Category: বিদেশ

Get updates on World News Headlines International News from the Madhyom news portal madhyom.com, West Bengal leading news portal Madhyom.com

  • China Ban on India: ২ বছর পর ভারতীয়দের জন্য কোভিড ভিসা নিষেধাজ্ঞা তুলল চিন

    China Ban on India: ২ বছর পর ভারতীয়দের জন্য কোভিড ভিসা নিষেধাজ্ঞা তুলল চিন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: করোনা (Coronavirus) অতিমারির জেরে বন্ধ করা হয়েছিল কোভিড (Covid-19) ভিসা। দু’বছরেরও বেশি সময় ধরে জারি ছিল এই নিষেধাজ্ঞা। ২ বছর পর তা তুলে নেওয়া হল। চিনা (China) সরকার সে দেশে কর্মরত ভারতীয় (Indian) ও তাঁদের পরিবারকে ফের ভিসা (Visa) দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এই নিষেধাজ্ঞার জেরে চিনে কর্মরত ভারতীয়রা যোগ দিতে পারছিলেন না কর্মক্ষেত্রে। নিষেধাজ্ঞা উঠে যাওয়ায় এবার পারবেন।

    সোমবার ভারতে চিনা দূতাবাসের (Chinese Embassy) তরফে জারি করা এক বিবৃতিতেই এই নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়ার কথা জানানো হয়েছে। করোনা পরিস্থিতির আগে চিনে পড়াশোনা করতেন প্রচুর ভারতীয় ছাত্রছাত্রী। চাকরি সূত্রেও বাস করতেন অনেকে। করোনা অতিমারির জেরে এঁরা ফিরে এসেছিলেন ভারতে। ফের চিনে পুরানো জায়গায় ফিরতে চাইছেন তাঁরা। এনিয়ে তাঁরা বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্করের (S Jaishankar) সঙ্গেও যোগাযোগ করেন। চিনে গিয়ে ফের পড়াশোনার বিষয়ে আগ্রহ প্রকাশ করেন তাঁরা। করোনা পরিস্থিতির উন্নতি এবং আগ্রহী ছাত্রছাত্রীদের কথা ভেবেই নিষেধাজ্ঞা তুলে নেয় ড্রাগনের দেশ।

    আরও পড়ুন : পারমাণবিক অস্ত্রসম্ভার বাড়াচ্ছে চিন, ভারত, পাকিস্তানের হাতে কত?

    সম্প্রতি চিনা দূতাবাসের তরফে জানানো হয়েছে, স্থায়ীভাবে চিনে বসবাসের অনুমতিপ্রাপ্ত বিদেশিদের পরিবার এবার থেকে ভিসার জন্য আবেদন করতে পারবেন। কর্মসূত্রে চিনে গিয়ে সেখানকার মহিলাদের বিয়ে করেছিলেন অনেক ভারতীয়। করোনা পরিস্থিতির জেরে ভারতীয়দের ফিরতে হয়েছিল দেশে। নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়ায় এবার এই ভারতীয়রাও ফিরতে পারবেন চিনে। চিনের প্রচুর নাগরিকও কর্মসূত্রে ভারতে এসেছিলেন। অতিমারি পরিস্থিতিতে আটকে পড়েছিলেন তাঁরাও। নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়ায় এবার তাঁরাও ফিরতে পারবেন স্বদেশে। চিনা দূতাবাসের তরফে জানানো হয়েছে, পর্যটন ভিসা (Tourist visa) এখনই দেওয়া হচ্ছে না।

    আরও পড়ুন : এখন শ্রীলঙ্কাকে সাহায্য করতে ভারতের সঙ্গে কাজ করতে চাইছে চিন!

    চলতি বছরের এপ্রিল মাসে দীর্ঘ আলোচনার পর চিনা সরকার ফাইনাল ইয়ারের বেশ কিছু ভারতীয় ছাত্রছাত্রীকে চিনে ফেরার অনুমতি দিয়েছিল। সেই সময়ই ভারতীয় দূতাবাসকে চিনে ফিরতে ইচ্ছুক পড়ুয়াদের তথ্য সংগ্রহের কথা বলেছিল। সেই তথ্য সংগ্রহের কাজ শেষেই উঠল নিষেধাজ্ঞা।

    প্রসঙ্গত, একটি রিপোর্ট থেকে জানা গিয়েছে, ২৩ হাজারেরও বেশি ভারতীয় ছাত্রছাত্রী চিনে পড়াশোনা করেন। এঁদের সিংহভাগই সে দেশের বিভিন্ন কলেজে পড়াশোনা করেন চিকিৎসা বিজ্ঞান নিয়ে। অতিমারি পরিস্থিতিতে দেশে ফেরেন তাঁরা। পঠনপাঠন চলছিল অনলাইনে। নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়া এবার তাঁরাই চিনে গিয়ে ক্লাস করতে পারবেন অফলাইনে।

     

  • India Bangladesh: প্রতিরক্ষা সংক্রান্ত বোঝাপড়া শক্তপোক্ত করতে ফের বৈঠকে ভারত বাংলাদেশ

    India Bangladesh: প্রতিরক্ষা সংক্রান্ত বোঝাপড়া শক্তপোক্ত করতে ফের বৈঠকে ভারত বাংলাদেশ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক:  প্রতিরক্ষা সংক্রান্ত বোঝাপড়া শক্তপোক্ত করতে ফের বৈঠকে বসল ভারত (India) ও বাংলাদেশ (Bangladesh)। ১০ অগাস্ট, বুধবার দিল্লিতে (New Delhi) ওই বৈঠক বসে। বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন ভারতের নৌ, স্থল ও আকাশ তিন বাহিনীর শীর্ষ কর্তারা। প্রতিরক্ষা (Defence) সংক্রান্ত পারস্পরিক সহযোগিতা আরও উন্নত করতেই হয়েছে বৈঠক। ভারতের প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের তরফে জানানো হয়েছে, ইন্টিগ্রেটেড ডিফেন্স স্টাফ ব্রিগেডিয়ার বিবেক নারাং ও ব্রিগেডিয়ার হুসেন মহম্মদ রেহমানের নেতৃত্বে বৈঠক হয়েছে সৌহাদ্যপূর্ণ পরিবেশে। 

