Category: রাজ্য

Get West Bengal News, Bengali Breaking News, Latest News in Bengali only from মাধ্যম | Madhyom, Bengali News Portal for সম্পূর্ণ নিরপেক্ষ বাংলা সংবাদ, বাংলা খবর

  • SSC Job Protest: কামড়ের পর এবার পুলিশের চিমটি! চাকরিপ্রার্থীদের বিক্ষোভে ধুন্ধুমার কালীঘাট

    SSC Job Protest: কামড়ের পর এবার পুলিশের চিমটি! চাকরিপ্রার্থীদের বিক্ষোভে ধুন্ধুমার কালীঘাট

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রবীন্দ্র সদনের পর এবারে কালীঘাট। ধুন্ধুমার পরিস্থিতি (SSC Job Protest)। ফের চাকরিপ্রার্থীদের বিক্ষোভে (Upper Primary Job Seeker Protest) উত্তাল কলকাতার রাজপথ। উচ্চ প্রাথমিকে (Upper Primary) নিয়োগের দাবিতে কালীঘাটের (Kalighat) রাস্তায় বিক্ষোভে বসেন চাকরিপ্রার্থীরা। কিন্তু বেলা একটা বাজতেই পুলিশ এসে ফের আন্দোলনকারীদের সরিয়ে দেওয়া শুরু করে। রীতিমতো পুলিশের সঙ্গে ধস্তাধস্তি বাঁধে। এরপর প্রত্যেকবারের মত এবারেও টেনেহিঁচড়ে, চ্যাংলদোলা করে চাকরিপ্রার্থীদের প্রিজন ভ্যানে তোলা হয়।

    কালীঘাটে চাকরিপ্রার্থীদের বিক্ষোভ

    সূত্রের খবর অনুযায়ী, এদিন বেলা ১২টা নাগাদ আন্দোলনকারীরা কালীঘাট ও যতীন দাস পার্ক মেট্রো স্টেশন থেকে বেরিয়ে রাস্তায় বসে পড়েন। বিক্ষোভকারীদের মধ্যে প্রচুর সংখ্যক মহিলাও ছিলেন।  দ্রুত নিয়োগের দাবিতে একাটানা আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছেন তাঁরা। সেই রকম আজও পথে নেমেছেন আপার প্রাইমারি চাকরিপ্রার্থীরা। এরপর বিক্ষোভকারীরা রাস্তায় বসে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করলে, সেখানে পৌঁছে যায় পুলিশ। বিক্ষোভকারীদের সরে যেতে বলা হয়। তাতেই পুলিশ ও চাকরিপ্রার্থীরা হাতাহাতিতে জড়িয়ে পড়েন। শুরু হয় তুমুল ধস্তাধস্তি। পরিস্থিতি সামাল দিতে চ্যাংদোলা করে বিক্ষোভকারীদের প্রিজন ভ্যানে তোলা হয় (SSC Job Protest)।

    সূত্রের খবর অনুযায়ী, আজ চাকরিপ্রার্থীরা মূলত দেখা করতে গিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে। তবে বর্তমানে ঝাড়গ্রাম সফরে গিয়েছেন তিনি। আর প্রতিবারের মতো এইবারও পুলিশ আন্দোলনকারীদের সরিয়ে ফেলার জন্য মরিয়া হয়ে উঠেছিল। ইতিমধ্যেই অভিযোগ উঠেছে যে, এবার পুলিশ তাদের চিমটি দিয়েছে। আজকের এই বিক্ষোভ নিয়ে ফের শোরগোল পড়ে গিয়েছে পুরো শহর জুড়ে। সূত্রের খবর অনুযায়ী, আন্দোলনকারীদের দাবি, এই ধস্তাধস্তির সময় অনেকেই অসুস্থ হয়ে পড়েছেন (SSC Job Protest)।

    আন্দোলনকারীরা কী বললেন?

    এক আন্দোলনকারী বলেন, ‘আমরা দ্রুত নিয়োগ চাই। দ্রুত চাকরির আশ্বাস চাই। এতদিন পর্যন্ত আমরা পথে বসেছি। আন্দোলন করেছি। আমরা যোগ্য। তাও কেন আমরা চাকরি পাব না?’ আর এক আন্দোলনকারী বলেন, ‘দেখুন কী করছে ওরা। আমরা এই আন্দোলন চালিয়ে যাব। ন্যায্য পথে আমরা আন্দোলন করছিলাম। তখন আমাদের পথ আটকায়।’ আরও এক মহিলা বিক্ষোভকারী বলেন, ‘আমার জামা ছিঁড়ে দিয়েছে। চিমটি কেটেছে। আঁচড়ে দিয়েছে। দেখুন কী অবস্থা করেছে। আমাকে চুলের মুঠি ধরে সরিয়ে দিয়েছে। ওরা আমাদের উপর অত্যাচার করছে।’

    গত বুধবারের বিক্ষোভ

    ঠিক ৭ দিন আগে, এক্সাইড মোড়ে ২০১৪-র টেট উত্তীর্ণ চাকরিপ্রার্থীদের জমায়েত ও বিক্ষোভ ঘিরে ধুন্ধুমার বেঁধে যায়। সেদিন রক্তও ঝড়ে। আবার অরুণিমা নামের এক আন্দোলনকারীকে কামড় দেওয়ার অভিযোগও উঠেছিল এক পুলিশকর্মীর বিরুদ্ধে। আর এবারে চিমটি দেওয়ার অভিযোগ উঠে এসেছে।

  • Bangladesh Border Madrassas: সীমান্তে ‘বিপজ্জনক’ ২৩৩ মাদ্রাসার হদিশ রাজ্য গোয়েন্দা বিভাগের, নবান্ন চুপ

    Bangladesh Border Madrassas: সীমান্তে ‘বিপজ্জনক’ ২৩৩ মাদ্রাসার হদিশ রাজ্য গোয়েন্দা বিভাগের, নবান্ন চুপ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ‘জয় বাংলা’, ‘খেলা হবে’-র মতো বাংলাদেশি স্লোগান ধার করে ভোটের বাজার মাতিয়েছিল তৃণমূল কংগ্রেস। নির্বাচনে সাফল্যও এসেছিল সংখ্যালঘু তোষণের কার্ড খেলে। সেই তোষণ নীতিই এবার রাজ্য সরকারের শিরপীড়ার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।

    কী বলছে রাজ্য গোয়েন্দা রিপোর্ট?

