনই সেখানকার জনবিন্যাসে পরিবর্তন অনুভব করতে পারি। বুঝতে পেরেছিলাম, ওই পরিবর্তন বিরাট হিংসা ডেকে আনবে কোনও দিন। বুঝতে পারিনি এত তাড়াতাড়ি হবে, ছবিতে ঠিক যেমন ভাবে দেখানো হয়েছে? ’’ এখানেই থামেননি বিবেক। যুক্তি দিয়ে বিবেক বলেন, ‘‘বাংলাকে নয়ের দশকের কাশ্মীরের সঙ্গে তুলনা করলাম কিছু কারণে, ১) সীমান্ত এলাকায় জনবিন্যাসের পরিবর্তন, ২) লক্ষ্যনির্ভর রাজনৈতিক এবং সাম্প্রদায়িক হিংসা, ৩) মত প্রকাশের স্বাধীনতা, অভিবাসন এবং নিরাপত্তা জনিত উদ্বেগ, ৪) ছোটখাটো ঘটনা বিরাট অশান্তিতে পরিণত হওয়ার ইতিহাস, ৫) কাশ্মীরের মতো বাংলার কিছু জেলা, মুর্শিদাবাদ বা উত্তর ২৪ পরগনায় নজরদারিহীন অভিবাসন, জনবিন্যাসের পরিবর্তন, রাজনৈতিক মেরুকরণ, চরমপন্থা, পরিচয়ের রাজনীতি। বাংলা এখনও কাশ্মীর হয়নি, কিন্তু আমার আশঙ্কা, গুরুত্ব না দিলে একই পরিস্থিতি তৈরি হবে: গণপ্রস্থান, দমন, দীর্ঘমেয়াদী অশান্তি। ’’

    মনে হচ্ছিল ওটা অন্য দেশ

    মুর্শিদাবাদে পরিস্থিতি থমথমে। কেন্দ্রীয় ওয়াকফ সংশোধনী আইনের বিরুদ্ধে প্রতিবাদে উত্তাল পশ্চিমবঙ্গের এই জেলা। পুলিশের গুলিতে দুই জনের মৃত্যু হয়েছে। জেলাজুড়ে চলছে ধরপাকড়, এখনও পর্যন্ত গ্রেফতার করা হয়েছে অন্তত ১১৮ জন। বাধ্য হয়ে মূর্শিদাবাদে ছবির শুটিং বন্ধ করেন বিবেক। তাঁর বক্তব্য, ‘‘আমাদের নতুন ছবি ‘দ্য দিল্লি ফাইলস’-এর গল্প মুর্শিদাবাদ নির্ভর। ওখানে শ্যুটিং করা অসম্ভব হয়ে উঠেছিল। সরকার, পুলিশ কেউ সাহায্য় করেনি। মনে হচ্ছিল অন্য দেশে গিয়ে পড়েছি যেন। বাধ্য হয়ে মুম্বইয়ে সেট তৈরি করে শ্যুটিং সারতে হল আমাদের। জনবিন্যাসের ভারসাম্যহীনতাই আসল বিপদ। ’’

    বাংলা এখন কোথায়

    মুর্শিদাবাদ তথা বাংলাকে চৈতন্য মহাপ্রভু, রামকৃষ্ণ পরমহংসদেব, স্বামী বিবেকানন্দ, নেতাজি এবং রবীন্দ্রনাথের জন্মভূমি বলে দাবি করে বিবেক প্রশ্ন ছুড়ে দিয়ে বলেন, ‘‘বাংলা সত্যি কী মহান নবজাগরণের জমি? এটা তো বাংলা মনে হচ্ছে না, মনে হচ্ছে যেন নতুন কাশ্মীর।’’ এরপর এক্স হ্যান্ডেলে ওয়াকফ প্রতিবাদের একটি ভিডিও শেয়ার করে নিজের আসন্ন ছবির (The Delhi Files) ঘোষণা করেন বিবেক অগ্নিহোত্রী। বিবেকের শেয়ার করা ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে, বাসের মাথায় উঠে হাতে প্যালেস্টাইনের পতাকা ওড়াচ্ছেন একজন। রাস্তায় মানুষে মানুষে ছয়লাপ। কয়েকজনের হাতে তেরঙা, কয়েকজনের হাতে দেখা গেল প্যালেস্টাইনের পতাকা।

