Category: দেশ

Get updates on India News Headlines National News from the Madhyom news portal madhyom.com, West Bengal leading news portal Madhyom.com

  • Boroline: বোরোলিনের উত্থানের নেপথ্যে স্বদেশী আন্দোলন? জানুন অজানা কাহিনি

    Boroline: বোরোলিনের উত্থানের নেপথ্যে স্বদেশী আন্দোলন? জানুন অজানা কাহিনি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শীত এলেই শুষ্ক রুক্ষ ত্বকের যত্ন নিতে চাই বোরোলিন (Boroline)। ঠোঁট ফাটছে, পা ফাটছে, যে কোনও বাঙালি বাড়িতে তো বটেই, ভারতের অনেক বাড়িতেও মানুষ হতে তুলে নেবেন ‘সুরভিত অ্যান্টিসেপ্টিক ক্রিম, বোরোলিন’। প্রজন্মের পর প্রজন্ম বাঙালি তথা ভারতীয়দের ঘরে ঘরে নিজের জায়গা স্থায়ী করেছে বোরোলিন (Boroline Antiseptic Cream)। মেক ইন ইন্ডিয়ার প্রতীক বোরোলিন। ভারতের জাতীয়তাবাদের প্রতীক হল বোরোলিন। শুধু শুষ্ক ত্বকের সমস্যা কেন, কাটা, ফোলা, পোড়া– ত্বকের যে কোনও সমস্যার ম্য়াজিক সমাধান এই সবুজ রঙের টিউব থেকে বেরিয়ে আসা সাদা ক্রিম।

    জাতীয়তাবাদের প্রতীক বোরোলিন

    বোরোলিনকে (Boroline) আর পাঁচটা প্রসাধনী পণ্যের সঙ্গে গুলিয়ে ফেললে হবে না। প্রায় একশো বছর আগে বঙ্গভঙ্গ এবং ব্রিটিশদের অত্যাচারের প্রেক্ষাপটে, ভারতের ‘আত্মনির্ভরতা’র অন্যতম প্রতীক হিসেবে আবির্ভূত হয়েছিল বোরোলিন। ১৯২৯ সালে জিডি ফার্মাসিউটিক্যালসের প্রতিষ্ঠা করেছিলেন গৌরমোহন দত্ত। এটিই বোরোলিনের মাদার কোম্পানি। এক অতি সাধারণ সবুজ রঙের টিউবে প্যাকেজিং করা শুরু হয়েছিল (এখন অবশ্য কৌটোও পাওয়া যায়)। চিকিৎসা বা প্রসাধনী পণ্যের বাইরেও, বোরোলিন ছিল বিদেশি পণ্য এবং ঔপনিবেশিক শাসকদের অর্থনৈতিক শোষণের বিরুদ্ধে দৃঢ় প্রতিবাদের এক মাধ্যম।

    দেশীয় পণ্যের নির্ভরযোগ্যতা

    গৌর মোহন দত্ত বিদেশি পণ্যের আমদানিকারক ছিলেন। কিন্তু তারপর তিনি স্বদেশী আন্দোলনে যোগ দেন। তিনি বুঝতে পেরেছিলেন যে ভারতকে সাহায্য করার সর্বোত্তম উপায় হল- এটিকে আর্থিকভাবে স্বয়ংসম্পূর্ণ করা। তাই তারা এমন পণ্য তৈরির সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন যা মানসম্মত বিদেশি পণ্যের সঙ্গে প্রতিযোগিতা করবে। কিন্তু এ কাজটা সহজ ছিল না। অনেকে তাঁর উদ্যোগের বিরোধিতা করলেও গৌর মোহন দত্ত হাল ছাড়েননি। ভারতকে স্বাধীন ও স্বনির্ভর করার স্বপ্নকে হৃদয়ে রেখে তিনি নিজ বাড়িতে বিদেশি পণ্যের সঙ্গে প্রতিযোগিতায় দেশীয় পণ্য তৈরি শুরু করেন। প্রাথমিকভাবে বোরোলিন-এর (Boroline) জনপ্রিয়তার পিছনে ছিল, দেশীয় পণ্যের নির্ভরযোগ্যতা। বিদেশি পণ্যের পাশে অত্যন্ত সস্তায় পাওয়া যেত দেশেই তৈরি এই ক্রিম।

    স্বাধীনতার দিন বিনামূল্যে বোরোলিন

    দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় পৃথক প্যাকেজিং-এর ব্যবস্থা করা হয়েছিল ৷ দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময়, যুদ্ধের কারণে যে অভাব সৃষ্টি হয়েছিল, সেই সময়ে প্রচলিত প্যাকেজিং না করে তখন বোরোলিন (Boroline) উপলব্ধ পাত্রে প্যাকেজ করা হয়েছিল। পণ্যের সত্যতা সম্পর্কে গ্রাহকের মনে সন্দেহ দূর করার জন্য, এই জিনিসটি প্যাকের নীচে কিছু কথা মুদ্রিত হয়েছিল। তাতে লেখা থাকত, “যুদ্ধের জরুরি অবস্থার কারণে মূল প্যাকিং পরিবর্তন করা হয়েছে, উপাদানের পরিমাণ এবং গুণমান অপরিবর্তিত রয়েছে।” সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ হল, এটা ছিল ভারতীয়দের জাতীয়তাবাদের প্রতীক। ১৯৪৭-এর ১৫ অগাস্ট যখন ভারত স্বাধীনতা লাভ করেছিল, সেই সময় বোরোলিনের পক্ষ থেকে প্রায় ১ লক্ষ ক্রিমের টিউব বিনামূল্যে বিতরণ করা হয়েছিল।

    বোরোলিনের গোপন ফর্মুলা

    বোরোলিন (Boroline) শব্দের প্রথম অংশটি হল বোরো, যা বোরিক অ্যাসিড থেকে উদ্ভূত যার একটি অ্যান্টি-সেপটিক (Boroline Antiseptic Cream) বৈশিষ্ট্য রয়েছে। দ্বিতীয় অংশ হল ওলিন, এই শব্দটি এসেছে ল্যাটিন শব্দ ওলিয়ন (oleon) থেকে, যার অর্থ তেল। বলা হয়ে থাকে যে, সরকারি কোষাগারের এক টাকাও কখনও এই কোম্পানির কাছে পাওনা ছিল না। ক্রিমটির ফর্মুলা কখনও গোপন রাখা হয়নি৷ প্রায়ই কোম্পানিগুলি তাদের পণ্যের ফর্মূলা গোপন রাখে যাতে অন্য কেউ একই পণ্য তৈরি করতে না পারে। কিন্তু জিডি ফার্মাসিউটিক্যালস কখনও ‘বোরোলিন’ তৈরির এই ফর্মুলা গোপন রাখেনি। বোরোলিন অ্যান্টিসেপটিক ক্রিম অ্যান্টিসেপটিক বোরিক অ্যাসিড, অ্যাস্ট্রিনজেন্ট এবং সানস্ক্রিন জিংক অক্সাইড এবং ইমোলিয়েন্ট ল্যানোলিন ব্যবহার করে।

    বোরোলিনের গৌরব অক্ষুণ্ণ

    সময়ের সঙ্গে সঙ্গে, পণ্যের প্যাকেজিং আধুনিক হয়েছে। নতুন নতুন বিজ্ঞাপন তৈরি হয়েছে। তবে, পণ্যের গুণমানের সঙ্গে কখনও আপোষ করা হয়নি। আর এভাবেই বোরোলিন (Boroline) ভারতের অন্যতম শক্তিশালী উপভোক্তা ব্র্যান্ডে পরিণত হয়েছে। প্রজন্মের পর প্রজন্ম পার করে প্রায় ৯৬ বছর। মা-ঠাকুরমা থেকে শুরু করে জেন জি-এর যুবক-যুবতীরাও অন্ধভাবে এই সবুজ টিউবের উপর নির্ভর করে। বলা যেতে পারে, বোরোলিন বাঙালি তথা ভারতীয় সংস্কৃতির অংশ হয়ে উঠেছে। স্বাধীনতা-পূর্ব ভারতে, কাশ্মীরিরা হিমশীতল এবং শুষ্ক ত্বক থেকে মুক্তি পেতে এটি ব্যবহার করত এবং দক্ষিণ ভারতের লোকেরা তাপ থেকে বাঁচতে এটি ব্যবহার করত। বোরোলিন প্রতিটি ত্বকের ধরনের জন্য উপযুক্ত একটি ক্রিম (Boroline Antiseptic Cream)। বাজারে প্রচুর নামী-দামি ক্রিম এসেছে, গিয়েছে। কিন্তু কেউই বোরোলিনের গৌরবকে ক্ষুণ্ণ করতে পারেনি।

