Category: বিদেশ

Get updates on World News Headlines International News from the Madhyom news portal madhyom.com, West Bengal leading news portal Madhyom.com

  • Donald Trump: “শনিবার দুপুরের মধ্যেই বন্দিদের মুক্তি দিন, না হলে…,”হামাসকে হুঁশিয়ারি ট্রাম্পের

    Donald Trump: “শনিবার দুপুরের মধ্যেই বন্দিদের মুক্তি দিন, না হলে…,”হামাসকে হুঁশিয়ারি ট্রাম্পের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গাজার জঙ্গি গোষ্ঠী হামাসকে (Hamas) চরম হুঁশিয়ারি ৪৭তম মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের (Donald Trump)। সাফ জানিয়ে দিলেন, শনিবার দুপুর ১২টার মধ্যে সমস্ত বন্দিকে মুক্তি দিতে হবে। যদি তা না হয়, তাহলে সব কিছু ভেঙে পড়বে।

    হামাসের অত্যাচার! (Donald Trump)

    ইহুদি রাষ্ট্র ইজায়েলের সঙ্গে ১৫ মাস ধরে যুদ্ধ চলেছে গাজার মুসলিম জঙ্গি গোষ্ঠী হামাসের। সম্প্রতি ৪২ দিনের যুদ্ধ বিরতি স্বাক্ষরিত হয়েছে ইজরায়েল এবং হামাসের মধ্যে। এই যুদ্ধবিরতি পর্বে অল্প অল্প করে হামাস মুক্তি দিচ্ছে বন্দিদের। যাঁদের এই জঙ্গি গোষ্ঠী মুক্তি দিচ্ছে, তাঁরা যে নিদারুণ অত্যাচারের শিকার হয়েছেন বন্দিদশা পর্বে, তা জানিয়েছেন মুক্তিপ্রাপ্তরা। এহেন আবহে এল মার্কিন প্রেসিডেন্টেরে হুঁশিয়ারি।

    চরম হুঁশিয়ারি ট্রাম্পের

    সোমবার ট্রাম্প বলেন, “আমার দৃষ্টিকোণ থেকে বলছি, যদি শনিবার দুপুর ১২টার মধ্যে সমস্ত বন্দিকে মুক্তি না দেওয়া হয়—আমি মনে করি এটি একটি উপযুক্ত সময়—তাহলে আমি বলব, যুদ্ধবিরতি বাতিল করুন এবং সমস্ত কিছু ভেঙে পড়ুক।” খানিক থেমে তিনি বলেন, “তবে আমি আমার নিজস্ব মতামত দিচ্ছি। ইজরায়েল এটি অগ্রাহ্য করতে পারে।”  ট্রাম্প (Donald Trump) বলেন, “আমি গাজা কেনার এবং মালিকানা নেওয়ার জন্য প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।”

    সাংবাদিক সম্মেলনে তিনি বলেন, “আমাদের এটি পুনর্গঠনের বিষয়ে, আমরা হয়তো মধ্যপ্রাচ্যের অন্যান্য দেশকে এর কিছু অংশ গড়ে তোলার দায়িত্ব দিতে পারি। অন্যরা আমাদের তত্ত্বাবধানে এটি করতে পারে। কিন্তু আমরা এর মালিকানা নেওয়া, এটি দখলে রাখা এবং নিশ্চিত করা যে হামাস যাতে ফিরে আসতে না পারে, এ ব্যাপারে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। ফিরে আসার মতো কিছুই নেই। এটি ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে। অবশিষ্ট অংশও ভেঙে ফেলা হবে।”

    প্রসঙ্গত, হামাসের সামরিক শাখা ইজ্জেদিন আল-কাসসাম ব্রিগেডের এক মুখপাত্র সোমবারই এক বিবৃতি জারি করে বলেছেন, পরবর্তী বন্দিমুক্তির প্রক্রিয়া, যা আগামী শনিবার, ১৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৫-এ নির্ধারিত ছিল, তা পরবর্তী ঘোষণা না করা পর্যন্ত স্থগিত থাকবে। হামাস জানিয়েছে, বন্দিবিনিময় পুনরায় (Hamas) শুরু করা ইজরায়েলি দখলদার বাহিনীর প্রতিশ্রুতি মেনে চলা এবং বিগত কয়েক সপ্তাহের দায়বদ্ধতা পূরণের ওপর নির্ভর করছে (Donald Trump)।

  • Operation Devil Hunt: অপারেশেন ‘ডেভিল হান্টে’ ধরপাকড়, বাংলাদেশ থেকে হাসিনাকে মুছে ফেলতে চান ইউনূস!

    Operation Devil Hunt: অপারেশেন ‘ডেভিল হান্টে’ ধরপাকড়, বাংলাদেশ থেকে হাসিনাকে মুছে ফেলতে চান ইউনূস!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অপারেশনের নাম ‘ডেভিল হান্ট’। বাংলা তর্জমা করলে দাঁড়ায় ‘শয়তানের খোঁজ’ (Operation Devil Hunt)। এই অপারেশনের ব্যানারেই বাংলাদেশে (Bangladesh) ১২ ঘণ্টায় এক হাজারেরও বেশি মানুষকে গ্রেফতার করল মহম্মদ ইউনূসের পুলিশ। শনিবার রাতে শুরু হয় অপারেশন। চলে রবিবার দুপুর পর্যন্ত। এই অভিযানেই গ্রেফতার করা হয়েছে ১ হাজার ৩০৮ জনকে। এদিন দুপুরে বাংলাদেশ পুলিশের সদর দফতর থেকেই জানানো হয়েছে এই তথ্য।

    গ্রেফতার আওয়ামি লিগের সমর্থক (Operation Devil Hunt)

    জানা গিয়েছে, কেবল গাজিপুরেই ৪০জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। পুলিশের দাবি, ধৃতেরা সবাই বাংলাদেশের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দল আওয়ামি লিগের সমর্থক। গাজিপুরের পুলিশ সুপারের কথায়, “আটক ব্যক্তিরা সকলেই ফ্যাস্টিস্ট সরকারের লোকজন”। প্রধানমন্ত্রী পদে ইস্তফা দিয়ে বাংলাদেশ ছাড়েন শেখ হাসিনা। তারপর বাংলাদেশের ক্ষমতায় আসে মহম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তী সরকার। অভিযোগ, তার পরেই হাসিনার দলকে একেবারে শেষ করে দিতে কোমর কষে নেমেছে ইউনূস প্রশাসন। দিন দুয়েক আগে ঢাকায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের বাসভবন ৩২ নম্বর ধানমন্ডির বাড়িটির একটা বড় অংশ ভেঙে ফেলে উন্মত্ত জনতা। ভাঙচুর করা হয় হাসিনার বাড়ি। তাঁর কাকার বাড়িতেও হামলা চালায় উন্মত্ত জনতা।

    আওয়ামি লিগের নেতাদের বাড়িতে হামলা

    বাংশাদেশজুড়ে আওয়ামি লিগের নেতাদের বাড়িতে চালানো হয় হামলা, অগ্নিসংযোগ। শুক্রবার রাতে গাজিপুরে হাসিনা সরকারের প্রাক্তন মন্ত্রী মোজাম্মেল হকের বাড়িতেও চড়াও হয় একদল জনতা। প্রতিরোধ করেন স্থানীয়রা। দুপক্ষে সংঘর্ষ হয়। এর পরেই শনিবার বাংলাদেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের তরফে জারি করা হয় একটি বিজ্ঞপ্তি। সেখানেই জানানো হয় অপারেশন ‘ডেভিল হান্টে’র খবর। সেই সময় বাংলাদেশের স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা জাহাঙ্গির আলম চৌধুরী বলেছিলেন, “যারা দেশকে অস্থিতিশীল করার চেষ্টা করছে, তারাই গ্রেফতার হবে (Operation Devil Hunt)।”

