Category: রাজ্য

Get West Bengal News, Bengali Breaking News, Latest News in Bengali only from মাধ্যম | Madhyom, Bengali News Portal for সম্পূর্ণ নিরপেক্ষ বাংলা সংবাদ, বাংলা খবর

  • Suvendu Adhikari: বিপুল জনসমাগম! নেতাইয়ের সভা থেকে মমতা-অভিষককে আক্রমণ শুভেন্দুর

    Suvendu Adhikari: বিপুল জনসমাগম! নেতাইয়ের সভা থেকে মমতা-অভিষককে আক্রমণ শুভেন্দুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিপুল জনসমাগমের মধ্য দিয়ে মাত্র তিন কিলোমিটার রাস্তা হাঁটলেন ৫০ মিনিট ধরে। তৃণমূলের গড়ে নিজের জাত চেনালেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। সোমবার ভিড়ে ঠাসা লোকজনের মাঝে লালগড় থেকে নেতাই পর্যন্ত মাত্র তিন কিমি রাস্তা শুভেন্দুর হেঁটে পৌঁছতে ৫০ মিনিট সময় লেগে যায়। শহিদ বেদির পাশে বিজেপির দলীয় পতাকা দেওয়া সভামঞ্চের ব্যাকড্রপে ছিল শুভেন্দু, নরেন্দ্র মোদি, জেপি নাড্ডা, সাংসদ কুনার হেমব্রম-সহ রাজ্য সভাপতি ও জেলা সভাপতির ছবি। 

    শুভেন্দু যা বললেন

    এদিনের সভায় শুভেন্দু বলেন, ‘‘কে রুখে দেয় আমি দেখব। আমিও জানি কী ভাবে সোজা করতে হয়। অনেক বড় বড় মাতব্বরকে সোজা করেছি। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের চোদ্দ পুরুষও আমাকে আটকাতে পারবে না।’’ নেতাই কাণ্ডের জেলমুক্ত অভিযুক্তদের নাম না করে শুভেন্দু বলেন, ‘‘যাঁরা দশ-বারো বছর জেল খেটে ফিরে এসেছেন, তাঁরা ভদ্র থাকুন, ভাল থাকুন। বেশি আর লাল ঝান্ডা নিয়ে উৎপাত করবেন না। এসব করতে যাবেন না। আবার বিপদে পড়বেন। পাশে কেউ দাঁড়াবে না। এখন সব গেরুয়া ঝান্ডা হয়ে গিয়েছে। আপনারা পারবেন না তৃণমূলকে টাইট দিতে। আমরা ছাড়া কেউ পারবে না।’’ 

    সভা শেষে শহিদ পরিবারের সদস্য ও আহতদের মঞ্চে ডেকে নেন শুভেন্দু। এসেছিলেন নেতাই শহিদ স্মৃতিরক্ষা কমিটির প্রাক্তন সভাপতি দ্বারকানাথ পন্ডাও। শুভেন্দুর অভিযোগ, ‘‘শহিদবেদিতে আমাকে মালা দিতে বাধা দেওয়ার বিষয়টি দ্বারকাবাবু ও নেতাইবাসী মানেননি। তাই দ্বারকাবাবুকে স্মৃতিরক্ষা কমিটি থেকে সরানো হয়েছিল। এটা বিজেপির কর্মসূচি। উনি বিজেপির সদস্য নন, তাই তাঁকে আহ্বান করতে পারি না। কিন্তু উনি নিজে এসে পুরো গ্রামের মানুষের মনের কথা বলে দিলেন।’’ এদিন অমর্ত্য সেনের উদ্দেশে বিজেপির আক্রমণের বিরোধিতায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মন্তব্যকে কটাক্ষ করেন শুভেন্দু।

    আরও পড়ুন: সরকারি বাসভবনে থেকেও পুলিশকর্তাদের একাংশ বাড়িভাড়া ভাতা পান কীভাবে? প্রশ্ন শুভেন্দুর

    অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের প্রশংসা

    বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের ভূমিকার প্রশংসা করে তিনি বলেন, ‘মাননীয় বিচারপতি সমাজ সংস্কারের কাজ করছেন। ব্যক্তিগত আক্রমণের মুখে পড়েও তিনি যে সাহসিকতার পরিচয় দিচ্ছেন, দুর্নীতির একেবারে মূল উপড়ে ফেলতে চাইছেন তাকে স্বাগত জানাচ্ছি আমি’। এদিনের সভায় শুভেন্দুবাবুর সঙ্গে হাজির ছিলেন খড়গপুরের বিধায়ক হিরণ চট্টোপাধ্যায়। এদিন নিজের উত্তরীয় খুলে তা দিয়ে নেতাইয়ের ‘শহিদ বেদি’ পরিষ্কার করতে দেখা যায় শুভেন্দুকে। তার পর মাল্যদান করেন তিনি। এদিনের সভায় বক্তব্য রাখতে উঠে নাম না করে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে তীব্র আক্রমণ করেন শুভেন্দু।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

     

  • Suvendu Adhikari: সরকারি বাসভবনে থেকেও পুলিশকর্তাদের একাংশ বাড়িভাড়া ভাতা পান কীভাবে? প্রশ্ন শুভেন্দুর

    Suvendu Adhikari: সরকারি বাসভবনে থেকেও পুলিশকর্তাদের একাংশ বাড়িভাড়া ভাতা পান কীভাবে? প্রশ্ন শুভেন্দুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সরকারি বাসভবনে থেকেও পুলিশকর্তাদের একাংশ ‘এইচআরএ’ বা বাড়িভাড়া ভাতার সুবিধা ভোগ করছেন কী ভাবে, প্রশ্ন তুললেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। রাজ্যের অর্থসচিব মনোজ পন্থকে এ নিয়ে চিঠি লিখেছেন শুভেন্দু। এ ব্যাপারে রাজ্য পুলিশের ডিজি মনোজ মালব্য এবং কলকাতার পুলিশ কমিশনার বিনীত গোয়েলের ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন তিনি।

