Category: বিদেশ

Get updates on World News Headlines International News from the Madhyom news portal madhyom.com, West Bengal leading news portal Madhyom.com

  • Greece: গ্রিসে রাফাল যুদ্ধবিমানের ছবি তুলতে গিয়ে গ্রেফতার চার চিনা নাগরিক, আনা হল গুপ্তচরবৃত্তির অভিযোগ

    Greece: গ্রিসে রাফাল যুদ্ধবিমানের ছবি তুলতে গিয়ে গ্রেফতার চার চিনা নাগরিক, আনা হল গুপ্তচরবৃত্তির অভিযোগ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গ্রিসে (Greece) রাফাল যুদ্ধবিমানের ছবি তোলার সময় গ্রেফতার করা হয়েছে চারজন চিনা নাগরিককে (Chinese Nationals), যাঁদের মধ্যে রয়েছেন একজন মহিলা। তাঁদের বিরুদ্ধে গুপ্তচরবৃত্তির অভিযোগ এনেছে সেদেশের প্রশাসন। এই ঘটনার পর গ্রিসের সামরিক গোয়েন্দা সংস্থা দেশের সমস্ত বিমানঘাঁটি এবং বিমান নির্মাণ ও মেরামতি কেন্দ্রগুলোতে উচ্চ পর্যায়ের সতর্কতা জারি করেছে। গ্রিসের পুলিশ জানিয়েছে, ধৃতরা দেশের টানাগ্রা শহরের কাছে হেলেনিক অ্যারোস্পেস ইন্ডাস্ট্রি (HAI)-এর সংলগ্ন একটি সেতুর উপর উঠে রাফাল এবং তার অস্ত্রসজ্জার ছবি তুলছিলেন। ওই এলাকাতেই অবস্থিত গ্রিক বায়ুসেনার ১১৪তম কমব্যাট উইং এবং বিমান মেরামতির গুরুত্বপূর্ণ কেন্দ্র। গোপনে ছবি তোলার সময় সেনাবাহিনীর নিরাপত্তারক্ষীরা তাঁদের হাতেনাতে ধরে ফেলেন।

    শুরু হয়েছে তদন্ত (Greece)

    গ্রিসের সামরিক বাহিনী এবং নিরাপত্তা সংস্থাগুলি ইতিমধ্যেই তদন্ত শুরু করেছে—কেন বিদেশি নাগরিকেরা এমন স্পর্শকাতর এলাকায় গোপনে ছবি তুলছিলেন এবং তাঁদের উদ্দেশ্য ঠিক কী ছিল।ইতিমধ্যে জোর জল্পনা তৈরি হয়েছে, এই চেষ্টার পেছনে চিনের রাফাল সংক্রান্ত গোপন তথ্য সংগ্রহের পরিকল্পনা থাকতে পারে। উল্লেখ্য, ফরাসি সংস্থা দাসো অ্যাভিয়েশন-এর তৈরি রাফাল বর্তমানে ভারতীয় বায়ুসেনার অন্যতম আধুনিক যুদ্ধবিমান। ভারতের ‘অপারেশন সিঁদুর’ অভিযানে পাকিস্তানের জঙ্গিঘাঁটিতে হামলায় এই বিমান ব্যবহার করা হয়েছিল (Greece)।

    মোবাইল ফোন ও ক্যামেরার ফুটেজ খতিয়ে দেখা হচ্ছে

    এর আগে দাসো কর্তৃপক্ষ অভিযোগ করেছিল, চিন উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে রাফালের বিরুদ্ধে বিভ্রান্তিকর প্রচার চালাচ্ছে এবং বিমানটির প্রযুক্তিগত খুঁটিনাটি জানার চেষ্টা করছে (Chinese Nationals)। ফলে এই নতুন ঘটনার সঙ্গে ভারত ও রাফালকে ঘিরে গুপ্তচর কার্যকলাপের যোগ রয়েছে কি না, তা নিয়ে নতুন করে প্রশ্ন উঠেছে। গ্রিসের পুলিশ জানিয়েছে, আটক চার চিনা নাগরিককে কড়া নজরদারির মধ্যে রেখে বিস্তারিতভাবে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। তাঁদের কাছে থাকা মোবাইল ফোন, ক্যামেরা এবং অন্যান্য ইলেকট্রনিক ডিভাইস খতিয়ে দেখা হচ্ছে, যাতে এই ঘটনার পেছনে গভীর কোনও ষড়যন্ত্র বা গুপ্তচরবৃত্তির যোগ আছে কি না, তা বোঝা যায়। একই সঙ্গে তাঁদের বিদেশে যোগাযোগ, চলাফেরার রুট এবং পূর্বের সফর সম্পর্কেও জিজ্ঞাসাবাদ চালানো হচ্ছে।

  • Operation Baam: শুরু ‘অপারেশন বাম’, বালোচ বিদ্রোহীদের ১৭ হামলায় কেঁপে উঠল পাকিস্তান

    Operation Baam: শুরু ‘অপারেশন বাম’, বালোচ বিদ্রোহীদের ১৭ হামলায় কেঁপে উঠল পাকিস্তান

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বালোচ বিদ্রোহী সংগঠন বালোচিস্তান লিবারেশন ফ্রন্ট (বিএলএফ) পাকিস্তানের ভেতরে শুরু করেছে বড়সড় অভিযান—‘অপারেশন বাম’ (Operation Baam)। সংগঠনের তরফে জানানো হয়েছে , এই অভিযানের অংশ হিসেবে এখন পর্যন্ত ১৭টি হামলা চালানো হয়েছে। মঙ্গলবার রাতে বালোচিস্তানের বিভিন্ন সরকারি ভবনে বিস্ফোরণ ঘটে, যা গোটা অঞ্চলকে নাড়িয়ে দেয়।

    ‘অপারেশন বাম’ শব্দের অর্থ কী?

    ‘বাম’ শব্দটি স্থানীয় ভাষায় ‘ভোর’ বোঝায়। এই নামেই অভিযান চালাচ্ছে বিএলএফ, যারা বহুদিন ধরেই স্বাধীন বালোচিস্তানের (Operation Baam) দাবি তুলে আসছে। পাকিস্তানি দৈনিক দ্য ডন-এর প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বালোচিস্তানের তুরবাত এলাকায় এক বাড়িতে গ্রেনেড হামলায় নারী ও শিশু সহ পাঁচজন আহত হয়েছেন। বিস্ফোরণে বাড়িটির পেছনের অংশ ক্ষতিগ্রস্ত হয়। পুলিশ জানায়, মোটরসাইকেলে করে আসা দুর্বৃত্তরা গ্রেনেড ছুঁড়ে দ্রুত পালিয়ে যায়। এছাড়া সিবি এলাকায় একটি পুলিশ চেকপোস্টে গ্রেনেড হামলার ঘটনা ঘটে। কেচ জেলার তুরবাতে মকরান ডিভিশনের এক ডিভিশনাল হেডকোয়ার্টারের আধিকারিক মহম্মদ ইউনুসের বাড়িও হামলার শিকার হয়। এসব হামলা থেকে বোঝা যাচ্ছে, বালোচ বিদ্রোহীরা (Operation Baam) আবারও সংগঠিত হচ্ছে।

    হামলার লক্ষ্য পাকিস্তানের সেনা চেকপোস্ট, প্রশাসনিক ভবন

    এএনআই জানিয়েছে, এই হামলাগুলোর লক্ষ্য ছিল পাকিস্তানের সেনা চেকপোস্ট, প্রশাসনিক ভবন ও গুরুত্বপূর্ণ পরিকাঠামো। বিএলএফ মুখপাত্র গওহারাম বালোচ এক বিবৃতিতে জানান, ‘অপারেশন বাম’ বিস্তৃত হবে মাকরান উপকূল থেকে শুরু করে কোহ-ই-সুলেমানের পাহাড়ি অঞ্চল পর্যন্ত।বিদ্রোহীদের একের পর এক হামলায় বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে বালোচিস্তানের নিরাপত্তা ব্যবস্থা। সেনা হেলিকপ্টার ও ড্রোন ব্যবহার করে বিভিন্ন গ্রামীণ অঞ্চলে নজরদারি চালানো হচ্ছে বলেও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে। এই অভিযানের জেরে অনেক এলাকায় মোবাইল নেটওয়ার্ক ও ইন্টারনেট সংযোগ পুরোপুরি বিচ্ছিন্ন ছিল। অনেক জায়গায় স্থানীয় বাসিন্দারা ঘর থেকে বেরোতে পারেননি। আতঙ্কে ব্যবসা-বাণিজ্য, স্কুল-কলেজ, যানবাহন চলাচল—সব কিছুই কার্যত স্তব্ধ হয়ে যায়।‘অপারেশন বাম’-এর কারণে পাকিস্তান এখন রীতিমতো কোণঠাসা।একের পর এক বিস্ফোরণ ও হামলায় সেনা ও প্রশাসনের উপর চাপ বাড়ছে।

