Category: বিজ্ঞান

Get updated Science and Research related news from the Madhyom news portal madhyom.com, West Bengal leading news portal Madhyom.com

  • Sunita Williams: ৫০ দিন ধরে মহাকাশেই আটকে, বিপত্তির মধ্যেই ‘বাগান’ নিয়ে গবেষণা সুনীতার

    Sunita Williams: ৫০ দিন ধরে মহাকাশেই আটকে, বিপত্তির মধ্যেই ‘বাগান’ নিয়ে গবেষণা সুনীতার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারতীয় বংশোদ্ভূত মহাকাশচারী সুনীতা উইলিয়ামস (Sunita Williams) মহাকাশে আটকে পড়ে ৫০ দিন অতিক্রম করেছেন। কিন্তু এই বিপত্তির মধ্যেই মহাকাশে বাগান নিয়ে গবেষণা করছেন। তিনি নাসার একটি সুপরিকল্পিত ১০ দিনের মিশনের জন্য বোয়িং স্টারলাইনার মহাকাশযানে (Space) যাত্রা করেছিলেন। এরপর দীর্ঘ সময় ধরে মহাকাশে আটকে রয়েছেন। তবে অ্যামেরিকা মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসা জানিয়েছে, হিলিয়াম গ্যাস ফাঁস হওয়ার কারণে বোয়িং স্টারলাইনারটি প্রপালশন সিস্টেম সমস্যার সম্মুখীন হয়েছে। তবে সুনীতা এবং তাঁর সহযোগী নভশ্চর ব্যারি বুচ উইলমোর এই আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশন (ISS)-এ নিরাপদে রয়েছেন।

    গাছের বৃদ্ধি নিয়ে গবেষণা (Sunita Williams)

    গত ৬ জুন থেকে এক্সপিডিশন ৭১ ক্রুদের রক্ষণাবেক্ষণ এবং বিভিন্ন পরীক্ষা-নিরীক্ষায় কাজ চলছে। নাসা জানিয়েছে, সুনীতা উইলিয়ামস (Sunita Williams) এই তৃতীয় মহাকাশ মিশনের একজন অভিজ্ঞ মানুষ। মহাকাশের মাধ্যাকর্ষণজনিত আকর্ষণ বা মাইক্রোগ্রাভিটিতে গাছকে জল দেওয়া, বৃদ্ধি এবং পুষ্টি সাধন করে সুপরিপক্ক করার মতো সমস্যাকে দূর করতে তরল পদার্থ অন্বেষণ করার কাজ করছেন তাঁরা। ভবিষ্যতে মহাকাশে বাগান করার জন্য এটি একটি অপরিহার্য পদক্ষেপ হবে। তাঁদের সফলতা একটি বিরাট নতুন সম্ভাবনার জন্ম দেবে বলে মনে করছেন বিজ্ঞানীরা।

    ভূ-মণ্ডলের রিয়েল-টাইম নিয়ে গবেষণা

    সুনীতা উইলিয়ামস (Sunita Williams) এবং উইলমোর একটি আল্ট্রাসাউন্ড ডিভাইস ব্যবহার করে শিরা বা নাড়ী স্ক্যান করার পরিচালনা করছেন। একই ভাবে ভূ-মণ্ডলের ডাক্তারদের দ্বারা রিয়েল-টাইম বিষয়েও পর্যবেক্ষণের কাজ করছেন। তাঁরা নিজেরা একে অপরের ঘাড়, কাঁধ এবং পায়ে শিরাগুলিকে ছবি তুলেছেন। সুনীতা, মহাকাশচারী ম্যাথিউ ডমিনিকের শিরাগুলি স্ক্যান করেছে। এই গবেষণা মানবদেহে মাধ্যাকর্ষণজনিত আকর্ষণ বা মাইক্রোগ্রাভিটির প্রভাব বুঝতে সাহায্য করবে।

    আরও পড়ুনঃ মহাকাশে আটকে সুনীতা উইলিয়ামস! কী সমস্যা, কীভাবে ফিরবেন পৃথিবীতে?

    জীববিজ্ঞান এবং মনোবিজ্ঞান নিয়ে চলছে গবেষণা

    আইএসএস এখন উন্নত জীববিজ্ঞান বিষয়ে গবেষণার কাজ করে চলেছে। মহাকাশ (Space) কীভাবে মানব জীববিজ্ঞান এবং মনোবিজ্ঞানকে প্রভাবিত করে তা অনুসন্ধান চলছে। সুনীতারা আইএসএস জল ব্যবস্থা থেকে জীবাণু শনাক্ত করতে ডিএনএ বের করেছেন, যা ভবিষ্যতের মিশনে ক্রু স্বাস্থ্য এবং মহাকাশযানের পরিচ্ছন্নতা উন্নত করতে পারে। ইতিমধ্যে, ইঞ্জিনিয়ররা বোয়িং স্টারলাইনারের সমস্যাগুলি ঠিক করছেন। নাসা আরও জানিয়েছে, বিজ্ঞানীদের দলগুলি সম্প্রতি নিউ মেক্সিকোতে হোয়াইট স্যান্ডস টেস্ট ফ্যাসিলিটিতে একটি স্টারলাইনার থ্রাস্টারের গ্রাউন্ড হট ফায়ার পরীক্ষা সম্পন্ন করেছেন। তবে কবে সুনীতাদের (Sunita Williams)  ফিরিয়ে আনা হবে এই নিয়ে খুব দ্রুত ঘোষণা হবে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Nikhil Lemo: ওষুধ খেতে ভুলে গিয়েছেন? চিন্তা নেই, মনে করিয়ে দেবে রোবট

    Nikhil Lemo: ওষুধ খেতে ভুলে গিয়েছেন? চিন্তা নেই, মনে করিয়ে দেবে রোবট

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দিনে হয়তো দশ-বিশটা ওষুধ খেতে হয়। মনেও থাকে না সব সময়। তাই কোনও ওষুধ হয়ত দুবার খাওয়া হয়ে গেল। কোনওটা হয়ত আবার খাওয়াই হল না। নিট ফল, ব্যাধির বিকার বেড়েই চলল। কষ্টার্জিত পয়সা ধ্বংসের পাশাপাশি রোগীরও আর রোগ আরোগ্য হয় কই? তবে এবার আর এসব নিয়ে ভাবতে হবে না আপনাকে। কারণ আবিষ্কার হয়ে গিয়েছে ‘মেডিটেল’ (Meditel) নামের একটি পুচকে রোবট। আবিষ্কারকও যে কেউকেটা, তা কিন্তু নয়। মেডিটেল যার ব্রেন চাইল্ড, সে (Nikhil Lemo) পড়ে একাদশ শ্রেণিতে, গুজরাটের ভাদোদরার নবরচনা উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে।

