Category: রাজ্য

Get West Bengal News, Bengali Breaking News, Latest News in Bengali only from মাধ্যম | Madhyom, Bengali News Portal for সম্পূর্ণ নিরপেক্ষ বাংলা সংবাদ, বাংলা খবর

  • WB Panchayat Election: নতুন বছরের শুরুতেই পঞ্চায়েত নির্বাচন! হাওড়া পুরসভার ভোট কবে?

    WB Panchayat Election: নতুন বছরের শুরুতেই পঞ্চায়েত নির্বাচন! হাওড়া পুরসভার ভোট কবে?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নতুন বছরের গোড়ায়ই হতে পারে পঞ্চায়েত নির্বাচন (WB Panchayat Election)। যদি নিতান্তই জানুয়ারিতে ভোট করানো না যায়, তাহলে সেক্ষেত্রে ভোট হবে মার্চের শেষ কিংবা এপ্রিলের প্রথমে। রাজ্য নির্বাচন কমিশন (State Election Commission) সূত্রেই এ খবর মিলেছে। ইতিমধ্যেই নির্বাচনের প্রস্তুতি হিসেবে সীমানা পুনর্বিন্যাসের কাজ, আসন সংরক্ষণের জন্য প্রয়োজনীয় প্রক্রিয়া শেষ হয়ে গিয়েছে। আজ, বুধবারই ওই তালিকা প্রকাশ করে দেবে রাজ্য নির্বাচন কমিশন। ভোট হবে রাজ্য পুলিশ দিয়ে। এদিকে, হাওড়া পুরসভার ভোটও হতে পারে আগামী বছরেই।

    রাজ্য প্রশাসনের একটি অংশ জানুয়ারিতেই ভোট (WB Panchayat Election) করানোর পক্ষপাতী। শীতে নিতান্তই সম্ভব না হলে মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার দরুণ ভোট পর্ব শুরু হবে না মার্চের তৃতীয় সপ্তাহের আগে। সেক্ষেত্রে ভোট হবে এপ্রিলের গোড়ায়। কারণ পরীক্ষা শেষ হলে তবেই মাইক বাজিয়ে প্রচারে কোনও নিষেধাজ্ঞা থাকবে না। তবে ঠিক কবে ভোট হবে, তা জানা যাবে আর কিছু দিন পরে। এদিকে, দোরগোড়ায় পঞ্চায়েত নির্বাচন (WB Panchayat Election) ধরে নিয়ে প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছে রাজ্যের শাসক, বিরোধী সব শিবিরই। তৃণমূল নেতাদের জেলায় জেলায় গিয়ে জনসংযোগ বাড়াতে বলা হয়েছে। শীঘ্রই জেলা সফর শুরু করবেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং তৃণমূল নেতা অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছে বিজেপিও। ২০ জনের একটি বিশেষ কমিটি তৈরি করেছে পদ্ম শিবির। জেলাগুলিতে নিয়োগ করা হয়েছে পর্যবেক্ষক।

    আরও পড়ুন: ভোট পরবর্তী হিংসা মামলায় তলব সিবিআইয়ের, দু ঘণ্টা জেরা তৃণমূলের দেবরাজকে

    রাজ্যে এর আগে পঞ্চায়েত ভোট (WB Panchayat Election) হয়েছিল ২০১৮ সালে। সেবারও ভোট হয়েছিল রাজ্য পুলিশ দিয়ে। সেবার ব্যাপক সন্ত্রাসের অভিযোগ তুলেছিল বিজেপি, কংগ্রেস, সিপিএম। বিরোধীদের অভিযোগ, সন্ত্রাসের কারণে সেবার ৩৪ শতাংশ আসনে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়ী হয়েছিল তৃণমূল। বিরোধীদের দাবি, রাজ্য পুলিশ দিয়ে নির্বাচন হলে অবাধ ভোট হবে না। ফের সৃষ্টি হবে অশান্তির বাতাবরণ। সেই আবহে কীভাবে নিরপেক্ষ ভোট হবে, তা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন বিরোধীদের একাংশ। গত পঞ্চায়েত নির্বাচনে (WB Panchayat Election) রাজ্যের বহু আসনে প্রার্থী দিতে পারেননি বিরোধীরা। বিশেষত অনুব্রত মণ্ডলের বীরভূমে। তবে অনুব্রত এখন জেলে। ভোট পর্যন্ত তিনি ছাড়া না পেলে বীরভূমেও প্রার্থী দিতে পারবেন বিরোধীরা। এদিকে, নতুন বছরে ভোট হতে পারে হাওড়া পুরসভায়ও। মেয়াদ শেষেও নির্বাচন না হওয়ায়  পুরসভা চলছে প্রশাসক দিয়ে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

  • Suvendu Adhikari: রাজ্যে শীঘ্রই চালু হবে সিএএ! নাগরিক সংশোধনী বিল নিয়ে আশার আলো দেখালেন শুভেন্দু

    Suvendu Adhikari: রাজ্যে শীঘ্রই চালু হবে সিএএ! নাগরিক সংশোধনী বিল নিয়ে আশার আলো দেখালেন শুভেন্দু

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ‘নিশ্চিত থাকুন, খুবই শীঘ্রই আপনাদের স্বপ্নপূরণ হবে।’ বনগায় বিজয়া সম্মিলনীর অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে নাগরিক সংশোধনী বিল (CAA) নিয়ে আশার আলো দেখালেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। তিনি বলেন, ‘কয়েকদিন আগেই দিল্লি গিয়েছিলাম। জানতে চেয়েছিলাম, কবে আমাদের রাজ্যে CAA চালু হবে। ইতিবাচক উত্তর পেয়েছি। আমার বিশ্বাস, সেই সময় খুব দেরি নেই।’ পাঞ্চায়েত ভোটের আগে শুভেন্দু অধিকারীর এই বক্তব্যে বেজায় খুশি বনগাবাসী। কারণ, নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন পাস করা নিয়ে দীর্ঘদিন তারা আন্দোলন করেছেন।

