Category: দেশ

Get updates on India News Headlines National News from the Madhyom news portal madhyom.com, West Bengal leading news portal Madhyom.com

  • Flight Tickets: সস্তা হবে বিমানভাড়া! টিকিট-মূল্যের ঊর্ধ্বসীমা তুলে দিল কেন্দ্র

    Flight Tickets: সস্তা হবে বিমানভাড়া! টিকিট-মূল্যের ঊর্ধ্বসীমা তুলে দিল কেন্দ্র

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অন্তর্দেশীয় বিমানের টিকিটের দামে ঊর্ধ্বসীমা তুলে নিল কেন্দ্র। করোনার সময় যাত্রীদের কথা মাথায় রেখে অন্তর্দেশীয় বিমানের টিকিটের দামে ঊর্ধ্বসীমা ও নিম্নসীমা বেঁধে দেওয়া হয়েছিল। অসামরিক বিমান পরিবহণ মন্ত্রকের তরফে সম্প্রতি তা তুলে নেওয়া হল। কেন্দ্রীয় অসামরিক বিমান পরিবহণ মন্ত্রকের এই নির্দেশ অনুযায়ী, আগামী ৩১ অগাস্টের পর থেকে ইন্ডিগো, স্পাইসজেট, এয়ার ইন্ডিয়া, ভিস্তারা ও আকাশা এয়ারের মতো উড়ান সংস্থাগুলি নিজেদের ইচ্ছামতো টিকিটের দাম ধার্য করতে পারবে এবং প্রয়োজনে ছাড়ও দিতে পারবে। এর উপরে কেন্দ্রের কোনও নিয়ন্ত্রণ থাকবে না।

    বুধবারই ডিজিসিএ-র তরফে একটি নির্দেশিকা প্রকাশ করে বলা হয়, “বর্তমান পরিস্থিতিতে বিমান চলাচল ও যাত্রীদের চাহিদার কথা মাথায় রেখে বিমানের ভাড়ার উপরে যে ঊর্ধ্বসীমা বেঁধে দেওয়া হয়েছিল, তা তুলে নেওয়া হচ্ছে। আগামী ৩১ অগাস্ট থেকে উড়ান সংস্থাগুলি নিজেরাই ভাড়া ধার্য করতে পারবে।” এর ফলে এবার থেকে দেশের মধ্যে যে সমস্ত বিমানগুলি চলাচল করে, তাদের সংশ্লিষ্ট সংস্থা যাত্রী সংখ্যা, টিকিটের চাহিদা ও জ্বালানির দাম অনুযায়ী বিমানের টিকিটের দাম ঠিক করতে পারবে।

    আরও পড়ুন: দ্রুত বর্ধনশীল অর্থনীতির দেশ হতে চলেছে ভারত, দাবি সরকারি সূত্রের

    বিমানের ভাড়া সংক্রান্ত এই সিদ্ধান্তে সাধারণ মানুষের উপর দুই ধরনের প্রভব পড়তে পারে। কী কী প্রভাব? একটি সদর্থক একটি অ-সদর্থক। কেন্দ্র এয়ারফেয়ার তুলে নিলে ভাড়া বৃদ্ধি পেতে পারে। অন্যদিকে, যাত্রীদের জন্য সুখবর হল ভাড়া কমতেও পারে। যেহেতু ভাড়ার বিষয়টি আর কেন্দ্র দেখছে না, সেটি বিমান কোম্পানিগুলোর হাতে থাকছে সেই কারণে, বিমান সংস্থাগুলো যদি মনে করে তবে বিমানের ভাড়া চাইলে কমাতেও পারে সংস্থাগুলো। প্রতিযোগিতার বাজারে টিকিটে ছাড় দিয়ে যাত্রীদের আকৃষ্টও করতে পারে উড়ান সংস্থাগুলি। কেন্দ্রের নিষেধাজ্ঞার জন্যই সমস্ত উড়ান সংস্থাকে একদিকে যেমন টিকিটের দামের ঊর্ধ্ব ও নিম্নসীমা মেনে চলতে হত, তেমনই আবার যাত্রীদের বিশেষ কোনও ছাড় বা অফারও দিতে পারত না তারা।  কেন্দ্রীয় উড়ানমন্ত্রকের এই সিদ্ধান্তে খুশি বেসরকারি উড়ান সংস্থাগুলি।

  • RSS Meet: আরএসএসের জয়পুর বৈঠকে আলোচনা হবে জ্ঞানবাপী নিয়ে?

    RSS Meet: আরএসএসের জয়পুর বৈঠকে আলোচনা হবে জ্ঞানবাপী নিয়ে?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আগামী মাসে জয়পুরে (Jaipur) বৈঠকে বসতে চলেছেন রাষ্ট্রীয় স্বয়ং সেবক সংঘের (RSS) নেতারা। সেখানেই আলোচনা হবে জ্ঞানবাপী মসজিদ (Gyanvapi Mosque) বিতর্ক নিয়ে। বিজেপির (BJP) সাসপেনডেড মুখপাত্র নূপুর শর্মার বিতর্কিত মন্তব্যের প্রেক্ষিতে দেশজুড়ে যে হিংসাত্মক আন্দোলন হয়েছে, তা নিয়েও আলোচনা হবে। আরএসএসের একটি সূত্রেই এ খবর মিলেছে। 