    শুভেন্দুর অভিযোগ

    পন্থকে লেখা চিঠিতে শুভেন্দুর অভিযোগ, সরকারি বাসভবনে থাকলে তার ভাড়া সংশ্লিষ্ট পদাধিকারীদের দিতে হয় না। সরকারের তরফেই সেই বাড়ি রক্ষণাবেক্ষণ করা হয়। কিন্তু সরকারি বাসভবনে থেকেও কিছু সংখ্যক ‘প্রিয়’ অফিসারকে হাউস রেন্ট অ্যালাওয়েন্স বা বাড়ি ভাড়া ভাতা দেওয়া হচ্ছে। কোনও সরকারি নির্দেশিকা ছাড়াই এই ধরনের ‘অবৈধ’ সুবিধা দেওয়া হচ্ছে কেন? প্রশ্ন শুভেন্দুর। এই ধরনের কাজ বন্ধ করার পাশাপাশি অর্থসচিবকে এই খাতে টাকা উদ্ধারের অনুরোধও করেছেন বিধানসভার বিরোধী দল নেতা। অন্যথায় এই দায় যে অর্থ দফতরের উপরেও বর্তাবে, তা স্পষ্ট করে দেওয়া হয়েছে চিঠিতে।

    আরও পড়ুন: ‘মোদির জন্যেই সম্ভব হয়েছে’, কাশ্মীরে রাহুলের পতাকা উত্তোলনের পর দাবি বিজেপির

    এই ধরনের ঘটনার ক্ষেত্রে কী পদক্ষেপ করা হয়েছে এবং এগুলো বন্ধ করার জন্য সরকারের কোনও নির্দেশিকা আছে কি না, তা-ও সাত দিনের মধ্যে জানতে চেয়েছেন বিরোধী দলনেতা। অন্যথায় আইনি পদক্ষেপের বার্তাও দেওয়া হয়েছে তাঁর চিঠিতে। এই বিষয়ে রাত পর্যন্ত অর্থসচিব, ডিজি বা কলকাতার পুলিশ কমিশনার কারুর তরফেই কোনও বার্তা দেওয়া হয়নি। সরকারি ভাবে নবান্নের তরফে সেই সব প্রশ্নের কোনও জবাব এখনও পর্যন্ত মেলেনি।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Recruitment Scam: উদ্ধার কুন্তল-শান্তনুর ফোনের ডিলিট করা চ্যাট, জেরা করতে ফের ইডির তলব যুব তৃণমূল নেতাকে

    Recruitment Scam: উদ্ধার কুন্তল-শান্তনুর ফোনের ডিলিট করা চ্যাট, জেরা করতে ফের ইডির তলব যুব তৃণমূল নেতাকে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আরও বিপাকে তৃণমূল নেতা কুন্তল ঘোষ ও শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায়। শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতির মামলায় সম্প্রতি গ্রেফতার হয়েছে তৃণমূল যুবনেতা কুন্তল ঘোষ ও এই মামলায় অভিযুক্ত তৃণমূলের জেলা পরিষদের কর্মাধ্যক্ষ শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায়। ইডি সূত্রে খবর, তাঁদের ফোনে ডিলিট করা চ্যাট প্রযুক্তি বিশেষজ্ঞদের দিয়ে উদ্ধার করিয়েছে ইডি। সেই চ্যাট কেন ডিলিট করা হয়েছিল তা জানতে আজ কুন্তলকে জেরা করছেন গোয়েন্দারা। এছাড়াও এই প্রশ্নের উত্তর জানতে বুধবারে তলব করা হয়েছে শান্তনুকে। এর পাশাপাশি এক চাঞ্চল্যকর দাবি করেছে ইডি। জানা গিয়েছে, কুন্তল এক যুব নেত্রীকে দক্ষিণ কলকাতার একটি আবাসনে তিনটি ফ্ল্যাট একসঙ্গে কোটি কোটি টাকায় কিনে দিয়েছেন। এই তথ্য বেরিয়ে আসতেই শোরগোল পড়ে গিয়েছে।

    ডিলিট করা মেসেজ উদ্ধার করল ইডি

    শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাড়িতে তল্লাশি অভিযান চালিয়ে বেশ কিছু নথিপত্র এবং সামগ্রী উদ্ধার করেছেন গোয়েন্দারা। তার মধ্যে অন্যতম হল শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায়ের ব্যবহার করা দু’টি ফোন। এই দু’টি মোবাইল ফোনের মাধ্যমেই একাধিক হোয়াটসঅ্যাপ মেসেজ এবং ফোনে কথোপকথনের রেকর্ড ইতিমধ্যেই হাতে এসেছে গোয়েন্দাদের। আবার নিয়োগ দুর্নীতি সংক্রান্ত বহু তথ্য ফোন থেকে মুছে দিয়েছিলেন কুন্তল ঘোষও। তবে প্রযুক্তি বিশেষজ্ঞদের কাজে লাগিয়ে সেই তথ্যও উদ্ধার করেছেন গোয়েন্দারা। ইডি সূত্রে খবর, কুন্তলের ফোন থেকে চাকরিপ্রার্থীদের নতুন তালিকা পাওয়া গিয়েছে। সঙ্গে পাওয়া গিয়েছে গুরুত্বপূর্ণ একাধিক নথি। তবে শান্তনুর ফোন থেকে কী পাওয়া গিয়েছে তা এখনও জানা যায়নি।

    আরও পড়ুন: ‘কিছু দুষ্কৃতী মিলে রাজ্যটাকে ধ্বংস করে দেবে’, কুন্তল ঘোষ প্রসঙ্গে বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়

    শান্তনুকে তলব ইডির

    কুন্তলের ফোন থেকে কেন মেসেজ ডিলিট করা হয়েছিল, তা জানতে জেরা করা হচ্ছে কুন্তলকে, তেমনি শান্তনুকেও জিজ্ঞাসাবাদ করতে বুধবার সকাল দশটার মধ্যে সল্টলেকের সিজিও কমপ্লেক্সে শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায়কে হাজিরা দিতে বলা হয়েছে। এবার হাজিরা দিলে চতুর্থবার ইডির গোয়েন্দাদের মুখোমুখি হবেন তিনি। শান্তনু ও কুন্তলকে মুখোমুখি বসিয়েও হতে পারে জিজ্ঞাসাবাদ।

    দুর্নীতির টাকায় যুব নেত্রীকে ফ্ল্যাট কিনে দিয়েছেন কুন্তল!

