Category: বিদেশ

Get updates on World News Headlines International News from the Madhyom news portal madhyom.com, West Bengal leading news portal Madhyom.com

  • Operation Sindoor: ‘‘আমাদের গুরুত্বপূর্ণ বায়ুসেনা ঘাঁটিগুলিতে হামলা করে ভারত’’, স্বীকার পাক উপপ্রধানমন্ত্রীর

    Operation Sindoor: ‘‘আমাদের গুরুত্বপূর্ণ বায়ুসেনা ঘাঁটিগুলিতে হামলা করে ভারত’’, স্বীকার পাক উপপ্রধানমন্ত্রীর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সিঁদুরে (Operation Sindoor) মেঘ দেখেছিল পাকিস্তান। শাহবাজ শরিফের পর ইশাক দার। পাক প্রধানমন্ত্রীর পর উপপ্রধানমন্ত্রীও মেনে নিলেন ভারতের হামলায় (India-Pakistan Conflict) ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল পাকিস্তানের একাধিক বায়ুসেনা ঘাঁটি। সেদেশের সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলার সময় তিনি পরিষ্কার স্বীকার করেছেন তাঁদের দুই গুরুত্বপূর্ণ বায়ুসেনা ঘাঁটি, রাওয়ালপিন্ডির নুর খান এয়ারবেস এবং শোরকোট বিপর্যস্ত হয়েছে অপারেশন সিঁদুরের ধাক্কায়। এর আগে পাকিস্তানের সেনা ও সরকার নয়াদিল্লির প্রত্যাঘাতকে প্রকাশ্যে মানতে চাননি।

    সৌদি যুবরাজের ফোন

    গত ২২ এপ্রিল জম্মু ও কাশ্মীরের পহেলগাঁওয়ে জঙ্গি হামলায় ২৬ জন সাধারণ নাগরিক নিহত হওয়ার পর অপারেশন সিঁদুর (Operation Sindoor) অভিযান চালিয়েছিল ভারত। জিও নিউজকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে ইশাক দার সেই অভিযানের ক্ষয়ক্ষতির তথ্য দেন। অতীতে পাকিস্তানের সরকার ও সেনাবাহিনী বারবার এই হামলার ফলে ক্ষয়ক্ষতির কথা অস্বীকার করে আসছিল। এই আবহে পাক উপপ্রধানমন্ত্রী বলেন, পাকিস্তানও ভারতকে (India-Pakistan Conflict) জবাব দেওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছিল। কিন্তু তার আগেই ভারত আঘাত হানে। পাশাপাশি তিনি এও জানিয়েছেন, ভারতের হানার ৪৫ মিনিটের মধ্যেই সৌদি যুবরাজ ফয়সল বিন সলমন নাকি ফোন করে তাঁকে জিজ্ঞেস করেন, ‘‘আমি কি জয়শঙ্করকে বলব পাকিস্তান থেমে যেতে চাইছে?” সৌদি আরবও যে নীরবে ভারত-পাক সংঘর্ষ থামাতে চেষ্টা করেছিল, সেটাই ফুটে উঠেছে পাক উপপ্রধানমন্ত্রীর দাবিতে।

    ট্রাম্পের দাবি খারিজ

    মে মাসের শেষদিকে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ আজারবাইজানে এক অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখার সময় বলেন, ভারতের ব্রহ্মস মিসাইলে বিপর্যস্ত হয়েছিল পাক বায়ুসেনা ঘাঁটি। যার মধ্যে ছিল রাওয়ালপিন্ডি বিমানবন্দর। তাঁকেও বলতে শোনা গিয়েছিল, পাকিস্তান সেদিন সকালে হামলার মতলব কষেছিল। কিন্তু তাদের হতভম্ব করে ভোর রাতে আগেই হামলা চালিয়ে পাকিস্তানের সব রণকৌশল ব্যর্থ করে দিয়েছিল নয়াদিল্লি। এবার সেই একই কথা বললেন ইশাক দারও। অর্থাৎ, ভারতের প্রত্যাঘাতে সিঁটিয়ে গিয়েছিল পাকিস্তান। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বারবার দাবি করেছেন, তিনি ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে যুদ্ধবিরতির মধ্যস্থতা করেছেন। তবে ভারত প্রতিবারই তাঁর দাবি প্রত্যাখ্যান করেছে। ট্রাম্পের দাবি যে ঠিক নয় তা-ও ফুটে উঠল পাক উপপ্রধানমন্ত্রীর কথায়। ইশাক দার বলেন, ‘‘সৌদি প্রিন্স ফয়সল বিন সলমন আমাকে ফোন করে জিজ্ঞাসা করেছিলেন যে তিনি জয়শঙ্করের সঙ্গে কথা বলতে পারেন কিনা। তিনি জয়শঙ্করকে ফোন করে জানান, পাকিস্তান সংঘাত (India-Pakistan Conflict) থামতে প্রস্তুত।” তখন দিল্লি জানিয়েছিল, পাকিস্তান যদি সংঘাত বন্ধ করতে চায়, তাহলে তাদের সরাসরি ভারতের সঙ্গে কথা বলতে হবে। সেই মতো এরপরই সামরিক চ্যানেলে পাকিস্তানের তরফ থেকে ভারতের কাছে সংঘাত বন্ধের আবেদন জানানো হয়েছিল। আর তাতে সাড়া দিয়েই ভারত হামলা বন্ধ করেছিল।

  • Mossad: গোপন অভিযানে মোসাদ হাতিয়ে নেয় পরমাণু বোমা সংক্রান্ত ৫০০ কেজির নথি, টেরও পায়নি ইরান

    Mossad: গোপন অভিযানে মোসাদ হাতিয়ে নেয় পরমাণু বোমা সংক্রান্ত ৫০০ কেজির নথি, টেরও পায়নি ইরান

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গত ১৩ জুন ইরানের বিরুদ্ধে হামলা শুরু করে ইজরায়েল। ইরানের ১০০টিরও বেশি স্থানে বিমান ও ড্রোন হামলা চালায় ইহুদি দেশটি। এর পরমাণু কেন্দ্র, সামরিক কেন্দ্র এবং গোয়েন্দা পরিকাঠামোগুলিতে বড় আঘাত হানে তারা (Nuclear Blueprints)। এখনও পর্যন্ত ইজরায়েলি হানায় ২২৪ জন ইরানির মৃত্যু হয়েছে বলে সরকারি সূত্র দাবি করছে। কিন্তু ইজরায়েল-ইরান এই যুদ্ধ রাতারাতি শুরু হয়নি। এর বীজ বহু বছর আগে থেকেই পোঁতা শুরু হয়েছিল ইজরায়েল। ২০১৮ সালের ৩১ জানুয়ারির রাতে ইজরায়েলের গুপ্তচর সংস্থা মোসাদ-এর এজেন্টরা ছোট্ট দলে গঠন করে ইরানের রাজধানী দক্ষিণ তেহরানের একটি গুদামে প্রবেশ করে। নিরাপত্তা রক্ষী আসার আগেই অপারেশন শুরু করে ইজরায়েলের গুপ্তচর সংস্থা। তখন তাদের হাতে সময় ছিল ৬ ঘণ্টা ২৯ মিনিট। এক বছর ধরে ওই গুদামের নজরদারি চালায় মোসাদ (Mossad)। তারপরে তারা এমন সিদ্ধান্ত নেয় যাতে নির্ধারণ করা যায়, কতটা সময় পাবে ওই গুদামে ঢোকার জন্য।

    হাতানো হয় ব্লু-প্রিন্ট, প্রযুক্তিগত নকশা, মানচিত্র

    ইজরায়েলের গুপ্তচর সংস্থার (Mossad) এখান থেকে হাতিয়ে নেয় ব্লু-প্রিন্ট, প্রযুক্তিগত নকশা, মানচিত্র, পরিকল্পনা নিয়ে লেখা অনেক নথি ছিল। এই সবই ইরান দীর্ঘদিন ধরে ব্যবহার করে আসছিল এবং এগুলো ছিল ইরানের পরমাণু অস্ত্রের সম্পর্কিত। জানা যায়, এরপরে মোসাদের এজেন্টরা অত্যন্ত গোপনে সেই গুদাম ত্যাগ করে (Nuclear Blueprints)। তারা এমন টর্চ ব্যবহার করে যাতে কারও নজরে না আসে। এভাবেই তারা ইরানের বোমার নকশা হাতিয়ে নেয়। পরে জানা যায়, যে পরিমাণ উপাদান তারা সেই গুদাম থেকে নিয়ে এসেছিল, তার ওজন হয় ৫০০ কেজি।

