Category: দেশ

Get updates on India News Headlines National News from the Madhyom news portal madhyom.com, West Bengal leading news portal Madhyom.com

  • Assam Flood: উত্তর-পুর্ব ভারতে বন্যায় মৃত ৭১, শুধু আসামেই ক্ষতিগ্রস্ত ৪২ লক্ষ মানুষ

    Assam Flood: উত্তর-পুর্ব ভারতে বন্যায় মৃত ৭১, শুধু আসামেই ক্ষতিগ্রস্ত ৪২ লক্ষ মানুষ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আরও ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে আসাম তথা সমগ্র উত্তর-পূর্ব ভারতের বন্যা পরিস্থিতি (Flood Situation)। আসামে (Assam) বন্যায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩৪। গত ২৪ ঘণ্টায় তিন শিশু-সহ ৯ জনের মৃত্যু হয়েছে। মারা গিয়েছেন দুই পুলিশ কর্মীও।  

    চলতি বছরে পর পর দুবার বন্যায় এবং বন্যার কারণে ধসে আসামে মোট ৭১ জনের মৃত্যু হয়েছে। বাজালি, বক্সা, বরপেটা, কাছাড়-সহ ৩৩ টি জেলার বন্যা পরিস্থিতি ভয়ংকর আকার ধারণ করেছে। তবে সবচেয়ে খারাপ অবস্থা বরপেটার। ইতিমধ্যেই খোলা হয়েছে ৭৪৪ টি আশ্রয় শিবির। সেখানে আশ্রয় নিয়েছেন প্রায় ১ লক্ষ ৮৬ হাজার মানুষ। 

    আরও পড়ুন: বন্যা ভয়াবহ রূপ নিয়েছে আসামসহ উত্তর-পূর্বের রাজ্যগুলিতে, মৃত্যু বেড়ে ৫৪  
     
    শুধু আসামেই বন্যার কারণে ৪২ লক্ষ মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত। কাছাড় জেলায় তিন জনের মৃত্যু হয়েছে। বরপেটায় মৃত্যু হয়েছে দুজনের। বাজালি, কামরূপ, করিমগঞ্জ, উদলগুড়িতে এক জন করে মৃত্যু হয়েছে। ডিব্রুগড়ের নৌকাডুবিতে চারজন এখনও নিখোঁজ। কাছাড়, হোজাই, তমুলপুর, উদলগুড়ি থেকেও এক জন করে নিখোঁজ।

    আরও পড়ুন: বন্যা বিধ্বস্ত আসাম, মৃত বেড়ে ৫৪, ক্ষতিগ্রস্ত ১৮ লক্ষের বেশি  
     
    বন্যা দুর্গতদের উদ্ধার কাজে নেমেছে সেনা। ভারতীয় সেনার (Indian Army) এই উদ্ধার অভিযানের নাম দেওয়া হয়েছে ‘অপারেশন গজরাজ’। ভারতীয় সেনার সঙ্গে উদ্ধারকাজে হাত মিলিয়েছে, আধা সেনা (Para Military), জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী (NDRF), রাজ্য বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী (SDRF) এবং দমকল বাহিনীও (Fire Brigade)। সূত্রের খবর, জলের তলায় রয়েছে ৫ হাজারেরও বেশি গ্রাম। শুধুমাত্র বরপেটা জেলার প্রায় ১৩ লক্ষ মানুষ গৃহহীন। এছাড়াও নওগাঁওয়ের প্রায় ৪ লক্ষ এবং দেলগুয়ে প্রায় ৩ লক্ষ ৬৪ হাজার মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত। অসমের ২৫টি জেলার ১০ লক্ষ হেক্টর জমির ফসল নষ্ট হয়ে গিয়েছে। প্রবল বৃষ্টির জেরে ক্ষতিগ্রস্ত ২৯ লক্ষ গবাদি পশু। এমনকী কাজিরাঙা অভয়ারণ্যের বেশ কিছু অংশও রয়েছে জলের তলায়। বন্যা কবলিত লক্ষ লক্ষ মানুষ আশ্রয় নিয়েছেন আশ্রয় শিবিরে। অনেকের কাছেই এখনও পৌঁছনো যায়নি ত্রাণ।     

    উত্তর-পূর্ব ভারতজুড়ে (North-Eastern India) এই বন্যায় প্রাণ হারিয়েছেন মোট ৭১ জন। এর মধ্যে রয়েছেন অরুণাচল প্রদেশের সম্ভবনাময় এক ১৬ বছরের বক্সার। ভূমিধসে মৃত্যু হয়েছে তাঁর।  

    কামরূপে নদীর জল শেষ বন্যার থেকে .৩৩ মিটার ওপর দিয়ে বইছে। এর আগে যখন সবচেয়ে বন্যা সবচেয়ে ভয়ঙ্কর রূপ ধারণ করেছিল, তখন নদীএর জলের উচ্চতা ছিল ৬১.৭৯ মিটার। ব্রহ্মপুত্র, মধুরার জল বিপদ সীমার বেশ খানিকটা ওপর দিয়ে বইছে। এখনই কমছে না বৃষ্টিপাত, সতর্ক করেছে আবহাওয়া দফতর।  

     

  • Agnipath Scheme: আরও বাড়ল বয়সের ঊর্ধ্বসীমা! ১০ শতাংশ সংরক্ষণ কেন্দ্রীয় সশস্ত্র বাহিনীতে

