Category: রাজ্য

Get West Bengal News, Bengali Breaking News, Latest News in Bengali only from মাধ্যম | Madhyom, Bengali News Portal for সম্পূর্ণ নিরপেক্ষ বাংলা সংবাদ, বাংলা খবর

  • Justice Rajasekhar Mantha: বিচারপতি বয়কট কাণ্ডের তদন্তে কলকাতায় প্রতিনিধি দল পাঠাল বার কাউন্সিল

    Justice Rajasekhar Mantha: বিচারপতি বয়কট কাণ্ডের তদন্তে কলকাতায় প্রতিনিধি দল পাঠাল বার কাউন্সিল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি রাজাশেখর মান্থার (Justice Rajasekhar Mantha) এজলাসের সামনে আইনজীবীদের একাংশের বিক্ষোভ এবং বিচারপতির বাড়ির সামনে পোস্টার সাঁটার ঘটনার তদন্তে এবার তিন সদস্যের প্রতিনিধি দল পাঠাল বার কাউন্সিল অফ ইন্ডিয়া। রেজিস্ট্রার জেনারেলের সঙ্গে কথা বলবে এই প্রতিনিধি দল। খতিয়ে দেখা হবে বিক্ষোভের দিনের সিসিটিভি ফুটেজও। রেজিস্ট্রার জেনারেলকে এ বিষয়ে চিঠি দিয়ে জানিয়েছে বার কাউন্সিল অফ ইন্ডিয়া।

    কারা রয়েছেন এই প্রতিনিধি দলে? 

    বার কাউন্সিল অব ইন্ডিয়ার প্রতিনিধিদলে রয়েছেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী রবীন্দ্রকুমার রাইজদা, এলাহাবাদ হাই কোর্টের বিচারপতি অশোক মেহতা এবং দিল্লি হাই কোর্ট বার  অ্যাসোসিয়েশন কর্মসমিতির সদস্য বন্দনা কৌর গ্রোভার। রবিবার দুপুরেই কলকাতায় এসে পৌঁছন তাঁরা। আগামী ১৭ জানুয়ারি বারের কাছে এই বিষয়ে রিপোর্ট পেশ করবেন তাঁরা। এই রিপোর্টের ভিত্তিতেই পরবর্তী পদক্ষেপ নেবে বার। দোষী সাব্যস্ত হওয়া আইনজীবীদের (Justice Rajasekhar Mantha) সাসপেন্ড পর্যন্ত করা হতে পারে।

    আরও পড়ুন: পাকিস্তানে খাদ্যসংকট তুঙ্গে, কী লিখলেন সে দেশের অধ্যাপক, জানেন?

    সুপ্রিম কোর্ট , দিল্লি হাইকোর্ট এবং দিল্লির অন্যান্য নিম্ন আদালতে কর্মরত আইনজীবীরা (Justice Rajasekhar Mantha) গত সোমবারের হাইকোর্ট চত্বরে বিক্ষোভের ঘটনার তীব্র নিন্দা করে চিঠি দেন বার কাউন্সিল অফ ইন্ডিয়াকে। ওই  চিঠিতে আইনজীবীরা জানিয়েছিলেন, এই ঘটনার সঙ্গে জড়িত আইনজীবীদের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নিক বার কাউন্সিল।  কলকাতা হাইকোর্টের ওই ঘটনাকে অত্যন্ত নিন্দাজনক বলে ব্যাখ্যা করেছেন বার কাউন্সিলের চেয়ারম্যান মনন কুমার মিশ্র। তিনি জানিয়েছিলেন, বার কাউন্সিলের তিন সদস্যের প্রতিনিধি দল কলকাতায় আসবেন। এখানকার পরিস্থিতি ঘুরে দেখে দিল্লিতে ফিরে তাঁরা হাইকোর্টের ঘটনা নিয়ে বার কাউন্সিলে একটি রিপোর্ট জমা দেবেন। সেই রিপোর্টের ভিত্তিতে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে এবং প্রয়োজনে আইনানুগ ব্যবস্থাও নেবে বার কাউন্সিল।

    গত সোমবার বিক্ষোভের আগুনে জ্বলে ওঠে কলকাতা হাইকোর্ট চত্বর। আদালতের মধ্যেই হাতাহাতি শুরু হয় আইনজীবীদের। বিচারপতি রাজাশেখর মান্থার (Justice Rajasekhar Mantha) এজলাস বয়কটের দাবিতে বিক্ষোভকে ঘিরে উত্তপ্ত পরিস্থিতির সৃষ্টি হয় হাইকোর্টে। এজলাসে এসেও বিক্ষোভের জেরে চলে যান বিচারপতি মান্থা। আদালতের বাইরের দেওয়ালে তাঁর নামে পোস্টার পড়ে। পোস্টার পড়ে বিচারপতির যোধপুর পার্কের বাড়ির সামনেও। পুরো ঘটনায় নিন্দার ঝড় বয়ে যায়। প্রধান বিচারপতির দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে তিনি বলেন, এটা একেবারেই উচিত নয়। বার অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি ও রাজ্যের অ্যাডভোকেট জেনারেলকে ডেকে পাঠান তিনি। পুরো ঘটনায় চরম ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন আইনজীবীদের একাংশ।  

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

  • West Bengal Weather: মকর সংক্রান্তিতে উধাও শীতের আমেজ! বৃষ্টির পূর্বাভাস রাজ্যের এই জেলাগুলিতে

    West Bengal Weather: মকর সংক্রান্তিতে উধাও শীতের আমেজ! বৃষ্টির পূর্বাভাস রাজ্যের এই জেলাগুলিতে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মকরসংক্রান্তির দিনে কলকাতা ও আশেপাশের এলাকার আকাশ মেঘলা। অন্যদিকে হু হু করে বেড়েই চলেছে শহর কলকাতার তাপমাত্রা। ইতিমধ্যেই কি তবে রাজ্য থেকে শীত বিদায়ের পথে! এই মরশুমে বড়দিন ও বর্ষবরণে তেমন ভাবে শীত অনুভব করতে পারেনি কলকাতাবাসী। তবে নতুন বছর থেকে অবশ্য টানা শীতের ঝোড়ো ইনিংস শহরে। কিন্তু কাল থেকে ফের পরিবর্তন শীতের চালে। গতকালই সর্বনিম্ন তাপমাত্রা বেড়ে হয়েছিল ১৯.৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। যা ছিল স্বাভাবিকের থেকে ৫ ডিগ্রি বেশি। আর তা সামান্য কমে হয়েছে ১৯.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

    কেন তাপমাত্রা বৃদ্ধি ও ফের কবে তাপমাত্রা কমবে?

    আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, বঙ্গোপসাগরে উচ্চচাপ বলয়ের কারণে প্রচুর পরিমাণে জলীয় বাষ্প স্থলভাগে ঢুকছে। আর পশ্চিমী ঝঞ্ঝার প্রভাবে উত্তুরে হাওয়া আটকে গিয়েছে। সেই কারণে পৌষ সংক্রান্তিতেও ১৯ ডিগ্রির ওপরে তাপমাত্রা। যদিও সোমবার থেকে তা সামান্য কমবে। কলকাতায় ১৫ ডিগ্রিতে নামবে তাপমাত্রা। পাশাপাশি জেলা গুলিতেও তা সামান্য নিম্নমুখী হবে। যদিও সোমবার তাপমাত্রা কমলেও বুধবার তা ফের বেড়ে যাবে। তাপমাত্রা বাড়ার পাশাপাশি বুধবার কলকাতা-সহ উপকূলের জেলায় হালকা বৃষ্টির পূর্বাভাসও রয়েছে। আজ রবিবার, ঘন কুয়াশার দাপট আপাতত বজায় থাকবে।

    কলকাতার তাপমাত্রা

    আবহাওয়া দফতর থেকে জানানো হয়েছে, সকালের দিকে দিকে কুয়াশা থাকলেও পরে আকাশ পরিষ্কার হয়ে যাবে। সর্বোচ্চ ও সর্বনিম্ন তাপমাত্রা থাকতে পারে ২৭ ও ১৮ ডিগ্রি সেলসিয়াসের আশেপাশে। কলকাতার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১৯.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। যা স্বাভাবিকের থেকে ৫ ডিগ্রি বেশি। এদিন আপেক্ষিক আর্দ্রতা সর্বোচ্চ ৯৪ শতাংশ।

    আরও পড়ুন: মকর সংক্রান্তির আগেই বিদায় শীত? কলকাতায় পারদ উঠল ৫ ডিগ্রি

    উত্তরবঙ্গ ও দক্ষিণবঙ্গের আবহাওয়া

    পূর্বাভাস অনুযায়ী, আগামী ৪৮ ঘন্টা অর্থাৎ ১৭ জানুয়ারি মঙ্গলবার সকালের মধ্যে দার্জিলিং, কালিম্পং এবং আলিপুরদুয়ারে হাল্কা বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। বাকি জেলাগুলির আবহাওয়া শুকনো থাকবে। আগামী ২৪ ঘন্টায় হিমালয় সংলগ্ন পশ্চিমবঙ্গের জেলাগুলির কোনও কোনও জায়গায় হাল্কা থেকে মাঝারি কুয়াশা থাকতে পারে। পরের তিন দিনে তাপমাত্রা ২-৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস হ্রাস পেতে পারে।

    ১৭ জানুয়ারি মঙ্গলবার সকালের মধ্যে দক্ষিণবঙ্গের সবকটি জেলার আবহাওয়া শুকনো থাকবে। এই সময়ে গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গের জেলাগুলির কোথাও কোথাও হাল্কা থেকে মাঝারি কুয়াশা থাকতে পারে। বুধবার নাগাদ উপকূলের জেলাগুলিতে হাল্কা বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। আগামী দুদিনে গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গের জেলাগুলিতে তাপমাত্রা ২-৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস হ্রাস পেতে পারে।

    কাশ্মীরে তুষারধস

    ফের তুষারধস উপত্যকায়। দুই দিনে এই নিয়ে পরপর দুইবার তুষারধস নামল জম্মু-কাশ্মীরের সোনমার্গে। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, শনিবার ফের সোনমার্গে তুষারধস নামে। পাহাড় থেকে আচমকাই নেমে আসে বরফের বড় বড় চাঁই। প্রশাসনের তরফে জানানো হয়েছে, তুষারধসে কোনও প্রাণহানির ঘটনা ঘটেনি। এর আগে বৃহস্পতিবারও সোনমার্গের বালতাল এলাকায় তুষারধস নামে। ওই ধসে দুই শ্রমিকের মৃত্যু হয়।

  • Recruitment Scam: সুবীরেশদের আর্থিক লেনদেনের নথি চেয়ে পাঠাল ইডি

    Recruitment Scam: সুবীরেশদের আর্থিক লেনদেনের নথি চেয়ে পাঠাল ইডি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নিয়োগ দুর্নীতি (Recruitment Scam) মামলায় এবার ফের সক্রিয়তা বাড়াল এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট। এবার স্ক্যানারে সুবীরেশ ভট্টাচার্যদের আর্থিক লেনদেন। ইডি সূত্রে জানা গিয়েছে, নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় ইতিমধ্যেই গ্রেফতার হয়েছেন এসএসসির প্রাক্তন চেয়ারম্যান সুবীরেশ ভট্টাচার্য, মধ্যশিক্ষা পর্ষদের প্রাক্তন সভাপতি কল্যাণময় গঙ্গোপাধ্যায়। এই প্রাক্তন আধিকারিকদের আর্থিক লেনদেন খতিয়ে দেখতে চায় কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা। ইডির নজরে রয়েছে এসএসসির প্রাক্তন উপদেষ্টা শান্তিপ্রসাদ সিন্‌হা, নিয়োগ দুর্নীতিতে মিডলম্যান হিসাবে কাজ করায় অভিযুক্ত প্রসন্ন রায়, এবং চন্দন মন্ডলের আর্থিক লেনদেন।