    নিরাপত্তারক্ষীরা এসে দেখে চুরি গিয়েছে নথি (Mossad)

    প্রসঙ্গত, ওই গুদামের ছিল কঠোর নিরাপত্তা। রক্ষীরা কীভাবে কাজ করবে, কতক্ষণ ডিউটি করবে, কীভাবে নজরদারি চালাবে—তা সূক্ষ্মভাবে দেখভাল করা হতো প্রতিদিন। এছাড়াও সেখানে ছিল অ্যালার্ম সিস্টেম—অর্থাৎ, অবাঞ্ছিত কেউ ঢুকে পড়লে গোটা গুদাম জুড়ে শুরু হয়ে যেত অ্যালার্ম। কিন্তু ইজরায়েলের সিক্রেট সার্ভিস তা অকেজো করতে সক্ষম হয়। ইজরায়েলের সিক্রেট সার্ভিসের এই অভিযান বাস্তবিকপক্ষে কোনও সিনেমার থেকে কম কিছু নয়। সকাল পর্যন্ত মোসাদের চুরি ধরতেই পারেনি ইরানের সরকার। এর পরে, যখন প্রহরী বা নিরাপত্তারক্ষী এসে দেখে যে দরজা ভাঙা এবং সমস্ত কিছু খালি অবস্থায় পড়ে রয়েছে, তখন তারা বুঝতে পারে যে চুরি হয়েছে।

    মঞ্চে দাঁড়িয়ে নথি প্রকাশ করেন ইজরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু

    এই ঘটনার ঠিক একেবারে তিন মাস পরে ইজরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু মঞ্চে ওঠেন বক্তব্য রাখতে। তখনই তিনি একটি কালো ফোল্ডার এবং ডিস্কের স্তূপ নিয়ে ওঠেন এবং সেখানেই তিনি ঘোষণা করেন মোসাদের এই সাফল্যের কথা। তিনি অভিযোগ করেন, ইরান বিশ্বের কাছে মিথ্যা কথা বলেছে, তারা পরমাণু অস্ত্র নিয়ে কারবার করছে এবং পরমাণু অস্ত্র নিয়ে অনেক কর্মসূচিও গ্রহণ করেছে। তবে ইজরায়েলের প্রধানমন্ত্রীর পাল্টা বক্তব্য হিসেবে ইরান, নেতানিয়াহুর দেখানো সেই আর্কাইভকে জাল বলে উড়িয়ে দেয়।

  • Donald Trump: “ওরা দুজনই পরমাণু শক্তিধর দেশ, সংঘর্ষ বিরতির সিদ্ধান্ত নিয়েছে ওরাই”! ভোল বদল ট্রাম্পের

    Donald Trump: “ওরা দুজনই পরমাণু শক্তিধর দেশ, সংঘর্ষ বিরতির সিদ্ধান্ত নিয়েছে ওরাই”! ভোল বদল ট্রাম্পের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “ওরা দুজনই পরমাণু শক্তিধর দেশ। সংঘর্ষ বিরতির সিদ্ধান্ত ওরাই নিয়েছে।” ঠিক এই ভাষাতেই ভারত-পাকিস্তানকে সংঘর্ষ বিরতির (India Pakistan Ceasefire) ক্রেডিট দিলেন ৪৭তম মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প (Donald Trump)। মঙ্গলবার পর্যন্তও ভারত-পাক সংঘর্ষ বিরতির ক্রেডিট নিজেকেই দিচ্ছিলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। বুধবার তিনি ফোনে প্রায় ৩৫ মিনিট ধরে কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে। সেই সময় মোদি সাফ জানিয়ে দিয়েছিলেন, দ্বন্দ্ব মিটিয়ে নিয়েছে ভারত-পাকিস্তান নিজেরাই। তৃতীয় কোনও পক্ষকে হস্তক্ষেপ করতে হয়নি। তার পর এদিন প্রায় ১৮০ ডিগ্রি ঘুরে গিয়ে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জানিয়ে দিলেন, ওরা পরমাণু শক্তিধর দেশ। সংঘর্ষ বিরতির সিদ্ধান্ত ওরাই নিয়েছে।

    ট্রাম্পের বক্তব্য (Donald Trump)

    বুধবার হোয়াইট হাউসে পাক সেনাপ্রাধন আসিম মুনিরের সঙ্গে মধ্যাহ্নভোজ সারেন ট্রাম্প। ‘পাকিস্তানকে ভালোবাসি’ বলেও মন্তব্য করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। এহেন আবহেই সুর বদলে ফেললেন মিস্টার প্রেসিডেন্ট। মধ্যাহ্নভোজ শেষে ট্রাম্প বলেন, “আমি ওঁকে (মুনিরকে) ধন্যবাদ জানাতে চাই। কারণ ওঁরা যুদ্ধের পথে হাঁটেননি। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকেও ধন্যবাদ জানাতে চাই। ভারতের সঙ্গে আমরা বাণিজ্যিক চুক্তি করছি। পাকিস্তানের সঙ্গেও বাণিজ্যিক চুক্তি নিয়ে কাজ চলছে।” তিনি বলেন, “কয়েক সপ্তাহ আগেই মোদির সঙ্গে দেখা হয়েছিল। কথাও হয়েছে। আমি খুব খুশি যে, দুই স্মার্ট ব্যক্তি যুদ্ধের পথে হাঁটেননি। উভয় দেশের নেতারা খুবই বিচক্ষণ। সময়ে যুদ্ধ থামিয়েছে। পরমাণু যুদ্ধ হতে পারত। কারণ দুটিই পরমাণু শক্তিধর দেশ। ওরাই সিদ্ধান্ত নিল।”

    ‘অপারেশন সিঁদুর’

    দক্ষিণ কাশ্মীরের পহেলগাঁও হত্যাকাণ্ডের জেরে পাকিস্তান এবং পাক অধিকৃত কাশ্মীরে ‘অপারেশন সিঁদুর’ চালায় ভারত। তার জেরে কার্যত লেজেগোবরে দশা হয় ইসলামাবাদের (Donald Trump)। তার পরেই ভারতকে যুদ্ধ বিরতির প্রস্তাব দেয় পাকিস্তান। সেই প্রস্তাবে সাড়া দেয় ভারত। স্থগিত রাখা হয় ‘অপারেশন সিঁদুর’। ভারত ও পাকিস্তানের তরফে এই যুদ্ধবিরতি (India Pakistan Ceasefire) ঘোষণা হওয়ার পর থেকে ট্রাম্প বারংবার বলতে থাকেন, দুই দেশের মধ্যে উত্তেজনা প্রশমিত করার কৃতিত্ব তাঁরই। তিনি দাবি করেছিলেন, তিনি উভয় পক্ষের সঙ্গে অনেক বাণিজ্য করার প্রতিশ্রুতি দিয়ে এই শান্তি স্থাপন করেছেন। পাক সেনাপ্রধানের সঙ্গে সাক্ষাৎকারের পর বস্তুত ঢোক গিললেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। জানিয়ে দিলেন, সংঘর্ষ বিরতির সিদ্ধান্ত ওরাই (ভারত-পাকিস্তান) নিয়েছে (Donald Trump)।

  • Pakistan: ইরানের পিঠে ছুরি মারতে কি গোপনে আমেরিকাকে সাহায্য করছে পাকিস্তান?

