Category: বিদেশ

Get updates on World News Headlines International News from the Madhyom news portal madhyom.com, West Bengal leading news portal Madhyom.com

  • Pokhara Airport: পোখরা বিমানবন্দর প্রকল্পে অনিয়মের অভিযোগে ৫৫ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের

    Pokhara Airport: পোখরা বিমানবন্দর প্রকল্পে অনিয়মের অভিযোগে ৫৫ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নেপালের দুর্নীতি তদন্ত কমিশন চিনের অর্থে নির্মিত পোখরা আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর প্রকল্পে অনিয়মের অভিযোগে ৫৫ জনের বিরুদ্ধে দায়ের করল দুর্নীতির মামলা (China Nepal)। অভিযুক্তদের মধ্যে পাঁচজন প্রাক্তন মন্ত্রীও রয়েছেন। রবিবার বিশেষ আদালতে দায়ের করা এই মামলা নেপালের পদস্থ রাজনৈতিক ও প্রশাসনিক কর্তাদের বিরুদ্ধে বৃহত্তম দুর্নীতিবিরোধী পদক্ষেপ হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে (Pokhara Airport)।

    দুর্নীতি তদন্ত কমিশনের বক্তব্য (Pokhara Airport)

    দুর্নীতি তদন্ত কমিশনের সহকারি মুখপাত্র গণেশ বহাদুর অধিকারীর মতে, অভিযুক্তরা বিমানবন্দর তৈরির সময় চিনের দেওয়া সফট লোনের আওতায় প্রকল্পটির জন্য বরাদ্দ করা ৮.৩৬ বিলিয়ন নেপালি রুপি আত্মসাৎ করেছেন। প্রকল্পটি দীর্ঘদিন ধরে অতিরিক্ত ব্যয়, চুক্তি-প্রক্রিয়ার স্বচ্ছতা এবং বেল্ট অ্যান্ড রোড ইনিশিয়েটিভের (BRI) অধীনে চিনা প্রতিষ্ঠানের ঋণনির্ভর পরিকাঠামো চাপিয়ে দেওয়ার ভূমিকা নিয়ে প্রশ্নের মুখে পড়েছে।

    কাঠগড়ায় যাঁরা

    যাঁদের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে, তাঁরা হলেন প্রাক্তন মন্ত্রী রাম শরণ মহাত, ভীম প্রসাদ আচার্য, প্রয়াত পোস্ট বহাদুর বোগাটী, রাম কুমার শ্রেষ্ঠা এবং দীপক চন্দ্র আমাত্য। এছাড়াও নেপাল সিভিল অ্যাভিয়েশন অথরিটির ১০ জন প্রাক্তন সচিব ও পদস্থ কর্তা, যাঁদের মধ্যে রয়েছেন প্রাক্তন ডিরেক্টর জেনারেল ত্রিরত্ন মহারজন, রতীশ চন্দ্র লাল সুমন এবং বর্তমান ডিরেক্টর জেনারেল প্রদীপ অধিকারী, এঁদের বিরুদ্ধেও অভিযোগ তোলা হয়েছে।

    চিনা ঠিকাদারি সংস্থা চায়না সিএএমসি ইঞ্জিনিয়ারিং কোম্পানি লিমিটেড এবং এর নেপালে নিযুক্ত প্রতিনিধিদের বিরুদ্ধেও মামলা দায়ের করা হয়েছে। এটি সরকারি পরিকাঠামো প্রকল্পে বিদেশি কোম্পানিগুলির ভূমিকা নিয়ে সিআইএএর নজরদারি আরও (Pokhara Airport) বিস্তৃত হয়েছে বলেই ইঙ্গিত দেয়।

    প্রসঙ্গত, ২০২৩ সালের জানুয়ারি মাসে উদ্বোধন করা পোখরা আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের অন্নপূর্ণা সার্কিটের দ্বার। নেপালের পর্যটন খাতে বড় ধরনের অগ্রগতির অন্যতম মাধ্যম হিসেবে ভাবা হয়েছিল একে। কিন্তু উদ্বোধনের পর প্রায় দু’বছর পেরিয়ে যাওয়ার পরেও বিমানবন্দরটি কোনও নির্ধারিত আন্তর্জাতিক (China Nepal) যাত্রিবাহী উড়ান পায়নি। এতেই ওঠে নানা প্রশ্ন। বিশ্লেষকদের মতে, নয়া দুর্নীতির অভিযোগ চিন-সমর্থিত নেপালের প্রকল্পগুলির ওপর নজরদারি আরও বাড়িয়ে দিতে পারে, বিশেষ করে যেসব প্রকল্পের সমালোচনা করা হয়েছে অস্বচ্ছ চুক্তি এবং সন্দেহজনক আর্থিক মডেলের জন্য (Pokhara Airport)।

  • Bangladesh: এক কেজির দাম ২০০ টাকা! পেঁয়াজ পেতে সেই ভারতের কাছেই হাত পাতছে বাংলাদেশ!

    Bangladesh: এক কেজির দাম ২০০ টাকা! পেঁয়াজ পেতে সেই ভারতের কাছেই হাত পাতছে বাংলাদেশ!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শেষমেশ ভারতের (India) পায়েই পড়তে হল বাংলাদেশকে (Bangladesh)! সে দেশে হুহু করে বাড়ছে পেঁয়াজের দাম। সেই কারণেই বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান মহম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন সরকার ভারতের কাছে হাত পেতেছে। বাংলাদেশের একাধিক আমদানিকারী সংস্থা সরকারের কাছে ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানির অনুমতি চেয়েছিল। তাতে সম্মতি দিয়েছেন ইউনূস। ৫০ জন আমদানিকারীকে ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানির অনুমতি দেওয়া হয়েছে। তাঁরা প্রত্যেকে ভারত থেকে সর্বোচ্চ ৩০ টন করে পেঁয়াজ কিনতে পারবেন। এভাবে ২০২৬ সালের ৩১ মার্চ পর্যন্ত ভারত থেকে দেড় হাজার টন পেঁয়াজ আমদানি করবে বাংলাদেশ।

    পেঁয়াজ কিনতে গিয়ে চোখে জল (Bangladesh)

    বাংলাদেশের বাজারে পেঁয়াজ কিনতে গিয়ে চোখে জল আসার জোগাড় সে দেশের বাসিন্দাদের। কোথাও কোথাও পেঁয়াজের দাম হয়েছে প্রতি কেজি ১৫০ টাকা। কিলো প্রতি ২০০ টাকা করেও বিক্রি হচ্ছে পেঁয়াজ। সেই দামে রাশ টানতেই এক প্রকার বাধ্য হয়ে ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানি করার অনুমতি দিয়েছে ইউনূস সরকার। বাংলাদেশের সামনে অবশ্য ভারত ছাড়াও আরও পাঁচটি বিকল্প ছিল। বাংলাদেশ বাণিজ্য ও শুল্ক কমিশন বছরখানেক আগে পেঁয়াজ আমদানির ওপর ভারতের ওপর নির্ভরশীলতা কমানোর পরামর্শ দিয়েছিল সরকারকে (Bangladesh)। তখনই পাঁচ বিকল্প দেশের কথা বলা হয়েছিল।

    ভারতের বিকল্প

    এই পাঁচটি দেশ হল পাকিস্তান, তুরস্ক, মায়ানমার, মিশর এবং চিন। ভারত ছাড়াও বাংলাদেশ পেঁয়াজ আমদানি করে মায়ানমার, চিন এবং তুরস্ক থেকেও। বাংলাদেশেও পেঁয়াজ উৎপন্ন হয়। তবে তা প্রয়োজনের তুলনায় অত্যন্ত কম। যদিও সে দেশের সংবাদ মাধ্যম সূত্রে খবর, আগের চেয়ে বাংলাদেশে পেঁয়াজের উৎপাদন বেশ খানিকটা বেড়েছে (India)। সূত্রের খবর, দেশের বাজারে পেঁয়াজের সঙ্কট প্রাথমিকভাবে সামাল দেওয়া গেলেই, ভারত থেকে ফের আমদানি বন্ধ করে দেবে বাংলাদেশ। উল্লেখ্য যে, ভারত থেকে যে পরিমাণ পেঁয়াজ বিদেশে রফতানি করা হয়, তার প্রায় এক তৃতীয়াংশই যায় বাংলাদেশে। গত ৩০ অগাস্ট শেষ বার ভারত থেকে পেঁয়াজের গাড়ি বাংলাদেশে গিয়েছিল। তার পর রবিবার ফের ৩০ টন পেঁয়াজের একটা গাড়ি সীমান্ত পেরিয়েছে (Bangladesh)। পেঁয়াজ আমদানির ছাড়পত্র মেলার পর বাংলাদেশের খুচরো বাজারে পেঁয়াজের দাম সামান্য কমেছে। যদিও ৫০ জনকে ৩০ টন করে পেঁয়াজ আমদানির অনুমতি দেওয়ায় খুশি নন বাংলাদেশের ব্যবসায়ীরা। তাঁদের মতে, আমদানির পরিমাণ আরও কিছুটা বাড়ানো উচিত ছিল।