    সম্প্রতি রাজ্য গোয়েন্দা দফতর নবান্নে একটি গোপন রিপোর্ট পাঠিয়ে জানিয়েছে, বাংলাদেশ সীমান্তঘেঁষা (Bangladesh Border) ৮টি জেলায় সীমান্তের পাঁচ কিলোমিটারের মধ্যে খারিজি মাদ্রাসার (Bangladesh Border Madrassas) সংখ্যা তরতরিয়ে বাড়ছে। তার মধ্যে ২৩৩টি মাদ্রাসাকে (Madrassa) রাজ্য স্বরাষ্ট্র দফতরটি বিপজ্জনক বলে চিহ্নিত করেছে। সীমান্তের পাঁচটি জেলার ১৫টি মাদ্রাসায় দেশ বিরোধী কাজকর্ম চলছে বলেও উল্লেখ করা হয়েছে রিপোর্টে।

    বিশদে রাজ্য গোয়েন্দা দফতর দুই ২৪ পরগনা এবং মালদহ নিয়ে বিশেষ খোঁজখবর চালাচ্ছে। এই তিনটি জেলা থেকে আরও ভয়ঙ্কর রিপোর্ট আসতে পারে বলে জানাচ্ছেন গোয়েন্দা কর্তারা। নবান্নে রিপোর্ট পাঠিয়ে করণীয় পদক্ষেপ নিয়ে জানতে চাইলেও মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata) তরফ থেকে কোনও নির্দেশ নেই। গোয়েন্দা কর্তাদের আশঙ্কা, রাষ্ট্রীয় সুরক্ষার বিচারে সীমান্তের জেলাগুলি বারুদের স্তূপের উপর বসে। এখন পদক্ষেপ না হলে পরিস্থিতি আরও গম্ভীর হয়ে যেতে পারে।

    আরও পড়ুন: পাচার সহ নানা অপরাধ রুখতে দিনে রাতে এক যোগে টহল দেবে বিএসএফ-বিজিবি!

    দেশবিরোধী কার্যকলাপের ইঙ্গিত?

    গোয়েন্দা বিভাগের রিপোর্ট অনুসারে কোচবিহার, রায়গঞ্জ, ইসলামপুর, দক্ষিণ দিনাজপুর এবং মুর্শিদাবাদ পুলিশ জেলাতেই সীমান্তের পাঁচ কিলোমিটারের মধ্যে হালফিল ২৩৩টি মাদ্রাসার (Bangladesh Border Madrassas) কাজকর্ম মোটেই সন্তোষজনক নয়। সীমান্তের প্রত্যন্ত এলাকায় নির্মিত হলেও যে পরিমাণ পেট্রো ডলার এখানে আসতে শুরু করেছে তাতে দেশবিরোধী কাজকর্ম চলার ইঙ্গিত পাওয়া যাচ্ছে। দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকেই নয়, বাংলাদেশসহ বিভিন্ন ইসলামিক দেশ থেকেও নিয়মিত মৌলানারা এখানে আসছেন। বহু সংখ্যক কমবয়সীদের এখানে ধর্মীয় এবং উগ্রচিন্তাধারার শিক্ষাও দেওয়া হচ্ছে। পড়ুয়াদের অনেকেই মাদ্রাসা থেকে উধাও হয়ে যাচ্ছে। রাজ্য গোয়েন্দাদের মতে, এই ২৩৩টি মাদ্রাসার কার্যকলাপ সন্দেহের উপরে নয়।

    এর মধ্যেই আবার নির্দিষ্টভাবে ১৫টি মাদ্রাসার (Bangladesh Border Madrassas) খবর রাজ্য গোয়েন্দাদের হাতে এসেছে। এখানে নানা স্পর্শকাতর এবং বিপজ্জনক কাজ চালানো হচ্ছে। কোচবিহারের সাহেবগঞ্জ, কালমাটি, গীতলদহ, ইসলামপুরের ঠিকরিবাড়ি, ভইসপিটা, নমুনিয়া, রায়গঞ্জের বামোইর, মালন, ভাটোলে হাট, দক্ষিণ দিনাজপুরের বেলাসথালি, হাসনগর, দীপখণ্ড, মুর্শিদাবাদের ভৌমিকপাড়া, রামনগর, দাঁইরাতুরিতে সবচেয়ে স্পর্শকাতর ১৫টি মাদ্রাসা চলছে। ঘটনাচক্রে সবগুলি মাদ্রাসার পরিচালন সমিতির সঙ্গে স্থানীয় তৃণমূল কংগ্রেসের নেতারা যুক্ত।

    রাজ্য গোয়েন্দা দফতরের বক্তব্য, সম্প্রতি কলকাতা পুলিশের এসটিএফ একজন আইএস জঙ্গিকে গ্রেফতার করেছে। সে বাংলা থেকে যুবকদের মগজধোলাই করে ইরান বা সিরিয়াতে পাঠাত। নিষিদ্ধ হয়েছে পিএফআই, যদিও রাজ্য পুলিশ কোনও পিএফআই নেতাকে গ্রেফতার করেনি। কারণ, নবান্ন অনুমতি দেয়নি। বাংলাদেশের জেএমবি জঙ্গি ধরা পড়ার আকছার ঘটে চলেছে। এ সবের পিছনে যে সীমান্তঘেঁষা মাদ্রাসাগুলির (Bangladesh Border Madrassas) যোগসূত্র থাকতে পারে বলে মনে করছেন গোয়েন্দারা।

    কী বলছে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা রিপোর্ট?

