Category: বিদেশ

Get updates on World News Headlines International News from the Madhyom news portal madhyom.com, West Bengal leading news portal Madhyom.com

  • Pakistan: সেনা ব্যর্থ হলে রয়েছে মাদ্রাসা ছাত্ররা! পাক প্রতিরক্ষামন্ত্রীর কথাতেই সন্ত্রাস তোষণের ইঙ্গিত

    Pakistan: সেনা ব্যর্থ হলে রয়েছে মাদ্রাসা ছাত্ররা! পাক প্রতিরক্ষামন্ত্রীর কথাতেই সন্ত্রাস তোষণের ইঙ্গিত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভূ-রাজনীতিতে পাকিস্তান (Pakistan) প্রতিনিয়ত একটি হুমকির কারণ হয়ে দাঁড়াচ্ছে। অভ্যন্তরীণ নানা ইস্যুতে পাকিস্তানের সংকটজনক অবস্থা উঠে আসছে। তা সে আর্থিক সংকট হোক কিংবা সেদেশের অন্দরের রাজনৈতিক অস্থিরতা। কিন্তু পাকিস্তান বিশ্ব শান্তির পক্ষে হুমকির কারণ হয়ে দাঁড়াচ্ছে তার মাদ্রাসা (Pakistans Madrasa) শিক্ষাব্যবস্থার কারণেই। বিশ্লেষকরা বলছেন, সে দেশে উগ্র মৌলবাদী ও জঙ্গি তৈরির কারখানা হিসেবে মাদ্রাসাগুলি সদা ব্যস্ত। সাধারণভাবে মাদ্রাসাগুলিতে হল সেই প্রতিষ্ঠান যেখানে ইসলামিক শিক্ষা দেওয়া হয়। পাকিস্তানের ক্ষেত্রে এই মাদ্রাসাগুলিতেই জন্ম নেয় উগ্র মৌলবাদ এবং সন্ত্রাসবাদ। সম্প্রতি পাক প্রতিরক্ষামন্ত্রী খোয়াজা আসিফ সেদেশের সংদসদে দাঁড়িয়ে জানান, সেনা ব্যর্থ হলে পাকিস্তান রক্ষা করবে মাদ্রাসা ছাত্ররা! পাক প্রতিরক্ষামন্ত্রীর এমন কথাতেই পরিষ্কার হয়ে গিয়েছে সন্ত্রাস তোষণের ইঙ্গিত।

    জঙ্গি তৈরির আঁতুড়ঘর! পাকিস্তানে (Pakistan) বর্তমানে ৩০ থেকে ৪০ হাজার মাদ্রাসা চলছে

    ২০২৩ সালের অক্টোবর মাসে বিভিন্ন আন্তর্জাতিক রিপোর্ট সামনে আসে। এই রিপোর্টগুলিতে দেখা যাচ্ছে,পাকিস্তানে বর্তমানে ৩০ থেকে ৪০ হাজার মাদ্রাসা চলছে। এই মাদ্রাসাগুলিকে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান হিসেবে তকমা দিয়েছে পাকিস্তান (Pakistan)। শুধু তাই নয়, এই মাদ্রাসাগুলিতে পড়াশোনা করার জন্য সে দেশের দরিদ্র পড়ুয়াদের বিশেষ সুযোগ করে দেওয়া হয়। তাদেরকে খাবার বন্দোবস্ত করে দেওয়া হয়। থাকার বন্দোবস্ত করে দেওয়া হয়। গরিব দেশ পাকিস্তানের বেশিরভাগ দরিদ্র পড়ুয়া তাই এভাবেই পাকিস্তানের মাদ্রাসায় ভর্তি হয়। মাদ্রাসাগুলি একটি বিকল্প বিদ্যালয়ের আকার নিয়ে নিয়েছে সেখানে। এই ভাবেই যে সরকারি স্কুল ব্যবস্থার বিকল্প হয়ে উঠেছে মাদ্রাসাগুলি। এখানেই গড়ে উঠছে জেহাদি কার্যকলাপ। শিশুমনে বপন করা হচ্ছে মৌলবাদের বীজ। শুধু তাই নয়, জেহাদি হিসেবে নিয়োগ করার অন্যতম কারখানা হয়ে উঠেছে মাদ্রাসাগুলি। মাদ্রাসাতে পড়াশোনা করতে যারা আসছে তাদেরকে এমন একটা ব্যবস্থার মধ্যে দিয়ে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে, যেখান থেকে তারা একজন জেহাদি হয়ে উঠছে, সন্ত্রাসবাদী হয়ে উঠছে। ২৬/১১-এর মুম্বই হামলাতে অন্যতম দোষী ছিল আজমল কাসভ। লস্কর-ই-তৈবার এই জঙ্গির হাতে খড়ি হয় মাদ্রাসা থেকেই। তার প্রাথমিক হাতে খড়ি সম্পূর্ণ হয় করাচির দারুল উলুম মাদ্রাসা।

    সন্ত্রাসবাদি সংগঠনগুলির নার্সারি স্কুল হিসেবে কাজ করছে

    সমস্ত মাদ্রাসাকে নিয়ে যে সমস্যা এমনটা নয়। কিন্তু পাকিস্তানের বেশিরভাগ মাদ্রাসাতেই চলে জঙ্গি প্রশিক্ষণ। এখান থেকেই পাকিস্তানের সন্ত্রাসবাদীরা জেহাদি হওয়ার জন্য প্রথম খড়ি নেয়। এই মাদ্রাসাগুলোতে ইসলামিক ব্যবস্থায় শিক্ষাদান করা হয়। এখানেই শেখানো হয় ভেদাভেদ। সংজ্ঞায়িত করা হয় ইসলামের শিয়া, সুফি, সুন্নি। পাশাপাশি এখানে শেখানো হয় অমুসলিমদের কাফের কেন বলা হয়। পাকিস্তানের (Pakistan) এই মাদ্রাসাগুলি থেকেই জন্ম নেয় ভারত বিরোধিতা। হিন্দু প্রধান দেশ ভারতবর্ষ তাদের কাছে কাফের। এখানেই জন্ম নেয় জঙ্গি মতাদর্শ। তাই একথা বলাই যায়, মাদ্রাসাগুলি বর্তমানে লস্কর-ই-তৈবা কিংবা জইশ-মহম্মদ অথবা তালিবান- এই সমস্ত সন্ত্রাসবাদি সংগঠনগুলোর কাছে একটি নার্সারি স্কুল হিসেবে কাজ করছে। রিপোর্ট বলছে, মাদ্রাসাগুলি থেকে জেহাদি তৈরির জন্য বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে পাকিস্তানের দক্ষিণ পাঞ্জাব অংশ এবং খাইবার পাখতুনখোয়াতে।