    Agnipath Scheme: আরও বাড়ল বয়সের ঊর্ধ্বসীমা! ১০ শতাংশ সংরক্ষণ কেন্দ্রীয় সশস্ত্র বাহিনীতে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক:অগ্নিপথ প্রকল্প’ (Agnipath Scheme) ঘোষণার পর থেকেই দেশের বিভিন্ন প্রান্তে বিক্ষোভ শুরু হয়েছে। পরিস্থিতি সামাল দিতে নিয়ম শিথিল করল কেন্দ্র। অগ্নিবীরদের জন্য ১০ শতাংশ সংরক্ষণের সিদ্ধান্ত নিল কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক। কেন্দ্রীয় বাহিনী এবং অসম রাইফেলসে ১০ শতাংশ সংরক্ষণ দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছেন  স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী অমিত শাহ। প্রতিরক্ষা মন্ত্রকেও অগ্নিবীরদের (Agniveers) জন্য ১০ শতাংশ সংরক্ষণের কথা ঘোষণা করা হয়েছে। বাড়ছে নিয়োগের ঊর্ধ্বসীমাও।

    [tw]


    [/tw]

    শনিবার কেন্দ্রের তরফে ঘোষণা করা হয়েছে, প্রথম ব্যাচের অগ্নিবীরদের বয়সের ঊর্ধ্বসীমা আরও ৫ বছর বাড়ানো হল। গত দুবছর করোনা মহামারীর কারণে সেনায় নিয়োগ বন্ধ ছিল। তাই প্রথম বছরে বয়সের ঊর্ধ্বসীমায় ছাড় দেওয়া হয়েছে। প্রথমে বয়সের ঊর্ধ্বসীমা ছিল ২১ বছর, পরে তা ২৩ বছর করা হয়। এ বার আরও বাড়ল নিয়োগের ঊর্ধ্বসীমা। তবে এটা শুধু প্রথম ব্যাচের অগ্নিবীরদের জন্য। তা ছাড়াও, অগ্নিবীররা অবসরের পর কেন্দ্রীয় সশস্ত্র বাহিনী এবং অসম রাইফেলসে ১০ শতাংশ সংরক্ষণ পাবেন। শুক্রবার কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ ঘোষণা করেছিলেন, সিআরপিএফে ‘অগ্নিবীর’দের অগ্রাধিকার দেওয়া হবে। তার পর দিনই সামনে এল এই ঘোষণা। এর ফলে চার দিন ধরে চলা বিক্ষোভের প্রশমন হবে বলে আশা করছে ওয়কিবহাল মহল।

    আরও পড়ুন: পরিস্থিতি এমন হবে বুঝিনি! একথা কেন বললেন নৌসেনা প্রধান?

    এখন আধাসামরিক বাহিনীর পাঁচটি শাখায় ৭৩ হাজারের বেশি পদ খালি রয়েছে। এগুলি হল বিএসএফ, কেন্দ্রীয় রিজার্ভ পুলিশ ফোর্স বা সিআরপিএফ, ইন্দো তিব্বত বর্ডার পুলিশ (আইটিবিএফ), সশস্ত্র সীমা বল বা এসএসবি এবং সিআইএসএফ। পাশাপাশি, ৭৩,২১৯টি পদ খালি রয়েছে সিএপিএফ এবং অসম রাইফেলসে।

    [tw]


    [/tw]

    প্রতিরক্ষা মন্ত্রকে কাজের ক্ষেত্রেও অগ্নিবীরদের জন্য ১০ শতাংশ সংরক্ষণের কথা জানানো হয় এদিন। সম্প্রতি প্রতিরক্ষা মন্ত্রী রাজনাথ সিং (Rajnath Singh) বলেছেন, “নিয়োগের ক্ষেত্রে বয়সের উর্ধ্বসীমা শিথিলকরণের মাধ্যমে আমরা যুবকদের প্রতি যত্নশীল মনোভাব পোষণ করেছি। তাঁদের জন্য সংরক্ষণের কথাও ভাবা হচ্ছে।” 

  • Assam Flood: বন্যা ভয়াবহ রূপ নিয়েছে আসামসহ উত্তর-পূর্বের রাজ্যগুলিতে, মৃত্যু বেড়ে ৫৪

    Assam Flood: বন্যা ভয়াবহ রূপ নিয়েছে আসামসহ উত্তর-পূর্বের রাজ্যগুলিতে, মৃত্যু বেড়ে ৫৪

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: জলের তলায় আসাম (Assam), মেঘালয় (Meghalaya)। গত ২৪ ঘণ্টায় রাজ্য দুটিতে অন্তত ১২ জনের মৃত্যু হয়েছে। লাগাতার বৃষ্টিপাতে বিপর্যস্ত উত্তর-পূর্বের একাধিক রাজ্যের জনজীবন। মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৫৪। আসামের ২৮টি জেলায় বন্যা (Assam Flood) পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। প্রায় ২৯৩০টি গ্রাম জলমগ্ন। জল ঢুকতে শুরু করেছে অন্যান্য জেলাতেও। ব্রহ্মপুত্র নদের জল বিপদসীমার উপর দিয়ে বইছে। তিন দিনের প্রবল বৃষ্টিপাতে ১৮ জন মারা গিয়েছেন আসামে।  

    আবহাওয়া দফতর সূত্রের খবর, আসাম ও মেঘালয় ছাড়াও আগামী পাঁচ দিন পশ্চিমবঙ্গ, সিকিমে প্রবল বৃষ্টিপাত হবে। আসামে শুক্রবার ৭ জন মারা যান। এ নিয়ে গত তিন দিনে রাজ্যটিতে বন্যা ও ভূমিধসে মৃতের সংখ্যা দাঁড়াল ১৮-তে। গুয়াহাটিতে ভূমিধসে আরও তিনজন আহত হন।

    আরও পড়ুন: বন্যা বিধ্বস্ত আসাম, মৃত বেড়ে ৫৫, ক্ষতিগ্রস্ত ১৮ লক্ষের বেশি  

    ব্রহ্মপুত্র ও বরাক নদীর জল অনেক জায়গাতেই বিপদসীমার ওপর দিয়ে বইছে। বন্যায় প্রায় ৭০ হাজার লোক গৃহহীন হয়েছেন। ১৯৬টি আশ্রয়কেন্দ্রের ব্যবস্থা করেছে আসাম প্রশাসন। মেঘালয়ে শুক্রবার বন্যার কারনে ৪ জনের প্রাণ গিয়েছে। এদের মধ্যে তিনজন মারা গিয়েছেন বাঘমারায় এবং একজন সিজুতে।

