Category: রাজ্য

Get West Bengal News, Bengali Breaking News, Latest News in Bengali only from মাধ্যম | Madhyom, Bengali News Portal for সম্পূর্ণ নিরপেক্ষ বাংলা সংবাদ, বাংলা খবর

  • Sukanta Majumdar: ‘‘এত দামী উকিল রাখা কেন?’’, মমতার ‘‘মামলায় টাকা শেষ’’ মন্তব্যের জবাবে সুকান্ত

    Sukanta Majumdar: ‘‘এত দামী উকিল রাখা কেন?’’, মমতার ‘‘মামলায় টাকা শেষ’’ মন্তব্যের জবাবে সুকান্ত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বিধানসভায় এমন এক মন্তব্য করে বসলেন যে, যা নিয়ে আবার জল্পনা শুরু হয়েছে। আর এই মন্তব্য নিয়ে কটাক্ষ করতে ছাড়লেন না বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar)। মুখ্যমন্ত্রী বিবৃতি দিতে গিয়ে বললেন, “মামলা লড়তে গিয়ে শূন্য হয়ে যাচ্ছে রাজ্যের ভাঁড়ার।” আর এই মন্তব্যের পরেই সুকান্ত মজুমদার কটাক্ষের সুরে মুখ্যমন্ত্রীকে তাঁর সমস্যার সমাধান দিলেন।

    মুখ্যমন্ত্রী কী বললেন?

    এর আগেই শিক্ষক নিয়োগে কেন্দ্রীয় তদন্তের মধ্যেই নতুন করে নিয়োগের ক্ষেত্রে আইনি বাধা নিয়ে সরব হয়েছে রাজ্যের শাসক শিবির। তাঁর কথায়, সরকারের বিভিন্ন কাজে আদালত থেকে স্থগিতাদেশ এনে বাধা তৈরি করা হচ্ছে। ফলে নিয়োগ বা অন্যান্য কাজে সেই আইনি লড়াই চালাতেই সরকারের সব অর্থ শেষ হয়ে যাচ্ছে বলে ক্ষোভ উগরে দিলেন মুখ্যমন্ত্রী। তাই তিনি বিধানসভায় এই প্রসঙ্গে বলেন, ‘‘আদালতের কাছেও আবেদন জানাব, বিচারের বাণী যেন নীরবে নিভৃতে না কাঁদে।’’

    তিনি আরও বলেন, ‘‘যখনই আমরা লোক নিতে চাই বা রেশনের (দুয়ারে রেশন) মত প্রকল্প নিই, তখনই আদালতে যায়। আর স্থগিতাদেশ নিয়ে চলে আসছে। আদালতে লড়তে লড়তেই সব টাকা শেষ হয়ে যাচ্ছে।’’ কিন্তু এসব বলেও কটাক্ষের হাত থেকে রেহাই পেলেন না মমতা ব্যানার্জি। বরং সমালোচনা আরও বেড়ে গেল।

    আরও পড়ুন: ‘ডিসেম্বর সিনড্রোম’! ভয় পেয়েই কি বিরোধী দলনেতাকে নিজের ঘরে ডাকলেন মুখ্যমন্ত্রী?

    মন্তব্যে প্রশ্ন করেছেন সুকান্ত মজুমদার

    মামলা লড়তে লড়তে সরকারের ভাঁড়ার শূন্য হয়ে যাচ্ছে, এই মন্তব্যে পরেই সুকান্তর (Sukanta Majumdar) প্রশ্ন, “রাজ্য সরকার কেন এত দামী উকিল নিচ্ছে? যখন মামলা দুর্বল হয়, তখনই তো দামী উকিল নিতে হয়।” শুক্রবার মিঠুন চক্রবর্তীর সঙ্গী হয়ে বাঁকুড়ার সোনামুখীতে দলীয় কর্মসূচি সারেন সুকান্ত। সেখানেই রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে একের পর এক তোপ দাগেন তিনি। সুকান্তর দাবি, দুর্বল মামলায় লড়তে দামী দামী আইনজীবী নিয়োগ করছে রাজ্য। আর তাতেই বাড়ছে খরচ।

    সুকান্ত (Sukanta Majumdar) আরও বলেন, ‘‘খুঁত রেখেই বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করছেন। যাতে কেউ না কেউ আদালতে যান আর নিয়োগ প্রক্রিয়া স্তব্ধ হয়ে যায়। তা হলে রাজ্য সরকারকে আর মাইনে দিতে হবে না! মাইনে দেওয়ার টাকা কোথায়?’’

