Category: বিজ্ঞান

Get updated Science and Research related news from the Madhyom news portal madhyom.com, West Bengal leading news portal Madhyom.com

  • Gaganyaan: গগনযান-এ ওঠার অপেক্ষা! কঠোর অনুশীলন চার ভারতীয় মহাকাশচারীর

    Gaganyaan: গগনযান-এ ওঠার অপেক্ষা! কঠোর অনুশীলন চার ভারতীয় মহাকাশচারীর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অপেক্ষার আর মাত্র কয়েকটা দিন। ২০২৪-২০২৫ এ ‘গগনযান’(Gaganyaan) অভিযানের আওতায় চার নভোশ্চরকে মহাকাশে পাঠাতে চলেছে ভারতীয় মহাকাশ গবেষণা সংস্থা ইসরো (ISRO)।পৃথিবীর কক্ষপথের নিম্ন ভাগে তিন দিন কাটিয়ে আবার পৃথিবীতে ফিরে আসবেন ভারতীয় নভোশ্চররা। দেশীয় প্রযুক্তিতে তৈরি ‘গগনযানে’ চেপেই এই অভিযান চলবে। তার জন্যই বেঙ্গালুরুতে বিশেষ প্রশিক্ষণ নিচ্ছেন চার মহাকাশচারী গ্রুপ ক্যাপ্টেন প্রশান্ত বালাকৃষ্ণণ, গ্রুপ ক্যাপ্টেন অজিত কৃষ্ণণ, গ্রুপ ক্যাপ্টেন অঙ্গদ প্রদাপ এবং উইং কমান্ডার শুভাংশু শুক্লা। এই অভিযান সফল হলে, আমেরিকা, রাশিয়া এবং চিনের পর মহাকাশে মানুষ পাঠানো চতুর্থ দেশ হিসেবে ইতিহাসের পাতায় নাম উঠবে ভারতের। 

    কেমন চলছে প্রশিক্ষণ

    গত ২৭ ফেব্রুয়ারি তিরুঅনন্তপুরমের বিক্রম সারাভাই স্পেস সেন্টার থেকে ‘গগনযান’ (Gaganyaan) অভিযানের জন্য নির্বাচিত চার নভোশ্চরের নাম প্রকাশ করা হয়। যে কোনও প্রতিকূল পরিস্থিতির মোকাবিলায় দক্ষ এই চার জন। তবে বেঙ্গালুরুতে বায়ুসেনার নভশ্চর কেন্দ্রে বিশেষ প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে তাঁদের। বায়ুসেনারই ইনস্টিটিউট অফ এরোস্পেস মেডিসিনে এই চার জনকে বেছে নেওয়া হয়। বাছাই প্রক্রিয়া শেষ হওয়ার পর তাঁদের নাম ঘোষণা করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।

    কী কী অনুশীলন

    বর্তমানে চার মহাকাশচারীর প্রশিক্ষণ চলছে বেঙ্গালুরুতে টেস্ট পাইলটদের বেছে নেওয়া হয়েছিল, তাঁদের ক্লিনিকাল, এরোমেডিক্যাল এবং সাইকোলজিকাল পরীক্ষা হয়েছে। সেকীভাবে মহাকাশে থাকতে হবে, বরফের মধ্যে কীভাবে নিজেদের রক্ষা করতে হবে, মরুভূমিতে কীভাবে নিজেদের রক্ষা করতে হবে, জলে কীভাবে নিজেদের রক্ষা করতে হবে, সবকিছুর প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে তাঁদের। সিমুলেটরের মাধ্যমেও প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে। শারীরিক প্রশিক্ষণ করছেন তাঁরা। বিশেষ ধরনের যোগও করছেন বলে ইসরোর (ISRO) তরফে জানানো হয়েছে।

    আরও পড়ুন: সব মরশুমেই যাতায়াত সহজ! চিনকে ঠেকাতে লাদাখে নতুন রাস্তা নির্মাণ করছে কেন্দ্র

    অবতরণের জন্য সতর্কতা

    মিশনের (Gaganyaan) একেবারে শেষ পর্যায়ে মহাকাশচারীরা যাতে নিরাপদে অবতরণ করতে অর্থাৎ পৃথিবীতে আবার ফিরে আসতে পারেন তার জন্যও বিশেষ প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। মহাকাশচারীদের নিরাপদে পৃথিবীতে ফিরিয়ে আনতে আরব সাগরে প্রাথমিক ল্যান্ডিং জোন তৈরি করা হয়েছে। এজন্য ভারতীয় এজেন্সিগুলো যে কোনও জরুরির পরিস্থিতি সম্বন্ধে সম্পূর্ণ সতর্ক থাকবে। মিশনটি যাতে কোনও সমস্যার সম্মুখীন না হয় তা নিশ্চিত করার জন্য, ৪৮টি আন্তর্জাতিক ল্যান্ডিং সাইট নির্বাচন করা হয়েছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

     

  • Gaganyaan: গগনযানে চড়ে মহাকাশে পাড়ি! প্রধানমন্ত্রী ঘোষণা করলেন চার সৌভাগ্যবানের নাম

    Gaganyaan: গগনযানে চড়ে মহাকাশে পাড়ি! প্রধানমন্ত্রী ঘোষণা করলেন চার সৌভাগ্যবানের নাম

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মহাশূন্যে মানুষ পাঠাচ্ছে ভারত। মহাকাশচারী হিসেবে মোট চারজনকে বেছে নেওয়া হয়েছে এই অভিযানের জন্য। গগনযানে (Gaganyaan) চড়ে তাঁরা পাড়ি দেবেন মহাশূন্যে। মঙ্গলবার সেই চার মহাকাশচারীর নাম-পরিচয় প্রকাশ করলেন খোদ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। তিরুঅনন্তপুরমের বিক্রম সারাভাই স্পেস সেন্টার থেকে ওই চারজনের নাম-পরিচয় প্রকাশ করেন তিনি। তাঁরা হলেন গ্রুপ ক্যাপ্টেন পি বালকৃষ্ণন নায়ার, গ্রুপ ক্যাপ্টেন অজিত কৃষ্ণন, গ্রুপ ক্যাপ্টেন অঙ্গদ প্রতাপ এবং উইং কমান্ডার এস শুক্লা। ‘গগনযান’ (Gaganyaan) অভিযানের আওতায় মহাকাশচারীদের রকেটে চাপিয়ে পৃথিবীর কক্ষপথে পাঠানো হবে। তিন দিন পর আবার তাঁদের ফিরিয়ে আনা হবে পৃথিবীতে। অবতরণ করানো হবে আরব সাগরের জলভাগে। ২০২৪-২৫ সালের মধ্যে এই অভিযান সম্পূর্ণ হবে বলে জানা গিয়েছে।

