Category: দেশ

Get updates on India News Headlines National News from the Madhyom news portal madhyom.com, West Bengal leading news portal Madhyom.com

  • Rana Kapoor: প্রিয়াঙ্কার থেকে ২ কোটি টাকা দিয়ে হুসেনের ছবি কিনতে বাধ্য হয়েছিলেন, দাবি ইয়েস ব্যাঙ্ক কর্তার

    Rana Kapoor: প্রিয়াঙ্কার থেকে ২ কোটি টাকা দিয়ে হুসেনের ছবি কিনতে বাধ্য হয়েছিলেন, দাবি ইয়েস ব্যাঙ্ক কর্তার

    মাধ্য়ম নিউজ ডেস্ক: প্রিয়াঙ্কা গান্ধী বঢরার (priyanka gandhi) কাছ থেকে এমএফ হুসেনের পেইন্টিং (MF Hussain painting) কিনতে বাধ্য করা হয়েছিল তাঁকে। কংগ্রেস নেত্রীর  বিরুদ্ধে এবার গুরুতর অভিযোগ তুললেন আর্থিক তছরুপ মামলায় (money laundering case) অভিযুক্ত ইয়েস ব্যাঙ্কের (Yes bank) সহ-প্রতিষ্ঠাতা রাণা কাপুর (Rana Kapoor)। চার্জশিটে এমনটাই দাখিল করেছে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (Enforcement Directorate) বা ইডি।

    বর্তমানে রাণা কাপুর রয়েছেন বিচারবিভাগীয় হেফাজতে। ইডির কাছে দেওয়া বিবৃতিতে তিনি জানিয়েছেন, প্রিয়াঙ্কা গান্ধীর কাছ থেকে মকবুল ফিদা হুসেনের একটি ছবি জোর করে কেনানো হয়েছিল তাঁকে দিয়ে। পাশাপাশি তিনি আরও জানান, তাঁর কাছ থেকে পাওয়া দু কোটি টাকা ব্যবহার হয়েছিল নিউইয়র্কে কংগ্রেস সভানেত্রী সনিয়া গান্ধীর (Sonia Gandhi) চিকিৎসায়। 

    আর্থিক তছরুপ মামলায় মুম্বইয়ের বিশেষ আদালতে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের দাখিল করা চার্জশিটে বলা হয়েছে, ইয়েস ব্যাঙ্কের কর্ণধার জানিয়েছেন, তৎকালীন পেট্রোলিয়াম মন্ত্রী মুরলী দেওরা ও আহমেদ পটেল তাঁকে নির্দেশ দিয়েছিলেন ছবি না কিনলে তাঁর সঙ্গে গান্ধী পরিবারের সম্পর্ক গড়ে উঠবে না এবং এর ফলে তাঁর ‘পদ্মভূষণ’ পাওয়া আটকে যাবে। 

    যদিও, কংগ্রেসের তরফে দাবি খারিজ করে বলা হয়েছে, ৫ হাজার কোটির কেলেঙ্কারিতে অভিযুক্ত একজনের কাছ থেকে এর থেকে বেশি কী আর আশা করা যেতে পারে। আর ওই ব্যক্তি এমন সব লোকেদের কথা বলছেন, যাঁরা বেঁচে নেই।

     

  • Sharad Pawar: কংগ্রেস ছাড়া অ-বিজেপি জোট অসম্ভব, পাওয়ারের মন্তব্যে সিঁদুরে মেঘ তৃণমূলের আকাশে

    Sharad Pawar: কংগ্রেস ছাড়া অ-বিজেপি জোট অসম্ভব, পাওয়ারের মন্তব্যে সিঁদুরে মেঘ তৃণমূলের আকাশে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফের একবার তৃণমূল নেত্রীর (TMC supremo Mamata Banerjee) প্রধানমন্ত্রী হওয়ার স্বপ্নে জল ঢেলে দিলেন বর্ষীয়ান এনসিপি (NCP) নেতা শারদ পাওয়ার (Sharad Pawar)। বুধবার আরও একবার প্রবীণ এই নেতা জানিয়ে দিলেন, কংগ্রেসকে বাদ দিয়ে বিজেপি বিরোধী জোটের (Anti BJP Front) ভাবনা ধোপে টিকবে না। এর আগেও একাধিকবার একথা জানিয়েছিলেন পাওয়ার। এদিন তৃণমূল নেত্রীর স্বপ্ন যে নেহাতই দিবাস্বপ্ন নাম না করে ঠারেঠোরে তা বুঝিয়ে দিলেন পাওয়ার।
     
    বিপুল জনাদেশ নিয়ে তৃতীয়বারের জন্য বাংলার ক্ষমতায় আসে তৃণমূল। গত বছর তৃণমূলের শহিদ তর্পন অনুষ্ঠানে বিজেপিকে হঠাতে বিরোধী ঐক্যের ডাক দেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এর পরে পরেই বিজেপি-বিরোধী মঞ্চ গড়ার সলতে পাকানোর কাজ শুরু দেন তিনি। ভোটকুশলী প্রশান্ত কিশোরকে শারদ পাওয়ারের সঙ্গে দেখা করতে মহারাষ্ট্র পাঠিয়ে দেন তৃণমূল নেত্রী। সেবার পিকে বর্ষীয়ান এই নেতার মন বোঝার চেষ্টা করেই রণে ভঙ্গ দেন। এর কিছুদিন পরে দিল্লিতে পাওয়ারের বাড়িতে গিয়ে বেশ কয়েকটি আঞ্চলিক দলের নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করেন পিকে। ওই বৈঠকে পাওয়ার জানিয়ে দেন কংগ্রেসকে বাদ দিয়ে বিজেপি-বিরোধী জোট সম্ভব নয়। পাওয়ারের সঙ্গে বৈঠক সেরে পিকে আলাদা করে বৈঠকে বসেন কংগ্রেসের রাহুল গান্ধি ও প্রিয়ঙ্কা গান্ধি বঢরার সঙ্গে। ওই বৈঠক থেকেই ফোনে পিকে কথা বলেন কংগ্রেস হাইকমান্ড সোনিয়া গান্ধির সঙ্গেও। 

