Category: রাজ্য

Get West Bengal News, Bengali Breaking News, Latest News in Bengali only from মাধ্যম | Madhyom, Bengali News Portal for সম্পূর্ণ নিরপেক্ষ বাংলা সংবাদ, বাংলা খবর

  • Bolpur Primary Teacher: নোংরা রাজনীতির বিরোধিতা করায় বদলি, বোলপুরের কাউন্সিলরের বিরুদ্ধে আদালতে শিক্ষিকা

    Bolpur Primary Teacher: নোংরা রাজনীতির বিরোধিতা করায় বদলি, বোলপুরের কাউন্সিলরের বিরুদ্ধে আদালতে শিক্ষিকা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অনৈতিক কাজে বাধা দেওয়া৷ আর এই অপরাধেই অন্যায়ভাবে বদলি করা হল, বোলপুরের প্রাথমিক বিদ্যালয়ের এক শিক্ষিকাকে। এই অভিযোগে বোলপুর পৌরসভার ১৫ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলরের বিরুদ্ধে বৃহস্পতিবার আদালতের দ্বারস্থ হলেন প্রাথমিক শিক্ষিকা (Primary teacher complaints in Calcutta HC against councillor of Bolpur)।        

    শিক্ষিকা আদালতে দাবি করেছেন, বিদ্যালয়ের পরিবেশ নষ্ট করে বিভিন্ন অনুষ্ঠানে বাধা দেওয়াতেই বদলি করা হচ্ছে তাঁকে ৷ অতীতে অনুষ্ঠানের পরে বিদ্যালয় নোংরা করার অভিযোগ উঠেছিল এই কাউন্সিলরের বিরুদ্ধে। পরে আর অনুষ্ঠানের অনুমতি দেন নি ওই শিক্ষিকা। আর তাতেই বদলির নির্দেশ বলে অভিযোগ। বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের বেঞ্চে বিচারাধীন রয়েছে মামলাটি। বিচারপতি শিক্ষিকার বক্তব্য শোনার পর নির্দেশ দেন, বীরভূমের হাসপাতালে নয়, শিক্ষিকার শারীরিক অবস্থার পরীক্ষা করতে হবে কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে। পরবর্তী শুনানি হবে ডিসেম্বরে ৷   

    আরও পড়ুন: বন্দরে আটক ২০০ কোটি টাকার হেরোইন আসছিল তৃণমূল নেতার জন্য? 
     
    জানা গিয়েছে,  ২০১৪ সালে ২১ জানুয়ারি নানুরের সাওতা কিরণশশী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষিকা হিসাবে যোগদান করেন ঋতুপর্ণা ঘোষ । ২০১৫ সালে দুর্ঘটনার কবলে পড়েন তিনি। ২০১৭ সালে বাড়ির কাছে বদলির জন্য আবেদন করেন। ২০১৮ সালে মঞ্জুর হয় সেই আবেদন। বোলপুরের রবীন্দ্র শিক্ষা নিকেতন প্রাথমিক বিদ্যালয়ে বদলি করা হয় তাঁকে। ২০১৯ সালের ১ অক্টোবর টিচার-ইন-চার্জ হিসাবে ওই বিদ্যালয়ে যোগ দেন তিনি। ২০২১ সালের ১১ ফেব্রুয়ারি তিনি ফের বোলপুরের যাদবপুর নিম্ন বুনিয়াদি বিদ্যালয়ে অস্থায়ী প্রাথমিক শিক্ষক হিসাবে বদলির নোটিস পান। শিক্ষিকার দাবি এই স্কুলটি তাঁর বাড়ি থেকে অনেক দূরে। ১৯ এপ্রিল থেকে তাঁর বেতনও বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন শিক্ষিকা। 

    আরও পড়ুন: গরুপাচার মামলায় বীরভূমের চার ব্যাংক আধিকারিককে তলব সিবিআইয়ের

    এর আগেও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে রাজনীতির শিকার হতে হয়েছে বহু শিক্ষককে। স্কুল থেকে কলেজ রাজনীতির গ্রাস থেকে বাদ যাননি কেউই। রাজ্যের শাসক দলের অন্যতম দুর্গ বীরভূম। শাসক দলের নেতাদের দাদাগিরির খবর বার বার সামনে এসেছে। প্রাথমিক শিক্ষিকার অভিযোগে আরও একবার প্রমাণিত হল সেই একই কথা। 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • SSC Scam: রাজসাক্ষী হচ্ছেন অর্পিতা! চার্জশিটে কী বলল ইডি?

    SSC Scam: রাজসাক্ষী হচ্ছেন অর্পিতা! চার্জশিটে কী বলল ইডি?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজ্যে শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় (SSC Scam) রাজসাক্ষী হতে চাইলেন প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের (Partha Chatterjee) বান্ধবী অর্পিতা মুখোপাধ্যায় (Arpita Mukherjee)। সোমবার সিবিআইয়ের বিশেষ আদালতে পেশ করা চার্জশিটে এই দাবি করেছে ইডি। এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ED) সূত্রে খবর,তদন্তকারী আধিকারিকরা আলিপুর মহিলা সংশোধনাগারে অর্পিতাকে জেরা করতে যান। সেখানেই এই তথ্য পেয়েছেন তাঁরা। অর্পিতার এই আর্জি যদি ইডি মেনে নেয় তাহলে তদন্তে নয়া মোড় আসতে পারে বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল। জানা যেতে পারে কোটি কোটি টাকার উৎসও। প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী তাই যতই বলুন, যে তিনি শুধু স্বাক্ষর করেছেন, তাঁর দফতরের কর্মীরা বিষয়টি জানেন, তা আদপে ভুল প্রমাণিত হচ্ছে। অর্পিতার বয়ান যদি সত্যি হয় তাহলে কোটি টাকার উৎস সম্পর্কে বিশদে বলতে পারবেন রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রীই। এমনই অভিমত বিশেষজ্ঞদের।