    পেঁয়াজ কিনতে ইউনূস প্রশাসনের কাছে আবেদন

    পেঁয়াজ আমদানির জন্য ইউনূসের কৃষি মন্ত্রকের কাছে অগাস্ট মাস থেকে আবেদনপত্র জমা পড়েছে সাড়ে তিন হাজার। তার মধ্যে থেকেই বাছাই করে ৫০ জনকে আপাতত অনুমতি দেওয়া হয়েছে (India)। তুমুল বিক্ষোভের জেরে গত বছরের ৫ অগাস্ট বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী পদে ইস্তফা দিয়ে দেশান্তরিত হন আওয়ামি লিগ সুপ্রিমো শেখ হাসিনা। অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান হন মহম্মদ ইউনূস। হাসিনা আশ্রয় নেন ভারতে। বস্তুত, তার পরেই ভারত-বাংলাদেশ সম্পর্ক তলানিতে ঠেকে (Bangladesh)। ইউনূস জমানায় বাংলাদেশ সাফ জানিয়ে দিয়েছিল, তারা ভারতের ওপর নির্ভরশীলতা কমিয়ে আলু-পেঁয়াজ-চাল-সহ অন্যান্য নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যের আমদানির জন্য বিকল্প দেশ বেছে নেওয়া হবে।

    ভারতকে ‘শিক্ষা’ দিতে গিয়েই বিপত্তি!

    ভারতকে ‘শিক্ষা’ দিতে কোমর বেঁধে নেমে পড়ে ইউনূস সরকার। তার পরেই শোনা যায় পাকিস্তান, তুরস্ক এবং মিশরের মতো ইসলামিক দেশ এবং চিন ও মায়ানমারের মতো ‘বন্ধু’ দেশ থেকে আমদানি করা হবে প্রয়োজনীয় সামগ্রী। মনে রাখা প্রয়োজন, ভারতের পাশাপাশি বাংলাদেশ আগেও পেঁয়াজ কিনত মায়ানমার থেকে, তবে তা নিতান্তই কম। পাকিস্তান-সহ তিন ইসলামিক দেশ থেকেও এখন পেঁয়াজ-সহ অন্যান্য সামগ্রী আমদানি করছে বাংলাদেশ (India)। তবে এজন্য ইউনূসের দেশকে গুণতে হচ্ছে চড়া মাশুল। ভারত থেকে আমদানি করলে যা খরচ হত, এখন ব্যয় হচ্ছে তার দ্বিগুণ-তিনগুণ। সেই কারণেই ফের ভারতের পায়ে এসেই পড়তে হচ্ছে ইউনূসের দেশকে।

    পেঁয়াজের দর

    প্রসঙ্গত, বর্তমানে ভারতে পেঁয়াজের দাম ঘোরাফেরা করছে কেজি প্রতি ২৫ থেকে ৩০ টাকা। সেখানে বাংলাদেশে চোখে জল আনা অতি প্রয়োজনীয় এই সবজির দর ব্যবসায়ীরা হাঁকাচ্ছেন কেজি প্রতি ১৫০ থেকে ২০০ টাকা। বাংলাদেশ ভারত থেকে ১২ টাকা কেজি দরে পেঁয়াজ কিনছে। পরিবহণ খরচ এবং বন্দরের শুল্ক মিলিয়ে খরচ হবে কেজি প্রতি আরও ৬ টাকা করে। এখন এই ১৮ টাকায় পেঁয়াজ কিনে বাংলাদেশের ব্যবসায়ীরা কত টাকায় বিক্রি করেন, সেটাই দেখার। তবে ভারত (India) থেকে গেলে যে বাংলাদেশে পেঁয়াজের দাম তুলনায় সস্তা হবে, তা বলাই বাহুল্য (Bangladesh)।

  • Bangladeshi Hindu Rights Activist: রাষ্ট্রসংঘে হিন্দুদের ওপর নৃশংস অত্যাচারের বর্ণনা দিলেন হিন্দু অধিকার কর্মী

    Bangladeshi Hindu Rights Activist: রাষ্ট্রসংঘে হিন্দুদের ওপর নৃশংস অত্যাচারের বর্ণনা দিলেন হিন্দু অধিকার কর্মী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ব্যাপক আন্দোলনের জেরে ২০২৪ সালের ৫ অগাস্ট প্রধানমন্ত্রী পদে ইস্তফা দিয়ে বাংলাদেশ (Bangladeshi Hindu Rights Activist) ছাড়তে বাধ্য হন আওয়ামি লিগ সুপ্রিমো শেখ হাসিনা। এই অন্ধকার দিনটি একইসঙ্গে বাংলাদেশের হিন্দু ও অন্যান্য ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তা ও মর্যাদার অবসানেরও সংকেত দেয়। কারণ উগ্র ইসলামপন্থীরা ধর্মীয় পরিচয়ের ভিত্তিতে হিন্দুদের হত্যা করে (Islamist Atrocities)। নির্বিচারে চালায় লুটপাট-ধর্ষণ। ভাঙচুর করার পাশাপাশি অপবিত্র করা হয় তাঁদের মন্দির এবং বিগ্রহ।

    হিন্দু অধিকার কর্মীর বক্তব্য (Bangladeshi Hindu Rights Activist)

    সম্প্রতি রাষ্ট্রসংঘ মানবাধিকার কমিশন আয়োজিত “সংখ্যালঘু বিষয়ক ফোরামের অষ্টাদশ অধিবেশনে” বক্তৃতা দিতে গিয়ে বাংলাদেশের হিন্দু অধিকার কর্মী দীপন মিত্র ইসলামপন্থীদের হাতে বাংলাদেশের হিন্দুদের ওপর সংঘটিত নির্যাতন ও নৃশংসতার ঘটনাগুলির কথা তুলে ধরেন। ২৮ নভেম্বর অনুষ্ঠিত ওই সম্মেলনে মানবাধিকার ও ন্যায়বিচার ব্যুরোর সভাপতি দীপন  বলেন, “১৯৭১ সালে বাংলাদেশের স্বাধীনতার পর থেকেই সংখ্যালঘু হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিস্টান এবং আদিবাসী সম্প্রদায়গুলি রাষ্ট্রীয় এবং সামাজিক বৈষম্যের শিকার হয়ে আসছে। তবে বর্তমানে পরিস্থিতি ভয়াবহ রূপ নিয়েছে। সংখ্যালঘু হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিস্টান ও উপজাতীয় সম্প্রদায়ের বিরুদ্ধে জাতিগত নিধনের একটি পরিকল্পিত প্রক্রিয়া চলছেই।” বাংলাদেশে হিন্দুদের ওপর ইসলামপন্থীদের অপরাধগুলির পরিসংখ্যান দিয়ে দীপন বলেন, “গত এক বছরে ১৮৩ জনেরও বেশি হিন্দুকে হত্যা করা হয়েছে। ২১৯ জন হিন্দু নারীকে ধর্ষণ করা হয়েছে। গত বছর হাজার হাজার হিন্দু বাড়ি ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের ওপর আক্রমণ এবং ভাঙচুর চালানো হয়েছে। করা হয়েছে অগ্নিসংযোগও। হিন্দু ও বৌদ্ধ সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের ৭৮ জন কিশোরীকে জোরপূর্বক ইসলাম ধর্মে ধর্মান্তরিত করা হয়েছে (Bangladeshi Hindu Rights Activist)।”