    আরও পড়ুন: বন্যার কবলে আসামসহ উত্তর-পূর্বের রাজ্যগুলি, মৃত ৯

    আসামের বিজলী, বক্সা, বরাপেটা, বিশ্বনাথ, বঙ্গাইগাঁও, চিরাঙ্গ, ধেমাজি, ধুবড়ি, ডিব্রুগড়, ডিমা-হাসো, গোয়ালপাড়া, হোডাই, কামরূপ,কার্বি আংলং পশ্চিম, কোকড়াঝাড়, লখিমপুর, মাজুলি, মোরিগাঁও, নগাঁও, নলবাড়ি, শিবসাগর, সোনিতপুর, দক্ষিণ সালমারা, তমুলপুর, তিনসুকিয়া, উডালগুড়ি জেলা ভীষণভাবে ক্ষতিগ্রস্ত।

    আসামের ২৮টি জেলার ১৯ লক্ষ মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন বন্যায়। অসংখ্য মানুষ ত্রাণ শিবিরে আশ্রয় নিয়েছেন। এখনও বন্যা দুর্গত এলাকা থেকে সাধারণ মানুষকে সরিয়ে নিয়ে আসার প্রক্রিয়া চলছে। নলবাড়ি জেলা সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত। কয়েক হাজার বাড়ি ভেঙেছে। ৩৭৩টি ত্রাণ শিবির খোলা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (Modi) আজ সকালে ফোন করেন আসামের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মাকে (Himant Bishwasharma)। রাজ্য সরকারকে সবরকম সহযোগিতার আশ্বাস দেওয়া হয়েছে কেন্দ্রের পক্ষ থেকে।

  • Agnipath scheme: বিপুল বেতন পাবেন ‘অগ্নিবীর’রা! মেয়াদ শেষে এককালীন করমুক্ত টাকাও

    Agnipath scheme: বিপুল বেতন পাবেন ‘অগ্নিবীর’রা! মেয়াদ শেষে এককালীন করমুক্ত টাকাও

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দেশসেবার জন্য সেনাবাহিনীতে (Indian Army) যোগ দিতে চায় বহু ছেলেমেয়ে। সামরিক বাহিনীতে (Armed Forces) কাজ মানেই একদিকে কঠোর চ্যালেঞ্জ, অন্যদিকে দুর্দান্ত কেরিয়ার। সম্প্রতি প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং (Rajnath Singh) সেনাবাহিনীতে চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ বা ‘অগ্নিপথ নিয়োগ যোজনা’-র (Agneepath Scheme) ঘোষণা করেন। এই স্বল্পমেয়াদী চুক্তিভিত্তিক ‘অগ্নিপথ’ প্রকল্পে নিয়োজিত জওয়ানদের পোশাকি নাম ‘অগ্নিবীর’ (Agniveer)। এই বিশেষ স্কিমের আওতায় ৪ বছরের চুক্তিতে নিয়োগ হবে সেনায়। 

    প্রতিরক্ষামন্ত্রক সূত্রে খবর, ভারতীয় সেনাবাহিনীর তিন বিভাগে সর্বভারতীয় পরীক্ষার মাধ্যমে মোট ৪৬ হাজার পদে চলবে নিয়োগ। অফিসার পদ ছাড়া সেনায় সম্পূর্ণ নিয়োগ প্রক্রিয়ায় হবে এই প্রকল্পের মাধ্যমে। যদিও অনেকেই মনে করছেন, এই চুক্তিভিত্তিক চাকরির শেষে অনিশ্চিত ভবিষ্যতের দিকে এগোবে ‘অগ্নিবীর’রা। মাত্র ২৫%-কে নিয়োগ করা হবে স্থায়ীপদে, বাকিদের চার বছর পরে অবসর। তবে বিদায়ী ‘অগ্নিবীর’রা অবসরকালে কেন্দ্রের থেকে এককালীন প্রায় ১২ লাখ করমুক্ত টাকা ভাতা পাবেন। এবার জেনে নেওয়া যাক কত বেতন পাবেন অগ্নিবীররা?

    আরও পড়ুন: ভবিষ্যতে ভারতীয় সেনার অর্ধেক হবে অগ্নিবীর! দাবি সেনা উপপ্রধানের

    চুক্তিভিত্তিক হলেও প্রথম থেকেই ‘অগ্নিবীর’দের জন্য আকর্ষণীয় বেতনের প্যাকেজ দিয়েছে কেন্দ্র সরকার (Modi govt)। প্রথম বছরে মাসিক ৩০ হাজার টাকা করে বেতন ধার্য করা হয়েছে। তার মধ্যে হাতে মিলবে ২১ হাজার টাকা। ৯ হাজার টাকা করে কেটে নেওয়া হবে। সরকারও সমপরিমাণ টাকা দেবে। অর্থাৎ প্রতিমাসে ১৮ হাজার টাকা করে জমবে ‘অগ্নিবীর’দের। ওই টাকা জমিয়ে চার বছর চাকরির শেষে ‘সেবা নিধি’ (Seva Nidhi) প্রকল্পের মাধ্যমে এককালীন ১১ থেকে ১২ লাখ টাকা পাবেন ‘অগ্নিবীর’রা। তবে কোনও প্রভিডেন্ট ফান্ড থাকবে না। যেহেতু এই সেবা নিধি তহবিলই প্রভিডেন্ট ফান্ডের অনুরূপ।

    চাকরি জীবনের দ্বিতীয় বছরে প্রতি মাসে বেতন হবে ৩৩ হাজার টাকা। তৃতীয় বছরে হবে সাড়ে ৩৬ হাজার টাকা এবং শেষ বছরে ওই বেতন গিয়ে দাঁড়াবে ৪০ হাজার টাকায়। তখন জওয়ানদের নেট পে হবে ২৮ হাজার টাকা। অর্থাৎ প্রথম বছরে ‘অগ্নিবীর’দের মোট বার্ষিক প্যাকেজ হবে ৪.৭৬ লাখ, এবং চার বছর শেষে তাদের মোট বার্ষিক প্যাকেজ হবে ৬.৯২ লাখ টাকা। এছাড়াও, মেয়াদ ফুরলে বিভিন্ন ক্ষেত্রে চাকরির সুযোগ থাকবে।