    কেন্দ্রীয় গোয়েন্দাবাহিনী অবশ্য রাজ্যের এই রিপোর্টকে বিশ্বাসযোগ্য নয় বলে মনে করছে। তাদের হাতে থাকা নথি অনুযায়ী, সীমান্তে কয়েক হাজার খারিজি মাদ্রাসা (Bangladesh Border Madrassas) গত কয়েক বছরে গজিয়ে উঠেছে। রাজ্য সরকার তা চেপে গিয়ে মাত্র ২৩৩টি মাদ্রাসার কথা জানাচ্ছে। তবে আশার আলো, গত কয়েক বছরে রাজ্য সরকার এ নিয়ে কখনও কোনও উচ্চবাচ্য করেনি। পরিস্থিতি এখন হাতের বাইরে যাওয়ায় অল্প হলেও মানতে বাধ্য হচ্ছে সরকার। এখন রিপোর্ট করার নয় ব্যবস্থা নেওয়ার সময় বলে জানাচ্ছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক।

  • SSC Scam: মধ্যশিক্ষা পর্ষদ নিজেদের হাইকোর্ট ভাবে!  তোপ বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের

    SSC Scam: মধ্যশিক্ষা পর্ষদ নিজেদের হাইকোর্ট ভাবে! তোপ বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ‘মধ্যশিক্ষা পর্ষদ নিজেদেরকে হাইকোর্ট মনে করে না কি? নিয়োগ দুর্নীতি (SSC Scam) মামলায় প্রশ্ন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের। আদালতের নির্দেশ অমান্য করায় মধ্যশিক্ষা পর্ষদকে তীব্র ভর্ৎসনা করলেন তিনি। পর্ষদের উপর ক্ষুব্ধ হয়ে পর্ষদ সভাপতি রামানুজ বন্দ্যোপাধ্যায়কে তলবও করেন বিচারপতি। যদিও পরে সেই নির্দেশ প্রত্যাহার করেন তিনি।

    কী হয়েছিল

    বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্য়ায় আগেই নির্দেশ দিয়েছিলেন যে, ২৮ অক্টোবরের মধ্যে প্রিয়াঙ্কা সাউ, নামে আদালতে আবেদনকারী এক চাকরিপ্রার্থীকে নিয়োগপত্র দিতে হবে। কিন্তু তা হয়নি। তাঁকে নিয়োগ দেওয়া হয় ১৪ নভেম্বর। মঙ্গলবার বিচারপতিকে সেকথা জানান প্রিয়াঙ্কার আইনজীবী। এর পরই মধ্যশিক্ষা পর্ষদের উদ্দেশে তীব্র ভর্ৎসনা করে বিচারপতি বলেন, কেন ২৮ অক্টোবরের মধ্যে প্রিয়াঙ্কাকে নিয়োগপত্র দেওয়া হয়নি? এদিন মধ্যশিক্ষা পর্ষদের কাছে তা জানতে চান বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্য়ায়। তিনি বলেন, ‘যদি সময়ে চাকরি না দিতে পারে, তা হলে আদালতে এসে জানানো উচিত ছিল। কেন পর্ষদ নিয়োগপত্র দেওয়ার সময়সীমা বাড়ানোর আবেদন করেনি আদালতে?’ এ প্রসঙ্গে মধ্যশিক্ষা পর্ষদ সভাপতিকে এজলাসে তলবও করেন তিনি। পরে পর্ষদের তরফে জানানো হয় যে, ২৮ অক্টোবর এসএসসি নিযোগ সুপারিশপত্রের হার্ড কপি হাতে পায় মধ্যশিক্ষা পর্ষদ। তাই ২৮ অক্টোবর প্রিয়াঙ্কা সাউকে নিয়োগপত্র দেওয়া যায়নি। একথা জানার পর মধ্যশিক্ষা পর্ষদ সভাপতির হাজিরার নির্দেশ প্রত্যাহার করে নেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়।

    আরও পড়ুন: জামিন হল না পার্থ-সুবীরেশ সহ ধৃত ৭ জনের! এসএসসি কাণ্ডে ফের জেল হেফাজতের নির্দেশ

    প্রিয়াঙ্কার অভিযোগ

    প্রিয়াঙ্কা সাউয়ের অভিযোগ ছিল, তার থেকে কম নম্বর প্রাপ্তরা নিয়োগ পেলেও তিনি পাননি। পর্ষদের দফতরে অভিযোগ জানাতে গেলে কর্ণপাত করেননি কোনও আধিকারিক। তাই হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন প্রিয়াঙ্কা। আদালতের তরফে এদিন বিচারপতি পর্ষদের কাজে উষ্মা প্রকাশ করে বলেন, ‘রাজ্যের একাধিক শিক্ষা সংক্রান্ত অফিসার জেলে। তারপরেও এই বোর্ডের দৃষ্টিভঙ্গি, আচরণ পরীক্ষার্থী বিরোধী। বোর্ডের বহু কর্তা ছাত্রবিরোধী কাজ করছেন। যা কখনওই কাম্য নয়’।

    সিটের প্রধানকে তলব

    নিয়োগ-দুর্নীতি মামলায় সিবিআইয়ের সিটের প্রধানকেও তলব করেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। আজ দুপুর ২টোয় সিটের প্রধানকে তলব করেছেন তিনি। ‘ভুয়ো নিয়োগের প্রকৃত সংখ্যা কত?’ সিবিআইয়ের কাছে জানতে চাইলেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

  • TET Scam: টেট উত্তীর্ণদের তালিকায় মমতা-অভিষেক-শুভেন্দুর নাম! কী বললেন পর্ষদ সভাপতি?