    রাজনৈতিক মহলের মতে, কংগ্রেসের নেতৃত্বে বিজেপি-বিরোধী জোটে যেতে চাননি মমতা। তাই কংগ্রেসকে বাদ দিয়েই জোট গড়ার তোড়জোড় শুরু করেন তিনি। তৃণমূলের দলীয় মুখপত্রে কংগ্রেসকে তেড়ে আক্রমণও করা হয়। জোটের সলতে পাকাতে তৃণমূল নেত্রী স্বয়ং গিয়ে হাজির হন রাজধানীতে। সেখানে তিনি প্রায় ১৫টি আঞ্চলিক দলের সঙ্গে বৈঠক করেন। ওই বৈঠকে ডাকা হয়নি কংগ্রেসকে। রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের মতে, প্রধানমন্ত্রী হওয়ার স্বপ্ন বুকে নিয়ে ওই বৈঠক করেছিলেন মমতা। বিরোধী জোটের নেতৃত্বে কংগ্রেস থাকলে যা কোনওভাবেই সম্ভব নয়। তবে সেদিনও পাওয়ার মমতাকে সাফ জানিয়ে দিয়েছিলেন, কংগ্রেসকে বাদ দিয়ে বিজেপি বিরোধী জোট আকাশকুসুম কল্পনা মাত্র। 

    পাওয়ার যে নেহাৎ মিথ্যে বলেননি, তার প্রমাণ মেলে সাম্প্রতিক ত্রিপুরা পুরনির্বাচন এবং গোয়া বিধানসভা নির্বাচনে। দুই ক্ষেত্রেই মুখ থুবড়ে পড়ে তৃণমূল। উত্তর প্রদেশে বিজেপিকে সবক শেখাতে মমতা পাশে দাঁড়িয়েছিলেন অখিলেশের সমাজবাদী পার্টির। যোগী রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচনে গোহারা হারে অখিলেশরা।

    এদিন ফের একবার পাওয়ার জানিয়ে দিলেন, কংগ্রেসকে (Congress) বাদ দিলে বিজেপি-বিরোধী জোটের পালে লাগবে না সুবাতাস। তাই ‘২৪-এর লোকসভা নির্বাচনে (2024 Loksabha elections) পার হওয়া যাবে না ভোট বৈতরণী। তাছাড়া ওই জোটের নেতৃত্ব দিতে তিনি রাজি নন বলেও এদিন ফের স্পষ্ট করে দিয়েছেন বর্ষীয়ান এই এনসিপি নেতা। 

    তৃণমূল নেত্রী শুনতে পাচ্ছেন?
       

     

     

  • Hindu Minority Status: দশ রাজ্যে হিন্দুদের সংখ্যালঘু ঘোষণার দাবি, কেন্দ্রকে রিপোর্ট পেশের নির্দেশ সুপ্রিম কোর্টের

    Hindu Minority Status: দশ রাজ্যে হিন্দুদের সংখ্যালঘু ঘোষণার দাবি, কেন্দ্রকে রিপোর্ট পেশের নির্দেশ সুপ্রিম কোর্টের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দেশের ১০টি রাজ্যে কি হিন্দুদের (Hindu) সংখ্যালঘুর তকমা (Minority Status) দেওয়া যায়? এই প্রেক্ষিতে মঙ্গলবার এক শুনানিতে সংশ্লিষ্ট রাজ্যগুলির সঙ্গে আলোচনা করার নির্দেশ দিল সুপ্রিম কোর্ট (Supreme Court)। এর জন্য কেন্দ্রকে ৩০ অগাস্ট পর্যন্ত সময় দিয়েছে শীর্ষ আদালত। আগামী তিনমাসের মধ্য়ে রাজ্যগুলির মতামত নিয়ে তা নিয়ে রিপোর্ট পেশ করার নির্দেশ দিয়েছে শীর্ষ আদালত।

    প্রতিটি রাজ্যে জনসংখ্যার ভিত্তিতে ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের শ্রেণি ভাগ করার জন্য সুপ্রিম কোর্টে হলফনামা দেন বিজেপি নেতা তথা আইনজীবী অশ্বিনীকুমার উপাধ্যায়। ন্যাশনাল কমিশন ফর মাইনরিটি এডুকেশনাল ইনস্টিটিউশনস (National Commission for Minorities) অ্যাক্ট ২০০৪-এর ধারা ২(এফ)-এর বৈধতাকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে মামলা হয়। ওই ধারা অনুযায়ী মুসলিম, খ্রিস্টান, শিখ, বৌদ্ধ এবং পার্সিরা সংখ্যালঘু তকমা পায় দেশে। কিন্তু মামলাকারীর দাবি, দেশের মোট ৯টি রাজ্যে হিন্দুরাও সংখ্যালঘু। 