    ভারতের পড়শি দেশ বাংলাদেশ। প্রতিবেশী পাকিস্তানের সঙ্গে সম্পর্ক ভালো নয় নয়াদিল্লির। সীমান্তে চোখ রাঙাচ্ছে ভারতের আর এক প্রতিবেশী দেশ চিন। এমতাবস্থায় বাংলাদেশের সঙ্গে প্রতিরক্ষা সংক্রান্ত পারস্পরিক সহযোগিতা বাড়িয়ে তোলা প্রয়োজন বলেই মনে করে ভারত। জানা গিয়েছে, ২০১৭ সালে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রতিরক্ষা সংক্রান্ত দুটি চুক্তিতে সই করেন। চুক্তি অনুযায়ী, দুই দেশের সেনা অংশ নেবে যৌথ মহড়া ও প্রশিক্ষণে। তাছাড়া ভারতের সশস্ত্র বাহিনী এক্সপার্ট ট্রেনিং ও সরঞ্জাম জোগাবে বাংলাদেশকে। সন্ত্রাসবাদ দমনে দুই দেশই পরস্পরকে সহযোগিতা করবে। উত্তর পূর্ব সীমান্তে মাদক চোরাচালান বন্ধেও সহযোগিতা করবে দুই দেশ। এর আগেও একাধিকবার বাংলাদেশ সরকার এটা স্পষ্ট করে দিয়েছে যে, কেউ বাংলাদেশের মাটিকে সন্ত্রাসবাদের কাজে ব্যবহার করতে পারবে না। সন্ত্রাসবাদ, জঙ্গিবাদ নির্মূলীকরণ এবং সংগঠিত অপরাধের ক্ষেত্রে দুই দেশই নিয়েছে জিরো টলারেন্স নীতি।

    আরও পড়ুন : দেশভাগ যন্ত্রণার! এক হোক ভারত-পাকিস্তান-বাংলাদেশ, চান হরিয়ানার মুখ্যমন্ত্রী

    এদিনের বৈঠকে ভারত ও বাংলাদেশ মউ (MOU) স্বাক্ষর করেছে। স্বাক্ষর হয়েছে দুটি চুক্তি। একটি হল ভারতের ডিএসএসসি এবং ঢাকা ডিফেন্স সার্ভিস কমান্ডের এবং অন্যটি দুই দেশের উপকূল রক্ষী বাহিনীর। দুটি ডিফেন্স ইন্ডাস্ট্রিয়াল করিডর তৈরিতে লগ্নি করতে বাংলাদেশি কোম্পানিকে আমন্ত্রণ জানিয়েছে ভারত। এই করিডর দুটির একটি হবে উত্তর প্রদেশে, অন্যটি তামিলনাড়ুতে। জাহাজ নির্মাণ শিল্পে উন্নতির সুযোগও রয়েছে। ভারত মর্টার, মিসাইল, অস্ত্র এবং রাডার দিয়েও বাংলাদেশকে সামরিক সহযোগিতা করে। প্রসঙ্গত, বাংলাদেশের আমদানিকৃত অস্ত্রের ৭৪ শতাংশই আসে চিন থেকে। হাসিনার দেশে একটি নৌঘাঁটি তৈরি করেছে, যেখানে প্রয়োজনের সময় চিনা সাবমেরিন নোঙর করতে পারে। ২০০২ সালে বাংলাদেশ ও চিন প্রতিরক্ষা সহযোগিতা সংক্রান্ত চুক্তিতে সই করেছিল।

     

  • Ukraine Russia War: “ইউক্রেনকে অস্ত্র সরবরাহ করলে তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধের আশঙ্কা সত্যি হতে পারে”, পশ্চিমকে হুঁশিয়ারি রাশিয়ার

    Ukraine Russia War: “ইউক্রেনকে অস্ত্র সরবরাহ করলে তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধের আশঙ্কা সত্যি হতে পারে”, পশ্চিমকে হুঁশিয়ারি রাশিয়ার

    মাধ্য়ম নিউজ ডেস্ক: ইউক্রেন রাশিয়া যুদ্ধ (Ukraine Russia War) দু’মাস অতিক্রম করেছে। যুদ্ধ থামার ইঙ্গিত তো নেই-ই বরং আরও আক্রমণাত্মক হয়ে উঠেছ রাশিয়া (Russia)। এবার সরাসরি পশ্চিমকে তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধের (World war III) হুঁশিয়ারি দিল রাশিয়া। আর মস্কোর (Moscow) নিশানায় যে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র (USA) ও ন্যাটোভুক্ত (NATO allies) দেশগুলি, তা বলার অপেক্ষা রাখে না।

    প্রসঙ্গত, ইউক্রেনের (Ukraine) ছোড়া নেপচুন ক্ষেপণাস্ত্র (Neptune missile)  রাশিয়ার যুদ্ধ জাহাজের ওপর আছড়ে পড়ে। যুদ্ধজাহাজ মস্কভা (Moskva cruise ship) ধ্বংস হয়ে যাবার পরেই তৃতীয় বিশ্ব যুদ্ধ শুরু হয়ে গিয়েছে বলে দাবি করেছিল রাশিয়ার সরকারি টিভি চ্যানেল। এবার সেই হুঁশিয়ারি দিলেন রুশ বিদেশমন্ত্রী সের্গেই লাভরভ (Sergei Lavrov)। একটি রুশ সংবাদমাধ্যমে দেওয়া সাক্ষাৎকারে লাভরভ বলেন, ‘‘রাশিয়াকে নিশানা করতেই ওই সমস্ত অস্ত্র পাঠানো হচ্ছে। সেক্ষেত্রে রাশিয়া পাল্টা সেখানে হামলা করার অধিকার রাখে।’’