    ইডি সূত্রে খবর, এক যুব নেত্রীকে দক্ষিণ কলকাতার একটি আবাসনে তিনটি ফ্ল্যাট কোটি কোটি টাকায় কিনে দিয়েছেন কুন্তল। সেই সঙ্গে সেই ফ্ল্যাটে কোটি কোটি টাকার আসবাবপত্রও কিনে দিয়েছেন এই তৃণমূল নেতা। সব অর্থই খরচ করেছেন নিয়োগ দুর্নীতির টাকায়। এছাড়াও ইডি সূত্রে জানা গিয়েছে, চিনার পার্কের অভিজাত বহুতল আবাসনে কুন্তলের ৯০৩ নম্বর ফ্ল্যাটে পাওয়া একটি কালো ডায়েরিই এখন তাঁদের হাতিয়ার। সেই ডায়েরিতে কয়েক জন নেতা, মন্ত্রীর সঙ্গে বেশ কিছু রাজ্য যুব নেতা-নেত্রীরও নাম রয়েছে, যাদের পিছনে কোটি কোটি টাকা খরচ করেছেন কুন্তল। ইডি-র দাবি, ২০১৬-র পরে নিউ টাউন এবং ইএম বাইপাস সংলগ্ন এলাকায় অভিজাত আবাসনে ছ’-ছ’টি ফ্ল্যাট এবং অন্তত সাতটি বিলাসবহুল গাড়ি কিনেছিলেন কুন্তল। এমনকী কুন্তল অধিকাংশ সময়েই নীল বাতি লাগানো গাড়ি ব্যবহার করতেন বলেও জানা গিয়েছে। তিনি মূলত নিয়োগ দুর্নীতির নগদ টাকা নিয়ে যাতায়াতের সময়েই ওই নীল বাতির গাড়ি ব্যবহার করতেন বলে খবর। এবার এটাই দেখার যে, শান্তনুকে জেরা করার পর আর কোন কোন তথ্য প্রকাশ্যে আসে।

  • Kuntal Ghosh: খাদ্য দফতরের চাকরিতেও টোপ কুন্তলের, বিনিময়ে চেয়েছিলেন প্রচুর টাকা

    Kuntal Ghosh: খাদ্য দফতরের চাকরিতেও টোপ কুন্তলের, বিনিময়ে চেয়েছিলেন প্রচুর টাকা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শুধু শিক্ষা দফতরই নয়। খাদ্য দফতরের চাকরিতেও জাল বিছিয়েছিলেন কুন্তল ঘোষ (Kuntal Ghosh)। খাদ্য দফতরে চাকরি পাইয়ে দেওয়ার নাম করে প্রার্থীদের কাছে চেয়েছিলেন লক্ষাধিক টাকা। এর আগে শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতিতে সামনে এসেছে কুন্তলের একাধিক কীর্তি। গ্রেফতারও করা হয়েছে তাঁকে। এবার প্রকাশ্যে এলো হুগলির তৃণমূল ছাত্রনেতার আরও এক কুকীর্তি। সাত লক্ষ টাকার বিনিময়ে খাদ্য দফতরে চাকরি পাইয়ে দেওয়ার মিথ্যা আশ্বাস দেয় কুন্তল। কথামতন ৩ লক্ষ টাকা নিজের কাছে নিয়েও নেয় সে। কথা হয়েছিল চাকরির পর বাকি টাকা পাওয়া যাবে। কিন্তু চাকরি পায়নি ওই প্রার্থীরা। এদিকে আগাম দেওয়া টাকাও ফেরায় নি কুন্তল।

    কী জানা গেল?   

    কুন্তলের (Kuntal Ghosh) জালে জড়িয়ে প্রতারিত একাধিক সাধারণ পরিবার। এই যেমন রূপা দাস ও তার ছেলে। রুপা দাস হুগলির বলাগড়ের জিরাটের বাসিন্দা। ২০২০ সালে ছেলের চাকরির জন্য টাকা দিয়েছিলেন কুন্তল কে। রুপার বাড়ির পাশেই রয়েছে কুন্তলের দিদি কুন্তলার বাড়ি। কুন্তলের দিদিই রুপা কে বলে তার ভাই চাকরি করিয়ে দিতে পারবে। ২০ দিনের মধ্যেই চাকরি করিয়ে দিতে পারবে কুন্তল। কিন্তু সেই চাকরি পেতে গেলে টাকা দিতে হবে। চাকরি করিয়ে দিতে ১৪ লক্ষ টাকা চেয়েছিলো কুন্তল।

    আরও পড়ুন: নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় সিবিআইকেই কাঠগড়ায় তুললেন বিচারপতি বসু

    প্রথমে ৫ লক্ষ টাকা আগাম দেওয়ার কথা বলা হয়। শেষে আগাম তিন লক্ষ টাকায় রফা হয় (Kuntal Ghosh)। জানা গিয়েছে, এই লেনদেন পুরোটাই হয়েছে ক্যাশে। ব্যাঙ্কের মাধ্যমে কোন টাকা নেয়নি কুন্তল। চাকরি হয়ে গেলে বাকি টাকা দেওয়ার কথা বলা হয়। পরে ছেলে চাকরি না পেলে টাকা চাইতে গিয়েছিলন রুপা। দেখা করেননি কুন্তল। বলাগড়ের বাড়িতে বসেই টাকা নিয়েছিলেন। কিন্তু পরে চাকরি প্রার্থী বা তাদের পরিবারের লোকেদের সঙ্গে দেখা পর্যন্ত করতে চাইতেন না। দারোয়ান বাড়ির গেট থেকে তাড়িয়ে দিত বলে অভিযোগ।

