Category: রাজ্য

Get West Bengal News, Bengali Breaking News, Latest News in Bengali only from মাধ্যম | Madhyom, Bengali News Portal for সম্পূর্ণ নিরপেক্ষ বাংলা সংবাদ, বাংলা খবর

  • SSC Scam: বিদেশ থেকে ফিরতেই পার্থ-জামাতা কল্যাণময়কে দীর্ঘ জেরা ইডি-র, কী তথ্য উঠে এল?

    SSC Scam: বিদেশ থেকে ফিরতেই পার্থ-জামাতা কল্যাণময়কে দীর্ঘ জেরা ইডি-র, কী তথ্য উঠে এল?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এসএসসি নিয়োগ দুর্নীতি কাণ্ডের তদন্তে ধৃত রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের (Partha Chatterjee) জামাই কল্যাণময় ভট্টাচার্যকে ( Kalyanmoy Bhattacharya ) জেরা করল ইডি (ED)৷ টানা সাত থেকে ১০ ঘণ্টা তাঁকে জেরা করেন ইডি আধিকারিকেরা। সোমবার সল্টলেকে সিজিও কমপ্লেক্সে ইডি দফতরে জেরা করা হয় তাঁকে। ইডি সূত্রে খবর, পার্থর জামাইয়ের উত্তরে সন্তুষ্ট নন তাঁরা৷  কল্যাণময়কে যে সমস্ত নথি নিয়ে আসতে বলা হয়েছিল, তাও তিনি ঠিক মতো আনেননি ৷ এই সমস্ত তথ্যই দিল্লিতে উপর মহলে জানিয়েছেন কলকাতার ইডি আধিকারিকেরা ৷

    আরও পড়ুন: দল নয় রাজ্য, মুখ্যমন্ত্রীত্বই পছন্দ গেহলটের! ক্ষুব্ধ হাইকমান্ড, কংগ্রেস সভাপতি পদে কে?

    প্রসঙ্গত, ২৩ জুলাই পার্থকে গ্রেফতারের পরে বিদেশে কর্মরত কল্যাণময় এবং পার্থের মেয়ে সোহিনী চট্টোপাধ্যায়কে বার বার ই-মেল করে সল্টলেকে সিজিও কমপ্লেক্সে ইডি-র আঞ্চলিক দফতরে তলব করা হয়েছিল। কিন্তু কল্যাণময়-সোহিনী তদন্তকারীদের সামনে হাজিরা দেননি। ইডি সূত্রের খবর, কল্যাণময় রবিবার বিদেশ থেকে ফিরে তদন্তকারীদের সঙ্গে যোগাযোগ করেন। তারপরই  তাঁকে তলব করা হয়েছিল। সোমবার বেলা সাড়ে ১১টা নাগাদ ইডি-র অফিসে হাজির হন কল্যাণময়। রাত পর্যন্ত চলে জেরা। 

    আরও পড়ুন: ক্ষমতা হস্তান্তর বারবার ভুগিয়েছে কংগ্রেসকে, অন্যদিকে লক্ষ্যে অবিচল বিজেপি

    সূত্রের খবর, সম্পত্তি সংক্রান্ত বেশ কিছু তথ্য কল্যাণময়ের কাছে জানতে চায় ইডি। শেয়ার কেনাবেচা ও জমি ক্রয় বিক্রয়ের ক্ষেত্রে কল্যাণময়ের যোগের সূত্র মিলেছে বলে তদন্তকারী সংস্থা সূত্রে খবর। একইসঙ্গে পশ্চিম মেদিনীপুরের পিংলায় পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের স্ত্রীর নামে একটি বিশাল বেসরকারি স্কুলের খোঁজ পায় ইডি৷ ওই স্কুলের চেয়ারম্যান কল্যাণময় ভট্টাচার্য৷ ইডি-র অভিযোগ, ওই অভিজাত স্কুল তৈরি করতে প্রায় ১৫ কোটি টাকা ব্যয় করা হয়েছিল৷ কিন্তু খাতায় কলমে খরচ দেখানো হয়েছে সাড়ে চার কোটি টাকার মতো৷ ইডি-র অনুমান, এসএসসি নিয়োগ দুর্নীতির টাকাই ওই স্কুল তৈরিতে লাগানো হয়ে থাকতে পারে৷ গত ১৪ সেপ্টেম্বর ওই স্কুলে হানা দিয়ে তল্লাশি চালান ইডি কর্তারা৷ ওই স্কুল তৈরির জন্য যে অর্থ লেগেছে তার উৎস কোথায় তা-ও জানতে চাওয়া হয় কল্যাণময়ের কাছে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • SSC Scam: জুটিতে তাইল্যান্ড-গোয়ায় গিয়েছিলেন পার্থ-অর্পিতা! সেখানেও বিনিয়োগ? কী বলছে ইডি

    SSC Scam: জুটিতে তাইল্যান্ড-গোয়ায় গিয়েছিলেন পার্থ-অর্পিতা! সেখানেও বিনিয়োগ? কী বলছে ইডি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: একসঙ্গে গিয়েছিলেন তাইল্যান্ড-গোয়া (Thailand-Goa)। সমস্ত খরচ বহন করেছিলেন প্রাক্তন মন্ত্রী পার্থ (Partha) চট্টোপাধ্যায়। শুধুই তাঁর সঙ্গী হয়েছিলেন এবং মনোরঞ্জন করেছিলেন তাঁর ঘনিষ্ঠ অর্পিতা (Arpita) মুখোপাধ্যায়। শুধু তা-ই নয় মা হওয়ারও ইচ্ছা প্রকাশ করেছিলেন অর্পিতা। সম্মতি দিয়েছিলেন পার্থ। এসএসসি (SSC Scam) নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় পেশ করা ইডির চার্জশিটে এমনই দাবি করা হয়েছে। ইডির দাবি, ওই সব সফরে পার্থ-অর্পিতার সঙ্গী হয়েছিলেন স্নেহময় দত্ত। তাঁকে জেরা করেই এই সব তথ্যের সন্ধান পেয়েছে ইডি (ED)।

    আরও পড়ুন: রাজসাক্ষী হচ্ছেন অর্পিতা! চার্জশিটে কী বলল ইডি?