    আরও পড়ুন: অর্পিতার ৩১টি পলিসির জন্য দেড় কোটি টাকা প্রিমিয়াম দিতেন পার্থ! চার্জশিটে দাবি ইডির

    ইডি চার্জশিটে জানিয়েছে, পার্থের স্ত্রী বাবলি চট্টোপাধ্যায়ের মৃত্যুর পরে বিভিন্ন কোম্পানিতে বাবলির শেয়ার অর্পিতার নামে হস্তান্তর করা হয়েছিল। পার্থ-ঘনিষ্ঠ এক হিসাবরক্ষক অর্পিতাকে চাপ দিয়ে ওই শেয়ার হস্তান্তর করার বিষয়ে সম্মতি আদায় করেছিলেন, বলে লিখিত বয়ানে জানিয়েছেন অর্পিতা। ওই হিসাবরক্ষক তাঁকে বলেছিলেন, ‘পার্থের মেয়ে বিদেশে আছেন। কলকাতায় ফিরলে ওই শেয়ার তাঁর নামে ফেরত দেওয়া হবে। আপাতত অর্পিতার নামে হস্তান্তর করা হচ্ছে।’

    আরও পড়ুন: একে অপরকে দিচ্ছেন দোষ, নিজামে পার্থ-সুবীরেশদের একসঙ্গে বসিয়ে জেরা করতে পারে সিবিআই

    অর্পিতার দুটি ফ্ল্যাট থেকে নগদ প্রায় ৪৯.৮০ কোটি টাকা এবং পাঁচ কোটি টাকার গয়না মিলেছিল। এই বিষয়ে অর্পিতা জানিয়েছেন, এগুলি সবই পার্থের। নেপাল, তাইল্যান্ড, বাংলাদেশ, সিঙ্গাপুর, হংকং, মালয়েশিয়া এবং আমেরিকার প্রচুর মুদ্রাও মিলেছিল অর্পিতার ফ্ল্যাট থেকে। যা নানা সময়ে নানা ব্যক্তি এসে রেখে গিয়েছিলেন বলে দাবি করেছেন অর্পিতা। তিনি এই টাকা-পয়সার উৎস সম্পর্কে কিছুই জানেন না যা জানেন প্রাক্তন মন্ত্রীই জানেন, বলে দাবি অর্পিতার। 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

  • Shantiprasad Sinha: শান্তিপ্রসাদ সিনহার জামিনের আর্জি খারিজ! ৫ অক্টোবর পর্যন্ত জেল হেফাজতেই

    Shantiprasad Sinha: শান্তিপ্রসাদ সিনহার জামিনের আর্জি খারিজ! ৫ অক্টোবর পর্যন্ত জেল হেফাজতেই

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পুজোয় আর বাড়ি ফেরা হচ্ছে না শান্তিপ্রসাদ সিনহার (Shantiprasad Sinha)। এসএসসি দুর্নীতি মামলায় (SSC Case) তাঁর জামিনের আর্জি খারিজ করল বিশেষ সিবিআই আদালত।  ৫ অক্টোবর পর্যন্ত জেল হেফাজতেই থাকবেন তিনি।  শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতির অভিযোগে এসএসসির উপদেষ্টা কমিটির প্রাক্তন চেয়ারম্যানকে গত ১০ অগাস্ট গ্রেফতার করেছিল সিবিআই। বৃহস্পতিবার তাঁর হেফাজতের মেয়াদ শেষ হওয়ায়  তাঁকে আদালতে তোলা হয়।

    আরও পড়ুন: প্রাইমারিতে লক্ষ লক্ষ টাকার বিনিময়ে চাকরি বিক্রি হয়েছে! চার্জশিটে দাবি ইডির

    পুজোর আগে জামিন পাননি রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ও (Partha Chatterjee) ৷ নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় আগামী ৫ অক্টোবর পর্যন্ত পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের জেল হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে আলিপুরের বিশেষ সিবিআই আদালত। পার্থ ছাড়াও কল্যাণময় গঙ্গোপাধ্যায়,অশোক সাহারও জেল হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছেন বিচারক ৷ উল্লেখ্য, এসএসসি নিয়োগ দুর্নীতিতে ভুয়ো নিয়োগপত্র দেওয়ার অভিযোগ রয়েছে শান্তিপ্রসাদের বিরুদ্ধে। গ্রুপ সি মামলায় তাঁকে গ্রেফতার করে সিবিআই। নিয়োগ সংক্রান্ত যে উপদেষ্টা কমিটি তৈরি করেছিলেন তৎকালীন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়, তার চেয়ারম্যান পদে বসানো হয়েছিল শান্তিপ্রসাদকে। অভিযোগ, তাঁর আমলেই মূলত নিয়োগ দুর্নীতি হয়।

    আরও পড়ুন: অর্পিতার ৩১টি পলিসির জন্য দেড় কোটি টাকা প্রিমিয়াম দিতেন পার্থ! চার্জশিটে দাবি ইডির

    শান্তিপ্রসাদের বিরুদ্ধে টাকা নিয়ে অযোগ্য প্রার্থীদের নিয়োগপত্র দেওয়ার অভিযোগ করেছে সিবিআই। বৃহস্পতিবার আদালতকে সিবিআই জানিয়েছে, গ্রেফতার হওয়া দুই মিডলম্যান প্রসন্ন রায় এবং প্রদীপের কম্পিউটারে অযোগ্য প্রার্থীদের তালিকা খুঁজে পেয়েছে তারা। এই দু’জনের সঙ্গে শান্তিপ্রসাদের যোগাযোগের কথা আগেই জানতে পেরেছিলেন কেন্দ্রীয় তদন্তকারীরা। তাঁদের ধারণা, এই তালিকা থেকেই নাম যেত এসএসসির উপদেষ্টা কমিটির প্রাক্তন চেয়ারম্যান শান্তিপ্রসাদের কাছে। নগদের বিনিময়ে পাওয়া যেত চাকরিও। তবে লেনদেনের দায়িত্বে থাকতেন দুই মিডলম্যানই। সিবিআইয়ের এই যুক্তি শোনার পর এসএসসির প্রাক্তন উপদেষ্টা কমিটির সদস্যের জামিনের আবেদন খারিজ করে তাঁকে ১৪ দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দেয় আদালত।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

  • Duare Ration Scheme: দুয়ারে রেশন প্রকল্প অবৈধ, সাফ জানাল হাইকোর্ট

    Duare Ration Scheme: দুয়ারে রেশন প্রকল্প অবৈধ, সাফ জানাল হাইকোর্ট

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফের একবার মুখ পুড়ল রাজ্য সরকারের!

