Category: দেশ

Get updates on India News Headlines National News from the Madhyom news portal madhyom.com, West Bengal leading news portal Madhyom.com

  • Covid 19 Booster Dose: বিদেশ ভ্রমণে গেলে সময়ের আগেই মিলবে বুস্টার ডোজ, সুপারিশ কেন্দ্রীয় কমিটির

    Covid 19 Booster Dose: বিদেশ ভ্রমণে গেলে সময়ের আগেই মিলবে বুস্টার ডোজ, সুপারিশ কেন্দ্রীয় কমিটির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: যদি আপনি বিদেশ ভ্রমণ করেন, তাহলে আপনি কোভিডের দ্বিতীয় ডোজের পরবর্তী নির্দিষ্ট সময়সীমা ৯ মাসের আগেই বুস্টার ডোজ নিতে পারেন। এই সপ্তাহের শুরুতে টিকা সংক্রান্ত জাতীয় প্রযুক্তিগত উপদেষ্টা গ্রুপের (NTAGI) বৈঠকে এমনই সুপারিশ করেছে কোভিড ১৯ (COVID-19) ওয়ার্কিং গ্রুপ । কিন্তু বাকিদের বুস্টার ডোজের ব্যবধান কমানোর বিষয়ে কোন সুপারিশ করা হয়নি।  

    বেশ কয়েকটি গবেষণায় দেখা গেছে যে প্রাথমিক এবং তৃতীয় টিকার মধ্যে ব্যবধান দীর্ঘ হলে মানুষের মধ্যে অর্জিত প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি পায়। IMA-এর সহ সভাপতি ডাঃ রাজীব জয়দেবনের বক্তব্য, “একটি ডোজ নেওয়ার অল্প দিনের মধ্যেই দ্বিতীয় বা তৃতীয় ডোজটি নিলে তাতে কোন লাভ হয় হয় না। ওই সময় আপনি এমনিতেই সুরক্ষিত।”

    দেশে বছরের শুরুতে, ১০ জানুয়ারি থেকে প্রথম সারির কর্মী, স্বাস্থ্য কর্মী এবং ৬০ বছরের বেশি বয়স্ক যারা কমোর্বিডিটিসে  আক্রান্তদের বুস্টার ডোজ দেওয়া শুরু হয়েছে। পরবর্তীতে, ১৬ মার্চ থেকে ষাটোর্ধ্বদের বুস্টার ডোজ দেওয়া শুরু হয় । পরে ১০ এপ্রিল ১৮ বছরের উর্দ্ধে সকলকে বুস্টার ডোজ দেওয়ার অনুমতি দেয় কেন্দ্র সরকার।          

    এখন, যাদের বয়স ১৮ বছরের বেশি এবং দ্বিতীয় ডোজ গ্রহণের ৯ মাস পূর্ণ হয়েছে তারা বুস্টার ডোজ নিতে পারবেন। সরকারি  তথ্য অনুসারে, ১৮ বছরের বেশি বয়সীদের ভারত সরকার বুস্টার ডোজ নেওয়ার অনুমতি দিলেও খুব কম সংখ্যক মানুষই টিকার তৃতীয় ডোজটি নিয়েছেন।  

     

  • Nupur Sharma: ক্ষমা চান নূপুর!  তীব্র ভর্ৎসনা সুপ্রিম কোর্টের

    Nupur Sharma: ক্ষমা চান নূপুর! তীব্র ভর্ৎসনা সুপ্রিম কোর্টের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক:  সাসপেন্ডেড বিজেপি নেত্রী নূপুর শর্মাকে (Nupur Sharma) গোটা দেশের কাছে ক্ষমা চাইতে বলল শীর্ষ আদালত  (Supreme Court)। দেশে এই মুহূর্তে যে অশান্তি চলছে, তার জন্য একা নূপুরকেই দায়ী করেছে সুপ্রিম কোর্ট (Supreme Court)। আদালতের তরফে বলা হয়েছে, দেশে যা ঘটছে, তার জন্য একক ভাবে নুপূর শর্মা দায়ী। একটি টেলিভিশন চ্যানেলে নুপূর শর্মা একটি বিতর্কে অংশগ্রহণ করার সময় এমন একটি মন্তব্য করেন, যার জন্য ধর্মীয় ভাবাবেগে আঘাত লাগার অভিযোগ ওঠে। ভারতীয় জনতা পার্টির এই নেত্রীকে দল থেকে সরিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। আদালত শুক্রবার এই বিষয়ক একটি মামলায মত প্রকাশ করেছে যে, এটি শুধুমাত্র আলটপকা মন্তব্য, এমনটাই নয়, একটি মন্তব্যের জন্য গোটা দেশে আগুন লেগেছে, তিনি এই সব ঘটনার জন্য দায়ী।

    বিচারপতি সূর্যকান্ত শুক্রবার বলেন, ‘‘আমরা ওই বিতর্কসভাটি দেখেছি। যে ভাবে তিনি কথাগুলো বলেছেন, তা-ও দেখেছি। আপনি নিজে এক জন আইনজীবী হয়ে যা করেছেন, তা লজ্জার। আপনার উচিত সারা দেশের কাছে ক্ষমা চাওয়া।’’

    আরও পড়ুন: বিজেপি কেন একনাথ শিন্ডের হাতে মহারাষ্ট্রের রাশ ছাড়ল?