    আরও সক্রিয় ইডি 

    ইডির তরফে জানানো হয়েছে, সুবীরেশদের আর্থিক লেনদেনের তথ্য ব্যাঙ্কগুলির কাছে চেয়ে পাঠানো হয়েছে। নিয়োগ দুর্নীতি (Recruitment Scam) মামলায় আগেই সিবিআইয়ের হাতে আগেই গ্রেফতার হয়েছেন সুবীরেশরা। আপাতত তদন্ত চলছে ওই মামলার। সিবিআইয়ের তরফে যেমন রাজ্যে শিক্ষক এবং শিক্ষাকর্মী নিয়োগে দুর্নীতির অভিযোগ খতিয়ে দেখা হচ্ছে, অপর তদন্তকারী সংস্থা ইডি দুর্নীতিতে কোনও বেআইনি লেনদেন হয়েছে কি না, তা খতিয়ে দেখা হবে।     

    শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি (Recruitment Scam) মামলায় ইতমধ্যেই গ্রেফতার হয়েছেন রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়, তাঁর বান্ধবী অর্পিতা মুখোপাধ্যায় এবং প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের প্রাক্তন সভাপতি মানিক ভট্টাচার্য। ইডির জমা দেওয়া চার্জশিটে নাম রয়েছে মানিকের স্ত্রী-পুত্র এবং ঘনিষ্ঠ হিসেবে পরিচিত তাপস মণ্ডলেরও। এই মামলাতে এবার তৎপরতা বাড়াতে চাইছে ইডি।

    আরও পড়ুন: আট বছরেও মেলেনি পরীক্ষার ফল, টেট পরীক্ষার্থীর অভিযোগে মানিককে জরিমানা আদালতের

    গত ১৯ সেপ্টেম্বর উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের তৎকালীন উপাচার্য তথা এসএসসির প্রাক্তন চেয়ারম্যান সুবীরেশকে (Recruitment Scam) গ্রেফতার করেছিল সিবিআই। তাঁর বিরুদ্ধে নিয়োগ দুর্নীতিতে যুক্ত থাকার অভিযোগ রয়েছে। সিবিআই-এর তরফে আগেই দাবি করা হয়েছিল যে, এসএসসি মামলায় বেআইনি ভাবে ৬৬৭ জন অযোগ্য প্রার্থীর নম্বর বাড়ানো হয়েছে। এরপর এই মামলার আরও তদন্ত করে এক অভিযুক্তের বাড়ি থেকে ওই ৬৬৭ জনের তালিকা উদ্ধার করেছে সিবিআই। আর এরপরেই জানা গিয়েছে, ৬৬৭ জনের পরীক্ষার ওএমআর শিট বদলের পিছনের মূলচক্রী এসএসসির প্রাক্তন চেয়ারম্যান সুবীরেশ ভট্টাচার্যই।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Manik Bhattacharya: আট বছরেও মেলেনি পরীক্ষার ফল, টেট পরীক্ষার্থীর অভিযোগে মানিককে জরিমানা আদালতের

    Manik Bhattacharya: আট বছরেও মেলেনি পরীক্ষার ফল, টেট পরীক্ষার্থীর অভিযোগে মানিককে জরিমানা আদালতের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আট বছর পেরিয়ে গেলেও হাতে পাননি পরীক্ষার ফল। ২০১৪-র সালে টেট পরীক্ষা দিয়েও ফল  জানতে না পেরে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন মালারানি পাল। তাঁর অভিযোগের ভিত্তিতেই পর্ষদের প্রাক্তন সভাপতি মানিক ভট্টাচার্যকে (Manik Bhattacharya) ২ লক্ষ টাকা জরিমানা করল কলকাতা হাইকোর্ট। ১৫ দিনের মধ্যে এই টাকা দিতে হবে মানিককে। 

    হাইকোর্টে মালারানি জানিয়েছেন, ফল জানতে না পেরে ২০১৬, ২০২০-র ২টি পরীক্ষায় বসতে পারেননি তিনি। হাইকোর্টের নির্দেশনামায় জানিয়েছে, “পরীক্ষা দিয়ে ফল জানার অধিকার আছে পরীক্ষার্থীর। প্রাথমিক পর্ষদের শীর্ষ পদে এমন একজন ছিলেন, তাঁর জন্যেই এই পরিস্থিতি।” জেলেই মানিক ভট্টাচার্যকে আদালতের নির্দেশের কপি ধরান আইনজীবী। ৩০ জানুয়ারি আদালতে ফের এই মামলার শুনানি হবে। সোমবার বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের নির্দেশ, ১৫ দিনের মধ্যে জরিমানার টাকা দিতে হবে মানিক ভট্টাচার্যকে (Manik Bhattacharya)। 

    কী অভিযোগ করেছেন মামলাকারী? 

    ২০১৪ সালের টেট পরীক্ষায় বসেন মালারানী পাল। কিন্তু তিনি ওই পরীক্ষায় আদৌ উত্তীর্ণ হয়েছেন কি না, পর্ষদ থেকে তা জানানো হয়নি। মামলকারীর অভিযোগ, টেটের ফল জানতে না পারায় ২০১৬ এবং ২০২০ সালের পরীক্ষা দুটিতে বসতে পারেননি (Manik Bhattacharya)। তাঁর দাবি তিনি বঞ্চিত হয়েছেন। হাইকোর্ট তার পর্যবেক্ষণে জানায়, পরীক্ষা দিয়ে ফল জানার অধিকার রয়েছে প্রত্যেক পরীক্ষার্থীর। কিন্তু পর্ষদের শীর্ষ পদে এমন এক ব্যক্তি ছিলেন, তাঁর জন্যই এই পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। আর পরেই তৃণমূল বিধায়ককে জরিমানা করে আদালত। বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের নির্দেশ, মানিক ভট্টাচার্য যেহেতু এই মুহূর্তে জেলে রয়েছেন, তাই সেখানে হাইকোর্টের কপি নিয়ে যাবেন মামলকারীর আইনজীবী।

