Category: দেশ

Get updates on India News Headlines National News from the Madhyom news portal madhyom.com, West Bengal leading news portal Madhyom.com

  • UP Madrassa Grant: ব্যাঙের ছাতার মতো গজিয়ে ওঠা মাদ্রাসা বন্ধে গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ যোগীর

    UP Madrassa Grant: ব্যাঙের ছাতার মতো গজিয়ে ওঠা মাদ্রাসা বন্ধে গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ যোগীর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নতুন গজিয়ে ওঠা মাদ্রাসার অনুদানে কাঁচি যোগী (Yogi Adityanath) সরকারের!

    এখন থেকে উত্তর প্রদেশে (Uttar pradesh) আর কোনও অনুদান পাবে না নতুন করে তৈরি হওয়া মাদ্রাসাগুলি (Madrassa)। সম্প্রতি এই মর্মে ক্যাবিনেট বৈঠকে সিদ্ধান্ত নিয়েছে উত্তর প্রদেশের যোগী আদিত্যনাথ সরকার।এর পর থেকে সরকারের তরফে অনুদানের তালিকায় নয়া মাদ্রাসাগুলির নাম অন্তর্ভুক্ত না করার প্রস্তাবও গ্রহণ করা হয় ওই বৈঠকে।

    ওই ক্যাবিনেট বৈঠকে রাজ্যের সংখ্যালঘু উন্নয়ন দফতরের তরফে রাজ্যে নয়া মাদ্রাসাগুলিকে অনুমোদন না দেওয়ার প্রস্তাব পেশ করা হয়। ধ্বনিভোটে পাশও হয়ে যায় প্রস্তাব। এই বৈঠকেই ২০১৬ সালে অখিলেশ যাদব সরকারের মাদ্রাসাকে স্বীকৃতি দেওয়ার নীতিও অবলুপ্ত করা হয়। অখিলেশ জমানার নীতি অনুযায়ী, আর্থিক অনুদানের জন্য আবেদন জানাতে হত মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষকে। ওই জমানায় অনুদান পেত ১০০-রও বেশি মাদ্রাসা।

    যোগী আদিত্যনাথের নেতৃত্বে বিজেপি সরকার সিংহাসনে বসেই সেই অনুদান বন্ধ করে দেয় বলে বিরোধীদের অভিযোগ। সম্প্রতি যোগী সরকারের তরফে মাদ্রাসাগুলির কাজকর্ম খতিয়ে দেখার নির্দেশ দেওয়া হয়। তদন্তকারী কমিটির তরফে জানানো হয়, রাজ্যে একাধিক ভুয়ো মাদ্রাসা রয়েছে। যা দীর্ঘদিন ধরে সরকারি অনুদান পেয়ে আসছে। সূত্রের খবর, এই রিপোর্ট পেয়েই অনুদান বন্ধ করার সিদ্ধান্ত নেয় যোগী সরকার।

    উত্তর প্রদেশে বর্তমানে সাত হাজারেরও বেশি মাদ্রাসা রয়েছে। গত বাজেটেই উত্তর প্রদেশের সরকারের তরফে মাদ্রাসা আধুনিকীকরণ প্রকল্পের জন্য ৪৭৯ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়। তবে নতুন করে আর কোনও মাদ্রাসাকে আর্থিক অনুদান না দেওয়ার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে বিজেপি (BJP) সরকার। উত্তর প্রদেশের সংখ্যালঘু মন্ত্রী দানিশ আনসারি এই প্রস্তাব পাশ করিয়েছেন।

    আরও পড়ুন :”বিশ্রামের সময় নেই…”, যোগী-মন্ত্রিসভাকে কোন পরামর্শ দিলেন মোদি?

    গত সপ্তাহেই মাদ্রাসাগুলিতে ক্লাস শুরুর আগে পড়ুয়া ও শিক্ষকদের জাতীয় সঙ্গীত গাওয়া বাধ্যতামূলক করেছে যোগী সরকার। এবার করল ব্যাঙের ছাতার মতো গজিয়ে ওঠা মাদ্রাসার মূলে কুঠারাঘাত।

    ভোট কুড়োতে বিজেপি-বিরোধী বিভিন্ন দলের সংখ্যালঘু তোষণ নতুন নয়। পর্যবেক্ষকদের মতে, সেই কারণেই যোগী-পূর্ববর্তী বিভিন্ন সরকার মাদ্রাসা গঠনে রাশ টানেনি। ভোটের স্বার্থে চালানো হয়নি নজরদারিও। যার জেরে রাজ্যের যত্রতত্র গজিয়ে উঠেছে মাদ্রাসা। এই সব মাদ্রাসার একাংশে দেশবিরোধী কার্যকলাপে মদত দেওয়া হচ্ছিল বলে অভিযোগ। সেই ‘জঙ্গিপনা’য় রাশ টানতেই নয়া গজিয়ে ওঠা মাদ্রাসার অনুদানে(madrasa grant) কোপ যোগী মন্ত্রিসভার।

     

  • LPG Price Hike:  হাজার পার করল রান্নার গ্যাস

    LPG Price Hike: হাজার পার করল রান্নার গ্যাস

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এক গ্যাসেই হাজার খালি! ভর্তুকিযুক্ত গার্হস্থ্য রান্নার গ্যাস (Domestic LPG) সিলিন্ডারের দাম পেরল ১০০০ টাকা। ২২ মার্চের পর, মাত্র ৪৫ দিনের মধ্যে ফের বাড়ল গ্যাসের দাম। এবারও একলাফে ৫০ টাকা। মার্চেও পঞ্চাশ টাকাই দাম বেড়েছিল রান্নার গ্যাসের। শুক্রবার মধ্যরাত থেকেই চালু হল নতুন দাম। এখন কলকাতাবাসীকে একটা ১৪.২ কেজির সিলিন্ডার কিনতে গুনতে হবে কড়কড়ে ১০২৬ টাকা।