    উদ্বেগজনক পরিস্থিতি মূর্শিদাবাদে

    ওয়াকফ বিলের বিরোধিতায় অগ্নিগর্ভ মুর্শিদাবাদ। সমস্যার আঁচ টের পেয়েছে মালদহ, নদীয়া এবং দক্ষিণ ২৪ পরগনার মানুষেরাও। মুর্শিদাবাদের কঠিন পরিস্থিতিতে হস্তক্ষেপ করেছে কলকাতা হাইকোর্টও। বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে হাইকোর্ট নির্দেশ দেয়, অশান্ত এলাকাগুলিতে কেন্দ্রীয় আধাসেনা মোতায়েন করতে হবে। আদালতের পর্যবেক্ষণ, ‘‘পরিস্থিতি অত্যন্ত গুরুতর ও উদ্বেগজনক। আদালত চোখ বন্ধ রাখতে পারে না।’’ উল্লেখযোগ্যভাবে, পরিস্থিতি এতটাই ঘনিভূত যে, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রসচিব গোবিন্দ মোহন ভিডিও কনফারেন্স করেন রাজ্যের মুখ্যসচিব এবং ডিজিপি-র সঙ্গে। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক জানিয়েছে, তারা রাজ্যের পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বিগ্ন। ইতিমধ্যেই অতিরিক্ত সীমান্ত রক্ষী বাহিনী মুর্শিদাবাদে পাঠানো হয়েছে। মূর্শিদাবাদের গোটা পরিস্থিতির জন্য রাজ্য সরকারকে দায়ী করছে বিরোধী দলগুলি। বিজেপি বিধায়ক জ্যোতির্ময় সিং মাহাতো পশ্চিমবঙ্গে আফস্পা জারির দাবিতে ইতিমধ্যেই কেন্দ্রকে চিঠি দিয়েছেন।

     

     

     

  • Ambedkar Jayanti: ন্যায় ও সাম্যের মূর্ত প্রতীক অম্বেডকর, জন্মদিনে জানুন সংবিধান প্রণেতার জীবনী

    Ambedkar Jayanti: ন্যায় ও সাম্যের মূর্ত প্রতীক অম্বেডকর, জন্মদিনে জানুন সংবিধান প্রণেতার জীবনী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আজ, ১৪ এপ্রিল সংবিধান প্রণেতা ডক্টর ভীমরাও রামজি অম্বেডকরের জন্ম জয়ন্তী (Ambedkar Jayanti)। তাঁর নেতৃত্বেই গড়া হয়েছিল সংবিধান কমিটি। যে সংবিধান গৃহীত হয় ১৯৫০ সালের ২৬ জানুয়ারি। সময় যত গড়িয়েছে, দেশ যত এগিয়েছে, অম্বেডকর (Bhimrao Ramji Ambedkar) ততই পরিচিতি লাভ করেছেন ন্যায় ও সাম্যের মূর্ত প্রতীক হিসেবে।

    অম্বেডকর আখ্যান (Ambedkar Jayanti)

    নানা প্রয়োজনে বিভিন্ন সময় একাধিকবার সংশোধন করা হয়েছে সংবিধান। যদিও অটুট রয়েছে অম্বেডকরের নেতৃত্বে তৈরি সংবিধান। তফশিলি সম্প্রদায়ের এই মানুষই জন্মেছিলেন ১৮৯১ সালের ১৪ এপ্রিল। মধ্যপ্রদেশের মহউ ক্যান্টনমেন্টে জন্মগ্রহণ করেছিলেন অম্বেডকর (Ambedkar Jayanti)। মহারাষ্ট্রের সাতারায় প্রাথমিক স্কুলের পাঠ চুকিয়ে বম্বের (অধুনা মুম্বই) এলফিনস্টোন হাইস্কুল থেকে ম্যাট্রিকুলেশন পাশ করেন। ১৯১২ সালে বম্বে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অর্থনীতি ও রাষ্ট্রবিজ্ঞানে বিএ পাশ করেন। কলেজে অসাধারণ দক্ষতার কারণে এমএ এবং পিএইচডি করার জন্য ১৯১৩ সালে বরোদা রাজ্যের মহারাজা তাঁকে বৃত্তি দেন। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের কলম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের পাঠও নেন তিনি। তাঁর থিসিসের শিরোনাম ছিল ‘ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির প্রশাসন ও অর্থ’। সেখান থেকে অম্বেডকর চলে যান লন্ডনে। ভর্তি হন লন্ডন স্কুল অফ ইকোনমিক্স অ্যান্ড পলিটিক্যাল সায়েন্সে। আইন (Ambedkar Jayanti) পড়ার জন্য ভর্তি হন গ্রেস ইনে। অর্থাভাবে ১৯১৭ সালে দেশে ফেরেন অম্বেডকর। ১৯১৮ সালে সিডেনহাম কলেজ, মুম্বইয়ের রাজনৈতিক অর্থনীতির অধ্যাপক হন তিনি।