    ধর্ম অবমাননার অভিযোগ

    তিনি বলেন, “ধর্ম অবমাননার অভিযোগে হিন্দুদের ওপর হামলা, হিন্দু মঠ ও মন্দির দখল – এসব এখন বাংলাদেশে নিত্যদিনের ঘটনা হয়ে দাঁড়িয়েছে। হিন্দু ব্যবসায়ীদের ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে হামলা ও তোলাবাজি ব্যাপক হারে বাড়ছে। একদিনও যায় না যখন হিন্দুদের সম্পত্তি দখল করা হয় না, বাড়িতে হামলা, ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করা হয় না (Islamist Atrocities)।” প্রসঙ্গত, ২০২৪ সালের অগাস্টেই ভারতীয় সংবাদ মাধ্যমের প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছিল বাংলাদেশে মুসলিম দাঙ্গাবাজরা হামলা চালিয়েছিল একাধিক হিন্দু মন্দির ও বাড়িতে। সেই সময় ইসলামো-বামপন্থী গণমাধ্যম যেমন আল জাজিরা, নিউ ইয়র্ক টাইমস ইত্যাদি এই হিংসাকে ‘রাজনৈতিক প্রতিশোধ’ হিসেবে দেখানোর চেষ্টা করেছিল। ওই গণমাধ্যমগুলির দাবি, যে এই সব ঘটনা আওয়ামি লিগকে সমর্থনের জন্য করা প্রতিশোধমূলক আক্রমণ। বাস্তবে, যদিও কিছু ক্ষেত্রে দাঙ্গাবাজরা আওয়ামি লিগের হিন্দু নেতাদের লক্ষ্য করেছিল, তবুও হামলা রাজনৈতিক প্রতিদ্বন্দ্বিতা বা প্রতিশোধের মধ্যে সীমাবদ্ধ ছিল না।

    হিন্দুদের দোকান ভাঙচুর

    নাটোর, ঢাকার ধামরাই, পটুয়াখালির কালাপাড়া, শরিয়তপুর, ফরিদপুরের মন্দির এবং যশোর, নোয়াখালি, মেহেরপুর, চাঁদপুর ও খুলনায় হিন্দুদের বাড়িঘর লক্ষ্য করে হামলা চালানো হয়। দিনাজপুরে হিন্দুদের ৪০টি দোকান ভাঙচুর করা হয়েছিল (Bangladeshi Hindu Rights Activist)। এই ঘটনাগুলি ঘটেছিল হাসিনা দেশান্তিরিত হওয়ার পরপরই। মহম্মদ ইউনূস যখন অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা হিসেবে দায়িত্ব নেন, তখন থেকেই ইসলামপন্থীরা অকল্পনীয়ভাবে হিন্দুদের ওপর ঘৃণা, নির্যাতন, হত্যা, ধর্ষণ ও লুটপাট চালিয়ে যাচ্ছে। ওই সম্মেলনে বক্তব্য রাখতে গিয়ে দীপন হিন্দু আধিকারিক ও শিক্ষকদের চাকরি থেকে বহিষ্কারের জন্য চালানো একটি পরিকল্পিত প্রচারের বিষয়টিও তুলে ধরেন। তিনি বলেন, “নির্বাচন কমিশনের সচিব অশোক কুমার দেবনাথ, প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক উত্তম কুমার দাস, প্রেস কাউন্সিলের সচিব শ্যামল চন্দ্র কর্মকার (Islamist Atrocities), কলকাতায় বাংলাদেশ উপ-দূতাবাসের প্রেস সেক্রেটারি রঞ্জন সেন, কানাডায় বাংলাদেশ হাইকমিশনের কাউন্সেলর অর্পণা রানি পাল—এদের বরখাস্ত করা হয়েছে।”

    হিন্দুদের চাকরি থেকে বরখাস্ত

    তিনি জানান, গত বছর অন্তত ১৭৬ জন হিন্দু শিক্ষক বিভিন্ন স্কুল, কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয় থেকে জোরপূর্বক পদত্যাগ করতে বাধ্য হয়েছেন বা চাকরি থেকে বরখাস্ত হয়েছেন (Bangladeshi Hindu Rights Activist)। দীপন বলেন, “শুধু তাই নয়, বাংলাদেশ পুলিশ থেকেও হিন্দুদের বের করে দেওয়া হচ্ছে। ইতিমধ্যেই শতাধিক পুলিশ কর্তা বরখাস্ত হয়েছেন, যার মধ্যে কৃষ্ণপদ রায়ও রয়েছেন। ২০২৪ সালে রাজশাহি সারদা পুলিশ অ্যাকাডেমিতে চূড়ান্ত নিয়োগ ও প্রশিক্ষণের জন্য সুপারিশ করা ২৫২ জন সাব-ইন্সপেক্টরের (এসআই) মধ্যে ২৫২ জনকেই ছেঁটে দেওয়া হয়েছে। তদন্তে জানা গিয়েছে, এই ২৫২ জনের মধ্যে ৯৯ জন হিন্দু, দু’জন বৌদ্ধ এবং একজন খ্রিস্টানও ছিলেন।” হিন্দু অধিকারকর্মী আরও জানান, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক মহম্মদ ইউনূসের অধীনে, আইজিপি বাহারুল আলমকে নির্দেশ দিয়েছে যেন বাংলাদেশ পুলিশে কোনও হিন্দুকে নিয়োগ করা না হয় (Bangladeshi Hindu Rights Activist)।

  • Donald Trump: নাকের বদলে নরুন! প্রথম ফিফা শান্তি পুরস্কার পেলেন ডোনাল্ড ট্রাম্প, কী বললেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট?

    Donald Trump: নাকের বদলে নরুন! প্রথম ফিফা শান্তি পুরস্কার পেলেন ডোনাল্ড ট্রাম্প, কী বললেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নোবেল শান্তি পুরস্কার না পাওয়ার আফশোস কি যাচ্ছেই না ডোনাল্ড ট্রাম্পের? নোবেল শান্তি পুরস্কার তিনি পাননি, এটা কি মার্কিন প্রেসিডেন্ট মন থেকে মেনে নিতে পারছেন না? তাই কি ফিফাকে সামনে রেখে নিজেই নিজেকে শান্তি পুরস্কারে পুরস্কৃত করলেন ট্রাম্প?

    ফিফা শান্তি পুরস্কার পেলেন ট্রাম্প

    শুক্রবার আমেরিকার ওয়াশিংটনের জন এফ কেনেডি সেন্টার ফর পারফর্মিং আর্টসে হয়ে গেল বিশ্বকাপের গ্রুপবিন্যাস। এই অনুষ্ঠানের আগে থেকেই ওয়াশিংটনে তৈরি হয়েছিল আগ্রহ। বিশ্বকাপে খেলতে চলা দেশগুলির সমর্থকরা হাজির হয়েছিলেন। শুধু তাই নয়, আমেরিকার জাতীয় ফুটবল লিগ এবং বাস্কেটবল লিগের তারকারা এসেছিলেন। ব্রাজিলের কোচ কার্লো আনচেলোত্তি, আমেরিকার কোচ মৌরিসিয়ো পোচেত্তিনো-সহ বিভিন্ন দেশের কোচকে দেখা গিয়েছে। তবে আগ্রহ ছিল একজনকে নিয়েই। তিনি আমেরিকার প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। ফিফা সভাপতি জিয়ান্নি ইনফ্যান্টিনোর সঙ্গে তাঁর বন্ধুত্বের কথা অজানা নয়। শোনা যাচ্ছিল, এ বার থেকে ফিফা যে শান্তি পুরস্কার চালু করেছে, তার প্রথম প্রাপক ট্রাম্পই। সেটাই হয়েছে। নোবেল শান্তি পুরস্কার না পেলেও ফিফার পুরস্কার পেয়ে গেলেন ট্রাম্প। ইনফ্যান্টিনো জানান, বিশ্বজুড়ে থাকা ফুটবলপ্রেমী মানুষের তরফে এই পুরস্কার ট্রাম্পের হাতে তুলে দেওয়া হল। যদিও ট্রাম্পের জন্যই যে এই পুরস্কারের আয়োজন করা হয়েছে এবং তিনিই যে প্রথম প্রাপক তা আগে থেকেই বোঝা যাচ্ছিল। অর্থাৎ, নাকের বদলে নরুন। বলা যেতেই পারে, ফিফাকে সামনে রেখে ট্রাম্প নিজেই নিজেকে এই পুরস্কার দেওয়ার জন্য যাবতীয় ব্যবস্থা করে রেখেছিলেন।

    মনে নোবেল শান্তি পুরস্কার না মেলার আফশোস!