    ২০১১ সালের জনগণনা (Census) অনুযায়ী, ভারতে ১০টি রাজ্য ও কেন্দ্র শাসিত অঞ্চলে হিন্দুরা সংখ্যালঘু সেখানে তাঁদের সংরক্ষণের আওতায় আনা হোক। এই রাজ্যগুলি হল  লক্ষদ্বীপ, মিজোরাম, নাগাল্যান্ড, মেঘালয়, কাশ্মীর, অরুণাচল প্রদেশ, মনিপুর ও পঞ্জাব। মামলাকারীদের প্রশ্ন ছিল সব রাজ্যে তো মুসলিমা বা খ্রিস্টানরা সংখ্যালঘু নন। তাহলে রাজ্যের ভিত্তিতে আলাদা আলাদা সংখ্যালঘু তকমা দেওয়া হবে না কেন? নিয়ম অনুযায়ী, কোনও সম্প্রদায়কে সংখ্যালঘু তকমা দিতে পারে শুধুমাত্র কেন্দ্র সরকার। স্বাভাবিকভাবেই কেন্দ্রকে দেশের মোট জনসংখ্যার ভিত্তিতে সংখ্যালঘু তকমা দিতে হয়। তাই অনেক রাজ্যে হিন্দুরা (Hindu) সংখ্যালঘু হওয়া সত্ত্বেও তারা সংখ্যালঘু তকমা বা সংখ্যালঘু হওয়ার সুবিধা পায় না। 

    শুনানিতে সুপ্রিম কোর্টে কেন্দ্র জানিয়েছে, আগামী দিনে রাজ্যগুলিকে আলাদা করে সংখ্যালঘু তকমা দেওয়ার ক্ষমতা দেওয়ার কথা ভাবছে তারা। যার অর্থ, কোনও রাজ্য চাইলে হিন্দুদের আলাদা করে সংখ্যালঘু তকমা দিতে পারবে। কেন্দ্রের এই অবস্থানের প্রেক্ষিতে মঙ্গলবার শীর্ষ আদালত কেন্দ্রের কাছে জানতে চায়, এ বিষয়ে রাজ্য সরকারগুলির সঙ্গে তারা পরামর্শ করতে চায় কিনা? যদি সেটা চায়, তাহলে তা দ্রুত করা উচিত।

    এর আগে, সুপ্রিম কোর্ট একটি আবেদনের প্রতিক্রিয়া জানাতে কেন্দ্রকে ৪ সপ্তাহের সময় দিয়েছিল। তাঁর ভিত্তিতে সর্বোচ্চ আদালতে নিজের অবস্থান রেকর্ড করতে বলেছিল সরকারকে। শীর্ষ আদালতে কেন্দ্র জানিয়েছে, হিন্দুদের সংখ্যালঘু তকমা নিয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়ার জন্য আরও কিছুটা সময় দরকার। তার কারণ এই সিদ্ধান্তের ‘‌সুদূরপ্রসারী’‌ প্রভাব রয়েছে। 

    মঙ্গলবার কেন্দ্র সরকারের পক্ষ থেকে সুপ্রিম কোর্টকে জানানো হয়, যে সংখ্যালঘুদের চিহ্নিত করার ক্ষমতা যদিও কেন্দ্রীয় সরকারের হাতে রয়েছে, তবে এবিষয়ে রাজ্য এবং সবপক্ষের সঙ্গে আলোচনার পরেই সংখ্যালঘু সনাক্তকরণের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবে সরকার। তাঁর জন্য আরও সময় দরকার।

    জবাবে, কেন্দ্রকে দ্রুত এই বিষয়ে রাজ্যগুলির সঙ্গে আলোচনা করে রিপোর্ট দাখিল করার নির্দেশ দেয় সুপ্রিম কোর্ট। যদিও, কেন্দ্রের আবেদন মেনে রাজ্যগুলির সঙ্গে আলোচনার জন্য শীর্ষ আদালত আরও তিন মাস সময় দিয়েছে। ৩০ আগস্টের মধ্যে এ নিয়ে রিপোর্ট জমা দিতে বলা হয়েছে মোদি (Modi) সরকারকে। সুপ্রিম কোর্টের বক্তব্য, “এই সব ইস্যুতে আলোচনা প্রয়োজন। সব কিছুর বিচার করা যায় না।”

     

     

     

  • PM Modi: কার্বি আংলং নির্বাচনে জয় ‘ঐতিহাসিক’, দলের প্রশংসায় মোদি

    PM Modi: কার্বি আংলং নির্বাচনে জয় ‘ঐতিহাসিক’, দলের প্রশংসায় মোদি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফের একবার জয়জয়কার বিজেপি (Bjp)। আসামের (Assam) কার্বি আংলং অটোনোমাস কাউন্সিলের (Kaac) ২৬টি আসনেই জয়ী হল বিজেপি। এই নির্বাচনে প্রার্থী দিয়েছিল কংগ্রেসও। তবে করুণ দশা গ্র্যান্ড ওল্ড পার্টির। একটি আসনেও জয়লাভ করতে পারেনি সোনিয়া গান্ধীর (Sonia Gandhi) দল। বিপুল জয়ে খুশি খোদ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)। দলীয় কর্মীদের প্রশংসার সুর তাঁর গলায়। তাঁর কথায়, কার্বি আলংয়ের ফল ‘ঐতিহাসিক’।

    চলতি মাসের ৮ তারিখে ভোট হয় আসামের কার্বি আংলং অটোনোমাস কাউন্সিলের। আসন ২৬টি। সবকটিতেই প্রার্থী দিয়েছিল বিজেপি এবং কংগ্রেস। ফল বেরলে দেখা যায়, ওই ভোটে ছক্কা হাঁকিয়েছে কেন্দ্রের শাসক দল। মুখ থুবড়ে পড়েছে কংগ্রেস। একটি আসনেও জয় পায়নি তারা।