    Pakistan: ইরানের পিঠে ছুরি মারতে কি গোপনে আমেরিকাকে সাহায্য করছে পাকিস্তান?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ইজরায়েল-ইরান যুদ্ধে ইসলামিক রাষ্ট্র ইরানকে সমর্থন করেছে আরও এক মুসলিম রাষ্ট্র পাকিস্তান (Pakistan)। আপাতদৃষ্টিতে বিষয়টি খুবই স্বাভাবিক বলে মনে হলেও, আদতে তা নয় বলেই (Viral Posts) দাবি সোশ্যাল মাধ্যমে একাধিক ভাইরাল হওয়া পোস্টে। এই পোস্টে দাবি করা হয়েছে, ইজরায়েলের বিরুদ্ধে ইরানের পাশে দাঁড়ালেও, আসলে গোপনে বন্ধু ইরানকে পিছন থেকে ছুরি মারতে চায় ইসলামাবাদ! ভাইরাল হওয়া কোনও কোনও পোস্টে দাবি করা হয়েছে, পাকিস্তান আসলে আমেরিকাকে সাহায্য করছে ইরানের ওপর নজরদারি চালিয়ে।  এ নিয়ে কিছু প্রমাণও দেখানো হয়েছে। ওই সব পোস্টের বক্তব্য, ইজরায়েলি হামলার বিষয়ে প্রাথমিকভাবে ইরানকে সমর্থন করার পর পাকিস্তান ছুরি মেরেছে ইরানের পিঠে।

    ইউজারের পোস্ট (Pakistan)

    এক্স হ্যান্ডেলে এক ইউজার একটি পোস্টে বলেছেন, পাকিস্তান যুক্তরাষ্ট্রের ব্যাটেলফিল্ড এয়ারবোর্ন কমিউনিকেশনস নোড ব্যবহার করে ইরানের ওপর গুপ্তচরবৃত্তি করতে দিচ্ছে। ভাইরাল হওয়া পোস্টগুলির একটিতে, ফ্লাইটরাডার২৪-এ বিএসিএম ১১-৯০০১ বিমানটি দেখা যাওয়ার একটি স্ক্রিনশটও শেয়ার করা হয়েছে। তাদের পরামর্শ, সোমবার ইজরায়েলি হামলার জন্য ইরানের রাষ্ট্রীয় সম্প্রচার কেন্দ্র আইআরআইসি-র তেহরানে অবস্থিত সদর দফতরের স্থানাঙ্ক পাকিস্তানের সহায়তায় সরবরাহ করা হয়েছে ইজরায়েলিদের। তবে এ বিষয়ে এখনও পর্যন্ত কোনও সরকারের তরফে কোনও নিশ্চয়তা মেলেনি। ব্যাটলফিল্ড এয়ারবোর্ন কমিউনিকেশনস নোডকে একটি উড়ন্ত গেটওয়ে হিসেবে বিবেচনা করা হয়। ফোরকাস্ট ইন্টারন্যাশনালের একটি প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বিএসিএন হল একটি সামনের সারির বিমানে রাখা যোগাযোগ পুনঃপ্রেরণ এবং নেটওয়ার্ক-কেন্দ্রিক তথ্য বিনিময়ের মাধ্যম, যা বহু সামরিক, সরকারি ও বেসরকারি যোগাযোগ ব্যবস্থার মধ্যে সংযোগ স্থাপন করে (Pakistan)।

    ইরানের পিঠে ছুরি!

    পাকিস্তান ইরানের পিঠে ছুরি মারতে পারে এমন কিছু ভাইরাল পোস্ট সামনে এল ঠিক সেই সময়, যখন পাকিস্তানের সেনাবাহিনীর প্রধান জেনারেল আসিম মুনির মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের রাজধানী ওয়াশিংটনে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে সাক্ষাৎ করার কথা। মুনির বর্তমানে পাঁচ দিনের সফরে আমেরিকায় রয়েছেন। তাঁর মূল লক্ষ্য হল, দুই দেশের মধ্যে সামরিক ও কৌশলগত সম্পর্ক আরও দৃঢ় করা। এই সফরে মুনিরকে আমেরিকায় পড়তে হয়েছে বিক্ষোভের মুখে। পাক নাগরিক এবং প্রবাসী পাকিস্তানিদের একটা অংশ তাঁকে ঘিরে বিক্ষোভ দেখান (Viral Posts)। মুনির “পাকিস্তানের অপরাধী স্বৈরাচার” ও “ফ্যাসিবাদের সমর্থক” বলেও স্লোগান দেন তাঁরা। মুনিরকে “গণহত্যাকারী” বলেও দেগে দেন বিক্ষোভকারীরা।

    মুনিরকে ঘিরে বিক্ষোভ

    পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফের অফিসিয়াল এক্স হ্যান্ডেলে করা একটি পোস্টে বলা হয়, “ওয়াশিংটন ডিসিতে বসবাসকারী পাকিস্তানি-আমেরিকানরা ফোর সিজনস হোটেলের বাইরে বিক্ষোভ দেখিয়েছেন, জেনারেল আসিম মুনিরকে স্মরণ করিয়ে দিচ্ছেন পাকিস্তানের জনগণের বিরুদ্ধে তাঁর করা অপরাধের কথা (Pakistan)।” প্রসঙ্গত, এর আগে এই সপ্তাহেই ইরানের শীর্ষ সামরিক কর্তা জেনারেল মোহসেন রেজায়ী এক সাক্ষাৎকারে বলেন, “যদি ইজরায়েল ইরানের ওপর পারমাণবিক হামলা চালায়, তাহলে পাকিস্তান ইজরায়েলের বিরুদ্ধে পাল্টা পারমাণবিক হামলা চালাবে। এই মন্তব্যের পর পাকিস্তান অবশ্য দ্রুত তা অস্বীকার করে এবং জানিয়ে দেয়, তারা এরকম কোনও প্রতিশ্রুতি ইরানকে দেয়নি।

    পাকিস্তানের বক্তব্য

    ইসলামিক রেভল্যুশনারি গার্ড কোরের এক সিনিয়র অফিসার এবং ইরানের জাতীয় নিরাপত্তা পরিষদের এক সদস্য বলেন, “ইজরায়েল যদি ইরানের ওপর পারমাণবিক বোমা ব্যবহার করে, তাহলে পাকিস্তান ইজরায়েলের ওপর পারমাণবিক হামলা চালাবে — এমন আশ্বাস আমাদের দিয়েছে পাকিস্তান।” যদিও এই দাবি নাকচ করে দিয়েছে ইসলামাবাদ। পাকিস্তানের প্রতিরক্ষামন্ত্রী খাওয়াজা মহম্মদ আসিফ বলেন, এমন কোনও প্রতিশ্রুতি তারা দেয়নি। এক্স হ্যান্ডেলে তিনি লেখেন, “আমাদের পারমাণবিক সক্ষমতা আমাদের জনগণের কল্যাণ এবং দেশের প্রতিরক্ষার জন্য, শত্রুদের শত্রুতামূলক পরিকল্পনার বিরুদ্ধে (Viral Posts)। আমাদের প্রতিবেশীদের বিরুদ্ধে আধিপত্য বিস্তারের কোনও নীতি নেই, যা ইজরায়েল বর্তমানে স্পষ্টভাবে প্রদর্শন করছে (Pakistan)।”

    ইরান-পাকিস্তান সম্পর্ক

    প্রসঙ্গত, দক্ষিণ-পশ্চিমের বালুচিস্তান প্রদেশে ৯০৫ কিলোমিটার সীমান্ত রয়েছে ইরান-পাকিস্তানের। গত বছরের জানুয়ারি মাসে সেই বালুচিস্তান সীমান্তেই সংঘর্ষে জড়িয়ে ছিল ইরান ও পাকিস্তান। ওই প্রদেশে বিচ্ছিন্নতাবাদী সংগঠন জইশ-আল-আদেলের ঘাঁটি রয়েছে বলে দাবি করে মিসাইল ছুড়েছিল ইরান। পাকিস্তানও পাল্টা মিসাইল ছোড়ে ইরানে। যদিও ইরানে বালুচ বিদ্রোহীদের ঘাঁটিতে হামলা চালানো হয়েছে বলেই সেই সময় দাবি করেছিল ইসলামাবাদ।

    ভূ-রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের একাংশের মতে, ইরান-ইজরায়েলের সম্প্রতিক বিবাদে মূলত বালুচিস্তান নিয়েই শঙ্কিত পাকিস্তান। এমনিতেই সেখানে বালুচ বিদ্রোহীদের কার্যকলাপ নিয়ে চিন্তা রয়েছে পাকিস্তানের। তার ওপর যদি প্রাণ বাঁচাতে ইরান থেকে বহু মানুষ দলে দলে সেখানে ভিড় করে, সে ক্ষেত্রে পরিস্থিতি আরও ঘোরালো হতে পারে আঁচ করে তড়িঘড়ি সীমান্ত বন্ধ করে দিয়েছে পাকিস্তান (Viral Posts)। আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশেষজ্ঞদের মতে, ইজরায়েলের পাশে দাঁড়িয়েছে আমেরিকা। তাই আমেরিকাকে চটানো পাকিস্তানের পক্ষে সম্ভব নয় (Pakistan)।