    পরবর্তীতে কুন্তলের (Kuntal Ghosh) দিদিও তাড়িয়ে দিতেন দুরদুর করে। বার বার পারিবারিক অসুবিধের কথা জানালেও, কোনও লাভ হয়নি। এবার রূপা দাস ইডির দ্বারস্থ। এখন তারা চাইছেন ই ডি যদি তাদের টাকা ফেরত দেওয়ার ব্যবস্থা করে তাহলে মেয়ের অপারেশন করতে পারবেন।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Indian Coast Guard Day: ১ ফেব্রুয়ারি ভারতীয় উপকূলরক্ষী বাহিনীর ৪৬ তম প্রতিষ্ঠা দিবস

    Indian Coast Guard Day: ১ ফেব্রুয়ারি ভারতীয় উপকূলরক্ষী বাহিনীর ৪৬ তম প্রতিষ্ঠা দিবস

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গত বছর প্রায় ২৭৯ জনকে বাঁচিয়েছে ভারতের উপকূলরক্ষী বাহিনী (Indian Coast Guard Day)। এমনটাই জানালেন বাহিনীর আইজি ইকবাল সিং চৌহান। এও জানিয়ে রাখলেন, শুধু মানব-জীবন রক্ষাই নয়, পরিবেশ রক্ষার বিষয়েও সজাগ তাঁরা।

    আগামীকাল, অর্থাৎ ১ ফেব্রুয়ারি ইন্ডিয়ান কোস্ট গার্ডের ৪৬তম প্রতিষ্ঠা দিবস (Indian Coast Guard Day)। দেশজুড়ে ধুমধামের সঙ্গে পালন করা হবে উপকূলরক্ষী বাহিনীর এই বিশেষ দিনটি। সেই উপলক্ষে সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে উপকূলরক্ষী বাহিনীর উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় কমান্ডার বলেন, ২০২২ সালে ২৭৯ জনকে বাঁচিয়েছে উপকূলরক্ষী বাহিনী। এখনও পর্যন্ত প্রায় ১২ হাজার জীবন বাঁচিয়েছে ভারতীয় উপকূলরক্ষী বাহিনী। 

    সদা-সতর্ক ইন্ডিয়ান কোস্ট গার্ড

    দেশের পশ্চিম ও দক্ষিণ উপকূলের তুলনায় পূর্ব ও উত্তর-পূর্ব ক্ষেত্রের পরিস্থিতি অনেকটাই স্বাভাবিক ও শান্ত বলে উল্লেখ করেও চৌহান মনে করিয়ে দেন, উপকূল রক্ষী বাহিনী (Indian Coast Guard Day) সদা-সতর্ক রয়েছে। আত্মতুষ্টির কোনও জায়গা নেই। এই প্রেক্ষিতেই তিনি বলেন, উত্তর-পূর্ব অঞ্চলের অন্তর্গত এলাকায় নজরদারি বাড়ানো হয়েছে। সেই আওতায় সম্প্রতি পশ্চিমবঙ্গের সাগর এবং ওড়িশার গোপালপুর ও পারাদ্বীপে রেডার স্টেশন কার্যকর করা হয়েছে। আরও কয়েকটি রেডার স্টেশন শীঘ্রই নির্মাণ হবে। তবে, সেগুলি কোথায় বসবে, সে বিষয়ে তিনি খোলসা করেননি।

    বর্তমান শক্তি…

    চৌহান জানান, ভবিষ্যতের পরিস্থিতি ও প্রয়োজনীয়তা বিচার করে শক্তি বৃদ্ধির পথে ক্রমশ এগিয়ে চলেছে উপকূলরক্ষী বাহিনী (Indian Coast Guard Day)। তিনি জানান, এই মুহূর্তে ২০০টি জাহাজ ও ১০০টি বিমানের লক্ষ্যমাত্রা নিয়ে এগোচ্ছে বাহিনী। বর্তমানে ছোট-মাঝারি-বড় মিলিয়ে রয়েছে ১৫৮টি জাহাজ। দ্রুতগামী প্যাট্রল ভেসেলের সংখ্যা প্রায় ৫০। ১১৫ মিটার বা তার বেশি লম্বা জাহাজ রয়েছে ২৭টি। এছাড়াও বাকি সব মিলিয়ে রয়েছে প্রায় ৬৭টি জাহাজ। ১২টি জাহাজ নির্মাণপর্বে রয়েছে। 

    বাহিনীর ইতিহাস

    কোস্ট গার্ড আইনের মাধ্যমে ১৯৭৭ সালের ১ ফেব্রুয়ারি প্রতিষ্ঠা হয়েছিল ইন্ডিয়ান কোস্ট গার্ড বা ভারতীয় উপকূলরক্ষী বাহিনীর (Indian Coast Guard Day)। তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী মোরারজী দেশাই ১৯৭৮ সালের ১৯ অগাস্ট উপকূলরক্ষী বাহিনীর আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেছিলেন। সেই সময় বাহিনীর হাতে ছিল মাত্র সাতটি জাহাজ। সেই থেকেই নির্ভিকভাবে ভারতের সুদীর্ঘ উপকূলের নিরন্তর রক্ষা করে চলেছে উপকূলরক্ষী বাহিনী।

  • CBI: নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় সিবিআইকেই কাঠগড়ায় তুললেন বিচারপতি বসু

    CBI: নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় সিবিআইকেই কাঠগড়ায় তুললেন বিচারপতি বসু

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়- এর পর এবার সিবিআইয়ের (CBI) কাজ নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করলেন হাইকোর্টের আরও এক বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসু। বিচারপতির অভিযোগ, ইচ্ছে করে তদন্তে দেরি করছে সিবিআই। মঙ্গলবার নবম-দশম শ্রেণির শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি মামলার শুনানিতে বিচারপতি বসু জানান, সিবিআইয়ের ভূমিকাকে তিনি সন্দেহের চোখেই দেখছেন।    

