Category: রাজ্য

Get West Bengal News, Bengali Breaking News, Latest News in Bengali only from মাধ্যম | Madhyom, Bengali News Portal for সম্পূর্ণ নিরপেক্ষ বাংলা সংবাদ, বাংলা খবর

  • Suvendu Adhikari: ‘‘অপেক্ষা করুন, ছবি আসছে, সব সামনে আসবে!’’ শুভেন্দুর নিশানায় কে?

    Suvendu Adhikari: ‘‘অপেক্ষা করুন, ছবি আসছে, সব সামনে আসবে!’’ শুভেন্দুর নিশানায় কে?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সারদা-তদন্ত পুরনো হয়নি। অপেক্ষা করুন ছবিটা সামনে আসবে। নাম না করে ফের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং তাঁর সরকারের বিরুদ্ধে তোপ দাগলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। একের পর এক দুর্নীতি নিয়ে সরব হলেন বিজেপি নেতা। সারদার ছবি বিক্রির টাকা নিয়ে প্রশ্নও তুললেন শুভেন্দু অধিকারী।

    সারদা প্রসঙ্গে শুভেন্দু

    রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু সম্পর্কে তৃণমূলের মন্ত্রী অখিল গিরির মন্তব্য, নিয়োগ কেলেঙ্কারি ও পাচার কাণ্ডের বিরুদ্ধে রাজ্য বিজেপির মহিলা মোর্চার ডাকে সোমবার কলেজ স্কোয়ার থেকে মিছিল হয়। পরে ধর্মতলার ওয়াই চ্যানেলের সভায় শুভেন্দু বলেন,সারদা মামলা ও ছবি বিক্রির প্রসঙ্গ তোলেন। তিনি বলেন, “এই তো সবে সকাল। ছবি কেনাটা তো আসছে। সুদীপ্ত সেন, গৌতম কুণ্ডুরা কার ছবি কিনেছিলেন? লিওনার্দো দ্যা ভিঞ্চির? ভেবেছিলেন সারদা পুরনো হয়ে গিয়েছে। অপেক্ষা করুন। ছবি আসছে। সব সামনে আসবে।” ফের তথ্য ফাঁসের হুঁশিয়ারিও দেন শুভেন্দু। পাশাপাশি এদিন চাকরিপ্রার্থীদের হয়েও সুর চড়ান তিনি। ক্ষমতায় আসার পর মুখ্যমন্ত্রীকে বারবার বলতে শোনা গিয়েছিল, ”ছবি বিক্রির টাকায় আমি দল চালাব।” কিন্তু মুখ্যমন্ত্রীর আঁকা ছবির মূল্য নিয়ে প্রশ্ন তোলেন চিত্রকলা বিশেষজ্ঞরা। এবার তাই নিয়ে তৃণমূল শিবিরকে আক্রমণ করেন শুভেন্দু।  তিনি বলেন, ”সারদাকাণ্ড নিয়ে ফের এগোবে ইডি। সারদাকাণ্ডে অন্যতম অভিযুক্ত রজত মজুমদারের ২টি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট ফ্রিজ করেছেন গোয়েন্দারা। শুক্রবারও গভীর রাত পর্যন্ত জেরা করা হয়েছে তাঁকে।”

    আরও পড়ুন: রাজ্যে সরকারের পতন আসন্ন! ফের ডিসেম্বর ডেডলাইনের হুঁশিয়ারি শুভেন্দুর

    সারদা-মন্তব্যে সমালোচনা

    মা সারদা ও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিয়ে চলতি বছরের জুনে উলুবেড়িয়া উত্তরের তৃণমূল বিধায়ক চিকিৎসক নির্মল মাঝি-র মন্তব্য ঘিরে তোলপাড় হয় রাজ্য রাজনীতি। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে মা সারদার কথা টেনে বিতর্ক বাঁধিয়েছিলেন তৃণমূল বিধায়ক। তারই প্রেক্ষিতে নির্মলের নাম না করে কড়া সমালোচনা করেছিল রামকৃষ্ণ মঠ ও মিশন কর্তৃপক্ষ। কেন সারদা মায়ের সঙ্গে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের তুলনা? ব্যাখ্যা চেয়েছিল মিশন কর্তৃপক্ষ। এ নিয়ে সোমবার নির্মল মাঝিকেও আক্রমণ করেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। তিনি বলেন, ‘তোলামূলের সংস্কৃতি কী? বলছে মা সারদা নাকি জন্মেছেন কালীঘাটে (Kalighat)’? মহুয়া মৈত্রকে আলট্রা মডার্ন-অতিশিক্ষিত তৃণমূলের জনপ্রিয় সাংসদ হিসেবে ব্যাখ্যা করে, তাঁর সাম্প্রতিক বিতর্কিত কালী মন্তব্যের কথাও তুলে ধরেন বিরোধী দলনেতা। শুভেন্দু বলেন, “এই কথা যদি উত্তর প্রদেশে বা রাজস্থানে বলতেন, দোকানে আলকাতরা থাকত না। আজ এদের বিরুদ্ধে লড়তে হবে।”

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Facebook এবং Twitter পেজ। 

  • Baruipur: বারুইপুর হত্যাকাণ্ডে দিল্লির-শ্রদ্ধা খুনের ছায়া! বাবার দেহ টুকরো করল ছেলে

    Baruipur: বারুইপুর হত্যাকাণ্ডে দিল্লির-শ্রদ্ধা খুনের ছায়া! বাবার দেহ টুকরো করল ছেলে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বারুইপুরে (Baruipur) হত্যাকাণ্ডে দিল্লিতে শ্রদ্ধা-খুনের ছায়া। পুলিশ সূত্রে খবর, দিল্লির (Delhi) শ্রদ্ধা-হত্যার ঘটনা দেখেই খুন করে প্রাক্তন নৌসেনা কর্মী উজ্জ্বল চক্রবর্তীর দেহ টুকরো করে প্রমাণ লোপাটের ছক কষে  তাঁর স্ত্রী ও ছেলে। 