    নিখিল লেমোর আবিষ্কার (Nikhil Lemo)

    নয়া আবিষ্কৃত এই যন্ত্রের একটা জুতসই নামও দিয়েছে নিখিল লেমো নামের ওই পড়ুয়া। মানবযন্ত্রটির নাম মেডিটেল। তার দাদু-ঠাকুমাকে সাহায্য করার কথা ভাবতে গিয়ে জন্ম হয় মেডিটেলের। যেহেতু এই যন্ত্রমানব ওষুধ খাওয়ার কথা মনে করিয়ে দেয়, তাই তার নামেই রয়েছে মেডিসিনের গন্ধ। নিখল বলে, “আমি দেখেছিলাম, প্রায়ই ওষুধ খেতে ভুলে যায় আমার দাদু-ঠাকুমা। তখনই মাথায় আসে, এমন একটা অ্যালার্ম সিস্টেম তৈরি করতে হবে, যা বাজলেই মনে পড়ে যাবে ওষুধ খাওয়ার কথা।” একাদশ শ্রেণির এই পড়ুয়া জানায়, তার একটি খাতার শেষ পৃষ্ঠায় একটা ডুডল ছিল। বিজ্ঞান মেলায় যোগ দেবে বলে বারংবার সে ডুডলটি দেখছিল। এর পরেই মাথায় চলে আসে মেডিটেলের আইডিয়া। মেডিটেলের (Meditel) ‘বাবা’ বলে, “ একটি বিজ্ঞান মেলায় যোগ দেওয়ার শর্ত হিসেবে আমাদের নতুন কিছু করে নিয়ে যেতে বলা হয়েছিল। তখনই ডুডল এবং আমার দাদু-ঠাকুমার সমস্যার কথাটা মাথায় চলে আসে। ব্যাস, জন্ম নিল মেডিটেল।”

    কী বলছে খুদে বিজ্ঞানী?

    এই খুদে বিজ্ঞানী (Nikhil Lemo) বলে, “আপনাদের তো বললামই যে প্রথমে আমি একটা অ্যালার্ম সিস্টেম বানাব ভেবেছিলাম। পরে ভাবলাম, ওষুধ খাওয়ার সময় না হয় মনে করিয়ে দিল অ্যালার্ম। ওষুধও না হয় হাতের কাছে রয়েছে। কিন্তু, জল! সেটা তো কাউকে এনে দিতে হবে। নয়তো নিজেকে গিয়ে আনতে হবে। দ্বিতীয় অপশনটা বয়স্কদের ক্ষেত্রে বেশ সমস্যার। তাই তাঁরা ওষুধ খাবেন কী করে?” এই ভাবনা থেকেই নিখিল এই ডিভাইসের সঙ্গে একটি জলের বোতলও জুড়ে দিল। ভেলক্রো দিয়ে সেটা জোড়া হল ডিভাইসের সঙ্গে। এতেই কেল্লাফতে। যন্ত্রমানব যেমন রোগীকে তাঁর ওষুধ খাওয়ার কথাটা মনে করিয়ে দেবে, তেমনি এগিয়ে দেবে জলও। এর পর আর ওষুধ না খেয়ে থাকেন কী করে রোগী?

    মেডিটেলের কাজ

    মেডিটেলের আবিষ্কর্তা বলে, “মেডিটেল প্রতিদিন ছ’টা পর্যন্ত ওষুধ খাওয়ার কথা মনে করিয়ে দেবে রোগীকে। সকালে না রাতে, জলখাবারের আগে না পরে, বিকেলে টিফিনের আগে না পরে, নাকি লাঞ্চ কিংবা ডিনারের পরে কখন খেতে হবে ওষুধ, তা মনে করিয়ে দেবে এই যন্ত্র।” একাদশ শ্রেণির এই পড়ুয়ার বক্তব্য, মেডিটেলের যন্ত্রাংশ জোগাড় করা এবং ডিভাইসগুলোকে এক জায়গায় করা এক জিনিস। আর কোডিং করে অ্যালার্ম সিস্টেমটাকে ঠিকঠাক করানোটা আর এক জিনিস। দ্বিতীয়টা চ্যালেঞ্জিং। সে বলে, “স্ক্র্যাচ করে আমি এ পর্যন্ত যতগুলো মডেল বানিয়েছি, এটা সেগুলোর মধ্যে প্রথম হয়েছে।”

    আরও পড়ুন: বাজেটে কর্মসংস্থানে ৩ প্রকল্পের ঘোষণা সীতারামনের, জানুন বিশদে

    ইউনিসেফের স্বীকৃতি

    নিখিলের প্রশংসায় পঞ্চমুখ তার মেন্টর মুকেশ বিন্দ। তিনি বলেন, “২০১৯ সালে বিশ্ব রোবট অলিম্পিয়াডের সময় নিখিলের সঙ্গে আমার দেখা হয়। পরে সে আমার কাছে রোবটিক্স শিখতে শুরু করে। আমাদের একটা সেশনের সময় যে এমন একটা ডিভাইস তৈরির ইচ্ছে প্রকাশ করেছিল, যেটা তার দাদু-ঠাকুমাকে ওষুধ খেতে সাহায্য করবে।” গত নভেম্বরে নিখিলের (Nikhil Lemo) মেডিটেল পায় ইউনিসেফের স্বীকৃতি। তাকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন ইউনিসেফের শুভেচ্ছা দূত ডেভিড বেকহ্যাম স্বয়ং। বেকহ্যামের সঙ্গে তার সাক্ষাৎ হওয়ায় যারপরনাই খুশি খুদে বিজ্ঞানী। তবে সে যে ইউনিসেফের কাছে প্রকল্পটি পাঠায়নি, তাও জানিয়েছে নিখিল। বলে, “আমি কখনওই ইউনিসেফের কাছে আবেদন করিনি। গুজরাট ইউনিভার্সিটির ইনকিউবেশন সেন্টার আয়োজিত অন্য একটি প্রতিযোগিতায় আবেদন করেছিলাম। তারাই আমার প্রকল্প পাঠিয়েছিল ইউনিসেফে।”

    মেডিটেলের অপার সম্ভাবনা

    গুজরাট ইউনির্ভাসিটি স্টার্টআপ অ্যান্ড এন্টারপ্রেনিউরশিপ কাউন্সিলের প্রোগ্রাম ম্যানেজার সানিয়াম ছাজেদ বলেন, “মেডিটেলের অপার সম্ভাবনা রয়েছে।” তিনি বলেন, “আমি বিশ্বাস করি, মেডিটেলের (Meditel) মতো একটি ডিভাইস তার ছোট আকার ও সহজ ব্যবহারযোগ্য বৈশিষ্ট্যগুলির জন্য বয়স্কদের কাছে একটি যুগান্তকারী পণ্য বলে পরিগণিত হবে (Nikhil Lemo)।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