    আদালতের মন্তব্য, উনি যে ভাবে গোটা দেশে আবেগকে উস্কে দিয়েছেন, তাতে উনিই একক ভাবে যা ঘটছে তার জন্য দায়ী। ক্ষমা চাওয়া ও মন্তব্য ফিরিয়ে নেওয়ার বিষয়টি উল্লেখ করে আদালত জানিয়েছে, এখন অনেকটা দেরি হয়ে গিয়েছে, আর মন্তব্য ফিরিয়ে নিয়ে লাভ নেই। তাঁর অভিযোগের ভিত্তিতে এক জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে, কিন্তু ওঁকে এখনও পর্যন্ত ছুঁয়েও দেখেনি দিল্লি পুলিশ। আদালতের আরও মন্তব্য শর্মা এই অনৈতিক মন্তব্য করেছেন, কারণ ক্ষমতার দম্ভ তাঁর মাথায় প্রবেশ করেছে।

    সুপ্রিম কোর্ট দিল্লি পুলিশকেও ভর্ৎসনা করেছে। নূপুরের আর্জি খারিজ হয়ে গিয়েছে। তাঁর বিরুদ্ধে দায়ের হওয়ার সমস্ত এফআইআর দিল্লিতে স্থানান্তর করার আর্জি নিয়ে সুপ্রিম কোর্টে গিয়েছিলেন নূপুর। তাঁর আইনজীবী বলেন, নূপুরকে প্রাণে মেরে ফেলার হুমকি দেওয়া হচ্ছে। তা শুনে বিচারপতি বলেন, ‘‘তিনি হুমকির মুখে পড়ছেন, না কি তিনিই নিরাপত্তার জন্য হুমকি হয়ে উঠেছেন! তিনি দেশে অশান্তির বাতাবরণ তৈরি করেছেন। আজ গোটা দেশে যা চলছে, তার পিছনে দায়ী এই মহিলা।’’

  • Udaipur killing:  বিচার নয়, ফাঁসি চাই! উদয়পুর-হত্যাকাণ্ডে অভিযুক্তদের হয়ে দাঁড়াতে রাজি নয় আইনজীবীরা

    Udaipur killing: বিচার নয়, ফাঁসি চাই! উদয়পুর-হত্যাকাণ্ডে অভিযুক্তদের হয়ে দাঁড়াতে রাজি নয় আইনজীবীরা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: উদয়পুর হত্যাকাণ্ডে (Udaipur Murder) অভিযুক্তদের হয়ে দাঁড়াতে রাজি নয় কোনও আইনজীবী। দ্রুত তাদের ফাঁসির দাবি তোলেন আইনজীবীরা। বৃহস্পতিবার অভিযুক্তদের আদালতে তোলা হয়। অভিযুক্তদের আদালতে তোলা হলে তাদের ১৩ জুলাই পর্যন্ত জেল হেফাজতে (14 days of judicial custody) রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। আদালতে নিয়ে আসার সময় তাদের মুখ কাপড়ে ঢেকে রাখা হয়েছিল। কিন্তু গাড়িটি আদালত চত্বরে প্রবেশ করার পরই সেখানে দাঁড়িয়ে স্লোগান দিতে দেখা যায় বহু আইনজীবীকে। তাঁরা অভিযুক্তদের ফাঁসি চেয়ে স্লোগান দিচ্ছিলেন। উদয়পুর বার অ্যাসোসিয়েশনের প্রেসিডেন্ট গিরিজা শঙ্কর মেহতা (Girija Shankar Mehta) জানান, “এটা কোনও সাধারণ ঘটনা নয়। এটা সন্ত্রাসবাদী কার্যকলাপ। অভিযুক্তরা সমাজে সন্ত্রাস ও আতঙ্ক ছড়াতে চেয়েছে। এমনকি আমাদের প্রধানমন্ত্রীকেও হুমকি দিয়েছে। যা মানা যায় না।” এদিনই অভিযুক্তদের কড়া নিরাপত্তার মধ্যে আজমের জেলে স্থানান্তরিত করা হয়।

    রাজস্থানে (Rajashtan) উদয়পুরে ঘটে যাওয়া নৃশংস হত্যাকাণ্ডের  ঘটনায় স্তম্ভিত দেশ। কেবল দেশ নয়, আন্তর্জাতিক মঞ্চেও ছড়িয়ে পড়েছে ঘটনার রেশ। এবার এই ঘটনায় মুখ খুলছে রাষ্ট্রসংঘ। সব ধর্মের প্রতি পূর্ণ সম্মান রেখে বিভিন্ন সম্প্রদায় যেন সম্প্রীতি ও শান্তির সঙ্গে বসবাস করতে পারে তা নিশ্চিত করার আহ্বান জানালেন রাষ্ট্রসংঘের মহাসচিব অ্যান্তনিও গুতেরেস। তাঁর হয়ে তাঁর মুখপাত্র স্টিফেন ডুজারিক একথা জানিয়েছেন। সাংবাদিক সম্মেলনে তিনি বলেন, ”আমরা অত্যন্ত আশাবাদী। সারা পৃথিবী জুড়ে সব ধর্মের প্রতি পূর্ণ সম্মান বজায় রাখতে হবে। তাহলেই বিভিন্ন সম্প্রদায় সম্প্রীতি ও শান্তির সঙ্গে বসবাস করতে পারবে।”

    আরও পড়ুন: উদয়পুর কাণ্ডের জেরে বদলি ৩২ আইপিএস, ড্যামেজ কন্ট্রোল?