    ওয়াকিবহালের মতে, হাসিনার দলকে নিশ্চিহ্ন করে দিয়ে বাংলাদেশের রাশ করায়ত্ত করতে চাইছেন ইউনূস। কারণ বাংলাদেশ ছেড়ে ভারতে গিয়ে আশ্রয় নিয়েছেন হাসিনা। চিকিৎসার কারণে বিএনপি সুপ্রিম খালেদা জিয়াও আপাতত লন্ডনে। এহেন ফাঁকা মাঠেই গোল দেওয়ার রাস্তা পরিষ্কার করতে চাইছেন শান্তিতে নোবেল জয়ী ইউনূস। জানা গিয়েছে, নয়া রাজনৈতিক দল গড়তে চাইছেন ইউনূস। তার মোক্ষম সময় এটাই। কারণ ধরপাকড়ের জেরে যেমন গা ঢাকা দিয়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছেন আওয়ামি লিগের নেতা-নেত্রীরা, তেমনি ভয়ে ফোঁস করতে পারছেন নাম বিএনপির নেতা-নেত্রীরা। অভিজ্ঞ মহলের মতে, এই সুযোগটাকেই (Bangladesh) কাজে লাগাতে চাইছেন ইউনূস (Operation Devil Hunt)।

  • Israeli Hostages: মুক্ত তিন ইজরায়েলি নাগরিক, কঙ্কালসার চেহারা দেখে হামাসকে দানব আখ্যা নেতানিয়াহুর

    Israeli Hostages: মুক্ত তিন ইজরায়েলি নাগরিক, কঙ্কালসার চেহারা দেখে হামাসকে দানব আখ্যা নেতানিয়াহুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: যুদ্ধবিরতি চুক্তির শর্ত মেনে তিন ইজরায়েলি বন্দিকে (Israeli Hostages) মুক্তি দিল হামাস। এঁরা হলেন- এলি শারাবি, ওহাদ বেন আমি এবং ওর লেভি। এঁরা প্রত্যেকেই ইজরায়েলের সাধারণ নাগরিক। হামাসের হাত থেকে রেহাই পাওয়ার পরে এই তিন নাগরিকের কঙ্কালসার চেহারা দেখে সকলে হতবাক হয়ে গিয়েছেন। নিজের দেশের নাগরিকদের এহেন দুর্দশা দেখে হামাস জঙ্গি সংগঠনকে তোপ দেগেছেন ইজরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু। তিনি হামাস জঙ্গি সংগঠনকে দানব আখ্যা দিয়েছেন। তাঁর হুঙ্কার, ওই জঙ্গি সংগঠনকে ধ্বংস করেই তাঁরা শান্ত হবেন।

    তিন বন্দির মুক্তির গোটা প্রক্রিয়াটি সরাসরি সম্প্রচারিত হয়

    তিন বন্দির মুক্তির গোটা প্রক্রিয়াটি সরাসরি সম্প্রচারিত হয়। তাতে দেখা যাচ্ছিল, ওই দিন ইজরায়েলি নাগরিককে (Israeli Hostages) ঘিরে ধরে রেখেছে মাস্ক পরা হামাস জঙ্গিরা (Hamas)। তাদের প্রত্যেকেরই হাতে ছিল স্বয়ংক্রিয় রাইফেল। ওই তিন নাগরিককে দুর্বল, ফ্যাকাশে এবং রোগা দেখাচ্ছিল। প্রসঙ্গত, হামাসের সঙ্গে ১৫ মাস যুদ্ধের পর চলতি বছরের জানুয়ারিতেই যুদ্ধবিরতি চুক্তি সম্পাদন করে ইজরায়েল (Israeli Hostages)। সরাসরি সম্প্রচার দেখার সময় মুক্ত হওয়া এক বন্দির আত্মীয় সংবাদমাধ্যমকে বলেই ফেললেন, একেবারে কঙ্কালের মতো অবস্থা হয়েছে। কি ভয়ঙ্কর লাগছে! এরপরই বিবৃতি আসে ইজরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুর। তিনি হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, যাঁদের মুক্ত করা হল তাঁদের চেহারা দেখে অত্যন্ত মর্মান্তিক লাগছে। আমরা হামাসকে নির্মূল করবই। বাকি সব বন্দিদের আমরা ফিরিয়ে আনব।

    বিভিন্ন সমাজমাধ্যমে তিনজনের ছবি প্রকাশ করা হয়

    ইজরায়েলের (Israeli Hostages) সরকারি বিভিন্ন সমাজ মাধ্যম থেকে ওই তিনজনের ছবি প্রকাশ করা হয়। হামাসের হাতে বন্দি হওয়ার আগে তাঁরা কেমন ছিলেন, বন্দি হওয়ার পরেই বা তাঁদের কি হাল হয়েছে, তা ছবির মাধ্যমে তুলে ধরা হয়। এরপরে ক্যাপশনে লেখা হয়, কোনও ভাষা নেই। ওই তিন বন্দি মুক্ত হওয়ার পরে তাঁরা পরিবারের সঙ্গে মিলিত হন। তখনই তাঁরা আবেগপ্রবণ হয়ে পড়েন। ভেঙে পড়েন কান্নায়। তাঁদের তিনজনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর দক্ষিণ ইজরায়েলে হামাস হামলা করে। এরপরেই কিবুতজ বে’য়েরি থেকে ওহাদ বেন আমি এবং এলি শারাবিকে বন্দি করা হয়। পরবর্তীকালে অর লেভিকে নোভা থেকে অপহরণ করা হয়।

  • Donald Trump: ধর্মান্তকরণ, মাওবাদীদের ফান্ডিং করত মার্কিন সংস্থা, কড়া পদক্ষেপ ট্রাম্পের

    Donald Trump: ধর্মান্তকরণ, মাওবাদীদের ফান্ডিং করত মার্কিন সংস্থা, কড়া পদক্ষেপ ট্রাম্পের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ক্ষমতায় আসার পরে ডোনাল্ড ট্রাম্প (Donald Trump) বিতর্কিত মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সংস্থা আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সংস্থা (USAID) এর বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিয়েছেন। এই সংস্থার উচ্চপদস্থ কর্মীদের ছুটিতে পাঠানো হয়েছে। একই সঙ্গে এই সংস্থার সঙ্গে যুক্ত ঠিকাদারদের বরখাস্ত করা হয়েছে এবং বিদেশ থেকে যে সাহায্য এরা পেত, সেটিও বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। প্রসঙ্গত, ইলন মাস্ক ইতিমধ্যেই এই সংস্থাকে একটি অপরাধী সংস্থা হিসেবে অভিহিত করেছেন এবং এ বিষয়ে এক্স মাধ্যমে তিনি পোস্টও করেছেন।

    ষাটের দশকে প্রতিষ্ঠা (Donald Trump)