    আরও পড়ুন: কলেজিয়ামে সরকারি প্রতিনিধি রাখতে চায় কেন্দ্র, প্রধান বিচারপতিকে চিঠি রিজিজুর

    প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় গ্রেফতার হয়েছেন তৃণমূলের বিধায়ক মানিক ভট্টাচার্য (Manik Bhattacharya)। ফেব্রুয়ারির ৭ তারিখ অবধি জেল হেফাজত দেওয়া হয়েছে তাঁকে। কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থার নজরে মানিকের স্ত্রী-পুত্রও। আদালতের নির্দেশে আত্মসমর্পণও করতে হয়েছে তাঁদের। কিন্তু এখনও গ্রেফতার করা হয়নি মানিকের স্ত্রী শতরূপা এবং ছেলে সৌভিক ভট্টাচার্যকে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Bar Council of India: ‘বাধা’ পাওয়া আইনজীবীদের বয়ান রেকর্ড করল বার কাউন্সিলের প্রতিনিধি দল

    Bar Council of India: ‘বাধা’ পাওয়া আইনজীবীদের বয়ান রেকর্ড করল বার কাউন্সিলের প্রতিনিধি দল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিচারপতি রাজশেখর মান্থার বিরুদ্ধে পোস্টার দেওয়ার ঘটনায় কলকাতা হাইকোর্টে জনস্বার্থ মামলা দায়ের করা হল। প্রধান বিচারপতির কাছে মামলা দায়ের করেছেন আইনজীবী শামিন আহমেদ। যার শুনানি চলতি সপ্তাহেই হতে পারে হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি প্রকাশ শ্রীবাস্তব এবং বিচারপতি রাজর্ষি ভরদ্বাজের ডিভিশন বেঞ্চে। অন্যদিকে, কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি রাজশেখর মান্থার (Rajsekhar Mantha) এজলাস বয়কটের সিদ্ধান্তে অত্যন্ত কড়া অবস্থান নিল বার কাউন্সিল অফ ইন্ডিয়াও (Bar Council of India)। সম্পূর্ণ ঘটনা খতিয়ে দেখার জন্য তিন সদস্যের প্রতিনিধি দল তদন্ত শুরু করল।

    বার কাউন্সিলের প্রতিনিধি দল

    সোমবার সকাল ১০.৪০ মিনিট নাগাদ বার কাউন্সিল অফ ইন্ডিয়ার (Bar Council of India) তিন সদস্যের প্রতিনিধি দল কলকাতা হাইকোর্টে পৌঁছন। তাঁরা জানান, কেবল হাইকোর্টের বিচারপতি রাজা শেখর মান্থার এজলাসই নয়, তাঁরা প্রত্যেকটি জায়গা ঘুরে দেখছেন। যে সকল আইনজীবীরা তাঁদের সঙ্গে কথা বলতে ইচ্ছুক, তাঁরা তাঁদের সঙ্গেও কথা বলেন। তাঁরা বিষয়টি জানার চেষ্টা করেন, আদৌ সেদিন কী এমন ঘটনা ঘটল, যাতে বয়কটের রাস্তায় হাঁটতে হল আইনজীবীদের। ৯ ও ১০ জানুয়ারি বিচারের কাজে যোগ দিতে গিয়ে বাধাপ্রাপ্ত হন যে আইনজীবীরা এদুন তাঁদের বয়ান রেকর্ড করা হয়। ১৭ জানুয়ারির মধ্যে বার কাউন্সিলের প্রতিনিধি দল রিপোর্ট জমা দেবেন।  

    বার কাউন্সিল অফ ইন্ডিয়ার (Bar Council of India) তিন প্রতিনিধিদলের সঙ্গে বৈঠক চলাকালীন, রেজিস্ট্রার জেনারেলের সঙ্গে দেখা করতে চান অশোক দেব। বার কাউন্সিল অফ ইন্ডিয়ার প্রতিনিধিরা অশোক দেবকে জিজ্ঞাসা করেন আপনারা  রাজ্য বার কাউন্সিল কি কোনও অভিযোগ পেয়েছেন? অশোক দেব জানান, না তাঁরা এখনও কিছু পাননি। আমরা প্রধান বিচারপতির সঙ্গে দেখা করেছি। তিনি বিষয়টি নিয়ে দেখবেন আশ্বাস দিয়েছেন।

    আরও পড়ুন: আবাস যোজনার টাকা না ফেরালে তৃণমূল নেতাদের বিরুদ্ধে ফৌজদারি মামলা, হুঁশিয়ারি শুভেন্দুর

    মামলা দায়ের

    সম্প্রতি, কলকাতা হাই কোর্টের বিচারপতি রাজাশেখর মান্থার বিরুদ্ধে আদালত চত্বরে বিক্ষোভ প্রদর্শন করেন আইনজীবীদের একাংশ। এর পরেই হাই কোর্ট চত্বরে প্রকাশ্যে আসে বিচারপতির নামে ফেলা কিছু পোস্টার। তাতে লাল রঙের কাগজে বিচারপতির মুখের ছবি দিয়ে পাশে লেখা ছিল, ‘ইনি বিচারের নামে কলঙ্ক।’ এমনকি বড় বড় অক্ষরে বিচারপতির মুখের উপর লেখা ছিল ‘লজ্জা’। পরে ওই একই পোস্টার দেখা যায় বিচারপতি মান্থার পাড়া দক্ষিণ কলকাতার যোধপুর পার্ক এলাকাতেও। এই নিয়ে হাইকোর্টে প্রধান বিচারপতির বেঞ্চে জনস্বার্থ মামলা দায়ের করলেন আইনজীবী শামিম আহমেদ। বিচারপতি হাইকোর্টে প্রধানবিচারপতির বেঞ্চে এই মামলার জন্য অনুমতি চেয়েছিলেন। তাতে অনুমতি দিয়েছে বেঞ্চ। কোনও রাজ্যের সংস্থা নয় অন্য কোনও অরাজনৈতিক সংস্থাকে দিয়ে তদন্তের আর্জি জানানো হয়েছে মামলায়।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

