Category: দেশ

Get updates on India News Headlines National News from the Madhyom news portal madhyom.com, West Bengal leading news portal Madhyom.com

  • Boris Johnson: “রাশিয়া সম্পর্কে ভারতের অবস্থান সকলের জানা, আর সেটা বদলাবে না”, বললেন বরিস জনসন

    Boris Johnson: “রাশিয়া সম্পর্কে ভারতের অবস্থান সকলের জানা, আর সেটা বদলাবে না”, বললেন বরিস জনসন

    মাধ্য়ম নিউজ ডেস্ক: রাশিয়া নিয়ে নিজেদের অবস্থান ভারত সফরে আগত ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসনের কাছে স্পষ্ট করে দিয়েছে নয়াদিল্লি। আর সেই অবস্থানে যে কোনও পরিবর্তন হবে না, তাও জানিয়ে দেওয়া হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে বৈঠকের পর তা কার্যত স্বীকারও করে নিয়েছেন জনসন। তিনি বলেছেন, ‘রাশিয়া সম্পর্কে ভারতীয়দের অবস্থান ঐতিহাসিকভাবে সকলেরই জানা। অবশ্যই তারা এ অবস্থান পরিবর্তন করতে যাচ্ছে না। এটি সত্য।’

    তবে, জনসন এটাও জানিয়েছেন, ইউক্রেনের বুচায় সাধারণ নাগরিকদের উপর নৃশংসতা চালানোর অভিযোগের বিষয়ে মোদি ‘খুব কড়া’ ভাষায় কথা বলেছেন। ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘পুতিনের সঙ্গে একাধিকবার কথাও বলেছেন মোদি। ভারত শান্তি দেখতে চায় এবং রুশদের ইউক্রেন থেকে বের হয়ে যেতে দেখতে চায়। আমিও এ বিষয়ে পুরোপুরি একমত।’

    অনেকেই ভেবেছিলেন, রাশিয়ার সঙ্গে সম্পর্ক নিয়ে ভারতকে চাপ দেবেন জনসন। কিন্তু, ভারত বিদেশমন্ত্রকের তরফে জানানো হয়েছে, ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে বৈঠকে ইউক্রেনে রাশিয়ার আগ্রাসনের বিষয়ে নয়াদিল্লির অবস্থান নিয়ে কোনও চাপ দেননি ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন। বিদেশসচিব হর্ষবর্ধন শ্রিংলা বলেন, ‘মোদি ও জনসন ইউক্রেন ইস্যু নিয়ে আলোচনা করেছেন। প্রধানমন্ত্রী জনসন এ বিষয়ে তার দৃষ্টিভঙ্গির কথা বলেছেন। রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ অবিলম্বে বন্ধ হওয়া উচিত—প্রধানমন্ত্রী মোদি আমাদের এই দৃষ্টিভঙ্গি শেয়ার করেছেন। আলোচনায় কোনও ধরনের চাপ ছিল না।’

     

  • General Manoj Pande: অবসর নিলেন নারাভানে, দেশের ২৯ তম সেনাপ্রধান হলেন জেনারেল মনোজ পাণ্ডে

    General Manoj Pande: অবসর নিলেন নারাভানে, দেশের ২৯ তম সেনাপ্রধান হলেন জেনারেল মনোজ পাণ্ডে

    মাধ্য়ম নিউজ ডেস্ক: ভারতের সেনাপ্রধানের পদ থেকে অবসর নিলেন জেনারেল মনোজ মুকুন্দ নারাভানে। তাঁর জায়গায় নতুন সেনাপ্রধান হিসেবে স্থলাভিষিক্ত হলেন জেনারেল মনোজ পাণ্ডে। দেশের ২৯ তম সেনাপ্রধান হিসেবে শনিবার তিনি দায়িত্বভার গ্রহণ করেন। কোর অফ ইঞ্জিনিয়ার্স থেকে এই প্রথম কোনও অফিসার যিনি সেনাপ্রধান হলেন। 

    [tw]


    [/tw]

    ন্যাশনাল ডিফেন্স একাডেমির প্রাক্তন ছাত্র, জেনারেল পাণ্ডে ১৯৮২ সালের ডিসেম্বরে কোর অফ ইঞ্জিনিয়ার্সে কমিশনড হন। তাঁর ঝুলিতে রয়েছে একাধিক কৃতিত্ব। এর আগে ১ ফেব্রুয়ারি থেকে উপপ্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালন করছিলেন জেনারেল পাণ্ডে। তার আগে তিনি পূর্বাঞ্চলের সেনাপ্রধানও ছিলেন। জেনারেল মনোজ পান্ডে তাঁর কর্মজীবনে আন্দামান ও নিকোবর কমান্ডের কমান্ডার-ইন-চিফ (CINCAN) হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছেন, যা দেশের একমাত্র ট্রাই-সার্ভিস কমান্ড। 

     

  • Chinese hackers: উত্তর ভারতের ৭টি পাওয়ার গ্রিডে সাইবার হানা চিনা হ্যাকারদের, কতটা ক্ষতি? পড়ুন বিস্তারিত রিপোর্ট

    Chinese hackers: উত্তর ভারতের ৭টি পাওয়ার গ্রিডে সাইবার হানা চিনা হ্যাকারদের, কতটা ক্ষতি? পড়ুন বিস্তারিত রিপোর্ট

