Category: বিদেশ

Get updates on World News Headlines International News from the Madhyom news portal madhyom.com, West Bengal leading news portal Madhyom.com

  • Baloch Human Rights Protests: বালোচ বিদ্রোহ পাকিস্তানের তৈরি! মানবাধিকার কর্মীদের মুক্তির দাবিতে উত্তাল করাচি

    Baloch Human Rights Protests: বালোচ বিদ্রোহ পাকিস্তানের তৈরি! মানবাধিকার কর্মীদের মুক্তির দাবিতে উত্তাল করাচি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বালোচিস্তানের মানবাধিকার কর্মী (Baloch Human Rights Protest) মেহরান বালোচকে মুক্তির দাবিতে উত্তাল করাচি। বালোচিস্তানে (Balochistan) মানবাধিকার লঙ্ঘনের মাত্রা ভয়াবহ রূপ নিয়েছে। কোয়েটায় বালোচ ইয়াকজেহতির (BYC) কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য বিবার্গ জেহরি, তার ভাই হাম্মাল জেহরি, ডাঃ ইলিয়াস, মানবাধিকার কর্মী সাঈদা বালোচসহ বেশ কয়েকজন বেলুচ কর্মীর বলপূর্বক অন্তর্ধানের প্রতিবাদে বিক্ষোভ শুরু হয়েছে। অভিযোগ, বালোচ নেতাদের মুক্তির দাবিতে আন্দোলনরত সাধারণ মানুষ ও রাজনৈতিক কর্মীদের বিরুদ্ধে পাকিস্তানি সেনাবাহিনী (Pakistan Army) কঠোর পদক্ষেপ করছে। বালোচ ন্যাশনাল মুভমেন্ট (BNM) এবং বালোচ স্টুডেন্ট অর্গানাইজেশন আজাদ (BSO-A)-এর কর্মীদের নিশানা করে ব্যাপক ধরপাকড় শুরু করেছে। পাক সেনাবাহিনীর দমন অভিযানে নারী ও শিশুরাও আক্রান্ত।

    বালোচ আন্দোলনের প্রেক্ষাপট, জিন্নার বিশ্বাসঘাতকতা

    ১৯৪৭ সালে পাকিস্তানের জন্মলগ্নে বালোচিস্তানকে একটি স্বাধীন রাষ্ট্রের স্বীকৃতি দিয়েছিলেন মহম্মদ আলি জিন্না। ওই সময়ে বালোচিস্তান মোট চারটি এলাকায় বিভক্ত। কালাত ছাড়া বাকি তিনটি জায়গা হল খারান, লাসবেলা এবং মাকরান। এগুলিও আর পাঁচটা দেশীয় রাজ্যের মতোই ছিল। ভারত ভাগ হওয়ার পর ২২৭ দিন পর্যন্ত একটি স্বাধীন ও সার্বভৌম রাষ্ট্র ছিল স্টেট অব কালাত বা বালোচিস্তান। কিন্তু ব্রিটিশদের চলে যাওয়ার পর শুরু হয় বিশ্বাসঘাতকতা! ১৯৪৮ সালের মার্চের মধ্যে সুচতুর জিন্না এক এক করে খারান, লাসবেলা এবং মাকরানকে পাকিস্তানের সঙ্গে জুড়ে নেন। কালাত তখনও স্বাধীনতার ধ্বজা টিকিয়ে রেখেছে। ১৯৪৮ সালের ২৮ মার্চ মেজর জেনারেল আকবর খানের নেতৃত্বে ওই এলাকায় হামলা চালায় পাক সেনা। কালাতের শেষ শাসককে বন্দি করে করাচি নিয়ে যায় তারা। করাচিতে পাকিস্তানের সঙ্গে কালাতের (ইনস্ট্রুমেন্ট অব অ্যাকসেশন) সংযুক্তির চুক্তিতে সই করতে বাধ্য করা হয় বালোচদের। ফলে বালোচিস্তান পাকিস্তানের অংশ হয়ে যায়। আর তার প্রতিবাদেই শুরু হয় প্রথম বালোচ বিদ্রোহ (১৯৪৮-১৯৫০)। এই বিদ্রোহের নেতা ছিলেন প্রিন্স আবদুল করিম। তিনি দোস্ত-ই-ঝালাওয়ান নামে বাহিনী নিয়ে পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে অস্ত্র ধরেন। শুরু হয় বালোচিস্তানের স্বাধীনতার লড়াই।

    বালোচদের সাম্প্রতিক লড়াই

    বালোচিস্তানের মানবাধিকার কর্মীদের (Baloch Human Rights Protest) অভিযোগ, পাকিস্তান সরকার প্রথম থেকেই বালোচ জনগণের ন্যায্য দাবিকে সহিংস দমন-পীড়নের মাধ্যমে দমিয়ে রাখছে। সম্প্রতি পাক সেনার হামলায় পরিস্থিতি ভয়াবহ আকার নিয়েছে। লাঠিচার্জ, টিয়ার গ্যাস নিক্ষেপ এবং নির্বিচারে গণগ্রেফতারের মাধ্যমে আন্দোলন থামানোর চেষ্টা করা হচ্ছে। পরিস্থিতি আরও মারাত্মক হয়ে ওঠে, যখন সরিয়াবে পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর গুলিতে তিনজন বালোচ বিক্ষোভকারী নিহত হন এবং বহু আহত হন। এছাড়া, ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ করে দেওয়া হয়, যাতে বিক্ষোভের খবর আন্তর্জাতিক মহলে না পৌঁছায়। শুধু বিক্ষোভকারীরাই নয়, পাকিস্তানি সেনাবাহিনী সাধারণ বালোচ জনগণের ওপরও ভয়াবহ নির্যাতন চালাচ্ছে।

    আন্তর্জাতিক মহলে চর্চা

    যতই পাক সরকার আন্দোলন দমন করার চেষ্টা করুক, বালোচিস্তানে চলমান মানবাধিকার লঙ্ঘন আন্তর্জাতিক মহলের নজর এড়ায়নি। জাতিসংঘ মানবাধিকার কাউন্সিলের (UNHRC) ৫৮তম অধিবেশনে বালোচিস্তানের এই পরিস্থিতি গুরুতরভাবে উত্থাপিত হয়েছে। বালোচ জাতীয় আন্দোলনের নেতা নিয়াজ বালোচ বলেছেন, “বলপূর্বক অন্তর্ধান এখন বালোচিস্তানে নিপীড়নের একটি পদ্ধতিগত অস্ত্র হয়ে উঠেছে।” তিনি অভিযোগ করেন যে বিবার্গ জেহরি, হাম্মাল জেহরি এবং আরও বহু বালোচ কর্মীকে পরিকল্পিতভাবে গুম করা হয়েছে। পাশাপাশি, নিরাপত্তা বাহিনীর বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড বালোচিস্তানের সংকটকে আরও ঘনীভূত করছে। নিয়াজ বালোচ আরও বলেন, পাকিস্তানি সেনাবাহিনী সরকার-সমর্থিত গোষ্ঠীগুলোর মাধ্যমে বালোচ জনগণের ওপর দমননীতি চালিয়ে যাচ্ছে, যার ফলে বহু পরিবার সম্মিলিত শাস্তির শিকার হচ্ছে।

    বালোচরা শুধু প্রাকৃতিক সম্পদের উৎস

    পাকিস্তানের কাছে বালোচরা শুধু প্রাকৃতিক সম্পদের উৎস। বালোচিস্তানের খনিজ সম্পদ, গ্যাস, খনিগুলি লুট করা শুরু হল। অথচ, বালোচদের উন্নয়নে কিছুই করা হল না। রাজস্বের ভাগও তারা পেল না। বিনিয়োগও এল না। পাকিস্তানের অধীন এসে বালোচরা টের পেল, তাদের শুধু লুট-ই করা হচ্ছে! পরিসংখ্যান বলছে, এখানকার ৭০ শতাংশ বাসিন্দা এখনও দারিদ্র্যসীমার নীচে। আর ১৫ শতাংশ বালোচ ভোগেন হেপাটাইটিস বি এবং সি-তে। বালোচিস্তানের প্রায় ১৮ লাখ শিশু স্কুলে পড়ার সুযোগই পায় না। সেখানকার পাঁচ হাজার বিদ্যালয়ে রয়েছে মাত্র একটি করে ক্লাসরুম। পাকিস্তানের শিশুমৃত্যুর হার যেখানে প্রতি এক লক্ষে ২৭৮, সেখানে বালোচিস্তানে তা ৭৮৫। মৃত্যুহারের এই পার্থক্যের পিছনে রয়েছে অত্যন্ত নিম্নমানের স্বাস্থ্য পরিষেবা। এসব পরিসংখ্যানে ইসলামাবাদের কোনও যায় আসে না।