    আরও পড়ুন: মুখ্যমন্ত্রীর বিজয়া সম্মিলনীতে হাজির করাতে হবে অনুদান পাওয়া ক্লাবগুলিকে, সরকারি নির্দেশে সরব শুভেন্দু

    যদিও এই আইন নিয়ে অতীতে কম বিতর্ক হয়নি। অনেকেরই মনে হচ্ছিল, ব্যাপারটি হয়তো লাল ফিতের ফাঁসে আটকে পড়েছে। কিন্তু রাজ্যের বিরোধী দলনেতার কথা শুনে ফের আশায় বুক বেঁধেছেন অনেকেই। ঠাকুর নগরে এক জনসভায় খোদ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (Narendra Modi) রাজ্যে সিএএ চালুর ব্যাপারে জোর সওয়াল করেছিলেন। সেই প্রসঙ্গ টেনে শুভেন্দু বলেন, ‘আজ না হয় কাল সিএএ আইন রাজ্যে লাঘু হবেই। কেউ আটকাতে পারবে না। কারণ, কথা দিয়েছেন খোদ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি, অমিত শাহ। তাঁরা যখন কথা দেন, তা রাখেন। আমি মনে করি, শুধু  সিএএ নয়, অবিলম্ব রাজ্যে এনআরসিও চালু হওয়া দরকার। এমনকী, জন্ম নিয়ন্ত্রণ আইন খুবই প্রয়োজন। তবে সবার আগে সিএএ চালুর ব্যবস্থা করছি আমরা। কারণ, এটা শান্তনু ঠাকুরের লড়াই, এই লড়াই বিধায়ক স্বপন মজুমদার, অশোক কীর্তনীয়া, সুব্রত ঠাকুর, অম্বিকায় রায়, অসীম সরকারদের। যা কোনওভাবইে বিফলে যাবে না। আমরা জয়ী হবই।’

    আরও পড়ুন: তিস্তায় রমরমিয়ে চলছে বালি পাচার, ভিডিও শেয়ার করে মুখ্যমন্ত্রীকে কটাক্ষ শুভেন্দুর

    লোকসভা ও রাজ্যসভায় সিএএ আইন পাস হয়েছে। এবার সেটা প্রয়োগ হবে, বলে জানান শুভেন্দু। বিরোধী দলনেতার কথায়, ‘আমাদের রাজ্যে দিনের পর দিন অনুপ্রবেশ বাড়ছে। কাঁটা তারের বেড়া টপকে এসে অনুপ্রবেশকারীরা আমাদের রেশন খাচ্ছে, জমি ছিনিয়ে নিচ্ছে, ভাগ বসাচ্ছে একশো দিনের কাজেও। আর বঞ্চিত হচ্ছে আমাদের ঘরের ছেলে-মেয়েরা। ভারতভূমিকে রক্ষা করার জন্য, পশ্চিমবঙ্গকে রক্ষা করার জন্য নাগরিক পঞ্জি তৈরি ভীষণই জরুরি।’

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

  • Manik Bhattacharya: টেট পরীক্ষার আগেই প্রশ্ন পৌঁছে যেত ট্রেনিং সেন্টারে! বিস্ফোরক তথ্য ইডি-র হাতে

    Manik Bhattacharya: টেট পরীক্ষার আগেই প্রশ্ন পৌঁছে যেত ট্রেনিং সেন্টারে! বিস্ফোরক তথ্য ইডি-র হাতে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রাথমিক টেট সংক্রান্ত দুর্নীতি মামলায় (Primary Tet Recruitment Scam) ফের এক পর্দা ফাঁস হল মানিক ভট্টাচার্যের (Manik Bhattacharya)। নিয়োগ দুর্নীতির তদন্তে সামনে এল টেটের (TET) ‘প্রশ্নফাঁস’-এর কথা। এই দুর্নীতি কাণ্ডে আগেই এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের (Enforcement Directorate) হাতে গ্রেফতার হয়েছেন প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের প্রাক্তন সভাপতি তথা তৃণমূল কংগ্রেস (Trinamool Congress) বিধায়ক মানিক ভট্টাচার্য (Manik Bhattacharya)। আর গ্রেফতারের পর থেকেই একের পর এক বিস্ফোরক তথ্য প্রকাশ্যে এসে চলেছে। আর এর মধ্যেই এবার আরও একটি তথ্য এল ইডির হাতে, যা দেখে চক্ষু চড়কগাছ। পরীক্ষার আগেই প্রশ্নপত্র কয়েকটি টিচার্স ট্রেনিং সেন্টারে চলে আসত বলে তথ্য পেয়েছে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (‌ইডি)‌। আর এই তথ্যেই ফের শোরগোল পড়ে গিয়েছে।  

    ইডি সূত্রে জানা গিয়েছে, মাঝে রাজ্যে একাধিক টিচার্স ট্রেনিং সেন্টার (Teachers Training Centre) গজিয়ে উঠেছিল, আর পরীক্ষার আগেই টেট পরীক্ষার প্রশ্নপত্র পৌঁছে যেত এই ট্রেনিং সেন্টারগুলোতে। আর এতে পুরো হাত ছিল প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের প্রাক্তন সভাপতি মানিক ভট্টাচার্যের (Manik Bhattacharya)। এমনটাই অভিযোগই উঠে আসে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের (ED) কাছে। ফলে এমন বিস্ফোরক অভিযোগের খবর সামনে উঠে আসতেই তদন্ত শুরু করেছে ইডির অফিসাররা।

    আরও পড়ুন: ভোট পরবর্তী হিংসা মামলায় তলব সিবিআইয়ের, দু ঘণ্টা জেরা তৃণমূলের দেবরাজকে