    রাশিয়াতেও চলে প্রশিক্ষণ

    অভিযানের (Gaganyaan) জন্য এই চার মহাকাশচারীকে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে রীতিমতো। শারীরিক সক্ষমতার বিভিন্ন পরীক্ষায় উতরোতে হয় তাঁদের। এরপাশাপাশি চলে প্রযুক্তিগত প্রশিক্ষণও। রাশিয়াতেও মহাকাশ অভিযানের প্রশিক্ষণ নিয়েছেন তাঁরা। মহাকাশে যে কোনও পরিস্থিতিতে অভিযোজিত হওয়ার, প্রাণ বাঁচানোর কৌশলও শেখানো হয় তাঁদের।

    কী বললেন প্রধানমন্ত্রী?

    এদিন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বলেন, ‘‘গগনযানের (Gaganyaan) চার যাত্রীর নাম জানতে পারলেন দেশবাসী। কিন্তু এগুলি শুধুমাত্র চার মানুষের নাম নয়। চার অদম্য শক্তির নাম, যাঁরা ১৪০ কোটি ভারতীয়র মহাকাশ-স্বপ্নকে বাস্তবায়িত করতে চলেছেন। ৪০ বছর পর কোনও ভারতীয় মহাকাশে যাচ্ছেন। তবে এবার আমাদের নিজেদের রকেটে চেপে যাওয়া হচ্ছে।’’

    একাধিক প্রকল্পের উদ্বোধন করেন মোদি

    কেরলে সফরে এদিন বিক্রম সারাভাই মহাকাশ কেন্দ্রে আসেন প্রধানমন্ত্রী। সেখানে গগনযান অভিযানের প্রস্তুতিও পর্যবেক্ষণ করেন তিনি। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি মঙ্গলবার বেশ কতগুলি প্রকল্পের উদ্বোধনও করেন। যার মধ্যে বিক্রম সারাভাই স্পেস সেন্টারের জন্য ১৮০০ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়। এর পাশাপাশি তিনি উদ্বোধন করেন ইসরোর প্রোপালসেন কমপ্লেক্সের যা মহেন্দ্রগিরিতে অবস্থিত। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে এদিন উপস্থিত ছিলেন বিদেশমন্ত্রকের রাষ্ট্রমন্ত্রী ভি মুরলিধরন, কেরলের রাজ্যপাল আরিফ মহম্মদ খান, কেরলের মুখ্যমন্ত্রী পিনারায় বিজয়ন, ইসরোর চেয়ারম্যান সোমনাথ এস সমেত অন্যান্য বিজ্ঞানীরা।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Black Hole: গবেষণায় অভূতপূর্ব সাফল্য! ‘ব্ল্যাক হোল’ নিয়ে আশার আলো দেখালেন বাঙালি বিজ্ঞানী

    Black Hole: গবেষণায় অভূতপূর্ব সাফল্য! ‘ব্ল্যাক হোল’ নিয়ে আশার আলো দেখালেন বাঙালি বিজ্ঞানী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ‘ব্ল্যাক হোল’ বা কৃষ্ণ গহ্বর (Black Hole)। মহাবিশ্বের এক অন্ধকারময় জগত। যার মূল কেন্দ্রবিন্দু থেকে আলো নির্গত হয় না। অন্ধকারময় এই জগৎকে কেন্দ্র করেই এখন তাবড় বিজ্ঞানীদের কৌতূহল তুঙ্গে। সেখানেই আশার আলো দেখালেন এক বাঙালি বিজ্ঞানী, বর্তমানে যিনি ক্যালিফোর্নিয়ার বাসিন্দা। তন্ময় চট্টোপাধ্যায়। জন্মসূত্রে রানীগঞ্জের বাসিন্দা। তবে পরিবার থাকে আসানসোলে। তন্ময়বাবু সস্ত্রীক থাকেন ক্যালিফোর্নিয়ায়। সদ্য তিনি এমন একটি তথ্যের সন্ধান পেয়েছেন, যা কৃষ্ণগহ্বর নিয়ে গবেষণার ক্ষেত্রে নানাবিধ জট খুলে দিতে পারে। ভারতীয় স্পেস টেলিস্কোপ অ্যাস্ট্রোস্যাটের মাধ্যমে ব্ল্যাক হোল জেটের পোলারাইজড হাই এনার্জি এক্স-রে’র পরিমাপ করেছেন তিনি। যার ফলে বিশ্বজুড়ে কৃষ্ণগহ্বর নিয়ে যে গবেষণা বিগত চার দশক ধরে চলছে, সেখানে নতুন দিশা দেখিয়েছেন তন্ময়বাবু এবং তাঁর টিম।

    কী পাওয়া গেল তাঁর গবেষণায়? (Black Hole)

    ঠিক কী রয়েছে এই বাঙালি বিজ্ঞানীর গবেষণায়? জানা গিয়েছে, গবেষণায় যে তথ্য উঠে এসেছে, তা অভূতপূর্ব। বিজ্ঞানীর দাবি, প্রতিটি ব্ল্যাক হোলের একটি কাল্পনিক ব্যাসার্ধ রয়েছে। সূর্যের থেকে যা বহুগুণ ঘন। আর সেখান থেকে কোনও রশ্মি নির্গত হয় না। তাই তার সম্পর্কে জানাটাও বেশ কঠিন। ঠিক সেই জায়গায় ব্ল্যাক হোলের কাল্পনিক ব্যাসার্ধের বাইরে নানান বিক্রিয়া থেকে নির্গত রশ্মি নিয়ে অ্যাস্ট্রোস্যাটের ক্যাডমিয়াম জিংক টেলিউরাইড ইমেজারের মাধ্যমে তাঁরা হাই এনার্জি পোলারাইজ এক্স-রে’র ওয়েভ লেন্থ পরিমাপ করেছেন, যা বিশ্বে প্রথম বলে দাবি করা হয়েছে। তন্ময়বাবুর এই সাফল্য আগামী দিনে ব্ল্যাক হোল (Black Hole) নিয়ে গবেষণায় দিশা দেখাতে পারে বলে আশা রয়েছে বিজ্ঞানীদের। ব্ল্যাক হোলকে এখনও মহা জগতের বিস্ময় বলে মনে করা হয়, যে সম্পর্কে সকলে খুব কম তথ্যই জানেন। কিন্তু কৃষ্ণ গহ্বরের একাধিক জট এই গবেষণার মাধ্যমে খুলে যেতে পারে বলে আশা। উল্লেখ্য, আমেরিকান অ্যাস্ট্রোনমিক্যাল সোসাইটি প্রকাশিত দ্য অ্যাস্ট্রফিজিক্যাল জার্নাল লেটারে এই গবেষণা প্রকাশ করা হয়েছে। অন্যদিকে, বাঙালি বিজ্ঞানী তন্ময় বন্দ্যোপাধ্যায় ক্যালিফোর্নিয়ার স্ট্যান্ডফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞানী।