    প্রসঙ্গত, ইউএসএআইডি ছয়ের দশকে গোড়ার দিকে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। এর উদ্দেশ্য ছিল বিশ্বজুড়ে মানবিক সহায়তা কর্মসূচি পালন করা। যদিও এরই আড়ালে চলছিল নানা রকমের অ্যাজেন্ডা। গোপনে তহবিল সংগ্রহ, যে কোনও দেশের সার্বভৌমত্ব হরণ করা, সরকার ফেলার ষড়যন্ত্র করছিল তারা। এই সংস্থা যেসব সার্বভৌম দেশগুলির ওপর নজর রাখত, তার মধ্যে ভারতও ছিল। এদেশে মাওবাদীদের ফান্ডিং করা থেকে, খ্রিস্টান ধর্মে ধর্মান্তকরণে ফান্ডিং এসবও করত তারা।

    মোদির জনসমর্থন কমাতে চক্রান্ত

    শুধু তাই নয়, এই সংস্থার বিরুদ্ধে অভিযোগ ওঠে যে বিভিন্ন সমাজ মাধ্যম ব্যবহার করে, তারা প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির জনসমর্থন কমানোর চেষ্টাও করছে। এ বিষয়ে নাম উঠে আসে জর্জ সোরোসের, যিনি ফান্ডিং করতেন এই সংস্থায় ডোনাল্ড ট্রাম্প (Donald Trump) এবং প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির মতো নেতাদের প্রতিহত করতে। এজন্য তিনি এক বিলিয়ন ডলারের একটি তহবিলও গঠন করেছিলেন বলে জানা যায়।

    কংগ্রেসের সঙ্গে সরাসরি যোগ

    এই সংস্থার সঙ্গে ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেসেরও একটি যোগসূত্র রয়েছে। রাহুল গান্ধীর অন্যতম পরামর্শদাতা এবং কংগ্রেসের বিদেশ বিভাগের চেয়ারম্যান স্যাম পিত্রোদা- সরাসরি এই সংস্থার সঙ্গে যুক্ত বলে জানা যাচ্ছে। তাই এটা বলাই যায় যে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ওই সংস্থা অর্থাৎ ইউনাইটেড স্টেটস এজেন্সি ফর ইন্টারন্যাশনাল ডেভেলপমেন্ট সরাসরি রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে কাজ করত। সবচেয়ে বড় কথা, মার্কিন করদাতাদের অর্থের একটি বড় অংশই এই সংস্থার কাজে ব্যয় করা হত বাইডেনের জমানায়। রিপোর্ট বলছে, ২০২৩ সালেই ৪০ বিলিয়ন ডলারেরও বেশি তহবিল গঠন করা হয়েছিল এই সংস্থার জন্য। কিন্তু সেসব এখন অতীত। আপাতত এই সংস্থার লম্ফঝম্ফে রাশ টানছেন ট্রাম্প (Donald Trump)।

  • Thai Captives: ঘুঁচল বন্দিদশা, হামাসের হাত থেকে ছাড়া পেয়ে দেশে ফিরলেন ৫ থাই নাগরিক

    Thai Captives: ঘুঁচল বন্দিদশা, হামাসের হাত থেকে ছাড়া পেয়ে দেশে ফিরলেন ৫ থাই নাগরিক

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: হামাসের হাতে বন্দি (Thai Captives) ছিলেন এক বছরেরও বেশি সময়। শেষমেশ ঘুঁচল বন্দিদশা। রবিবার গাজা (Gaza) থেকে দেশে ফিরলেন পাঁচ থাই নাগরিক। এদিন সকালে ব্যাংককের সুবর্ণভূমি বিমানবন্দরে অবতরণের পর ওয়াচারা শ্রীয়াউন, পংসাক থায়েন্না, সাথিয়ান সুওয়ান্নাখাম, সারুসাক রুমনাও এবং বান্নাওয়াত সায়েথাওকে তাঁদের স্বাগত জানান পরিবারের সদস্যরা।

    থাই নাগরিকদের প্রত্যাবর্তন (Thai Captives)

    এক বছরেরও বেশি সময় পরে দেশে ফেরায় প্রিয়জনকে কাছে পেয়ে আনন্দাশ্রু ফেলতেও দেখা গিয়েছে কয়েকজনকে। দেশের মাটিতে পা রাখার পর পংসাক বলেন, “জন্মস্থানে ফিরতে পেরে আমরা সকলেই গভীরভাবে মুগ্ধ। আমি আর কী বলব জানি না। আমরা সবাই সত্যিই কৃতজ্ঞ।” ছেলেকে আর বাড়ি থেকে দূরে রাখতে চান না সোমবুন। উত্তর থাইল্যান্ডের নান প্রদেশের এই প্রৌঢ় বলেন, “আমি আর আমার ছেলেকে বাড়ি থেকে দূরে কোথাও পাঠাব না।”

    বন্দিদশা ঘুঁচল

    গত মাসে গাজার দক্ষিণাঞ্চলের খান ইউনিসে মুক্তি পান থাইল্যান্ডের এই পাঁচজন। টানা ১৫ মাস ধরে চলেছে ইহুদি রাষ্ট্র ইজারায়েলের সঙ্গে গাজার মুসলিম সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাসের যুদ্ধ। পরে স্বাক্ষরিত হয় যুদ্ধবিরতি চুক্তি। সেই চুক্তির কারণেই বন্দিদশা ঘুঁচল হামাসের হাতে বন্দি থাকা এই পাঁচ থাই নাগরিকেরও। থাইল্যান্ডের বিদেশমন্ত্রী মারিস সাংগিয়াম্পোংসা বন্দিদের ফিরিয়ে এনেছেন ইজরায়েল থেকে। নাগরিকরা দেশে ফিরে আসায় স্বস্তির শ্বাস ফেলেছেন তিনি। বলেন, “এটি একটি আবেগঘন মুহূর্ত … তাঁরা তাঁদের পরিবারে ফিরে এসেছেন। আমরা কখনও হাল ছাড়িনি। এটি (Thai Captives) তারই ফল।”

    প্রধানমন্ত্রী পায়োংটার্ন সিনাওয়াত্রা বলেন, “দেশের পাঁচ নাগরিক মুক্তি পাওয়ায় আমরা উল্লসিত। ধন্যবাদ ইজরায়েল, কাতার, মিশর, ইরান, তুরস্ক এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকে। তাদের জন্যই আমাদের দেশের নাগরিকদের বন্দিদশা ঘুঁচল।” জানা গিয়েছে, থাইল্যান্ডে ফেরা পাঁচ নাগরিকই শারীরিকভাবে সুস্থ রয়েছেন। সরকার আগামী কয়েক মাস ধরে তাঁদের ওপর নজর রাখবে। তাঁরা যাতে স্বাভাবিক জীবনে ফিরতে পারেন, তাই এই নজরদারি।

    ইজরায়েলে কাজের খোঁজে গিয়ে হামাসের হাতে বন্দি হন সব মিলিয়ে মোট ৩১জন থাই নাগরিক। ২০২৩ সালের অক্টোবরে তাঁদের বন্দি করা হয়। এঁদের মধ্যে ২৩ জনকে মুক্তি দেওয়া হয়েছিল ২০২৩ সালেই। গত মে মাসে বন্দি দশায়ই মৃত্যু হয় দুজনের (Gaza)। পাঁচজন ফিরলেন দেশে। থাই প্রশাসনের আশা, বাকিদেরও দ্রুত দেশে ফেরানো হবে (Thai Captives)।