     

  • Blue Screen of Death: মাইক্রোসফ্‌টের সমস্যায় বিশ্ব জুড়ে ব্যাহত বিমান পরিষেবা, ব্যাঙ্ক ও শেয়ার বাজার

    Blue Screen of Death: মাইক্রোসফ্‌টের সমস্যায় বিশ্ব জুড়ে ব্যাহত বিমান পরিষেবা, ব্যাঙ্ক ও শেয়ার বাজার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সাত সকালেই বিপত্তি। আচমকাই ল্যাপটপ-কম্পিউটারের স্ক্রিন নীল (Blue Screen of Death) হয়ে যায়। ফলে সকাল থেকে হইচই অফিস-কাছারিতে। কারণ, শুক্রবার সকাল থেকেই বিশ্বের নানা প্রান্তের কম্পিউটারে এই সমস্যা দেখা দিয়েছে। মূলত যেসব ল্যাপটপ-কম্পিউটারে ব্যবহার করা হয় ‘উইন্ডোজ’ (Major problem in windows system) তাতেই এই সমস্যা দেখা দিয়েছে। চলতে চলতে আচমকা মেশিনে নীল স্ক্রিন হয়ে যাচ্ছে। রিস্টার্ট বা সাটডাউন করা ছাড়া অপশন থাকছে না।  

    ঠিক কী সমস্যা? (Blue Screen of Death) 

    কম্পিউটারে কাজ করতে করতেই গোটা স্ক্রিন নীল৷ বার্তা দেওয়া হচ্ছে যে, কিছু সমস্যা থাকায় মেশিনটি রিস্টার্ট করতে হবে৷ তবে রিস্টার্ট করার পরও একই মেসেজ আসছে৷ আবারও গোটা স্ক্রিন নীল৷ বিশ্বজুড়ে আজ উইন্ডোজের এই সমস্যার সম্মুখীন হয়েছেন বহু মানুষ৷ স্যোশাল মিডিয়ায় তাঁরা তাঁদের অভিজ্ঞতা ভাগ করে নিয়েছেন৷ জানতে চেয়েছেন আর কারও সঙ্গে এমন হয়েছে কি না৷ তখনই জানা যায়, একই সমস্যায় পড়েছেন লক্ষ লক্ষ মানুষ৷ জানা গিয়েছে, এই সমস্যাটিকে কম্পিউটারের পরিভাষায় বলে ‘ব্লু স্ক্রিন অফ ডেথ’ (Blue Screen of Death)৷ এটি হয়ে গেলে মেশিন বন্ধ করা আবার চালানো ছাড়া আর কোনও উপায় থাকে না। কিন্তু কেন হল এই সমস্যা? মাইক্রোসফট জানিয়েছে, ‘ক্রাউডস্ট্রাইক’ আপডেট হওয়ার জন্যই এই সমস্যা তৈরি হয়েছে। 

    আরও পড়ুন: শুরু হচ্ছে এশিয়া কাপ! প্রথম ম্যাচেই মুখোমুখি হবে ভারত-পাকিস্তান

    ব্যাহত বহু পরিষেবা 

    এখনও পর্যন্ত যা খবর, এই ঘটনার জেরে আমেরিকা ও অস্ট্রেলিয়ায় বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি অফিস, ব্যাংক-সহ বিভিন্ন জায়গায় সমস্যায় (Major problem in windows system) পড়তে হয়েছে কর্মীদের৷ ফলে ব্যাহত হয়েছে বহু পরিষেবা৷ জানা গিয়েছে, উইন্ডোজ ১০-এর অপারেটিং সিস্টেমেই কোনও বড়সড় গোলমালের ফলেই এই সমস্যা (Blue Screen of Death)। স্পাইসজেট, আকাসা, এয়ার ইন্ডিয়া এক্সপ্রেস পরিষেবাতেও প্রভাব পড়েছে। বিমান বাতিল এবং দেরিতে ওঠানামার মতো ঘটনাও ঘটেছে। স্পাইসজেট জানিয়েছে, প্রযুক্তিগত ত্রুটির জন্য বিমান সংক্রান্ত খবর দিতে সমস্যা হচ্ছে। তাদের তথ্যপ্রযুক্তির কর্মীরা দ্রুত এই সমস্যা মেটানোর চেষ্টা করছেন। দিল্লি এবং মুম্বই বিমানবন্দরেও পরিষেবা বিঘ্নিত হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। অভিযোগ উঠেছে যে চেক-ইন করতে সমস্যা হচ্ছে। এ প্রসঙ্গে এক্স হ্যান্ডলে মাইক্রোসফ্‌ট ৩৬৫ স্টেটাস জানিয়েছে, ঘটনাটি তদন্ত করছে তারা। দ্রুত সমস্যা (Blue Screen of Death) মিটিয়ে ফেলার কাজ করা হচ্ছে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  WhatsappFacebookTwitterTelegram এবং Google News পেজ।

  • Blue screen of death: সাত সকালেই বিপত্তি! মাইক্রোসফ্‌টের সমস্যায় বিশ্ব জুড়ে ব্যাহত বিমান পরিষেবা, ব্যাঙ্ক ও শেয়ার বাজার!

    Blue screen of death: সাত সকালেই বিপত্তি! মাইক্রোসফ্‌টের সমস্যায় বিশ্ব জুড়ে ব্যাহত বিমান পরিষেবা, ব্যাঙ্ক ও শেয়ার বাজার!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সাত সকালেই বিপত্তি। আচমকাই ল্যাপটপ-কম্পিউটারের স্ক্রিন নীল (Blue screen of death) হয়ে যায়। ফলে সকাল থেকে হইচই অফিস-কাছারিতে। কারন, শুক্রবার সকাল থেকেই বিশ্বের নানা প্রান্তের কম্পিউটারে এই সমস্যা দেখা দিয়েছে। মূলত যেসব ল্যাপটপ-কম্পিউটারে ব্যবহার করা হয় ‘উইন্ডোজ’ (Major problem in windows system) তাতেই এই সমস্যা দেখা দিয়েছে। চলতে চলতে আচমকা মেশিনে নীল স্ক্রিন হয়ে যাচ্ছে। রিস্টার্ট বা সাটডাউন করা ছাড়া অপশন থাকছে না।  

    ঠিক কী সমস্যা? (Blue screen of death) 