    যদিও রেস্তোরাঁয় ব্যবহার করা ১৯ কেজির বাণিজ্যিক সিলিন্ডারের খরচ কমেছে ৯.৫০ টাকা। চলতি মাসের শুরুতেই বাণিজ্যিক সিলিন্ডারের দাম ১০০ টাকা বাড়ানো হয়েছিল। এবার ছাড় জুটল ৯ টাকা ৫০ পয়সা। বাণিজ্যিক সিলিন্ডারের দাম দাঁড়াল ২৪৪৫টাকা।

    ইউক্রেন (Ukraine) রাশিয়ার (Russia) যুদ্ধের কারণে বিশ্ব বাজারে অপরিশোধিত তেলের দাম (crude oil price) ১০০ ডলারের ওপরেই ঘোরাফেরা করছে। প্রায় চার মাস স্থির ছিল পাঁচ রাজ্যে ভোটের কারণে। নির্বাচন মেটার পরেই ২২ মার্চ থেকে লাগাতার দাম বাড়ে (petro price hike) পেট্রল-ডিজ়েলের। ছাড় পায়নি রান্নার গ্যাসও (LPG)।

  • Nitin Gadkari: ছবি তুলে পাঠালেই ৫০০ টাকা পুরস্কার! অবৈধ পার্কিং রুখতে দাওয়াই গড়কড়ির

    Nitin Gadkari: ছবি তুলে পাঠালেই ৫০০ টাকা পুরস্কার! অবৈধ পার্কিং রুখতে দাওয়াই গড়কড়ির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অবৈধভাবে পার্ক করা গাড়ির ছবি তুললেই মিলবে কড়কড়ে ৫০০ টাকা। এমনই ঘোষণা করলেন কেন্দ্রীয় সড়ক পরিবহণমন্ত্রী নিতিন গড়কড়ি (Nitin Gadkari)। বৃহস্পতিবার একটি অনুষ্ঠানে খানিকটা রসিকতার সুরে একথা বলেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী। তাহলে কী এবার অবৈধ পার্কিং (Wrongly Parked Vehicle) নিয়ে নতুন কোনও আইন আনতে চলেছে কেন্দ্র? এই নিয়ে জল্পনা শুরু হয়েছে বিভিন্ন মহলে। 

    নিতিন বলেন, “অবৈধভাবে পার্ক করা কোনও গাড়ির ছবি তুলে পাঠিয়ে দিলে, জরিমানার টাকা থেকে ছবির প্রেরককে ৫০০ টাকা দেওয়া হবে।” যদিও কথাটা মন্ত্রী হাসতে হাসতে রসিকতার সুরেই বলেছেন। কিন্তু এরপরেও এই নিয়ম নিয়ে জল্পনা শুরু হয়েছে। 

    আরও পড়ুন: ৭৫ কিমি রাস্তা তৈরি মাত্র ১০৫ ঘণ্টায়! গিনেস বুকে নাম তুলল NHAI

    গাড়ির অবৈধ পার্কিং নিয়ে এদিনের অনুষ্ঠানে বিরক্তি প্রকাশ করেন পরিবহণ মন্ত্রী। গড়কড়ি বলেন, “এমনও পরিবার আছে, যেখানে সদস্যপিছু একটি করে গাড়ি রয়েছে। কিন্তু পার্কিং স্পেস নেই। দিল্লিতেই যেমন, বড় বড় রাস্তার ধারেই গাড়ি দাঁড় করিয়ে সেটাকেই পার্কিং স্পেস বানিয়ে ফেলা হয়েছে। এখন সবারই একটি করে গাড়ি থাকা যেন বাধ্যতামূলক হয়ে গেছে।

    এমনকি চারজনের পরিবারের ৬টি গাড়ি আছে এমনও দেখা যায়।” কেন্দ্রীয় মন্ত্রী এও জানান, তাঁর রাধুনিরও দুটি সেকেন্ড হ্যান্ড গাড়ি রয়েছে। মন্ত্রী আরও বলেন, “আগে আমরা আমেরিকায় রাঁধুনিদের গাড়ি চালিয়ে আসতে দেখে অবাক হতাম। এখন ভারতেও একই অবস্থা।”  

    আরও পড়ুন: “‘ট্যুইটার কিনেছেন এবার…”, ইলন মাস্ককে কোন পরামর্শ দিলেন আদর পুনাওয়ালা?