  • Sheikh Haisna: ‘‘বেঁচে যখন গিয়েছি, জবাব নেব’’, বঙ্গবন্ধুর বাড়ি ভাঙা প্রসঙ্গে বললেন হাসিনা

    Sheikh Haisna: ‘‘বেঁচে যখন গিয়েছি, জবাব নেব’’, বঙ্গবন্ধুর বাড়ি ভাঙা প্রসঙ্গে বললেন হাসিনা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বাংলাদেশে ফের দেখা যাচ্ছে বিগত অগাস্ট মাসের ছায়া। এই আবহে বুধবারের পরে ফের বৃহস্পতিবার ভার্চুয়ালি ভাষণ দিলেন সেদেশের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার (Sheikh Haisna)। আওয়ামি লিগের ফেসবুক পেজ থেকে লাইভে আসেন হাসিনা। প্রসঙ্গত, গত বুধবার রাতে ধানমন্ডিতে বঙ্গবন্ধুর শেখ মুজিবর রহমানের বাড়ি ভেঙে গুঁড়িয়ে দেয় মৌলবাদীরা। এই ঘটনার তীব্র নিন্দা করেন তিনি। বাংলাদেশে ছাত্র-জনতার নামে অকথ্য অত্যাচার করা হচ্ছে বলেও তোপ দাগেন তিনি। তাঁর কথায়, ‘‘বেঁচে যখন গিয়েছি, জবাব নেব।’’ এদিন বক্তব্য রাখার সময় কান্নায় গলা বুজে আসে হাসিনার। বাকরুদ্ধ হয়ে পড়েন তিনি। বেশ কিছুক্ষণ নীরব হয়ে পড়েন তিনি। এরপর তিনি বলেন, ‘‘আমি দেশবাসীর কাছে বিচার চাই। আপনারাই বিচার করুন।’’ হাসিনা বলেন, ‘‘আমি কী অপরাধ করেছি। কেন দেশে আমার মা-বোনেরা স্বামী হানা হচ্ছে। কেন নারীদের ওপর নির্যাতন চলছে।’’

    কী বললেন হাসিনা (Sheikh Haisna)

    বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে আটটায় আওয়ামি লিগের (Awami League) অনলাইন অনুষ্ঠান ‘দায়মুক্তি’-তে যোগ দিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, ‘‘মানুষ একদিন ঠিক বিচার করবেন। সবাইকে ধৈর্য ধরতে হবে।’’ আওয়ামী লিগ নেত্রী বলেন, ‘‘আমি দেশের জন্য কী না করেছি। এই ভাবে বঙ্গবন্ধুর স্মৃতি ধ্বংস করা হচ্ছে কেন? তিনি তো নিজের জীবন বিসর্জন দিয়েছেন এই দেশের জন্য। এই দেশের জন্য জীবন উৎসর্গ করার এই কি পুরস্কার?’’ হাসিনা বলেন, ‘‘কী অপরাধ করেছি আমি? এই দেশ কী ছিল আর কী হয়েছে। কোন কাজটা আমি বাকি রেখেছি।’’ হাসিনা বলেন, ‘‘ধানমুন্ডির ৩২ নম্বর বাড়িটি একটি ঐতিহাসিক স্মারক। ওই বাড়ি থেকে বঙ্গবন্ধু স্বাধীনতার ঘোষণা দিয়েছিলেন। ওই বাড়িতেই তাঁকে হত্যা করা হয়েছিল। সেই মানুষটির বাড়িতে কেন আগুন দেওয়া হল? কেন ভেঙে ফেলা হল?’’

    আওয়ামি লিগ কর্মীরা জানালেন অত্যাচারের কথা

    আওয়ামি লিগের (Awami League) আক্রান্ত নেতা-কর্মীরা একে একে নিজেদের কথা শোনাতে থাকে। ঢাকার এক মহিলা এই সময়ই হাসিনাকে আপা সম্মোধন করে জানান, গত বছর কীভাবে তাঁর স্বামীকে প্রকাশ্য রাস্তায় খুন করা হয়। দুই সন্তানের মা ওই মহিলা বলেন, তাঁর স্বামী বারে বারে মার্জনা চাইলেও দুষ্কৃতীরা ছাড়েনি।মাগুরার আওয়ামি লিগের অপর এক নেত্রী হাসিনাকে (Sheikh Haisna) প্রধানমন্ত্রী বলে সম্মোধন করেন। তিনি জানান কীভাবে ৫ অগাস্ট বিকালেই তাঁকে চাকরি থেকে বসিয়ে দেওয়া হয়। ১৪ অগাস্ট চাকরি যায় তাঁর স্বামীর।

  • Darien Gap: এ যেন নরকের দ্বার! জীবনের ঝুঁকি নিয়ে লাখ লাখ মানুষ পার হন ডারিয়েন গ্যাপ, কেন জানেন?

    Darien Gap: এ যেন নরকের দ্বার! জীবনের ঝুঁকি নিয়ে লাখ লাখ মানুষ পার হন ডারিয়েন গ্যাপ, কেন জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ডারিয়েন গ্যাপ (Darien Gap), একে নরকের দ্বারও বলা যেতে পারে। ফি বছর প্রাণের তোয়াক্কা না করে লাখ লাখ মানুষ পাড়ি জমান এই পথেই। কী কারণে বিপদসঙ্কুল, বিস্তৃত, দুর্ভেদ্য ঘন অরণ্যের মাঝ দিয়ে যেতে চান লাখ লাখ মানুষ? মূলত ভেনেজুয়েলা, গায়ানা, কলম্বিয়া, ব্রাজিলের মতো দক্ষিণ আমেরিকার দেশগুলি থেকে উত্তর আমেরিকার অভিবাসী হওয়ার জন্য জীবন বাজি রেখে এই পথে পানামা পৌঁছতে চায়। পুরোটাই চলে বেআইনি অনুপ্রবেশ।

    ১০৬ কিমির বিস্তৃত এই জঙ্গল (Darien Gap)

    প্রসঙ্গত, কলম্বিয়া-পানামার মাঝে বিপজ্জনক জঙ্গল হল এই ডারিয়েন গ্যাপ। এতটাই ঘন ও দুর্ভেদ্য যে বহু চেষ্টা করেও, ১০৬ কিমি এই জঙ্গল কেটে তৈরি করা সম্ভব হয়নি কোনও রাস্তা। নিস্তব্ধ, জনমানবহীন।অনেকে বলেন, উত্তর আমেরিকার আলাস্কা থেকে কোনও ব্যক্তি যদি গাড়ি চালিয়ে দক্ষিণ আমেরিকার আর্জেন্টিনা যেতে চান, তাহলে সেই যাত্রায় ছেদ টানতে হবে ডারিয়েন গ্যাপের কারণে। জঙ্গলের মধ্যে নেই যানবাহন চলার মতো কোনও রাস্তাই নেই। ভরসা একমাত্র জলপথ। এই অঞ্চলে তুরিয়া নদী ও তার সঙ্গে সংযুক্ত খালগুলিতে ছোট ছোট পিরাগুয়া বোট চলে। এই দুর্গম অঞ্চল পেরোতে সেগুলিই ভরসা।

    মাদক পাচারকারী ও চোরাশিকারিদের ব্যাপক দৌরাত্ম্যও (Darien Gap)