    কম্পিউটারে কাজ করতে করতেই গোটা স্ক্রিন নীল৷ বার্তা দেওয়া হচ্ছে যে, কিছু সমস্যা থাকায় মেশিনটি রিস্টার্ট করতে হবে৷ তবে রিস্টার্ট করার পরও একই মেসেজ আসছে৷ আবারও গোটা স্ক্রিন নীল৷ বিশ্বজুড়ে আজ উইন্ডোজের এই সমস্যার সম্মুখীন হয়েছেন বহু মানুষ৷ স্যোশাল মিডিয়ায় তাঁরা তাঁদের অভিজ্ঞতা ভাগ করে নিয়েছেন৷ জানতে চেয়েছেন আর কারও সঙ্গে এমন হয়েছে কি না৷ তখনই জানা যায়, একই সমস্যায় পড়েছেন লক্ষ লক্ষ মানুষ৷ জানা গিয়েছে, এই সমস্যাটিকে কম্পিউটারের পরিভাষায় বলে ‘ব্লু স্ক্রিন অফ ডেথ’৷ এটি হয়ে গেলে মেশিন বন্ধ করা আবার চালানো ছাড়া আর কোনও উপায় থাকে না। কিন্তু কেন হল এই সমস্যা? মাইক্রোসফট জানিয়েছে, ‘ক্রাউডস্ট্রাইক’ আপডেট হওয়ার জন্যই এই সমস্যা তৈরি হয়েছে। 

    ব্যাহত বহু পরিষেবা 

    এখনও পর্যন্ত যা খবর, এই ঘটনার জেরে আমেরিকা ও অস্ট্রেলিয়ায় বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি অফিস, ব্যাংক-সহ বিভিন্ন জায়গায় সমস্যায় (Major problem in windows system) পড়তে হয়েছে কর্মীদের৷ ফলে ব্যাহত হয়েছে বহু পরিষেবা৷ জানা গিয়েছে, উইন্ডোজ ১০-এর অপারেটিং সিস্টেমেই কোনও বড়সড় গোলমালের ফলেই এই সমস্যা (Blue screen of death)। স্পাইসজেট, আকাসা, এয়ার ইন্ডিয়া এক্সপ্রেস পরিষেবাতেও প্রভাব পড়েছে। বিমান বাতিল এবং দেরিতে ওঠানামার মতো ঘটনাও ঘটেছে। স্পাইসজেট জানিয়েছে, প্রযুক্তিগত ত্রুটির জন্য বিমান সংক্রান্ত খবর দিতে সমস্যা হচ্ছে। তাদের তথ্যপ্রযুক্তির কর্মীরা দ্রুত এই সমস্যা মেটানোর চেষ্টা করছেন। দিল্লি এবং মুম্বই বিমানবন্দরেও পরিষেবা বিঘ্নিত হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। অভিযোগ উঠেছে যে চেক-ইন করতে সমস্যা হচ্ছে। এ প্রসঙ্গে এক্স হ্যান্ডলে মাইক্রোসফ্‌ট ৩৬৫ স্টেটাস জানিয়েছে, ঘটনাটি তদন্ত করছে তারা। দ্রুত সমস্যা মিটিয়ে ফেলার কাজ করা হচ্ছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Vulture Population: ভারতে শকুনের সংখ্যা কমার ফলে বেড়েছে মানুষের মৃত্যুর হার, বলছে রিপোর্ট

    Vulture Population: ভারতে শকুনের সংখ্যা কমার ফলে বেড়েছে মানুষের মৃত্যুর হার, বলছে রিপোর্ট

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পরিবেশগত ভারসাম্য অথবা বাস্তুতন্ত্র রক্ষা করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে শকুন (Vulture Population)। পচাগলা মৃতদেহ ভূপৃষ্ঠ থেকে সরাতে স্যানিটাইজেশনের কাজ করে শকুন। অর্থাৎ প্রাকৃতিক স্যানিটাইজেশনের পরিষেবা শকুনের কাছ থেকেই পাওয়া যায়। একাধিক গবেষণায় সামনে এসেছে মানুষের জীবন রক্ষাতেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে শকুন (Vulture)। কিন্তু আশ্চর্যজনকভাবে ভারতে শকুনের সংখ্যা কমেছে বিগত বছরগুলিতে (Vulture Population)। এর ফলে পরিবেশগত ভারসাম্য নষ্ট হচ্ছে। প্রভাব পড়ছে বাস্তুতন্ত্র ও জীববৈচিত্র্যের ওপর। বেড়েছে মানুষের মৃত্যুর হারও। ৯০-এর দশকের পর থেকে শকুনের সংখ্যা মারাত্মকভাবে হ্রাস পেয়েছে দেশে, এমনই তথ্য সামনে এসেছে এক গবেষণায়। এর পরবর্তীকালে ২০০২ সালেই শকুনকে বিপন্ন প্রজাতি হিসেবে তালিকাভুক্ত করে আইইউসিএন।

    কী বলছে নতুন গবেষণা (Vulture Population)? 

    নতুন একটি গবেষণায় দেখা গিয়েছে, ২০০০ সাল থেকে ২০০৫ সালের মধ্যে ভারতে পাঁচ লাখেরও বেশি মানুষের মৃত্যু হয়েছে মৃত প্রাণীর কাছ থেকে রোগ জীবাণু ছড়ানোর ফলে। বিশেষজ্ঞদের ধারণা, মৃত প্রাণীর দেহ প্রাকৃতিকভাবে স্যানিটাইজেশনের কাজ করে শকুন, তাই শকুনের (Vulture) প্রজাতির কমার কারণেই এমন ঘটনা ঘটেছে।

    বিপুল পরিমাণে শকুনের মারা যাওয়ার কারণ কী?

