Category: রাজ্য

Get West Bengal News, Bengali Breaking News, Latest News in Bengali only from মাধ্যম | Madhyom, Bengali News Portal for সম্পূর্ণ নিরপেক্ষ বাংলা সংবাদ, বাংলা খবর

  • Partha Chatterjee: ভার্চুয়াল নয়, কাঠগড়াতেই দাঁড়াতে হবে পার্থকে, শুনানি পেছালেন ক্ষুব্ধ বিচারক

    Partha Chatterjee: ভার্চুয়াল নয়, কাঠগড়াতেই দাঁড়াতে হবে পার্থকে, শুনানি পেছালেন ক্ষুব্ধ বিচারক

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পিছিয়ে গেল পার্থ মামলার শুনানি। শুক্রবার রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রীর পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের (Partha Chatterjee) সশরীরে আদালতে হাজিরা দেওয়ার কথা থাকলেও হাজিরা এড়িয়ে যান। ভার্চুয়াল হাজিরার আবেদন জানানো হয়। কিন্তু তাতে সম্মতি দেন নি বিচারক। বিচারক সাফ জানিয়ে দেন, সশরীরে হাজিরা দিতে হবে পার্থকে। আগামী সোমবার সকাল সাড়ে ১০ টায় হাজিরার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ইতিমধ্যেই নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় চার্জশিট পেশ করেছে সিবিআই। কেন্দ্রীয় সংস্থা উল্লেখ করেছে,দুর্নীতির মূিলি. হোতা পার্থ চট্টোপাধ্যায়। আইনজীবী বিকাশ রঞ্জন ভট্টাচার্য জানিয়েছেন, আদালত আইন মেনেই নির্দেশ দিয়েছে। পার্থ চট্টোপাধ্যায় কেমন আছে তা আদালত দেখতে চাইতেই পারেন। 

    আরও পড়ুন: ১০,০০০ কোটি টাকা ঋণের আবেদন পশ্চিমবঙ্গ সরকারের, আর ঋণ না দেওয়ার পরামর্শ শুভেন্দুর

    শুক্রবার সকাল থেকেই শুনানি নিয়ে এই শুরু হয় জটিলতা। পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে সশরীরে আদালতে পাঠায়নি জেল কর্তৃপক্ষ। পরিবর্তে নথি পাঠিয়ে দেওয়া হয় আদালতে। এরপরে শুনানি শুরু হতেই বিচারক প্রশ্ন করেন আজ সশরীরে হাজিরার নির্দেশ থাকা সত্ত্বেও কেন তা করা হয়নি। ১৪ দিন আগে যখন শেষবার শুনানি হয় তখন আদালত নির্দেশ দেয় যাতে পরের দিন পার্থ চট্টোপাধ্যায় সহ বাকি সকল অভিযুক্তকে সশরীরে আদালতে হাজির করা হয়। আদালতের অর্ডারে এই নির্দেশ লেখা ছিল। 

    পার্থর আইনজীবী সেলিম আবেদন করেন, তাঁর মক্কেলের জামিনের আর্জি জানানোর আছে, তাই দ্রুত শুনানি করতে হবে। বিচারক জানিয়েছেন, আগামী সোমবার সশরীরে হাজিরা দিতে হবে পার্থকে। আজ শুনানির ঠিক আগে, শেষ মুহূর্তে বিচারক জানতে পারেন, জেল কর্তৃপক্ষের তরফ থেকে পার্থর ভার্চুয়াল শুনানির আবেদন জানানো হয়েছে। কিন্তু এই আদালতে ভার্চুয়াল শুনানির মতো যথেষ্ট পরিকাঠামো না থাকায়, তা সম্ভব নয় বলে জানিয়ে দেওয়া হয়।

    এর আগে জেল থেকে ইডির মামলায় ভার্চুয়ালি শুনানিতে অংশ নিয়েছিলেন পার্থ। প্রথম দিকে প্রাক্তনমন্ত্রীকে সশরীরে আদালতে পেশ করা হয়েছিল কয়েকবার। পরে জেল কর্তৃপক্ষের তরফ থেকে জানানো হয়েছিল, নিরাপত্তার কথা ভেবে সশরীরে হাজির করা সম্ভব হচ্ছে না। এরপর থেকেই ভার্চুয়ালি শুনানিতে অংশ নিতে শুরু করেন পার্থ। তবে সিবিআই-এর মামলায় আগে ভার্চুয়াল শুনানি হয়নি। 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

     

     

     

     
  • JU Finanacial Crisis: যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের আর্থিক সংকটে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের হয়ে সাহায্য চেয়ে পোস্ট ৯২ বছর বয়সী প্রাক্তনীর

    JU Finanacial Crisis: যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের আর্থিক সংকটে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের হয়ে সাহায্য চেয়ে পোস্ট ৯২ বছর বয়সী প্রাক্তনীর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নিজের শিক্ষা পরিষ্ঠানের আর্থিক সংকটের (JU Financial Crisis) কথা জানতে পেরে ফেসবুকে আর্থিক সাহায্যের অনুরোধ করলেন যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে ৯২ বছর বয়সী প্রাক্তনী স্যানফ্রান্সিস্কোর বাসিন্দা রমেন চক্রবর্তী (Ramen Chakrabarti)। ১৯৫৪ সালে মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগ থেকে স্নাতক হন রমেন বাবু। তিনি বলেন, সংবাদমাধ্যম থেকে তিনি জানতে পারেন ল্যাবরেটারি রক্ষণাবেক্ষণের জন্যে প্রয়োজনীয় টাকা নেই বিশ্ববিদ্যালয়ের।

    গ্লোবাল যাদবপুর ইউনিভার্সিটি অ্যালুমনাই ফাউন্ডেশনের পেজে তিনি ২৩ অক্টোবর একটি ভিডিও পোস্ট করেন। সেখানে লেখেন, “সংবাদমাধ্যম থেকে আমি জানতে পারি যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের ল্যাবরেটারি রক্ষণাবেক্ষণের টাকা নেই। শুধু শিক্ষকদের মায়নে দেওয়ার মতো সামর্থটুকু আছে। আর্থিক সংকটের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে আমার বিশ্ববিদ্যালয় এটা ভেবে কান্না পাচ্ছে।” 

    তিনি আরও লেখেন। “এরকমটা কেন হবে? বিশ্ববিদ্যালয়ের কত ছাত্র-ছাত্রী গোটা বিশ্বে ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে, যারা নিজ জীবনে প্রতিষ্ঠিত এবং প্রচুর অর্থ উপার্জন করেন। আমি যাদবপুরের সব ছাত্র-ছাত্রীর কাছে অনুরোধ করতে চাই সবাই নিজের সাধ্যমতো অর্থ দিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের পাশে দাঁড়ান। আমার দেখা বিশ্বের সেরা বিশ্ববিদ্যালয়গুলির মধ্যে যাদবপুর অন্যতম। যাদবপুর আপনাদের দুহাত ভরে দিয়েছে, এবার আপনাদের পালা।” 