    নয়াদিল্লি:  ভারতে ফের সাইবার হানা (cyber attack) দেওয়ার অভিযোগ উঠল চিনা হ্যাকারদের (chinese hackers) বিরুদ্ধে। এবার তাদের টার্গেট উত্তর ভারতের পাওয়ার গ্রিড (power grid)। সম্প্রতি, এই মর্মে একটি রিপোর্ট পেশ করেছে রেকর্ডেড ফিউচার (Recorded Future) নামে একটি সাইবার বিশেষজ্ঞ গোয়েন্দা সংস্থা। 

    ওই রিপোর্টে বলা হয়েছে, গত কয়েক মাসে ভারতে সাইবার হানা চালিয়েছে চিনা হ্যাকারদের দল। সংস্থার দাবি, উত্তর ভারতের অন্তত সাতটি “লোড ডিসপ্যাচ” কেন্দ্রে ওই হানা চালানো হয়েছে। ওই পাওয়ার গ্রিডগুলি গোটা উত্তর ভারতের, বিশেষ করে লাদাখে (Ladakh) ভারত-চিন সীমান্ত (India China border) লাগোয়া অঞ্চলের গ্রিড নিয়ন্ত্রণ ও বিদ্যুৎ বিতরণের দায়িত্বপ্রাপ্ত।  

    ওই রিপোর্ট অনুযায়ী, সাম্প্রতিক অতীতে একটি কেন্দ্রে হ্যাক করেছিল “রেড একো” (RedEcho) নামে চিনা হ্যাকারদের একটি গোষ্ঠী। রিপোর্টে সংস্থার দাবি, এই গোষ্ঠীর সঙ্গে আরেকটি চিনা হ্যাকার-গোষ্ঠীর অনেক মিল রয়েছে, যাদের সঙ্গে চিনা প্রশাসনের যোগাযোগ রয়েছে বলে দাবি করে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। 

    ওই সংস্থার দাবি, ভারতের এই বিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলির পরিকাঠামো, পরিধি ও কার্যপ্রক্রিয়া সম্পর্কিত তথ্য হাতানোই ছিল চিনা হ্যাকারদের মূল উদ্দেশ্য। সংস্থার আরও দাবি, এই হ্যাকিংয়ের ফলে ওই বিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলির আর্থিক ক্ষতির সম্ভাবনা ক্ষীণ। রিপোর্টে আরও বলা হয়েছে, বিদ্যুতের গ্রিডগুলির তথ্য হাতানোর পাশাপাশি, হ্যাকাররা ভারতের জাতীয় এমার্জেন্সি রেসপন্স সিস্টেম (power grid emergency response system) বা জরুরি পরিষেবা ব্যবস্থা ও বহুজাতিক পণ্য সরবরাহ সংস্থার ক্ষতি করার চেষ্টাও করে। 

    সংস্থাটি জানিয়েছে, “ট্যাগ-৩৮” (TAG-38) নামের ওই হ্যাকারদের গোষ্ঠী “শ্যাডো প্যাড” (ShadowPad) নামের একটি ম্যালিসিয়াস সফ্টওয়ার (malicious software) ঢুকিয়ে সিস্টেমের ক্ষতি করার চেষ্টা চালায়। অতীতে, এই ম্যালওয়ারটির (malware) সঙ্গে চিনের পিপলস লিবারেশন আর্মি (Chinese People’s Liberation Army) ও সেদেশের অভ্যন্তরীণ মন্ত্রকের (Chinese Ministry of State Security) যোগসাজসের অভিযোগ উঠেছে। 

    এই অভিযোগ নিয়ে কোনও মতামত জানাতে রাজি হয়নি চিনা বিদেশমন্ত্রক (Chinese Ministry for Foreign Affairs)। তবে, অতীতে তাদের বিরুদ্ধে ওঠা হ্যাকিংয়ের যে কোনও ধরনের অভিযোগ খারিজ করেছে বেজিং।

     

  • BJP attacks Rahul Gandhi: “আপনি কি ‘ভোট সময়ের হিন্দু’?” রাহুলকে প্রশ্ন বিজেপির

    BJP attacks Rahul Gandhi: “আপনি কি ‘ভোট সময়ের হিন্দু’?” রাহুলকে প্রশ্ন বিজেপির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রামনবমীর(Ramnavami) রেশ মেলায়নি। ফের আলোচনার কেন্দ্রে ভগবান শ্রীরামচন্দ্র। এবার রাম নিয়ে রাহুল গান্ধিকে (Rahul Gandhi) আক্রমণ করলেন সম্বিত পাত্র (Sambit Patra)। কংগ্রেসের সাংসদকে ‘চুনাভি হিন্দু’ বা ‘ভোট সময়ের হিন্দু’ আখ্যা দিয়েছেন বিজেপির (BJP) মুখপাত্র। তাঁর মতে, ভোটে সুবিধা পেতেই রাহুল গান্ধি হিন্দু হয়েছেন। 

    বিজেপির হিন্দুত্ববাদকে বরাবরই আক্রমণ করে এসেছে কংগ্রেস। সংবাদমাধ্যমের সামনে তারই পাল্টা দিলেন বিজেপি নেতা। দিন কয়েক আগে কংগ্রেসের তরফে রামের অস্তিত্ব নিয়ে সুপ্রিম কোর্টে হলফনামা পেশ করে শতাব্দী প্রাচীন দলটি। এর তীব্র সমালোচনা করেন সম্বিত। বিজেপির মুখপাত্র নিশানা করেছেন কংগ্রেসের সাংসদ তথা গান্ধি পরিবারের সদস্য রাহুলকে। তিনি বলেন, রামকে নিয়ে রাহুল গান্ধির সাম্প্রতিক মন্তব্যের জেরে স্পষ্ট হয়ে গিয়েছে কংগ্রেসের চরিত্র। রামের অস্তিত্বে সন্দেহ প্রকাশ করে তারা দেশের শীর্ষ আদালতে হলফনামা দাখিল করেছে। এর পরেই সম্বিত প্রশ্ন ছুঁড়ে দিয়েছেন রাহুলের দিকে। বলেন, আমি রাহুলকে বলতে চাই, আপনি কি রামের অস্তিত্বে বিশ্বাস করেন? রাহুল নিজেকে হিন্দু বলে দাবি করেন। তিনি কি হিন্দু না কি ভোটের কারণে হিন্দুত্বের ভেক ধরেছেন? 