  • Russian Labour Ministry: ১০ লক্ষ ভারতীয় কর্মী নিয়োগের পরিকল্পনা নেই, জানাল রাশিয়া

    Russian Labour Ministry: ১০ লক্ষ ভারতীয় কর্মী নিয়োগের পরিকল্পনা নেই, জানাল রাশিয়া

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে সেদেশে তৈরি হয়েছে শ্রমিক সংকট। এই পরিস্থিতিতে রাশিয়া (Russian Labour Ministry) নাকি ভারত থেকে ১০ লক্ষ কর্মী নিয়োগের পরিকল্পনা করছে, এমনই এক প্রতিবেদন সম্প্রতি প্রকাশিত হয়েছে দ্য মস্কো টাইমস-এ। প্রতিবেদনে অনুসারে, উরাল চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির প্রধান আন্দ্রে বেসেদিন সম্প্রতি এই মন্তব্য করেন (Indian worker)। তিনি জানান, রাশিয়ায় ভারতীয় শ্রমিক নিয়োগের পরিকল্পনা রয়েছে। শুধু ভারত নয়, শ্রীলঙ্কা ও উত্তর কোরিয়া থেকেও কর্মী নিয়োগের কথা বিবেচনা করা হয়েছে বলে জানানো হয়।

    অস্বীকার করল রাশিয়ার শ্রম মন্ত্রক

    তবে রাশিয়ার শ্রম মন্ত্রক (Russian Labour Ministry) এই দাবি অস্বীকার করেছে। মন্ত্রকের তরফে জানানো হয়েছে, এ ধরনের কোনও পরিকল্পনা বর্তমানে সরকারের নেই।  প্রসঙ্গত, জানা গেছে গত এক বছরে ৪,০০০-এর বেশি ভারতীয় রাশিয়ার (Russian Labour Ministry) সেন্ট পিটার্সবার্গে চাকরির জন্য আবেদন করেছেন। অনেক ভারতীয় শ্রমিক বর্তমানে কালিনিনগ্রাদ ও মস্কোর বিভিন্ন নির্মাণ প্রকল্পে যুক্ত আছেন।

    ভারতীয় নাগরিকদের জন্য বরাদ্দ রয়েছে ৭১,৮১৭টি জায়গা

    চলতি বছরের শুরুতে রাশিয়ার (Russian Labour Ministry) কিছু ব্যবসায়িক গোষ্ঠী ভারতীয় শ্রমিকদের নিয়ে পরীক্ষামূলক নিয়োগ কর্মসূচিও শুরু করে। এর আওতায় নির্মাণ শ্রমিকদের একটি পাইলট প্রোগ্রাম চালানো হয়। তবে রাশিয়ার বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে দাবি করা হয়েছে, এই প্রকল্পগুলি খুব একটা সফল হয়নি। রাশিয়ায় ক্রমবর্ধমান শ্রমিক সংকটের মধ্যে, ২০২৪ সালে বিদেশি কর্মী নিয়োগের জন্য মোট ২,৩৪,৯০০টি পদ নির্ধারণ করেছে রুশ সরকার। এই কোটা অনুযায়ী, বিভিন্ন দেশের শ্রমিকদের রাশিয়ার নির্মাণ, উৎপাদন, পরিষেবা ও কৃষি খাতে নিয়োগ দেওয়ার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। এই মোট কোটার মধ্যে ভারতীয় নাগরিকদের জন্য সংরক্ষিত করা হয়েছে ৭১,৮১৭টি পদ।

    রাশিয়ার শ্রম মন্ত্রণালয় (Russian Labour Ministry) এই তথ্য নিশ্চিত করেছে। রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে দেশটির বহু পুরুষ নাগরিক সামরিক দায়িত্বে নিযুক্ত হওয়ায়, অভ্যন্তরীণ শ্রমবাজারে ব্যাপক ঘাটতি তৈরি হয়েছে। বিশেষ করে নির্মাণ, পরিবহণ, কৃষি এবং বিভিন্ন পরিষেবা খাতে অভাব দেখা দিয়েছে দক্ষ ও অদক্ষ শ্রমিকের।

  • Water Crisis: বিশ্বের প্রথম ‘জলশূন্য’ শহর হতে চলেছে কাবুল, চরম সংকটে লক্ষ লক্ষ মানুষ

    Water Crisis: বিশ্বের প্রথম ‘জলশূন্য’ শহর হতে চলেছে কাবুল, চরম সংকটে লক্ষ লক্ষ মানুষ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিশ্বের প্রথম ‘জলশূন্য’ শহর হতে চলেছে আফগানিস্তানের রাজধানী কাবুল (Water Crisis)। বর্তমানে এই শহর চরম জলসংকটের মুখে দাঁড়িয়ে। আন্তর্জাতিক স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা মার্সি কর্পস-এর সাম্প্রতিক এক প্রতিবেদনে আশঙ্কা করা হয়েছে, কাবুল হতে পারে আধুনিক যুগের প্রথম শহর, যেখানে সম্পূর্ণরূপে ভূগর্ভস্থ জল শেষ হয়ে যাবে। বিশেষজ্ঞরা সতর্ক করে জানিয়েছেন, পরিস্থিতির উন্নতি না হলে ২০৩০ সালের মধ্যেই কাবুলের সমস্ত ভূগর্ভস্থ জলের (Kabul) উৎস শুকিয়ে যেতে পারে। এটি শুধুমাত্র শহরের ৭০ লক্ষ মানুষের জন্য নয়, বরং সমগ্র বিশ্বের জন্য এক গভীর সংকেত। দ্য গার্ডিয়ান-এর একটি প্রতিবেদন অনুযায়ী, গত দশকে কাবুলের ভূগর্ভস্থ জলের স্তর ৩০ মিটার পর্যন্ত নেমে গেছে।

    শহরের ৮০ শতাংশ ভূগর্ভস্থ জল পান করার অযোগ্য

    দ্রুত নগরায়ণ, জলবায়ু পরিবর্তন এবং অনিয়ন্ত্রিত ভূগর্ভস্থ জল ব্যবহারের কারণে কাবুলে জলের সংকট চরমে উঠেছে। কেবল জলস্বল্পতাই নয়, কাবুলের জলের গুণমানও আজ প্রশ্নের মুখে। মার্সি কর্পস-এর রিপোর্ট অনুযায়ী, শহরের ৮০ শতাংশ ভূগর্ভস্থ জল পান করার অযোগ্য। এতে রয়েছে পয়ঃনিষ্কাশনের বর্জ্য, লবণাক্ততা ও আর্সেনিকের মতো বিষাক্ত উপাদান। কাবুলের (Kabul) অনেক পরিবার প্রতিদিন মাত্র এক গ্লাস বিশুদ্ধ জলের জন্য লড়াই করে যাচ্ছেন। কিছু পরিবার তাঁদের আয়ের প্রায় ৩০ শতাংশ শুধু জল কেনার পেছনে খরচ করছে, আবার দুই-তৃতীয়াংশের বেশি পরিবার জলের জন্য ঋণে জর্জরিত।

    জল এখন বিলাসবহুল বস্তু (Water Crisis)

    কাবুলের খায়ের খানহ্ এলাকার এক শিক্ষিকা নাজিফা বলেন, “জলের অভাব এখন আফগানিস্তানের সবচেয়ে বড় সমস্যাগুলোর একটি, বিশেষ করে নিম্ন আয়ের মানুষের জন্য। ভালো মানের নলকূপের জল এখন দুর্লভ।” তিনি আরও জানান, কিছু বেসরকারি কোম্পানি এই সংকটকে সুযোগ হিসেবে নিচ্ছে। তারা বেপরোয়াভাবে ভূগর্ভস্থ জল উত্তোলন করছে এবং সাধারণ মানুষের কাছে তা অতিরিক্ত দামে বিক্রি করছে। নাজিফার কথায়, “আগে ১০ দিনের জন্য ৫০০ আফগানি মুদ্রায় জল কিনতাম, এখন সেই পরিমাণ জলের জন্য লাগে ১০০০ আফগানি। গত দুই সপ্তাহে পরিস্থিতি আরও খারাপ হয়েছে। আমরা আশঙ্কা করছি, সামনে জলের দাম আরও বেড়ে যাবে।”

    সংকট বাড়ছে কেন?