    বালোচ বিদ্রোহ পাকিস্তানের তৈরি

    পাকিস্তান দীর্ঘদিন ধরে বলে আসছে, বালোচ বিদ্রোহ আসলে বাইরের শক্তির ষড়যন্ত্র। একসময় এই ‘বাইরের শক্তি’ বলতে তারা ভারতকে বোঝাত। এখন তারা আফগানিস্তানকেও সেই তালিকায় ঢুকিয়েছে। কিন্তু আসলে বালোচদের বিদ্রোহ পাকিস্তানের হাতেই তৈরি। সেই ১৯৪৮ সাল থেকে। বালোচদের প্রতি ইসলামাবাদের বছরের পর বছর ধরে অবহেলা, দমননীতি আর নিপীড়নের ফল— বালোচ লিবারেশন আর্মির সশস্ত্র বিদ্রোহ! পাকিস্তানের ভুল নীতির কারণে যেসব সমস্যা তৈরি হয়েছে, তার জন্য কখনও নিজেদের দায় স্বীকার করেনি ইসলামাবাদ। তার উপর রয়েছে ‘চিন পাকিস্তান অর্থনৈতিক করিডোর’-এর (সিপিইসি) প্রকল্প ঘিরে বালোচিস্তানের প্রতি দীর্ঘ বঞ্চনা।

  • Harvard: ট্রাম্প সরকারের নির্দেশ অমান্য, হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের অনুদান বন্ধ করল মার্কিন প্রশাসন

    Harvard: ট্রাম্প সরকারের নির্দেশ অমান্য, হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের অনুদান বন্ধ করল মার্কিন প্রশাসন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: হাভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের (Harvard University) ২ বিলিয়ন মার্কিন ডলার ‘ফ্রিজ’ করল ডোনাল্ড ট্রাম্পের সরকার (Trump Govt)। সোমবার রাতেই এই নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। ফেডেরাল ফান্ডিং পাওয়ার জন্য হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়কে একাধিক শর্ত দিয়েছিল ট্রাম্পের প্রশাসন। ওই বিশ্ববিদ্যালয়ের নীতিতে এক গুচ্ছ পরিবর্তন আনার জন্যও বলা হয়েছিল। কিন্তু সেই শর্ত মানতে রাজি নয় হাভার্ড। সোমবার নিজেদের অবস্থানের কথা জানিয়ে দিয়েছে আমেরিকার অন্যতম অভিজাত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়। তারপরই তাদের অনুদান বন্ধের সিদ্ধান্ত নেয় মার্কিন প্রশাসন।

    ২২০ কোটি ডলারের সহায়তা বন্ধ

    সংবাদ সংস্থা সূত্রে খবর, হার্ভার্ডকে ২২০ কোটি ডলারের সহায়তা বন্ধ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে মার্কিন প্রশাসন। ওই ২২০ কোটি ডলারের সাহায্য বন্ধের পাশাপাশি বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে ৬ কোটি ডলারের একটি চুক্তিও স্থগিত রাখা হয়েছে। জানা গিয়েছে, ওই বিশ্ববিদ্যালয় (Harvard University) ক্যাম্পাসে ইহুদি-বিদ্বেষ মোকাবিলা করার লক্ষ্যে ১০টি দাবির কথা জানিয়েছে ট্রাম্পের প্রশাসন। এই দাবির মধ্যে রয়েছে আমেরিকান মূল্যবোধ এবং প্রতিষ্ঠানের প্রতি শত্রুতাপূর্ণ যে কোনও আন্তর্জাতিক পড়ুয়ার গ্রহণযোগ্যতা সীমিত করা। হোয়াইট হাউজের পক্ষ থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের গভর্নেন্স, নিয়োগ প্রক্রিয়া এবং ভর্তি নীতিতে বড় ধরনের পরিবর্তন আনার দাবি জানানো হয়।

    কেন এই সিদ্ধান্ত

    পশ্চিম এশিয়ায় হামাস-ইজরায়েল যুদ্ধের আবহে আমেরিকার বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে প্যালেস্টাইনের সমর্থনে বিক্ষোভ দেখানো হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়গুলিতে ইহুদি-বিদ্বেষের পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে বলে অভিযোগ মার্কিন প্রশাসনের। একই সঙ্গে এই পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষেরা সঠিক পদক্ষেপ করছেন না বলেও অভিযোগ। বিশ্ববিদ্যালয়গুলির ক্যাম্পাসে ইহুদি-বিদ্বেষ বন্ধ করার জন্য কী কী করণীয়, সে বিষয়ে কিছু শর্তাবলিও জানিয়ে দেওয়া হয়েছিল সরকারের তরফে। বলা হয়েছিল, সেগুলি না-মানলে ‘শাস্তিস্বরূপ’ বিশ্ববিদ্যালয়কে আর্থিক সাহায্য দেওয়া বন্ধ করা হবে। এরই মধ্যে সোমবার বিকেলে (স্থানীয় সময় অনুসারে) প্রথম মার্কিন বিশ্ববিদ্যালয় হিসাবে আমেরিকার সরকারের এই সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করে হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়। তার কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই সন্ধ্যায় ট্রাম্প প্রশাসন হার্ভার্ডকে আর্থিক সাহায্য দেওয়া বন্ধের সিদ্ধান্ত ঘোষণা করে।

    হাভার্ডের বিরোধিতা

    ট্রাম্প প্রশাসনের নয়া শর্তাবলির কড়া ভাষায় বিরোধিতা করেছেন হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের (Harvard University) প্রেসিডেন্ট অ্যালেন এম গার্বার। তাঁর বক্তব্য, ওই শর্তগুলি মানলে শিক্ষাব্যবস্থা এবং শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের স্বাধীনতার সঙ্গে আপস করা হবে। ওই শর্তগুলি সাংবিধানিক অধিকারের সঙ্গেও সামঞ্জস্যপূর্ণ নয় বলে মনে করছেন অ্যালেন। তিনি লিখেছেন, “বিশ্ববিদ্যালয় নিজের স্বাধীনতাকে সঁপে দেবে না বা নিজের সাংবিধানিক অধিকারকেও ত্যাগ করবে না।” ওই বিশ্ববিদ্যালয়ের তরফে জানানো হয়েছে, হার্ভার্ড বা অন্য কোনও বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়কে নিজেদের দখলে নিতে পারবে না ফেডারেল সরকার । সেই অনুযায়ী, হার্ভার্ড নীতিগতভাবে সরকারের শর্তাবলীকে চুক্তি হিসেবে গ্রহণ করবে না।

    আমেরিকার শিক্ষা বিভাগের অভিযোগ

    ট্রাম্পের প্রশাসন হার্ভার্ডকে সর্বশেষ যে শর্তাবলি পাঠিয়েছিল, তাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়া এবং অধ্যাপকদের দৃষ্টিভঙ্গির বিষয়ে তথ্যসংগ্রহ করতে বলা হয়েছিল। একটি নির্দিষ্ট মতাদর্শে বিশ্বাসীদের প্রভাব যাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপর থেকে কমে, সে বিষয়েও পদক্ষেপ করতে বলা হয়। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের শিক্ষা বিভাগের তরফে দেওয়া একটি বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, সেখানকার সবচেয়ে মর্যাদাপূর্ণ বিশ্ববিদ্যালয় এবং কলেজগুলিতে একটি উদ্বেগজনক অধিকারের মানসিকতাকে ডেকে আনা হয়েছে। তারা বলেছে, “হার্ভার্ডের বিবৃতি আমাদের দেশের নামকরা বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর এক আত্মঅহংকারপূর্ণ মনোভাবের পরিচয় দেয়—যেখানে মনে করা হয়, ফেডারেল অর্থায়ন মানে দায়িত্বহীন স্বাধীনতা। ক্যাম্পাসে শিক্ষা কার্যক্রমে বিঘ্ন, ইহুদি ছাত্রদের হয়রানি — এগুলো সহ্য করা হবে না।” গত বছর গাজার যুদ্ধের বিরুদ্ধে হওয়া বিক্ষোভে যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন ক্যাম্পাসে ব্যাপক উত্তেজনা দেখা দেয়। কিছু জায়গায় পুলিশ ও ইসরায়েল সমর্থকদের সাথে সংঘর্ষও ঘটে। ট্রাম্পসহ অনেক রিপাবলিকান এই আন্দোলনকারীদের হামাসের সমর্থক বলে অভিযুক্ত করেন। (হামাস হচ্ছে একটি মার্কিন সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে চিহ্নিত গ্রুপ, যারা ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে প্রাণঘাতী হামলা চালায়।) মার্চে শিক্ষা বিভাগ ঘোষণা করে যে, ৬০টিরও বেশি কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের বিরুদ্ধে ইহুদি-বিরোধী হয়রানির অভিযোগে তদন্ত শুরু করা হয়েছে।

    ‘উগ্র ইহুদি বিদ্বেষ’

    গারবার বলেন, “আমরা নতুন তথ্য ও ভিন্ন মতামতের জন্য উন্মুক্ত, তবে এমন কোনো দাবিকে মেনে নেব না যা এই প্রশাসনের বা কোনো প্রশাসনের আইনগত ক্ষমতার বাইরে যায়। কোনো সরকার—যে দলই ক্ষমতায় থাকুক না কেন—বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়কে নির্দেশ দিতে পারে না তারা কী পড়াবে, কাকে ভর্তি বা নিয়োগ দেবে, কিংবা কোন বিষয় নিয়ে গবেষণা করবে।” এরপরই শীর্ষ রিপাবলিকান কংগ্রেসওম্যান এলিস স্টেফানিক, যিনি গত বছর বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর ইহুদি বিদ্বেষ নিয়ে কড়া প্রশ্ন তোলায় ট্রাম্পের প্রশংসা পান, হার্ভার্ডের অর্থায়ন পুরোপুরি বন্ধের দাবি জানান। তিনি বলেন, “এই প্রতিষ্ঠান উচ্চশিক্ষার নৈতিক ও একাডেমিক পচনের প্রতীক। হার্ভার্ডে ‘উগ্র ইহুদি বিদ্বেষ’ সহ্য করা হচ্ছে।” এই পরিস্থিতিতে হার্ভার্ডের অবস্থান ছিল একেবারেই ভিন্ন, যেখানে কলম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের সাথে সমঝোতার পথে হাঁটে। ট্রাম্প প্রশাসন নিউ ইয়র্কের বেসরকারি এই বিশ্ববিদ্যালয়টির $৪০০ মিলিয়ন অনুদান কেটে দেয়, অভিযোগ তোলে যে তারা ইহুদি ছাত্রদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে ব্যর্থ হয়েছে। পরবর্তীতে কলম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয় শৃঙ্খলা নীতি সংস্কার করে এবং ৩৬ জন নিরাপত্তা অফিসার নিয়োগ করে।