    অসংখ্য মাদ্রাসা চালায় মাসুদ আজাহার

    মাদ্রাসাগুলিতে (Pakistans Madrasa) ইসলামের শিক্ষা ব্যবস্থার পাশাপাশি জঙ্গি প্রশিক্ষণও দেওয়া হয়। জানা যাচ্ছে, এরকম অজস্র প্রমাণ উঠে এসেছে। যেমন, জৈশ-ই-মহম্মদের প্রতিষ্ঠাতা মাসুদ আজাহার। এই জঙ্গি নেতা ২০০১ সালে ভারতীয় সংসদ ভবনে হামলার অন্যতম অভিযুক্ত ছিল। ২০১৯ সালে পুলওয়ামা হামলা মাসুদ আজহার ঘটিয়েছিল বলে জানা যায়। পাকিস্তানে বহু মাদ্রাসা মাসুদ আজাহার চালায় বলে জানা যায়। যেগুলি থেকে জঙ্গি তৈরি হয় এবং এগুলিই পাকিস্তানের কাছে সম্পদ হয়ে উঠেছে। জঙ্গিরাই পাকিস্তানের সেনাবাহিনীর প্রক্সি হিসেবে কাজ করে। একথা বলার অপেক্ষা রাখেনা। সেনা ব্যর্থ হলে মাদ্রাসা ছাত্ররা যুদ্ধ করবে, এমন বয়ানে পাক প্রতিরক্ষামন্ত্রী স্পষ্টতই বুঝিয়ে দিয়েছেন পাকিস্তানের মাদ্রাসাগুলিই জঙ্গি তৈরির আতুঁড়ঘর। পাকিস্তানের (Pakistan) প্রতিরক্ষা মন্ত্রীর এমন বিবৃতি আদতে পৃথিবীর কাছে যথেষ্ট আশঙ্কার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। কারণ পাকিস্তান এখনও পর্যন্ত ধর্মীয় শিক্ষা ব্যবস্থার আড়ালে সন্ত্রাসকে প্রশ্রয় দিয়ে চলেছে। যার সবচেয়ে বড়ো উদাহরণ পাকিস্তানের মাদ্রাসাগুলি।

    বিশ্ব শান্তির পক্ষে হুমকি হয়ে দাঁড়াচ্ছে পাক মাদ্রাসাগুলি

    প্রসঙ্গত, এভাবেই পাকিস্তানের জেহাদি সন্ত্রাসী এবং জঙ্গিরা তাদের প্রাথমিক প্রশিক্ষণটা মাদ্রাসা থেকেই নেয়। আজকের দিনে তাই প্রশ্ন উঠছে যে পাকিস্তানে যেভাবে মাদ্রাসাগুলিকে জঙ্গি তৈরি আঁতুড়ঘর করে ফেলেছে, সেই সমস্যা কি শুধু একা পাকিস্তানের নাকি সমগ্র পৃথিবীর? বিশেষত ভারতবর্ষকে একথা গ্রহণ মানতেই হবে যে পাকিস্তানের আভ্যন্তরীণ সমস্যা নয় এটা। এর মাধ্যমে আন্তর্জাতিক সুরক্ষার দিকটিও উঠে আসছে। পাকিস্তানের মাদ্রাসাগুলি যেভাবে জঙ্গি তৈরির আঁতুড়ঘর হয়ে উঠেছে, তাতে প্রতিবেশী দেশগুলির সার্বভৌমত্ব বিপদে পড়তে পারে। অনেকেই মনে করছেন এবিষয়ে ভারতবর্ষের পদক্ষেপ করাও প্রয়োজন। দ্বিপাক্ষিক পদক্ষেপ, অঞ্চল ভিত্তিক পদক্ষেপ, আন্তর্জাতিক মঞ্চে এই বিষয়টি তোলা এবং কূটনৈতিক চাপ দেওয়ার মাধ্যমে এর সমাধান করতে হবে।

  • Operation Sindoor: ৭ মে-র ‘অপারেশন সিঁদুরে’ খতম ৫ মোস্ট ওয়ান্টেড পাক-সন্ত্রাসী, জেনে নিন পরিচয়

    Operation Sindoor: ৭ মে-র ‘অপারেশন সিঁদুরে’ খতম ৫ মোস্ট ওয়ান্টেড পাক-সন্ত্রাসী, জেনে নিন পরিচয়

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: জম্মু-কাশ্মীরের পহেলগাঁওয়ে গত ২২ এপ্রিল পর্যটকদের উপর নৃশংস হামলা চালায় জঙ্গিরা (Pakistani Terrorist)। ধর্ম দেখে বেছে বেছে হত্য়া করা হয় হিন্দু পর্যটকদের। মৃত্যু হয় ২৬ জনের। এর মধ্যে একজন কাশ্মীরি যুবকও ছিলেন। এরপরেই হুঙ্কার ছাড়ে ভারত সরকার। গত ৭ মে ভারত ‘অপারেশন সিঁদুর’ (Operation Sindoor) প্রয়োগ করে। এয়ার স্ট্রাইকে পাকিস্তান ও অধিকৃত কাশ্মীরের ৯ জঙ্গি ঘাঁটিকে গুঁড়িয়ে দেয়। ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন নিক্ষেপ করা হয় ২৪টি জায়গায়। এই অভিযানেই খতম হয় পাকিস্তানের পাঁচজন শীর্ষস্থানীয় জঙ্গি-নেতা।

    খতম ৫ কুখ্যাত জঙ্গির পরিচয়

    ১) মুদাসি্সর খাদিয়ান খাস ওরফে মুদাসি্সর ওরফে আবু জুন্দাল

    লস্কর-ই-তৈবার সক্রিয় সদস্য তথা এই কুখ্যাত জঙ্গি নিহত হয় অপারেশন সিঁদুরে। লস্কর ঘাঁটি মুরিদকে গুঁড়িয়ে দেয় (Operation Sindoor) ভারতের সেনা। জানা গিয়েছে সেই লস্করের ঘাঁটি মারকজ তৈবার ইন-চার্জ ছিল এই মুদাসি্সর। এরই শেষকৃত্যে দেখা গিয়েছিল কুখ্যাত জঙ্গি হাফিজ আবদুল রউফ, যেখানে উপস্থিত ছিলেন পাক সেনা ও পুলিশের শীর্ষ কর্তারা।