    আরও পড়ুন : জ্ঞানবাপী মসজিদের দেওয়ালে ত্রিশূলের চিহ্ন! প্রকাশ্যে ভিডিও ফুটেজ

    কাশী বিশ্বনাথ মন্দির ভেঙে গড়ে উঠেছিল জ্ঞানবাপী মসজিদ। মুঘল সম্রাট ঔরঙ্গজেবের নির্দেশেই ওই মন্দির ভেঙে গুঁড়িয়ে মসজিদ গড়ে তোলা হয়েছিল বলে দাবি হিন্দুত্ববাদীদের। হিন্দুত্ববাদী কয়েকটি সংগঠনের দাবি, জ্ঞানবাপী মসজিদের দিকেই রয়েছে নন্দীর মুখ। নন্দীর মুখ সর্বদা শিবের দিকেই থাকে। এ থেকে হিন্দুত্ববাদীদের দাবি, কাশী বিশ্বনাথের মন্দিরে নেপালের মহারানার উপহার দেওয়া যে নন্দী মূর্তিটি রয়েছে, তার মুখ রয়েছে জ্ঞানবাপী মসজিদের দিকে। হিন্দুত্ববাদী একটি সংগঠনের দাবি, মসজিদের পশ্চিম দেওয়ালে হিন্দু দেবদেবীর মূর্তি খোদাই করা হয়েছে। তাদের আরও দাবি, এখানেই এক সময় শৃঙ্গার গৌরীর মন্দির ছিল। আদালতের নির্দেশে মসজিদ চত্বরে যে ভিডিওগ্রাফি করা হয়েছিল, হিন্দুত্ববাদীদের দাবি, তার ফুটেজেও দেখা গিয়েছে মসজিদের ওজুখানার জলাধারে রয়েছে শিবলিঙ্গ। আরএসএসের জয়পুর বৈঠকে এই বিষয়টি নিয়েও আলোচনা হবে।

    আরও পড়ুন : হিন্দু-মুসলিম সম্পর্কে ভাগবতের মন্তব্য সংগঠনের বক্তব্যের সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ, জানাল আরএসএস

    আরএসএস কর্তারা প্রথম থেকেই বলেছিলেন, জ্ঞানবাপী বিতর্ক হিন্দু-মুসলিম দুই সম্প্রদায়ের মানুষেরই এক টেবিলে বসে মিটিয়ে নেওয়া প্রয়োজন। হজরত মহম্মদকে নিয়ে নূপুর শর্মার বিতর্কিত মন্তব্যের জেরেও দেশজুড়ে অশান্তি হয়েছে। হয়েছে হিংসাত্মক আন্দোলনও। তার জেরে ঝাড়খণ্ডের রাঁচিতে মৃত্যু হয়েছে দু জনের। যদিও নূপুরের ওই বিতর্কিত মন্তব্যের পরে পরেই দল থেকে সাসপেন্ড করা হয়েছে তাঁকে। নূপুরের ওই মন্তব্য যে তাঁরই, সরকারের নয়, তাও স্পষ্ট করে দিয়েছে সাউথ ব্লক। জয়পুর বৈঠকে এই বিষয়টি নিয়েও আলোচনা হবে।

    আরএসএসের শতবর্ষপূর্তি অনুষ্ঠান এবং দেশজুড়ে কীভাবে সংগঠনের শাখা বিস্তার করা যায়, তা নিয়েও ওই বৈঠকে আলোচনা হওয়ার কথা। মুসলিম সহ সংখ্যালঘু বিভিন্ন সম্প্রদায়ের মধ্যে সাংস্কৃতিক সম্পর্ক উন্নত করার চেষ্টাও সংঘ করবে বলেও জানা গিয়েছে।

     

  • Jammu-Kashmir: ২৪ ঘণ্টায় উপত্যকায় নিহত পাঁচ জঙ্গি

    Jammu-Kashmir: ২৪ ঘণ্টায় উপত্যকায় নিহত পাঁচ জঙ্গি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পুলিশকর্মী গুলাম হাসান দার ও সইফুল্লা কাদরি হত্যার ঘটনায় অভিযুক্ত লস্কর জঙ্গি (LeT terrorist)আদিল প্যারারকে খতম করল পুলিশ। গান্ডেরবালের ক্রিসবাল পালপোরা সঙ্গম এলাকায় রবিবার পুলিশের একটি ‘ছোট’দলের সঙ্গে ‘আচমকাই’ সংঘর্ষ হয় আদিলের। সংঘর্ষে নিহত হয় সে। পুলিশ সূত্রে খবর, চলতি বছরে অমরনাথ যাত্রীদের উপর হামলার ছক কষছিল আদিল। উপত্যকায় আতঙ্কের পরিবেশ সৃষ্টি করেছিল সে। সইফুল্লার উপরে আদিলদের হামলার সময়ে তাঁর ৯ বছরের মেয়েও আহত হয়। 

    শ্রীনগরের কাছে  ক্রিসবাল পালপোরা অঞ্চলে জঙ্গিগতিবিধির খবর পেয়েই রবিবার ভোর রাত থেকে অভিযান চালায় পুলিশ। কাশ্মীর জোন পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ২৪ ঘণ্টায় উপত্যকায় নিহত জঙ্গির সংখ্যা দাঁড়াল এ পর্যন্ত ৫ জন। ওই পাঁচ জনই পুলিশকর্মী ও ভিন্ রাজ্যের শ্রমিকদের হত্যায় জড়িত বলে দাবি জম্মু-কাশ্মীর পুলিশের। চলতি বছরে এখনও পর্যন্ত বাহিনীর সঙ্গে সংঘর্ষে কাশ্মীরে নিহত হয়েছে ১০০ জন জঙ্গি।

    আরও পড়ুন: ‘নূপুরকে ক্ষমা করে দিন,’ আবেদন জামাত উলেমা-ই-হিন্দের

    কাশ্মীরের দুই প্রান্তে বাহিনীর সঙ্গে সংঘর্ষে এদিন নিহত হয় অন্য চার লস্কর জঙ্গি। পুলিশ জানিয়েছে, পুলওয়ামার ড্রাবগামে জঙ্গি গতিবিধির খবর পেয়ে শনিবার অভিযানে নামে বাহিনী। জঙ্গিরা জওয়ানদের লক্ষ্য করে গুলি ছুড়লে সংঘর্ষ শুরু হয়। সংঘর্ষে তিন স্থানীয় লস্কর জঙ্গি নিহত হয়। পুলিশের দাবি, নিহতদের মধ্যে জুনেইদ আহমেদ শিরগোজরি পুলওয়ামার গাডুরা, ফজ়িল নাজ়ির বাট ড্রাবগাম ও ইরফান আহমেদ মালিকপুলওয়ামার আরাবল নিকাসের বাসিন্দা। তিন জনের বিরুদ্ধেই বাহিনীর উপরে হামলা-সহ বিভিন্ন জঙ্গি কার্যকলাপে যুক্ত থাকার অভিযোগ ছিল। ১৩ মে পুলিশকর্মী রেয়াজ় আহমেদ বাটকে তাঁর বাড়ির সামনে গুলি করে হত্যা করা হয়। পুলিশের দাবি, জুনেইদ শিরগোজরি ও তার সঙ্গী আবিদ হাসান শাহই রেয়াজ়কে খুন করেছিল। ৩০ মে বাহিনীর সঙ্গে সংঘর্ষে নিহত হয় আবিদ হাসান শাহ। পুলিশের আরও দাবি, ২ জুন চাদুরায় ভিন্‌ রাজ্যের শ্রমিকদের উপরে হামলাতেও জড়িত ছিল জুনেইদ। ওই হামলায় এক শ্রমিক নিহত হন। আহত হন আরও কয়েক জন। নিহত জঙ্গিদের কাছ থেকে দু’টি এ কে-৪৭ রাইফেল ও একটি পিস্তল ও গোলাবারুদউদ্ধার করা হয় বলে জানিয়েছে পুলিশ। সাধারণ নাগরিকদের ক্ষতি এড়িয়ে সফল অভিযানের জন্য বাহিনীকে অভিনন্দন জানিয়েছেন জম্মু-কাশ্মীর পুলিশের আইজি বিজয় কুমার।