    ২০০১ সালে কাবুলের (Water Crisis) জনসংখ্যা ছিল ১০ লক্ষেরও কম, যা এখন সাত গুণ বেড়ে গেছে। এই বিপুল জনসংখ্যা বৃদ্ধির ফলে জলের চাহিদাও কয়েকগুণ বেড়েছে। জাতিসংঘ জানিয়েছে, ২০২৫ সালের শুরুতে আফগানিস্তানে জল ও স্যানিটেশন প্রকল্পের জন্য ২৬৪ মিলিয়ন ডলার প্রয়োজন হলেও, এখন পর্যন্ত মাত্র ৮.৪ মিলিয়ন ডলার পাওয়া গেছে। প্রসঙ্গত, তালিবান ক্ষমতায় আসার পর আন্তর্জাতিক অনুদান অনেকটাই বন্ধ হয়ে গেছে। তবে পাঞ্জশির নদীর পাইপলাইন প্রকল্প কাবুলের জল সংকটের একটি বড় সমাধান হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। এর মাধ্যমে ২০ লক্ষ মানুষ পানীয় জল পাবে। এই প্রকল্পের (Kabul) নকশা ইতিমধ্যেই সম্পন্ন হয়েছে (২০২৪ সালে), তবে ১৭০ মিলিয়ন ডলারের ব্যয় মেটাতে বিনিয়োগের প্রয়োজন।

  • PM Modi in Namibia: হীরের মতো উজ্জ্বল সম্পর্ক! দ্বিপাক্ষিক চুক্তি স্বাক্ষর, নামিবিয়ার সর্বোচ্চ নাগরিক সম্মানে ভূষিত মোদি

    PM Modi in Namibia: হীরের মতো উজ্জ্বল সম্পর্ক! দ্বিপাক্ষিক চুক্তি স্বাক্ষর, নামিবিয়ার সর্বোচ্চ নাগরিক সম্মানে ভূষিত মোদি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নিজেই নিজের রেকর্ড ভেঙে চলেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (Narendra Modi)। ফের তাঁর মুকুটে নয়া পালক। এবার দক্ষিণ-পশ্চিম অফ্রিকার দেশ নামিবিয়ার সর্বোচ্চ নাগরিক সম্মানে ভূষিত হলেন তিনি। পাঁচ দেশ সফরের অন্তিম পর্যায়ে বুধবার নামিবিয়ায় (Namibia) পৌঁছন প্রধানমন্ত্রী। এটি তাঁর প্রথম নামিবিয়া সফর। সেই দেশের সংসদের যৌথ অধিবেশনেও ভাষণ দেন মোদি (PM Modi in Namibia)। প্রায় আধ ঘণ্টার সেই ভাষণের পরে, সেখানকার সাংসদরা নিজেদের আসন থেকে উঠে দাঁড়িয়ে তাঁকে অভিবাদনও জানান।

    নামিবিয়ায় সর্বোচ্চ সম্মান

    নামিবিয়ায় (PM Modi in Namibia) সর্বোচ্চ অসামরিক সম্মান পেলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। মঙ্গলবার ব্রাজিলের সর্বোচ্চ নাগরিক সম্মানে ভূষিত করা হয় প্রধানমন্ত্রী মোদিকে। আর নামিবিয়ায় তিনি পেলেন সর্বোচ্চ সম্মান ‘অর্ডার অব দ্য মোস্ট অ্যানসিয়েন্ট ওয়েলউইতশিয়া মিরাবিলিস’ (Order of the Most Ancient Welwitschia Mirabilis)। বুধবার, মোদির হাতে এই সম্মান তুলে দেন নামিবিয়ার রাষ্ট্রপতি নেতুম্বো নন্দী-নদাইতওয়াহ (Netumbo Nandi-Ndaitwah)। ১৯৯০ সালে স্বাধীনতা পায় নামিবিয়া। ১৯৯৫ থেকে এই পুরস্কার দেওয়া শুরু হয়। অসামান্য কাজ, পরিষেবা ও নেতৃত্বের জন্য সম্মান জানাতেই এই পুরস্কার দেওয়া হয়। নামিবিয়ার এক জনপ্রিয় মরুভূমির গাছ ওয়েলউইতশিয়া মিরাবিলিসের নামেই ওই পুরস্কারের নামকরণ করা হয়েছে। এই নিয়ে মোদির ঝুলিতে এল ২৭টি আন্তর্জাতিক সম্মান।

    নামিবিয়ান ড্রাম বাজান মোদি

    ভারতের তৃতীয় প্রধানমন্ত্রী হিসেবে বুধবার আফ্রিকার দেশটিতে যান নমো (PM Modi in Namibia)। উইন্ডহোক-এর হোসিয়া কুটাকো আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে ঐতিহ্যবাহী সঙ্গীত ও নৃত্যের মাধ্যমে মোদিকে স্বাগত জানান নামিবিয়ার আন্তর্জাতিক সম্পর্ক ও সহযোগিতা মন্ত্রী সেলমা আশিপালা-মুসাভ্যি। এক হৃদয়স্পর্শী মুহূর্তে মোদি স্থানীয় শিল্পীদের সঙ্গে ঐতিহ্যবাহী নামিবিয়ান ড্রাম বাজান, যা স্থানীয় সংস্কৃতির প্রতি তাঁর শ্রদ্ধা ও ভালোবাসা প্রদর্শন করে। ২১ বার তোপধ্বনির মাধ্যমে নামিবিয়ায় অভ্যর্থনা জানানো হয় ভারতের প্রধানমন্ত্রীকে।

    চারটি চুক্তিতে স্বাক্ষর

    এদিন প্রধানমন্ত্রী মোদি এবং রাষ্ট্রপতি নেতুম্বো বৈঠকে বসেন। বিদেশ মন্ত্রকের তরফে জানানো হয়েছে, জ্বালানি এবং স্বাস্থ্য পরিষেবা-সহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে দ্বিপাক্ষিক সহযোগিতা জোরদার করার জন্য এই দুটি দেশ চারটি চুক্তিতে স্বাক্ষর করেছে। চুক্তিগুলির মধ্যে রয়েছে—স্বাস্থ্য ও চিকিৎসা ক্ষেত্রে সহযোগিতা, নামিবিয়ায় একটি উদ্যোগ বিকাশ কেন্দ্র স্থাপন, দুর্যোগ সহনশীল পরিকাঠামোর জন্য গঠিত জোট (CDRI)-এর আওতায় একটি কাঠামো এবং গ্লোবাল বায়োফুয়েল অ্যালায়েন্স-এর অংশ হিসেবে একটি কাঠামো। কূটনৈতিক মহল মনে করছে ভারত-নামিবিয়া (India-Namibia Relation) সম্পর্কে নতুন গতি আনবে এই পদক্ষেপ।