    কিন্তু বিপুল পরিমাণে শকুনের মারা যাওয়ার (Vulture Population) কারণ কী? বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, ডাইক্লোফেনাক জাতীয় ওষুধই শকুনের মারা যাওয়ার অন্যতম কারণ। বিষাক্ত এই ওষুধের সংক্রমণ মৃত প্রাণীদের দেহ শকুনের দেহে ছড়ায়। তার প্রভাবে শকুনের দেহে একাধিক গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গে পড়তে থাকে। কিডনি বিকল হয়ে যেতে থাকে। এরফলেই মারা যেতে থাকে শকুন। পরবর্তীকালে ভারত সরকার ২০০৬ সালে এই ডাইক্লোফেনাকের ব্যবহার নিষিদ্ধ করে।

    যে অঞ্চলগুলিতে শকুন থাকত, সেখানে মৃত্যুর হার বেড়েছে ৪.৭ শতাংশ

    গবেষণাতে দেখা যাচ্ছে, ভারতের যে অঞ্চলগুলিতে প্রচুর পরিমাণে শকুন থাকত, সেখানে গড়ে মানুষের মৃত্যুর হার ৪.৭ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। অর্থাৎ শকুনের সংখ্যা কমার সঙ্গে সঙ্গে মানুষের মৃত্যুর হার বৃদ্ধি পাচ্ছে। দেখা যাচ্ছে, ২০০৫ সালের পরবর্তীকালে প্রতিবছর গড়ে ১ লাখ ৪ হাজার ৩৮৬ জন অতিরিক্ত মানুষের মৃত্যু হয়েছে ওই অঞ্চলগুলিতে। এত মানুষের মৃত্যু, শকুনের সংখ্যা কমার ফলেই হয়েছে বলে জানাচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা। কারণ ওই সমস্ত জায়গাতে মৃত প্রাণীর দেহ প্রাকৃতিকভাবে স্যানিটাইজেশন করত শকুন যার ফলে রোগ জীবাণুর ছড়ানো বন্ধ হত।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Deep Sea Research Vessel: জাহাজ নির্মাণে গার্ডেনরিচ, সমুদ্রতলে লুকিয়ে থাকা রহস্যের সন্ধানে ভারত

    Deep Sea Research Vessel: জাহাজ নির্মাণে গার্ডেনরিচ, সমুদ্রতলে লুকিয়ে থাকা রহস্যের সন্ধানে ভারত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারত মহাসাগরের অতলে লুকিয়ে রয়েছে রত্নভাণ্ডার (Oceans Mysteries)। এর মধ্যে রয়েছে বেশ কয়েকটি বিরল খনিজ এবং ধাতুও। সমুদ্রের বুক চিরে সেই রত্নের খোঁজ দিতে তৈরি হচ্ছে ভারতের বৃহত্তম ডিপ সি রিসার্চ ভেসেল (Deep Sea Research Vessel)। সমুদ্রের অতলে গবেষণা চালাবে এই জাহাজ। জাহাজটি তৈরি করছে রাষ্ট্রায়ত্ত যুদ্ধজাহাজ নির্মাণকারী সংস্থা কলকাতার গার্ডেন রিচ শিপবিল্ডার্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়র্স (GRSE)। গোয়া-ভিত্তিক একটি সরকারি প্রতিষ্ঠানের সহযোগিতায় তৈরি করা হবে অতিকায় এই জাহাজটি। বৃহস্পতিবার জারি করা বিবৃতিতে বলা হয়েছে, জাহাজটি দৈর্ঘ্যে ৮৯.৫ মিটার। ভারতীয় শিপইয়ার্ড এ পর্যন্ত যত ধরনের ভেসেল বানিয়েছে, তার মধ্যে এটিই হবে বৃহত্তম। ভারত মহাসাগরের গভীরে অনুসন্ধান কার্য চালাবে ভারতীয় এই জাহাজটি।

    ‘ডিপ ওশেন মিশন’ (Deep Sea Research Vessel)

    গোয়ার ন্যাশনাল সেন্টার ফর পোলার অ্যান্ড ওশেন রিসার্চের তরফে জানানো হয়েছে, ভেসেলটি মোতায়েন করা হবে নিবিড় বৈজ্ঞানিক অনুসন্ধান কার্যে। সমুদ্রের অতল থেকে তুলে আনবে নমুনা। আর্থ সায়েন্স মন্ত্রকের ‘ডিপ ওশেন মিশনে’ তৈরি করা হচ্ছে এই জাহাজ। ভেসেলটি হবে সর্বংসহা। নানা প্রতিকূল পরিস্থিতির মোকাবিলা করতে পারবে দক্ষতার সঙ্গে। জাহাজটিতে এক সঙ্গে থাকতে পারবেন ৩৪ জন বৈজ্ঞানিক। ভারতের হয়ে এটি কাজ করবে আগামী তিরিশ বছর (Deep Sea Research Vessel)।

    খরচের বহর

    ভেসেলটি তৈরি করা হবে ৩৬ মাসের মধ্যে। খরচ ধরা হয়েছে ৮৩৯.৫৫ কোটি টাকা। ‘আত্মনির্ভর ভারত’ প্রকল্পেই তৈরি হচ্ছে জাহাজটি। জাহাজটির সর্বোচ্চ গতি হবে ১৪ নটিক্যাল কিলোমিটার। জাহাজের মধ্যেই থাকবে সর্বাধুনিক গবেষণাগার, বৈজ্ঞানিক যন্ত্রপাতি এবং হেভি-ডিউটি ডেক মেশিনারি। জাহাজটি তৈরিতে মেনে চলা হবে ইন্ডিয়ান রেজিস্টার অফ শিপিং এবং আমেরিকান ব্যুরো অফ শিপিংয়ের মানদণ্ড। এমএআরপিওএল মান পূরণ করতে জাহাজটিতে থাকবে বিভিন্ন সমুদ্র প্রোফাইলার, সমুদ্রতলের স্যাম্পলার এবং অনবোর্ড অ্যানালিটিক্যাল সিস্টেম।

    আরও পড়ুন: সেই তৃণমূলের ‘দাদাগিরি’, বন্ধ হয়ে গেল জুনপুটে ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণ কেন্দ্রের কাজও!

    জাহাজটি কেবল গভীর মহাসাগরে অভিযান চালাতে সক্ষম হবে না, দক্ষিণ মহাসাগরের গবেষণায়ও যাত্রা করতে পারবে। এনসিপিও-র পরিচালক থামবান মেলোথ বলেন, “জাহাজটি গভীর সমুদ্রে খনিজ ও বিরল ধাতু অনুসন্ধানের কাজ করবে। সমুদ্রে ধাতু অনুসন্ধানের জন্য সরকার গভীর (Oceans Mysteries) সমুদ্র মিশনের অধীনে জাহাজটি নির্মাণে অর্থায়ন করেছে (Deep Sea Research Vessel)।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Luca Discovery: আবির্ভাব ৪২০ কোটি বছর আগে! ‘লুকা’ থেকেই কি পৃথিবীতে প্রাণের উৎপত্তি?