     

  • Lalan Sheikh: লালন শেখের অস্বাভাবিক মৃত্যুর জের, সাসপেন্ড সিবিআইয়ের ৪ আধিকারিক

    Lalan Sheikh: লালন শেখের অস্বাভাবিক মৃত্যুর জের, সাসপেন্ড সিবিআইয়ের ৪ আধিকারিক

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: লালন শেখের অস্বাভাবিক মৃত্যুর জন্যে আধিকারিকদের গাফিলতিকে দায়ী করে চার কর্তাকে সাসপেন্ড করল সিবিআই। লালনের (Lalan Sheikh) মৃত্যুর সময় যে সিবিআই কর্তারা, কেন্দ্রীয় সংস্থার রামপুরহাটের অস্থায়ী শিবিরে ছিলেন, সোমবার সেই চার জনকেই সাসপেন্ড করা হল। 

    সিবিআইয়ের তরফে জানানো হয়েছে, সাসপেন্ড করা হয়েছে বগটুই কাণ্ডের তদন্তকারী আধিকারিক বিলাস মাধঘুট রাহুল প্রিয়দর্শী, ভাদু শেখ হত্যা কাণ্ডের তদন্তকারী আধিকারিক রাহুল প্রিয়দর্শী, কনস্টেবল ভাস্কর মণ্ডল-সহ আরও এক আধিকারিককে। লালন শেখের (Lalan Sheikh) মৃত্যুর সময় সিবিআই ক্যাম্পেই ছিলেন ওই চার আধিকারিক। এই চার আধিকারিকের বিরুদ্ধে তদন্তে গাফিলতির প্রমাণ পেয়েছে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা। প্রত্যেকের বিরুদ্ধে ইতিমধ্যেই বিভাগীয় তদন্ত শুরু হয়েছে। কলকাতা হাইকোর্টেও জমা দিয়েছে রিপোর্ট।

    উত্তাল রাজ্যরাজনীতি 

    সিবিআই আধিকারিকদের সাসপেন্ডের ঘটনায় (Lalan Sheikh) এখন উত্তাল রাজ্য রাজনীতি। বিজেপি নেতা রাহুল সিনহা বলেন, “কীভাবে অপরাধের বিরুদ্ধে লড়াই করতে হয়, আধিকারিকদের সাসপেন্ড হওয়া দেখে শিখতে হবে রাজ্য সরকারকে।” কুণাল ঘোষ পাল্টা উত্তর দিয়ে বলেন, “আমার ধারণা এটা রুটিন পদ্ধতিতে হয়েছে। সাসপেন্ড করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হলেও লালন শেখের মৃত্যু নিয়ে যে প্রশ্নগুলি উঠেছে তার জবাব এখনও মেলেনি।”

    আরও পড়ুন: আবাস যোজনার টাকা না ফেরালে তৃণমূল নেতাদের বিরুদ্ধে ফৌজদারি মামলা, হুঁশিয়ারি শুভেন্দুর   

    প্রসঙ্গত, বগটুইকাণ্ডের প্রায় ন মাস পর গ্রেফতার করা হয়েছিল এই মামলার মূল অভিযুক্ত লালন শেখকে (Lalan Sheikh)। গ্রেফতারির নদিনের মাথায় ডিসেম্বরের শেষ দিকে রামপুরহাটে সিবিআই-এর অস্থায়ী ক্যাম্পের শৌচালয় থেকে লালন শেখের ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয়। এরপরেই সিবিআই- এর বিরুদ্ধে লালনকে খুনের অভিযোগ তোলে পরিবার। তাঁদের বক্তব্য, খুন করে ঝুলিয়ে দেওয়া হয়েছিল লালন শেখকে। লালনের জিভ কাটা ছিল, তাঁর পায়েও আঘাত ছিল বলে দাবি করে পরিবার।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

     
     
  • Sukanta Majumdar: গঙ্গা আরতি করতে হিন্দুদের কেন অনুমতি নিতে হবে? প্রশ্ন সুকান্ত মজুমদারের

    Sukanta Majumdar: গঙ্গা আরতি করতে হিন্দুদের কেন অনুমতি নিতে হবে? প্রশ্ন সুকান্ত মজুমদারের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নোবেল জয়ী অর্থনীতিবিদ অমর্ত্য সেনকে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হয়ে প্রচারে নামতে বললেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। সম্প্রতি অমর্ত্য সেন দাবি করেছেন, দেশের পরবর্তী প্রধানমন্ত্রী হওয়ার যোগ্যতা আছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। এপ্রসঙ্গে বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের জবাব, অমর্ত্য সেনকে অনুরোধ করবো, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হয়ে প্রচারে নামতে। রবিবার সন্ধ্য়ায় ভাটপাড়ায় গঙ্গা আরতি কার্যক্রমে যোগ দিয়ে একথা বলেন তিনি। একই সঙ্গে সুকান্ত মজুমদারের হুঁশিয়ারি, মমতা ও তাঁর পুলিশের ক্ষমতা নেই গঙ্গা আরতি বন্ধ করার। মুসলিমদের যদি রাস্তায় বসে নামাজ পড়তে কোনও অনুমতির প্রয়োজন না পড়ে, তাহলে হিন্দুদের গঙ্গা আরতি করতে গেলে কেন অনুমতি নিতে হবে? প্রশ্ন তোলেন সুকান্ত। 