    সম্প্রতি রাহুল বলেছিলেন, বিজেপিরই অনেকে পুনর্জন্ম তত্ত্বে বিশ্বাস করেন না। তাঁরা রামের অস্বিত্ব মানবেন কীভাবে? এরই জবাব দিতে গিয়ে রাহুলকে ‘ছদ্মবেশী হিন্দু’ বলে দাগিয়ে দেন বিজেপির মুখপাত্র। সংবিধান এবং বিচারব্যবস্থার প্রতি রাহুলের বিশ্বাস নিয়েও প্রশ্ন তোলেন সম্বিত। পদ্মশিবিরের এই নেতা বলেন, রাহুল গান্ধি একজন সাংসদ। তিনি কীভাবে এমন বেফাঁস মন্তব্য করেন। এদেশের একটা বড় অংশের মানুষ ভগবান রামের অস্তিত্ব নিয়ে সংশয় প্রকাশ করেন না। এমতাবস্থায় রাহুল যদি তা করেন তবে তাতে দেশে আইন-শৃঙ্খলার অবনতি ঘটতে পারে। সম্বিতের মতে, রাহুলের সাম্প্রতিক মন্তব্যের জেরেই দেশের বিভিন্ন জায়গায় রামনবমীতে অশান্তির ঘটনা ঘটেছে। 

    এর পরেই সম্বিত রাজস্থানের কারাউলির উদাহরণ টেনে আনেন। তিনি বলেন, কারাউলিতে রামনবমীর মিছিলে ইট-পাটকেল ছোড়া হয়েছে। দেশের নেতাদের একাংশের মন্তব্যই এই ঘটনার জন্য দায়ী বলে মনে করেন সম্বিত। তিনি বলেন, রাহুলের মতো নেতারা ক্ষমতা দখল করতে যা খুশি তাই করতে পারেন। 

    রাহুলের পাশাপাশি এদিন বিজেপির মুখপাত্র আক্রমণ শানিয়েছেন শিবসেনার (Shiv Sena) দিকেও। শিবসেনা প্রধান তথা মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধব ঠাকরে (Maharashtra CM Uddhav Thackeray) বলেন, রাম না জন্মালে রাজনীতি করার ইস্যুই পেত না বিজেপি। এদিন তারই পাল্টা প্রতিক্রিয়া দিতে গিয়ে সম্বিত বলেন, বিজেপিকে আক্রমণ করতে গিয়ে শিবসেনা নেতারা অযথা ভগবান রামকে টেনে আনছেন। এটা সস্তা রাজনীতি ছাড়া আর কিছুই নয়। বিজেপি মুখপাত্রের মতে, তোষণের নীতি অনুসরণ করতে গিয়ে এধরনের মন্তব্য করা হচ্ছে। 
      

  • JNU clash: ‘যজ্ঞে বাধা দেওয়াতেই সংঘর্ষ’, বামপন্থী ছাত্র সংগঠনের দাবি উড়িয়ে জানাল জেএনইউ কর্তৃপক্ষ

    JNU clash: ‘যজ্ঞে বাধা দেওয়াতেই সংঘর্ষ’, বামপন্থী ছাত্র সংগঠনের দাবি উড়িয়ে জানাল জেএনইউ কর্তৃপক্ষ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রামনবমীর (Ram Navami) দিন জেএনইউয়ে (JNU) দুই ছাত্র সংগঠনের মধ্যে অশান্তির ঘটনায় প্রতিক্রিয়া দিল বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। গেরুয়া ছাত্র সংগঠনের বিরুদ্ধে বাম ছাত্র সংগঠনের আনা আমিষ খাবারে বাধা দেওয়ার তত্ত্ব খারিজ করে কর্তৃপক্ষের তরফে জানিয়ে দেওয়া হল, আমিষ নয়, যজ্ঞে বাধা দেওয়াতেই ঘটনার সূত্রপাত।

    বাম ছাত্র সংগঠের অভিযোগ ছিল, ক্যাম্পাসের ভিতর পড়ুয়াদের আমিষ খাওয়ার উপর ‘নিষেধাজ্ঞা’ জারি করে রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘের (RSS) ছাত্র সংগঠন শাখা অখিল ভারতীয় বিদ্যার্থী পরিষদ (ABVP)। তার জেরেই বাকি ছাত্রছাত্রীদের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়ায় তারা। 

    সেই ঘটনার প্রায় ২৪-ঘণ্টা পর কর্তৃপক্ষের দাবি, বিশ্ববিদ্যালয় চত্বরেই কাবেরী ছাত্রাবাসের ভিতর যজ্ঞের আয়োজন করেছিল এবিভিপি। তাতে বাধাদেয় বামপন্থীরা। আর তার জেরেই নাকি ছড়ায় অশান্তি! যদিও কর্তৃপক্ষের এই দাবি মানতে নারাজ বামপন্থীরা (NSUI)।

    বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে রেজিস্ট্রার রবিকেশ জানিয়েছেন, বিশ্ববিদ্যালয় চত্বরে খাদ্যাভাস নিয়ে কোনও বিধিনিষেধ বা নিয়ন্ত্রণ নেই। এখানে যাঁর ইচ্ছা হবে, তিনিই আমিষ খাবার খেতে পারবেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে রামনবমীর ঘটনা প্রসঙ্গে একটি বিবৃতি প্রকাশ করা হয়। তাতে বলা হয়, “১০ এপ্রিলে জেএনইউ ক্য়াম্পাসের ভিতর পড়ুয়াদের বিভিন্ন গোষ্ঠীর মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। রামনবমী উপলক্ষ্যে ক্য়াম্পাসের ভিতরেই কাবেরী ছাত্রাবাসে একটি যজ্ঞের আয়োজন করা হয়েছিল। কিছু পড়ুয়া তাতে বাধা দেয়। তবে ওয়ার্ডেন এবং ডিনের সহযোগিতায় বিষয়টি তখনকার মতো মিটে যায় এবং যজ্ঞ নির্বিঘ্নে সম্পন্ন হয়। কিন্তু, পড়ুয়াদের একাংশ এতে খুশি ছিল না। রাতের খাবার খাওয়ার সময় হলে তারাই ঝামেলা শুরু করে।”

    একইসঙ্গে, রবিবারের ঘটনা প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে ছাত্রাবাসের আবাসিকদের খাদ্যাভ্য়াস এবং খাদ্যতালিকা নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের অবস্থানও স্পষ্ট করেন রেজিস্ট্রার। তিনি বলেন, “ছাত্রাবাস পরিচালনার জন্য ছাত্রদের নিজস্ব কমিটি রয়েছে। এরসঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের কোনও সম্পর্ক নেই। খাদ্যতালিকা নিয়েও কর্তৃপক্ষের কিছু বলার নেই।”

    কর্তৃপক্ষের তরফ থেকে জানানো হয়েছে, যারা রবিবারের সংঘর্ষের জন্য দায়ী, তাদের চিহ্নিত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। একইসঙ্গে, এই ধরনের ঘটনার ফলে বিশ্ববিদ্যালয়ের পঠন-পাঠন যাতে বিঘ্নিত না হয়, সংশ্লিষ্ট সমস্ত পক্ষকে সেই বিষয়টিও নিশ্চিত করার আবেদন করেছেন রেজিস্ট্রার। উল্লেখ্য, ওই ঘটনার পর গভীর রাতে কাবেরী হস্টেলে যান উপাচার্য শান্তিশ্রী ধুলিপুডি পণ্ডিত-সহ বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্য আধিকারিকরা।

    প্রসঙ্গত, রামনবমীতে আমিষ খাওয়া নিয়ে জওহরলাল নেহরু বিশ্ববিদ্যালয়ের (জেএনইউ) দু’টি ছাত্র সংগঠনের সদস্যরা সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েছিল। ঘটনায় ছ’জন আহত হয়েছেন। জেএনইউ বাম ছাত্র ইউনিয়নের সভানেত্রী ঐশী ঘোষ অভিযোগ করেন, ঘটনায় হস্টেলের মেস সেক্রটারিকেও মারধর করা হয়। 

    প্রসঙ্গত, মেস কমিটি পড়ুয়াদের ভোটেই নির্বাচিত হয়। তারা বিভিন্ন খাদ্যাভ্য়াসের আবাসিকদের জন্য মিলিয়ে মিশেয়ে বিভিন্ন পদের আয়েজন করে। রবিবার মাংস এবং পনীর দুই-ই ছিল খাদ্য তালিকায়। কিন্তু বাম ছাত্র সংগঠনের অভিযোগ ছিল, এবিভিপি সদস্যরা তাঁদের আমিষ খেতে বাধা দেন।

    এবিভিপির তরফে পাল্টা অভিযোগ করা হয়, বাম ছাত্র সংগঠনের সদস্যরা তাঁদের উপর প্রথমে আক্রমণ চালায়। যজ্ঞে বাধা দেয়।  এই ঘটনায় রবি রাজ নামে তাঁদের এক সদস্য আহত হয়েছে। তাদের এই দাবিতেই মান্যতা দিল বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।

     

  • BrahMos Missiles: আরও ঘাতক! স্টেলথ ডেস্ট্রয়ারের জন্য ১৭০০ কোটি টাকার ব্রহ্মস ক্ষেপণাস্ত্র কিনছে নৌসেনা

    BrahMos Missiles: আরও ঘাতক! স্টেলথ ডেস্ট্রয়ারের জন্য ১৭০০ কোটি টাকার ব্রহ্মস ক্ষেপণাস্ত্র কিনছে নৌসেনা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রতিরক্ষা ক্ষেত্রে আত্মনির্ভরতা ফুটিয়ে তুলতে বদ্ধপরিকর প্রতিরক্ষামন্ত্রক। মেক-ইন-ইন্ডিয়ার মন্ত্রকে হাতিয়ার করে বৃহস্পতিবার প্রতিরক্ষামন্ত্রক ব্রহ্মস এয়ারোস্পেস প্রাইভেট লিমিটেডের সঙ্গে ১৭০০ কোটির চুক্তি স্বাক্ষর করেছে। নৌসেনার জন্য মিসাইল কিনতেই এই চুক্তি। মন্ত্রক সূত্রে এক বিবৃতি জারি করে এই উদ্যোগের কথা জানানো হয়েছে। বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ভারতীয় নৌ সেনার শক্তি আরও বাড়াবে এই মিসাইল। আসলে এই ধরনের মিসাইল যেমন স্থলভাগ থেকে লক্ষ্যবস্তুর উপর নিক্ষেপ করা যায়। আবার একইভাবে জলেও শত্রুপক্ষের জাহাজে আঘাত হানতে এটি সক্ষম।