    রাজ্য সরকারের সাধের দুয়ারে রেশন প্রকল্পকে (Duare Ration Scheme) অবৈধ ঘোষণা করল কলকাতা হাইকোর্ট (Kolkata High Court)। আদালতের মতে, এই প্রকল্প জাতীয় খাদ্য সুরক্ষা আইন ২০১৩-র পরিপন্থী। বুধবার বিচারপতি চিত্তরঞ্জন দাশ এবং বিচারপতি অনিরুদ্ধ রায়ের ডিভিশন বেঞ্চের তরফে জানানো হয়েছে, আইনের চোখে এই প্রকল্পের কোনও গ্রহণযোগ্যতা নেই। 

    একুশের বিধানসভা নির্বাচনের আগে ক্ষমতায় এলে দুয়ারে রেশন প্রকল্প চালুর প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তৃতীয়বারের জন্য রাজ্যের কুর্সি দখল করে ডিলারদের আপত্তি উড়িয়ে দিয়ে প্রকল্প চালুও করে দেয় তৃণমূল পরিচালিত রাজ্য সরকার। তার পরেই আদালতের দ্বারস্থ হন ডিলাররা। তাঁদের যুক্তি, রাজ্য সরকারের এই প্রকল্প খাদ্য সুরক্ষা আইনের বিরোধী। রাজ্যের রেশন ডিলারদের সংগঠন জানায়, রেশন সামগ্রী বিলি করে ডিলাররা পান নাম মাত্র কমিশন। পাড়ায় পাড়ায় রেশন সামগ্রী পৌঁছে দিতে গেলে বাড়তি যে খরচ হবে, তা জোগানোর ক্ষমতা নেই ডিলারদের। সংগঠনের অভিযোগে জল ঢালতে রেশন ডিলারদের গাড়ি কেনার জন্য ১ লক্ষ টাকা করে অনুদান দেওয়ার কথা ঘোষণা করে রাজ্য সরকার। তাতে অবশ্য চিঁড়ে ভেজেনি। আদালতের দ্বারস্থ হয় ডিলারদের সংগঠন।

    আরও পড়ুন : ডিএ মামলায় ফের ধাক্কা রাজ্যের! রিভিউ পিটিশন খারিজ করল হাইকোর্ট

    ডিলারদের একাংশ প্রথমে বিচারপতি কৃষ্ণা রাওয়ের এজলাসে আবেদন করেন। মামলাকারীদের দাবি, কেবলমাত্র কেন্দ্রীয় সরকারেরই প্রয়োজনীয় পণ্য উৎপাদন, সরবরাহ এবং বিতরণ করার ক্ষেত্রে নিয়ন্ত্রণ থাকতে পারে। নিষিদ্ধ করার ক্ষমতাও রয়েছে কেন্দ্রের হাতে। তাদের যুক্তি ছিল, কেন্দ্রীয় সরকার বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে রাজ্যের হাতে ক্ষমতা অর্পণ করে। তবে এ ক্ষেত্রে কেন্দ্র পশ্চিমবঙ্গকে কোনও ক্ষমতা দেয়নি। তা সত্ত্বেও প্রকল্পটি চালু করেছে রাজ্য। সিঙ্গল বেঞ্চ জানিয়েছিল, দুয়ারে রেশন প্রকল্প বেআইনি নয়। বুধবার ডিভিশন বেঞ্চ সাফ জানিয়ে দেয়, এই প্রকল্প জাতীয় খাদ্য সুরক্ষা আইন ২০১৩-র পরিপন্থী। আদালতের মতে, আইনের চোখে এই প্রকল্পের কোনও গ্রহণযোগ্যতা নেই। তাই একে অবৈধ ঘোষণা করা হল। কলকাতা হাইকোর্টের এই রায়ের জেরে দুয়ারে রেশন প্রকল্পের ভবিষ্যৎ নিয়েই উঠল বড়সড় প্রশ্নচিহ্ন!  

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

  • Partha – Arpita: তাইল্যান্ডেও রয়েছে ‘অপা’-র সম্পত্তি! ইডির চার্জশিটে খোঁজ মিলল বিলাসবহুল বাংলোর

    Partha – Arpita: তাইল্যান্ডেও রয়েছে ‘অপা’-র সম্পত্তি! ইডির চার্জশিটে খোঁজ মিলল বিলাসবহুল বাংলোর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফের সম্পত্তির হদিশ পাওয়া গেল পার্থঅর্পিতার (Partha – Arpita)। তবে এবার আর নিজের দেশে নয়, বিদেশে তাঁদের রয়েছে বিশাল সম্পত্তি। এমনটাই ইডি-র চার্জশিটে উল্লেখ করা হয়েছে। জানা গিয়েছে, ডায়মন্ডসিটির ফ্ল্যাট, শান্তিনিকেতনের বাংলো ছেড়ে এবারে তাইল্যান্ডে (Thailand) একটি বিলাসবহুল বাংলো কিনেছেন তাঁরা। আর এখানেও অর্ধেক মালিকানা অর্পিতার নামে।