    আর দু’মাস পরেই যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের বার্ষিক সমাবর্তন সভা (Jadavpur University Convocation) অনুষ্ঠিত হবে। তবে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় যে আর্থিক সংকটের (Extreme fund crunch) মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে, তাতে সভার আয়োজন নিয়ে মাথায় হাত পড়েছে কর্তৃপক্ষের। এই নিয়ে রাজ্য সরকারকেও চিঠি লিখেছে কর্তৃপক্ষ। অতিমারির জেরে গত দু’বছর বন্ধ থাকার পর এ বছর ডিসেম্বর মাসে আবার হতে চলেছে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাবর্তন। তবে ধাপে ধাপে কমেছে কেন্দ্র ও রাজ্য সরকারের বরাদ্দ। ব্যাপক আর্থিক সংকটের মধ্যে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়। এ বছরে বার্ষিক সমাবর্তন হলেও হবে না বিশেষ বা সাম্মানিক সমাবর্তন। এমনটাই জানিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। প্রতিবারের মতো এ বারে সমাবর্তন সভা বড় পরিসরে করা যাবে কি না, তা নিয়েও সংশয় দেখা দিয়েছে অধ্যাপকদের মনে। ২০১৭ সালের পর থেকেই ধাপে ধাপে কমেছে আর্থিক অনুদান । এরপর করোনা সংক্রমণের জেরে সেই আর্থিক অনুদানের পরিমাণ আরও হ্রাস পায়। এর ফলে থমকে গিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন উন্নয়নের কাজ। শুধু তাই নয়, করোনা কালে যখন একটানা দীর্ঘদিন বন্ধ ছিল বিশ্ববিদ্যালয়, তখন আর্থিক অনুদান বন্ধ হয়ে যাওয়ায় সমস্যার সমুখীন হতে হয়েছিল গবেষণার সঙ্গে যুক্ত শিক্ষার্থীদেরও।

    আরও পড়ুন: “আমি ভারতের খুব বড় ভক্ত”, বললেন চিনা রাষ্ট্রদূত

    যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক পার্থপ্রতিম রায় বলেন, “যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে বেতন বাদ দিয়ে বার্ষিক খরচ হয় প্রায় ৪৫ কোটি টাকা। চলতি বছরে দুই ধাপে ১২ কোটি টাকা পেয়েছে কর্তৃপক্ষ। তৃতীয় ধাপের টাকা এলে এই সংখ্যাটা ১৮ কোটিতে গিয়ে দাঁড়াবে। তাই এই আর্থিক সংকটের মধ্যে কত ভালো ভাবে সমাবর্তন সভা করা যাবে, সেই বিষয়টা নিয়েও আমাদের মনে একটা আশংকা রয়েছে। কারণ গত দুবছর করোনা কালের সমাবর্তন সভা করা যায়নি ৷ স্বাভাবিকভাবেই এই বছর যাতে খুব ভালো করে এই সমাবর্তন সভা করা যায় সেটাই আমাদের ইচ্ছা।” 
      
    তিনি আরও বলেন, “যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের যে কোড রয়েছে, তাদের বৈঠকে উপাচার্য সুরঞ্জন দাসকে পরামর্শ দেওয়া হয়েছে যে রাজ্য সরকারকে চিঠি দিয়ে যেন আটকে থাকা বরাদ্দ টাকা দেওয়ার জন্য আবেদন করা হয়। বিশ্ববিদ্যালয় সংক্রান্ত সমস্ত সিদ্ধান্ত নেওয়ার চূড়ান্ত বিভাগ হচ্ছে এই কোড যেখানে প্রতিটি দফতরের প্রধানরা থাকেন।”

    চলতি বছরে বেতন বাদে বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজ্য সরকারি ব্যয় বরাদ্দ ২৩ শতাংশ কমেছে । গবেষণার খাতেও টাকা বন্ধ হয়েছে। ডিএসটির মতো প্রজেক্টের ক্ষেত্রে শর্ত চাপানো হয়েছে । জানানো হয়েছে যে, বাজেটের ২৫ ভাগ ব্যয়ভার বহন করতে হবে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানকে। যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য সুরঞ্জন দাস বলেন, “যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের পক্ষ থেকে রাজ্য সরকারকে এই বিষয়টি জানিয়ে চিঠি দেওয়া হয়েছে। আমরা আশা করছি খুব দ্রুতই আমাদের আবেদনে সাড়া দেবে সরকার।” প্রসঙ্গত যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের বার্ষিক সমাবর্তনের দুটি ভাগ থাকে। একটি হল স্পেশাল বা বিশেষ সমাবর্তন । আরেকটি হল সাধারণ সমাবর্তন। এ বছর বিশেষ সমাবর্তন করা হবে না বলে আগেই জানিয়ে দিয়েছে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। উল্লেখ্য, এর আগেও বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষণাগারগুলির রক্ষণাবেক্ষণের জন্য বিশ্বের বিভিন্ন জায়গায় ছড়িয়ে থাকা প্রক্তনীদের থেকে আর্থিক সহায়তা পাওয়ার আশায় অ্যালুমনি সেল তৈরি করা হয়েছিল ৷

     ইঞ্জিনিয়ারিং এবং গবেষণার ক্ষেত্রে উপরের তালিকায় রয়েছে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়। তবে বেশ কয়েকদিন ধরে এই বিশ্ববিদ্যালয় আর্থিক সংকটে ভুগছে। ফলে কীভাবে এই র‌্যাঙ্কিং ধরে রাখা যায়, তা নিয়ে চিন্তাভাবনা করে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। সাধারণত বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় প্রক্তনীদের কাছ থেকে আর্থিক সাহায্য চাইলেও যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় এখনও পর্যন্ত প্রক্তনীদের কাছ থেকে পরিকল্পিতভাবে আর্থিক সাহায্য চায়নি। তবে আর্থিক সংকট মেটাতে এখন পরিকল্পিতভাবেই সেই পথে এগোতে চাইছে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়। এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য সুরঞ্জন দাস বলেন, ‘প্রাক্তনীরা বিভিন্নভাবে সাহায্যের জন্য এগিয়ে আসছেন। মুম্বই, সিঙ্গাপুর আমেরিকায় থাকা প্রাক্তনীরা সাহায্যের জন্য এগিয়ে আসছেন।’ উপাচার্যের আশায় এভাবে প্রক্তনীদের সহায়তায় যাদবপুর এগিয়ে যাবে।  