    TET Scam: টেট উত্তীর্ণদের তালিকায় মমতা-অভিষেক-শুভেন্দুর নাম! কী বললেন পর্ষদ সভাপতি?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ২০১৪-এর টেট উত্তীর্ণদের তালিকা নিয়ে উত্তাল রাজ্য-রাজনীতি (TET Scam)। টেট উত্তীর্ণদের তালিকায় রয়েছে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জির নাম থেকে শুরু করে দেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের নাম পর্যন্ত। টেট পরীক্ষা দিয়েছেন অভিষেক বন্দ্যেপাধ্যায়, পার্থ চট্টোপাধ্যায়, অর্পিতা মুখোপাধ্যায়, শুভেন্দু অধিকারী, দিলীপ ঘোষ, সুজন চক্রবর্তীও! এ কি অবাক কাণ্ড! টেট তালিকার অদ্ভুত ঘটনা প্রকাশ্যে আসতেই রীতিমতো শোরগোল পড়ে গিয়েছে। যদিও একই নামের অন্য কেউ থাকতেই পারে, তবে এভাবে হেভিওয়েট রাজনীতিবিদদের নাম চাকরিপ্রার্থী হিসেবে প্রকাশিত হওয়ায় বিষয়টি নিয়ে আলোচনা এখন তুঙ্গে।

    ২০১৪-এর টেট উত্তীর্ণদের তালিকা প্রকাশ

    উল্লেখ্য, হাইকোর্টের নির্দেশে গত ১১ নভেম্বর, প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ ২০১৪-র চাকরিপ্রার্থীদের তালিকা প্রকাশ করেছে (TET Scam)। নাম রয়েছে প্রায় এক লক্ষ ২৫ হাজার পরীক্ষার্থীর। আর এই তালিকাতেই নাম রয়েছে মমতা ব্যানার্জির। এমনকি এই বিষয়টি নিয়ে বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের দৃষ্টি আকর্ষণও করা হয়েছে।

    আরও পড়ুন: টেট চাকরিপ্রার্থীকে কামড়-কাণ্ডে অভিযুক্ত পুলিশকর্মীকে জিজ্ঞাসাবাদের সম্ভাবনা

    শুধু তাই নয়, ঘটনাচক্রে চাকরিপ্রার্থীদের সেই তালিকায় রয়েছে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়, পার্থ চট্টোপাধ্যায়, অর্পিতা মুখোপাধ্যায়, শুভেন্দু অধিকারী, দিলীপ ঘোষ, সুকান্ত মজুমদার, সুজন চক্রবর্তী এবং অমিত শাহের নাম (TET Scam)। জানা গিয়েছে, ২০১৪-এর টেট পাশ করাদের তালিকায় নাম থাকা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রাপ্ত নম্বর দেখানো হয়েছে ৯২, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রাপ্ত নম্বর ৯৮, শুভেন্দু অধিকারী পেয়েছেন ১০০, সুজন চক্রবর্তী পেয়েছেন ৯৯ নম্বর,  দিলীপ ঘোষের প্রাপ্ত নম্বর ৮৪। আর এরপরেই শোরগোল পড়ে গিয়েছে রাজ্যে। বিষয়টি কাকতালীয় নাকি কেউ ইচ্ছা করেই এই কাণ্ড ঘটিয়েছে, তা নিয়েই শুরু জোর চর্চা। বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলেও জানিয়েছেন প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের সভাপতি গৌতম পাল।

    পর্ষদ সভাপতি কী বললেন?

    প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের ওয়েবসাইট হ্যাক করা হয়েছে বলে আশঙ্কা করেছেন সভাপতি গৌতম পাল (TET Scam)। তিনি বলেন, “কেউ হয়ত নিজেদের তৈরি করা তালিকা ঢুকিয়ে দিয়েছে।”  তিনি আরও জানিয়েছেন, টেট পরীক্ষার্থীদের নাম কোনওভাবে হুবহু মিলেও যেতে পারে। তবে এই বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন গৌতম পাল। ফলে এই অবাক কাণ্ড নিয়ে এমনই মন্তব্য করেছেন পর্ষদ সভাপতি গৌতম পাল।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

  • Dengue: ডেঙ্গি নিয়ে সঠিক তথ্য দিচ্ছে না পশ্চিমবঙ্গ, কলকাতায় বিস্ফোরক কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী

    Dengue: ডেঙ্গি নিয়ে সঠিক তথ্য দিচ্ছে না পশ্চিমবঙ্গ, কলকাতায় বিস্ফোরক কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজ্যে লাফিয়ে বাড়ছে ডেঙ্গি (Dengue) সংক্রমণ। মৃত্যুর সংখ্যাও উদ্বেগজনক। এই নিয়ে ক্রমাগত বিরোধীরা আক্রমণ করছে রাজ্য সরকারকে। রাজ্যের বিরুদ্ধে ডেঙ্গি নিয়ে তথ্য-গোপনের অভিযোগও করেছেন বিরোধীরা। এবার বিরোধীদের সেই অভিযোগের পক্ষেই কথা বললেন কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী। তাঁর অভিযোগ, বারবার কেন্দ্র তথ্য চাইলেও রাজ্যের তরফে তা মিলছে না। 

    কী অভিযোগ কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর? 

    কলকাতায় নাইসেডের অনুষ্ঠানে এসে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী ভারতী প্রবীণ পাওয়ার অভিযোগ করে বলেন, “ডেঙ্গি নিয়ে কেন্দ্রকে সঠিক দিচ্ছে না রাজ্য। বারবার বলা সত্ত্বেও কেন্দ্রের থেকে তথ্য গোপন করছে রাজ্য। দ্রুত ডেঙ্গি আক্রান্তর পরিসংখ্যান সামনে আনা প্রয়োজন। ডেঙ্গি মোকাবিলায় রাজ্যকে টাকা দেয় কেন্দ্র। সব রাজ্য তথ্য দিলেও বাংলা দেয় না। বিভিন্ন সময়ে ডেঙ্গি নিয়ে রাজ্যকে সাহায্য করে কেন্দ্র। কিন্তু সঠিক তথ্য না দিলে পশ্চিমবঙ্গকে সাহায্য করা সম্ভব নয়। বৃহস্পতিবার পর্যন্ত পশ্চিমবঙ্গের তরফে ডেঙ্গি সংক্রান্ত কোনও তথ্য কেন্দ্রকে দেওয়া হয়নি।”

    আরও পড়ুন: উত্তর-পূর্বের রাজ্যগুলির জন্যে ১.৬ লক্ষ কোটি টাকার প্রকল্পের ঘোষণা কেন্দ্রের 