    একটি ভিডিওয় দেখানো হয় কী ভাবে বিভিন্ন দেশে যুদ্ধ পরিস্থিতি সামলেছেন ট্রাম্প। সেই ভিডিয়োয় ট্রাম্পের সঙ্গে দেখা যায় ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকেও। মার্কিন প্রেসিডেন্ট একাধিক বার দাবি করেছেন তিনি সারা বিশ্বে মোট আটটি যুদ্ধ থামিয়েছেন। এর মধ্যে রয়েছে ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধও। ফিফার অনুষ্ঠানে ট্রাম্প আরও একবার বলেন, “সারা বিশ্বে লক্ষ লক্ষ মানুষের জীবন বাঁচিয়েছি আমরা। কঙ্গোয় এক কোটি মানুষ মারা গিয়েছিলেন। পরিস্থিতি যে দিকে এগোচ্ছিল তাতে আরও এক কোটি মানুষ মারা যেতেন। ভারত ও পাকিস্তানের ক্ষেত্রেও আমরা ওই দুই দেশের যুদ্ধ শুরু হওয়ার আগেই তা থামিয়ে দিয়েছি।” ভারত-পাকিস্তান সংঘর্ষবিরতি যে তাঁর জন্যই সম্ভব হয়েছে, তা ট্রাম্প আগে বহু বার দাবি করেছেন। তবে ভারতের কেন্দ্রীয় সরকার একাধিক বার ট্রাম্পের এই দাবি খারিজ করে দিয়েছেন। মোদি নিজে ট্রাম্পকে ফোন করে স্পষ্ট করে সে কথা জানিয়ে দেন। কিন্তু ফিফার শান্তি পুরস্কার পেয়ে আবার একই দাবি করলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। স্পষ্টই বোঝা যাচ্ছিল যে, যতই তিনি ফিফা শান্তি পুরস্কার পান না কেন, নোবেল শান্তি পুরস্কার না মেলার আফশোস রয়েই গিয়েছে। তাই তিনি বারবার দুই পরমাণু শক্তিধর ভারত-পাকিস্তানের যুদ্ধ থামানোর দাবি করেই চলেছেন।

  • PIA Airline Privatisation: দুর্দশার শেষ নেই পাকিস্তানিদের, এবার নিলামে তুলছে আস্ত এয়ারলাইন্সও

    PIA Airline Privatisation: দুর্দশার শেষ নেই পাকিস্তানিদের, এবার নিলামে তুলছে আস্ত এয়ারলাইন্সও

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দুর্দশার সীমা নেই পাক অর্থনীতির। তাই এবার জাতীয় বিমান সংস্থা পাকিস্তান ইন্টারন্যাশনাল এয়ারলাইন্সকে (PIA Airline Privatisation) ২৩ ডিসেম্বর নিলামে তুলতে চলেছে ঋণে জর্জরিত শাহবাজ শরিফের দেশ। এই নিলাম সরাসরি সম্প্রচারিত বিডিং প্রক্রিয়ার মাধ্যমে অনুষ্ঠিত হবে (IMF)। একে সরকার তাদের ৭ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের আইএমএফ বেলআউট প্যাকেজের একটি গুরুত্বপূর্ণ শর্ত পূরণের শেষ ধাপ হিসেবে বর্ণনা করেছে।

    পিআইএ (PIA Airline Privatisation)

    জানা গিয়েছে, পিআইএ (পাকিস্তান ইন্টারন্যাশনাল এয়ারলাইন্স)-এর ৫১ থেকে ১০০ শতাংশ শেয়ারই পূর্ণ ব্যবস্থাপনা নিয়ন্ত্রণ-সহ বিক্রি করা হবে। এটি এক্সটেন্ডেড ফান্ড ফেসিলিটির অধীনে একটি আনুষ্ঠানিক পরিকাঠামোগত মানদণ্ড। আইএমএফের এক্সিকিউটিভ বোর্ড আগামী ৮ ডিসেম্বর বৈঠকে বসবে পরবর্তী ১.২ বিলিয়ন ডলার কিস্তি ছাড়ের বিষয়টি অনুমোদনের জন্য। প্রসঙ্গত, বছর শেষের আগেই পিআইএর বিডিং প্রক্রিয়া সম্পন্ন করা ভবিষ্যৎ অর্থ ছাড়ের জন্য বাধ্যতামূলক বলেই খবর। জানা গিয়েছে, পাকিস্তানের সরকারি ওই বিমানসংস্থা কেনার বিষয়ে যে সংস্থাগুলি আগ্রহ দেখিয়েছে, তাদের মধ্যে সর্বাগ্রে রয়েছে চারটি সংস্থা। এই চারটি সংস্থার মধ্যে রয়েছে পাক সেনার নিয়ন্ত্রণাধীন সংস্থা ফৌজি ফাউন্ডশনও। গত মাসে পাকিস্তানের বেসরকারিকরণ মন্ত্রী মহম্মদ আলি সংবাদ মাধ্যমে বলেছিলেন, “এ বছর আমরা বেসরকারীকরণ থেকে ৮৬ বিলিয়ন (পাকিস্তানি) রুপি আয়ের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছি। পিআইএর ক্ষেত্রে, শেষ দফা বিডিংয়ে পাওয়া মোট অর্থের ১৫ শতাংশ সরকার পেত এবং বাকিটা কোম্পানির ভেতরেই থাকত (PIA Airline Privatisation)।”

    পাকিস্তানের সংবাদপত্রের খবর

    পাকিস্তানের সংবাদপত্র ডনের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, পিআইএর শেয়ার বিক্রি পাকিস্তানের গত দু’দশকের মধ্যে প্রথম বড় বেসরকারীকরণের চেষ্টা। ওই প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, “বিক্রির জন্য চারজন বিডারকে প্রাক-যোগ্যতা দেওয়া হয়েছে: লাকি সিমেন্ট কনসোর্টিয়াম, আরিফ হাবিব কর্পোরেশন কনসোর্টিয়াম, ফৌজি ফার্টিলাইজার কোম্পানি লিমিটেড এবং এয়ার ব্লু লিমিটেড।” উল্লেখ্য, ফৌজি ফার্টিলাইজার হল ফৌজি ফাউন্ডেশনের একটি অংশ, যা পাকিস্তানের অন্যতম বৃহত্তম কর্পোরেট শক্তি হিসেবে আবির্ভূত হয়েছে। মনে রাখতে হবে, পাকিস্তান এমন একটি দেশ যেখানে সামরিক বাহিনীর প্রভাব সর্বত্র (IMF)।

    প্রসঙ্গত, বর্তমানে পাকিস্তানের সবচেয়ে ক্ষমতাশালী ব্যক্তি ফিল্ড মার্শাল আসিম মুনির। তিনি ফৌজি ফাউন্ডেশনের সেন্ট্রাল বোর্ড অব ডিরেক্টরসের সরাসরি কোনও পদে নেই। তিনি কোয়ার্টারমাস্টার জেনারেল নিয়োগ করেন, যিনি ফৌজি ফাউন্ডেশনের সেন্ট্রাল বোর্ড অব ডিরেক্টরসের সদস্য (PIA Airline Privatisation)।

  • India Pakistan Conflict: সর্বক্ষণ ভারতের বিরুদ্ধে সংঘাত তৈরির অপচেষ্টা কট্টরপন্থী মুনিরের! বিস্ফোরক দাবি ইমরানের বোনের

    India Pakistan Conflict: সর্বক্ষণ ভারতের বিরুদ্ধে সংঘাত তৈরির অপচেষ্টা কট্টরপন্থী মুনিরের! বিস্ফোরক দাবি ইমরানের বোনের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সর্বক্ষণ ভারতের বিরুদ্ধে সংঘাত (India Pakistan Conflict) তৈরির অপচেষ্টা পাকিস্তানের সেনাপ্রধান আসিম মুনিরের (Asim Munir)। কট্টর ইসলামপন্থী আসিম মুনির ভারতের সঙ্গে যুদ্ধ করার জন্য উদগ্রীব হয়ে থাকেন। এমনই বিস্ফোরক দাবি করলেন পাকিস্তানের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের (Imran Khan) বোন আলিমা খান। কয়েক সপ্তাহ ধরে টালবাহানার পর অবশেষে মঙ্গলবার ইমরান খানের সঙ্গে তাঁর বোন ডাক্তার উজমা খানুমকে দেখা করতে দেওয়া হয়। রাওয়ালপিন্ডির আদিয়ালা জেলে ঢুকতে দেওয়া হয় পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফের সর্বময় নেতা ইমরানের বোনকে। প্রাক্তন ক্রিকেট বিশ্বকাপ জয়ী পাক ক্যাপ্টেন গত দুবছর ধরে আদিয়ালা জেলে বন্দি।