  • Bengal Fund Crunch: অগাস্টের বেতন হয়নি পাঞ্জাবে, বাংলারও কি একই হাঁড়ির হাল? 

    Bengal Fund Crunch: অগাস্টের বেতন হয়নি পাঞ্জাবে, বাংলারও কি একই হাঁড়ির হাল? 

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মাস শেষ হয়ে পার হয়ে গিয়েছে সপ্তাহ। এখনও অগাস্ট মাসের বেতন হয়নি পাঞ্জাবের (Punjab) সরকারি কর্মীদের। প্রত্যাশিতভাবেই বিরক্ত তাঁরা। আম আদমি পার্টির (APP) সরকারের সমালোচনায় মুখর হয়েছেন বিরোধীরাও। তবে রাজকোষাগারে অর্থ যে বাড়ন্ত, সে কথা মানতে রাজি নয় ভগবন্ত মানের সরকার। পাঞ্জাবের এহেন দশায় সিঁদুরে মেঘ দেখছেন বাংলার সরকারি কর্মীরাও। তাঁরাও ভাবছেন, খয়রাতির রাজনীতি করতে গিয়ে দেউলিয়া হয়ে যাবে না তো তৃণমূল পরিচালিত সরকার?

    চলতি বছরই কংগ্রেসকে হটিয়ে পাঞ্জাবের ক্ষমতা দখল করে আম আদমি পার্টি। তার পরেই নিয়েছে একের পর এক জনমোহিনী নীতি। অভিযোগ, যা করতে গিয়ে সরকারি কর্মীদের অগাস্ট মাসের বেতন হয়নি মাস শেষ হয়ে ৭ তারিখ পেরিয়ে গেলেও। সম্প্রতি দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী আপ সুপ্রিমো অরবিন্দ কেজরিওয়ালের সঙ্গে হরিয়ানার হিসারে গিয়েছিলেন পাঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী। তাঁকে জিজ্ঞাসা করা হয়েছিল, কবে বেতন হবে সরকারি কর্মীদের। তখনই তিনি জানান বেতন হবে বুধবার সন্ধের মধ্যে।

    আপ সরকারের তরফে অবশ্য দাবি করা হয়েছে ফান্ডের কোনও সমস্যা নেই। ট্রেজারি ইতিমধ্যেই ৩ হাজার ৪০০ কোটিরও বেশি টাকা বেতন ও অন্যান্য খাতে খরচের জন্য দিয়ে দিয়েছে। সরকারের তরফে এও জানানো হয়েছে, ইতিমধ্যেই গ্রুপ সি ও ডি কর্মীদের মাইনেও দেওয়া হয়ে গিয়েছে। ডেমক্রেটিক টিচার্স ফ্রন্ট প্রেসিডেন্ট বিক্রম দেব সিং বলেন, ক্ষমতায় আসার আগে পূর্বতন সরকারের বিরুদ্ধে অব্যবস্থাপনার অভিযোগ করেছিল আপ। ক্ষমতায় আসার পরে তাদেরই অব্যবস্থপনা প্রকাশ্যে চলে এসেছে।

    আরও পড়ুন : ডিএ মামলার শুনানি বৃহষ্পতিবার, তার আগে গুরুত্বপূর্ণ মন্তব্য আদালতের

    এদিকে, সম্প্রতি একটি রিপোর্টে রিজার্ভ ব্যাংক অফ ইন্ডিয়া জানিয়েছে, পাঞ্জাব, বাংলা, কেরল এবং রাজস্থান ঋণভারগ্রস্ত। দেশের শীর্ষ ব্যাংকের এহেন রিপোর্ট প্রকাশ্যে আসতেই সিঁদুরে মেঘ দেখছেন বাংলার সরকারি কর্মীরা। তাঁদের প্রশ্ন, অচিরেই কি পাঞ্জাবের দশা হবে বাংলার? হাইকোর্টের নির্দেশ সত্ত্বেও মেটানো যায়নি কর্মীদের বকেয়া ডিএ। এমতাবস্থায় বেতন বন্ধ হয়ে গেলে কী হবে, প্রশ্ন শঙ্কিত কর্মীদের।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

     

  • Bhojshala Hindu Temple: ভোজশালার সরস্বতী মন্দির ভেঙেও গড়ে উঠেছিল মসজিদ? 

    Bhojshala Hindu Temple: ভোজশালার সরস্বতী মন্দির ভেঙেও গড়ে উঠেছিল মসজিদ? 