    এছাড়াও কর্মরত অগ্নি সেনাদের সুরক্ষার দায়িত্ব নেবে সরকার। চুক্তিভিত্তিক কর্মরত সেনাদের চাকরি করতে করতে মৃত্যু হলে পরিবারকে এক কোটি টাকা আর্থিক সাহায্য করবে কেন্দ্র। এছড়া অঙ্গহানি বা কোনওরকম দুর্ঘটনার ক্ষেত্রে সর্বাধিক ৪৮ লাখ টাকা দেওয়া হবে।

  • Jammu & Kashmir: কুপওয়ারায় খতম ২ সন্দেহভাজন জঙ্গি, উদ্ধার প্রচুর অস্ত্র

    Jammu & Kashmir: কুপওয়ারায় খতম ২ সন্দেহভাজন জঙ্গি, উদ্ধার প্রচুর অস্ত্র

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফের কাশ্মীরে (Kashmir) জঙ্গি (Terrorist) দমনে বড় সাফল্য পেল নিরাপত্তা বাহিনী। বুধবার কাশ্মীর উপত্যকার কুপওয়ারায় (Kupwara) LoC-এর কাছে সেনা ও জঙ্গির ওভারগ্রাউন্ড কর্মীদের সংঘর্ষে ২ জন ওভারগ্রাউন্ড ওয়ার্কারদের (Overground Workers) (OGWs) নিকেশ করা হয়।

    পুলিশ সূত্রে জানা যায়, নিহত ব্যক্তিদের থেকে প্রচুর অস্ত্র ও মাদক দ্রব্য উদ্ধার করা হয়েছে। সেনাদের থেকে জানা যায়, গতকাল অর্থাৎ ২৮ জুন কুপওয়ারার বিচু (Bichu) নামক এলাকায় ইন্ডিয়া গেটের কাছে এই ওভারগ্রাউন্ড ওয়ার্কারদের দেখে সন্দেহ হয় সেনাদের। তারপরেই সেনা ও জঙ্গিদের সঙ্গে গুলির লড়াইয়ে এই দুজন জঙ্গিকে খতম করা হয়। পুলিশ জানিয়েছে, নিহত জঙ্গিদের থেকে   ৪টি একে রাইফেল (AK rifle), মাদকের দুটো প্যাকেট, আটটি ম্যাগাজিন উদ্ধার করা হয়। অন্যজনের থেকে দুটো রাইফেল সহ ৮টি গ্রেনেড(Grenades) উদ্ধার করা হয়।

    আরও পড়ুন:’মৃত’ জঙ্গিকে ‘গ্রেফতার’, ধূসর তালিকা থেকে বেরোতে মরিয়া পাকিস্তান?

    পুলিশ সূত্রে খবর, নিহত ওই ওভারগ্রাউন্ড ওয়ার্কারদের নাম মজিদ ছেচি (Majid Chechi) ও  সামসুদিন বেইগ (Samsudin Beigh)। পুলিশ জানায়, এই ওয়ার্কাররা মাদক ও অস্ত্রগুলো নিতে ও জঙ্গিদের রাউতা নর (Rauta nar) নামক এলাকায় প্রবেশ করাতে এসেছিল। তিনি আরও জানান, অভিযান চলাকালীন একটি ওয়ারলাইক স্টোর (Warlike store) উদ্ধার করা হয় যেখান থেকে একে ৪৭ ও ৫৬ রাইফেল সহ প্রচুর মাদক, গ্রেনেড পাওয়া যায়। এখনও এই নিয়ে তদন্ত করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন তিনি।

    উল্লেখ্য, কিছুদিন আগেই সন্ত্রাসবিরোধী অভিযান (Anti-Militancy Operation) চলাকালীন কাশ্মীরে ৪ জন জঙ্গিকে খতম করা হয়েছে। চলতি মাসেই ২৮ জন জঙ্গিকে নিকেশ করা হয়, এর মধ্যে ১১ জনকে তিনদিনের মধ্যে খতম করা হয়েছিল। এই বছরে এখনও পর্যন্ত মোট ১১৮ জন জঙ্গিকে নিকেশ করা হয়েছে বলে কাশ্মীর পুলিশ জানিয়েছে। জঙ্গি হামলা দিনের পর দিন বেড়ে চলায় কাশ্মীরের কুপওয়ারায় যৌথভাবে তল্লাশি অভিযান চালানোর বিশেষ ব্যবস্থা নিয়েছে পুলিশ ও সেনা।

    আরও পড়ুন: অমরনাথ যাত্রার আগেই কাশ্মীরে জোড়া এনকাউন্টারে খতম ৪ জঙ্গি

  • ITR Filing Mistake: আয়কর রিটার্ন জমা দেওয়ার আগে এই ভুলগুলো ভুলেও করবেন না

    ITR Filing Mistake: আয়কর রিটার্ন জমা দেওয়ার আগে এই ভুলগুলো ভুলেও করবেন না

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ২০২১-২২ অর্থবর্ষ এবং ২০২২-২৩ মূল্যায়ন বছরের জন্য আয়কর রিটার্ন (Income Tax Return) দাখিল করা শুরু হয়েছে ১৫ জুন থেকে। আয়কর রিটার্ন দাখিল করার শেষ তারিখ ৩১ জুলাই, ২০২২। ৩১ জুলাইয়ের মধ্যে আয়কর রিটার্ন দাখিল করলে কোনও ‘লেট ফি’ দিতে হবে না। তবে কেউ যদি এই তারিখের পরে আয়কর রিটার্ন দাখিল করেন, তাহলে তাঁকে আয়করের ধারা ২৩৪এ এবং ধারা ২৩৪এফ-এর অধীনে লেট ফি সহ করের উপর সুদ দিতে হবে। অন্যদিকে, অডিট করতে হয় এমন কোনও ব্যবসার জন্য আয়কর রিটার্ন দাখিল করার শেষ তারিখ ৩১ অক্টোবর, ২০২২। টিপি রিপোর্ট হয় এমন ব্যবসার জন্য আয়কর রিটার্ন দাখিলের শেষ তারিখ ৩০ নভেম্বর, ২০২২৷ 