    দেহ টুকরো করে লোপাটের চেষ্টা

    পুলিশের দাবি, বারুইপুরের প্রাক্তন নৌসেনাকর্মী উজ্জ্বল চক্রবর্তীকে খুন করেছেন তাঁর ছেলে ও স্ত্রী। তারপর মাকে সঙ্গে নিয়েই শৌচাগারে বাবার দেহ টুকরো করে ছেলে। করাত দিয়ে ৬ টুকরো করা হয় দেহ। তিনবারে সরানো হয় প্রাক্তন নৌসেনা কর্মীর দেহাংশ। প্রথমবার মাকে নিয়ে সাইকেলে চাপিয়ে দেহাংশ পুকুরে ফেলে আসে ছেলে। পরে আরও দু’বার একাই সাইকেলে দেহাংশ নিয়ে ফেলে আসে ছেলে জয়।

    আরও পড়ুন: ১০০ দিনের কাজে দুর্নীতি হয়েছে দাবি শুভেন্দু অধিকারীর, হাইকোর্টে দায়ের জনস্বার্থ মামলা

    গার্হস্থ্য হিংসার জের

    পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে, নৌসেনা থেকে অবসরের পর সারাক্ষণ নেশা করতেন উজ্জ্বল। তাঁর ছেলে জয় চক্রবর্তী পলিটেকনিক নিয়ে পড়াশোনা করে। ১৪ নভেম্বর সন্ধ্যায় কোর্স ফি দেওয়া নিয়ে বাবার সঙ্গে বিবাদ বাধে ছেলের। এর জেরে ছেলের গায়ে হাত তোলে বাবা। বাবাকেও ধাক্কা দেয় জয়। মাটিতে পড়ে যান উজ্জ্বল। স্ত্রী শ্যামলীর গায়েও হাত তোলেন উজ্জ্বল। তাঁকে আটকাতে গিয়ে তাঁর গলা টিপে ধরে ছেলে। তাঁকে শ্বাসরোধ করে খুন করে জয়। জেরায় জয় জানিয়েছে, সে বুঝতে পারেনি বাবা মারা যাবেন। কিন্তু পরে যখন বুঝতে পারে তখন ভয় পেয়ে প্রমাণ লোপাটের চেষ্টা করে। ঘটনার সময় সামনেই ছিলেন উজ্জ্বলবাবুর স্ত্রী শ্যামলী। বারুইপুর পুলিশের এসপি বলেন, “ডোমেস্টিক ভায়োলেন্স ও নেশা করা যে সমাজের জন্য কতটা ক্ষতিকর, এই ঘটনা তারই প্রমাণ।”

    আরও পড়ুন: প্রাথমিকে ৩২৫ জনের নিয়োগ করতে টাকা নিয়েছিলেন মানিক! ইডির হাতে নতুন তথ্য

    কীভাবে মিলল দেহ

    গত ১৭ নভেম্বর বারুইপুর –মল্লিকপুর সড়কের পাশে মদনমাল্য গ্রামের পুকুর থেকে উদ্ধার হয় উজ্জ্বলবাবুর দেহ। দেহের হাত পা ছিল কাটা। দেহটি গোসাপ খাচ্ছিল। তাই দেখে পুলিশে খবর দেন স্থানীয়রা। শ্যামলীদেবী দেহ সনাক্ত করেন। তিনি জানান ১৪ নভেম্বর সন্ধ্যায় নেশা করতে বেরিয়ে গিয়েছিলেন তাঁর স্বামী। কিন্তু গোয়েন্দারা জানতে পারেন যে সময়ের কথা শ্যামলীদেবী বলছেন, তখন বাড়ি থেকে বেরোতে দেখা যায়নি উজ্জ্বলবাবুকে। এর পরই মা ও ছেলেকে লাগাতার জেরা শুরু করেন গোয়েন্দারা। জেরায় ঘটনার কথা স্বীকার করে জয়।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Facebook এবং Twitter পেজ। 

  • CV Anand Bose: আগামী বুধবার শপথ নেবেন নতুন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস

    CV Anand Bose: আগামী বুধবার শপথ নেবেন নতুন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আগামী বুধবার ২৩ নভেম্বর শপথ নেবেন নতুন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস (CV Anand Bose)। সেদিনই আনুষ্ঠানিকভাবে বাংলায় সাংবিধানিক সর্বোচ্চ পদের দায়িত্ব নেবেন তিনি। জানা গিয়েছে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নতুন রাজ্যপালকে শপথ গ্রহণের জন্যে ২১ নভেম্বর বা ২৩ নভেম্বর এই দুটি দিনের মধ্যে একটি দিন বেছে নেওয়ার প্রস্তাব দিয়েছিলেন। সিভি আনন্দ ২৩ নভেম্বর দিনটি বেছে নেওয়ায়, সেই দিনটিকে শপথ গ্রহণের জন্যে চূড়ান্ত করা হয়েছে। 

    আরও পড়ুন: সোমনাথ মন্দিরে পুজো দিয়ে গুজরাটে প্রচার শুরু মোদির

    শপথ গ্রহণের অনুষ্ঠানের যাবতীয় প্রস্তুতি ইতিমধ্যেই শুরু করে দিয়েছে রাজ্য সরকার। শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকবেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও। আগামী মঙ্গলবারই কলকাতায় নামবেন সি ভি আনন্দ বোস। শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠান মিটে গেলেই তিনি রওনা দেবেন দিল্লির উদ্দেশ্যে। সেখানে রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু এবং প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে দেখা করে সৌজন্য বিনিময় করার পরিকল্পনা রয়েছে তাঁর।  

    কে এই সিভি আনন্দ বোস? 