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

     

  • Anubrata Mondal: গরু পাচার-কাণ্ডে ইডির সামনে হাজিরা বুধবার! দিল্লি গেলেন অনুব্রত কন্যা সুকন্যা

    Anubrata Mondal: গরু পাচার-কাণ্ডে ইডির সামনে হাজিরা বুধবার! দিল্লি গেলেন অনুব্রত কন্যা সুকন্যা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গরুপাচার মামলায় বুধবার ইডি-র সামনে হাজিরা দিতে দিল্লি গেলেন অনুব্রত (Anubrata Mandal)-কন্যা সুকন্যা মণ্ডল। গত ২৭ অক্টোবর তাঁকে তলব করে ইডি। কিন্তু সেদিন তিনি হাজিরা দেননি। সুকন্যা মণ্ডল জানিয়েছিলেন তিনি রাজ্যের বাইরে রয়েছেন। সেকারণে হাজিরা দিতে পারবেন না।  দ্বিতীয়বার ২ নভেম্বর (বুধবার) দিল্লিতে ইডির সদর দফতরে গিয়ে তাঁকে হাজিরা দেওয়ার কথা বলে ইডি। তাই ৩১ তারিখ দিল্লি রওনা দেন সুকন্যা। প্রয়োজনীয় নথিপত্র-সহ সুকন্যা মণ্ডল সোমবার সকালে বোলপুর (Bolpur) থেকে সড়কপথে অন্ডাল বিমানবন্দরে পৌঁছে যান। সেখান থেকে আকাশপথে দিল্লির উদ্দেশে রওনা হন। তাঁর সঙ্গে তাঁদের পারিবারিক হিসাবরক্ষক মণীশ কোঠারি ও অনুব্রত-ঘনিষ্ঠ আহেমদপুরের চালকল মালিক তথা তৃণমূল (TMC) যুব নেতা রাজীব ভট্টাচার্যও দিল্লি রওনা হয়েছেন।

    আরও পড়ুন: তিন প্রতিবেশী রাষ্ট্রের সংখ্যালঘু শরণার্থীদের ভারতীয় নাগরিকত্ব, বড় পদক্ষেপ কেন্দ্রের

    প্রসঙ্গত, গরুপাচার মামলার তদন্তে নেমে শুরু থেকেই বিপুল সম্পত্তির হদিশ পান তদন্তকারীরা। উঠে আসে ভোলেব্যোম রাইস মিল সহ একাধিক চালকলের নাম। তদন্তের শিকড়ে পৌঁছতে গিয়ে তদন্তকারীদের সামনে উঠে আসে এএনএম অ্যাগ্রোকেম ফুড প্রাইভেট লিমিটেড ও নীড় ডেভেলপার্স প্রাইভেট লিমিটেড নামে দুই সংস্থার নাম। এই দুই সংস্থার ডিরেক্টর পদে রয়েছেন সুকন্যা। সিবিআই চার্জশিটেও এই সংস্থাগুলির নাম রয়েছে।

    আরও পড়ুন: তৃণমূলকে পঞ্চায়েত ভোটে জিতিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করছে রাজ্য নির্বাচন কমিশন! অভিযোগ শুভেন্দুর

    সিবিআইয়ের জমা দেওয়া চার্জশিট অনুসারে ২০১৩-১৪ অর্থবর্ষে সুকন্যার আয় ছিল ৩ লক্ষ ১০ হাজার টাকা। ২০২০-২১ অর্থবর্ষে তা বেড়ে হয়েছে ১ কোটি ৪৫ লক্ষ টাকা। অন্তত ৩ কোটি টাকার ফিক্সড ডিপোজিট রয়েছে সুকন্যার নামে। সুকন্যার মালিকানাধীন সংস্থা এএনএম অ্যাগ্রোকেম লিমিটেডের আয়ব্যায়ের হিসাব চেয়েছে ইডি। আয়বৃদ্ধিতে বাবা অনুব্রত মণ্ডলকেও পিছনে ফেলেছেন সুকন্যা। দিল্লিতে অনুব্রতর দেহরক্ষী সায়গল হোসেনকে জেরা করেছেন ইডি গোয়েন্দারা। তাঁর থেকে সুকন্যার ধনসম্পত্তির বহু তথ্য পেয়েছেন গোয়েন্দারা। সূত্রের খবর, সেই তথ্য যাচাই করতেই সুকন্যাকে দিল্লিতে তলব করেছে ইডি। 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

     

  • Citizenship Ammendment Act: পশ্চিমবঙ্গেও সিএএ প্রয়োগ হবে, সুবিধা পাবেন মতুয়ারাও, ঘোষণা শুভেন্দুর

    Citizenship Ammendment Act: পশ্চিমবঙ্গেও সিএএ প্রয়োগ হবে, সুবিধা পাবেন মতুয়ারাও, ঘোষণা শুভেন্দুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এক যাত্রায় পৃথক ফল হবে না। গুজরাটের পর পশ্চিমবঙ্গেও সিএএ (Citizenship Ammendment Act) প্রয়োগ হবে। এতে নমঃশুদ্রদের সুবিধা হবে। মঙ্গলবার এ কথা বলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা বিজেপির শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)।

    গুজরাটের (Gujarat) মেহসানা ও আনন্দ জেলায় বসবাসকারী পাকিস্তান, বাংলাদেশ, আফগানিস্তান থেকে আসা হিন্দু, শিখ, বৌদ্ধ, জৈন, পার্শি ও খ্রিস্টানদের ভারতীয় নাগরিকত্ব দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক। জেলা আধিকারিকদের এই মর্মে শংসাপত্র দেওয়ার অনুমতিও দেওয়া হয়েছে কেন্দ্রের তরফে। ভারতীয় নাগরিকত্ব পেতে এ দেশে অন্তত পাঁচ বছর বসবাস করতে হয়। এ ক্ষেত্রে তা প্রযোজ্য হবে না। গুজরাটের এই খবরেই যারপরনাই উচ্ছ্বসিত রাজ্যের বিরোধী দলনেতা।

    নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন (Citizenship Ammendment Act) নিয়ে নন্দীগ্রামের বিধায়ক বলেন, এটা তো সিএএ-র অংশ। সিএএ-র বাস্তবায়ন শুরু হয়ে গেল। ভারতবর্ষের অংশ পশ্চিমবঙ্গ। পশ্চিমবঙ্গেও হয়ে যাবে। সিএএ আইন দুটো সংসদেই পাশ করা আছে। আমরা অপেক্ষা করছিলাম। নিশ্চয় রুল হয়ে গিয়েছে। তিনি বলেন, এই একই রুলে পশ্চিমবঙ্গে মতুয়া সমাজ, নমঃশুদ্র সমাজ তাঁরা ভিসা করতে গেলে, পারমিট করতে গেলে, চাকরির ক্লিয়ারেন্স নিতে গেলে বলা হয়, ৭১এর আগের দলিল আনো, সেই সমস্যা আর থাকল না। শুভেন্দু বলেন, এক যাত্রায় পৃথক ফল হয় না। গুজরাটে যখন বাস্তবায়ন হয়ে গিয়েছে, নিশ্চয় রুল ফ্রেম করে ফেলেছে ভারত সরকার।

    আরও পড়ুন: তিন প্রতিবেশী রাষ্ট্রের সংখ্যালঘু শরণার্থীদের ভারতীয় নাগরিকত্ব, বড় পদক্ষেপ কেন্দ্রের

    সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন (Citizenship Ammendment Act) প্রয়োগ করা হবে বলে বারংবার বলেছে কেন্দ্র। উনিশের ভোটের আগে সিএএ প্রয়োগের প্রতিশ্রুতিও দিয়েছিল বিজেপি। তার পুরস্কারও পেয়েছিল পদ্ম শিবির। মতুয়াদের একটা বিরাট অংশের সমর্থন গিয়ে পড়েছিল গেরুয়া ঝুলিতে। ভোট পর্ব চুকে যাওয়ার পরেও সিএএ কেন লাগু হয়নি, সে প্রশ্নও ওঠে। এ নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করেন বনগাঁর সাংসদ বিজেপির শান্তনু ঠাকুর। শান্তনু কেন্দ্রের মন্ত্রীও। পরে সিএএ প্রয়োগ করা হবে বলে আশ্বাস দেওয়া হয় কেন্দ্রের তরফে। শান্ত হন শান্তনু। প্রসঙ্গত, ৬ ডিসেম্বর সুপ্রিম কোর্টে শুরু হবে সিএএ শুনানি।

     

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

  • Kiren Rijiju: ‘বাংলায় গণতন্ত্র রক্তাক্ত, কাঁদছে’, মুখ্যমন্ত্রীর ‘আবেদনে’র প্রেক্ষিতে পাল্টা দিলেন রিজিজু

    Kiren Rijiju: ‘বাংলায় গণতন্ত্র রক্তাক্ত, কাঁদছে’, মুখ্যমন্ত্রীর ‘আবেদনে’র প্রেক্ষিতে পাল্টা দিলেন রিজিজু

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিচার ব্যবস্থার কাছে গণতন্ত্র বাঁচানোর আবেদন করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। সে প্রসঙ্গে মুখ্যমন্ত্রীকে একহাত নিয়েছেন কেন্দ্রীয় আইনমন্ত্রী কিরেন রিজিজু (Kiren Rijiju)। তাঁর অভিযোগ, রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেস আইনের শাসনকে হরণ করেছে। বিচার ব্যবস্থার প্রতি তাদের আস্থা সামান্যই। ঘটনা প্রসঙ্গে মুখ্যমন্ত্রীকে নিশানা করেছেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীও (Suvendu Adhikari)। তাঁর মতে, বিচারব্যবস্থাকে প্রভাবিত করতেই এই কথাগুলো বলছেন মুখ্যমন্ত্রী।

    রবিবার নিউটাউনের বিশ্ববাংলা কনভেনশন সেন্টারে পশ্চিমবঙ্গ ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি অফ জুরিডিক্যাল সায়েন্সসের ১৪তম সমাবর্তন অনুষ্ঠানে নাম না করে বিজেপিকে নিশানা করেন মুখ্যমন্ত্রী। বলেন, আমি বলছি না যে মানুষ বিচার ব্যবস্থার প্রতি আস্থা হারিয়ে ফেলেছে। কিন্তু আজকাল দেখা যাচ্ছে এটি আরও খারাপের দিকে যাচ্ছে। বিচার বিভাগ মানুষকে বিপর্যয়ের হাত থেকে বাঁচায়। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, জনগণের কান্না শুনতে হবে। মানুষ দরজার আড়ালে কাঁদছে। আজকাল অনেক কিছুই চলছে। রায়ের আগে মিডিয়া ট্রায়াল চলছে। তারা যে কাউকে অভিযুক্ত করতে পারে? আমাদের সম্মান না থাকলে কিছু থাকে না। আমি সকলের কাছে অনুরোধ করছি, যুক্তরাষ্ট্রীয় পরিকাঠামোকে বাঁচান। অহেতুক হয়রানি চলছে, প্লিজ গণতন্ত্র বাঁচান।

    এর পরেই বাংলার মুখ্যমন্ত্রীকে একহাত নিয়েছেন রিজিজু (Kiren Rijiju)। ট্যুইট বার্তায় তিনি লেখেন, মমতা দিদি পশ্চিমবঙ্গ সম্পর্কে সত্য বলছেন। কারণ বিচারব্যবস্থার প্রতি তৃণমূলের (TMC) আস্থা সামান্যই। বিচারকদের প্রতি কোনও শ্রদ্ধাও নেই। তাঁর অভিযোগ, রাজ্যে আইনের শাসনের বদলে তৃণমূলের শাসন চলছে। রিজিজু বলেন, বাংলায় গণতন্ত্র রক্তাক্ত, কাঁদছে।

    আরও পড়ুন: ডিসেম্বরেই পতন হচ্ছে তৃণমূল সরকারের? কী বললেন শুভেন্দু?

    মুখ্যমন্ত্রীকে নিশানা করেছেন শুভেন্দুও। রাজ্যের বিরোধী দলনেতা বলেন, বিচারব্যবস্থাকে প্রভাবিত করতেই মুখ্যমন্ত্রী এই কথাগুলো বলছেন। এর আগেও তিনি বিচারপতিরা কীভাবে বিচার করবেন, সে পরামর্শ দিয়েছেন। এ রাজ্যে বিভিন্ন দুর্নীতির ইস্যু নিয়ে যেভাবে বিচার ব্যবস্থা অগ্রসর হয়েছে, তাতে তিনি ভীত এবং আতঙ্কিত। শুধুমাত্র মুখ্যমন্ত্রী নন, গোটা তৃণমূল কংগ্রেস আতঙ্কিত। মিডিয়া ট্রায়াল প্রসঙ্গে নন্দীগ্রামের বিধায়ক বলেন, চাকরি বিক্রি সহ যেভাবে সংবাদ মাধ্যম বিভিন্ন দুর্নীতি জনসমক্ষে তুলে ধরছে, সেই কারণেই সংবাদমাধ্যমকে ভয় দেখাচ্ছেন উনি। সংবাদ মাধ্যম একের পর এক দুর্নীতি ফাঁস করাতেই মুখ্যমন্ত্রী আতঙ্কিত ও ভীত হয়েই এমন বক্তব্য পেশ করছেন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Suvendu Adhikari: রাজ্যের ডেঙ্গি পরিস্থিতি নিয়ে কবে তৎপর হবেন মুখ্যমন্ত্রী? প্রশ্ন শুভেন্দুর