    ২) হাফিজ মহম্মদ জামিল

    এই কুখ্যাত জঙ্গি জইশ-ই-মহম্মদের সদস্য। এর আরও এক পরিচয় রয়েছে। মৌলানা মাসুদ আজহারের দাদা (Pakistani Terrorist)। বাহাওয়ালপুরে জইশ-ই-মহম্মদের যে সদর দফতর ভারত গুঁড়িয়ে দেয় সেই মারকজ শুভান আল্লার ইন-চার্জ ছিল এই হাফিজ। মগজ ধোলাই করে জঙ্গি সংগঠনে আনা এবং জইশ-ই-মহম্মদের আর্থিক ফান্ড জোগাড় করা তার কাজ ছিল।

    ৩) মহম্মদ ইউসুফ আজহার ওরফে উস্তাদ জি ওরফে মহম্মদ সেলিম ওরফে ঘোসি সাহাব

    জইশ-ই-মহম্মদের অন্যতম কুখ্যাত জঙ্গি নেতা ছিল মহম্মদ ইউসুফ আজহার। জানা যায়, এই কুখ্যাত জঙ্গিও মৌলানা মাসুদ আজহারের নিকটাত্মীয়। জইশের হয়ে জঙ্গি প্রশিক্ষণ দিত সে। জম্মু ও কাশ্মীরের একাধিক জঙ্গি হামলার যুক্ত ছিল (Operation Sindoor) এই কুখ্যাত জঙ্গি। ১৯৯৯ সালে আইসি-৮১৪, কান্দাহার বিমান অপহরণে মোস্ট ওয়ান্টেড ছিল মহম্মদ ইউসুফ আজহার।

    ৪) মহম্মদ হাসান খান

    এই কুখ্যাত জঙ্গি ছিল জইশ-ই-মহম্মদের সদস্য। জানা গিয়েছে, এই হাসান খান জইশ-ই-মহম্মদের অপারেশনাল কমান্ডার (পাক অধিকৃত কাশ্মীরের) মুফতি আসগর খান কাশ্মীরির ছেলে। জম্মু ও কাশ্মীরের বিভিন্ন সন্ত্রাসী কার্যকলাপে নিযুক্ত ছিল সে। খতম হল অপারেশন সিঁদুরে (Operation Sindoor)।

    ৫) খালিদ ওরফে আবু আকাশা

    এই জঙ্গি নেতা লস্কর-ই-তৈবার সদস্য ছিল। জম্মু ও কাশ্মীরের একাধিক সন্ত্রাসী হামলায় নেপথ্যে (Operation Sindoor) এই খালিদ রয়েছে বলে জানা যায়। আফগানিস্তান থেকে অস্ত্র পাচারেও তার নাম জড়িয়েছে।

  • Donald Trump: ভারত এবং পাকিস্তানের সংঘর্ষবিরতির সিদ্ধান্তকে ফের একবার স্বাগত জানালেন ট্রাম্প

    Donald Trump: ভারত এবং পাকিস্তানের সংঘর্ষবিরতির সিদ্ধান্তকে ফের একবার স্বাগত জানালেন ট্রাম্প

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারত এবং পাকিস্তানের সংঘর্ষবিরতির সিদ্ধান্তকে ফের একবার স্বাগত জানালেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প (Donald Trump)। দু’দেশের রাষ্ট্রপ্রধানের সিদ্ধান্তের জন্য তিনি গর্বিত বলে জানিয়েছেন। সমাজমাধ্যমে ট্রাম্প লিখেছেন, ‘‘এখনই যে আগ্রাসন থামানো উচিত, দুই শক্তিধর দেশ ভারত এবং পাকিস্তান (India Pakistan War) তা যে বুঝতে পেরেছে, তার জন্য আমি গর্বিত। এই সংঘর্ষে অনেক নিরীহ মানুষের মৃত্যু হতে পারত। কিন্তু যে ভাবে দুই দেশ এগিয়ে এসে সংঘর্ষবিরতিতে সম্মত হয়েছে, তা প্রশংসার যোগ্য।’’

    ভারত এবং পাকিস্তান যে ভাবে সংঘর্ষবিরতিতে উদ্যোগী হয়েছে, তা সত্যিই উল্লেখযোগ্য

    এদিন কাশ্মীর ইস্যু নিয়েও লিখেছেন ট্রাম্প (Donald Trump)। তিনি লেখেন, ‘‘দু’দেশের মধ্যে যে সামরিক অস্থিরতা তৈরি হয়েছিল, তা প্রশমিত করার জন্য আমেরিকা যে ভূমিকা নিয়েছে, তার জন্যও আমি গর্বিত।’’ এর পরই তিনি, কাশ্মীর প্রসঙ্গে ট্রাম্প জানিয়েছেন, এই সমস্যার সমাধানের যাতে একটি রাস্তা বেরিয়ে আসে তার জন্য ভারত-পাক দু‌’দেশের সঙ্গেই কাজ করতে আগ্রহী তিনি। শেষে তিনি (Donald Trump) আবারও বলেন, ‘‘ভারত এবং পাকিস্তান যে ভাবে সংঘর্ষবিরতিতে উদ্যোগী হয়েছে, তা সত্যিই উল্লেখযোগ্য।’’

    ভারত ধারাবাহিক ভাবে সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে , শনিবারই জানিয়েছিলেন জয়শঙ্কর

    এক্ষেত্রে উল্লেখ করা দরকার, শনিবার বিকেলে ট্রাম্পের যুদ্ধবিরতির ঘোষণার পরই ভারতের বিদেশমন্ত্রী জয়শঙ্কর সমাজমাধ্যমে লেখেন, “আজ ভারত এবং পাকিস্তান সামরিক অভিযান এবং গোলাগুলি বন্ধ করার বিষয়ে একটি বোঝাপড়ায় এসেছে।” একই সঙ্গে তিনি লেখেন, “ভারত ধারাবাহিক ভাবে সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে দৃঢ় এবং আপসহীন অবস্থান নিয়ে এসেছে। এটি বজায় থাকবে।” প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, ভারত-পাকিস্তানের সংঘর্ষবিরতির বিষয়টি প্রথম প্রকাশ্যে আনেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। শনিবার বিকেল ৫টা ৪২ নাগাদ এক্স হ্যান্ডেলে লেখেন, ‘‘গোটা রাত দীর্ঘ আলোচনার পর দুই দেশই এই মুহূর্ত থেকে সম্পূর্ণরূপে যুদ্ধবিরতিতে রাজি হয়েছে। সঠিক সময়ে বাস্তবজ্ঞান কাজে লাগানোয় দুপক্ষকে শুভেচ্ছা।’’  এরপর ফের রবিবার মার্কিন প্রেসিডেন্টের বিবৃতি সামনে এল।

  • Balochistan Conflict: স্বাধীনতা চায় বালুচিস্তান, দক্ষিণ ভারতের সঙ্গে নাড়ির যোগ বালোচদের!