    হীরের মতো উজ্জ্বল সম্পর্ক

    নামিবিয়া (India-Namibia Relation) বিশ্বের অন্যতম বড় হীরে উৎপাদক দেশ, আর ভারত বিশ্বের সবচেয়ে বড় হীরে পালিশ শিল্পের কেন্দ্র। তাই দুই দেশের সম্পর্ক হবে হীরের মতো উজ্জ্বল। নামিবিয়ার সংসদে ভাষণ দেওয়ার সময় এমনই অভিমত ব্যক্ত করেন প্রধানমন্ত্রী মোদি। নামিবিয়ার সংসদে দেওয়া ভাষণে প্রধানমন্ত্রী তুলে ধরেন গণতন্ত্র এবং নামিবিয়া ও ভারতের মধ্যে একাধিক বিষয়ে মিল থাকার কথা। তিনি বলেন, ‘আমাদের দুই দেশের বন্ধুত্ব সময়ের দ্বারা পরীক্ষিত এবং মূল্যবোধ ও উন্নত ভবিষ্যতের স্বপ্নের দ্বারা সংযুক্ত। আগামী সময়েও, আমরা নিবিড় ভাবে কাজ করে যাব এবং উন্নয়নের পথে একসঙ্গে হাঁটব।

    সংসদে চিতা প্রসঙ্গ

    ভারতকে (India-Namibia Relation) উপহার হিসেবে চিতা দিয়েছিল নামিবিয়া। সেখানকার সংসদে দেওয়া ভাষণে সেই প্রসঙ্গও তুলে ধরেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী। ওই চিতাকে ছাড়া হয়েছিল মধ্যপ্রদেশের কুনো ন্যাশনাল পার্কে। সেই প্রসঙ্গ তুলে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘ভারত এবং নামিবিয়ার মধ্যে সহযোগিতা, সংরক্ষণ এবং করুণার এক শক্তিশালী ইতিহাস রয়েছে। আপনারা আমাদের দেশে চিতা পুনঃপ্রবর্তনে সাহায্য করেছিলেন। আপনাদের উপহারের জন্য আমরা গভীর ভাবে কৃতজ্ঞ।’ এখন ওই চিতাগুলি ভালো আছে এবং তাদের বংশবৃদ্ধি হচ্ছে বলেও জানান তিনি।

    মোদির সফরের গুরুত্ব

    বিগত এক দশকে নরেন্দ্র মোদি (PM Modi in Foreign Tour) একের পর এক দেশ সফর করেছেন। পেয়েছেন একাধিক দেশের সর্বোচ্চ নাগরিক সম্মান। তবে পাকিস্তানের সঙ্গে সংঘর্ষের পর যখন ভারত সরকারের বিদেশনীতি নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু হয়েছিল, তখন দুই ভিন্ন মহাদেশে গিয়ে সর্বোচ্চ নাগরিক সম্মান প্রাপ্তি কূটনৈতিকভাবে ভারতের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। প্রধানমন্ত্রী মোদির এই সফর বিশেষ করে আফ্রিকা ও লাতিন আমেরিকার দেশগুলির সঙ্গে ভারতের সম্পর্ক আরও মজবুত করবে বলেই মনে করছে কৃটনৈতিক মহল।

  • Microsoft: পাকিস্তান থেকে পাততাড়ি গুটোল টেক জায়ান্ট মাইক্রোসফট

    Microsoft: পাকিস্তান থেকে পাততাড়ি গুটোল টেক জায়ান্ট মাইক্রোসফট

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ২৫ বছর ধরে ব্যবসা করার পর এবার পাকিস্তান থেকে পাততাড়ি গুটোল টেক জায়ান্ট মাইক্রোসফট (Microsoft)। ২০০০ সালে পাকিস্তানে কাজ শুরু করেছিল এই সংস্থা। যদিও এখানে কোনও দিনই মাইক্রোসফটের পূর্ণাঙ্গ কর্পোরেট অফিস ছিল না। তবে শাহবাজ শরিফের দেশে (Pakistan) এন্টারপ্রাইজ, শিক্ষা এবং সরকারি খাতে মাইক্রোসফটের ব্যাপক উপস্থিতি রয়েছে। সংস্থা পাততাড়ি গুটোনোয় আশঙ্কিত পাকিস্তানের প্রাক্তন রাষ্ট্রপতিও।

    শিক্ষাক্ষেত্রে মাইক্রোসফটের অবদান (Microsoft)

    শিক্ষাক্ষেত্রে মাইক্রোসফট সংস্থা উচ্চশিক্ষা কমিশন ও পঞ্জাব গ্রুপ অফ কলেজেসের মতো প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে অংশীদারিত্ব করেছে যাতে মাইক্রোসফট টিমসের মতো প্লাটফর্মের মাধ্যমে ডিজিটার দক্ষতা প্রশিক্ষণ এবং দূরশিক্ষা দেওয়া যায়। পাকিস্তানের সরকারি খাতে মাইক্রোসফট ২০০টিরও বেশি উচ্চ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে প্রযুক্তিগত সমাধান দিয়েছে। এর পাশাপাশি মাইক্রোসফট প্রশিক্ষণ কেন্দ্র স্থাপন এবং অনলাইন কোর্স করানোর মতো উদ্যোগেও জড়িত এই টেক জায়ান্ট। সেই সংস্থাই এবার ব্যবসা গুটোচ্ছে পাকিস্তান থেকে।

    কী বলছেন পাকিস্তানের প্রাক্তন কান্ট্রি ম্যানেজার

    কেন এমন সিদ্ধান্ত নিলেন মাইক্রোসফট কর্তৃপক্ষ মাইক্রোসফট পাকিস্তানের প্রাক্তন কান্ট্রি ম্যানেজার জাওয়াদ রহমান বলেন, সংস্থার এই সিদ্ধান্ত ব্যবসার সঙ্গে সম্পর্কিত। ২০০০ সাল থেকে ২০০৭ সাল পর্যন্ত এই সংস্থার সঙ্গে যুক্ত ছিলেন জাওয়াদ। তিনি বলেন, মাইক্রোসফটের এই সিদ্ধান্তে একটি ইঙ্গিত স্পষ্ট, সেটি হল পাকিস্তানের বর্তমান পরিবেশে কাজ করতে গিয়ে অসুবিধার সম্মুখীন হতে হচ্ছে বড় সংস্থাগুলিকে। নিজের লিঙ্কডইন প্রোফাইলে তিনি লিখেছেন, এক অধ্যায়ের অবসান হল।

    ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন পাকিস্তানের (Microsoft) প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি আরিফ আলভিও। তিনি বলেন, রাজনৈতিক অস্থিরতা, অর্থনৈতিক অস্থিরতা, ঘন ঘন সরকার পরিবর্তন, আইনশৃঙ্খলার অবনতি, অস্থিতিশীল মুদ্রার দর, জটিল বাণিজ্য নীতির কারণে পাকিস্তানে কাজ করতে অসুবিধা বোধ করছে বিভিন্ন সংস্থা।

    বিশেষজ্ঞদের মতে, মাইক্রোসফটের এই সিদ্ধান্ত পাকিস্তানের প্রযুক্তি ও বাণিজ্যিক সেক্টরের কাছে বড় ধাক্কা। যেখানে দেশে ঋণের বোঝা বেড়েই চলেছে, আর্থিক উন্নতির কোনও দিশা নেই, সেখানে মাইক্রোসফটের মতো বড় সংস্থার বিদায়ের সে দেশের অর্থনীতির হাল যে বেহাল হবে, তা বলাই বাহুল্য।

    জানা গিয়েছে, ২০২২ সালে মাইক্রোসফট পাকিস্তানে তাদের কার্যক্রম সম্প্রসারণের কথা ভেবেছিল। কিন্তু স্থিতাবস্থার অভাবে সংস্থাটি বিকল্প হিসেবে ভাবতে শুরু করে ভিয়েতনামকে। তার পর থেকেই আস্তে আস্তে পাকিস্তান (Pakistan) থেকে পাততাড়ি গুটোতে শুরু করে মাইক্রোটেক (Microsoft)।