    কীভাবে উত্থান? (Black Hole)

    উল্লেখ্য, জন্মসূত্রে রানীগঞ্জের বাসিন্দা তন্ময়বাবু শহরেরই একটি সরকার পোষিত বাংলা মাধ্যম স্কুলে পড়াশোনা করেছেন। রানীগঞ্জ স্কুলপাড়ায় তিনি বড় হয়েছেন। বাবা ছিলেন আসানসোল আদালতের আইনজীবী। ২০০৫ সালে উচ্চ মাধ্যমিক পাশ। ২০০৮ সালে বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ফিজিক্স অনার্স পাশ করেন। তারপর বেনারস হিন্দু ইউনিভার্সিটি থেকে হাই এনার্জি ফিজিক্স নিয়ে এমএসসি করেন। এরপর যোগ দেন ইসরোর ফিজিক্যাল রিসার্চ ল্যাবরেটরিতে। ২০১০ থেকে ২০১৬ পর্যন্ত সেখানে ডক্টরেট করার সময় এবং ইসরোর ২০১৫ সালে অ্যাস্ট্রোস্যাট পাঠানোর সময় একাধিক কাজে যোগ দিয়েছিলেন তিনি (Black Hole)।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Sunlight: দিনেও অন্ধকারাচ্ছন্ন গোটা গ্রাম! কীভাবে প্রবেশ করানো হল সূর্যের আলো?

    Sunlight: দিনেও অন্ধকারাচ্ছন্ন গোটা গ্রাম! কীভাবে প্রবেশ করানো হল সূর্যের আলো?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মানুষের কারিগরি প্রতিভা ও চিন্তাধারা কতটা উন্নতমানের হতে পারে, তা ইতালির ভিগানেলা গ্রামের দিকে তাকালেই বোঝা যায়। পৃথিবীর মানচিত্রে এই গ্রামের নাম খুঁজে না পাওয়া গেলেও এর এক বিশেষত্ব বর্তমানে ইন্টারনেট জগতে খুবই চর্চিত হয়েছে। ইতালিতে অবস্থিত মিলান থেকে প্রায় ১৩০ কিমি উত্তরে গভীর উপত্যকায় অবস্থিত এই ভিগানেলা গ্রাম। এই গ্রামের নিকটবর্তী পাহাড়গুলি প্রায় ১৬০০ মিটার উঁচু হওয়ার কারণে গ্রামে ৬ মাস পর্যন্ত সূর্যালোকের (Sunlight) দেখা মেলে না। ফলে নানান রোগের প্রাদুর্ভাব সেখানে দেখা দিতে থাকে। প্রত্যেক বছরের ১১ ই নভেম্বর থেকে সূর্যালোক প্রায় অদৃশ্য হয়ে যায় বললেই চলে। ফলে গোটা গ্রাম সব সময় অন্ধকার হয়ে থাকে। এই গ্রামটিকে তাই সাইবেরিয়ার সঙ্গে অনেকে তুলনা করে থাকেন। দিনের বেলাতেও অন্ধকার হয়ে থাকে গোটা গ্রাম। এর ফলে যে শুধু রোগের প্রাদুর্ভাব বাড়ে তা নয়, চাষ-আবাদের ক্ষেত্রেও বিপুল ক্ষতির সম্মুখীন হয় গ্রামবাসীরা। বিভিন্ন ধরনের বিকল্প পদ্ধতির মাধ্যমে সূর্যালোক প্রবেশ করানোর কথা ভাবলেও প্রত্যেক ক্ষেত্রেই সেই উদ্যোগ বিফলে যায়। পরবর্তীতে এমন এক পদ্ধতি ব্যবহার করা হয়, যাতে গোটা গ্রামে বর্তমানে দিনের বেলার অন্ধকার সময়েও সূর্যালোক প্রবেশ করানো সম্ভব হয়েছে।

    কী এমন পদ্ধতি ব্যবহার করা হয়েছে সেখানে? (Sunlight)

    ২০০৬ সালে এই সমস্যার সমাধান করে গ্রামবাসীরা গোটা বিশ্বকে তাক লাগিয়ে দিয়েছিল। এক কথায় বলতে গেলে গ্রামবাসীরা তাদের নিজস্ব সূর্য (Sunlight) তৈরি করে ফেলেছিল। আর এই ধারণাটি হল, সূর্যের আলোকে প্রতিবিম্বের মাধ্যমে গ্রামের মধ্যে ফেলা। আর এটি সফল করার জন্য একটি কম্পিউটার পরিচালিত আলোকে প্রতিবিম্বিত করে একটি আয়না স্থাপন করা হয় পাহাড়ের চূড়াতে। ২০০৬ সালে এটিকে বাস্তবায়িত করা হয়।

    কীভাবে আয়নাটি স্থাপন করা হয়? (Sunlight)