    জঙ্গলে কী না নেই (Darien Gap Migrants)! যেন ঠিক চাঁদের পাহাড় উপন্যাসকেই তুলে ধরেছে ড্যারিয়েন গ্যাপ। বিষাক্ত সাপ, কাঁকড়াবিছে, আগুনে পিঁপড়ে, জাগুয়ার, বন্য শূকর এবং অন্য হিংস্র জীবজন্তু ছাড়াও এই এলাকায় রয়েছে মাদক পাচারকারী ও চোরাশিকারিদের ব্যাপক দৌরাত্ম্যও। এখান দিয়েই চলে মানব পাচার। প্রশাসনের সাধ্য নেই এই অঞ্চলে নজরদারি চালানোর। সঙ্গে রয়েছে তুরিয়া নদীর হড়পা বান, সামান্য বৃষ্টিতেই বনভূমি ভাসিয়ে নিয়ে যায় চোখের পলকে। ভরা বর্ষায় তো হড়পা বান রুটিন হয়ে দাঁড়ায়। এত বিপদের হাতছানি সত্ত্বেও ডারিয়েন গ্যাপ গুরুত্বপূর্ণ অঞ্চল হয়ে উঠেছে (Darien Gap), লাখ লাখ মানুষ পেরতে চান উন্নত জীবন পাওয়ার আশায়।

    কী জানাচ্ছেন ইউনিসিফের কর্তা

    ইউনিসেফের এক শীর্ষ স্থানীয় আধিকারিক টেড চাইবান জানিয়েছেন, ডারিয়েন গ্যাপ শিশুদের চলাচলের জন্য উপযোগী নয়। এই কঠিন ও বিপজ্জনক পথ পাড়ি দিতে গিয়ে অনেক শিশু মারাও গিয়েছে। এমনকি নারীরা এ পথে চলতে চলতে সন্তান প্রসবও করেছেন। পুরনো পরিসংখ্যান বলছে, ২০২৪ সালের প্রথম ছয় মাসেই ১ লক্ষ ১৭ হাজার অভিবাসী দীর্ঘ বিরামহীন যাত্রা পায়ে হেঁটে অতিক্রম করেছে।

  • Hamas: পাক জঙ্গিদের সঙ্গে হাত মেলাল হামাস, কাশ্মীরকে অশান্ত করার ছক?

    Hamas: পাক জঙ্গিদের সঙ্গে হাত মেলাল হামাস, কাশ্মীরকে অশান্ত করার ছক?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এবার পাক জঙ্গিদের সঙ্গে হাত মেলাল প্যালেস্তাইনের জঙ্গি গোষ্ঠী হামাস (Hamas)! বুধবার পাক অধিকৃত কাশ্মীরে (POK) পালিত হয়েছে ‘কাশ্মীর সংহতি দিবস’। সেখানে আয়োজন করা হয়েছিল ভারত-বিরোধী এক জঙ্গি সম্মেলনেরও। অভিযোগ, দেশ-বিদেশের বিভিন্ন জঙ্গি সংগঠন যোগ দিয়েছিল ওই সম্মেলনে। জানা গিয়েছে, সম্মেলনে জঙ্গি সংগঠন জইশ-ই-মহম্মদ এবং লস্কর-ই-তইবার নেতাদের পাশাপাশি উপস্থিত ছিলেন হামাসের প্রবীণ নেতারাও।

    কাশ্মীর সংহতি দিবস (Hamas)

    এদিন রাওয়ালকোটের শহিদ সাবির স্টেডিয়ামে কাশ্মীর সংহতি ও হামাস অপারেশন আল আকসা বন্যা শীর্ষক সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। সম্মেলনে প্রধান অতিথিদের মধ্যে ছিলেন জইশের প্রধান মাসুদ আজহারের ভাই তালহা সইফ, জইশের কমান্ডার আসগর খান কাশ্মীরি ও মাসুদ ইলিয়াস। লস্করের শীর্ষ স্থানীয় নেতারাও ছিলেন। এই সম্মেলনেই যোগ দিয়েছিলেন ইরানে হামাসের প্রতিনিধি খালিদ আল কাদুমি।

    জইশ এবং লস্কর

    বৈঠকে খালিদ ছাড়াও হামাসের সঙ্গে যুক্ত বেশ কয়েকজন প্যালেস্তাইনি নেতাও উপস্থিত ছিলেন। এই জঙ্গি নেতারা আলাদা করে বৈঠক করেন জমিয়ত উলেমা-ই-ইসলামের প্রধান মওলানা ফজলুর রহমানের সঙ্গেও। ভারতের (Hamas) মাটিতে বেশ কয়েকবার হামলা চালিয়েছে পাকিস্তানের জঙ্গি সংগঠন জইশ এবং লস্করের সদস্যরা। ভারত-বিরোধী এই সব জঙ্গি সংগঠনের সঙ্গে হামাস নেতাদের বৈঠকে ভারতের কপালে চিন্তার ভাঁজ। এই হামাসই অতীতে একাধিকবার কাশ্মীরে মানবাধিকার লঙ্ঘিত হচ্ছে বলে অভিযোগ তুলেছিল। সেই সময় জল্পনা ছড়িয়েছিল, দক্ষিণ এশিয়ার জঙ্গি সংগঠনগুলির সঙ্গে হামাসের যোগসূত্র থাকতে পারে। কাশ্মীর সংহতি দিবসের এই অনুষ্ঠানই ফের উস্কে দিল সেই জল্পনাই।

    কাশ্মীর সংহতি দিবস পালনের সূচনা

    ১৯৯১ সালে কাশ্মীর সংহতি দিবস পালনের সূচনা করেন পাকিস্তানের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফ। সেই থেকে ফি বছর ৫ ফেব্রুয়ারি দিনটি পালন করে পাক মদতপুষ্ট জঙ্গিরা। পাকিস্তানের (POK) সব সরকারি প্রতিষ্ঠানেও ছুটি থাকে এদিন। সাম্প্রতিক অতীতে দিনটিকে ভারত বিরোধী প্রচারের কাজে ব্যবহার করছেন পাকিস্তানের রাজনীতির কারবারিরা। প্রতিবারই আপত্তি জানিয়ে আসছে ভারত। ভারতের সেই আপত্তি অগ্রাহ্য করে এবারও কাশ্মীর সংহতি দিবস পালন করেছে পাকিস্তানের সরকার। ভারতের হাতে নিপীড়িত কাশ্মীরবাসীর পাশে থাকার বার্তাও দিয়েছেন সে দেশের প্রেসিডেন্ট আসিফ আলি জারদারি এবং প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ (Hamas)।

    ‘আল আকসা ফ্লাড’-এর ব্যানারে সম্মেলন

    গোয়েন্দা সূত্রে খবর, পাক অধিকৃত কাশ্মীরে এবার যে সম্মেলনের আয়োজন করা হয়েছিল, তা করা হয়েছিল ‘আল আকসা ফ্লাড’-এর ব্যানারে। ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর এই নামেই ইজরায়েলে অপারেশন চালিয়েছিল হামাস। প্যালেস্তাইনের এই জঙ্গি গোষ্ঠীর হাতে সেদিন প্রাণ হারিয়েছিলেন ৭০০ জন নিরীহ মানুষ। আল আকসা হল জেরুজালেমের এক মসজিদ। এই মসজিদের ওপর নিজেদের কর্তৃত্ব দাবি করেছে একই সঙ্গে মুসলিম ও ইহুদি দু’পক্ষই। হামাসের সঙ্গে ইজরায়েলের যে লড়াই দীর্ঘদিন ধরে চলেছিল তার অন্যতম নেপথ্য কারণ এটিও। ইজরায়েল ইহুদি রাষ্ট্র। আর হামাস মুসলিম। পাক অধিকৃত কাশ্মীরে আল আকসা ফ্লাডের ব্যানারে সম্মেলন হওয়ায় সিঁদুরে মেঘ দেখছে ভারত। কারণ এই নামকে হাতিয়ার করেই মুসলিম ভাবাবেগকে উস্কে দিতে চাইছে জঙ্গি সংগঠনগুলি। ওয়াকিবহাল মহলের মতে, সেটাকে কাজে লাগিয়েই পাকিস্তান ও পাক অধিকৃত কাশ্মীরে ঘাঁটি গাড়ছে বিভিন্ন দেশের জঙ্গি সংগঠনগুলি (Hamas)।