    ১৯৫১ সালে ২ জানুয়ারি কেরলের কোট্টায়ামে জন্মগ্রহণ করেন সিভি আনন্দ বোস। ১৯৭৭ সালে আইএএস হিসেবে যোগদান করেন তিনি। ১৯৮৫ সালে কোল্লামের কালেক্টর থাকার সময় নির্মিতি কেন্দ্র গঠন করেন। এই প্রকল্পে কম টাকায় পরিবেশ বান্ধব বাড়ি তৈরি করে দেওয়া হয় জনগণকে। এই ভাবনা থেকে অনুপ্রেরণা পেয়েই দেশের সকলকে পাকা বাড়ি দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন নরেন্দ্র মোদি। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি সরকারের ‘ম্যান অফ আইডিয়া’ হিসাবে পরিচিত তিনি। সরকারের বহু উন্নয়নমূলক প্রকল্পে কাজে লাগানো হয়েছে আনন্দের ভাবনা। ১৯৮৬ সালে এই আমলাই জেলা পর্যটন উন্নয়ন পরিষদ গঠন করেন। দীর্ঘ দিন ধরেই বিভিন্ন প্রশাসনিক পদের দায়িত্ব সামলেছেন তিনি। কেরলের মুখ্যমন্ত্রীর সচিব হিসাবেও কাজ করেছেন আনন্দ।   

    এ ছাড়াও কেরল সরকারের বিভিন্ন দফতরের প্রধান সচিবের দায়িত্ব পালন করেছেন। ইউরোপিয়ান কাউন্সিল ফর নিউক্লিয়ার রিসার্চ, জেনেভা এবং ইন্টারন্যাশনাল ফিউশন এনার্জি অর্গানাইজেশন ও ফ্রান্সে ভারতের হয়ে  প্রতিনিধিত্ব করেছেন। এছাড়াও অ্যাটমিক এনার্জি এডুকেশন সোসাইটির চেয়ারম্যান ছিলেন সিভি আনন্দ বোস। জাতিসংঘে তাঁর উদ্যোগ চারবার ‘গ্লোবাল বেস্ট প্র্যাকটিস’ হিসেবে মনোনীত হয়েছে। ভারত সরকার তাঁকে জাতীয় বাসস্থান পুরস্কারে ভূষিত করে।  তিনি ‘শ্রী পদ্মনাভস্বামী’ মন্দিরের কোষাগার সংক্রান্ত সুপ্রিম কোর্ট নিযুক্ত কমিটিরও প্রধান ছিলেন। 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।       

     

       

  • Suvendu Adhikari: ‘কয়লা পাচারের হাজার কোটি টাকা গিয়েছে…’, কাকে নিশানা করলেন শুভেন্দু?

    Suvendu Adhikari: ‘কয়লা পাচারের হাজার কোটি টাকা গিয়েছে…’, কাকে নিশানা করলেন শুভেন্দু?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কয়লা পাচারকাণ্ড নিয়ে বিস্ফোরক দাবি রাজ্যের বিরোধী দলনেতা বিজেপির (BJP) শুভেন্দু অধিকারীর (Suvendu Adhikari)। তাঁর অভিযোগ, কয়লা পাচারের হাজার কোটি টাকা গিয়েছে প্রভাবশালী রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বের কাছে। তবে কার কাছে সে টাকা গিয়েছে, তাঁর নাম নিলেন না রাজ্যের বিরোধী দলনেতা। তাঁর নিশানায় কে, তাও খোলসা করলেন না নন্দীগ্রামের (Nandigram) বিধায়ক।

    ইডি এবং সিবিআই…

    কয়লাপাচারকাণ্ডের মূল পৌঁছতে তদন্ত করছে ইডি এবং সিবিআই। তৃণমূল নেতা অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে এনিয়ে জেরাও করেছে তারা। অভিযান চালানো হয়েছে তৃণমূলের হেভিওয়েট মন্ত্রী মলয় ঘটকের বাড়িতে। কেন্দ্রীয় সংস্থা সিবিআই জিজ্ঞাসাবাদ করেছে ক্যানিং পূর্বের বিধায়ক তৃণমূলের সওকত মোল্লাকেও। এঁদের প্রত্যেকেরই দাবি, কয়লা পাচারের সঙ্গে এঁদের কোনও যোগ নেই। কেবল রাজনৈতিক স্বার্থ চরিতার্থ করতে একাজ করছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। এহেন আবহে বিস্ফোরক দাবি রাজ্যের বিরোধী দলনেতার।

    শুক্রবার ইডির দেওয়া চার্জশিটের প্রিন্ট আউট বলে দাবি করা কিছু কাগজ দেখিয়ে শুভেন্দু (Suvendu Adhikari) বলেন, কয়লা দুর্নীতির সঙ্গে একটা বড় চক্র যুক্ত। তাতে রাজনৈতিক প্রভাবশালীও যুক্ত রয়েছে। আয়কর হানায় ২ হাজার ৪০০ কোটি টাকার যে দু্র্নীতির হদিশ মিলেছে, তার মধ্যে এক হাজার কোটি টাকা গিয়েছে এক রাজনৈতিক প্রভাবশালীর কাছে। যিনি পুলিশ ও প্রশাসনকে নিয়ন্ত্রণ করেন।

    আরও পড়ুন: ‘শান্তিকুঞ্জে’র সামনে ‘অশান্তি’ তৃণমূলের, সিবিআই চেয়ে আদালতের দ্বারস্থ শুভেন্দু

