Category: রাজ্য

Get West Bengal News, Bengali Breaking News, Latest News in Bengali only from মাধ্যম | Madhyom, Bengali News Portal for সম্পূর্ণ নিরপেক্ষ বাংলা সংবাদ, বাংলা খবর

  • Suvendu Adhikari: “প্রকল্পের নামে প্রহসন”, দুয়ারে সরকার শুরুর ঠিক আগেই রাজ্য সরকারকে কটাক্ষ শুভেন্দুর

    Suvendu Adhikari: “প্রকল্পের নামে প্রহসন”, দুয়ারে সরকার শুরুর ঠিক আগেই রাজ্য সরকারকে কটাক্ষ শুভেন্দুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ১লা নভেম্বর থেকে শুরু হচ্ছে দুয়ারে সরকার শিবির (Duare Sarkar Camp)। তার আগেই এই প্রকল্প নিয়ে রাজ্য সরকারকে এক হাত নিলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। এক প্রেস বিবৃতিতে এই প্রকল্পের বিভিন্ন খামতি তুলে ধরেছেন বিরোধী দলনেতা। শুভেন্দু অধিকারী বলেন, “দুয়ারে সরকার নামকরণ হল প্রহসন মাত্র। সরকার দুয়ারে আসছে না, মানুষকে ক্যাম্পের বাইরে লাইনে দাঁড় করিয়ে দিচ্ছে ঘন্টার পর ঘন্টা। প্রোলভন দেখিয়ে মানুষকে বিড়ম্বনায় ফেলা হচ্ছে।” তাঁর মতে, স্থানীয় প্রশাসনের দফতরগুলি থেকেই এই সুবিধা প্রদান করা যেত। তাহলে বছরের নির্দিষ্ট সময়ে সরকারি সুবিধা পাওয়ার জন্য মানুষকে অপেক্ষা করতে হত না। শুভেন্দু রাজ্য সরকারের দুর্নীতির দিকে আঙুল তুলে বলেন, “স্থানীয় প্রশাসনের দফতরগুলি দুর্নীতির আখড়া বলেই সেখান থেকে নাগরিক পরিষেবা দেওয়া সম্ভব নয়।”

    দুয়ারে সরকার শিবিরে যেসব প্রকল্পগুলির সুবিধা পাওয়া যায়, সেই প্রকল্পগুলির নাম আলাদা আলাদা করে উল্লেখ করে তার খুঁত তুলে ধরেন বিরোধী দলনেতা। তিনি এদিন প্রশ্ন তোলেন, “সরকারি বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী- ২০২২ সালের ১লা জানুয়ারি পর্যন্ত লক্ষ্মীর ভাণ্ডারে নাম নথিভুক্ত করতে পারেন ২৫ বছর বয়সী মহিলারা। তারপর বহু মহিলার বয়স ২৫ পেরিয়েছে। কিন্তু, এখনও নাম নথিভুক্তকরণের জন্য বয়সের ঊর্ধ্বসীমা ২০২২ সালের ১লা জানুয়ারিই রয়ে গিয়েছে কেন?” এর উত্তর নিজেই দিয়ে বলেন, “কোষাগারের অর্থে টান পড়েছে, তাই এই অবস্থা।”

    এছাড়াও তিনি প্রেস বিবৃতিতে দাবি করেন, “মৎসজীবী ক্রেডিট কার্ডও আসলে কেন্দ্রীয় প্রকল্প কিষান ক্রেডিট কার্ডের নামকরণ। ব্যাংকের মাধ্যমে লোনের জন্য কোনও কৃষক বা মৎসজীবী আবেদন করতে পারেন। ব্যাংকই অনুমোদনের জন্য সঠিক কর্তৃপক্ষ। কিন্তু, রাজ্য সরকার নিজের কতৃত্ব বজায় রাখার জন্য ক্ষমতার বহির্ভুতভাবে হস্তক্ষেপ করছে। ফলে, দুয়ারে সরকার প্রকল্পের ঋণের জন্য নাম নথিভুক্তের সংখ্যা ও ব্যাংকের ঋণ অনুমোদনের সংখ্যায় বিপুল ফারাক ধরা পড়েছে। আসলে রাজ্য সরকার প্রেরিত ঋণের আবেদনের আলাদা করে কোনও গুরুত্ব নেই।” 

    তিনি আরও দাবি করেন, আর্টিসান ক্রেডিট কার্ড প্রদানের রাজ্য সরকারের উদ্যোগও কেন্দ্রীয় সরকারকে হেয় প্রতিপন্ন করার মমতা প্রশাসনের সুপরিকল্পিত চাল। এছাড়া, এগ্রি ইনফ্রা ফান্ড স্কিম, স্বনির্ভর গোষ্ঠী ক্রেডিট লিঙ্কেজ, বিদ্যুতের নয়া সংযোজক ও বিল পরিশোধের আবেদনেও বড় দুর্নীতি হয়েছে বলে দাবি করেছেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী।

    আরও পড়ুন: “বাঁচতে দিন”, পার্থর করুণ আর্তি শুনল না আদালত, বাড়ল জেল হেফাজতের মেয়াদ

