Category: বিদেশ

Get updates on World News Headlines International News from the Madhyom news portal madhyom.com, West Bengal leading news portal Madhyom.com

  • Sunita Williams: মনে করিয়েছে শিকড়ের টান, মহাকাশ থেকে ভারত ‘অবিশ্বাস্য’, জানালেন সুনীতা

    Sunita Williams: মনে করিয়েছে শিকড়ের টান, মহাকাশ থেকে ভারত ‘অবিশ্বাস্য’, জানালেন সুনীতা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ২৮৬ দিন মহাকাশে কাটিয়ে এসেছেন ভারতীয় বংশোদ্ভূত মার্কিন মহাকাশচারী সুনীতা উইলিয়ামস (Sunita Williams)। এবার এক সাক্ষাৎকারে তিনি জানালেন, মহাকাশ থেকে ভারত (India) এক কথায় ‘অবিশ্বাস্য’।

    মনে করিয়েছে শিকড়ের টান

    মহাকাশ থেকে ভারতের ভূদৃশ্য দেখে মুগ্ধ সুনীতা (Sunita Williams) বলেন, ‘‘অত্যাশ্চর্য, একেবারে অবিশ্বাস্য।’’ বিশেষত হিমালয়ের ওপর দিয়ে যাওয়ার সময় তাঁর সহযাত্রী বুচ উইলমোর যে ছবি তুলেছেন, তা এক কথায় অসাধারণ বলে জানিয়েছেন এই ভারতীয় বংশোদ্ভূত মার্কিন মহাকাশচারী। ওই সাক্ষাৎকারে সুনীতা আরও জানিয়েছেন, পশ্চিমে গুজরাট ও মুম্বইয়ের উপকূলের মাছ ধরার নৌবহর থেকে শুরু করে উত্তরের বিশাল হিমালয়। এসবই তাঁকে মনে করিয়ে দিয়েছে নিজের শিকড়ের কথা। দিনের আলোয় ভারতের নানা রঙ, আর রাতের অন্ধকারে শহর থেকে গ্রামে বিস্তৃত আলোর মালা তাঁকে মোহিত করেছে বলে জানিয়েছেন এই মার্কিন মহাকাশচারী।

    ভারতে আসতে আগ্রহী সুনীতা (Sunita Williams)

    ওই সাক্ষাৎকারে সুনীতা উইলিয়ামসকে প্রশ্ন করা হয়েছিল, ভারতের মহাকাশ গবেষণায় তিনি কি সাহায্য করতে আগ্রহী? জবাবে তিনি বলেন, ‘‘অবশ্যই! আমি চাই ভারত আরও এগিয়ে যাক মহাকাশ গবেষণায়। ভারত অসাধারণ দেশ, বড় গণতন্ত্র, যে দেশ এখন মহাকাশ অভিযানে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করতে চাইছে। আমি অবশ্যই এর অংশীদার হতে চাই।’’ প্রসঙ্গত, সুনীতা উইলিয়ামসের বাবা ছিলেন ভারতীয়। সুনীতার বহুদিনের ইচ্ছে নাকি ভারতে আসার। সঙ্গে নিয়ে আসতে চান সহযাত্রী বুচ উইলমোরকেও। সাক্ষাৎকারে মজার ছলে সুনীতা (Sunita Williams) বলেন, ‘‘তোমার (বুচ উইলমোর)  হয়তো একটু আলাদা লাগবে, তবে ঠিক আছে! তোমাকে আগে থেকেই ঝাল-মশলা খাওয়ার অভ্যাস করিয়ে দেব।’’ অন্যদিকে, খুব শীঘ্রই শুরু হচ্ছে নাসার অ্যাক্সিয়ম মিশন। এনিয়ে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেছেন সুনীতা। প্রসঙ্গত, এই মিশনে মহাকাশে পাড়ি জমাবেন ভারতীয় বায়ুসেনার পাইলট এবং ইসরোর মহাকাশযাত্রী শুভাংশু শুক্লা। ভারতের একজন প্রতিনিধি আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশনে কাজ করবেন, এতে দারুণ আশাবাদী সুনীতা।

  • Bangladesh Crisis: প্রতিশ্রুতি দিয়েও সাত মাসে কথা রাখেননি ইউনূস! ক্ষোভে ফুঁসছে বাংলাদেশ

    Bangladesh Crisis: প্রতিশ্রুতি দিয়েও সাত মাসে কথা রাখেননি ইউনূস! ক্ষোভে ফুঁসছে বাংলাদেশ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দায়িত্ব নেওয়ার সময় প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন বাংলাদেশকে (Bangladesh Crisis) উপহার দেবেন দুর্নীতিমুক্ত প্রশাসন। তারপর কেটে গিয়েছে সাত মাস। সেই প্রতিশ্রুতি পূরণে চূড়ান্তভাবে ব্যর্থ হয়েছেন বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান মহম্মদ ইউনূস (Muhammad Yunus)। উল্টে তাঁর ঘনিষ্ঠদের গায়ে লেগেছে দুর্নীতির পাঁক।

    ‘ইউরেশিয়া রিভিউ’য়ের নিবন্ধ (Bangladesh Crisis)

    ‘ইউরেশিয়া রিভিউ’তে আনজুমান-এ-ইসলাম প্রকাশিত একটি নিবন্ধে বলা হয়েছে, ৮ আগস্ট বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের দায়িত্ব গ্রহণ করার পর নোবেল শান্তি পুরস্কার জয়ী মহম্মদ ইউনূস দুর্নীতি নির্মূল করাকে তাঁর সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার হিসেবে ঘোষণা করেছিলেন। তিনি দাবি করেছিলেন, তাঁর মিশন হল রাষ্ট্রীয় ক্ষমতার অপব্যবহার নির্মূল করে নতুন যুগের সূচনা করা এবং বাংলাদেশকে পুনর্গঠিত করা। নিবন্ধে বলা হয়েছে, বস্তুত, ইউনূসের প্রাথমিক ঘোষণা পূরণ হয়নি। উল্টে তাঁর সরকারের উপদেষ্টাদের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে।

    অবাধে চলছে নিয়ম লঙ্ঘন

    ওই নিবন্ধে এও উল্লেখ করা হয়েছে, একটি বাংলাদেশি সংবাদপত্রের সাম্প্রতিক প্রতিবেদনে প্রকাশিত হয়েছে যে ইউনূসের বেশ কয়েকজন উপদেষ্টা সরকারি কাজের জন্য নির্ধারিত একাধিক গাড়ি ব্যক্তিগত কাজে ব্যবহার করছেন। এটি নিয়ম বিরুদ্ধ। বাংলাদেশে একজন উপদেষ্টার জন্য শুধুমাত্র একটিই গাড়ি ব্যবহারের অনুমতি রয়েছে। সেই নিয়ম আকছার লঙ্ঘন করেই উপদেষ্টারা ব্যবহার করছেন একাধিক গাড়ি। করদাতাদের অর্থে প্রাপ্ত সম্পদের এই অপব্যবহারে ব্যাপক ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে বাংলাদেশের অন্দরে।

    ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা!

    সেখানে আরও বলা হয়েছে, একটি উদ্বেগজনক বিষয় হল ইউনূসের অফিস তাঁর উপদেষ্টাদের এসব নিয়ম-বিরুদ্ধ কার্যকলাপ ধামাচাপা দিতে চেয়েছিল। বিষয়টি চাপাও পড়ে গিয়েছিল। মিথ্যার বেসাতির পর্দা ফাঁস করে ওই সংবাদপত্রটি। ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ শাখার এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর ইফতেখারুজ্জামান এটিকে জুলাই-আগস্ট বিপ্লবের চেতনার স্পষ্ট লঙ্ঘন বলে অভিহিত করেছেন (Bangladesh Crisis)। ইউনূস নানাভাবে চেয়েছেন বাংলাদেশের জনমানসে একটি ধারণার বীজ রোপণ করতে। সেটি হল, আওয়ামি লিগই দেশের একমাত্র দুর্নীতির উৎস। ইউনূসের এই অভিযোগ ধোপে টেকেনি। উল্টে নোবেল জয়ীর পার্ষদদের কাণ্ডকারখানা এবং রাষ্ট্রীয় ক্ষমতার অপব্যবহারে যারপরনাই ক্ষুব্ধ বাংলাদেশবাসী (Muhammad Yunus)।

    আখের গুছোনোর কাজ শুরু!

    অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান পদে বসে ইউনূস আখের গুছোতে শুরু করেছেন বলেও অভিযোগ। তিনি নিয়ম বিরুদ্ধভাবে তাঁর ও তাঁর সহযোগীদের সঙ্গে যুক্ত বড় ব্যবসায়িক উদ্যোগগুলিকে দ্রুত অনুমোদন দিয়ে দিচ্ছেন বলেও অভিযোগ। দায়িত্ব গ্রহণের মাত্র দু’মাসের মধ্যেই ইউনূসের মাইক্রোক্রেডিট সংস্থা গ্রামীণ ব্যাংককে পাঁচ বছরের জন্য ট্যাক্স-ফ্রি করে দেওয়া হয়। আনজুমানের নিবন্ধে বলা হয়েছে, ইউনূস ও তাঁর পরিবারের সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত লোকজনের ব্যবসা প্রতিষ্ঠানগুলিও অনৈতিকভাবে লাভ করেছে সরকারি বদান্যতা। এরকমই একটি অনুমোদনে হাইকোর্টের আগের রায়ের পরোয়া না করে ইউনূসের গ্রামীণ কল্যাণ সংস্থার ৬৬৬ কোটি টাকা কর মকুব করে দেওয়া হয়। এছাড়াও, গ্রামীণ বিশ্ববিদ্যালয় নামের একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়কে অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। অভিযোগ, এই বিশ্ববিদ্যালয় ইউনূস ঘনিষ্ঠদের স্বার্থে কাজ করছে (Bangladesh Crisis)।

    এদিকে, শ্রমিক অধিকার কর্মী, দুর্নীতিবিরোধী প্রচারক এবং আইনজীবীরা ইউনূসের নেতৃত্বে থাকা প্রতিষ্ঠানগুলির বিরুদ্ধে দায়ের করা মামলাগুলি দ্রুত খারিজ হয়ে যাওয়া নিয়ে ইউনূসের নীরবতা সম্পর্কে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। ৫ আগস্টের (এদিনই প্রধানমন্ত্রী পদে ইস্তফা দিয়ে বাংলাদেশ ছাড়েন শেখ হাসিনা) আগে দায়ের হওয়া এসব মামলা কোনও ব্যাখ্যা ছাড়াই দ্রুত খারিজ করে দেওয়া হয়েছে। যার জেরে ইউনূস প্রশাসনের সততা সম্পর্কে আরও জোরালো সন্দেহ তৈরি হয়েছে।

    দুর্নীতির পর্দা ফাঁস হয়েছে আগেও

    প্রসঙ্গত, এর আগে ইউনূস প্রশাসনের বিরুদ্ধে দুর্নীতির (Muhammad Yunus) পর্দা ফাঁস করেছিল দি এশিয়াপোস্ট নিউজ। এই সংবাদপত্রের একটি প্রতিবেদনে জানানো হয়েছিল, “এই প্রকাশনাগুলি (দুর্নীতি সংক্রান্ত খবর) আরও উদ্বেগ বাড়িয়ে দেয় যে যেসব ব্যক্তি এক সময় ন্যায়বিচার ও গণতন্ত্রের পক্ষে দাঁড়ানোর দাবি করেছিলেন, তাঁরা এখন হয়তো নির্বিচারে দুর্নীতিতে জড়িয়ে পড়েছেন, এবং এই সবই ঘটছে যখন বাংলাদেশ তার ইতিহাসের সবচেয়ে চ্যালেঞ্জিং সময়গুলির একটির মুখোমুখি। এই প্রমাণগুলি বাংলাদেশের ইতিহাসের সবচেয়ে বড় দুর্নীতি কেলেঙ্কারিগুলির একটি প্রকাশ করতে পারে।” প্রতিবেদনটিতে প্রশ্ন তোলা হয়েছিল, “জাতি যখন বেঁচে থাকার জন্য সংগ্রাম করছে, তখন প্রশ্নটি থেকে যায়: ন্যায়বিচার কি প্রতিষ্ঠিত হবে, নাকি যাঁরা ক্ষমতায় আছেন তাঁরা তাঁদের সেই মানুষদের শোষণ করতে থাকবেন যাঁদের রক্ষা করার জন্য তাঁরা একসময় শপথ নিয়েছিলেন (Bangladesh Crisis)?”

    এশিয়াপোস্ট নিউজের তদন্তে (Muhammad Yunus) জানা গিয়েছিল, ‘ছাত্র কর্মী’ সারজিস আলমের কাছে ৭৭.৬ লক্ষ মার্কিন ডলারের একটি বিশাল সম্পদ জমা হয়েছে। এটি এমন একটি সময়ে হয়েছে, যখন জানা যায়নি তাঁর আয়ের কোনও উৎস। বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের কোনও পদেও নেই তিনি। এই আলমই বারবার ভারতকে হুমকি দিয়েছেন এবং প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে বাংলাদেশের হাতে তুলে দেওয়ার দাবি জানিয়েছেন। তাঁর ভারত-বিরোধী বক্তব্যের কারণে, এই ইসলামপন্থীকে জাতীয় নাগরিক কমিটির প্রধান সংগঠক করা হয়েছিল। তিনি বিজয় দিবসে (১৬ ডিসেম্বর ২০২৪) ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে গোপন হুমকিও দিয়েছিলেন (Bangladesh Crisis)।

  • Lashkar E Taiba: পাকিস্তানে ফের অজ্ঞাতপরিচয় আততায়ীর গুলিতে নিহত হাফিজ-ঘনিষ্ঠ আরও এক লস্কর নেতা

    Lashkar E Taiba: পাকিস্তানে ফের অজ্ঞাতপরিচয় আততায়ীর গুলিতে নিহত হাফিজ-ঘনিষ্ঠ আরও এক লস্কর নেতা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: খুশির ইদের দিনেও রক্তাক্ত হল পাকিস্তান (Pakistan)। গুলি করে খুন করা হল লস্কর ই তৈবা (Lashkar E Taiba) প্রধান তথা ২৬/১১ মুম্বই হামলার মূলচক্রী হাফিজ সইদ ঘনিষ্ঠ জঙ্গিনেতাকে। মৃতের নাম আবদুল রহমান। এদিন ইদের আনন্দে মেতেছিলেন পাকিস্তানের নাগরিকরা। সেই সময় আচমকাই খুব কাছ থেকে দুষ্কৃতীরা গুলি করে খুন করে তাঁকে। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় আবদুলের।

    লস্করের হয়ে ফান্ড জোগাড় (Lashkar E Taiba)

    জানা গিয়েছে, লস্করের আর্থিক লেনদেন-সহ একাধিক কাজ করতেন নিহত আবদুল। লস্করের হয়ে ফান্ড জোগাড় করাটাও ছিল তাঁর অন্যতম কাজ। তাই পাকভূমে তাঁর খুন হওয়াটা বিস্মিত করেছে পাক প্রশাসনকেও। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পাকিস্তানের পুলিশ। ঘটনার নেপথ্যে কোনও জঙ্গি যোগ রয়েছে কিনা, তাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে। যদিও সরকারের তরফে এ ব্যাপারে কিছুই জানানো হয়নি। দিন কয়েক আগে প্রায় একই কায়দায় খুন হতে হয়েছিল লস্কর ই তৈবার কুখ্যাত জঙ্গি আবু কাতালকে। মোস্ট ওয়ান্টেড তালিকার একেবারে ওপরের দিকে নাম ছিল তাঁর। লস্কর প্রধানের ডান হাত হিসেবে কাজ করতেন কাতাল।

    একই কায়দায় খুন হয়েছিলেন কাতালও

    মুম্বই হামলা (Lashkar E Taiba) ছাড়াও কাশ্মীরে ভারতীয় সেনা ও নিরীহ নাগরিকের ওপর একাধিক হামলার নেপথ্যে মাস্টারমাইন্ড ছিলেন কাতাল। যার সর্বশেষ উদাহরণ গত বছর রিয়াসিতে হিন্দু পুণ্যার্থীদের ওপর হামলা। এর আগে ২০২৩ সালের জানুয়ারি মাসে রাজৌরিতে আমজনতাকে টার্গেট করে হামলা চালায় লস্কর জঙ্গিরা। সেই হামলায় মৃত্যু হয় ন’জনের। এই রাজৌরি হামলার ঘটনায় এনআইএর চার্জশিটেও নাম ছিল কাতালের। এহেন কাতাল একাধিক সন্ত্রাসবাদী কার্যকলাপের সঙ্গেও যুক্ত ছিলেন। অজ্ঞাত পরিচয় কয়েকজন দুষ্কৃতী গুলি করে খুন করে তাঁকে। সেই ঘটনার রেশ মিলিয়ে যাওয়ার আগেই ফের খুন জঙ্গি নেতা। এবং সেই পাকিস্তানের মাটিতেই।