    প্রসঙ্গত গত মঙ্গলবার দুপুর আড়াইটে নাগাদ উদয়পুরের ধানমণ্ডি এলাকার এক দরজির দোকানে ঢোকে অভিযুক্ত দুই যুবক মহম্মদ রিয়াজ আখতার ও মহম্মদ গাউস। তারা শুরুতে নিহত দরজির কাছে জামার মাপ দেয়। এরপরই ধারালো অস্ত্র দিয়ে ওই ব্যক্তির মাথায় ও গলায় আঘাত করে। গোটা ঘটনার ভিডিও রেকর্ডও করে হত্যাকারীরা। এরপর তা সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করা হয়। এনিয়ে অশান্তি না ছড়ালেও চাপা উত্তেজনা রয়েছে। হিন্দু সংগঠনগুলি হত্যার প্রতিবাদে মিছিল করছে। উদয়পুরে মিছিল বার করে ‘সর্ব হিন্দু সমাজ’। সেখান পাথরবৃষ্টির অভিযোগ ওঠে। যদিও পুলিশ পরিস্থিতি সামাল দেয়। সব মিলিয়ে পরিস্থিতি এখনও থমথমে।

    এদিকে কানহাইয়া লালের মৃত্যুর পরে তাঁর পরিবারকে সাহায্য করার জন্য একটি তহবিল গঠন করেছিলেন বিজেপি নেতা কপিল মিশ্র। বিজেপি নেতা জানিয়েছেন, ওই তহবিলে ২৪ ঘন্টার মধ্যে ১২ হাজারের বেশি মানুষ অর্থ সাহায্য করেছেন। এখনও অবধি মোট অর্থের পরিমাণ ১ কোটি ৩৫ লক্ষ। সময় মতো ওই টাকা কানহাইয়া লালের পরিবারের হাতে তুলে দেওয়া হবে।

  • Maharashtra Crisis: সুপ্রিম কোর্টে শিন্ডে-গোষ্ঠী! বিধায়ক পদ খারিজের বিরুদ্ধে আদালতে একনাথরা

    Maharashtra Crisis: সুপ্রিম কোর্টে শিন্ডে-গোষ্ঠী! বিধায়ক পদ খারিজের বিরুদ্ধে আদালতে একনাথরা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শিবসেনার (Shiv Sena) অন্দরে বিদ্রোহের আঁচ পৌঁছল দেশের শীর্ষ আদালত পর্যন্ত। বিদ্রোহী নেতা একনাথ শিন্ডে-সহ ১৬ জনের বিধায়ক পদ বাতিল করেছে উদ্ধব গোষ্ঠী। বিধায়ক পদ খারিজের নোটিশ পাঠানো হয়েছে। এর বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টের (Supreme Court) দ্বারস্থ হন শিন্ডে (Eknath Shinde)। একনাথ শিবিরের তরফে দুজন প্রতিনিধি সুপ্রিম কোর্টে গিয়েছেন। আজই সেই মামলার শুনানি হবে। 

    সূত্রের খবর, মূলত তিনটি পয়েন্ট এই আবেদনে তুলে ধরা হয়েছে – প্রথমত বিধানসভার দলনেতা হিসাবে অজয় চৌধুরীকে মনোনীত করার বিষয়টিকে চ্য়ালেঞ্জ জানিয়েছে একনাথ শিন্ডের শিবির। দ্বিতীয়ত একনাথ শিবিরের পক্ষ থেকে আদালতে আবেদন জানানো হয়েছে তাদেরকে বরখাস্ত করার পদক্ষেপ যেন ডেপুটি স্পিকার না নেন। পাশাপাশি একনাথ শিবিরে থাকা বিধায়কদের বরখাস্ত করার ব্যাপারে যে নোটিশ জারি করা হয়েছে সেটিকেও চ্যালেঞ্জ জানিয়েছে শিন্ডেরা। একনাথদের হয়ে আদালতে লড়ছেন আইনজীবী হরিশ সালভে। মহারাষ্ট্র সরকারের হয়ে লড়ার কথা আইনজীবী অভিষেক মনু সিঙভির। বিচারপতি সূর্যকান্ত ও জে বি পাটিয়ালার ডিভিশন বেঞ্চে শুনানি শুরু হয়েছে। সংখ্যাগরিষ্ঠতা হারিয়েছে উদ্ধব সরকার, পিটিশনে দাবি করেছেন বিদ্রোহীরা। শিন্ডে দাবি করেছেন, তাঁকে সমর্থন করছেন ৫০ জন বিধায়ক। যাঁর মধ্যে ৪০ জন শিবসেনার। তিনি নিজের প্রাণ সংশয়ের কথাও আদালতে জানান। এই আবহে বিদ্রোহী ১৬ জনকে ওয়াই প্লাস নিরাপত্তা দিয়েছে কেন্দ্র সরকার।

    আরও পড়ুন: বালাসাহেব কার? গৃহযুদ্ধ শিবসেনায়

    সুপ্রিম কোর্টের শুনানিতে কী হয়, তার উপর নির্ভর করছে মহারাষ্ট্রের ভবিষ্যৎ। সোমবার সকালে বিদ্রোহীদের সঙ্গে বৈঠক করেন শিন্ডে। বিদ্রোহী সেনা বিধায়ক একনাথ মহারাষ্ট্র নবনির্মাণ সেনা (এমএনএস) প্রধান রাজ ঠাকরের সঙ্গেও কথা বলেছেন। ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা করার জন্য দুপুর দুটোর সময় শিন্ডে তাঁর সমর্থক বিধায়কদের সঙ্গে গুয়াহাটির হোটেলে আরও একটি বৈঠক ডেকেছেন। আলোচনা চালাচ্ছে উদ্ধব-বাহিনীও।  সূত্রের খবর, বিদ্রোহীদের সঙ্গে মেসেজে যোগাযোগ রাখছেন উদ্ধবও।

