Category: বিদেশ

Get updates on World News Headlines International News from the Madhyom news portal madhyom.com, West Bengal leading news portal Madhyom.com

  • PM Modi US Visit: ভারতে ১০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার বিনিয়োগের প্রতিশ্রুতি গুগলের সিইও সুন্দর পিচাইয়ের

    PM Modi US Visit: ভারতে ১০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার বিনিয়োগের প্রতিশ্রুতি গুগলের সিইও সুন্দর পিচাইয়ের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তিন দিনের রাষ্ট্রীয় সফরে আমেরিকা গিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi US Visit)। ফিরছেন ঝুলি ভরে। সে ঝুলি যেমন উপচে পড়ছে সম্মানে, তেমনি ঝুলি ভর্তি রয়েছে মার্কিন বিনিয়োগের প্রতিশ্রুতিও। ভারতে টেসলার কারখানা তৈরির কথা জানিয়েছিনে সংস্থার সিইও তথা ট্যুইটারের মালিক ইলন মাস্ক। এবার গুজরাটে ডিজিটাইজশনের জন্য ১০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার বিনিয়োগের কথা জানালেন গুগলের সিইও তথা খড়্গপুর আইআইটির প্রাক্তনী সুন্দর পিচাই (Sundar Pichai)। ভারতের প্রধানমন্ত্রী এবং মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের উপস্থিতিতেই একথা জানান পিচাই। তিনি জানান, শীঘ্রই গুজরাটের গান্ধীনগরে ইন্টারন্যাশনাল ফিনান্স টেক সিটিতে হবে গুগলের ফিনটেক অপারেশন সেন্টারও।

    হোয়াইট হাউসে বৈঠকে মোদি

    শুক্রবার আমেরিকায় একাধিক তথ্য ও প্রযুক্তি সংস্থার কর্তার সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন প্রধানমন্ত্রী (PM Modi US Visit)। বৈঠকের আয়োজন করা হয়েছিল হোয়াইট হাউসেই। উপস্থিত ছিলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট বাইডেনও। পিচাই ছাড়াও ওই বৈঠকে ছিলেন মাইক্রোসফ্টের সিইও সত্য নাদেলা, অ্যাপলের সিইও টিম কুক, অ্যামাজনের সিইও অ্যান্ড্রু জ্যাসি প্রমুখ। বৈঠকে পিচাই জানান, ভারতে এক হাজার কোটি ডলার বিনিয়োগ করছে গুগল। ভারতের অন্যান্য আঞ্চলিক ভাষা নিয়েও কাজ করার কথা ভাবছে গুগল।

    সুন্দর পিচাইয়ের আশ্বাস 

    খড়্গপুর আইআইটির প্রাক্তনী বলেন, আমরা কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাকে আরও উন্নত করব যাতে ১০০-রও বেশি ভারতীয় ভাষা ব্যবহার করা যায়। বিশ্বের সব চেয়ে বেশি যে ভাষায় কথা বলা হয়, তাকেও অনলাইনে নিয়ে আসব। ভারতবাসী যাতে তাঁদের নিজেদের ভাষায় তথ্য এবং জ্ঞান অর্জন করতে পারেন, তার ব্যবস্থা করব। তিনি বলেন, ডিজিটাল ভারত নিয়ে ভাবনায় সময়ের চেয়ে অনেকটাই এগিয়ে রয়েছেন প্রধানমন্ত্রী মোদি। অন্যান্য দেশের কাছে দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে ভারত।

    ভারতে লগ্নির (PM Modi US Visit) কথা জানিয়েছেন অ্যামাজন সিইও অ্যান্ড্রু জ্যাসিও। তিনি বলেন, আমরা ভারতে আরও বেশি কর্মসংস্থানের সুযোগ করে দিতে চাই। ভারতের আরও বেশি সংস্থা যাতে গোটা বিশ্বে তাদের পণ্য বিক্রি করতে পারে, সেই ব্যবস্থাও করতে চাই।

    আরও পড়ুুন: প্রধানমন্ত্রীর পা ছুঁয়ে প্রণাম করলেন হলিউড খ্যাত গায়িকা, চাইলেন আশীর্বাদও

    প্রসঙ্গত, ইতিমধ্যেই ভারতে ১১০০ কোটি মার্কিন ডলার বিনিয়োগ করেছে অ্যামাজন। এদিন প্রধানমন্ত্রীর উপস্থিতিতে ঘোষণা করা হয়েছে আরও ১৫০০ কোটি ডলার বিনিয়োগের কথা।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     

  • PM Modi US Visit: প্রধানমন্ত্রীর পা ছুঁয়ে প্রণাম করলেন হলিউড খ্যাত গায়িকা, চাইলেন আশীর্বাদও

    PM Modi US Visit: প্রধানমন্ত্রীর পা ছুঁয়ে প্রণাম করলেন হলিউড খ্যাত গায়িকা, চাইলেন আশীর্বাদও

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মঞ্চে যিনি দাঁড়িয়ে রয়েছেন তিনি বিশ্বের বৃহত্তম গণতন্ত্রের প্রতিভূ। ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi US Visit)। মঞ্চে সেই সময় জন-গণ-মন গাইছেন হলিউড খ্যাত গায়িকা বছর আটত্রিশের মেরি মিলবেন (Mary Millben)। গান শেষে সমবেত করতালির শব্দে কান ফেটে যাওয়ার জোগাড়। এহেন আবহে ধীর পায়ে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির দিকে এগিয়ে গেলেন আফ্রিকান-আমেরিকান গায়ক মিলিবেন। পা ছুঁয়ে প্রণাম করলেন প্রধানমন্ত্রীর। চাইলেন আশীর্বাদও। তার জেরে আরও একবার প্রেক্ষাগৃহে ঝড় উঠল করতালির। দৃশ্যতই আপ্লুত ১৪০ কোটি ভারতীয়ের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।

    মোদির সম্মান

    তিন দিনের রাষ্ট্রীয় সফরে আমেরিকা গিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী (PM Modi US Visit)। সেখানে তাঁর সম্মানে হোয়াইট হাউসে নৈশভোজের আয়োজন করেছিলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন এবং মার্কিন ফার্স্ট লেডি জিল বাইডেন। পরের দিন ভাইস প্রেসিডেন্ট কমলা হ্যারিস ভারতের প্রধানমন্ত্রীর সম্মানে আয়োজন করেছিলেন মধ্যাহ্নভোজের। মার্কিন কংগ্রেসের যৌধ অধিবেশনে ভাষণও দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। পরে যান প্রবাসী ভারতীয়দের আয়োজিত একটি অনুষ্ঠানে। সেখানেই গান গাইছিলেন মিলবেন।