    এদিনের সাংবাদিক বৈঠকে রাজ্য সরকারকে চাঁচাছোলা ভাষায় আক্রমণ করে নন্দিগ্রামের বিজেপি বিধায়ক বলেন, “পশ্চিমবঙ্গ দেউলিয়া, ইতিমধ্যে সবাই জানেন। একুশের বিধানসভা নির্বাচনের আগে মনে হয়েছিল দুয়ারে সরকারের নামে সরাসরি মানুষের সঙ্গে সম্পর্ক স্থাপন করতে রাজ্য সরকার এই সমস্ত কর্মসূচিগুলো করছে। পরে কিছু মানুষ বিভ্রান্ত হয়ে ভোটও দিয়েছেন। এবার পঞ্চায়েত নির্বাচনের বাজনা যখন বাজতে চলেছে আবার পশ্চিমবঙ্গে একটি ধাপ্পাবাজি হতে চলেছে। চোরেদের রানি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে আবার কাল থেকে প্রচার শুরু হবে। এই দুয়ারে সরকার ক্যাম্পে, যে যে স্কিমগুলি রয়েছে সেগুলোর মধ্যে একটা দুটো বাদ দিয়ে সবকটি স্কিম কেন্দ্রীয় সরকারের। নাম বদল করে দেখানো হবে। যাতে আবার ‘তোলামূলের’ চোররা পঞ্চায়েতে জেতার লাইসেন্স রিনিউ করতে পারে।”

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

     
  • Duare Sarkar: দুয়ারে সরকার নিয়ে কী খবর প্রকাশ পাচ্ছে, নজর রাখার নির্দেশ নবান্নর, কিন্তু কেন?

    Duare Sarkar: দুয়ারে সরকার নিয়ে কী খবর প্রকাশ পাচ্ছে, নজর রাখার নির্দেশ নবান্নর, কিন্তু কেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দুয়ারে সরকার শিবির (Duare Sarkar) সংক্রান্ত যা যা খবর সংবাদমাধ্যমে প্রকাশ পাচ্ছে, তার ওপর তীক্ষ্ণ নজর রাখতে চলেছে নবান্ন। এই মর্মে জেলাস্তর থেকে শুরু করে সংশ্লিষ্ট বিভাগকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে প্রশাসনের শীর্ষ স্তরের তরফে।  

    মঙ্গলবার থেকে শুরু হচ্ছে ‘দুয়ারে সরকার’ শিবির। শিয়রে পঞ্চায়েত নির্বাচন। তাকে মাথায় রেখে জনসংযোগ বৃদ্ধিতে ফের কোমর বেঁধে নেমে পড়েছে তৃণমূল কংগ্রেস (TMC)। বলা বাহুল্য, পঞ্চায়েত ভোটের জন্য এবারের ফোকাস গ্রাম-বাংলা। আর তাই, এবারের দুয়ার সরকার শিবিরকে বাড়তি গুরুত্ব দিতে চাইছে রাজ্যের শাসক শিবির। সম্প্রতি নবান্ন থেকে জারি করা হয়েছে দুয়ারে সরকার সংক্রান্ত একটি আন্তঃবিভাগীয় নির্দেশিকা। প্রশাসনের কোন পর্যায়ে কী কী দায়িত্ব পালন করতে হবে, তাতে উল্লেখ করা হয়েছে। সেখানেই বলা হয়েছে— দুয়ারে সরকার শিবির সংক্রান্ত বৈদ্যুতিন মাধ্যমে প্রকাশত হওয়া যাবতীয় খবর ‘ট্র্যাক’ করতে হবে। প্রয়োজনে কন্ট্রোল রুম চালু করতে হবে। 

    নির্দেশিকা অনুযায়ী, মিডিয়া কভারেজের ওপর নজরদারি করতে হবে। কী খবর প্রকাশ পাচ্ছে, তা খেয়াল রাখতে হবে। এর জন্য জেলা স্তরে জেলাশাসক এবং রাজ্যস্তরে তথ্য ও সংস্কৃতি দফতরের কাছে যাবতীয় তথ্য পাঠাতে হবে। নির্দেশিকায় স্পষ্ট করে দেওয়া রয়েছে যে, জেলাস্তরে কার হাতে থাকবে গোটা নিয়ন্ত্রণ। ঠিক একইভাবে, তথ্য ও সংস্কৃতি দফতরেও একজন শীর্ষ আধিকারিক থাকবেন, যিনি জেলাগুলোর সঙ্গে সমন্বয় রাখবেন।

    আরও পড়ুন: আধার, ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট না থাকলেও গৃহীত হবে ‘দুয়ারে সরকার’ আবেদনপত্র! প্রশাসনিক নির্দেশ কী ইঙ্গিত দিচ্ছে?