    আরও পড়ুন: এখনও দাখিল করেননি আয়কর রিটার্ন! গুনতে হতে পারে বাড়তি টাকা

    দেরি না করে এখনই দাখিল করে দিন আয়কর রিটার্ন। কিন্তু খেয়াল রাখবেন দাখিল করার সময় কখনই করবেন না এই ভুলগুলো: 

    ১। ইনকাম ট্যাক্স রিটার্ন ফাইল (file) করতে গেলে প্রথমেই যে কাজটি করতে হয় তা হল একটি ফর্ম (form) ফিল আপ করা। সবার জন্য কিন্তু এক ফর্ম থাকে না। এক এক জন আয়কর প্রদানকারীর এক এক রকমের ফর্ম (form) হয়। আপনার যেমন আয় অথবা যে সোর্স থেকে আয় অর্থাৎ আপনি চাকরি করেন নাকি ব্যবসা করেন – এই বিষয়গুলোর উপরে নির্ভর করে আয়কর রিটার্ন (income tax return) ফাইল (file) করার ফর্ম (form)। আপনার জন্য যে ফর্মটি সঠিক, সেই ফর্মটিই ফিল আপ করুন। যদি বুঝতে না পারেন, সেক্ষেত্রে কোনও পারদর্শীর সাহায্য নিন। এছাড়াও বিষদে জানতে ভারত সরকারের ওয়েবসাইট দেখতে পারেন। 

    ২। আপনি কোন বছরের জন্য ইনকাম ট্যাক্স ফাইল করছেন তা জানা খুব জরুরি। আমাদের ফিনানশিয়াল ইয়ার শুরু হয় এপ্রিল থেকে এবং শেষ হয় মার্চে। সুতরাং আপনি যদি এবছর অর্থাৎ ২০২২ তে আয়কর রিটার্ন (income tax return) দাখিল (file) করেন, তাহলে আপনি কর জমা দিচ্ছেন গত বছরের।   

    ৩। যখন আয়কর রিটার্নের (income tax return) ফর্ম (form) ফিল আপ করবেন তখন খুব ভাল করে পড়ে তবেই করবেন। সব তথ্য সঠিকভাবে লিখতে ভুলবেন না। আপনার নাম (সমস্ত ডক্যুমেন্টে যে বানান রয়েছে সেই বানানই লিখুন), ঠিকানা (যদি দুটি ঠিকানা থাকে অর্থাৎ আপনার বর্তমান ঠিকানা এবং আপনার স্থায়ী ঠিকানা যদি আলাদা হয় তাহলে দুটি ঠিকানাই উল্লেখ করুন), ফোন নম্বর, আধার কার্ড নম্বর, প্যান কার্ড নম্বর, ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট নম্বর – ইত্যাদি প্রতিটি তথ্যই সঠিক লিখবেন। 

    আরও পড়ুন: আয়কর রিটার্ন জমা দিচ্ছেন না? বেশি কর দেওয়ার জন্যে প্রস্তুত হন

    ৪। আপনি চাকরি করুন অথবা ব্যবসা, শুধুমাত্র সেইটুকু আয়ের বিষয়েই তথ্য দেবেন এমন যেন না হয়। যদি আপনি কোথাও বিনিয়োগ করেন এবং সেখান থেকে আপনি সুদ পেয়ে থাকেন, সেই টাকাও কিন্তু আপনার  আয়ের মধ্যে পড়ে। অথবা যদি আপনার বাড়ি বা দোকান থাকে এবং সেটি আপনি ভাড়া দেন এবং সেখান থেকে একটা টাকা প্রতি মাসে আপনার ব্যাঙ্কে জমা হয়, তাও আপনার আয়ের মধ্যে পড়ে। সুতরাং সমস্ত আয়ের টাকার অঙ্কই উল্লেখ করবেন। তা না হলে পরে সমস্যায় পড়তে পারেন।

    ৫। আপনি যদি ডিজিটাল সই এবং আধার কার্ডের তথ্য ছাড়াই আইটিআর ফাইল করে থাকেন, তাহলে অবশ্যই আপনাকে আইটিআর- ভি -এর সই করা একটি কপি আয়কর দফতরের বেঙ্গালুরুর অফিসে আইটিআর ফাইল করার ১২০ দিনের মধ্যে পাঠাতে হবে। নাহলে আপনার আইটিআর ফাইলিংকে বাতিল করা হবে। যতক্ষণ না আপনি এই তথ্যগুলি পাঠাবেন ততক্ষণ আপনার দাখিল সম্পূর্ণ হবে না। 

    ৬। বেতনভুক কোনও কর্মচারিকে আগাম কর দিতে হয়না। কারণ প্রতিমাসে তাঁর বেতন থেকে টিডিএসের মাধ্যমে সেই কর কেটে নেওয়া হয়। কিন্তু আপনি যদি বেতনভুক কর্মচারি না হন, তাহলে অবশ্যই আপনাকে আগাম কর দিতে হবে। যদি এই আগাম কর না দেন, তাহলে আপনাকে বাড়তি টাকা গুনতে হতে পারে। 
     

  • Maharashtra Crisis: দু’বার মুখ্যমন্ত্রিত্ব ছাড়তে চেয়েছিলেন উদ্ধব! আটকান এই প্রবীণ নেতা