    Luca Discovery: আবির্ভাব ৪২০ কোটি বছর আগে! ‘লুকা’ থেকেই কি পৃথিবীতে প্রাণের উৎপত্তি?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পৃথিবীতে প্রাণের উৎপত্তি হয়েছে ঠিক কোন সময়ে? বিজ্ঞানীদের ধারণা, পৃথিবীর যাবতীয় প্রাণের উৎস হল ‘লুকা’ – ‘দ্য লাস্ট ইউনিভার্সাল কমন অ্যান্সেস্টর’ (Luca Discovery)। এই প্রোক্যারিয়টিক কোষই বিশ্বের প্রতিটি জীবন্ত বস্তুর পূর্বপুরুষ (Single Ancestor)। এই জীবন্ত বস্তুটি ব্যাকটিরিয়াই হোক কিংবা হোক অতিকায় নীল তিমি।

    কী বলছেন বিজ্ঞানীরা? (Luca Discovery)

    বিজ্ঞানীদের মতে, ক্যামব্রিয়ান বিস্ফোরণ হয়েছিল প্রায় ৫৩ কোটি বছর আগে। তখনই শুরু জটিল জীবনের সূত্রপাত। পৃথিবীতে জীবনের প্রকৃত সময়রেখা অনেক দীর্ঘ। বিজ্ঞানীদের অনুমান, প্রায় চার’শ কোটি বছর আগে এসেছে লুকা। পৃথিবী নামক গ্রহ গঠনের ৬০ কোটি বছর পরে। তবে, নয়া সমীক্ষায় বিজ্ঞানীরা জানতে পেরেছেন যে, ৪০০ কোটি নয়, এই সময়টি হল, আরও ২০ কোটি বছর আগে, অর্থাৎ এখন থেকে প্রায় ৪২০ কোটি বছর আগে।

    লুকার জীবন

    লুকার জীবন কেমন হতে পারে, সে সম্পর্কেও একটা ধারণা দিয়েছেন বিজ্ঞানীরা। গবেষণায় প্রাপ্ত তথ্য প্রকাশিত হয়েছে ‘নেচার ইকোলজি অ্যান্ড ইভোলিউশন’ জার্নালে। গবেষণায় দেখা গিয়েছে, সমস্ত কোষীয় জীবের কমন অ্যাংসেসট্রির প্রমাণ মেলে ইউনিভার্সাল জেনেটিক কোডে, প্রোটিন সিন্থেসিসের জন্য মেশিনারি, প্রায় সব ইউনিভার্সাল সেটের অ্যামাইনো অ্যাসিডের শেয়ার চিরালিটি এবং কমন এনার্জি কারেন্সি হিসেবে এটিপির ব্যবহারে (Luca Discovery)। বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন, লুকার প্রভাব সম্পর্কে আমরা যা জেনেছি, তা থেকেই ধারণা মেলে এই গ্রহে জীবনের অস্তিত্বের বিবর্তনের। লুকা কি কোনও সরল কিংবা জটিল অর্গানিজম? কোন পরিবেশে বাস করত লুকা? কখনই বা বাস করত?

    আরও পড়ুন: মাতৃভাষায় মিলবে পড়াশোনার রসদ, ‘অস্মিতা’ প্রকল্প চালু ইউজিসি-র

    গবেষক দলের প্রধান ব্রিস্টল বিশ্ববিদ্যালয়ের এডমান্ড মুডি বলেন, “জিনের বিবর্তনের ইতিহাস জটিল হয়ে উঠেছে তাদের লাইনেজের দেওয়া- নেওয়ার জেরে। আমাদের ব্যবহার করতে হবে জটিল বিবর্তনীয় মডেলস। বিভিন্ন প্রজাতির জেনোলজির জিনগুলির বিবর্তনের ইতিহাস জানতেই এটা করতে হবে।” ৪২০ কোটি বছর আগে লুকা কেমন ছিল, তা বোঝার জন্য বিজ্ঞানীরা জীবিত প্রজাতির শারীরবৃত্তীয় বৈশিষ্ট্যগুলি পুনরুদ্ধার করেন। তাঁদের অনুমান, লুকা ছিল একটি সাধারণ প্রোক্যারিওটিক। এটি সম্ভবত ছিল একটি ইমিউন সিস্টেম। যার জেরে আমাদের শরীর আদিম ভাইরাসগুলির বিরুদ্ধে নিরন্তর লড়াই চালিয়ে যাচ্ছে।

    ইউনিভার্সিটি অফ এক্সেটার টিম লেন্টন বলেন, “লুকা তার পরিবেশকে ধ্বংস এবং পরিবর্তন করছিল। তবে এর একা থাকার সম্ভাবনা খুবই কম।” তিনি বলেন, “এর বর্জ্য মিথেনোজেনের মতো অন্যান্য জীবাণুর খাদ্য হয়ে উঠত। এটি সাহায্য করত একটি (Single Ancestor) পুনর্ব্যবহারযোগ্য ইকোসিস্টেম তৈরি করতে (Luca Discovery)।”

    হিন্দু বিভিন্ন শাস্ত্রেও তো বলা হয়েছে, এক ব্রহ্ম থেকেই বিশ্বের সমস্ত প্রাণের উৎপত্তি। এই লুকাই কি তাহলে সেই পরম ব্রহ্ম?

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Chandrayaan-3: চন্দ্রযান ৩ বর্ষ পূর্তি! নতুন এক ইতিহাস রচনা ভারতের

    Chandrayaan-3: চন্দ্রযান ৩ বর্ষ পূর্তি! নতুন এক ইতিহাস রচনা ভারতের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দেখতে দেখতে অতিক্রান্ত এক বছর। ২০২৩ সালের ১৪ জুলাই ভারতের মহাকাশ গবেষণার ইতিহাসে এক সোনালি অধ্যায়ের সূচনা হয়েছিল। এই দিনে চাঁদের উদ্দেশে পাড়ি জমিয়েছিল চন্দ্রযান ৩ (Chandrayaan-3)। সফল এই চন্দ্রাভিযান ভারতকে এক লহমায় মহাকাশ গবেষণা ক্ষেত্রে এলিট ক্লাসে উঠিয়ে দিয়েছিল। এই অভিযান দেশের মুকুটে যোগ করেছে নতুন পালক। 

    পুরানো সেই দিনের কথা 

    কোটি কোটি ভারতবাসী আশা-স্বপ্নের এক উড়ান হয়ে চাঁদকে ছুঁয়ে দেখার নেশায় ঠিক এক বছর আগে চাঁদের উদ্দেশে ছুটে গিয়েছিল চন্দ্রযান-৩ (Chandrayaan-3)। এরপর এক মাসের বেশি সময় পর পূরণ হয়েছিল আপামর ভারতবাসীর স্বপ্ন। ২৩ অগাস্ট সফল ভাবে চাঁদকে ছুঁয়ে দেখেছিল ভারতের চন্দ্রযান। বিশ্বের মধ্য়ে চতুর্থ দেশ হিসেবে চাঁদ জয়ের খেতাব অর্জনের সঙ্গে সঙ্গে বিশ্বের মধ্যে প্রথম দেশ হিসেবে চাঁদের দক্ষিণ মেরু জয়ের পালক জুড়েছিল ভারতের মুকুটে। চন্দ্রযানের সাফল্যের পর বিশ্বের দরবারে ভারতের মহাকাশ গবেষণার কদর বহুগুণ বেড়েছে।