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এবার ভোজশালা (Bhojshala) স্মৃতিস্তম্ভ প্রাঙ্গনে মুসলমানদের নমাজ পড়া স্থগিত চেয়ে আবেদন গ্রহণ করল মধ্যপ্রদেশ (Madhya pradesh) হাইকোর্ট। মধ্যপ্রদেশের ধর জেলায় রয়েছে ওই স্মৃতিস্তম্ভ। সম্প্রতি আদালত মধ্যপ্রদেশ সরকার, কেন্দ্রীয় সরকার ও ভারতের পুরাতত্ত্ব সংরক্ষণ বিভাগকেও (Archeological survey of India) সমন পাঠিয়েছে। মামলাটি করেছিল হিন্দু ফ্রন্ট ফর জাস্টিস (Hindu front for justice)।

    ভোজশালা কমপ্লেক্সে দেবী সরস্বতীর (saraswati) মন্দির ছিল বলে হিন্দুত্ববাদী সংগঠনের দাবি। তাই হিন্দু সংগঠনটি ওই কমপ্লেক্সে সরস্বতীর মূর্তি স্থাপনের পাশাপাশি কমপ্লেক্সের শিলালিপির রঙিন ছবি তৈরির অনুরোধ জানায়। স্মৃতিস্তম্ভে থাকা পুরাকীর্তি এবং ভাস্কর্যগুলির রেডিওকার্বন ডেটিং (Radio Carbon dating) করার অনুরোধও জানানো হয়েছিল।  

    আরও পড়ুন : অযোধ্যা, মথুরা ও কাশী বিবাদের নিষ্পত্তি একসঙ্গে করা উচিত ছিল, মত উমা ভারতীর

    দেশে শিক্ষা প্রসারে উদ্যোগী রাজা ভোজ জ্ঞান ও প্রজ্ঞার দেবী সরস্বতীর মন্দির নির্মাণ করেছিলেন। পারমার বংশের এই রাজা শিক্ষা প্রসারে একটি কলেজও প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। এই কলেজটি ভোজশালা নামে পরিচিত। দূরদুরান্ত থেকে ছাত্ররা পড়তে আসত ভোজশালায়। সঙ্গীত, সংস্কৃত, জ্যোতির্বিদ্যা, যোগব্যায়াম, আয়ুর্বেদ ও দর্শনের পাঠ নিতে আসতেন পড়ুয়ারা। হাজার হাজার পড়ুয়া ও বুদ্ধিজীবীদের থাকার ব্যবস্থাও ছিল ভোজশালায়। সরস্বতীর মন্দির গড়ে উঠেছিল ধর জেলায়, ভোজশালা কমপ্লেক্সে। এই ধর জেলাই এক সময় রাজা ভোজের রাজধানী ছিল।

    হিন্দুত্ববাদীদের দাবি, বর্তমান কামাল মাওলানা মসজিদ, যেটি মন্দির ধ্বংস করার পর নির্মাণ করেছিলেন মুসলিমরা, তাতে ভোজশালার প্রাচীন নিদর্শন রয়েছে। মসজিদে ব্যবহৃত খোদাই করা স্তম্ভগুলি ভোজশালায় ব্যবহৃত হয়। মসজিদের দেওয়ালে খোদাই করা পাথরের স্ল্যাবগুলিতেও এখনও মূল্যবাহ কারুকার্য রয়েছে। শিলালিপিগুলিতে সংস্কৃত ব্যাকরণের জ্ঞানও উৎকীর্ণ রয়েছে। কিছু শিলালিপিতে রাজা ভোজের পরবর্তীকালের শাসকদের প্রশস্তি খোদাই করা রয়েছে। রাজা ভোজ প্রতিষ্ঠিত মন্দিরের সরস্বতীর মূর্তিটি বর্তমানে রয়েছে লন্ডনের মিউজিয়ামে।

    আরও পড়ুন : ধাক্কা খেল মসজিদ কমিটি, জ্ঞানবাপী মামলায় বড় নির্দেশ সুপ্রিম কোর্টের

    ইতিহাসবিদদের একাংশের দাবি, ১৩০৫, ১৪০১ ও ১৫১৪ সালে মুসলমান শাসকরা ভোজশালার মন্দির ও শিক্ষাকেন্দ্র ধ্বংস করে। ১৩০৫ সালে প্রথম ধ্বংসলীলা চালায় অত্যাচারী মুসলিম শাসক আলাউদ্দিন খিলজি। ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করতে অস্বীকার করায় ভোজশালায় ১২০০ হিন্দু ছাত্র ও শিক্ষককে হত্যা করা হয়। ভেঙে গুঁড়িয়ে দেওয়া হয় মন্দির কমপ্লেক্স। পরবর্তীকালে হামলা হয়েছে আরও দুবার। তারও পরে নির্মাণ হয় কামাল মওলানা মাকবারা। এর ভিত্তিতেই ভোজশালাকে দরগাহ বলে দাবি করা হচ্ছে।

    ১৯৫২ সালে কেন্দ্রীয় সরকার ভোজশালা তুলে দেয় ভারতীয় পুরাতত্ত্ব সর্বেক্ষণের হাতে। বর্তমানে কেবল বসন্ত পঞ্চমীতে সরস্বতী পুজোর দিন ভোজশালায় প্রবেশ ও পুজো করতে পারেন ধর্মপ্রাণ হিন্দুরা। ২০০৩ সালের এপ্রিল মাসে হিন্দুদের জন্য ভোজশালা খুলে দেওয়া হয়। তবে উপাসনার জন্য সম্পূর্ণ প্রাঙ্গণ পুনরুদ্ধারের জন্য পিটিশন দাখিল করা হয়।

     

  • Gautam Navlakha: যথেষ্ট তথ্য প্রমাণ রয়েছে, এনআইএ আদালতে খারিজ নভলাখার জামিনের আবেদন

    Gautam Navlakha: যথেষ্ট তথ্য প্রমাণ রয়েছে, এনআইএ আদালতে খারিজ নভলাখার জামিনের আবেদন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তাঁর বিরুদ্ধে যথেষ্ট তথ্য প্রমাণ রয়েছে। তাই সমাজকর্মী গৌতম নভলাখার (Gautam Navlakha) জামিনের আবেদন খারিজ করে দিল এনআইএ-র (NIA) বিশেষ আদালত। আদালত জানিয়েছে, প্রাথমিক সাক্ষ্য প্রমাণে তাঁর বিরুদ্ধে ঘটনায় জড়িত থাকার প্রমাণ মিলেছে। প্রকৃতিগতভাবে যা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। শুধু তাই নয়, তাঁর বিরুদ্ধে যথেষ্ট প্রমাণও পাওয়া গিয়েছে। সোমবার এনআইএর বিশেষ আদালতের বিচারক রাজেশ জে কাটারিয়া (Rajesh J Katariya) নভলাখার জামিনের আবেদন খারিজ করে দেন।