    Maharashtra Crisis: দু’বার মুখ্যমন্ত্রিত্ব ছাড়তে চেয়েছিলেন উদ্ধব! আটকান এই প্রবীণ নেতা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: একনাথ শিন্ডে (Shinde) বিদ্রোহ ঘোষণা করে গুজরাট (Gujarat) চলে যাওয়ার দিনই পদত্যাগ করতে চেয়েছিলেন মহারাষ্ট্রের (Maharashtra) মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধব ঠাকরে (Uddhav Thackeray)। শিবসেনা (Shivsena) সূত্রে খবর, দু’বার মুখ্যমন্ত্রিত্ব ছাড়তে চান উদ্ধব। তবে দু’বারই উদ্ধবকে মুখ্যমন্ত্রিত্ব ছাড়তে আটকান এনসিপি (NCP) প্রধান শরদ পাওয়ার (Sharad Pawar)। 

    গত ২১ জুন একনাথ শিন্ডে-সহ ২১ জন বিধায়ক বিদ্রোহ ঘোষণা করে সুরাট (Surat) চলে যান। সে দিনই ফেসবুক লাইভ (Facebook Live) করে মুখ্যমন্ত্রিত্ব ছাড়ার কথা ঘোষণা করতে চেয়েছিলেন শিবসেনা প্রধান। কারণ, উদ্ধব নাকি বুঝেছিলেন ২১ নয়, শিন্ডের হাত ধরে ‘বিদ্রোহী’ বিধায়কদের সংখ্যা আরও বাড়বে। কিন্তু সে দিন উদ্ধবকে আটকেছিলেন মহাবিকাশ আগাড়ি (Maha Vikas Aghadi) জোটের ‘প্রবীণ’ নেতা পাওয়ার। পরের দিন আবারও ইস্তফা দিতে চান উদ্ধব। বিধায়কদের সঙ্গে বৈঠকও করেছিলেন এ বিষয়ে। তখনই পাওয়ার ঠাকরেকে পরামর্শ দেন, এ ভাবে সরে না গিয়ে পরিস্থিতির মোকাবিলা করতে। উদ্ধবের ঘনিষ্ঠ মহলের দাবি, পাওয়ারের কথাতেই নিজের সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসেন বালাসাহেব-পুত্র।

    আরও পড়ুন: ‘যাঁরা যেতে চাইছেন যান, নতুন শিবসেনা গড়ব’, হুঁশিয়ারি উদ্ধবের

    পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে উদ্ধব সরকারের পতন সময়ের অপেক্ষা বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহলের একটি বড় অংশ। এর মধ্যেই মহারাষ্ট্রের পর্যটন মন্ত্রী এবং মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধব ঠাকরের পুত্র আদিত্য ঠাকরে (Aaditya Thackeray) সোমবার দাবি করেন যে, একনাথ শিন্ডের বিদ্রোহী শিবিরে থাকা বিধায়কদের মধ্যে প্রায় ১৫ থেকে ২০ জন বিধায়ক শিবসেনার সঙ্গে যোগাযোগ করেছেন। তাঁদেরকে গুয়াহাটি (Guwahati) থেকে মুম্বইতে ফিরিয়ে আনার জন্য দলকে অনুরোধও করেছেন তাঁরা। 

    ঠাকরের দাবি, ওই বিধায়কদের বন্দির মতো হোটেলে রাখা হয়েছে। তাঁরা ফিরে আসতে চান। কিন্তু তাঁদের উপর জোর করা হচ্ছে। তাঁরা গোপনে দলের সঙ্গে যোগাযোগ করছেন বলেও জানানো হয়েছে। মুম্বইয়ের (Mumbai) উপকণ্ঠে কারজাতে শিবসেনা কর্মীদের ঠাকরে বলেছেন প্রতিটি শিব সৈনিক বর্তমান পরিস্থিতিকে সমস্যা নয়, একটি সুযোগ হিসাবে দেখছে।

    নয়জন মন্ত্রী সহ বেশিরভাগ শিবসেনা বিধায়ক দলের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করেছেন। একনাথ শিন্ডে মোট ৫৫ জনের সমর্থনের কথা জানিয়েছেন। ঠাকরে বলেন যে কিছু নেতাকে বিশ্বাস করা হয়েছিল এই ধরনের মানুষকে সংগঠনে ক্রমাগত পদোন্নতির সুযোগ দেওয়া হয়েছিল। যা ঠিক নয়। 

  • Puri Srimandir: জগন্নাথ মন্দির নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্য, ঠিক কী বলেছেন ওয়াইসি?

    Puri Srimandir: জগন্নাথ মন্দির নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্য, ঠিক কী বলেছেন ওয়াইসি?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: জ্ঞানবাপী মসজিদ (Gyanvapi mosque) বিতর্কের রেশ পুরোপুরি মেলায়নি। এর মধ্যেই পুরীর (Puri) জগন্নাথ মন্দির নিয়ে নতুন বিতর্কিত মন্তব্য করে অশান্তির আগুন লাগিয়ে দিলেন অল ইন্ডিয়া মজলিস-ই-ইত্তেহাদুল মুসলিমীন বা এআইএমআইএম (AIMIM) প্রধান তথা হায়দ্রাবাদের সাংসদ আসাদউদ্দিন ওয়াইসি (Asaduddin Owaisi)। তাঁকে গ্রেফতারের দাবিতে উত্তাল পুরী (Puri)। শ্রীমন্দিরের সিংহ দরজার সামনে বিক্ষোভ দেখায় জগন্নাথ সেনা। ওয়াইসির গ্রেফতারির দাবিও জানান তাঁরা।