    সোমবার সিবিআইয়ের বিশেষ আদালতে ১৭২ পাতার চার্জশিট-সহ ১৪ হাজার ৬৪০ পাতার নথি জমা দিয়েছে ইডি। তাতে দাবি করা হয়েছে, একাধিকবার তাইল্যান্ড-গোয়ায় গিয়েছিলেন পার্থ ও অর্পিতা। তবে ঠিক কত বার তাঁরা তাইল্যান্ড সফর করেছেন তা আদালতে পেশ করা চার্জশিটে উল্লেখ করেনি তদন্তকারী সংস্থা। ইডির দাবি, স্নেহময় জানিয়েছেন, তাইল্যান্ড এইচআর অ্যাসোসিয়েশনের আমন্ত্রণে ২০১৪-১৫ সালে ফুকেট গিয়েছিলেন পার্থ-অর্পিতা। ওই চর্জশিটে আরও ৪৩ জনের বয়ানের রেকর্ড রয়েছে। স্নেহময় আরও জানান, ডায়মন্ড সিটি সাউথের ফ্ল্যাটে অর্পিতার সঙ্গে তাঁর পরিচয় করিয়ে দেন প্রাক্তন মন্ত্রী। সিমবায়োসিস মার্চেন্টস নামে একটি সংস্থার বস অর্পিতা-এমনই পরিচয় দেন পার্থ। শুধু তাইল্যান্ডেই নয়, তাঁরা তিন জনে এক বার গোয়ায় গিয়েছিলেন বলেও জানিয়েছেন স্নেহময়। তাইল্যান্ডে ‘অপা ইউটিলিটি সার্ভিস’-এর কোনও সম্পত্তি রয়েছে কি না তা তদন্ত করে দেখছে ইডি।  তবে ইডি সূত্রে খবর, জেরায় পার্থ জানিয়েছেন যে, তাঁর মালিকানাধীন কোনও সম্পত্তি তাইল্যান্ডে নেই।

    আরও পড়ুন: অর্পিতার ৩১টি পলিসির জন্য দেড় কোটি টাকা প্রিমিয়াম দিতেন পার্থ! চার্জশিটে দাবি ইডির

    শুধু বিদেশ সফর নয়, তদন্তকারীরা আরও জানান, সন্তান দত্তক নিতে চেয়েছিলেন অর্পিতা। সেই বিষয়ে পার্থ তাঁকে সাহায্যের আশ্বাস দিয়েছিলেন। সন্তান দত্তক নেওয়ার একটি সুপারিশপত্র পাওয়া গিয়েছে অর্পিতার ডায়মন্ড সিটির ফ্ল্যাটে। সেখানে পার্থের সই আছে। অর্পিতার ওই দত্তক নেওয়ার ক্ষেত্রে ‘নো অবজেকশন সার্টিফিকেট’ বা অনাপত্তি শংসাপত্র দিয়েছিলেন পার্থ। এ বিষয়ে পার্থ জানান, তিনি জনপ্রতিনিধি। কারও সুপারিশপত্রে স্বাক্ষর করাটা তাঁর পক্ষে স্বাভাবিক বিষয়। 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

  • Suvendu Adhikari: বোলপুরে শিশুহত্যার ঘটনায় সিবিআই তদন্ত দাবি শুভেন্দুর, বিধানসভায় ওয়াকআউট বিজেপির

    Suvendu Adhikari: বোলপুরে শিশুহত্যার ঘটনায় সিবিআই তদন্ত দাবি শুভেন্দুর, বিধানসভায় ওয়াকআউট বিজেপির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শান্তিনিকেতনে শিশুখুনের (Child Murder) আঁচ এসে লাগল বিধানসভায়ও (State Assembly)। পুলিশের বিরুদ্ধে অপদার্থতার অভিযোগে সোচ্চার রাজ্যের বিরোধী দলনেতা বিজেপির (BJP) শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। শিশু মৃত্যুর কারণ অনুসন্ধানে সিবিআই (CBI) তদন্ত দাবি করেছেন নন্দীগ্রামের বিধায়ক। খোদ পুলিশ মন্ত্রী তথা মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে বিধানসভায় হায় হায় স্লোগান বিজেপির। বুধবার বিধানসভা থেকে ওয়াকআউটও করেন পদ্ম-বিধায়করা। বিধানসভা কক্ষের বাইরে বিক্ষোভও প্রদর্শন করেন তাঁরা।  

    দু দিন ধরে নিখোঁজ থাকার পর প্রতিবেশীর বাড়ির ছাদ থেকে উদ্ধার হয় শান্তিনিকেতনের মোলডাঙার বাসিন্দা বছর পাঁচেকের শিবম ঠাকুরের দেহ। গ্রামেরই মুদিখানার দোকানে বিস্কুট কিনতে গিয়েছিল সে। পরে উদ্ধার হয় দেহ। পরিবারের অভিযোগ, শিশুটিকে অপহরণ করে খুন করা হয়েছে। ঘটনার জেরে অভিযু্ক্তের বাড়িতে ভাঙচুর চালিয়ে আগুন লাগিয়ে দেয় উত্তেজিত জনতা।