    মঙ্গলবার নবম-দশম শ্রেণির শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি মামলার শুনানি ছিল বিচারপতি বসুর (CBI) এজলাসে। সেখানে তিনি সিবিআইয়ের আইনজীবীর উদ্দেশে তদন্তকারী সংস্থার ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলে বলেন, ‘‘আমার মনে হচ্ছে, আপনারা ইচ্ছাকৃত ভাবে তদন্তে দেরি করাচ্ছেন।’’ তিনি আরও বলেন, ‘‘যত দ্রুত সম্ভব সমাজ থেকে জঞ্জাল সরিয়ে উপযুক্ত ব্যক্তিদের জায়গা করে দিতে হবে।’’  

    উল্লেখ্য, নিয়োগ দুর্নীতি মামলার শুনানিতে মুখবন্ধ খামে রিপোর্ট জমা দেয় সিবিআই (CBI)। সিবিআইয়ের হয়ে আইনজীবী যে সওয়াল করছেন, তার সঙ্গে ওই রিপোর্টের কোনও মিল নেই বলে জানিয়েছেন বিচারপতি বসু। বিচারপতি বসু আরও বলেন, ‘‘দেশের অন্যতম প্রধান তদন্তকারী সংস্থার কাছে এমন ভুল আশা করা যায় না। সিবিআইয়ের রিপোর্টের সঙ্গে আইনজীবীর দেওয়া তথ্যের কোনও মিল নেই। এমনটা হল কী করে?’’ বিচারপতি বলেন, ‘‘আপনাদের ভূমিকা নিয়ে যথেষ্ট সন্দেহ হচ্ছে। কাগজপত্র-সহ সমস্ত তথ্য তিন বার যাচাই করে পাঠানো উচিত।’’ আগামী বৃহস্পতিবার ফের সিবিআইকে রিপোর্ট পেশ করার নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি।

    আরও পড়ুন: অমর্ত্যর বাড়ি সম্পর্কিত যে কাগজ মমতা দেখাচ্ছেন, তা অপ্রাসঙ্গিক, সাফ জানালেন উপাচার্য     

    এদিন এসএসসির ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছে আদালত। এসএসসি- র বিচারপতি বসু বলেন, ‘‘সব কি আদালতের দায়িত্ব? আপনারা যে ভাবে যুক্তি দিচ্ছেন, তাতে মনে হচ্ছে কেউ ঠকিয়ে চলে গেলেও, চুপ করে বসে থাকবেন। চুপ থাকবেন তো? এত ভয় কেন? যা হয়েছে, মুছে এগিয়ে চলুন। নিজের ক্ষমতা কেন প্রয়োগ করছেন না? এসএসসি-র চেয়ারম্যানকে বলুন, অযোগ্যদের বরখাস্ত করে যোগ্যদের চাকরি দিতে।’’ 

    মঙ্গলবারই সিবিআইয়ের (CBI) এক আধিকারিককে তদন্ত থেকে বাদ দিয়েছেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় এমনও নির্দেশ দেন যে, ওই তদন্তকারী কর্তা যেন কোনও তদন্তের ফাইল স্পর্শ করতে না পারেন।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

     

     
     
  • Mid Day Meal: ৮১ জন পড়ুয়ার জন্যে ৭ কিলো চাল! স্কুল পরিদর্শনে এসে অবাক কেন্দ্রীয় দল

    Mid Day Meal: ৮১ জন পড়ুয়ার জন্যে ৭ কিলো চাল! স্কুল পরিদর্শনে এসে অবাক কেন্দ্রীয় দল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ৮১ জন পড়ুয়ার জন্যে মাত্র ৭ কিলো চাল। রাজারহাটের বনমালিপুর অবৈতনিক প্রাথমিক বিদ্যালয়ে (Mid Day Meal) পরিদর্শনে এসে হতবাক কেন্দ্রীয় দল। সোমবার বেলা ১২টার দিকে স্কুলে এসে পৌঁছন কেন্দ্রের প্রতিনিধি দলের সদস্যরা। স্কুলে পৌঁছেই কথা বলেন শিক্ষক-শিক্ষিকাদের সঙ্গে। এরপর ক্লাসরুমে পড়ুয়াদের সঙ্গেও কথা বলেন। এরপরেই সোজা রান্নাঘরে ঢুকে যান কেন্দ্রীয় প্রতিনিধিরা। ঘুরে দেখেন পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতার বিষয়টি। রান্নায় ব্যবহৃত সরঞ্জাম খতিয়ে দেখেন তাঁরা। 

    কী জানতে চায় কেন্দ্রীয় দল? 

    রান্নার পরিস্কার-পরিচ্ছন্নতা (Mid Day Meal) সম্পর্কে বেশ কিছু প্রশ্নও করেন তাঁরা। কর্মীদের জিজ্ঞেস করেন, কবে তৈরি হয়েছে রান্নাঘর? কতজন কর্মী রান্না করেন? কী কী রান্না হয়? কী তেল ব্যবহার হয় রান্নার জন্য? রান্নার জল কোথা থেকে আনা হয়? আদৌ গ্লাভস পড়া হয় কী না, ইত্যাদি ইত্যাদি। চাল- মশলাও হাতে নিয়ে দেখেন তাঁরা।

    রাজ্যে মিড ডে মিল পরিস্থিতি খতিয়ে (Mid Day Meal) দেখতে এসে কেন্দ্রীয় পরিদর্শক দল সোমবার উত্তর ২৪ পরগনায় যায়। জেলার বিভিন্ন স্কুল ঘুরে দেখার কথা তাঁদের। তার আগে দলটি বিকাশ ভবনে একটি বৈঠক করে। ৯ জনের দলটির নেতৃত্বে রয়েছেন উত্তরাখণ্ডের জিবি পন্থ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের পুষ্টিবিজ্ঞানের অধ্যাপিকা অনুরাধা দত্ত।

    জেলায় পরিদর্শনে বেরোনোর (Mid Day Meal) আগে অনুরাধা দত্ত জানান, এটি রুটিন পরিদর্শন। দেশের প্রতিটি রাজ্যেই মিড ডে মিল পরিস্থিতি খতিয়ে দেখে কেন্দ্রীয় দল। তিনি আরও জানান, মিড ডে মিলের বিষয়ে কেন্দ্রীয় সরকারের যে ৩২টি সূচক আছে, সেগুলির ভিত্তিতেই সামগ্রিক পরিস্থিতি খতিয়ে দেখা হয়। 