    এদিন জামিনের আবেদন খারিজের সময় আদালতের পর্যবেক্ষণ, আবেদনকারীর বিরুদ্ধে যেসব তথ্যপ্রমাণ পাওয়া গিয়েছে, তার ভিত্তিতে এই মামলার সঙ্গে তাঁর যোগের প্রমাণ মিলেছে। চার্জশিট থেকে জানা যাচ্ছে, আবেদনকারীর বিরুদ্ধে যথেষ্ঠ প্রমাণ রয়েছে। প্রাথমিক তদন্তে জানা যাচ্ছে, আবেদনকারী এই ঘটনার সঙ্গে খুব সম্ভবত জড়িত। তিনি জানান, এই অপরাধ প্রকৃতিগতভাবে খুবই সিরিয়াস। অপরাধের গুরুত্ব বিচার করে এবং প্রাথমিক সাক্ষ্য প্রমাণের ভিত্তিতে, তাঁকে জামিন দেওয়া যায় না। 

    ২০১৮ সালে গ্রেফতার করা হয় নভলাখাকে। ইউএপিএ আইনে এনআইএ গ্রেফতার করে তাঁকে। কেবল নাভলাখাকেই নয়, ওই মামলায় মোট ১৬ জনকে গ্রেফতার করেছিল এনআইএ। দেশ বিরোধী কার্যকলাপের অভিযোগে ওই আইনে গ্রেফতার করা হয় তাঁদেরকে। পুলিশের অভিযোগ, ২০১৭ সালের ৩১ ডিসেম্বর পুণের এলগার পরিষদ কনক্লেভে উসকানিমূলক ভাষণ দিয়েছিলেন অভিযুক্তরা। করেছিলেন অর্থ সাহায্যও। পুলিশের আরও অভিযোগ, অভিযুক্তরা মাওবাদী সংগঠনের সঙ্গে যুক্ত। নাভলাখাদের জ্বালাময়ী ভাষণের জেরেই ভীমা কোরেগাঁও যুদ্ধের দ্বিশত বার্ষিকীতে হিংসার (Bhima Koregaon violence) ঘটনা ঘটেছিল।

    আরও পড়ুন : নতুন আইএসআইএস মডিউলের খোঁজ, ছয় রাজ্যে তল্লাশি চালাল এনআইএ

    জানা গিয়েছে, নভলাখাকে প্রথমে গৃহবন্দি করে রাখা হয়। পরে পাঠানো হয় বিচার বিভাগীয় হেফাজতে। পরে নভি মুম্বইয়ের তালোজা কারাগারে বন্দি করে রাখা হয় এই সমাজকর্মীকে। এদিন নভলাখার হয়ে আদালতে সওয়াল করেন হর্ষবর্ধন আকোলকর এবং ওয়াহাব খান। তাঁদের দাবি, মিথ্যে অভিযোগে গ্রেফতার করা হয়েছে নভলাখাকে। তাঁর বিরুদ্ধে যে অভিযোগ আনা হয়েছে, তার সঙ্গে তাঁর কোনও সম্পর্কই নেই। তাঁদের দাবি, তিনি বৃহত্তর ষড়যন্ত্রের শিকার। যদিও, আদালত গৌতমের জামিন খারিজ করে।
    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

  • Independence Day: স্বাধীনতা দিবসে প্রধানমন্ত্রী, প্রজাতন্ত্র দিবসে রাষ্ট্রপতি! জাতীয় পতাকা উত্তোলনের পার্থক্য জানেন

    Independence Day: স্বাধীনতা দিবসে প্রধানমন্ত্রী, প্রজাতন্ত্র দিবসে রাষ্ট্রপতি! জাতীয় পতাকা উত্তোলনের পার্থক্য জানেন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ২৬ জানুয়ারি এবং ১৫ অগাস্ট। দু’টি দিনই ভারতের ইতিহাসে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। প্রজাতন্ত্র দিবস এবং স্বাধীনতা দিবস। স্বাধীনতা দিবসের দিন লালকেল্লায় জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেন প্রধানমন্ত্রী এবং ২৬ জানুয়ারি পতাকা উন্মোচন করেন দেশের রাষ্ট্রপতি৷ এই দু’টি দিনই জাতীয় পতাকার প্রতি সম্মান দেখিয়ে অনুষ্ঠানের সূচনা হয়। কিন্তু দু’টি দিন জাতীয় পতাকার প্রতি সম্মান দেখানোর পদ্ধতির পার্থক্য আছে।

    স্বাধীনতা দিবসের দিন পতাকা নীচে থেকে উপর পর্যন্ত তোলা হয়। লালকেল্লায় দেশের সম্মানে পতাকা উত্তোলন (Hoist) করেন প্রধানমন্ত্রী। জাতীয় পতাকা খুঁটির নিচের অংশে বেঁধে ওপরে ‘উত্তোলন’ করা হয়। এটি একটি স্বাধীন দেশ হিসাবে ভারতের উত্থান এবং ব্রিটিশ শাসনের অবসান চিহ্নিত করে। ১৯৪৭ সালের ১৫ অগাস্ট ভারত স্বাধীন রাষ্ট্র হিসাবে উঠে দাঁড়িয়েছিল। তাই স্বাধীনতা দিবসে নীচে থেকে পতাকা উত্তোলন করা হয়। যখন দেশ স্বাধীন হয় তখন ভারতে কোনও রাষ্ট্রপতি ছিলেন না ছিলেন প্রধানমন্ত্রী জওহরলাল নেহেরু।  