    শান্তিনিকেতনের এই অশান্তির আঁচ এসে লাগে বিধানসভায়ও। বুধবার বিধানসভায় বিষয়টি তোলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। শিশুখুনের ঘটনায় পুলিশ মন্ত্রী তথা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিবৃতি দাবি করেন নন্দীগ্রামের বিধায়ক। অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় সেই দাবি মেনে না নেওয়ায় হইচই করেন বিরোধীরা। পুলিশ মন্ত্রীর বিরুদ্ধে হায় হায় স্লোগান দিতে থাকেন। পরে বিধানসভা থেকে ওয়াক আউট করেন বিজেপি বিধায়করা। নিহত শিশুর ছবি নিয়ে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন তাঁরা।

    আরও পড়ুন :চিকিৎসা ভাতা বন্ধ করে দেওয়া নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীকে আক্রমণ শানালেন শুভেন্দু অধিকারী

    রাজ্যের বিরোধী দলনেতা বলেন, সম্প্রতি দেখা যাচ্ছে শিশু ও কিশোরকে অপহরণ করা হচ্ছে। পুলিশ ডায়েরি নিচ্ছে না, তদন্তও করছে না। পরে তাদের দেহ পাওয়া যাচ্ছে। তিনি বলেন, গতকালের এই বাচ্চাটা ১৮ তারিখ নিখোঁজ হয়েছে। তার পরিবার জিডি করেছে। ২০ তারিখ পাশের বাড়ি রুবি বিবির বাড়িতে পলিথিনে মোড়া এই বাচ্চার দেহ পাওয়া গিয়েছে। শুভেন্দু বলেন, পুলিশ মন্ত্রী চোরেদের বাঁচানোর জন্য বিধানসভায় এসে মিথ্যা কথা বলতে পারেন। তিনি এত ব্যস্ত যে চোরেদের বাঁচানোর জন্য ইডি-সিবিআইয়ের বিরুদ্ধে রেজোলিউশনে নেচে নেচে বলতে পারেন, আর এই বাচ্চাটার জন্য আমরা বলেছিলাম হাউস চলাকালীন পুলিশ মন্ত্রীকে এসে বলতে বলুন। তাঁর অভিযোগ, অধ্যক্ষ একপেশে আচরণ করেন। তিনি কর্ণপাত করেননি। আমরা বিজেপি বিধায়করা ভিতরে প্রতিবাদ করেছি, বাইরেও করেছি। তিনি বলেন, আমরা রুবি বিবির ফাঁসির দাবি জানাচ্ছি। সিবিআই তদন্তের দাবিও জানান শুভেন্দু।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।  

  • DA Case: ডিএ মামলায় ফের ধাক্কা রাজ্যের! রিভিউ পিটিশন খারিজ করল হাইকোর্ট

    DA Case: ডিএ মামলায় ফের ধাক্কা রাজ্যের! রিভিউ পিটিশন খারিজ করল হাইকোর্ট

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পুজোর আগে ফের ধাক্কা খেল রাজ্য সরকার। ডিএ (DA) মামলায় রাজ্যের আর্জি খারিজ হয়ে গেল কলকাতা হাইকোর্টে (Calcutta Highcourt)। সরকারি কর্মীদের পক্ষেই রায় দিল আদালত। বৃহস্পতিবার বিচারপতি হরিশ টন্ডন এবং বিচারপতি রবীন্দ্রনাথ সামন্তের ডিভিশন বেঞ্চ হাইকোর্টের পূর্ব নির্দেশই বহাল রাখল। 

    বেঞ্চের তরফে বলা হয়েছে, মহার্ঘ ভাতা (DA Case) সরকারি কর্মীদের প্রাপ্য। এটা সরকারের তরফে দেওয়া কোনও অনুদান নয়। তাই বকেয়া ডিএ মিটিয়ে দেওয়ার যে নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল,সেটাই বহাল রাখছে আদালত। দীর্ঘদিন ধরে বকেয়া মহার্ঘ ভাতা নিয়ে ক্ষোভ রয়েছে সরকারি কর্মীদের। প্রায় ৬ বছর ধরে সরকারি কর্মী এবং সরকারের মধ্যে এই মামলা চলছে। কেন্দ্রীয় হারে ডিএ-র দাবিতে রাজ্যের সরকারি কর্মচারী সংগঠনগুলি লড়াই চালিয়ে আসছে। কলকাতা হাইকোর্টে মামলা হওয়ার পর চলতি বছরের ২০ মে হাই কোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ নির্দেশ দিয়েছিল, তিন মাসের মধ্যে বকেয়া মহার্ঘ ভাতা মেটাতে হবে রাজ্য সরকারকে। যার জেরে রাজ্যের সরকারি কর্মীদের ৩১ শতাংশ হারে ডিএ দিতে হবে। কিন্ত সেই সময়সীমা পেরিয়ে গিয়েছে অগাস্ট মাসে। তবু ডিএ না মেলায় হাই কোর্টে আদালত অবমাননার মামলা দায়ের হয়। এরপর রাজ্যের তরফে আদালতের নির্দেশ পুনর্বিবেচনার আর্জি জানানো হয়।