    গণপরিষদের খসড়া কমিটির চেয়ারপার্সন ছিলেন অম্বেডকর

    ১৯৪৬ সালে ভারতের গণপরিষদে নির্বাচিত হন অম্বেডকর। ১৯৪৭ সালের ১৫ অগাস্ট স্বাধীন ভারতের দেশের প্রথম আইনমন্ত্রী হিসেবে শপথ গ্রহণ করেন তিনি। পরে নির্বাচিত হন গণপরিষদের খসড়া কমিটির চেয়ারপার্সন। গণপরিষদের তৎকালীন সদস্য মহাবীর ত্যাগী অম্বেডকরকে ‘প্রধান শিল্পী’ আখ্যা দিয়েছিলেন। অম্বেডকর সম্পর্কে দেশের প্রথম রাষ্ট্রপতি রাজেন্দ্র প্রসাদ বলেছিলেন, “চেয়ারে বসে এবং প্রতিদিনের কার্যধারায় দেখছি, আমি বুঝতে পেরেছি যে অন্য কেউ এত উদ্যমে থাকতে পারেন না। নিষ্ঠার সঙ্গে ড্রাফটিং কমিটির সদস্যরাও বিশেষ করে এর চেয়ারম্যান ডঃ অম্বেডকর তাঁর স্বাস্থ্যের কথা না ভেবেই কাজ করে গিয়েছেন। তিনি কেবল তাঁর নির্বাচনকে ন্যায্যতা দেননি, বরং তিনি যে কাজটি করেছেন, তাতে দীপ্তি যোগ করেছেন।”

    অম্বেডকরের সামাজিক আন্দোলন

    ১৯৫২ সালে অম্বেডকর রাজ্যসভার সদস্য হন। এই বছরই কলম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয় তাঁকে সাম্মানিক ডক্টরেট ডিগ্রি দেয়। পরের বছরই ওই একই ডিগ্রি দেয় হায়দ্রাবাদের ওসমানিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ও। দীর্ঘ অসুস্থতার কারণে ১৯৫৫ সালে তাঁর স্বাস্থ্য একেবারেই ভেঙে পড়ে। ১৯৫৬ সালের ৬ ডিসেম্বর দিল্লিতে ঘুমঘোরে না ফেরার দেশে চলে যান অম্বেডকর। অম্বেডকর ছিলেন সমাজ সংস্কারক। তিনি ছিলেন লিঙ্গ বৈষম্যের বিরুদ্ধে। মহিলাদের অধিকারের দাবিতে সওয়াল করেছেন নানা সময়। লিঙ্গ বৈষম্য, সমাজ থেকে অস্পশ্যতা দূর করতে এবং দলিত মহিলাদের ক্ষমতায়নের ওপর জোর দিয়েছিলেন তিনি। স্কুলে পড়ার সময় উচ্চবর্ণের লোকজন যে কলে জলপান করত, সেখানে তাঁকে জল খেতে দেওয়া হয়নি। জীবনের শেষ দিন পর্যন্তও তা ভুলে যাননি তিনি। এই প্রেক্ষিতেই তিনি লিখেছিলেন বিশ্বখ্যাত বই ‘দ্য আনটাচেবল’। সমালোচকদের একাংশের মতে, যা তৎকালীন সমাজের জীবন্ত দলিল। অম্বেদকর দলিত বৌদ্ধ আন্দোলনকে অনুপ্রাণিত করেছিলেন এবং অস্পৃশ্য বা দলিতদের সামাজিক বৈষম্যের বিরুদ্ধে প্রচার করেছিলেন। অম্বেডকর একজন খ্যাতনামা আইনবিদ, প্রখ্যাত অর্থনীতিবিদ। তিনি দলিত বৌদ্ধ আন্দোলনকে অনুপ্রাণিত করেছিলেন।