    ন্যাটোর বিরুদ্ধে সরাসরি অভিযোগ তুলে লাভরভ জানান, তারা সামরিক জোট রাশিয়ার বিরুদ্ধে একটা প্রক্সি ওয়ার বা ছায়াযুদ্ধ (proxy war) শুরু করেছে। তিনি বলেন, ‘‘মোদ্দা কথা, রাশিয়ার সঙ্গে ছায়াযুদ্ধ শুরু করে দিয়েছে ন্যাটোবাহিনী। আর যুদ্ধ মানে যুদ্ধই।’’ ওই সাক্ষাৎকারে তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধ বাধার আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন লাভরভ। তিনি বলেন, ‘‘এটাই বাস্তব। বিশ্ব এখন তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধের দোড়গোড়ায়। পরিস্থিতি গুরুতর হচ্ছে। কেউই আর এই বাস্তবকে অস্বীকার করতে পারবে না।’’ পাশাপাশি একের পর এক শান্তি বৈঠক ব্যর্থ হওয়ার দায় কিভের উপরেই চাপিয়েছেন রুশ বিদেশমন্ত্রী।

    রাশিয়ার তরফ থেকে ভাবা হচ্ছে, ন্যাটোর পরিকাঠামোর বিরুদ্ধেই লড়ছে রাশিয়া। বিশেষজ্ঞদের মতে, রুশ যুদ্ধজাহাজ ধ্বংসের পেছনে নেটোর ভূমিকাই দেখছে রাশিয়া।  খুব স্বাভাবিক ভাবেই রাশিয়ার তরফ থেকে তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধের মন্তব্য যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে। পাশাপাশি আন্তর্জাতিক মহলে চলছে এই নিয়ে তীব্র সমালোচনা। 

    শুধু তাই নয়, কার্যত হুঁশিয়ারি দিয়ে রাশিয়ার দাবি, যে কোনও মুহূর্তে হতে পারে নিউক্লিয়ার হামলা (Nuclear War)। লাভরভ বলেন, ‘‘যে কোনও মূল্যে পরমাণু যুদ্ধ থেকে বিরত থাকার নীতিতে অটল রাশিয়া। এটিই আমাদের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ অবস্থান। কিন্তু বর্তমানে যে ঝুঁকি তৈরি হয়েছে, তা বিবেচনাযোগ্য। আমরা এসব ঝুঁকি কৃত্রিমভাবে বাড়াতে চাই না।’’ বিদেশমন্ত্রীর এই বিস্ফোরক মন্তব্য আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে গোটা বিশ্বে। 

     

     

  • S Jaishankar Hits Back: মানবাধিকার প্রসঙ্গে আমেরিকাকে ‘দুসরা’ বিদেশমন্ত্রী জয়শঙ্করের 

    S Jaishankar Hits Back: মানবাধিকার প্রসঙ্গে আমেরিকাকে ‘দুসরা’ বিদেশমন্ত্রী জয়শঙ্করের 

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মার্কিন বিদেশ সচিবকে ‘দুসরা’ দিলেন ভারতের বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর (EAM S Jaishankar)। সম্প্রতি, ভারত-মার্কিন প্লাস-টু (India US 2+2 dialogue) বৈঠকে আমেরিকার বিদেশ সচিবের কাছে মানবাধিকার (Human Rights) নিয়ে খোঁচা শুনতে হয়েছিল ভারতকে। দু’দিন পর তারই পাল্টা দিলেন ভারতের বিদেশমন্ত্রী। জয়শঙ্কর বলেন, আপনাদের দেশে মানবাধিকার নিয়েও আমাদের উদ্বেগ রয়েছে। সময় এলে মুখ খুলবে ভারত (India)।

    দিন কয়েক আগে প্লাস টু বৈঠকে বসে ভারত ও আমেরিকা। ভারতের পক্ষে ওই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন জয়শঙ্কর এবং প্রতিরক্ষা মন্ত্রী রাজনাথ সিং(Defence Minister Rajnath Singh)। আর আমেরিকার তরফে ছিলেন বিদেশ সচিব অ্যান্টনি ব্লিকেন (US secretary of state Antony Blinken) এবং অস্টিন লয়েড। ওই বৈঠকেই বন্ধুত্বপূর্ণ পরিবেশে আলোচনা হলেও, চোনা পড়ে যায় মার্কিন বিদেশ সচিবের একটি খোঁচায়। 

    ভারতের দুই প্রতিনিধিকে তিনি বলেন, ভারতের ক্রমবর্ধমান মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনাগুলির ওপর নজর রাখছে আমেরিকা। কিছু সরকারি আধিকারিক, পুলিশ এবং জেল আধিকারিকদের বিরুদ্ধে মানবাধিকার লঙ্ঘনের গুরুতর অভিযোগ উঠছে। আমরা নিয়মিত আমাদের ভারতীয় বন্ধুদের সঙ্গে কথা বলছি।
     
    মার্কিন খোঁচা নিঃশব্দে সেদিন সহ্য করে নেন জয়শঙ্কর। কিন্তু, দুদিন পরই মার্কিন-খোঁচার জবাবে তিনি বলেন, দেখুন কেউ ভারত সম্পর্কে নিজের মতামত দিতেই পারে। কিন্তু আমাদেরও মতামত রয়েছে। আমরা জানি ওরা কেন একথা বলছে। কোন লবি এবং ভোটব্যাঙ্ক রক্ষা করতে এই ধরনের মন্তব্য করা হয়েছে, সেসবও আমাদের জানা রয়েছে। আমি আপনাকে বলছি, যখন এনিয়ে আলোচনা হবে, তখন আমরাও মুখ খুলতে পিছপা হব না। 