    আরও পড়ুন: ১০ দিন ধরে শুনানি হচ্ছে, এটা চলতে পারে না, হিজাব বিতর্কে সুপ্রিম কোর্ট

    বৃহস্পতিবার এ প্রসঙ্গে রায় দিতে গিয়ে আদালত জানায়, রাজ্য সরকারের আবেদনের কোনও  যুক্তি নেই। তাই আদালতের রায় পুনর্বিবেচনার আর্জি গ্রহণ করা যাচ্ছে না। প্রসঙ্গত, হাইকোর্টে আগেই রাজ্য সরকার মেনে নিয়েছিল মহার্ঘ্য ভাতা সরকারি কর্মীদের প্রাপ্য অধিকার। তাই তহবিলে টাকা নেই বলে উঁচু হারে ডিএ দেওয়া যাচ্ছে না। রাজ্যের এই যুক্তি গ্রহণযোগ্য নয়। এবার কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টে যেতে পারে রাজ্য। ডিএ দেওয়া নিয়ে রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার মামলা আপাতত বিচারাধীন রেখেছে কলকাতা হাই কোর্ট। আগামী ৭ নভেম্বর আদালত অবমাননার মামলাটির শুনানি হবে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

  • BJP: বন্দরে আটক ২০০ কোটি টাকার হেরোইন আসছিল তৃণমূল নেতার জন্য?

    BJP: বন্দরে আটক ২০০ কোটি টাকার হেরোইন আসছিল তৃণমূল নেতার জন্য?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দিন কয়েক আগে কলকাতা বন্দরে (Calcutta Port) আটক হয়েছিল ২০০ কোটি টাকার হেরোইন। ওই হেরোইন দক্ষিণ ২৪ পরগনার এক তৃণমূল (TMC) নেতাকে সরবরাহ করার জন্যই নিয়ে আসা হয়েছিল বলে দাবি বিজেপির (BJP)। হেরোইন (Heroin) এসেছিল শরিফুল এন্টারপ্রাইজের নামে। গিয়ার বক্সে লুকিয়ে কন্টেনার ভর্তি করে নিয়ে আসা হয়েছিল মাদক। বৃহস্পতিবার দলের রাজ্য  দফতরে সাংবাদিক বৈঠকে এই অভিযোগ করেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার ও সাধারণ সম্পাদক জগন্নাথ চট্টোপাধ্যায়।

    যে পথে পাচার…

    তাঁদের দাবি, শরিফুল এন্টারপ্রাইজের মালিক শরিফুল ইসলাম মোল্লা তৃণমূলের সঙ্গে যুক্ত। বিজেপির দাবি, শরিফুল সন্দেশখালি এক ও দুই নম্বর ব্লকের তৃণমূল সভাপতি শিবু হাজরা ও শেখ শাহজাহানের ঘনিষ্ঠ। সম্প্রতি বন্দরে ধরা পড়ে ৪০ কিলোগ্রামে হেরোইন। যার বাজারমূল্য ২০০ কোটি টাকা। বিজেপির এই দুই রাজ্য কর্তার দাবি, এই মাদক পাচারের সঙ্গে রাজ্যের দুই মন্ত্রীও যুক্ত। যদিও বিজেপির অভিযোগ অস্বীকার করেছে রাজ্যের শাসক দল।   

    আরও পড়ুন: গার্ডেনরিচে তৃণমূল কাউন্সিলরের ছেলের ঝুলন্ত দেহ উদ্ধারে রহস্য

    চলতি মাসের ৯ তারিখে গুজরাট পুলিশের এটিএফ তল্লাশি চালায় কলকাতা বন্দরে। বাজেয়াপ্ত হয় দুশো কোটি টাকার হেরোইন। বিজেপির দাবি, একুশের বিধানসভা নির্বাচনের ফল প্রকাশের পর ওই পরিমাণ হেরোইন বুক করা হয়েছিল। মোট ৬০৫টি প্যাকেটে এবং আড়াই হাজার কিলোগ্রাম স্পেয়ার পার্টেসের সঙ্গে লুকিয়ে আনা হয়েছিল ওই মাদক। বন্দরে মাদক পড়ে রইলেও, শরিফুল তা সেপ্টেম্বর পর্যন্ত নিয়ে যাননি। পদ্ম শিবিরের দাবি, দূষণ সংক্রান্ত সার্টিফিকেটের সমস্যার কথা জানিয়ে বন্দর থেকে ওই মাদক ছাড়িয়ে নিয়ে যাওয়া হয়নি। পরে বাজেয়াপ্ত করা হয় কন্টেনার। বিজেপির অভিযোগ, এর পরে পরেই হাওয়া হয়ে যান শরিফুল। তিনি বাংলাদেশে পালিয়ে গিয়ে থাকতে পারেন বলেও আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন গেরুয়া নেতৃত্ব।