  • BJP: মমতার তোষণের রাজনীতি বাংলাকে জালিয়ানওয়ালাবাগে পরিণত করেছে, তোপ বিজেপি নেতার

    BJP: মমতার তোষণের রাজনীতি বাংলাকে জালিয়ানওয়ালাবাগে পরিণত করেছে, তোপ বিজেপি নেতার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মমতার তোষণের রাজনীতির কারণে পশ্চিমবঙ্গ জালিয়ানওয়ালাবাগে (Jallianwala Bagh) পরিণত হয়েছে। রবিবার এভাবেই তোপ দাগলেন বিজেপি (BJP) নেতা কেশবন। এএনআই-কে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে কেশবন বলেন, ‘‘মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের তোষণের রাজনীতি পশ্চিমবঙ্গকে জালিয়ানওয়ালাবাগে পরিণত করেছে। মুর্শিদাবাদে যখন মানুষকে হত্যা করা হচ্ছে। তখন তৃণমূল সাংসদ ইউসুফ পাঠান চা পান করে সমাজমাধ্যমে পোস্ট করছেন। এটি তৃণমূলের অসহিষ্ণু মানসিকতার প্রতিফলন।’’

    মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে অপশাসনের শাস্তি পেতেই হবে

    মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে তোপ দেগে বিজেপি (BJP) নেতা আরও বলেন, ‘‘ওয়াকফ বিলের বিরুদ্ধে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ভিত্তিহীন বিরোধিতা করছেন। ডঃ বাবাসাহেব আম্বেদকরের নীতির পরিপন্থী (Jallianwala Bagh)। আমরা দেখতে পাচ্ছি হিন্দু সম্প্রদায়কে লক্ষ্যবস্তু করা হচ্ছে। নির্যাতন করা হচ্ছে । মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নীরব দর্শক হিসেবে রয়ে গেছেন। কলকাতা হাইকোর্ট হস্তক্ষেপ করেছে এবং শান্তির জন্য সেখানে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করেছে। এটি আমাদের আরজি কর কাণ্ডের কথাও মনে (BJP) করিয়ে দিয়েছে। বিধানসভা নির্বাচনে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে অপশাসনের শাস্তি পেতেই হবে।’’

    অশান্তির সূত্রপাত

    অশান্তির সূত্রপাত হয় এই সপ্তাহের শুরুতেই (Anti Waqf Act Violence)। শুক্রবার ও তার পরের দিন তা তীব্র আকার ধারণ করে। জেলার বিভিন্ন এলাকায় গুন্ডাবাহিনীর হামলা চালায়, অগ্নিসংযোগ করে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ গুলি চালায়। জেলার সাঁতরাগঞ্জ, সূতি ও ধুলিয়ান-সহ বিভিন্ন এলাকায় হিংসা খবর পাওয়া গিয়েছে। গুন্ডারা যানবাহনে অগ্নিসংযোগ করে, বাড়িঘরেও হামলা চালায় বলে অভিযোগ। পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়িয়ে উন্মত্ত জনতার একাংশ। এ পর্যন্ত হিংসার ঘটনায় জড়িত সন্দেহে ১৩০ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।শুক্রবার রাতের হিংসায় তিনজন নিহত হন। এঁদের মধ্যে রয়েছেন সাঁতরাগঞ্জের ৬৫ বছর বয়সী হরগোবিন্দ দাস ও তাঁর ৪০ বছর বয়সী পুত্র চন্দন দাস। অভিযোগ, তাঁদের বাড়ি থেকে জোর করে টেনে এনে হত্যা করা হয়। সূতিতে মৃত্যু হয় বছর পঁচিশের এক যুবকের। বিজেপির দাবি, ধুলিয়ান থেকে হিন্দু সম্প্রদায়ের প্রায় ৪০০ মানুষ, যাদের মধ্যে নারী ও কিশোরীও রয়েছেন, নৌকায় করে বৈষ্ণবনগরের পার্লালপুর গ্রামে আশ্রয় নিতে শুরু করেছেন।

  • PM Modi: ‘‘জালিয়ানওয়ালাবাগ জাতির ইতিহাসে কালো অধ্যায়’’, শহিদদের শ্রদ্ধা জানিয়ে বললেন মোদি