    কেন্দ্রীয়মন্ত্রীর এই অভিযোগের উত্তরে রাজ্যের মন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায় বলেন, “কেন্দ্রকে ডেঙ্গি-তথ্য জানাতে বাধ্য নয় রাজ্য।”

    প্রসঙ্গত, জাতীয় ভেক্টর কন্ট্রোল প্রোগ্রামের ওয়েবসাইটে গত মে মাসে শেষ ডেঙ্গি সংক্রান্ত তথ্য পাঠিয়েছিল রাজ্যে। তবে তারপরে রাজ্যে ডেঙ্গি আক্রান্তের সংখ্যা ৫০,০০০ – এরও গণ্ডি ছাড়িয়েছে। কিন্তু কেন্দ্রকে আর কোনও তথ্য পাঠায়নি রাজ্য। যদিও এই অভিযোগ অস্বীকার করে রাজ্যের স্বাস্থ্য অধিকর্তা সিদ্ধান্ত নিয়োগী বলেন, “অনেক মাস অবধি তথ্য পাঠানো হয়েছে। হয়তো কিছু জায়গায় তথ্য ওঠেনি। অনেক সময় তথ্য পাঠানোর পরেও দেরি করে আপডেট করা হয়।”    

    অন্যদিকে ডেঙ্গি নিয়ে কলকাতার বোরোগুলিতে বিক্ষোভ করার পরিকল্পনা নিয়েছে বিজেপি। এ নিয়ে একটি বৈঠকও করবে রাজ্য বিজেপি। মূলত বোরো ভিত্তিক বিক্ষোভ চালাবে বিজেপি। ডেঙ্গি মোকাবিলায় ব্যর্থ পশ্চিমবঙ্গ সরকার, মূলত এই অভিযোগেই বিক্ষোভ। 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

     

     

  • Weather Update: আগামী সপ্তাহেই পারদ পতন! শীতের প্রবেশ রাজ্যে

    Weather Update: আগামী সপ্তাহেই পারদ পতন! শীতের প্রবেশ রাজ্যে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রবিবার থেকেই ঠান্ডা পড়ছে কলকাতা-সহ সারা রাজ্যে। পূর্বাভাস আলিপুর হাওয়া অফিসের। হাওয়া অফিস সূত্রে খবর, আগামী চার–পাঁচ দিনের মধ্যে পারদ নামতে পারে প্রায় ২–৩ ডিগ্রি। পশ্চিমের জেলাগুলিতে বাড়বে শীতের দাপট। যেমন শুক্রবারের তুলনায় শনিবার কলকাতার তাপমাত্রা প্রায় ১ ডিগ্রি কমেছে। শনিবার কলকাতায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা কমে হয়েছে ২০ ডিগ্রি।

    আরও পড়ুন: পদ্মের অপমান মানে হিন্দু সংস্কৃতির অসম্মান! জি-২০ লোগো বিতর্কে বিজেপি

    রাজ্যে তাপমাত্রার পতন

    হাওয়া অফিস জানিয়েছে, নভেম্বর মাসের মাঝামাঝি হয়ে গেলেও পশ্চিমী ঝঞ্ঝার কারণেই উত্তুরে হাওয়া প্রবেশ করতে পারছিল না বাংলায়। কিন্তু পশ্চিমের ঝঞ্ঝা সরে যাওয়ায় পশ্চিমবঙ্গে উত্তরের হাওয়া বইতে শুরু করল বলে। ফলে দুই বঙ্গেই নামতে থাকবে তাপমাত্রা। জানিয়েছে হাওয়া অফিস। এদিকে, শনিবার উত্তরবঙ্গের দার্জিলিং, কালিম্পং, আলিপুরদুয়ার সহ একাধিক জেলায় বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে। সিকিমে রয়েছে তুষারপাতের সম্ভাবনা। আবহাওয়া দফতর সূত্রে খবর,আজ শনিবার থেকেই রাজ্যে পারদ পতনের শুরু। রবিবার থেকে কলকাতাবাসীও শীতের আমেজ অনুভব করতে পারবে। রবিবার, ছুটির দিন আলমারি থেকে গরম জামা কাপড় বের করার পরিকল্পনা করেছেন অনেকে। হালকা চাদর, অথবা স্টাইলিস্ট সোয়েট-শার্টও বের করে নিন। শীতের পরশ গায়ে মেখে সপ্তাহান্তে ঘুরে আসতেঁ পারেন কোনও বিনোদন পার্ক, চিড়িয়াখানা বা বিড়লা প্ল্যানেটোরিয়াম বা জাদুঘরে। 

    আরও পড়ুন: ফিল্ম টিজারে কেরলের সাথে ইসলামিক সন্ত্রাসবাদের সূত্র জুড়ে দেওয়ায় চলচ্চিত্র নির্মাতার বিরুদ্ধে এফআইআর কেরল পুলিশের

    রাজ্যে শীতের আমেজ

    বিহার ও ঝাড়খণ্ড লাগোয়া পশ্চিমের জেলাগুলিতে দ্রুত নামবে পারদ। আগামী ২৪ ঘণ্টায় হালকা বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে দার্জিলিং এবং কালিম্পংয়ে। কলকাতায়ও নামবে পারদ। আগামী সপ্তাহে ২০ ডিগ্রির নিচেই থাকবে কলকাতার তাপমাত্রাও। মাঝে দু-একদিন ১৮ ডিগ্রি সেলসিয়াসের আশেপাশেও নেমে যেতে পারে কলকাতার তাপমাত্রা। সকালে ও সন্ধ্যায় শীতের আমেজ থাকবে কলকাতায়। তবে বেলা বাড়লে তাপমাত্রা বাড়বে। সকালের দিকে হালকা কুয়াশায় ঢাকা থাকবে রাস্তা-ঘাট। 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Dear Lottery: রহস্যের পর্দা ফাঁস করতে ডিয়ার লটারির ২ কর্তাকে দিল্লিতে তলব ইডির  