    আসিম মুনির কট্টরপন্থী 

    ইমরান খানের বোন আলিমা খানের অভিযোগ, জেনারেল আসিম মুনিরের ইসলামী কঠোর অবস্থান পাকিস্তানকে ভারতের সঙ্গে সংঘাতের দিকে ঠেলে দিচ্ছে। যা গণতান্ত্রিক পাকিস্তানের পক্ষে কখনওই ভালো নয়। প্রাক্তন পাক প্রধানমন্ত্রীর বোন আলিমা দাবি করেন, ইমরান খান একজন খাঁটি উদারপন্থী। তিনি চান ভারতের সঙ্গে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক গড়ে তুলতে। স্কাই নিউজকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে আলিমা খান বলেন, ‘‘আসিম মুনির কট্টরপন্থী ইসলামপন্থী। সেই কারণেই তিনি ভারতের সঙ্গে যুদ্ধ করার জন্য উদগ্রীব হয়ে থাকেন। তাঁর কট্টর ইসলামিক চিন্তাধারা ও সংরক্ষণ মনোভাবই তাঁকে জোর করে তাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করতে, যারা ইসলামে বিশ্বাস করে না।’’

    ইমরান খান স্বাধীন চিন্তাধারার

    অন্যদিকে ইমরান খান স্বাধীন চিন্তাধারার। যখন ইমরান খান ক্ষমতায় ছিলেন, তখন তিনি ভারতের সঙ্গে বন্ধুত্ব স্থাপন করার চেষ্টা করেছিলেন বলে জানান তাঁর বোন। তিনি বলেন, ‘‘ইমরান খান যখন ক্ষমতায় এসেছিলেন, ভারতের সঙ্গে বন্ধুত্ব করতে চেয়েছিলেন। এমনকী বিজেপির সঙ্গেও। যখনই আসিম মুনিরের মতো মৌলবাদী ক্ষমতায় থাকবেন, তখন ভারতের সঙ্গে তো যুদ্ধ করতে চাইবেনই। এমনকী ভারতের বন্ধু দেশগুলিও ভুগবে।’’ পাশাপাশি ইমরান খানকে পাকিস্তানের ‘সম্পদ’ বলে অভিহিত করেন আলিমা। তিনি বলেন, “ইমরান খান এই দেশের ৯০ শতাংশ মানুষের প্রতিনিধিত্ব করেন। দেশের এমন একজন প্রতিনিধিকে কীভাবে কারাগারে রাখা যায়?” তিনি আরও বলেন করেন, “আসলে তারা পাকিস্তানের জনগণকে দমন করতে চায়। তারা জনগণের কণ্ঠস্বর শুনতে দিতে চায় না, আর জনগণ ইমরান খানের পাশে দাঁড়িয়ে আছে। তারা ভেবেছিল, যদি তাকে আলাদা করে রাখা যায়, তাহলে মানুষ তাকে ভুলে যাবে।”

    দেশের জন্য বিপজ্জনক

    পাক সেনাপ্রধান আসিম মুনিরকে ‘দেশের জন্য বিপজ্জনক’ বললেন পাকিস্তানের জেলবন্দি প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান। ক্রিকেটের মাঠ থেকে রাজনীতির ময়দানে নামা ইমরান বলেন, মুনির ইচ্ছাকৃত ভাবে আফগানিস্তানের সঙ্গে রাজনৈতিক চাপানউতোর বাড়াচ্ছেন। ৭৩ বছর বয়সি ইমরান এক্স হ্যান্ডলে লিখেছেন, ‘‘আসিম মুনিরের নীতি পাকিস্তানের জন্য বিপর্যয় ডেকে আনছে। ওঁর নীতির জন্য সন্ত্রাস এ ভাবে বাড়ছে। দেখে কষ্ট লাগে। পাকিস্তানের জন্য ভালো কিছু করায় ওঁর কোনও আগ্রহ নেই। উনি পশ্চিমের শক্তিদের তুষ্ট করতে চান। আফগানিস্তানের সঙ্গে দ্বন্দ্ব বাড়াচ্ছেন, যাতে গোটা বিশ্বকে দেখাতে পারেন উনি ‘মুজাহিদ’ (ইসলামিক যোদ্ধা)।’’ মুনিরকে ‘মানসিক অসুস্থ’ও বলেছেন ইমরান। তাঁর কথায়, ‘‘মুনিরের নৈতিক শূন্যতা পাকিস্তানের সাংবিধানিক আইনব্যবস্থাকে ধ্বংস করে দিচ্ছে।’’

    ঈশ্বরের কৃপায় সুস্থ ইমরান

    ইমরান খানের সঙ্গে সাক্ষাতের পর সাংবাদিককের মুখোমুখি হয়ে তাঁর অপর বোন উজমা খানুম বলেন, ‘‘ঈশ্বরের কৃপায় ও সুস্থ আছে…কিন্তু ওঁর উপরে চলা মানসিক অত্যাচার নিয়ে ক্ষুব্ধ। সারাদিন সেলে বন্দি করে রাখা হয় ওঁকে…খুব অল্প সময়ের জন্যই সেল থেকে বেরতে পারে, কারোর সঙ্গে কথা বলতে দেওয়া হয় না।’’ জেলবন্দি ইমরান খান পাকিস্তানের সেনা প্রধান জেনারেল আসিম মুনিরকেই দুষেছেন দেশের বর্তমান অবস্থার জন্য। ইমরানের দাবি আসিম মুনির পাক সেনার সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ নিজের হাতে নিয়ে নিয়েছেন। এমনকী, সংবিধানে পরিবর্তন করে নিজেকে এবং সমস্ত সেনা প্রধান ও প্রেসিডেন্ট আসিফ আলি জারদারিকে আজীবন সুরক্ষার ব্যবস্থা করেছেন।

    ইমরানের উপর মানসিক অত্যাচার

    ২০২৩ সাল থেকে জেলে রয়েছেন পাকিস্তানের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান। বিগত এক সপ্তাহেরও বেশি সময় ধরে প্রাক্তন পাক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের স্বাস্থ্য নিয়ে উদ্বেগ-জল্পনা তৈরি হয়েছিল। অভিযোগ ওঠে, প্রায় এক মাস ধরে ইমরানের সঙ্গে পরিবারের কাউকে দেখা করতে দেওয়া হচ্ছে না। অবশেষে মঙ্গলবার, ২ ডিসেম্বর রাওয়ালপিন্ডির আদিয়ালা জেলে বন্দি থাকা ইমরান খানের সঙ্গে দেখা করতে দেওয়া হয় তাঁর বোন উজমাকে। তিনি বলেন যে ইমরান বেঁচে থাকলেও, তাঁর উপরে মানসিক অত্যাচার করা হচ্ছে। উজমা বলেন, ‘‘ইমরান খান বলেছেন যে তাঁর কারও সঙ্গে কোনও যোগাযোগ নেই, এমনকী তিনি কারও সঙ্গে দেখাও করেননি। তিনি বলেছেন যে তারা তাঁকে মানসিকভাবে নির্যাতন করছে। তিনি ক্রুদ্ধ এবং বলেছেন যে যা কিছু ঘটছে তার জন্য আসিম মুনির দায়ী।’’

  • Expired Flood Relief: মেয়াদ উত্তীর্ণ ত্রাণ পাঠাল পাকিস্তান! বন্যাবিধ্বস্ত শ্রীলঙ্কাকে এ কেমন সহায়তা শরিফ সরকারের?