    এই প্রশ্ন ফাঁস-এর কাণ্ডে শুধুমাত্র মানিক (Manik Bhattacharya) নয়, এনার সঙ্গে তাঁর ঘনিষ্ঠ তাপস মণ্ডলেরও হাত রয়েছে বলে অনুমান করা হয়েছে। তাই তাপসের ৩৫ টি ব্যাংক অ্যাকাউন্টের উপর ক্রমাগত নজর রেখে চলেছে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা। শুধু তাই নয়, একইসঙ্গে তাপস মণ্ডলের বাড়ি থেকে উদ্ধার হওয়া একাধিক মোবাইল ফোনের মাধ্যমে তাঁর সঙ্গে মানিক ভট্টাচার্যের কি সম্পর্ক রয়েছে, তা খতিয়ে দেখছে ইডি।

    সম্প্রতি তদন্ত চলাকালীন ইডি আধিকারিকদের কাছে খবর আসে যে, টেট পরীক্ষার আগে প্রশ্নফাঁস হয়েছিল। অভিযোগ উঠেছে যে, মানিক ভট্টাচার্যের (Manik Bhattacharya) সম্মতিতেই তাঁর ঘনিষ্ঠদের শিক্ষক প্রশিক্ষণ কেন্দ্রেই পৌঁছে যেত প্রশ্ন ও উত্তরপত্র। তার আগে ওই কেন্দ্রের কর্মকর্তারা প্রাথমিক স্কুলে চাকরি দেওয়ার কথা বলে ছাত্র ছাত্রীদের কাছ থেকে টাকা নিতেন। তার বদলে ওএমআর শিটগুলি সঠিক উত্তর লিখে ভরাট করানোর ব‌্যবস্থা করা হত। আর এই তথ‌্যগুলিই ইডি যাচাই করছে এখন। তার জন‌্য যে ‘ভুয়ো’ শিক্ষকদের তালিকা তৈরি করা হয়েছে, তাঁদের জেরা করাও শুরু করছেন ইডির গোয়েন্দারা।

  • Howrah: বাড়িতেই না, ব্যাংকেও হয়েছে ৭৭ কোটি টাকার লেনদেন! হাওড়া কাণ্ডে চাঞ্চল্যকর তথ্য প্রকাশ্যে

    Howrah: বাড়িতেই না, ব্যাংকেও হয়েছে ৭৭ কোটি টাকার লেনদেন! হাওড়া কাণ্ডে চাঞ্চল্যকর তথ্য প্রকাশ্যে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজ্যে শুধুই টাকার পাহাড়! গতকালই উদ্ধার হয়েছে ২৮ কোটি টাকা সহ সোনা রুপো এমনকি হিরের গয়নাও। কিন্তু এবার কোনও হেভিওয়েট নেতা-মন্ত্রীর বাড়ি থেকে নয় বরং এক ব্যবসায়ীর বাড়ি থেকে উদ্ধার হয়েছে এই বিপুল পরিমাণ অর্থ এবং গয়না। ব্যবসায়ীর নাম শৈলেশ পাণ্ডে। পুলিশের অভিযানের আগে থেকেই খোঁজ নেই হাওড়ার পাণ্ডে ব্রাদার্সের। হাওড়ার শিবপুর টাকা উদ্ধার কাণ্ডে এবারে আরও চাঞ্চল্যকর তথ্য উঠে এসেছে। সূত্রের খবর অনুযায়ী, আরও টাকার হদিশ পাওয়া গিয়েছে। শুধুমাত্র নগদ অর্থই নয়, ব্যাংকের দুটি অ্যাকাউন্টে প্রায় ৭৭ কোটি টাকার লেনদেনের খবর সামনে এসেছে। ফলে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে যে, এত টাকার উৎস কী?

    এই ঘটনার তদন্ত করতে গিয়ে পুলিশ জানিয়েছে যে, লোক ঠকানোর কারবারের জন্য খোলা হয়েছিল আইএক্স গ্লোবাল নামক অ্যাপ। এই অ্যাপের মাধ্যমে বিদেশ থেকে অনলাইনে টাকা রোজগারের ব‌্যাপারে প্রশিক্ষণ বা শিক্ষা দেওয়া হত। এই প্রশিক্ষণ দেওয়ার জন্য ৮০ ডলার থেকে শুরু করে ১২৫ ডলার নেওয়া হত আর এরই মাধ্যমে অনেক বেশি টাকা রোজগার করা হত। এখানেই শেষ নয়, যারা ট্রেনিং নিত তাদের লোভ দেখানো হত যে, এই অ্যাপে আরও বেশি লোক নিয়ে আসলে তাদের কমিশন দেওয়া হবে। এরপর তাদের প্রথম কমিশন দেওয়া হলেও সেটি দশ হাজার ডলার ছাড়িয়ে গেলেই তাদের অ‌্যাকাউন্ট বন্ধ করে দেওয়া হত। আর এভাবেই পাণ্ডে ব্রাদার্সের অ্যাকাউন্টে জমা হত টাকা।

    আরও পড়ুন: মুখ্যমন্ত্রীর বিজয়া সম্মিলনীতে হাজির করাতে হবে ক্লাবকে, জেলাশাসকদের নির্দেশ নিয়ে সরব শুভেন্দু

    আরও জানা গিয়েছে, এভাবে মোট ৩৪টি বিভিন্ন ওয়েবসাইট ও অ‌্যাপ থেকে টাকা আসতে শুরু করে আইএক্স গ্লোবাল অ‌্যাপে, যা নিয়ন্ত্রণ করত টি পি গ্লোবাল নামে একটি সংস্থা। এরপর এই নিয়ে প্রথম অভিযোগ জমা পড়েছিল চলতি বছরের অগাস্ট মাসে। অভিযোগ জানিয়েছিল একটি রাষ্টায়ত্ত ব্যাংক কর্তৃপক্ষ। ১৬, স্ট্র্যান্ড রোডের ঠিকানা দিয়ে অ্যাকাউন্ট খোলা হয়েছিল। দুটি অ্যাকাউন্ট খোলা হয়েছিল অগাস্টে।