    আরও পড়ুন: দেশ বিভাজনের বিভীষিকা, এক যন্ত্রণার ইতিহাস

    অন্যদিকে প্রজাতন্ত্র দিবসে, জাতীয় পতাকা খুঁটির একদম শীর্ষেই বাঁধা হয় এবং স্বাধীনতা দিবসের মতো খুঁটির নীচের অংশে বাঁধা হয় না। সেটি শুধু ভাঁজ করা অবস্থায় থাকে। সেখান থেকে পতাকাকে মুক্ত করা হয়।  প্রজাতন্ত্র দিবস পালন করা হয় ১৯৫০ সাল থেকে। ওই বছরের ২৬ জানুয়ারি ছিল প্রজাতন্ত্র দিবস। তত দিন ভারত স্বাধীন রাষ্ট্র হিসাবে প্রতিষ্ঠা পেয়ে গিয়েছে। তাই জাতীয় পতাকা সেদিন উপরেই বাঁধা থাকে। সেটির উন্মোচন (Unfurl) করা হয় গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র হিসাবে ভারতের ডানা মেলার প্রতীক ধরে। এটি একটি মুক্ত সময়কে ইঙ্গিত করে। ২৬ জানুয়ারী, ১৯৫০,  ডঃ রাজেন্দ্র প্রসাদ ভারতের প্রথম রাষ্ট্রপতি হিসাবে শপথ নেন এবং আনুষ্ঠানিক রাষ্ট্রপ্রধান হন। ওই দিন তিনিই পতাকা উন্মোচন করেন।  এরপর থেকেই প্রতিবছর স্বাধীনতা দিবসে প্রধানমন্ত্রী পতাকা উত্তোলন করেন আর প্রজাতন্ত্র দিবসে রাষ্ট্রপতি পতাকা উন্মোচন করেন।

  • RSS: কৃষিকে পেশা হিসেবে নিক পরবর্তী প্রজন্ম, মত আরএসএস সরকার্যবাহের

    RSS: কৃষিকে পেশা হিসেবে নিক পরবর্তী প্রজন্ম, মত আরএসএস সরকার্যবাহের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কৃষিকে (Farming) পেশা হিসেবে নিক পরবর্তী প্রজন্ম। এ ব্যাপারে তাদের কীভাবে উৎসাহিত করা যায়, তা কেন্দ্রকে দেখতে বললেন আরএসএসের (RSS) সাধারণ সম্পাদক দত্তাত্রেয় হোসাবলে (Dattatreya Hosabale)। দুদিন ব্যাপী ইন্টারন্যাশনাল কনফারেন্স অন এগ্রিকালচারের (Agriculture) শেষ দিনে ভাষণ দিচ্ছিলেন দত্তাত্রেয়। সেখানেই তিনি কৃষিকে পেশা হিসেবে নেওয়ার কথা বলেন। দেশবাসীর একটা অংশের শহরমুখী হওয়ায় কৃষি শেষ হয়ে যাচ্ছে বলেও আশঙ্কা প্রকাশ করেন তিনি। তাঁর মতে, এতে ভারতীয় সংস্কৃতি ও সভ্যতার ওপর প্রভাব পড়বে।

    দত্তাত্রেয় বলেন, ভারতে শহরে বাস করেন ৫২ শতাংশ মানুষ। এটা শুভ লক্ষণ নয়। যদি এভাবে গ্রামের লোকজন শহরে চলে যেতে থাকেন, তাহলে ভারতের কৃষি প্রধান দেশের তকমা ঘুঁচে যাবে। যার ব্যাপক প্রভাব পড়বে ভারতীয় কৃষ্টি ও সভ্যতার ওপর। আরএসএসের এই সরকার্যবাহ বলেন, তরুণ প্রজন্মকে কৃষিমুখী করে তুলতে হবে। দক্ষতা বাড়িয়ে এবং  তাদের ভালো ইনসেনটিভ দিয়ে কৃষিমুখী করে তুলতে হবে।

    আরও পড়ুন : ভারতকে উন্নতির শিখরে নিয়ে গিয়েছেন মোদি, মত আরএসএস নেতার

    এই সম্মেলনের আয়োজক ছিল ভারতীয় কিষান সংঘ, ভারতীয় অ্যাগ্রো-ইকোনমিক রিসার্চ সেন্টার ও ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অফ এগ্রিকালচার রিসার্চ। দত্তাত্রেয় বলেন, কৃষিতে চাষিদের আয় নিশ্চিত হওয়া উচিত। তাহলে উৎপাদন বাড়বে। খাদ্যশস্যের দাম থাকবে সাধারণ মানুষের নাগালে। তিনি বলেন, খাদ্যশস্যের দাম সাধারণ মানুষের নাগাল ছাড়িয়ে যাক, সেটা কাম্য নয়। কারখানাজাত সামগ্রীর দাম বাড়লে ক্ষতি নেই, তবে খাদ্যশস্য এবং খাদ্যসামগ্রীর দাম থাকা উচিত সাধারণের সাধ্যের মধ্যে।

    আরও পড়ুন :২০২৪ সালের মধ্যে ১ লক্ষ শাখা ! শতবর্ষ উদযাপনের আগে পরিকল্পনা আরএসএস-এর

    তবে এজন্য যেন কৃষকরা ক্ষতিগ্রস্ত না হন। আরএসএস সরকার্যবাহ বলেন, কৃষিতে তাঁরা যে পরিমাণ বিনিয়োগ করবেন, সেই মূলধন যেন নষ্ট না হয়। তাঁদের আয় নিশ্চিতকরণ করতে হবে। তাঁর মতে, কৃষিতে আয় বাড়লে চাষিদের সম্মানও বাড়বে। তিনি বলেন, কেবল গরিব নন, ধনী চাষিও রয়েছেন। তবে সমাজে তাঁদের স্থান কোথায়? তিনি বলেন, কৃষিবিজ্ঞানী কিংবা কৃষি-অধ্যাপকদের সমাজে জায়গা রয়েছে, কিন্তু কৃষকদের সম্মান নেই কেন?  আমাদের এটা নিশ্চিত করতে হবে। স্নাতক স্তরে কৃষির ওপর একটা অধ্যায় রাখা উচিত বলেও মনে করেন এই আরএসএস নেতা। দত্তাত্রেয় বলেন, ভারতীয় পড়ুয়াদের কৃষির ভারতীয় পদ্ধতি সম্পর্কে জানতে হবে। প্রায় ১২০০ বছর আগে ভারতীয় এক ঋষি বই লিখেছিলেন কৃষির ওপর। এর মধ্যে কৃষি সংক্রান্ত যাবতীয় তথ্য রয়েছে। বিদেশি নয়, আমাদের দেশেই সমস্ত প্রযুক্তি ছিল। তিনি বলেন, আমাদের শুধু সেগুলো পুনর্বার পড়তে হবে।