    ভারতের সশস্ত্র বাহিনীর কাছে সাধারণত তিন ধরনের ব্রহ্মস মিসাইল রয়েছে। যা স্থল, জল, ও আকাশে আঘাত হানতে পারে। কিছুদিন আগেই সুখোই-৩০ বিমান থেকে ভারত ব্রহ্মস মিসাইলের সফল পরীক্ষা করা হয়। কয়েকদিন আগে মহড়ার সময় বঙ্গোপসাগরে নিখুঁত নিশানায় আঘাত হানতে পেরেছিল এই মিসাইল। এই সাফল্য একেবারে গেম চেঞ্জার, বলে আগেই জানিয়েছিলেন বিশেষজ্ঞেরা। 

    আরও পড়ুন: ৪০ ঘণ্টার সফরে ২৩টি বৈঠক, ঠাসা কর্মসূচি নিয়ে জাপানে মোদি

    ইন্দো রাশিয়ান যৌথ উদ্যোগে তৈরি হয়েছিল এই মিসাইল। এটির পাল্লা মোটামুটি ২৯০ কিমি। এটিকে বিশ্বের দ্রুততম গতি সম্পন্ন মিসাইল বলে গণ্য করা হয়। প্রায় শব্দের গতিবেগের চেয়ে তিনগুণ বেশি গতিবেগে এটি ছুটতে পারে। ভারতীয় বায়ুসেনার হাতে যে মিসাইল রয়েছে তার পাল্লা প্রায় ৪৫০-৫০০ কিমি পর্যন্ত। যুদ্ধের পরিস্থিতি বদলে দিতে পারে এই ক্ষেপণাস্ত্র। সম্প্রসারিত পাল্লায় এটি আঘাত হানতে সক্ষম। সমুদ্রের ওপর বিপক্ষের বড়সড় প্রতিরক্ষাকে ভেঙে দিতেই ব্রহ্মস বেশি কার্যকরী। তাই নৌসেনার জন্য এই মিসাইল আরও বেশি করে কেনার কথা ভাবছে প্রতিরক্ষামন্ত্রক।

    সূত্রের খবর, ভারত আরও দূর পাল্লার ব্রহ্মস মিসাইল তৈরি করতে চাইছে। সেই মিসাইলের পাল্লা বৃদ্ধি করে প্রায় ৮০০ কিমি করা হতে পারে। সেই উদ্যোগ সফল করার লক্ষ্যেই কাজ করে চলেছেন প্রতিরক্ষা বিশেষজ্ঞেরা।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Rajnath Singh: আসতে চলেছে জয়েন্ট থিয়েটার কমান্ড! তিন বাহিনীর মধ্যে সংযোগ বাড়ানোই লক্ষ্য, জানালেন রাজনাথ

    Rajnath Singh: আসতে চলেছে জয়েন্ট থিয়েটার কমান্ড! তিন বাহিনীর মধ্যে সংযোগ বাড়ানোই লক্ষ্য, জানালেন রাজনাথ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারতীয় সেনায় তিন শক্তিকে একত্রিত করে আসতে চলেছে জয়েন্ট থিয়েটার কমান্ড। এর ভাবনা বহুদিন আগেই তৈরি হয়েছিল,তবে শীঘ্রই তা বাস্তব রূপ নেবে। জম্মু ও কাশ্মীরে কাশ্মীর পিপলস ফোরামে যোগ দিয়ে একথা জানান প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং। সেনার তিন বাহিনীর মধ্যে সংযোগ আরও দৃঢ় করতেই এই পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে বলে জানান তিনি। প্রতিরক্ষামন্ত্রীর কথায়, দেশের সুরক্ষার্থে ট্রাই সার্ভিস ব্যবস্থাকে প্রস্তুত রাখতে তৎপর ভারত। 

    ভারতীয় প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের অন্দরে কান পাতলেই বেশ কয়েক বছর ধরে থিয়েটারাইজেশনের কথা শোনা যাচ্ছিল। এদিন অনুষ্ঠানে রাজনাথ বলেন, ‘পূর্ববর্তী ঘটনা (কার্গিলে অপারেশন বিজয়ে যে জয়েন্ট অপারেশন দেখা গিয়েছিল) মাথায় রেখে আমরা জয়েন্ট থিয়েটার কম্যান্ড গঠনের সিদ্ধান্ত নিয়েছি।’ ২০২১ সালের জুন মাসে থিয়েটারাইজেশন প্ল্যান নিয়ে আলোচনার জন্য ৮ সদস্যের প্য়ানেল গঠন করে কেন্দ্র। সেই প্যানেলে উপস্থিত ছিলেন সব স্টেক হোল্ডাররা। প্রতিরক্ষামন্ত্রক সূত্রে খবর, এই নতুন থিয়েটারাইজেশনে স্থিতিশীল হতে পাঁচ বছর পর্যন্ত সময় লেগে যেতে পারে। এই থিয়েটার কমান্ড তৈরি হলেই ভারতের সামরিক শক্তি চিন ,পাকিস্তানের বুকে কাঁপুনি ধরাতে পারে বলে মনে করছেন অনেকে।