    কেন্দ্রীয় প্রতিনিধিরা প্রশ্ন (Mid Day Meal) করেন, “৮১ জন বাচ্চার জন্য মাত্র ৭ কেজি চাল কেন?” উত্তরে রাঁধুনি বলেন, “বাচ্চারা ১০০ গ্রাম ভাতও খেতে পারে না। নষ্ট করে। তাই অল্প করে রান্না করা হয়।” তুলনায় আলুর পরিমাণ বেশি থাকা নিয়ে রাঁধুনি জানান, পড়ুয়ারা আলু খেতে ভালবাসে।

    আরও পড়ুন: উদ্ধার কুন্তল-শান্তনুর ফোনের ডিলিট করা চ্যাট, জেরা করতে ফের ইডির তলব যুব তৃণমূল নেতাকে

    কেন্দ্রীয় দল আসার আগেই রাজ্য (Mid Day Meal) প্রশাসনের তরফে মিড ডে মিল রান্নায় নিযুক্ত ব্যক্তিদের নতুন অ্যাপ্রন, গ্লাভস দেওয়া হয়। এ বিষয়ে পরিদর্শক দলের প্রশ্ন, “সব দিন কি এগুলো পরে থাকেন?” কর্মীরা উত্তরে বলেন, “গ্লাভস পরলেও বাকিগুলো সব সময় পরা হয় না।”

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

     

     
     

     

     

  • Suvendu Adhikari: জেলায় জেলায় মিড ডে মিলের পরিদর্শনে বেরল কেন্দ্রীয় দল, রিপোর্টের দিকে বিশেষ নজর শুভেন্দুর

    Suvendu Adhikari: জেলায় জেলায় মিড ডে মিলের পরিদর্শনে বেরল কেন্দ্রীয় দল, রিপোর্টের দিকে বিশেষ নজর শুভেন্দুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মিড ডে মিল তদন্তে রাজ্যে এসেছে কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দল। সোমবার অভিযানে দিল্লির ১১ জনের একটি দল। চার জেলায় গিয়ে বিভিন্ন স্কুলে খতিয়ে দেখবেন তাঁরা। সূত্রের খবর, সোমবার সকালে পরিদর্শনে বেরনোর আগে শিক্ষা দফতরের আধিকারিকদের সঙ্গে বিকাশ ভবনে বৈঠক করেন তাঁরা। এরপর জেলায় জেলায় মিড ডে মিল প্রকল্পের অগ্রগতি দেখতে বেরিয়ে পড়ে কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দল। ৪ জেলার সফর শুরু আজ উত্তর ২৪ পরগনা দিয়ে। মিড ডে মিল নিয়ে সমস্ত বিষয় খতিয়ে দেখার পর কেন্দ্রকে রিপোর্ট জমা দেবে তাঁরা। অন্যদিকে এই ইনস্পেকশন নিয়ে উৎসাহী শুভেন্দু অধিকারী। তিনি জানিয়ে দিয়েছেন, এ ব্যাপারে কী রিপোর্ট জমা পড়ে সে দিকে নজর রাখবেন তিনি।

    মিড ডে মিলের পরিদর্শনে বেরল কেন্দ্রীয় দল

    সূত্রের খবর, সোমবার সকাল সাড়ে ন’টার কিছুটা সময় পর তাঁরা বিকাশ ভবনের উদ্দেশে রওনা হন। এর পর বিকাশভবনে পৌঁছন কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দলের সদস্যরা। শিক্ষা দফতরের আধিকারিকদের সঙ্গে বিকাশ ভবনে বৈঠক করেন তাঁরা। এরপরেই তদন্তে বেরিয়ে পড়েন তাঁরা। জানা গিয়েছে, আজ উত্তর ২৪ পরগনার কয়েকটি স্কুলে যাবেন। এর পর আরও ৩ টি জেলায় যাবেন তাঁরা। নজরে রয়েছে শিলিগুড়িও। তবে এই তালিকায় আরও বেশ কিছু জেলার সংযোজন করতে পারেন প্রতিনিধি দলের সদস্যরা, সেটা জানা যাচ্ছে। ১১ জনের প্রতিনিধি দল কয়েকটি ভাগে বিভিন্ন জেলাতেও যেতে পারে বলে খবর। সূত্রের খবর, চার জেলা ঘোরার পর কলকাতা হয়ে এই টিম দিল্লি যাবে। কেন্দ্রীয় শিক্ষা মন্ত্রকের কাছে রিপোর্ট পেশ করবে। সেই রিপোর্টের ভিত্তিতে সুপারিশ পাঠাবে কেন্দ্রীয় শিক্ষামন্ত্রক।

    আরও পড়ুন: মিড ডে মিলের পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে রাজ্যে এল কেন্দ্রীয় দল, আজ থেকেই শুরু পরিদর্শন

    মিড ডে মিল নিয়ে শুভেন্দুর বক্তব্য

    রাজ্যে বিভিন্ন জায়গা থেকে মিড ডে মিলের খাবারের গুণমান নিয়ে একাধিক বার প্রশ্ন উঠেছে। কখনও শিশুদের খাবারে মিলেছে সাপ, কখনও আবার টিকটিকি, ইঁদুর। আবার আর্থিক দুর্নীতিরও অভিযোগ উঠে এসেছে। গত সপ্তাহে ট্যুইটে শুভেন্দু দাবি করেন, বগটুইয়ে মৃতদের ক্ষতিপূরণ দেওয়া হয়েছে মিড ডে মিলের টাকা থেকে। এর পরই রাজ্যে মিড ডে মিল প্রকল্পের অগ্রগতিতে কেন্দ্রীয় দল আসছে বলে জানান তিনি।

    এদিন তিনি বলেন, “কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দল কী রিপোর্ট দেয় সে দিকে তাকিয়ে থাকব। মিড ডে মিলের টাকা থেকে বগটুইতে ক্ষতিপূরণ দেওয়ার কথা নয়। এটা ফাইনানসিয়াল ক্রাইম। বিডিও, ডিএমদের বিরুদ্ধে তদন্ত হওয়া দরকার। অডিটের পর কেন্দ্র সরকার এমনটা করবে। আমি যখন অভিযোগ করেছি তখন তা প্রমাণের দায়িত্ব আমার। আমি প্রমাণ দেওয়ার পর নিশ্চয় কেন্দ্র সরকার ব্যবস্থা নেবে।”

    ফলে কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দলের তদন্ত করার পর মিড ডে মিলের সমস্ত দিক খতিয়ে দেখে অবশেষে কেন্দ্রকে কী রিপোর্ট দেয় তাঁরা, সেটার অপেক্ষায় রাজ্যবাসী।

  • West Bengal Weather: শীতের বিদায় এখনই নয়, বৃহস্পতিবার থেকেই ফিরবে শীত! কী বলছে হাওয়া অফিস?