    সফল অভিযান কী দিল (Chandrayaan-3)

    চন্দ্রযান-২-এর ব্যর্থতার পর বেশ কয়েক বছর ধরে অক্লান্ত পরিশ্রম করে বিজ্ঞানীরা তৈরি করেছিলেন চন্দ্রযান-৩ (Chandrayaan-3)। ‘চাঁদের বাড়ি’ সব গল্প জানার জন্য তৈরি হয়েছিল ভারত।  চাঁদের বুকে একাধিক পরীক্ষা-নিরীক্ষা চালিয়ে নানা অজানা তথ্যের সন্ধান দিয়েছে চন্দ্রযান-৩। চন্দ্রযান-৩ থেকে প্রাপ্ত তথ্যে আরও সমৃদ্ধ হয়েছেন বিজ্ঞানীরা। ল্যান্ডার ‘বিক্রম’ চাঁদের মাটি ছোঁয়ার পর কাজে নামে রোভার ‘প্রজ্ঞান’। চাঁদের মাটিতে শুরু হয় তার পথ চলা। পরবর্তী দুই সপ্তাহে চাঁদের মাটিতে ১০০ মিটার পথ অতিক্রম করে সেটি। চাঁদের মাটিতে একাধিক পরীক্ষা-নিরীক্ষা চালানোর পাশাপাশি, পৃথিবীতে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পাঠাতে শুরু করে। রোভার ‘প্রজ্ঞানে’র পাঠানো একাধিক তথ্য মহাকাশ গবেষণার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে। চাঁদের মাটির মূল উপাদানগুলিকে শনাক্ত করতে সফল হয় সে। চাঁদের মাটিতে সালফারের খোঁজ পায়। 

    আরও পড়ুন: নাসায় আয়োজিত ইন্টারন্যাশনাল এয়ার অ্যান্ড স্পেস প্রোগ্রামে ডাক পেলেন কাকদ্বীপের ঋত্বিকা

    জলের অণুর সন্ধান

    সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ যে আবিষ্কারটি করে রোভার ‘প্রজ্ঞান’, তা হল, চাঁদের মাটিতে জলের অণুর উপস্থিতি। ভবিষ্যতের চন্দ্রাভিযান তো বটেই, আগামী দিনে চাঁদে উপনিবেশ গড়ার যে স্বপ্ন দেখছেন বিজ্ঞানীরা, এই আবিষ্কার সেই কাজের সহায়ক হবে আগামী দিনে। চাঁদের ভৌগলিক ইতিহাস সম্পর্কেও গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পৃথিবীতে পাঠিয়েছে চন্দ্রযান-৩। বিশেষ করে চাঁদের দক্ষিণ মেরুরু ভৌগলিক পরিবেশ সম্পর্কে অনেক কিছু জানা গিয়েছে। চাঁদের মাটিতে শিলার গঠন সম্পর্কেও তথ্য পেয়েছেন বিজ্ঞানীরা।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Sudden Cardiac Death: অ্যাটাকের আগেই মিলবে সতর্কবাণী! সাডেন কার্ডিয়াক ডেথ রুখবে বিশেষ ‘অ্যালগরিদম’

    Sudden Cardiac Death: অ্যাটাকের আগেই মিলবে সতর্কবাণী! সাডেন কার্ডিয়াক ডেথ রুখবে বিশেষ ‘অ্যালগরিদম’

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আপাতদৃষ্টিতে সুস্থ–স্বাভাবিক একজন মানুষ দিব্যি কাজকর্ম করছেন, হঠাৎ করেই কোনও রকম জানান না দিয়ে মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়তে পারেন। খুব দুঃখজনক হলেও এই ধরনের আকস্মিক মৃত্যুর কারণ বের করা বা এর প্রতিকার করা খুব সহজ নয়। মূলত আমাদের জীবনীশক্তির কেন্দ্রবিন্দু যে হৃদ্‌যন্ত্র, সেটির কাজকর্মে ব্যাঘাত ঘটলেই আকস্মিক মৃত্যুর ঘটনা ঘটতে পারে। এ জন্য এই ধরনের আকস্মিক মৃত্যুকে সাডেন কার্ডিয়াক ডেথ (Sudden Cardiac Death) বলা হয়। সাডেন কার্ডিয়াক ডেথ হতে পারে যে কোনও বয়সে। এই আবহে ফিনল্যান্ডের (Finland Researchers) ট্যাম্পের ইউনিভার্সিটির গবেষকদের একটি দল একটি গবেষণা করেন এবং নতুন একটি পদ্ধতি তারা খুঁজে পেয়েছেন যেখানে হৃদস্পন্দনের বৈশিষ্ট্য দ্রুত চিহ্নিত করে সাডেন কার্ডিয়াক ডেথ রুখতে সক্ষম।

    মোট ২,৭৯৪ জন প্রাপ্তবয়স্ক মানুষের ওপর চলেছে গবেষণা (Sudden Cardiac Death)

    বিজ্ঞানের পত্রিকা সায়েন্স অ্য়ালার্টের একটি প্রতিবেদনে অনুসারে, নতুন এই অ্যালগরিদম তৈরি করা হয়েছে একটি নির্দিষ্ট মেট্রিক ব্যবহার করে। এই অ্যালগরিদমের নাম দেওয়া হয়েছে ‘ডিট্রেন্ডেড ফ্লাকচুয়েশন অ্যানালিসিস’। এই পদ্ধতি সময়ের সঙ্গে সঙ্গে হৃদস্পন্দনের পরিবর্তনকে চিহ্নিত করতে পারবে। সাডেন কার্ডিয়াক অ্যাটাকের পরিস্থিতি তৈরি হলে আগাম জানান দেবে (Sudden Cardiac Death)। এই ফলাফল সম্প্রতি প্রকাশিত হলেও প্রায় আট বছর তিন মাস ধরে এই গবেষণা চালিয়েছেন ট্যাম্পের বিশ্ববিদ্যালয়ের ওই গবেষক দলটি (Finland Researchers)। মোট ২,৭৯৪ জন প্রাপ্তবয়স্ক মানুষের ওপর তাঁরা পরীক্ষা চালিয়েছেন।