    আরও পড়ুন : রাজ্যসভা নির্বাচনে ১৬-র মধ্যে ৮ আসনে জয়ী বিজেপি

    বিজেপির সর্বভারতীয় সহ সভাপতি ও দলের আসাম ইনচার্জ বৈজয়ন্ত জয় পাণ্ডা জানান, বিজেপি ২৬টি আসনেই জয়ী হয়েছে। ট্যুইট বার্তায় তিনি লেখেন, ২৬টি আসনেই জয়ী হয়েছে বিজেপি। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও হিমন্ত বিশ্বশর্মার নেতৃত্বে এটা আমাদের বড় জয়। ইউনাইটেড পিপলস পার্টি লিবারেল সভাপতি প্রমোদ বোরো জানান, কার্বি আংলংয়ের বাসিন্দারা ফের বিজেপির ওপর আস্থা রাখলেন।

    একাধিক ট্যুইটে আসামের বিজেপি নেতাদের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সর্বানন্দ সোনোয়াল। ট্যুইট করেছেন আসামের মুখ্যমন্ত্রী বিজেপির হিমন্ত বিশ্বশর্মাও। ট্যুইটে তিনি লেখেন, কার্বি আংলং অটোনোমাস কাউন্সিলের ভোটে ফের বিজেপিকে ঐতিহাসিকভাবে জয়ী করার জন্য আমি জনতার কাছে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি। পুরসভা নির্বাচন ও জিএমসি ভোটে জয়ী হওয়ার পরে এই ভোটে বিপুল জয় বাস্তবিকই নরেন্দ্র মোদির সবকা সাথ, সবকা বিকাশের ওপর আস্থা রাখারই প্রতিফলন।    

    আরও পড়ুন : বিতর্কিত মন্তব্যের জেরে সাসপেন্ড নূপুর শর্মা, নবীন জিন্দালকে বহিষ্কার বিজেপি-র    

    আসামে বিজেপির এই জয়ে খুশি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিও। ট্যুইট বার্তায় তিনি লিখেছেন, কার্বি আংলংয়ের ফল ঐতিহাসিক। বিজেপির ওপর ধারাবাহিকভাবে আস্থা রাখায় জনগণকে ধন্যবাদ। আসামের উন্নতিতে আমরা কাজ করব বলেও আশ্বস্ত করছি। বিজেপির কার্যকর্তাদের চেষ্টা উল্লেখযোগ্য। তাঁদের কুর্নিস জানাই।

     

     

  • Al-Qaeda-linked  Assam: আল-কায়দা যোগ! অসমে আটক ১১ জন

    Al-Qaeda-linked Assam: আল-কায়দা যোগ! অসমে আটক ১১ জন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: জঙ্গি সংগঠনের সঙ্গে যুক্ত থাকার অভিযোগে অসমে আটক করা হল  ১১ জনকে। যাদের ধরা হয়েছে, তারা জঙ্গি সংগঠন আল-কায়দার (Al-Qaeda) সঙ্গে যুক্ত বলে জানিয়েছে অসম পুলিশ। এদের সঙ্গে বাংলাদেশের জঙ্গি সংগঠন আনসারুল্লা বাংলা টিম (ABT) এর যোগ রয়েছে বলেও জানা গিয়েছে। এদের মধ্যে একজন অসমের একটি মাদ্রাসার শিক্ষক।

    অসমের বড়পেটা, মরিগাঁও, গুয়াহাটি, গোয়ালপাড়া জেলা থেকে তাদের ধরা হয়েছে বলে জানিয়েছেন অসম পুলিশের DG ভাস্করজ্যোতি মহন্ত (Bhaskar Jyoti Mahanta)। তিনি জানান, এই এলাকায় আল কায়দার প্রভাব বাড়ানোর চেষ্টা করছিল ধৃতরা। শুধুমাত্র অসমেই নয়, উত্তর-পূর্ব ভারতেও তারা ‘জেহাদি’ কার্যকলাপ বাড়ানোর চেষ্টা করছিল। তিনি জানান, যাদের গ্রেফতার করা হয়েছে, তারা Al-Qaeda in Indian Sub continent (AQIS)-র সঙ্গে যুক্ত।

    আরও পড়ুন: মা স্বাভাবিক অভিভাবক, তিনিই ঠিক করবেন সন্তানের পদবি, জানাল সুপ্রিম কোর্ট

    অসমের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মা জানান, গত কয়েকদিনে জঙ্গিযোগ রয়েছে সন্দেহে কয়েকজনকে আটক করেছে পুলিশ। রাজ্যে জঙ্গি কার্যকলাপ বরদাস্ত করা হবে না। তদন্তকারী অফিসাররা কাজ করছেন। এই লোকেদের উদ্দেশ্য ছিল, এলাকার যুবকদের জঙ্গি দলে টেনে, তাদের দিয়ে নাশকতা ঘটানো।