    ধর্মীয় বিভাজন

    মকর সংক্রান্তি উপলক্ষে রবিবার সন্ধ্যায় ভাটপাড়া নাগরিক বৃন্দের পরিচালনায় সেখানকার বলরাম সরকার ঘাটে গঙ্গা আরতির আয়োজন করা হয়। সেখানে যোগ দিয়ে বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার প্রশ্ন তোলেন, রাজ্যে হিন্দুদের ধর্মাচরণে এত বাধা দেওয়া হয় কেন? মুসলিমদের যদি রাস্তায় বসে প্রার্থনা করতে কোনও অনুমতির প্রয়োজন না পড়ে, তাহলে হিন্দুদের গঙ্গা আরতি করতে গেলে কেন অনুমতি নিতে হবে? এদিনের এই অনুষ্ঠানে সুকান্ত ছাড়াও ছিলেন পশ্চিমবঙ্গ অখিল ভারতীয় সন্ত সমাজের পরমাত্মাজী মহারাজ, ব্যারাকপুর সংগঠনিক জেলার সভাপতি সন্দীপ বন্দ্যোপাধ্যায়, বিজেপির রাজ্য সম্পাদিকা ফাল্গুনী পাত্র, রাজ্য যুব মোর্চার সম্পাদক উত্তম অধিকারী, হিন্দু জাগরণ মঞ্চের ব্যারাকপুর জেলার সম্পাদক রোহিত সাউ, রাহুল বিশ্বাস, ব্যারাকপুর জেলার সাধারণ সম্পাদক আবিষ্কার ভট্টাচার্য, জেলার অফিস সম্পাদক প্রণব মন্ডল, যুব নেতা কুন্দন সিং ও বিট্টু জয়সওয়াল-সহ অন্যান্য কার্যকর্তারা।

    আরও পড়ুন: গত পাঁচ বছরে বিমান দুর্ঘটনার খতিয়ান, জেনে নিন মৃত্যুর পরিসংখ্যানও

    অমর্ত্য সেনকে আর্জি 

    এদিনের অনুষ্ঠান শেষে ভাঙড়ে প্রাক্তন বাম বিধায়কের পুত্রকে অস্ত্র-সহ গ্রেফতার প্রসঙ্গে সুকান্ত মজুমদার বলেন, ভাঙর অস্ত্রের ডাম্পিং গ্রাউন্ডে পরিণত হয়েছে। ওখানে তৃণমূল নেতাদের বাড়িতে আধুনিক অস্ত্রশস্ত্র রয়েছে। কেন্দ্রীয় বাহিনীর সাহায্য নিয়ে ওই অস্ত্রশস্ত্র উদ্ধার করা উচিত। এটা রাজ্য পুলিশের কাজ নয়। প্রসঙ্গত, সম্প্রতি সংবাদ সংস্থাকে দেওয়া এক সাক্ষাতকারে নোবেল জয়ী র্অথনীতিবিদ অমর্ত্য সেন (Amartya Sen) জানান, দেশের পরবর্তী প্রধানমন্ত্রী হওয়ার যোগ্যতা আছে মমতা  বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee)। আঞ্চলিক দলগুলিকে একজোট হওয়ার কথাও বলেন তিনি। এ প্রসঙ্গে সুকান্ত বলেন উনি পণ্ডিত ব্যাক্তি । ওনার মত উনি প্রকাশ করতেই পারেন। একই সঙ্গে অর্মত্য সেনকে মমতার হয়ে প্রচার করার কথাও বলেন তিনি।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

     

     

  • Mid Day Meal: এতদিনে চেতনা! মিড ডে মিল পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে কেন্দ্রীয় দল আসার আগে সক্রিয় রাজ্য

    Mid Day Meal: এতদিনে চেতনা! মিড ডে মিল পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে কেন্দ্রীয় দল আসার আগে সক্রিয় রাজ্য

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মিড ডে মিল নিয়ে যাবতীয় অভিযোগ সরেজমিনে খতিয়ে দেখতে রাজ্যে আসছে কেন্দ্রের প্রতিনিধি দল। তার আগে পরিস্থিতি সামাল দিতে আসরে নেমেছে রাজ্য সরকার। রাজ্যের প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মিড ডে মিলের পরিস্থিতি খতিয়ে দেখবেন রাজ্য সরকারের প্রতিনিধিরা। রবিবার সেই মর্মে নির্দেশিকা জারি করেছে স্কুল শিক্ষা দফতর। ইতিমধ্যেই প্রত্যেক জেলায় পৃথক ভাবে নির্দেশিকা পাঠানো হয়েছে। সোমবার থেকে ১৯ জানুয়ারি পর্যন্ত এই প্রতিনিধিদল জেলা স্তরের বিভিন্ন মিড মে মিল কেন্দ্রে নজরদারি করতে যাবে।

    রাজ্যের দল

    নবান্ন সূত্রের খবর, আগামী ২০ জানুয়ারি, রাজ্যে এসে পৌঁছবেন কেন্দ্রীয় প্রতিনিধিরা। মূলত, কেন্দ্রীয় শিক্ষা মন্ত্রক কেন্দ্র ও রাজ্যের প্রতিনিধিদের নিয়ে যে জয়েন্ট রিভিউ মিশন তৈরি করেছে, তার পরিদর্শন প্রক্রিয়া আগামী ২০ জানুয়ারি থেকে শুরু হচ্ছে বলে নবান্ন সূত্রে খবর। এই দলের সদস্যেরাই বিভিন্ন জেলায় জেলায় গিয়ে মিড ডে মিল সংক্রান্ত পরিদর্শন সারবেন। তার ঠিক এক দিন আগেই শেষ হবে রাজ্যের প্রতিনিধিদের নজরদারি। কেন্দ্রীয় প্রতিনিধিদলের সফর সংক্রান্ত বিষয়ে রাজ্যের শিক্ষা সচিব মণীশ জৈনকে চিঠি লিখে জানিয়েছেন কেন্দ্রীয় সরকারের ডেপুটি সেক্রেটারি দীপা আনন্দ। ওই চিঠিতে কেন্দ্র জানিয়েছে, ২০ তারিখ থেকে পশ্চিমবঙ্গে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মিড ডে মিলের পরিস্থিতি খতিয়ে দেখা হবে। মোট ২৬টি বিষয়ে আলোকপাত করবেন তাঁরা। এই নজরদারিতে মিড ডে মিলের মান খতিয়ে দেখা হবে। যেখানে মিড ডে মিল তৈরি হয়, সেই হেঁশেলেও নজরদারি করা হবে।