  • India: আফগানিস্তান সম্পর্কে খসড়া প্রস্তাবে ভোট দেওয়া থেকে বিরত রইল ভারত

    India: আফগানিস্তান সম্পর্কে খসড়া প্রস্তাবে ভোট দেওয়া থেকে বিরত রইল ভারত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাষ্ট্রসংঘের সাধারণ সভায় আফগানিস্তান সম্পর্কে একটি খসড়া প্রস্তাবে ভোট দেওয়া থেকে বিরত রইল ভারত (India)। নয়াদিল্লির প্রতিনিধি সাফ জানিয়ে দেন, আগের মতো কাজ চালিয়ে যাওয়া পদ্ধতি সম্ভবত সেই ফল এনে দেবে না, যা বৈশ্বিক সম্প্রদায় আফগান (Taliban) জনগণের জন্য কল্পনা করে।

    জার্মানির খসড়া প্রস্তাব (India)

    রাষ্ট্রসংঘের সাধারণ পরিষদের সদস্য সংখ্যা ১৯৩। সেখানে আফগানিস্তানের পরিস্থিতি নিয়ে গ্রহণ করা হয় জার্মানির প্রস্তাবিত একটি খসড়া প্রস্তাব। প্রস্তাবটি ১১৬টি ভোটে গৃহীত হয়। প্রস্তাবের বিরোধিতা করে  ২টি দেশ। ভোটদানে বিরত ছিল ১২টি দেশ। এর মধ্যে ছিল ভারতও।

    কেন ভোট দেয়নি ভারত

    কেন ভোটদানে বিরত ছিল ভারত? এর উত্তরে রাষ্ট্রসংঘে ভারতের স্থায়ী প্রতিনিধি রাষ্ট্রদূত পার্বতনেনি হরিশ বলেন, “সংঘাত-পরবর্তী পরিস্থিতি মোকাবিলার জন্য যে কোনও সুসংগঠিত নীতির মধ্যে নীতিগত উপকরণগুলির একটি সুষম সংমিশ্রণ থাকতে হবে — যেখানে ইতিবাচক আচরণকে উৎসাহ দেওয়া হবে এবং ক্ষতিকর কাজকর্মকে নিরুৎসাহিত করা হবে।” তিনি বলেন, “আমাদের দৃষ্টিতে শুধুমাত্র দণ্ডমূলক পদক্ষেপের ওপর ভিত্তি করে কোনও কৌশল সফল হওয়ার সম্ভাবনা কম। রাষ্ট্রসংঘ এবং বৃহত্তর আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় অন্যান্য সংঘাত-পরবর্তী প্রেক্ষাপটে আরও ভারসাম্যপূর্ণ ও সূক্ষ্ম পন্থা গ্রহণ করেছে।” হরিশ বলেন, “ভারত আফগানিস্তানের নিরাপত্তা পরিস্থিতি সতর্কভাবে পর্যবেক্ষণ করছে।” তিনি বলেন, “আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের যৌথ প্রচেষ্টা পরিচালিত হওয়া উচিত এমনভাবে যাতে রাষ্ট্রসংঘের নিরাপত্তা পরিষদ দ্বারা মনোনীত সত্তা ও ব্যক্তিবর্গ, আল কায়েদা ও তাদের সহযোগী গোষ্ঠী, আইএসআইএল ও তাদের সহযোগী সংগঠনগুলি — যার মধ্যে লস্কর-ই-তৈবা এবং জৈশ-ই-মহম্মদের মতো গোষ্ঠী ও তাদের আঞ্চলিক পৃষ্ঠপোষকরা (Taliban) অন্তর্ভুক্ত — যাতে আর আফগানিস্তানের ভূখণ্ডকে সন্ত্রাসবাদী কাজকর্মের জন্য ব্যবহার করতে (India) না পারে।” ভারতের নিশানায় যে পাকিস্তান, তা স্পষ্ট এই ইঙ্গিতেই।

    আঞ্চলিক সহযোগিতাকে স্বীকৃতি

    খসড়া প্রস্তাবটি আঞ্চলিক সহযোগিতাকে স্বীকৃতি দিয়েছে। প্রতিবেশী ও আঞ্চলিক অংশীদার এবং আঞ্চলিক সংস্থাগুলির অবদানকে আফগান জনগণের কল্যাণে গুরুত্বপূর্ণ হিসেবে তুলে ধরেছে। এর মধ্যে ভারতের, ইরানের ও তুরস্কের মতো দেশগুলির প্রদত্ত শিক্ষার সুযোগ এবং কাজাখস্তান, কিরগিজস্তান, তুর্কমেনিস্তান ও উজবেকিস্তানে আফগান শিক্ষার্থীদের উচ্চশিক্ষায় প্রবেশাধিকার নিশ্চিত করার জন্য আঞ্চলিক কর্মসূচিও অন্তর্ভুক্ত। এই সুযোগগুলি আফগানিস্তানের ভবিষ্যতের প্রতি আঞ্চলিক ঐক্য ও বিনিয়োগের একটি বাস্তব উদাহরণ হিসেবে বিবেচিত হয়েছে। প্রস্তাবটিতে তালিবানকে তাদের বন্ধু দেশগুলির সঙ্গে সহযোগিতা গড়ে তুলতে এবং এই বিষয়ে তাদের জ্ঞান ও দক্ষতার সুবিধা নিতে প্রয়োজনীয় কাঠামো গঠনের আহ্বানও জানানো হয়েছে।

    এশিয়ার ‘ল্যান্ড ব্রিজ’

    প্রস্তাবটি আফগানিস্তানের সম্ভাব্য ভূমিকাকে গুরুত্বপূর্ণ হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে, যা মধ্য ও দক্ষিণ এশিয়াকে সংযুক্ত করতে পারে। এছাড়া আফগানিস্তানের অর্থনৈতিক উন্নয়ন এবং আন্তঃআঞ্চলিক অর্থনৈতিক (Taliban) প্রক্রিয়ায় একীভূত হওয়াকেও স্থায়ী শান্তি ও স্থিতিশীলতার জন্য গুরুত্বপূর্ণ হিসেবে বিবেচনা করা হয়েছে (India)। এটি আফগানিস্তানের ঐতিহাসিক ভূমিকার কথা স্মরণ করিয়ে দিয়েছে, যেখানে দেশটি এশিয়ার একটি ‘ল্যান্ড ব্রিজ’ হিসেবে কাজ করেছে। প্রস্তাবে বলা হয়েছে, আঞ্চলিক অর্থনৈতিক সহযোগিতা আফগানিস্তানে স্থিতিশীলতা ও উন্নয়ন অর্জনে একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।

    ভারতের মানবিক সহায়তা দান

    এছাড়াও প্রস্তাবটিতে আফগানিস্তানের প্রতিবেশী বিভিন্ন দেশ ও মধ্য এশিয়ার সঙ্গে আঞ্চলিক সংযুক্তি প্রকল্পগুলির গুরুত্বকে স্বীকৃতি দেওয়া হয়েছে, যেগুলি দেশটিকে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি এবং স্থিতিশীলতার পথে এগিয়ে নিতে যেতে পারে। হরিশ বলেন, “আফগানিস্তানে ভারতের তাৎক্ষণিক অগ্রাধিকারের মধ্যে রয়েছে মানবিক সহায়তা দান এবং আফগান জনগণের জন্য সক্ষমতা বৃদ্ধির উদ্যোগ বাস্তবায়ন।” তিনি বলেন, “আমরা রাষ্ট্রসংঘের বিভিন্ন সংস্থার সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করে যাচ্ছি, যাতে স্বাস্থ্য, খাদ্য নিরাপত্তা, শিক্ষা ও খেলাধুলোর মতো গুরুত্বপূর্ণ ক্ষেত্রে আফগান জনগণকে সাহায্য করা যায়। আফগানিস্তানের পুনর্গঠনে ভারতের প্রতিশ্রুতি প্রমাণিত হয়েছে দেশের সকল প্রদেশজুড়ে ৫০০-রও বেশি উন্নয়ন সহযোগিতা প্রকল্পের মাধ্যমে (India)।”