    ২০০৫ সালে ১০ লাখ ইউরো ব্যয় করে আয়নাটি তৈরির কাজ শুরু করেছিলেন ভিগানেলারের মেয়র পিয়েরফ্র্যাঙ্কো মিডালি। আর ২০০৬ সালে এটি সম্পূর্ণ হয়। আয়নাটি ৪০ বর্গমিটার ও যার ওজন ১.১ টন। সূর্যের আলোকে সঠিকভাবে প্রতিবিম্বিত করে গ্রামে প্রবেশ করানোর জন্য সেটিকে পাহাড়ের ১১০০ মিটার উচ্চতায় স্থাপন করা হয়। আর আয়নাটি সম্পূর্ণরূপে কম্পিউটার পরিচালিত হওয়ায় এটি সূর্যের গতিপথ অনুসরণ করে সেই মতো সূর্যালোককে (Sunlight) প্রতিফলিত করে গ্রামের উপর ফেলে। প্রতিটি আয়না হিলিওস্ট্যাটস, কম্পিউটার চালিত মোটর দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হয়। তারা দিগন্ত জুড়ে সূর্যের গতিপথ ট্র্যাক করে। এই আয়নাটি দিনে অন্তত ছয় ঘণ্টা গ্রামের আড়াইশো বর্গমিটার অঞ্চল আলোকিত করে। গ্রামে রোগের প্রাদুর্ভাব কমতে থাকে এবং চাষ-আবাদের ক্ষেত্রেও বিশেষ পরিবর্তন লক্ষ্য করা যায়। মানসিক ও শারীরিক দিক থেকেও অনেক পরিবর্তন আসতে থাকে।

    গ্রামে উদযাপিত হয় আলোর দিন (Sunlight)

    ২০০৬ সালের ১৭ ডিসেম্বর ভিগানেলায় এই বিশাল আকারের আয়নাটির প্রতিষ্ঠা করা হয় এবং এই দিনটিকে তারা “আলোর দিন” হিসাবে উদযাপন শুরু করে।  প্রাচীন মধ্যযুগীয় গ্রাম ভিগানেলা নিজস্ব সূর্যের দেশ হিসাবে পরিচিতি লাভ করে। নিজস্ব তৈরি সূর্যের (Sunlight) কারণে এই গ্রাম এখন অনেক ভ্রমণ পিপাসুদের আকর্ষণীয় স্থান হয়ে উঠেছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Deepfake AI: গোটা পৃথিবীতে চলছে AI যুগ, ডিপফেক কত বড় বিপদ ডেকে আনতে চলেছে?

    Deepfake AI: গোটা পৃথিবীতে চলছে AI যুগ, ডিপফেক কত বড় বিপদ ডেকে আনতে চলেছে?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বর্তমান প্রযুক্তি (Deepfake AI) আশীর্বাদ না অভিশাপ? এই প্রশ্ন এখন সবার মনে। গোটা পৃথিবীতে এখন AI যুগ চলছে বলা যেতেই পারে। কিন্তু এই প্রযুক্তিই যখন মানুষের গলার কাঁটা হয়ে দাঁড়ায়, তখন সেটিকে আশীর্বাদ না বলে কি অভিশাপ বলাটাই শ্রেয়? এক অন্য বিশেষ কারণের জন্য তৈরি কোনও প্রযুক্তিকে যখন খারাপ কাজে ব্যবহার করা হয়, তখন তা হয়ে ওঠে অতি ভয়ানক। কিছুদিন আগের ঘটনা। ‘পুষ্পা’ সিনেমা খ্যাত অভিনেত্রী রশ্মিকা মন্দনার একটি বিকৃত ভিডিও ইন্টারনেটে ছড়িয়ে পড়ে, যেখানে তাঁর মুখকে অন্য কোনও অশ্লীল ভিডিও-র সাথে বসিয়ে একটি ফেক ভিডিও তৈরি করে ইন্টারনেটে ছেড়ে দেওয়া হয়। যেটি দেখে হুবহু অভিনেত্রীকে মনে হলেও কিন্তু তিনি নন। শুধু অভিনেত্রী নয়, অন্যান্য অনেক মহিলাকে নিয়ে এভাবে আপত্তিকর ভিডিও বানিয়ে ইন্টারনেটে ছড়িয়ে দিয়ে ব্লাকমেইলিং করা হয়। 

    কী এই ডিপফেক পদ্ধতি? (Deepfake AI)

    ডিপফেক পদ্ধতি এমন এক আধুনিক প্রযুক্তি, যেখানে AI কে কাজে লাগিয়ে যে কোনও অডিও বা ভিডিওতে কারচুপি করা সম্ভব। আরও সহজ ভাবে বলতে গেলে, এই ডিপফেক-এর সাহায্যে এমন ভুয়ো ভিডিও তৈরি করা যায়, যেটি দেখতে একদম আসলের মতো। এই ডিপফেক-এর সাহায্যে কোনও অশ্লীল ভিডিওতে উপস্থিত মানুষের চেহারা বদল করে মানুষকে ব্লাকমেইলিংয়ের  মতো ঘটনা বরাবর ঘটে চলেছে। 

    এই ডিপফেক কোথায় ব্যবহৃত হয়?

    এই ডিপফেক পদ্ধতি (Deepfake AI) তৈরি করা হয়েছিল সাধারণত বিনোদনের জন্য। যার উদ্দেশ্য ছিল মানুষের কাছে এমন কিছু তুলে ধরা, যা বাস্তবে ঘটেনি, কিন্তু সেটিকে এই পদ্ধতির মাধ্যমে করে দেখানো। বর্তমানে চলচ্চিত্র শিল্পে এই পদ্ধতি অনেক জায়গায় ব্যাবহার করা হয়। মৃত ব্যক্তি বা পূর্বপুরুষদের জীবন্ত ভিডিও তৈরিতেও এই পদ্ধতি ব্যাপকভাবে ব্যবহৃত হচ্ছে। কিন্তু ২০১৯ এর এক রিপোর্ট অনুযায়ী অনলাইনে পাওয়া ডিপফেক ভিডিওর ৯৭ শতাংশই অশ্লীল ভিডিও। বিশেষ করে পর্নোগ্রাফিতে এই ডিপফেক পদ্ধতি লক্ষ্য করা গিয়েছে। অভিনেতা-অভিনেত্রীদের মুখমণ্ডল ও চেহারা পাল্টে অশ্লীল ভিডিও বানিয়ে ইন্টারনেটে পোস্ট করা হয়েছে। শুধু এখানেই থেমে নেই, এই ডিপফেক এখন রাজনীতিতেও ব্যবহৃত হচ্ছে। কোনও বিরোধী পার্টিকে আক্রমণ করার জন্য সেই পার্টির কোনও ভিডিওকে এই পদ্ধতির মাধ্যমে বিকৃত করে ইন্টারনেটে পোস্ট করা হচ্ছে। এই ধরনের বহু ভিডিও আজ সোশ্যাল মিডিয়াতে পাওয়া যায়।

    ডিপফেক শনাক্ত করার উপায় কী?