    সম্প্রতি এসএসসি নিয়োগ দুর্নীতি (SSC Recruitment Scam) মামলায় পার্থ চট্টোপাধ্যায় এবং অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে ১৭২ পাতার চার্জশিট জমা দিয়েছে ইডি। ওই চার্জশিট থেকে বিস্ফোরক তথ্য উঠে এসেছে বলে জানা গিয়েছে। চার্জশিটেই ইডি দাবি করেছে যে,তাইল্যান্ডে একটি বাংলো কিনেছেন পার্থ। তদন্তকারীদের অনুমান, তাইল্যান্ডের সম্পত্তিও অপা ইউটিলিটি সার্ভিসের নামেই কেনা হয়েছে। শুধু তাই নয়, তাইল্যান্ডে তাঁরা অনেকবার ঘুরতে যেতেন, এর প্রমাণও আগে পাওয়া গিয়েছে। এবার এই বাংলোর কথা সামনে এসেছে।

    আরও পড়ুন: রাজ্যে বাড়ছে নাবালিকা বিয়ে, কন্যাশ্রীর সাফল্য কি শুধুই বিজ্ঞাপনে?

    ইডির চার্জশিটে দাবি করা হয়েছে, পার্থর সেল কোম্পানি সিম্বায়োসিস ট্রেডার্স-এর ডিরেক্টর স্নেহময় দত্তকে জিজ্ঞাসাবাদ করার পরেই চাঞ্চল্যকর তথ্য জানতে পেরেছে ইডি। স্নেহময় দত্ত তদন্তকারীদের জানিয়েছেন যে ২০১৪-১৫ সালে তাইল্যান্ডের ফুকেট গিয়েছিলেন পার্থ-অর্পিতা। এইচআর অ্যাসোসিয়েশনের নামের এক সংগঠনের তরফে পার্থকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল। সেখানেই গিয়েছিলেন পার্থ। আর তাঁর সঙ্গী ছিলেন অর্পিতা ও তাঁর সমস্ত খরচ বহন করেন এই মন্ত্রী। এমনকি অপার একসঙ্গে গোয়া যাওয়ার দাবিও করা হয়েছে এই চার্জশিটে।

    তবে তাইল্যান্ডের সম্পত্তি নিয়ে পার্থকে জিজ্ঞসাবাদ করা হলে তিনি কিছুই জানাননি। কিন্তু পরে স্নেহময়কে জিজ্ঞাসাবাদ করলে জানা যায়, কালো টাকা সাদা করতেই সেল কোম্পানিগুলিকে ব্যবহার করতেন প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী। শুধু তাইল্যান্ড নয়, দুজনে গোয়াও গিয়েছিলেন। আর এই সফরে অপার সঙ্গে ছিলেন স্নেহময়ও। তাঁরও খরচ বহন করেছিলেন পার্থ। তদন্তকারীরা এও জানিয়েছে যে, বিদেশে অপার সম্পত্তি কেনার বিষয়ে স্নেহময়েরও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে।

    ফলে এত পরিমাণ সম্পত্তির পরিমাণ দেখে চক্ষু চড়কগাছ তদন্তকারী থেকে শুরু করে সাধারণ মানুষেরও। শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় একের পর এক বিস্ফোরক তথ্য এসেই চলেছে ও একাধিক সম্পত্তিও উদ্ধার হয়েই চলেছে। একদিকে যখন বহুবার জেরা করার পরও পার্থ অর্পিতাকে চেনেন না বলেই দাবি করে এসেছেন, আবার অন্যদিকে তাঁদের সম্পর্কের ঘনিষ্ঠতার প্রমাণ করার একাধিক তথ্য দিয়ে চলেছে ইডি। ফলে এবার এটাই বোঝা গেল যে, দুর্নীতির টাকাতেই তাইল্যান্ডের বাংলো কেনা হয়েছে।

  • Gold Recovery: বেলঘরিয়া এক্সপ্রেসওয়েতে ভোররাতে গাড়ি থেকে  উদ্ধার ১১ কেজি সোনা, কোথায় যাচ্ছিল?

    Gold Recovery: বেলঘরিয়া এক্সপ্রেসওয়েতে ভোররাতে গাড়ি থেকে উদ্ধার ১১ কেজি সোনা, কোথায় যাচ্ছিল?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভোররাতে সোনাপ্রাপ্তি। বেলঘরিয়া এক্সপ্রেসওয়ে (Belghoria Expressway) থেকে উদ্ধার ১১ কেজি সোনা (11 kg Gold)। সোনার দাম প্রায় ৬ কোটি টাকা। একটি মারুতি অল্টো করে নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল ওই সোনা। শুক্রবার ভোর চারটে নাগাদ ওই গাড়িকে আটকায় পুলিশ। চলে তল্লাশি। আর তাতেই উদ্ধার হয় এই বিপুল পরিমাণ সোনা। ঘটনায় গাড়ির চালক- সহ চারজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। কোথা থেকে আনা হচ্ছিল এই সোনা, কোথায়-ই বা নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল তা জানতে তদন্তে নেমেছে পুলিশ।  

    আরও পড়ুন: এসএসসিতে ভুয়ো নিয়োগ কত? ১৩ হাজারের নামের তালিকা পর্ষদের!