    চলতি বছরের সেপ্টেম্বরের প্রথম সপ্তাহে দেখা যায় বিশাল পরিমাণে টাকার লেনদেন হয়েছে ওই অ্যাকাউন্টে। এক মাসে প্রায় ৭৭ কোটি টাকার লেনদেন। আর এত টাকার লেনদেনের ফলেই সেটির উপর বিশেষ নজর রাখা হয়। ওই সংস্থা থেকে আরও কয়েকটি সংস্থায় ভাগ হয়ে টাকা জমা পড়ছে দু’টি অ‌্যাকাউন্টে। এক মাসে ওই দুই অ‌্যাকাউন্ট থেকে ৭৭ কোটি টাকার লেনদেন হওয়ায় গোয়েন্দাদের সন্দেহ হয়। এরপর পুলিশ সূত্র ধরে সেই জায়গায় পৌঁছলে শৈলেশ পাণ্ডের নাম সামনে আসে। আরও জানা গিয়েছে, শৈলেশ চার্টার্ড অ‌্যাকাউন্ট‌্যান্টও ছিলেন ও এর সুযোগ নিয়ে বহু মানুষের পরিচয়পত্রের কপি ও ছবি জোগাড় করে ভুয়ো অ‌্যাকাউন্টও খুলতেন। আর এভাবেই চিট ফান্ডের মতই প্রতারণা করে এত পরিমাণের সম্পত্তি বানিয়েছে তারা।

  • Recruitment Scam: কামদুনির মৌসুমীও কাজ করতেন তাপসের সংস্থায়! মহিষবাথানের অফিস নিয়ে কী জানালেন তিনি?

    Recruitment Scam: কামদুনির মৌসুমীও কাজ করতেন তাপসের সংস্থায়! মহিষবাথানের অফিস নিয়ে কী জানালেন তিনি?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কামদুনির প্রতিবাদী মুখ মৌসুমী কয়ালও কাজ করতেন মানিক ঘনিষ্ঠ তাপস মণ্ডলের (Tapas Mondal) মহিষবাথানের (Mahishbathan)অফিসে। নিজেই একথা জানালেন মৌসুমী। তবে আর্থিক দুর্নীতি বা নিয়োগ দুর্নীতি নিয়ে কিছুই জানেন না বা দেখেননি তাঁরা এমনই দাবি মৌসুমীর। চার-পাঁচ মাস বেতন না পেয়ে ওই চাকরি ছেড়ে দেন তিনি। 

    মৌসুমীর কথায়, প্রায় আড়াই বছর আগে তাপসের সংস্থায় কাজ করতেন তিনি। মৌসুমী বলেন, ‘একজনের সূত্রে আলাপ হয়েছিল তাপস মণ্ডলের সঙ্গে। তাপসবাবু কামাখ্যায় তাদের আশ্রমে ঘুরতে যেতে বলেন। অনুরোধ রক্ষা করতে সেখানে যাই। তখন একজন ভাল মানুষ বলেই জানতাম তাঁকে। ফিরে আসার কিছুদিন পর তাপসবাবু বলেন, ওনার প্রোজেক্টের কিছু কাজ চলছে, সেগুলো দেখাশুনো করলে ভালো হয়। সেই সময় আমরা ১৪ – ১৫ জন ওনার মহিষবাথানের অফিসে কাজে যোগ দিই। কিন্তু প্রায় ৫ থেকে ৬ মাস মাইনে না পাওয়ায় চাকরি ছেড়ে দিয়েছিলাম’।        

    আরও পড়ুন: নানারকমের সোনার অলঙ্কারই অনুব্রতর কালী প্রতিমার বৈশিষ্ট্য! জানেন কী কী রয়েছে সেই তালিকায়?

    মৌসুমী আরও জানিয়েছেন, তিনি যখন মহিষবাথানে তাপস মণ্ডলের মিনার্ভা এডুকেশন অ্যান্ড ওয়েলফেয়ার ট্রাস্টে কাজ করতেন তখন ওই সংস্থার উদ্যোগে আলিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে একটি অনুষ্ঠান আয়োজিত হয়েছিল। সেই অনুষ্ঠানে হাজির ছিলেন মানিক ভট্টাচার্য (Manik Bhattacharya)। সেখানে মানিকবাবুর সঙ্গে পরিচয় হয় তাঁর। মৌসুমী জানিয়েছেন, তিনি যতদিন সেখানে ছিলেন, চাকরি বিক্রি বা কোনও লেনদেন সংক্রান্ত অস্বাভাবিক কিছু দেখেননি। তবে তার পর গত আড়াই বছরে কী হয়েছে তা জানা নেই তাঁর।

    আরও পড়ুন: মানিক-ঘনিষ্ঠের ৩৫টি ব্যাংক অ্যাকাউন্ট খতিয়ে দেখছে ইডি! জানেন কে এই তাপস মণ্ডল?

    অন্যদিকে, তাপস মণ্ডলের মহিষবাথানের অফিসে এত টাকা আসত, যে তা গোনার জন্য রীতিমতো মেশিন বসানো ছিল। সম্প্রতি অমন মন্তব্য করেছেন তাপস মণ্ডলের মিনার্ভা এনজিও-র দীনদয়াল উপাধ্যায় কেন্দ্রীয় কারিগরি শিক্ষা প্রজেক্টের এক কর্মী। সরকার তার পাশে আছে, এই দম্ভেই লোককে ভয় দেখিয়ে কাজ করাতেন তাপস এমনই দাবি তাঁর। তিনি জানান,মিনার্ভার ১৬ জন কর্মচারীর ৫ মাসের বেতনও আত্মসাৎ করেছেন তাপস মণ্ডল।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।  

  • Suvendu Adhikari: তিস্তায় রমরমিয়ে চলছে বালি পাচার, ভিডিও শেয়ার করে মুখ্যমন্ত্রীকে কটাক্ষ শুভেন্দুর