    Balochistan Conflict: স্বাধীনতা চায় বালুচিস্তান, দক্ষিণ ভারতের সঙ্গে নাড়ির যোগ বালোচদের!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারত-পাক সংঘাত ও সীমান্তে উত্তেজনা বৃদ্ধির মধ্যেই ইসালামাবাদ আরও একটি সমস্যার মুখোমুখি হয়েছে। সেটি হল বালুচিস্তান সঙ্কট (Balochistan Conflict)। বালুচিস্তান লিবারেশন আর্মি পাকিস্তানের একটি বড় মাথাব্যথার কারণ। এই বালুচিস্তানের সঙ্গেই দক্ষিণ ভারতের সংযোগ রয়েছে বলে বিশেষজ্ঞদের ধারণা। পাকিস্তান, ইরান এবং আফগানিস্তানজুড়ে এই অঞ্চলটির সীমানা। এটি পাকিস্তানের বৃহত্তম প্রদেশগুলির একটি হওয়া সত্ত্বেও, তুলনামূলকভাবে অনুন্নত এবং জনবসতিহীন (South Indian Links)। ‘ব্রাহুই’ একটি দ্রাবিড় ভাষা, যা পার্সো আরবি লিপিতে লেখা হয় বলে ধারণা করা হয়। পাকিস্তানের প্রায় ২০ লাখ মানুষ এই ভাষা ব্যবহার করেন। এর সিংহভাগই থাকেন বালুচিস্তানে। যেহেতু ব্রাহুই ভাষার মধ্যে দ্রাবিড় ভাষাগুলির সাসৃশ্য রয়েছে, সেহেতু এটি দুই অঞ্চলের মধ্যে ঐতিহাসিক সম্পর্কের ইঙ্গিত দেয়।

    দ্রাবিড় ভাষাবিদের বক্তব্য (Balochistan Conflict)

    দ্রাবিড় ভাষাবিদ রবিশঙ্কর এস নাইয়ার জানান, এই বিষয়ে দুটি তত্ত্ব নিয়মিত আলোচনায় উঠে আসে। তিনি বলেন, “প্রথম তত্ত্ব অনুযায়ী দক্ষিণ ভারতীয়রা এই অঞ্চল (বালুচিস্তান) থেকে অভিবাসিত হয়েছে, আর একটি তত্ত্ব বলছে বালুচ জনগণ দক্ষিণ ভারত থেকে অভিবাসিত হয়েছে। গবেষণা অনুযায়ী প্রথম তত্ত্বটি বেশি বিশ্বাসযোগ্য।” তিনি জানান, এই অভিবাসনের সময় হতে পারে ২০০০ বছর আগে। নাইয়ার বলেন, “যদিও আমরা ব্রাহুই ভাষাটিকে দ্রাবিড় ভাষা বলে থাকি, এখন এর মধ্যে দ্রাবিড় উপাদান খুব কমই আছে। কিছু শব্দের প্রতিফলনের ক্ষেত্রে — যেমন মালয়ালম ভাষায় ‘কানুকা’ — এর সঙ্গে সংযোগ দেখা যায়। বাকি অংশে পশতু ও বালোচি ভাষার প্রবল প্রভাব পড়েছে। ফলে শব্দভাণ্ডার ও ব্যাকরণ কাঠামোয় ব্যাপক পরিবর্তন এসেছে।” তিনি বলেন, “যেসব মৌলিক শব্দ দেহের অঙ্গপ্রত্যঙ্গ বোঝাতে ব্যবহৃত হয়, সেগুলোর মধ্যে কিছু মিল আছে, যদিও তা এখন অনেক কম (South Indian Links)।”

    স্বাধীনতার দাবি

    প্রসঙ্গত, বালোচ (Balochistan Conflict) অঞ্চলটি ব্রিটিশ ঔপনিবেশিকতার বহু আগেই একটি বিচ্ছিন্ন সমাজব্যবস্থার জন্য পরিচিত ছিল। অষ্টাদশ শতকে এই অঞ্চলের গোত্রগুলো একজোট হয়ে একটি নিজস্ব সেনাবাহিনী গঠন করে। ১৮৮৪ সালে বালুচিস্তান ব্রিটিশ ভারতের অংশ হয়ে গেলেও, অভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্ব মেটেনি। স্বাধীনতা সংগ্রামের সময় অনেক বালুচ নেতা অঞ্চলটিকে স্বাধীন রাখতে চেয়েছিলেন। কিন্তু স্থানীয় নেতাদের মধ্যে সমন্বয়ের অভাব থাকায় এই প্রদেশটি পাকিস্তানের অংশ হয়ে যায়। তার পর থেকেই জোরালো হয়েছে স্বাধীন বালুচিস্তানের (Balochistan Conflict)।

  • Indias Drone Strikes: ভারতের ড্রোন হামলায় নড়ে গিয়েছে পাকিস্তানের অর্থনীতির ভিত!

    Indias Drone Strikes: ভারতের ড্রোন হামলায় নড়ে গিয়েছে পাকিস্তানের অর্থনীতির ভিত!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারতের ড্রোন হামলায় (Indias Drone Strikes) নড়ে গিয়েছে পাকিস্তানের অর্থনীতির ভিত! ভারত-পাক সংঘাতের (Pakistans Economy) আবহে এক সপ্তাহের নাটকীয় পতনের পর শুক্রবার করাচি স্টক এস্কচেঞ্জের ট্রেডিং সেশনে খানিক পুনরুদ্ধারের লক্ষণ দেখা গিয়েছে। পড়শি এই দুই দেশের মধ্যে তীব্র উত্তেজনার কারণে ক্ষতিগ্রস্ত কেএসই- ১০০ সূচকটি ইতিবাচক পরিবর্তনের সঙ্গে শুরু হয়েছে। প্রাথমিক লেনদেনে ৮০০ পয়েন্টেরও বেশি বৃদ্ধি পেয়েছে। যদিও দিনের বেলায় এটি প্রায় ৩ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছিল, পরে সূচকটি প্রায় ১ শতাংশ হ্রাস পায়। বিশেষজ্ঞদের মতে, এটি চারদিনের বিশৃঙ্খল পতনের পর সামান্য একটি প্রত্যাবর্তন।

    প্রচণ্ড ধাক্কা (Indias Drone Strikes)