    বিদ্রোহী-বিধায়কেরা নিজেদের দায়িত্ব পালন করেননি বলে শিবসেনার তরফে এদিন মুম্বই হাইকোর্টে অভিযোগ দায়ের করা হয়। বলা হয়, জনগনের স্বার্থে কর্তব্য পালনে ব্যর্থ শিন্ডে গোষ্ঠী। দলের মুখপাত্র সঞ্জয় রাউত আজ বলেন, ‘যারা ৪০ বছর একটি পার্টিতে থাকে এবং তারপর পালিয়ে যায়, তাদের আত্মা মারা গিয়েছে। তাদের মধ্যে কিছুই অবশিষ্ট নেই। এই লাইনগুলি ডাঃ রাম মনোহর লোহিয়া বলেছেন। আমি বলিনি। কারো অনুভূতিতে আঘাত করতে চাই না, আমি শুধু সত্য বলেছি।’ প্রসঙ্গত, একদিন আগেই সঞ্জয় গুয়াহাটিতে বিদ্রোহী দলের বিধায়কদের ‘জীবন্ত মৃতদেহ’ বলে অভিহিত করেছিলেন।

  • Jodhpur Violence: সাম্প্রদায়িক সংঘর্ষে উত্তপ্ত যোধপুর, ধৃত ৯৭, জারি কারফিউ, বন্ধ ইন্টারনেট

    Jodhpur Violence: সাম্প্রদায়িক সংঘর্ষে উত্তপ্ত যোধপুর, ধৃত ৯৭, জারি কারফিউ, বন্ধ ইন্টারনেট

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ইদ (Eid) ও অক্ষয় তৃতীয়ার (Akshay Tritiya) আগের দিন দুই সম্প্রদায়ের সংঘর্ষে (communal clash) অগ্নিগর্ভ হয়ে ওঠে রাজস্থানের (Rajasthan) যোধপুর (Jodhpur)। সংঘর্ষের ঘটনায় এখনও পর্যন্ত ৯৭ জনকে গ্রেফতার করেছে রাজস্থান পুলিশ। পতাকা উত্তোলনকে কেন্দ্র করে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে যোধপুরের জালোরি গেট (Jalori gate) এলাকা। দুই সম্প্রদায়ের মধ্যে পাথর ছোঁড়ার ঘটনায় আহত হয়েছেন বেশ কয়েকজন পুলিশকর্মী। একই সঙ্গে সংবাদ সংগ্রহ করতে গিয়ে পাথরের আঘাতে আহত হয়েছেন বেশ কিছু সাংবাদিকও।     

    রাজস্থানের মুখ্যমন্ত্রী অশোক গেহলট (Ashok Gehlot) এই ঘটনায় পুলিশকে ইতিমধ্যেই কড়া ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন। মুখ্যমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে তিনি বলেন, “ধর্ম, বর্ণ বা শ্রেণি নির্বিশেষে ঘটনায় জড়িতদের রেয়াত করা হবে না।” আর তার বক্তব্যের ২৪ ঘণ্টা পার হতে না হতেই ৯৭ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। পাশাপাশি সংঘর্ষের ঘটনায় ইন্ধন দেওয়ার জন্য বিজেপিকেও আক্রমণ শানিয়েছেন তিনি।    

    পুলিশের তরফ থেকে জানানো হয়েছে, সোমবার সকালে ঘটনার সূত্রপাত হয়। বেলা বাড়তেই এলাকা অগ্নিগর্ভ হয়ে ওঠে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে বিশাল পুলিশ বাহিনী নামাতে হয়। ঘটনা প্রসঙ্গে যোধপুর পুলিশের এডিজি (আইন শৃঙ্খলা) এক বিবৃতিতে জানিয়েছেন, “ইদের অনুষ্ঠান উপলক্ষে পতাকা উত্তোলন নিয়ে দুই সম্প্রদায়ের মানুষের মধ্যে সংঘর্ষ বেঁধে যায়। এই ঘটনায় বেশ কয়েক জন পুলিশকর্মী আহত হয়েছেন। পরে বিশাল পুলিশ বাহিনী গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এলাকায় শান্তি বজার রাখার জন্য বন্ধ রাখা হয়েছে ইন্টারনেট পরিষেবা। ১০টি পুলিশ থানা এলাকায় কারফিউ জারি রয়েছে। আপাতত পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। অঞ্চলের সমস্ত স্কুল বন্ধ রাখা হয়েছে।”   

    রাজস্থানের মুখ্যমন্ত্রী অশোক গেহলট এক টুইট বার্তায় লিখেছেন, “যোধপুরের জালোরি গেট এলাকার ঘটনা দুর্ভাগ্যজনক। পুলিশ প্রশাসনকে পরিস্থিতির ওপর কড়া নজর রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।” পাশাপাশি এলাকার শান্তি বজায় রাখার জন্য তিনি সকল সম্প্রদায়ের মানুষের কাছে আবেদন জানিয়েছেন।  

    অন্যদিকে, এই ঘটনার জন্য বর্তমান কংগ্রেস শাসিত প্রশাসনের দিকেই আঙুল তুলেছে বিজেপি। রাজ্যের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বসুন্ধরা রাজে সিন্ধিয়া (Vasundhara Raje Scindia)। তিনি বলেন, কংগ্রেসের তোষণের নীতির ফলেই এই ঘটনা ঘটেছে। ইতিমধ্যেই বিজেপি (BJP) রাজস্থানের রাজ্য সভাপতি সতীশ পুনিয়া (Satish Poonia) এই ঘটনার নিরপেক্ষ তদন্তের আর্জি জানিয়ে রাজ্যপাল কালরাজ মিশ্রকে (Kalraj Mishra) চিঠি লিখেছেন। 