    Suvendu Adhikari: তিস্তায় রমরমিয়ে চলছে বালি পাচার, ভিডিও শেয়ার করে মুখ্যমন্ত্রীকে কটাক্ষ শুভেন্দুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সরকারি টাকায় এক তৃণমূল বিধায়কের রিসর্ট সংস্কারের কাজ হচ্ছে। এমনই অভিযোগ তুলে মুখ্যমন্ত্রীকে বিঁধেছিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। মুখ্যমন্ত্রী ওই রিসর্টে যেতে পারেন বলেও জানিয়েছিলেন তিনি। এর পর আটচল্লিশ ঘণ্টাও কাটেনি, ফের মুখ্যমন্ত্রী মমতা (Mamata) বন্দ্যোপাধ্যায়কে নিশানা করলেন শুভেন্দু অধিকারী। তিস্তা নদী থেকে অবৈধভাবে বালি পাচারের (Sand Smuggling) একটি ভিডিও শেয়ার করে রাজ্যের বিরোধী দলনেতার কটাক্ষ, মুখ্যমন্ত্রী যখন পাহাড় সফরে তখন তাঁর উপস্থিতির মধ্যেই ওই জেলায় রমরমিয়ে চলছে বালি পাচার।

    সোমবার উত্তরবঙ্গ (North Bengal) সফরে গিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বিজয়া দশমীর দিন মালবাজারে মাল নদীতে প্রতিমা বিসর্জন দিতে গিয়েছিলেন স্থানীয় বাসিন্দারা। আচমকাই জলপাইগুড়ির ওই নদীতে চলে আসে হড়পা বান। বানের জলে ভেসে যান বেশ কয়েকজন। পরে উদ্ধার হয় তাঁদের মধ্যে কয়েকজনের দেহ। এদিন উত্তরবঙ্গ সফরে গিয়ে দশমীর দিনের ওই মর্মান্তিক ঘটনায় নিহত ও আহতদের পরিবারের সঙ্গে দেখা করেন মুখ্যমন্ত্রী। মুখ্যমন্ত্রী যখন ওই পরিবারগুলির সঙ্গে দেখা করে কুম্ভীরাশ্রু বিসর্জন করছেন, ঠিক তখনই উত্তরবঙ্গের গুরুত্বপূর্ণ নদী তিস্তা থেকে অবৈধভাবে বালি তোলার ভিডিও শেয়ার করলেন শুভেন্দু (Suvendu Adhikari)।

    ২ মিনিট ১৪ সেকেন্ডের ভিডিওটি শেয়ার করেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। তাঁর অভিযোগ, তিস্তা থেকে অবৈধভাবে বালি তোলা চলছে। মুখ্যমন্ত্রী যখন পাহাড় সফর করছেন, তখন তাঁর উপস্থিতির মধ্যেই জেলায় রমরমিয়ে চলছে অবৈধভাবে বালি পাচার। নন্দীগ্রামের বিধায়েকর অভিযোগ, তৃণমূল নেতাদের মদতেই চলছে বালি পাচার। পাচারের কাজ চলছে রাজগঞ্জ বিধানসভার পাহাড়পুর এলাকায়।

    আরও পড়ুন: ওরা হিন্দুদের তাড়াতে চায়! মোমিনপুর-কাণ্ডে রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক শুভেন্দু

    রবিবারই শুভেন্দু (Suvendu Adhikari) অভিযোগ করেছিলেন, সরকারি ব্যয়ে উত্তরবঙ্গে একটি বেসরকারি রিসর্ট সংস্কার করা হচ্ছে। রিসর্টটি মহেশতলার বিধায়ক তৃণমূলের দুলাল দাসের। কেবল ওই রিসর্টটি নয়, তার আশপাশের এলাকা এবং রিসর্টে যাওয়ার রাস্তাও সংস্কার করা হচ্ছে সরকারি অর্থ ব্যয়ে। মুখ্যমন্ত্রী ওই রিসর্টে যেতে পারেন বলেও জানিয়েছিলেন শুভেন্দু। মুখ্যমন্ত্রী যখন বিরোধী নেত্রী ছিলেন, তখন একবার ওই রিসর্টে গিয়েছিলেন। সরকারি অর্থ ব্যয়ে কেন চলছে ব্যক্তিগত রিসর্ট সংস্কারের কাজ, সে প্রশ্নও তুলেছিলেন শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

  • TET Scam: ‘চুরি যাওয়া চাকরি ফেরত দাও’! রাতভর রাস্তায় শুয়ে দাবি টেট উত্তীর্ণদের

    TET Scam: ‘চুরি যাওয়া চাকরি ফেরত দাও’! রাতভর রাস্তায় শুয়ে দাবি টেট উত্তীর্ণদের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: চুরি যাওয়া চাকরি, ফেরত চাই। এই দাবিতে ঘুমহীন রাত কাটল রাস্তায় শুয়ে। দীর্ঘ ২০ ঘণ্টা পার। এখনও সল্টলেকের করুণাময়ীতে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের সামনে অবস্থান চলছে প্রাথমিক টেট উত্তীর্ণ চাকরিপ্রার্থীদের। গতকাল বেলা ১২টা থেকে ২০১৪-র প্রাথমিক টেট উত্তীর্ণ চাকরিপ্রার্থীরা অবস্থান বিক্ষোভে বসেন। চাকরিপ্রার্থীদের অবস্থান ঘিরে ধুন্ধুমার পরিস্থিতি তৈরি হয়। এপিসি ভবনের সামনে বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে পুলিশের ধস্তাধস্তিতে কয়েকজন বিক্ষোভকারী অসুস্থ হয়ে পড়েন। উল্টোদিকেই বেসরকারি হাসপাতাল। রাতেই আন্দোলনকারীদের পুলিশ জানায়, অবস্থানস্থলে ১৪৪ ধারা জারি রয়েছে।  হাসপাতালে অ্যাম্বুল্যান্স যেতে-আসতে সমস্যা হচ্ছে। আইন হাতে তুলে না নেওয়ার জন্য বিক্ষোভকারীদের উদ্দেশে মাইকে আবেদন জানায় পুলিশ। তবু অবস্থান-বিক্ষোভে অনড় প্রাথমিক টেট উত্তীর্ণ চাকরিপ্রার্থীরা। তাঁরাও যে এক অসুস্থ রাজনীতি ও পরিস্থিতির শিকার। তাঁরাও নিরুপায়।