     

     

     

  • Top 10 Busiest Airports: ২০২৪ সালে বিশ্বের ১০ ব্যস্ততম বিমানবন্দরের তালিকা প্রকাশ করল ফোর্বস

    Top 10 Busiest Airports: ২০২৪ সালে বিশ্বের ১০ ব্যস্ততম বিমানবন্দরের তালিকা প্রকাশ করল ফোর্বস

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ২০২৪ সালে বিশ্বের ব্যস্ততম ১০ বিমানবন্দরের (Top 10 Busiest Airports) তালিকা প্রকাশ করল ফোর্বস পত্রিকা। প্রথম স্থানে রয়েছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের হার্টসফিল্ড-জ্যাকসন আটলান্টা আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর। অন্যদিকে প্রথম দশে ভারতের একমাত্র বিমান বন্দর হিসেবে স্থান পেয়েছে দিল্লির ইন্দিরা গান্ধী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর। এবার আমরা দেখে নেব ফোর্বসের সেই তালিকা (Airports)। ২০২৪ সালে প্রথম দশে থাকা এই বিমান বন্দরগুলি দিয়ে কত মানুষ যাতায়াত করেছেন।

    বিশ্বের ১০ ব্যস্ততম বিমানবন্দর (Top 10 Busiest Airports)

    ১. হার্টসফিল্ড-জ্যাকসন আটলান্টা আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর (মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র), ২০২৪ সালে বিমানযাত্রীর সংখ্যা ১০৮০,০৬৭,৭৬৬ জন।

    ২. দুবাই আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর (সংযুক্ত আরব আমিরশাহি), ২০২৪ সালে বিমানযাত্রীর সংখ্যা ৯২,৩০০,০০০ জন।

    ৩. ডালাস ফোর্ট ওয়ার্থ আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর (মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র), ২০২৪ সালে বিমানযাত্রীর সংখ্যা ৮৭,৮১৭,৮৬৪ জন।

    ৪. টোকিও হানেদা বিমানবন্দর (জাপান), ২০২৪ সালে বিমানযাত্রীর সংখ্যা ৮৫,০০০,০০০ জন।

    ৫. হিথ্রো বিমানবন্দর (ব্রিটেন), ২০২৪ সালে বিমানযাত্রীর সংখ্যা ৮৩,৮৬০,০০০জন।

    ৬. ডেনভার আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর (মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র), ২০২৪ সালে বিমানযাত্রীর সংখ্যা ৮২,৩৫৮,৭৪৪ জন।

    ৭. ও’হেয়ার আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর (মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র), ২০২৪ সালে বিমানযাত্রীর সংখ্যা ৮০,০০০,০০০ জন।

    ৮. ইস্তাম্বুল বিমানবন্দর (তুর্কি), ২০২৪ সালে বিমানযাত্রীর সংখ্যা ৭৯,৯৮৮,২৭২ জন।

    ৯. ইন্দিরা গান্ধী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর (ভারত), ২০২৪ সালে বিমানযাত্রীর সংখ্যা ৭৭,৮২০,৮৩৪ জন।

    ১০, সাংহাই পুডং আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর (চিন), ২০২৪ সালে বিমানযাত্রীর সংখ্যা ৭৬,৭৮৭,০৩৯ জন।

    প্রথম দশে থাকা কোন বিমানবন্দর (Top 10 Busiest Airports) কত সালে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল

    ১. হার্টসফিল্ড-জ্যাকসন আটলান্টা আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর

    প্রতিষ্ঠিত হয় ১৫ সেপ্টেম্বর, ১৯২৬

    অবস্থান: জর্জিয়া, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র

    ২. দুবাই আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর

    প্রতিষ্ঠিত হয় ৩০ সেপ্টেম্বর, ১৯৬০

    অবস্থান: দুবাই

    ৩. ডালাস/ফোর্ট ওয়ার্থ আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর

    প্রতিষ্ঠিত হয় ২৩ সেপ্টেম্বর, ১৯৭৩

    অবস্থান: ডালাস, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র

    ৪. টোকিও হানেদা বিমানবন্দর (Top 10 Busiest Airports)

    প্রতিষ্ঠিত হয় ১৫ অগাস্ট, ১৯৩১

    অবস্থান: হানেদাকুকো, ওটা সিটি, টোকিও, জাপান

    ৫. হিথ্রো বিমানবন্দর

    প্রতিষ্ঠিত হয় ২৫ মার্চ, ১৯৪৬

    অবস্থান: হাউন্সলো, যুক্তরাজ্য

    ৬. ডেনভার আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর

    প্রতিষ্ঠিত হয় ২৮ ফেব্রুয়ারি, ১৯৯৫

    অবস্থান: ডেনভার, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র

    ৭. ও’হেয়ার আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর

    প্রতিষ্ঠিত হয় ফেব্রুয়ারী ১৯৪৪

    অবস্থান: ও’হেয়ার, শিকাগো, ইলিনয়, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র

    ৮. ইস্তাম্বুল বিমানবন্দর

    প্রতিষ্ঠিত হয় ২৯ অক্টোবর, ২০১৮

    স্থান: তাইকাদিন, তুর্কি

    ৯. ইন্দিরা গান্ধী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর

    প্রতিষ্ঠিত হয় ১৯৩০ সালে

    অবস্থান: নয়া দিল্লি, ভারত

    ১০. সাংহাই পুডং আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর

    প্রতিষ্ঠিত হয় ১ অক্টোবর, ১৯৯৯

    অবস্থান: সাংহাই, চিন

  • Mehul Choksi: পিএনবি কেলেঙ্কারিতে ১৩,৫০০ কোটির প্রতারণা! ভারতের অনুরোধে বেলজিয়ামে গ্রেফতার মেহুল চোকসি

    Mehul Choksi: পিএনবি কেলেঙ্কারিতে ১৩,৫০০ কোটির প্রতারণা! ভারতের অনুরোধে বেলজিয়ামে গ্রেফতার মেহুল চোকসি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারতের তরফে অনুরোধের পরেই পলাতক হিরে ব্যবসায়ী মেহুল চোকসিকে (Mehul Choksi) গ্রেফতার করল বেলজিয়াম। পঞ্জাব ন্যাশনাল ব্যাঙ্কের (PNB Loan Fraud Case) আর্থিক তছরুপ মামলায় অভিযুক্ত মেহুল। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সিবিআই সোমবার সকালে জানিয়েছে যে, ৬৫ বছর বয়সি চোকসিকে গত শনিবার বেলজিয়াম পুলিশ গ্রেফতার করে। বর্তমানে তিনি সেখানকার এক জেলে বন্দি রয়েছেন। জানা গিয়েছে, গ্রেফতারের সময় বেলজিয়াম পুলিশ মুম্বইয়ের এক আদালত থেকে জারি করা দুটি ‘ওপেন-এন্ডেড’ গ্রেফতারি পরোয়ানার উল্লেখ করে। এই পরোয়ানাগুলি জারি হয়েছিল যথাক্রমে ২৩ মে ২০১৮ এবং ১৫ জুন ২০২১ তারিখে।

    ভারতের উদ্যোগেই গ্রেফতার 

    ভারত সরকারের তরফে পলাতক অপরাধী হিসেবে ঘোষিত চোকসিকে (Mehul Choksi)  দেশে ফেরাতে উদ্যোগী হয় কেন্দ্র। বেলজিয়াম সরকারকে এনিয়ে আবেদনও জানানো হয় ভারতের তরফে। সেই আবেদনে সাড়া দিয়ে অবশেষে মেহুল চোকসিকে গ্রেফতার করল পুলিশ। চোকসির বিরুদ্ধে জামিন অযোগ্য পরোয়ানা জারি করেছিল মুম্বইয়ের আদালত। তাঁকে দেশে ফেরাতে সরকারকে আবেদন জানিয়েছিল সিবিআই ও ইডি। চোকসির গ্রেফতারি প্রসঙ্গে বেলজিয়াম সরকারের পররাষ্ট্র বিষয়ক দফতরের মুখপাত্র তথা সোশ্যাল মিডিয়া সার্ভিসের প্রধান ডেভিড জর্ডনস জানান, চোকসির গ্রেফতারি ও তাঁর অপরাধ সংক্রান্ত মামলা বাড়তি গুরুত্ব দিয়ে দেখা হচ্ছে। সরকার গোটা অপরাধ সম্পর্কে অবগত রয়েছে।