    [tw]


    [/tw]

     

  • Asha Workers: আশা কর্মীদের কুর্নিশ জানাল বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা, অভিনন্দন প্রধানমন্ত্রীর

    Asha Workers: আশা কর্মীদের কুর্নিশ জানাল বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা, অভিনন্দন প্রধানমন্ত্রীর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারতের মুকুটে নয়া পালক। ৭৫তম সাধারণ সমাবেশে আশা কর্মীদের কুর্নিশ জানাল বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (WHO)। গ্লোবাল হেলথ লিডারস অ্যাওয়ার্ড (Global Health Leaders Award) ২০২২ পেলেন ভারতের আশা কর্মীরা (ASHA Workers)।

    রবিবার, ‘হু’-এর ডিরেক্টর জেনারেল তেদ্রোস আধানম ঘেব্রেসাস (Tedros Adhanom Ghebreyesus) এই সম্মান ঘোষণা করেন। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (World Health Organization) জানিয়েছে, গ্রামীণ এলাকার দরিদ্র মানুষরা যাতে প্রাথমিক চিকিৎসার সুবিধাটুকু পান, তার জন্য অক্লান্ত পরিশ্রম করেন আশা কর্মীরা। গোটা দেশ যখন করোনার গ্রাসে, তখন এই আশাকর্মীরাই প্রত্যন্ত গ্রামে বাড়ি বাড়ি গিয়ে মানুষের সেবা করেছেন, দেশের স্বাস্থ্য ব্যবস্থাকে সচল রেখেছেন। স্বাস্থ্য পরিষেবায় এই প্রথম সারির যোদ্ধাদের অবদানের জন্যে তাঁদের রবিবার সম্মান জানিয়েছে ‘হু’।  

    আরও পড়ুনঃ একবারও ছুঁতে পারেনি করোনা? অতিপ্রাকৃতিক ক্ষমতা নাকি নিপাট বিজ্ঞান?

    একটি ট্যুইটে হু লিখেছে, “১০ লক্ষ মহিলা সমাজসেবী, আশা কর্মীদের প্রত্যন্ত গ্রামে দরিদ্রদের কাছে স্বাস্থ্য পরিষেবা পৌঁছে দেওয়ার জন্যে সম্মান জানানো হচ্ছে।”

    [tw]


    [/tw]

    হু-এর ট্যুইটের পরেই সোমবার জাপান থেকেই ট্যুইটে আশা কর্মীদের অভিনন্দন জানিয়েছেন স্বয়ং প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (Modi)।  প্রধানমন্ত্রী লেখেন, “আশা কর্মীদের সমগ্র দল বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার গ্লোবাল হেলথ লিডারস অ্যাওয়ার্ডে ভূষিত হওয়ায় আমি আনন্দিত। সকল আশা কর্মীদের অভিনন্দন। দেশের সুস্বাস্থ্যকে নিশ্চিত করতে তাঁরা অগ্রণী ভূমিকা পালন করেছেন। তাদের নিষ্ঠা ও দৃঢ়তা প্রশংসার যোগ্য।”    

    [tw]


    [/tw]

    আরও পড়ুনঃ আবার ফিরে আসতে পারে ডেল্টা, দাবি ইজরায়েলের গবেষকদের

    প্রসঙ্গত, দেশজুড়ে প্রায় দশ লক্ষ আশা কর্মী স্বাস্থ্য পরিষেবার সঙ্গে যুক্ত। ভারতের (India) গ্রামীণ এলাকায় আশা কর্মীরাই স্বাস্থ্য পরিষেবা আর্থিক ভাবে দুর্বল মানুষদের কাছে পৌঁছে দেন। এর আগেও কোভিডের (Covid-19) বিরুদ্ধে লড়াইয়ে তাঁদের ভূমিকার জন্য প্রশংসিত হয়েছিলেন আশা কর্মীরা। 

     

  • Maharastra Political Crisis: ‘যাঁরা যেতে চাইছেন যান, নতুন শিবসেনা গড়ব’, হুঁশিয়ারি উদ্ধবের

    Maharastra Political Crisis: ‘যাঁরা যেতে চাইছেন যান, নতুন শিবসেনা গড়ব’, হুঁশিয়ারি উদ্ধবের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ক্রমেই জটিল হচ্ছে মহারাষ্ট্রের (Maharastra) রাজনৈতিক পরিস্থিতি। মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধব ঠাকরে উদ্ভূত পরিস্থিতির জন্য বিদ্রোহী মন্ত্রী একনাথ শিন্ডের (Eknath Shinde) পাশাপাশি বিজেপিকেও (BJP) দুষেছেন। তাঁর অভিযোগ, শিবসেনাকে (Shiv Sena) শেষ করতে চাইছে বিজেপি। এদিকে, এদিনই ডেপুটি স্পিকার বিদ্রোহী ১৬ বিধায়ককে নোটিশ পাঠাতে পারেন বলে একটি সূত্রে খবর। অন্যদিকে, পরিস্থিতির মোকাবিলায় মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধব ঠাকরে শুক্রবার রাতে দুই পাওয়ারের সঙ্গে বৈঠক করেছেন। শিবসেনার জাতীয় কর্মসমিতির বৈঠকও হওয়ার কথা।