    মোদিকে প্রণাম মিলবেনের

    ভারতের জাতীয় সঙ্গীতও গান। তার পরেই পা ছুঁয়ে প্রণাম করেন প্রধানমন্ত্রীকে। কেবল জন-গণ-মন-ই নয়, মিলবেন এদিন গান ওম জয় জগদীশ হরে-ও। অনুষ্ঠান শেষে মিলবেন বলেন, প্রধানমন্ত্রী মোদির সম্মানে ভারতের জাতীয় সঙ্গীত গাইতে পেরে আমি ভীষণভাবে সম্মানিত। তিনি বলেন, আমি চারজন মার্কিন প্রেসিডেন্টের সম্মানে জাতীয় সঙ্গীত ও দেশাত্মবোধক গান গেয়েছি। তবে ভারতের প্রধানমন্ত্রীর সম্মানে তাঁরই দেশের জাতীয় সঙ্গীত গাইতে পেরে আমি ভীষণভাবে সম্মানিত। ভারতবর্ষ এবং ভারতবাসীর প্রতিও কৃতজ্ঞ। এটি আমি সারাজীবন মনে রাখব। হলিউড খ্যাত এই গায়িকা বলেন, আমেরিকা ও ভারত দুই দেশের জাতীয় সঙ্গীতই গণতন্ত্র এবং স্বাধীনতার আদর্শের কথা বলে। এবং এটাই ইন্দো-মার্কিন সম্পর্কের নির্যাস। একটি দেশকে তখনই মুক্ত বলা যাবে, যখন তার নাগরিকরা স্বাধীন।

    মাসখানেক আগে পাপুয়া নিউ গিনি গিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী (PM Modi US Visit)। স্থানীয় সময় রাত ১০টার পরে পা রাখেন সে দেশের রাজধানী পোর্ট মোরেসবিতে। সেদিনও প্রথা ভেঙে রাতেই বিমানবন্দরে গিয়ে মোদিকে স্বাগত জানান সে দেশের প্রধানমন্ত্রী জেমস মারাপের। পরে ভারতীয় প্রথা মেনে মোদির পা ছুঁয়ে প্রণাম করেন মারাপের। সেই ভিডিও-ও ভাইরাল হয়েছিল ব্যাপকভাবে।

    আরও পড়ুুন: দল ছাড়লেন তৃণমূল সংখ্যালঘু সেলের মালদা জেলার চেয়ারম্যান, কেন জানেন?

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     

  • PM Modi US Visit: মোদির উক্তি ছাপানো বিশেষ টি-শার্ট মোদিকে উপহার জো বাইডেনের!

    PM Modi US Visit: মোদির উক্তি ছাপানো বিশেষ টি-শার্ট মোদিকে উপহার জো বাইডেনের!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তিনদিনের রাষ্ট্রীয় সফর শেষ করে আমেরিকা থেকে মিশরের উদ্দেশে পাড়ি দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi US Visit)। তার আগে, শুক্রবার সকালে (স্থানীয় সময়) হোয়াইট হাউসে সিলিকন ভ্যালির বেশ কয়েকটি বড় সংস্থার সিইওদের সঙ্গে বৈঠক করেন প্রধানমন্ত্রী মোদি এবং মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। বৈঠকে ছিলেন, অ্যালফাবেটের (গুগল) প্রধান সুন্দর পিচাই, মাইক্রোফসট প্রধান সত্য নাডেলা, মহিন্দ্রা গোষ্ঠীর চেয়ারম্যান আনন্দ মহিন্দ্রা, রিলায়েন্স চেয়ারম্যান মুকেশ আম্বানি, অ্যাপল প্রধান টিম কুক, জেরোধা প্রতিষ্ঠাতা নিখিল কামাত, নাসার ভারতীয় বংশোদ্ভূত মহাকাশচারী সুনীতা উইলিয়ামস।

    সিলিকন ভ্যালি-র হুজ-হু’দের সঙ্গে বৈঠক

    সেই বৈঠকে আর্টিফিশিয়াল ইনটেলিজেন্স (কৃত্রিম মেধা), উন্নত উত্পাদন এবং ভারতে বিনিয়োগের বিষয়ে আলোচনা করেন দুই দেশের প্রধান। বৈঠকে ইন্দো-মার্কিন হাই-টেক সম্পর্ককে আরও কীভাবে দৃঢ় করা যায় নিয়ে আলোচনা হয়। বৈঠকের পর সুন্দর পিচাই বলেন, ‘‘মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে ঐতিহাসিক সফরে প্রধানমন্ত্রী মোদির সঙ্গে দেখা করাটা সম্মানের বিষয়। আমরা প্রধানমন্ত্রীকে জানিয়েছি যে ভারতের ডিজিটাইজেশন ফান্ডে ১০ বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ করছে গুগল। আমরা গুজরাটের গিফট সিটিতে আমাদের গ্লোবাল ফিনটেক অপারেশন সেন্টার খোলার ঘোষণা করছি। ডিজিটাল ইন্ডিয়ার জন্য প্রধানমন্ত্রীর দৃষ্টিভঙ্গি বর্তমান সময়ের চেয়ে অনেক এগিয়ে ছিল। আমি এখন এটিকে একটি ব্লু-প্রিন্ট হিসাবে দেখছি। অন্যান্য দেশগুলিও তা করতে চাইছে।’’

    বিপুল জনপ্রিয় মোদির ‘এআই’ উক্তি!

    ওই বৈঠকেই একটি টি-শার্ট উপহার হিসেবে প্রধানমন্ত্রী মোদির হাতে তুলে দেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। আগের দিন মার্কিন কংগ্রেসে মোদি (PM Modi US Visit) যা বলেছেন, তার একটি উক্তিই টিশার্টে লেখা ছিল। প্রথম লাইন ছিল – ‘দ্য ফিউচার ইজ এআই’। আর টি শার্টের দ্বিতীয় লাইনে ‘এআই- অর্থ হল আমেরিকা ও ইন্ডিয়া’। প্রসঙ্গত, ২২ জুন মার্কিন কংগ্রেসে যৌথ অধিবেশনে দ্বিতীয়বারের জন্য বক্তব্য পেশ করেন মোদি। সেখানে আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স বা কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা নিয়ে ভাষণ দেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘‘গত কয়েক বছরে একটি ক্ষেত্রে অনেক উন্নতি ঘটেছে। সেটি হল এআই-এর ক্ষেত্র। অর্থাৎ আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স। ঠিক একই সময়ে, আরেকটি এআই-এর ক্ষেত্রেও প্রভূত উন্নতি ঘটেছে। এই এআই-এর অর্থ হল- আমেরিকা ও ইন্ডিয়া।’’ 