    তালিবানের কাবুল দখল

    জানা গিয়েছে, ২০২১ সালের (Taliban) অগাস্টে আফগানিস্তানের রাজধানী কাবুল দখল করে তালিবান। তারপর থেকে এ পর্যন্ত ভারত প্রায় ৫০,০০০ মেট্রিক টন গম, ৩৩০ মেট্রিক টনেরও বেশি ওষুধ ও টিকা, ৪০,০০০ লিটার কীটনাশক মালাথিয়ন এবং ৫৮.৬ মেট্রিক টন অন্যান্য জরুরি সামগ্রী সরবরাহ করেছে। ভারতের এই সাহায্য চরম সংকটে থাকা লাখো আফগানকে সাহায্য করেছে। রাষ্ট্রসংঘের মাদক ও অপরাধবিষয়ক দফতর (UNODC)-এর সঙ্গে অংশীদারিত্বে, ভারত আফগানিস্তানে মাদক নিরাময় কর্মসূচির জন্য, বিশেষ করে নারীদের জন্য ৮৪ মেট্রিক টন সহায়তা ও ওষুধ এবং ৩২ মেট্রিক টন সামাজিক সহায়তা সামগ্রী পাঠিয়েছে। ভারত এখনও আফগান ছাত্রছাত্রীদের জন্য বৃত্তি ও ফেলোশিপ দিয়ে যাচ্ছে। ২০২৩ সাল (Taliban) থেকে ভারত স্নাতক ও স্নাতকোত্তর স্তরে প্রায় ২,০০০ জন আফগান শিক্ষার্থীকে বৃত্তি দিয়েছে, যাদের মধ্যে প্রায় ৬০০ জন নারী (India)।

  • India-Brazil Relation: “ভারত-ব্রাজিল সম্পর্ক হোক ফুটবলের মতো আবেগময়” লুলার সঙ্গে বৈঠকের পর বার্তা মোদির

    India-Brazil Relation: “ভারত-ব্রাজিল সম্পর্ক হোক ফুটবলের মতো আবেগময়” লুলার সঙ্গে বৈঠকের পর বার্তা মোদির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারত-ব্রাজিল বাণিজ্যিক সম্পর্কে নতুন মোড়। ভারত ও ব্রাজিল (India-Brazil Relation) আগামী পাঁচ বছরের মধ্যে বার্ষিক দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য প্রায় দ্বিগুণ করে ২০ বিলিয়ন মার্কিন ডলারে নিয়ে যাওয়ার লক্ষ্য স্থির করেছে। বাণিজ্যিক সম্পর্ক বৃদ্ধি ছাড়াও সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে লড়াইয়েও পাশে থাকবে ভারতের ব্রাজিল। মঙ্গলবার, ব্রাজিলের প্রেসিডেন্ট লুইজ ইনাসিও লুলা দা সিলভার সঙ্গে বৈঠকের পরে এই কথাই জানান ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi in Brazil)। দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক গভীর করতে এবং আঞ্চলিক ও বৈশ্বিক ইস্যুতে ভারত ও ব্রাজিলের মধ্যে সহযোগিতা বাড়াতে প্রধানমন্ত্রী মোদির অবদানের কথা মেনে নেন লুলা। তাই মোদিকে ব্রাজিলের সর্বোচ্চ অসামরিক সম্মান ‘গ্র্যান্ড কলার অফ দ্য ন্যাশনাল অর্ডার অফ দ্য সাউদার্ন ক্রস’ প্রদান করা হয়।

    সন্ত্রাসের বিরোধিতায় পাশাপাশি

    পাকিস্তান এবং চিনের নাম না করেই ব্রাজিল থেকে দুই দেশকে বার্তা দিয়েছে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi in Brazil)। প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘ভারত এবং ব্রাজিল দুই দেশই সন্ত্রাসবাদ এবং যারা এই সন্ত্রাসবাদকে সমর্থন করছে তাদের বিরোধিতা করছে।’ ব্রাজিলের প্রেসিডেন্টের সঙ্গে বৈঠকের পরে, সাংবাদিক সম্মেলেন প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে আমাদের চিন্তাভাবনা একই রকম। এই ক্ষেত্রে আমরা ‘জিরো টলারেন্স’ নীতি নিচ্ছি। এই ক্ষেত্রে দ্বিমুখী নীতির কোনও জায়গা নেই।’ এপ্রিল মাসে পহেলগাঁওে জঙ্গি হামলার পরে ভারতকে পূর্ণ সমর্থন জানিয়েছিল ব্রাজিল। এই জন্য এ দিন আবার সেই দেশের প্রেসিডেন্টকে ধন্যবাদ জানান মোদি।

    বাণিজ্যিক সম্পর্ক বৃদ্ধি

    দুই দেশের (India-Brazil Relation) প্রতিনিধিদের মধ্যে এ দিন বাণিজ্যিক সম্পর্ক বৃদ্ধির বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল জানিয়েছেন, ওই বৈঠকে বাণিজ্য এবং বিনিয়োগ, প্রতিরক্ষা এবং নিরাপত্তা, স্বাস্থ্য এবং ওষুধ, মহাকাশ, খাদ্য এবং জ্বালানি নিরাপত্তা, পরিকাঠামোগত উন্নয়ন-সহ বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী জানান, তাঁরা গুরুত্বপূর্ণ খনিজ, নতুন প্রযুক্তি, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) এবং সুপার কম্পিউটার, ডিজিটাল সহযোগিতার মতন বিষয় নিয়েও আলোচনা করেছেন। তিনি জানান, আগামী পাঁচ বছরে ২০ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য করার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছেন তাঁরা। এ দিন একাধিক চুক্তিতেও স্বাক্ষর করছে ভারত এবং ব্রাজিল। দুই দেশের মধ্যে শক্তি, কৃষি, ডিজিটাল রূপান্তর এবং সন্ত্রাসবাদ প্রতিরোধসহ মোট ছয়টি গুরুত্বপূর্ণ খাতে সহযোগিতা বৃদ্ধির জন্য চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে।

    ভারত-ব্রাজিল রঙিন সম্পর্ক

    ভারত-ব্রাজিল সম্পর্ক (India-Brazil Relation) নিয়ে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করে মোদি বলেন, “আমরা চাই ভারত-ব্রাজিল সম্পর্ক হোক রঙিন কার্নিভালের মতো, ফুটবলের মতো আবেগময় এবং সাম্বার মতো হৃদয়স্পর্শী – ভিসা কাউন্টারে দীর্ঘ লাইনের দরকার নেই!” তিনি জানান, দুই দেশের মধ্যে পর্যটক, শিক্ষার্থী, ক্রীড়াবিদ এবং ব্যবসায়ীদের মধ্যে সহজ যাতায়াত নিশ্চিত করতে উদ্যোগ নেওয়া হবে। আন্তর্জাতিক ভূ-রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে উভয় নেতা সম্মত হন যে, সমস্ত বিরোধ আলোচনা ও কূটনীতির মাধ্যমে সমাধান হওয়া উচিত। মোদি বলেন, “ভারত-ব্রাজিল অংশীদারিত্ব বিশ্ব স্থিতিশীলতা ও ভারসাম্যের একটি গুরুত্বপূর্ণ স্তম্ভ।” প্রধানমন্ত্রী জানান, বর্তমানে দুই দেশের মধ্যে বার্ষিক বাণিজ্য প্রায় ১৩ বিলিয়ন ডলার। সেটিকে ২০ বিলিয়ন ডলারে উন্নীত করার লক্ষ্যে কাজ চলছে। পাশাপাশি শক্তি খাতে সহযোগিতাও বাড়ছে। মোদি বলেন, “পরিবেশ ও পরিচ্ছন্ন জ্বালানি দুই দেশেরই অগ্রাধিকার। আজকের এই চুক্তি আমাদের সবুজ লক্ষ্যে নতুন দিকনির্দেশনা দেবে।” প্রতিরক্ষা ক্ষেত্রে সহযোগিতা প্রসঙ্গে মোদি জানান, “আমাদের প্রতিরক্ষা শিল্পের মধ্যে গভীর আস্থা ও বোঝাপড়া তৈরি হয়েছে। এই ক্ষেত্রেও যৌথভাবে কাজ অব্যাহত থাকবে।”