    Suvendu Adhikari: রাজ্যের ডেঙ্গি পরিস্থিতি নিয়ে কবে তৎপর হবেন মুখ্যমন্ত্রী? প্রশ্ন শুভেন্দুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজ্যে ডেঙ্গির পরিস্থিতি হয়ে উঠেছে আরও ভয়াবহ। দিনের পর দিন ডেঙ্গি আক্রান্তের সংখ্যা লাফিয়ে লাফিয়ে বেড়েই চলেছে। আবার এখন আবার শুধুমাত্র ডেঙ্গিই নয়, ম্যালেরিয়াও নতুন করে চোখ রাঙাতে শুরু করেছে। ফলে এই অবস্থায় রাজ্য সরকার তথা মমতা বন্দ্যেপাধ্যায়ের পদক্ষেপ নিয়ে তীব্র কটাক্ষ করলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। রাজ্যে ডেঙ্গি ও ম্যালেরিয়ার পরিস্থিতি নিয়ে তিনি রাজ্য সরকারকে তোপ দেগে বললেন, “ভয়ঙ্কর অবস্থা, সরকার নেই, সরকার ছুটি কাটাচ্ছে। দুর্গাপুজোয় ১১দিন, কালীপুজোয় ৮দিন, ছুটি আর ছুটি।”

    সরকারি হিসাব অনুযায়ী ম্যালেরিয়ার আক্রান্ত সংখ্যা বেড়েছে তিন গুণেরও বেশি। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রককে পাঠানো রিপোর্ট অনুযায়ী, দু’মাসে রাজ্যে ম্যালেরিয়া আক্রান্ত বেড়ে হয়েছে ৯৭৪৪ জন। আবার অন্যদিকে ডেঙ্গিতে আক্রান্তের সংখ্যা ৪৫ হাজারে দাঁড়িয়েছে। অন্তত ৬২ জন ডেঙ্গি আক্রান্তের মৃত্যুর খবর সামনে এসেছে। যা দেশের মধ্যে সর্বোচ্চ।

    ফলে এই প্রেক্ষাপটে দাঁড়িয়ে শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari) রাজ্য সরকারকে কড়া ভাষায় আক্রমণ করে প্রশ্ন করেন, ‘এই মৌসুমে রাজ্যে ৪০ হাজার এরও বেশি ডেঙ্গির ঘটনার সামনে এসেছে। অক্টোবরের শেষের দিকে শহর কলকাতায় ৩৫০০ জনের বেশি কেস সামনে এসেছে। এই রেকর্ড সংখ্যক ডেঙ্গি কেস কি স্বাস্থ্য মন্ত্রীর নজর এড়িয়ে গিয়েছে? কবে তৎপর হবেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়? পাশাপাশি তিনি আরও বলেন, ‘যেসব এলাকায় সবচেয়ে বেশি সংখ্যক আক্রান্ত হয়েছে, সেই সব এলাকা গুলি কি স্বাস্থ্য দপ্তরের পক্ষ থেকে চিহ্নিত করা হয়েছে? কি কি সতর্কতামূলক পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে? প্রতিদিন ডেঙ্গিতে মানুষ মারা যাচ্ছে এমনকি পুলিশকর্মীরাও সুরক্ষিত নয়। এবার মুখ্যমন্ত্রীর উৎসবের মেজাজ থেকে বের হওয়া উচিত, কারণ ছুটি শেষ।’  

    প্রসঙ্গত, প্রতি দু’মাস অন্তর অন্তর পতঙ্গ বাহিত রোগে আক্রান্ত এবং মৃতের পরিসংখ্যান কেন্দ্রকে পাঠাতে হয়, প্রত্যেকটি রাজ্য সরকারকে। সব রাজ্য থেকে ডেটা আসার পর সেগুলি বিশ্লেষণ করে তারপর সেগুলি প্রকাশ করে কেন্দ্র। ৩১ অগাস্ট পর্যন্ত সারা দেশের ম্যালেরিয়া রিপোর্ট চলতি মাসে সর্বসমক্ষে এনেছে কেন্দ্র সরকার। তবে ম্যালেরিয়ার পরিসংখ্যান পাঠানো হলেও, রাজ্য সরকারের তরফে কেন্দ্রকে এখনও ডেঙ্গি রিপোর্ট পাঠানো হয়নি। আৎ এ নিয়ে শুরু হয়েছে বিতর্ক। চলতি বছরের এপ্রিল মাসের পর থেকেই ডেঙ্গিতে আক্রান্ত এবং মৃতের কোন তথ্য কেন্দ্র সরকারকে পাঠায়নি রাজ্য। শেষবার যখন ডেঙ্গির রিপোর্ট পাঠানো হয়েছিল তখন রাজ্যে ডেঙ্গি আক্রান্তের সংখ্যা ছিল ২৩৯। বর্তমানে যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৪৫ হাজারে। ফলে এসব নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু হয়েছে। ও এর পাশাপাশি রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari) রাজ্য সরকারকে একহাত নিলেন।

  • Sukumar Ray: ‘হ য ব র ল’ এর রচয়িতার জন্মদিন আজ, জানুন তাঁর জীবন কথা

    Sukumar Ray: ‘হ য ব র ল’ এর রচয়িতার জন্মদিন আজ, জানুন তাঁর জীবন কথা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বর্তমানের শৈশব আটকে রয়েছে স্মার্টফোনের (Smart Phone) গেম এবং ইউটিউবের (Youtube) কার্টুনে। কিন্তু যখন স্মার্টফোন ছিল না, ইউটিউবের এত চল ছিল না, তখনকার শৈশবে বেশ কিছু বন্ধু ছিল। কিছু বন্ধু আমাদের সঙ্গে স্কুলে যেত, কিছু বন্ধু একসঙ্গে ডাংগুলি, লুকোচুরি, ক্রিকেট খেলতো। আর কিছু বন্ধু ছিল কাল্পনিক। শৈশবের এক বন্ধু ৪১ নম্বর গেছোবাজার কাগেয়াপট্টি-র বাসিন্দা।