    এই সপ্তাহের শুরুতে পাকিস্তানের বাজার পূর্ণাঙ্গ সংঘাতের আশঙ্কায় প্রচণ্ড ধাক্কা খেয়েছিল। বৃহস্পতিবার পরিস্থিতি ভয়াবহ আকার নেয়। কেএসই-১০০ রকেটের গতিতে পড়ে যায়। এক সেশনেই এটি ৬ শতাংশেরও বেশি পড়ে যায় এবং লেনদেন বন্ধ হয়ে যায়। এটি ছিল স্টক এক্সচেঞ্জের সাম্প্রতিক ইতিহাসের সব চেয়ে খারাপ মন্দার মধ্যে একটি, যেখানে বিনিয়োগকারীদের ৮২ হাজার কোটি টাকারও বেশি হ্রাস পায়। টানা তিনটি লেনদেন দিনের মধ্যে মোট ক্ষতির পরিমাণ দাঁড়ায় ১.৩ লাখ কোটি, যা দেশের অর্থনৈতিক অস্থিরতা নিয়ে উদ্বেগ সৃষ্টি করেছে। বেঞ্চমার্ক সূচক তার সর্বোচ্চ থেকে প্রায় ১০ শতাংশ কমে গিয়েছে। যার জেরে দেশের আর্থিক স্থিতিশীলতা নিয়ে ব্যাপক উদ্বেগের সৃষ্টি করেছে।

    ট্রেডিং সেশন

    করাচি ও লাহোর-সহ একাধিক শহরে ভারতীয় ড্রোন হামলার (Indias Drone Strikes) খবরের পর আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। তার জেরেই পতন ঘটে বাজারের। প্রসঙ্গত, বৃহস্পতিবারের ট্রেডিং সেশনটি তীব্র ওঠানামার জন্য চিহ্নিত হয়ে থাকবে। এদিন সূচকটি ১০ হাজার পয়েন্টেরও বেশি ওঠানামা করে। কেএসই-১০০ সূচকটি সাময়িকভাবে ১ হাজার ৮৭২টি পয়েন্ট বেড়ে যায়। পরে ফের ৮ হাজার ৪১০ পয়েন্ট পড়ে যায়। বিনিয়োগকারীদের ভয় এবং অনিশ্চয়তাই এর কারণ (Indias Drone Strikes) বলে বিশেষজ্ঞদের ধারণা (Pakistans Economy)। এই তীব্র পতনে সূচকটি ১ লাখ ৭ হাজার ০০৭ পয়েন্টে নেমে আসে।

  • Pakistan: ‘‘ভারতের ড্রোন হামলা ইচ্ছে করেই আটকাইনি’’! আজব যুক্তি দিলেন পাক প্রতিরক্ষামন্ত্রী

    Pakistan: ‘‘ভারতের ড্রোন হামলা ইচ্ছে করেই আটকাইনি’’! আজব যুক্তি দিলেন পাক প্রতিরক্ষামন্ত্রী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বৃহস্পতিবার ভারতের হাতে মার খেয়ে আপাতত নানা আজব যুক্তি সাজাতে ব্যস্ত পাকিস্তান (India Pakistan War)। পাক প্রতিরক্ষা মন্ত্রী খোয়াজা আসিফ (Pakistan) বলেছেন, তাঁরা চাইলেই নাকি এই ড্রোন হামলা ঠেকাতে পারতেন। কিন্তু চেষ্টা করেননি! কেন, সেই ব্যাখ্যাও দিয়েছেন আসিফ। তাঁর মতে, ইন্টারসেপ্টর কোথায় রাখা আছে এর ফলে জেনে যেত ভারত, তাই ইচ্ছে ভারতের ড্রোন হামলা আটকায়নি পাকিস্তান! এমন আজব যুক্তি শুনে স্তম্ভিত সব মহলই।

    কী বললেন আসিফ?

    পাক সংসদে (Pakistan) বক্তব্য রাখার সময়ে আসিফ দাবি করেন, ‘‘পাকিস্তান চাইলেই ভারতের ড্রোন হামলা ঠেকাতে পারত। কিন্তু তা করতে গেলে পাক সেনার নানা ক্যাম্পের হদিশ পেয়ে যেত ভারত। তাই প্রতিঘাত করা হয়নি!’’ তিনি আরও বলেন, ‘‘আমরা আমাদের লোকেশন জানাতে চাইনি ভারতকে। তাই ইচ্ছে করেই ড্রোন হামলা করতে দিয়েছি। তা প্রতিহত করার চেষ্টা করিনি। পাক এয়ার ডিফেন্স সিস্টেম কোথায় আছে, তা খুঁজতেই ড্রোনগুলি পাঠিয়েছিল ভারত।’’ আসিফের এমন বক্তব্য ছড়িয়ে পড়েছে সমাজমাধ্যমে এবং তা কার্যত অবাক করেছে সকলকে। তবে এটাই প্রথম নয়, এর আগেও পাকিস্তান (Pakistan) এই যুদ্ধ পরিস্থিতির মধ্যে নানা রকম ভুয়ো খবর ছড়িয়েছে। ভারতের ‘অপারেশন সিঁদুর’ নিয়ে পাকিস্তান খবর রটিয়ে দিয়েছিল ৫টি রাফাল যুদ্ধবিমান নাকি পাকিস্তান ধ্বংস করে দিয়েছে। পরে স্পষ্ট করা হয়, সেই খবর নাকি ভুয়ো। খোদ পাক প্রতিরক্ষা মন্ত্রী বিদেশি সংবাদমাধ্যমে এই দাবি করে তার পক্ষে কোনও প্রমাণ দিতে পারেননি।

    কাপুরুষ শেহবাজ শরিফ মোদির নামও উচ্চারণ করতে পারেন না

    কাপুরুষ শেহবাজ শরিফ মোদির নামও উচ্চারণ করতে পারেন না, কোনও ভারতীয় নয়, এবার এমন মন্তব্য করতে শোনা গেল পাকিস্তানের (Pakistan) সাংসদকেই। ভারত-পাক উত্তেজনামূলক পরিস্থিতির মাঝেই নিজের দেশের প্রধানমন্ত্রীকে একেবারে ‘কাপুরুষ’ বলে আক্রমণ করলেন পাক রাজনৈতিক নেতা সৈয়দ আহমেদ। পাকিস্তানের (India Pakistan War) সংবাদমাধ‍্যমে ইতিম্যমে ভাইরাল সেই ভিডিও। ইমরান খানের দলের সাংসদকে বলতে শোনা যায়, ‘‘ভারতের বিরুদ্ধে একটি বিবৃতিও আসেনি। সীমান্তে দাঁড়িয়ে থাকা পাকিস্তানি সৈন্যরা আশা করে যে সরকার সাহসিকতার সাথে লড়াই করবে। যখন আপনার নেতা একজন কাপুরুষ যিনি মোদির নামও উচ্চারণ করতে পারেন না, আপনি সীমান্তে লড়াই করা সৈন্যকে কী বার্তা দিচ্ছেন?’’