    জয়শংকর সাফ জানিয়ে দেন, ভারত-আমেরিকা টু প্লাস টু বৈঠকে মানবাধিকার নিয়ে আলোচনা হয়নি, তাই এনিয়ে ভারত কিছু বলেনি। পরে যখন এনিয়ে আলোচনা হবে তখন ভারত আমেরিকা প্রসঙ্গেও নিজেদের মতামত তুলে ধরবে। এর পরেই বিদেশমন্ত্রী বলেন, বহু মানুষের মানবাধিকার নিয়ে আমাদেরও মতামত রয়েছে। আমেরিকায় মানবাধিকার নিয়েও আমাদের উদ্বেগ রয়েছে। 

    প্রসঙ্গত, কয়েকদিন আগেই নিউ ইয়র্কের (New york) রিচমন্ড হিলের কাছে হিংসার শিকার হয়েছেন দুই শিখ যুবক। এদিন সে প্রসঙ্গ তুলে আমেরিকাকে জয়শঙ্কর বুঝিয়ে দিলেন আমেরিকা যেমন ভারতের ওপর নজর রাখছে, তেমনি চোখ বুজে বসে নেই নয়াদিল্লিও (New Delhi)। সাউথ ব্লকের তীক্ষ্ণ দৃষ্টি রয়েছে আমেরিকার ওপর।

     

  • Radha Iyengar Plumb: মার্কিন প্রতিরক্ষা দফতরের গুরুত্বপূর্ণ পদে ভারতীয় বংশোদ্ভূত রাধা

    Radha Iyengar Plumb: মার্কিন প্রতিরক্ষা দফতরের গুরুত্বপূর্ণ পদে ভারতীয় বংশোদ্ভূত রাধা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আবারও মার্কিন প্রশাসনের গুরুত্বপূর্ণ পদে এক ভারতীয় বংশোদ্ভূত। পেন্টাগনের গুরুত্বপূর্ণ পদে ভারতীয় বং‌শোদ্ভূত রাধা আয়েঙ্গার প্লাম্বকে (Radha Iyengar Plumb) মনোনীত করলেন আমেরিকার প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন (Joe Biden)। বুধবার তাঁকে আমেরিকার প্রতিরক্ষা দফতরের ডেপুটি আন্ডার সেক্রেটারি (সামরিক ক্রয় এবং স্থিতিশীলতা) পদে নিয়োগ করা হয়েছে। আমেরিকার সামরিক ক্রয় এবং স্থিতিশীলতা সংক্রান্ত কাজের দায়িত্ব সামলাবেন তিনি।  গত কিছুদিন ধরেই ভারতীয় বংশোদ্ভুতদের গুরুত্বপূর্ণ পদে বসাচ্ছে আমেরিকার সরকার (USA Government)। 

    নিরাপত্তা বিশারদ হিসাবে বহুদিন ধরেই কাজ করছেন রাধা। কর্ম জীবনের শুরুতে হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তনী রাধা লন্ডন স্কুল অফ ইকনমিক্সে শিক্ষকতা করতেন। পেন্টাগনের চিফ অফ স্টাফ হিসাবে নিয়োগের আগে তিনি গুগল-এ (ট্রাস্ট এবং সেফটি) গবেষণার সঙ্গে জড়িত ছিলেন। ব্যবসা সংক্রান্ত  ডেটা বিজ্ঞান এবং প্রযুক্তিগত গবেষণায় গুগলের (Google) ক্রস-ফাংশনাল টিমের নেতৃত্ব দিয়েছেন এই ভারতীয় বংশোদ্ভূত৷ এছাড়াও ফেসবুকের (Facebook) নীতি বিশ্লেষণ সংক্রান্ত বিভাগের গ্লোবাল হেড হিসাবেও দায়িত্ব সামলেছেন রাধা। রাধা ছাড়াও আরও কয়েকজন ভারতীয় বংশোদ্ভুতকে গুরুত্বপূর্ণ (USA Appoints Indians) পদে বসিয়েছে বাইডেন প্রশাসন। গত মাসেই ইন্দো-আমেরিকান কূটনীতিক গৌতম রানাকে আমেরিকার বিশেষ দূত হিসাবে নিযুক্ত করা হয়েছিল। মালির রাষ্ট্রদূত হিসাবে ভারতীয় বংশোদ্ভুত রচনা সচদেব কোরহোনেনকে নিয়োগ করা হয়েছে। 

    অর্থনীতির ছাত্রী রাধা আয়েঙ্গার প্লাম্ব আন্তর্জাতিক নিরাপত্তা সংক্রান্ত সমস্যা, অস্ত্র এবং সামরিক সরঞ্জাম সংক্রান্ত আন্তর্জাতিক ব্যবসা এবং প্রতিরক্ষা বিষয়ক পরিসংখ্যান বিশ্লেষণের ক্ষেত্রে ‘বিশেষজ্ঞ’ হিসাবে পরিচিত। সেই কারণেই তাঁকে বেছে নেওয়া হয়েছে বলে মনে করছে মার্কিন কূটনৈতিক মহল। নিজের প্রোফাইলে রাধা নিজেকে একজন পলিসি রিসার্চার, ইকোনোমেট্রিক্স, ট্রাস্ট এবং সেফটি ইস্যু বিশেষজ্ঞ এবং প্রোজেক্ট ম্যানেজমেন্টে দক্ষ বলে দাবি করেছেন। ডেপুটি আন্ডার সেক্রেটারি পদে যোগ দেওয়ার আগে মার্কিন প্রতিরক্ষা দফতরের ডেপুটি সেক্রেটারির (US deputy secretary of defense) দফতরে ‘চিফ অফ স্টাফ’ পদে কর্মরত ছিলেন রাধা। সেই সঙ্গে ডিপার্টমেন্ট অফ এনার্জি, হোয়াইট হাউসের নিরাপত্তা কাউন্সিলের সদস্য ছিলেন রাধা। এবার পেন্টাগনের অন্যতম শীর্ষ পদে বসতে চলেছেন তিনি। 