    অতএব, …

  • Khalistani Extremists: কানাডা এখন ভারত-বিরোধী উপাদানের নিরাপদ আশ্রয়, অবশেষে কবুল সেদেশের গোয়েন্দা সংস্থার

    Khalistani Extremists: কানাডা এখন ভারত-বিরোধী উপাদানের নিরাপদ আশ্রয়, অবশেষে কবুল সেদেশের গোয়েন্দা সংস্থার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শেষমেশ ভারতের দাবিকেই মান্যতা দিল কানাডার (Canada) নিজস্ব গোয়েন্দা সংস্থা। নয়াদিল্লি দীর্ঘদিন ধরেই দাবি করে আসছিল, কানাডা এখন ভারতবিরোধী উপাদানের জন্য একটি নিরাপদ আশ্রয়ে পরিণত হয়েছে। কানাডার শীর্ষ গোয়েন্দা সংস্থা কানাডিয়ান সিকিউরিটি ইন্টেলিজেন্স সার্ভিস (CSIS) প্রথমবারের মতো আনুষ্ঠানিকভাবে নিশ্চিত করেছে যে ভারতকে লক্ষ্য করে হিংসাত্মক কার্যকলাপের প্রচার, তহবিল সংগ্রহ এবং পরিকল্পনার জন্য কানাডার মাটি ব্যবহার করছে খালিস্তানপন্থী চরমপন্থীরা (Khalistani Extremists)। রিপোর্টে স্পষ্ট বলা হয়েছে, “খালিস্তানপন্থী চরমপন্থীরা এখনও কানাডাকে একটি ঘাঁটি হিসেবে ব্যবহার করছে হিংসার প্রচার, অর্থ সংগ্রহ এবং পরিকল্পনার জন্য, যার প্রধান লক্ষ্য হল ভারত।”

    নয়াদিল্লির অভিযোগ (Khalistani Extremists)

    সিএসআইএসের ২০২৪ সালের বার্ষিক প্রতিবেদনেই এই তথ্য প্রকাশ পেয়েছে। কানাডার এই প্রতিবেদন ভারতের দীর্ঘদিনের অভিযোগকে সমর্থন করে। নয়াদিল্লির অভিযোগ, কানাডা থেকে পরিচালিত খালিস্তানপন্থী গোষ্ঠীগুলির উপস্থিতি ও কার্যকলাপ ভারতবিরোধী। রিপোর্টে জানা গিয়েছে, “১৯৮০-এর দশকের মাঝামাঝি থেকে কানাডায় রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত হিংসাত্মক উগ্রপন্থীদের (PMVE) হুমকি প্রধানত কানাডা-ভিত্তিক খালিস্তানি উগ্রপন্থীদের (CBKEs) মাধ্যমেই দেখা যাচ্ছে, যারা ভারতের পাঞ্জাব অঞ্চলের মধ্যে একটি স্বাধীন রাষ্ট্র ‘খালিস্তান’ গঠনের লক্ষ্যে হিংসাত্মক উপায় অবলম্বন ও সমর্থন করে চলেছে।”

    সিএসআইএসের প্রতিবেদন

    সিএসআইএসের প্রতিবেদনে কানাডাভিত্তিক খালিস্তানপন্থী চরমপন্থীদের একটি ছোট গোষ্ঠীর কথা বলা হয়েছে, যারা এখনও তাদের লক্ষ্য পূরণে হিংসার পথ অবলম্বন করে চলেছে। রিপোর্টে বলা হয়েছে, “একটি ছোট গোষ্ঠীর মানুষকে খালিস্তানপন্থী চরমপন্থী হিসেবে বিবেচনা করা হয়। কারণ তারা এখনও কানাডাকে ভিত্তি হিসেবে ব্যবহার করছে ভারতের বিরুদ্ধে হিংসাত্মক প্রচার এবং অর্থসংগ্রহের জন্য। বিশেষভাবে, কানাডা থেকে উদ্ভূত প্রকৃত ও কল্পিত খালিস্তানপন্থী চরমপন্থীরা ভারতে বিদেশি হস্তক্ষেপ কার্যকলাপকে কানাডা থেকে পরিচালিত করে চলেছে।” রিপোর্টে এও বলা হয়েছে, হিংসায় বিশ্বাসী এই গোষ্ঠীগুলি কানাডাকে নিরাপদ আশ্রয় হিসেবে ব্যবহার করে ভারতে হামলার পরিকল্পনা ও প্রচার করে চলেছে।

    কানাডার গোয়েন্দা সংস্থার ‘স্বীকারোক্তি’

    বস্তুত, কানাডার গোয়েন্দা সংস্থার এই ‘স্বীকারোক্তি’ এমন একটা সময়ে এসেছে, যখন নয়াদিল্লি ও অটোয়ার মধ্যে কূটনৈতিক উত্তেজনা চরমে, বিশেষ করে ২০২৩ সালে ব্রিটিশ কলাম্বিয়ায় খালিস্তানপন্থী জঙ্গি (Canada) হরদীপ সিং নিজ্জরের হত্যাকাণ্ডের পর থেকে (Khalistani Extremists)। কানাডা প্রশাসন এই হত্যাকাণ্ডের জন্য ভারত সরকারের হস্তক্ষেপকে দায়ী করেছে। যদিও নয়াদিল্লি তা অস্বীকার করে সাফ জানিয়ে দিয়েছে, কানাডার দাবি অযৌক্তিক। কানাডার বিরুদ্ধে ভারত-বিরোধী গোষ্ঠীগুলিকে আশ্রয় দেওয়ার অভিযোগও তুলেছে নয়াদিল্লি। সিএসআইএসের প্রতিবেদনে আরও উল্লেখ করা হয়েছে, ভারত সরকার খালিস্তানপন্থীদের আন্দোলন দমন করতে বিদেশে হস্তক্ষেপমূলক কার্যকলাপ চালাচ্ছে, যার মধ্যে রয়েছে উত্তর আমেরিকায় কিছু ব্যক্তিকে টার্গেট করাও।

    কানাডা সফরে প্রধানমন্ত্রী মোদি

    সম্প্রতি দু’দিনের জন্য কানাডা সফরে গিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। উদ্দেশ্য, জি৭ সম্মেলনে যোগ দেওয়া। এবার এই সম্মেলনের আয়োজন করেছিল কানাডা। সে দেশের প্রধানমন্ত্রী মার্ক কার্নি স্বয়ং আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন ভারতের প্রধানমন্ত্রীকে। সেই সম্মেলনেই যোগ দিতে কানাডায় গিয়েছিলেন মোদি। সেখানে দুই দেশের দুই প্রধানমন্ত্রীর বৈঠক হয়। এই বৈঠকের সময়ই ফাঁস হয়ে যায় কানাডিয়ান গোয়েন্দা সংস্থার রিপোর্ট। যার জেরে অস্বস্তিতে পড়েন কার্নি। মুখের হাসি চওড়া হয় মোদির (Khalistani Extremists)। জানা গিয়েছে, দুই প্রধানমন্ত্রীই নয়া হাইকমিশনার নিয়োগ ও বাণিজ্য আলোচনা ফের শুরুর মাধ্যমে কূটনৈতিক সম্পর্ক পুনঃপ্রতিষ্ঠা করতে রাজি হন। ওয়াকিবহাল মহলের মতে, এর ফলে ভারত-কানাডা তলানিতে ঠেকে যাওয়া সম্পর্ক ফের মজবুত হতে পারে।