    বৈধ পার্কিং স্পেসের পাশাপাশি এদিন ইলেকট্রিক গাড়ির পক্ষে সওয়াল করেন গড়কড়ি। তিনি বলেন, “এই ধরনের গাড়ি এলে তা পরিবেশের জন্যেও উপকারি এবং খরচও অনেক  কম।” করোনার সময় রাতারাতি দেশে গাড়ি বিক্রি কমে গেলেও ফের তা বাড়তে শুরু করেছে। দেখা গিয়েছে, ২০২১ সালের মে মাসের তুলনায় ২০২২ সালের মে মাসে অনেক বেশি গাড়ি বিক্রি হয়েছে দেশে।

    সম্প্রতি উজ্জয়িনীর সাংসদ অনিল ফিরোজিয়ার (Anil Firojiya) সঙ্গে এক চ্যুক্তি করেছেন এই কেন্দ্রীয় মন্ত্রী। ওজন কমালে উন্নয়ন খাতে প্রতি কেজিতে হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন নিতিন। মন্ত্রীর সেই প্রতিশ্রুতিকেই চ্যালেঞ্জ হিসেবে নিয়ে চার মাসে ১৫ কেজি ওজন কমিয়েছেন অনিল। ফলে প্রতিশ্রুতি মতো গড়কড়িকে উন্নয়ন খাতে ১৫ হাজার কোটি টাকা দিতে হবে।

    জানা গিয়েছে, গত ফেব্রুয়ারিতে উজ্জয়িনীর সাংসদ অনিল ফিরোজিয়াকে এই চ্যালেঞ্জ দিয়েছিলেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী। ওজন কমালে, উন্নয়ন খাতে প্রতি কেজিতে ১০০০ কোটি দেওয়ার কথা দিয়েছিলেন তিনি। চার মাসের মধ্য়ে চ্যালেঞ্জ সম্পূর্ণ করেছেন সাংসদ। ফেব্রুয়ারিতে তাঁর ওজন ছিল ১২৭ কেজি। জুন মাসের মধ্যে ১৫ কেজি ওজন কমিয়েছেন তিনি।  

    সাংসদ অনিল ফিরোজিয়া জানিয়েছেন, চ্যালেঞ্জ নিয়ে নিয়ম করে শরীরচর্চা করেছেন তিনি। সাইকেলিং, যোগাসনকে দৈনিক রুটিন বানিয়ে ফেলেছেন। স্বাস্থ্যকর খাওয়াদাওয়া করেছেন। নিজের লোকসভার উন্নয়নে এবার গড়কড়ির কাছে ১৫ হাজার কোটি টাকার দাবি জানাবেন উজ্জয়িনীর সাংসদ। 

    নিতিন গড়কড়ি তাঁর মজার এবং বুদ্ধিদীপ্ত কথাবার্তার জন্য জনপ্রিয়। এমনকি বিরোধীরাও তাঁর কথায় না হেসে থাকতে পারেন না। 

  • Rahul Gandhi: ন্যাশনাল হেরাল্ড মামলায় ম্যারাথন জেরা রাহুলকে, আজ ফের তলব

    Rahul Gandhi: ন্যাশনাল হেরাল্ড মামলায় ম্যারাথন জেরা রাহুলকে, আজ ফের তলব

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: টানা ১০ ঘণ্টার বেশি জেরা করা হল কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধীকে (Rahul Gandhi)। সোমবার রাত সাড়ে ১১টা নাগাদ ছেড়ে দেওয়া হয় তাঁকে। মঙ্গলবার ফের ইডি (Ed) দফতরে তলব করা হয়েছে রাহুলকে।

    ন্যাশনাল হেরাল্ড মামলায় (National Herald Case) সোমবার রাহুলকে ম্যারাথন জিজ্ঞাসাবাদ করে ইডি। প্রথম দফায় জেরা করা হয় টানা তিন ঘণ্টা।দ্বিতীয় দফায় সাত ঘণ্টারও বেশি। রাহুলের ইডি দফতরে হাজিরা দেওয়াকে কেন্দ্র করে এদিন পথে নেমে পড়ে কংগ্রেস। বিজেপি সরকারের বিরুদ্ধে রাজনৈতিক প্রতিহিংসার অভিযোগ তুলে অবস্থান-বিক্ষোভ প্রদর্শন করেন কংগ্রেস কর্মীরা। কংগ্রেস কর্মীদের আটকাতে ধরপাকড় শুরু করে পুলিশ। ঘটনার জেরে দিল্লির বিভিন্ন রাস্তা কার্যত হয়ে ওঠে রণক্ষেত্র। যদিও পরিস্থিতি সামাল দিতে এদিন সকাল থেকেই রাহুল গান্ধীর বাসভবন, কংগ্রেস সদর দফতর এবং ইডি দফতরের বাইরে প্রচুর পুলিশ মোতায়েন করা হয়।

    আরও পড়ুন : রাজনৈতিক ছাড়পত্র ছাড়াই লন্ডন গিয়েছিলেন রাহুল গান্ধী?

    সূত্রের খবর, এদিন সকাল সাড়ে ১০টা নাগাদ প্রিয়ঙ্কা গান্ধী বঢরার বাড়িতে পৌঁছান রাহুল। সেখান থেকে দুজনে এসে পৌঁছান কংগ্রেসের সদর দফতরে। পরে কংগ্রেসের শীর্ষ নেতাদের সঙ্গে মিছিল করে, পায়ে হেঁটে ইডি দফতরের দিকে রওনা দেন রাহুল। কিছুটা দূরেই মিছিল আটকে দেয় দিল্লি পুলিশ। পুলিশের সঙ্গে ধস্তাধস্তিতে কংগ্রেস নেতা তথা প্রাক্তন অর্থমন্ত্রী পি চিদম্বরমের বুকের হাড়ে চিড় ধরেছে বলে দাবি কংগ্রেসের। কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক রণদীপ সুরজেওয়ালা বলেন, চিদম্বরমের হাড় ভেঙেছে। ২০১৫ সালে এই মামলা বন্ধ করেছিল ইডি। এখন বিজেপির কাছে কিছু না থাকায় ভিতু মোদি সরকার এই ধরনের অঘোষিত জরুরি অবস্থা জারি করছে।