    PM Modi: ‘‘জালিয়ানওয়ালাবাগ জাতির ইতিহাসে কালো অধ্যায়’’, শহিদদের শ্রদ্ধা জানিয়ে বললেন মোদি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আজ রবিবার ১৩ এপ্রিল। জালিয়ানওয়ালাবাগ হত্যাকাণ্ডের ১০৬তম বার্ষিকী। শহিদদের উদ্দেশে শ্রদ্ধা জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী মোদি জালিয়ানওয়ালাবাগের ঘটনাকে কালো অধ্যায় বলে অভিহিত করেন। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির (PM Modi) পাশাপাশি শহিদদের উদ্দেশে শ্রদ্ধা জানিয়েছেন রাষ্ট্রপতি দ্রোপদী মুর্মুও।

    জাতির ইতিহাসে জালিয়ানওয়ালাবাগ একটি কালো অধ্যায়

    এক্স মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী (PM Modi) লেখেন, ‘‘আমাদের জাতির ইতিহাসে এই ঘটনা একটি কালো অধ্যায়। জালিয়ানওয়ালাবাগের শহিদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাই। আগামী প্রজন্ম সর্বদা শহিদদের স্মরণ করবে।’’ জালিয়ানওয়ালাবাগের ঘটনাকে স্বাধীনতা আন্দোলনের গুরুত্বপূর্ণ মোড় বলেও উল্লেখ করেন মোদি (PM Modi)। তিনি লেখেন, ‘‘জাতির ইতিহাসে জালিয়ানওয়ালাবাগ একটি অন্ধকার অধ্যায় ছিল। এই ঘটনায় শহিদদের আত্মত্যাগ ভারতের স্বাধীনতা সংগ্রামের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ মোড় হয়ে ওঠে।’’

    এদেশ শহিদদের প্রতি সদা কৃতজ্ঞ ও ঋণী থাকবে বললেন রাষ্ট্রপতি

    জালিয়ানওয়ালাবাগে জীবন উৎসর্গকারী স্বাধীনতা সংগ্রামীদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু বলেছেন, ‘‘তাঁদের (শহিদদের) আত্মত্যাগ আমাদের দেশের স্বাধীনতা সংগ্রামকে আরও তীব্র করে তুলেছিল। এদেশে তাঁদের প্রতি সদা কৃতজ্ঞ ও ঋণী থাকবে।’’ রাষ্ট্রপতির মতে, ‘‘জালিয়ানওয়ালাবাগে (Jallianwala Bagh Massacre) ভারত মাতার জন্য যাঁরা জীবন উৎসর্গ করেছিলেন, সেই সকল স্বাধীনতা সংগ্রামীকে আমি শ্রদ্ধাঞ্জলি জানাই। তাঁদের আত্মত্যাগ আমাদের স্বাধীনতা সংগ্রামের ধারাকে (PM Modi) আরও শক্তিশালী করে তুলেছিল।’’ রাষ্ট্রপতি আরও বলেন, ‘‘আমি নিশ্চিত যে সেই অমর শহিদদের কাছ থেকে প্রেরণা নিয়ে, সমস্ত দেশবাসী তাঁদের তন-মন-ধন দিয়ে ভারতের অগ্রগতিতে অবদান রাখবে।’’

    ১৩ এপ্রিল ১৯১৯ সালে অমৃতসরের জালিয়ানওয়ালাবাগ হত্যাকাণ্ড

    প্রসঙ্গত, ১৩ এপ্রিল ১৯১৯ সালে অমৃতসরের জালিয়ানওয়ালাবাগে বৈশাখী মেলায় জড়ো হয়েছিলেন শত শত সাধারণ নাগরিক। যাদের মধ্যে ছিল শিশুও। ব্রিগেডিয়ার-জেনারেল রেজিনাল্ড ডায়ারের নির্দেশে নিরস্ত্র মানুষদের এই সমাবেশে গুলি চালায় ব্রিটিশ বাহিনী। রাওলাট আইনের বিরুদ্ধে শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভকে দমন করতে এইভাবেই বর্বরোচিত হামলা করে ব্রিটিশ পুলিশ। সরকারি হিসেবে এই ঘটনায় ৩৭৯ জন নিহত হওয়ার তথ্য দেওয়া হয়। বেসরকারি মতে, মৃতের সংখ্যা হাজার পার করেছিল।

  • Hinduphobia: আমেরিকায় প্রথম কোনও প্রদেশ হিসেবে হিন্দু-বিদ্বেষ রুখতে বিল আনল জর্জিয়া