    আরও পড়ুন: বক্স খাটের ভিতর থেকে মিলল ৬কোটি টাকা! ব্যাঙ্ক জালিয়াতি কাণ্ডে শিবপুরের শৈলেশকে খুঁজছে পুলিশ

    সোমবার চাকরির দাবিতে করুণাময়ীতে SSC ভবনের সামনে অবস্থান করে টেট চাকরিপ্রার্থীরা। ২০১৪ প্রাইমারি টেট উত্তীর্ণ চাকরিপ্রার্থীরা এদিন জমায়েত করেন। করুণাময়ী মেট্রো স্টেশন থেকে মিছিল এগোতেই পথ আটকায় পুলিশ। চাকরিপ্রার্থীরা তাঁদের টপকে সামনের দিকে এগোনোর চেষ্টা করেন। তখনই উত্তপ্ত হয়ে ওঠে পরিস্থিতি। অভিযোগ পুলিশি বাধা অগ্রাহ্য করে চাকরিপ্রার্থীরা ছুটতে শুরু করলে ধস্তাধস্তি বাধে। কাতারে কাতারে যুবক–যুবতীদের আটকাতে হিমশিম খাচ্ছে পুলিশ। ধরপাকড়ের প্রতিবাদে রাস্তায় শুয়ে পড়েন চাকরিপ্রার্থীরা। তার জেরে অসুস্থ হয়ে পড়েন অনেকে। বেশ কয়েকজন চাকরিপ্রার্থীকে আটক করে পুলিশ। অবশেষে, পর্ষদ সভাপতির সঙ্গে কথা বলেন বিক্ষোভকারীদের ৪ প্রতিনিধি।

    আরও পড়ুন: নিয়োগের দাবি করায় এভাবে হেনস্থা টেটে সফল প্রার্থীদের?

    প্রসঙ্গত, নিয়োগের দাবিতে গত ১৫ অক্টোবর মেয়ো রোডে গান্ধী মূর্তির পাদদেশে হাজির ২০১৮ সালের কলেজ সার্ভিস কমিশনের মেধা তালিকাভুক্ত চাকরিপ্রার্থীরা। এদিন এসএসসি ধর্নামঞ্চের পাশেই জড়ো হন তাঁরা। পুলিশ এসে কলেজ সার্ভিস কমিশনের চাকরিপ্রার্থীদের সরিয়ে দেয়। ধর্মতলায় মাতঙ্গিনী হাজরার মূর্তির সামনে আন্দোলনে অনড় ২০১৪ সালের প্রাথমিক টেট চাকরিপ্রার্থীরা। আজ ৬৩ দিনে পড়ল তাঁদের ধর্না অবস্থান। প্রাথমিকে ৩ হাজার ৯২৯ শূন্যপদে নিয়োগের নির্দেশ দিয়েছিলেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। সেই শূন্যপদে চাকরির দাবিতে কলকাতা হাইকোর্টে মামলা করলেন ১ হাজার ৪০০ জন চাকরিপ্রার্থী। আজ, মঙ্গলবার সেই মামলারও শুনানি হওয়ার কথা।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

  • TET Scam:  চাকরি খুইয়েছেন ভাইয়ের স্ত্রী-ও! ভাইয়ের কলেজ থেকেই মিলত ভুয়ো সার্টিফিকেট, মানিক ঘনিষ্ঠ তাপসকে তলব ইডির

    TET Scam: চাকরি খুইয়েছেন ভাইয়ের স্ত্রী-ও! ভাইয়ের কলেজ থেকেই মিলত ভুয়ো সার্টিফিকেট, মানিক ঘনিষ্ঠ তাপসকে তলব ইডির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের প্রাক্তন চেয়ারম্যান মানিক ভট্টাচার্য ঘনিষ্ঠ তাপস মণ্ডলকে (ED Summons Tapas Mondal) তলব করল ইডি। আগামী ২০ অক্টোবর তাপসকে সিজিও কমপ্লেক্সে ডাকা হয়েছে। তাপসের যে শিক্ষক প্রশিক্ষণ কেন্দ্রগুলি রয়েছে তার নথি নিয়ে যাওয়ার জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। প্রাথমিক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় গ্রেফতার মানিক (Manik Bhattacharya) ঘনিষ্ঠ তাপসের বারাসতের অফিসে হানা দিয়ে প্রচুর নথি উদ্ধার করা হয়। 

    বারাসতে (Barasat) কামাখ্যা মন্দিরের কাছে তাপস মণ্ডলের বাড়িতে হানা দেয় এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের দল। একই সঙ্গে হানা দেওয়া হয় উত্তর ২৪ পরগনার মহিষবাথান এলাকায়। সেখানে মানিকের এক ঘনিষ্ঠ তথা তাপসের আত্মীয়র টিচার্স ট্রেনিং সেন্টার রয়েছে বলে গোয়েন্দারা জানিয়েছিলেন। ওই ট্রেনিং সেটারের শাটার বন্ধ থাকায় তালা ভেঙে ভেতরে ঢোকেন তাঁরা। ওখানেই বেআইনিভাবে নিয়োগ করা শিক্ষকদের প্রশিক্ষণ দেওয়া হতো। পাঁশকুরার বাসিন্দা ছিলেন তাপস। সেখানকার মাইশোরার পাতন্দা গ্রামে তাপস মণ্ডলের ভ্রাতৃবধূ পারমিতা মণ্ডলের টিচার্স ট্রেনিং কলেজ রয়েছে। পারমিতার স্বামী তথা তাপসের ভাই বিভাস মণ্ডল কলেজটি দেখাশোনা করেন। কলেজের ম্য়ানেজারের বিস্ফোরক অভিযোগ, ওই কলেজে টাকার বিনিময়ে শিক্ষকতার যোগ্যতার ভুয়ো সার্টিফিকেট পাওয়া যেত। সেই সঙ্গে কলেজের শিক্ষক থেকে কর্মীদের নিয়মিত বেতন দেওয়া হয়নি বলেও অভিযোগ করেছেন তিনি।