  • RSS: “শিক্ষার উচিত মূল্যবোধ এবং জাতীয় উন্নয়নের গঠনে ভূমিকা রাখা”, বললেন মোহন ভাগবত

    RSS: “শিক্ষার উচিত মূল্যবোধ এবং জাতীয় উন্নয়নের গঠনে ভূমিকা রাখা”, বললেন মোহন ভাগবত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “শিক্ষার উচিত নয় কেবলমাত্র বইয়ের মধ্যেই সীমাবদ্ধ থাকা, তার উচিত মূল্যবোধ, চরিত্র এবং জাতীয় উন্নয়নের গঠনেও ভূমিকা রাখা।” এমনই মন্তব্য করলেন আরএসএসের (RSS) সরসংঘচালক মোহন ভাগবত (Mohan Bhagwat)। মধ্যপ্রদেশের ভোপালে পালিত হল বিদ্যা ভারতী অখিল ভারতীয় শিক্ষা সংস্থান কর্মসূচি। এই কর্মসূচিতে যোগ দেন ভাগবত।

    সমাজের মঙ্গলের জন্য কাজ করতে হবে

    তিনি বলেন, “আমাদের কেবলমাত্র একটি নির্দিষ্ট শ্রেণি বা গোষ্ঠীর কল্যাণে সীমাবদ্ধ থাকা উচিত নয়। আমাদের সমগ্র সমাজের মঙ্গলের জন্য কাজ করতে হবে। আমাদের শক্তি এবং সম্পদের উচিত সকলের অগ্রগতিতে অবদান রাখা।” এদিনের কর্মসূচিতে ভাগবত আহ্বান জানান, সামগ্রিক সামাজিক অগ্রগতি ও সমন্বিত শিক্ষার। আরএসএস কর্তা বিভিন্ন মতাদর্শের সঙ্গে আলোচনার প্রয়োজনীয়তার ওপরও গুরুত্ব দেন। বলেন, “যাঁরা আমাদের মতের সঙ্গে একমত নন, তাঁদেরও আমাদের সঙ্গে নিয়ে চলতে হবে।”

    শিক্ষার গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা

    ভবিষ্যৎ গঠনে শিক্ষার গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকার কথা উল্লেখ করে তিনি (RSS) বলেন, “বিদ্যা ভারতী শুধুমাত্র শিক্ষার জন্য নয়, এটি জীবনের মূল্যবোধ এবং চরিত্র গঠনে কাজ করে। বিশ্ব এখন ভারতের দিকে তাকিয়ে আছে। তাই আমাদের মানবতার সঠিক পথনির্দেশনা দেওয়া উচিত।” প্রযুক্তির প্রভাব সম্পর্কে বলতে গিয়ে ভাগবত এর ব্যবহার পরিচালনা করার জন্য নৈতিক কাঠামোর ওপর জোর দেন। তিনি বলেন, “প্রযুক্তি সমাজের প্রতিটি দিককে গঠন করছে। আমরা যখন অগ্রগতিকে গ্রহণ করছি, তখন আমাদের নিশ্চিত করতে হবে যে এটি মানবকল্যাণের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ। এর ক্ষতিকর উপাদানগুলোকে আমরা বর্জন করব।”

    ভারতীয় অন্তর্ভুক্তিমূলক দর্শনের উল্লেখ করে ভাগবত সমষ্টিগত সম্প্রীতির ওপর গুরুত্ব আরোপ করেন। তিনি বলেন, “ভারতীয় সংস্কৃতি সবসময় বৈচিত্র্যের মধ্যে ঐক্যকে লালন করে এসেছে। আমাদের বুঝতে হবে যে আমরা সমাজের একটি অবিচ্ছেদ্য অংশ। সামাজিক পরিবর্তন ব্যক্তিগত পরিবর্তনের মাধ্যমেই শুরু হয়।” প্রসঙ্গত, আরএসএসের সহযোগী বিদ্যা ভারতী আয়োজন করেছে পাঁচ দিনের সর্বভারতীয় পূর্ণকালীন কর্মী প্রশিক্ষণ (Mohan Bhagwat) কর্মসূচি। এটি হচ্ছে ভোপালের শারদা বিহার আবাসিক স্কুল ক্যাম্পাসে। অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন মোহন ভাগবত (RSS)।

  • Bharat Bhutan Rail: ট্রেনে চেপে মাত্র এক ঘণ্টায় ভুটানে! প্রধানমন্ত্রী মোদির উদ্যোগে পর্যটনে জোয়ার

    Bharat Bhutan Rail: ট্রেনে চেপে মাত্র এক ঘণ্টায় ভুটানে! প্রধানমন্ত্রী মোদির উদ্যোগে পর্যটনে জোয়ার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রতিবেশী দেশগুলির সঙ্গে যোগাযোগ বৃদ্ধি করার লক্ষ্যে বেশ কিছু উদ্যোগ হাতে নিয়েছে ভারতীয় রেল (Bharat Bhutan Rail)। বাংলাদেশের সঙ্গে রেল যোগাযোগ বৃদ্ধির পর এবার ভুটানের সঙ্গে রেল সংযোগের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। অসমের কোকড়াঝাড় থেকে ভুটানের গেলেফু পর্যন্ত রেলপথ বসানোর যাবতীয় প্রকল্প রিপোর্ট উত্তর-পূর্ব সীমান্ত রেল তুলে দিয়েছে ভারতীয় রেলবোর্ডের কাছে।

    প্রস্তাবিত প্রকল্প কাঠামো

    গত ২৫ ফেব্রুয়ারি এই প্রকল্পের কথা গুয়াহাটিতে ঘোষণা করেছিলেন রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব। গুয়াহাটিতে আয়োজিত বিনিয়োগ ও পরিকাঠামো শীর্ষ সম্মেলন অ্যাডভান্টেজ অসম ২.০-তে প্রস্তাবিত ৬৯.০৪ কিলোমিটার রেললাইনটির কথা ঘোষণা করেছিলেন রেলমন্ত্রী। প্রস্তাবিত ৬৯.০৪ কিলোমিটার রেললাইনটি অসমের কোকড়াঝাড় স্টেশনকে ভুটানের গেলেফুর সঙ্গে যুক্ত করবে। লাইন বসানোর জন্য আনুমানিক ব্যয় নির্ধারণ হয়েছে ৩,৫০০ কোটি টাকা। এই প্রকল্পের অধীনে ৬টি নতুন স্টেশন নির্মাণ হবে। স্টেশনগুলি হল বালাজান, গারুভাসা, রুনিখাতা, শান্তিপুর, দাদাগিরি ও গেলেফু। সেইসঙ্গে পরিকাঠামো পরিকল্পনায় থাকছে দুটি গুরুত্বপূর্ণ সেতু, ২৯টি বড় সেতু, ৬৫টি ছোট সেতু, ১টি রোড ওভার ব্রিজ ও ৩৯টি রোড আন্ডার ব্রিজ ও ১১ মিটার দৈর্ঘ্যের ০২টি ভায়াডাক্ট। ফাইনাল লোকেশন সমীক্ষা রিপোর্ট রেলবোর্ডের কাছে জমা দেওয়া হয়েছে। অনুমোদন মিললেই কাজ শুরু হয়ে যাবে।

    ‘অ্যাক্ট ইস্ট পলিসি’র দিকে এগোচ্ছে রেল

    প্রতিবেশী দেশগুলির সঙ্গে যোগাযোগ বৃদ্ধি করার জন্য বেশ কিছু নতুন রেলওয়ে (Bharat Bhutan Rail) প্রকল্প গ্রহণ করে প্রধানমন্ত্রীর ভিশন ‘অ্যাক্ট ইস্ট পলিসি’ ও ‘নেবারহুড ফার্স্ট পলিসি’-র দিকে সক্রিয় ভাবে এগিয়ে চলেছে ভারতীয় রেল। প্রধানমন্ত্রীর ভিশনের সঙ্গে সংগতি রেখে কোকরাঝাড় থেকে গেলেফু পর্যন্ত নতুন রেললাইন বসানোর প্রস্তাব রাখা হয়েছে। এই লাইনই অসম ও ভুটানকে যুক্ত করবে। দুই দেশের মধ্যে সংযোগ ব্যবস্থাকে উন্নত করার জন্য এবং দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ককে মজবুত করার জন্য এই লাইন বসানোর প্রস্তাব রাখা হয়েছে।