    Dear Lottery: রহস্যের পর্দা ফাঁস করতে ডিয়ার লটারির ২ কর্তাকে দিল্লিতে তলব ইডির  

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ডিয়ার লটারি(Dear Lottery)-কাণ্ডের শেকড় খুঁজতে কোমর কষে নামল ইডি (ED)। এবার দিল্লিতে (Delhi) ইডির অফিসে তলব করা হয়েছে ডিয়ার লটারি সংস্থার দুই শীর্ষ কর্তাকে। আগামী সপ্তাহেই কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার মুখোমুখি হতে বলা হয়েছে ডিয়ার লটারি সংস্থার আধিকারিকদের। এবারই প্রথম ওই লটারি সংস্থার কর্তাদের দিল্লিতে তলব করেছে ইডি। তবে আগেই একবার ওই লটারি সংস্থার ডিরেক্টরকে গ্রেফতার করা হয়েছিল। অবশ্য ইডি নয়, গ্রেফতার করেছিল কলকাতা পুলিশ। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সূত্রে খবর, ডিয়ার লটারি সংস্থার তরফে নির্বাচনী বন্ড ১৫০ কোটি টাকা জমা দেওয়া হয়েছিল। সে ব্যাপারে বিশদ জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আগামী সপ্তাহে দিল্লিতে ইডি দফতরে হাজির হতে বলা হয়েছে ডিয়ার লটারির কর্ণধার ও এক ডিরেক্টরকে।

    লটারি জিতেছিলেন অনুব্রত

    বছরখানেক আগে ডিয়ার লটারিতে (Dear Lottery) টিকিট কেটে এক কোটি টাকা জিতেছিলেন তৃণমূলের (TMC) বীরভূম জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল। বীরভূমের যে দোকান থেকে ওই লটারির টিকিট বিক্রি করা হয়েছিল, সেই লটারির দোকানের মালিককে তলব করেছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সিবিআই। কেবল অনুব্রত (Anubrata Mondal) নন, ডিয়ার লটারির প্রথম পুরস্কার জিতেছেন জোড়াসাঁকোর বিধায়ক তৃণমূলের বিবেক গুপ্তর স্ত্রী রুচিরাও। তার পরেই ডিয়ার লটারি নিয়ে তোপ দেগেছিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা বিজেপির শুভেন্দু অধিকারী। ট্যুইট-বাণে তিনি বিঁধেছিলেন তৃণমূল নেতৃত্বকে। তিনি লিখেছিলেন, আমি অনেক দিন ধরেই বলছি এই ডিয়ার লটারি আসলে হচ্ছে ভাইপো লটারি। টাকা তছরুপের একটা বন্দোবস্ত। তিনি লিখেছিলেন, টিকিট কাটছে সাধারণ মানুষ আর বাম্পার প্রাইজ জিতছে তৃণমূলের লোকজন। প্রথমে অনুব্রত মণ্ডল।

    আরও পড়ুন: জেলে গিয়ে অনুব্রতকে জেরা করতে পারবে ইডি, অনুমতি আদালতের

    এবার রুচিরা গুপ্ত। এই প্রথম নয়, এর আগেও একাধিকবার ডিয়ার লটারি নিয়ে সরব হয়েছেন শুভেন্দু। তাঁর অভিযোগ, রাজ্য লটারি তুলে দিয়ে এই ডিয়ার লটারির মাধ্যমে আসলে ব্যবস্থা করা হয়েছে শাসকদলের কোষাগার ভরার। অনুব্রতর জেলার এক তৃণমূল নেতার ভাইয়ের স্ত্রীও ডিয়ার লটারিতে কোটি টাকা পেয়েছেন। কেন্দ্রীয় সংস্থার তদন্তকারীদের অনুমান, গরু পাচার বা কালো টাকা সাদা করতেই লটারি ইস্যু করা হয়ে থাকতে পারে।

    প্রসঙ্গত, অনুব্রত সংক্রান্ত মামলার তদন্তে লটারি সংক্রান্ত বেশ কিছু তথ্য খতিয়ে দেখছেন কেন্দ্রীয় আধিকারিকরা। অনুব্রত ও তাঁর কন্যা সুকন্যার সম্পত্তির সঙ্গে লটারির যোগ রয়েছে বলে অনুমান। ওই লটারি অনুব্রত কিংবা তাঁর পরিবারের কেউ কেটেছিলেন কিনা, সেই সব দিক খতিয়ে দেখছেন তদন্তকারীরা। ডিয়ার লটারি (Dear Lottery) সংস্থার দুই আধিকারিককে জেরা করে এই রহস্যের পর্দা ফাঁস করতে চাইছেন ইডির আধিকারিকরা।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Anubrata Mondal: জেলে গিয়ে অনুব্রতকে জেরা করতে পারবে ইডি, অনুমতি আদালতের

    Anubrata Mondal: জেলে গিয়ে অনুব্রতকে জেরা করতে পারবে ইডি, অনুমতি আদালতের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গরু পাচার মামলায় সিবিআইয়ের হাতে গ্রেফতার হয়েছিলেন বীরভূমের জেলা তৃণমূল সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল (Anubrata Mondal)। গত তিন মাস ধরে তিনি জেলে রয়েছেন। এবার তাঁকে জেলে গিয়ে জেরা করতে পারবে আর এক কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ED)। শুক্রবার ইডি-কে জেরা করার অনুমতি দিল আসানসোল সিবিআই আদালতের বিচারক রাজেশ চক্রবর্তী।