    সুকান্ত বলেন, মুখ্যমন্ত্রী দাবি করেন সিবিআইয়ের থেকে রাজ্যের সিআইডি বেশি কার্যকর। সেই কারণে আমি চাইব, শরিফুল কোথায় আছেন, রাজ্যই তা খুঁজে বার করুক। জানা গিয়েছে, শরিফুলের এক ঘনিষ্ঠ তৃণমূল নেতা সন্দেশখালির ব্লক ২ এর তৃণমূল সভাপতি শেখ শাহজাহান রাজ্যের এক মন্ত্রীর সঙ্গে বেশ কয়েকবার বৈঠক করেন। দুর্নীতির কারণে সম্প্রতি ওই মন্ত্রীর দফতর বদল হয়েছে বলেও মনে করিয়ে দেন বিজেপির ওই দুই নেতা। মাদক ব্যবসার জন্য একশো কোটি টাকা বিনিয়োগ করা হয়েছিল। শরিফুল ওই টাকা কোথায় পেয়েছিলেন, তা নিয়ে তদন্ত হওয়া দরকার বলেও দাবি করেন সুকান্ত। শরিফুলের সঙ্গে তৃণমূলের দুই নেতার ফোনে কথাবার্তার রেকর্ডিং তাঁদের কাছে রয়েছে বলেও জানান সুকান্ত ও জগন্নাথ।

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।  

  • Kalyanmay Ganguly: শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতির জের, সিবিআই- এর হাতে গ্রেফতার কল্যাণময় গঙ্গোপাধ্যায়

    Kalyanmay Ganguly: শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতির জের, সিবিআই- এর হাতে গ্রেফতার কল্যাণময় গঙ্গোপাধ্যায়

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি (SSC Scam) মামলায় সিবিআই-এর হাতে গ্রেফতার হলেন মধ্যশিক্ষা পর্ষদের প্রাক্তন সভাপতি কল্যাণময় গঙ্গোপাধ্যায় (Kalyanmay Ganguly)। আজ শারীরিক পরীক্ষা করা হবে তাঁর। আগামিকাল আদালতে তোলা হবে তাঁকে। গতকাল কল্যাণময় গঙ্গোপাধ্যায়কে নোটিস পাঠিয়েছিল সিবিআই। আজ জেরা করা হয়। জেরায় অসঙ্গতি পেতেই গ্রেফতার করা হয় তাঁকে।    

    আজ পর্ষদের প্রাক্তন সভাপতিকে বেশ কিছু নথিও সঙ্গে আনতে বলে সিবিআই। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী গোয়েন্দাদের দাবি, তিনি সেইসব জরুরি নথি দেখাতে পারেননি। বয়ানেও ছিল বেশ কিছু অসঙ্গতি। আর তাতেই এই  গ্রেফতারের সিদ্ধান্ত। গ্রেফতারির পরেই শারীরিক পরীক্ষার জন্য এসএসকেএম হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় কল্যাণময়কে। টানা ছ’ঘণ্টা জেরার পরে এদিন গ্রেফতার করা হয় তাঁকে। 

    এদিন দুপুর ১২টা নাগাদ নিজাম প্যালেসে এসেছিলেন কল্য়াণময়। সঙ্গে ছিলেন তিন আইনজীবীও। উল্লেখ্য, আগেও একাধিক বার জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছিল তাঁকে। ইডিও তাঁর বাড়িতে হানা দিয়েছিল। এমনকী তাঁর দফতরে নিয়ে গিয়েও একাধিক বার জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। 

    আরও পড়ুন: পার্থ ‘ঘনিষ্ঠ’ মোনালিসার দাদার নামে বিপুল জমির হদিশ! বেনামে মালিক প্রাক্তন মন্ত্রী-ই?

    কী কী অভিযোগ রয়েছে কল্যাণময়ের বিরুদ্ধে?

    ১. নিয়ম বহির্ভূতভাবে নিয়োগপত্র তুলে দেওয়া

    ২. যাচাই না করেই এসপি সিনহা কমিটির সুপারিশের ভিত্তিতে নিয়োগ

    ৩. বাগ কমিটির রিপোর্টে নাম

    ৪. গ্রুপ সি ও গ্রুপ ডি নিয়োগে দুর্নীতি 

    ৫. ‘হাই জাম্প’ চাকরিপ্রার্থীদের নিয়োগপত্র দেওয়া

    আরও পড়ুন: এসএসসি দুর্নীতিতে পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের ঘনিষ্ঠ প্রসন্নর চার দিনের সিবিআই হেফাজত 

    সন্ধ্যায় এসএসকেএমে মেডিক্যালের জন্য নিয়ে আসা হয় কল্যাণময় গঙ্গোপাধ্যায়কে। সেখান থেকে মিনিট পাঁচেক পরে ফিরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয় নিজাম প্যালেস। আরও একবার জেরা করা হতে পারে তাঁকে। কল্যাণের বিরুদ্ধে পাওয়া সব তথ্যই দিল্লি পাঠিয়েছে সিবিআই। সেখান থেকে নির্দেশ পাওয়ার পরেই গ্রেফতার করা হয় তাঁকে। সিবিআই সূত্রে খবর, এসএসসি দুর্নীতি মামলায় এর মধ্যেই ধৃত শান্তিপ্রসাদ সিনহার সঙ্গে প্রত্যক্ষ যোগ পাওয়া গিয়েছে কল্য়াণময়ের। অনৈতিকভাবে ৩৮১ জনকে চাকরির দেওয়ার অভিযোগে রয়েছে তাঁর বিরুদ্ধে। উল্লেখ্য এই মামলায় ইতিমধ্যেই গ্রেফতার হয়েছেন রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়। 

  • CBI: একে অপরকে দিচ্ছেন দোষ, নিজামে পার্থ-সুবীরেশদের একসঙ্গে বসিয়ে জেরা করতে পারে সিবিআই

    CBI: একে অপরকে দিচ্ছেন দোষ, নিজামে পার্থ-সুবীরেশদের একসঙ্গে বসিয়ে জেরা করতে পারে সিবিআই