    দীর্ঘমেয়াদি বিকাশ ও উন্নয়নের পথ

    প্রস্তাবিত এই প্রকল্পের ফাইনাল লোকেশন সার্ভে (এফএলএস) সফল ভাবে সম্পূর্ণ করা হয়েছে এবং পরবর্তী অনুমোদন ও প্রয়োজনীয় নির্দেশনার জন্য বিস্তারিত প্রকল্প প্রতিবেদন জমা দেওয়া হয়েছে। প্রস্তাবিত এই রেললাইনটি উল্লেখযোগ্য ভাবে ভারত-ভুটান সম্পর্ককে মজবুত করবে। দুই দেশের মধ্যে বাণিজ্য, পর্যটন ও সাংস্কৃতিক বিনিময়কে বৃদ্ধি করবে। সেই সঙ্গে যাতায়াত ব্যবস্থাকেও উন্নত করবে, এবং এর মাধ্যমে ভুটানকে সর্বপ্রথম বার রেলওয়ে সংযোগ ব্যবস্থা প্রদান করা হবে, যা বাধাহীন পরিবহণে সহায়ক হয়ে উঠবে। সেই সঙ্গে, এই রেললাইন বড়োল্যান্ডের জন্য একটি বাণিজ্য ও ট্রানজিট হাব হিসাবে গড়ে উঠবে। যার ফলে স্থানীয় ব্যবসা ও জনসাধারণের সুবিধা হবে। সামগ্রিক ভাবে, এই অসম-ভুটান রেললাইন বড়োল্যান্ডের অর্থনীতিতে ও যোগাযোগ ব্যবস্থায় রূপান্তর সাধন করবে, যা দীর্ঘমেয়াদি বিকাশ ও উন্নয়নের পথ প্রশস্ত করবে।

    প্রধানমন্ত্রীর ভিশন ‘অ্যাক্ট ইস্ট পলিসি’

    দীর্ঘদিন ধরে বিচ্ছিন্ন ও বঞ্চিত ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলে উন্নয়নের গতি আনাই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ভিশন ‘অ্যাক্ট ইস্ট পলিসি’। বাংলাদেশ ও মায়ানমার এই দুই প্রতিবেশী দেশ ভারতের অ্য়াক্ট ইস্ট পলিসির কেন্দ্রস্থলে রয়েছে ৷ কারণ, ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলকে দক্ষিণ পূর্ব এশিয়ার সঙ্গে এই দুই দেশের মধ্যে দিয়ে যুক্ত করা যায়। যেহেতু এই দুই দেশে ঝামেলা ও রাজনৈতিক দ্বন্দ্ব চলছে ৷ তাই নয়াদিল্লির জন্য ভুটান, নেপাল, সিঙ্গাপুরের সঙ্গে সম্পর্ক পুনরুজ্জীবিত করা প্রয়োজন ৷ সেক্ষেত্রে এই প্রস্তাবিত রেলপথ ভারত-ভুটান সম্পর্ককেঅন্য মাত্রায় নিয়ে যাবে, বলে অনুমান কূটনৈতিক মহলের।

    প্রধানমন্ত্রী মোদির উদ্যোগ

    ২০১৭ সালে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির (PM Modi Initiatives) ভুটানের রাজা জিগমে খেসার নামগেল ওয়াংচুক-এর সঙ্গে বৈঠকে এই রেললাইন নিয়ে আলোচনা হয়। এই রেললাইনের ৭০ কিলোমিটার রেলপথের মধ্যে ভুটানের ভেতরে ৫৮ কিলোমিটার রেলপথ বিছানোর পরিকল্পনা রয়েছে । উত্তর-পূর্ব সীমান্ত রেলের কোকরাঝাড় থেকে ভুটানের সারপাং-এর গেলেফু পর্যন্ত এই রেলপথ পাতা হবে। পরে, ২০২৪ সালে মার্চ মাসে ভুটান সফরে গিয়েছিলেন দেশের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ৷ সেসময় মোদি ও ভুটানের প্রধানমন্ত্রী শেরিং তোবগের মধ্যে এই রেলপথ নিয়ে আলোচনা হয় ৷ তারপর দু’দেশের মধ্যে এই রেললাইন নিয়ে মৌ স্বাক্ষরও হয়েছিল।

    কোথা থেকে কোথায় রেলপথ

    ভুটানের (Bharat Bhutan Rail) সারপাং জেলার গেলেফুকে ভুটানের বৃহত্তম ইকোনমিক জোন হিসেবে ধরা হয় । এই রেলপথ তৈরি হলে ভুটানের আর্থ সামাজিক মান আরও উন্নত হবে ৷ ভারত ও ভুটানের মধ্যে পণ্য আমদানি-রফতানি বাড়বে । পর্যটন মানচিত্রে বিরাট জায়গা করে নেবে এই রেলপথ । শুধু তাই নয়, দ্বিতীয় রেললাইন হিসেবে ভুটানের সামসি জেলা থেকে ভারতের সীমান্ত চা বাগানের মধ্যে দিয়ে কোকরাঝাড় রেলপথ বানারহাট রেললাইনে মিশবে।

    ভারতের রেল নেটওয়ার্ক

    ভারতের রেল (Bharat Bhutan Rail) নেটওয়ার্ক হার মানিয়ে দেয় অনেক দেশকেই। শুধু দেশের অন্দরে নয়, আন্তর্জাতিক রেল নেটওয়ার্কও রয়েছে ভারতের। বর্তমানে ভারতের বাইরে ট্রেনে চেপে আরও দুটি দেশে যাওয়া যায়- বাংলাদেশ ও পাকিস্তান। তবে এবার ভারতের গা ঘেঁষে থাকা ভুটানেও পৌঁছে যাওয়া যাবে ট্রেনে চেপেই। ভারত-ভুটান সরাসরি রেলপথ নির্মাণের দাবি দীর্ঘদিনের। কারণ, তাতে আমজনতা, পর্যটকরা যেমন উপকৃত হবেন, তেমনই দুই দেশের বৈদেশিক বাণিজ্য আরও সহজ ও সম্প্রসারিত হবে। ভুটানের সঙ্গে আরও পোক্ত হবে ভারতের সম্পর্ক।

    প্রাথমিক পরিকল্পনা

    ভারতের সঙ্গে ভুটানের সরাসরি রেল যোগাযোগ গড়ে তুলতে প্রাথমিকভাবে পাঁচটি সম্ভাব্য রুটের কথা ভাবা হয়েছিল। এগুলির মধ্য়ে অসম থেকে ভুটান পর্যন্ত তিনটি রুটে ট্রেন চালানোর সম্ভাবনা উঠে আসে। এছাড়াও পশ্চিমবঙ্গের জলপাইগুড়ি এবং আলিপুরদুয়ার জেলা থেকে একটি করে সম্ভাব্য রুট নিয়ে আলোচনা হয়েছিল। অন্যদিকে, অসম থেকে ভুটান পর্যন্ত প্রস্তাবিত রেলরুটগুলির মধ্য়ে অন্যতম ছিল কোকড়াঝাড়-গেলেফু। শেষ পর্যন্ত সেই রুটটিকেই বেছে নেয় রেল মন্ত্রক। এরপর, ভারত ও ভুটান – দুই দেশের সম্মতিক্রমে ২০২২ সাল থেকে এই রুটে সমীক্ষার কাজ শুরু করে উত্তর-পূর্ব সীমান্ত রেল। প্রায় দুই বছর ধরে ধাপে ধাপে সেই সমীক্ষার কাজ চলে। অবশেষে, ফাইনাল লোকেশন সার্ভের কাজ শেষ হয় গত নভেম্বর মাসে। এবার তৈরি হল প্রকল্প রিপোর্ট।

    ভারত-ভুটান এক ঘণ্টায়

    তথ্যাভিজ্ঞ মহলের হিসাব বলছে, সরাসরি রেলরুট চালু হলে অসমের কোকরাঝাড় থেকে ভুটানের গেলেফু পৌঁছতে ঘণ্টা খানেক সময় লাগবে। তাছাড়া, এই রুটে দুই দেশের মধ্য়ে পণ্য পরিবহণও শুরু করা যাবে। তাতে পরিবহণ খরচ কমবে এবং সময় বাঁচবে। যার জেরে লাভবান হবে দুই পক্ষই।

    পর্যটনে জোয়ার

    ভুটান (Bharat Bhutan Rail) ভারতের ঠিক পাশেই অবস্থিত। ভারতীয়দের ছুটি কাটানোর অন্যতম ঠিকানা এই দেশ। হিমালয়ের কোলে থাকা সেই ভুটানে এবার যাওয়া যাবে ট্রেনে। সেই পরিকল্পনা করছে রেল। অসমের কোকরাঝাড় জেলাকে ভুটানের গেলফু শহরের সঙ্গে যুক্ত করবে রেল লাইন। একবার এই রেল যোগাযোগ স্থাপন হয়ে গেলে, ভারত থেকে ভুটানে যাতায়াত করা মানুষের পক্ষে সহজ হয়ে যাবে। এই রেল যোগাযোগ ভারত ও ভুটানের মধ্যে পর্যটনের প্রসার ঘটাবে বলে মনে করা হচ্ছে। যদিও ভারতীয়দের ভুটান ভ্রমণের জন্য ভিসার প্রয়োজন হয় না, তবে রেলপথ নির্মাণের পরে, ভারতীয়দের জন্য ভ্রমণ আরও সহজ হয়ে উঠবে।