    পলাতক চোকসি কীভাবে বেলজিয়ামে

    ২০১৮ সালের জানুয়ারি মাসে পিএনবি কেলেঙ্কারিতে নাম জড়ানোর পর ভারত ছেড়ে পালিয়ে যান চোকসি (Mehul Choksi) । থাকতে শুরু করেন অ্যান্টিগা ও বারবুডায়। সেখানকার নাগরিকত্বও জোগাড় করে ফেলেন। ২০২১ সালে সেখান থেকে রহস্যজনক ভাবে উধাও হয়ে গিয়েছিলেন তিনি। অনেকে মনে করেছিলেন, ভারত সরকার তাঁকে অপহরণ করেছে। কিন্তু পরে তাঁকে ডমিনিকায় পাওয়া যায়। এর পর বেলজিয়ান স্ত্রীর সাহায্যে ২০২৩ সালের ১৫ নভেম্বর থেকে ‘এফ রেসিডেন্সি কার্ড’ জোগাড় করে বেলজিয়ামে থাকতে শুরু করেন মেহুল। এই কার্ডের মাধ্যমে অন্য কোনও দেশের নাগরিক বৈবাহিক সঙ্গীর সঙ্গে কিছু শর্তসাপেক্ষে বেলজিয়ামে থাকতে পারেন। তবে মেহুল চোকসি এখনও অ্যান্টিগা ও বারবুডার নাগরিক।

    জামিনের আর্জি জানাবেন চোকসি

    আপাতত বেলজিয়ামের জেলে রয়েছেন চোকসি। তবে খুব তাড়াতাড়ি জামিনের আর্জি জানিয়ে আদালতের দ্বারস্থ হবেন মেহুল, এমনটাই অনুমান করা যাচ্ছে। ৬৫ বছর বয়সি মেহুলের একাধিক শারীরিক সমস্যা রয়েছে। তার ভিত্তিতেই জামিন চাইতে পারেন তিনি। ২০২৪ সালের ডিসেম্বর মাসেই কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন সংসদে জানিয়েছিলেন, মেহুল চোকসির ২২ হাজার ২৮০ কোটি টাকার সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে এবং তা বিক্রির প্রস্তুতি চলছে প্রতারণার টাকা মেটানোর জন্য। জের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ ‘রাজনৈতিক ষড়যন্ত্র’ বলে এড়িয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেছিলেন মেহুল চোকসি।

    মেহুলের বিরুদ্ধে অভিযোগ

    মেহুল চোকসি (Mehul Choksi)  ও নীরব মোদি পঞ্জাব ন্যাশনাল ব্যাঙ্কে ১৩ হাজার ৫০০ কোটি টাকার প্রতারণা (PNB Loan Fraud Case) করেছিলেন। মুম্বইয়ের ব্রাডি হাউস ব্রাঞ্চ থেকে ভুয়ো লেটার অব আন্ডারটেকিং ও ফরেন লেটার অব ক্রেডিট দেখিয়ে এই বিপুল অর্থ ঋণ নিয়েছিলেন। ২০১৮ সালের জানুয়ারি মাসে চোকসি ও নীরব মোদি দেশ ছেড়ে পালিয়ে যান। এর কয়েক সপ্তাহ পরে প্রকাশ্য়ে আসে দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম ব্যাঙ্কের এই বিপুল আর্থিক প্রতারণা। ততক্ষণে দুজনেই নাগালের বাইরে চলে গিয়েছেন। গত মাসেই বেলজিয়ামের বিদেশ মন্ত্রক জানিয়েছিল, মেহুল চোকসি গা ঢাকা দিয়ে রয়েছেন। তাঁর স্ত্রী প্রীতি চোকসি বেলজিয়ামের নাগরিক। সেই সূত্র ধরেই বেলজিয়ামে নাগরিকত্ব পাওয়ার চেষ্টা করছিলেন চোকসি। বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে বিবেচনা করে সেদিকে নজর রাখা হচ্ছে বলেও জানায় বেলজিয়াম সরকার। শোনা যায়, চোকসির প্রত্যর্পণের জন্য বেলজিয়াম সরকারের কাছে অনুরোধও জানাবে ভারত।

    ভারতে প্রত্যর্পনের প্রয়াস

    পঞ্জাব ন্যাশনাল ব্যাঙ্কে ১৩ হাজার ৫০০ কোটি টাকার ঋণ প্রতারণার মামলায় অভিযুক্ত হিরে ব্যবসায়ী মেহুল চোকসি। দীর্ঘদিন ধরেই গা ঢাকা দিয়েছিলেন। এই প্রতারণায় তাঁর ভাইপো নীরব মোদিও অভিযুক্ত। বর্তমানে লন্ডনে রয়েছেন নীরব। তাঁকেও ভারতে প্রত্যর্পণের জন্য আবেদন করেছে সরকার। শীঘ্রই ভারতে প্রত্যর্পণ করা হতে পারে চোকসিকেও। সিবিআই ও ইডি- দুই তদন্তকারী সংস্থার ওয়ান্টেড লিস্টে ছিলেন মেহুল চোকসি। গত মাসেই জানা গিয়েছিল, চোকসিকে ভারতে ফেরানোর প্রক্রিয়া শুরু করেছে নয়াদিল্লি। বেলজিয়াম সরকারের সঙ্গে সে বিষয়ে আলোচনা শুরু হয়েছে। তাঁর ভাগ্নে নীরব মোদিও পিএনবি-কাণ্ডে অন্যতম অভিযুক্ত। তাঁকে ভারতে ফেরানোর জন্য ব্রিটেন সরকারের সঙ্গে আইনি কথাবার্তা চলছে। উল্লেখ্য, গত সপ্তাহেই ২৬/১১ হামলার মূল চক্রী তাহাউর রানার প্রত্যর্পণ সম্পন্ন করেছে ভারত। এবার কি দেশে ফেরানো যাবে ঋণখেলাপি মেহুল চোকসিকেও?

  • Bangladesh: ট্রান্স শিপমেন্ট সুবিধা বাতিল করেছে দিল্লি, ক্ষতির মুখে বাংলাদেশের পোশাক শিল্প

    Bangladesh: ট্রান্স শিপমেন্ট সুবিধা বাতিল করেছে দিল্লি, ক্ষতির মুখে বাংলাদেশের পোশাক শিল্প

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বাংলাদেশের (Bangladesh) সঙ্গে ভারতের কূটনৈতিক টানাপোড়েন চলছেই। সম্প্রতি ব্যাঙ্ককে পাক-ঘনিষ্ঠতা সমেত ইউনূসদের দেশে ভারত বিরোধী কার্যকলাপ নিয়ে ঢাকাকে কড়া হুঁশিয়ারি দিয়েছে দিল্লি। এই আবহে মোদি সরকার, সে দেশের ট্রান্স শিপমেন্ট সুবিধাকে বাতিল করেছে। এর ফলে ব্যাপক ক্ষতির মুখে পড়েছে বাংলাদেশের পোশাক শিল্প। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ইউনূসদের বাংলাদেশ হল পৃথিবীর দ্বিতীয় বৃহত্তম পোশাক রপ্তানিকারকদের দেশ। এদের ব্যবসা হল ৪৫ বিলিয়ন ডলারের। ভারতের এমন সিদ্ধান্তে বেশ বিপাকে ঢাকা।

    পেট্রাপোল সীমান্তে আটকে বাংলাদেশের ট্রাক (Bangladesh)

    প্রসঙ্গত, ভারত সরকার ট্রান্স শিপমেন্ট সুবিধা বাতিল করায়, নেপাল, ভুটান এবং অন্যান্য দেশে দ্রুত যেভাবে পোশাক রফতানি করতে পারত বাংলাদেশ সেটা আর পারছে না তারা। এর ফলে পোশাক রফতানিকারকদের শিপমেন্ট পরিবর্তন করতে হচ্ছে। যার ফলে খরচও অনেকটাই বেড়ে গিয়েছে বাংলাদেশের পোশাক ব্যবসায়ীদের। সেই খরচ জোগাতে হিমশিম খাচ্ছেন ব্যবসায়ীরা। এই আবহে বাংলাদেশের পোশাক প্রস্তুতকারীর সংস্থাগুলির মধ্যে ব্যাপক উদ্বেগ দেখা গিয়েছে। সম্প্রতি, ভারতের প্রশাসন বাংলাদেশের ট্রান্স শিপমেন্ট (Garment Industry of Bangladesh) সুবিধা বাতিল করার পরেই পণ্যবাহী চারটি বাংলাদেশি ট্রাককে পেট্রাপোল স্থলবন্দরের আটকে দেওয়া হয়। এই ট্রাকগুলিকে ভারতের মাটি ব্যবহারের অনুমতি দেওয়া হয়নি। জানা গিয়েছে, এই ট্রাকগুলি যশোরের বেনাপোল থেকে এসেছিল।