    ১৫ বার স্ট্যান্ডিং ওভেশন, ৭৯ বার করতালি

    মোদির (PM Modi US Visit) এই ভাষণের পর মুখরিত হয়েছিল মার্কিন কংগ্রেসের সভাঘর। সকলে দাঁড়িয়ে উঠে করতালিতে ভরিয়ে দেন। প্রধানমন্ত্রীর সেই বক্তব্য মার্কিন মুলুকে রাতারাতি এতটাই জনপ্রিয়তা লাভ করেছে যে মোদির ভাষণের এই উক্তিই টিশার্টে লিখে মোদিকে উপহার দিলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। মার্কিন কংগ্রেসে মোদির ভাষণকালে মোট ১৫ বার মার্কিন আইন প্রণেতারা দাঁড়িয়ে উঠে অভিনন্দন জানান ভারতের প্রধানমন্ত্রীকে। মোট ৭৯ বার অধিবেশন কক্ষ ভরে ওঠে করতালির আওয়াজে। মোদির ভাষণ শেষে বহু কংগ্রেস সদস্যই তাঁর সঙ্গে হাত মেলানোর জন্য এগিয়ে আসেন। অনেকে আবার নিজের মোবাইল বের করে মোদির সঙ্গে সেলফিও তোলেন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • PM Modi US Visit:  মোদি বন্দনায় মার্কিন ভাইস প্রেসিডেন্ট কমলা! হ্যারিসের প্রশংসা প্রধানমন্ত্রীর মুখেও 

    PM Modi US Visit:  মোদি বন্দনায় মার্কিন ভাইস প্রেসিডেন্ট কমলা! হ্যারিসের প্রশংসা প্রধানমন্ত্রীর মুখেও 

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বহু রাজনীতিবিদ-সহ অনেকেরই রয়েছে ভারতীয় যোগ। তাঁদের পূর্বসূরীদের সঙ্গে ভারতের নাড়ির টানের কথা উত্থাপন করে সকলের মন জিতে নিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi US Visit)। উঠল করতালির ঝড়। মোদি উচ্ছ্বসিত প্রশংসা করলেন মার্কিন ভাইস প্রেসিডেন্ট কমলা হ্যারিসের (Kamala Harris)। মোদির জন্য হোয়াইট হাউজে মধ্যাহ্নভোজের আয়োজন করেছিলেন কমলা হ্যারিস ও আমেরিকার বিদেশ সচিব অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন। মার্কিন বিদেশ দফতরের অফিসেই সেই মধ্যাহ্নভোজের আয়োজন করা হয়েছিল। সেই অনুষ্ঠানেই মোদির প্রশংসায় পঞ্চমুখ হন ভারতীয় বংশোদ্ভূত কমলা।

    কমলা হ্যারিসের প্রশংসা

    মোদি বলেন, “মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে কয়েক লক্ষ নাগরিক রয়েছেন যাঁদের সঙ্গে ভারতের যোগ রয়েছে। তাঁদের কয়েকজন এই চেম্বারেও রয়েছেন।” এরপরই মোদি কমলা হ্যারিসকে দেখিয়ে বলেন, “আমার ঠিক পিছনে যিনি রয়েছেন, তিনি ইতিহাস গড়েছেন।” উল্লেখ্য, কমলা হ্যারিসের মা শ্যামলা গোপালন হ্যারিসের জন্ম ভারতে। চেন্নাই থেকে তিনি ষাটের দশকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে চলে যান। সেখানেই তিনি বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন ডোনাল্ড জে হ্যারিসের সঙ্গে। ডোনাল্ডের জন্ম জামাইকায়।

    সামোসা ককাস কী

    এদিন প্রধানমন্ত্রী মোদি (PM Modi US Visit) বলেন, “এই হাউসে সামোসা ককাসের বিষয়টি সম্পর্কে জানতে পারলাম। আশা করি, এই আবহ আরও বিকশিত হবে।” এরপরই ‘সামোসা ককাস’সম্পর্কে জানতে নেট দুনিয়ায় ঝড় ওঠে। ‘সামোসা ককাস’ নামটি দিয়েছেন রাজা কৃষ্ণমূর্তি। মার্কিন কংগ্রেসে ইন্দো-আমেরিকান জনপ্রতিনিধিদের সংখ্যা বাড়াতে এই নামকরণ। কমলা হ্যারিস ছাড়াও এতে রয়েছেন হাউস অব রিপ্রেজেন্টেটিভের ড. অমি বেরা, রো খান্না, রাজা কৃষ্ণমূর্তি ও প্রমিলা জয়পাল। সকলেই ডেমোক্র্যাটিক পার্টির। দক্ষিণ এশিয়া, বিশেষ করে ভারতের সঙ্গে পূর্বপুরুষদের যোগ থাকা যাঁরা মার্কিন কংগ্রেসে নির্বাচিত হয়েছেন তাঁদের বোঝাতেই ভারতের জনপ্রিয় খাবারের নামে এই নামকরণ। 

    মোদি বন্দনায় মার্কিন ভাইস প্রেসিডেন্ট

    মার্কিন মুলুকে শৈশব কাটলেও ভারতে কাটানো সময়গুলো আজও তাঁর কাছে যেন ছবির মতো স্পষ্ট। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির (PM Modi US Visit) মার্কিন সফরকালে সেই স্মৃতিচারণ করলেন হ্যারিস (Kamala Harris)। ভূয়সী প্রশংসা করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির। তিনি বলেন, ‘ভারতের ইতিহাস আমাকে অনেক অনুপ্রাণিত করেছে। শুধু আমাকে নয়, গোটা বিশ্বকেই প্রভাবিত করেছে এটা।’ মোদির নেতৃত্বের কথা উল্লেখ করে কমলা বলেন, ‘একবিংশ শতাব্দীতে ভারতকে বিশ্ব নেতা হিসেবে আবির্ভূত হতে সাহায্য করার জন্য আপনার ভূমিকা এবং নেতৃত্বের জন্য আপনাকে ধন্যবাদ জানাতে চাই৷’

    আরও পড়ুন: ‘‘এই সম্মান ১৪০ কোটি ভারতবাসীর’’, মার্কিন কংগ্রেসে বললেন মোদি

    কমলা হ্যারিস বলেন, ‘ভাইস-প্রেসিডেন্ট হিসেবে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে গিয়েছি আমি। সেখানে গিয়ে আমি দেখেছি যে ভারতের বৈশ্বিক প্রভাব কীভাবে বিস্তারিত হয়েছে। ভারতের তৈরি ভ্যাকসিন জীবন বাঁচিয়েছে দক্ষিণ পূর্ব এশিয়ার মানুষদের। ভারতের দীর্ঘস্থায়ী অংশীদারিত্ব আফ্রিকা মহাদেশকে সমৃদ্ধ করে তুলেছে এবং সেখানকার নিরাপত্তা নিশ্চিত করেছে। ইন্দো-প্যাসিফিকে একটি মুক্ত অঞ্চল হিসেবে গড়ে তুলতে সাহায্য করছে ভারত।’