  • RSS Founder: শতবর্ষে আরএসএস, প্রকাশিত হচ্ছে সংঘ প্রতিষ্ঠাতা হেডগেওয়ারের জীবনী

    RSS Founder: শতবর্ষে আরএসএস, প্রকাশিত হচ্ছে সংঘ প্রতিষ্ঠাতা হেডগেওয়ারের জীবনী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ১৯২৫ সালে প্রতিষ্ঠিত হয় রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘ। ২০২৫ সালের বিজয়া দশমীতে এই সংগঠন শতবর্ষে পা রাখতে চলেছে। বিগত ১০০ বছর ধরে পৃথিবীর সব থেকে বড় সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনের তকমা পেয়েছে আরএসএস। সংগঠনের ১০০ বছর পূর্তি অনুষ্ঠানে প্রতিষ্ঠাতা (RSS Founder) ডাক্তার কেশব বলিরাম হেডগেওয়ারের জীবনী প্রকাশ করছে আরএসএস। প্রসঙ্গত, স্বয়ংসেবকদের কাছে কেশব বলিরাম হেডগেওয়ার ডাক্তারজি নামে পরিচিত। তাঁরই জীবনী প্রকাশ করতে চলেছে রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘ। বইটি লিখেছেন শচীন নন্দা। বইটির নাম- হেডগেওয়ার: আ ডেফিনিটিভ বায়োগ্রাফি (Hedgewar: A Definitive Biography)। এই বইতে বিশ্লেষণ করা হয়েছে, কোন পরিস্থিতিতে কীভাবে তিনি সংগঠনকে প্রতিষ্ঠা করেন। কীভাবে শুরু হয় এর যাত্রা। জানা গিয়েছে, বইতে রয়েছে রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘের (RSS Founder) প্রতিষ্ঠাতার ভূমিকা এবং তাঁর সংগঠন ক্ষমতা বিস্তারিত ব্যাখ্যা।

    ১৮৮৯ সালে জন্মগ্রহণ করেন কেশব বলিরাম হেডগেওয়ার (RSS Founder)

    এই বই থেকে এই পাঠকরা আরও সূক্ষ্মভাবে বুঝতে পারবেন সংঘ প্রতিষ্ঠাতার জীবন। এখানে রয়েছে সংঘ প্রতিষ্ঠাতার (RSS Founder) শৈশব থেকে কিশোরবেলা ও তাঁর জীবনের নানা ঘটনা। প্রসঙ্গত রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘের প্রতিষ্ঠাতা ডাক্তার কেশব বলিরাম হেডগেওয়ার জন্মগ্রহণ করেন ১৮৮৯ সালের ১ এপ্রিল। তিনি প্রয়াত হন ১৯৪০ সালের ২১ জুন। বইটি নিয়ে শচীন নন্দা জানিয়েছেন যে বিগত সাত বছর ধরে তিনি এ নিয়ে গবেষণা করেছেন। গবেষণার কাজে তিনি বিভিন্ন স্থানে যেমন পৌঁছেছেন তেমনই ডাক্তার কেশব বলিরাম হেডগেওয়ারের জীবনের চ্যালেঞ্জগুলিকেও অনুধাবন করেছেন।

    কী বললেন শচীন নন্দা?

    শচীন নন্দা বলেন, ‘‘আমি এই বইতে প্রকাশ করার চেষ্টা করেছি হিন্দু সমাজকে ঐক্যবদ্ধ করতে ডাক্তার কেশব বলিরাম হেডগেওয়ারের (RSS Founder) ভূমিকা। তাঁর বই প্রকাশ নিয়েই মুম্বইয়ে সাংবাদিক বৈঠক করেন শচীন নন্দা। সেখানেই এই কথাগুলি বলেন তিনি। ওই বইতে রয়েছে ভারতে ব্রিটিশ শাসন ও সেই সময়ে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে সাম্প্রদায়িক অশান্তির খবর। বইতে ব্যাখ্যা রয়েছে রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘের মতাদর্শ সাংস্কৃতিক জাতীয়তাবাদ।’’ ওই সাংবাদিক সম্মেলনে শচীন নন্দা বলেন, ‘‘আমি সাত বছর ধরে এমন একটা মানুষ সম্পর্কে গবেষণা করেছি এবং লিখেছি যে মানুষটাকে (Keshav Baliram Hedgewar) এখনও অনেকজনই জানেন না। কিন্তু তাঁর তৈরি আদর্শ এবং নীতি প্রভাব বিস্তার করছে বিশ্বজুড়ে প্রতি পাঁচ জন মানুষের মধ্যে একজনের মধ্যে।’’

  • ASTRA MK-III: চিন-আমেরিকাকে টেক্কা! ভারত তৈরি করছে বিশ্বের সবচেয়ে উন্নত এয়ার-টু-এয়ার মিসাইল ‘গাণ্ডীব’

    ASTRA MK-III: চিন-আমেরিকাকে টেক্কা! ভারত তৈরি করছে বিশ্বের সবচেয়ে উন্নত এয়ার-টু-এয়ার মিসাইল ‘গাণ্ডীব’

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আরও শক্তিশালী ক্ষেপণাস্ত্র আনছে ডিফেন্স রিসার্চ অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট অর্গানাইজেশন (DRDO)। ভারতের সর্বশেষ এবং সবচেয়ে উন্নত এয়ার-টু-এয়ার মিসাইল, অস্ত্র মার্ক-থ্রি-র (ASTRA MK-III) নতুন নামকরণ করা হল ‘গাণ্ডীব’। মহাভারতের অর্জুনের ধনুকের নাম ছিল গাণ্ডীব। শত্রুকে নিশানা এর লক্ষ্য ছিল নির্ভুল। ঠিক সেই রকম ভাবেই অস্ত্র মার্ক-থ্রি আধুনিক আকাশ যুদ্ধে গুরুত্বপূর্ণ হবে বলে আশা ডিআরডিও-র। এই মিসাইলটি আকাশ-যুদ্ধের দৃশ্যপটকে নতুন সংজ্ঞা দিতে সক্ষম হবে, বিশেষত “বিয়ন্ড ভিজুয়াল রেঞ্জ” (BVR) যুদ্ধে নতুন দিশা দেখাবে। ডিআরডিও-র নজরদারিতে এখনও এই ক্ষেপণাস্ত্রের আধুনিকীকরণ চলছে।

    ভারতের জন্য গেম-চেঞ্জার

    বর্তমানে, ভারতীয় বায়ুসেনার রাফাল যুদ্ধবিমানগুলি ফরাসি এমবিডিএ নির্মিত মিটিওর বিভিআর মিসাইল দ্বারা সজ্জিত। যার বিয়ন্ড ভিজুয়াল রেঞ্জ পরিসীমা ২০০ কিলোমিটার। তবে, গাণ্ডীব মিসাইলটি তার প্রতিদ্বন্দ্বীদের তুলনায় উল্লেখযোগ্যভাবে আরও দীর্ঘ পরিসীমা প্রদান করবে। এর সর্বোচ্চ পরিসীমা ৩৪০ কিলোমিটার পর্যন্ত পৌঁছাতে পারে। মিসাইলটি ২০ কিলোমিটার উচ্চতায় ৩৪০ কিলোমিটার এবং ৮ কিলোমিটার উচ্চতায় ১৯০ কিলোমিটার পর্যন্ত শত্রু বিমান লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানতে সক্ষম। যা এই মিসাইলটিকে ভারতের সামরিক শক্তির ভারসাম্য পরিবর্তনকারী এক বিপ্লবী অস্ত্র হিসেবে গড়ে তুলবে।

    চিন-আমেরিকাকে টেক্কা

    বলে রাখা ভালো, বর্তমানে বিশ্বে আর কোনও বিভিআর এয়ার টু এয়ার মিসাইলের পাল্লা এত বেশি নয়। গাণ্ডীব ক্ষেপণাস্ত্রের (Gandiva Missile) চূড়ান্ত অন্তর্ভুক্তির মাধ্যমে, ভারত বিশ্বের অন্যতম দীর্ঘ-পরিসীমার বিয়ন্ড ভিজুয়াল রেঞ্জ এয়ার-টু-এয়ার মিসাইলের অধিকারী হবে। এর ফলে, ভারত চিনের পিএল-১৫ (PL-15) ক্ষেপণাস্ত্রকে অতিক্রম করবে, যার পরিসীমা ৩০০ কিলোমিটার। যুক্তরাষ্ট্রের এআইএম-১৭৪ ও বিভিআরএএএম (AIM-174 BVRAAM) মিসাইলকেও টেক্কা দেবে যার পরিসীমা ২৪০ কিলোমিটার। গাণ্ডীব ভারতীয় বিমান বাহিনীর (IAF) সুখোই-৩০এমকেআই (Su-30MKI) এবং লাইট কমব্যাট এয়ারক্রাফট তেজস যুদ্ধবিমানে স্থাপন করা হবে। গাণ্ডীব একটি ডুয়াল-ফুয়েল ডাকটেড র‌্যামজেট ইঞ্জিন দ্বারা চালিত। এটিকে সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে অথবা ২০ কিলোমিটার উচ্চতা থেকে উৎক্ষেপণ করা যাবে। এটি বিভিন্ন ধরনের শত্রু বিমান যেমন ফাইটার, বম্বার, সামরিক পরিবহণ বিমান, রিফুয়েলিং প্লেন, এবং এয়ারবর্ন ওয়ার্নিং অ্যান্ড কন্ট্রোল সিস্টেম বিমানকে ধ্বংস করতে সক্ষম।