    ভারতীয় ভূখণ্ড ব্যবহার করে বিপুল ব্যবসা করেছে বাংলাদেশ

    ২০২০ সালের ২৯ জুন একটি চুক্তির মাধ্যমে ভারত বাংলাদেশকে (Bangladesh) ট্রান্স শিপমেন্ট সুবিধা দেয়। এর ফলে ভারতীয় ভূখণ্ড ব্যবহার করার সুযোগ পায় বাংলাদেশ। ভারতের কাছে তৃতীয় দেশ হিসেবেই এই সুযোগ পায় বাংলাদেশ। পরবর্তীকালে ২০২৪ সালে জানুয়ারি থেকে ২০২৫ সালের মার্চ মাস পর্যন্ত এই পনেরো মাসে ভারতীয় ভূখণ্ড ব্যবহার করে ব্যাপক ব্যবসা করে বাংলাদেশ (Bangladesh)। জানা যাচ্ছে, বাংলাদেশ ভারতীয় সড়ক পরিবহনকে ব্যবহার করে ৩৬টি দেশে পোশাক রফতানি করেছে। জানা যাচ্ছে, এইভাবে গত ১ বছরে ৪৬২ মিলিয়ন ডলারের ব্যবসা করেছে ভারত।

  • Bangladesh Crisis: মৌলবাদীদের প্রবল চাপ, নাম বদলাল আন্তর্জাতিক স্বীকৃতিপ্রাপ্ত ঢাকার ‘মঙ্গল শোভাযাত্রা’র

    Bangladesh Crisis: মৌলবাদীদের প্রবল চাপ, নাম বদলাল আন্তর্জাতিক স্বীকৃতিপ্রাপ্ত ঢাকার ‘মঙ্গল শোভাযাত্রা’র

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দীর্ঘদিনের এক প্রথা। প্রথার নাম ছিল ‘মঙ্গল শোভাযাত্রা’ (Mongol Shobhayatra)। ইউনূস জমানায় মৌলবাদীদের হুমকির জেরে বদলে গেল নববর্ষের অনুষ্ঠানের সেই শোভাযাত্রার নাম (Bangladesh Crisis)। ‘মঙ্গল শোভাযাত্রা’র বদলে নয়া নাম হল ‘বর্ষবরণ আনন্দ শোভাযাত্রা’। শুক্রবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদের তরফে এই নাম পরিবর্তনের কথা ঘোষণা করা হয়। অনুষদের ডিন মহম্মদ আজহারুল ইসলাম শেখের দাবি, শুরুতে বর্ষবরণের এই অনুষ্ঠানের নাম ছিল ‘আনন্দ শোভাযাত্রা’। অন্যান্যবারের চেয়ে এ বছরের শোভাযাত্রা আরও বড় আকারে হবে। তিনি জানান, ‘নববর্ষের ঐক্যতান, ফ্যাসিবাদের অবসান’-এই বিষয়টিকে সামনে রেখে শোভাযাত্রায় বাংলাদেশের ২৮টি জনগোষ্ঠী অংশ নেবে।

    ‘মঙ্গল শোভাযাত্রা’কে স্বীকৃতি ইউনেস্কোর (Bangladesh Crisis)

    ১৯৮৯ সাল থেকে পয়লা বৈশাখে শোভাযাত্রার আয়োজন করা হচ্ছে বাংলাদেশে। এদিন লাখ লাখ বাঙালি অংশ নেন শোভাযাত্রায়। পেঁচা-সহ অশুভ নাশকারী বিভিন্ন প্রতীক দেখা যায় সেই শোভাযাত্রায়। শোভাযাত্রা শুরুর বেশ কয়েক বছর পরে বাংলাদেশে শুরু হয় স্বৈরাচারী বিরোধী আন্দোলন। তখন এই অনুষ্ঠানের নাম হয় ‘মঙ্গল শোভাযাত্রা’। ২০১৬ সালের ৩০ নভেম্বর ইউনেস্কো এই ‘মঙ্গল শোভাযাত্রা’কে বিশ্ব সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করে। ফি বার রমনার ছায়ানট থেকে শুরু হয় এই অনুষ্ঠান। এরপর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদের সামনে গিয়ে জাতীয় সঙ্গীতের মধ্যে দিয়ে শোভাযাত্রা শুরু হয়। শাহবাগ থেকে টিএসসিতে গিয়ে শেষ হয় শোভাযাত্রা।

    ইসলামি আন্দোলন বাংলাদেশের বক্তব্য

    এবার বাংলাদেশের মৌলবাদীরা আগেই হুঁশিয়ারি দিয়েছিল যে বাংলা নববর্ষ উদযাপনে তাদের কোনও আপত্তি না থাকলেও, ইসলাম অসমর্থিত কিছু থাকবে না। ইসলামি আন্দোলন বাংলাদেশের অন্যতম মুখ আমির মুফতি সৈয়দ মহম্মদ ফয়জুল করিম বলেন, “কোনও শোভাযাত্রা করলে দেশবাসীর মঙ্গল হবে, এই বিশ্বাস বা ধারণা ইসলামের দিক থেকে গুনাহ্ (পাপ)। মূর্তি-সহ ইসলাম অসমর্থিত সবকিছু বাদ দিতে হবে। জোর করে চাপিয়ে দেওয়া যাবে না।”

    প্রাণহীন উৎসবের প্রস্তুতি

    ডিন সকলকে নিয়ে শোভাযাত্রার কথা বললেও, বাস্তব বলছে অন্য কথা। বাংলাদেশের সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর, এবার পয়লা বৈশাখের আগে আগে চারুকলার (Mongol Shobhayatra) শিক্ষক-শিক্ষিকা এবং পড়ুয়া ও শিল্পীদের সেই চেনা ব্যস্ততা নেই। অন্যান্যবার মাসখানেক আগে থেকেই শুরু হয়ে যেত বর্ষবরণ উপলক্ষে মঙ্গল শোভাযাত্রার কাজ। এবার তা হয়নি। হাতে গোনা কয়েকজন শিল্পীকে নিয়েই চলছে কাজ (Bangladesh Crisis)। পড়ুয়াদের একাংশের মতে, এবারের শোভাযাত্রার প্রস্তুতিতে মহিলাদের অংশগ্রহণ কার্যত নেই। এরকম প্রাণহীন চারুকলা অনুষদ আগে দেখা যায়নি। মঙ্গল শোভাযাত্রা আদতে হিন্দুদের জন্মাষ্টমীর ধর্মাচার। বাংলাদেশের হিন্দু সম্প্রদায় প্রতি বছরই তাদের দেবতা শ্রীকৃষ্ণের জন্মাষ্টমীতে সাড়ম্বরে মঙ্গল শোভাযাত্রা পালন করে থাকেন। সর্বজনীনতার নামে সেটা সকলের ওপর চাপিয়ে দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ।

    সাজছে বাংলাদেশ

    আয়োজকরা জানান, শোভাযাত্রায় তুলে ধরা হবে আবহমান বাংলার সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য। সেই সঙ্গে গত বছর জুলাই-অগাস্টের অভ্যুত্থানের মধ্যে দিয়ে যে ফ্যাসিবাদকে বিদায় জানানো হয়েছে, সেই ফ্যাসিবাদের উত্থান যেন এই দেশে আর না হয়, সেই বার্তাও দেওয়া হবে। এবার শোভাযাত্রার মোটিফের মধ্যে থাকছে প্রায় ২০ ফুট উচ্চতার স্বৈরাচারের দৈত্যাকৃতি প্রতিকৃতি, ১৬ ফুট উচ্চতার ইলিশ মাছ, সোনারগাঁওয়ের ঐতিহ্যবাহী কাঠের বাঘ এবং শান্তির দূত পায়রাও। থাকছে হাতি, বাঘ, পেঁচা-সহ অন্যান্য পশুপাখির মুখোশও। চারুকলা প্রাঙ্গণে এখন চলছে সেসব মুখোশ ও প্রতিকৃতি তৈরির কাজ। এ ছাড়া চারুকলার সীমানা প্রাচীর সাজানো হচ্ছে রাজশাহীর ঐতিহ্যবাহী হাঁড়ির নকশা দিয়ে। ফুল-লতাপাতা আর পাখি দিয়ে সাজানো হচ্ছে দেওয়াল (Bangladesh Crisis)।

    কী বলছে ইউনূস প্রশাসনের তরফে জারি করা বিবৃতি

    ইউনূস প্রশাসনের তরফে জারি করা বিবৃতিতে বলা হয়েছে, পয়লা বৈশাখ ঋতু সম্পর্কিত একটি বিষয়। এই অঞ্চলের মানুষের কৃষিকাজ, ব্যবসা-বাণিজ্য, বিয়ে-শাদি সহ অনেক কিছুই ঋতুর সঙ্গে সম্পর্কিত। সেজন্য বাদশা আকবর ইসলামি বর্ষপঞ্জীকে ভিত্তি করে সৌরবর্ষ গণনার জন্য বাংলা সন প্রবর্তন করেছিলেন। এই সন প্রবর্তনের সঙ্গে মুসলামনদের ইতিহাস ঐতিহ্য জড়িত। একই সঙ্গে এই অঞ্চলের মানুষ হাজার বছর ধরে মুসলমান হওয়ার কারণে তাদের আচার প্রথা সংস্কৃতিতে ইসলাম-বিরোধী কোনও (Mongol Shobhayatra) কিছুর অস্তিত্ব কল্পনা করা যায় না। সেজন্য বাংলা নববর্ষ উদযাপনে কোনও আয়োজনে ইসলাম অসমর্থিত কিছু থাকা যাবে না।

    বাংলাদেশে নববর্ষের এই আয়োজন বরাবরই বর্ণিল। দলে দলে মানুষ বের হন রাস্তায়। আনন্দে-উচ্ছ্বাসে, রূপে-রংয়ে বরণ করা হয় বাংলা নতুন বছরকে। হাসিনা-উত্তর জমানায় তৈরি হয়েছে নয়া বাংলাদেশে। বদলে যাওয়া সেই বাংলাদেশের শোভাযাত্রায় কার্যত ফতোয়া জারি করল ‘ইসলামি আন্দোলন বাংলাদেশ’ (Bangladesh Crisis)।