    স্ব-বক্তব্যের দাবির সমর্থনে শুভেন্দু  (Suvendu Adhikari) এই মামলায় অন্যতম অভিযুক্ত গুরুপদ মাজিকে দেওয়া ইডির দুশো পাতার চার্জশিরের কয়েকটি পাতার নম্বর উল্লেখ করে বলেন, এই চার্জশিটের কপি এখন জনসমক্ষে রয়েছে। আপনারা একটু কষ্ট করে দেখে নিন। রাজ্যের বিরোধী দলনেতা বলেন, কয়লা দুর্নীতির সঙ্গে একটা বড় চক্র যুক্ত রয়েছে। তাতে যুক্ত রয়েছে রাজনৈতিক প্রভাবশালী লোকেরা। ১২ ডিসেম্বর মামলা সুপ্রিম কোর্টে নির্দিষ্ট হয়েছে। তাই আমি ডিটেলস তথ্য প্রমাণ আপনাদের কাছে বলছি না। তিনি বলেন, এই মামলার মূল লাভবান, হাজার কোটি টাকা গেছে, তাঁর লিপস অ্যান্ড বাউন্ডস কোম্পানিতে গেছে। মামলা সুপ্রিম কোর্টে আছে ১২ ডিসেম্বর। এদিন তৃণমূলের জেলবন্দি নেতা অনুব্রত মণ্ডল এবং পার্থ চট্টোপাধ্যায়কেও একহাত নেন শুভেন্দু (Suvendu Adhikari)। বলেন, যাঁরা লুঠেরাদের সমর্থন করেন, তাদের কাছ থেকে আমরা শিখব না।

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

     

     

  • SSC Scam: বাতিল হওয়া প্রার্থীদের শূন্যপদে নিয়োগের আবেদন প্রত্যাহার কমিশনের, কেন জানেন?

    SSC Scam: বাতিল হওয়া প্রার্থীদের শূন্যপদে নিয়োগের আবেদন প্রত্যাহার কমিশনের, কেন জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: স্কুল সার্ভিস কমিশন ভেঙে দেওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছিল কলকাতা হাইকোর্ট (Calcutta High Court)। সেই হুমকিতে কাজও হল। রাতারাতি ভোল বদলে স্কুল সার্ভিস কমিশন (SSC) জানিয়ে দিল, বেআইনিভাবে যাঁরা বিভিন্ন স্কুলে (School) নিয়োগ হয়েছিলেন, তাঁদের কখনওই শূন্য পদে নিয়োগ করা যাবে না। স্কুল সার্ভিস কমিশনের (SSC Scam) এই ইউ-টার্নে আদালতেরই জয় দেখছেন রাজ্যবাসী।

    অতিরিক্ত শূন্য পদে নিয়োগের মামলায়…

    বৃহস্পতিবারই অতিরিক্ত শূন্য পদে নিয়োগের মামলায় এসএসসি কর্তৃপক্ষকে তীব্র ভর্ৎসনা করেছিল কলকাতা হাইকোর্ট। আদালতের নির্দেশ মেনে বঞ্চিত চাকরি প্রার্থীদের জন্য অতিরিক্ত শূন্যপদ তৈরির কথা জানিয়েছিল রাজ্য সরকার। চলতি বছরের ১৯ মে এ সংক্রান্ত একটি বিজ্ঞপ্তিও জারি করা হয়। কমিশনের বক্তব্য ছিল, অবৈধভাবে যাঁরা চাকরি পেয়েছেন এবং যাঁদের চাকরি বাতিল হয়েছে, তাঁদের নিয়োগ করার জন্যই এই শূন্যপদ। এর জেরেই বিচারপতির রোষের মুখে পড়ে কমিশন। বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসু মন্তব্য করেছিলেন, যদি এই অতিরিক্ত শূন্য পদ তৈরির বিষয়ে রাজ্য সরকার ও এসএসসির অবস্থান যদি ভিন্ন হয়, তাহলে কমিশন ভেঙে দেওয়া হোক। এমন কী এ বিষয়ে রাজ্য সরকার কমিশনের বিরুদ্ধে কী পদক্ষেপ করছে, তা শুক্রবারের মধ্যে আদালতকে জানাতে হবে রাজ্যকে।

    রাজ্যের উদ্দেশে বিচারপতির প্রশ্ন, তাহলে কি সরকারের নিয়ন্ত্রণে নেই কমিশন? রাজ্য ও কমিশনের বক্তব্য ও অবস্থান আলাদা হওয়ায় রাজ্য কী পদক্ষেপ করছে, তা শুক্রবার সকাল সাড়ে ১০টায় আদালতকে জানানোর নির্দেশ দিয়েছিলেন বিচারপতি বসু। সেই মতো এদিন কমিশন জানিয়ে দিল, বাতিল হওয়া প্রার্থীদের অতিরিক্ত শূন্যপদে নিয়োগের আবেদন প্রত্যাহার করা হল।

    আরও পড়ুন: জামিন হল না পার্থ-সুবীরেশ সহ ধৃত ৭ জনের! এসএসসি কাণ্ডে ফের জেল হেফাজতের নির্দেশ

    প্রসঙ্গত, স্কুল সার্ভিস কমিশন নিয়োগ মামলা চলছে কলকাতা হাইকোর্টে। সেখানে বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের এজলাসে আদালতের নির্দেশে যাঁদের চাকরি গিয়েছে, তাঁদের পরিবারের কথা ভেবে ওই পদে পুনর্বহালের অগ্রাধিকারের আবেদন করেছিল এসএসসি। সেখানে তিরস্কৃত হয় কমিশন। পরে বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসু বলেন, যাঁদের চাকরি গিয়েছে, পরিবারের কথা ভেবে তাঁদের জন্য অন্য কাজের ব্যবস্থা করা হোক। তবে শিক্ষক হিসেবে কখনওই নয়। কারণ তাহলে বঞ্চিত হবে শিক্ষার্থীরা।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • WB Governor: বাংলার নতুন রাজ্যপাল হলেন সি ভি আনন্দ বোস

    WB Governor: বাংলার নতুন রাজ্যপাল হলেন সি ভি আনন্দ বোস

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পশ্চিমবঙ্গের রাজ্যপাল হলেন সিভি আনন্দ বোস (CV Anand Bose)। বৃহস্পতিবার রাষ্ট্রপতি ভবনের তরফে একটি বিবৃতি জারি করে বলা হয়েছে, “পশ্চিমবঙ্গের স্থায়ী রাজ্যপাল হিসেবে ডক্টর সিভি আনন্দ বোসকে নিয়োগ করা হচ্ছে।” তবে এখনও আনুষ্ঠানিকভাবে রাজ্যপাল পদে যোগ দেননি তিনি। আনন্দ বোস রাজ্যপালের পদ গ্রহণ করলেই, অস্থায়ী রাজ্যপাল হিসেবে মণিপুরের রাজ্যপাল লা গণেশনের মেয়াদ শেষ হবে।     

     



     

    কে এই সিভি আনন্দ বোস? 