    আবদুলের খুনের ঘটনার একটি ভিডিও ভাইরাল হয়েছে। সেখানে দেখা যাচ্ছে, ইদের সকালে এলাকার একটি দোকানের সামনে দাঁড়িয়ে ছিলেন আবদুল। সেই সময় বাইকে করে তাঁর সামনে চলে আসেন দুজন। আবদুলকে লক্ষ্য করে এলোপাথাড়ি গুলি চালায় তারা (Lashkar E Taiba)। আবদুল মাটিতে লুটিয়ে পড়তেই বাইকে করে চম্পট দেয় দুষ্কৃতীরা। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় এই জঙ্গিনেতার (Pakistan)।

  • Operation Brahma: ভূকম্প-বিধ্বস্ত মায়ানমারে ভারতের ‘অপারেশন ব্রহ্মা’, তৈরি অস্থায়ী হাসপাতাল, পৌঁছেছে ১৪০ টন ত্রাণ

    Operation Brahma: ভূকম্প-বিধ্বস্ত মায়ানমারে ভারতের ‘অপারেশন ব্রহ্মা’, তৈরি অস্থায়ী হাসপাতাল, পৌঁছেছে ১৪০ টন ত্রাণ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দুর্দিনে প্রতিবেশীর পাশে দাঁড়ানোই রীতি ভারতের। ভূমিকম্পে বিধ্বস্ত পড়শি রাষ্ট্র মায়ানমারে (Myanmar Earthquake) ত্রাণ এবং উদ্ধারকাজের জন্য ইতিমধ্যেই বিশেষ অভিযান শুরু করেছে ভারত। নাম দেওয়া হয়েছে ‘অপারেশন ব্রহ্মা’ (Operation Brahma)। ত্রাণসামগ্রী নিয়ে আন্দামান থেকে মায়ানমারের উদ্দেশে পাঠানো হয়েছে ভারতীয় নৌসেনার দু’টি জাহাজকে। জরুরি পরিস্থিতির জন্য ভারতীয় সেনার বিশেষ অস্থায়ী হাসপাতাল (ফিল্‌ড হসপিটাল)-ও পাঠানো হচ্ছে। ওই অস্থায়ী হাসপাতালে ভূমিকম্পে আহতদের জরুরি চিকিৎসা পরিষেবা দেওয়ার জন্য গিয়েছে চিকিৎসক এবং স্বাস্থ্যকর্মী-সহ ১১৮ জনের একটি দল। এখনও পর্যন্ত ভারত পাঁচটি বিমান এবং চারটি জাহাজের মাধ্যমে ১৪০ টনেরও বেশি ত্রাণ সামগ্রী মায়ানমারে পাঠিয়েছে। প্রতিবেশীর চরম বিপদের দিনে ভারত সরকারের এই মানবিক সাহায্যের উদ্যোগ বিশ্বের নজর কেড়েছে।

    ভারতীয় নৌসেনার প্রচেষ্টা

    ৭.৭ মাত্রার ভূমিকম্পে কার্যত ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে মায়ানমার (Myanmar Earthquake)। প্রতিবেশীর চরম বিপদের দিনে তাকে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছে ভারত। প্রতিবেশীর পাশে থাকার বার্তা দিয়ে ইতিমধ্যেই মায়ানমারের সেনাপ্রধানের সঙ্গে ফোনে কথা বলেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। নৌসেনার জাহাজ আইএনএস সাতপুরা এবং আইএনএস সাবিত্রীর সোমবারের মধ্যে ইয়াঙ্গনে পৌঁছে যাওয়ার কথা। শনিবার ভোরেই ১০ টন ত্রাণ নিয়ে প্রথম জাহাজটি রওনা দিয়েছে মায়ানমারের উদ্দেশে। পরে আরও ৩০ টন ত্রাণ নিয়ে দ্বিতীয় জাহাজটি রওনা দেয় শনিবার বিকেলে। দু’টি জাহাজ মিলিয়ে ৪০ টন ত্রাণ পাঠানো হচ্ছে ভারত থেকে। এ ছাড়া আন্দামান-নিকোবর কমান্ডের অন্তর্গত শ্রীবিজয়পুরম থেকে নৌসেনার আরও দু’টি জাহাজ আইএনএস কারমুক এবং এলসিইউ ৫২ রওনা হয়েছে। মোট ৫০ টন ত্রাণ সামগ্রী ইয়াঙ্গনে পৌঁছানোর জন্য পাঠানো হয়েছে। এগুলোর মধ্যে রয়েছে তাঁবু, কম্বল, স্লিপিং ব্যাগ, খাবারের প্যাকেট, হেলথ কিট, জেনারেটর ও প্রয়োজনীয় ওষুধ।

    ভারতীয় সেনাবাহিনীর প্রচেষ্টা

    সক্রিয় সাহায্য করছে ভারতীয় সেনাও। শত্রুজিত ব্রিগেডের মেডিক্যাল রেসপন্ডারদের ১১৮ সদস্যের একটি দল, লেফটেন্যান্ট কর্নেল জগনীত গিলের নেতৃত্বে, আক্রান্ত জনগণের চিকিৎসা শুরু করেছে। আর্মির এয়ারবোর্ন এঞ্জেল্স টাস্ক ফোর্স দুর্যোগ প্রভাবিত অঞ্চলে উন্নত চিকিৎসা ও সার্জিক্যাল সেবা দেওয়ার জন্য প্রস্তুত। সেনাবাহিনী একটি ৬০ শয্যার মেডিক্যাল ট্রিটমেন্ট সেন্টার স্থাপন করেছে যাতে আহতদের জরুরি চিকিৎসা প্রদান করা হচ্ছে। ৩০ মার্চ, প্রথম ত্রাণ ও উদ্ধার দলটি ১০ জন কর্মীসহ মায়ানমারের মান্দালে আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছায়। দলটি মাঠ হাসপাতাল স্থাপনের জন্য জায়গা নির্বাচনের রেকি শুরু করেছে এবং বর্তমানে অপারেশন এলাকার পূর্বপ্রস্তুতির কাজ করছে। জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীর ৮০ জন সদস্যের দলের সঙ্গে পাঠানো হয়েছে উদ্ধার অভিযানের জন্য প্রয়োজনীয় অত্যাধুনিক যন্ত্রপাতি। কংক্রিট কাটার যন্ত্র, ড্রিল করার যন্ত্রের সঙ্গে পাঠানো হয়েছে উদ্ধার অভিযানের জন্য প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত সারমেয় দলও (কে৯ স্কোয়াড)। ধ্বংসস্তূপের নীচে আটকে থাকা মানুষদের উদ্ধারের জন্য মায়ানমারের স্থানীয় প্রশাসনকে সাহায্য করে জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীর এই দল। এছাড়াও অপারেশন ব্রহ্মায় (Operation Brahma) অংশ নিতে ভারতীয় সেনাবাহিনীর ৬০টি প্যারা ফিল্ড অ্যাম্বুলেন্স মায়ানমারের উদ্দেশে রওনা হওয়ার জন্য প্রস্তুত হচ্ছে। এরই সঙ্গে সেনার একটি বিশেষ মেডিক্যাল টাস্কফোর্সও মায়ানমারে যাচ্ছে।

    ভারতীয় বায়ুসেনার প্রচেষ্টা

    ভারতীয় বায়ুসেনা এই ভূমিকম্প দুর্গতদের সহায়তার জন্য একযোগে কাজ করছে। উইং কমান্ডার জয়দীপ সিং বলেন, “মায়ানমারের জনগণের সঙ্গে সংহতি জানিয়ে ভারতীয় বায়ুসেনা নিরলসভাবে ‘অপারেশন ব্রহ্মা’ এ কাজ করছে। কিছু ঘণ্টার মধ্যেই ভারতীয় বায়ুসেনা তাদের বিমানগুলোকে উদ্ধার কার্যক্রমে নিয়োজিত করেছে। এখনও পর্যন্ত, ৯৬.৩ টন জরুরি সরঞ্জাম এবং ১৯৮ জন সেনা চিকিৎসক ও এনডিআরএফ কর্মীকে তিনটি সি-১৩০জি এবং দুটি সি-১৭ বিমান ব্যবহার করে আকাশপথে পাঠানো হয়েছে।