    জানা গিয়েছে, পুলিশের কাছে আগেই এই সোনাপাচারের খবর ছিল। তাই ওই এলাকার পুলিশ আগে থেকেই প্রস্তুত ছিল। শুক্রবার রাত থেকেই ওই এলাকায় টহল দিচ্ছিল পুলিশ। ব্যারাকপুরের কাছে রাস্তার উপর একটি গাড়িটিকে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখে সন্দেহ হয় পুলিশের। গাড়িতে তল্লাশি চালাতেই উদ্ধার করা হয় ১১ কেজি সোনা। পুলিশ জানিয়েছে মারুতি গাড়ির ভিতর একটি ব্যাগে ওই সোনার বাটগুলি রাখা ছিল। 

    পুলিশের প্রাথমিক অনুমান মেদিনীপুরের দিকে যাচ্ছিল ওই গাড়ি। গাড়িটি এই রাজ্যের বলেই নিশ্চিত করেছে পুলিশ। কারণ গাড়ির নম্বর প্লেটটই পশ্চিমবঙ্গের। পুলিশের আধিকারিক অজয় জানিয়েছেন, বেআইনি ভাবে পাচার করা হচ্ছিল ওই সোনা। গাড়ির ভিতর চালক-সহ যে চারজন ছিল তাঁদের প্রত্যেককেই গ্রেফতার করা হয়েছে। ধৃতদের নাম সুরজিত মুখোপাধ্যায়, রাজারাম পাওয়ার, ময়ুর মনোহর পাতিল এবং গনেশ চৌহান। তাঁরা কোথা থেকে ওই সোনা এনেছিলেন, কার নির্দেশে এই কাজ করছিলেন, তা জানতে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে চার জনকেই। শুক্রবারই এই চারজনকে আদালতে পেশ করা হবে। আদালতে ১৪ দিনের হেফাজতের আবেদন জানাবে পুলিশ। 

    আরও পড়ুন: পুর-ভোটে অর্পিতাকে প্রার্থী করতে মরিয়া ছিলেন পার্থ? প্রকাশ্যে চাঞ্চল্যকর তথ্য 

    পুলিশ সূত্রে খবর, এক্সপ্রেসওয়ের ধারে যেখানে ময়লা ফেলা হয় সেখানে দাঁড়িয়েছিল গাড়িটি। সন্দেহ হওয়ায় তল্লাশি চালায় পুলিশ। পুলিশ জানিয়েছে, তদন্ত এখন প্রাথমিক পর্যায়ে রয়েছে, তাই কোথায় গাড়িটি যাচ্ছিল তা এখনও স্পষ্ট নয়। যারা গ্রেফতার হয়েছেন, তাঁরা কাছাকাছি এলাকার বাসিন্দা বলে পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে।   

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

     

  • Cattle Smuggling: দুটি গাড়ি দিয়েছিলেন নেতাকে,  অনুব্রত ঘনিষ্ঠ মলয় পিটকে তলব সিবিআই-এর

    Cattle Smuggling: দুটি গাড়ি দিয়েছিলেন নেতাকে, অনুব্রত ঘনিষ্ঠ মলয় পিটকে তলব সিবিআই-এর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গরুপাচার (Cattle Smuggling Case) মামলায় আগেই গ্রেফতার হয়েছেন তৃণমূলের বীরভূম জেলার সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল (Anubrata Mondal)। সিবিআই (CBI) স্ক্যানারে আসছেন একের পর এক অনুব্রত ঘনিষ্ঠ। নেতার ঘনিষ্ঠ মহলের তালিকায় রয়েছে বিভিন্ন পেশার মানুষ। ব্যবসায়ী থেকে স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার কর্ণধার কে নেই অনুব্রতর বন্ধু তালিকায়! গরু পাচার মামলার তদন্ত যত এগোচ্ছে তত ভিন্ন ভিন্ন নাম হাতে আসছে গোয়েন্দাদের। এবার অনুব্রত ঘনিষ্ঠ ব্যবসায়ী মলয় পিটকে তলব করল সিবিআই। এর আগে তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে এক পলিটেকনিক কলেজে হানা দিয়েছিলেন গোয়েন্দারা। অনেকদিন ধরেই গোয়েন্দাদের নজরে ছিলেন মলয় পিট (Malay Peet)। কলেজে গিয়ে তাঁকেই জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। ফের সিবিআই ক্যাম্পে তলব করা হল তাঁকে।  

    আরও পড়ুন: কেষ্টর পুজো কাটবে গারদেই! ফের খারিজ অনুব্রত মণ্ডলের জামিন

    সিবিআই সূত্রে জানা গিয়েছে, বীরভূমে একাধিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান রয়েছে মলয় পিটের। তৃণমূল সরকারের আমলেই শান্তিনিকেতনে মেডিকেল কলেজও তৈরি করেছেন মলয় পিট। এছাড়াও রয়েছে দুটি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা। একটি হল ‘স্বাধীন ট্রাস্ট’ এবং অপরটি ‘সতীর্থ চ্যারিটেবল ট্রাস্ট’। স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা দুটির অধীনেই রয়েছে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলি। 

    এর আগে শান্তিনিকেতন মেডিক্যাল কলেজ তৈরির সময় অনুব্রতকে পাশে থাকার কৃতিত্ব দিয়েছেন খোদ ব্যবসায়ী। সূত্রের খবর, ওই মেডিক্যাল কলেজ তৈরিতে অনুব্রত মণ্ডল আর্থিক সাহায্য করেছেন বলেও জানতে পেরেছে সিবিআই। সেই আর্থিক লেনদেন সম্পর্কেই এ দিন জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে মলয় পিটকে বলে জানা গিয়েছে। মেডিক্যাল কলেজ তৈরির এই বিপুল টাকা কোথা থেকে এল, প্রশ্ন করা হবে সে বিষয়ে। কোন পথে হয়েছিল লেনদেন  পুঙ্খানুপুঙ্খ জানতে চান গোয়েন্দারা। গতকাল তলব করা হয়েছিল বেশ কিছু ব্যাংক কর্মীকে। আজ নিশানায় মলয় পিট।  

    আরও পড়ুন: কয়েক হাজার টাকা মাসমাইনেতে কীভাবে রাইস মিলের মালিক? অনুব্রত-কন্যা সুকন্যাকে জিজ্ঞাসাবাদ সিবিআইয়ের
     
    বোলপুরে ভোলে ব্যোম রাইস মিলের গ্যারাজে সতীর্থ চ্যারিটেবল ট্রাস্টের নামে কেনা একটি গাড়ি ও স্বাধীন ট্রাস্টের নামে থাকা আর একটি গাড়ি দেখতে পেয়েছিলেন গোয়েন্দারা। সাংবাদিকরা মলয়কে এ বিষয়ে প্রশ্ন করলে তিনি স্বীকার করে নেন যে, ওই দুটি গাড়ি তিনিই দিয়েছিলেন অনুব্রতকে। 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

     

  • Manik Bhattacharya: রাত ৮টার মধ্যে মানিককে সিবিআই দফতরে হাজিরার নির্দেশ হাইকোর্টের, আজই কি গ্রেফতার?