    পাক চেষ্টা ব্যর্থ

    গোয়েন্দা সূত্রে খবর, পাকিস্তান দীর্ঘদিন ধরেই চাইছে জম্মু-কাশ্মীরের ইস্যুকে আন্তর্জাতিক মঞ্চে তুলে ধরতে। যদিও সেই মঞ্চে মিথ্যাচার চালিয়েও বিশেষ সুবিধা করতে পারেনি ইসলামাবাদ। এবার হামাস কমান্ডারকে পাক অধিকৃত কাশ্মীরে নিয়ে এসে পাক (POK) প্রশাসন বিশ্বের দরবারে এই বার্তাই পৌঁছে দিতে চাইছে, প্যালেস্তাইন এবং কাশ্মীরের সমস্যা একই। মধ্য প্রাচ্যে গাজার মতোই কাশ্মীরে চলছে মুসলমানদের ওপর অত্যাচার। কাশ্মীর ইস্যুতে বিশ্বের মুসলমান দেশগুলিকে পাশে পেতে বহু কাঠখড় পুড়িয়েছে পাকিস্তানের গোয়েন্দা সংস্থা আইএসআই। তবে বেশিরভাগ মুসলিম দেশই রয়েছে ভারতের সঙ্গে। সৌদি আরব, ইউএই, কাতার এবং কুয়েত তো রাষ্ট্রসংঘে কাশ্মীর ইস্যুতে বরাবর ভারতের পাশেই দাঁড়িয়েছে। পাকিস্তানের পাশে দাঁড়িয়েছে তুরস্ক ও মালয়েশিয়া।

    তিনটি জঙ্গি সংগঠনের মাথারা

    বুধবার পাক অধিকৃত কাশ্মীরে যে সম্মেলন হয়েছে, সেখানে জড়ো হয়েছিলেন তিনটি জঙ্গি সংগঠনের মাথারা। গোয়েন্দাদের আশঙ্কা, এই তিন জঙ্গি সংগঠনকে একত্রিত করে জম্মু-কাশ্মীরে বড়সড় নাশকতার ছক কষছে পাক সেনাবাহিনী এবং পাকিস্তানের গোয়েন্দা সংস্থা আইএসআই। মোদি জমানায় শান্ত হয়েছে ভূস্বর্গ কাশ্মীর। সেই কাশ্মীরেই জেহাদের স্বপ্ন ফেরি করে জঙ্গি গোষ্ঠীগুলি ফের রক্তাক্ত করে তুলতে চাইছে কাশ্মীরকে। সেই কারণেই সীমান্তের ওপারের জঙ্গি ঘাঁটিগুলির ওপর কড়া নজর রাখছে ভারত। সীমান্তে বাড়ানো হয়েছে নিরাপত্তা।

    ঘটনাচক্রে, এদিন যখন সম্মেলন চলছিল পাক অধিকৃত কাশ্মীরে, ঠিক তখনই মুজফফরাবাদে একটি অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন পাক প্রধানমন্ত্রী। ভাষণ শেষে তিনি স্লোগান দেন, ‘কাশ্মীর বনেগা পাকিস্তান’। আরও একধাপ এগিয়ে পাক সেনাপ্রধান আসিম মুনির আহমেদ দাবি করেন, একদিন গোটা কাশ্মীর হবে পাকিস্তানের অংশ (POK)। পাক সেনা কাশ্মীরের স্বাধীনতা লড়াইয়ের সঙ্গেই আছে বলেও জানান তিনি (Hamas)।

  • Bangladesh: মেয়েরা ফুটবল খেলতে পারবে না! বাংলাদেশে কি তালিবানি রাজত্ব চলছে? সরব শেখ হাসিনা

    Bangladesh: মেয়েরা ফুটবল খেলতে পারবে না! বাংলাদেশে কি তালিবানি রাজত্ব চলছে? সরব শেখ হাসিনা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বাংলাদেশে কি তালিবানি রাজত্ব চলছে! খোদ প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বক্তব্যে উঠে এল সেই আশঙ্কা। বাংলাদেশে (Bangladesh) মেয়েদের খেলার অধিকার নিয়ে সরব হলেন শেখ হাসিনা (Sheikh Hasina)। বাংলাদেশবাসীর উদ্দেশে এক অডিওবার্তায় সেই প্রশ্ন তুললেন সে দেশের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী। বাংলাদেশে কি মেয়েরা আর খেলতেও পারবে না? এ কোন পথে এগোচ্ছে বাংলাদেশ? -এমন প্রশ্নই তোলেন তিনি। প্রসঙ্গত, গতকাল বুধবার আওয়ামি লিগের সমাজমাধ্যমের পাতা থেকে তাঁর অডিওবার্তা সরাসরি সম্প্রচার করা হয়। হাসিনা বলেন, “আমাদের দেশে মেয়েরা (ফুটবল) খেলতে পারছে না। কেন? মেয়েদের খেলার অধিকার নেই কেন!”

    খুন-ধর্ষণের হুমকি পাচ্ছেন মহিলা ফুটবলাররা

    প্রসঙ্গত, বাংলাদেশে (Bangladesh) মহিলা ফুটবল দলে সম্প্রতি কোচের সঙ্গে কয়েক জন সিনিয়র ফুটবলারের মনোমালিন্য তৈরি হয়। বাংলাদেশি সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর, সে দেশের মহিলা ফুটবল দলের ১৮ জন ‘বিদ্রোহ’ ঘোষণা করেছেন কোচ পিটার বাটলারের বিরুদ্ধে। তাঁরা বাটলারকে কোচ হিসেবে চাইছেন না। অনুশীলনও ‘বয়কট’ করেছেন ওই মহিলা ফুটবলাররা। শুধু তাই নয়, বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনকে নিজেদের অবস্থানের কথাও জানিয়ে দিয়েছেন ‘বিদ্রোহী’ ওই ১৮ ফুটবলার। এই আবহে বাংলাদেশি মহিলা ফুটবলারদের হুমকির মুখেও পড়তে হচ্ছে বলে একাধিক অভিযোগ সামনে এসেছে। বাংলাদেশি মহিলা ফুটবলার মাতসুশিমা সুমাইয়া সমাজমাধ্যমে দাবি করেছেন, গত কয়েক দিনে কট্টরপন্থীদের থেকে অসংখ্যবার ধর্ষণ এবং খুনের হুমকি পেয়েছেন তিনি।