  • Sri Lanka economic crisis: আর্থিক সঙ্কটে পড়ে নিজেদের ঋণখেলাপি ঘোষণা করল শ্রীলঙ্কা

    Sri Lanka economic crisis: আর্থিক সঙ্কটে পড়ে নিজেদের ঋণখেলাপি ঘোষণা করল শ্রীলঙ্কা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তীব্র আর্থিক সঙ্কটের (economic crisis) মুখে পড়ে শেষমেশ নিজেদের ঋণখেলাপি (defaulter) ঘোষণা করল শ্রীলঙ্কা (sri lanka)। বিদেশি ঋণ নিয়ে দু রকম প্রস্তাব দিয়েছে দ্বীপরাষ্ট্রের সরকার। আন্তর্জাতিক অর্থভাণ্ডার (IMF) থেকে সাহায্য মিললে দেশের আর্থিক অবস্থার উন্নতি হবে বলে জানিয়েছে রাজাপক্ষের সরকার।

    ১৯৪৮ সালে স্বাধীনতা লাভ করে শ্রীলঙ্কা। তার পর থেকে এহেন পরিস্থিতির সম্মুখীন হননি দ্বীপরাষ্ট্রের বাসিন্দারা। এক সময়ের সোনার শ্রীলঙ্কা এখন যেন নেই-রাজ্যের দেশ। চাল-গ্যাস-কেরোসিন-পেট্রোল বাড়ন্ত। কাগজের অভাবে বন্ধ হয়ে গিয়েছে পরীক্ষা। নিউজ প্রিন্ট আমদানি করার ডলার না থাকায় বন্ধ হয়ে গিয়েছে খবরের কাগজ ছাপানো। কয়লার অভাবে দিনে প্রায় ১৩ ঘণ্টা করে বিদ্যুৎ ছাঁটাই হচ্ছে। সন্ধে হলেই রাস্তাঘাট নিষ্প্রদীপ। বিদ্যুৎ না থাকায় দহন দিনেও চালানো যাচ্ছে না ফ্যান-এসি। যাঁদের হাতে পয়সা নেই, তাঁর পড়েছেন সব চেয়ে বেশি সমস্যায়। যাঁদের হাতে পয়সা রয়েছে, তাঁদের সমস্যাও বড় কম নয়। বাধ্য হয়েই কোনওক্রমে দিন গুজরান করছেন শ্রীলঙ্কার সাধারণ মানুষ। 

    এহেন পরিস্থিতিতে দেশকে ঋণখেলাপি ঘোষণা করে দিল রাজাপক্ষের সরকার। শ্রীলঙ্কা সরকারের মাথায় রয়েছে ৫১ বিলিয়ন ডলারের (ভারতীয় মুদ্রায় ৪ লক্ষ কোটি) বৈদেশিক ঋণ। ঋণ শোধের ব্যাপারে সে দেশের সরকার দুটো প্রস্তাব দিয়েছে ঋণদাতা দেশগুলিকে। এক, তারা চাইলে দেয় ঋণের ওপর সুদ চাপাতে পারে। দুই, চাইলে ধার শোধ করা হতে পারে শ্রীলঙ্কার মুদ্রায়। এমতাবস্থায় আইএমএফের দিকে তাকিয়ে রয়েছে শ্রীলঙ্কার সরকার। 

    শ্রীলঙ্কার অর্থমন্ত্রকের তরফে জানানো হয়েছে, দেশে আর্থিক অনটন চরমে উঠেছে। পরিস্থিতি সামাল দিতে নেওয়া হয়েছে একের পর প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ। পরিস্থিতির উন্নতি হলে ঋণ শোধের আশ্বাসও দেওয়া হয়েছে বিদেশি ঋণদাতা দেশগুলিকে। আইএমএফের তরফে আর্থিক সাহায্যের আশ্বাস মিলেছে। তাই আপাতত সেদিকেই তাকিয়ে রয়েছে রাজাপক্ষের সরকার। এমতাবস্থায় আরও কতদিন তাঁদের নেই-রাজ্যের বাসিন্দা হয়েই থাকতে হবে, তা বুঝতে পারছেন না দ্বীপরাষ্ট্রের ২২ কোটি মানুষ।

      

  • Taliban Pakistan Conflict: ‘‌কোনওরকম হামলা বরদাস্ত করা হবে না’‌, নাম না করে পাকিস্তানকে হুঁশিয়ারি তালিবানের

    Taliban Pakistan Conflict: ‘‌কোনওরকম হামলা বরদাস্ত করা হবে না’‌, নাম না করে পাকিস্তানকে হুঁশিয়ারি তালিবানের

    মাধ্য়ম নিউজ ডেস্ক: নাম না করে প্রতিবেশী দেশ পাকিস্তানকে (Pakistan) এবার কড়া হুঁশিয়ারি দিল তালিবান (Taliban)। আফগানিস্তানের (Afghanistan) প্রতিরক্ষা মন্ত্রী মোল্লা মহম্মদ ইয়াকুব (Mullah Mohammad Yaqoob) সাফ জানিয়ে দিলেন যে প্রতিবেশীদের থেকে কোনও আগ্রাসন বা হামলা (invasion) বরদাস্ত করবে না তালিবান প্রশাসন। তালিবানের প্রতিষ্ঠাতা মোল্লা মহম্মদ ওমরের (Mullah Mohammad Omar) মৃত্যুবার্ষিকী উদযাপন করতে একটি অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছিলেন তার ছেলে তথা আফগান প্রতিরক্ষামন্ত্রী মোল্লা মহম্মদ ইয়াকুব। সেখানেই তিনি পাকিস্তানকে হুঁশিয়ারি দেন।