    ভারতের প্রশংসায় মার্কিন বিদেশ সচিব 

    ভারতের প্রশংসা শোনা যায় মার্কিন সেক্রেটারি অফ স্টেট অ্যান্টনি ব্লিনকেনের গলাতেও। তিনি বলেন, ‘আমেরিকায় আমাদের দৈনন্দিন জীবনের অংশ হয়ে উঠেছে ভারত। আমরা সামোসা খেতে খেতে ঝুম্পা লাহিড়ীর উপন্যাস উপভোগ করি। আমরা মিন্ডি কালিং-এর কমেডি দেখে হাসি। আমরা কোচেল্লায় দিলজিতের তালে নাচছি। আমরা যোগব্যায়াম করে নিজেদের কমবেশি ফিট এবং সুস্থ রাখছি।’ 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Titan Submarine: আটলান্টিকে সমাধিস্থ টাইটানিকের কাছেই সলিল সমাধি ‘টাইটান’-এর

    Titan Submarine: আটলান্টিকে সমাধিস্থ টাইটানিকের কাছেই সলিল সমাধি ‘টাইটান’-এর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আটলান্টিক মহাসমুদ্রে তলিয়ে গেল খুদে সাবমেরিন টাইটান (Titan Submarine)। টাইটানিকের ধ্বংসাবশেষের ১৬০০ ফুট দূরে মেলে টাইটান ডুবোজাহাজের ধ্বংসাবশেষ। প্রসঙ্গত, ১১১ বছর আগে হিমশৈলে ধাক্কা খেয়ে ডুবে যায় এই মস্ত জাহাজ। বিশেষজ্ঞরা বলেন, কানাডার নিউ ফাউন্ড ল্যান্ড এর কোস্টাল লাইন থেকে প্রায় চারশো মাইল দূরের সমুদ্রের নিচে রয়েছে টাইটানিক! মহাসমুদ্রের  প্রায় সাড়ে তিন কিলোমিটার গভীর জলের নিচে! সেই টাইটানিকের ধ্বংসাবশেষ দেখতে গিয়েই ঝরে গেল ৫টি প্রাণ। 

    পাঁচ যাত্রী

    টাইটানের (Titan Submarine) পাঁচ যাত্রীর মধ্যে ওশানগেটের সহ-প্রতিষ্ঠাতা ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা স্টকটন রাশ(৬১) ছিলেন। তাছাড়া ছিলেন ব্রিটিশ বিমানসংস্থা অ্যাকশন এভিয়েশনের চেয়ারম্যান হামিশ হার্ডিং(৫৮), পাকিস্তানের শিল্পপতি শাহজাদা দাউদ(৪৮) ও তার ছেলে সুলেইমান দাউদ(১৯) এবং ফরাসি পর্যটক পল অঁরি নারজিলে(৭৭)। জানা গিয়েছে, ৭৭ বছরের পল অঁরি নারজিওলেট এই অভিযানের নেতৃত্বের দায়িত্ব ছিলেন। তবে, ফরাসি নৌবাহিনীর প্রাক্তন ডুবুরি পল অঁরি নারজোলের আরও একটি পরিচয় রয়েছে। অনেকেই তাকে ‘মিস্টার টাইটানিক’ বলে ডাকেন। টাইটানিক ডুবে যাওয়ার ৭৫ বছর পর ১৯৮৭ সালে প্রথমবার এই জাহাজের ধ্বংসাবশেষের খোঁজ চালানো হয়। সেই অভিযানেরও সদস্য ছিলেন এই ফরাসি ডুবুরি।

    কী ভাবে নিখোঁজ হল সাবমেরিন টাইটান (Titan Submarine)?

    প্রসঙ্গত, অভিশপ্ত টাইটানিক জাহাজের ধ্বংশাবশেষ চাক্ষুস করাতে ওশেনগেট নামে একটি মার্কিন বেসরকারি সংস্থা ট্যুর করায়। খুদে সাবমেরিনে টাইটানে চাপিয়ে পর্যটকদের দেখানো হয় সমাধিস্থ টাইটানিক। খরচও নেহাত কম নয়, এই ট্যুরে গুনতে হয় কোটি টাকারও বেশি ভারতীয় মুদ্রা। সেরকমই একটি ট্যুরে সাবমেরিনে চেপে রওনা হয়েছিলেন পাঁচ যাত্রী। জানা গিয়েছে, গত রবিবার কানাডার নিউ সাউথহ্যাম্পটনের সেন্ট জন্স থেকে আটলান্টিকে যাত্রা শুরু করে ওশেনগেটের ডুবোজাহাজ ‘টাইটান’। কিন্তু যাত্রা শুরুর পৌনে দু’ঘণ্টার মধ্যেই দিক নির্দেশকারী জাহাজ বা মাদার শিপ ‘পোলার প্রিন্স’-র সঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায় ‘টাইটান’-এর। 

    কীভাবে ধ্বংস হল খুদে সাবমেরিন (Titan Submarine)?

    অনুমান করা হচ্ছে, সাবমেরিনের বাইরের অংশে কোনও যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে জলের চাপ বেড়ে যায়। তার ফলেই বিস্ফোরণ ঘটে সাবমেরিনে। মিলি সেকেন্ডের মধ্যে সাবমেরিনটি প্রচণ্ড জলের চাপে একেবারে দুমড়ে মুচড়ে যায়। আর ওই বন্ধ সাবমেরিনের মধ্যে প্রাণ হারান পাঁচ যাত্রী। তবে ইতিমধ্যে সাবমেরিনে যাত্রী নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে!  ২০১৮ সালে ওশানগেট সংস্থা থেকে বিতাড়িত হন মেরিন অপারেশনের প্রাক্তন ডিরেক্টর ডেভিড লচরিজ। তিনি সম্প্রতি এই টাইটান সাবমেরিনের বিরুদ্ধে একটি মামলা দায়ের করেছিলেন। তাঁর বক্তব্য ছিল, সাবমেরিনের বাইরের অংশ কার্বন ফাইবার সঠিকভাবে পরীক্ষিত নয়। আর বিশেষজ্ঞরাও বলছেন, বাইরের অংশের যান্ত্রিক ত্রুটির কারণেই ধ্বংস হয়েছে খুদে টাইটান।

     

    আরও পড়ুন: ‘‘এই সম্মান ১৪০ কোটি ভারতবাসীর’’, মার্কিন কংগ্রেসে বললেন মোদি

     

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • PM Modi US Visits: আম্বানি থেকে পিচাই, মোদির সম্মানে নৈশভোজে চাঁদের হাট হোয়াইট হাউসে 

    PM Modi US Visits: আম্বানি থেকে পিচাই, মোদির সম্মানে নৈশভোজে চাঁদের হাট হোয়াইট হাউসে 

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সত্যিই চাঁদের হাট। বৃহস্পতিবার (২২ জুন), রাতে  প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির (PM Modi US Visits) জন্য হোয়াইট হাউসে আয়োজিত স্টেট ডিনারে উপস্থিত ছিলেন ভারতের এবং অন্যান্য দেশের বিশিষ্ট ব্যক্তিত্বরা। প্রযুক্তি, বিনোদন, বাণিজ্য, ফ্যাশন জগতের তারকাদের সমাহার ছিল নজরকাড়া। প্রধানমন্ত্রীর জন্য এটি আয়োজন করেন আমেরিকার প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন এবং ফার্স্ট লেডি জিল বাইডেন।