    নারী-পুরুষ সমানাধিকারের পক্ষেও সওয়াল

    এদিন নারী-পুরুষ সমানাধিকারের পক্ষেও সওয়াল করেন হাসিনা। তিনি বলেন, “আমাদের সময়ে ক্রিকেট, ফুটবল, হকিতে ছেলে-মেয়ে উভয়েই সুযোগ পেত। আমাদের সময়ে প্রাথমিক স্কুলে মেয়েদের জন্য বঙ্গমাতা গোল্ডকাপ টুর্নামেন্ট এবং ছেলেদের জন্য বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব গোল্ডকাপ টুর্নামেন্ট চালু করা হয়। ছোট্টবেলা থেকেই যাতে তারা খেলতে পারে সেই সুযোগ আমরা করে দিয়েছি।”

    মাতৃজাতিকে অপমান (Bangladesh)

    হাসিনার কথায়, “মায়ের পেটেই সন্তান জন্ম নেয়। সেই মায়ের জাতিকে অবমাননা কেন? খেলাধুলো, সাহিত্য, সংস্কৃতিচর্চা তো সকলের অধিকার। এতে তো নারীপুরুষের ভেদাভেদ থাকতে পারে না। ইসলাম কখনও সে কথা বলে না।” তিনি আরও বলেন, “আজ কী দুর্ভাগ্য আমাদের! মেয়েরা ফুটবল খেলে অনেক দেশে জয়ী হয়ে এসেছে। বাংলাদেশের সুনাম করে এসেছে। আজ আমাদের দেশে তাঁরা খেলতে পারছে না। কেন? মেয়েদের খেলার অধিকার নেই কেন!”

  • Bangladesh Crisis: মধ্যরাতে তাণ্ডব বাংলাদেশে, মুজিবের বাড়ি ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ, ইতিহাস মুছে ফেলার চেষ্টা!

    Bangladesh Crisis: মধ্যরাতে তাণ্ডব বাংলাদেশে, মুজিবের বাড়ি ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ, ইতিহাস মুছে ফেলার চেষ্টা!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অশান্তির বাংলাদেশে ইতিহাস হয়ে গেল ‘ইতিহাস’! এবং সেটাও হল এমন সময় যখন বাংলাদেশের (Bangladesh Crisis) তদারকি সরকারের মাথায় যিনি রয়েছেন, সেই মহম্মদ ইউনূস নোবেল পুরস্কার পেয়েছিলেন শান্তির জন্য! ফেরা যাক খবরে। বুধবার রাতে ঢাকায় শেখ মুজিবুর রহমানের স্মৃতিবিজড়িত ৩২ নম্বর ধানমন্ডির বাড়ি ভেঙে গুঁড়িয়ে দেওয়া হয় (Sheikh Hasina)। প্রথমে মুজিবের বাড়িতে তাণ্ডব চালায় উন্মত্ত জনতা। ভাঙচুর করার পাশাপাশি লাগিয়ে দেওয়া হয় আগুন। গভীর রাতে বুলডোজার নিয়ে এসে মাটিতে মিশিয়ে দেওয়া হয় ‘ইতিহাস’।

    বাংলাদেশে তাণ্ডব (Bangladesh Crisis)

    এদিন বাংলাদেশবাসীর উদ্দেশে ভার্চুয়ালি ভাষণ দেন সে দেশের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তাঁর ভাষণ শুরুর আগেই তাণ্ডব চালানো হয় হাসিনার বাবার বাড়িতে। এই ধানমন্ডিতেই বাড়ি রয়েছে বাংলাদেশের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনারও। বাড়ির নাম সুধা সদন। আওয়ামি লিগ সুপ্রিমোর সেই বাড়িতেও আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয়। এদিন রাত সাড়ে ১২টা নাগাদ ভোলা সদরের গাজিপুর সড়কে প্রিয় কুটির নামে একটি বাড়িতেও আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয়। এটি আওয়ামি লিগ নেতা তথা প্রাক্তন সাংসদ তোফায়েল আহমেদের বাড়ি। রাত ১টা নাগাদ কুমিল্লার মুন্সেফবাড়ি এলাকায় প্রাক্তন সাংসদ বাহাউদ্দিন বাহারের বাড়িতেও ভাঙচুর চালানো হয়। লাগিয়ে দেওয়া হয় আগুনও।

    অগ্নিসংযোগ শেখ হাসিনার বাড়িতেও

    হাসিনা-বিরোধী জনতার রোষের আগুনের হাত থেকে রেহাই পায়নি খুলনায় শেখ বাড়িও (Bangladesh Crisis)। এই বাড়িটি হাসিনার কাকার। এদিন রাত ৯টা নাগাদ তাণ্ডব শুরু হয় এই বাড়িতে। প্রথমে বাড়িটি ভাঙচুর করে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতাকর্মীরা। পরে সিটি কর্পোরেশনের দুটি বুলডোজার নিয়ে বাড়িটি গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়। কুষ্টিয়ায়ও বুলডোজার চলেছে প্রাক্তন সাংসদ মাহবুব উল আম হানিফের বাড়িতে। জাহাঙ্গিরনগর বিশ্ববিদ্যালয়েও মুজিব ও হাসিনার ম্যুরালও ভেঙে দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ।

    ফ্যাসিবাদের তীর্থভূমি!

    বাংলাদেশের ‘ইতিহাস’ যে এদিন ধুলোয় মিশিয়ে যাবে, তার ইঙ্গিত মিলেছিল আগেই। এদিন বিকেল থেকেই ধানমন্ডির ৩২ নম্বর বাড়িটি (এটাই বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবের বাড়ি) গুঁড়িয়ে দেওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়ে পোস্ট ছড়িয়ে পড়ে সোস্যাল মিডিয়ায়। সন্ধ্যায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম আহ্বায়ক হাসনাত আবদুল্লাহও সোস্যাল মিডিয়ায় একটি পোস্ট করেন। তিনি লেখেন, ‘আজ রাতে বাংলাদেশে ফ্যাসিবাদের তীর্থভূমি মুক্ত হবে।’ হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়েছিল (Sheikh Hasina) সংবাদ মাধ্যমকেও। বলা হয়েছিল, কোনও সংবাদমাধ্যম হাসিনার ভাষণ প্রচার করলে, সেই গণমাধ্যম হাসিনাকে সহযোগিতা করছে বলে ধরে নেওয়া হবে।

    ধুলোয় মিশল ইতিহাস

    ধানমন্ডির এই বাড়িটিই পাঁচ দশক আগে বাংলাদেশে রক্তাক্ত পালাবদলের সাক্ষী। সেই সময় গুলিতে ঝাঁঝরা হয়ে গিয়েছিল শেখ মুজিবুর রহমানের দেহ। হাসিনা প্রধানমন্ত্রীর কুর্সিতে বসার পর তাঁর পৈত্রিক বাড়িটিকে পরিণত করেছিলেন সংগ্রহশালায়। ইতিহাসের সেই সাক্ষীই এখন মিশে গেল ধুলোয়। গত ৫ অগাস্ট আন্দোলনের জেরে প্রধানমন্ত্রী পদে ইস্তফা দিয়ে বাংলাদেশ ছাড়েন হাসিনা। সেই সময়ও ভাঙচুর চালানো হয় মুজিবের ধানমন্ডির বাড়িতে। তার পর থেকে বাড়িটি ছিল পরিত্যক্ত অবস্থায়ই। এবার আগুন লাগিয়ে ভস্মীভূত করা হল সেই বাড়ি।