    আরও পড়ুন: পাক অধিকৃত কাশ্মীর ভারতেরই! জানুন কী বললেন প্রতিরক্ষামন্ত্রী

    এদিন শহিদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে প্রতিরক্ষামন্ত্রী বলেন, দেশের আঞ্চলিক অখণ্ডতা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষায় সেনাবাহিনীর আত্মত্যাগ দেশবাসী কখনও ভুলবে না। কখনও ভুলতে পারে না। তাঁর কথায়, সমাজ ও জনগণের কর্তব্য শহিদ ও তাঁদের পরিবারকে সর্বোচ্চ সম্মান দেওয়া। জনগনের উদ্দেশে রাজনাথ বলেন, “আপনি যা কিছু সহায়তা দিতে পারেন বা আপনার পক্ষে দেওয়া সম্ভব, সেটাই আপনি তাদের পরিবারের জন্য করুন। এটি প্রতিটি নাগরিকের দায়িত্ব হওয়া উচিত।” 

    এদিন রাজনাথের মুখে উঠে এসেছিল ১৯৬২ সালের চিন যুদ্ধের প্রসঙ্গও। সে দিনের তুলনায় আজকের ভারত অনেক বেশি শক্তিশালী বলে দাবি করেন রাজনাথ। এ ব্যাপারে তিনি বলেছেন, “১৯৬২ সালে চিন লাদাখ দখল করেছিল। তখন প্রধানমন্ত্রী ছিলেন জওহরলালা নেহেরু। আমি তাঁর উদ্দেশ্য নিয়ে প্রশ্ন করতে চাই না। কিন্তু নীতির ব্যাপারে দুর্বলতা ছিল। যাই হোক, আজকের ভারত পৃথিবীর অন্যতম শক্তিশালী দেশ। এখন যে কোনও শত্রুর মোকাবিলা করতে প্রস্তুত ভারতীয় সেনা।”

  • Hanuman Chalisa: মোদির বাসভবনের সামনে নমাজ, হনুমান চালিশা পাঠ করতে চেয়ে অমিত শাহকে চিঠি এনসিপি নেত্রীর

    Hanuman Chalisa: মোদির বাসভবনের সামনে নমাজ, হনুমান চালিশা পাঠ করতে চেয়ে অমিত শাহকে চিঠি এনসিপি নেত্রীর

    মাধ্য়ম নিউজ ডেস্ক: এবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির (Modi) বাসভবনের সামনে নমাজ  (Namaz), হনুমান চালিশা (Hanuman Chalisa) সহ একাধিক মন্ত্রপাঠ করার অনুমতি চেয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহকে (Amit Shah) চিঠি দিলেন শরদ পাওয়ারের (Sharad Pawar) দল এনসিপির (NCP) এক নেত্রী। যা নিয়ে রাজনৈতিক মহলে তীব্র আলোড়নের সৃষ্টি হয়েছে।
     
    মহারাষ্ট্রে (Maharashtra) নামাজ বিতর্ক (namaz row) নিয়ে পরিস্থিতি উত্তপ্ত হওয়ার পর মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধব ঠাকরের (Uddhav Thackeray) বাড়ি ‘মাতোশ্রী’র (Matoshree) বাইরে হনুমান চালিশা পাঠের হুমকি দিয়েছিলেন নির্দল সাংসদ-বিধায়ক দম্পতি নবনীত রাণা (Navneet Rana) ও রবি রাণা (Ravi Rana)। ঘটনার জেরে গ্রেফতারও করা হয় তাঁদের। 

    এরই মাঝে এই ইস্যুতে নতুন মাত্রা যোগ করলেন এনসিপি নেত্রী তথা উত্তর মুম্বইয়ের দলের কার্যকরী সভাপতি ফামিদা হাসান খান (Fahmida Hasan Khan)। সরাসরি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বাসভবনে হনুমান চালিশা ও নমাজ পাঠের অনুমতি চেয়ে চিঠি লিখলেন অমিত শাহকে (Amit Shah)। রাজনৈতিক মহলের মতে, উদ্ধব ঠাকরের বাড়ির সামনে রাণা-দম্পতির হনুমান চালিশা পাঠ করার হুঁশিয়ারির প্রতিশোধ নিতেই এই পন্থা অবলম্বন করেছেন ওই নেত্রী। 

    স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে চিঠি লিখে ফামিদা আবেদন জানিয়েছেন, তিনি প্রধানমন্ত্রীর লোক কল্যাণ মার্গের বাসভবনের সামনে একাধিক ধর্মীয়গ্রন্থ পাঠ করতে চান। এবং ধর্মগ্রন্থের যে তালিকা তিনি দিয়েছেন তা রীতিমতো দীর্ঘ। চিঠিতে ওই নেত্রী জানিয়েছেন, মোদির বাসভবনের সামনে নামাজ, হনুমান চালিশা, দুর্গা চালিশা, নমোকর মন্ত্র-সহ একাধিক ধর্মগ্রন্থ পাঠ করতে চান তিনি। এনসিপি নেত্রী আরও জানিয়েছেন, তিনি নিয়মিত হনুমান চালিশা পাঠ করে থাকেন, এমনকী বাড়িতে দুর্গা পুজোও করেন। 