    আরও পড়ুন : ‘বর্ষা ছাড়লেও ছাড়ছি না…’ বললেন বিদ্রোহ দমনে প্রত্যয়ী উদ্ধব

    নরম হিন্দুত্ব নিয়ে বিবাদের জেরে বিদ্রোহ শুরু শিবসেনায়। মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধব ঠাকরের সঙ্গে দূরত্ব তৈরি হয় তাঁরই সতীর্থ একনাথ শিন্ডের। তার পরেই অনুগামী বিধায়কদের নিয়ে প্রথমে গুজরাটের সুরাট ও পরে আসামের গুয়াহাটিতে চলে যান শিন্ডে। ঠাকরে শিবির এখনও সরকারের গরিষ্ঠতা না হারানোর দাবি করলেও, ক্রমেই শক্তি বাড়াচ্ছে বিক্ষুব্ধ শিবির। শিন্ডের দাবি, তাঁর সঙ্গে ৫০ জন বিধায়কের সমর্থন রয়েছে। ঠাকরে শিবিরের ওপর চাপ বাড়াতে দলের প্রতীক ও নাম চেয়ে নির্বাচন কমিশনের দ্বারস্থ হওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বিদ্রোহী বিধায়করা।   

    এদিকে বিক্ষুদ্ধদের বিদ্রোহ দমন করতে শুক্রবার সন্ধ্যায় সরকার বাঁচানোর উপায় খুঁজতে বৈঠকে বসেন শিবসেনা প্রধান উদ্ধব ঠাকরে এবং এনসিপির দুই নেতা শারদ পাওয়ার ও অজিত পাওয়ার।

    এদিনই ঠিক হয়েছে, পরবর্তী রণকৌশল ঠিক করতে বৃহস্পতিবার দলের জাতীয় কর্মসমিতির বৈঠক ডেকেছেন উদ্ধব। সেখানে দলের পদস্থ নেতারা ছাড়াও উপস্থিত থাকবেন মহারাষ্ট্রের প্রতিটি জেলার সভাপতি। সূত্রের খবর, শুক্রবারের বৈঠকে ঠিক হয়েছে, আগামী দিনে বিক্ষুব্ধ শিবসেনা বিধায়কদের বাড়ির সামনে বিক্ষোভ দেখিয়ে ঠাকরে শিবিরে যোগদানের জন্যা চাপ দেওয়া হবে। শিন্ডে ঘনিষ্ঠ কুরলার বিধায়ক মঙ্গেশ কুড়ালকরের দফতরে এদিন ভাঙচুরও চালান ঠাকরে সমর্থকরা।

    আরও পড়ুন: সাধারণ অটোচালক থেকে মহারাষ্ট্র রাজনীতির মধ্যমণি, কে এই একনাথ শিন্ডে?

    এদিকে, এদিনই ডেপুটি স্পিকার নরহরি জিরওয়াল বিদ্রোহী ১৬ জন শিবসেনা বিধায়ককে নোটিশ পাঠাতে চলেছেন। ২৬ জুন বিকেল পাঁচটার মধ্যে তাঁদের বিধানসভায় সশরীরে হাজির হয়ে তাঁদের অবস্থান জানাতে বলা হবে।

    বিদ্রোহী বিধায়কদের ডিসকোয়ালিফিকেশন করা নিয়ে কার্যত দুভাগ আইনজ্ঞরা। তবে সিংহভাগের মতে, দলীয় বৈঠকে গরহাজির থাকার অজুহাতে তাঁদের ‘ডিসকোয়ালিফাই’ করা যাবে না। যদিও একনাথ সহ ১৬ জন বিধায়ককে ডিসকোয়ালিফিকেশনের নোটিশ জারি করা হতে পারে বলে একটি সূত্রের খবর।

    এদিকে, বৃহস্পতিবারই গুয়াহাটির হোটেল থেকে একনাথ জানিয়েছিলেন, তাঁর সঙ্গে একটি বড় জাতীয় দলের যোগাযোগ রয়েছে। এদিন একশো আশি ডিগ্রি ঘুরে গিয়ে তিনি বলেন, আমি আসলে বলতে চেয়েছি, আমার সঙ্গে বালাসাহেব ঠাকরে এবং আনন্দ দিঘের শক্তি রয়েছে। বিদ্রোহীরা দ্রুত রাজ্যপালের সঙ্গে দেখা করবেন বলেও জানান তিনি।

    অন্যদিকে, রাজ্যে অশান্তি এড়াতে সতর্কতা জারি করেছে পুলিশ। এদিকে, বিদ্রোহীরা যে ক্রমেই শক্তিশালী হচ্ছেন, তা বোধহয় বুঝতে পেরেছেন উদ্ধব। তিনি বলেন, যাঁরা শিবসেনা ছাড়তে চান, ছাড়তে পারেন। আমি আবার নতুন শিবসেনা গড়ব।

    রাজনীতির দ্যূতক্রীড়ায় উদ্ধবের গলায় এ কোন সুর!

     

  • Alwar Temple Demolition: রাজস্থানে ভাঙা পড়ল ৩০০ বছরের প্রাচীন শিব মন্দির, ‘তালিবান’ রাজ চালাচ্ছে কংগ্রেস দাবি বিজেপির

    Alwar Temple Demolition: রাজস্থানে ভাঙা পড়ল ৩০০ বছরের প্রাচীন শিব মন্দির, ‘তালিবান’ রাজ চালাচ্ছে কংগ্রেস দাবি বিজেপির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজস্থানের আলোয়ারে (Alwar)একটি ৩০০ বছরের প্রাচীন শিব মন্দির ভাঙাকে কেন্দ্র করে উত্তেজনা ছড়াল। অভিযোগ, বুলডোজার দিয়ে ভেঙে ফেলা হয় মন্দিরের ছাদ ও পিলার। এমনকী মন্দিরের ভেতরে থাকা শিবলিঙ্গটিও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলে অভিযোগ।