    অসম পুলিশের তরফে জানানো হয়, রাজ্য পুলিশের স্পেশাল ব্রাঞ্চ একটি গোয়েন্দা রিপোর্ট পায়। সেই তথ্যর উপর ভিত্তি করেই পুলিশ অভিযান চালায়। পুলিশ সূত্রে খবর, আটক ব্যক্তিদের মধ্যে মুস্তাফা ওরফে মুফতির সঙ্গে আনসারুল্লা বাংলার সরাসরি যোগ রয়েছে। মরিগাঁওয়ের শাহরিয়া গাঁওয়ে একটি মাদ্রাসা চালায় সে। দেশ বিরোধী কাজে অর্থেরও যোগান দেয় মুফতি মুস্তাফা। এছাড়াও এখানকারই আফসারুদ্দিন ভুঁইয়া, গোয়ালপাড়ার আব্বাস আলি, মেহেবুব-সহ ১১ জনকে দুদিনে আটক করা হয়।

    আরও পড়ুন: শক্তি বাড়াল নৌসেনা! মার্কিন দেশ থেকে ভারতে এল দুটি এম এইচ -60R চপার

    পুলিশের তরফে জানানো হয়, ধৃতদের কাছ থেকে বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ নথি এবং Electronic Device পাওয়া গিয়েছে। পুলিশ জানিয়েছে, তাদের কাছ থেকে যে তথ্য পাওয়া গিয়েছে, তাতেই পরিষ্কার যে তারা নিজেদের কাজ এবং জেহাদি কার্যকলাপ বৃদ্ধি করার জন্য ঘাঁটি গেড়েছিল। আর কাদের সঙ্গে তাদের যোগাযোগ আছে, তা জানার চেষ্টা করছে পুলিশ।

  • Jahangirpuri violence: “৭০ বছরের তোষণের ফল”, দিল্লি হিংসা নিয়ে কংগ্রেসকে তোপ বিজেপির

    Jahangirpuri violence: “৭০ বছরের তোষণের ফল”, দিল্লি হিংসা নিয়ে কংগ্রেসকে তোপ বিজেপির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: হনুমান জয়ন্তীর দিন উত্তর-পশ্চিম দিল্লিতে ঘটে যাওয়া হিংসার ঘটনায় কংগ্রেস জমানার তোষণের নীতিকেই মূল কারণ হিসেবে ব্যাখ্যা করল বিজেপি। দলের জাতীয় মুখপাত্র সম্বিত পাত্র জানিয়েছেন, এই ঘটনার নেপথ্যে রয়েছে গত ৭০ বছরের তোষণের নীতি। 

    জাহাঙ্গিরপুরীর সংঘর্ষের ঘটনায় কংগ্রেস সভানেত্রী সোনিয়া গান্ধি সহ ১৩টি বিরোধী দলের নেতৃবৃন্দের পক্ষ থেকে দেশে সাম্প্রদায়িক হিংসার ঘটনার নিন্দা করে একটি যৌথ বিবৃতি পেশ করা হয়। এর প্রতিক্রিয়ায়, কংগ্রেস সহ বিরোধীদের একহাত নেয় বিজেপি। দলের মুখপাত্র সম্বিত পাত্র স্পষ্ট জানান, বিরোধীদের এই ‘পক্ষপাত রাজনীতি’ দেশের ক্ষতি করে চলেছে। তাঁর মতে, এই ঘটনার তদন্ত হচ্ছে এবং তাতে কী বের হচ্ছে, তার জন্য অপেক্ষা করা উচিত। 

    একইসঙ্গে, যৌথ বিবৃতি পেশ করার জন্য কংগ্রেস সহ বিরোধীদের তীব্র সমালোচনা করেন সম্বিত। বলেন, কয়েকজন রাজনৈতিক নেতানেত্রীর এহেন পক্ষপাতমূলক রাজনীতি দেশের জন্য উপযুক্ত নয়। এতে দেশের আখেরে ক্ষতিই হচ্ছে। সম্বিতের প্রশ্ন, আজ সোনিয়া গান্ধি মতাদর্শের কথা বলছেন। প্রশ্ন হল, কোন মতাদর্শ আজকের এই ঘটনার জন্য দায়ী? বিজেপি মুখপাত্র বলেন, এর জন্য দায়ী একটাই মতাদর্শ যা, গত ৭০ বছর ধরে চলে আসছে। তা হল, তোষণের মতাদর্শ। তোষণের এই নীতি ও রাজনীতি ভীষণই দুর্ভাগ্যজনক।

    আবার দিল্লি বিজেপির সভাপতি আদেশ গুপ্তর মতে, অবৈধ বাংলাদেশি অভিবাসী এবং রোহিঙ্গারাই জাহাঙ্গিরপুরীর হিংসার জন্য দায়ী। এই নেতার অভিযোগ, আম আদমি পার্টি এদের বিনামূল্যে বিদ্যুৎ, জল, রেশন দেওয়া থেকে শুরু করে রাজনৈতিক সুরক্ষাও প্রদান করছে। যদিও এই অভিযোগ পুরোপুরি খণ্ডন করেছে আম আদমি পার্টি।

    এদিকে, জাহাঙ্গিরপুরীর সংঘাত কড়া হাতে দমনের নির্দেশ দেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। দিল্লির পুলিশ কমিশনার রাকেশ আস্থানা আশ্বাস দেন, কোনও রকম প্রভাব খাটানোর প্রশ্নই নেই। একেবারে নিরপেক্ষ তদন্ত হচ্ছে। ১৪টি টিম ঘটনার তদন্ত করছে। তিনি জানিয়েছেন, জাহাঙ্গিরপুরীতে হনুমান জয়ন্তীর দিন যাঁরা অশান্তি পাকিয়েছে তাঁদের খুঁজে বের করে কড়া শাস্তি দেওয়া হবে। কোনও রকম রেয়াত করা হবে না।

  • Indian Army: লাদাখে চিনকে টেক্কা দিতে নয়া হাতিয়ার!  দেশে তৈরি আধুনিক অস্ত্র সেনার হাতে