    এই ডিপফেককে শনাক্ত করার জন্য বিশেষ কিছু দিকে নজর দিতে হয়। বেশিরভাগ ডিপফেক (Deepfake AI) পুরোপুরি কোনও বিষয়কে নকল করতে পারে না। যার মধ্যে কিছু জিনিস হল মানুষের চুল, নাক, কান। আবার কোনও সময় দেখা যায় অনেকক্ষণ পেরিয়ে যাওয়ার পরও চোখের পলক পড়ছে না। তাছাড়াও কনটেন্ট কালারিং বিষয়টি ভালোভাবে নজর করলে দেখা যায় সেটি অসামঞ্জস্যপূর্ণ। আরও অনেক পদ্ধতি আছে যার সাহায্যে এই ডিপফেককে শনাক্ত করা যায়। বর্তমানে ডিপফেকের কিছু আপত্তিকর জিনিস থেকে মানুষকে রক্ষা করার জন্য বিভিন্ন সাইবার সুরক্ষার সাহায্য নেওয়া হচ্ছে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Headless Chicken: দেড় বছর বিনা মুণ্ডতেই বেঁচে ছিল ‘মাইক’! তাজ্জব বিজ্ঞানী মহল

    Headless Chicken: দেড় বছর বিনা মুণ্ডতেই বেঁচে ছিল ‘মাইক’! তাজ্জব বিজ্ঞানী মহল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এই পৃথিবীতে প্রতিনিয়ত আশ্চর্য কত কিছু ঘটে চলেছে। তার মধ্যে কিছু ঘটনা আমাদের সত্যি ভাবিয়ে তোলে, যার ব্যাখ্যা অভিজ্ঞরাও দিতে হিমশিম খান। কল্পবিজ্ঞানের নানা জিনিস মানুষ দেখতে খুবই পছন্দ করেন। কিন্তু কল্পবিজ্ঞানের জিনিস যদি বাস্তব দুনিয়াতেও ঘটে, তাহলে কেমন হয়? হ্যাঁ, বাস্তবে এমন এক ঘটনাই ঘটেছিল পৃথিবীতে, যা বিজ্ঞানী থেকে শুরু করে অভিজ্ঞদের ভাবিয়ে তুলেছিল। ঘটনাটি হল, একটি মুরগি প্রায় দেড় বছর বিনা মুণ্ডতেই বেঁচে ছিল (Headless Chicken)। শুনতে অবাক লাগলেও এটাই বাস্তব। আজ জানব সেই মুণ্ডহীন মুরগির সম্বন্ধে।

    কীভাবে প্রকাশ্যে এল ওই ঘটনা? (Headless Chicken)

    সালটা ১৯৪৫, কলোরাডোর স্বাভাবিক দৈনন্দিন সকালের মতোই একটি সকাল। এই অঞ্চলের ফ্রুটা শহরে মুরগির মাংস সরবরাহ করতেন এক দম্পতি লয়েড ওলসেন ও তাঁর স্ত্রী ক্লারা। এক দিন তাঁরা প্রায় চল্লিশটি মুরগি কেটে সাপ্লাই করার জন্য প্রস্তুতি নিয়েছিলেন। তখনই হঠাৎ তাঁদের নজরে পড়ে, ধড় থেকে মাথা আলাদা হয়ে গেলেও মুণ্ডহীন ভাবেই হেঁটে আসছে একটি মুরগি। তখন এই দৃশ্য দেখে যথারীতি অবাক হন দম্পতি। প্রথমে স্বাভাবিক মনে হলেও এটি মারা যাওয়ার অপেক্ষায় একটি বক্সে ভরে ঘুমাতে যান তাঁরা। পরের দিন সকালে উঠে বাক্স খুলতেই চক্ষু চড়কগাছ তাঁদের। দেখা যায়, মুরগিটি তখনও পর্যন্ত জীবিত অবস্থাতেই রয়েছে। এই অবাক করা খবর ছড়িয়ে পড়ে গোটা শহর জুড়ে। রাতারাতি সব কিছু বদলে যায়। সাংবাদিকদের ভিড় জমতে শুরু করে এই অলৌকিক জিনিস দেখার জন্য। একটি মুরগি (Headless Chicken) কীভাবে নিজের মুণ্ড ছাড়াও এভাবে বেঁচে থাকতে পারে? এভাবে প্রায় কয়েকদিন কেটে গেলেও মুণ্ডহীন ভাবেই মুরগিটি জীবিত অবস্থায় থাকে এবং মুরগিটি একটি নাম রাখা হয় “মাইক”। এই মাইককে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে প্রদর্শনীর জন্য নিয়ে যেতে থাকেন লয়েড। যথারীতি যত্ন নেওয়া হয় মাইক-এর। গোটা বিশ্ব জুড়ে ছড়িয়ে পড়ে “Mike the headless chicken” এর কথা। কিন্তু এই অসম্ভব সম্ভব হল কী করেে, তা নিয়ে যথারীতি হইচই পড়ে যায় বিজ্ঞানী মহলে। কিন্তু এই মুণ্ডহীন মুরগিটির মতো অন্য মুরগি তৈরি করতে বার বার ব্যর্থ হন বিজ্ঞানীরা।

    কীভাবে অসম্ভব সম্ভব হল? (Headless Chicken)

    এটি কোনও জাদু না অলৌকিক ঘটনা, তা নিয়ে মাথাব্যথা শুরু হয় বিভিন্ন মহলে। অনেক গবেষণা শুরু হয়, কীভাবে একটি মুরগি মুণ্ড ছাড়াও এভাবে এক বছর বেঁচে থাকতে পারে! মাইক মুরগিটিকে লিকুইড খাবার ড্রপারে করে মুখে থাকা ছিদ্রের মাধ্যমে খাওয়াতেন। কীভাবে এই সব কিছু সম্ভব হচ্ছিল, তা নিয়ে বিজ্ঞানীরা তদন্ত শুরু করেন এবং অনেক গবেষণায় দেখা যায়, যেদিন সকালে ওই দম্পতি মুরগিটিকে মাথায় কোপ মেরেছিলেন, সেদিন মুরগিটির (Headless Chicken) মুখের সামনে অংশ বাদ গেলেও মস্তিষ্কের গুরু অংশটি অক্ষত অবস্থাতেই রয়ে যায়। মস্তিষ্কের প্রায় ৮০ শতাংশ বেঁচে যায় সেই সময়। কারণ মুরগির মস্তিষ্কের অংশ মূল মুখমণ্ডলের থেকে অনেকটাই পিছন দিকে থাকে। আর মুরগিটির অর্থাৎ মাইকের মস্তিষ্কের এই অংশটিই শ্বাস-প্রশ্বাস, হৃদ্‌স্পন্দন, খিদে, হজমের মতো সমস্ত শারীরিক প্রক্রিয়া নিয়ন্ত্রণ করত। মাথা না থাকায় ড্রপারের সাহায্যে তরল খাবার ঢেলে দিতেন লয়েড। আর ক্ষতস্থান পরিষ্কার করতেন লয়েড। ফলে আশ্চর্যজনক ভাবে মাইক মুণ্ডহীন ভাবেই বেঁচে যায় দিব্যি।