  • New Pope: রোমান ক্যাথলিক চার্চের প্রধান নির্বাচিত হলেন রবার্ট ফ্রান্সিস প্রিভোস্ট, প্রথম আমেরিকান পোপ

    New Pope: রোমান ক্যাথলিক চার্চের প্রধান নির্বাচিত হলেন রবার্ট ফ্রান্সিস প্রিভোস্ট, প্রথম আমেরিকান পোপ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রোমান ক্যাথলিক সমাজের নতুন পোপ (New Pope) নির্বাচিত হলেন রবার্ট ফ্রান্সিস প্রিভোস্ট। ২৬৭তম পোপ নির্বাচিত হওয়ার পরে তাঁর নাম হল পোপ লিও (চতুর্দশ)। এই প্রথম কোনও আমেরিকান পোপের আসনে বসলেন। ভ্যাটিক্যান সিটির সিস্টিন চ্যাপেলের চিমনি থেকে সাদা ধোঁয়া ওড়ার অর্থই হল পোপ নির্বাচনের প্রক্রিয়া শেষ। যার খানিক পরই চতুর্দশ লিও হিসেবে রবার্ট প্রিভোস্টের নাম ঘোষণা করা হয়।

    পোপ লিও-র দায়িত্ব

    কার্ডিনাল পোপ ফ্রান্সিসের (New Pope) উত্তরসূরি শিকাগোর নাগরিক। ৬৯ বছর বয়সি রবার্ট প্রিভোস্ট জীবনের বেশিটা সময় পেরুর মিশনারিতে কাটিয়েছেন। প্রিভোস্ট গত দুই দশক ধরে পেরুর নাগরিক হিসেবে বসবাস করতেন। সেখানে শিক্ষক এবং বিশপের ভূমিকা পালন করেছিলেন তিনি। তার আগে রোমের পন্টিফিকাল ইউনিভার্সিটি অফ সেন্ট থমাস অ্যাকুইনাস থেকে যাজক অনুশাসন (ক্যানন আইন) বিষয়ে ডক্টরেট ডিগ্রি অর্জন করেছিলেন তিনি। ২০২৩ সালে তিনি কার্ডিনাল হন। এবার পোপ ফ্রান্সিসের উত্তরসূরি হিসেবে নির্বাচিত হলেন মীতভাষী রবার্ট। ১০০ কোটিরও অধিক রোমান ক্যাথলিক অনুসরণকারীদের প্রধান হওয়ার পরে তাঁর বার্তা, “আপনাদের মনে শান্তি বিরাজ করুক।”

    পোপ বাছতে দফায় দফায় ভোট গ্রহণ

    ১৩৩ জন বিশপের উপস্থিতিতে প্রায় ২৪ ঘণ্টা ধরে দফায় দফায় ভোটগ্রহণ প্রক্রিয়ার পরেই রবার্ট ফ্রান্সিস প্রিভোস্ট নির্বাচিত হলেন পোপের পদে। তবে বিশপদের মধ্যে বিস্তর মতভেদ থাকার কারণে পোপ নির্বাচনে ঐক্যমতে পৌঁছানো খুব সহজ ছিল না। গির্জার ভবিষ্যৎ নিয়েও বিভিন্ন মত ছিল। জানা যাচ্ছে, সাম্প্রতিক সময়ে যত ‘কনক্লেভ’ হয়েছে তার মধ্যে এত জন বিশপের জমায়েত হওয়ার নজির নেই।

    ছিলেন ভারতের ৪ জন

    প্রায় ৭৫০ বছর ধরে একই পদ্ধতিতে পোপ (New Pope) নির্বাচন হয়ে আসছে। বলা হয়, এটাই পৃথিবীর সবচেয়ে গোপন বাছাইপর্ব। এককালে ভ্যাটিকানে এই গুরুত্বপূর্ণ কাজে থাকা কার্ডিনালরা বহির্জগতের সঙ্গে সম্পূর্ণ বিচ্ছিন্ন হয়ে থাকতেন নতুন পোপ নির্বাচন সম্পূর্ণ হওয়া পর্যন্ত। এখনকার দিনে মোবাইল, ক্যামেরা বাইরে রেখে নিজেদের ঘরে ঢুকতে হয়। এবছর ৭০ দেশ থেকে ১৩৩ জন কার্ডিনাল পৌঁছেছিলেন ভ্যাটিকানে। ছিলেন ভারতের ৪ জন, যাঁদের ভোটাধিকার রয়েছে।

  • Bangladesh: পাকিস্তানের করুণ দশা দেখে ভয়ে কাঁটা বাংলাদেশ! হিন্দু নিরাপত্তায় বড় সিদ্ধান্ত ইউনূস সরকারের

    Bangladesh: পাকিস্তানের করুণ দশা দেখে ভয়ে কাঁটা বাংলাদেশ! হিন্দু নিরাপত্তায় বড় সিদ্ধান্ত ইউনূস সরকারের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারতের মারে বেসামাল পাকিস্তান। বৃহস্পতিবার রাতে বাঙ্কারে গিয়ে লুকোতে হয় পাক প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরিফকে। ধ্বংস করা হয়েছে একাধিক পাক ড্রোন-মিসাইলকে। পাকিস্তানি এফ-১৬ ও এফ-১৭ যুদ্ধবিমানও নামায় ভারত। পাকিস্তানের এমন করুণ দশা দেখে ভীত বাংলাদেশ (Bangladesh)। ভয়ে কাঁটা ইউনূস প্রশাসন। এই আবহে সে দেশের শীর্ষকর্তাদের সঙ্গে জরুরি বৈঠক আলোচনা করলেন বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের মহম্মদ ইউনূস। নির্দেশ দিলেন হিন্দুদের নিরাপত্তা যেন বিঘ্নিত না হয়। ওয়াকিবহাল মহল বলছে, ভারতের প্রত্যাঘাতে প্রবল চাপে পড়ে গিয়েছে বাংলাদেশ। সেকারণেই তারা হিন্দুদের পক্ষে দাঁড়ানোর কথা বলছেন। পাকিস্তানের (India Pakistan War) অবস্থা দেখে সংখ্যালঘু হিন্দুদের নিরাপত্তা দেওয়া, সোশ্যাল মিডিয়ায় বিদ্বেষমূলক পোস্ট আটকানোর মতো একাধিক পদক্ষেপের কথা ভাবছে বাংলাদেশ।