    সক্রিয় ভারতীয় দূতাবাস

    ভূমিকম্পের জেরে মায়ানমারে (Myanmar Earthquake) এখনও পর্যন্ত অন্তত ১৬৪৪ জনের মৃত্যুর খবর সামনে এসেছে। ভূমিকম্পে প্রধান সেতু ও সড়কসহ গুরুত্বপূর্ণ অবকাঠামো ধ্বংস হয়ে গেছে, ফলে উদ্ধার ও ত্রাণ সরবরাহকারীদের পক্ষে ক্ষতিগ্রস্থ এলাকায় পৌঁছানো কঠিন হয়ে পড়েছে। এদিকে ইয়াঙ্গন-নেপিডো-মন্দালয় এক্সপ্রেসওয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় পরিষেবা বিঘ্নিত হয়েছে। ভারতের বিদেশমন্ত্রকের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল এক্স হ্যান্ডেলে জানান, ভয়ংকর ভূমিকম্পের পর মায়ানমারকে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছে ভারত শুরু করেছে অপারেশন ব্রহ্মা (Operation Brahma)। মায়ানমারে থাকা ভারতের রাষ্ট্রদূত নিজে ত্রাণ হস্তান্তরের বিষয়টি দেখছেন। মায়ানমার প্রশাসনের সঙ্গে সমন্বয় রেখে কাজ করা হচ্ছে। অন্যদিকে, মায়ানমারের ভারতীয় দূতাবাসের তরফে জানানো হয়েছে, ‘আমরা মায়ানমারের প্রশাসনের সঙ্গে সমন্বয় রেখে কাজ করছি। মায়ানমারে থাকা ভারতীয়দের সঙ্গেও যোগাযোগ রাখা হচ্ছে। এখনও পর্যন্ত এই দুর্ঘটনায় কোনও ভারতীয়র হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি। আমাদের তরফ থেকে ভারতীয় নাগরিকদের জন্য একটি ফোন নম্বর প্রকাশ করা হয়েছে। যা হল, +৯৫-৯৫৪১৯৬০২।’

  • US F1 Visa: মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে কয়েকশো এফ-১ ভিসা বাতিল, উদ্বেগে ভারতীয় পড়ুয়ারা

    US F1 Visa: মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে কয়েকশো এফ-১ ভিসা বাতিল, উদ্বেগে ভারতীয় পড়ুয়ারা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কয়েকশো আন্তর্জাতিক পড়ুয়ার ভিসা বাতিল করার নোটিশে আতঙ্ক ছড়িয়েছে মার্তিন যুক্তরাষ্ট্রে। জানা গিয়েছে, কয়েকসো ছাত্র-ছাত্রীর এফ-১ ভিসা (US F1 visa) বাতিল হয়েছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে। এর ফলে সে দেশে পড়ুয়াদের মধ্যে ছড়িয়েছে আতঙ্ক। যার মধ্যে অনেক ভারতীয় পড়ুয়াও রয়েছে। প্রসঙ্গত এফ-১ স্টুডেন্ট ভিসা বাতিলের কারণ হিসেবে জানা যাচ্ছে, যে সমস্ত পড়ুয়া সমাজ মাধ্যমে দেশবিরোধী পোস্টে লাইক করেছেন, কমেন্ট করেছেন অথবা শেয়ার করেছেন, তাঁদেরকেই এই পর্যায়ে ফেলা হয়েছে।

    মত প্রকাশের স্বাধীনতা নিয়ে উঠছে প্রশ্ন (US F1 visa)

    এখানেই অনেকে প্রশ্ন তুলেছেন যে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের এর পরে আন্তর্জাতিক পড়ুয়ারা কীভাবে নিজেদের মত প্রকাশের স্বাধীনতা পাবেন? এই আবহে তাঁরা(পড়ুয়ারা) নিজেদের দাবি-দাওয়া নিয়ে নিউইয়র্কে ম্যানহাটন ফেডারেল আদালতে দারস্ত হয়েছেন। ইতিমধ্যে একাধিক ভারতীয় সংবাদমাধ্যমে যে খবর প্রকাশিত হয়েছে তাতে জানা যাচ্ছে যে সমস্ত পড়ুয়াদের ভিসা বাতিল করা হয়েছে, তাঁদের মধ্যে অনেক ভারতীয়রা (US F1 visa) রয়েছেন। সে দেশে নিযুক্ত ভারতীয় কূটনীতিকরা এই বিষয়টি দেখভাল করছেন।

    ১১ লাখ আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীর মধ্যে ৩ লাখ ৩১ হাজার ভারতীয়

    ওপেন ডোর্স নামের প্রকাশিত একটি রিপোর্টে দেখা যাচ্ছে, ২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ১১ লাখ আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীর মধ্যে ৩ লাখ ৩১ হাজার ভারতীয়। এবার আমরা জেনে নেব এফ-১ ভিসা কী? এটি এক ধরনের ভিসা যা আন্তর্জাতিক পড়ুয়াদের যে কোনও প্রতিষ্ঠানে পড়াশোনার উদ্দেশ্যে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বসবাসের (F1 Visa) জন্য দেওয়া হয়। সাধারণভাবে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের যেকোনও বিশ্ববিদ্যালয়, কলেজ, স্কুল, সেমিনার বা অনুমোদিত ভাষা প্রশিক্ষণ প্রোগ্রাম- এই জায়গাগুলোতে দেওয়া হয় এই ভিসা। এক্ষেত্রে আবেদনকারীকে অবশ্যই নিজেদের (US F1 visa) যোগ্যতা মান পূরণ করতে হয়। ইংরেজি বিষয়ে নিজেদের দক্ষতার প্রমাণ দেখাতে হয়। এই আবহে এফ-১ ভিসা বাতিলের নোটিশ আসায় বেশ উদ্বেগে পড়েছেন ভারতীয় পড়ুয়ারা।

  • Nepal: হিন্দু রাষ্ট্রের দাবিতে বিক্ষোভের ঘটনায় নেপালে গ্রেফতার ৫১ নেতা, জরিমানা প্রাক্তন রাজাকে

    Nepal: হিন্দু রাষ্ট্রের দাবিতে বিক্ষোভের ঘটনায় নেপালে গ্রেফতার ৫১ নেতা, জরিমানা প্রাক্তন রাজাকে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: হিন্দু রাষ্ট্রের দাবিতে উত্তাল নেপাল (Nepal)। শুক্রবারই সেদেশে উত্তেজনা ছড়ায়। সংঘর্ষে মৃত্যু হয় ২ জনের। নেপালের জনপ্রিয় সংবাদমাধ্যম কাঠমান্ডু পোস্টে (Nepal Crackdowns) প্রকাশিত প্রতিবেদন অনুযায়ী, শুক্রবারের বিক্ষোভে নেতৃত্ব দেওয়ার জন্য নেপাল পুলিশ ৫১ জনকে গ্রেফতার করেছে। যার মধ্যে রয়েছেন জাতীয় প্রজাতন্ত্র পার্টির সহ সভাপতি রবীন্দ্র মিশ্র, সাধারণ সম্পাদক ধাওয়াল সমশের রানা, স্বাগত নেপাল, শেফার্ড লিম্বু এবং সন্তোষ তামাংয়ের মতো নেতারা। জানা গিয়েছে, কাঠমান্ডুর বেশ কিছু অংশে বর্তমানে কারফিউ তুলে নেওয়া হয়েছে। একই সঙ্গে বিক্ষোভে উস্কানি দেওয়ার সন্দেহে প্রাক্তন রাজা জ্ঞানেন্দ্রকে (Nepal) জরিমানা চেয়ে চিঠিও দেওয়া হয়েছে বলে খবর।

    গৃহবন্দী আন্দোলনের কনভেনার নওরাজ সুবেদী

    ওই প্রতিবেদনে আরও লেখা হয়েছে, আন্দোলনের কনভেনার নওরাজ সুবেদীকে বর্তমানে গৃহবন্দী করা হয়েছে। এরপাশাপাশি নেপালের নিরাপত্তা সংস্থাগুলি দুর্গা প্রসাইক নামের এক নেতাকে খুঁজছেন। এনিয়ে নেপালের একজন উচ্চপদস্থ সরকারি কর্মচারী কাঠমান্ডু পোস্টকে (Nepal) জানিয়েছেন জানিয়েছে, দুর্গা প্রসাইকের মোবাইল ফোন বন্ধ রয়েছে এবং তাঁকে খুঁজে বের করার চেষ্টা করছি।

    হিন্দুরাষ্ট্রের তকমা ফেরানো দাবিতে মিছিল

    জানা গিয়েছে, গণতন্ত্রের পরিবর্তে রাজতন্ত্র এবং হিন্দুরাষ্ট্রের তকমা ফেরানোর দাবিতে শুক্রবার মিছিলের ডাক দেওয়া হয়েছিল। আন্দোলনের পুরোভাগে ছিলেন রাজতন্ত্রের সমর্থক রাষ্ট্রীয় প্রজাতন্ত্র পার্টি এবং আরও কয়েকটি দলের নেতারা। মিছিল শেষে রাজধানী কাঠমাণ্ডুতে শুরু হয় বিক্ষোভ প্রদর্শন। সেই বিক্ষোভ দমন করতে গিয়েই খণ্ডযুদ্ধ বাঁধে জনতা ও নিরাপত্তারক্ষীদের মধ্যে। সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধ হয়ে মৃত্যু হয় একজনের। তাঁর নাম সাবিন মহার্জন। অগ্নিদগ্ধ হয়ে মৃত্যু হয় এক সাংবাদিকেরও। জখম হয়েছেন অন্তত ৩০ জন। তাঁদের মধ্যে অধিকাংশই নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্য। দেশে অশান্তির এই আবহে জরুরি ভিত্তিতে মন্ত্রিসভার বৈঠকের ডাক দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী কেপি শর্মা ওলি। তলব করা হয়েছে সেনাকে। জারি করা হয়েছে কারফিউও। এদিন আন্দোলনকারীরা টিংকুনের একটি রাস্তার পাশের ভবনে ভাঙচুর করে আগুন লাগিয়ে দেয়। ভেঙে ফেলার চেষ্টা করে পুলিশের তৈরি ব্যারিকেডও।