    গত ১৬ তারিখ, কুনার ও খোস্ত প্রদেশে আকাশপথে সামরিক অভিযানে (airstrikes) মহিলা ও শিশু সহ মৃত্যু হয় অন্ততপক্ষে ৩০ জনের। পাকিস্তান ওই হামলা চালিয়েছিল বলে অভিযোগ করে আফগানিস্তানের শাসক তালিবান। এয়ারস্ট্রাইকের পরেই তালিবানের বিদেশ মন্ত্রক পাক রাষ্ট্রদূতকে তলব করেছিল। যদিও, এই ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার কথা নিশ্চিত করেনি ইসলামাবাদ। তারা জানিয়েছে, পাকিস্তান ও আফগানিস্তানের সম্পর্ক “ভ্রাতৃত্বপূর্ণ”। পাকিস্তান বিদেশ মন্ত্রকের তরফে অবশ্য বলা হয়েছে, ‘‌শান্তি বজায় রাখতে আফগানিস্তানের সঙ্গে দীর্ঘস্থায়ী সম্পর্ক তৈরিতে আগ্রহী পাকিস্তান। পাক ও আফগান দুই ভাইয়ের মতো। দুই দেশের সরকার ও বাসিন্দারা সন্ত্রাসবাদকে প্রশ্রয় দেয় না।’‌ 

    যদিও তালিবদের দাবি, পাক সামরিক হেলিকপ্টারই এই এয়ারস্ট্রাইক চালিয়েছে। হামলায় অন্তত ৩৬ জন মারা যান। তার মধ্যে ২০ জন শিশু। তালিবান এই বিষয়টিকে হাল্কাভাবে নিতে নারাজ। হামলার ঘটনা নিয়ে তারা রাষ্ট্রপুঞ্জের দ্বারস্থ হচ্ছে। মোল্লা মহম্মদ ইয়াকুব বলেন, ‘‌বিশ্ব ও প্রতিবেশী দেশগুলি আমাদের জন্য নানা প্রতিবন্ধকতা তৈরি করছে। কুনারের হামলাই তার জ্বলন্ত উদাহরণ। এই ধরণের নাক গলানো আমরা বরদাস্ত করব না।’‌ মন্ত্রীর সাফ কথা, ‘আমরা আগ্রাসন সহ্য করতে পারি না। আমরা সেই হামলা সহ্য করেছি। জাতীয় স্বার্থের কারণে আমরা এটা সহ্য করেছি, পরের বার হয়তো আমরা এটা সহ্য করব না।’

    প্রসঙ্গত, গত অগাস্ট মাসে আফগানিস্তানের শাসনভার তালিবানের হাতে আসা ইস্তক প্রতিবেশী পাকিস্তানের সঙ্গে সীমান্ত সমস্যা লেগেই রয়েছে। ২৬০০ কিমি দীর্ঘ সীমান্ত নিয়ে বারবার সংঘাতে জড়িয়েছে কাবুল ও ইসলামাবাদ। অন্যদিকে, আফগান সীমান্তে লাগাতার জঙ্গি হামলার ঘটনায় একাধিক পাক সেনা প্রাণ হারিয়েছে। এই নিয়ে তালিবানকে বারবার সতর্ক করে ইসলামাবাদ জানিয়েছে, তারা যেন সীমান্তে জঙ্গি কার্যকলাপ বন্ধ করে। কিন্তু তাতে কোনও ফল না হওয়ায়, বিগত কয়েকমাসে আফগান সীমান্তে সামরিক অভিযান বাড়িয়েছে পাকিস্তান।

  • Iran: হিজাব-আইনের বিরোধিতা, জ্বলছে ইরান! পুলিশের গুলিতে নিহত অন্তত ৫০জন প্রতিবাদী

    Iran: হিজাব-আইনের বিরোধিতা, জ্বলছে ইরান! পুলিশের গুলিতে নিহত অন্তত ৫০জন প্রতিবাদী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: হাওয়ায় চুল ওড়ানো অপরাধ। এই পোস্টার নিয়েই ইরানের (Iran) রাজপথে বিক্ষোভে সামিল হয়েছেন হাজার হাজার নাগরিক। হিজাব না পরে রাস্তায় বেরোনোর ‘শাস্তি’ হিসাবে মাশা আমিনি (Mahsa Amini) নামে এক তরুণীকে আটক করে পুলিশ। পুলিশি হেফাজতে তাঁর মৃত্যু হয়। তারপর থেকে দেশ জুড়ে শুরু হয় প্রতিবাদ বিক্ষোভ। বিক্ষোভের আঁচ ক্রমশ বাড়ছে। ইরানের পশ্চিম প্রান্ত থেকে শুরু হয়ে এখন ধীরে ধীরে গোটা দেশে ছড়িয়ে পড়ছে অসন্তোষের আগুন। পরিস্থিতিতে নিয়ন্ত্রণে আনতে পাল্টা দমনপ্রক্রিয়া শুরু করেছে ইরানের নিরাপত্তারক্ষী বাহিনী। এখনও পর্যন্ত মাশার মৃত্যুর প্রতিবাদে পথে নেমে পুলিশের গুলিতে নিহত হয়েছেন অন্তত ৫০ জন। 