    নৈশভোজের লক্ষ্য

    হোয়াইট হাউসের এই নৈশভোজের (White House Dinner) লক্ষ্য ছিল দুই দেশের সাংস্কৃতিক বন্ধনকে আরও শক্তিশালী করা এবং দুই দেশের বন্ধুত্বের উদযাপন। মার্কিন কংগ্রেসের যৌথ অধিবেশনে ভাষণ দেওয়ার পর, ওই নৈশভোজে যোগ দেন প্রধানমন্ত্রী মোদি। প্রধানমন্ত্রীকে উষ্ণ অভ্যর্থনা জানান বাইডেন দম্পতি। 

    নৈশভোজে অতিথির তালিকা দীর্ঘ

    মোদির সম্মানে আয়োজিত নৈশভোজে (PM Modi US Visits) অতিথির তালিকা দীর্ঘ। আমন্ত্রিতদের তালিকায় রয়েছেন ৪০০ জনেরও বেশি। সেখানে উপস্থিত ছিলেন ফ্যাশন ডিজাইনার রাল্ফ লরেন, টেনিস কিংবদন্তি বিলি জিন কিং, মানবাধিকার কর্মী তৃতীয় মার্টিন লুথার কিং, হলিউড চলচ্চিত্র পরিচালক এম নাইট শ্যামলান, গ্র্যামি পুরস্কার বিজয়ী বাদ্যকার জশুয়া বেল, উদ্যোগপতি ফ্রাঙ্ক ইসলাম। নৈশভোজে যোগ দিয়েছিলেন গুগল সংস্থার ভারতীয় সিইও সুন্দর পিচাই এবং তাঁর স্ত্রী অঞ্জলি পিচাই-সহ প্রযুক্তি জগতের বহু বিশিষ্ট ব্যক্তিত্ব। ভারতীয় শিল্পনেতাদের মধ্যে ছিলেন রিলায়েন্স ইন্ডাস্ট্রিজের চেয়ারম্যান মুকেশ আম্বানি এবং তাঁর স্ত্রী নীতা আম্বানি, মাহিন্দ্রা গ্রুপের চেয়ারম্যান আনন্দ মাহিন্দ্রা-সহ অনেকে। উপস্থিত ছিলেন মার্কিন ভাইস প্রেসিডেন্ট কমলা হ্যারিসও। এছাড়া, ভারতের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত ডোভাল, বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর এবং বেশ কয়েকজন মার্কিন কূটনীতিক এবং বাইডেন প্রশাসনের সদস্যরা এই নৈশভোজে অংশ নেন।

    নৈশভোজের মেনুতে বেশিরভাগ পদই নিরামিষ

    জানা গিয়েছে, মেনুতে বেশিরভাগ খাবারই ছিল নিরামিষ। প্রধানমন্ত্রীর ডায়েটের কথা মাথায় রেখেই তৈরি হয়েছে পদগুলি। আন্তর্জাতিক বাজরা বছরে, হোয়াইট হাউসের রাষ্ট্রীয় নৈশভোজে বাজরার তৈরি বিভিন্ন খাদ্যপদ ছিল। যেমন, ক্রিস্পড মিলেট কেক এবং ম্যারিনেটেড মিলেট। খাদ্যতালিকায় ছিল লেমন-ডিল দই সস, স্কোয়াশের তরকারি, গ্রিলড কর্ন কার্নেল স্যালাড, তরমুজ, ট্যাঙ্গি অ্যাভোকাডো সস, স্টাফড পোর্টোবেলো মাশরুম, কেশর দেওয়া ক্রিমি রিসোটো, গোলাপ ও এলাচ দেওয়া স্ট্রবেরি শর্টকেক ইত্যাদি। 

    আরও পড়ুন: ‘‘এই সম্মান ১৪০ কোটি ভারতবাসীর’’, মার্কিন কংগ্রেসে বললেন মোদি

    নৈশভোজে মজাদার মুহূর্ত

    ডিনার টেবিলে শুধুই যে খাওয়া-দাওয়া হয়েছে তেমন টা কিন্ত নয়। হয়েছে প্রচুর কথাবার্তা, হাসাহাসিও। আসলে পশ্চিমী দেশে যে কোনও শুভকামনায় বা কোনও শুভ প্রস্তাবে গ্লাস তোলার এবং পান করার রীতি রয়েছে। যাকে পোশাকি ভাষায় বলা হয়, ‘রেইসিং আ টোস্ট’। যেই গ্লাসে থাকে সাধারণত অ্যালকোহল। তবে, বাইডেন বা মোদি, দুজনের কেউই অ্যালকোহল গ্রহণ করেন না। এই প্রসঙ্গে ডিনার টেবিলে তৈরি হয় এক দারুন হাসির, এককথায় মজাদার মুহূর্ত। গ্লাস তোলা নিয়ে মার্কিন প্রেসিডেন্ট বলেন, “আমার দাদু অ্যামব্রোস ফিনেগান বলতেন, গ্লাস তোলার সময় যদি তোমার গ্লাসে কোনও মদ না থাকে, তাহলে তোমার সেই গ্লাস বাঁ হাতে তোলা উচিত।” বাইডেনের এই কথা শেষ হওয়ার আগেই হেসে ফেলেন প্রধানমন্ত্রী মোদি। বাইডেন বলেন, “আপনারা সবাই হয়তো ভাবছেন যে আমি মজা করছি। কিন্তু আমি তা করছি না।”

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • PM Modi US Visit: ‘‘এই সম্মান ১৪০ কোটি ভারতবাসীর’’, মার্কিন কংগ্রেসে বললেন মোদি

    PM Modi US Visit: ‘‘এই সম্মান ১৪০ কোটি ভারতবাসীর’’, মার্কিন কংগ্রেসে বললেন মোদি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিশ্বশান্তির জন্য একসঙ্গে কাজ করবে ভারত-আমেরিকা। দুই দেশই পৃথিবীতে শান্তি প্রতিষ্ঠা করতে দায়বদ্ধ। মার্কিন কংগ্রেসের যৌথ অধিবেশনে বললেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi US Visit)। জানালেন, মার্কিন কংগ্রেসে বক্তব্য রাখতে পেরে তিনি সম্মানিত। তবে এই সম্মান তাঁর নয়, এই সম্মান ১৪০ কোটি ভারতবাসীর। মন্তব্য প্রধানমন্ত্রীর। 