    ১৯৫১ সালে ২ জানুয়ারি কেরলের কোট্টায়ামে জন্মগ্রহণ করেন সিভি আনন্দ বোস। ১৯৭৭ সালে আইএএস হিসেবে যোগদান করেন তিনি। ১৯৮৫ সালে কোল্লামের কালেক্টর থাকার সময় নির্মিতি কেন্দ্র গড়েন তিনি। এই প্রকল্পে কম টাকায় পরিবেশ বান্ধব বাড়ি তৈরি করে দেওয়া হয় জনগণকে। এই ভাবনা থেকে অনুপ্রেরণা পেয়েই দেশের সকলকে পাকা বাড়ি দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন নরেন্দ্র মোদি। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ‘ম্যান অফ আইডিয়া’ হিসাবে পরিচিত তিনি। সরকারের বহু উন্নয়নমূলক প্রকল্পে কাজে লাগানো হয়েছে আনন্দের ভাবনা। ১৯৮৬ সালে এই আমলাই জেলা পর্যটন উন্নয়ন পরিষদ গঠন করেন। দীর্ঘ দিন ধরেই বিভিন্ন প্রশাসনিক পদের দায়িত্ব সামলেছেন তিনি। কেরলের মুখ্যমন্ত্রীর সচিব হিসাবেও কাজ করেছেন আনন্দ। এ ছাড়াও কেরল সরকারের বিভিন্ন দফতরের প্রধান সচিবের দায়িত্ব পালন করেছেন। ইউরোপিয়ান কাউন্সিল ফর নিউক্লিয়ার রিসার্চ, জেনেভা এবং ইন্টারন্যাশনাল ফিউশন এনার্জি অর্গানাইজেশন ও ফ্রান্সে ভারতের প্রতিনিধিত্ব করেছেন। এছাড়াও অ্যাটমিক এনার্জি এডুকেশন সোসাইটির চেয়ারম্যান ছিলেন সিভি আনন্দ বোস। জাতিসংঘে তাঁর উদ্যোগ চারবার ‘গ্লোবাল বেস্ট প্র্যাকটিস’ হিসেবে মনোনীত হয়েছে। ভারত সরকার তাঁকে জাতীয় বাসস্থান পুরস্কারে ভূষিত করে।  তিনি ‘শ্রী পদ্মনাভস্বামী’ মন্দিরের কোষাগার সংক্রান্ত সুপ্রিম কোর্ট নিযুক্ত কমিটিরও প্রধান ছিলেন। 

    আরও পড়ুন: সিবিআই- এর পর এবার অনুব্রতকে হেফাজতে নিল ইডি       

    সরকারি আমলা থেকে রাজনীতি, বিশ্ববিদ্যায়ের শিক্ষকতা থেকে সরকারের উপদেষ্টা, বার বার নিজেকে ভেঙে গড়েছেন সিভি আনন্দ বোস। ইংরাজি, হিন্দি, মালয়ালি একাধিক ভাষার সাহিত্যে তাঁর অবদান রয়েছে। 

    কেরল বিশ্ববিদ্যালয়ের মেধাবী ছাত্র ছিলেন আনন্দ বোস। নিজের শিক্ষাজীবনে ১৫টি স্বর্ণ পদক পেয়েছেন তিনি। সুবক্তা হিসাবেও খ্যাতি রয়েছে তাঁর। বিশ্ববিদ্যালয়ে থাকাকালীন পর পর তিন বছর সেরা ব্যক্তির স্বীকৃতি পেয়েছিলেন তিনি। মুসৌরির লালবাহাদুর শাস্ত্রী আইএএস ট্রেনিং অ্যাকাডেমিতেও বিতর্ক সভায় প্রথম হয়েছিলেন আনন্দ।    

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।       

     

     

            

     
  • SSC Scam: সিটের দায়িত্ব নিচ্ছেন না অখিলেশ সিং, আদালতে জানাল সিবিআই

    SSC Scam: সিটের দায়িত্ব নিচ্ছেন না অখিলেশ সিং, আদালতে জানাল সিবিআই

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পদোন্নতি হয়েছে অখিলেশ সিংয়ের (Akhlesh Singh)। দিল্লি থেকে আসামে বদলি হয়েছেন তিনি। গত ১৫ নভেম্বর তাঁর বদলিতে অনুমোদন দিয়েছে সংশ্লিষ্ট দফতর। তাই স্কুলে নিয়োগ দুর্নীতির (SSC Scam) তদন্তে আসতে পারবেন না সিবিআইয়ের (CBI) প্রাক্তন ডিআইজি। বৃহস্পতিবার আদালতে একথা জানিয়ে দিলেন সিবিআইয়ের আইনজীবী। প্রসঙ্গত, বুধবারই সিবিআইয়ের প্রাক্তন ডিআইজি অখিলেশ সিংহকে বিশেষ তদন্তকারী দলের (SIT) মাথায় বসানোর নির্দেশ দিয়েছিলেন কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court) বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় (Justice Abhijit Gangopadhya)।