    কেন্দ্রের প্রতিনিধি দল যা যা দেখবে

    সম্প্রতি মিড ডে মিল পরিষেবা নিয়ে একগুচ্ছ অভিযোগ তুলে কেন্দ্রে নালিশ চিঠি ঠুকেছিলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। শুভেন্দুর চিঠির জেরেই যে, মিড ডে মিল পরিষেবা খতিয়ে দেখতে রাজ্যে প্রতিনিধি দল পাঠাচ্ছে কেন্দ্র, তা-ও একপ্রকার নিশ্চিত।  প্রথমত, মিড ডে মিলের জন্য স্কুলগুলিকে যে অর্থ বরাদ্দ করছে রাজ্য, তা কতটা কাজে লাগানো হচ্ছে, গোটা প্রকল্পটি পরিচালনা করার জন্য রাজ্য, জেলা এবং ব্লক স্তরে কী ধরনের পরিকাঠামো আছে এ সবই খতিয়ে দেখবে এই দল। কী ভাবে খাদ্যদ্রব্য রাজ্যের কাছ থেকে স্কুলগুলিতে অর্থ বরাদ্দ পৌঁছয়, তার পদ্ধতি কী, তা-ও দেখা হবে এই প্রক্রিয়ায়। কীভাবে এই প্রকল্প সুষ্ঠুভাবে কোনও বাধা ছাড়াই কার্যকর করা হয়, পরিদর্শনকারী দলের নজরে থাকবে সেটাও।

    আরও পড়ুন: গঙ্গা আরতি করতে হিন্দুদের কেন অনুমতি নিতে হবে? প্রশ্ন সুকান্ত মজুমদারের

    সম্প্রতি বেশ কিছু প্রাথমিক বিদ্যালয়ে মিড ডে মিলের মান নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। গত বুধবার মালদহের চাঁচলের বিদ্যানন্দপুর প্রাথমিক বিদ্যালয়ে মিড ডে মিলের মজুত করা চালে মরা টিকটিকি এবং ইঁদুর দেখতে পান অভিভাবকেরা। অভিযোগ খতিয়ে দেখে স্কুলের ভারপ্রাপ্ত প্রধানশিক্ষক, সাব-ইন্সপেক্টর অফ স্কুলস্ (স্কুল পরিদর্শক)কে সাসপেন্ড করার নির্দেশ দিয়েছে শিক্ষা দফতর। তাই মিড ডে মিল রান্নার ঘর বা স্টোরগুলি কীভাবে তৈরি হয়, তা পরিচ্ছন্ন রাখা হয় কি না, সেসব ব্যবস্থাও খতিয়ে দেখবে এই পরিদর্শনকারী দল। 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Jhalda: ঝালদা পুরসভায় বোর্ড গঠন কংগ্রেসের, আদালতে তৃণমূল

    Jhalda: ঝালদা পুরসভায় বোর্ড গঠন কংগ্রেসের, আদালতে তৃণমূল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অবশেষে ঝালদা পুরসভায় (Jhalda) বোর্ড গঠন করল কংগ্রেস। চেয়ারপার্সনের আসনে বসলেন শিলা চট্টোপাধ্যায়। সোমবার ৭–০ ভোটে জিতে ঝালদা পুরসভা দখল করে কংগ্রেস। কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশ মেনে ভোটাভুটিতে কংগ্রেসের ঝুলিতে আসে ৭টি ভোট। তবে এতেই শেষ হয়ে যায়নি জটিলতা। আদালতের দ্বারস্থ তৃণমূল কংগ্রেস।     

    কীভাবে বোর্ড বঠন করল কংগ্রেস? 

    ‌আজ ঝালদা (Jhalda) পুরসভার ১২টি আসন। ৬ জন কংগ্রেস কাউন্সিলর এবং ১ জন নির্দল কাউন্সিলের ভোট আসে কংগ্রেসের ঝুলিতে। ৫ তৃণমূল কাউন্সিলর ভোটদান থেকে বিরত থাকেন।  শীলা চট্টোপাধ্যায় নির্দল কাউন্সিলর হিসাবে কংগ্রেসকে সমর্থন করেন। ৩ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর শীলা চট্টোপাধ্যায় চেয়ারপার্সন হিসেবে নির্বাচিত হন। এর আগে শীলা চট্টোপাধ্যায়ের সমর্থন পেয়েই বোর্ড গঠন করেছিল তৃণমূল কংগ্রেস। এবার ঝালদা পুরসভা গেল কংগ্রেসের দখলে। পুরপ্রধান হওয়ার লোভে কংগ্রেসকে সমর্থন করেছেন শীলা, এই দাবিতে আদালতের দ্বারস্থ হয়েছে তৃণমূল। 

    এর আগে এই পুরসভায় (Jhalda) নির্বাচনে পাঁচটি আসন তৃণমূল কংগ্রেস এবং পাঁচটি আসন কংগ্রেস পায়। দুই নির্দল প্রার্থীর সমর্থন নিয়ে তৃণমূল কংগ্রেস পুরবোর্ডের দখল করেছিল। তারপর চেয়ারম্যান সুরেশ আগরওয়ালের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব আনে কংগ্রেস। কংগ্রেস সংখ্যাগরিষ্ঠতা প্রমাণ করলে সুরেশ আগরওয়াল চেয়ারম্যান পদ থেকে সরে যেতে বাধ্য হন। আস্থাভোটে জয়লাভ করে কংগ্রেস। কিন্তু বোর্ড গঠন করতে পারেনি। কারণ সরকারের পক্ষ থেকে সেখানে প্রশাসক নিয়োগ করা হয়। তৃণমূল কংগ্রেসের এক কাউন্সিলর জবা মাছুয়াকে প্রশাসক হিসাবে নিয়োগ করা হয়।

    আরও পড়ুন: প্রজাতন্ত্র দিবসের পরে শাসক দলের নেতাকে খুনের ছক কষেছিল দিল্লিতে ধৃত জঙ্গিরা!  