    ভারত-মার্কিন সম্পর্ক

    প্রতিদিন ভারত-মার্কিন সম্পর্ক দৃঢ় হচ্ছে। বাণিজ্য, অর্থনীতি থেকে সংস্কৃতি সব ক্ষেত্রেই এক সুতোয় মালা গাঁথার চেষ্টা চলছে। এদিন প্রধানমন্ত্রী (PM Modi US Visit) বলেন, ‘যত দিন যাচ্ছে, ভারতীয় এবং আমেরিকানরা একে অপরকে আরও ভাল করে চিনছে… ভারতের বাচ্চারা হ্যালোউইনে স্পাইডারম্যান সাজছে এবং আমেরিকার বাচ্চারা ‘নাটু নাটু’ এর সুরে নাচছে।’ তিনি জানান, ‘মার্কিন কংগ্রেসে বক্তব্য রেখে সম্মানিত। মার্কিন কংগ্রেসের উষ্ণ অভ্যর্থনা পেয়েছি’। এদিন তাঁকে জাতীয় সঙ্গীতের মাধ্যমে অভ্যর্থনা জানানো হয়। তিনি বলেন, ‘ভারতবাসীর পক্ষ থেকে অভিনন্দন জানাই। নতুন শতাব্দীর কথা বলতে এসেছি। ভারত-আমেরিকা বন্ধুত্ব আরও দৃঢ় হয়েছে। প্রবাসী ভারতীয়রা মার্কিন কংগ্রেসে ইতিহাস গড়েছেন। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের অন্তর্ভুক্তিমূলক সমাজ ও অর্থনীতিকে আরও শক্তিশালী করতে ভারতীয় আমেরিকানরা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে।’

    মোদি-মোদি স্লোগান

    মোদির ভাষণের মাঝে মার্কিন (PM Modi US Visit) আইনপ্রণেতাদের দেখা যায়, করতালি দিয়ে, উঠে দাঁড়িয়ে প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যকে সমর্থন করতে। এমনকি, ওঠে মোদি-মোদি স্লোগানও। এই নিয়ে দ্বিতীয়বার মার্কিন কংগ্রেসের যৌথ অধিবেশনে বক্তব্য রাখলেন প্রধানমন্ত্রী। এদিন ভাষণের সময় দারিদ্র্য দূরীকরণ, স্বাস্থ্য পরিষেবা, জলবায়ু পরিবর্তনের মতো বিষয়গুলির উপর জোড় দেন মোদি। প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যে উঠে এসেছে, অত্যাধুনিক প্রযুক্তি আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স বা এআই-এর প্রসঙ্গও। এর সঙ্গে তিনি অন্য এআই, অর্থাৎ, ভারত-আমেরিকা সম্পর্কের তুলনা করেছেন। তিনি বলেন, “গত কয়েক বছরে, এআই বা কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তায় প্রভূত অগ্রগতি ঘটেছে। একই সময়ে, আরেকটি এআই – আমেরিকা এবং ভারত-এর সম্পর্কও উল্লেখযোগ্যভাবে এগিয়েছে।”

    বৈচিত্র্যের মধ্যে ঐক্যের ঐতিহ্য

    মার্কিন কংগ্রেসের সামনে মোদি ভারতের বৈচিত্র্যের মধ্যে ঐক্যের ঐতিহ্যও তুলে ধরেন। প্রধানমন্ত্রী বলেন, “বৈচিত্র্য ভারতের জীবনধারারই অংশ। আমাদের ২২টি সরকারি ভাষা এবং হাজার হাজার উপভাষা রয়েছে। তবুও আমরা এক সুরে কথা বলি। সারা বিশ্বে এখন সবাই ভারতের উন্নয়ন, গণতন্ত্র এবং বৈচিত্র্যের সম্পর্কে জানতে চাইছেন। সবাই জানতে চাইছেন, ভারত কী করছে, কীভাবে করছে। প্রত্যেকের আস্থা এবং যৌথ প্রচেষ্টায় সকলের উন্নতি হোক, এটাই ভারতের দৃষ্টিভঙ্গী”।

    আরও পড়ুন: “বিশ্বশান্তির জন্য ভারত আমেরিকা অঙ্গীকারবদ্ধ,” হোয়াইট হাউসে বললেন প্রধানমন্ত্রী

    রাশিয়া-ইউক্রেনের যুদ্ধ প্রসঙ্গ

    রাশিয়া-ইউক্রেনের যুদ্ধ প্রসঙ্গে ফের একবার যুদ্ধবিরোধী বার্তা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী (PM Modi US Visit)। তিনি ফের লেন, “এটা যুদ্ধের যুগ নয়। আলাপ-আলোচনা এবং কূটনীতির সময়। রক্তপাত এবং মানুষের দুর্ভোগ বন্ধ করতে আমাদের সকলের প্রয়োজনীয় সকল ব্যবস্থা নিতে হবে।” সন্ত্রাসবাদকে মানবতার শত্রু বলেছেন প্রধানমন্ত্রী। সন্ত্রাসবাদের মোকাবিলা করার ক্ষেত্রে কোনও দ্বিধা থাকতে পারে না,বলে জানান তিনি। একই সঙ্গে মহিলাদের উন্ননয়, নেতৃত্বদান  নিয়েও কথা বলেন মোদি। 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • PM Modi US Visit: “বিশ্বশান্তির জন্য ভারত আমেরিকা অঙ্গীকারবদ্ধ,” হোয়াইট হাউসে বললেন প্রধানমন্ত্রী

    PM Modi US Visit: “বিশ্বশান্তির জন্য ভারত আমেরিকা অঙ্গীকারবদ্ধ,” হোয়াইট হাউসে বললেন প্রধানমন্ত্রী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: হোয়াইট হাউসে (White House ) রাজকীয় সংবর্ধনা দেওয়া হল প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে (PM Modi US Visit)। বৃহস্পতিবার ১৯টি গান স্যালুটে স্বাগত জানানো হয় ভারতের প্রধানমন্ত্রীকে। বাজানো হয় দুই দেশেরই জাতীয় সঙ্গীত। প্রধানমন্ত্রীকে স্বাগত জানিয়ে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন বলেন, “আমরা এক সঙ্গে অনেক সময় কাটিয়েছি। যখন আমি ভাইস প্রেসিডেন্ট ছিলাম, সেই সময় থেকে। আমি যখন প্রেসিডেন্ট হলাম, তখন বিশ্বাসের ভিত্তিতে আমরা সম্পর্ক তৈরি করলাম। বর্তমান বিশ্বের প্রয়োজনেই ভারত-আমেরিকার এক সঙ্গে কাজ করা প্রয়োজন।”

    “ভারত-আমেরিকা দারিদ্র দূরীকরণে সচেষ্ট”

    মার্কিন প্রেসিডেন্ট বলেন, “ভারত-আমেরিকা দারিদ্র দূরীকরণে সদা সচেষ্ট। খাদ্য নিরাপত্তা, জলবায়ুর পরিবর্তন এবং সুস্বাস্থ্যের লক্ষ্যে কাজ করে চলেছি আমরা। এসবই করা হচ্ছে আমেরিকার জন্য, ভারতের জন্য এবং তামাম বিশ্বের ভালর জন্য। বিশ্ব বদলাচ্ছে প্রযুক্তিগত, সামাজিক এবং রাজনৈতিক দিক দিয়ে। আজ আমরা যে সিদ্ধান্ত নিচ্ছি তার সুফল ফলবে ভবিষ্যতে।”