    সিবিআইয়ের আইনজীবী আদালতকে জানান…

    যেহেতু অখিলেশ আসতে পারছেন না, তাই সিবিআইয়ের আইনজীবী আদালতকে জানান, ডিআইজি পদমর্যাদার দক্ষ এক অফিসার রয়েছেন। তাঁকে নিয়ে এসে বসানো যেতে পারে সিটের মাথায়। এর প্রেক্ষিতে বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, একজন নয়, ডিআইজি পদমর্যাদার তিনজন অফিসারের নাম দিন। সেখান থেকে একজনকে বেছে নেবে আদালত। বিচারপতি জানান, শুক্রবার এই বিষয়ে শুনানি হবে। আগের দিনই এসএসসি নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডে সিবিআই তদন্ত নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করেছিলেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়। এদিন সিটেও পরিবর্তন করেছিলেন তিনি। নতুন করে ‘সিট’-এ নিয়োগ করা হয়েছে অংশুমান সাহা (ডেপুটি এসপি), বিশ্বনাথ চক্রবর্তী (ইন্সপেক্টর), প্রদীপ ত্রিপাঠি (ইন্সপেক্টর), ওয়াসিম আকরাম খান (ইন্সপেক্টর)। ২ অফিসারকে বাদ দিয়েছেন তিনি। এঁরা হলেন কে সি ঋষিনামল ও ইমরান আশিক। আদালতের নির্দেশ, এঁরা কোনওভাবেই এই সংক্রান্ত তদন্ত করতে পারবেন না। প্রসঙ্গত, নবম-দশম শ্রেণির নিয়োগ দুর্নীতি (SSC Scam) মামলায় সিবিআই তদন্তকারী অফিসার কেসি ঋষিনামল। অন্যদিকে, একাদশ-দ্বাদশ শ্রেণির শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় সিবিআই তদন্তকারী অফিসার ইমরান আশিক। এঁরা সম্পর্কে স্বামী-স্ত্রী।

    আরও পড়ুন: গ্রুপ-ডি মামলায় সিবিআই তদন্তে অখুশি হাইকোর্ট, সিট পুনর্গঠন বিচারপতির

    এরই পাশাপাশি, সিবিআইয়ের প্রাক্তন ডিআইজি অখিলেশ সিং-কে ‘সিট’-এর প্রধান করা হয়েছে। আদালতের তরফে জানানো হয়েছে, নিয়োগ তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত তিনি এই তদন্ত থেকে সরে যেতে পারবেন না। অন্য কোনও মামলায় তাঁকে যুক্তও করতে পারবে না সিবিআই। আদালতের অনুমতি ছাড়া বদলিও করা যাবে না। ৭ দিনের মধ্যে দায়িত্ব নেওয়ার কথা ছিল অখিলেশের। তার মধ্যেই বদলি হয়ে যাওয়ায় এদিন সিবিআই জানিয়ে দিল, অখিলেশ আসতে পারবেন না।

    সিবিআই সূত্রে খবর, সিবিআইয়ের প্রাক্তন ডিআইজি অখিলেশ সিং ২০২১ সালের ১৭ মে নারদকাণ্ডে মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম, মদন মিত্র, সুব্রত মুখোপাধ্যায় (প্রয়াত) এবং শোভন চট্টোপাধ্যায়কে বাড়ি থেকে নিয়ে এসে গ্রেফতার করেছিলেন। বগটুইকাণ্ড, ভাদু শেখ খুন, হাঁসখালিতে গণধর্ষণ, ঝালদা সহ একাধিক মামলার তদন্তও করেছেন তিনি। কয়লা পাচারকাণ্ড থেকে গরু পাচারের মতো গুরুত্বপূর্ণ মামলার তদন্তও করেছিলেন অখিলেশ।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

     

     

  • Akhil Giri: রাষ্ট্রপতির বিরুদ্ধে বিতর্কিত মন্তব্য! অখিল গিরিকে হলফনামা জমা দিতে বলল কলকাতা হাইকোর্ট

    Akhil Giri: রাষ্ট্রপতির বিরুদ্ধে বিতর্কিত মন্তব্য! অখিল গিরিকে হলফনামা জমা দিতে বলল কলকাতা হাইকোর্ট

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দেশের রাষ্ট্রপতি সম্পর্কে কুরুচিকর মন্তব্য কেন করলেন অখিল গিরি(Akhil Giri)? তা জানাতে হবে হলফনামায়, বলল কলকাতা হাইকোর্ট (Calcutta High Court)। গত সপ্তাহে দেশের রাষ্ট্রপতি সম্পর্কে বিতর্কিত মন্তব্য করার পর রাজ্যের কারা দফতরের স্বাধীন দায়িত্ব প্রাপ্ত মন্ত্রী অখিল গিরির বিরুদ্ধে একাধিক মামলা হয়েছে কলকাতা হাইকোর্টে।  সেই মামলার শুনানিতে এদিন রাজ্য সরকারের কাছে রিপোর্ট তলব করল প্রধান বিচারপতির বেঞ্চ।

    আরও পড়ুন: ‘‘তৃণমূলকে সমর্থন করা বাংলাদেশিদের নামই ভোটার লিস্টে রাখুন’’, বিতর্কে বিধায়ক

    হাইকোর্টের বক্তব্য

    রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুর বাহ্যিক রূপ নিয়ে যে মন্তব্য অখিল করেছেন,তার বিরুদ্ধে বিজেপির পক্ষ থেকে আইনজীবী সুস্মিতা সাহা দত্ত একটি মামলা করেন। শুক্রবার ছিল সেই মামলার শুনানি। বৃহস্পতিবার প্রধান বিচারপতি প্রকাশ শ্রীবাস্তব ও বিচারপতি রাজর্ষি ভরদ্বাজের ডিভিশন বেঞ্চ নির্দেশ দেন, কেন এমন মন্তব্য? তা হলফনামার আকারে জমা দিতে হবে। আগামী দু’সপ্তাহের মধ্যে রাজ্যকে এই রিপোর্ট জমা দেওয়ার কথা বলা হয়েছে। অখিল গিরির বিরুদ্ধে আদৌ কোনও পদক্ষেপ রাজ্য নিয়েছে কিনা তা রিপোর্ট আকারে জানাতে হবে। পাশাপাশি, এই মন্তব্য নিয়ে পুলিশের অনুসন্ধান রিপোর্ট জমা দিতে হবে আদালতে। এই মামলা থেকে মুখ্যমন্ত্রীর নাম বাদ দেওয়ার আবেদন জানিয়েছেন অখিলের আইনজীবী। আদালত লিখিত আবেদনের অনুমতি দিয়েছে। আগামী ১২ ডিসেম্বর এই মামলার পরবর্তী শুনানি রয়েছে।

    আরও পড়ুন: অভিষেকই ‘কয়লা ভাইপো’? মেনে নিচ্ছে তৃণমূল?