  • Kedarnath: ৮-৯ ঘণ্টার যাত্রা মাত্র ৩৬ মিনিটে! কেদারনাথে রোপওয়ে প্রকল্পের অনুমোদন মোদি সরকারের

    Kedarnath: ৮-৯ ঘণ্টার যাত্রা মাত্র ৩৬ মিনিটে! কেদারনাথে রোপওয়ে প্রকল্পের অনুমোদন মোদি সরকারের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মোদি সরকারের (Modi Government) বড় সিদ্ধান্তে এবার কেদারনাথে (Kedarnath) যাওয়া আরও সহজ হল। মন্দির দর্শনের জন্য পাহাড়ি রাস্তায় আর ট্রেক করতে হবে না ভক্তদের। রোপওয়েতে চড়েই পৌঁছানো যাবে যাবেন কেদারনাথে। জাতীয় রোপওয়ে উন্নয়ন কর্মসূচির অধীনে এবার উত্তরাখণ্ডের সোনপ্রয়াগ থেকে কেদারনাথ পর্যন্ত রোপওয়ের অনুমোদন দেওয়া হল। জানা গিয়েছে, ১২.৯ কিলোমিটার দীর্ঘ রোপওয়ে পথের অনুমোদন দিয়েছে মোদি সরকার। এই রোপওয়ে তৈরি করতে ৪ হাজার ৮১ কোটি টাকা খরচ হবে বলে জানা যাচ্ছে। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব এবিষয়ে সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, এই রোপওয়ে তৈরি হয়ে গেলে ৮-৯ ঘণ্টার যাত্রাপথ মাত্র ৩৬ মিনিটেই পার করা সম্ভব হবে। আধ ঘণ্টাতেই পৌঁছানো যাবে কেদারনাথ (Kedarnath)।

    প্রতিদিন ১৮ হাজার যাত্রী যাতায়াত করতে পারবেন (Kedarnath)

    কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার বৈঠকে সিদ্ধান্ত অনুযায়ী সোনপ্রয়াগ থেকে কেদারনাথের রোপওয়েটি সরকারি-বেসরকারি অংশীদারিত্বে তৈরি ও চালানো হবে। অনুমান করা হচ্ছে রোপওয়েতে প্রতিদিন ১৮ হাজার যাত্রী যাতায়াত করতে পারবেন। বিশেষ করে প্রবীণ ভক্তদের জন্য এই রোপওয়ে খুব সুবিধাজনক হবে। প্রসঙ্গত, উত্তরাখণ্ডের রুদ্রপ্রয়াগে ভূপৃষ্ঠ থেকে ১১,৯৬৮ ফুট উচ্চতায় অবস্থিত কেদারনাথ মন্দির। আপাতত সোনপ্রয়াগ থেকে ২১ কিমি পথ পেরিয়ে কেদারনাথে পৌঁছাতে হয় ভক্তদের। সোনপ্রয়াগ থেকে গৌরীকুণ্ড পর্যন্ত রয়েছে ৫ কিমি রাস্তা। অন্যদিকে, গৌরীকুণ্ড থেকে কেদারনাথ পর্যন্ত ১৬ কিমি ট্রেক করতে হয়। রোপওয়ে তৈরি হয়ে গেলে এই পথ পাড়ি দেওয়া অত্যন্ত সহজ হয়ে যাবে।

    উত্তরাখণ্ডের গোবিন্দঘাট থেকে হেমকুণ্ড সাহিব পর্যন্ত রোপওয়ে

    শুধু কেদারনাথই নয়, একইসঙ্গে উত্তরাখণ্ডের গোবিন্দঘাট থেকে হেমকুণ্ড সাহিব পর্যন্ত ১২.৪ কিলোমিটার দীর্ঘ রোপওয়ে প্রকল্পের উন্নয়নেরও অনুমোদন দেওয়া হয়েছে মোদি সরকারের পক্ষ থেকে। এই প্রকল্প চালু করতে মোট খরচ হবে ২,৭৩০ কোটি ১৩ লক্ষ টাকা। এটি হেমকুণ্ড সাহিবে আগত ভক্তদের এবং ভ্যালি অফ ফ্লাওয়ার্সে আগত পর্যটকদের পৌঁছতে সুবিধা করে দেবে।

  • F-35 vs Su-57: রেডারকে ফাঁকি দিতে ওস্তাদ এফ-৩৫, গতি-অস্ত্রসম্ভারে তুখোড় সু-৫৭, ভারতের মন জিতবে কে?

    F-35 vs Su-57: রেডারকে ফাঁকি দিতে ওস্তাদ এফ-৩৫, গতি-অস্ত্রসম্ভারে তুখোড় সু-৫৭, ভারতের মন জিতবে কে?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সোশ্যাল মিডিয়ায় চোখ রাখলে দেখা যাবে, এখন একটাই প্রশ্ন চারদিকে ঘুরে ফিরে বেড়াচ্ছে। তা হল- মার্কিন এফ-৩৫ নাকি রুশ সু-৫৭, (F-35 vs Su-57) কোন যুদ্ধবিমান কিনবে ভারত? কিন্তু কেন উঠছে এই প্রশ্ন, তা বুঝতে হলে ফিরে যেতে হবে গতমাসের মাঝামাঝি সময়ে। বেঙ্গালুরুতে আয়োজিত এরো ইন্ডিয়া শো-তে দুই যুদ্ধবিমানই উপস্থিত ছিল। এক কথায় এই দুই বিমানই ছিল এবারের সংস্করণের ‘শো-স্টপার’। পঞ্চম প্রজন্মের এই দুই স্টেলথ যুদ্ধবিমানই তাদের কলা-কৌশল যথাসম্ভবভাবে তুলে ধরেছে। অবশ্যই ভারতকে আকৃষ্ট করার জন্য। এর সঙ্গেই ওয়াশিংটন ও মস্কোর থেকে বিবৃতির পর এই প্রশ্ন উঠতে শুরু করে।

    এদিকে হোয়াইট হাউস, ওদিকে ক্রেমলিন!

    একদিকে, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে পাশে নিয়ে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প জানান, তাঁরা ভারতকে এই বিমান দেওয়ার প্রস্তাব রেখেছেন। ভারত এই বিমানই নেবে, সেই ব্যাপারে তিনি যথেষ্ট আশাবাদী। হোয়াইট হাউস যখন এগিয়েছে, তাহলে ক্রেমলিন পিছিয়ে থাকে কী করে! পুতিনের তরফে আরও এক কদম বাড়িয়ে ঘোষণা করা হয়, ভারত সু-৫৭ নিলে তারা প্রযুক্তি হস্তান্তরেও রাজি। এর পর থেকেই সমাজ মাধ্যমের পাতায় জমে উঠেছে মার্কিন এফ-৩৫ বনাম রুশ সু-৫৭ যুদ্ধবিমানের ‘লড়াই’। এখন প্রতিরক্ষা বিশেষজ্ঞ থেকে শুরু করে দেশপ্রেমী নেটাগরিক— সকলেই যে যার মতো ব্যাখ্যা-বিশ্লেষণ শুরু করে দিয়েছে।

    রুশ সু-৫৭ বনাম মার্কিন এফ-৩৫ (F-35 vs Su-57)