    West Bengal Weather: শীতের বিদায় এখনই নয়, বৃহস্পতিবার থেকেই ফিরবে শীত! কী বলছে হাওয়া অফিস?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বঙ্গে পারদের ওঠা-নামা জারি। জানুয়ারির শুরুতেই হাড়কাঁপানো ঠান্ডা পেয়েছে রাজ্যবাসী। তারপর ধীরে ধীরে বেড়েছে তাপমাত্রার পারদ। এরপর একেবারেই শীত বিদায় নিয়েছিল শহর থেকে। তবে ফের বিগত দু’দিনে তাপমাত্রা কমে গেল। রবিবারই শীতের প্রত্যাবর্তনের ইঙ্গিত মিলেছিল। এর পর আজ সোমবার এক ধাক্কায় আরও কিছুটা পারদ পতন শহরে। আজ ভোর থেকে কলকাতা সহ দক্ষিণবঙ্গে শিরশিরে ঠান্ডার ইনিংস শুরু হয়ে গেল৷ ফলে শেষবেলায় শীতের দাপুটে স্পেলের দেখা মিলতে পারে। এমনটাই পূর্বাভাস আলিপুর আবহাওয়া দফতরের।

    কলকাতার আবহাওয়া

    আজ শহরে এক ধাক্কায় তাপমাত্রা প্রায় ২ ডিগ্রি নামল। কলকাতায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা পৌঁছল ১৫.৮ ডিগ্রিতে। গতকাল সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১৭.৪ ডিগ্রি। আকাশ পরিষ্কার থাকবে। সর্বোচ্চ ও সর্বনিম্ন তাপমাত্রা থাকতে পারে ২৭ ও ১৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসের আশেপাশে।

    আরও পড়ুন:মমতার পাশে নেই কেষ্ট! অনুব্রত-হীন বীরভূমে মুখ বাঁচাতে নয়া কৌশল তৃণমূলের?

    দক্ষিণবঙ্গের আবহাওয়া

    আবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাস অনুযায়ী, আগামী ৪৮ ঘন্টা অর্থাৎ ১ ফেব্রুয়ারি বুধবার সকালের মধ্যে দক্ষিণবঙ্গের সবকটি জেলার আবহাওয়া শুকনো থাকবে। এরপর মঙ্গলবার ও বুধবার তাপমাত্রা ২-৩ ডিগ্রি বাড়লেও, বৃহস্পতিবার বার থেকে তাপমাত্রা ফের ২-৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস কমতে পারে। পশ্চিমের জেলাগুলিতে তাপমাত্রা ১২ ডিগ্রি সেলসিয়াসে নেমে যেতে পারে বলে পূর্বাভাস আবহাওয়া দফতরের। আগামী বৃহস্পতিবারের পর থেকে আবারও মিনি শীতের স্পেল আসতে চলেছে বলে জানাচ্ছে আবহাওয়া দফতর। তবে শীতের স্পেল চলবে আগামী রবি থেকে সোমবার পর্যন্তই।

    উত্তরবঙ্গের আবহাওয়া

    আগামী তিন দিন কুয়াশার দাপট থাকবে উত্তরবঙ্গে। মূলত শুষ্কই থাকবে আবহাওয়া। শুধুমাত্র দার্জিলিং, কালিম্পং এর পার্বত্য এলাকায় বুধবার পর্যন্ত হালকা বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। সিকিমেও হালকা বৃষ্টি ও পার্বত্য এলাকায় তুষারপাত হতে পারে। যদিও দার্জিলিং পার্বত্য এলাকায় তাপমাত্রা ঊর্ধ্বমুখী। উত্তরবঙ্গের বিভিন্ন জেলায় হালকা থেকে মাঝারি কুয়াশার সম্ভাবনা রয়েছে। উত্তরবঙ্গের জেলাগুলিতে আগামী পাঁচ দিন একই রকম তাপমাত্রা থাকবে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Migrant Workers: বন্ধ একশো দিনের প্রকল্প, ফের ভিন রাজ্যে কাজে গিয়ে মৃত্যু ৩ পরিযায়ী শ্রমিকের 

    Migrant Workers: বন্ধ একশো দিনের প্রকল্প, ফের ভিন রাজ্যে কাজে গিয়ে মৃত্যু ৩ পরিযায়ী শ্রমিকের 

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: একশো দিনের প্রকল্পে টাকা পাঠাচ্ছে কেন্দ্র। সস্তা জনপ্রিয়তা কুড়োতে সেই টাকা খরচ হচ্ছে লক্ষ্মীর ভাণ্ডার সহ নানা খয়রাতি প্রকল্পে। তার জেরে রাজ্যে বন্ধ হয়ে গিয়েছে একশো দিনের কাজ। হা শিল্প দশা। অগত্যা রুজির টানে ভিন রাজ্যে পাড়ি দিচ্ছেন বাংলার দিন আনি দিন খাই পরিবারের রোজগেরে সদস্যরা (Migrant Workers)। তারপর তাঁদের অনেকেই ফিরছেন লাশ হয়ে। সংসারের রোজগেরে মানুষটার অকাল মৃত্যুতে আক্ষরিক অর্থেই পথে বসছেন মৃতের পরিবার।