    Hinduphobia: আমেরিকায় প্রথম কোনও প্রদেশ হিসেবে হিন্দু-বিদ্বেষ রুখতে বিল আনল জর্জিয়া

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আমেরিকায় হিন্দু-বিদ্বেষ (Hinduphobia) বৃদ্ধি পাওয়ার অভিযোগ দীর্ঘদিন ধরেই। এই আবহে হিন্দু-বিদ্বেষ রোখার জন্য বিল আনল জর্জিয়া (Georgia)। এক্ষেত্রে উল্লেখ করা দরকার, আমেরিকায় প্রথম কোনও প্রদেশ এমন পদক্ষেপ করল। জানা যাচ্ছে, বিলটি আইনে পরিণত হলে হিন্দু বিদ্বেষীদের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ করা হবে।

    এসবি ৩৭৫ নামে ওই বিলটি জর্জিয়ার আইনসভায় পেশ করা হয়েছে

    সম্প্রতি, এসবি ৩৭৫ নামে ওই বিলটি জর্জিয়ার আইনসভায় পেশ করা হয়েছে বলে খবর। বিলটিকে সমর্থন করতে দেখা গিয়েছে ডেমোক্র্যাট এবং রিপাবলিকান দুই দলেরই জনপ্রতিনিধিদের। রিপাবলিকান দলের দুই সেনেট সদস্য শন স্টিল, ক্লিন্ট ডিক্সন এবং ডেমোক্র্যাট দলের দুই সেনেট সদস্য জেসন এস্টিভস, এমানুয়েল জন এই বিলটি উত্থাপন করেছেন বলে জানা যাচ্ছে। বিলটি উত্থাপনের পরে শন বলেন, ‘‘গত কয়েক বছর ধরে আমরা দেখছি, দেশে হিন্দুদের (Hinduphobia) বিরুদ্ধে হিংসা বৃদ্ধি পেয়েছে।’’ এই বিলটিতে হিন্দুদের বিরুদ্ধে হিংসার যে কোনও ঘটনাকে ‘বৈরিতামূলক, ধ্বংসাত্মক, অবমাননাকর’ বলে উল্লেখ করা হয়েছে।

    হিন্দু ধর্মের অকুণ্ঠ প্রশংসা করা হয়েছে বিলটিতে (Hinduphobia)

    জর্জিয়ার (Georgia) আইনসভার এমন সিদ্ধান্তে হিন্দুদের (Hinduphobia) একটি সংগঠন ‘কোয়ালিশন অফ হিন্দুস অফ নর্থ আমেরিকা’ সেনেটরদের এবিষয়ে ধন্যবাদ জানিয়েছে। তারা আরও জানিয়েছে, এই বিলটির জন্য ওই সেনেটরদের সঙ্গে কাজ করতে পেরে তারা গর্বিত। বিলে সনাতন ধর্মের ভূয়সী প্রশংসা করে বলা হয়েছে, পৃথিবীর অন্যতম প্রাচীন ধর্ম হল হিন্দু। বৃহত্তর ধর্মও বটে। প্রায় ১০০টি দেশে ১২০ কোটি হিন্দু ধর্মাবলম্বী ছড়িয়ে রয়েছেন। বৈচিত্র্য, পারস্পরিক শ্রদ্ধা, শান্তিকে সমর্থন করে এই ধর্ম।

    আমেরিকায় হিন্দুদের ওপর হামলার সাম্প্রতিক পরিসংখ্যান

    আমেরিকায়ও হিন্দুর সংখ্যা অনেক। জর্জিয়ায় প্রায় ৪০ হাজার হিন্দুর বাস। সেখানে গত কয়েক বছরে আমেরিকায় হিন্দুদের (Hinduphobia) বিরুদ্ধে হিংসা বৃদ্ধি পেয়েছে বলে অভিযোগ। প্রসঙ্গত, ‘গাভিষ্ঠি ফাউন্ডেশন’ নামে একটি সংগঠন হিন্দুদের ওপর হামলা নিয়ে সমীক্ষা চালিয়েছে। তাদের পরিসংখ্যান বলছে, ২০২৩ সালের জানুয়ারি থেকে আমেরিকায় হিন্দুদের বিরুদ্ধে ১,৩১৪টি ‘ধর্মীয় হিংসা’-র ঘটনা ঘটেছে।

LinkedIn
Share