    Indian Army: লাদাখে চিনকে টেক্কা দিতে নয়া হাতিয়ার! দেশে তৈরি আধুনিক অস্ত্র সেনার হাতে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: লাদাখে (Ladkh) শক্তি বাড়ালো ভারতীয় সেনা (Indian Army)। চিনকে যোগ্য জবাব দিতে নতুন সমরাস্ত্র সেনাবাহিনীর হাতে তুলে দিলেন কেন্দ্রীয় প্রতিরক্ষা মন্ত্রী রাজনাথ সিং (Rajnath Singh)। মঙ্গলবার সেই ছবি ট্যুইট করেন প্রতিরক্ষা মন্ত্রী। অস্ত্রগুলি সম্পূর্ণ দেশীয় প্রযুক্তিতে তৈরি। মূলত পূর্ব লাদাখে এই অস্ত্রগুলো ব্যাবহার করা হবে। ভারতীয় সেনা সূত্রে জানা গিয়েছে, ল্যান্ডিং ক্রাফট অ্যাসল্ট ভেসেল সীমান্ত (LAC) বারবার প্রতিরক্ষা ব্যাবস্থাকে আরও উন্নত এবং শক্তিশালী করবে।  দিনে দিনে বদলে যাচ্ছে আধুনিক যুদ্ধাস্ত্রের চেহারা। অনেক বেশি প্রযুক্তি নির্ভর হয়ে উঠছে সেনা। এইসঙ্গে আরও বেশি করে গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে সেনা জওয়ানদের সুরক্ষার দিকটিতে। সেই সূত্রেই মঙ্গলবার ভারতীয় সেনার (Indian Army) হাতে ‘ফিউচার ইনফ্যান্ট্রি সোলজার অ্যাজ এ সিস্টেম’ অথবা এফ-ইনসাস (F-INSAS) তুলে দিলেন প্রতিরক্ষামন্ত্রী।



    সেনা সূত্রে খবর, এই অস্ত্রগুলির মধ্যে আকাশপথে চালকহীন নজরদারি ব্যাবস্থা বাড়ানোর জন্য উন্নত প্রযুক্তি সম্পন্ন অস্ত্র যেমন রয়েছে, তেমনি সার্ভিল্যান্স হার্ডওয়্যার, পেট্রলিং বোট, অ্যান্টি পার্সোনাল মাইন, নিপুন (Anti Personnel Mine Nipun), ইনফ্যান্ট্রি প্রোটেক্ট টিভ Mobility ভেহিকল হাতে পেলেন সেনা কর্তারা। যা দিয়ে ভবিষ্যতে লাদাখ সীমান্তে চিনের আস্ফালন ও অনুপ্রবেশ ঠেকানো আরও সহজ হবে বলেই মত ওয়াকিবহাল মহলের। মঙ্গলবারের অনুষ্ঠানে প্রতিরক্ষামন্ত্রী ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন সেনাপ্রধান জেনারেল মনোজ পাণ্ডে (Manoj Pande) এবং লেফটেন্যান্ট জেনারেল হরপাল সিং (Harpal Singh)। 

    আরও পড়ুন: লোকসভায় ৩৫টি আসন! জানুন কী ঠিক হল বিহার বিজেপির কোর কমিটির বৈঠকে

    সেনা সূত্রে খবর, আগের তুলনায় এল সি এ নজরদারি বাড়ানো হচ্ছে ধাপে ধাপে। তবে পূর্ব লাদাখে ভারতের নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করার ক্ষেত্রে বড় অন্তরায় হয়ে দাঁড়ায় পূর্ব লাধাখের বিস্তৃত জলাশয়। নতুন ভেসেল আসার ফলে সমস্যা দ্রুত মিটবে বলে মনে করা হচ্ছে।

  • Agnipath Scheme: তারুণ্যে ভরপুর সেনা! অগ্নিপথ সঠিক দাবি কংগ্রেস নেতার

    Agnipath Scheme: তারুণ্যে ভরপুর সেনা! অগ্নিপথ সঠিক দাবি কংগ্রেস নেতার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অগ্নিপথ প্রকল্প কেন্দ্রের সঠিক পথ বলে দাবি করলেন প্রবীণ কংগ্রেস নেতা মনীশ তিওয়ারি। দল অগ্নিপথ নিয়ে সরকারের বিরোধিতা করলেও সেই বিরোধের সুর খানিকটা কেটে দিয়েছেন মনীশ। তাঁর বক্তব্য, সেনায় সংস্কারের লক্ষ্যে সরকার উপযুক্ত পদক্ষেপ করেছে। বিরোধিতা করতে হবে বলেই কোনও প্রকল্পকে খাটো করা উচিত নয়। আজকের দিনে সেনায় মানুষের থেকে বেশি প্রয়োজন উন্নত প্রযুক্তি। সেই সঙ্গে সেনা বাহিনীকে হতে হবে তারণ্যে ভরপুর। সেই লক্ষ্যেই এগোচ্ছে কেন্দ্র সরকার।