  • Donald Trump: “মোদি আমার মহান বন্ধু, অত্যন্ত বুদ্ধিমান”, বললেন ডোনাল্ড ট্রাম্প

    Donald Trump: “মোদি আমার মহান বন্ধু, অত্যন্ত বুদ্ধিমান”, বললেন ডোনাল্ড ট্রাম্প

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi) আমার মহান বন্ধু। তিনি অত্যন্ত বুদ্ধিমান।” কথাগুলি যিনি বললেন তিনি মোদির কোনও স্তাবক নন, বিজেপির কোনও নেতা-মন্ত্রীও নন, সাধারণ মানুষ তো ননই। শুক্রবার ভারতের প্রধানমন্ত্রীর সম্পর্কে এমন মন্তব্যই করলেন খোদ মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প (Donald Trump)। হোয়াইট হাউসে সাংবাদিক বৈঠকে ট্রাম্পের গলায় শোনা গেল মোদি-স্তুতি। এই বৈঠকেই তিনি ভারতের উচ্চ শুল্ক নীতির প্রতি তাঁর অবস্থানও পুনর্ব্যক্ত করেন।

    ‘তোমাদের একজন মহান প্রধানমন্ত্রী আছেন’ (Donald Trump)

    ৪৭তম মার্কিন প্রেসিডেন্ট বলেন, “প্রধানমন্ত্রী মোদী সম্প্রতি এখানে এসেছিলেন, এবং আমরা সবসময় খুব ভালো বন্ধু। ভারত বিশ্বের সর্বোচ্চ শুল্ক আদায়কারী দেশগুলির মধ্যে একটি। তারা খুব স্মার্ট। তিনি একজন অত্যন্ত বুদ্ধিমান মানুষ এবং আমার একজন মহান বন্ধু। আমাদের মধ্যে খুব ভালো আলোচনা হয়েছে। আমি মনে করি ভারত ও আমাদের দেশের মধ্যে সম্পর্ক খুব ভালোভাবেই গড়ে উঠবে। আমি বলতে চাই, তোমাদের একজন মহান প্রধানমন্ত্রী আছেন।”

    ‘শুল্ক রাজা’

    প্রসঙ্গত, ২ এপ্রিল থেকে আমেরিকা ভারত-সহ বেশ কয়েকটি দেশের ওপর পারস্পরিক শুল্ক বাস্তবায়নের প্রস্তুতি নিচ্ছে। ট্রাম্প ধারাবাহিকভাবে ভারতের বাণিজ্য নীতির সমালোচনা করেছেন। তিনি একে ‘শুল্ক রাজা’ বলে আখ্যায়িত করেছেন। ভারতের আমদানি শুল্ককে ‘অত্যন্ত অন্যায্য ও কঠিন’ বলে বর্ণনা করেছেন। এর আগে একটি বিবৃতিতে ট্রাম্প (Donald Trump) বলেছিলেন, “ভারতের সঙ্গে আমার খুব ভালো সম্পর্ক আছে। ভারত সম্পর্কে আমার একমাত্র সমস্যা হল তারা বিশ্বের অন্যতম উচ্চ শুল্ক আরোপকারী দেশ। আমি মনে করি, তারা সম্ভবত এই শুল্কগুলি যথেষ্ট পরিমাণে কমিয়ে দেবে। কিন্তু ২ এপ্রিল থেকে আমরা তাদের ওপর সেই একই শুল্ক আরোপ করব, যা তারা আমাদের ওপর আরোপ করে।”

    এ প্রসঙ্গে ভারতের বিদেশ প্রতিমন্ত্রী কীর্তি বর্ধন সিং বলেন, “১২-১৩ ফেব্রুয়ারি প্রধানমন্ত্রী মোদীর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সফরের সময় ভারত ও আমেরিকা দুই দেশই দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য সম্পর্ককে গভীরতর করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে, যা ন্যায্যতা, জাতীয় নিরাপত্তা এবং কর্মসংস্থান সৃষ্টি নিশ্চিত করে।” তিনি বলেন, “প্রধানমন্ত্রী মোদী এবং মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প একটি নতুন দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য লক্ষ্য নির্ধারণ করেছেন – ‘মিশন ৫০০’ – যার লক্ষ্য ২০৩০ সালের মধ্যে পণ্য ও সেবার দ্বিমুখী বাণিজ্যের পরিমাণ ৫০০ বিলিয়ন ডলারে উন্নীত করা… উভয় পক্ষ ২০২৫ সালের শরৎকালের মধ্যে একটি পারস্পরিকভাবে উপকারী, বহু-ক্ষেত্রীয় দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য চুক্তির (বিটিএ) প্রথম কিস্তি নিয়ে আলোচনা করার পরিকল্পনার কথা ঘোষণা করেছেন।”

    কীর্তি বলেন, “দুই সরকারই এই আলোচনাগুলি এগিয়ে নেওয়ার প্রক্রিয়ায় আছে এবং বিটিএ-র জন্য একটি কাঠামো (PM Modi) গড়ে তুলতে সক্রিয়ভাবে কাজ করছে। এর লক্ষ্য হল পণ্য ও সেবা খাতে বাণিজ্য সম্প্রসারণ করা, পাশাপাশি বাজার প্রবেশাধিকার বৃদ্ধি, শুল্ক ও অ-শুল্ক বাধা কমানো এবং সরবরাহ শৃঙ্খলের একীকরণকে গভীরতর করা (Donald Trump)।”

  • Nepal Unrest: হিন্দুরাষ্ট্রের দাবিতে উত্তাল নেপাল, সংঘর্ষের বলি ২, জারি কারফিউ

    Nepal Unrest: হিন্দুরাষ্ট্রের দাবিতে উত্তাল নেপাল, সংঘর্ষের বলি ২, জারি কারফিউ

    মাধ্যম নিউজ জেস্ক: হিন্দুরাষ্ট্রের দাবিতে উত্তাল নেপাল (Nepal Unrest)। বিক্ষোভের আগুনে পুড়ল ঘরবাড়ি। পুলিশের ব্যারিকেড ভাঙার চেষ্টা জনতার। অবস্থা আয়ত্তের বাইরে চলে যাওয়ায় বিক্ষোভকারীদের দিকে টিয়ার গ্যাস ও জলকামান ছোড়ে পুলিশ। তার পরেও নেভেনি অশান্তির আগুন। যার জেরে শূন্যে কয়েক রাউন্ড গুলি চালায় পুলিশ। পুলিশ-জনতার সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধ হয়ে মৃত্যু হয়েছে একজন সাংবাদিক-সহ দুজনের। জখম হয়েছেন কমপক্ষে ৩০ জন। কাঠমান্ডু পোস্টের প্রতিবেদন অনুযায়ী, আহতদের মধ্যে কয়েকজনকে টিংকুনের কান্তিপুর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

    নেপালে রাজতন্ত্র (Nepal Unrest)

    হিমালয়ের কোলে অবস্থিত ছোট্ট দেশ নেপাল। এক সময় দেশটিতে ছিল রাজতন্ত্র। বিশ্বে একমাত্র হিন্দু রাষ্ট্র হিসেবেও পরিচিত ছিল দেশটি। ২০০৮ সালে রাজতন্ত্রের অবসান ঘটে। ঘুচে যায় হিন্দু রাষ্ট্রের তকমাও। তার পর থেকে মাঝে মধ্যেই রাজতন্ত্র ও হিন্দুরাষ্ট্রের দাবিতে সরব হয়েছেন নেপালের নাগরিকরা। শুক্রবার সেই আন্দোলনই ব্যাপক আকার ধারণ করে। যার বলি হলেন দুজন।