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডে (SSC Scam) উত্তাল রাজ্য রাজনীতি। তদন্ত যত এগোচ্ছে ততই সামনে আসছে দুর্নীতির নতুন অধ্যায়। যেন রামায়ণ কাহিনী। এর শেষ কোথায় কেউ জানেন না। এই দুর্নীতিতে নাম জড়িয়েছে একের পর এক হেভিওয়েট ব্যক্তিত্বের। এই মামলায় একের পর এক গ্রেফতার হয়েছেন রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় (Partha Chatterjee), স্কুল সার্ভিস কমিশনের প্রাক্তন উপদেষ্টা শান্তিপ্রসাদ সিনহা (SP Sinha), উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য সুবীরেশ ভট্টাচার্য (Subiresh Bhattacharya)। গ্রেফতার হয়েছেন মধ্যশিক্ষা পর্ষদের প্রাক্তন সভাপতি কল্যাণময় গঙ্গোপাধ্যায়ও (Kalyanmay Ganguly)। জানা গিয়েছে, তদন্তের স্বার্থে এই চারজনকে মুখোমুখি বসিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করতে পারেন সিবিআই (CBI) আধিকারিকরা।

    আরও পড়ুন: পার্থ-অর্পিতার ১০৩ কোটি টাকার সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত! এসএসসি মামলায় চার্জশিট পেশ ইডি-র  
     
    বিকাশ ভবনে একসময়ে একসঙ্গে কাজ করেছেন চারজন। ফের একসঙ্গে হবেন তাঁরা। কিন্তু এবার নিজাম প্যালেসে। শিক্ষা দফতর থেকে সোজা কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার দফতর। সোমবার নিজাম প্যালেসে একে-একে রাত কাটালেন রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়, স্কুল সার্ভিস কমিশনের প্রাক্তন উপদেষ্টা শান্তিপ্রসাদ সিনহা, মাধ্যমিক শিক্ষা পর্ষদের অপসারিত সভাপতি কল্যাণময় গঙ্গোপাধ্যায় ও স্কুল সার্ভিস কমিশনের প্রাক্তন চেয়ানম্যান সুবীরেশ ভট্টাচার্য। নিয়োগ দুর্নীতিতে প্রত্যককে পৃথক-পৃথক মামলায় গ্রেফতার করেছে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা।  

    পার্থ চট্টোপাধ্যায় ও কল্যাণময় গঙ্গোপাধ্যায় গ্রেফতার হন এসএসসি গ্রুপ সি নিয়োগ দুর্নীতিতে। এসপি সিনহা ও সুবীরেশ ভট্টাচার্যকে গ্রেফতার করা হয় নবম-দশম শিক্ষক নিয়োগ দুনীর্তিতে সিবিআই-এর জালে। এর মধ্যে পার্থ চট্টোপাধ্যায় ও এসপি সিনহা দুটি মামলাতেই অন্যতম অভিযুক্ত। 

    আরও পড়ুন: ‘‘আমি ওদের বিশ্বাস করেছিলাম…’’, সিবিআই জেরায় দাবি পার্থর, ওরা কারা?

    সিবিআই সূত্রে খবর, এবার শিক্ষা দফতরের এই প্রাক্তনদের মুখোমুখি বসিয়ে জেরা করতে চান গোয়েন্দারা। কারণ তিনজনকে পৃথকভাবে জেরা করে তেমন লাভ হয়নি। সিবিআই সূত্রে খবর, তিনজনই অপর জনের ঘাড়ে দোষ চাপিয়ে দায় এড়াতে চাইছেন। সেই কারণে মুখোমুখি বসিয়ে জেরা করলে সেটা করতে পারবেন না তাঁরা বলে মনে করছেন গোয়েন্দারা। প্রত্যেকের বয়ান রেকর্ড করা হবে। গোটা প্রক্রিয়ার করা হবে অডিয়ো বা ভিডিয়ো রেকর্ডিং। পরে তা মিলিয়ে দেখা হবে পুরনো বয়ানের সঙ্গে।   

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।
     

  • SSC Scam: অর্পিতার ৩১টি পলিসির জন্য দেড় কোটি টাকা প্রিমিয়াম দিতেন পার্থ! চার্জশিটে দাবি ইডির

    SSC Scam: অর্পিতার ৩১টি পলিসির জন্য দেড় কোটি টাকা প্রিমিয়াম দিতেন পার্থ! চার্জশিটে দাবি ইডির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় (Partha Chatterjee) ও  অভিনেত্রী অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের (Arpita Mukherjee)বিরুদ্ধে ১৭২ পাতার চার্জশিট জমা দিল ইডি৷ সোমবার ব্যাঙ্কশাল কোর্টে পার্থ ও অর্পিতার বিরুদ্ধে প্রথম চার্জশিট পেশ করে কেন্দ্রীয় সংস্থা। নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় ৫৮ দিনের মাথায় পেশ করা ইডির চার্জশিটে দাবি করা হয়েছে,অর্পিতার ৩১টি জীবনবিমার রয়েছে। জানা গিয়েছে, চার্জশিটে যে জীবনবিমার উল্লেখ করা হয়েছে তার বার্ষিক প্রিমিয়াম দেড় কোটি টাকা। বেশিরভাগ প্রিমিয়ামই ৫০ হাজার টাকার এবং কয়েকটির প্রিমিয়াম ৪৫ হাজার টাকা। সেগুলোর অধিকাংশেরই নমিনি প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়। প্রিমিয়ামের টাকাও দিতেন তিনিই। 