    আরও পড়ুন : কাঠমান্ডুর নাইটক্লাবে রাহুল গান্ধীর ভিডিও ভাইরাল, নিন্দায় সরব বিজেপি

    এদিন প্রথম দফার জেরা শেষে ইডি দফতর থেকে বেরিয়ে রাহুল হাসপাতালে যান করোনা সংক্রমিত সোনিয়া গান্ধীর সঙ্গে দেখা করতে। ফের যান ইডি দফতরে। শুরু হয় দ্বিতীয় দফার জিজ্ঞাসাবাদ। এ প্রসঙ্গে কেন্দ্রীয় মহিলা ও শিশু কল্যাণমন্ত্রী স্মৃতি ইরানি বলেন, কংগ্রেসের তরফে যে প্রতিরোধ করা হচ্ছে, এটা দেশের গণতন্ত্র নয়। কংগ্রেসের গান্ধী পরিবারের দু হাজার কোটি টাকার সম্পত্তি বাঁচানোর প্রয়াস।

     

  • Thanjavur Temple News: তামিলনাড়ুতে ধর্মীয় শোভাযাত্রায় তড়িদাহত হয়ে ১১ জনের মৃত্যু

    Thanjavur Temple News: তামিলনাড়ুতে ধর্মীয় শোভাযাত্রায় তড়িদাহত হয়ে ১১ জনের মৃত্যু

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রথে করে দেবীর মূর্তি নিয়ে শোভাযাত্রায় বেরিয়ে তড়িদাহত হয়ে মারা গেলেন ১১ জন। নিহতদের মধ্যে রয়েছে দুই শিশুও। আহত হয়েছেন বেশ কয়েক জন। বুধবার ভোরে তামিলনাড়ুর থাঞ্জাভুর এলাকায় ঘটনাটি ঘটেছে।

    প্রতি বছরই এই সময়ে এই শোভাযাত্রা অনুষ্ঠিত হয়। পুলিশ জানিয়েছে, বিপদ এড়ানোর জন্য ওই রথযাত্রা চলাকালীন সাধারণত বিদ্যুৎ সরবরাহকারী তারের সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা থাকে৷ কিন্তু এবার রথের উচ্চতা বেশি না হওয়ায় সেটি তার পর্যন্ত পৌঁছবে না ভেবে বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয়নি৷ কিন্তু রথ সাজানোর সময় সেটির উচ্চতা বেড়ে যায়৷ যার পরিণতিতে সেটি বিদ্যুৎবাহী তারের সংস্পর্শে এসে মর্মান্তিক দুর্ঘটনা ঘটে৷ দুর্ঘটনার সময়ের একটি ভিডিওতে দেখা গিয়েছে, উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন বিদ্যুৎবাহী তারের সংস্পর্শে এসে গোটা রথটিই পুড়ে গিয়েছে৷

    পুলিশ সূত্রে খবর, ভোররাতে কালিমেড়ু গ্রামের আপ্পার মন্দিরের কাছে গলির মুখে বাঁক নেওয়ার সময় একটি হাইটেনশন বৈদ্যুতিক তারের সঙ্গে ঘষা লাগে শোভাযাত্রা নিয়ে বেরনো রথটির। মুহূর্তে পুরো রথটি তড়িদাহত হয়ে পড়ে।

    [tw]


    [/tw]

    রথের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন কিছু ভক্ত। শিশু-সহ মোট ১১ জনের মৃত্যু হয় ওই ঘটনায়। আহতের সংখ্যা ১৫। পুলিশ জানিয়েছে, আহতদের থাঞ্জাভুর মেডিক্যাল কলেজে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। দুর্ঘটনায় নিহতদের পরিজনকে ২ লক্ষ টাকা করে ক্ষতিপূরণ দেওয়ার ঘোষণা করেছে প্রধানমন্ত্রীর দফতর৷ আহতদের ৫০ হাজার টাকা করে দেওয়া হবে৷ নিহতদের পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। তামিলনাড়ুর মুখ্যমন্ত্রী এম কে স্টালিন নিহতদের পরিবার পিছু পাঁচ লাখ টাকা করে দেওয়ার কথা জানান। আহতদের দ্রুত আরোগ্য কামনা করেন তিনি।

     

  • Terror funding case: জঙ্গি দমনে কঠোর এনআইএ, উপত্যকার বিভিন্ন জায়গায় তল্লাশি 

    Terror funding case: জঙ্গি দমনে কঠোর এনআইএ, উপত্যকার বিভিন্ন জায়গায় তল্লাশি 

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: জঙ্গি দমনে উপত্যকার বিভিন্ন জায়গায় তল্লাশি অভিযান চালাল জাতীয় তদন্তকারী সংস্থা এনআইএ (NIA)। উত্তর কাশ্মীরে ক্রমবর্ধমান সন্ত্রাস ঠেকাতেই এদিন জম্মু-কাশ্মীর পুলিশ এবং এনআইএ শ্রীনগরের বেশ কিছু অঞ্চলে যৌথ অভিযান চালায়।  সন্ত্রাসে অর্থ যোগানো মামলার জেরেই এই তল্লাশি চলছে বলে আধিকারিক সূত্রে খবর।