    Expired Flood Relief: মেয়াদ উত্তীর্ণ ত্রাণ পাঠাল পাকিস্তান! বন্যাবিধ্বস্ত শ্রীলঙ্কাকে এ কেমন সহায়তা শরিফ সরকারের?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: টানা বৃষ্টি, বন্যা, সবশেষে ঘূর্ণিঝড় দিটওয়া-র (Cyclone Ditwah) কবলে পড়ে বিধ্বস্ত অবস্থা শ্রীলঙ্কার (Sri Lanka)। মৃত্যুর সংখ্যা ৩০০ পেরিয়েছে, আশ্রয়হীন বহু মানুষ। অধিকাংশ এলাকা জলের তলায়। এই পরিস্থিতিতে সাহায্যের হাত বাড়িয়েছে আন্তর্জাতিক মহল। তবে সেই সাহায্যের মধ্যেই বিতর্ক তৈরি হয়েছে পাকিস্তানকে ঘিরে। অভিযোগ, পাকিস্তান যে ত্রাণসামগ্রী পাঠিয়েছে (Pakistan sends expiry relief fund to Sri Lanka), সেগুলির মেয়াদ অনেক আগেই শেষ হয়ে গিয়েছে। ঘটনাটি সামনে আসে পাকিস্তান হাইকমিশনের (Pakistan High Commission) একটি পোস্ট থেকে।

    মেয়াদ উত্তীর্ণ ত্রাণ সামগ্রী

    গত ৩০ নভেম্বর কলম্বোয় পাকিস্তানের হাই কমিশন শ্রীলঙ্কাকে পাঠানো ত্রাণের ছবি পোস্ট করেছে সমাজমাধ্যমে। সেখানে লিখেছে,‘শ্রীলঙ্কায় সাম্প্রতিক বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত আমাদের ভাই-বোনদের জন্য পাকিস্তান সফল ভাবে ত্রাণসামগ্রী পাঠিয়েছে। পাকিস্তান আজ এবং ভবিষ্যতে সব সময় শ্রীলঙ্কার পাশে।’ সেই পোস্টে ত্রাণসামগ্রীর (Expired flood relief) কিছু ছবি দিয়েছে পাকিস্তান। তাতে দেখা গিয়েছে, খাবারের প্যাকেটে তার মেয়াদের তারিখ লেখা রয়েছে— ২০২৪ সালের অক্টোবর। সেই মেয়াদ অনেক দিন আগেই উত্তীর্ণ হয়ে গিয়েছে।

    নেটিজেনদের সমালোচনা

    এর পরেই নেটিজেনদের একাংশ সমালোচনা করেছেন পাকিস্তানের। কেউ বলেছেন, বিপাকে পড়া মানুষজনকে আদতে অপমান করছে পাকিস্তান। অনেকে বলছেন, খাবারের প্যাকেটের ছবি পোস্ট করার আগে তার মেয়াদ খতিয়ে দেখা উচিত ছিল পাকিস্তানের হাই কমিশনের। সমালোচনা বাড়তেই পোস্টটি মুছে ফেলা হয়। তবে বিতর্ক এড়াতে ভারতকেই (India) কাঠগড়ায় তুলছে পাক সরকার। তারা দাবি করেন, শ্রীলঙ্কায় ত্রাণ পাঠাতে বাধা দিচ্ছে ভারত। তাঁদের আকাশসীমায় তাঁদের প্রবেশ করতে দেওয়া হচ্ছে না।

    ভারতীয় আকাশসীমা ব্যবহারের অনুমতি

    দিল্লির তরফে এই দাবি ইতিমধ্যেই ‘ভিত্তিহীন’ বলে জানানো হয়েছে। সূত্রের খবর, ১ ডিসেম্বর দুপুর ১টা নাগাদ পাকিস্তান ভারতের (India-Pakistan) কাছে অনুরোধ জানায়, শ্রীলঙ্কার (Srilanka) বন্যা-পরিস্থিতিতে সাহায্য পাঠানোর জন্য তাদের বিমানকে ভারতীয় আকাশসীমা ব্যবহারের অনুমতি দেওয়া হোক। বিষয়টি মানবিক সহায়তার হওয়ায় ভারত তৎক্ষণাৎ প্রক্রিয়া শুরু করে এবং বিকেল ৫টা ৩০ মিনিটের মধ্যেই অনুমোদন দিয়ে দেয়। অর্থাৎ, মাত্র চার ঘণ্টার মধ্যেই সবুজ সংকেত পায় পাকিস্তান।

    প্রতিবেশীর পাশে ভারত

    গত সপ্তাহেই বঙ্গোপসাগরে তৈরি হয়েছিল ঘূর্ণিঝড় সেনিয়ার। তার কয়েক দিনের মাথায় ফের তৈরি হয় ঘূর্ণিঝড় দিটওয়া। এই দুইয়ের জেরে সাগর সংলগ্ন একাধিক দেশ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। পরিস্থিতির গুরুত্ব বুঝে ভারত ইতিমধ্যেই ত্রাণ পাঠাতে শুরু করেছে। নৌবাহিনী, বায়ুসেনা ও এনডিআরএফ- ‘অপারেশন সাগর বন্ধু’-র আওতায় উদ্ধারকাজ ও ত্রাণ বিলিতে অংশ নিচ্ছে। খাদ্য, চিকিৎসা সামগ্রী, বিশেষ উদ্ধারকারী দল, জাহাজ- সবই পাঠানো হচ্ছে। জানা গিয়েছে, ১ ডিসেম্বর পর্যন্ত ৫৩ টন ত্রাণ পাঠানো হয়েছে। ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (Narendra Modi) শ্রীলঙ্কার প্রেসিডেন্ট অনুরা কুমারা ডিসানায়েকের (Anura Kumara Dissanayake) সঙ্গে ফোনে কথা বলেন। তিনি শ্রীলঙ্কার মানুষের প্রতি সমবেদনা জানিয়ে আরও সহায়তা পাঠানোর আশ্বাস দেন।

  • Khaleda Zia: “ভারত সহায়তা দিতে প্রস্তুত”, এবার প্রধানমন্ত্রী মোদিকে ধন্যবাদ জানাল বাংলাদেশের বিএনপি

    Khaleda Zia: “ভারত সহায়তা দিতে প্রস্তুত”, এবার প্রধানমন্ত্রী মোদিকে ধন্যবাদ জানাল বাংলাদেশের বিএনপি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির (PM Modi) প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছিলেন বাংলাদেশের পদচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পুত্র মার্কিন প্রবাসী সজিব ওয়াজেদ। তাঁর মাকে আশ্রয় দেওয়ার জন্য মোদিকে ধন্যবাদও জানিয়েছিলেন তিনি। আওয়ামি লিগের পর এবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করলেন বাংলাদেশের আর একটি রাজনৈতিক দল বিএনপি। সম্প্রতি বিএনপির চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার (Khaleda Zia) দ্রুত আরোগ্য কামনা করে বার্তা পাঠিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। তার পরেই মঙ্গলবার বিএনপির তরফে ধন্যবাদ জানানো হয় প্রধানমন্ত্রীকে।

    প্রধানমন্ত্রীর বার্তা (Khaleda Zia)

    বর্তমানে সংকটাপন্ন অবস্থায় চিকিৎসাধীন খালেদা। বাংলাদেশের বছর আশির এই প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রীর দ্রুত আরোগ্য কামনা করে এক্স হ্যান্ডেলে প্রধানমন্ত্রী লেখেন, “বেগম খালেদা জিয়ার স্বাস্থ্যের অবনতি সম্পর্কে জানতে পেরে গভীরভাবে উদ্বিগ্ন। তিনি দীর্ঘদিন ধরে বাংলাদেশের জনজীবনে অবদান রেখে এসেছেন। তাঁর দ্রুত আরোগ্যের জন্য আমাদের আন্তরিক প্রার্থনা এবং শুভকামনা। আমরা যেভাবে পারি, ভারত সকল ধরনের সম্ভাব্য সহায়তা দিতে প্রস্তুত।” প্রসঙ্গত, শারীরিক অসুস্থতার কারণে খালেদা ভর্তি রয়েছেন এভারকেয়ার হাসপাতালে।

    বিএনপির প্রতিক্রিয়া

    প্রত্যুত্তরে, অফিসিয়াল অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে প্রতিক্রিয়া জানিয়ে বিএনপি বলেছে, তাদের নেতার শারীরিক অবস্থার হঠাৎ অবনতি হওয়ার সময়ে সদিচ্ছাপূর্ণ উদ্যোগের জন্য তাঁরা প্রধানমন্ত্রী মোদিকে আন্তরিক কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছে। এক্স হ্যান্ডেলে তারা লিখেছে, “বিএনপি এই সদিচ্ছার উদ্যোগ এবং সাহায্য দেওয়ার প্রস্তুতি প্রকাশের খবর গভীরভাবে মূল্যায়ন করে (PM Modi)।” বাংলাদেশের প্রথম মহিলা প্রধানমন্ত্রী হিসেবে ইতিহাসে নাম তুলে নিয়েছেন খালেদা। সম্প্রতি ফুসফুসের সংক্রমণের কারণে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল তাঁকে। পরে অবস্থা আরও খারাপ হওয়ায় চিকিৎসকরা তাঁকে হাসপাতালের করোনারি কেয়ার ইউনিটে স্থানান্তর করেন। বিএনপি নেতারা জানান, তাঁকে ভেন্টিলেশনে রাখা হয়েছে। বিদেশি বিশেষজ্ঞ-সহ একটি মেডিক্যাল টিমের তত্ত্বাবধানে রয়েছেন তিনি (Khaleda Zia)। হৃদযন্ত্র ও ফুসফুস সংক্রান্ত জটিলতা হঠাৎ করে তীব্র হয়ে ওঠায় ২৩ নভেম্বর তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