    আরও পড়ুন: সুবীরেশের গ্রেফতারির পরই উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ে পোড়ানো হচ্ছে ‘নথি’! ভিডিও প্রকাশ সুকান্তর

    ইডি সূত্রে খবর,  জেরায় পার্থ তাঁর সঙ্গে অর্পিতার ঘনিষ্ঠতার কথা অস্বীকার করেছিলেন৷ কিন্তু এই এলআইসি পলিসিগুলি অন্য কথা বলছে। এই পলিসিগুলি পার্থ-অর্পিতার ঘনিষ্ঠতা প্রমাণ। চার্জশিটে ইডি উল্লেখ করেছে,পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের মোবাইল থেকেই অধিকাংশ তথ্য পেয়েছে তাঁরা৷ সেই তথ্য মিলিয়ে দেখা হয়েছে পার্থর ব্যাংকের লেনদেনের সঙ্গেও৷ ইডি জানিয়েছে, পার্থ এবং অর্পিতার ১০৩ কোটি টাকার সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করেছে তারা৷ 

    আরও পড়ুন: একে অপরকে দিচ্ছেন দোষ, নিজামে পার্থ-সুবীরেশদের একসঙ্গে বসিয়ে জেরা করতে পারে সিবিআই

    ইডির দাবি, অর্পিতার বেলঘরিয়ার ক্লাব টাউন ও টালিগঞ্জের ডায়মন্ড সিটির ফ্ল্যাট থেকে উদ্ধার হওয়া কোটি কোটি টাকার মালিক পার্থ চট্টোপাধ্যায়। জেরায় ইডির কাছে এ কথা স্বীকার করেছে অর্পিতা। ইডি-কে একটি লিখিত বিবৃতির মাধ্যমে অর্পিতা জানিয়েছেন, ‘আমার ও মায়ের নিরাপত্তার কথা ভেবে এতদিন সব তথ্য গোপন করেছিলাম। সব টাকা পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের। টাকার উৎস বলতে পারবেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়ই।’ অন্যদিকে গোয়েন্দাদের জিজ্ঞাসাবাদে পার্থবাবু সব দায় চাপিয়েছেন দফতরের আধিকারিকদের ঘাড়ে। তাঁর কথায়, নিয়োগ প্রক্রিয়া দেখতেন শিক্ষা দফতর। তিনি শুধু সই করে দিতেন। তাঁর ভূমিকা ছিল খুবই সীমিত। তিনি আধিকারিকদের উপর ভরসা রেখেছিলেন। তাহলে প্রশ্ন এত টাকা এল কোথা থেকে? 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

  • Bengal Panchayat Polls: রাজ্য নির্বাচন কমিশন তৃণমূলের শাখা! দাবি সুকান্তর, আসন্ন পঞ্চায়েত ভোটে কেন্দ্রীয় বাহিনী?

    Bengal Panchayat Polls: রাজ্য নির্বাচন কমিশন তৃণমূলের শাখা! দাবি সুকান্তর, আসন্ন পঞ্চায়েত ভোটে কেন্দ্রীয় বাহিনী?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজ্যে আসন্ন পঞ্চায়েত ভোট (Panchayat Election) । ২০২৩-এর শুরুতেই পঞ্চায়েত নির্বাচন হওয়ার কথা। তারই প্রস্তুতি শুরু করে দিল বিজেপি। কেন্দ্রীয় বাহিনীর (central force) ঘেরাটোপেই রাজ্যে পঞ্চায়েত নির্বাচনের দাবি জানিয়েছে রাজ্য বিজেপি (BJP) নেতৃত্ব। দলের কেন্দ্রীয় কমিটির পর্যবেক্ষকদের কাছে এমনই দাবি জানিয়েছেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী,  বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার-সহ অন্যান্যরা। 

    রবিবার আইসিসিআর-এ বিজেপির দলীয় বৈঠকে কেন্দ্রীয় পর্যবেক্ষকদের সঙ্গে মিলিত হন রাজ্য নেতৃত্ব। পঞ্চায়েত ভোটের আগে সংগঠনের খামতি দূর করতেই এই বৈঠকের আয়োজন করে বিজেপি। খতিয়ে দেখা হয় সাংগঠনিক শক্তিও। দুই দিনের এই বৈঠক চলবে আজ, সোমবারও। বৈঠকে ছিলেন দলের শীর্ষ নেতা সুনীল বনসল ও মঙ্গল পান্ডে-সহ একাধিক নেতা। রাজ্যে এসেছেন কেন্দ্রীয় পর্যবেক্ষক ও সহ-পর্যবেক্ষেক মিলিয়ে বিজেপির মোট ৩ নেতা। ছিলেন দলের সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি দিলীপ ঘোষও। রাজ্য নেতৃত্বের সঙ্গে বৈঠক করছেন তাঁরা। শুধুমাত্র শীর্ষ নেতৃত্ব নয়,তালিকায় রয়েছেন রাজ্য পদাধিকারী, বিধায়ক ও জেলা সভাধিপতিরাও।

    আরও পড়ুন: ভেকুটিয়া সমবায় সমিতিতে গেরুয়া ঝড়! জানেন পঞ্চায়েত নির্বাচনে কী লক্ষ্য বিজেপির?