    পুলিশের কাছেও রিপোর্ট তলব

    উল্লেখ্য, পূর্ব মেদিনীপুরের নন্দীগ্রামে এক প্রকাশ্য সভায় রাষ্ট্রপতিকে নিয়ে কুরুচিকর মন্তব্য করায় অখিল গিরির নামে রাজ্যের একাধিক থানায় অভিযোগ দায়ের হয়েছে। এমনকী রাজধানী দিল্লিতেও অখিল গিরির নামে অভিযোগ দায়ের করেছেন বিজেপি নেত্রী লকেট চট্টোপাধ্যায়। রাজ্যে যেসব অভিযোগ দায়ের হয়েছে রাজ্য পুলিশ সেই সব অভিযোগের প্রেক্ষিতে কী কী তদন্ত করেছে তার রিপোর্ট আদালতে পেশ করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

  • Manik Bhattacharya: নিখোঁজ জেলবন্দি মানিকের স্ত্রী-পুত্র! তিনটি বাড়িতেই তালা, বন্ধ মোবাইল ফোনও

    Manik Bhattacharya: নিখোঁজ জেলবন্দি মানিকের স্ত্রী-পুত্র! তিনটি বাড়িতেই তালা, বন্ধ মোবাইল ফোনও

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: একসময় প্রাথমিক টেট দুর্নীতির মামলায় অভিযুক্ত মানিক ভট্টাচার্যের (Manik Bhattacharya) নিখোঁজ হওয়া নিয়ে শোরগোল পড়ে গিয়েছিল গোটা রাজ্য জুড়ে। আর এবারে নিখোঁজ মানিকের স্ত্রী-পুত্র! এমনটাই দাবি ইডির। ইডি সূত্রে খবর, তাঁদের যাদবপুরের দু’টি বাড়িতে তালা। নাকাশিপাড়ার বাড়িতেও মা-ছেলের কোনও খোঁজ নেই। জেলে যাওয়ার আগে হঠাৎ উধাও হয়েছিলেন মানিক, তবে পরে তিনি জানিয়েছিলেন যে, তিনি কলকাতাতেই আছেন। কিন্তু এবারে স্ত্রী-পুত্রের খবর এখনও পাওয়া যায়নি। এমনকি স্ত্রী–পুত্রের মোবাইল ফোনেও পাওয়া যাচ্ছে না। তবে কোথায় গেলেন মা-ছেলে?

    আরও পড়ুন: প্রাথমিকে ৩২৫ জনের নিয়োগ করতে টাকা নিয়েছিলেন মানিক! ইডির হাতে নতুন তথ্য

    মানিকের স্ত্রী-পুত্রকে হন্যে হয়ে খুঁজছে ইডি

    প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের অপসারিত সভাপতি তথা তৃণমূলের বিধায়ক মানিক (Manik Bhattacharya) বর্তমানে জেলে রয়েছে। তাঁর বিষয়ে সব খুঁটিনাটি ও আরও তথ্য বিশদে জানতে মানিকের স্ত্রী শতরূপা ও ছেলে সৌভিককে খুঁজছে ইডির আধিকারিকরা। এছাড়াও তাঁর নামে যে ব্যাংক অ্যাকাউন্টের হদিশ পাওয়া গিয়েছে ও তাতে যে টাকা রয়েছে সেই টাকার উৎস কী, এসব বিষয়ে জিজ্ঞাসা করতেই তাঁদের তলব করা হয়েছিল। কিন্তু তাঁরা কোনও মতেই ইডির মুখোমুখি হচ্ছেন না। ইডি সূত্রে খবর, সৌভিককে তলব করা হলেও তা বারবার এড়িয়ে যাচ্ছেন ও তদন্তেও সহযোগিতা করছেন না। এরপর যখন ইডির আধিকারিকরা তাঁদের ফ্ল্যাট ও বাড়িতে গিয়ে পৌঁছেছেন, তখন দেখেছেন যে, দুই জায়গাতেই তালা মারা। তদন্তকারী অফিসার জানিয়েছেন যে, মানিক পুত্রের পাশাপাশি স্ত্রী শতরূপাও তদন্তে সহযোগিতা করছেন না।

    একাধিক ব্যাংক অ্যাকাউন্টের হদিশ

    এর আগেই মানিকের (Manik Bhattacharya) ছেলে সৌভিকের ২টি ব্যাংক অ্যাকাউন্টের একটিতে ২ কোটি ৬৪ লক্ষ এবং অন্যটিতে ২ কোটি ৪৭ লক্ষ টাকা পাওয়া গিয়েছে। এই বিপুল পরিমাণ টাকার বিষয়ে সৌভিককে জিজ্ঞাসাবাদ করতে চান তদন্তকারীরা। আবার মানিক ভট্টাচার্যের স্ত্রী শতরূপা দেবীর ব্যাংক অ্যাকাউন্টেও তিন কোটি টাকার হদিশ মিলেছে। এখানেই শেষ নয়, মানিকবাবুর মেয়ে, জামাই এবং মেয়ের শ্বশুরের ব্যাংক অ্যাকাউন্টেরও খোঁজ-খবর নেওয়া হচ্ছে। কারণ ইডি দাবি করেছে যে, এই বিধায়কের পরিবারের সদস্য–আত্মীয়দের সঙ্গে যৌথ ব্যাংক অ্যাকাউন্টে কোটি কোটি টাকার লেনদেন হয়েছে। আর এইসব কারণেই সৌভিক ও শতরূপাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা  অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। সূত্রের খবর অনুযায়ী, এই পরিস্থিতিতে ইডি আইনি পদক্ষেপ নিতে চাইছে ও তাঁদের পলাতক বলে জানিয়ে গ্রেফতার করার জন্য আদালতে পরোয়ানা জারি করার আবেদন করতে চাইছে ইডি।