    প্রশাসনিক এই নির্দেশ ঘিরে রাজনৈতিক মহলে স্বভাবতই শুরু হয়ে গিয়েছে তীব্র জল্পনা। বিরোধীদের কটাক্ষ, রাজ্যবাসীর চোখে সরকারের ভাবমূর্তি যে একেবারে তলানিতে এসে ঠেকেছে, তা শাসক শিবির থেকে শুরু করে প্রশাসনিক কর্তারা সকলেই টের পেয়েছেন। এখন শিয়রে পঞ্চায়েত ভোট। তার আগে, ড্যামেজ কন্ট্রোল করতে তৎপর হয়ে উঠেছেন তৃণমূল শীর্ষ নেতৃত্ব। তাই, সংবাদমাধ্যমের ওপর নজরদারি চালানোর উদ্দেশ্য হল- যাতে কোথাও কোনও নেতিবাচক খবর ছাপা বা প্রকাশ পাচ্ছে, তা নজরে রাখা।  

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Duare Sarkar: ‘দুয়ারে সরকার’ শিবিরেও চলতে পারে তৃণমূলের কাটমানি, সিন্ডিকেট-রাজ! আশঙ্কা খোদ রাজ্য প্রশাসনের

    Duare Sarkar: ‘দুয়ারে সরকার’ শিবিরেও চলতে পারে তৃণমূলের কাটমানি, সিন্ডিকেট-রাজ! আশঙ্কা খোদ রাজ্য প্রশাসনের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শাসক দল পরিচালিত ‘দুর্নীতি’ নিয়ে আশঙ্কা প্রকাশ করছে সেই রাজ্যেরই ক্ষমতাসীন সরকার (TMC Government)। আবাক মনে হলেও, এটা বাস্তব। এমনই নিদর্শন দেখা গিয়েছে নবান্ন (Nabanna) থেকে প্রকাশিত ‘দুয়ারে সরকার’ (Duare Sarkar) বিজ্ঞপ্তিতে। 

    শিয়রে পঞ্চায়েত নির্বাচন (West Bengal Panchayat Polls)। তাকে মাথায় রেখেই ফের কোমর বেঁধে নেমে পড়েছে রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেস (TMC)। নতুন উদ্যমে পুনরায় শুরু হচ্ছে ‘দুয়ারে সরকার’ (Duare Sarkar) প্রকল্প। মঙ্গলবার থেকেই শুরু হচ্ছে রাজ্যে দুয়ারে সরকার। বলা বাহুল্য, এবারের ফোকাস গ্রাম-বাংলা। আর সেই নিয়ে সম্প্রতি নবান্ন থেকে জারি করা হয়েছে নির্দেশিকা। তাতে, কী কী করতে হবে, কী কী করণীয়, তা উল্লেখ করা হয়েছে। আর এই নির্দেশিকার একটি অংশ নিয়েই যাবতীয় জল্পনা শুরু হয়েছে। 

    নির্দেশিকায় যা বলা হয়েছে, তার সারমর্ম হল— রাজ্যের শাসক দলের একাধিক নেতা-কর্মীরা যে দুর্নীতি, সিন্ডিকেট-রাজ ও কাটমানি তোলায় যে অভ্যস্ত হয়ে পড়েছে, তা কার্যত স্বীকার করে নিয়েছে রাজ্য প্রশাসনও। সেই নিয়ে একটি সতর্কবার্তাও দেওয়া হয়েছে নির্দেশিকায়।

    নির্দেশিকার একটি অংশে বলা হয়েছে, ‘দুয়ারে সরকার’ (Duare Sarkar) শিবিরে যদি কোনও (শাসক দলের) টাউট পরিষেবার নাম করে টাকা দাবি (তোলা) করে, তাহলে অভিযুক্তর বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেবে স্থানীয় প্রশাসন। পুলিশকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, সর্বস্তরের আধিকারিকরা নিশ্চিত করবেন যাতে শিবিরে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি বজায় থাকে। পাশাপাশি, নির্দেশিকায় এ-ও বলা হয়েছে, যে কোনওমতে গুচ্ছাকারে জমা করা আবেদনপত্র (Bulk Application) গ্রহণ করা হবে না।

    বিরোধীদের কটাক্ষ, দুর্নীতি যে দলের মজ্জায় মজ্জায় ঢুকে গিয়েছে, তা বুঝে গিয়েছেন শাসক দলের শীর্ষ নেতৃত্ব। এই নির্দেশিকা থেকেই তা পরিষ্কার। সাম্প্রতিককালে, এই রাজ্যের শাসক দলের বিরুদ্ধে ভুরি ভুরি দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। দলের একাধিক হেভিওয়েট নেতা-মন্ত্রী জেলে বন্দি। নিত্যদিন এক-একটি নতুন দুর্নীতির তথ্য ফাঁস হচ্ছে। বিরোধীদের কটাক্ষ, এখন পঞ্চায়েত ভোটের আগে, নিজেদের মুখ রক্ষা করার একটি শেষ মরিয়া প্রচেষ্টা চালাচ্ছে তৃণমূল।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Mamata: লক্ষ্য পঞ্চায়েত ভোট, বিদ্যুৎ বিলে ব্যাপক ছাড়ের নির্দেশ