    যারা ভারতকে চোখ রাঙাচ্ছিল, তাদেরই সুর এখন অনেকটাই নরম

    প্রসঙ্গত, ২০২৪ সালের অগাস্ট মাসে বাংলাদেশে (Bangladesh) উগ্র মৌলবাদীরা দখল করে গণভবন। দেশ ছাড়া হন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তারপর থেকেই গিন্দুদের ওপর ব্যাপক অত্যাচার নেমে আসে সেদেশে। অন্ততপক্ষে ৩ হাজার হিন্দু নির্যাতনের ঘটনা ঘটেছে পদ্মাপাড়ে। হিন্দু সন্ন্যাসীদেরও হয়রানি করা শুরু হয়। বিনা অপরাধে গ্রেফতার করা হয় ইসকনের সন্ন্যায়ী চিন্ময় প্রভুকে।  এই আবহে পাকিস্তানের ওপর (India Pakistan War) একের পর হামলায় আতঙ্কে পড়ে গিয়েছে বাংলাদেশও। কথায় কথায় যারা ভারতকে চোখ রাঙাচ্ছিল, তাদেরই সুর এখন অনেকটাই নরম।

    পুলিশের সদর দফতর থেকে চিঠি গেল সব থানায়

    জানা গিয়েছে, বৃহস্পতিবারই পুলিশের সদর দফতর থেকে নির্দেশিকা সংক্রান্ত চিঠি পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে বাংলাদেশ (Bangladesh) পুলিশের জেলা ও থানাগুলিতে। ওই চিঠিতে স্বাক্ষর করেছেন অপারেশন বিভাগের অ্যাডিশনাল ডিআইজি (অপারেশনস) শাহজাদা মহম্মদ আসাদুজ্জামান। সেখানেই সাফ জানানো হয়েছে, বাংলাদেশে হিন্দুদের জীবন ও সম্পদের ওপর কোনও দুষ্কৃতীরা যেন হামলা, আক্রমণ বা ভাঙচুর করতে না পারে, সেদিকেও নজর দিতে হবে। যদি বর্তমান সময়ে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি অবনতি ঘটে, সেক্ষেত্রে নিরাপত্তা রক্ষায় পদক্ষেপ করার কথাও উল্লেখ করা হয়েছে চিঠিতে। একইসঙ্গে নজর দেওয়ার কথা বলা হয়েছে মোবাইল, ইন্টারনেট, ও সোশ্যাল মিডিয়ায়ও।

  • India Pakistan War: ১৯৭১-এর পর ফের ভারতের নৌসেনার হামলা করাচিতে, বিধ্বস্ত পাকিস্তানের বন্দর-শহর

    India Pakistan War: ১৯৭১-এর পর ফের ভারতের নৌসেনার হামলা করাচিতে, বিধ্বস্ত পাকিস্তানের বন্দর-শহর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ১৯৭১ সালে ভারত-পাক যুদ্ধের (India Pakistan War) সময় ভারতের রণতরী হামলা করেছিল এই করাচি বন্দরে। সেই সময় এক সপ্তাহ ধরে জ্বলেছিল করাচি বন্দর (Karachi Port)। ফের আবার করাচিতে একই ভাবে আঘাত হানল ভারত। বৃহস্পতিবার রাত থেকে ফের ভারতীয় নৌসেনার হানায় জ্বলছে করাচি। সম্পূর্ণ বিধ্বস্ত পাকিস্তানের এই গুরুত্বপূর্ণ বন্দর-শহর। পাকিস্তানের সমুদ্রপথ আটকে দিয়েছে ভারতের বিশাল নৌবহর। বৃহস্পতিবার রাতে ভারতের ত্রিফলা আক্রমণে বিধ্বস্ত পাকিস্তানের একাধিক শহর। পাঁচটি শহরের এয়ার ডিফেন্স নষ্ট করে দিয়েছে ভারত।

    ভারতে হামাস-ধাঁচে হামলা পাকিস্তানের

    ‘অপারেশন সিঁদুর’-এর পর ভারত স্পষ্ট করে দিয়েছিল, পহেলগাঁও হামলার প্রত্যাঘাতে সন্ত্রাসী ঘাঁটিগুলি ধ্বংস করতে সংগঠিত হয়েছিল ওই অভিযান। সেই সঙ্গে এও হুঁশিয়ারি দিয়ে দেয়, পাকিস্তান এর পর হামলা করলে ভারতও শক্ত হাতে জবাব দেবে (India Pakistan War)। বোধহয় ইসলামাবাদের কর্তাদের কানে সে কথা ঢোকেনি। বুধবার রাতের পর বৃহস্পতিবার রাতেও ভারতের সীমান্তবর্তী রাজ্যগুলিতে মুহুর্মুহু ড্রোন, ক্ষেপণাস্ত্র ও যুদ্ধবিমান নিয়ে হামাস-ধাঁচে হামলা চালায়। হামলা চালানো হয় ভারতের সামরিক প্রতিষ্ঠান ও ঘাঁটি লক্ষ্য করে। এমনকি, হামলা চালানো হয় বৈষ্ণোদেবী সহ ভারতের একাধিক ধর্মীয় স্থানেও। তবে, ভারত তৈরি ছিল। ভারতের এয়ার ডিফেন্স যে এত শক্তিশালী, তা বোধহয় কল্পনাতীত ছিল পাকিস্তানের। প্রতিটা হামলা প্রতিহত করেছে ভারতের বহুস্তরীয় আকাশসীমা সুরক্ষা ব্যবস্থা।

    পাকিস্তানের ৫টি শহরের এয়ার ডিফেন্স সিস্টেম ধ্বংস

    পাকিস্তানের কাপুরুষোচিত হামলায় ধৈর্য্যের বাঁধ ভাঙে ভারতের। তাই, পাকিস্তানি হামলার ঠিক পরই, কোনও সময় নষ্ট না করে বৃহস্পতিবার রাতেই ভারত শুরু করে প্রত্যাঘাতের দ্বিতীয় পর্ব। এবার পাক হামলার পাল্টা অ্যাকশনে দিশেহারা হয়ে পড়ে পাকিস্তান। একসঙ্গে অ্যাকশনে নামে ভারতের নৌ, স্থল, বায়ুসেনা। এই ত্রিফলা আক্রমণ (India Pakistan War) হতেই পাকিস্তানে ত্রাহি ত্রাহি রব ওঠে। মুখ থুবড়ে পড়ল পাকিস্তানের চিনা এয়ার ডিফেন্স ব্যবস্থা। একটা বা দুটো নয়, পাকিস্তানের ১৬টি শহরে একসঙ্গে প্রত্যাঘাত হানে ভারতীয় ফৌজ। ভারতের অল-আউট অ্যাকশনে ব্ল্যাকআউট হয়ে যায় একের পর এক শহর। শুধু ড্রোন দিয়েই পাকিস্তানের ৫টি শহরের এয়ার ডিফেন্স সিস্টেম ধ্বংস করে দেয় ভারত। আতঙ্কে দিশেহারা হয়ে পড়ে পাকিস্তান।