    টার্গেট আরএসএস? সংঘের ওপর গুপ্তচরবৃত্তি চালাত পিএফআই! চক্রান্ত ফাঁস

    অসলোর স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা ‘ইরান হিউম্যান রাইটস্‌’-এর পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে, ইরানের ৮০টি শহরে মানবাধিকার এবং মৌলিক অধিকারের দাবিতে রাস্তায় নেমেছেন সাধারণ মানুষ। বিক্ষোভকারীদের রোষের মুখে পড়ে মৃত্যু হয়েছে পাঁচ নিরাপত্তারক্ষীরও। ইতিমধ্যেই সোশ্যাল সাইটে ছড়িয়ে পড়া বিভিন্ন ভিডিওয় দেখা গিয়েছে, ইরানের রাজধানী তেহরানে আগুন জ্বলছে। সন্ধের পরই তেহরানের বিভিন্ন এলাকায় সমবেত হয়ে হাজার হাজার মানুষ বিক্ষোভ দেখাচ্ছেন। সরকার বিরোধী স্লোগানও উঠছে। 

    আরও পড়ুন: হিজাব না পরায় গ্রেফতার, পরে মৃত্যু তরুণীর, প্রতিবাদে উত্তাল ইরান

    ইরানের আইনে হিজাব পরা বাধ্যতামূলক। সেই নির্দেশিকা মেনে যথাযথভাবে হিজাব পরেননি ২২ বছর বয়সী মাশা। তাই তাঁকে অকালে চলে যেতে হল। এর প্রতিবাদে ইরানের হিজাব আইনকেই কাঠগড়ায় তুলেছে স্থানীয় নাগরিকেরা। মহিলা ও পুরুষ সকলেই প্রকাশ্যে আইন ভেঙেছেন। মেয়েরা হিজাব উড়িয়েছেন, চুল কেটেছেন প্রকাশ্য রাস্তায়। দেশের অগ্নিগর্ভ পরিস্থিতি যাতে সামনে না আসে তাই ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ রেখেছে ইরানের সরকার।  এ প্রসঙ্গে ইরানের কাছে বিশেষ আর্জি জানিয়ে রাষ্ট্রসঙ্ঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস সেখানকার সরকারকে স্থানীয়দের বিক্ষোভের (Protest) বিরুদ্ধে ‘অপ্রয়োজনীয় বা অসামঞ্জস্যপূর্ণ শক্তি’ ব্যবহার করা থেকে বিরত থাকার অনুরোধ জানিয়েছেন। পাশাপাশি উত্তেজনা এড়াতে সবাইকে শান্ত থাকার বার্তাও দিয়েছেন গুতেরেস।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Modi in Japan: বাঃ! কোথা থেকে শিখলে?  জাপানি শিশুর হিন্দিতে মুগ্ধ মোদি

    Modi in Japan: বাঃ! কোথা থেকে শিখলে? জাপানি শিশুর হিন্দিতে মুগ্ধ মোদি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অনেকক্ষণ ধরে হোটেলের লবিতে অপেক্ষা করছিলেন একদল খুদে। কারোর হাতে আঁকা ভারতের পতাকা, পাশে দেশনেতার ছবি। কারোর হাতে ভারতের (India) মানচিত্র। অবশেষে নামলেন তিনি। ‘মোদি মোদি’ ধ্বনিতে ভরে উঠল চত্বর। সাদরে সকলকে গ্রহণ করলেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (Modi)। সকলের আগে এগিয়ে গেলেন তাঁর প্রিয় শিশুদের কাছেই। জাপানি বালকের হিন্দি শুনে মুগ্ধ হলেন মোদিও।

    কোয়াড শীর্ষ সম্মেলনে (QUAD Summit) যোগ দিতে সোমবার দু’দিনের সফরে জাপান (Japan) গিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি৷ টোকিওর (Tokyo) হোটেলে পৌঁছতেই ভিড়ের মধ্য থেকে এগিয়ে এসে হঠাতই তাঁর সঙ্গে হিন্দিতে কথা বলতে শুরু করে পঞ্চম শ্রেণির ছাত্র রিতসুকি কোবাশি (Ritsuki Kobayashi)। নিজের আঁকা ছবি ও ভারত-বন্দনা নিয়ে মোদির সামনে হাজির হন রিতসুকি। জাপানের এই শিশুটিকে হিন্দিতে কথা বলতে দেখে প্রধানমন্ত্রীর পাশাপাশি সকলেই হতবাক হয়ে পড়েন। বিস্মিত হয়ে যান প্রধানমন্ত্রীও। পরমুহূর্তেই তাকে জিজ্ঞাসা করেন, “বাঃ!  এত ভালো হিন্দি তুমি কোথা থেকে শিখলে? কিভাবে এত সুন্দর হিন্দিতে কথা বলছ তুমি?” ওই ছাত্রের কথা এবং আঁকা দেখে মুগ্ধ হয়ে তাকে আরও এগিয়ে যাওয়ার জন্য উৎসাহ দেন মোদি। 

    [tw]


    [/tw]

    ভারতের প্রধানমন্ত্রীর অটোগ্রাফ পেয়ে খুশি জাপানি কিশোর রিতসুকিও। তার কথায়, “আমি খুব ভাল হিন্দি বলতে পারি না। তবুও উনি আমার সঙ্গে কথা বলেছেন। আমার লেখাও পড়েছেন। তাই আমি ভীষণ খুশি।” শুধু রিতসুকি নয়, সেই সময় সেখানে উপস্থিত অন্য জাপানি শিশুদের সঙ্গেও কথা বলেন মোদি। 

    [tw]


    [/tw]

    শিশু-সঙ্গ বরাবরই পছন্দ মোদির। সম্প্রতি জার্মান সফরেও ছোটদের সঙ্গে মন খুলে গল্প করতে দেখা যায় প্রধানমন্ত্রীকে। সেখানে একটি ছোট মেয়ের হাতে আঁকা নিজের ছবি দেখে মন ভরে গিয়েছিল মোদির। তার গাল টিপে আদরও করেছিলেন। আরেক খুদের গান শুনে মুগ্ধ হয়েছিলেন। ছোট শিল্পীর দেশাত্মবোধক গানে তুড়ি দিয়ে তাল দিতেও দেখা গিয়েছিল মোদিকে। হাততালি দিয়ে তাকে সাধুবাদ জানিয়েছিলন। ছবিও তুলেছিলেন তার সঙ্গে।

    আরও পড়ুন: ঢোল বাজালেন প্রধানমন্ত্রী, তাল দিলেন গানে, জার্মানিতে হালকা মেজাজে মোদি

  • Kuwait: বিক্ষোভকারীদের ভিসা বাতিলের পথে কুয়েত, ভারতের পাশে থাকার বার্তা? 