    শ্রী কাকেশ্বর কুচকুচের কথা আমাদের নিশ্চয়ই এখনও মনে আছে। আমরা ভুলিনি সেই চন্দ্রবিন্দু নামের অদ্ভুত মোটাসোটা লাল টকটকে বিড়ালটাকে। যে কথায় কথায় এক চোখ বন্ধ করে বিশ্রী রকমের হাসি হাসতো ফ্যাচফ্যাচ করে। কিংবা ধরুন ওই হিজিবিজবিজ-এর কথা।  বিদঘুটে দেখতে এই জন্তুটি যা খুশি কল্পনা করে আর সেগুলো ভেবে ভেবে হেসে গড়িয়ে পড়ে। পাগলা দাশুর কথা শুনতে শুনতে তো হেসে লুটিয়ে পড়ে না এমন মানুষ খুব কম আছেন। বিশেষত নাটকের স্ক্রিপ্টের বাইরে গিয়ে যখন দাশু বলে ‘আবার সে আসিয়াছে ফিরে’। নন্দলাল কে তো আজও ভুলিনি আমরা। বেচারার কপালটা সত্যিই মন্দ। এদের নিয়েই অনেকের শৈশব কেটেছে। স্রষ্টার নাম নিশ্চয়ই আলাদা ভাবে মনে করাতে হবে না। আজ তাঁর জন্মদিন। আবোলতাবোল, হযবরল-র রচয়িতা বিখ্যাত শিশু সাহিত্যিক সুকুমার রায় (Sukumar Ray) ছিলেন উপেন্দ্রকিশোর রায় ও বিধুমুখী দেবীর পুত্র। তাঁরা ছিলেন পাঁচ ভাই-বোন। সুখলতা, পুণ্যলতা ও শান্তিলতা নামের তিন বোন এবং সুবিনয় রায় ও সুবিমল রায় নামের দুই ভাই।

    সুকুমার রায়ের (Sukumar Ray) জন্ম ১৮৮৭ সালের ৩০শে অক্টোবর কলকাতার এক দক্ষিণ রাঢ়ীয় কায়স্থ বংশীয় ব্রাহ্ম পরিবারে। পিতা উপেন্দ্রকিশোর রায় ছিলেন বিখ্যাত শিশু সাহিত্যিক‌। এই অসামান্য প্রতিভার যোগ্য উত্তরাধিকারী হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেছিলেন ‘পাগলা দাশু’ চরিত্রের স্রষ্টা। সুকুমার রায়ের মা বিধুমুখী দেবী ছিলেন ব্রাহ্মসমাজের দ্বারকানাথ গঙ্গোপাধ্যায়ের কন্যা। সুকুমার রায়ের আদিনিবাস বর্তমান বাংলাদেশের ময়মনসিংহ জেলার কিশোরগঞ্জ মহকুমার (বর্তমান কিশোরগঞ্জ জেলা) কটিয়াদি উপজেলার মসূয়া গ্রামে। মসূয়াতে বসবাসের আগে তাঁর পূর্বপুরুষের আদিনিবাস ছিল অধুনা পশ্চিমবঙ্গের নদিয়া জেলার অন্তর্গত চাকদহে৷ চিত্রশিল্পী হিসেবেও তিনি অসাধারণ মুন্সিয়ানা দেখিয়েছেন। শিশু সাহিত্যের বইগুলির চিত্র তিনি নিজেই আঁকতেন। ছাত্রাবস্থায় অসাধারণ মেধাবী এই ছাত্র কলকাতার প্রেসিডেন্সি কলেজ থেকে ১৯০৬ সালে রসায়ন ও পদার্থবিদ্যায় বি.এস.সি. (অনার্স) করার পর মুদ্রণবিদ্যায় উচ্চতর শিক্ষার জন্য ১৯১১ সালে বিলেতে যান। সেখানে তিনি আলোকচিত্র ও মুদ্রণ প্রযুক্তির ওপর পড়াশোনা করেন এবং ভারতের অগ্রগামী আলোকচিত্রী ও লিথোগ্রাফার হিসেবে আত্মপ্রকাশ করে ভারতে ফিরে আসেন ১৯১৩ সালে। উপেন্দ্রকিশোর রায় ছোটদের মাসিক পত্রিকা ‘সন্দেশ’ চালাতেন। সুকুমার রায় দেশে ফেরার কিছুদিনের মধ্যে উপেন্দ্রকিশোর রায় প্রয়াত হলে, ‘সন্দেশ’ পত্রিকার দায়িত্বভার নিজের কাঁধে তুলে নেন সুকুমার রায়। প্রেসিডেন্সি কলেজে পড়াকালীন তিনি ‘ননসেন্স সংঘ’ নামে একটি সংস্থা প্রতিষ্ঠা করেছিলেন যার মুখপত্রের নাম ছিল ‘সাড়ে বত্রিশ ভাজা’।

    সুকুমার রায় (Sukumar Ray) ‘অতীতের কথা’ নামক একটি কাব্য রচনা করেছিলেন, যা ব্রাহ্ম সমাজের ইতিহাসকে সরল ভাষায় উপস্থাপন করেছিল – ছোটদের মধ্যে ব্রাহ্ম সমাজের মতাদর্শ ছড়িয়ে দেওয়ার লক্ষ্যে এই কাব্যটি একটি পুস্তিকার আকারে প্রকাশ করা হয়। ১৯২৩ সালে মাত্র ৩৫ বছর বয়সে এই বিখ্যাত শিশু সাহিত্যিক পরলোক গমন করেন। কালাজ্বর রোগে আক্রান্ত হয়েছিলেন তিনি। দুঃখের কথা তখনও অবধি কালাজ্বর রোগের টিকা আবিষ্কৃত হয়নি। পিতা সুকুমার রায়ের মৃত্যুর ঠিক দু বছর আগে ১৯২১ সালে জন্মগ্রহণ করেছিলেন সুযোগ্য সন্তান সত্যজিৎ রায় যিনি পরবর্তীকালে একজন আন্তর্জাতিক খ্যাতনামা বাঙালি হয়েছিলেন এবং জিতেছিলেন অস্কার।

    আরও পড়ুন: কার্তিক মাসে গ্রাম বাংলায় পালিত হয় ‘যমপুকুর ব্রত’! জানেন এর নেপথ্য গল্প?

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

  • Saradha Scam: ৯ নভেম্বর নিলামে সারদা-র সম্পত্তি, আপনার টাকা আছে?