    কী বলছে বিএনপি

    বিএনপি নেতারা বলেছেন, খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থার কোনও উন্নতি হয়নি। দলের ভাইস-চেয়ারম্যান আহমেদ আযম খান জানান, চিকিৎসকরা প্রায় সব ধরনের চিকিৎসার পথ ব্যবহার করে দেখেছেন। তিনি বলেন, “তিনি অত্যন্ত সংকটাপন্ন অবস্থায় রয়েছেন। সারা জাতির কাছে আবেদন দোয়া চাওয়া ছাড়া আর করার কিছুই করার নেই।” মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগিরও একই ধরনের মন্তব্য করেছেন। তিনি জানান, দেশি ও বিদেশি বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা দিন-রাত কাজ করে চলেছেন। তিনি বলেন, “তিনি (খালেদা) গুরুতর অসুস্থ। তাঁরা সর্বোচ্চ চেষ্টা করছেন।” সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব রুহুল কবির রিজভি জানান, রবিবার পর্যন্ত তাঁর অবস্থার কোনও পরিবর্তন হয়নি।উল্লেখ্য, খালেদা (Khaleda Zia) দীর্ঘদিন ধরে লিভার ও কিডনির জটিলতা, ডায়াবেটিস, আর্থ্রাইটিস এবং চোখের সমস্যা-সহ বেশ কয়েকটি দীর্ঘস্থায়ী অসুস্থতার সঙ্গে লড়াই করে আসছেন। উন্নত চিকিৎসার জন্য চার মাস লন্ডনে থাকার পর গত ৬ মে ঢাকায় ফিরে আসেন তিনি।

    শারীরিক অবস্থার উন্নতি

    বাংলাদেশের সংবাদ মাধ্যম সূত্রে খবর, খালেদার শারীরিক অবস্থার কিছুটা উন্নতি হয়েছে। সোমবার তিনি সামান্য নড়াচড়া করেছেন। হাসপাতাল সূত্রে খবর, আত্মীয়-স্বজনের সঙ্গে কথাবার্তায় সাড়াও দিয়েছেন বাংলাদেশের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী তথা বিএনপির চেয়ারপার্সন খালেদা। খালেদার চিকিৎসা করছে চিকিৎসকদের যে টিম, তাদের বক্তব্য, প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রীর শারীরিক অবস্থার সামান্য উন্নতি হলেও, তিনি এখনও ঝুঁকি মুক্ত নন। লিভারজনিত জটিলতা, কিডনির কর্মক্ষমতা কমে যাওয়া, শ্বাসকষ্ট-সহ একাধিক সমস্যা সামলে তাঁর চিকিৎসা করতে হচ্ছে বিশেষ সতর্কতায়। পরে ফের অবস্থার অবনতি হওয়ায় খালেদাকে রাখা হয়েছে আইসিইউ সমমানের হাই ডিপেনডেন্সি ইউনিটে (এইচডিইউ)। মেডিক্যাল বোর্ডের সদস্য এ জেড এম জাহিদ হোসেন জানান, খালেদা জিয়া চিকিৎসায় সাড়া দিচ্ছেন। তবে বিদেশযাত্রার মতো স্থিতিশীলতা এখনও আসেনি। চিকিৎসকদের লক্ষ্য, তাঁকে ধীরে ধীরে এমন পর্যায়ে নিয়ে যাওয়া, যেখানে বিমানযাত্রা করতে কোনও কষ্ট না হয় তাঁর (PM Modi)।

    চিন থেকে এল চিকিৎসক দল

    এদিকে, সোমবারই চিন থেকে বাংলাদেশে গিয়েছেন একদল চিকিৎসক (Khaleda Zia)। সন্ধ্যায়ই তাঁরা খালেদার চিকিৎসার দায়িত্বে থাকা মেডিক্যাল বোর্ডের সদস্যদের সঙ্গে প্রয়োজনীয় আলোচনাও সেরে নিয়েছেন। এই মেডিক্যাল বোর্ডে বাংলাদেশের বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা ছাড়াও রয়েছেন আমেরিকার জন হপকিনস হাসপাতালের এক চিকিৎসক এবং লন্ডনের এক চিকিৎসক। এর পরেও সাহায্য নেওয়া হচ্ছে চিনা বিশেষজ্ঞদের। অন্যদিকে, ভারত ছাড়াও খালেদার শারীরিক অবস্থা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে আরও কয়েকটি দেশও। বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকায় অবস্থিত তুরস্ক ও রাশিয়ার দূতাবাস থেকেও তাঁর দ্রুত আরোগ্য কামনা করা হয়েছে (PM Modi)। দিন কয়েক আগে খালেদার আরোগ্য কামনা করে বার্তা পাঠিয়েছিলেন পাক প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফও (Khaleda Zia)।

  • Cyclone Ditwah: ঘূর্ণিঝড়ে লন্ডভন্ড শ্রীলঙ্কা, পাকিস্তান সহ ৬ দেশের নাগরিকদের উদ্ধার ভারতীয় বায়ুসেনার

    Cyclone Ditwah: ঘূর্ণিঝড়ে লন্ডভন্ড শ্রীলঙ্কা, পাকিস্তান সহ ৬ দেশের নাগরিকদের উদ্ধার ভারতীয় বায়ুসেনার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শ্রীলঙ্কার কর্তৃপক্ষের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সমন্বয়ের মাধ্যমে ভারতীয় বায়ুসেনা ভূমিধস-আক্রান্ত কটমালে বড় ধরনের উদ্ধার ও সরিয়ে আনার অভিযান পরিচালনা করেছে। রাস্তাঘাট সম্পূর্ণ বিচ্ছিন্ন হয়ে যাওয়ায় এলাকাটি এখনও পুরোপুরি অবরুদ্ধ। দিনভর আইএএফ-এর হেলিকপ্টারগুলি মোট ৪৫ জন আটকে পড়া মানুষকে উদ্ধার করেছে। এর মধ্যে ৬ জন গুরুতর আহত। ছিল ৪ টি শিশুও। সকলকেই নিরাপদে কলম্বোতে পৌঁছে দেওয়া হয়েছে। উদ্ধার হওয়া ব্যক্তিদের মধ্যে ১২ জন ভারতীয় নাগরিক, বিভিন্ন দেশের বহু বিদেশি নাগরিক এবং শ্রীলঙ্কার বাসিন্দারাও ছিলেন। উদ্ধার হওয়া বিদেশিদের মধ্যে একজন পাকিস্তানি নাগরিকও ছিলেন।

    উদ্ধার-কাজে সক্রিয় ভারতীয় বায়ুসেনা

    স্থলভাগে ত্রাণ কার্যক্রম আরও জোরদার করতে, আইএএফ ৫৭ জন শ্রীলঙ্কান সেনাকর্মীকে দুর্গত এলাকায় পৌঁছে দিয়েছে, যাতে উদ্ধার ও পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার কাজ দ্রুত এগিয়ে নিয়ে যাওয়া যায়। আইএএফ ভীষ্ম ক্যাপসুল ও মেডিক্যাল টিমও মোতায়েন করেছে। রবিবার রাত ৮টা পর্যন্ত ৪০০-র বেশি ভারতীয় নাগরিককে বিমানযোগে ভারতে ফিরিয়ে এনেছে। সাইক্লোন দিটওয়া শ্রীলঙ্কার বিভিন্ন জেলায় প্রবল বৃষ্টি, আকস্মিক বন্যা ও ভূমিধস নামিয়ে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি করেছে। রাস্তা ভেঙে পড়া এবং যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়া এলাকায় আটকে থাকা মানুষের জন্য জীবনরক্ষায় ভূমিকা নেয় ভারতীয় বায়ুসেনার এমআই-১৭ ভি৫ হেলিকপ্টার।

    ‘অপারেশন সাগরবন্ধু’