    হিন্দুরাষ্ট্রের তকমা ফেরানো দাবিতে মিছিল

    জানা গিয়েছে, গণতন্ত্রের পরিবর্তে রাজতন্ত্র এবং হিন্দুরাষ্ট্রের তকমা ফেরানোর দাবিতে শুক্রবার মিছিলের ডাক দেওয়া হয়েছিল। আন্দোলনের পুরোভাগে ছিলেন রাজতন্ত্রের সমর্থক রাষ্ট্রীয় প্রজাতন্ত্র পার্টি এবং আরও কয়েকটি দলের নেতারা। মিছিল শেষে রাজধানী কাঠমাণ্ডুতে শুরু হয় বিক্ষোভ প্রদর্শন। সেই বিক্ষোভ দমন করতে গিয়েই খণ্ডযুদ্ধ বাঁধে জনতা ও নিরাপত্তারক্ষীদের মধ্যে। সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধ হয়ে মৃত্যু হয় একজনের। তাঁর নাম সাবিন মহার্জন। অগ্নিদগ্ধ হয়ে মৃত্যু হয় এক সাংবাদিকেরও। জখম হয়েছেন অন্তত ৩০ জন। তাঁদের মধ্যে অধিকাংশই নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্য। দেশে অশান্তির এই আবহে জরুরি ভিত্তিতে মন্ত্রিসভার বৈঠকের ডাক দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী কেপি শর্মা ওলি। তলব করা হয়েছে সেনাকে। জারি করা হয়েছে কারফিউও। এদিন আন্দোলনকারীরা টিংকুনের একটি রাস্তার পাশের ভবনে ভাঙচুর করে আগুন লাগিয়ে দেয়। ভেঙে ফেলার চেষ্টা করে পুলিশের তৈরি ব্যারিকেডও।

    জনতা-পুলিশ সংঘর্ষ

    তার জেরেই বেঁধে যায় জনতা-পুলিশ সংঘর্ষ। নিরাপত্তারক্ষীদের লক্ষ্য করে ইটপাটকেল ছোড়ে জনতা। বিক্ষোভ দমনে ফাটানো হয় টিয়ার গ্যাসের শেল। ব্যবহার করা হয় জলকামান। তার পরেও আন্দোলনকারীদের দমন করতে না পেরে গুলি চালায় পুলিশ। গুলিবিদ্ধ হয়ে মৃত্যু হয় একজনের। অশান্তি এড়াতে কাঠমাণ্ডুজুড়ে মোতায়েন করা হয় বিশাল পুলিশ বাহিনী। নিউ বাণেশ্বর এলাকায় যাওয়ার পথে বহু তরুণকে আটক করে পুলিশ (Nepal Unrest)।

    মিছিলে যোগী আদিত্যনাথের ছবিও

    এদিন আন্দোলনকারীরা স্লোগান দেন ‘নেপাল সরকার দুর্নীতিগ্রস্ত’, ‘দেশে রাজতন্ত্র ফিরে আসুক’। এই দাবিতে টিংকুনে এলাকায় পথে নামেন হাজার হাজার রাজতন্ত্র সমর্থক। নেপালের জাতীয় পতাকা ও দেশের প্রাক্তন রাজা জ্ঞানেন্দ্র শাহের ছবি হাতে ‘রাজা আসুন, দেশ বাঁচান’, ‘আমরা রাজতন্ত্র ফিরিয়ে আনতে চাই’ – স্লোগান দিতে থাকেন আন্দোলনকারীরা। মিছিলে জ্ঞানেন্দ্রর পাশাপাশি ভারতের উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথের ছবিও তুলে ধরেছিলেন অনেকে। জেলা কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, রাত দশটা পর্যন্ত কারফিউ জারি থাকবে। এই সময় কয়েকটি এলাকায় কাউকে রাস্তায় বেরতে দেওয়া হবে না। সূত্রের খবর, কারফিউয়ের সময়সীমা বাড়িয়ে করা হয়েছিল শনিবার সকাল সাতটা পর্যন্ত। পরে তা প্রত্যাহার করা হয়। শুক্রবার অশান্তির পর থেকে এ পর্যন্ত গ্রেফতার করা হয়েছে ১০০ জনকে (Nepal Unrest)।

    রাজতন্ত্রের অবসান

    ২০০৮ সালে সংসদীয় ঘোষণার মাধ্যমে অবসান ঘটে নেপালের ২৪০ বছরের পুরানো রাজতন্ত্রের। হিন্দু রাষ্ট্র নেপাল পরিণত হয় ধর্মনিরপেক্ষ, যুক্তরাষ্ট্রীয় এবং গণতান্ত্রিক প্রজাতন্ত্রে। এর ঠিক সতের বছর পর গত ১৯ ফেব্রুয়ারি নেপালের গণতান্ত্রিক দিবসে প্রাক্তন রাজা জ্ঞানেন্দ্র শাহ একটি ভিডিও বার্তা দেন। নেপালে রাজতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠার জন্য আবেদন জানান জনগণের কাছে। তার পরেই তৎপর হয়ে ওঠে রাজতন্ত্রের সমর্থক দলগুলি। গত ৯ মার্চ জ্ঞানেন্দ্রর সমর্থনে বিশাল মিছিল হয় নেপালে।জানা গিয়েছে, এদিনের এই প্রতিবাদ নেতৃত্বে ছিল নাওয়ারাজ সুবেদীর নেতৃত্বাধীন যৌথ আন্দোলন কমিটি। এছাড়াও, রাজেন্দ্র লিংডেনের নেতৃত্বাধীন রাজতন্ত্রপন্থী রাষ্ট্রীয় প্রজাতান্ত্রিক দল (আরপিপি)-ও এই আন্দোলনকে প্রকাশ্যে সমর্থন করে, যা ব্যাপকভাবে রাজতন্ত্রপন্থী দাবিগুলির সঙ্গে সহমত পোষণ করে। গত কয়েক মাসে নেপালের প্রাক্তন রাজা জ্ঞানেন্দ্রর প্রতি সমর্থন বেড়েছে। ওয়াকিবহাল মহলের মতে, সেই কারণেই এদিন ব্যাপক অশান্তি হয় নেপালে।

    এদিকে, দেশের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী তথা কমিউনিস্ট পার্টি অফ নেপাল (মাওবাদী সেন্টার)-এর প্রধান পুষ্পকমল দহল ওরফে প্রচণ্ডর হুঁশিয়ারি, রাজতন্ত্রের বাহিনীরা যেন স্বাধীনচেতা নেপালবাসী ও দেশের রাজনৈতিক দলগুলিকে দুর্বল না ভাবে। রাজা জ্ঞানেন্দ্র শাহ যেন ফের একই ভুল না করেন (Nepal Unrest)।

  • Myanmar Earthquake: মৃত্যু ১০০০ পার! ত্রাণ নিয়ে ভারতীয় বিমান পৌঁছল ভূমিকম্প-বিধ্বস্ত মায়ানমারে, যাচ্ছে আরও দুই

    Myanmar Earthquake: মৃত্যু ১০০০ পার! ত্রাণ নিয়ে ভারতীয় বিমান পৌঁছল ভূমিকম্প-বিধ্বস্ত মায়ানমারে, যাচ্ছে আরও দুই

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভূমিকম্পে বিধ্বস্ত মায়ানমারে (Myanmar Earthquake) সবার প্রথম সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিল ভারত। ভারতীয় বায়ুসেনার সি-১৩০জে পণ্যবাহী বিমান ইতিমধ্যেই ইয়াঙ্গন পৌঁছে গিয়েছে। মায়ানমারের ভারতীয় দূতাবাস সেই ত্রাণসামগ্রী দ্রুত ভূমিকম্প বিধ্বস্ত অঞ্চলে পাঠানোর ব্যবস্থা করছে। বিমানে ১৫ টন ত্রাণ সামগ্রী পাঠানো হয়েছে বলে জানিয়েছেন বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি, আগেই জানিয়েছিলেন বিধ্বস্ত মায়ানমারে সবরকম সাহায্যের জন্য প্রস্তুত ভারত। তাইল্যান্ডেরও পাশে রয়েছে ভারত, বলে জানান মোদি।

    ভারতের ত্রাণ সামগ্রী পৌঁছল মায়ানমারে

    মায়ানমারের ভূমিকম্পে সবথেকে প্রথমে ত্রাণসাহায্য নিয়ে ভারতীয় বায়ুসেনার পণ্যবাহী বিমান সি-১৩০জে ইয়াঙ্গন (সাবেক রেঙ্গুন) শনিবারই পৌঁছে গিয়েছে। এই অভিযানের নাম দেওয়া হয়েছে ‘অপারেশন ব্রহ্মা’ (Operation Brahma)। ভারতের বিদেশ মন্ত্রকের তরফে জানানো হয়েছে, এই বিমানে ১৫ টন ওজনের ত্রাণসামগ্রী পাঠানো হয়েছে সেদেশে। এই ত্রাণ সামগ্রীর মধ্যে রয়েছে সৌর ল্যাম্প, খাদ্য সামগ্রী, রান্নাঘরের সেট, তাঁবু, স্লিপিং ব্যাগ, কম্বল, রেডি-টু-ইট মিল, জল পরিশোধক, হেলথ কিট, জেনারেটর এবং অত্যাবশ্যক ওষুধ। ওষুধের মধ্যে রয়েছে প্যারাসিটামল, অ্যান্টিবায়োটিক, ক্যনুলা, সিরিঞ্জ, গ্লাভস, তুলো ব্যান্ডেজ এবং ইউরিন ব্যাগ। এই ত্রাণসামগ্রীর সঙ্গে গিয়েছে চিকিৎসক ও উদ্ধারকারী দল। উত্তরপ্রদেশের হিন্ডন বায়ুসেনা স্টেশন থেকে ভারতীয় বায়ুসেনার আরও দুটি সি-১৩০জে বিমান শীঘ্রই ত্রাণ সামগ্রী নিয়ে মায়ানমার রওনা দিচ্ছে।