    এখন প্রশ্ন হল, ভারত যেখানে দেশে নিজস্ব পঞ্চম প্রজন্মের স্টেলথ যুদ্ধবিমান তৈরি করার চেষ্টা চালাচ্ছে, তাহলে সারা কেন হাজার হাজার কোটি টাকা খরচ করে বিদেশ থেকে পঞ্চম প্রজন্মের যুদ্ধবিমান কিনবে? এর উত্তর অবশ্য অনেকেরই জানা। তা হল, ভারতের নিজস্ব পঞ্চম প্রজন্মের যুদ্ধবিমান যার নাম অ্যাডভান্সড মাল্টি-রোল এয়ারক্র্যাফট বা অ্যামকা— তার এখনও দিনের আলোই দেখেনি। ফলে, বায়ুসেনায় (Indian Air Force) অন্তর্ভুক্ত হতে এখনও অন্তত এক দশক দেরি। অন্যদিকে, চিন ষষ্ঠ প্রজন্মের যুদ্ধবিমানের ট্রায়াল শুরু করে দিয়েছে। ফলে, ভারতীয় বায়ুসেনাকে এখনই একটা বিকল্প উপায় বেছে নিতে হবে। তা হল, বিদেশ থেকে অল্প সংখ্যক যুদ্ধবিমান কিনে পরিস্থিতি আপাতত সামাল দেওয়া। আর সেখানেই বিকল্প হিসেবে নাম উঠে এসেছে এই দুই প্রতিদ্বন্দ্বীর— এফ-৩৫ ও সু-৫৭ (F-35 vs Su-57)।

    এক নজরে দেখে নেওয়া যাক এই দুই অত্যাধুনিক স্টেলথ যুদ্ধবিমানের মধ্যে প্রযুক্তিগত তফাত কোথায়—

    প্রযুক্তিগত তুল্যমূল্য বিশ্লেষণ

    উৎপাদন ও উন্নয়ন— সু-৫৭ যুদ্ধবিমান তৈরি করেছে রাশিয়ার সুখোই সংস্থা, যাদের ব্যবহৃত সু-৩০ এমকেআই যুদ্ধবিমান ব্যবহার করে ভারতীয় বায়ুসেনা। এখ ভারতেই নির্মিত হয় সু-৩০এমকেআই। সু-৫৭ বিমানে আকাশ থেকে আকাশ এবং আকাশ থেকে ভূমিতে আঘাত হানার ক্ষমতা রয়েছে। অন্যদিকে, এফ-৩৫ যুদ্ধবিমান তৈরি করেছে মার্কিন সংস্থা লকহিড-মার্টিন। এটি মাল্টি-রোল স্টেলথ ফাইটার জেট।

    স্টেলথ সক্ষমতা— সু-৫৭ যুদ্ধবিমানের স্টেলথ-সক্ষমতা মার্কিন পঞ্চম প্রজন্মের এফ-৩৫ বা এফ-২২ যুদ্ধবিমানের তুলনায় কম উন্নত। অন্যদিকে, এফ-৩৫ বিমানের ‘স্টেলদিনেস’ উচ্চমানের। শত্রুর রেডারে প্রায় ধরা পড়ে না এই যুদ্ধবিমান।

    ইঞ্জিন ও গতি— সু-৫৭ যুদ্ধবিমানকে শক্তি জোগায় স্যাটার্ন এএল-৪১এফ১ ইঞ্জিন। এর সর্বোচ্চ গতি ২২৭৮ কিমি প্রতি ঘণ্টা, যা আনুমানিক শব্দের গতির ২.২৫ গুণ। অন্যদিকে, এফ-৩৫ জেটে রয়েছে প্র্যাট অ্যান্ড হুইটনি এফ১৩৫ ইঞ্জিন। এর সর্বোচ্চ গতি ১৪৩২ কিমি প্রতি ঘণ্টা, যা শব্দের গতির প্রায় ১.১৫ গুণ। ফলে, গতিতে মার্কিন জেটকে টেক্কা দেবে রুশ যুদ্ধবিমান (F-35 vs Su-57)।

    অস্ত্রবহনের ক্ষমতা— সু-৫৭ যুদ্ধবিমানে রয়েছে ১২টি ‘হার্ডপয়েন্ট’, যাতে বিভিন্ন ধরনের মিসাইল মোতায়েন করা যেতে পারে। এই তালিকায় রয়েছে হাইপারসনিক (শব্দের চেয়ে ন্যূনতম ৫ গুণ বেশি গতিসম্পন্ন) ক্ষেপণাস্ত্র, আকাশ থেকে আকাশ এবং আকাশ থেকে ভূমিতে নিক্ষেপযোগ্য মিসাইল। অন্যদিকে, এফ-৩৫ যুদ্ধবিমানে কেবলমাত্র ৬টি অস্ত্রবহণ করতে পারে। যার মধ্যে রয়েছে আকাশ থেকে আকাশ এবং আকাশ থেকে ভূমি ক্ষেপণাস্ত্র।

    লক্ষ্যবস্তু চিহ্নিতকরণ— সু-৫৭ যুদ্ধবিমানে রয়েছে এন০৩৬ বেলকা এইসা রেডার সিস্টেম, যা একসঙ্গে একাধিক লক্ষ্যবস্তু চিহ্নিত করতে সক্ষম। অন্যদিকে, এফ-৩৫ জেটে রয়েছে এএন/এপিজি-৮১ এইসা রেডার এবং ইলেক্ট্রো-অপটিক্যাল টার্গেটিং সিস্টেম, যা আরও নিখুঁতভাবে শত্রুর সঠিক জায়গা চিহ্নিত করতে সক্ষম।

    লড়াইয়ের সক্ষমতা— সুপারসনিক (শব্দের চেয়ে বেশি দ্রুত) গতিতে সুপারক্রুজ করতে সক্ষম সু-৫৭। অর্থাৎ এটি আফটারবার্নার ব্যবহার না করেই সুপারসনিক গতিতে উড়তে পারে। এর সরাসরি অর্থ হল, এটি অতিরিক্ত জ্বালানি না পুড়িয়েও দীর্ঘ দূরত্বে অভিযান সম্পন্ন করতে পারে। এফ-৩৫ যুদ্ধবিমানের সুপারক্রুজ ক্ষমতা নেই, অর্থাৎ সুপারসনিক গতিতে উড়তে একে অতিরিক্ত জ্বালানি পোড়াতে হয় (F-35 vs Su-57)।

    মাল্টিরোল ক্ষমতা— সু-৫৭ আকাশ থেকে আকাশে এবং ভূমিতে আক্রমণ চালানোর জন্য তৈরি, তবে এটি মূলত ‘ডগফাইট’-এর (মাঝ-আকাশে দুই বিমানের লড়াই) ক্ষেত্রে আরও ভালো। অন্যদিকে, এফ-৩৫ হল একটি সত্যিকারের বহুমুখী যুদ্ধবিমান। এটি একইধারে আকাশে যুদ্ধ, নজরদারি, ইলেকট্রনিক ওয়ারফেয়ার এবং স্থল আক্রমণে সক্ষম।

    ম্যানুভারাবিলিটি বা দ্রুত দিশা পরিবর্তন— সু-৫৭ যুদ্ধবিমানে থ্রাস্ট-ভেক্টরিং প্রযুক্তি রয়েছে, যা এটিকে অত্যন্ত বিপজ্জনক করে তোলে। বিশেষ করে, ডগফাইটের সময় এটি ভীষণ কাজে লাগে। তুলনায়, এতটা উন্নত নয় এফ-৩৫। এটি বহুমুখী উদ্দেশ্যে তৈরি করা হয়েছে।

    ব্যবহার এবং মূল্য— সু-৫৭ শুধুমাত্র রাশিয়ায় ব্যবহৃত হয়, তাও সীমিত সংখ্যায়। এর এক-একটির দাম ৩.৫ থেকে ৫ কোটি মার্কিন ডলার পর্যন্ত। সেখানে, বিশ্বের অনেক দেশ ব্যবহার করে এফ-৩৫ যুদ্ধবিমান, এবং এর এক-একটির দাম ৮ থেকে ১১ কোটি মার্কিন ডলার পর্যন্ত। অর্থাৎ, রুশ যুদ্ধবিমানের দ্বিগুণ (F-35 vs Su-57)।

    রয়েছে আরও অনেক হিসেব-নিকেশ

    এতো গেল প্রযুক্তিগত বিশ্লেষণ। যা পরখ করে দেখা হবে একাধিক পরীক্ষা-নিরীক্ষার মাধ্যমে। কিন্তু, এর বাইরেও রয়েছে অনেক হিসেব-নিকেশ। যার মধ্যে কূটনৈতিক ও কৌশলগত লাভ-ক্ষতির বিষয় জড়িয়ে। তার পর বিচার্য হবে প্রয়োজনীয়তা, দাম, সরঞ্জাম ও সুযোগ-সুবিধার বিষয়গুলি। এত ধাপ পেরিয়ে তবে চূড়ান্ত হবে ভারতীয় বায়ুসেনার (Indian Air Force) ঘরে কোন বিমানটি আসবে।

  • Sambhal: উদ্ধার ৪১টি মন্দির, ১৯টি প্রাচীন কূপ! হিংসা অতীত, মাত্র ১০০ দিনেই সম্ভল ফিরছে পুরানো গরিমায়

    Sambhal: উদ্ধার ৪১টি মন্দির, ১৯টি প্রাচীন কূপ! হিংসা অতীত, মাত্র ১০০ দিনেই সম্ভল ফিরছে পুরানো গরিমায়