  • India Bangladesh Relation: সময়ের মধ্যে উৎপাদিত পোশাক পাঠানোর চাপ! তুলোর জন্য ভারতের ওপরই নির্ভর বাংলাদেশ

    India Bangladesh Relation: সময়ের মধ্যে উৎপাদিত পোশাক পাঠানোর চাপ! তুলোর জন্য ভারতের ওপরই নির্ভর বাংলাদেশ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বাংলাদেশে ভারত (India Bangladesh Relation) বিরোধিতা ক্রমেই বাড়ছে। হাসিনা পরবর্তী সময়ে বাংলাদেশে হিন্দুদের উপর নির্যাতন ও ভারত-বৈরিতা নিত্যদিনের ঘটনা। তবে দুই দেশের বাণিজ্য পরিসংখ্যান অনুযায়ী, প্রকৃতপক্ষে পণ্য আমদানিতে ভারতের ওপর বাংলাদেশের নির্ভরতা আরও বেড়েছে। ২০২৫ সালের জানুয়ারিতে বাংলাদেশে ভারত থেকে আমদানি বেড়েছে ১৭.২৭ শতাংশ। পরিসংখ্যান অনুযায়ী, ভারত থেকে বাংলাদেশে সবচেয়ে বেশি আমদানি হয় তুলো। দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে খাদ্যশস্য। বিশ্বব্যাপী সরবরাহ শৃঙ্খলের সময়সীমা (লিড টাইম) দ্রুত কমে যাওয়ায় বাংলাদেশ এখন আমদানির জন্য ভারতের ওপর ক্রমেই বেশি নির্ভরশীল হয়ে উঠছে।

    প্রতিযোগিতায় টিকে থাকার চেষ্টা

    আন্তর্জাতিক ব্র্যান্ড ও খুচরা বিক্রেতাদের অর্ডার সম্পাদনের সময়সীমা সারা পৃথিবীতে ৯০ দিন থেকে নেমে এসেছে মাত্র ৪৫ দিনে। এমন পরিস্থিতিতে বাংলাদেশের (India Bangladesh Relation) রফতানিকারক ও উৎপাদকরা দ্রুত ও নির্ভরযোগ্য উৎস খুঁজতে গিয়ে ভারতের দিকেই ঝুঁকছেন। বিশেষজ্ঞদের মতে, এই পরিবর্তনের সবচেয়ে বড় কারণ হলো সময়। আফ্রিকা, লাতিন আমেরিকা বা যুক্তরাষ্ট্র থেকে তুলো ও অন্যান্য কাঁচামাল আনতে যেখানে ৪৫ দিনের বেশি সময় লাগে, সেখানে ভারত থেকে এসব কাঁচামাল পৌঁছাতে সময় লাগে মাত্র ২-৩ দিন। বাংলাদেশ থেকে সবচেয়ে বেশি রফতানি করা হয় তৈরি পোশাক। এটাই ঢাকার আয়ের মূল ভিত্তি। তাই কম সময়ে ভারত থেকে তুলো নিয়ে গিয়ে বৈশ্বিক প্রতিযোগিতায় টিকে থাকার চেষ্টা করছে বাংলাদেশ।

    ভারত নির্ভরতা বাংলাদেশের

    বাংলাদেশ (India Bangladesh Relation) ব্যাঙ্কের তথ্য অনুযায়ী, ২০২৪ সালের অক্টোবর-ডিসেম্বর প্রান্তিকে ভারত থেকে আমদানি বেড়েছে ২.০৯ শতাংশ। যা ২০২৩ সালের একই সময়ে ২.০৪ বিলিয়ন ডলার থেকে বেড়ে হয়েছে ২.৩৬ বিলিয়ন ডলার। গত অর্থবছরের (২০২৪-২৫) প্রথম দশ মাসে দেশটি থেকে বাংলাদেশের আমদানি করা পণ্যের অর্থমূল্য ছিল ৯৩৯ কোটি ৯ লাখ ৮০ হাজার ডলার। এর আগে, ২০২৩-২৪ অর্থবছরের এপ্রিল থেকে জানুয়ারি সময়ে আমদানি হয়েছে ৮৮০ কোটি ৯৯ লাখ ডলারের পণ্য। শুধু গত জানুয়ারিতেই ভারত থেকে বাংলাদেশ পণ্য আমদানি করেছে ১০৭ কোটি ৫৬ লাখ ৭০ হাজার ডলারের। আর ২০২৪ সালের জানুয়ারিতে আমদানি হয়েছিল ৯১ কোটি ৭৩ লাখ ডলারের।

    কেন বাড়ছে ভারত-নির্ভরতা

    তুলো আমদানিই এই বাণিজ্যের মূল চালিকাশক্তি। বাংলাদেশ (India Bangladesh Relation) বছরে প্রায় ৩ বিলিয়ন ডলারের তুলো আমদানি করে, যার অর্ধেকের বেশি আসে ভারত থেকে। ২০২৩ অর্থবর্ষে ভারত থেকে বাংলাদেশ তুলো আমদানি করেছিল ১.৯২ বিলিয়ন ডলার, ২০২৪ অর্থবর্ষে তা বেড়ে হয়েছে ২.৩৬ বিলিয়ন ডলার। তুলোর পাশাপাশি, সুতো, কাপড়, টেক্সটাইল কেমিক্যালস এবং হ্যান্ডলুম পণ্যও উল্লেখযোগ্য পরিমাণে ভারত থেকে আমদানি করা হয়। ২০২৩ সালের মাঝামাঝি সময়ে রাজনৈতিক ও শ্রম অসন্তোষের কারণে বাংলাদেশের অনেক কারখানায় উৎপাদন বিঘ্নিত হয়। এতে দ্রুত এবং নির্ভরযোগ্য আমদানি উৎসের প্রয়োজনীয়তা আরও বেড়ে যায়। সীমান্ত নিরাপত্তা ও অবকাঠামোর উন্নতির ফলে এখন ২৪টি স্থলবন্দর এবং তিনটি রেলবন্দর দিয়ে পণ্য পরিবহন হচ্ছে।এছাড়া, ডলার সংকটের কারণে দূরবর্তী দেশের সঙ্গে লেটার অব ক্রেডিট (LC) খোলা কঠিন হয়ে পড়েছে। ভারতীয় ব্যবসার সঙ্গে নিকটতা, তুলনামূলক সহজ আর্থিক ব্যবস্থা এবং ভাষা ও বাণিজ্য সংস্কৃতির পরিচিতিও বাণিজ্যে সুবিধা দিচ্ছে।

  • Bangladesh Crisis: ‘‘এসব বলে এড়িয়ে যাওয়া যাবে না’’, সংখ্যালঘু নির্যাতন নিয়ে বাংলাদেশকে ফের সতর্ক করল ভারত

    Bangladesh Crisis: ‘‘এসব বলে এড়িয়ে যাওয়া যাবে না’’, সংখ্যালঘু নির্যাতন নিয়ে বাংলাদেশকে ফের সতর্ক করল ভারত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ব্যাংককে বিমস্টেকের শীর্ষ সম্মেলনের ফাঁকে দ্বিপাক্ষিক বৈঠক হয়েছে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও বাংলাদেশের (Bangladesh Crisis) অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা মহম্মদ ইউনূসের। সেই বৈঠকে পড়শি দেশে লাগাতার হিন্দু নির্যাতনের ঘটনায় ভারত (New Delhi) যে উদ্বিগ্ন, ইউনূসকে তা জানিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। বুধবার বিকেলে এ ব্যাপারে ফের একবার ভারতের অবস্থান স্পষ্ট করে দিল ভারত। বিদেশমন্ত্রকের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল জানান, সংখ্যালঘুদের ওপর অত্যাচারের অভিযোগ নিয়ে আগেও বাংলাদেশের সঙ্গে বেশ কয়েক দফা কথা হয়েছে ভারতের। বাংলাদেশে সংখ্যালঘুদের সঙ্গে যেভাবে আচরণ করা হয়, তাঁদের ওপর যে নির্মমতার অভিযোগ উঠে আসে, তা নিয়ে ভারতের উদ্বেগের কথা জানানো হয়েছে বাংলাদেশকে।

    বাংলাদেশ পুলিশের দাবি (Bangladesh Crisis)

    গত জানুয়ারি মাসে বাংলাদেশ পুলিশ জানিয়েছিল, সে দেশের সংখ্যালঘুদের ওপর আক্রমণের সিংহভাগ ঘটনাই রাজনৈতিক কারণে ঘটেছে। পরে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকার জানিয়েছিল, গত ৫ অগাস্ট থেকে চলতি বছরের ১৬ ফেব্রুয়ারির মধ্যে অভিযোগ দায়ের হয়েছে ২ হাজার ৩৭৪টি। তার মধ্যে ১ হাজার ২৫৪টি অভিযোগ যাচাই করে দেখেছে পুলিশ। যাচাই করা অভিযোগগুলির ৯৮ শতাংশই রাজনৈতিক কারণে বলে দাবি করেছিল বাংলাদেশ সরকার। তবে এদিন ভারতীয় বিদেশমন্ত্রক সাফ জানিয়ে দিয়েছে, শুধুমাত্র রাজনৈতিক কারণে দেখিয়ে বা সংবাদমাধ্যমের অতিরঞ্জিত বলে ঘটনাগুলিকে এড়িয়ে যাওয়া যাবে না।