  • Suvendu Adhikari: বিধানসভার সচিবের নিয়োগ ইচ্ছে করে করছে না রাজ্য সরকার, দাবি শুভেন্দু অধিকারীর

    Suvendu Adhikari: বিধানসভার সচিবের নিয়োগ ইচ্ছে করে করছে না রাজ্য সরকার, দাবি শুভেন্দু অধিকারীর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিধানসভায় প্রথমবার ঘটল এমন ঘটনা। আর যে ঘটনা নিয়ে রাজ্য সরকারকে তীব্র কটাক্ষ করলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। তবে কী এমন ঘটল? জানা গিয়েছে, রাজ্য বিধানসভার এক অনুষ্ঠানে এই প্রথম কোনও বিরোধী দলনেতাকে আমন্ত্রণ জানানো হয়নি। মঙ্গলবার রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে ক্ষোভ প্রকাশ করে এমনটাই দাবি করলেন শুভেন্দু অধিকারী। এর পাশাপাশি তিনি আজ রাজ্য সরকারের প্রতি ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন বিধানসভা সচিবের নিয়োগ নিয়েও। তিনি অভিযোগ করেছেন, বিধানসভার সচিবের নিয়োগে বাধা দিচ্ছে রাজ্য সরকার।

    বিধানসভা সচিব নিয়োগের দাবিতে সরব হলেন শুভেন্দু

    আজ রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari) সাংবাদিক বৈঠক করে ফের রাজ্য সরকারকে একহাত নিলেন। আগেও একাধিক বিষয়ে শাসকদলের বিভিন্ন দুর্নীতির বিরুদ্ধে সরব হয়েছেন তিনি। আর এবার তিনি অভিযোগ করেছেন যে, বিধানসভা সচিব পদে স্থায়ী নিয়োগ করছে না রাজ্য সরকার। এই অভিযোগ তুলে হাইকোর্টের হস্তক্ষেপ চাইলেন শুভেন্দু। তাঁর দাবি বিরোধীদের কণ্ঠ রুদ্ধ করতে এমন করছে রাজ্য সরকার।

    তিনি সাংবাদিক বৈঠকে জানিয়েছেন, রাজ্য বিধানসভার সচিব পদে নিয়োগ করে হাইকোর্ট। সেই পদে ২ মাস আগে ভাস্কর ভট্টাচার্যের নাম সুপারিশ করেছেন কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি প্রকাশ শ্রীবাস্তর। কিন্তু আজও ভাস্করবাবুকে নিয়োগ দেয়নি রাজ্য। তিনি আরও বলেন, বিধানসভায় কোনও পক্ষপাতিত্ব হলেই বিরোধীরা অভিযোগ জানাতে পারে সচিবের কাছে। কিন্তু এই সচিবের পদেই নিয়োগ করা হচ্ছে না। তাই তিনি জানিয়েছেন যে, তিনি প্রধান বিচারপতির কাছে এই বিষয়ে দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য আবেদন করবেন (Suvendu Adhikari)।

    বিধানসভার অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণ জানানো হয়নি বিরোধী দলনেতাকে…

    আবার আজ তিনি বিধানসভার অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণ না পাওয়ার জন্য তাঁর ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন (Suvendu Adhikari)। বিধানসভার চত্বরে আগামী শুক্রবার একটি নতুন ভবনের উদ্বোধন হওয়ার কথা রয়েছে। সেটি উদ্বোধন করবেন খোদ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বিধানসভার ওই নতুন ভবনে থাকবে মিউজিয়াম ও লাইব্রেরি। ভবনটির নাম মিলেনিয়াম বিল্ডিং। শুক্রবার দুপুর দেড়টা নাগাদ ওই উদ্বোধনী অনুষ্ঠান রয়েছে। আর এই উদ্বোধনী অনুষ্ঠানেই ডাকা হয়নি রাজ্যের বিরোধী দলনেতাকে। রাজ্য বিধানসভার সব অনুষ্ঠানেই কার্ডে বিরোধী দলনেতার নাম থাকার রীতি রয়েছে, তবে এবারে এই তৃণমূল সরকার সেই রীতি লঙ্ঘন করায় ক্ষোভ উগরে দিলেন তিনি। তিনি দাবি করেন, বিধানসভায় এই ঘটনা প্রথমবার ঘটল।

    অনুষ্ঠানের আমন্ত্রণ পত্রে যে শুভেন্দুর (Suvendu Adhikari) নাম নেই, সেই বিষয়ে প্রথমে জানায় বিজেপি পরিষদীয় দলের সদস্যরা। প্রথমত তাঁরাই দাবি করেন, ওই অনুষ্ঠানের আমন্ত্রণপত্রে নাম নেই শুভেন্দুর। তারপর এই বিষয়ে শুভেন্দুকে জানানো হলে তিনি সাংবাদিকদের এই কথা বলেন। আবার এদিন বিজেপি বিধায়করা জানিয়েছেন, আমন্ত্রণপত্রে শুভেন্দুর নাম না থাকায় ওই অনুষ্ঠানে যোগ দেবেন না তাঁদের দাবি, রীতি অনুযায়ী বিধানসভার কোনও অনুষ্ঠানের আমন্ত্রণপত্রে নাম থাকার কথা মুখ্যমন্ত্রী, স্পিকার, ডেপুটি স্পিকার, পরিষদীয় মন্ত্রী ও বিরোধী দলনেতার। এ ক্ষেত্রে আমন্ত্রণপত্রে শুধু মাত্র নাম রয়েছে মুখ্যমন্ত্রী ও স্পিকারের।

LinkedIn
Share