    সহজেই সাডেন কার্ডিয়াক অ্যাটাককে চিহ্নিত করা যাবে

    গবেষকরা জানাচ্ছেন, এই পদ্ধতিতে খুব সহজেই সাডেন কার্ডিয়াক ডেথকে (Sudden Cardiac Death) চিহ্নিত করা যাবে। সাধারণভাবে আমাদের হৃদস্পন্দন বেড়ে যায় যখন আমরা শারীরিকভাবে খুব কঠিন কাজ করি আর বিশ্রামের সময়কালে এটা কমতে থাকে। টেম্পের ইউনিভার্সিটির পদার্থবিদ টিমু পুকিলা এ বিষয়ে বলেন, ‘‘এই গবেষণার অন্যতম একটি গুরুত্বপূর্ণ দিক হল, একজন হৃদরোগীর বিশ্রামের সময় তাঁর দুটি হার্টবিটের মাঝখানের ব্যবধানের বৈশিষ্ট্যগুলি অনেকটাই একই, একজন সুস্থ মানুষের শারীরিক পরিশ্রম করার সময় হৃদপিণ্ডের মতোই।’’ প্রসঙ্গত এই গবেষণা চালাতে এবং অ্যালগরিদমটি তৈরি করতে নানা রকম বিশ্লেষণ পদ্ধতিও ব্যবহার করা হয়েছে। মাথায় রাখা হয়েছে রোগীর বয়স এবং জন্ম থেকে তাঁর হার্টের অবস্থা। অর্থাৎ প্রত্যেকে একই রকম হার্টের সক্ষমতা নিয়ে জন্মগ্রহণ করেন না। এই মেট্রিক ব্যবহারের মাধ্যমে এক মিনিটের মধ্যেই মূল্যায়ন করা যেতে পারে যে ব্যক্তির সাডেন কার্ডিয়াক ডেথের ঝুঁকি কতটা রয়েছে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Shaurya Doval: ওয়ার্ল্ড অ্যাকাডেমি অফ আর্ট অ্যান্ড সায়েন্সের ফেলো মনোনীত শৌর্য, চেনেন তাঁকে?

    Shaurya Doval: ওয়ার্ল্ড অ্যাকাডেমি অফ আর্ট অ্যান্ড সায়েন্সের ফেলো মনোনীত শৌর্য, চেনেন তাঁকে?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ওয়ার্ল্ড অ্যাকাডেমি অফ আর্ট অ্যান্ড সায়েন্সের (ডাব্লএএএস) (WAAS)  ফেলো মনোনীত করা হল এক ভারতীয়কে। এই পদে মনোনীত করা হয়েছে শৌর্য ডোভালকে (Shaurya Doval)। ওয়ার্ল্ড অ্যাকাডেমি অফ আর্ট অ্যান্ড সায়েন্সের প্রতিষ্ঠা করেছিলেন আলবার্ট আইনস্টাইন, রবার্ট ওপেনহেইমার এবং জোসেফ রটব্লার্টের মতো বিশ্বশ্রুত ব্যক্তিরা। তারই ফেলো পদে এবার মনোনীত হলেন শৌর্য।

    ওয়ার্ল্ড অ্যাকাডেমি অফ আর্ট অ্যান্ড সায়েন্স (Shaurya Doval)

    মানবতার সামনে যেসব জটিল সমস্যাগুলি এসে হাজির হয়, তারই মোকাবিলায় কাজ করে ওয়ার্ল্ড অ্যাকাডেমি অফ আর্ট অ্যান্ড সায়েন্স। এই অ্যাকাডেমিতে রয়েছেন বিজ্ঞানী, শিল্পী এবং পণ্ডিতরা, যাঁরা জ্ঞানের অগ্রগতি ও সামাজিক নানা উন্নয়নের ক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য অবদান রেখেছেন। শৌর্য ইন্ডিয়া ফাউন্ডেশনের ডিরেক্টর। তাঁর এই মনোনয়নের জেরে মান্যতা পেল বৈশ্বিক চিন্তা-নেতৃত্ব এবং নীতি উদ্ভাবনের ক্ষেত্রে শৌর্যের অবদান। উল্লেখ্য, দিল্লি ভিত্তিক একটি থিঙ্কট্যাঙ্ক হল ইন্ডিয়া ফাউন্ডেশন।

    ভূতপূর্ব ভারতীয় সদস্য

    ওয়ার্ল্ড অ্যাকাডেমি অফ আর্ট অ্যান্ড সায়েন্সের ভূতপূর্ব ভারতীয় সদস্যদের মধ্যে (Shaurya Doval) ছিলেন ডঃ সর্বপল্লী রাধাকৃষ্ণণ, ডক্টর বিক্রম সারাভাই। প্রথমজন ছিলেন ভারতের রাষ্ট্রপতি। আর ভারতীয় পরমাণু শক্তি কমিশনের চেয়ারম্যান ছিলেন বিক্রম সারাভাই। মনোনয়নের খবর পাওয়ার পর শৌর্য বলেন, “ওয়ার্ল্ড অ্যাকাডেমি আর্ট অ্যান্ড সায়েন্সের ফেলো মনোনীত হওয়া একটি সম্মানের বিষয়। আমি আন্তঃবিভাগীয় সংলাপ প্রচার ও মানবতার উন্নতির জন্য টেকসই সমাধান খুঁজতে অ্যাকাডেমির মিশনে অবদান রাখতে উন্মুখ।”

    আর পড়ুন: “ভারত বিশ্বকে বুদ্ধ দিয়েছে, যুদ্ধ নয়”, অস্ট্রিয়ায় বললেন প্রধানমন্ত্রী

    শৌর্যের আরও একটি পরিচয় রয়েছে। তিনি ভারতের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত ডোভালের ছেলে। রাজনৈতিকভাবে তিনি বিজেপির সঙ্গে যুক্ত। গৈরিক শিবিরের উত্তরাখণ্ডের কার্যনির্বাহী সদস্য তিনি। ইন্ডিয়া ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতাও তিনি। ওয়ার্ল্ড অ্যাকাডেমি আর্ট অ্যান্ড সায়েন্স একটি আন্তর্জাতিক বেসরকারি সংস্থা। ১৯৬০ সালে এই সংস্থা প্রতিষ্ঠা করেন তৎকালীন বিশিষ্ট বিজ্ঞানী বুদ্ধিজীবীরা। সংস্থার লক্ষ্য হল, আন্তঃবিভাগীয় সংলাপের মাধ্যমে বৈশ্বিক সমস্যাগুলির মোকাবিলা করা এবং মানবতার জয়গান গাওয়া (WAAS)। জন্মলগ্ন থেকে সেই কাজই করে চলেছে ওয়ার্ল্ড অ্যাকাডেমি আর্ট অ্যান্ড সায়েন্স (Shaurya Doval)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share