    যদিও এরপরেই বিজেপি সরকার ও মোদিকে চরম কটাক্ষ করেন ফামিদা। চিঠিতে তিনি লেখেন, ‘দেশে যেভাবে মূল্যবৃদ্ধি চলছে এবং বেকারত্ব বাড়ছে, তাতে দেশের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে জাগানোর প্রয়োজন হয়ে উঠেছে। যদি উদ্ধব ঠাকরের হিন্দুত্ববাদীকে জাগাতে রবি রানা এবং নবনীত রানা ‘মাতোশ্রী’র বাইরে হনুমান চালিসা পাঠ করার ঘোষণা করতে পারেন, তবে প্রধানমন্ত্রীকে জাগাতে আমাকেও দিল্লিতে মোদির বাসভবনের বাইরে বসে নমাজ, হনুমান চালিশা এবং দুর্গা চালিশা পাঠের অনুমতি দেওয়া হোক।’

    মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধব ঠাকরের বাড়িতে হনুমান চালিশা পাঠের হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন সাংসদ-বিধায়ক দম্পতি নবনীত রানা ও রবি রানা। এই ঘটনার পর তাঁদের বাড়িতে বিক্ষোভ দেখান শিবসেনা সমর্থকরা। শুধু তাই নয়, রানা দম্পতির বিরুদ্ধে ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাতের অভিযোগে এফআইআর দায়ের করে শিবসেনা। এর পরেই নবনীত ও তাঁর স্বামীকে এক ঘণ্টা জিজ্ঞাসাবাদের পর গ্রেফতার করে পুলিশ। তাঁদের ১৪ দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে আদালত। 

     

  • Fraud Job Alert: মোটা মাইনের টোপ, মায়ানমারে বন্দি বহু ভারতীয়, সতর্কবার্তা বিদেশ মন্ত্রকের

    Fraud Job Alert: মোটা মাইনের টোপ, মায়ানমারে বন্দি বহু ভারতীয়, সতর্কবার্তা বিদেশ মন্ত্রকের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মোটা টাকার লোভনীয় চাকরি! ফাঁদে পা দিলেই কেল্লাফতে। ভায়া মায়ানমার হয়ে নিয়ে চলে যাওয়া হচ্ছে তাইল্যান্ডে (Thailand)। সিংহভাগ কর্মপ্রার্থীকে তার আগেই কার্যত বন্দি হতে হচ্ছে ভুয়ো চাকরি (Fraud Job) চক্রের এজেন্টদের হাতে। এ ব্যাপারে ভারতীয় কর্মপ্রার্থীদের সতর্ক করে দিল বিদেশ মন্ত্রক (MEA)। জানা গিয়েছে, সম্প্রতি মায়ানমার থেকে উদ্ধার করা হয়েছে ৩২ জন ভারতীয় (Indian) কর্মপ্রার্থীকে।

    বৃহস্পতিবার বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র অরিন্দম বাগচি বলেন, কিছু আইটি কোম্পানি ডিজিটাল স্ক্যামিং এবং ভুয়ো ক্রিপ্টো কার্যকলাপে যুক্ত। তিনি বলেন, এই প্রতারকরা তাইল্যান্ডে চাকরি দেওয়ার নামে ভারতীয় শ্রমিকদের নিয়োগ করছে। তারা দুবাই, ব্যাংকক এবং ভারতীয় এজেন্টদের সঙ্গে কাজ করে কর্মী নিয়োগ করছে। তিনি বলেন, আমি ভারতীয় কর্মপ্রার্থীদের বলতে চাই, এই জাতীয় চাকরি নেওয়ার আগে চূড়ান্ত সতর্কতা অবলম্বন করুন। বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র বলেন, তাইল্যান্ডে যাওয়া যায় ভিসা অন অ্যারাইভাল স্কিমে। যার অর্থ, ওই ভিসা দিয়ে তাইল্যান্ডে যাওয়া যায়, তবে চাকরি করা যায় না। তিনি বলেন, তাই বলছিলাম, যে বা যিনি আপনাকে চাকরির অফার দিচ্ছেন, সেটি অবৈধ। তাইল্যান্ডে চাকরি দেওয়ার ছলে তাঁরা নিয়োগ করছেন ভারতীয় শ্রমিকদের। আমরা শুনছি সেখানে আইটি সেক্টর রয়েছে। সোশ্যাল মিডিয়ায় তাইল্যান্ডে মোটা অঙ্কের টাকার ডেটা এন্ট্রি অপারেটরের চাকরির টোপ দেওয়া হচ্ছে। দুর্ভাগ্যবশতঃ শ্রমিকরা সেই ফাঁদে পা দিচ্ছেন। পরে তাঁদের অবৈধভাবে সীমান্ত পার করানো হচ্ছে। মায়ানমারের মায়াওদ্দাদি এলাকা দিয়ে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। তিনি বলেন, নিরাপত্তার গেরো আঁটোসাঁটো হওয়ায় ওই এলাকায় প্রবেশ করা খুবই কঠিন। তিনি জানান, তবুও সে দেশে আমাদের দূতাবাসকে ধন্যবাদ। আমরা সেখান থেকে বেশ কিছু ভারতীয়ের বন্দিদশা ঘোঁচাতে পেরেছি। এবং আমরা অন্যদেরও সাহায্য করার চেষ্টা করছি। তিনি বলেন, আমরা এখনও পর্যন্ত ৩২ জনকে উদ্ধার করেছি। আরও অন্তত ৯০ জন সেখানে আটকে থাকতে পারেন।

    আরও পড়ুন : হিন্দু মন্দিরে হামলায় উদ্বেগ প্রকাশ, ব্রিটিশ বিদেশ সচিবের সঙ্গে বৈঠক জয়শঙ্করের