    আরও পড়ুন : জ্ঞানবাপী মসজিদের দেওয়ালে ত্রিশূলের চিহ্ন! প্রকাশ্যে ভিডিও ফুটেজ

    মে মাসে মহারাষ্ট্রের ভিওয়ান্ডিতে একটি জনসমাবেশে ভাষণ দেওয়ার সময় আসাদউদ্দিন স্বামী বিবেকানন্দের (Swami Vivekananda) একটি উদ্ধৃতি দিয়ে বলেছিলেন, একটি বৌদ্ধ উপাসনালয় ধ্বংস করার পরে তৈরি করা হয়েছিল জগন্নাথ মন্দির। এ প্রসঙ্গে সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলতে গিয়ে জগন্নাথ সেনার আহ্বায়ক প্রিয়দর্শন পট্টনায়েক বলেন,  “হায়দরাবাদের সাংসদ আসাদউদ্দিন ওয়াইসি একজন দুষ্ট ব্যক্তি। তিনি চান মানুষ ধর্ম নিয়ে সংঘর্ষে লিপ্ত হোক।”

    সাংসদের বিরুদ্ধে অবিলম্বে কঠোর ব্যবস্থা না নিলে আন্দোলনের হুমকি দিয়েছে ওড়িশার একাধিক সংগঠন। জগন্নাথ সেনা ওয়াইসির বিরুদ্ধে সিংহদ্বার থানায় অভিযোগ দায়ের করেছে। তাদের বক্তব্য, ওয়াইসি তাঁর মন্তব্যের মাধ্যমে ভগবান জগন্নাথদেবের ভক্তদের অনুভূতিতে আঘাত করেছেন। জগন্নাথ সেনার নেতারা বলেন, ওয়াইসির মন্তব্য বিভিন্ন সম্প্রদায়ের মধ্যে উত্তেজনার সৃষ্টি করতে পারে।

    আরও পড়ুন : আরএসএসের জয়পুর বৈঠকে আলোচনা হবে জ্ঞানবাপী নিয়ে?

    বারাণসীর (Varanasi) জ্ঞানবাপী মসজিদ নিয়ে দীর্ঘ দিন ধরে চলছে বিতর্ক। হিন্দুত্ববাদী একাধিক সংগঠনের দাবি, মুঘল সম্রাট ঔরঙ্গজেবের (Mughal emperor Aurangzeb) আমলে কাশী বিশ্বনাথের মন্দির (Kashi Viswanath Temple) ভেঙে তৈরি হয়েছিল মসজিদ। পরে রানি অহল্যাবাই নতুন করে তৈরি করে দেন বিশ্বনাথের মন্দির। সেই মন্দিরই এখনও বর্তমান।

    হিন্দুত্ববাদী কয়েকটি সংগঠনের এও দাবি, মসজিদের পশ্চিম দেওয়ালে হিন্দু দেবদেবীর মূর্তি খোদাই করা রয়েছে। বিবাদ গড়ায় আদালত পর্যন্ত। আদালতের নির্দেশে সম্প্রতি মসজিদ চত্বরে হয়েছে ভিডিওগ্রাফিও। হিন্দুত্ববাদীদের দাবি, তাতে দেখা গিয়েছে, মসজিদের ওজুখানার জলাধারে শিবলিঙ্গ (Shivling) রয়েছে। এই ঘটনা নিয়ে যখন বিতর্ক তুঙ্গে, ঠিক তখনই ওয়াইসির মন্তব্য জন্ম দিল এক নয়া বিতর্কের।

  • Online Betting: প্রতারণার আশঙ্কা! অনলাইন বেটিং বিজ্ঞাপন নিয়ে অ্যাডভাইজরি কেন্দ্রের

    Online Betting: প্রতারণার আশঙ্কা! অনলাইন বেটিং বিজ্ঞাপন নিয়ে অ্যাডভাইজরি কেন্দ্রের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অনলাইন বেটিং (Online Betting) প্ল্যাটফর্ম নিয়ে নয়া অ্যাডভাইজরি জারি করল কেন্দ্রীয় তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রক (Ministry of Information and Broadcasting)। সোমবার  প্রিন্ট, ইলেকট্রনিক এবং ডিজিটাল মিডিয়ার উদ্দেশ্যে একটি সতর্কতামূলক অ্যাডভাইজরি জারি করে সেখানে বলা হয়, অনলাইন বেটিং প্ল্যাটফর্মের বিজ্ঞাপন দেখিয়ে পাঠক বা দর্শককে বিভ্রান্ত করা এড়িয়ে চলুন।  প্রিন্ট, ইলেকট্রনিক, সোশ্যাল এবং অনলাইন মিডিয়ায় অনলাইন বেটিং ওয়েবসাইট এবং প্ল্যাটফর্মের বিজ্ঞাপনের বেশ কয়েকটি অপ্রীতিকর ঘটনা সামনে আসায়, এই সতর্কতা জারি করা হয়েছে।   
      
    অ্যাডভাইজরিতে বলা হয়েছে যে, বাজি এবং জুয়া, যুবক এবং শিশুদের টার্গেট করে। দেশের বিভিন্নপ্রান্তে ইতিমধ্যেই আর্থিক প্রতারণার ঘটনা ঘটেছে। প্রতারণা না হলেও প্রচুর আর্থিক ও আর্থ-সামাজিক ঝুঁকি থাকে এইসব ক্ষেত্রে। দেশে বহু জায়গাতে জুয়া নিষিদ্ধও। অনলাইন বেটিং-এর বিজ্ঞাপন দেখানো মানে মূলত নিষিদ্ধ কার্যকলাপকে উৎসাহিত করা৷  আরও বলা হয়, অনলাইন বেটিং-এর বিজ্ঞাপনগুলি প্রতারণামূলক। কনজিউমার প্রোটেকশন অ্যাক্ট ২০১৯ (Consumer Protection Act), কেবল টেলিভিশন নেটওয়ার্কস রেগুলেশন অ্যাক্ট ১৯৯৫ এবং প্রেস কাউন্সিল অফ ইন্ডিয়া অ্যাক্ট ১৯৭৮-এর অধীনে এই ধরনের বিজ্ঞাপন দেখানো যায় না। 

    আরও পড়ুন: ভক্তরা রুষ্ট, তামাক সংস্থার পণ্যের বিজ্ঞাপন থেকে সরলেন অক্ষয়, চাইলেন ক্ষমাও
     