    দীর্ঘায়িত হচ্ছে মৃতের তালিকা…

    এই যেমন মালদহের হবিবপুরের তিন মণ্ডল পরিবার। রাজ্যে কাজ না পেয়ে গত বছর নভেম্বরে শ্রীরামপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের তালুকদার পাড়ার প্রেমকুমার মণ্ডল, রতন মণ্ডল এবং অলোক মণ্ডল কাজ করতে গিয়েছিলেন মিজোরামের (Mizoram) আইজল জেলায়। ২৬ জানুয়ারি গার্ডওয়ালের কাজ করার সময় ধ্বস নামে। মৃত্যু হয় তিন যুবকেরই। পরিবার সূত্রে খবর, তিনজনেরই ৩১ জানুয়ারি বাড়ির ফেরার কথা ছিল। সেজন্য টিকিটও কাটা হয়ে গিয়েছিল। অবশ্য ৩১ জানুয়ারির আগেই বাড়ি ফিরেছেন তাঁরা। তবে কফিনবন্দি হয়ে। ঘটনায় কান্নার রোল গ্রামে। শোকস্তব্ধ গোটা তল্লাট।

    রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে ধূমায়িত হচ্ছে ক্ষোভের আগুন। মৃতদের মধ্যে প্রেমকুমার ও রতন সম্পর্কে খুড়তুতো ভাই। তিনজনই বিবাহিত। অলোকের আবার আট মাসের এক শিশুপুত্রও রয়েছে। পরিবারের রোজগেরে সদস্যদের মৃত্যুতে অথৈ জলে তিন মণ্ডল পরিবার। মালদহ উত্তরের সাংসদ বিজেপির খগেন মুর্মু বলেন, রাজ্যে কাজ নেই। তাই বাধ্য হয়ে বাইরে গিয়ে অকালে প্রাণ চলে যাচ্ছে জেলার ছেলেদের।

    অবশ্য এই প্রথম নয়। ভিন রাজ্যে কাজে গিয়ে অকালে প্রাণ খুইয়েছেন এ রাজ্যে অনেক শ্রমিক (Migrant Workers)। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে দীর্ঘ হচ্ছে সেই তালিকা। মাস পাঁচেক আগে চেন্নাইয়ে নির্মাণ শ্রমিকের কাজ করতে গিয়েছিলেন মালদহেরই রতুয়ার ছেদু মণ্ডল। তাঁর বাড়ি উত্তর রতুয়া পূর্ব পাড়া গ্রামে। ছেদুও বাড়ি ফিরেছিলেন লাশ হয়ে।

    কম করুণ নয় মুর্শিদাবাদের ভগবানগোলার রামগড় পূর্ব হাট পাড়ার কাহিনিও। মাস কয়েক আগে গুজরাটের জামনগর অডনার জেটিতে নির্মাণ শ্রমিকের কাজে গিয়েছিলেন ওই পাড়ার বছর তেইশের যুবক মোহনলাল মহলদার। মাথায় রডের আঘাত লেগে ওপর থেকে সমুদ্রে পড়ে যান তিনি। সমুদ্র অবশ্য গিলে খায়নি তাঁকে। ফিরিয়ে দিয়েছিল। মোহনলালও বাড়ি ফিরেছিলেন কফিনবন্দি হয়ে। তরতাজা যুবকের অকাল মৃত্যুতে পরিবারের সে কি কান্না!

    আরও পড়ুুন: “বিজেপি বাংলায় ক্ষমতায় এলে সমস্ত ব্রিটিশ এবং মুঘল নাম মুছে দেব”, বললেন শুভেন্দু

    ইদে বাড়ি ফেরা হয়নি মুর্শিদাবাদের আরও একজনের। তিনি ইদুল হাসান। বছর বাহান্নর ইদুল জলঙ্গির ফরিদপুর এলাকার বাসিন্দা ছিলেন। কেরলের প্রেম্বাবুর থানা এলাকায় জলের পাইপ বসানোর কাজ করতে গিয়েছিলেন তিনি। ইদের দিন কয়েক আগের এক সকালে আচমকাই বুকে ব্যথা অনুভব করেন ইদুল। তিনিও ফিরেছিলেন লাশ হয়ে। ওড়িশায় কাজ করতে গিয়ে লাশ হয়ে বাড়ি ফিরেছিলেন মুর্শিদাবাদেরই সূতির ইন্দ্রনগর কলোনির বাসিন্দা রাজকুমার হালদারও। ওড়িশায় এক কন্ট্রাক্টরের অধীনে রাজমিস্ত্রির কাজে গিয়েছিলেন তিনি। পরে বাড়ি ফেরে রাজকুমারের নিথর দেহ। বেঙ্গালুরুতে কাজে গিয়ে লাশ হয়ে বাড়ি ফিরেছিলেন মালদহের হরিশ্চন্দ্রপুরের চন্দন মহালদারও। নিথর দেহে বাড়ি ফিরছিলেন মুর্শিদাবাদের ডোমকলের মহাবুল মিঞাও। কেরলের ত্রিশুরের পালাঘাট এলাকায় কাজে গিয়েছিলেন তিনি। মৃত্যু মিছিলের এই তালিকায় রয়েছে জলপাইগুড়ির সদর ব্লকের পাঁচ শ্রমিকও। সিকিমের পেলিং স্কাইওয়াক এলাকায় কাজে গিয়েছিলেন তাঁরা। এই তো ডিসেম্বরে। প্রাণে বেঁচে ফেরেননি তাঁরাও।

    একের পর এক তরতাজা যুবক (Migrant Workers) রাতারাতি আকাশের তারা হয়ে যাওয়ার পরেও টনক নড়েনি রাজ্য সরকারের। কখনও দাক্ষিণ্য বাবদ কিছু টাকা, কখনওবা কুম্ভীরাশ্রু বিসর্জন করে, কখনও আবার স্রেফ কেন্দ্রের ঘাড়ে দায় চাপিয়েই হাত ধুয়ে ফেলছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার। আর পরিবারের জলজ্যান্ত মানুষটাকে হারিয়ে চোখের জল সম্বল করে দিন কাটাতে বাধ্য হচ্ছেন নিহতদের পরিবার।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

LinkedIn
Share