    কবে ও কীভাবে মৃত্যু ঘটে মাইকের? (Headless Chicken)

    ১৯৪৭ সালে লয়েড দম্পতি একবার মাইককে নিয়ে পশ্চিম আমেরিকার ফিনিক্স শহরে এক প্রদর্শনীতে যান। সেখানে সব শেষে হোটেলে বিশ্রাম নিচ্ছিলেন তাঁরা। হঠাৎ এক শব্দে ঘুম ভেঙে যায় তাঁদের। দেখেন, দম আটকে প্রায় শেষ অবস্থা মাইকের। পরে দেখা যায় গলায় খাবার আটকে দম বন্ধ হয়ে যায় মাইকের। আর সেদিনই মৃত্যু ঘটে মাইকের। এই অস্বাভাবিক ঘটনার জন্য আজও সেলিব্রিটি মুণ্ডহীন মুরগি মাইক জনপ্রিয় হয়ে আছে গোটা পৃথিবী জুড়ে। প্রায় দেড় বছর এভাবে বেঁচে ছিল মুরগিটি। শুধু একটি দিন কীভাবে আর সাধারণ মুরগির থেকে মাইকের জীবন আলাদা করে দেবে, কারও তা জানা ছিল না। গোটা বিশ্ব জুড়ে ছড়িয়ে পড়ে “Mike the Headless chicken” এর কথা।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Artificial Intelligence: চাকরিজীবীদের কাছে হুমকি হবে না কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা, জানালেন নারায়ণ মূর্তি

    Artificial Intelligence: চাকরিজীবীদের কাছে হুমকি হবে না কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা, জানালেন নারায়ণ মূর্তি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আগামী দিনে আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স চাকরিজীবীদের কাছে বড় হুমকি হয়ে দাঁড়াবে! এমনটা ভাবেন না ইনফোসিসের প্রতিষ্ঠাতা এনআর নারায়ণ মূর্তি। তিনি আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্সকে (Artificial Intelligence) বিজ্ঞানের একটি বড় আবিষ্কার বলেই মনে করেন। আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স যে আগামী দিনে প্রযুক্তির ক্ষেত্রে একটি বড় জায়গা নিতে চলেছে তাও মনে করেন নারায়ণ মূর্তি। একটি জনপ্রিয় সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে একথা বলতে শোনা যায় নারায়ণ মূর্তিকে।

    আরও পড়ুন: গাজার হাসপাতালে ইজরায়েলি সেনার প্রবেশ, হদিশ মিলল হামাসের অস্ত্রভাণ্ডারের

    সমস্যার সমাধানে আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স…

    দৈনন্দিন জীবনের নানা সমস্যার সমাধানে আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স (Artificial Intelligence) যে একটি বড় টুল বা ইনস্টলমেন্ট হয়েছে এ কথা জানান ইনফোসিস কর্তা। চ্যাট-জিপিটি থেকে অ্যালগরিদম এসব কিছুতেই ডেটার ভূমিকা খুবই গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করেন তিনি। তাঁর মতে, মানুষের মন এবং বুদ্ধি হল সব থেকে বড় ইন্সট্রুমেন্ট যেকোনও সমস্যা সমাধানের। তিনি জানান,মানববুদ্ধির সাহায্যে যখনই আপনি চিন্তা করবেন কোনও বড় কিছুর এবং জটিল সমস্যার সমাধানের তার বিকল্প সবসময় এআই হবে না।

    আরও পড়ুন: বিরসা মুন্ডার জয়ন্তীতে আদিবাসী নৃত্যে পা মেলালেন দ্রৌপদী মুর্মু, শুভেচ্ছা বার্তা মোদির

    অশুভ শক্তির হাতে যেন না ওঠে এআই

    আগামীদিনে আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স (Artificial Intelligence) ব্যবহার করে নিউক্লিয়ার রিয়াক্টরগুলিকে নিয়ন্ত্রণ করার সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে, এটাকেও স্বাগত জানিয়েছেন নারায়ণ মূর্তি। তিনি বলেন জানান, অনেক কিছু ক্ষেত্র রয়েছে যেগুলিতে মানুষ আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্সি ব্যবহার করতে পারছে। এছাড়াও রোবোটিক্স সায়েন্সের ক্ষেত্রে আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স খুব গুরুত্বপূর্ণ বলে বলেন নারায়ণ মূর্তি। কিন্তু এর পাশাপাশি এই আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্সি যেন কোনোভাবেই অশুভ শক্তির হাতে না পৌঁছায় সে ব্যাপারেও সতর্কবার্তা দিয়েছেন ইনফোসিস কর্তা।

    আরও পড়ুন: শিক্ষক নিয়োগ মামলায় নিজাম প্যালেসে হাজিরা দিলেন বিভাস অধিকারী, জল্পনা তুঙ্গে

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Nepal Earthquake: এটাই শেষ নয়, আরও ভয়ঙ্কর ভূমিকম্প হতে পারে নেপালে, কেন জানেন?