    প্রসঙ্গত, কেন্দ্রীয় সরকার জানিয়েছে, এই প্রকল্পে ‘অগ্নিবীর’ হিসেবে সেনায় ৪৬ হাজার নিয়োগ হবে। সাড়ে ১৭ থেকে ২৩ বছর মধ্যে ছেলেমেয়েরা আবেদন করতে পারবেন। ন্যূনতম শিক্ষাগত যোগ্যতা চাওয়া হয়েছে দশম স্তর। কাজে যোগ দিয়ে বার্ষিক বেতন হবে ৪.৭৬ লাখ টাকা। চতুর্থ বছরে তা বেড়ে হবে ৬.৯২ লাখ টাকা। এর পাশাপাশি কোনও খরচ ছাড়াই ৪৮ লাখ টাকার বিমা এবং চার বছরের শেষে এককালীন ১১.৭১ লাখ টাকা দেওয়া হবে। সেইসঙ্গে অভিজ্ঞতার শংসাপত্র ও ব্যাঙ্ক থেকে ঋণ নেওয়ার সুবিধাও পাবেন অগ্নিবীররা।

    আরও পড়ুন: অগ্নিপথ প্রকল্পে বায়ুসেনায় নিয়োগ পক্রিয়া শুরু ২৪ জুন, সেনায় ডিসেম্বরে

    বিশেষজ্ঞদের দাবি, সেনাবাহিনীতে অল্প সময়ের জন্য নিয়োগ নতুন কিছু নয়। অনেক অফিসারই পাঁচ বছরের জন্য চাকরি করেন। পরে তাঁরা কেউ কেউ থেকে যান। কিন্তু বেশির ভাগই অন্য জায়গায় চাকরি করেন। বিরোধীরা ভুল প্রচার করছে বলে সরকারি সূত্রে দাবি করা হয়েছে। প্রতিরক্ষামন্ত্রক সূত্রে জানানো হয়েছে, কর্মসংস্থানের বড় সুযোগ তৈরি করে দেবে অগ্নিপথ প্রকল্প। সরকারি কর্তারা মনে করছেন, চুক্তিতে চার বছরের চাকরিতে নিয়োগের ভাল দিকগুলি তরুণ সমাজের কাছে ঠিকঠাক তুলে ধরা গেলে পরিস্থিতি বদলে যাবে।

    অনেকেই অবসরের পরে পেনশনের দাবি করছেন। সরকারের তরফে দাবি, চার বছর চাকরির পর পেনশন খুব কম জায়গায় মেলে। সরকারের দাবি,  যাঁরা সেনাবাহিনীর প্রশিক্ষণ নেবেন তাঁরা যখন সরকারি বা বেসরকারি সংস্থায় কাজের আবেদন করবেন তখন বাড়তি সুবিধা পাবেন অভিজ্ঞতার জন্য। শৃঙ্খলাবদ্ধ ও প্রশিক্ষিত কর্মী হিসেবে বাড়তি ‘গুরুত্ব’ও পাবেন তাঁরা।

  • Himanta on Congress: কংগ্রেসে থাকবেন কেবল গান্ধীরাই, ভবিষ্যদ্বাণী অসমের মুখ্যমন্ত্রীর  

    Himanta on Congress: কংগ্রেসে থাকবেন কেবল গান্ধীরাই, ভবিষ্যদ্বাণী অসমের মুখ্যমন্ত্রীর  

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কেবলমাত্র গান্ধীরাই (Gandhis) কংগ্রেসে (Congress) থাকবেন। শুক্রবার এমনই মন্তব্য করলেন অসমের (Assam) মুখ্যমন্ত্রী বিজেপির (BJP) হিমন্ত বিশ্বশর্মা (Himanta Biswa Sarma)। হিমন্ত এই মন্তব্য করার আগে আগেই কংগ্রেস ছেড়েছেন প্রবীণ নেতা গুলাম নবি আজাদ (Gulam Nabi Azad)।

    দলীয় নেতৃত্বের সঙ্গে মত বিরোধের জেরে দল ছাড়েন গুলাম নবি আজাদ। তার আগে প্রত্যাখ্যান করেছিলেন দলের দেওয়া পদও। কংগ্রেসের বিক্ষুব্ধ অংশ জি-২৩ নামে পরিচিত। গুলাম নবি আজাদ ছিলেন এই শিবিরেই। তাঁর দল ছাড়ার প্রসঙ্গ টেনে হিমন্ত বলেন, কংগ্রেসে প্রত্যেকেই জানেন রাহুল গান্ধী অপরিপক্ক। সোনিয়া গান্ধী দল সম্পর্কে উদাসীন। তিনি শুধু চেষ্টা করছেন তাঁর ছেলেকে নেতা হিসেবে তুলে ধরতে। এটা একটা ব্যর্থ চেষ্টা।

    সোনিয়ার এই ব্যর্থ চেষ্টার কারণেই যে কংগ্রেসে ভাঙন ধরছে, এদিন তাও জানিয়েছেন আসামের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত। এক সময় হিমন্তও ছিলেন কংগ্রেসে। পরে কংগ্রেস ছেড়ে যোগ দেন বিজেপিতে। হন অসমের মুখ্যমন্ত্রী। তিনি বলেন, সোনিয়ার এই চেষ্টার জন্যই লোকজন কংগ্রেস ছাড়ছেন। তিনি বলেন, আমি ভবিষ্যৎবাণী করেছিলাম যে একটা সময় এমন আসবে যখন কংগ্রেসে থাকবেন কেবল গান্ধীরাই। এবং সেটাই ঘটছে। তাঁর সংযোজন, প্রকৃতপক্ষে রাহুল গান্ধী ক্রমেই বিজেপির পক্ষে আশীর্বাদ হয়ে দাঁড়াচ্ছেন।

    আরও পড়ুন : রাহুল গান্ধী রাজি না হলে কংগ্রেস সভাপতি পদে কে জানেন?