    বিপর্যস্ত মায়ানমার

    শুক্রবার সকাল থেকে পর পর ১৫ বার কেঁপেছে ভারতের পূর্ব দিকের প্রতিবেশী দেশটির মাটি। রিখটার স্কেলে প্রথম কম্পনের মাত্রা ছিল ৭.৭। তার পরে ১০ ঘণ্টার মধ্যে ১৪টি ‘আফটারশক’ (ভূমিকম্পের পরবর্তী কম্পন) অনুভূত হয়েছে। ভূমিকম্প তছনছ করে দিয়েছে বিস্তীর্ণ এলাকা। ৭.৭ মাত্রার ভূমিকম্পের পরে কয়েক মিনিটের মধ্যেই সবচেয়ে শক্তিশালী ‘আফটারশক’টি হয়। রিখটার স্কেলে তার মাত্রা ছিল ৬.৭। উভয়ক্ষেত্রেই কম্পনের উৎসস্থল ছিল মাটি থেকে ১০ কিলোমিটার গভীরে। এই দুই কম্পনে সবচেয়ে বেশি ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে। এর পর বাকি ‘আফটারশক’গুলি আতঙ্ক আরও বাড়িয়ে দিয়েছে। ন্যাশনাল সেন্টার ফর সিসমোলজি জানিয়েছে, শুক্রবার রাত ১১.৫৬ মিনিটেও এক বার ভূমিকম্প হয়েছে মায়ানমারে। তার তীব্রতা ছিল ৪.২। ‘আফটারশক’গুলি উদ্ধারকাজকে আরও কঠিন করে তুলেছে।

    রক্তের ব্যাপক চাহিদা

    মায়ানমারের (Myanmar Earthquake) সামরিক সরকার জানিয়েছে, সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত এলাকাগুলোতে রক্তের ব্যাপক চাহিদা রয়েছে। মান্দালয়ের রাস্তায় ফাটল ধরেছে। ক্ষতিগ্রস্ত মহাসড়কের পাশাপাশি একটি সেতু ও বাঁধ ধসে পড়েছে। মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে হাজারের বেশি। জখম ২০০০-এর বেশি। হতাহতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। মায়ানমারে (Myanmar) ক্ষমতাসীন জুন্টার তরফে শনিবার বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়েছে। ঘরছাড়া হয়ে পড়েছেন বহু মানুষ। কম্পনের জেরে কার্যত তছনছ হয়ে গিয়েছে একাধিক শহর। এখনও দেশের বিস্তীর্ণ অংশে উদ্ধারকাজ চলছে। ফলে মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।

    প্রতিবেশীর পাশে ভারত

    ভূমিকম্পের পরেই ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এক্স-এ (প্রাক্তন টুইটার) পোস্ট করে উদ্বেগপ্রকাশ করেন। তিনি লেখেন, ‘মায়ানমার ও তাইল্যান্ডের ভূমিকম্পের ঘটনায় আমি গভীরভাবে উদ্বিগ্ন। সকলের নিরাপত্তা ও সুস্থতা কামনা করছি। ভারত সবরকম সহায়তা দিতে প্রস্তুত। এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে প্রস্তুত থাকতে বলেছি এবং বিদেশ মন্ত্রককে মায়ানমার ও তাইল্যান্ড সরকারের সঙ্গে যোগাযোগ রাখতে নির্দেশ দিয়েছি।’ এই প্রসঙ্গে বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর জানিয়েছেন, সাধ্যমতো সমস্ত সাহায্য করবে ভারত। এ বিষয়ে তিনি বিদেশ মন্ত্রককে প্রয়োজনীয় নির্দেশও দিয়েছেন। শনিবার ভোরে উত্তরপ্রদেশের হিন্ডন বায়ুসেনা স্টেশন থেকে ভারতীয় বায়ুসেনার সি১৩০জে (Operation Brahma) বিমান মায়ানমারের উদ্দেশে রওনা দিয়েছে। তাতে অন্তত ১৫ টন ত্রাণসামগ্রী রয়েছে। ভূমিকম্প বিধ্বস্ত মায়ানমারে পাঠানো হয়েছে খাবার, কম্বল, তাঁবু, ঘুমানোর সামগ্রী (স্লিপিং ব্যাগ), সোলার ল্যাম্প, জল পরিশোধক এবং প্রয়োজনীয় ওষুধপত্র।

    ক্ষতিগ্রস্ত ব্যাংকক

    মায়ানমারের (Myanmar Earthquake) ভূমিকম্পে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে প্রতিবেশী তাইল্যান্ডও। সেখানকার রাজধানী শহর ব্যাংককে (Bangkok) নির্মীয়মাণ ৩০ তলা ভবন ভেঙে পড়েছে জোরালো কম্পনের ফলে। সেই ধ্বংসস্তূপের নীচে চাপা পড়ে অনেকের মৃত্যু হয়েছে। তাইল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী পাইতংতার্ন সিনাওয়াত্রা বলেছেন, নিরাপত্তার জন্য ব্যাংককের ‘প্রতিটি ভবন’ পরিদর্শন করা হবে। উল্লেখ্য, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi) আগামী এপ্রিলের প্রথম সপ্তাহেই তাইল্যান্ড যাবেন। ৪ এপ্রিল ব্যাঙ্ককে ষষ্ঠ বে অফ বেঙ্গল ইনিশিয়েটিভ ফর মাল্টি-সেক্টরাল টেকনিক্যাল অ্যান্ড ইকোনমিক কোঅপারেশন সামিট-এ (বিমস্টেক) শীর্ষ সম্মেলনে (BIMSTEC Summit) অংশগ্রহণ করবেন প্রধানমন্ত্রী।

    আন্তর্জাতিক স্তরে সাহায্যের আবেদন

    মায়ানমারের (Myanmar Earthquake) সামরিক জুন্টা প্রধান জেনারেল মিন অং হ্লাইং দাবি করেছেন, মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে। এই আবহে যে কোনও দেশের থেকেই তিনি সাহায্যের প্রার্থনা করেছেন। এই আবহে ভারতের পাশাপাশি ফ্রান্স এবং ইউরোপীয় ইউনিয়ন সহায়তার প্রস্তাব দিয়েছে। মায়ানমারকে সাহায্য করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পও। রাষ্ট্রসংঘ ইতিমধ্যেই ৫ মিলিয়ন ডলার বরাদ্দ করেছে। গৃহযুদ্ধে দীর্ণ মায়ানমারের বিস্তীর্ণ এলাকা জুন্টা সরকারের নিয়ন্ত্রণের বাইরে। সেই সমস্ত এলাকায় ভূমিকম্পের ফলে কেমন ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে, তা এখনও প্রকাশ্যে আসেনি বলেই মনে করা হচ্ছে। দেশের অন্তত ছ’টি প্রদেশে শুক্রবার জরুরি অবস্থা জারি করেছে জুন্টা সরকার।

  • PM Modi: তাইল্যান্ড ও শ্রীলঙ্কা সফরে যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী মোদি, কী কী কর্মসূচি রয়েছে?