    Nepal Earthquake: এটাই শেষ নয়, আরও ভয়ঙ্কর ভূমিকম্প হতে পারে নেপালে, কেন জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শুক্রবার মাঝরাতে ভয়াবহ ভূমিকম্পে দুলে ওঠে নেপাল (Nepal Earthquake)। ভূমিকম্পে মৃতের  সংখ্যা ছাড়িয়েছে একশোরও বেশি। ৩ নভেম্বর রাতের এই ভূমিকম্প যেন ২০১৫ সালের নেপালের ভয়াবহতার স্মৃতিকে ফের একবার উস্কে দিল। গত এক মাসে টানা চারবার ভূমিকম্পের (Nepal Earthquake) ঘটনা ঘটল নেপালে। প্রতিবারই নেপালের ভূমিকম্পের আঁচ পড়ে উত্তর ভারত সহ বিস্তীর্ণ অঞ্চলে। গতকালের ভূমিকম্পেও কেঁপে উঠেছে রাজধানী দিল্লি সহ উত্তরপ্রদেশ, উত্তরাখণ্ডের একাংশ। ভূমিকম্পের আঁচ থেকে বাদ যায়নি তিলোত্তমাও। কম্পন অনুভূত হয়েছে কলকাতাতেও। তবে বিশেষজ্ঞরা আরও আশঙ্কার কথা শোনাচ্ছেন। 

    ভয়াবহ ভূমিকম্পের আশঙ্কা থাকছেই নেপালে

    এমনিতেই পৃথিবীর মধ্যে ১১তম ভূকম্পনপ্রবণ রাষ্ট্র হল নেপাল। বিশেষজ্ঞরা বলছেন যে এটাই শেষ নয় এমন কম্পনের আশঙ্কা বজায় থাকবে! তাঁদের মতে, ৩ নভেম্বর নেপালে যে অংশে ভূমিকম্প হয়েছে তার উৎসস্থল দোতি জেলার কাছে। অন্যদিকে, ঠিক এক মাস আগে গত ৩ অক্টোবর ওই জেলারই আশপাশের এলাকায় বেশ কয়েকবার কম্পন অনুভূত হয়েছে। এই জেলা নিয়েই আশঙ্কার কথা শোনাচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা। গত ২০২২ সালের নভেম্বর মাসেও ওই একই এলাকায় ভূমিকম্পে কেঁপে ওঠে নেপাল। সেই কম্পনে তিনজনের মৃত্যুর খবরও আসে। রিখটার স্কেলে যার মাত্রা ছিল ৬.৩। বিশেষজ্ঞদের মতে, হিমালয়ের নিকটবর্তী ভূখণ্ডে যেকোনও সময় ভয়াবহ ভূমিকম্প (Nepal Earthquake) আবার হতে পারে। কারণ ওই অংশে ইন্ডিয়ান টেকটনিক প্লেট এবং ইউরাশিয়ান প্লেটের মধ্যে সংঘর্ষ হতে পারে।

    ইন্ডিয়ান প্লেট সরছে উত্তর দিকে

    সৃষ্টির প্রথমে অর্থাৎ চার থেকে পাঁচ কোটি বছর আগে ভারত মহাসাগর থেকে ইন্ডিয়ান প্লেটের উৎপত্তি হয়। এই ইন্ডিয়ান প্লেট যখন উত্তর দিকে সরতে থাকে তখনই ইউরেশিয়ান প্লেটের সঙ্গে ধাক্কা শুরু হয়। দুটি প্লেটের সংঘর্ষের ফলেই তৈরি হয় হিমালয় পর্বতমালা। বিশেষজ্ঞদের মতে, এই ইন্ডিয়ান প্লেট আবার উত্তর দিকে সরতে শুরু করেছে। যার ফলে নতুন করে চাপ তৈরি হচ্ছে। কোনও বড় রকমের ভূমিকম্প (Nepal Earthquake) হওয়ার পরেই এই চাপ মুক্ত হবে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। তবে কখন সেই ভয়ঙ্কর ভূমিকম্প হবে! তা ঠিক বলতে পারছেন না বিশেষজ্ঞরা। তাই আশঙ্কা থাকছেই।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Scientist: বিশ্বের শ্রেষ্ঠ বিজ্ঞানীদের তালিকায় সবংয়ের চিন্ময় চক্রবর্তী! টানা ৩ বার শ্রেষ্ঠত্বের শিরোপা

    Scientist: বিশ্বের শ্রেষ্ঠ বিজ্ঞানীদের তালিকায় সবংয়ের চিন্ময় চক্রবর্তী! টানা ৩ বার শ্রেষ্ঠত্বের শিরোপা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সদ্য প্রকাশিত বিশ্বের শ্রেষ্ঠ বিজ্ঞানীদের (Scientist) তালিকায় এবারও জায়গা পেলেন পশ্চিম মেদিনীপুরের সবংয়ের ‘ভূমিপুত্র’ অধ্যাপক চিন্ময় চক্রবর্তী। এই নিয়ে টানা ৩ বছর আমেরিকার ক্যালিফোর্নিয়ায় অবস্থিত পৃথিবী-বিখ্যাত স্ট্যানফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় প্রকাশিত বিশ্বের সর্বশ্রেষ্ঠ বিজ্ঞানীদের তালিকায় জায়গা পেলেন সবংয়ের কৃতি সন্তান চিন্ময়। গত ৪ অক্টোবর বিজ্ঞানের বিভিন্ন বিষয়ে উদ্ধৃতি, এইচ-ইনডেক্স, এইচএম-ইনডেক্স ইত্যাদির ভিত্তিতে বিশ্বের সর্বশ্রেষ্ঠ বিজ্ঞানীদের তালিকা প্রস্তুত করা হয়েছে স্ট্যানফোর্ড ইউনিভার্সিটি’র তরফে। ২০২১, ২০২২-র পর এবারও সেই তালিকায় জায়গা পেয়েছেন আইআইটি খড়্গপুরের এই প্রাক্তনী। বর্তমানে তিনি ঝাড়খণ্ডের বিড়লা ইনস্টিটিউট অফ টেকনোলজিতে অধ্যাপনা করছেন।

    উত্তরণের কাহিনি (Scientist)