    এদিকে, ভারতীয় বিদেশ মন্ত্রকের তরফে জানানো হয়েছে মায়াওয়াদ্দি এলাকায় এখনও আটকে রয়েছেন ১৫০জন ভারতীয়। চাকরি প্রতারণা চক্রের খপ্পরে পড়ে আটকে রয়েছেন তাঁরা। এঁদের অধিকাংশই এসেছেন কেরল ও তামিলনাড়ু থেকে। সাইবার ক্রাইম কাজকর্ম করতে বাধ্য করা হচ্ছে তাঁদের।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Defence MSME: এমএসএমই থেকে প্রতিরক্ষা সামগ্রী কেনার পরিমাণ ছুঁল সর্বকালীন রেকর্ড

    Defence MSME: এমএসএমই থেকে প্রতিরক্ষা সামগ্রী কেনার পরিমাণ ছুঁল সর্বকালীন রেকর্ড

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কেন্দ্রের বি টু জি (B2G) পোর্টাল গভর্নমেন্ট ইমার্কেটপ্লেসে (Government eMarketplace), ক্ষুদ্র ও মাঝারি ও কুটীর শিল্পোদ্যোগ (MSME) এবং অন্যান্য সংস্থার কাছ থেকে প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের (Defence Ministry) প্রতিরক্ষা সম্পর্কিত বিভিন্ন পণ্য এবং পরিষেবা কেনার (Defence Procurement) পরিমাণ চলতি অর্থবর্ষে আগের বছরের তুলনায় প্রায় ২৫০ শতাংশ বেড়েছে। শনিবার মন্ত্রকের একটি বিবৃতি অনুসারে, জিইএম-এর মাধ্যমে চলতি অর্থবর্ষে ১৫,০৪৭.৯৮ কোটি টাকার পণ্য ক্রয় হয়েছে, যা সর্বকালীন রেকর্ড।
      
    মন্ত্রকের কথায়, পুরনো টেন্ডার প্রক্রিয়াকে পুনর্গঠন করতে এবং ডিজিটাইজেশনের মাধ্যমে সরকারি ক্রয়ের ক্ষেত্রে স্বচ্ছতা আনতে ২০১৬ -র অগাস্ট মাসে শুরু হয়েছিল জিইএম। প্রতিষ্ঠার পর থেকে অল্প সময়ের মধ্যে, প্রতিরক্ষা মন্ত্রক ডিজিটাল ড্রাইভের পথ অনুসরণ করেছে। প্রতিবন্ধকতা থাকা সত্ত্বেও সাফল্য লাভ করেছে সরকারের এই পদক্ষেপ। 

    ২০২০ সালের মার্চ মাসে রাজ্যসভায় কেন্দ্রীয় ক্ষুদ্র, মাঝারি এবং কুটীর শিল্প মন্ত্রকের তৎকালীন দায়িত্বপ্রাপ্ত মন্ত্রী নিতিন গড়কড়ির দেওয়া তথ্য অনুসারে, ২০২০ অর্থবর্ষের মাঝামাঝি সময় অবধি প্রতিরক্ষা পাবলিক সেক্টর ইউনিটগুলিকে সরবরাহকারী মোট এমএসএমই বিক্রেতার সংখ্যা ছিল ১০,৫০৬। ২০১৯- এ সেই সংখ্যা ছিল  ৮,৬৪৩ এবং ২০১৮-এ ৭,৫৯১। ২০২১ সালের ডিসেম্বর নাগাদ সেই সংখ্যা বেড়ে ১২,০০০-এ পৌঁছয়। ফলস্বরূপ, এমএসএমই থেকে ডিপিএসইউ- র অর্থ সংগ্রহের পরিমাণ ২০১৯ অর্থবর্ষে ৪৮৪২.৯২ কোটি টাকা থাকলেও তা ২০২১ অর্থবর্ষে বেড়ে দাঁড়ায় ৫৪৬৩.৮২ কোটি টাকা।   

    ২০২০ সালে সরকার প্রতিরক্ষা অধিগ্রহণ প্রক্রিয়া (DAP) ‘মেক প্রজেক্ট’ (Make Projects) চালু করে, যাতে সরকারি তহবিল এবং শিল্প তহবিল উভয়ের মাধ্যমেই প্রতিরক্ষা সরঞ্জামের দেশীয়করণ এবং উন্নয়ন সম্ভব হয়। ‘মেক ইন ইন্ডিয়া’ (Make in India) পোর্টাল অনুসারে, মেক  প্রকল্পগুলি প্রতিরক্ষায় এমএসএমইর ভূমিকাকে আরও জোরাল করতে সাহায্য করেছে। এই সংক্রান্ত প্রকল্পগুলির ৪০ শতাংশ অর্ডার ক্ষুদ্র, মাঝারি ও কুটির শিল্প সংস্থাগুলির জন্যে সংরক্ষণ করা হয়েছে। ১০০০ কোটি টাকার কাজ বরাদ্দ করা হয়েছে এমএসএমই সংস্থাগুলোর জন্যে।

    ইতিমধ্যে, জিইএম-এর সামগ্রিক ৪২.৩৫ লক্ষ বিক্রেতা এবং মন্ত্রকের ৬০,০০০ সরকারি বিভাগ মিলিয়ে প্রায় ২.৪০ লক্ষ কোটি টাকার কেনাবেচা হয়েছে। মোট বিক্রেতার সংখ্যার মধ্যে ৭.৭০ লক্ষই ক্ষুদ্র এবং ছোট উদ্যোগ থেকে আসা। জিইএমের তথ্য অনুসারে শুধুমাত্র ক্ষুদ্র এবং ছোট উদ্যোগের সংস্থাগুলিই ৫৬%  ব্যবসা করেছে এই পোর্টালে।

     

     

LinkedIn
Share