    কী বললেন হাসিনা

    পৈত্রিক ভবনের এই দুর্দশার প্রসঙ্গ এদিন উঠে এসেছে হাসিনার ভার্চুয়াল ভাষণেও। তিনি বলেন, “ধানমন্ডির ৩২ নম্বর বাড়ি থেকে জাতির পিতা (শেখ মুজিব) স্বাধীনতার (Bangladesh Crisis) কথা ঘোষণা করেছিলেন। ওই ঘটনার পর পাকিস্তানি হানাদাররা তাঁকে গ্রেফতার করে নিয়ে গিয়েছিল। তখনও এই বাড়িটিতে তারা লুটপাট করেছিল। কিন্তু আগুন দিয়ে পোড়ায়নি, ভাঙেনি।” স্মৃতির সরণী বেয়ে হাঁটতে গিয়ে হাসিনা বলেন, “শেখ মুজিব কখনও দেশের রাষ্ট্রপতি ভবন কিংবা প্রধানমন্ত্রীর বাসভবনে থাকেননি। তিনি ছিলেন এই ছোট্ট বাড়িটিতেই। আমার মা অনেক কষ্ট করে এই বাড়িটির প্রতিটি ইট নিজের হাতে গেঁথেছিলেন।” আওয়ামি লিগ সুপ্রিমো বলেন, “এই বাড়িতে অনেক রাষ্ট্রপ্রধান, সরকার প্রধান, বিশ্বের বড় বড় নেতারা এসেছেন। আজ এই বাড়িটি ভেঙে ফেলা হচ্ছে। কেন? বাড়িটির কী অপরাধ? এই বাড়িটিকে কেন এত ভয় পাচ্ছেন (Sheikh Hasina)?”

    পাকিস্তানিদের পদলেহন করাটাই পছন্দ!

    এদিন বাংলাদেশের ছাত্রসমাজের উদ্দেশে হাসিনার ৫২ মিনিটের অডিও বার্তায় বাংলাদেশবাসীর বিরুদ্ধে চক্রান্তের অভিযোগ করেন হাসিনা। তিনি বলেন, “আমরা দুই বোন যে স্মৃতিটুকু নিয়ে বেঁচেছিলাম, আজ সেই স্মৃতিটুকুও ভেঙে ফেলা হচ্ছে। এর আগে আগুন দিয়ে পুড়িয়েছে। আজ ভেঙে ফেলা হল।” গলা ধরে এল বাংলাদেশের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রীর। হাসিনা বলেন, “লাখো শহিদের রক্তের বিনিময়ে আমরা যে সংবিধান, স্বাধীনতা, পতাকা পেয়েছি – তা কয়েকজন বুলডোজার দিয়ে ভেঙে গুঁড়িয়ে দিতে পারবে না। এ শক্তি তাঁদের এখনও হয়নি। এটি তাঁদের দুর্বলতার প্রকাশ। তাঁরা দালান ভাঙতে পারে, কিন্তু ইতিহাসকে ধ্বংস করতে পারেন না। ইতিহাস যে প্রতিশোধ নেয়। এ কথা তাঁদের মনে রাখতে হবে। যাঁরা এ সব করছেন, তাঁরা হীনন্মন্যতার পরিচয় দিচ্ছেন। তাঁদের হয়তো বাংলাদেশের স্বাধীনতা পছন্দ নয়। পাকিস্তানিদের অধীনে থাকা ও পদলেহন করাটাই হয়তো তাঁদের পছন্দ।”

    বাংলাদেশকে ক্ষতবিক্ষত করে দিচ্ছে

    মুজিব কন্যা বলেন, “বাংলাদেশকে নিয়ে ধ্বংসের খেলা শুরু হয়েছে। বাংলাদেশ সারা বিশ্বের কাছে উন্নয়নের রোল মডেল ছিল, উন্নয়নের বিস্ময় ছিল। সেই বাংলাদেশকে চরমভাবে ধ্বংস করে জঙ্গি, সন্ত্রাসীদের দেশ হিসেবে পরিণত করা হয়েছে। এটিই হল সব চেয়ে দুর্ভাগ্যের বিষয়।” বাংলাদেশের সাধারণ মানুষের অধিকার কেড়ে নেওয়ার চক্রান্ত করা হচ্ছে বলেও অভিযোগ তাঁর। হাসিনা বলেন, “কেউ রেহাই পাচ্ছেন না। এদের ধ্বংসের খেলা, রক্তের খেলা বাংলাদেশকে ক্ষতবিক্ষত করে দিচ্ছে।” তাঁর ধারণা, বাংলাদেশের কোটা সংস্কার আন্দোলনও আসলে একটি ষড়যন্ত্র।

    ইউনূসকে নিশানা হাসিনার

    এদিন ইউনূসকেও নিশানা করেন বাংলাদেশের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, “১৯৯০ সালে গ্রামীণ ব্যাঙ্কের ম্যানেজারের পদে ৬ হাজার টাকা বেতনের চাকরি পেয়েছিলেন। আমি ১৯৯৬ সালে সরকারে আসার পরে এই গ্রামীণ ব্যাঙ্ককে ৪০০ কোটি টাকা দিয়ে দাঁড় করিয়ে দিই। গ্রামীণ ফোনের ব্যবসাও ইউনূসকে দিয়েছিলাম। আমার কাছে বারবার ধর্না দিয়েছিলেন। তিনি বলেছিলেন, সেখান থেকে লাভের অংশ গ্রামীণ ব্যাঙ্কে যাবে। কিন্তু তা যায়নি। তিনি আর্থিক দুর্নীতি করেছেন। তাঁর ক্ষমতার লোভ আজ বাংলাদেশকে ধ্বংসের দিকে নিয়ে এসেছে (Bangladesh Crisis)।” তিনি বলেন, “কয়েকজন বুলডোজার দিয়ে দেশের স্বাধীনতা ভেঙে ফেলবে, এই শক্তি তাদের হয়নি। তারা একটা দালান ভেঙে ফেলতে পারবে, কিন্তু ইতিহাস মুছতে পারবে না।” এদিন রাজশাহী, কুমিল্লা, চট্টগ্রাম, শিলেট, বরিশাল এবং রংপুরেও হামলা চালায় উন্মত্ত জনতা। হামলা চালানো হয়েছে আওয়ামি লিগের নেতা-কর্মীদের বাড়িতেও।

    মধ্যরাতে মুজিবের স্মৃতিবিজড়িত যে বাড়িতে ভাঙচুর চালানো শুরু হয়েছিল, তা চলেছে বৃহস্পতিবার সকাল পর্যন্তও। এদিন সকাল ৯টা নাগাদ বাড়িটির সিংহভাগ অংশই ভেঙে ফেলা হয়েছে। বাড়িটির সামনে জড়ো হওয়া লোকজনের বক্তব্য, স্বৈরাচারের কোনও চিহ্ন তাঁরা রাখতে চান না। ভবনের বড় অংশ ভাঙার পর উল্লাসও করতে দেখা গিয়েছে তাদের।

    আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশেষজ্ঞদের একাংশের মতে, বাংলাদেশ থেকে আওয়ামি লিগকে মুছে ফেলতে চায় ইউনূস প্রশাসন। তার জেরে ‘ইতিহাস’ ভাঙচুর শুরু (Sheikh Hasina) হলেও, গদি বাঁচাতে হাত গুটিয়ে বসে থাকেন অন্তর্বর্তী সরকারের নোবেল জয়ী প্রধান (Bangladesh Crisis)!

LinkedIn
Share