    Kuwait: বিক্ষোভকারীদের ভিসা বাতিলের পথে কুয়েত, ভারতের পাশে থাকার বার্তা? 

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পয়গম্বর বিতর্কে (Prophet Controversy) উত্তাল ইসলামিক দেশগুলি। প্রাক্তন বিজেপিনেত্রী নূপুর শর্মার (Nupur Sharma) হজরত মহম্মদকে নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্যের জেরে গোটা বিশ্বের সামনে অস্বস্থিতে পড়তে হয়েছে ভারতকে। ইসলামিক দেশগুলি ক্ষমা চাইতে বলেছিল ভারতকে। মুসলিম দেশগুলি ভারতীয় পণ্যও বয়কট করেছিল। এই প্রতিবাদে সামিল হওয়া অন্যতম দেশ ছিল কুয়েত (Kuwait)। সমস্ত সুপারমার্কেটের তাক থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছিল সমস্ত ভারতীয় পণ্য। কুয়েতজুড়ে বিক্ষোভও হয়েছিল বিস্তর। 

    অবশেষে নিজের অবস্থান থেকে সরে আসছে কুয়েত। ভারত নয়, কুয়েত এবার ব্যবস্থা নিচ্ছে বিক্ষোভকারীদের বিরুদ্ধেই। প্রবাসী বিক্ষোভকারীদের ভিসা বাতিল করার পথে কুয়েত সরকার। এরমধ্যে রয়েছে ভারতীয়, পাকিস্তানিও। এমনকি চিরতরে ওই বিক্ষোভকারীদের ব্ল্যাকলিস্টও করতে পারে কুয়েত সরকার।   

    আরও পড়ুন: নূপুর শর্মা বিতর্কে অশান্তি, ঝাড়খণ্ডে মৃত ২, তপ্ত বাংলা, ভূস্বর্গে জারি কার্ফু

    গত ১০ই জুন কুয়েতে নূপুর শর্মার বিতর্কিত মন্তব্যের প্রতিবাদে ৪০-৫০ জন মুসলিম প্রবাসী একটি বিক্ষোভ সমাবেশে যোগ দেয়। এই বিক্ষোভ চলাকালীন প্রাক্তন বিজেপি নেত্রীর বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দেওয়ার পাশাপাশি পয়গম্বর মহম্মদের সমর্থনে স্লোগান পর্যন্ত দেয় তারা। এরপর তাদের সকলকে গ্রেফতার করা হয়।   

    কুয়েত সরকারের আইন অনুযায়ী দেশের মধ্যে প্রবাসীদের বিক্ষোভ কিংবা আন্দোলন করাকে অপরাধ হিসেবে দেখা হয় এবং সেই কারণেই  বিক্ষোভকারীদের সকলকে গ্রেফতার করা হয়। গত শুক্রবার ভারতসহ বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তের মুসলিমরা পয়গম্বর ইস্যুতে নূপুর শর্মার বক্তব্যের প্রতিবাদ জানানোর জন্য কুয়েতের পাহাহিল এলাকায় বিক্ষোভ সমাবেশ আয়োজন করে। সেখানে বিক্ষোভ সমাবেশের অনুমতি না থাকায় শেষ পর্যন্ত গ্রেফতার করা হয় আন্দোলকারীদের।   

    আরও পড়ুন: “সন্ত্রাসবাদীদের কাছে মাথা নত নয়, নূপুরের পাশে দাঁড়ান”, পরামর্শ ডাচ নেতার

    সূত্রের খবর, বর্তমানে বিক্ষোভকারীদের গ্রেফতার করার পাশাপাশি তাদের ভিসাও বাতিল করতে চলেছে সরকার এবং তাদের নির্বাসন কেন্দ্রে পর্যন্ত পাঠানো হতে চলেছে। এমনকি, বিক্ষোভকারীদের আজীবন নির্বাসিত করতে পারে কুয়েত।     

    কুয়েতের সঙ্গে বরাবরই সুসম্পর্ক বজায় রেখেছে ভারত। বিশেষত কুয়েতের রাজ পরিবারের সঙ্গে ভারতের সম্পর্ক অত্যন্ত ভালো। গত বছর  বিজেপি সরকারের বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর কুয়েতে গিয়ে সেখানকার নেতৃত্বের সঙ্গে দেখা করেন, নরেন্দ্র মোদির বার্তা দেন এবং দুই দেশের বাণিজ্যিক সম্পর্ক আরও কী করে ভালো করা যায় সে বিষয়ে কথা বলেন। কোভিডের সময়ও ভারতকে প্রচুর অক্সিজেনের যোগান দিয়েছে কুয়েত। অনেক ভারতীয় কুয়েতে পরিচারকের কাজ নিয়ে যান। তাদের আইনি সুরক্ষা প্রদানের জন্যে একটি মৌ সাক্ষর করে কুয়েত সরকার।  

    তাই সাময়িকভাবে নিন্দা করলেও ভারতের বিরুদ্ধাচরণ যে করবে না কুয়েতের সরকার বিক্ষোভকারীদের ভিসা বাতিল করায় তা আরও একবার স্পষ্ট হল। 

     

LinkedIn
Share