    PM Modi: তাইল্যান্ড ও শ্রীলঙ্কা সফরে যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী মোদি, কী কী কর্মসূচি রয়েছে?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi) ৩ থেকে ৬ এপ্রিল পর্যন্ত তাইল্যান্ড ও শ্রীলঙ্কা সফর করবেন। এই সফরের একটি উল্লেখযোগ্য বিষয় হল, ৪ এপ্রিল ব্যাংককে ষষ্ঠ বে অফ বেঙ্গল ইনিশিয়েটিভ ফর মাল্টি-সেক্টরাল টেকনিক্যাল অ্যান্ড ইকোনমিক কোঅপারেশন সামিট-এ (বিমস্টেক) শীর্ষ সম্মেলনে (BIMSTEC Summit) অংশগ্রহণ করবেন প্রধানমন্ত্রী। সম্প্রতি ঘোষিত মহাসাগর নীতির অধীনে আঞ্চলিক সহযোগিতা বাড়ানোয় ভারতের লক্ষ্যের সঙ্গে সঙ্গতি রেখে এই সফর করা হচ্ছে। এই সামিট শেষে ৪ থেকে ৬ এপ্রিল পর্যন্ত তিনি শ্রীলঙ্কা সফর করবেন।

    বিদেশমন্ত্রকের বিবৃতি (PM Modi)

    অতীতে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ২০১৫, ২০১৭ এবং ২০১৯ সালে একদিনের সংক্ষিপ্ত, অথবা সর্বাধিক দু’দিনের শ্রীলঙ্কা সফর করেছিলেন। এবার তিনি যাবেন তিনদিনের সফরে। কলম্বোর বাইরে সম্ভাব্য বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে বলে জানা গিয়েছে। এর আগে, শ্রীলঙ্কার রাষ্ট্রপতি অনুরা কুমার দিশানায়েকে ভারতের প্রধানমন্ত্রীকে শ্রীলঙ্কা সফরের আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন। বিদেশমন্ত্রক জানিয়েছে, এটি হবে প্রধানমন্ত্রীর (PM Modi) তৃতীয় তাইল্যান্ড  সফর। বিদেশমন্ত্রকের তরফে জারি করা বিবৃতিতে বলা হয়েছে, “প্রধানমন্ত্রীর তাইল্যান্ড ও শ্রীলঙ্কা সফর এবং ৬ষ্ঠ বিমস্টেক শীর্ষ সম্মেলনে অংশগ্রহণ ভারতের ‘প্রথমে প্রতিবেশী’ নীতি, ‘অ্যাক্ট ইস্ট’ নীতি, ‘মহাসাগর’ দর্শন এবং ইন্দো-প্যাসিফিক দর্শনের প্রতিশ্রুতিকে পুনর্ব্যক্ত করবে।” ‘মহাসাগর’ বা “মিউচুয়াল অ্যান্ড হোলিস্টিক অ্যাডভান্সমেন্ট ফর সিকিউরিটি অ্যান্ড গ্রোথ অ্যাক্রস রিজিয়নস” দর্শন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি তাঁর মরিশাস সফরের সময়ই ঘোষণা করেছিলেন।

    বিমস্টেক শীর্ষ সম্মেলন

    বিমস্টেকের (BIMSTEC Summit) সদস্য দেশগুলি হল ভারত, শ্রীলঙ্কা, তাইল্যান্ড, বাংলাদেশ, মায়ানমার, নেপাল ও ভুটান। উল্লেখ্য, ২০১৮ সালে নেপালের কাঠমান্ডুতে অনুষ্ঠিত চতুর্থ বিমস্টেক শীর্ষ সম্মেলনের পর এটি হবে প্রথমবারের মতো বিমস্টেক নেতাদের মুখোমুখি বৈঠক। পঞ্চম (PM Modi) বিমস্টেক শীর্ষ সম্মেলন ভার্চুয়ালি অনুষ্ঠিত হয়েছিল ২২ মার্চ, শ্রীলঙ্কার কলম্বোয়। এই শীর্ষ সম্মেলনে নেতারা বিমস্টেক সহযোগিতাকে আরও গতিশীল করার উপায় নিয়ে আলোচনা করবেন বলে আশা করা হচ্ছে। বিদেশমন্ত্রকের তরফে জারি করা ওই বিবৃতিতে বলা হয়েছে, “নেতারা বিমস্টেক কাঠামোর মধ্যে সহযোগিতা বৃদ্ধির জন্য বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান ও সক্ষমতা নির্মাণের পদক্ষেপ নিয়েও আলোচনা করবেন বলে আশা করা হচ্ছে। ভারত বিমস্টেকে আঞ্চলিক সহযোগিতা ও অংশীদারিত্ব জোরদার করতে বিভিন্ন উদ্যোগ নিচ্ছে। এর মধ্যে রয়েছে নিরাপত্তা বৃদ্ধি, বাণিজ্য ও বিনিয়োগ সহজীকরণ, স্থল, সামুদ্রিক ও ডিজিটাল সংযোগ স্থাপন, খাদ্য, শক্তি, জলবায়ু ও মানব নিরাপত্তায় সহযোগিতা, সক্ষমতা বৃদ্ধি ও দক্ষতা উন্নয়নকে উৎসাহিত করা, এবং জনগণের মধ্যে সম্পর্ক বৃদ্ধি করা।” বিমস্টেক (BIMSTEC Summit) ছাড়াও প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ৩ এপ্রিল তাইল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী পেটোংটান শিনাওয়াত্রার সঙ্গে একটি বৈঠক করবেন। বিদেশমন্ত্রক জানিয়েছে যে, দুই প্রধানমন্ত্রী দ্বিপাক্ষিক সহযোগিতা পর্যালোচনা করবেন এবং ভবিষ্যতের অংশীদারিত্বের জন্য রূপরেখা তৈরি করবেন।

    প্রধানমন্ত্রী শ্রীলঙ্কা সফর করবেন

    তাইল্যান্ড সফর শেষ করে, প্রধানমন্ত্রী মোদি (PM Modi) ২০২৫ সালের ৪ থেকে ৬ এপ্রিল পর্যন্ত শ্রীলঙ্কায় রাষ্ট্রীয় সফরে যাবেন। শ্রীলঙ্কার রাষ্ট্রপতি অনুর কুমার দিসানায়ক প্রধানমন্ত্রীকে আমন্ত্রণ জানিয়েছেন এবং এই দুই নেতা “একটি সম্মিলিত ভবিষ্যতের জন্য অংশীদারিত্ব গড়ে তোলা” যৌথ দর্শনের অধীনে সম্মত সহযোগিতার অগ্রগতি নিয়ে পর্যালোচনা করবেন। এটি গৃহীত হয়েছিল শ্রীলঙ্কার রাষ্ট্রপতির ভারত সফরের সময়। শ্রীলঙ্কায় ভারতীয় হাইকমিশনের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, ভারত ঐতিহ্যগতভাবে শ্রীলঙ্কার বৃহত্তম বাণিজ্যিক অংশীদারদের মধ্যে একটি এবং শ্রীলঙ্কা সার্কে ভারতের বৃহত্তম বাণিজ্যিক অংশীদারদের মধ্যে একটি।

    বাণিজ্য বিভাগের খবর

    বাণিজ্য বিভাগের খবর, ২০২৩-২৪ অর্থবর্ষে ভারত ও শ্রীলঙ্কার মধ্যে পণ্য বাণিজ্য ৫.৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলারে পৌঁছেছে। এর মধ্যে ভারতের রফতানির পরিমাণ ৪.১ বিলিয়ন মার্কিন ডলার, আর শ্রীলঙ্কার রফতানির পরিমাণ ১.৪ বিলিয়ন মার্কিন ডলার।দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য বিভিন্ন ঋণ লাইন ও প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র সংগ্রহের জন্য একটি ঋণ সুবিধা দ্বারাও সমর্থিত ছিল। এফটিএ-র পরিধি (PM Modi) আরও বিস্তৃত করার জন্য এবং উৎপত্তির নিয়মগুলিকে শক্তিশালী করার জন্য, পণ্য এবং পরিষেবা উভয়কেই অন্তর্ভুক্ত করে একটি অর্থনৈতিক ও প্রযুক্তি সহযোগিতা চুক্তির (ইটিসিএ) প্রস্তাব করা হয়েছিল।

    শ্রীলঙ্কার বৃহত্তম বাণিজ্যিক অংশীদার ভারত

    ২০২৩ সালের জুলাই মাসে প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি রনিল বিক্রমাসিংহের সফরের পরে ফের আলোচনা (BIMSTEC Summit) শুরু হয়েছে দুই দেশের। এখানে ইটিসিএ নিয়ে আলোচনাও করা হয়েছিল। প্রসঙ্গত, এখন পর্যন্ত ১৪ দফা আলোচনা হয়েছে, যার মধ্যে সর্বশেষ আলোচনাটি হয়েছিল ২০২৪ সালের জুলাই মাসে, কলম্বোয়। শ্রীলঙ্কার বৃহত্তম বাণিজ্যিক অংশীদার হওয়ার পাশাপাশি, ভারত শ্রীলঙ্কায় প্রত্যক্ষ বিদেশি বিনিয়োগের বৃহত্তম অবদানকারীদের মধ্যে একটি, যার মোট পরিমাণ ২০২৩ সাল পর্যন্ত প্রায় ২.২ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। ভারতের প্রধান বিনিয়োগগুলি হল জ্বালানি, আতিথেয়তা, রিয়েল এস্টেট, উৎপাদন, টেলিযোগাযোগ, ব্যাঙ্কিং এবং আর্থিক পরিষেবা ক্ষেত্রে (PM Modi)।

LinkedIn
Share