    এই ঘটনায় রাজস্থানের কংগ্রেস সরকারকে কাঠগড়ায় তুলেছে বিজেপি। রাজস্থানে কংগ্রেস একপ্রকার তালিবান রাজ চালাচ্ছে বলে অভিযোগ করেন বিজেপি নেতা রাজ্যবর্ধন সিং রাঠৌর। ঘটনার পিছনে থাকা সত্য জানতে শনিবার আলোয়ারের রাজগড়ে পৌঁছেছে বিজেপির পাঁচ সদস্যের একটি তথ্য অনুসন্ধাকারী দল। তাদের দাবি মন্দিরের পাশে একটি গোশালাও ছিল। সেটাও ভেঙে ফেলা হয়েছে। এই ঘটনায় রাজস্থানের মুখ্যমন্ত্রীকে সকলের সামনে ক্ষমা চাওয়ার দাবি জানিয়েছে বিজেপি। মন্দির পুনরায় গড়ে দিতে বলা হয়েছে এবং ক্ষতিপূরণও চাওয়া হয়েছে।

    ইতিমধ্যেই এই সংক্রান্ত একটি ভিডিও ছড়িয়ে পড়ে নেটদুনিয়ায়, যেটিকে হাতিয়ার করে কংগ্রেসের বিরুদ্ধে তীব্র আক্রমণ শানিয়েছে রাজস্থান বিজেপি। তাদের দাবি, কংগ্রেস যে কতখানি ধর্মনিরপেক্ষ তা এর থেকেই বোঝা যাচ্ছে। কারাউলি বা জাহাঙ্গিরপুরীর হিংসার ঘটনায় যে দল দুঃখ প্রকাশ করে, তাদের সরকার থাকাকালীনই রাজস্থানে হিন্দুদের মন্দির ধ্বংস হচ্ছে। আগুনে ঘি ঢালে এক স্থানীয় বিধায়কের বিবৃতি। ভাইরাল ভিডিওতে তাঁকে বলতে শোনা যায় যে, কংগ্রেস শাসিত পুরসভা চাইলে এই কাজ আটকাতে পারত। রাজস্থান বিজেপির দাবি, জাহাঙ্গিরপুরীর ঘটনার বদলা নিতেই এই কাণ্ড ঘটিয়েছে গেহলট সরকার।
     একই সঙ্গে রাজগড়ে রাস্তা সম্প্রসারণের কাজের জন্য বেশ কিছু ঘরও ভাঙা পড়েছে। গৃহহীন বহু মানুষ। বিজেপির অভিযোগ,আগাম নোটিশ না দিয়েই এই উচ্ছেদ অভিযান চালানো হয়েছে। এই অভিযোগের জবাব দিয়ে রাজস্থানের মন্ত্রী প্রতাপ সিং খাচরিয়াবাস জানিয়েছেন, বিজেপির দাবি সম্পূর্ণ মিথ্যে। তাঁর দাবি, ‘রাজগড় আরবান বডিস বোর্ড’-এর চেয়ারম্যান নিজে বিজেপির সদস্য। যে কর্মসূচির দরুন মন্দির এবং ঘর ভাঙা পড়েছে, তাতে সম্মতি দিয়েছিলেন চেয়ারম্যান। বরং কংগ্রেসের বিধায়কই এতে আপত্তি জানিয়েছিলেন। মন্ত্রী জানান, যদি আইনি কোনও অসুবিধা না থাকে তবে এই মন্দির পুনরায় গড়ে তোলা হবে।

     

  • S Jaishankar: মার্কিন মুলুকে ছেলেকে নিয়ে রেস্তোরাঁয় গিয়েছিলেন জয়শঙ্কর, সেখানে কী হল জানেন?

    S Jaishankar: মার্কিন মুলুকে ছেলেকে নিয়ে রেস্তোরাঁয় গিয়েছিলেন জয়শঙ্কর, সেখানে কী হল জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সম্প্রতি ভারতের বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্করের একটি ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় বেশ ঘুরে বেড়াচ্ছে। অর্থাৎ ভাইরাল হয়েছেন বিদেশমন্ত্রী। এক জায়গায় বক্তৃতা দেওয়ার সময়, নিজের জীবনের এক অভিজ্ঞতা ভাগ করে নেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী। আর এখন নেট মাধ্যমে ভাইরাল সেই ভিডিও ক্লিপ।

    আরও পড়ুন: তাসখন্দে তালিবান বিদেশমন্ত্রীর সঙ্গে মুখোমুখি বৈঠকে বসতে চলেছেন জয়শঙ্কর?

    কাজের সূত্রে আমেরিকায় থাকেন এস জয়শংকরের (S Jaishankar) ছেলে। কোভিডকালে ছেলের সঙ্গে দেখা করতে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে (US) গিয়েছিলেন তিনি। সেখানেই বাবা-ছেলে মিলে যান এক রেস্তোরাঁয় নৈশভোজে। তারপর সেখানে কী হল সেই অভিজ্ঞতাই ভাগ করে নিয়েছেন তিনি।  