    Saradha Scam: ৯ নভেম্বর নিলামে সারদা-র সম্পত্তি, আপনার টাকা আছে?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফের খবরের শিরোনামে সারদাকাণ্ড (Saradha scam)। চিটফান্ড সংস্থা সারদার বেআইনিভাবে তোলা অর্থ উদ্ধার করতে সম্পত্তি নিলাম করা হবে, তা আগেই জানা গিয়েছিল, তবে এই নিলামের দিন আরও বাড়িয়ে দেওয়া হল। এর আগে জানা গিয়েছিল, ১ নভেম্বর সারদার সম্পত্তির নিলাম করা হবে। কিন্তু পরে বাজার নিয়ামক সংস্থা সিকিউরিটিস অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ বোর্ড অফ ইন্ডিয়া-র (সেবি) তরফে একটি বিজ্ঞপ্তি জারি করে জানানো হয়, চলতি বছরের ৯ নভেম্বর সম্পত্তির ই-নিলাম করা হবে।

    এই নিয়ে দুবার নিলামের দিন পিছিয়ে দেওয়া হল। সূত্রের খবর অনুযায়ী, এবার উৎসবের মরশুম এবং আগের নির্ধারিত নিলামের দিনে ব্যাংক ছুটির কারণে অগ্রিম (আর্নেস্ট মানি ডিপোজিট) জমা দেওয়ার জন্য আরও সময় চেয়ে বিডারদের স্বার্থ বিবেচনা করে, দিন  বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। ই-নিলামের (Saradha scam) শেষ তারিখ ৯ নভেম্বর, সেবি বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে। আরও জানানো হয়েছে, নিলামের ডাকে অংশ নিতে অগ্রিম জমা দেওয়ার শেষ দিন ৩ নভেম্বর।

    সারদা মামলায় (Saradha scam) এখনও বহু আমানতকারী টাকা ফেরত পায়নি। সেই সমস্ত আমানতকারীদের টাকা ফেরত দেওয়ার জন্য কলকাতা হাইকোর্ট সারদা মামলা পাঠায় অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি শৈলেন্দ্রপ্রসাদ তালুকদারের কমিটির কাছে। সারদা কেলেঙ্কারি প্রকাশ্যে আসার পরেই তদন্ত করেছে সিবিআই, ইডি এবং রাজ্যের একাধিক তদন্তকারী সংস্থা। এই সমস্ত তদন্তকারী সংস্থার হাতে সারদার টাকা এবং সম্পত্তি আছে। সেই সমস্ত অর্থ এবং সম্পত্তি তালুকদার কমিটির হাতে তুলে দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্ট। আবেদনকারীদের আইনজীবী অরিন্দম দাস জানান, বিচারপতি আইপি মুখার্জি এবং বিচারপতি শুভেন্দু সামন্তের ডিভিশন বেঞ্চ নির্দেশ দিয়েছে এই সমস্ত স্থাবর-অস্থাবর সম্পত্তি বাজার নিয়ামক সংস্থা সেবির মাধ্যমে বিক্রি করবে তালুকদার কমিটি। এরপর সেই টাকা আমানতকারীদের ফেরাতে পদক্ষেপ নেবে কমিটি।

    সূত্রের খবর অনুযায়ী, সারদা গ্রুপ অফ কোম্পানির (Saradha scam) ৬৯টি সম্পত্তি নিলাম করা হবে। সবমিলিয়ে এগুলির সর্বনিম্ন দাম ৩০ কোটি টাকা। এই সম্পত্তিগুলি পূর্ব মেদিনীপুরের কাঁথি ও দক্ষিণ ২৪ পরগনার বিষ্ণুপুরে ছড়িয়ে আছে। বেআইনি প্রকল্পের মাধ্যমে সারদা জনগণের কাছ থেকে যে অর্থ সংগ্রহ করেছে, তা উদ্ধার করতেই সেবি-র এই উদ্যোগ। এছাড়াও সেবি C1 ইন্ডিয়াকে ই-নিলাম প্রদানকারী হিসাবে নিয়োগ করেছে ও অনলাইন রেজিস্ট্রেশন এবং ই-নিলাম Quikr Realty-র মাধ্যমে পরিচালিত করা হবে বলে জানানো হয়েছে। আবার বিডারদের তাদের বিড জমা দেওয়ার আগে নিলামে রাখা সম্পত্তির দায়বদ্ধতা, মামলা, সংযুক্তি, অধিগ্রহণের দায় সম্পর্কে তাদের নিজস্ব তদন্ত করার জন্য বলা হয়েছে।  

    প্রসঙ্গত, ২০১৩ সালের আগে পর্যন্ত সক্রিয় ছিল এই চিটফান্ড  সংস্থা (Saradha scam)। সারদা গ্রুপ অফ কোম্পানি, ২৩৯ টিরও বেশি বেসরকারী সংস্থার একটি কনসোর্টিয়াম, খুব অল্প সময়ের মধ্যে প্রায় ১৭ লাখ মানুষের সঙ্গে প্রতারণা করেছে সারদা। সূত্রের খবর অনুযায়ী, প্রায় ১৭ লক্ষ মানুষের সঙ্গে প্রতারণা করে প্রায় ৪০০০ কোটি টাকা সংগ্রহ করেছিল এই সংস্থা। ঘটনায় অনেক প্রভাবশালী ব্যক্তির নামও জড়ায়। তদন্তভার হাতে নিয়ে তাঁদের মধ্যে কয়েকজনকে গ্রেফতার করেছে সিবিআই।

     

  • Amit-Mamata Meet: নবান্নে এখনই বৈঠক হচ্ছে না অমিত শাহ- মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের, বাতিল হয়েছে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর বাংলা সফর

    Amit-Mamata Meet: নবান্নে এখনই বৈঠক হচ্ছে না অমিত শাহ- মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের, বাতিল হয়েছে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর বাংলা সফর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কিছুদিন আগেই শোনা গিয়েছিল নবান্নে মুখোমুখি সাক্ষাৎ হতে পারে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ (Amit Shah) এবং রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। কিন্তু শেষ পাওয়া খবর অনুযায়ী আপাতত রাজ্যে আসছেন না অমিত শাহ। রাজ্যে মূলত পূর্বাঞ্চলীয় কাউন্সিলের বৈঠকে যোগ দিতে আসার কথা ছিল স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর। কিন্তু অন্যান্য কর্মসূচি থাকায় বাতিল করেছেন পূর্বাঞ্চলীয় রিজিওনাল কাউন্সিলের বৈঠক। কবে হবে সেই বৈঠক, তা এখনও ঠিক করা হয়নি। আর সেই কারণেই এখন দেখা হচ্ছে না মুখ্যমন্ত্রী-স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর। ৫ নভেম্বর হওয়ার কথা ছিল পূর্বাঞ্চলীয় কাউন্সিলের বৈঠকে।      