    Mamata: লক্ষ্য পঞ্চায়েত ভোট, বিদ্যুৎ বিলে ব্যাপক ছাড়ের নির্দেশ

    পঞ্চায়েত ভোট (Panchayet election) সামনে আসতেই আর এক দফা ছাড়ের সিদ্ধান্ত রাজ্যের। এবার বিদ্যুৎ বিলে (electricity bill)। ২০১৮ সালের ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত যাঁরা বিদ্যুৎ বিল দিতে পারেননি, তাঁরা বিলের ওপর পঞ্চাশ শতাংশ ছাড় (waiver) পাবেন। বাকি পঞ্চাশ শতাংশ যদি এককালীন মিটিয়ে দেন, তাহলে বকেয়া জরিমানা আর দিতে হবে না। পয়লা নভেম্বর থেকে যে দুয়ারে সরকার (duare sarkar) প্রকল্প চালু হচ্ছে, সেখানেই মিলবে এই সুবিধা। তবে পশ্চিমবঙ্গ যখন দিন দিন ঋণের ভারে জর্জরিত, তখন কীভাবে এই দানছত্র খুলে বসা হচ্ছে, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।

    বর্তমানে পশ্চিমবঙ্গ বিদ্যুৎ বণ্টন সংস্থা (WBSEDCL) এর অধীনে ২ কোটি ১৯ লক্ষ গ্রাহক আছে। গ্রামীণ এলাকায় অনেক গ্রাহকই সঠিক সময়ে বিদ্যুৎ বিল মেটান না। কৃষির জন্য যাঁরা বিদ্যুৎ নেন, তাঁদেরও একটা অংশ এই বিল মেটাননি। এর জন্য আইন মেনেই তাদের সংযোগ ছিন্ন করা হয়েছে। তা আদায়েরও কোনও চেষ্টা করা হয়নি। ফলে 
    ঋণের বোঝা চাপছে বিদ্যুৎ সংস্থার ঘাড়ে। এই বোঝাই আরও বাড়িয়ে পঞ্চায়েত ভোটের আগে জনমোহিনী পথে হাঁটার চেষ্টায় সরকার। 

    গৃহস্থের পাশাপাশি কৃষিক্ষেত্রেও এই ছাড় মিলবে। শ্যালো টিউব ওয়েল, ডিপ টিউবওয়েল,সেচের জন্য নদী থেকে যারা বিদ্যুৎ খরচ করে জল তুলেছে, ২০১৮ সালের ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত বকেয়া বিলের অর্ধেক তাদের মকুব করা হবে। বাকি ৫০ শতাংশ যদি এককালীন জমা দেয়, তাহলে আর জরিমানা লাগবে না। ব্যক্তিগত ক্ষেত্র ছাড়া  কৃষক কমিটিরাও এই সুযোগ পাবে। দুয়ারে সরকারের ক্যাম্প থেকেই এর জন্য ফর্ম মিলবে। ফর্ম ফিল আপের পর তড়িঘড়ি সংযোগ দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। 

    কিন্তু প্রশ্ন উঠছে জনপ্রিয়তা কুড়োতে এই দান খয়রাতি কেন! কিছুদিন আগেই রাজ্যের আর্থিক স্বাস্থ্য নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে রিজার্ভ ব্যাঙ্ক। বিশেষজ্ঞদের মতে, এই যে ছাড় দেওয়া হচ্ছে, সেই লোকসানের দায় চাপবে বিদ্যুৎ বন্টন সংস্থার উপর। এমনিতেই সংস্থাকে সময়ে টাকা মেটাতে পারে না রাজ্য। কেন্দ্রের হিসেবে, বিদ্যুৎ উৎপাদন সংস্থার পাওনা মেটাতে গড়ে প্রায় ৩ মাস পর্যন্ত দেরি হয়ে যায় পশ্চিমবঙ্গের। ফলে তাদের ওপর বোঝা বাড়বে। সবমিলিয়ে বিপদ ডেকে আনবে গোটা বিদ্যুৎ ক্ষেত্রের। যার বিপর্যয়ে ভুগতে হবে রাজ্যের বহু কোটি মানুষকে।  

     

     

  • Suvendu Adhikari: তৃণমূলকে পঞ্চায়েত ভোটে জিতিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করছে রাজ্য নির্বাচন কমিশন! অভিযোগ শুভেন্দুর

    Suvendu Adhikari: তৃণমূলকে পঞ্চায়েত ভোটে জিতিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করছে রাজ্য নির্বাচন কমিশন! অভিযোগ শুভেন্দুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আগামী বছরের মার্চ-এপ্রিল মাসের মধ্যেই রাজ্যে পঞ্চায়েত নির্বাচন (Panchayat Election) অনুষ্ঠিত হতে চলেছে। আর এরই মাঝে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari) রাজ্য নির্বাচন কমিশনের (State Election Commission) বিরুদ্ধে বিস্ফোরক মন্তব্য করলেন। তৃণমূলকে পঞ্চায়েত ভোটে জিতিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করছে রাজ্য নির্বাচন কমিশন। মঙ্গলবার রাজ্য নির্বাচন কমিশনের অফিসের সামনে দাঁড়িয়ে এমনটাই অভিযোগ করলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। কমিশন প্রকাশিত খসড়া ‘রিজার্ভেশন রোস্টার’ নিয়ে আপত্তি জানাতে সেখানে গিয়েছিলেন তিনি। আর তারপরেই তাঁকে রাজ্য নির্বাচন কমিশনের বিরুদ্ধে এমন অভিযোগ করতে দেখা গেল। শুধু তাই নয়, এদিন রাজ্য নির্বাচন কমিশনকে রাজ্যের শাসকদলের তাঁবেদার বলেও কটাক্ষ করেন তিনি।