    আরও পড়ুন: মূল্যবোধই ভারতের সম্পদ! অভিমত সামান্থার 

    অনুষ্ঠানের মঞ্চে বক্তৃতা দেওয়ার সময় মন্ত্রী বলেন, “২০২১ সালে অতিমারির সময় আমার ছেলের সঙ্গে দেখা করতে আমেরিকায় গিয়েছিলাম। দুজনে একটি মার্কিন রেস্তোরাঁয় ডিনারে গিয়েছিলাম। সেখানে আমাদের কোভিড টিকাকরণের সার্টিফিকেট (Covid Vaccination Certificate) দেখাতে বলা হয়। আমার ছেলে নিজের মানি ব্যাগ থেকে একটি ভাঁজ করা কাগজ বের করে দেখায়। আর আমি নিজের মোবাইলে কোউইন (Cowin) পোর্টাল খুলে ডিজিটাল ভ্যাকসিনেশন সার্টিফিকেট দেখাই। আর এখানেই অন্য দেশের সঙ্গে ভারতের তফাৎ লক্ষ্য করা যায়। আমি ভারতের কোউইন পোর্টালের জন্য ওই মুহূর্তে গর্ব অনুভব করেছিলাম।” জয়শংকরের ৫৭ সেকেন্ডের ছোট্ট এই ভিডিয়ো ক্লিপটি মুহূর্তেই সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়ে। নেটিজেনরা সকলেই কোউইন পোর্টাল নিয়ে নিজ নিজ অভিজ্ঞতা ভাগ করে নেন কমেন্ট বক্সে।

     

    যারা দেশের বাইরে যাত্রা করছেন বা আগামীতে যাত্রা করার কথা ভাবছেন একটি বিষয় জেনে রাখা অত্যন্ত জরুরি। যারা দেশের বাইরে যেতে চান, তাঁদের পাসপোর্টের সঙ্গে কো-উইন অ্যাপের ভ্যাকসিন সার্টিফিকেট লিঙ্ক করা বাধ্যতামূলক। 

  • Taj Mahal: তাজমহলের রুদ্ধ ২২ দ্বার খোলা হবে না, জানাল এলাহাবাদ হাইকোর্ট

    Taj Mahal: তাজমহলের রুদ্ধ ২২ দ্বার খোলা হবে না, জানাল এলাহাবাদ হাইকোর্ট

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তাজমহলের (Taj Mahal) বন্ধ ২২টি দরজা খোলার আবেদন প্রত্যাখান করল এলাহাবাদ হাইকোর্ট (Allahabad High court)। বৃহস্পতিবার হাইকোর্টের লক্ষ্ণৌ বেঞ্চ এই আবেদন খারিজ করে।

    যুগ যুগ ধরে ভালবাসার নিদর্শন হিসেবে বিশ্বজোড়া খ্যাতি তাজমহলের। মুঘল শাসনে তৈরি এই স্মৃতিসৌধ জায়গা করে নিয়েছে বিশ্বের সপ্তাশ্চর্যের তালিকাতে। এহেন নিদর্শন নিয়েই গোল বেঁধেছে সম্প্রতি। হিন্দুদের একাংশের দাবি, এক সময় প্রেমের এই সমাধি তীরেই ছিল তেজো মহালয়া নামের এক শিব মন্দির। নিত্য পুজোও নাকি হত সেখানে। তাজমহলের অনেকগুলি কক্ষের মধ্যে দ্বার বন্ধ রয়েছে ২২টির। ওই সংগঠনের দাবি, বন্ধ দরজার ভিতরেই রয়েছে হিন্দু দেবদেবীর মূর্তি।

    আরও পড়ুন : তাজমহল আসলে তেজো মহালয়া শিবমন্দির! জানেন কি এই বিতর্কের আসল কারণ?

    এদিকে, তালাবন্ধ থাকা দরজা খোলার আবেদন জানিয়ে আদালতের দ্বারস্থ হন রজনীশ সিং নামে এক ব্যক্তি। তিনি বিজেপির যুব নেতা। ইয়ুথ মিডিয়া ইনচার্জ। তাঁর দাবি, বন্ধ দরজার ভিতরেই রয়েছে ভগবান শিব সহ অন্যান্য দেবদেবী। অবিলম্বে তাজমহলের বন্ধ দ্বার খোলার আবেদনও আদালতে জানান তিনি। বিতর্কের অবসান ঘটাতে তৈরি হয় লক্ষ্ণৌ বেঞ্চ। এই বেঞ্চের নির্দেশে তদন্ত শুরু করে ভারতীয় পুরাতত্ত্ব বিভাগ। গঠিত হয় ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং কমিটিও। তারা সাফ জানিয়ে দেয়, যমুনার তটে রয়েছে নির্ভেজাল ভালবাসার নিদর্শন। এর পরেই এদিন আদালত জানিয়ে দেয়, তাজমহলের রুদ্ধদ্বার খোলা হবে না।

    এদিকে, রাজসমন্দের বিজেপি সাংসদ দিয়া কুমারী দাবি করেছেন যে আগ্রায় যে জমিতে তাজমহল তৈরি করা হয়েছে তা জয়পুর রাজপরিবারের এবং সেখানে একটি প্রাসাদ ছিল যা মুঘল সম্রাট শাহজাহান দখল করেছিলেন। তিনি বলেন, “আমাদের কাছে থাকা নথি অনুসারে, সেই জমিতে তাজমহল রয়েছে, সেখানে একটি প্রাসাদ ছিল। শাহজাহান তার শাসনকালে এটি দখল করেন। জমিটি জয়পুর রাজপরিবারের (পূর্ববর্তী সময়ে) ছিল।

    ওই সাংসদ আরও বলেন, “নথিপত্র অনুযায়ী, শাহজাহান যেহেতু এটি পছন্দ করেছিলেন তাই তিনি এটি অর্জন করেছিলেন। এর পরিবর্তে তিনি কিছু ক্ষতিপূরণ দিয়েছেন বলে শুনেছি। আদালত নির্দেশ দিলে আমরা নথি সরবরাহ করব।” রাজসামন্দের লোকসভা সাংসদ যোগ করেছেন।

     

LinkedIn
Share