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এক সময় ছিল সমৃদ্ধ জনপদ। হিন্দু অধ্যুষিত এলাকায় ছিল মন্দির, ঐতিহাসিক কূপ। কয়েক শতাব্দীর পুরানো এই সব মন্দিরে নিত্য হত পুজোপাঠ। ১৯৭৮ সালে কারা যেন হিংসার আগুন লাগাল। প্রাণভয়ে এলাকা ছেড়ে পালালেন হিন্দুরা (Uttar Pradesh)। পেছনে পড়ে রইল মন্দির, ইতিহাস, জমি-জিরেত সব (Sambhal)। পরবর্তীকালে অবৈধ নির্মাণের কারণে লোকচক্ষুর আড়ালে চলে যেতে থাকে আস্ত ‘ইতিহাস’। সম্প্রতি অবৈধ দখলদারদের হঠাতে গিয়ে উদ্ধার করা হয় মন্দির-কূপ-ইতিহাস সব। মাত্র ১০০ দিনের মধ্যেই ফের হারানো গরিমা ফিরে পেয়েছে উত্তরপ্রদেশের সম্ভল। জেলা প্রশাসন এবং ভারতীয় পুরাতত্ত্ব সর্বেক্ষণের যৌথ প্রচেষ্টায় উদ্ধার হয়েছে ৪১টি মন্দির ও ১৯টি প্রাচীন কূপ।

    সম্ভলের ভোল বদল (Sambhal)

    সম্ভলের এই ভোল বদল ঘটে গত ২৪ নভেম্বর। ওই দিন ষোড়শ শতকের মুঘল আমলের সম্ভলের শাহি জামে মসজিদের আদালত-পর্যবেক্ষিত ভারতীয় পুরাতত্ত্ব সর্বেক্ষণের সমীক্ষাকে কেন্দ্র করে ফের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। ঐতিহাসিক সত্যতা যাচাইয়ের উদ্দেশ্যে শুরু হয় সমীক্ষার কাজ। তার জেরে শুরু হয় ভয়াবহ সংঘর্ষ। মৃত্যু হয় পাঁচজনের। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে এলাকায় যায় পুলিশ। জখম হন বেশ কয়েকজন পুলিশ কর্তা। পুরো জনপদটি বিশৃঙ্খলায় পর্যবসিত হয়। দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে আতঙ্ক। শয়ে শয়ে মানুষ বাড়িঘর এবং ব্যবসা ছেড়ে পালাতে বাধ্য হন।

    কী বলছেন পুলিশ কর্তা (Uttar Pradesh)

    নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক (Sambhal) এক প্রবীণ পুলিশ কর্তা বলেন, “৩০০ থেকে ৫০০টি বাড়ি তালাবন্ধ, শহর থেকে নিখোঁজ হয়েছেন অন্তত ২,০০০ মানুষ। সবাই সংঘর্ষে জড়িত ছিল না। তবে পুলিশ যখন বাড়ি বাড়ি তল্লাশি শুরু করে, তখন আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। ১৯৭৮ সালের হিংসার পর থেকে এই পরিবারের অনেকেই দখল করা জমিতে বসবাস করছিল। শেষমেশ আইন তাদের নাগাল পেয়েছে।” এই বিশৃঙ্খলার মধ্যেই শহরের হারানো গরিমা পুনরুদ্ধারের চেষ্টা শুরু হয়। তার সুফলও মেলে। দখলদারদের হঠিয়ে যেসব জিনিস পুনরাবিষ্কার করা হয়, তার মধ্যে রয়েছে অমরপতি খেড়া। এই খেড়াটি সংরক্ষিত করেছিল ভারতীয় পুরাতত্ত্ব সর্বেক্ষণ।

    ৭৫ বছর ধরে লোকচক্ষুর আড়ালে ছিল

    গত ৭৫ বছর ধরে লোকচক্ষুর আড়ালে ছিল এটি। এই জায়গাটিকে দধীচি আশ্রম বলে মনে করা হয়। ২১টি সমাধিও রয়েছে এখানে। এর মধ্যে একটি সমাধি পৃথ্বীরাজ চৌহানের গুরু অমরপতির। অন্য যে সব ঐতিহ্যবাহী স্থান (Uttar Pradesh) পুনরুদ্ধার করা হয়েছে, সেগুলি হল সারাইতারিনের দরবার এলাকায় রাজা টঙ্কের আদালত, টোটা মাইনা সমাধি এবং একটি প্রাচীন শিব মন্দির। চান্দৌসির ১৫০ বছরের পুরোনো একটি প্রাচীন কুয়ো, যা ১৮৫৭ সালের বিদ্রোহের সময়কার ভূগর্ভস্থ সুড়ঙ্গের সঙ্গে সংযুক্ত। ভদ্রকাশ্রম, স্বর্গদ্বীপ, চক্রপাণি এবং একটি প্রাচীন তীর্থস্থল দাহ স্থান মন্দির। খাগগু সারাইয়ের কার্তিকেশ্বর মন্দির, সারাইতারিনের রাধাকৃষ্ণ মন্দির এবং সম্ভলের স্থাপত্য ঐতিহ্যের অংশ হিসেবে আবিষ্কৃত হয়েছে একটি বিশাল প্রাচীন কুয়ো।

    যোগী আদিত্যনাথের বক্তব্য

    হারানো ইতিহাস (Sambhal) পুনরুদ্ধারের পর উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ বিধানসভায় বলেছিলেন, “সম্ভলের ৬৮টি তীর্থস্থান এবং ১৯টি কুয়োর চিহ্ন মুছে ফেলার চেষ্টা করা হয়েছিল। আমাদের সরকারের দায়িত্ব ছিল সেগুলি খুঁজে বের করা। এখন যখন আমরা সেগুলি আবিষ্কার করেছি, আমরা নিশ্চিত করব যে সেগুলি সংরক্ষিত করা হবে। আমরা শুধুমাত্র আমাদের ন্যায্য অধিকারটুকুই চাই।” জানা গিয়েছে, যোগী প্রশাসন এগুলিকে বন্ধন স্কিমের সঙ্গে যুক্ত করেছে। সরকারের পরিকল্পনা, সম্ভলকে উত্তরপ্রদেশের মোরাদাবাদ বিভাগের ধর্মীয় পর্যটন করিডরের একটি প্রধান কেন্দ্র করে তোলা। সম্ভল ত্রিনেত্র কল্কি দেব তীর্থ সমিতি নামে একটি সংস্থা যা হারিয়ে যাওয়া ঐতিহাসিক স্থানগুলির পুনরুজ্জীবনের কাজ করছে এই উদ্যোগে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে।

    প্রত্নরত্ন উদ্ধার

    আমরপতি খেদা খনন করার (Sambhal) সময় প্রত্নতাত্ত্বিকরা মাটির নীচে প্রাচীন মুদ্রা, মাটির হাঁড়ি এবং বিরাগী প্রদীপের সন্ধান পেয়েছেন। সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ আবিষ্কারটি হল এমন একটি মুদ্রা, যাতে ভগবান রাম, মা সীতা এবং ভগবান লক্ষ্মণের ছবি খোদাই করা রয়েছে। এই আবিষ্কারগুলি এই জায়গার গভীর ঐতিহাসিক এবং ধর্মীয় (Uttar Pradesh) তাৎপর্য প্রমাণ করে। সম্ভলের জেলা ম্যাজিস্ট্রেট রাজেন্দ্র সিংহ বলেন, “সম্ভল তার পুরনো গৌরবে ফিরে এসেছে। আমাদের লক্ষ্য হল এর পরিচয় সংরক্ষণ করা এবং এটিকে একটি ধর্মীয় ও পর্যটন নগরীতে রূপান্তরিত করা।” এসপি কৃষ্ণ কুমার বিষ্ণোইয়ের দাবি, “হিংসার পর এখন পরিস্থিতি পুরোপুরি শান্ত। দোষীদের বিচারের আওতায় আনা হচ্ছে এবং আইনশৃঙ্খলা পুনরুদ্ধার হয়েছে।” এক্সিকিউটিভ অফিসার মণিভূষণ তিওয়ারি বলেন, “আমরা চাই দর্শকরা হেঁটে হেঁটে ঘুরে দেখুন এই জায়গাগুলো। অনুভব করুন সেগুলির ঐতিহাসিক গুরুত্ব। ধর্মীয় ইতিহাসে সম্ভলের গুরুত্ব অনুধাবন করুন তাঁরা। বিশেষত (Uttar Pradesh) ভগবান কল্কির সঙ্গে এই এলাকার সম্পর্ক (Sambhal)।”