    উল্লেখ্য, পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার সবং থানার পানিথর গ্রামের বাসিন্দা অধ্যাপক চিন্ময় চক্রবর্তী ১৯৯৯ সালে পিংলার কড়কাই বিবেকানন্দ বিদ্যাপীঠ থেকে মাধ্যমিক এবং ২০০১ সালে উচ্চ মাধ্যমিক  পাশ করেন। প্রথম থেকেই মেধাবী চিন্ময় ইলেকট্রনিক্স অ্যান্ড কমিউনিকেশন নিয়ে ইঞ্জিনিয়ারিং পাশ করেন। এরপর, খড়্গপুর আইআইটি থেকে টেলিকমিউনিকেশন ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের উপর রিসার্চ করেন এবং ফেডারেল ইউনিভার্সিটি অফ পিয়াও, ব্রাজিল থেকে পোস্ট ডক্টরেট করেন বায়োমেডিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের উপর। চলতি বছরই ডক্টর চিন্ময় ইউরোপিয়ন ফেলোশিপের মাধ্যমে গবেষণার জন্য ইউরোপে যান। সেখানে ইউনিভার্সিটি অফ মলটা এবং ইউনিভার্সিটি অফ বারি-তে ইন্দো-ইউরোপিয়ান গবেষণার উপর কাজ করেন (Scientist)।

    কীসের ওপর গবেষণা? (Scientist)

    বছর ৪০’র অধ্যাপক চিন্ময় চক্রবর্তী গ্রামীণ স্বাস্থ্য ব্যবস্থার উপর উন্নত প্রযুক্তির প্রয়োগ বিষয়ে গবেষণা করে চলেছেন। চলতি বছরের অগাস্ট মাসে গ্রিন ইউনিভার্সিটি অফ বাংলাদেশে আয়োজিত একটি কর্মশালাতে এই বিষয়ে প্রধান বক্তাও ছিলেন তিনি। বর্তমানে, জাতীয় শিক্ষানীতির প্রয়োগ সম্পর্কিত প্রকল্পে কাজ করে চলেছেন ডক্টর চক্রবর্তী। হোসাই ইউনিভার্সিটি (জাপান), লাউসিয়ানা স্টেট ইউনিভার্সিটি, দ্য ইউনিভার্সিটি অফ সাউথ ফ্লোরিডা আমেরিকা, আইআইটি খড়্গপুর এবং IISER, কলকাতার নানা গবেষণা কর্মের সঙ্গে যুক্ত রয়েছেন চিন্ময়। চলতি বছরের জুন মাসে ন্যাশনাল অ্যাকাডেমি অফ ইঞ্জিনিয়ারিং (গভর্নমেন্ট অফ ইন্ডিয়া)-র পক্ষ থেকে তাঁকে ‘প্রমিনেন্ট ইয়ং রিসার্চার’ অ্যাওয়ার্ডে পুরস্কৃত করা হয়েছে। ব্যস্ততা এবং আর্থিক টানাপোড়েনের এই যুগে ‘টেলিমেডিসিন’ ব্যবস্থার মাধ্যমে দেশ-বিদেশের বিখ্যাত হাসপাতাল থেকেও যাতে প্রত্যন্ত অঞ্চলের মানুষেরা চিকিৎসা পরিষেবা লাভ করতে পারেন, সেই বিষয়েই নিরন্তর নিজের গবেষণা কর্ম চালিয়ে যাচ্ছেন বলে জানিয়েছেন পশ্চিম মেদিনীপুরের সবংয়ের ‘গর্ব’ অধ্যাপক চিন্ময় চক্রবর্তী (Scientist)।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Super Blue moon 2023: এক মাসেই দুই পূর্ণিমা, আকাশ জুড়ে কখন দেখা যাবে “সুপার ব্লু মুন” জেনে নিন

    Super Blue moon 2023: এক মাসেই দুই পূর্ণিমা, আকাশ জুড়ে কখন দেখা যাবে “সুপার ব্লু মুন” জেনে নিন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সুপার ব্লু মুন (Super Blue moon 2023) কখন দেখা যাবে, আসুন জেনে নিই। মহাজাগতিক এই সংসারে নানা ঘটনাবলীর মধ্যে একটি অন্যতম বিষয় হল সুপার ব্লু মুন দেখা। সুপার ব্লু মুন দেখা নিয়ে অনেক উৎসাহী মানুষের মধ্যে ভীষণ কৌতূহল লক্ষ্য করা যায়। সূত্রে জানা গেছে, ৩০ অগাস্ট থেকে ৩১ অগাস্ট সকালের মধ্যে এই ব্লু মুন দেখা যাবে। এবারের ব্লু মুন আরও বেশি গুরুত্বপূর্ণ। কারণ রাখি পূর্ণিমাও একই সময়ে মিলেমিশে গেছে। জ্যোতির্বিজ্ঞান এবং বার্ষিক উৎসবের মধ্যে অসাধারণ একটি যোগসূত্র তৈরি হয়েছে।

    কেন বিরল (Super Blue moon 2023)?

    সুপার ব্লু মুন (Super Blue moon 2023) সব সময়ের জন্যই বিরল। এই সুপার ব্লু মুনের মতো ঘটনা অন্তত ১০ বছরে একবার ঘটে থাকে। এক মাসে দু’বার সুপার ব্লু মুন দেখা গিয়েছিল শেষ বার ২০১৮ সালে।

    কেন সুপার ব্লু মুন?

    জানা গেছে, উত্তর গোলার্ধে তৃতীয় এবং শেষ পূর্ণিমা বলেই এই চাঁদের নাম সুপার ব্লু মুন (Super Blue moon 2023)। চাঁদের পৃথিবীর ২৯ দিনের কক্ষপথের একমাসের মধ্যে দ্বিতীয় পূর্ণিমা। সুপার মুন হল আমরা সাধারণত যে চাঁদ দেখি, তার থেকে প্রায় ১৬ শতাংশ বড়। চাঁদের কক্ষপথ পৃথিবীর সব থেকে কাছে থাকবে এবং আকাশে পূর্ণিমা থাকবে, এমন হিসেবেই সুপার ব্লু মুনের উদয় হয়ে থাকে।

    নীল চাঁদ, কিন্তু নীল নয়

    চাঁদের রং বাস্তবে নীল নয়। কিন্তু এই নামের পিছনে অনেক গল্প রয়েছে। ব্লু মুন (Super Blue moon 2023) বা হান্টার মুন নামেও জানা যায়। কেউ কেউ বলেন, এই পূর্ণিমা চাঁদের রাতে শিকার করতে যেত বলে নাম হল হান্টার মুন। আবার কেউ বলেন চাষিদের নামে নাম দেওয়া হয় নীল চাঁদ। কোনও ঋতুতে চারটি পূর্ণিমা পড়ে গেলে মনে রাখার জন্য অতিরিক্ত পূর্ণিমাকে বলে ব্লু মুন। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share