    আন্তর্জাতিক প্রেক্ষাপটে ভারত-ব্রাজিল সম্পর্ক

    দুই দেশ (India-Brazil Relation) এখন ব্রাজিলে ভারতের ইউপিআই (Unified Payments Interface) চালু করার জন্য একসঙ্গে কাজ করছে বলেও জানান মোদি। তিনি বলেন, “ডিজিটাল পাবলিক ইনফ্রাস্ট্রাকচার ও মহাকাশ গবেষণায় ভারতের অভিজ্ঞতা ব্রাজিলের সঙ্গে ভাগ করে নিতে আমরা প্রস্তুত।” মোদি জানান, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ও সুপারকম্পিউটিং ক্ষেত্রেও সহযোগিতা বাড়ছে, যা দুই দেশের মানব-কেন্দ্রিক উদ্ভাবনের প্রতিফলন। কৃষি গবেষণা, খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ এবং আয়ুর্বেদ ও প্রাচীন চিকিৎসা পদ্ধতি প্রসারের ক্ষেত্রেও যৌথ উদ্যোগ গ্রহণ করা হবে। আন্তর্জাতিক পরিসরে ভারত-ব্রাজিল সমন্বয় প্রসঙ্গে মোদি বলেন, “দুটি বড় গণতান্ত্রিক দেশ হিসেবে আমাদের সহযোগিতা শুধু গ্লোবাল সাউথের জন্য নয়, গোটা মানবজাতির জন্য গুরুত্বপূর্ণ। বর্তমান বৈশ্বিক অনিশ্চয়তার সময়ে আমাদের যৌথ দায়িত্ব এই অঞ্চলের উদ্বেগ ও অগ্রাধিকারের বিষয়গুলি আন্তর্জাতিক মঞ্চে তুলে ধরা।” মোদি-লুলার এই বৈঠক ভারত-ব্রাজিল দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ককে নতুন উচ্চতায় নিয়ে যাবে বলে মনে করছে কূটনৈতিক মহল।

    সম্মানিত মোদি

    এদিন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে ব্রাজিলের (PM Modi in Brazil) সর্বোচ্চ নাগরিক সম্মান ‘গ্র্যান্ড কলার অব দ্য ন্যাশনাল অর্ডার অব দ্য সাউদার্ন ক্রস’ প্রদান করল সে দেশের সরকার। ভারত-ব্রাজিলের সহযোগিতা বাড়াতে প্রধানমন্ত্রী মোদির উল্লেখযোগ্য অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ ব্রাজিলের প্রেসিডেন্ট লুইজ ইনাসিও লুলা দা সিলভা এই সম্মান প্রদান করেন। ২০১৪ সালের মে মাসে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণের পরে এটি মোদির ২৬তম আন্তর্জাতিক সম্মান।

     

     

     

     

     

     

  • Elon Musk: আমেরিকায় পানি পাবে কি ইলন মাস্কের নয়া দল?

    Elon Musk: আমেরিকায় পানি পাবে কি ইলন মাস্কের নয়া দল?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ৫ জুলাই নয়া দল গঠনের কথা ঘোষণা করেছিলেন মার্কিন বিলিয়নিয়র ইলন মাস্ক (Elon Musk)। তাঁর দলের নাম আমেরিকা পার্টি। এক্স হ্যান্ডেল তিনি জানিয়েছেন তাঁর এই নয়া দলের কথা। ‘ওয়ান বিগ বিউটিফুল বিল’ নিয়ে মতদ্বৈততা চরমে ওঠে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প (Donald Trump) ও ইলন মাস্কের। তার পরেই আত্মপ্রকাশ করে মাস্কের নয়া দল। ট্রাম্পের বিলটিকে মাস্ক অর্থনৈতিক দৃষ্টিকোণ থেকে এক বিপর্যয় বলে বর্ণনা করেছেন।

    মাস্কের দলের তিন স্তম্ভ (Elon Musk)

    যদিও মাস্কের দলটি এখনও আনুষ্ঠানিকভাবে নথিভুক্ত হয়নি, তাদের কোনও সংবিধানও নেই। তবে মাস্কের দলটি মূলত তিনটি স্তম্ভের ওপর দাঁড়িয়ে রয়েছে। এগুলি হল, আগ্রাসী আর্থিক রক্ষণশীলতা – ঋণ ও অপ্রয়োজনীয় ব্যয় কমানোর ওপর জোর, প্রযুক্তিগত গতি বৃদ্ধি – কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (AI), রোবোটিক্স এবং বিশেষ করে জ্বালানি খাতে নিয়ন্ত্রণ মুক্ত করার পক্ষে জোরালো অবস্থান এবং মধ্যম ৮০ শতাংশ প্রতিনিধিত্ব – রাজনৈতিক চরমপন্থীদের দ্বারা বিমুখ হওয়া সাধারণ মানুষের প্রতিনিধিত্বের দাবি। প্রাথমিক সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে, মাস্কের নয়া দলের প্রতি জনগণের কিছুটা আগ্রহ রয়েছে। ৪০ শতাংশ ভোটার এতে আগ্রহ প্রকাশ করেছেন। তবে মাস্কের ব্যক্তিগত জনপ্রিয়তা উল্লেখযোগ্যভাবে কম। তাঁর অনুকূলতা সূচক বর্তমানে -১৮।

    আগেও ছাপ ফেলতে পারেনি তৃতীয় কোনও দল

    তবে ১৭৭৬ সাল থেকে আমেরিকায় তৃতীয় রাজনৈতিক দলগুলির ইতিহাস মাস্কের আকাঙ্ক্ষার এক হতাশাজনক ছবি তুলে ধরে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের রাজনৈতিক ব্যবস্থা বরাবরই চ্যালেঞ্জারদের দমন করেছে (Elon Musk)। থিওডোর রুজভেল্টের প্রগ্রেসিভ বুল মুস পার্টি ১৯১২ সালে ২৭ শতাংশ ভোট জয়ী হলেও, অল্পদিনেই ভেঙে পড়ে। রস পেরোর রিফর্ম পার্টি ওই বছরই ভোট পেয়েছিল ১৯ শতাংশ ভোট। পেরো নেতৃত্ব ছাড়ার পরেই দ্রুত দুর্বল হয়ে পড়ে নয়া পার্টি। লিবার্টেরিয়ান ও গ্রিন পার্টির মতো ধারাবাহিক চেষ্টাগুলোও দশকের পর দশক ধরে সংগ্রাম করে চলেছে। কিন্তু সম্মিলিতভাবে কংগ্রেসের ১ শতাংশ আসনও পায়নি।

    কাঠামোগত বাধাও রয়েছে। নয়া দলকে প্রতিটি রাজ্যে আলাদা আইনের অধীনে লাখ লাখ স্বাক্ষর সংগ্রহ করতে হয়। ক্যালিফোর্নিয়া রাজ্যেই ১১ লাখ স্বাক্ষর বা ৭৫ হাজার নিবন্ধিত সদস্য লাগবে। “স্পয়লার এফেক্ট”ও একটি বড় বাধা। কারণ তৃতীয় দলগুলো প্রায়ই প্রধান রাজনৈতিক দলের সমর্থকদের ভোট কেটে নেয়। তাই তাদের প্রতিপক্ষই জয়ী হয়। তাই মাস্কের দল আমেরিকায় পানি পাবে কিনা, তা বলবে সময়। তবে এনিয়ে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন সে দেশের রাজনৈতিক (Donald Trump) বিশেষজ্ঞরা। ভ্যালডোস্টা স্টেট ইউনিভার্সিটির রাষ্ট্রবিজ্ঞানী বার্নার্ড টামাস বলেন, “এটা ব্যবসা চালানোর মতো নয়। এর জন্য একটি তৃণমূলস্তরের আন্দোলনের প্রয়োজন। শুধু টাকাটাই যথেষ্ট নয় (Elon Musk)।”

  • PM Modi in Foreign Tour: রামমন্দিরের রেপ্লিকা, মধুবনী শিল্পকর্ম! মোদির উপহারে বরাবরই ‘ইনক্রেডিবল ইন্ডিয়া’র ঝলক

    PM Modi in Foreign Tour: রামমন্দিরের রেপ্লিকা, মধুবনী শিল্পকর্ম! মোদির উপহারে বরাবরই ‘ইনক্রেডিবল ইন্ডিয়া’র ঝলক