  • Bofors Case: বোফোর্স মামলায় গুরুত্বপূর্ণ নথির খোঁজে আমেরিকার দ্বারস্থ ভারত

    Bofors Case: বোফোর্স মামলায় গুরুত্বপূর্ণ নথির খোঁজে আমেরিকার দ্বারস্থ ভারত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বোফোর্স মামলায় (Bofors Case) গুরুত্বপূর্ণ নথির খোঁজে আমেরিকার দ্বারস্থ হল ভারত (India)। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের কাছে ভারত এ ব্যাপারে একটি জুডিশিয়াল অনুরোধ পাঠিয়েছে। বোফোর্স কেলেঙ্কারি ৬৪ কোটি টাকার মামলা। সরকার আটের দশকের শেষের দিকে কংগ্রেস সরকারের আমলে সুইডেন থেকে ১৫৫ মিমি ফিল্ড আর্টিলারি গান কেনার সঙ্গে জড়িত এই কেলেঙ্কারির তদন্ত পুনরুজ্জীবিত করতে চাইছে বলেই ধারণা ওয়াকিবহাল মহলের।

    ‘রোগেটরি লেটার’ (Bofors Case)

    সূত্রের খবর, দিন কয়েক আগে একটি বিশেষ আদালত থেকে জারি করা হয় ‘রোগেটরি লেটার’ (Letter Rogatory)। সেটি পাঠানো হয়েছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বিচার বিভাগে। ভারতীয় সংস্থা সেই কেসের বিস্তারিত তথ্য চেয়েছে। এই তথ্য মার্কিন প্রাইভেট গোয়েন্দা সংস্থা ফেয়ারফ্যাক্সের প্রধান মাইকেল হার্শম্যানের কাছে ছিল। এই তথ্যে উল্লেখ করা হয়েছিল যে সুইডিশ অস্ত্র নির্মাতা এবি বোফোর্স ভারত থেকে ৪০০টি হাউইৎজার কামানের অর্ডার পাওয়ার জন্য ঘুষ দিয়েছিল বলে অভিযোগ (Bofors Case)।

    হার্শম্যানের দাবি

    ২০১৭ সালে হার্শম্যান দাবি করেছিলেন, খবর ছড়িয়ে পড়তেই তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী রাজীব গান্ধী “রেগে গিয়েছিলেন”। হার্শম্যানের দাবি, তিনি সুইস ব্যাঙ্কে মোঁ ব্লঁ (Mont Blanc) নামের একটি অ্যাকাউন্ট খুঁজে পেয়েছিলেন। এই অ্যাকাউন্টেই বোফোর্সের দেওয়া ঘুষের অর্থ জমা রাখা হয়েছিল বলে অভিযোগ উঠেছিল। হার্শম্যান আরও দাবি করেছিলেন, তৎকালীন কংগ্রেস সরকার তাঁর তদন্তকে নস্যাৎ করার চেষ্টা করেছিল (India)।

    এজেন্সিটি প্রথমবার দিল্লির আদালতের সঙ্গে অক্টোবর মাসে যোগাযোগ করেছিল। মার্কিন কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে তথ্য সংগ্রহের পরিকল্পনার কথা তাদের জানিয়েছিল। এই পদক্ষেপটি হার্শম্যানের কারণে নেওয়া হয়েছিল। তিনি ভারতীয় এজেন্সিগুলির সঙ্গে সহযোগিতা করতে সম্মত হয়েছিলেন।

    প্রসঙ্গত, ‘লেটার রোগেটরি’ হল একটি আনুষ্ঠানিক, লিখিত অনুরোধ যা একটি দেশের আদালত অন্য দেশের আদালতের কাছে পাঠায় প্রমাণ সংগ্রহ বা ফৌজদারি মামলার তদন্ত এবং বিচারের সুবিধার্থে সহায়তার জন্য।

    ১৯৯০ সালে এই মামলা নথিভুক্ত (India) করেছিল সিবিআই। ১৯৯৯ ও ২০০০ সালে চার্জশিট দাখিল করে। রাজীব গান্ধীকে নির্দোষ ঘোষণা করার পর একটি বিশেষ আদালত হিন্দুজা ভাইদের-সহ বাকি অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে সমস্ত অভিযোগও খারিজ করে দেয় (Bofors Case)।

  • Madhya Pradesh: শিবলিঙ্গ-সহ গোটা হিন্দু গ্রামের উপর দাবি জানাল ওয়াকফ বোর্ড! মধ্যপ্রদেশে জনরোষ

    Madhya Pradesh: শিবলিঙ্গ-সহ গোটা হিন্দু গ্রামের উপর দাবি জানাল ওয়াকফ বোর্ড! মধ্যপ্রদেশে জনরোষ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মধ্যপ্রদেশের (Madhya Pradesh) রাইসেন জেলার হিন্দু সংখ্যাগরিষ্ঠ মাখনি গ্রামে ওয়াকফ বোর্ড এক চমকপ্রদ দাবি তুলেছে। তারা দাবি করছে গ্রামের বাসস্থান, কৃষিজমি এবং এমনকি একটি শিবলিঙ্গের ওপরও তাদের অধিকার রয়েছে। ওয়াকফ বোর্ডের এই দাবি গ্রামবাসীদের মধ্যে ব্যাপক ক্ষোভের সৃষ্টি করেছে। সূত্রের খবর, ওয়াকফ বোর্ড সম্প্রতি গ্রামবাসীদের একটি নোটিশ দিয়েছে, যাতে বলা হয়েছে যে জমি তাদের অধীনে রয়েছে এবং তা তাদের মুক্ত করতে হবে।

    ওয়াকফ বোর্ডের কাছে কোনও প্রমাণ নেই (Waqf Board)

    ওয়াকফ বোর্ড দাবি করছে যে, মাখনি গ্রামে অবস্থিত ওই ৩ একর জমি একটি কবরস্থানের অংশ। তবে তাদের দাবি সমর্থনে কোনও শক্তিশালী প্রমাণ দেখানো হয়নি। প্রমাণের অভাব সত্ত্বেও, নোটিশে গ্রামবাসীদের বাড়ি, চাষের জমি, প্ল্যাটফর্ম এবং এমনকি শিবলিঙ্গেরও উল্লেখ করা হয়েছে। বোর্ড দাবি করেছে যে, গ্রামবাসীদের ওই জমি ছাড়তে হবে। যা গ্রামবাসীদের মধ্যে উদ্বেগ ও রোষের সৃষ্টি করেছে। গ্রামবাসীদের সম্পত্তির পাশাপাশি, বোর্ড একইভাবে রাজ্য সরকারের মালিকানাধীন জমির ওপরও দাবি জানিয়েছে। বোর্ডের দাবি অনুযায়ী, গ্রামটি একসময় কাদির খান নামে এক ব্যক্তির মালিকানায় ছিল। যিনি ওই জমিটি ওয়াকফে দান করেছিলেন। তবে স্থানীয়রা এই দাবি সম্পূর্ণভাবে অস্বীকার করেছে এবং তারা জানাচ্ছে যে, কখনও এমন কোনও ব্যক্তি ওই গ্রামে বাস করেননি।

    ওয়াকফ বোর্ডের নানা জমি নিয়ে বিতর্ক (Waqf Board)

    মাখনি গ্রামে (Madhya Pradesh) বহু পরিবার প্রজন্মের পর প্রজন্ম ধরে বসবাস করছে। তারা স্পষ্টভাবে জানিয়ে দিয়েছে যে, তারা তাদের জমি ছাড়বে না। ওয়াকফ বোর্ডের বিরুদ্ধে লড়াই করতে প্রস্তুত বলে জানিয়েছেন গ্রামবাসীরা। বিশেষত, শিবলিঙ্গের ওপর এই দাবি গ্রামবাসীদের মধ্যে ব্যাপক অসন্তোষ সৃষ্টি করেছে। তারা বোর্ডের কার্যকলাপকে অধিকতর হস্তক্ষেপ এবং বেআইনি দখল বলে অভিযোগ করছে। রাইসেনের এই বিতর্ক এমন সময় সামনে এসেছে, যখন ভারত সরকার ওয়াকফ সংশোধনী বিল নিয়ে কাজ করছে, যা ওয়াকফ বোর্ডের ক্ষমতা এবং সম্পত্তি দাবির বিষয়গুলো সমাধান করার লক্ষ্যে প্রস্তাবিত। এই বিলটি ফেব্রুয়ারি ২০২৫ সালে রাজ্যসভায় উত্থাপন করা হয়। দেশজুড়ে ওয়াকফ বোর্ডের অস্বাভাবিক প্রভাব ও সম্পত্তি দাবি নিয়ে ব্যাপক বিতর্ক সৃষ্টি হয়েছে, যেখানে বোর্ড গত কয়েক বছরে মন্দির, হিন্দুদের মালিকানাধীন জমি এবং সরকারি জমির ওপর দাবি তুলেছে।

LinkedIn
Share