    তিনি এদিন অভিযোগ করেছেন, “আগামী পঞ্চায়েত ভোটে তৃণমূলকে জিতিয়ে দেওয়ার লাইসেন্স করে দিচ্ছে রাজ্য নির্বাচন কমিশন।” পঞ্চায়েত নির্বাচনকে সামনে রেখে গত ১৮ অক্টোবর ‘রিজার্ভেশন রোস্টার’ বের করেছে কমিশন। আর একে নিয়েই আপত্তি জানিয়েছেন শুভেন্দু। কমিশন প্রকাশিত খসড়ায় বলা হয়েছে, কোন আসন মহিলা এবং কোন আসন তপশিল জাতি এবং উপজাতিদের জন্য সংরক্ষিত থাকবে। কিন্তু শুভেন্দু অধিকারী অভিযোগ করেছেন, এই খসড়া নিয়ম মাফিক তৈরি করা হয়নি। স্থানীয় ভাবে কোনও সমীক্ষা না করেই তৃণমূল নেতা এবং সরকার-ঘনিষ্ঠ আমলাদের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে খসড়াটি তৈরি হয়েছে। তাই তিনি দাবি করেছেন, এই খসড়া সমীক্ষা বাতিল করে ওবিসি জনসংখ্যা ৭.৫ শতাংশ ধরে নতুন সংরক্ষণের তালিকা রাজ্য নির্বাচন কমিশনকে বার করতে হবে।  

    আরও পড়ুন: পশ্চিমবঙ্গেও সিএএ প্রয়োগ হবে, সুবিধা পাবেন মতুয়ারাও, ঘোষণা শুভেন্দুর

    তিনি এদিন আরও অভিযোগ করেছেন, এই খসড়া নিয়ে যাতে বিরোধীরা কোনও আপত্তি না করতে পারে তার জন্য এই খসড়া ছুটির সময়ে প্রকাশ করা হয়েছে আর পরামর্শ দানের শেষ দিনও রাখা হয়েছে ২ নভেম্বর। আর ২ নভেম্বরও ছুটির দিন। ফলে এমন সময়ে কীভাবে খসড়া বের করতে পারে তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে বিরোধী দলনেতা। ফলে তিনি হুঁশিয়ারি দিয়ে জানান, এই ‘ড্রাফট সার্ভে’ বাদ দিয়ে নতুন করে সমীক্ষা করতে হবে। আর তা না হলে তিনি আদালতের দ্বারস্থ হবেন। বিজেপি নেতা আরও দাবি করেছেন “তৃণমূল ব্লকের নেতা, যারা একশো দিনের কাজের টাকা চুরি করেছেন, তাঁদের সঙ্গে মিলে বিডিওরা ‘ড্রাফট পাবলিকেশন’ করেছেন। একে চূড়ান্ত করলে আমি আদালতের দ্বারস্থ হব।”

    এর আগেও ২০১৮ সালের পঞ্চায়েত নির্বাচন নিয়ে রাজ্য জুড়ে ব্যাপক সন্ত্রাসের অভিযোগ উঠেছিল শাসকদলের বিরুদ্ধে৷ এমনকি পুলিশের ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছিল ৷ আর এবার ভোটের আগে খোদ রাজ্য নির্বাচন কমিশনের বিরুদ্ধে অভিযোগ করলেন শুভেন্দু অধিকারী।

  • Anubrata Mandal: সুকন্যাকে ফের সমন ইডির! আগামী বুধবার হাজির হতে হবে দিল্লিতে

    Anubrata Mandal: সুকন্যাকে ফের সমন ইডির! আগামী বুধবার হাজির হতে হবে দিল্লিতে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গরু পাচার মামলায় (cattle smuggling case) অনুব্রত (Anubrata Mondal) কন্যা সুকন্যা মণ্ডলকে ফের সমন পাঠাল ইডি (Enforcement Directorate)। গত বৃহস্পতিবার, ২৭ অক্টোবর দিল্লিতে ইডির সদর দফতরে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ডেকে পাঠানো হয়েছিল সুকন্যাকে। কিন্তু ব্যক্তিগত কারণ দেখিয়ে হাজিরা এড়ান সুকন্যা। তাই পুনরায় তলব। আগামী ২ নভেম্বর দিল্লিতেই ইডির অফিসে হাজির হতে বলা হয়েছে অনুব্রত তনয়াকে। সেই সঙ্গে অনুব্রতের হিসাবরক্ষক মনীশ কোঠারিকেও ডেকে পাঠানো হয়েছে বলে খবর। 

    আরও পড়ুন: সিবিআই-এর তলব এড়িয়ে ই-মেল করলেন কেষ্ট কন্যা, কী লিখেছেন চিঠিতে?