    পাকিস্তানের ১৬টি শহরে বিশাল ক্ষয়ক্ষতি

    সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত খবর অনুযায়ী, ভারতের ড্রোন আছড়ে পড়ে একের পর এক শহরে। লাহোর, ইসলামাবাদ, সিয়ালকোট, রাওয়ালপিন্ডি, করাচি, ফয়সলাবাদ — বাদ ছিল না কোনও শহরই। পাকিস্তানের বড় বড় শহরগুলির রেডার সিস্টেম তছনছ করে দেয় ভারত (India Pakistan War)। পাকিস্তানের রাজধানী ইসলামাবাদে লাগাতার বিস্ফোরণের শব্দ পাওয়া গিয়েছে গতকাল রাতে। ভারতীয় সেনার প্রত্যাঘাতে পাকিস্তানের ১৬টি শহরে বিশাল ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। শেহবাজ শরিফের বাসভবনের কাছেও বিস্ফোরণ হয়। যার পর তড়িঘড়ি পাক প্রধানমন্ত্রীকে বাঙ্কারে পাঠিয়ে দেওয়া হয়।

    পাকিস্তানের সমুদ্রপথ আটকে রেখেছে ভারতের নৌবহর

    বায়ুসেনা-স্থলবাহিনী প্রথমে পাকিস্তানের শিরদাঁড়া ভেঙে দেওয়ার পর বুলডোজারের ভূমিকায় অবতীর্ণ হয় ভারতীয় নৌসেনা। নেতৃত্বে ছিল আইএনএস বিক্রান্ত। ভারতীয় বিমানবাহী রণতরী রাতেই করাচি বন্দরে (Karachi Port) ভয়াবহ হামলা চালায়। কার্যত বিধ্বস্ত হয়ে যায় করাচি বন্দর শহর। একসঙ্গে ভারতের তিন বাহিনীর প্রবল প্রত্যাঘাতে জ্বলছে করাচি। শেষ পর্যন্ত মেলা খবরে জানা গিয়েছে, পাকিস্তানের সমুদ্রপথ আটকে রেখেছে ভারতীয় নৌসেনার ২৬টি রণতরী (India Pakistan War)। আরও জানা গিয়েছে, আরব সাগরে ভারতীয় নৌসেনা নামিয়েছে পি-৮১ শক্তিশালী নজরদারি বিমানও। এটি অ্যান্টি-সাবমেরিন এয়ারক্রাফ্ট। পাকিস্তানের সাবমেরিন হামলা চালাতে পারে, সেই হামলা ঠেকাতেই বিমান নামানো হয়েছে।

  • India Pakistan War: ভারতের মারে বাঙ্কারে লুকিয়েছেন পাক প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ, পালাতে গিয়ে আটক সেনাপ্রধান মুনির

    India Pakistan War: ভারতের মারে বাঙ্কারে লুকিয়েছেন পাক প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ, পালাতে গিয়ে আটক সেনাপ্রধান মুনির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: একের পর এক হামলায় প্রমাদ গুণছে পাকিস্তান (India Pakistan War)। এ যেন ঠিক দ্বিতীয় গাজা। ভারতীয় সেনার আক্রমণের সামনে টিকতেই পারছে না সন্ত্রাসের মদতদাতা পাকিস্তান। বৃহস্পতিবার রাতেই ইতিমধ্যেই পাকিস্তানের সাতটি বড় শহরে হামলা চালিয়েছে ভারত। তালিকায় রয়েছে সেদেশের রাজধানী ইসলামাবাদও। এতেই ভয়ে কম্পিত পাক প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরিফ (Shehbaz Sharif)। একাধিক সংবাদমাধ্যমের দাবি, ভারতের হামলার জেরে তিনি বাঙ্কারে লুকিয়ে পড়েন বৃহস্পতিবার রাতেই।

    পালাতে গিয়ে আটক সেনা প্রধান আসিফ মুনির (Asim Munir)

    একই অবস্থা পাক (Pakistan) সেনা প্রধান আসিফ মুনিরের। সূত্রের খবর, দেশ ছেড়ে পালাতে যাওয়ার সময়ই পাক সেনা প্রধান আসিম মুনিরকে আটক করে পাক সেনা। এই আবহে অনেকেই মনে করছেন ফের একবার সেনার শাসনে যেতে পারে পাকিস্তান। জানা যাচ্ছে, পাক (India Pakistan War) সেনা প্রধান হতে যাচ্ছেন জেনারেল শাহরির শামসাদ মির্জা। একাধিক সূত্রের দাবি, ABY553 এই নম্বরের একটি বাণিজ্যিক বিমানে করেই লাহোর ছেড়ে পালাতে যান পাক সেনা প্রধান। তখনই তাঁকে আটক করা হয়। সূত্রের খবর, আসিফ মুনিরের বিরুদ্ধে দেশদ্রোহিতার অভিযোগ এনেছে পাক প্রশাসন। তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা যাবতীয় অভিযোগ পাক সামরিক গোয়েন্দা সংস্থা তদন্ত শুরু করবে বলে জানানো হয়েছে।

    পাক রাজনীতিতেও ভূমিকম্প শুরু

    বৃহস্পতিবার লাহোর, সিয়ালকোট, রাওয়ালপিন্ডি, পেশোয়ারে বিধ্বংসী হামলা চালিয়েছে ভারত (India Pakistan War)। এদিকে ভারতের শক্তিশালী এয়ার ডিফেন্স ব্যবস্থা থাকার জন্য বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা থেকে রাজস্থান, কাশ্মীর থেকে পঞ্জাবের নানা প্রান্তে ড্রোন, মিসাইল হামলার পাকিস্তানি চেষ্টা রুখে দেয় ভারত। পাকিস্তানের রাজনীতিতেও ভূমিকম্প শুরু করেছে ভারত। ভারতের একের পর এক এমন প্রত্যাঘাতে থরহরি কম্পমান পাক সরকারের। অনেকেই মনে করছেন এই আবহে পতনও হতে পারে শেহবাজ সরকারের। সন্ত্রাসবাদীদের পাঠিয়ে ভারতের সাধারণ নাগরিক হত্যা করে পার পেয়ে যাবে ভেবেছিল পাকিস্তান। কিন্তু ছেড়ে কথা বলল না ভারত। পাকিস্তানের হামলার ভয়ঙ্কর প্রত্যাঘাত (India Pakistan War) করল ভারত। বৃহস্পতিবার, নৌবাহিনীও করাচি বন্দর অভিযান করে। লাগাতার ড্রোন দিয়ে হামলা চালানো হয়।

LinkedIn
Share