    ভারতের প্রাসঙ্গিকতা 

    শিখ অধিকারকর্মী ও কিছু কানাডীয় সাংসদের সমালোচনার মধ্যে প্রধানমন্ত্রী মোদিকে আমন্ত্রণ জানানোর সিদ্ধান্তকে সমর্থন করে কার্নি বলেন, “ভারতের বৈশ্বিক অর্থনৈতিক গুরুত্ব ও গঠনমূলক সংলাপের প্রয়োজনীয়তা অস্বীকার করা যায় না (Canada)।” সিএসআইএসের প্রতিবেদনে এও জানানো হয়েছে, চরমপন্থী খালিস্তানপন্থীরা কানাডার জাতীয় নিরাপত্তার ওপর বড় ধরনের হুমকি সৃষ্টি করছে। যদিও ২০২৪ সালে কানাডার মাটিতে কোনও খালিস্তানপন্থী চরমপন্থী হামলার ঘটনা ঘটেনি, তবুও বিদেশে এসব গোষ্ঠীর হিংসাত্মক কার্যকলাপে যুক্ত থাকা কানাডিয়ান নিরাপত্তা সংস্থাগুলির জন্য একটি উদ্বেগের বিষয় হয়ে রয়ে গিয়েছে (Khalistani Extremists)।

    খালিস্তানপন্থী চরমপন্থী সংগঠন

    প্রসঙ্গত, এই মুহূর্তে কানাডার মাটিতে ঘাঁটি গেড়ে রয়েছে প্রায় ৫টি খালিস্তানপন্থী চরমপন্থী সংগঠন। কানাডার মাটি থেকেই তারা চালিয়ে যাচ্ছে ভারত বিরোধী নানা কার্যকলাপ। কানাডায় একাধিক মন্দিরে ভারত বিরোধী স্লোগানও লিখেছিল খালিস্তানপন্থীরা। সে দেশে বসবাসকারী হিন্দুদের ভারতে ফিরে যেতেও বলেছিল খালিস্তানপন্থীরা। প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো জমানায় এদের নিয়ন্ত্রণ করা যায়নি (Canada)।

    এখন দেখার, কার্নি এদের মুখে লাগাম পরাতে পারেন কি না (Khalistani Extremists)!

  • PM Modi in Croatia: দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কে নতুন অধ্যায়ের সূচনা, প্রধানমন্ত্রী মোদির ঐতিহাসিক ক্রোয়েশিয়া সফরে চার-চুক্তি

    PM Modi in Croatia: দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কে নতুন অধ্যায়ের সূচনা, প্রধানমন্ত্রী মোদির ঐতিহাসিক ক্রোয়েশিয়া সফরে চার-চুক্তি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ইউরোপ হোক বা এশিয়া— সংঘর্ষের সমাধান যুদ্ধক্ষেত্রে নয়, সংলাপ ও কূটনীতির মাধ্যমেই হওয়া উচিত। ক্রোয়েশিয়ায় (PM Modi in Croatia) ফের একবার শান্তির পক্ষে সওয়াল করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। একইসঙ্গে দেশের সার্বভৌমত্ব ও ভৌগোলিক অখণ্ডতার প্রতি ভারতের অবিচল অবস্থানের কথাও তুলে ধরেন তিনি। পূর্ব নির্ধারিত সূচি অনুযায়ী সাইপ্রাস, কানাডার পর ক্রোয়েশিয়া সফরে যান প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। মধ্য ও দক্ষিণ-পূর্ব ইউরোপের এই গুরুত্বপূর্ণ দেশে মোদির সফর ছিল কর্মব্যস্ত ও তাৎপর্যপূর্ণ, যা ভারত-ক্রোয়েশিয়া সম্পর্ককে এক নতুন উচ্চতায় নিয়ে গিয়েছে।

    মোদিকে উষ্ণ অভ্যর্থনা

    বুধবার ক্রোয়েশিয়ার জাগরেবে তাঁকে উষ্ণ অভ্যর্থনা জানানো হয়। এই দেশে মোদি (PM Modi in Croatia) প্রথম ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী হিসেবে পা রাখলেন। ঐতিহাসিক এই মুহূর্তে তাঁকে অভ্যর্থনা জানানোর জন্য বিশেষ ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছিল। বিমানবন্দরে মোদিকে স্বাগত জানান ক্রোয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী আন্দ্রেজ প্লেনকোভিচ (Andrej Plenkovic)। অপারেশন সিঁদুরের পর এই প্রথম ত্রিদেশীয় সফর করলেন প্রধানমন্ত্রী মোদি। ক্রোয়েশিয়া সফর তাঁর তালিকায় আগে থেকেই ছিল। এই সফরে দুই দেশ একাধিক গুরুত্বপূর্ণ চুক্তিতে সই করেছে।

    ক্রোয়েশিয়ায় প্রবাসী ভারতীয়দের সঙ্গে সাক্ষাৎ

    ক্রোয়েশিয়ার প্রবাসী ভারতীয়দের সঙ্গেও দেখা করেন প্রধানমন্ত্রী মোদি (PM Modi in Croatia)। এয়ারপোর্ট থেকে হোটেলে পৌঁছানোর পর, সেখানকার ভারতীয়রা “বন্দে মাতরম” এবং “ভারত মাতা কি জয়” ধ্বনি দিয়ে তাঁকে স্বাগত জানান। পাশাপাশি ঐতিহ্যবাহী ভারতীয় নৃত্যও পরিবেশন করা হয়। এদিন সাদা পোশাক পরা ক্রোয়েশিয়ান নাগরিকদের একটি দল ‘গায়ত্রী মন্ত্র’ এবং অন্যান্য সংস্কৃত শ্লোক উচ্চারণ করে প্রধানমন্ত্রী মোদিকে স্বাগত জানান। এই অনুষ্ঠান ভারত ও ক্রোয়েশিয়ার মধ্যে শক্তিশালী সাংস্কৃতিক বন্ধন তুলে ধরে। এই মুহূর্তের ভিডিওটি প্রধানমন্ত্রীর অফিসিয়াল এক্স হ্যান্ডেল থেকে শেয়ার করা হয়েছে। পোস্টে প্রধানমন্ত্রী মোদি বলেছেন, “সংস্কৃতির বন্ধন দৃঢ় এবং প্রাণবন্ত! জাগরেবে স্বাগত জানানোর একটি অংশ এখানে দিলাম। ক্রোয়েশিয়ায় ভারতীয় সংস্কৃতির এত শ্রদ্ধা দেখে খুশি হলাম।” আরেকটি পোস্টে, প্রধানমন্ত্রী মোদি জাগরেবে তাঁর উষ্ণ অভ্যর্থনার একটি সুন্দর দুই মিনিটের ভিডিও শেয়ার করেছেন। এর মধ্যে প্রাণবন্ত সাংস্কৃতিক পরিবেশনাও রয়েছে। ক্যাপশনে তিনি লিখেছেন, “জাগরেবে স্মরণীয় স্বাগত, উষ্ণতা এবং স্নেহে পরিপূর্ণ!”

    প্রধানমন্ত্রী আন্দ্রেজ প্লেনকোভিচের সঙ্গে বৈঠক

    প্রধানমন্ত্রী মোদি (PM Modi in Croatia) জাগরেবে ক্রোয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী আন্দ্রে প্লেনকোভিচের সঙ্গে প্রতিনিধি-স্তরের বৈঠক করেন। বৈঠক শেষে এক যৌথ প্রেস বিবৃতিতে উভয় নেতা বিশ্ব শান্তি, গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ এবং বাণিজ্য, প্রযুক্তি ও সংস্কৃতির ক্ষেত্রে সহযোগিতা বাড়ানোর অঙ্গীকার ব্যক্ত করেন। দুই দেশের মধ্যে বাণিজ্য ও সরবরাহ শৃঙ্খল শক্তিশালী করার পাশাপাশি, ওষুধ শিল্প, কৃষি, তথ্যপ্রযুক্তি, পরিচ্ছন্ন ও ডিজিটাল প্রযুক্তি, পুনর্নবীকরণযোগ্য শক্তি ও সেমিকন্ডাক্টরের মতো খাতে সহযোগিতা বৃদ্ধির পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। জাহাজ নির্মাণ, সাইবার নিরাপত্তা ও প্রতিরক্ষা খাতে সহযোগিতা বৃদ্ধি পাচ্ছে বলে জানান মোদি। তিনি বলেন, দুই দেশের মধ্যে একটি দীর্ঘমেয়াদী প্রতিরক্ষা সহযোগিতা পরিকল্পনা গ্রহণ করা হবে, যার আওতায় যৌথ প্রশিক্ষণ, সামরিক বিনিময় এবং শিল্প পর্যায়ের অংশীদারিত্ব থাকবে।

    সফরকালে দুই দেশের মধ্যে চারটি সমঝোতা স্মারক (MoU) স্বাক্ষরিত হয়েছে:

    কৃষি ও সংশ্লিষ্ট ক্ষেত্রে সহযোগিতা

    ২০২৬-২০৩০ সালের সাংস্কৃতিক বিনিময় কর্মসূচি

    ২০২৫-২০২৯ সালের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি ক্ষেত্রে সহযোগিতামূলক কর্মসূচি

    জাগরেব বিশ্ববিদ্যালয়ে হিন্দি চেয়ার স্থাপন

    রাষ্ট্রপতির সঙ্গে সাক্ষাৎ

    আরও একটি গুরুত্বপূর্ণ বৈঠকে, প্রধানমন্ত্রী মোদি (PM Modi in Croatia) ক্রোয়েশিয়ার রাষ্ট্রপতি জোরান মিলানোভিচের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। তাঁরা গণতন্ত্র, বহুত্ববাদ ও আন্তর্জাতিক আইনের প্রতি প্রতিশ্রুতির কথা পুনরুল্লেখ করেন এবং দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক ও আন্তর্জাতিক ফোরামগুলিতে সহযোগিতা বৃদ্ধির বিষয়ে আলোচনা করেন। প্রধানমন্ত্রী মোদি ক্রোয়েশিয়ায় যোগব্যায়ামের ক্রমবর্ধমান জনপ্রিয়তার প্রশংসা করেন এবং আশা প্রকাশ করেন যে ২১ জুন আন্তর্জাতিক যোগ দিবস যথাযোগ্য উৎসাহে পালিত হবে। সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে কড়া বার্তা দিয়ে মোদি বলেন, সন্ত্রাসবাদ মানবতার শত্রু। তিনি এপ্রিল ২২ তারিখে ভারতের পহেলগাঁওয়ে সন্ত্রাসী হামলার পর ক্রোয়েশিয়ার জনগণ ও সরকারের সহানুভূতির জন্য কৃতজ্ঞতা জানান।

    ভারত-ক্রোয়েশিয়া সম্পর্কের এক নতুন অধ্যায়ের সূচনা

    প্রধানমন্ত্রী প্লেনকোভিচ জাগরেবে প্রধানমন্ত্রী মোদির (PM Modi in Croatia) সম্মানে এক নৈশভোজের আয়োজন করেন। যা দুই দেশের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ককে এক নতুন মাত্রা দেয়। বিদায় বেলায় প্রধানমন্ত্রী মোদি ক্রোয়েশিয়ার সরকার ও জনগণের উষ্ণ আতিথেয়তার জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। তাঁর কথায়, এই সফর ভারত-ক্রোয়েশিয়া সম্পর্কের এক নতুন অধ্যায়ের সূচনা করেছে যা শান্তি, অগ্রগতি ও সমৃদ্ধির অভিন্ন লক্ষ্যে প্রতিষ্ঠিত। এই ঐতিহাসিক সফরের মাধ্যমে ভারত ও ক্রোয়েশিয়ার মধ্যে বন্ধুত্ব ও কৌশলগত অংশীদারিত্ব আরও সুদৃঢ় হয়েছে, বলে মনে করছে কৃটনৈতিক মহল।

  • Yogi Model: পাক সংসদে ‘যোগী মডেলে’র প্রশস্তি, ইসলামাবাদের হল টা কী?

    Yogi Model: পাক সংসদে ‘যোগী মডেলে’র প্রশস্তি, ইসলামাবাদের হল টা কী?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পাকিস্তানের (Pakistan) সংসদে শোনা গেল উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী বিজেপির যোগী আদিত্যনাথের মডেলের (Yogi Model) প্রশস্তি! শুনতে অবাক লাগলেও, এটাই সত্যি। যোগীর নেতৃত্বাধীন উত্তরপ্রদেশ সরকারের প্রশংসা করে পাকিস্তানের এক সাংসদের একটি ভিডিও ফুটেজ সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে। ফুটেজটিতে দেখা যাচ্ছে, পাকিস্তানের সংসদ ‘জাতীয় পরিষদে’ ভাষণ দিচ্ছেন এক সাংসদ। তিনি পাকিস্তানের ফেডারেল পরিসংখ্যানের সঙ্গে রাজ্যের (উত্তরপ্রদেশের) বাজেট এবং কর রাজস্বের তুলনা করেছেন। উভয়ের মধ্যে আর্থিক ব্যবধানও তুলে ধরেছেন। পাক সাংসদের এই ভিডিও ফুটেজ ভাইরাল হতেই ব্যাপক বিতর্ক শুরু হয় দুই দেশেই।

    পাক সাংসদের বক্তব্য (Yogi Model)

    পাকিস্তানের ওই সাংসদ সরকারি পরিসংখ্যান ব্যবহার করে দেখিয়েছেন, ভারতের একটি অঙ্গ রাজ্য উত্তরপ্রদেশ বাজেটের আকার এবং রাজস্ব সংগ্রহের দিক থেকে পাকিস্তানকে ছাড়িয়ে গিয়েছে। ভারতের সোশ্যাল মিডিয়া ইউজাররা ভিডিও ক্লিপটি প্রচার করেছেন। তাঁদের মতে, এটি মুখ্যমন্ত্রী তথা বিজেপি নেতা যোগী আদিত্যনাথের আর্থিক পদ্ধতির জনসমক্ষে সমর্থন বলে অভিহিত করেছেন। আর পাকিস্তানে এই বিবৃতিটি ফেডারেল সম্পদ কীভাবে বরাদ্দ করা হয়, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে। ভাইরাল হওয়া ক্লিপে ওই সাংসদ বলেন, “পাকিস্তানের মোট বাজেট ৬২ বিলিয়ন ডলার, অথচ উত্তরপ্রদেশের বাজেট ৯৭ বিলিয়ন ডলার।”

    ‘যোগী মডেলে’র বিরল সমর্থন

    তিনি আরও বলেন, “পাকিস্তানের মোট কর রাজস্ব ৫০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার, অথচ উত্তরপ্রদেশের কর রাজস্ব ৮০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার।” সাংসদ মনে করিয়ে দেন, পাকিস্তানের কর রাজস্ব উত্তরপ্রদেশের চেয়ে ১৬ বিলিয়ন মার্কিন ডলার কম। ভারতের অনেক সোশ্যাল মিডিয়া ইউজার একে ‘যোগী মডেলে’র (Yogi Model) এক বিরল সমর্থন হিসেবে দেখছেন। এই শব্দটি উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথের শাসনশৈলীকে বোঝাতে ব্যবহৃত হয়।

    প্রসঙ্গত, এই ক্লিপটি পাকিস্তান কীভাবে তার রাজস্ব পরিচালনা করে এবং সম্পদ বণ্টন করে, তা নিয়ে আলোচনায় নয়া মাত্রা যোগ করেছে। পাক সংসদে বর্তমানে ২০২৫-২৬ অর্থবর্ষের বাজেট নিয়ে বিতর্ক চলছে (Pakistan)। ভাইরাল মন্তব্যগুলি সেই আলোচনায় নয়া দিক উন্মোচন করেছে (Yogi Model)।

  • Jaffar Express: আবার বালোচ বিদ্রোহীদের নিশানায় জাফর এক্সপ্রেস! বিস্ফোরণে লাইনচ্যুত ট্রেনের ছ’টি বগি

    Jaffar Express: আবার বালোচ বিদ্রোহীদের নিশানায় জাফর এক্সপ্রেস! বিস্ফোরণে লাইনচ্যুত ট্রেনের ছ’টি বগি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফের তিন মাসের মধ্যে বালোচ বিদ্রোহীদের নিশানায় জাফর এক্সপ্রেস (Jaffar Express)! বালোচিস্তানের কাছে বুধবার সকালে পাকিস্তানের (Pakistan) জাকোবাবাদে ব্যাপক বিস্ফোরণের পর লাইনচ্যুত হল জাফর এক্সপ্রেসের ৬টি কামরা। খবর পেয়েই ঘটনাস্থলে পৌঁছেছে পুলিশ। পাকিস্তানের সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, কোয়েটা থেকে পেশোয়ারের দিকে যাচ্ছিল জাফর এক্সপ্রেস। ঘটনাটি ঘটে সিন্ধ প্রদেশের কাছে। দুর্ঘটনার খবর পেয়ে তড়িঘড়ি ঘটনাস্থলে উপস্থিত হন রেল আধিকারিক ও পাক সেনা। কীভাবে এই বিস্ফোরণ তার তদন্ত শুরু হয়েছে।

    কীভাবে হল?