    দিল্লিতে ইডির হেফাজতে আছেন অনুব্রত মণ্ডলের দেহরক্ষী সায়গল হোসেন। শুক্রবারই তাঁকে আরও ৮ দিনের জন্য হেফাজতে পেয়েছে ইডি। এরই মধ্যে দিল্লিতে তলব করা হল সুকন্যাকে। অনুব্রত মণ্ডলের কন্যার কোটি কোটি টাকার সম্পত্তি কোথা থেকে এল, সেই বিষয়টি খতিয়ে দেখতে চান ইডির তদন্তকারী। সূত্রের দাবি, এর আগে সিবিআইয়ের (CBI) জিজ্ঞাসাবাদে সুকন্যা বলেছিলেন, যা জানার হিসাবরক্ষক মণীশ কোঠারি বলবেন। তাই মনীশকেও ডেকে পাঠিয়েছে ইডি। গত মাসে অভিযান চালিয়ে মণীশের বাড়ি ও অফিস থেকে একাধিক নথিও উদ্ধার করেছে সিবিআই। সূত্রের খবর, সেই নথির মধ্যেই লুকিয়ে রয়েছে নতুন করে আরও সম্পত্তি ও আর্থিক লেনদেন সংক্রান্ত তথ্য।

    আরও পড়ুন: ফের ১৪ দিনের জেল হেফাজত! এবার সিবিআইয়ের জেরার মুখে মানিক

    প্রসঙ্গত, অনুব্রত মণ্ডলকে ইতিমধ্যেই গরু পাচার মামলায় তদন্তে অসহযোগিতার অভিযোগে গ্রেফতার করা হয়েছে। একাধিকবার জামিনের আবেদন করেও কোনও কাজ হয়নি। আসানসোল সংশোধনাগারেই দিন কাটছে তাঁর। এএনএম অ্যাগ্রোকেম লিমিটেড নামে একটি সংস্থার মালিকানা রয়েছে সুকন্যার নামে। এই সংস্থার আয়ব্যয়ের হিসেব ইতিমধ্যেই রয়েছে ইডির স্ক্যানারে। সব হিসেব খতিয়ে দেখতে চান ইডির আধিকারিকরা। সিবিআইয়ের চার্জশিটে উল্লেখিত তথ্য অনুযায়ী, ২০১৩-১৪ অর্থবর্ষে সুকন্যার আয় ছিল ৩ লাখ ১০ হাজার টাকা। ২০২০-২১ অর্থবর্ষে সেই হিসেব বেড়ে হয়েছে ১ কোটি ৪৫ লাখ টাকা। সুকন্যার নামে অন্তত ৩ কোটি টাকার ফিক্সড ডিপোজিটেরও হদিশ পেয়েছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। উল্লেখ্য, ইডির আধিকারিকরা ইতিমধ্যেই সুকন্যার আয়-ব্যয়ের হিসেবের উপর নজর রাখছে। গরু পাচার সংক্রান্ত বিষয়ের সঙ্গে জড়িত টাকা সুকন্যার সংস্থার মাধ্যমে ঘুরপথে সাদা করা হত কি না, সেই বিষয়টিও খতিয়ে দেখছেন ইডির আধিকারিকরা। সেই সংক্রান্ত বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদের জন্যই দিল্লিতে ইডির অফিসে ডেকে পাঠানো হয়েছে সুকন্যাকে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Nakasipara Accident: নাকাশিপাড়ায় ভয়াবহ দুর্ঘটনা, দুই শিশুসহ মৃত পাঁচ

    Nakasipara Accident: নাকাশিপাড়ায় ভয়াবহ দুর্ঘটনা, দুই শিশুসহ মৃত পাঁচ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নাকাশিপাড়ায় ভয়াবহ পথ দুর্ঘটনা (Nakashipara Accident)। লরি এবং মারুতির মুখোমুখি সংঘর্ষে এক মহিলা, দুই শিশুসহ মোট পাঁচ জন। শুক্রবার সকালে ঘটনাটি ঘটেছে নদিয়ার নাকাশিপাড়া থানায় ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়কে। শুক্রবার সকালে ঘটনাটি ঘটেছে নদিয়ার নাকাশিপাড়া থানার ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়কে টোল প্লাজা থেকে একটু দূরেই ঘটেছে ঘটনাটি। 

    জানা গিয়েছে, টোল প্লাজা থেকে কিছুটা দূরে একটি মারুতি আসছিল ৷ তখনই উলটো দিক থেকে যাচ্ছিল একটি ১০ চাকার লরি । দুটি গাড়িরই গতিবেগ বেশি থাকার কারণে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে সজোরে সামনাসামনি ধাক্কা মারে। কার্যত পিষে যায় ওই মারুতিটি। এমনকি এভাবে বেশ কিছুটা রাস্তা মারুতিটিকে টেনে নিয়ে যায় লরিটি ৷ যার জেরে ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় মারুতিতে থাকা পাঁচজনের৷ 