    আগামী ৫ নভেম্বর পূর্বাঞ্চলীয় বৈঠক হওয়ার কথা ছিল। অমিত শাহে পূর্বাঞ্চলীয় পরিষদের চেয়ারম্যান। তাই এই বৈঠকে নেতৃত্ব দেওয়ার কথা ছিল তাঁরই। কিন্তু ওই সময় অন্য বিষয়ে ব্যস্ত থাকবেন। সেই কারণে নির্ধারিত বৈঠক বাতিল করেছেন। পরবর্তীকালে কবে বৈঠক হবে তা অবশ্য তিনি সংশ্লিষ্ট রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীদের সঙ্গে আলোচনা করেই স্থির করবেন বলে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক সূত্রের খবর।

    আরও পড়ুন: টেক অফের আগে আগুনের ঝলক, ইন্ডিগো বিমানে বিপত্তিতে বিস্তারিত তদন্তের নির্দেশ ডিজিসিএর         

    পূর্বাঞ্চলীয় পরিষদের চেয়ারম্যান অমিত শাহ এবং ভাইস চেয়ারম্যান মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। দুজনের সম্পর্কের তিক্ততার কথা কারও অজানা নয়। পূর্বাঞ্চলীয় বৈঠকের পাশাপাশি মমতা- অমিত শাহের একটি আলাদা বৈঠক হওয়ারও কথা ছিল। এই নিয়ে রাজনৈতিক জল্পনাও হয় বিস্তর। সূত্রের খবর, নবান্নেই সেই বৈঠক হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু অমিত শাহর রাজ্য সফর আপাতত বাতিল হওয়ায়, বাতিল হয়েছে বৈঠকও। 

    পূর্বাঞ্চলীয় পরিষদের সদস্য রাজ্যগুলি হল- পশ্চিমবঙ্গ, বিহার, ওড়িশা, অসম, ঝাড়খণ্ড ও সিকিম। পরিষদের বৈঠক হওয়ার কথা ছিল কলকাতায়। ২০২০ সালে  এই বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছিল ওড়িশায়। সেই বৈঠকে অমিত শাহের মুখোমুখী হয়েছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তার আগে ২০১৯ সালে এই বৈঠক হয়েছিল এই রাজ্যের নবান্নে। সেই বৈঠকে তখন উপস্থিত ছিলেন তৎকালীন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রাজনাথ সিং। 

    মূলত পূর্বাঞ্চলের রাজ্যগুলির সীমান্ত নিরাপত্তা সংক্রান্ত আলোচনা নিয়ে এই বৈঠক হওয়ার কথা ছিল৷ অমিত শাহ, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ছাড়াও বৈঠকে অংশ নিতে কলকাতায় আসার কথা ছিল বিহার, ওড়িশা, অসম, ঝাড়খণ্ড এবং সিকিমের মুখ্যমন্ত্রীদেরও৷

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

  • SSC Scam: দুর্নীতি হচ্ছে জেনেও চুপ ছিলেন পার্থ-মানিক, আদালতে জানাল ইডি  

    SSC Scam: দুর্নীতি হচ্ছে জেনেও চুপ ছিলেন পার্থ-মানিক, আদালতে জানাল ইডি  

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ক্রমেই ইডির জালে জড়িয়ে পড়ছেন প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের অপসারিত সভাপতি মানিক ভট্টাচার্য (Manik Bhattacharya)। শুক্রবার তাঁর বিরুদ্ধে বড়সড় অভিযোগ করল ইডি (ED)। কেন্দ্রীয় এই তদন্তকারী সংস্থার অভিযোগ, অনলাইন ক্লাস পরিচালনার জন্য মানিকের ছেলে শৌভিকের সংস্থা এডুক্লাসেস অনলাইনকে ২ কোটি ৪৭ লক্ষ টাকা দেওয়া হয়েছে। অনলাইন ক্লাসের নামে যে দুর্নীতি হচ্ছে, সে সম্পর্কে তৎকালীন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় (Partha Chatterjee) সব জানতেন। মানিককে তিনি তা জানিয়েওছিলেন। তার পরেও দুর্নীতি রুখতে কোনও পদক্ষেপ করা হয়নি বলে অভিযোগ ইডির।

    কেন্দ্রীয় তদন্তকারী এই সংস্থার দাবি, এডুক্লাসেসের মাধ্যমে পড়ুয়াপিছু নেওয়া হয় ৫০০ করে টাকা। ওই টাকা দিলেই মিলত অনলাইনে ক্লাসের ছাড়পত্র। পলাশিপাড়ার বিধায়কের এসব কাজকর্ম সম্পর্কে সবই জানতেন পার্থ। তার পরেও চোখ বুজে ছিলেন। এদিন, আদালতে নথি জমা দিয়ে ইডির আধিকারিকরা বলেন, ২০২০ সালের পয়লা এপ্রিল থেকে ২০২১ সালের ৩১ মার্চ পর্যন্ত অল বেঙ্গল টিচার্স ট্রেনিং অ্যাচিভার্স অ্যাসোসিয়েশনের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট থেকে এডুক্লাসেসের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে দফায় দফায় মোট ২ কোটি ৪৭ লক্ষ টাকা পাঠানো হয়েছে অনলাইন ক্লাসের জন্য। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার দাবি, সব জেনেশুনেও মানিককে নিরস্ত করেননি পার্থ। অনলাইন ক্লাসের নামে পড়ুয়াদের কাছ থেকে টাকা নেওয়া বন্ধেও কোনও পদক্ষেপ করেননি তিনি। মানিকও দিব্যিই ছিলেন।

    আরও পড়ুন: মৃত ব্যক্তির সঙ্গে জয়েন্ট অ্যাকাউন্টে কোটি কোটি টাকা মানিকের স্ত্রীর! বিস্ফোরক ইডি

    ইডির আরও দাবি, পলাশিপাড়ার তৃণমূল বিধায়কের পরিবারের একাধিক সদস্যের সন্দেহজনক ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের হদিশ পাওয়া গিয়েছে। মানিকের স্ত্রীর সঙ্গে জনৈক মৃত্যঞ্জয় চট্টোপাধ্যায়ের জয়েন্ট অ্যাকাউন্টের হদিশ মিলেছে। ২০১৬ সালে প্রয়াত হন মৃত্যুঞ্জয়। কিন্তু তাঁর সঙ্গে এখনও জয়েন্ট অ্যাকাউন্ট রয়েছে তৃণমূল বিধায়কের স্ত্রীর। এ থেকে এটাও স্পষ্ট, মৃত্যুঞ্জয়ের প্রয়াণের পরেও তাঁর কেওয়াইসি আপডেট এবং প্যানকার্ড ব্যবহার করা হয়েছে। প্রসঙ্গত, এই মামলায় চার্জশিট দিয়ে পার্থ ও মানিকের হোয়াটসঅ্যাপ চ্যাটের বিষয়টি আগেই প্রকাশ্যে এনেছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

LinkedIn
Share