    এদিন এনআইএ  শ্রীনগরের ৩টি জায়গায় তল্লাশি চালিয়েছে। বুধবারও তল্লাশি অভিযান চলেছিল বারামুলা ও হান্দওয়াড়ায়। তল্লাশি অভিযানে প্রচুর তথ্য গোয়েন্দাদের হাতে এসেছে বলে সূত্রের খবর। বেশ কিছু মোবাইল ফোন, ল্যাপটপও আটক করা হয়েছে। তল্লাশি অভিযানে এনআইএ-এর সঙ্গে ছিল সিআরপিএফ (CRPF) এবং রাজ্য পুলিশ। পাক-অধিকৃত কাশ্মীরের (Pakistan Occupied Kashmir) সঙ্গে ব্যবসায়ী যোগ রয়েছে, এমন অনেক জায়গায়  তল্লাশি চালানো হয়।

    আরও পড়ুন: জেএমবি জঙ্গি-যোগের খোঁজে ৩ রাজ্যে হানা এনআইএ-র

    অভিযোগ, সীমান্ত পেরিয়ে অস্ত্র তো ঢুকছেই, উপত্যকার জঙ্গিদের কাছে আর্থিক সাহায্যও পৌঁছে যাচ্ছে সঠিক সময়। সন্ত্রাসে আর্থিক মদত দিচ্ছে কারা বা কোন সংগঠন, খোঁজ করতেই এদিন সকালে জম্মু-কাশ্মীরের একাধিক জায়গায় তল্লাশি অভিযান চালিয়েছে জাতীয় তদন্তকারী সংস্থা। গোয়েন্দাদের অনুমান, উপত্যকায় অশান্তি জিইয়ে রাখতে টাকা পাঠাচ্ছে পাক জঙ্গিরা। বিশেষত, লস্কর-ই-তৈইবা। ২০০৮ সাল থেকেই এই অভিযোগের তদন্তে নেমেছে এনআইএ।  জম্মু-কাশ্মীরের পাশাপাশি দিল্লি,হরিয়ানা-সহ বিভিন্ন রাজ্যেও  তল্লাশি চালিয়েছে এনআইএ। 

    সূত্রের খবর, উপত্যকা জুড়ে জঙ্গি নিকেশ অভিযানে আগ্রাসী মনোভাব নিয়ে চলছে কেন্দ্র সরকার। জানুয়ারি থেকে জুন। ২০২২-এর প্রথম ছ’মাসেই জম্মু ও কাশ্মীরে শতাধিক জঙ্গিকে খতম করেছে ভারতীয় সেনা। তার মধ্যে অন্তত ৩০ জন পাকিস্তানি জঙ্গি। ভারতীয় সেনা সূত্রে খবর, এখনও কাশ্মীর উপত্যকায় অন্তত ১৫৮ জন জঙ্গি লুকিয়ে আছে। তাদের সন্ধানে চলছে চিরুনি তল্লাশি। সূত্রের খবর, এই মুহূর্তে আত্মগোপন করে থাকা জঙ্গিদের মধ্যে অধিকাংশই লস্কর-ই-তৈবার। তাদের মতে ৮৩ জন লস্কর জঙ্গি উপত্যকায় লুকিয়ে। আসন্ন অমরনাথ যাত্রায় বিঘ্ন ঘটানোই জঙ্গিদের লক্ষ্য বলেও গোয়েন্দা সূত্রে জানা যাচ্ছে।

  • Rahul Gandhi: ন্যাশনাল হেরাল্ড মামলায় টানা তিন ঘণ্টা ধরে জেরা রাহুলকে

    Rahul Gandhi: ন্যাশনাল হেরাল্ড মামলায় টানা তিন ঘণ্টা ধরে জেরা রাহুলকে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: টানা প্রায় তিন ঘণ্টা ধরে জেরা করা হল কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধীকে। ইডি সূত্রে খবর, ডেটেক্স প্রাইভেট লিমিটেড নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে তাঁকে। ইডি সূত্রে খবর, তাঁকে ফের তলব করা হতে পারে। সোমবার রাহুল গান্ধীর ইডি দফতরে হাজিরা দেওয়াকে কেন্দ্র করে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে দিল্লি। পূর্ব পরিকল্পিতভাবে সত্যাগ্রহ মিছিলের আয়োজন করেছিল কংগ্রেস (Congress)। পুলিশ তাদের পথ আগলায় বলে অভিযোগ। কংগ্রেস ও পুলিশ কর্মীদের বচসার জেরে ধুন্ধুমার পরিস্থিতি রাজধানীতে। প্রসঙ্গত, ন্যাশনাল হেরাল্ড মামলায় (National Herald Case) এদিন ইডি (ED) দফতরে হাজির হন রাহুল। পায়ে হেঁটেই তিনি পৌঁছান কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার দফতরে। 

    রাজনৈতিক ছাড়পত্র ছাড়াই লন্ডন গিয়েছিলেন রাহুল গান্ধী?