    আরও পড়ুন: ফের দুর্দান্ত ইনিংস কোহলির, ৫৬ রানে নেদারল্যান্ডকে হারাল ভারত  

    খবর পেয়ে স্থানীয় থানার পুলিশ (Nakashipara Police Station) ঘটনাস্থলে গিয়ে রক্তাক্ত অবস্থায় দুই শিশু, এক মহিলা এবং দুই ব্যক্তিকে উদ্ধার করে। তারপর সেখান থেকে  হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা তাঁদের সকলকেই মৃত বলে ঘোষণা করেন। এই ঘটনায় স্থানীয়দের দাবি, রাস্তা তৈরির কাজ চলছে। সেই কারণে কখনও টু ওয়ে থেকে ওয়ান ওয়ে রাস্তা পারাপারের সময় অরহরহ লেগেই রয়েছে দুর্ঘটনা। এই দুর্ঘটনার কারণও সেটাই ৷    

    সকালে দুর্ঘটনা হওয়ার কারণে উদ্ধার কাজে সময় লেগে যায়। পথচারীরা উদ্ধার কাজে হাত লাগায়। মৃতদের পরিচয় এখনও জানা যায়নি। দুর্ঘটনার কারণ-সহ মৃতদের পরিচয় জানার চেষ্টা করছে পুলিশ৷ স্থানীয় এক বাসিন্দা জানান, দুটি গাড়ির সংঘর্ষে রাস্তার ধারের একটি গর্তে গিয়ে ছিটকে পড়ে ছোট গাড়িটি। সাত সকালে প্রচণ্ড জোরে আওয়াজ শুনতে পেয়ে স্থানীয়রা ছুটে যান ঘটনাস্থলে। স্থানীয় বাসিন্দারা ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখেন ছোট গাড়ির যাত্রীরা আহত অবস্থায় পড়ে রয়েছেন। স্থানীয় নাকাশিপাড়া থানায় খবর দিলে পুলিশ এসে ওই পাঁচ জনকে উদ্ধার করে বেথুয়াডহরী হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার ব্যবস্থা করে। হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা প্রত্যেককেই মৃত বলে ঘোষণা করেন।     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • TET Scam: বয়স পেরিয়ে গেলেও চাকরি দিতে হবে! টেট নিয়োগ নিয়ে পর্ষদকে ভর্ৎসনা হাইকোর্টের

    TET Scam: বয়স পেরিয়ে গেলেও চাকরি দিতে হবে! টেট নিয়োগ নিয়ে পর্ষদকে ভর্ৎসনা হাইকোর্টের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: টেট (Primary TET) নিয়োগ দুর্নীতির শিকার চাকরি প্রার্থীদের বয়স পেরিয়ে গেলেও ইন্টারভিউ নিতে হবে। পর্ষদের ভুলের খেসারত পর্ষদকেই দিতে হবে। এর দায় চাকরিপ্রার্থীদের নয়। সোমবার একথা স্পষ্ট জানিয়ে দিলেন কলকাতা হাই কোর্টের (Calcutta High Court) বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় (Abhijit Gangopadhyay)। এই নির্দেশ দিতে গিয়ে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদকে ভর্ৎসনাও করেছেন তিনি। বিচারপতি বলেন, ‘‘প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ দুর্নীতি ও অসদাচরণের জন্য বিখ্যাত। কয়েক জনের অপদার্থতায় যোগ্যরা সুযোগ পায় না।’’

    আরও পড়ুন : পার্থ-অর্পিতার ১০৩ কোটি টাকার সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত! এসএসসি মামলায় চার্জশিট পেশ ইডি-র

    এদিন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় টেটের ছয় নম্বর প্রশ্ন ভুল মামলায় বয়স পেরিয়ে যাওয়া এক ব্যক্তির নতুন করে ইন্টারভিউ নিতে নির্দেশ দিয়েছেন। মামলাকারী নেফাউর শেখ ২০১৪ সালে পরীক্ষা দেন। ২০১৬ সালে নিয়োগ প্রক্রিয়া শেষ হয়ে যায়। কিন্তু তিনি উত্তীর্ণ হতে পারেননি। পরে তিনি ছয় নম্বর প্রশ্ন ভুল ছিল বলে মামলা করেন। এরপর বোর্ড ২০২১ সালের ডিসেম্বর মাসে জানায় তিনি ছয় নম্বর পেয়েছেন। কিন্তু ততদিনে নেফাউরের বয়স পেরিয়ে গিয়েছে। এরপর বোর্ডের ভুলে তাঁর নিয়োগ থমকে যাওয়ার অভিযোগ তুলে ফের মামলা করেন নেফাউর। সোমবার সেই মামলারই রায় দিলেন বিচারপতি।

    আরও পড়ুন: ‘দুয়ারে সরকার’ শিবিরেও চলতে পারে তৃণমূলের কাটমানি, সিন্ডিকেট-রাজ! আশঙ্কা খোদ রাজ্য প্রশাসনের