    বালোচিস্তানের রাজধানী কোয়েটা থেকে খাইবার পাখতুনখোয়া প্রদেশের রাজধানী পেশোয়ার রেলপথে প্রায় ১৬০০ কিলোমিটার। পাকিস্তানের পাঞ্জাব প্রদেশের মধ্যে দিয়ে জাফর এক্সপ্রেস (Jaffar Express) প্রতি দিনই যাতায়াত করে। ওই ট্রেনে কোয়েটা থেকে পেশোয়ার যেতে সময় লাগে প্রায় ৩০ ঘণ্টা। জানা যাচ্ছে, এদিনও কোয়েটা থেকে পেশোয়ারের উদ্দেশে যাচ্ছিল ট্রেনটি। তখনই ঘটে এই ঘটনা। রেললাইনের পাশে একটি গরুবাজারে তীব্র বিস্ফোরণ হয়। তার অভিঘাতেই লাইনচ্যুত হয় ট্রেনটি। হতাহতের কোনও খবর মেলেনি এখনও। পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে গোটা এলাকা ঘিরে ফেলেছে। এই দুর্ঘটনার পর আপাতত ওই রুটে ট্রেন চলাচল বন্ধ রয়েছে ৷ এমনিতে স্বাধীনতার দাবিতে অশান্ত বালুচিস্তান ৷ স্বাধীনতাপন্থী সশস্ত্র বালুচ গোষ্ঠী বালুচ লিবারেশন আর্মি (বিএলএ) এর আগে মার্চে জাফর এক্সপ্রেস অপহরণ করেছিল ৷

    অতীতেও নিশানায় জাফর এক্সপ্রেস

    প্রাথমিকভাবে অনুমান করা হচ্ছে, এই ঘটনার পিছনে হাত রয়েছে বালোচ বিদ্রোহীদের। যদিও এখনও পর্যন্ত কোনও সংগঠন এই ঘটনার দায় স্বীকার করেনি। উল্লেখ্য, এই নিয়ে চলতি বছরে দ্বিতীয়বার বড় হামলা হল জাফর এক্সপ্রেসে। এর আগে গত মার্চ মাসে জাফর এক্সপ্রেস অপহরণ করে বালোচ লিবারেশন আর্মি। পাক সেনাকর্মী থেকে শুরু করে পাক গুপ্তচর সংস্থা আইএসআই ও নিরাপত্তা বাহিনীর অনেকেই ছিলেন ওই ট্রেনে। প্রায় ৫০০ যাত্রী-সহ এই ট্রেনের দখল নেয় বালোচ বিদ্রোহীরা। পণবন্দি করা হয় ট্রেনে থাকা পাক সেনাদের। পালটা বালোচদের বিরুদ্ধে অভিযান চালায় পাক সেনা। সেই ঘটনায় মৃত্যু হয় ৬৪ জনের। যার মধ্যে ছিলেন, ১৮ জন পাক সেনা ও ৩৩ জন বিদ্রোহী।

     

  • Asim Munir: ‘‘আপনি কাপুরুষ’’! আমেরিকায় ‘স্বদেশি’দের হাতেই বিক্ষোভের মুখে পাক সেনাপ্রধান আসিম মুনির

    Asim Munir: ‘‘আপনি কাপুরুষ’’! আমেরিকায় ‘স্বদেশি’দের হাতেই বিক্ষোভের মুখে পাক সেনাপ্রধান আসিম মুনির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিদেশে গিয়েও রক্ষে নেই পাকিস্তানের (Pakistan) সেনাপ্রধান জেনারেল সৈয়দ আসিম মুনিরের (Asim Munir)। পাঁচ দিনের আমেরিকা সফরে গিয়েছেন তিনি। উঠেছেন ওয়াশিংটনের একটি হোটেলে। সেখানে হাজির হন পাকিস্তানের নাগরিক এবং পাক-বংশোদ্ভূত প্রচুর মানুষ। তাঁরা পাকিস্তানে নিরবচ্ছিন্ন গণতন্ত্র ফেরানোর দাবিতে সোচ্চার হন। ওয়াশিংটনের এই বিক্ষোভের ঘটনার ভিডিও ফুটেজ ইতিমধ্যেই ভাইরাল হয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। তাতে শোনা যাচ্ছে, বিক্ষোভকারীরা স্লোগান দিচ্ছেন, ‘আসিম মুনির আপনি একজন কাপুরুষ। আপনি গণহত্যাকারী, ধিক্কার আপনাকে’। পরে ফের বিক্ষোভকারীরা স্লোগান দেন, ‘ধিক্কার আপনাকে, একনায়ক এবং পাকিস্তানিদের হত্যাকারী’। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে উত্তেজনা ছড়ায়। সেখানে উপস্থিত সরকারি প্রতিনিধিদের সঙ্গে বচসায় জড়িয়ে পড়েন বিক্ষোভকারীরা। কারণ তাঁরা তাঁদের হোটেলের বিল্ডিংয়ে ঢুকতে বাধা দিচ্ছিলেন।

    আসিম মুনির গণহত্যাকারী (Asim Munir)

    ভাইরাল হওয়া অন্য একটি ভিডিও ফুটেজে একটি মোবাইল ইলেকট্রনিক বিলবোর্ড দেখা গিয়েছে। বিল্ডিংয়ের সামনে পার্ক করে রাখা ওই বিলবোর্ডে লেখা, ‘আসিম মুনির (Asim Munir), গণহত্যাকারী’ এবং ‘যখন বন্দুক কথা বলে, তখন গণতন্ত্রের মৃত্যু হয়’। জানা গিয়েছে, যাঁরা বিক্ষোভ প্রদর্শন করেছেন, তাঁরা পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফের সমর্থক। এঁরা বরাবরই বর্তমান পাক সরকারের বিরোধিতা করে আসছেন। মুনিরের সফর সরকারিভাবে ঘোষণার আগেই ওয়াশিংটনে পাকিস্তানি দূতাবাসের বাইরে প্রতিবাদ জানিয়েছিল প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের দল।

    ওয়াশিংটনে মুনির

    রবিবার ওয়াশিংটনে পৌঁছন মুনির। উদ্দেশ্য, আমেরিকার সঙ্গে সামরিক ও কৌশলগত সম্পর্ক জোরদার করা। ‘প্রাথমিকভাবে দ্বিপাক্ষিক প্রকৃতি’র এই সফর ১৪ জুন মার্কিন সেনাবাহিনীর ২৫০তম বার্ষিকী উদযাপনের সঙ্গে সম্পর্কিত নয়। কারণ ওই দিন মুনির ওয়াশিংটনে গেলেও যোগ দেননি মিলিটারি প্যারেডের অনুষ্ঠানে। অবশ্য জল্পনা ছড়িয়েছিল শনিবার ওয়াশিংটনে মিলিটারি প্যারেডে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে পাকিস্তানের ফিল্ড মার্শালকে। যদিও সেই দাবি খারিজ করে দেয় হোয়াইট হাউস।

    প্রসঙ্গত, পহেলগাঁও হত্যাকাণ্ডের পরে পাকিস্তান ও পাক অধিকৃত কাশ্মীরে ‘অপারেশন সিঁদুর’ চালায় ভারত। ভারতের ওই অভিযানে কার্যত ল্যাজেগোবরে দশা হয় পাকিস্তানের। তা সত্ত্বেও সেনাপ্রধান জেনারেল আসিম মুনিরকে প্রমোশন দেয় শাহবাজ শরিফের সরকার (Pakistan)। তাঁকে উন্নীত করা হয় পাকিস্তানের সর্বোচ্চ সামরিক পদ ফিল্ড মার্শাল পদে (Asim Munir)।

  • PM Modi: “পাকিস্তানের বিষয়ে ভারত কখনও তৃতীয় পক্ষের মধ্যস্ততা মেনে নেবে না,” ট্রাম্পকে সাফ জানালেন মোদি