    আরও পড়ুন: বক্স খাটের ভিতর থেকে মিলল ৬কোটি টাকা! ব্যাঙ্ক জালিয়াতি কাণ্ডে শিবপুরের শৈলেশকে খুঁজছে পুলিশ

    অভিযোগ, বিভাসের স্ত্রী পারমিতাও বেআইনিভাবে চাকরি পেয়েছিলেন। হাইকোর্টের নির্দেশে চাকরি খুইয়েছেন তিনি। নব্বইয়ের দশকে কোচিং সেন্টার দিয়ে শুরু, তখন থেকেই পাঁশকুড়ার ভিটে ছেড়ে কলকাতায় বাস করা শুরু করেন তাপস। প্রয়োজন ছাড়া তিনি গ্রামের বাড়িতে যেতেন না বলেই খবর। ধীরে ধীরে রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় ট্রেনিং সেন্টার খুলে বেকার ছেলেমেয়েদের চাকরির টোপ দিতেন। বেনিয়মে নিজের ভাইয়ের স্ত্রীকেও চাকরি পাইয়ে দেন বলে অভিযোগ তাপসের বিরুদ্ধে। কয়েক মাস আগে হাইকোর্টের নির্দেশে রাজ্যের যে ২৬৯ জন প্রাথমিক শিক্ষক চাকরি খোয়ান, তাঁদের মধ্যে ছিলেন পারমিতাও। 

    সূত্রের খবর, পাঁশকুড়ায় এক সময় চিটফান্ডের কারবারও ছিল তাপসের। প্রায় চার দশক আগে ‘মিনার্ভা ফিনান্স’ নামে চিটফান্ড খুলে তিনি লক্ষ লক্ষ টাকা আত্মসাৎ করেছিলেন বলে অভিযোগ। তাপসের সঙ্গে রাজ্যের শাসকদলের যোগ যে স্পষ্ট তার ইঙ্গিত পাওয়া গিয়েছে। বারাসত পুরসভার চেয়ারম্যান সুনীল মুখোপাধ্যায়ের সঙ্গেও  তাপসের ছবি প্রকাশ পেয়েছে। সেই ছবি ভাইরাল হতেই শাসক শিবিরকে আক্রমণ করেছে বিরোধীরা। যদিও, সুনীলের দাবি,একটি আশ্রমের বাৎসরিক অনুষ্ঠানে যোগ দিয়েছিলেন সুনীল। সেখানেই ওই ছবি ওঠে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

  • Saigal Hossain: সায়গলকে দিল্লি নিয়ে গিয়ে জেরা করতে পারবে ইডি, অনুমতি আদালতের

    Saigal Hossain: সায়গলকে দিল্লি নিয়ে গিয়ে জেরা করতে পারবে ইডি, অনুমতি আদালতের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বেশ কিছু দিন ধরেই অনুব্রত মণ্ডলের দেহরক্ষী সায়গল হোসেনকে (Saigal Hossain) দিল্লি নিয়ে গিয়ে জেরা করার চেষ্টা চালাচ্ছিল এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট। দিল্লিরই রাউস অ্যাভিনিউ আদালতে আর্জি জানিয়েছিল ইডি। অবশেষে সেই অনুমতি পেল কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা। এবার দিল্লি উড়িয়ে নিয়ে গিয়ে জেরা করা হবে সায়গলকে। 

    গরুপাচার কাণ্ডে সিবিআই- এর হাতে গ্রেফতার হয়েছেন সায়গল হোসেন। আপাতত তিনি আসানসোল জেলে রয়েছেন। কিন্তু সংশোধনাগারেই তাঁকে গ্রেফতার করে ইডি। তারপর ইডি গোয়েন্দারা আসানসোলের বিশেষ সিবিআই আদালতে সায়গলকে দিল্লি নিয়ে গিয়ে জেরা করার আর্জি জানান। কিন্তু আদালত সে আর্জি খারিজ করে দেয়।      

    নিম্ন আদালতের নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে যায় ইডি। কিন্তু কলকাতা হাইকোর্টও সায়গলকে দিল্লি নিয়ে গিয়ে জেরা করার আর্জি খারিজ করে দেয়। হাইকোর্ট গোয়েন্দাদের প্রশ্ন করে, কেন সায়গলকে দিল্লি নিয়ে যেতে হবে? কলকাতায় কি ইডির অফিস নেই? এখানেই জেরা করা হোক।    

    আরও পড়ুন : কেষ্টর বাড়ির পরিচারক থেকে কাউন্সিলর! তাঁর ব্যাংক থেকেও হত কোটি টাকার লেনদেন! কী বলছে সিবিআই?