    এদিন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, ‘‘ভুল প্রশ্ন থেকে পাওয়া নম্বরে উত্তীর্ণ হওয়ার পরেও যাঁরা বয়স পেরিয়ে যাওয়ায় ইন্টারভিউয়ে বসতে পারেননি, তাঁদের অভিযোগ খতিয়ে দেখে পদক্ষেপ করতে হবে।’’ দরকারে উত্তীর্ণ অথচ বয়স পেরিয়ে যাওয়া এই প্রার্থীদের জন্য পর্ষদকে ইন্টারভিউ বোর্ড গঠন করতে হবে বলেও জানান তিনি। তাঁর নির্দেশ, ২০১৬’র গাইডলাইন অনুযায়ী চার সপ্তাহের মধ্যে ইন্টারভিউ নিতে হবে। তাতে উত্তীর্ণ হলে চাকরি দিতে হবে নেফাউরকে। বিচারপতি আরও জানিয়েছেন, তাঁকে প্রশিক্ষিত চাকরিপ্রার্থী হিসেবে ধরা হবে। বোর্ডকে রিপোর্ট জমা করার জন্য ৩০ নভেম্বর পর্যন্ত সময় দেওয়া হয়েছে। বিচারপতির কথায় নিয়োগ সমস্যা যখন হয়েছে পর্ষদের ভুলে তখন তা শুধরে নেওয়ার দায়িত্বও পর্ষদেরই।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

  • Weather Update: রেকর্ড পারদ-পতন কলকাতায়! অক্টোবরেই তাপমাত্রা নামল ২০ ডিগ্রির নীচে

    Weather Update: রেকর্ড পারদ-পতন কলকাতায়! অক্টোবরেই তাপমাত্রা নামল ২০ ডিগ্রির নীচে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বইছে উত্তুরে হাওয়া। হিমেল পরশে হেমন্তের শুরু বুঝতে পারছে শহরবাসী। কালীপুজোর পরই আবহাওয়ায় পরিবর্তন ঘটেছে। রাতের তাপমাত্রা চার ডিগ্রি কমেছে কলকাতায়। সকাল সন্ধ্যায় জেলায় শীতের আমেজ দেখা দিয়েছে। জানা গিয়েছে নভেম্বরের মাঝামাঝি দিনভর শীতের আমেজ থাকবে কলকাতা-সহ সব জেলাতে। অক্টোবরের শেষেই কলকাতায় পারদ নেমেছে ২০ ডিগ্রির নীচে। 

    আরও পড়ুন: ৫০% হয়ে গিয়েছে মন্দির নির্মাণের কাজ, পরের বছর জানুয়ারিতেই ভক্তদের জন্যে খুলে দেওয়া হবে রাম মন্দির

    শুক্রবার শহরে তাপমাত্রা ছিল ১৯  দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। যা স্বাভাবিকের তুলনায় তিন ডিগ্রি সেলসিয়াস কম। শনিবার দিনভর আকাশ মেঘলা থাকবে। সূর্যের তেজ তেমন অনুভব করবেন না শহরবাসী।  এর আগে ২০১২-র অক্টোবরে কুড়ি ডিগ্রির নীচে নেমেছিল পারদ। বহু বছর আগে ২৮ অক্টোবর কলকাতার তাপমাত্রা ছিল সর্বনিম্ন ১৯.৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এর আগে ২০১৮ সালে ২৭ অক্টোবর কুড়ি ডিগ্রি সেলসিয়াসে নেমেছিল। অক্টোবর মাসে কলকাতায় পারদ পতনের সর্বকালীন রেকর্ড ১৯৫৪ সালের ৩১ অক্টোবর। সে বছর পারদ নেমেছিল ১৭.২ ডিগ্রি সেলসিয়াসে। গত ১০ বছরে এদিনের পারদ পতন ছিল রেকর্ড। 

    আরও পড়ুন: অর্থায়নের কারণেই বাড়বাড়ন্ত সন্ত্রাসবাদের, রাষ্ট্রসংঘের বৈঠকে বললেন এস জয়শঙ্কর

    আলিপুর আবহাওয়া দফতর সূত্রে খবর, নভেম্বরের শুরুতেই রাজ্যে শুরু হবে হালকা শীতের আমেজ। ক্রমশ বাড়বে উত্তুরে হাওয়ার দাপট। কমবে দখিনা বাতাসের প্রভাব। বাতাসে জলীয় বাষ্পের পরিমাণও কমবে। রাতের দিকে কুয়াশা পড়বে। ভোরবেলাও থাকবে কুয়াশার দাপট।  কালীপুজোর পর থেকেই দিনভর শীতের আমেজ না থাকলেও সন্ধে পড়তেই ফিরছে শিরশিরে ঠান্ডা। ভোরের দিকে তাপমাত্রার পারদ নামছে (Weather Update)। বলা যা, এবারের মতো বর্ষা বিদায় নিয়েছে বাংলা থেকে। এখনই রাজ্যে বৃষ্টির সম্ভাবনা নেই। আগামী চার থেকে পাঁচ দিন শুষ্ক আবহাওয়া থাকবে। নভেম্বরের দ্বিতীয় সপ্তাহ থেকে তাপমাত্রা আরও নামবে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

LinkedIn
Share