    কী বললেন রণধীর জয়সওয়াল

    রণধীর জয়সওয়াল বলেন, “সংখ্যালঘুদের ওপর অত্যাচারের ঘটনাগুলিকে কখনও রাজনৈতিক কারণে ঘটেছে বা সংবাদ মাধ্যমের অতিরঞ্জিত, এসব বলে এড়িয়ে যাওয়া যাবে না। এই ধরনের নৃশংসতায় যারা অভিযুক্ত, তাদের বিরুদ্ধে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকার পদক্ষেপ করবে বলে আমরা আশা করি।” প্রসঙ্গত, বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের জেরে গত ৫ অগাস্ট প্রধানমন্ত্রী পদে ইস্তফা দিয়ে বাংলাদেশ (Bangladesh Crisis) ছাড়েন শেখ হাসিনা। তারপর থেকে ভারতের প্রতিবেশী এই দেশে সংখ্যালঘুদের ওপর নির্যাতনের ব্যাপক অভিযোগ ওঠে। তা নিয়ে মহম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন বাংলাদেশ সরকারকে আগেও বিভিন্ন সময়ে পদক্ষেপ করার অনুরোধ করেছে ভারত। যদিও ইউনূস প্রশাসন বিভিন্ন সময় জানিয়ে দিয়েছে, সে দেশে সংখ্যালঘুরা নিরাপদেই রয়েছেন। বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে ভিন দেশের মন্তব্য (New Delhi) যে তাদের না-পসন্দ, তাও স্পষ্ট করে দিয়েছিল ইউনূস সরকার (Bangladesh Crisis)।

  • Donald Trump: ৯০ দিন স্থগিত ট্রাম্পের নয়া শুল্কনীতি, একমাত্র ব্যতিক্রম চিন, শুল্ক বাড়ল ১২৫ শতাংশ

    Donald Trump: ৯০ দিন স্থগিত ট্রাম্পের নয়া শুল্কনীতি, একমাত্র ব্যতিক্রম চিন, শুল্ক বাড়ল ১২৫ শতাংশ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আমেরিকার নয়া শুল্কনীতি বিতর্ক ছড়িয়েছিল। এবার ৯০ দিনের জন্য তা স্থগিত রাখলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প (Donald Trump)। তবে চিনের (China) ক্ষেত্রে শুধু ব্যতিক্রম। সেদেশে শুল্কনীতি নিয়ে এই স্থগিতাদেশের সিদ্ধান্ত কার্যকর হচ্ছে না। তবে বিশ্বের বাকি সব দেশের ক্ষেত্রে এই সিদ্ধান্ত কার্যকর হবে বলে জানিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। অন্য দেশগুলিকে শুল্কে আপাতত স্বস্তি দিলেও চিনের উপর শুল্ক আরও বৃদ্ধি করার সিদ্ধান্ত নিয়ে শুরু হয়েছে জোর চর্চা। ট্রাম্প ঘোষণা করেছেন, চিনা পণ্যের উপর এ বার ১২৫ শতাংশ হারে শুল্ক ধার্য্য হবে। এনিয়ে নিজের সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মে ট্রাম্প লিখেছেন, ‘‘আশা করি ভবিষ্যতে কোনও এক জায়গায় গিয়ে চিন বুঝতে পারবে যে আমেরিকা ও অন্যান্য দেশকে শোষণ করা গ্রহণযোগ্য নয়।’’

    বিভিন্ন দেশের পণ্যের ওপর ‘পারস্পরিক শুল্কে’র কথা ঘোষণা করেছিলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট

    আমেরিকার বাজারে বিভিন্ন দেশের পণ্যের ওপর ‘পারস্পরিক শুল্কে’র কথা ঘোষণা করেছিলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প (Donald Trump)। তালিকায় চিন, ইউরোপীয় ইউনিয়নের দেশগুলি যেমন ছিল, পাশাপাশি ভারত বা ইজরায়েলের মতো আমেরিকার মিত্র দেশও ছিল। এই আবহে গত সপ্তাহেই হোয়াইট হাউস থেকে জানানো হয়, এই শুল্কনীতির বিষয়ে অনেক দেশ ট্রাম্পের সঙ্গে আলোচনা করতে চাইছে। হোয়াইট হাউসের অর্থনৈতিক কাউন্সিলের অধিকর্তা কেভিন হ্যাসেট সেসময় জানিয়েছিলেন, ৫০টিরও বেশি দেশ ইতিমধ্যে তাঁদের সঙ্গে যোগাযোগ করেছে। ঘটনা হল, গত বেশ কয়েক দিন ধরেই ভারতের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য সংক্রান্ত আলোচনা চলছে আমেরিকার। গত বুধবার বিকেলেও ভারতের বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল জানিয়েছিলেন, শুল্ক এবং বাণিজ্য প্রসঙ্গে দুই দেশের প্রতিনিধিদের মধ্যে আলোচনা চলছে।

    গত সপ্তাহে বিক্ষোভ আমেরিকায়

    ট্রাম্পের (Donald Trump) শুল্কনীতি ঘিরে আমেরিকার অন্দরেও নানা প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছিল। এই আবহে গত সপ্তাহেই আমেরিকায় ট্রাম্পের বিভিন্ন নীতির বিরুদ্ধে ব্যাপক বিক্ষোভ দেখা যায়। আন্দোলনে নামেন আমেরিকার নাগরিকরা। হাজার হাজার মানুষ ট্রাম্পের বিরুদ্ধে রাস্তায় নেমে ট্রাম্প সরকারের নানা নীতি নিয়ে প্রশ্ন তোলেন। নিউ ইয়র্ক, ওয়াশিংটন ডিসি-সহ আমেরিকার সমস্ত বড় শহরে মার্কিন জনতা ট্রাম্পের বিভিন্ন নীতির বিরুদ্ধে বিক্ষোভ দেখান। এই বিক্ষোভগুলির মধ্যে অন্যতম ইস্যু ছিল শুল্কনীতিও।

    শুল্কনীতির প্রভাব আমেরিকার শেয়ার বাজারে

    মার্কিন প্রেসিডেন্টের (Donald Trump) সাম্প্রতিক শুল্কনীতিতে অন্য দেশগুলির ওপরে যেমন প্রভাব পড়েছে। একইভাবে প্রভাব পড়েছে মার্কিন মুলুকেও। আমেরিকার শেয়ার বাজারে এমন পরিস্থিতিতে এক অস্থিরতা তৈরি হয়েছে। জানা যাচ্ছে, ওয়াল স্ট্রিটের শেয়ার মার্কেটের টালমাটাল পরিস্থিতিতে বিনিয়োগকারীদের মধ্যে ব্যাপক উদ্বেগ বৃদ্ধি পেয়েছে। পাশাপাশি, শুল্কনীতির জন্য আমেরিকার বাজারে পণ্যের দামও বৃদ্ধি পেতে পারে বলে আশঙ্কা করেছেন অনেকজনই।

    ট্রাম্পের এই সিদ্ধান্তের পরেই বিশ্বব্যাপী শেয়ার বাজারে হাল আবার ফিরতে শুরু করেছে

    এই পরিস্থিতিতেই বড় ঘোষণা করতে শোনা গেল ডোনাল্ড ট্রাম্পকে। চিন ছাড়া বাকি সব দেশের ওপর নয়া শুল্কনীতি স্থগিত রাখার সিদ্ধান্ত নিলেন ট্রাম্প। যদিও কী কারণে এমন সিদ্ধান্তের পথে হাঁটালেন ট্রাম্প, সেবিষয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে এখনও কিছু জানানো হয়নি। এনিয়ে কোনও ব্যাখ্যা এখনও পর্যন্ত হোয়াইট হাউস থেকে মেলেনি। তবে সংবাদমাধ্যম ‘দ্য গার্ডিয়ান’-এ প্রকাশিত খবর অনুযায়ী, বুধবার ট্রাম্পের এই সিদ্ধান্তের পরেই বিশ্বব্যাপী শেয়ার বাজারে হাল আবার ফিরতে শুরু করেছে। আমেরিকার শেয়ার বাজারের দু’টি সূচক ‘এস অ্যান্ড পি ৫০০’ এবং ‘ন্যাসড্যাক’ ৮ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে বলে জানিয়েছে ‘দ্য গার্ডিয়ান’।