    ইডিকে অনুমতি

    গরু পাচার মামলায় একযোগে তদন্ত করছে ইডি ও সিবিআই। ইতিমধ্যেই দিল্লিতে ইডি দফতরে অনুব্রতর (Anubrata Mondal) মেয়ে সুকন্যা মণ্ডল সহ একাধিক ঘনিষ্ঠ ব্যক্তিকে তলব করে দফায় দফায় জিজ্ঞাসাবাদ করেছে ইডি। সেই তালিকায় রয়েছেন, অনুব্রত মণ্ডলের প্রাক্তন পরিচারক তথা বোলপুরের কাউন্সিলর বিশ্বজ্যোতি বন্দ্যোপাধ্যায়, রয়েছেন মলয় পিট, ব্যবসায়ী রাজীব ভট্টাচার্য। এবার সরাসরি অনুব্রতকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে চায় ইডি। শুক্রবার আসানসোল আদালতে ইডি আবেদন করে জানায়, আগামী ১৭ নভেম্বর অনুব্রতকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে চায় তারা। ইডির আবেদন মঞ্জুর করে আসানসোলের বিশেষ সিবিআই আদালতের বিচারক বলেন, ‘‘যে কোনও দিন সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত ইডির তদন্তকারী অফিসাররা আদালতে গিয়ে অনুব্রতকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে পারবেন।’’ইডির আইনজীবী অভিজিৎকুমার ভদ্র বলেন, ‘‘অনুব্রতকে জিজ্ঞাসাবাদের ব্যাপারে ইডি অনুমতি পেয়েছে। এর আগে অনুব্রতের কন্যা সুকন্যা মণ্ডল এবং হিসাবরক্ষক মণীশ কোঠারিকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে ইডি। তাঁদের বিবৃতি রেকর্ড করা হয়েছে। এর ভিত্তিতে ইডি মনে করেছে অনুব্রতকে জেলে গিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের প্রয়োজন রয়েছে। সেই অনুযায়ী আমরা আদালতে আবেদন করেছিলাম।’’

    আরও পড়ুন: জেলেই অনুব্রত! গরু পাচার মামলায় জামিনের আর্জি খারিজ, পরবর্তী শুনানি ২৫ নভেম্বর

    অনুব্রতকে দিল্লি নিয়ে যাওয়ার আর্জি

    গরু পাচার মামলায় তদন্তের জন্য অনুব্রতের (Anubrata Mondal)প্রাক্তন দেহরক্ষী সায়গল হোসেনকে ইতিমধ্যেই দিল্লিতে নিয়ে গিয়েছে ইডি। বর্তমানে সায়গল রয়েছেন তিহার জেলে। এই মামলার আরও এক অভিযুক্ত এনামুল হকও তিহার জেলে রয়েছেন। তাই অনুব্রতকেও দিল্লি নিয়ে যাওয়ার আবেদন জানাতে পারে ইডি, এমন অনুমান করা হয়েছিল। তবে ইডি সূত্রে খবর, আপাতত তাঁকে আসানসোলের জেলে গিয়েই জেরা করা হবে। এখনই দিল্লি নিয়ে যাওয়ার কথা ভাবা হচ্ছে না। এখানে তিনি জিজ্ঞাসাবাদে সহযোগিতা না করলে বা প্রয়োজন পড়লে অনুব্রতকে দিল্লি নিয়ে যাওয়ার কথা ভাবা হবে।

     

  • Anubrata Mondal: জেলেই অনুব্রত! গরু পাচার মামলায় জামিনের আর্জি খারিজ, পরবর্তী শুনানি ২৫ নভেম্বর

    Anubrata Mondal: জেলেই অনুব্রত! গরু পাচার মামলায় জামিনের আর্জি খারিজ, পরবর্তী শুনানি ২৫ নভেম্বর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: জেলেই থাকতে হবে তৃণমূলের বীরভূম জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলকে (Anubrata Mondal)। গরু পাচার মামলায় শুক্রবার তাঁকে আসানসোল আদালতে তোলা হয়। এদিনও তাঁর জামিনের আবেদন খারিজ করে দেন বিচারক। তাঁকে আগামী ২৫ নভেম্বর পর্যন্ত জেল হেফাজতের (Judicial Custody) নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

    আদালতে অনুব্রত

    দীর্ঘদিন পর আজ অনুব্রতকে আদালতে পেশ করা হয়। তিনি জামিন পাবেন কি পাবেন না,তা নিয়ে আলোচনা চলছিল। অবশেষে ফের প্রভাবালী তত্ত্বেই তাঁর জামিনের আর্জি খারিজ হয়ে যায়। এদিন আসানসোল আদালত চত্বরে অনুব্রতকে হাসিখুশিই দেখায়। 

    আরও পড়ুন: নেতার পরিচারক থেকে কাউন্সিলর, অনুব্রত-ঘনিষ্ঠ বিশ্বজ্যোতিকে দিল্লিতে তলব ইডির

    সিবিআইয়ের আইনজীবীর দাবি

    এদিন অনুব্রতের আইনজীবী তাঁর জামিনের আবেদন করেন। তার বিরোধিতা করেন সিবিআইয়ের আইনজীবী কালীচরণ মিশ্র। তিনি বলেন, অনুব্রত এতটাই প্রভাবশালী যে তাঁকে মুক্তি দেওয়া হলে তিনি সাক্ষীদের হুমকি দেবেন, যা তদন্তকে প্রভাবিত করবে। তথ্যপ্রমাণও নষ্ট করা হতে পারে। এই প্রেক্ষিতে কালীচরণ রাজ্যের মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিমের কথা উল্লেখ করেন। সম্প্রতি বীরভূমে গিয়ে ফিরহাদ দাবি করেছিলেন, অনুব্রত বাঘ। তাঁকে কত দিন খাঁচায় বন্দি করে রাখবে! আইনজীবী এই প্রসঙ্গ তুলে বলেন, ‘‘বুঝতেই পারছেন, অনুব্রত কতটা প্রভাবশালী একজন ব্যক্তি যে, রাজ্যের মন্ত্রী পর্যন্ত তাঁকে বাঘ হিসেবে অভিহিত করছেন। তিনি বেরিয়ে এলে সাক্ষীদের হুমকি দেবেন।’’ইতিমধ্যেই সাক্ষীদের ভয় দেখানো হচ্ছে বলে অভিযোগ করেন সিবিআইয়ের আইনজীবী।

    আরও পড়ুন: অনুব্রত জেলে, তাই রক্ষাকবচ গুরুত্বহীন! ভোট-পরবর্তী হিংসা মামলায় শীর্ষ আদালত