    দল ছাড়ার কারণ দর্শিয়ে সোনিয়া গান্ধীকে একটি চিঠি লিখেছিলেন গুলাম নবি আজাদ। তিনি লিখেছিলেন, দলে প্রবীণ নেতাদের কোণঠাসা করে দেওয়া হচ্ছে। অনভিজ্ঞ নেতাদের অযথা গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে। সেই কারণেই দল ছাড়ছেন তিনি। কংগ্রেসের টিকিটে রাজ্যসভায় মনোনীত হয়েছিলেন গুলাম নবি আজাদ। মেয়াদ শেষের পরে আর দাঁড়াননি জম্মু-কাশ্মীরের এই প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী। এদিন দল ছাড়ার আগে রাহুল গান্ধীকেও নিশানা করেন জম্মু-কাশ্মীরের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী। বলেন, তাঁর অপরিপক্কতার কারণেই কংগ্রেসে এই হাল। বিভিন্ন নির্বাচনে দল হারছে তাঁর দুর্বল পারফরমেন্সের জন্য। প্রসঙ্গত, দল ছাড়ার আগে ১৬ অগাস্ট আজাদ ছাড়েন জম্মু-কাশ্মীর কংগ্রেস প্রচার কমিটির শীর্ষপদ। এদিন সম্পর্ক চুকোলেন কংগ্রেসের সঙ্গেও।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।  

  • Patna: জলের নীচে কুষান-ইতিহাস! পুকুর থেকে উঠল ২০০০ বছরের দেওয়াল

    Patna: জলের নীচে কুষান-ইতিহাস! পুকুর থেকে উঠল ২০০০ বছরের দেওয়াল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পুকুর সংস্কার করতে গিয়ে ইতিহাসের সন্ধান মিলল পাটনায়। একটি পুকুরের সংস্কার করার সময় ইটের দেওয়ালের অবশিষ্টাংশ খুঁজে পাওয়া গিয়েছে বলে জানিয়েছে আর্কিওলজিক্যাল সার্ভে অফ ইন্ডিয়ার পাটনা (ASI Patna) শাখা। প্রত্নতত্ত্ব বিভাগের দাবি দেওয়ালটি ২০০০ বছরের পুরোনো। সময়ের হিসেব করলে দেওয়ালটি কুষান যুগের (Kushan Age) নিদর্শন হওয়া উচিত বলে মনে করছেন তাঁরা। 

    পাটনা রেলওয়ে স্টেশন থেকে ৬ কিলোমিটার পূর্বে, এর আগে যেখানে মৌর্য সাম্রাজ্যের ধ্বংসাবশেষ পাওয়া গিয়েছিল, সেখানে কুমরাহারে খনন কাজ চালানোর সময় দেওয়ালের অবশিষ্টাংশটি আবিষ্কার করেন প্রত্নতাত্ত্বিকরা। এএসআই পাটনা সার্কেলের গৌতমী ভট্টাচার্য জানান, “দেওয়ালের ইটগুলি ২০০০ বছরের পুরোনো। সেই হিসেবে এই স্থাপত্য কুষান যুগের হওয়া উচিৎ।  

    আরও পড়ুন: জামুইয়ে মিলল দেশের সর্ববৃহৎ সোনার খনির হদিশ, খোঁজ দিয়েছে পিঁপড়ের দল?

    কেন্দ্রের ‘মিশন অমৃত সরোবর’ উদ্যোগের অংশ হিসাবে এএসআই সুরক্ষিত পুকুরটিকে সংস্কারের উদ্যোগ নেউ পাটনা প্রশাসন। তখনই খুনন কার্য চালানোর সময় দেওয়ালটি উদ্ধার হয়। প্রত্নতাত্ত্বিকদের মতে, পুকুরের গভীরে ইটের দেওয়াল একটি বিরল আবিষ্কার। এএসআই বিশেষজ্ঞদের একটি দল দেওয়ালের প্রত্নতাত্ত্বিক গুরুত্ব বিশ্লেষণ করার কাজে লেগে পড়েছে।

    আরও পড়ুন: হিন্দু মন্দিরের ওপরই গড়ে তোলা হয়েছিল কুতুব মিনার! প্রমাণ এএসআই রিপোর্টে

    প্রত্নতাত্ত্বিকদের প্রাথমিক গবেষণায় উঠে এসেছে, এই ইটগুলি কুষান যুগের নিদর্শন। কুষানরা উত্তর ভারত, বর্তমান আফগানিস্তান এবং মধ্য এশিয়ার কিছু অংশে আনুমানিক ৩০ সাল থেকে ৩৭৫ সাল পর্যন্ত রাজত্ব করেছিল। তবে এখনই নিশ্চিত হতে পারছেন না প্রত্নতত্ত্ববিদরা।  

    দিল্লিতে এএসআই সদর দফতরে এই আবিষ্কার সম্পর্কে জানানো হয়েছে বলে জানান গৌতমী ভট্টাচার্য। গৌতমী এএসআই-পাটনা কেন্দ্রের ‘মিশন অমৃত সরোবর’ উদ্যোগের অন্তর্গত বিহারের ১১ টি সুরক্ষিত জলাশয় সংস্কারের কাজের অংশ ছিলেন। গৌতমী ভট্টাচার্য (Goutami Bhattacharya) জানান, “আমরা দিল্লিতে আমাদের সিনিয়রদের পুরো বিষয়টা জানিয়েছি। আরও পরীক্ষা করা হবে। পরীক্ষা শেষ হলে নিশ্চিত করে কিছু বলা যাবে।” 

     

LinkedIn
Share