    Manik Bhattacharya: রাত ৮টার মধ্যে মানিককে সিবিআই দফতরে হাজিরার নির্দেশ হাইকোর্টের, আজই কি গ্রেফতার?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের অপসারিত চেয়ারম্যান মানিক ভট্টাচার্যকে (Manik Bhattacharya) আজই সিবিআই দফতরে হাজিরা দিতে হবে। নির্দেশ দিলেন কলকাতা হাই কোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। বিচারপতি ওএমআর শিট মামলায় (OMR Sheet Case) সিবিআই (CBI) তদন্তের নির্দেশ দেন। তিনি সিবিআইকে নির্দেশ দিয়ে বলেন, অপসারিত চেয়ারম্যান মানিক ভট্টাচার্যকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে হবে। মঙ্গলবার রাত ৮টার মধ্যে সিবিআই দফতরে যেতে বলা হয়েছে মানিক ভট্টাচার্যকে। বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের আরও নির্দেশ দেন, পর্ষদের প্রাক্তন চেয়ারম্যান তদন্তে সাহায্য না করলে সিবিআই তাঁকে হেফাজতে নিতে পারে। 

    আরও পড়ুন: ‘মানিক ইজ টেকিং মানি…’, অভিযোগ পেয়েও চেপে গিয়েছিলেন পার্থ! দাবি ইডির    

    প্রাথমিক টেট মামলায় সময়ের আগেই কেন ওএমআর শিট নষ্ট করা হল, সেই প্রশ্ন উঠেছে। সদুত্তর দিতে পারেননি তৎকালীন চেয়্যারম্যান মানিক ভট্টাচার্য। সেই মামলায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্যই এ দিন মানিককে সিবিআই দফতরে যাওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। তদন্তে সহযোগিতা না করলে, প্রয়োজনে মানিককে সিবিআই গ্রেফতারও করতে পারে বলে অনুমতি দিয়েছে কলকাতা উচ্চ আদালত।  

    ২০১৪ সালের টেট পরীক্ষার ওএমআর শিট নষ্ট করায় অ্যাড হক কমিটির কী ভূমিকা ছিল, তা জানতেই মানিক ভট্টাচার্যকে জেরা করবে সিবিআই। একইসঙ্গে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা জানতে চায় মানিক ভট্টাচার্যকে কেন ওই পদে নিয়োগ করা হয়েছিল, কী ভাবে তাঁকে বাছাই করা হয়েছিল। 

    আরও পড়ুন: ‘মানিক ইজ টেকিং মানি…’, অভিযোগ পেয়েও চেপে গিয়েছিলেন পার্থ! দাবি ইডির

    প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় প্রাক্তন চেয়ারম্যান তথা পলাশিপাড়ার তৃণমূল কংগ্রেস বিধায়ক মানিক ভট্টাচার্যের বিরুদ্ধে আগেই সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিয়েছিলেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। মামলা আদালতে ওঠার পরেই চেয়ারম্যান পদ থেকে সরানো হয়েছিল মানিককে। তদন্তের স্বার্থে বিধায়ক এবং তাঁর পরিবারের সদস্যদের সম্পত্তির খতিয়ান হলফনামা আকারে জমা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছিলেন বিচারপতি। সিঙ্গল বেঞ্চের এই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে ডিভিশন বেঞ্চে যান মানিকবাবু। কিন্তু ডিভিশন বেঞ্চ সিঙ্গল বেঞ্চের রায় বহাল রাখে।   

    এক মাসের মধ্যে তদন্তের অগ্রগতির রিপোর্ট আদালতে জমা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে উচ্চ আদালত। ১ নভেম্বরের মধ্যে জমা দিতে হবে সেই রিপোর্ট। বিচারপতি এ দিন মন্তব্য করেন, “সিবিআই আইন অনুযায়ী পদক্ষেপ করবে এটা শুধু আদালতই চায় না, নাগরিক সমাজও তাদের ওপরে ভরসা রাখবে বলে আশা করি।” 

    ইডি (Enforcement Directorate) নিয়োগ দুর্নীতি সংক্রান্ত তদন্তের যে চার্জশিট আদালতে পেশ করেছে, তাতে মানিক ভট্টাচার্যের নাম ছিল। গত বুধবার ইডি দফতরে তলব করা হয়েছিল মানিকবাবুকে। প্রায় ৬ ঘণ্টার জেরা চলে। তবে মানিক ভট্টাচার্যের উত্তরে খুব একটা সন্তুষ্ট হননি গোয়েন্দারা। আর আজ মানিকবাবুকে জিজ্ঞাসাবাদ করার জন্য সিবিআইকে নির্দেশ দিলেন অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় (Abhijit Ganguly)। 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

     
     
  • SSC Scam: ‘‘যাঁরা বেআইনি চাকরি পেয়েছেন, পদত্যাগ করুন নইলে…’’, নির্দেশ হাইকোর্টের