    ঘূর্ণিঝড় দিটওয়ার তাণ্ডবে শ্রীলঙ্কায় মৃতের সংখ্যা ইতিমধ্যেই ৩০০ ছাড়িয়ে গিয়েছে। এখনও পর্যন্ত সে দেশে ৩৩৪ জনের মৃত্যুর খবর মিলেছে। নিখোঁজ অন্তত ৪০০ জন। প্রতিবেশী এই দেশে আটকে পড়েছেন বেশ কিছু ভারতীয়ও। বিমানে করে তাঁদের ফেরানোর চেষ্টা চলছে। শ্রীলঙ্কার দুর্যোগ মোকাবিলা দফতরের তথ্য বলছে, এখনও পর্যন্ত সে দেশে প্রায় ১১ লক্ষ মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন ঘূর্ণিঝড়ের তাণ্ডবে। এই দুর্দিনে প্রতিবেশী রাষ্ট্রের প্রতি সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছে ভারত। উদ্ধারকাজে নেমেছে ভারতের বায়ুসেনা। ইতিমধ্যে আকাশপথে কলম্বোয় পৌঁছে দেওয়া হয়েছে অন্তত ২১ টন ত্রাণসামগ্রী। আইএনএস বিক্রান্তে করে পাঠানো হয়েছে চেতক হেলিকপ্টার। বিশাখাপত্তনম থেকে ত্রাণ নিয়ে শ্রীলঙ্কার উদ্দেশে রওনা হয়ে গিয়েছে আইএনএস সুকন্যাও। এই গোটা উদ্ধার অভিযানের নাম দেওয়া হয়েছে ‘অপারেশন সাগরবন্ধু’। সে দেশে আটকে পড়া ভারতীয়দেরও বিমানে করে দেশে ফেরানোর চেষ্টা চলছে।

    উদ্ধার অভিযান, বাঁচানো হল পাক নাগরিককেও

    কঠিন আবহাওয়া ও ভূমিধসপ্রবণ এলাকায় অভিযান চালিয়ে বায়ুসেনা বিভিন্ন দেশের নাগরিককে উদ্ধার করে। এদের মধ্যে ছিলেন— জার্মানির ২, দক্ষিণ আফ্রিকার ৪, স্লোভেনিয়ার ২, যুক্তরাজ্যের ২, ভারতের ১২, শ্রীলঙ্কার ৫ জন নাগরিক। এছাড়া তিনজন গুরুতর আহত শ্রীলঙ্কান নাগরিককে দ্রুত কলম্বোতে চিকিৎসার জন্য নিয়ে যাওয়া হয়। অভিযানের সময় এক গরুড় কমান্ডোকে হেলিকপ্টার থেকে উইঞ্চের সাহায্যে বিপদসংকুল এলাকায় নামানো হয়। তাঁর নেতৃত্বে আটকে পড়া দলকে পাহাড়ি পথে নিয়ে যাওয়া হয় কটমালের একটি ছোট হেলিপ্যাডে, যেখান থেকে ২৪ জন যাত্রীকে প্রবল বাতাস ও কম দৃশ্যমানতার মাঝেও কলম্বোতে নিয়ে যায় আইএএফ হেলিকপ্টার। দ্বিতীয় দফা উদ্ধার অভিযানে ইরানের ৫, অস্ট্রেলিয়ার ১, পাকিস্তানের ১, বাংলাদেশের ৩, শ্রীলঙ্কার ৮ জন ছিলেন। অভিযানটি পরিচালিত হয় শ্রীলঙ্কার ডিজাস্টার ম্যানেজমেন্ট সেন্টার এবং সেনাবাহিনীর সমন্বয়ে। এর আগে শ্রীলঙ্কার সেনাবাহিনীর পাঁচটি দল, মোট ৪০ জন সৈন্যকে এমআই-১৭ হেলিকপ্টারে করে দিয়াথালাওয়া সেনানিবাস থেকে কটমালা অঞ্চলে পাঠানো হয় উদ্ধার ও ত্রাণকাজে সহায়তা করার জন্য।

  • Bangladesh: অসুস্থ খালেদার প্রতি সংবেদনশীল নন ইউনূস! তারেকের দেশে ফেরা অনিশ্চিত

    Bangladesh: অসুস্থ খালেদার প্রতি সংবেদনশীল নন ইউনূস! তারেকের দেশে ফেরা অনিশ্চিত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মা খালেদা জিয়া (Begum Khleda Zia) অসুস্থ, কিন্তু ছেলে তারেক রহমান দেশে ফিরতে পারছেন না। অসুস্থ মায়ের প্রতি সংবেদনশীল নন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান মহম্মদ ইউনূস। বাংলাদেশের জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) ভরপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন জিয়াউর রহমানের ছেলে তারেক রহমান। তিনি গত ১৭ বছর ধরে লন্ডনে নির্বাসিত জীবন কাটাচ্ছেন। এদিকে বাংলাদেশের রাজনৈতিক পরস্থিতি ভীষণ ভাবে অস্থির। প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী হাসিনাকে বিতারিত করার পর দেশের মূলধারার রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত হতে চান খলেদা পুত্র। সম্প্রতি বিবিসি বাংলাকে দেওয়া একটি সাক্ষাৎকারে তারেক জানিয়েছেন, দ্রুত বাংলাদেশে (Bangladesh) ফিরবেন। কিন্তু দেশের আভ্যন্তরীণ জটিল সমীকরণের জন্য কতটা সম্ভব, তা নিয়ে অনিশ্চয়তা দেখা দিয়েছে।

    ইচ্ছে নিজের উপর নির্ভর করবে না (Bangladesh)

    প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার শরীরিক অবস্থা এখন ভীষণ সঙ্কটজনক। আর তাই মাকে দেখার জন্য বাংলাদেশে (Bangladesh) ফেরার কথা জানিয়েছিলেন তারেক। কিন্তু তিনি এটাও জানান, “আমার ফেরার ইচ্ছে নিজের উপর নির্ভর করবে না। সকল শিশুর মতো আমি আমার সঙ্কটের সময় মাকে কাছে পেয়ে মায়ের স্পর্শ পেতে চাই। কিন্তু বাকি সকলের মতো নিজের সিদ্ধান্ত নিজের উপর নির্ভর করবে না। সিদ্ধান্ত এবং ইচ্ছে আলাদা বিষয়। অপর দিকের নিয়ন্ত্রণ এবং পরিস্থিতিও নির্ভর করছে।” তারেক রহমানের একটি ফেসবুক পোস্টেও এই আক্ষেপের কথা শোনা গিয়েছে। যে দেশে হাসিনার আমলে প্রধান বিরোধী দল ছিল বিএনপি, আজ সেই দলের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রীর ছেলে নিরাপত্তার কারণে দেশে ফিরতে পারছেন না। অন্তর্বর্তী সরকারের আমলে গণতন্ত্র ঠিক কোন স্তরে পৌঁছে গিয়েছে তা খুব অনুমেয়।

    নিরাপত্তার অভিযোগ!

    বিএনপির পক্ষ থেকে অন্তর্বর্তী সরকারের দিকে অভিযোগের আঙুল তুলে বলা হয়েছে, “দেশের সরকার নিরাপত্তার অভিযোগ তুলে দেশে আসার ক্ষেত্রে কৃত্রিম বাধা সৃষ্টি করছে। তারেক রহমান দেশে ফিরলে বাংলাদেশের (Bangladesh) রাজনীতির বিরাট পরিবর্তন হবে।” অপর দিকে প্রেস সচিব সফিকুল আলমকে জিজ্ঞাসা করলে উত্তর দেন, “তারেক রহমানের বিষয়ে সরকার কোনো বিধিনিষেধ আরোপ করেনি।”

    খালেদা (Begum Khleda Zia) গত ২৩ নভেম্বর ফুসফুসে সংক্রমণ নিয়ে ঢাকার এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। মেডিক্যাল বোর্ডের দেশি-বিদেশি বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের তত্ত্বাবধানে করোনারি কেয়ার ইউনিটে চিকিৎসাধীণ রয়েছেন। ৮০ বছর বয়সী প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী বর্তমানে অত্যন্ত সংকটপূর্ণ অবস্থায় রয়েছেন। যদিও তাঁর শারীরিক অবস্থার কথা ভেবে অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা আসিফ নজরুল খালেদাকে হাসপাতালে দেখতে গিয়েছিলেন। তবে কেন ছেলে তারেক রহমানকে দেশের মাটিতে আসতে দেওয়া হচ্ছে না তা নিয়ে কোন মন্তব্য করেননি।

LinkedIn
Share