    ‘উই দ্য পিপল’

    ভারত-আমেরিকার কাছাকাছি আসা যে বিশ্বের কল্যাণেই, এদিন ফের একবার তা মনে করিয়ে দেন প্রধানমন্ত্রী (PM Modi US Visit)। তিনি বলেন, “গণতান্ত্রিক মূল্যবোধের ভিত্তিতে ভারত-আমেরিকা গাঁটছড়া বেঁধেছে। দুই দেশেরই সংবিধান শুরু হয়েছে ‘উই দ্য পিপল’ শব্দবন্ধ দিয়ে। দুই দেশই বৈচিত্র নিয়ে গর্ব বোধ করে। কোভিড-উত্তর কালে বিশ্ব নয়া আকার নিচ্ছে। বিশ্বের কল্যাণ, শান্তি এবং স্থায়ীত্বের জন্য আমরা এক সঙ্গে কাজ করতে অঙ্গীকারবদ্ধ।” এদিন সকালে হোয়াইট হাউসে প্রধানমন্ত্রীকে (PM Modi US Visit) স্বাগত জানানোর পর শুরু হয় দুই রাষ্ট্রপ্রধানের দ্বিপাক্ষিক বৈঠক। বৈঠক শেষে মার্কিন কংগ্রেসের যৌথ অধিবেশনে ভাষণ দেবেন প্রধানমন্ত্রী। পরে যোগ দেবেন নৈশভোজে।

    আরও পড়ুুন: “বিদেশে বসেই মনোনয়নপত্র জমা দিচ্ছেন কীভাবে?” কমিশনকে প্রশ্ন কলকাতা হাইকোর্টের

    প্রসঙ্গত, তিনদিনের রাষ্ট্রীয় সফরে আমেরিকায় গিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। ইতিমধ্যেই সেখানে স্বাক্ষরিত হয়েছে হ্যাল-জিই মউ। সূত্রের খবর, ভারতে তৈরি প্রথম যুদ্ধবিমান ‘তেজস’-এর মার্ক ২ ভ্যারিয়েন্টের জন্য উচ্চক্ষমতাসম্পন্ন ‘এফ-৪১৪’ ইঞ্জিন তৈরি করবে মার্কিন সংস্থা জিই। তেজস যুদ্ধবিমানের প্রস্তুতকারী সংস্থা হিন্দুস্থান অ্যারোনটিক্স লিমিটেডের (সংক্ষেপে হ্যাল) সঙ্গে যৌথ উদ্যোগে ভারতেই তৈরি হবে ওই জেট ইঞ্জিন। এদিন এই মর্মে মউ স্বাক্ষর করেন দুই সংস্থার কর্তারা। এদিনও ফের মেক ইন ইন্ডিয়ায় জোর দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। ২০১৪ সালে ক্ষমতায় আসা ইস্তক, ‘মেক ইন ইন্ডিয়া’-র ওপর জোর দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। কেন্দ্রীয় সরকারের লক্ষ্য, বিদেশ থেকে সরাসরি আমদানি কমিয়ে দেশে উৎপাদন করার। কেন্দ্রের এই নীতির স্বপক্ষে ভারতে এখন বহু পণ্য উৎপাদন হচ্ছে, যা আগে বিদেশ থেকে সরাসরি আমদানি করা হত। সেই তালিকায় জড়ল আরও একটি নাম। এবার দেশেই তৈরি হবে অত্যাধুনিক ফাইটার জেট ইঞ্জিন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Tejas Mk2 Engine: মোদির সফরেই মউ স্বাক্ষর! ভারতেই তৈরি হবে ‘তেজস’-এর উন্নত ইঞ্জিন

    Tejas Mk2 Engine: মোদির সফরেই মউ স্বাক্ষর! ভারতেই তৈরি হবে ‘তেজস’-এর উন্নত ইঞ্জিন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তিনদিনের রাষ্ট্রীয় সফরে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে রয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। বৃহস্পতিবার হোয়াইট হাউসে তাঁর সম্মানে রাষ্ট্রীয় নৈশভোজের আয়োজন করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ও তাঁর স্ত্রী ফার্স্ট লেডি জিল। তার আগেই, গুরুত্বপূর্ণ চুক্তি (HAL-GE Jet Engine Deal) সারলেন দুই দেশের কর্তারা। 

    হ্যাল-জিই মউ স্বাক্ষর

    সংবাদসংস্থা সূত্রের খবর, ভারতে তৈরি প্রথম যুদ্ধবিমান ‘তেজস’-এর মার্ক ২ (Tejas Mk2 Engine) ভেরিয়েন্টের জন্য উচ্চক্ষমতাসম্পন্ন ‘এফ-৪১৪’ ইঞ্জিন তৈরি করবে মার্কিন সংস্থা জিই। তেজস যুদ্ধবিমানের প্রস্তুতকারী সংস্থা হিন্দুস্থান অ্যারোনটিক্স লিমিটেডের (সংক্ষেপে হ্যাল) সঙ্গে যৌথ উদ্যোগে ভারতেই তৈরি হবে ওই জেট ইঞ্জিন। এদিন এই মর্মে মউ স্বাক্ষর (HAL-GE Jet Engine Deal) করেন দুই সংস্থার কর্তারা। প্রধানমন্ত্রীর সফরেই এই চুক্তি হওয়ায় তার তাৎপর্য অনেকটাই বেড়ে গেল।

    মেক ইন ইন্ডিয়া-এ জোর

    ২০১৪ সালে ক্ষমতায় আসা ইস্তক, ‘মেক ইন ইন্ডিয়া’-র ওপর জোর দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। কেন্দ্রীয় সরকারের লক্ষ্য বিদেশ থেকে সরাসরি আমদানি কমিয়ে দেশে উৎপাদন কর। কেন্দ্রের এই নীতির স্বপক্ষে ভারতে এখন বহু পণ্য উৎপাদন হচ্ছে, যা আগে বিদেশ থেকে সরাসরি আমদানি করা হতো। সেই তালিকায় আরও একটি নাম জুড়ল। এবার দেশে তৈরি হবে অত্যাধুনিক ফাইটার জেট ইঞ্জিন (HAL-GE Jet Engine Deal)।