    জনস্বার্থে (Public Interest) জারি করা হয়েছে এই সতর্কতা। তাই প্রিন্ট এবং ইলেক্ট্রনিক মিডিয়াকে প্রতারণামূলক এই বিজ্ঞাপনগুলি না দেখানোর পরামর্শ দিয়েছে মন্ত্রক।  ২০২০ সালের ৪ ডিসেম্বর, প্রিন্ট এবং অডিও ভিজ্যুয়াল মিডিয়ার জন্যে অনলাইন গেমিং-এর বিজ্ঞাপন দেখানোর ক্ষেত্রে  অ্যাডভারটাইজিং স্ট্যান্ডার্ড কাউন্সিল অফ ইন্ডিয়া (ASCI) নির্দেশিকার কথা উল্লেখ করে একটি নির্দেশিকা জারি করেছিল তথ্য এবং সম্প্রচার মন্ত্রক। 

    আজকাল সংবাদমাধ্যমে অনলাইন বেটিং বিজ্ঞাপনের (online betting advertisement) রমরমা। বিজ্ঞাপনগুলি মন্ত্রকের নিয়ম মেনে বিধিসম্মত সতর্কীকরণ জারি করলেও, তাতে বিশেষ লাভ হয় না। না বুঝেই এই প্রতারণার ফাঁদে পা দেন সাধারণ মানুষ। বিশেষত যুবসমাজ। সম্প্রতি অনেক যুবককে এই বেটিং গেমের নেশায় আসক্ত হতে দেখা গিয়েছে। আর তাতেই নড়েচড়ে বসেছে এই কেন্দ্রীয় মন্ত্রক। 

     

  • Qutub Minar Case: কুতুব-মামলায় স্থগিতাদেশ, জমির অধিকার নিয়ে আদালতে রাজ পরিবার

    Qutub Minar Case: কুতুব-মামলায় স্থগিতাদেশ, জমির অধিকার নিয়ে আদালতে রাজ পরিবার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কুতুব মিনার (Qutub Minar) চত্বরে মন্দির পুনরুদ্ধার সম্পর্কিত মামলায় স্থগিতাদেশ দিল দিল্লির আদালত (Delhi Saket Court)। এই সৌধ চত্বর তাঁদেরই বলে দাবি করে এক ব্যক্তির আর্জি ঘিরে এই মামলা অন্য মোড় নিয়েছে। ওই ব্যক্তির নাম কুনওয়ার মহেন্দ্র প্রসাদ সিং। নিজেকে আগরার এক রাজ পরিবারের সদস্য (Royal Family} বলে দাবি করেছেন তিনি। আদালতকে মহেন্দ্র জানিয়েছেন, তিনি বেসওয়ান রাজপরিবারের কর্তা। তাঁরা জাঠ। আদতে আলিগড়ের বাসিন্দা ।  দক্ষিণ দিল্লির বহু এলাকা তাঁদের অধীনেই আছে। 

    আরও পড়ুন : হিন্দু মন্দিরের ওপরই গড়ে তোলা হয়েছিল কুতুব মিনার! প্রমাণ এএসআই রিপোর্টে

    মহেন্দ্রর আর্জির শুনানি প্রসঙ্গে অতিরিক্ত জেলাশাসক দীনেশ কুমার জানান, আগামিদিনে এই মামলার শুনানি হবে। মহেন্দ্র সিং নামের ওই ব্যক্তির আইনজীবী এমএল শর্মার দাবি, ১৯৪৭ সালে তাঁর মক্কেলের পূর্বপুরুষ রাজা রোহিণীরমণ প্রসাদ সিংয়ের জীবিতকালে ভারত স্বাধীনতা লাভ করেছিল। ১৯৫০ সাল পর্যন্ত মিরাট থেকে আগরা পর্যন্ত চারটি এস্টেটের মালিক ছিলেন তিনি। আদালতে শর্মা জানান, স্বাধীনতার পরে তৎকালীন জওহরলাল নেহরু সরকারের পক্ষ থেকে তাঁর পরিবারের সঙ্গে কোনও চুক্তি করা হয়নি। অধিগ্রহণও হয়নি। দেওয়া হয়নি ক্ষতিপূরণও।

    আরও পড়ুন :অধ্যয়ন করা হবে কুতুব মিনারে পাওয়া হিন্দু ও জৈন মূর্তিগুলির! বিবেচনা সংস্কৃতি মন্ত্রকের

    মহেন্দ্রর অভিযোগ, এতদিন দিল্লি ও উত্তর প্রদেশ সরকার কোনও আইনি প্রক্রিয়া অনুসরণ না করেই তার আইনি অধিকার হরণ করেছে। তাঁর আইনজীবীর দাবি, তিনি মামলাটি পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে খতিয়ে দেখেছেন এবং তাঁর মক্কেলের সম্পত্তির আইনি অধিকার রক্ষা করাই তাঁর মূল লক্ষ্য। কুতুব-চত্বরের আইনি অধিকার কার, সেই শুনানির পরই মন্দির পুনরুদ্ধার সংক্রান্ত মামলা শোনা হবে বলে জানিয়েছে আদালত। 

    কিছুদিন আগেই দাবি ওঠে, কুতুবউদ্দিন আইবক তাঁর শাসনকালে হিন্দু ও জৈন মিলিয়ে মোট ২৭টি মন্দির ধ্বংস করেছিলেন। সেই জায়গায় গড়ে তুলেছিলেন মসজিদ। আদালতে উঠলে এই মামলা গোড়াতেই থামিয়ে দিয়েছিল আর্কিওলজিক্যাল সার্ভে অব ইন্ডিয়া । তাদের তরফে সাফ জানিয়ে দেওয়া হয়, মৌলিক অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য স্থাপত্য খনন করে মাটি তছনছ করা চলবে না। পরে আবার একই দাবি জানিয়ে মামলা দায়ের হয়।

     

LinkedIn
Share