    SSC Scam: ‘‘যাঁরা বেআইনি চাকরি পেয়েছেন, পদত্যাগ করুন নইলে…’’, নির্দেশ হাইকোর্টের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এসএসসি (SSC) নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় আদালতে ফরেনসিক রিপোর্ট পেশ করল সিবিআই (CBI)। বুধবার কলকাতা হাইকোর্টে (Calcutta High Court) গ্রুপ সি, গ্রুপ ডি, নবম-দশম, একাদশ-দ্বাদশ নিয়ে চারটি রিপোর্ট পেশ করে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। এতদিন শুধু অভিযোগ ছিল যে, নম্বর অদল-বদল করা হয়েছে। কিন্তু ফরেনসিক রিপোর্টে দেখা গিয়েছে, ‘হার্ড ডিস্কে থাকা উত্তরপত্র ও এসএসসির সার্ভারে থাকা উত্তরপত্রে নম্বর মিলছে না। হার্ডডিস্কে দেখা গিয়েছে কেউ ‘০’ বা ‘১’ নম্বর পেয়েছেন, কিন্তু এসএসসি সার্ভারে থাকা উত্তরপত্রে তাঁদের প্রাপ্ত নম্বর ‘৫০’ কিংবা ‘৫৭’। গ্রুপ সি-তে ৩ হাজার ৪৮১ জনের নম্বর এবং গ্রুপ ডি-তে ২ হাজার ৮২৩ জনের নম্বর বদল হয়েছে। আদালতে সিবিআই জানিয়েছে, এই সংক্রান্ত ৩টি হার্ড ডিস্ক উদ্ধার হয়েছে’।

    আরও পড়ুন: হদিশ মিলল সিবিআই-এর হাজিরা এড়ানো ‘নিখোঁজ’ মানিকের! কোথায় তিনি?

    সিবিআই দাবি করেছে, নবম ও দশমের নিয়োগ মামলায় ৯০৭ জনের ওএমআর শিট জালিয়াতি করা হয়েছে। সাদা খাতা জমা দিয়েছে এমন প্রার্থীদের নামের পাশেও বসেছে ৫৩ নম্বর। এসএসসি-র সার্ভারে সেই তথ্য পাওয়া গিয়েছে। সুবীরেশ ভট্টাচার্য সেই সময় চেয়ারম্যান ছিলেন। সিবিআই জানিয়েছে, ধৃতরা মুখ খুলতে চাননি। কারণ তাঁরা জানেন সিবিআই থার্ড ডিগ্রি ব্যবহার করে না। এমনকী একজন ভয়েস স্যাম্পেল দিতেও রাজি হননি। প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের পাশাপাশি এই নিয়োগ দুর্নীতিতে যে শিক্ষা দফতরও জড়িয়ে, সিবিআই রিপোর্টে তার সুস্পষ্ট ইঙ্গিত রয়েছে বলে মনে করছেন তদন্তকারীরা। এই রিপোর্ট সামনে আসার পরই বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, ‘আমি শকড!’ ওদিকে, সিবিআইয়ের আইনজীবী বলেন, ‘আমি স্পিচলেস!’

    আরও পড়ুন: রাত ৮টার মধ্যে মানিককে সিবিআই দফতরে হাজিরার নির্দেশ হাইকোর্টের, আজই কি গ্রেফতার?

    সিবিআই-এর কথা শোনার পর বিচারপতি কড়া ভাষায় বলেন, “যাঁরা বেআইনি চাকরি পেয়েছেন তাঁরা নিজেরা খুব ভালো মতন জানেন। তাঁদের অনুরোধ করব, চাকরি থেকে পদত্যাগ করুন। তা না হলে কড়া পদক্ষেপ করবে আদালত। যাঁরা পদত্যাগ করবেন না তাঁরা কোনও দিন সরকারি চাকরিতে আবেদনও করতে পারবেন না। বেআইনি চাকরি প্রাপকদের আলাদা সার্ভার ডেটা তৈরি করবে সিবিআই বা অন্য কেউ।” বিচারপতি আরও বলেন,”সুবীরেশ ভট্টাচার্যকে হেফাজতে নিয়ে পূর্ণাঙ্গ তদন্ত করুক সিবিআই। আমি এসএসসি ল-ইনচার্জ থাকার সময় সুবীরেশ ভট্টাচার্যের সঙ্গে কাজ করেছি। আমি জানতাম তিনি জেন্টলম্যান। এখন সিবিআই তদন্তে যখন সামনে আসছে তাঁর সময়কালে  এতো অনিয়ম। বেআইনি চাকরি হয়েছে। আমার স্থির বিশ্বাস সুবীরেশ ভট্টাচার্য কোনও বড় প্রভাবশালী অঙ্গুলিহেলনে এই কাজ করেছেন। সেই প্রভাবশালীদের নাম জানাক সুবীরেশ ভট্টাচার্য।”

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Bengal Child Marriage: রাজ্যে বাড়ছে নাবালিকা বিয়ে, কন্যাশ্রীর সাফল্য কি শুধুই বিজ্ঞাপনে?

    Bengal Child Marriage: রাজ্যে বাড়ছে নাবালিকা বিয়ে, কন্যাশ্রীর সাফল্য কি শুধুই বিজ্ঞাপনে?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তৃণমূল সরকারের (TMC Government) ভোট অস্ত্র। শহর থেকে গ্রাম এই সরকারি প্রকল্পের বিজ্ঞাপন ঢেকে গিয়েছে। খোদ মুখ্যমন্ত্রী যে কোনও সভা মঞ্চে সাফল্যের তালিকা তুলে ধরলেই সেই প্রকল্পের কথা সব্বার প্রথমে বলেন। কিন্তু তারপরেও যেন বাস্তবে বড় ধাক্কা খেল মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata) স্বপ্নের প্রকল্প।

    রাজ্যে বাড়ছে নাবালিকা বিয়ে। প্রশ্ন উঠছে কন্যাশ্রী কি শুধুই বিজ্ঞাপনে আটকে? বাস্তবের ছবি কি আলাদা? ন্যাশনাল ফ্যামিলি হেলথ সার্ভের (NFHS) ২০১৯-২০ সালের রিপোর্ট বলছে, পশ্চিমবঙ্গে নাবালিকা বিয়ে (Child Marriage) বেড়েছে। ১৮ বছরের কম বয়সি মেয়েদের বিয়ের সংখ্যা ২০১৫-১৬-র তুলনায় অনেকটাই বেড়েছে।