    শক্তিশালী ইঞ্জিনের খোঁজ

    বস্তুত, বর্তমানে ভারতীয় বায়ুসেনায় অন্তর্ভুক্ত লাইট কমব্যাট এয়ারক্র্যাফট ‘তেজস মার্ক ১’ যুদ্ধবিমানের জন্য এই জিই সংস্থার ‘এফ-৪০৪’ ইঞ্জিন ব্যবহৃত হয়। সেটিও এদেশেই তৈরি হয়। কিন্তু, পূর্বসূরীর তুলনায় ভারী তথা আরও ক্ষমতাশালী পরবর্তী প্রজন্মের বিমান হতে চলেছে ‘তেজস মার্ক ২’ (Tejas Mk2 Engine)। এটি সম্ভবত হতে চলেছে মিডিয়াম কমব্যাট ক্যাটেগরির। এটি আরও আধুনিক ও বেশি অস্ত্রবহনে সক্ষম। ফলত, ‘এফ-৪০৪’ ইঞ্জিন যথেষ্ট নয়। দীর্ঘদিন ধরেই শক্তিশালী ইঞ্জিনের খোঁজ করছিল ভারত। অনেক পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর মার্ক ২ সংস্করণের জন্য ‘এফ-৪১৪’ ইঞ্জিন বাছাই করা হয়। 

    সুবিধা হবে অ্যামকা নির্মাণেও

    শুধু তেজস মার্ক ২ (Tejas Mk2 Engine) নয়, এই চুক্তির ফলে, ভারত যে পঞ্চম প্রজন্মের ফাইটার যুদ্ধবিমান তৈরি করছে, সেই অ্যাডভান্সড মিডিয়াম কমব্যাট এয়ারক্র্যাফট বা ‘অ্যামকা’-র প্রথম সংস্করণে এই ‘এফ-৪১৪’ ইঞ্জিন ব্যবহার করা হবে। ফলে, সেই দিক থেকে এবার ভারতের থমকে থাকা অ্যামকা প্রকল্পটিও জেট-ইঞ্জিনের গতি পাবে বলে মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল। 

    আরও পড়ুন: মোদির হাত ধরে বাংলার শিল্প এবার হোয়াইট হাউজে

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     
     
  • PM Modi’s US Visit: মোদির হাত ধরে বাংলার শিল্প এবার হোয়াইট হাউসে

    PM Modi’s US Visit: মোদির হাত ধরে বাংলার শিল্প এবার হোয়াইট হাউসে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কলকাতায় পঞ্চম প্রজন্মের রৌপ্যশিল্পীদের পরিবারের হাতে তৈরি রুপোর গণেশ, রুপোর প্রদীপ, রুপোর নারকেল শোভা পাচ্ছে হোয়াইট হাউসে। ভারতীয় সংস্কৃতিতে অতিথিদের যেমন ঈশ্বর তুল্য মনে করা হয়, তেমনই আবার খালি হাতেও কারোর বাড়িতে যাওয়া হয় না। প্রধানমন্ত্রী মোদিও (PM Modi’s US Visit) সেই রীতি মেনে চলেন। মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের (Joe Biden) আমন্ত্রণেই সে দেশে গিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী (PM Narendra Modi)। ঝুলি ভর্তি করে নিয়ে গিয়েছেন এক গুচ্ছ উপহার। তাতে রয়েছে বাইডেনের পছন্দসই উপহার সঙ্গে ভারতীয় সংস্কৃতিকে তুলে ধরে, এমন নানান উপহারও। 

    বিবিধ উপহার

    মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনকে একটি উপনিষদ উপহার দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী মোদি। ‘দ্য টেন প্রিন্সিপালস অফ উপনিষদ’ নামে ওই বইটি লন্ডনের ফেবার অ্যান্ড ফেবার প্রথম মুদ্রণে প্রকাশিত। এছাড়াও মোদি প্রেসিডেন্ট বাইডেনকে একটি বিশেষ চন্দন কাঠের বাক্স উপহার দিয়েছেন। রাজস্থানের জয়পুরে এই বাক্স তৈরি করা হয়েছে। চন্দন কাঠ আনানো হয়েছে কর্নাটকের মাইসোর থেকে। ওই বাক্সের উপরে ফুটিয়ে তোলা হয়েছে প্রকৃতির নানা চিত্র। 

    ‘দশ দান’-এর মাহাত্ম্য

    ওই বাক্সের মধ্যে আবার রয়েছে ‘দশ দান’। সহস্র পূর্ণচন্দ্র উদযাপনের সময়ে দশ দান দেওয়া ভারতীয় সংস্কৃতি ও শাস্ত্রীয় রীতি। পূর্ব ভারতে এই রীতি বিশেষ দেখা যায় না। উত্তর ভারতে সহস্ত্র পূর্ণচন্দ্র উদযাপন বড় ব্যাপার। প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী অটল বিহারী বাজপেয়ীর জন্য সহস্র পূর্ণচন্দ্র অনুষ্ঠান উদযাপন করেছিলেন প্রমোদ মহাজন। জীবদ্দশায় কোনও ব্যক্তি এক হাজার তম পূর্ণিমার চাঁদ দেখতে পেলে এই অনুষ্ঠান করা হয়। যে দশ দান করা হয় তা হল, গো-দান, ভূ-দান, তিল দান, হীরণ্যদান, অহ্যদান, ধান্যদান, বস্ত্র দান, গুড়দান, রৌপ্যদান এবং লবণ দান।

    বাইডেনকে মোদির দশ-দান

    গো-দানের স্মারক হিসাবে বাইডেনকে যে রুপোর নারকেল উপহার দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী, তা বাংলার স্বর্ণ শিল্পীদের নকশা করা। ভূ-দান হিসাবে মাইসোরের এক টুকরো চন্দন কাঠ দেওয়া হয়েছে, তামিলনাড়ু থেকে আনা হয়েছে তিল, রাজস্থানের শিল্পীরা নকশা করে দিয়েছেন একটি রূপোর মুদ্রায়। সেই সঙ্গে গুজরাট থেকে আনা হয়েছে লবণ। এছাড়া পঞ্জাব থেকে ঘি, ঝাড়খণ্ডের সিল্ক, উত্তরাখণ্ডের চাল,মহারাষ্ট্রের গুড়ও ছিল ওই বাক্সে।

    আরও পড়ুুন: তত্ত্বাবধানে খোদ মার্কিন ফার্স্ট লেডি! আজ মোদির সম্মানে রাষ্ট্রীয় নৈশভোজ

    কলকাতার রুপোর গণেশ 

    ওই বাক্সে রয়েছে রুপোর গণেশের একটি মূর্তি। এই মূর্তি আবার তৈরি করেছেন কলকাতার স্বর্ণকার পরিবার। যারা পাঁচ প্রজন্ম জুড়ে এই কাজ করছেন। চন্দন কাঠের বাক্সের পাশাপাশি উপহার দেওয়া হয়েছে রুপোর একটি প্রদীপও। এই প্রদীপও কলকাতার ওই গহনা প্রস্তুতকারকের কাছ থেকে তৈরি করা হয়েছে। প্রেসিডেন্ট বাইডেনকে উপহার দেওয়া হয়েছে একটি তাম্র পাত্র বা তামার প্লেট। উত্তরপ্রদেশ থেকে আনানো এই তাম্র পাত্রে লেখা রয়েছে শ্লোক।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share