    তারপরই ইডি দিল্লিতে একটি পৃথক মামলা করে। সোমবার রাউস অ্যাভিনিউ আদালতে সেই মামলার শুনানি ছিল। সায়গলের তরফে ক্যাভিয়েট করে রাখায় তাঁর আইনজীবীরাও সওয়াল করেন। কিন্তু সব শুনে দিল্লির আদালত ইডিকে সায়গলকে দিল্লি নিয়ে গিয়ে জেরা করার অনুমতি দিয়েছে।  

    ইডি সূত্রে জানা গিয়েছে, সায়গল হোসেনের (Saigal Hossain) বিপুল সম্পত্তির খোঁজ পাওয়া গিয়েছে। মাত্র কয়েক হাজার টাকা বেতন পান রাজ্য পুলিশের কন্সটেবল সায়গল। এই আয়ে তিনি কী করে কোটি কোটি টাকার সম্পত্তি করলেন তা সায়গলের কাছে জানতে চান গোয়েন্দারা। গোয়েন্দাদের প্রশ্নের জবাব এড়িয়ে যাচ্ছিলেন সায়গল। বেশ কিছু ক্ষেত্রে তাঁদের বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করছিলেন। এছাড়াও গোয়েন্দারা জানিয়েছেন, সায়গলের নামে ও বেনামে আরও সম্পত্তি উদ্ধার বাকি রয়েছে। এছাড়া গরুপাচারের টাকা কার কার কাছে পৌঁছত তাও সায়গলের থেকে জানতে চান তাঁরা। 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

     
     
     
     
  • Bank Fraud Case: বক্স খাটের ভিতর থেকে মিলল ৬কোটি টাকা! ব্যাঙ্ক জালিয়াতি কাণ্ডে শিবপুরের শৈলেশকে খুঁজছে পুলিশ

    Bank Fraud Case: বক্স খাটের ভিতর থেকে মিলল ৬কোটি টাকা! ব্যাঙ্ক জালিয়াতি কাণ্ডে শিবপুরের শৈলেশকে খুঁজছে পুলিশ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজ্যে হাওয়ায় ভাসছে টাকা। কখনও গাড়ি থেকে তো কখনও বাড়ি থেকে মিলছে কোটি কোটি টাকা। ব্যাঙ্ক জালিয়াতি কাণ্ডে (Bank Fraud Case) এবার শিবপুরের (Shinpur) একটি ফ্ল্যাটের ভিতর থাকা বক্স খাট থেকে প্রায় ৬ কোটি টাকা উদ্ধার হল। রবিবার রাতে  শিবপুরের ৩৫ নম্বর অপ্রকাশ মুখার্জি লেনে তল্লাশি চালিয়ে এই টাকা উদ্ধার করে লালবাজারের ব্যাঙ্ক জালিয়াতি দমন শাখার গোয়েন্দারা।

    জানা গিয়েছে, একটি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে বিপুল টাকার লেনদেন নিয়ে সন্দেহ তৈরি হয়। বিষয়টি লালবাজারের নজরে আনা হয়। তদন্তে নেমে হাওড়ার শৈলেশ পাণ্ডে নামক এক ব্যক্তির নাম উঠে আসে। গত ১৪ তারিখ হেয়ার স্ট্রিট থানায় এই নিয়ে অভিযোগ দায়ের হয়। শনিবার রাতে হাওড়া শিবপুরে শৈলেশ পাণ্ডের বাড়িতে অভিযান চালানো হয়। সেখানে একটি আবাসনের সামনে রাখা গাড়ি থেকে দুই কোটি কুড়ি লাখ পঞ্চাশ হাজার টাকা উদ্ধার করে পুলিশ। মেলে সোনার গয়নাও। পুলিশ সূত্রে খবর, যে গাড়ি থেকে সোনা এবং গয়নাগুলি উদ্ধার হয়েছে তা শৈলেশ পান্ডের ভাই অরবিন্দ পান্ডের।

    আরও পড়ুন: মুখ্যমন্ত্রীর সফর, সরকারি টাকায় সাজছে তৃণমূল নেতার রিসর্ট! সত্য ফাঁস শুভেন্দুর

    এরপরই শৈলেশের ভাই রোহিত পান্ডের  ফ্ল্যাটে হানা দেয় পুলিশ। রবিবার বিকেলে পুলিশ আধিকারিকেরা ফ্ল্যাটে দেখেন, দরজা তালাবন্ধ। তদন্তকারীদের সূত্রে খবর, পরে নকল চাবি দিয়ে তালা খুলে ওই ফ্ল্যাটে তল্লাশি অভিযান চালানো হয়।  গভীর রাতে তল্লাশি শেষ হয়। টাকা উদ্ধারের পর ফ্ল্যাটটি সিল করে দেওয়া হয়েছে।  আবাসনের অন্যান্য বাসিন্দারা জানান, এই ফ্ল্যাটেই শৈলেশের পরিবার থাকত। রোহিত মাঝে মধ্যে আসত সেখানে। জানা গিয়েছে, উদ্ধার হওয়া টাকার অধিকাংশই ৫০০ টাকার নোট। 

    পুলিশ সূত্রে খবর, শৈলেশ ঋণ পাইয়ে দেওয়ার নামে প্রতারণা করত। নরেন্দ্রপুরে ব্যাঙ্কের শাখার একটি অ্যাকাউন্টে বিপুল টাকার লেনদেন নিয়ে সন্দেহ তৈরি হতেই কানাড়া ব্যাঙ্কের তরফে অভিযোগ দায়ের করা হয়। শৈলেশের বিরুদ্ধে অভিযোগ, একাধিক লোককে ব্যাঙ্ক থেকে ঋণ পাইয়ে দেওয়ার নাম করে প্রতারণা করেছেন তিনি। ঋণ না পেয়ে প্রতারিত কয়েকজন ওই রাষ্ট্রয়ত্ত ব্যাঙ্কের ম্যানেজারের কাছে অভিযোগ জানান। এরপরই ওই ব্যাংকের তরফ থেকে শৈলেশের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ করা হয় ও তাঁর বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়। শৈলেশের দুই ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে ২০ কোটি টাকা রয়েছে বলে জানতে পেরেছে পুলিশ। সেই অর্থ ফ্রিজ করা হয়েছে। ঘটনায় মূল অভিযুক্ত শৈলেশ পাণ্ডে এখনও পলাতক।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

LinkedIn
Share