    এই জবা মাছুয়া, অপসারিত চেয়ারম্যান সুরেশ আগরওয়ালের ঘনিষ্ঠ বলে দাবি করে কংগ্রেস। তৃণমূলের প্রশাসক(Jhalda) বসানোর সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ করে কলকাতা হাইকোর্টে যায় কংগ্রেস। কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অমৃতা সিনহা রাজ্য সরকারের প্রশাসকের নিয়োগের ওপর স্থগিতাদেশ জারি করেন। পুনরায় নির্বাচনের নির্দেশ দেন। আজ ১৬ জানুয়ারি ঝালদার পুরপ্রধান নির্বাচনের দিন ছিল। অবশেষে বোর্ড গঠন কংগ্রেসের।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

  • Food Destination: বিশ্বব্যাপী খাদ্য রসিকদের পছন্দের তালিকায় কলকাতা, দেশের মধ্যে একমাত্র

    Food Destination: বিশ্বব্যাপী খাদ্য রসিকদের পছন্দের তালিকায় কলকাতা, দেশের মধ্যে একমাত্র

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কলকাতাকে বলে City of Joy, খাদ্য রসিক বাঙালির পছন্দের সমস্ত খাবারই পাওয়া যায় এই শহরে। শুধুই কী বাঙালি খাবার? কর্মসূত্রে এ শহরে সারা দেশের প্রতিটি রাজ্যেরই মানুষ থাকেন। তাঁদের নিজেদের পছন্দের খাবারও সহজলভ্য হয় এই শহরে। তাই এই শহরকে City of Food বলা যেতেই পারে।

    দেশের একমাত্র শহর কলকাতা যেটি বিশ্বব্যাপী খাদ্য রসিকদের পছন্দের তালিকায় স্থান পেল। ওয়ার্ল্ড বেস্ট ফুড ডেস্টিনেশন (Food Destination) ২০২৩ এর তালিকায় স্থান পেল কলকাতা। Eaters নামের ওই ওয়েবসাইটে পৃথিবীর ১১ টি স্থানকে দেখানো হয়েছে খাদ্য রসিকদের পছন্দের জায়গা হিসেবে। তারমধ্যে কলকাতা সেই তালিকার অন্তর্ভুক্ত হয়েছে। তালিকাটি ইতিমধ্যে সোশ্যাল মিডিয়াতে শেয়ার করা হয়েছে। কলকাতা ছাড়াও এই লিস্টে রয়েছে Tamaki Makaurau (নিউজিল্যান্ড), Asheville (উত্তর ক্যারোলিনা), Albuquerque (নিউ মেস্কিকো), Guatemala City (গুয়াতেমেলা), and Cambridge (ইংল্যান্ড)

    কলকাতার জনপ্রিয় স্ট্রিটফুড গুলোর সঙ্গে আপনাদের পরিচয় করাই

    ১) কাঠি রোল

    কাঠিরোল হল কলকাতার অন্যতম জনপ্রিয় একটি স্ট্রিট ফুড।

    এগুলি সাধারণত চিকেন অথবা মটন দিয়ে মোড়ানো হয়ে থাকে, এগুলোকে হালকা ভাজা হয়।

    ২) ফুচকা

    ফুচকা নিয়ে তো নতুন করে কিছু বলার নেই।

    জল ফুচকা, দই ফুচকা কত রকমের ফুচকা! রাস্তার ধারের এই আইটেম খুবই জনপ্রিয়।

    ৩) কলকাতা বিরিয়ানি

    যাঁরা আমিষ খাবার পছন্দ করেন তাঁদের জন্য বিরিয়ানির তো কোন বিকল্পই হয় না। আর দেশের বাকি জায়গা থেকে কলকাতার বিরিয়ানির একটা আলাদা বৈশিষ্ট্য রয়েছে। কারণ, আর কোথাও, বিরিয়ানিতে মাংসের সঙ্গে আলু ও ডিম থাকে না। 

    এই ডিশের স্বাদ নেবার জন্য নাম করা অনেক রেস্টুরেন্ট বা দোকান রয়েছে শহরে। কলকাতা দম বিরিয়ানি যারা চেখে দেখেছেন, তাদের মুখে অন্য কিছু উঠবে না।

    ৪) তেলেভাজা

    চপ, মুড়ি, কাঁচালঙ্কা! এর যেন স্বাদই আলাদা! শীতের ঠান্ডায় হোক! অথবা বর্ষার বৃষ্টিস্নাত সন্ধ্যায়!

    বেগুনি,চপ তার সঙ্গে চা। কলকাতায় এই ধরনের তেলেভাজার দোকান অজস্র রয়েছে। রাস্তার গলিতে গলিতে।

    ৫) ঘুগনি

    রাস্তার ধারে ঘুগনির স্বাদ এককথায় অতুলনীয়।

    বিট লবণ মাখিয়ে ঘুগনি খুবই জনপ্রিয় কলকাতাতে।

    ৬) ডিমের ডেভিল

    ডিমটিকে ভাল করে সিদ্ধ করে এইটি তৈরি করা হয়।

    ভাজা মাংসের কিমা হল এটির অন্যতম উপাদান।

    ৭) ঝাল মুড়ি

    ঝালমুড়ি নিয়ে তো নতুন করে আর কিছু বলার নেই।

    চানাচুর মাখিয়ে লঙ্কা, পিঁয়াজ, মসলা, তেল এবং লেবু দিয়ে এই ঝাল মুড়ি সন্ধ্যাবেলায় খুব ভালো লাগে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

LinkedIn
Share