    PM Modi: “পাকিস্তানের বিষয়ে ভারত কখনও তৃতীয় পক্ষের মধ্যস্ততা মেনে নেবে না,” ট্রাম্পকে সাফ জানালেন মোদি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “পাকিস্তান সংক্রান্ত বিষয়ে ভারত কখনও তৃতীয় পক্ষের মধ্যস্ততা মেনে নেয়নি, ভবিষ্যতেও নেবে না।” মঙ্গলবার রাতে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ৪৭তম প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে (Donald Trump) ফের একবার এ কথা মনে করিয়ে দিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)। এদিন ট্রাম্পের সঙ্গে ফোনে তাঁর প্রায় ৩৫ ধরে কথোপকথন হয়। সেখানেই প্রধানমন্ত্রী তাঁকে আরও একবার স্পষ্ট করে দেন ভারতের অবস্থান।

    ভারতের পদক্ষেপ পরিমিত (PM Modi)

    চলতি বছরের ২২ এপ্রিল দক্ষিণ কাশ্মীরের পহেলগাঁওয়ে হামলা চালায় পাক মদতপুষ্ট জঙ্গিরা। বেছে বেছে হত্যা করে ২৭ জন হিন্দু পর্যটককে। তারই প্রতিক্রিয়ায় পাকিস্তান ও পাক অধিকৃত কাশ্মীরে ‘অপারেশন সিঁদুর’ চালায় ভারত। ভেঙে গুঁড়িয়ে দেওয়া হয় পড়শি দেশের একাধিক জঙ্গি ঘাঁটি। এই প্রেক্ষাপটেই এদিন কথা হয়েছে ট্রাম্প এবং মোদির। ফোনে ভারতের প্রধানমন্ত্রী মার্কিন প্রেসিডেন্টকে সাফ জানিয়ে দিয়েছেন, ‘ভারতের এই পদক্ষেপ ছিল পরিমিত, সুনির্দিষ্ট এবং উত্তেজনা বৃদ্ধিকারী নয়’।

    বিক্রম মিস্রির বক্তব্য

    বুধবার সাংবাদিক বৈঠকে বিদেশমন্ত্রকের সচিব বিক্রম মিস্রি জানান, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি দৃঢ়ভাবে জানিয়ে দিয়েছেন যে, যুদ্ধবিরতির ক্ষেত্রে আমেরিকার কোনও ভূমিকা ছিল না। তিনি বলেন, “অভিযান চলাকালীন ভারত যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে কোনও মধ্যস্থতা বা বাণিজ্য চুক্তি নিয়ে অনুরোধ করেনি বা আলোচনা করেনি। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পকে প্রধানমন্ত্রী বলেন, পাকিস্তানের গুলির জবাবে ভারত মর্টার শেল ছুড়েছে। আমরা সন্ত্রাসবিরোধী এক সক্রিয় অভিযানে রয়েছি এবং এখন সন্ত্রাসবাদকে আমরা আর ছায়াযুদ্ধ বলে মনে করি না। এটা সরাসরি যুদ্ধই।” প্রধানমন্ত্রী জানিয়ে দেন, যুদ্ধবিরতির সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল শুধুমাত্র পাকিস্তানের অনুরোধের পরেই। এই অনুরোধ করা হয়েছিল দুই দেশের মধ্যে যে সামরিক যোগাযোগ চ্যানেল রয়েছে, তার মাধ্যমে। এর পরেই তিনি সাফ জানিয়ে দেন, এই প্রক্রিয়ায় কোনও বিদেশি হস্তক্ষেপ ছিল না। প্রসঙ্গত, ভারত-পাক যুদ্ধ বিরতির পর ট্রাম্প দাবি করেছিলেন যে তাঁরই হস্তক্ষেপে যুদ্ধবিরতি হয়েছে। ওয়াকিবহাল মহলের মতে, মার্কিন প্রেসিডেন্টের এহেন দাবি যে নেহাৎই অর্থহীন, পরোক্ষভাবে ট্রাম্পকে তা বুঝিয়ে দিয়েছেন মোদি (PM Modi)।

    সন্ত্রাসবাদ নিয়ে মোদির বক্তব্য

    কানাডায় আয়োজিত জি৭ শীর্ষ সম্মেলনে যোগ দিয়েছিলেন (Donald Trump) প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। ভারত জি৭-এর সদস্য নয়। তিনি ছিলেন আমন্ত্রিত দেশের প্রতিনিধি। তাঁকে আহ্বান জানিয়েছিলেন আয়োজক দেশের প্রধানমন্ত্রী মার্ক কার্নি স্বয়ং। সেখানে সন্ত্রাসবাদ নিয়ে বক্তব্য রাখতে গিয়ে মোদির ভাষণে অবধারিতভাবে উঠে আসে পহেলগাঁও হত্যাকাণ্ডের প্রসঙ্গ। তিনি বলেন, “২২ এপ্রিল পহেলগাঁওয়ে সংঘটিত জঙ্গি হামলা শুধুমাত্র পহেলগাঁওয়ের ওপর হামলা ছিল না। এটি ছিল প্রতিটি ভারতীয়ের আত্মা, পরিচয় এবং মর্যাদার ওপর হামলা। এটি ছিল সমগ্র মানবতার ওপর এক আঘাত।” সন্ত্রাসবাদের ক্ষেত্রে যাতে দ্বিমুখী নীতি প্রয়োগ করা না হয় এবং এর বিরুদ্ধে যাতে ঐক্যবদ্ধভাবে বৈশ্বিক পদক্ষেপ নেওয়া হয়, বিশ্বনেতাদের কাছে সেই আহ্বানও জানান ভারতের প্রধানমন্ত্রী (PM Modi)।

    মোদি-ট্রাম্পের পার্শ্ববৈঠক বাতিল 

    জি৭ শীর্ষ সম্মেলনের ফাঁকেই পার্শ্ববৈঠক হওয়ার কথা ছিল মোদি ও ট্রাম্পের। কিন্তু ট্রাম্পকে তাড়াতাড়ি ওয়াশিংটন ফিরে যেতে হওয়ায়, সেই বৈঠক হয়নি। ট্রাম্পের অনুরোধে ফোনালাপের ব্যবস্থা করা হয়। পহেলগাঁও হামলার পর এটাই ছিল ট্রাম্প-মোদির প্রথম বিশদ আলোচনা। পাকিস্তান থেকে সম্ভাব্য জঙ্গি হুমকি সম্পর্কে আগে মার্কিন উপ-রাষ্ট্রপতি ভ্যান্স যে একটি সতর্কবার্তা দিয়েছিলেন, এদিন ফোনে মার্কিন প্রেসিডেন্টকে তা স্মরণ করিয়ে দেন প্রধানমন্ত্রী। মোদি বলেন, “ভারত সেই অনুযায়ী কঠোর ও সুনির্দিষ্টভাবে জবাব দিয়েছে, যেমন প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছিল (PM Modi)।”

    ‘কোয়াড’ সম্মেলনে আহ্বান

    এদিকে, এদিন ফোনেই মোদি প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পকে (Donald Trump) পরবর্তী ‘কোয়াড’ সম্মেলন উপলক্ষে ভারতে আসার আমন্ত্রণ জানান। মিস্রি জানান, ট্রাম্প আমন্ত্রণ গ্রহণ করেছেন। জানিয়েছেন তিনি ভারতে আসার অপেক্ষায় রয়েছেন। প্রসঙ্গত, চলতি বছর কোয়াড সম্মেলন হবে ভারতে। মিস্রি বলেন, “কোয়াডের পরবর্তী বৈঠকের জন্য প্রধানমন্ত্রী মোদি মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পকে ভারতে আসার আমন্ত্রণ জানিয়েছেন। আমন্ত্রণ গ্রহণ করে ট্রাম্প বলেছেন, তিনি ভারতে আসার আমন্ত্রণ পেয়ে উচ্ছ্বসিত।” ভারতের বিদেশ সচিব বলেন, “প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প প্রধানমন্ত্রী মোদিকে জিজ্ঞাসা করেছিলেন, তিনি কানাডা থেকে ফেরার পথে যুক্তরাষ্ট্রে থামবেন কি না। পূর্বনির্ধারিত কর্মসূচি থাকায় (Donald Trump) প্রধানমন্ত্রী মোদি তা সম্ভব নয় বলে জানিয়ে দেন ট্রাম্পকে। এরপর উভয় নেতাই সিদ্ধান্ত নেন অদূর ভবিষ্যতে তাঁরা সাক্ষাতের চেষ্টা করবেন (PM Modi)।”

LinkedIn
Share