    বিজেপি সূত্রে খবর, কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের কাছে আগামী পঞ্চায়েত নির্বাচন কেন্দ্রীয় বাহিনীর নজরদারিতে করার পক্ষে  সওয়াল করেন শুভেন্দু-সুকান্তরা। বৈঠকের পর বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার বলেন, ‘‘পঞ্চায়েত ভোট করে রাজ্য নির্বাচন কমিশন। তারা এখানে তৃণমূলের শাখায় পরিণত হয়েছে! ওখানে আবেদন করে কিছু হবে না। কেন্দ্রীয় বাহিনীর জন্য প্রয়োজনে আদালতে গিয়ে দাবি জানাতে হবে।’’ রাজ্যে কেন্দ্রীয় বাহিনীর নজরদারিতে পঞ্চায়েত ভোট করা যায় কি না সেই বিষয়টি খতিয়ে দেখছে কেন্দ্রীয় নেতৃত্বও, এমনই খবর দলের অন্দরে। প্রসঙ্গত, কেন্দ্রীয় বাহিনীর ঘেরাটোপেই হয়েছিল গত বিধানসভা নির্বাচন। রাজ্যের গেরুয়া শিবিরের দাবি, মানুষ নিজের ভোট  নিজে দিলে, ফল যাবে বিজেপির অনুকূলে। পঞ্চায়েত নির্বাচনে খুবই ভালো ফল করবে বিজেপি।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Subiresh Bhattacharya: এবার সিবিআইয়ের হাতে গ্রেফতার এসএসসির প্রাক্তন চেয়ারম্যান সুবীরেশ ভট্টাচার্য

    Subiresh Bhattacharya: এবার সিবিআইয়ের হাতে গ্রেফতার এসএসসির প্রাক্তন চেয়ারম্যান সুবীরেশ ভট্টাচার্য

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এবারে শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি (SSC Scam) মাামলায় গ্রেফতার করা হল উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য তথা এসএসসির প্রাক্তন চেয়ারম্যান সুবীরেশ ভট্টাচার্যকে (Subiresh Bhattacharya)। সোমবার সিবিআইয়ের (CBI) হাতে গ্রেফতার হন তিনি। শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় এই প্রথম কোনও উপাচার্যকে গ্রেফতার করা হল। এর আগে শুধুমাত্র স্কুল সার্ভিস কমিশনের উচ্চপদস্থ নেতাদের গ্রেফতার করা হয়েছিল।

    শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি মামালায় প্রায় অনেকদিন ধরেই সিবিআই-এর নজরে ছিল উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য সুবীরেশ ভট্টাচার্য। আর তারই ফলে সুবীরেশকে গ্রেফতার করা হল। ২০১৪ সাল থেকে ২০১৮ সাল পর্যন্ত এসএসসি-র চেয়ারম্যান ছিলেন সুবীরেশ।

    সোমবার শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতির মামলার তদন্তেই সুবীরেশের বাঁশদ্রোণীর ফ্ল্যাটে তল্লাশি অভিযান চালান সিবিআই আধিকারিকরা। সিবিআই সূত্রে খবর, বেশ কয়েক ঘণ্টা ওই ফ্ল্যাটে তল্লাশি চালানোর পাশাপাশি সুবীরেশকে জিজ্ঞাসাবাদও করা হয়। প্রশ্নের উত্তরে অসন্তুষ্টি হওয়ায় সিবিআই-এর আধিকারিকরা তাঁকে গ্রেফতার করে। শুধু তাই নয়, সিবিআই সূত্রে জানা গিয়েছে, তিনি তদন্তে সাহায্য করছিলেন না ও প্রশ্নের সঠিক উত্তরও দিচ্ছিলেন না। এমনকি অনেক তথ্য গোপন রাখার চেষ্টা করছিলেন। ফলে তাঁকে আজ গ্রেফতার করে সিবিআই।

    আরও পড়ুন: পার্থ-অর্পিতার ১০৩ কোটি টাকার সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত! এসএসসি মামলায় চার্জশিট পেশ ইডি-র

    প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, এর আগেও ২৪ অগাস্ট সুবীরেশ ভট্টাচার্যের উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসনে পৌঁছে গিয়েছিলেন সিবিআই গোয়েন্দারা। উত্তরবঙ্গের বাড়ি ও বাঁশদ্রোণীর ফ্ল্যাটে তল্লাশি চালিয়েছিল কেন্দ্রীয় তদন্ত এজেন্সির আধিকারিকরা। তাঁর বাঁশদ্রোণীর ফ্ল্যাট আগেই সিল করে দেওয়া হয়েছিল। সেদিন খবর পেয়েই উত্তরবঙ্গ থেকে সস্ত্রীক সুবীরেশ চলে আসেন কলকাতায়। তিনি এমনকি সংবাদমাধ্যমে দাবিও করেছিলেন যে, তাঁর আমলে শিক্ষক নিয়োগে কোনও দুর্নীতি হয়নি।

    সিবিআই সূত্রে খবর, সোমবার সন্ধ্যায় গ্রেফতার হওয়া সুবীরেশকে নিজাম প্যালেসেই নিয়ে যাওয়া হতে পারে। নিজাম প্যালেসেই রয়েছেন প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়, এসএসসি উপদেষ্টা কমিটির প্রধান শান্তিপ্রসাদ সিংহ, এমনকি, মধ্যশিক্ষা পর্ষদের প্রাক্তন সভাপতি কল্যাণময় গঙ্গোপাধ্যায়ও। এর মধ্যে সুবীরেশকেও নিজাম প্যালেসে এনে এদের মুখোমুখি বসিয়ে জেরা করা হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। সূত্রের খবর সুবীরেশকে মঙ্গলবারই তোলা হতে পারে আদালতে।

LinkedIn
Share