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পঞ্চদেশীয় সফরে গিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi in Foreign Tour)। ঘানা, ত্রিনিদাদ-টোবাগো, আর্জেন্টিনা ঘুরে পৌছে গিয়েছেন ব্রাজিলে। যোগ দিয়েছেন ব্রিকস সম্মেলনে। দেখা হল। কথা হল। ব্রিকস বৈঠকে একসঙ্গে কথাবার্তা বললেন রাষ্ট্রনেতারা। কখনও বা নরেন্দ্র মোদি আলাদা ভাবে মুখোমুখি বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রপ্রধানের সঙ্গে। গুরুগম্ভীর কথাবার্তা যেমন ছিল, তেমনই ছিল সৌজন্যের প্রীতি বিনিময়, কিছু ব্যক্তিগত আদানপ্রদানও। প্রীতির সঙ্গে উপহারও ছিল। ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী খালি হাতে যাননি মোদি। ভারতীয় রীতি মেনে বিভিন্ন দেশের নেতার হাতে তুলে দিয়েছেন বিশেষ উপহার। প্রতিটি উপহারই ‘ইনক্রেডিবল ইন্ডিয়া’র ঝলক তুলে ধরেছে বিশ্বের দরবারে।

    ত্রিনিদাদা ও টোবাগোয় মোদির উপহার

    নয়াদিল্লি সূত্রে জানা গিয়েছে, ত্রিনিদাদা ও টোবাগোর প্রধানমন্ত্রী কমলা প্রসাদ বিসেসরকে মোট দু’টি উপহার দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi in Foreign Tour)। প্রথমটি হল অযোধ্যার সরযূ নদীর জল। এই নদীর উল্লেখ রয়েছে পুরাণেও। সেই পবিত্র নদীর জল একটি কলসি ভরে তা ওই দেশের প্রধানমন্ত্রীর হাতে তুলে দিয়েছেন মোদি। এই প্রসঙ্গে বলে রাখা ভাল, ত্রিনিদাদের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে রয়েছে বিহার-যোগ। তিনি ভারতীয় বংশোদ্ভূত। তাঁর পরিবার একেবারে বিহারের বক্সার এলাকার মানুষ ছিলেন। এক কথায় ‘ভারত কি বেটি’ তিনি। কলস হিন্দু ধর্মে পবিত্রতা, কল্যাণ এবং আধ্যাত্মিক অনুগ্রহের প্রতীক। এই কলসি ছাড়াও শুদ্ধতা, ধর্ম, ও সাংস্কৃতিক গর্বের প্রতীক হিসেবে তাঁর হাতে রামমন্দিরের একটি ছোট প্রতিরূপও তুলে দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী মোদি।

    আর্জেনটিনায় মোদির উপহার

    এই ত্রিনিদাদ সফর সেরে, মোদি যান মারাদোনার দেশ আর্জেন্টিনা। সেদেশের প্রেসিডেন্ট জেভিয়ার মিলেইয়ের সঙ্গে বৈঠক করতে দেখা যায় ভারতের প্রধানমন্ত্রীকে (PM Modi in Foreign Tour)। বৈঠক শেষে সৌজন্য ও বন্ধুত্বের খাতিরে তাঁকে একটি উপহার দেন মোদি। আর্জেটিনার প্রেসিডেন্টকে রাজস্থানে তৈরি হওয়া সিংহের মূর্তি দিয়েছেন তিনি। একখণ্ড ফুকসাইট পাথরের উপর হাতে খোদাই করা রুপোর সিংহ, সাহস ও নেতৃত্বের প্রতীক। মোদির উপহারের তালিকা থেকে বাদ পড়েন না উপ-রাষ্ট্রপতিও। আর্জেন্টিনার ভাইস প্রেসিডেন্ট ভিক্টোরিয়া ভিয়াররুয়েলকে এক টুকরো বিহারের ছোঁয়া দিয়ে আসেন তিনি। তাঁর হাতে তুলে দেন মধুবনী শিল্প দ্বারা তৈরি সূর্যের ছবি। সূর্যকে জীবনের শক্তি ও ইতিবাচকতার প্রতীক হিসেবে গণ্য হয়। এটি ঘিরে থাকা ফুলেল মোটিফ মিথিলার মধুবনী শিল্পের এক অনন্য নিদর্শন।

    ঘানায় মোদির উপহার

    পঞ্চ দেশীয় সফরে সবার প্রথম ঘানায় গিয়েছিলেন মোদি (PM Modi in Foreign Tour)। সেখানে ঘানার প্রেসিডেন্ট জন মাহামার জন্য কর্নাটকে তৈরি বিদরি শিল্পের একটি ফুলদানি নিয়ে গিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী। দস্তা-তামা দিয়ে এই ফুলদানিগুলি তৈরি হয় কর্নাটকের প্রান্তিক এলাকায়। যার মূল উপাদান বিদরি শিল্প। ভারতের এক টুকরো শিল্পের অংশকেই আপাতত ঘানার রাষ্ট্রপতির হাতে তুলে দিয়ে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের সূচনা ঘটান তিনি। শুধু রাষ্ট্রপতিই নয়। তাঁর স্ত্রীর জন্য একটি রুপোর কাজ করা হাতব্যাগ নিয়ে গিয়েছিলেন মোদি। যা ওড়িশার কটকের তারাকাশি হস্তশিল্পের প্রতীক। গত ৫০০ বছর ধরে রুপো দিয়ে নানা রকম সামগ্রী তৈরি হয় কটকের একটি গ্রামে। মোদির দেওয়া উপহারে রয়ে গেল সেই চিহ্নটাও। এছাড়াও, ঘানার উপরাষ্ট্রপতির জন্য কাশ্মীর থেকে বিশেষ উপহার নিয়ে গিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী। জানা গিয়েছে, কাশ্মীরি উল দিয়ে তৈরি বিখ্যাত পাশমিনা শাল দক্ষিণ আফ্রিকার ওই দেশের উপরাষ্ট্রপতিকে উপহার হিসাবে দিয়ে এসেছেন মোদি। ঘানার সংসদের অধ্যক্ষকে বাংলায় তৈরি হওয়া শ্বেতপাথরের হাতি উপহার দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী।

    মোদি-লুলা দ্বিপাক্ষিক আলোচনা

    প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi in Foreign Tour) সোমবার রাতে রিও ডি জেনেইরোতে ১৭তম ব্রিকস সম্মেলনে অংশগ্রহণের পর ব্রাসিলিয়ার উদ্দেশে রওনা হয়েছেন। ১৯৬৮ সালের পর এটি প্রথম কোনও ভারতীয় প্রধানমন্ত্রীর ব্রাসিলিয়া সফর। এই রাষ্ট্রীয় সফরে মোদি ব্রাজিলের রাষ্ট্রপতি লুইজ ইনাসিও লুলা দা সিলভার সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক আলোচনা করবেন, যেখানে বাণিজ্য, প্রতিরক্ষা, শক্তি, মহাকাশ, প্রযুক্তি, কৃষি, স্বাস্থ্য এবং জনগণের মধ্যে সম্পর্ক জোরদার করার মতো পারস্পরিক স্বার্থের বিষয়গুলোতে ভারত-ব্রাজিল কৌশলগত অংশীদারিত্বের প্রসারের উপর জোর দেওয়া হবে। ভারত ও ব্রাজিলের মধ্যে কৌশলগত অংশীদারিত্ব ২০০৬ সাল থেকে ক্রমশ শক্তিশালী হয়েছে, এবং এই সফর এই সম্পর্ককে আরও গভীর করবে। মোদির ব্রাজিল সফর ভারতের অর্থনৈতিক ও কূটনৈতিক প্রভাব বৃদ্ধির ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ। ভারত-ব্রাজিল বাণিজ্য ২০২৩-২৪ সালে ১২ বিলিয়ন মার্কিন ডলার ছাড়িয়েছে, এবং এই সফরে নতুন বাণিজ্য চুক্তি এবং প্রতিরক্ষা সহযোগিতার সম্ভাবনা রয়েছে। এই সফর শেষে মোদি ৯ জুলাই নামিবিয়া যাবেন।

LinkedIn
Share