    এদিন বেলা ১২টা নাগাদ ইডি দফতরে হাজির হন রাহুল। ডটেক্স প্রাইভেট লিমিটেড নামে একটি সেল কোম্পানির বিষয়ে রাহুল কিছু জানেন কিনা, তা জানতে চান তদন্তকারীরা। তাঁর কাছ থেকে পাওয়া উত্তরের প্রেক্ষিতেই পরে জেরা করা হবে কংগ্রেসের অন্তর্বর্তীকালীন সভানেত্রী সোনিয়া গান্ধীকে। এদিন সকাল থেকেই দিল্লির রাজপথে রাহুলের সমর্থনে স্লোগান দিতে শুরু করেন কংগ্রেস কর্মীরা। ঘটনার জেরে কংগ্রেস সদর দফতরের সামনে মোতায়েন করা হয় প্রচুর পুলিশ কর্মী। অশান্তির আঁচ যাতে না লাগে, তাই জোরদার নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হয়েছিল ইডি দফতরেও। নিরাপত্তার চাদরে মুড়ে ফেলা হয়েছিল ইডি অফিস। 

    কংগ্রেসের এই সত্যাগ্রহ মিছিলের অনুমতি না থাকায় পুলিশ একাধিক বিক্ষোভকারীকে আটক করেছে। কংগ্রেস সদর দফতরের বাইরে থেকেই প্রিজন ভ্যানে তোলা হয় বেশ কয়েকজন বিক্ষোভকারীকে। দিল্লি পুলিশের সঙ্গে কংগ্রেস কর্মীদের ধস্তাধস্তি হয় বলেও অভিযোগ। পশ্চিমবঙ্গ প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরী বলেন, কংগ্রেস কর্মীরা শান্তিপূর্ণভাবেই আন্দোলন করছিলেন। তাঁরা রাহুল গান্ধীর সমর্থনে জড়ো হয়েছিলেন। অধীরের প্রশ্ন, আমরা কী কোনও বেআইনি কাজ করেছি? এদিকে, রাহুলের ইডি দফতরে হাজিরাকে কেন্দ্র করে কংগ্রেসের প্রতিবাদ প্রদর্শনকে কংগ্রেসের ‘ভুয়ো সত্যাগ্রহ’ বলে কটাক্ষ করেছে বিজেপি।

    আরও পড়ুন : কাঠমান্ডুর নাইটক্লাবে রাহুল গান্ধীর ভিডিও ভাইরাল, নিন্দায় সরব বিজেপি

    এদিন সকাল থেকেই কংগ্রেস কর্মীদের বিক্ষোভের জেরে গোলমিঠি জংশন, তুঘলক রোড জংশন, মৌলানা আজাদ রোড জংশন, ক্ল্যারিজেস জংশন, কিউ পয়েন্ট জংশন, সুনহেরি মসজিদ জংশন, মান সিং রোড জংশনের মতো গুরুত্বপূর্ণ রাস্তাগুলি বেলা পর্যন্ত এড়িয়ে চলতে বলা হয়েছিল সাধারণ মানুষকে। গোল ডাকখানা জংশন, প্যাটেল চক, উইন্ডসর প্লেস, তিন মূর্তি চক, পৃথ্বীরাজ রোড দিয়ে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে বাস চলাচল।

    ন্যাশনাল হেরাল্ড মামলায় বেআইনি আর্থিক লেনদেনের অভিযোগে কংগ্রেস সাংসদ রাহুল গান্ধী ও দলের হাইকমান্ড সোনিয়া গান্ধীকে নোটিস পাঠিয়েছে ইডি। ২ জুন রাহুলকে এবং ৮ জুন সোনিয়াকে ইডি দফতরে হাজিরার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। বিদেশে থাকায় ওই দিন হাজিরা দিতে পারেননি রাহুল। সেই কারণেই ১৩ জুন জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ডাকা হয় রাহুলকে। কংগ্রেসের বর্ষীয়ান নেতা অভিষেক মনু সিংভি লেন, এজেন্সি লাগিয়ে কেন্দ্রের প্রতিহিংসার রাজনীতির বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধভাবে লড়াই করবে কংগ্রেস।  

     

  • KS Eshwarappa: দুর্নীতি ও আত্মহত্যায় প্ররোচনা দেওয়ার অভিযোগ,ইস্তফা দিলেন কর্নাটকের মন্ত্রী

    KS Eshwarappa: দুর্নীতি ও আত্মহত্যায় প্ররোচনা দেওয়ার অভিযোগ,ইস্তফা দিলেন কর্নাটকের মন্ত্রী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দুর্নীতি এবং আত্মহত্যার ঘটনায় নাম জড়িয়ে যাওয়ায় শেষমেশ পদত্যাগ করলেন কর্নাটকের (Karnataka) মন্ত্রী তথা বিজেপি (BJP) বিধায়ক কে এস ঈশ্বরাপ্পা (KS Eshwarappa)। শুক্রবার মুখ্যমন্ত্রী বাসবরাজ বোম্বাইয়ের (Basavaraj Bommai) সঙ্গে দেখা করে তাঁর হাতে পদত্যাগপত্র তুলে দেন তিনি। তবে মুখ্যমন্ত্রীর বাসভবনে আসার আগে নিজের নির্বাচনী কেন্দ্র শিবমোগ্গায় (Shivamogga) সমর্থকদের উদ্দেশে তিনি বলেন,”আবার ফিরে আসব।”

    সন্তোষ পাটিল (Santosh Patil) নামে এক ঠিকাদারকে আত্মহত্যায় প্ররোচনা দেওয়ার অভিযোগ ঘিরে বিপাকে পড়েছিলেন ঈশ্বরাপ্পা। তিনি আর মন্ত্রী থাকবেন কি না, তা নিয়ে জল্পনা চলছিল। শুক্রবার সন্ধ্যায় ঈশ্বরাপ্পা নিজের বাড়ি থেকে বেরনোর পরেই সমর্থকরা তাঁকে ঘিরে ধরেন। মন্ত্রীকে পদত্যাগ করতে বাধ্য করা হচ্ছে, এই দাবি তুলে প্রতিবাদও করেন অনেকে। তাঁদের উদ্দেশে ঈশ্বরাপ্পার বার্তা,”আমি দলের ক্ষতি করতে চাই না। তাই,মুখ্যমন্ত্রীর কাছে আজই পদত্যাগপত্র জমা দেব। আমি নিশ্চিত, সমস্ত অভিযোগ থেকেই মুক্ত হব আমি। এ রাজ্যের বহু দলীয় কর্মী থেকে শুরু করে নেতা-বিধায়কেরা আমায় সমর্থন করছেন।”