    কেন্দ্রীয় সরকারের তথ্য অনুযায়ী, ২০১৫-১৬ সালের এনএফএইচএস রিপোর্টে বলা হয়েছে, ৪১ শতাংশ মেয়ের ১৮ বছরের আগেই বিয়ে হয়ে যায়। কিন্তু ২০১৯-২০ সালের এনএফএইচএস রিপোর্ট অনুযায়ী, পশ্চিমবঙ্গের ৪৮.১ শতাংশ গ্রামীণ মেয়ের নাবালিকা বিয়ে হয়। শহরে সেই সংখ্যা ২৬.২ শতাংশ। 

    আরও পড়ুন: কার্ড দেখালেই বেসরকারি হাসপাতালে ‘বেড ফাঁকা নেই’, স্বাস্থ্য সাথী কি কেবল ‘বিজ্ঞাপন’?

    কেন্দ্রের এই পরিসংখ্যান কন্যাশ্রীর (Kanyashree) সাফল্য নিয়ে প্রশ্ন তুলছে বলে মনে করছেন একাংশ। তৃণমূল সরকার ক্ষমতায় আসার পরেই কন্যাশ্রী প্রকল্প শুরু করে। মেয়েদের পড়াশোনা চালিয়ে যাওয়ার উদ্দেশ্যে এই প্রকল্প। ১৮ বছর পর্যন্ত মেয়েরা পড়াশোনা করবে এবং নাবালিকা বিয়ে আটকানো যাবে, এই দুইয়ের বাস্তবায়ন কন্যাশ্রীর উদ্দেশ্য। কিন্তু বাস্তবে কন্যাশ্রী আদৌও কার্যকরী হচ্ছে কি? সেই প্রশ্ন জোরালো করছে কেন্দ্রের পরিসংখ্যান।

    প্রশাসনের অন্দরের একাংশ জানাচ্ছেন, কন্যাশ্রী নিয়ে প্রচার যতখানি হচ্ছে, সুফল ভোগ কত মেয়ে করছে, সে নিয়ে প্রশ্ন থাকছে। অনেকেই কন্যাশ্রীর টাকা ঠিক মতো পাচ্ছে না। শুধু টাকা নয়, সরকারের তদারকিরও অভাব থাকছে। মেয়েদের বিয়ে রুখে পড়াশোনা চালিয়ে যাওয়ার ক্ষেত্রে স্থানীয় প্রশাসনের ভূমিকা জরুরি। কিন্তু অনেক জায়গায় অভিযোগ উঠছে, নাবালিকা বিয়েতে স্থানীয় প্রশাসন অর্থাৎ পঞ্চায়েত সদস্য, কাউন্সিলরদের ও ইতিবাচক ভূমিকা থাকছে। ফলে, হোর্ডিংয়ের মতো বাস্তবে কন্যাশ্রী জ্বলজ্বল করছে না। 

    প্রশাসনিক সূত্রে জানা গিয়েছে, কন্যাশ্রীর টাকা পাওয়া নিয়েও একাধিক দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। অনেক এলাকায় কন্যাশ্রীর টাকার একাংশ স্থানীয় পঞ্চায়েত প্রধান কিংবা কাউন্সিলরকে দিতে হয়। কন্যাশ্রীর টাকার ‘ভাগ’ না পেলে প্রয়োজনীয় নথিতে সই করতে চান না সংশ্লিষ্ট মহল। তার উপরে কে কন্যাশ্রী পাবে, সে নিয়েও চলে নানান রাজনৈতিক জটিলতা। এলাকার শাসক দলের নেতার সুনজরে না থাকলে অনেকেই ফর্ম পূরণ করেও কন্যাশ্রীর সুবিধা পাচ্ছেন না। ফলে, যাদের এই প্রকল্পের প্রয়োজন, তাঁরা অনেকেই আওতার বাইরে থেকে যাচ্ছেন। 

    আরও পড়ুন: এসএসসিতে ভুয়ো নিয়োগ কত? ১৩ হাজারের নামের তালিকা পর্ষদের!

    যদিও কন্যাশ্রীর জন্য পরিস্থিতি অনেকটাই বদলে গিয়েছে বলে মনে করেন মন্ত্রী শশী পাঁজা। তিনি বলেন, “মুখ্যমন্ত্রীর কন্যাশ্রী যে সফল, তা শুধু দেশে নয়, আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রেও স্বীকৃতি পেয়েছে। নাবালিকা বিয়ের মতো সমস্যা একদিনে মিটবে না। প্রশাসন এ নিয়ে তৎপর। উত্তরপ্রদেশের মতো রাজ্যে এই ঘটনা আরও বেশি হচ্ছে।”
     
    তবে, খামতি যে থাকছে সে কথা স্বীকার করছে রাজ্য শিশুর অধিকার সুরক্ষা কমিশন। কমিশনের তরফে বলা হয়, নাবালিকা বিয়ে একটা সামাজিক সমস্যা। একে পুরোপুরি নির্মূল করতে হলে আরও সক্রিয় হতে হবে। সব মহলকেই সক্রিয় ভূমিকা পালন করতে হবে। সরকারি প্রকল্পের পাশাপাশি মেয়েদের সতর্ক ও করতে হবে। বাড়ির লোক জোর করলেও যাতে মেয়েরা প্রশাসনকে বিষয়টি জানায়, অভিযোগ করে, সেটা সুনিশ্চিত করতে হবে। সেটা হচ্ছেও। অনেক জায়গায় মেয়েদের সাহসের জোরেই নাবালিকা বিয়ে আটকানো যাচ্ছে।

LinkedIn
Share