     

  • Analytics Wing: প্রতারণা রুখতে বিশেষ অ্যানালেটিক উইং রাখার পথে রাষ্ট্রায়াত্ত ব্যাংকগুলি

    Analytics Wing: প্রতারণা রুখতে বিশেষ অ্যানালেটিক উইং রাখার পথে রাষ্ট্রায়াত্ত ব্যাংকগুলি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রতারণা (Fraud) এবং ঋণখেলাপি (stressed borrowers) রুখতে পৃথক ডেটা অ্যানালেটিক উইং (Analytics Wing) রাখতে পারে রাষ্ট্রায়াত্ত ব্যাংকগুলি। এর আগে ব্যাংকগুলিকে প্রতারণা এবং ঋণখেলাপি রোখার বিষয়ে সতর্ক করেছিল কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রক। এবার নড়েচড়ে বসল ব্যাংকগুলি।    

    বিশেষজ্ঞদের একটি দল ডেটা অ্যানালেটিক উইং হিসেবে কাজ করবে। এই দলের মূল কাজ হবে ব্যাংকের যাবতীয় তথ্য খতিয়ে দেখা। ব্যাংকের আয় থেকে ঋণ কাদের দেওয়া হচ্ছে, কবে টাকা ফেরত আসছে সহ গ্রাহক পরিষেবা সবটাই পর্যালোচনা করে রিপোর্ট দেবে ব্যাংকের এই বিশেষ উইং। সেইমতো পদক্ষেপ নেবে ব্যাংকগুলি। ঋণগ্রহীতাদের ওপর কড়া নজর রাখা এবং ঠিক সময়ে ঋণের টাকা ব্যাংক-এর ভাঁড়ারে আসছে কিনা সেদিকেও খেয়াল রাখবে ডেটা অ্যানালেটিক উইং।  

    আরও পড়ুন: এবার ব্যাঙ্কনোটে দেখা যাবে রবীন্দ্রনাথ, কালামের ‘ওয়াটার মার্ক’?

    এক আধিকারিকের মতে, “এই ব্যবস্থায় ব্যপক উপকৃত হবেন সাধারণ মানুষ। এতে ব্যাংকগুলির আয় বাড়বে, এক নতুন মার্কেট পেতে পারে ব্যাংকগুলি। এমনকি প্রতিযোগীতার দৌড়ে অনেকটাই এগিয়ে যাবে এই বিশেষ উইংযুক্ত ব্যাংকগুলি।”

    আরও পড়ুন: দুমাসে দুবার! ফের রেপো রেট বাড়াল রিজার্ভ ব্যাঙ্ক, কতটা সমস্যায় মধ্যবিত্ত?

    আধিকারিক আরও জানান, “এই দল ব্যাংকের আয়, গ্রাহক পরিষেবা, কস্ট-রিস্ক এবং ম্যানেজমেন্ট, ঋণ নীতি, প্রতারণা রোধ সবদিকেই নজর রাখবে। এতে গ্রাহক পরিষেবায় এক নতুন মাত্রা আসবে। এমনকি ব্যাংক-এর ঋণ দেওয়া, বীমা, বিনিয়গের লক্ষ্যমাত্রা পূরণ করতেও সাহায্য করবে এই দল।”

    প্রতিযোগীতার বাজারে ব্যাংকগুলিকে আরও উপযুক্ত করতে এবং ব্যবসাক্ষেত্রে আরও জোয়ার আনতে মূলত এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। 

    এই বিশেষ উইং বড় বড় কর্পোরেট সংস্থাগুলির অ্যাকাউন্টগুলিকে পর্যালোচনা করবে এবং ঋণখেলাপিদের চিহ্নিত করবে। ফলে ব্যাংকের আয় বাড়বে এবং সমগ্র ব্যাংকিং প্রক্রিয়া অনেক বেশি সহজ হবে বলে মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল। 

    নীরব মোদি-মেহুল চোক্সী প্রতারণা-কাণ্ডে পঞ্জাব ন্যাশনাল ব্যাংককে (পিএনবি) ১৩,০০০ কোটি টাকার ক্ষতির মুখ দেখতে হয়েছিল। তার আগে রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকগুলির প্রায় ৯,০০০ কোটি টাকা পাওনা বাকি রেখে গোপনে দেশ ছেড়েছিলেন বিজয় মাল্য। একের পর এক প্রতারণার ঘটনা থেকে এবার সাবধান হয়েছে রাষ্ট্রায়াত্ত ব্যাংকগুলি।   

      

     

  • Covid 19 Vaccine: বাড়ছে করোনা সংক্রমণ, ঠিক কতটা জরুরি বুস্টার ডোজ? 

    Covid 19 Vaccine: বাড়ছে করোনা সংক্রমণ, ঠিক কতটা জরুরি বুস্টার ডোজ? 

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক:  দেশজুড়ে ফের ফণা তুলছে করোনা (Covid 19)। সংক্রমণে লাগাম টানতে টিকাকরণে (Vaccination) গতি এনেছে কেন্দ্র। জোড় দেওয়া হচ্ছে বুস্টার ডোজে (Booster Jab)। কোভিড টিকার তৃতীয় ডোজকে বুস্টার ডোজ বলা হয়। ভারতে একে পূর্ব সতর্কতা ডোজও বলা হয়ে থাকে। দ্বিতীয় টিকা নেওয়ার ৯ মাসের মাথায় দেওয়া হয় এই বুস্টার শট। 

    চলতি বছর ১০ এপ্রিল থেকে বুস্টার ডোজ দেওয়া শুরু করেছে কেন্দ্র সরকার। প্রথম ও দ্বিতীয় ডোজের সময় যে টিকা দেওয়া হয়েছে, সেই টিকারই বুস্টার ডোজ দেওয়া হয়ে থাকে। অর্থাৎ কেউ যদি কোভিশিল্ডের প্রথম ও দ্বিতীয় ডোজ নেন, তাহলে তিনি সেরাম ইনস্টিটিউট অফ ইন্ডিয়ার টিকাই বুস্টার ডোজ হিসেবে পাবেন। ১৮ বছরের ঊর্ধ্বে সবাই নিতে পারবেন এই বুস্টার ডোজ। 