    ঈশ্বরাপ্পার বিরুদ্ধে ৪০ শতাংশ কমিশন (40 per cent commission) চাওয়ার অভিযোগ তুলে কংগ্রেস (Congress) বিধায়ক প্রিয়ঙ্ক খড়্গে বলেছেন, পঞ্চায়েত ও গ্রামোন্নয়ন দফতরের দুর্নীতি-কাণ্ডে আরও অনেকেই জড়িয়ে রয়েছেন। তাঁদের বিরুদ্ধে শাস্তির দাবি তুলেছেন প্রিয়ঙ্ক। 

    কর্নাটকের উদুপির একটি লজে বুধবার আত্মহত্যা করেন ৩৭ বছরের সন্তোষ। মৃত্যুর আগে তিনি হোয়াটসঅ্যাপে তাঁর বন্ধু ও পরিজনকে জানান, তাঁর মৃত্যুর জন্য মন্ত্রী ঈশ্বরাপ্পাই দায়ী। মৃত ঠিকাদারের অভিযোগ, তিনি পঞ্চায়েত ও গ্রামোন্নয়ন দফতরের কাজ করেছিলেন। বিল হয়েছিল চার কোটি টাকা। তার ৪০ শতাংশ কমিশন চেয়েছিলেন ঈশ্বরাপ্পা। তাঁর স্ত্রী ও সন্তানকে সাহায্যের জন্য প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এবং কর্নাটকের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বি এস ইয়েদুরাপ্পার কাছে আবেদন জানিয়েছিলেন সন্তোষ। ওই অভিযোগের ভিত্তিতে সন্তোষের মৃত্যুর পর তাঁর ভাই পুলিশে অভিযোগ দায়ের করেন। তাতে প্রথম অভিযুক্তের নাম ঈশ্বরাপ্পা। যদিও প্রাক্তন মন্ত্রীর বক্তব্য, “ওই সুইসাইড নোট মিথ্যে। তার কোনও ভিত্তি নেই। হোয়াটসঅ্যাপকে সুইসাইড নোট হিসাবে ধরা হয় নাকি? অন্য কেউ তো টাইপ করে দিতে পারে।”

     

  • Jahangirpuri violence: “৭০ বছরের তোষণের ফল”, দিল্লি হিংসা নিয়ে কংগ্রেসকে তোপ বিজেপির

    Jahangirpuri violence: “৭০ বছরের তোষণের ফল”, দিল্লি হিংসা নিয়ে কংগ্রেসকে তোপ বিজেপির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: হনুমান জয়ন্তীর দিন উত্তর-পশ্চিম দিল্লিতে ঘটে যাওয়া হিংসার ঘটনায় কংগ্রেস জমানার তোষণের নীতিকেই মূল কারণ হিসেবে ব্যাখ্যা করল বিজেপি। দলের জাতীয় মুখপাত্র সম্বিত পাত্র জানিয়েছেন, এই ঘটনার নেপথ্যে রয়েছে গত ৭০ বছরের তোষণের নীতি। 

    জাহাঙ্গিরপুরীর সংঘর্ষের ঘটনায় কংগ্রেস সভানেত্রী সোনিয়া গান্ধি সহ ১৩টি বিরোধী দলের নেতৃবৃন্দের পক্ষ থেকে দেশে সাম্প্রদায়িক হিংসার ঘটনার নিন্দা করে একটি যৌথ বিবৃতি পেশ করা হয়। এর প্রতিক্রিয়ায়, কংগ্রেস সহ বিরোধীদের একহাত নেয় বিজেপি। দলের মুখপাত্র সম্বিত পাত্র স্পষ্ট জানান, বিরোধীদের এই ‘পক্ষপাত রাজনীতি’ দেশের ক্ষতি করে চলেছে। তাঁর মতে, এই ঘটনার তদন্ত হচ্ছে এবং তাতে কী বের হচ্ছে, তার জন্য অপেক্ষা করা উচিত। 

    একইসঙ্গে, যৌথ বিবৃতি পেশ করার জন্য কংগ্রেস সহ বিরোধীদের তীব্র সমালোচনা করেন সম্বিত। বলেন, কয়েকজন রাজনৈতিক নেতানেত্রীর এহেন পক্ষপাতমূলক রাজনীতি দেশের জন্য উপযুক্ত নয়। এতে দেশের আখেরে ক্ষতিই হচ্ছে। সম্বিতের প্রশ্ন, আজ সোনিয়া গান্ধি মতাদর্শের কথা বলছেন। প্রশ্ন হল, কোন মতাদর্শ আজকের এই ঘটনার জন্য দায়ী? বিজেপি মুখপাত্র বলেন, এর জন্য দায়ী একটাই মতাদর্শ যা, গত ৭০ বছর ধরে চলে আসছে। তা হল, তোষণের মতাদর্শ। তোষণের এই নীতি ও রাজনীতি ভীষণই দুর্ভাগ্যজনক।