    ইতিমধ্যেই সাক্ষীদের ভয় দেখানো হচ্ছে বলে অভিযোগ করেন সিবিআইয়ের আইনজীবী। এছাড়াও সিবিআই জানায়, কোটি কোটি টাকা রয়েছে অনুব্রতের নামে। বেআইনি সম্পত্তিও রয়েছে তাঁর। যদিও অনুব্রতের আইনজীবী সঞ্জয় দাশগুপ্তর দাবি, এর তদন্ত তো করবে ইডি। তাহলে সিবিআই জামিনের বিরোধিতা করছে কেন? তিনি জানান, গরু পাচার-কাণ্ডে অভিযুক্তদের জামিন হয়ে গিয়েছে। অথচ, ৯২ দিন ধরে জেলে রয়েছেন অনুব্রত। তাঁর সওয়াল, ‘‘যে কোনও শর্তে অনুব্রতকে জামিন দেওয়া হোক।’’ 

    দু’পক্ষের সওয়াল-জবাব শেষে শুনানির পর কিছুক্ষণ রায়দান স্থগিত রাখেন বিচারক। অবশেষে বেলা বাড়লে অনুব্রতের জামিনের আবেদন খারিজ করে দেয় আদালত। তাঁকে ১৪ দিনের জেল হেফাজতে পাঠানো হয়। পরবর্তী শুনানি ২৫ নভেম্বর।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • TMC Inner Clash: তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বে ব্যাপক বোমাবাজি, হাত-পা উড়ল যুবকের, জখম নাবালকও

    TMC Inner Clash: তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বে ব্যাপক বোমাবাজি, হাত-পা উড়ল যুবকের, জখম নাবালকও

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বারুদের স্তূপে বীরভূম (Birbhum)! ফের একবার প্রকাশ্যে এল তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব (TMC Inner Clash)। আবারও ঘটল বোমাবাজির ঘটনা। ওই ঘটনায় এক নাবালক সহ জখম হয়েছেন দুজন। এলাকা দখলের জেরে এই ঘটনা, বলছেন স্থানীয়রাই। ঘটনায় গ্রেফতার করা হয়েছে ১২জনকে। উদ্ধার হয়েছে ৩০টি তাজা বোমা। এলাকায় পুলিশ পিকেট। ভয়ে পুরুষ শূন্য গোটা গ্রাম। বীরভূমের সাঁইথিয়ার ওই ঘটনায় আতঙ্ক গোটা এলাকায়।

    বিবাদের কারণ…

    স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, এলাকার রাশ কার হাতে থাকবে, তা নিয়ে তৃণমূলের দুই গোষ্ঠীর বিবাদ দীর্ঘদিনের পুরানো। সোমবার বিকেলে আচমকাই প্রকাশ্যে চলে আসে তৃণমূলের সাঁইথিয়া ব্লক সভাপতি সাবের আলি ও ব্লক কার্যকরী সভাপতি তুষার মণ্ডলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব (TMC Inner Clash)। ঘটনাস্থল সাঁইথিয়ার ফুলুর পঞ্চায়েতের বহরাপুর গ্রাম। কোনও একটি কারণে এদিন দু পক্ষের বিবাদ চরমে ওঠে। প্রথমে শুরু হয় কথা কাটাকাটি। পরে বাঁধে সংঘর্ষ। ঘটনার জেরে এলাকায় শুরু হয় ব্যাপক বোমাবাজি। মুড়ি-মুড়কির মতো বোমা পড়তে থাকে। বোমার ঘায়ে জখম হন সাদ্দাম নামে এক যুবক। তাঁর ডান হাত এবং ডান পা উড়ে গিয়েছে বলে সূত্রের খবর। তড়িঘড়ি তাঁকে নিয়ে যাওয়া হয় সাঁইথিয়া প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে। গুরুতর জখম অবস্থায় সাদ্দাম বলেন, আমার কাকাকে আটকে রেখেছিল তুষার মণ্ডলের লোকজন। ওরাই আমাকে বোমা মেরেছে।

    তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের (TMC Inner Clash) জেরে যে বোমাবাজির ঘটনা ঘটেছে, তাতে জখম হয়েছে মুজাফফর হোসেন নামে এক নাবালকও। তার সারা গায়ে বোমার আঘাতের ক্ষত। তাকেও প্রথমে নিয়ে যাওয়া হয় স্থানীয় স্বাস্থ্যকেন্দ্রে। পরে দুজনকেই সিউড়ি সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। অবস্থার অবনতি হওয়ায় কর্তব্যরত চিকিৎসক তাঁদের বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে রেফার করেন।

    আরও পড়ুন: ‘‘পুলিশ কামড়ালে কি ভ্যাকসিন নিতে হবে?’’, পশ্চিম মেদিনীপুরের সভায় সুকান্ত

    পুলিশ সূত্রে খবর, এদিন যাদের গ্রেফতার করা হয়েছে, তারা সবাই তৃণমূল (TMC) কর্মী। এলাকায় রয়েছে চাপা উত্তেজনা। অশান্তি এড়াতে এলাকায় চলছে পুলিশি টহলদারি। রয়েছে পুলিশ পিকেটও। ভয়ে গ্রাম ছেড়েছেন পুরুষরা। ফের অশান্তির আশঙ্কায় বাচ্চাদের হাত ধরে গ্রাম ছাড়ছেন মহিলারাও। মঙ্গলবার সকালেও অকুস্থলে গিয়ে দেখা গিয়েছে শুকনো রক্তের দাগ। পড়ে রয়েছে খালি বালতি। এই বালতি করেই বোমা নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল বলে অভিযোগ। ঘটনা প্রসঙ্গে বিজেপির (BJP) জেলা সভাপতি ধ্রুব সাহা বলেন, কাটমানি সহ একাধিক বিষয় নিয়ে তৃণমূলের এই গন্ডগোল নতুন নয়। প্রায়ই হয়। আগামীতে আরও বাড়বে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

     
     

     

     

LinkedIn
Share