    এপ্রিল মাসে প্রতি সপ্তাহে ১০-১৫ লক্ষ করে বুস্টার ডোজ দেওয়া হয়েছে। তারপর চাহিদা খানিকটা কমলেও, মে-র দ্বিতীয় সপ্তাহ থেকে করোনা সংক্রমণ ফের বাড়তে শুরু করলে আবার বুস্টার ডোজের ঘাটতি দেখা দিতে শুরু করে। মে মাসের শেষ সপ্তাহে ২১.০৮ লক্ষ বুস্টার ডোজ দেওয়া হয়েছে। 

    আরও পড়ুন: ঊর্ধ্বমুখী করোনারগ্রাফ, দেশজুড়ে ১৯৫ কোটি টিকাকরণ

    বিশেষজ্ঞদের মতে, কোভিডের দ্বিতীয় টিকার কারণে করোনার তৃতীয় ঢেউয়ের সাথে অনেকটাই লড়তে সক্ষম হয়েছে দেশ। কিন্তু এখন আবার সেই রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা কমতে শুরু করেছে। তাই চতুর্থ ঢেউকে প্রতিহত করতে বুস্টার ডোজ নেওয়া পরামর্শ দিচ্ছেন বিজ্ঞানীদের একাংশ। যদিও এনিয়ে মিশ্র প্রতিক্রিয়া রয়েছে বিজ্ঞানীদের মধ্যে।   

    আরও পড়ুন: বিমানে মাস্ক বাধ্যতামূলক, কেমন মাস্ক উড়ানে আদর্শ?

    কোনও কোনও বিজ্ঞানীর মতে এই মুহূর্তে করোনার যে ভ্যারিয়েন্টটি সংক্রমণ ছড়াচ্ছে তার শক্তি খুব বেশি নয়। বুস্টার ডোজ এই দুর্বল ভ্যারিয়েন্টে নিজের ক্ষমতা দেখাতে খুব বেশি সক্ষম নয়। বিশেষজ্ঞদের মতে শরীর নিজে থেকে রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা গড়ে নিতে পারে। অ্যান্টিবডি হ্রাস পাচ্ছে মানেই রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা গড়ে উঠবে না এমনটা ভাবার কোনও কারণ নেই।  
    রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা গড়ে ওঠার নেপথ্যে থাকে টি-সেল এবং বি-সেল। টি-সেল রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতারই একটি অংশ। কোনও ভাইরাসে আক্রান্ত কোষকে মেরে ফেলতে সাহায্য করে এই টি-সেল। কেউ কেউ বলেছেন করোনার এই ভ্যারিয়েন্টের জন্যে বুস্টার ডোজের কোনও প্রয়োজন নেই। একমাত্র নতুন কোনও ভ্যারিয়েন্ট এলেই বুস্টার ডোজের কথা ভাবা যেতে পারে।   

    বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বুস্টার ডোজ এই মুহূর্তে তাঁদেরই প্রয়োজন যারা এখন অবধি করোনায় একবারও আক্রান্ত হননি। তাঁদের সেই রোগের কোনও রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতাও গড়ে ওঠেনি। তাঁরা বুস্টার ডোজ নিতে পারেন। অল্প বয়স্কদের এখনই প্রয়োজন নেই বুস্টার ডোজ। বয়স্করা নিতে পারেন।  

    বিশেষজ্ঞদের কেউ কেউ আবার সমস্ত প্রাপ্ত বয়স্কদের বুস্টার ডোজ নেওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন। তাঁরা জানাচ্ছেন, বুস্টার ডোজ নেওয়ায় কোনও ভয় নেই। বরং নেওয়া থাকলে অনেকটা নিশ্চিন্ত থাকা যায়। বুস্টার ডোজ নেওয়া থাকলে হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার মতো খারাপ পরিস্থিতিতে যেতে পারে না এই মারণ ভাইরাস। জানাচ্ছেন, ৬০% রোগী ভর্তি আছে হাসপাতালে। তাঁদের মাত্র ৬% বুস্টার ডোজ নিয়েছেন। এক বেসরকারি হাসপাতালের চিকিৎসকের প্রশ্ন, কিছু দিনের মধ্যেই করোনার নতুন ভ্যারিয়েন্ট হাজির হবে। তখন কেন হাসপাতালে বুস্টার ডোজ নিতে দৌড়ব? আগে থেকে নিয়ে কেন প্রস্তুত থাকব না? বুস্টার ডোজ ভয়ঙ্কর পরিস্থিতিতে বাড়তি সুরক্ষা দিয়ে থাকে। বিশেষ করে যারা কোমর্বিলিটির রোগী, অর্থাৎ যাদের হৃদরোগ, ডায়েবেটিস, উচ্চ রক্তচাপের মতো সমস্যা আছে তাদের বুস্টার ডোজ নেওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন ডাক্তাররা। 

    ভেলোরের খ্রীষ্টান মেডিক্যাল কলেজের একটি গবেষণায় দেখা গিয়েছে, বুস্টার ডোজ হিসেবে কোভিশিল্ডই সবচেয়ে বেশি কার্যকরী। যদিও ভারতে এই মুহূর্তে সেই ব্যবস্থা নেই। অর্থাৎ আপনাকে প্রথম দুই ডোজে যে টিকা দেওয়া হয়েছে, সেই টিকাই দেওয়া হবে বুস্টার ডোজ হিসেবে। 

    বিশেষজ্ঞদের একাংশের মতে, এই মুহূর্তে যে টিকাগুলি দেওয়া হচ্ছে তা করোনার প্রথম ভ্যারিয়েন্টের জন্যে বানানো হয়েছিল। ভাইরাস এখন মিউটেশনের মাধ্যমে প্রকৃতি বদলেছে। তাই এই ভ্যারিয়েন্টে খুব বেশি কার্যকর হবে না এই টিকা বলে মত তাঁদের।
    তাই যাদের বিপদের আশঙ্কা সব থেকে বেশি একমাত্র তাঁদেরকেই বুস্টার ডোজ নেওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন এই বিশেষজ্ঞরা। 

     

     

     

     

     

     

     

     

     

     

     

     

     

LinkedIn
Share