    আবার দিল্লি বিজেপির সভাপতি আদেশ গুপ্তর মতে, অবৈধ বাংলাদেশি অভিবাসী এবং রোহিঙ্গারাই জাহাঙ্গীরপুরির হিংসার জন্য দায়ী। এই নেতার অভিযোগ, আম আদমি পার্টি এদের বিনামূল্যে বিদ্যুৎ, জল, রেশন দেওয়া থেকে শুরু করে রাজনৈতিক সুরক্ষাও প্রদান করছে। যদিও এই অভিযোগ পুরোপুরি খণ্ডন করেছে আম আদমি পার্টি।

    এদিকে, জাহাঙ্গিরপুরীর সংঘাত কড়া হাতে দমনের নির্দেশ দেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। দিল্লির পুলিশ কমিশনার রাকেশ আস্থানা আশ্বাস দেন, কোনও রকম প্রভাব খাটানোর প্রশ্নই নেই। একেবারে নিরপেক্ষ তদন্ত হচ্ছে। ১৪টি টিম ঘটনার তদন্ত করছে। তিনি জানিয়েছেন, জাহাঙ্গিরপুরীতে হনুমান জয়ন্তীর দিন যাঁরা অশান্তি পাকিয়েছে তাঁদের খুঁজে বের করে কড়া শাস্তি দেওয়া হবে। কোনও রকম রেয়াত করা হবে না।

     

  • Hyderabad Honour Killing: ভিনধর্মের যুবতীকে বিয়ে, প্রাণ গেল দলিত যুবকের, ধৃত স্ত্রীর ভাই সহ ২

    Hyderabad Honour Killing: ভিনধর্মের যুবতীকে বিয়ে, প্রাণ গেল দলিত যুবকের, ধৃত স্ত্রীর ভাই সহ ২

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এবার পরিবারের সম্মান রক্ষার্থে খুন হতে হল এক হিন্দু যুবককে! ‘অনার কিলিং’য়ের শিকার হলেন তেলেঙ্গানার সারুরনগর এলাকার যুবক বিল্লাপুরাম নাগরাজু। ওই ঘটনায় তরুণীর কয়েকজন আত্মীয়কে আটক করেছে পুলিশ। শুরু হয়েছে তদন্ত।

    এলাকার একটি গাড়ির দোকানে সেলসম্যানের কাজ করতেন নাগরাজু। ভিন ধর্মের এক কিশোরীর ভালবাসার সুতোয় বাঁধা পড়েছিলেন সেই স্কুল জীবনে। চলতি বছর জানুয়ারিতে দুই পরিবারের অমতেই বিয়ে করেন বান্ধবী আসরিন সুলতানাকে। ভিন ধর্মে বিয়ে করায় পরিবারের অত্যাচারের হাত থেকে বাঁচতে পালিয়ে যান তাঁরা। সম্প্রতি ফিরে এসে কাজে যোগ দিয়েছিলেন নাগরাজু। বুধবার রাত ন’টা নাগাদ বাইকে করে এসে প্রথমে মাথায় লোহার রড দিয়ে আঘাত করার পর ধারাল অস্ত্র দিয়ে নৃশংসভাবে কুপিয়ে খুন করে এক ব্যক্তি। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় তাঁর। জানা যায়, পরিবারের সম্মান রক্ষার্থে নাগরাজুকে খুন করে সুলতানার ভাই।

    এমনটা যে ঘটতে পারে, তা বোধহয় আঁচ করতে পেরেছিলেন সুলতানা। তাই বিয়ের পরে নিজের নাম বদলে করে নেন পল্লবী। এলাকার একটি মন্দিরে গিয়ে বিয়ে করেন দু’জনে। পরে এলাকা ছেড়ে পালান। ফিরে আসেন সম্প্রতি। তাতেও শেষ রক্ষা না হওয়ায় আফশোস করছেন সুলতানা ওরফে পল্লবী। পরিবারের সম্মান রক্ষার্থেই এই খুন বলে দাবি নাগরাজুর এক আত্মীয়ের। তিনি বলেন, স্কুল জীবন থেকে ওদের পরিচয়। ভিন ধর্মে বিয়ে করেছিল ওরা। তাই নাগরাজুকে মেরে ফেলেছে মেয়েটির পরিবার।

    ঘটনার তীব্র প্রতিবাদ করেছে তেলেঙ্গানার বিজেপি নেতৃত্ব। স্থানীয় বিজেপি বিধায়ক রানা সিংয়ের প্রশ্ন, কেবল পরিবারই এই ঘটনায় যুক্ত ছিল? নাকি এই ঘটনায় কোনও ধর্মীয় গোষ্ঠীর উস্কানি ছিল? ঘটনার পূর্ণাঙ্গ তদন্ত দাবি করেছেন তিনি। বিজেপির জাতীয় মুখপাত্র শেহজাদ পুনাওয়ালা বলেন, যদি কোনও মুসলিম খুন হতেন, তাহলে তৃণমূল সহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দল রাষ্ট্রপুঞ্জে পৌঁছে যেত। এখন একজন হিন্দু খুন হয়েছেন বলে সবাই চুপ।

    অনার কিলিংয়ের নামে আর কত প্রাণ হবে বলিদান? উঠছে প্রশ্ন। বছরখানেক আগে লাভ জেহাদ প্রসঙ্গে সুপ্রিম কোর্টের করা একটি মন্তব্য এ প্রসঙ্গে প্রণিধানযোগ্য, নিজের সঙ্গী পছন্দ করার অধিকার রয়েছে কোনও পুরুষ বা মহিলার। আর সেটা মেনে নিতে হবে সমাজকে।

        

LinkedIn
Share