    চিনের সঙ্গে চলছে তীব্র কূটনৈতিক সংঘাত

    প্রসঙ্গত, গত জানুয়ারি মাসেই ট্রাম্প দ্বিতীয় বার ক্ষমতায় ফেরেন। এর পর থেকেই চিনের সঙ্গে আমেরিকার কূটনৈতিক সম্পর্ক একেবারে তলানিতে চলে যায়। দু’দেশের শুল্ক সংঘাত শুরু হতেই কূটনৈতিক লড়াই আরও বাড়তে থাকে। প্রসঙ্গত, চলতি বছরের শুরুর দিকেই চিনা পণ্যের উপর ২০ শতাংশ শুল্ক চাপিয়েছিল আমেরিকা। এরপরে তা আরও ৩৪ শতাংশ বৃদ্ধি করেন ট্রাম্প। কূটনৈতিক টানাটানিতে পাল্টা মার্কিন পণ্যের উপর ৩৪ শতাংশ শুল্ক ঘোষণা করে চিন। এরপরে ট্রাম্প আরও ৫০ শতাংশ শুল্ক বৃদ্ধি করেন চিনা পণ্যের উপর। এই আবহে মোট শুল্কের পরিমাণ বৃদ্ধি পেয়ে হয় ১০৪ শতাংশ। ট্রাম্প ৫০ শতাংশ শুল্ক বৃদ্ধি করতেই ফের পাল্টা দেয় চিন। করে চিন। মার্কিন পণ্যের ওপর ৫০ শতাংশ শুল্ক চাপায় বেজিং। এই পরিস্থিতি দাঁড়ায়, আমেরিকার বাজারে চিনা পণ্যে ১০৪ শতাংশ শুল্ক এবং চিনা বাজারে মার্কিন পণ্যে ৮৪ শতাংশ শুল্ক! এরপরে চিনা পণ্যের ওপর শুল্ক বৃদ্ধি করে ১২৫ শতাংশ করেছেন তিনি। ট্রাম্পের দাবি, “বিশ্ব বাজারের প্রতি কোনও সম্মান দেখায়নি চিন।” সেই কারণেই চিনের ক্ষেত্রে ব্যতিক্রমী সিদ্ধান্ত নিতে বাধ্য হয়েছেন তিনি।

  • Victory Day Celebrations: রাশিয়ার ভিকট্রি ডে-র প্যারেডে মোদিকে আমন্ত্রণ পুতিনের, আর কে কে ডাক পাচ্ছেন?

    Victory Day Celebrations: রাশিয়ার ভিকট্রি ডে-র প্যারেডে মোদিকে আমন্ত্রণ পুতিনের, আর কে কে ডাক পাচ্ছেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফের রাশিয়া যাওয়ার আমন্ত্রণ পেলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)। আগামী ৯ মে ভিকট্রি ডে পালন (Victory Day Celebrations) করবে রাশিয়া। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে ওই দিন জার্মানির সঙ্গে যুদ্ধে জয়ী হয়েছিল রাশিয়া। আগামী ৯ মে সেই যুদ্ধ জয়ের ৮০ বছর পূর্তি। সেই অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকতে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে ভারতের প্রধানমন্ত্রীকে। রাশিয়ার উপ-বিদেশমন্ত্রী আন্দ্রে রুদেঙ্কো জানান, বিজয় দিবসের অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী মোদিকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। এ বিষয়ে ভারতের বিদেশ মন্ত্রকের তরফে অবশ্য এখনও কিছু জানানো হয়নি। পুতিন সরকারের আশা, ৯ মে প্যারেডে উপস্থিত থাকবেন প্রধানমন্ত্রী।

    রাশিয়ার উপ-বিদেশমন্ত্রীর বক্তব্য (Victory Day Celebrations)

    রাশিয়ার সরকারি সংবাদ মাধ্যমে রুদেঙ্কোর বক্তব্য উদ্ধৃত করা হয়েছে। মঙ্গলবার তিনি বলেন, “এই বছরের অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে।” চলতি বছরেই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির আমন্ত্রণে ভারতে আসার কথা রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের। তিনি কবে ভারতে আসবেন, তা এখনও জানা যায়নি। তার মধ্যেই ফের আমন্ত্রণ জানানো হল প্রধানমন্ত্রী মোদিকে। এ বছর ভিকট্রি ডে-র প্যারেডে একাধিক মিত্র দেশের প্রধানদের আমন্ত্রণ জানিয়েছে মস্কো। ১৯৪৫ সালের জানুয়ারি মাসে জার্মানির বিরুদ্ধে অভিযান শুরু করে রাশিয়া। ৯ মে দুই দেশের কামান্ডার ইন চিফ বিনা শর্তে জার্মান সেনার আত্মসমর্পপণ সংক্রান্ত একটি চুক্তিতে সই করেন। তার পরেই শেষ হয় যুদ্ধ। তার পর থেকে ৯ মে দিনটিকে ভিকট্রি ডে হিসেবে পালন করে আসছে রাশিয়া।

    মস্কোর আশা

    মস্কোর আশা, প্রধানমন্ত্রী মোদি এই আমন্ত্রণ গ্রহণ করবেন। কারণ এই অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণ পাওয়াটা অত্যন্ত সম্মানজনক বিভিন্ন রাষ্ট্রের প্রধানদের কাছে। যদিও প্রধানমন্ত্রীর যাওয়া না- যাওয়ার বিষয়টি এখনও রয়েছে দু’দেশের বৈদেশিক আলোচনার স্তরে। গত জুলাইয়েই রাশিয়া সফরে গিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী। সেবার মস্কো সফরে গিয়ে পুতিনকে ভারতে আসার আমন্ত্রণ জানানো ছাড়াও বহু বিষয়ে তাঁদের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক আলোচনা হয়েছিল। পুতিন ভারতে আসবেন বলে কথা দিয়েছিলেন। তবে ঠিক কবে তিনি ভারত সফরে আসবেন, তা এখনও ঠিক হয়নি।

    প্যারেডে ভারতীয় সেনাবাহিনীও!

    প্রধানমন্ত্রী (PM Modi) ছাড়াও এই অনুষ্ঠানে ভারতীয় সেনাবাহিনীর একটি ইউনিটও রেড স্কোয়ারের (মস্কোর) প্যারেডে অংশ নিতে পারে। তা নিয়েও দুই দেশের মধ্যে আলাপ-আলোচনা চলছে। রাশিয়ার ওই অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণ জানানো হতে পারে চিনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংকেও। যদি তা হয়, তাহলে ফের একবার মোদি-শি জিনপিং মুখোমুখি হবেন। আমেরিকার সঙ্গে বাণিজ্য-যুদ্ধের প্রেক্ষাপটে যা খুবই গুরুত্বপূর্ণ বলে ধারণা আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশেষজ্ঞদের।

    মোদি-পুতিন সম্পর্ক

    মোদির সঙ্গে পুতিনের সুসম্পর্কের কথা জানে তামাম বিশ্ব (Victory Day Celebrations)। দুই দেশের এই সম্পর্কের গভীরতা বোঝাতে গিয়ে গত অক্টোবরে রাশিয়ার কাজান শহরে আয়োজিত ব্রিকস সম্মেলনে পুতিন জানিয়েছিলেন, দুই দেশের মধ্যে সম্পর্ক এতটাই ভালো যে কে কী বলছেন, তা অনুধাবনের জন্য অনুবাদকের প্রয়োজন নেই। তিনি বলেন, “আমাদের (মোদি-পুতিন) মধ্যে সম্পর্ক এমন যে কোনও অনুবাদকের প্রয়োজন নেই। এ কথা শুনে প্রধানমন্ত্রী (PM Modi) হেসেও ফেলেছিলেন। কূটনৈতিক মহলের একটা বড় অংশের মতে, নরেন্দ্র মোদিই একমাত্র রাষ্ট্রনেতা, যাঁর সঙ্গে বিবদমান দুই রাষ্ট্র রাশিয়া ও ইউক্রেন – দুই দেশেরই সুসম্পর্ক রয়েছে।

    প্রথম বিদেশ সফরেই রাশিয়া

    তৃতীয় দফায় প্রধানমন্ত্রী হয়েই প্রথম বিদেশ সফরে মোদি গিয়েছিলেন রাশিয়া। ৪ জুলাই মস্কো সফরে গিয়েছিলেন তিনি। গত পাঁচ বছরে ওটাই ছিল তাঁর প্রথম রাশিয়া সফর। ২০২৪ সালের আগে ২০১৯ সালে রাশিয়ার পূর্বে অবস্থিত ভ্লাদিভোস্তকে গিয়েছিলেন একটি সম্মেলনে অংশ নিতে। জুলাইয়ের সফরে প্রধানমন্ত্রী মোদি বন্ধু প্রেসিডেন্ট পুতিনকে ভারতে আসার জন্য আমন্ত্রণ জানান। গত ২৭ মার্চ রাশিয়ার (Victory Day Celebrations) বিদেশমন্ত্রী সের্গেই লাভরফ জানান যে, প্রেসিডেন্ট পুতিন ভারতে আসার আমন্ত্রণ গ্রহণ করেছেন। কিন্তু তিনি কবে নয়াদিল্লি আসবেন, তা এখনও জানা যায়নি।

    মোদির এই সফর বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ

    আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশেষজ্ঞদের মতে, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির এই সফর বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ। কারণ তিনি যে সময় রাশিয়ায় যাচ্ছেন, সেই সময় ইউক্রেন যুদ্ধের অবসানের জন্য রাশিয়া ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের শীর্ষ নেতৃত্বের মধ্যে আলোচনা চলছে। সম্প্রতি সৌদি আরবে প্রথম দফার আলোচনায় অংশ নেন রাশিয়া ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিনিধিরা। সেখানেও প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি শান্তির পক্ষে জোরালো সওয়াল করেন। রাশিয়া সফরের সময় তিনি প্রেসিডেন্ট পুতিন এবং ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির জেলেনস্কি উভয়ের সঙ্গে আলোচনা করেছিলেন (Victory Day Celebrations)। তিনি যে যুদ্ধ নয়, শান্তির পক্ষেই, সেই অবস্থানও স্পষ্ট করে দিয়েছিলেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী (PM Modi)।

LinkedIn
Share