    তিনি কটাক্ষের সুরে আরও বলেন, ডিএ-র মত বিষয় সরকারি কর্মীদের ন্যায্য অধিকার। কেনই বা তা নিয়ে উচ্চ আদালতে যেতে হচ্ছে রাজ্য সরকারকে? তা নিয়েও প্রশ্ন তোলেন সুকান্ত। রাজ্য সরকারকে তাই তিনি পরামর্শ দেন, কর্মচারীদের মহার্ঘ ভাতা দিতে হবে, নয় সরকারী কর্মচারী সংগঠনের সঙ্গে বসে কথা বলতে হবে।

  • Anubrata Mandal: জামিনের আবেদনই করলেন না, আরও ১৪ দিন জেল হেফাজতেই কেষ্ট

    Anubrata Mandal: জামিনের আবেদনই করলেন না, আরও ১৪ দিন জেল হেফাজতেই কেষ্ট

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গরু পাচার (Cattle smuggling case) মামলায় জেলেই অনুব্রত। এবারও জামিন পেলেন না বীরভূমে তৃণমূলের জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল (Anubrata Mondal)। জেল হেফাজতের মেয়াদ ফুরনোয় তাঁকে শুক্রবার সকালে আসানসোলের বিশেষ সিবিআই আদালতে তোলা হয়। এদিন তৃণমূল নেতার জামিনের আবেদনই জানানো হয়নি। ফলে সিবিআইয়ের (CBI) আবেদনে মান্যতা দিয়ে ফের জেল হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছেন বিচারক। ৯ ডিসেম্বর পর্যন্ত তিনি জেলে থাকবেন। ওইদিন ফের তাঁকে আদালতে পেশ করা হবে।

    এখনই দিল্লি নয়

    চলতি সপ্তাহে অনুব্রতকে দিল্লি নিয়ে যেতে পারছে না ইডি। দিল্লি হাইকোর্টে অনুব্রত-মামলার শুনানি পিছিয়ে গেল। রাউস অ্যাভিনিউ কোর্টের নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে দিল্লি হাইকোর্টে মামলা করেন অনুব্রত। তাঁকে দিল্লি নিয়ে জেরা করতে নির্দেশ জারি করতে রাউস অ্যাভিনিউ কোর্টে আবেদন জানায় ইডি। সেই আবেদনকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে দিল্লি হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন অনুব্রত। দিল্লি হাইকোর্টে মামলার শুনানি  হবে ১ ডিসেম্বর। তাই আপাতত দিল্লি যেতে হচ্ছে না অনুব্রতকে। অন্যদিকে শুক্রবার দিল্লিতে ইডি-র (ED) সদর দফতরে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য হাজির হয়েছেন অনুব্রত কন্যা সুকন্যা মণ্ডল (Sukanya Mondal )। এই নিয়ে ততীয়বার হাজিরা দিলেন তিনি। আগামী ২৮ নভেম্বর রাইসমিল মালিক সঞ্জীব মজুমদারকেও তলব করেছে ইডি। 

    আরও পড়ুন: ভয় দেখিয়ে টিকিট হাতিয়ে নেন কেষ্ট! আসল লটারি বিজেতার দাবিতে তোলপাড়

    আদালতে কী হল

    এদিন অনুব্রতকে আদালতে তোলা হলে তাঁর আইনজীবীর জামিনের আবেদন না জানানো নিয়ে জল্পনা শুরু হয়। পরে বাইরে বেরিয়ে আইনজীবীরা জানান, তাঁরা এবার জামিন চেয়ে উচ্চ আদালতে যাবেন, তাই আর এখানে জামিনের আর্জি জানাননি। এদিকে এজলাসে আজ কেস ডায়রি অনুব্রতর হাতে তুলে দেন সিবিআইয়ের আইনজীবী। তদন্ত কোন পর্যায়ে আছে তা নিয়ে সিবিআইয়ের আইনজীবীকে প্রশ্ন‌ও করেন বিচারক। তবে এদিন বিশেষ একটা স‌ওয়াল-জবাব হয়নি। অন্যদিকে, বৃহস্পতিবার সিবিআই আধিকারিকরা বোলপুরে হানা দিয়ে মূলত অনুব্রত মণ্ডলের লটারিতে কোটি টাকার জেতার রহস্য ভেদ করতে উঠে পড়ে নামেন। আসল লটারির টিকিট যিনি জিতে ছিলেন অর্থাৎ সেই নুর আলির নানুরে বড় শিমুলিয়ার বাড়িতে হানা দেন। সেখান থেকে পাওয়া নথিতে সিবিআই আধিকারিকরা সন্তুষ্ট না হলে তাকে শান্তিনিকেতনের অস্থায়ী ক্যাম্পে ডেকে পাঠানো হয় এবং জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।  

  • Mithun Chakraborty: বিজেপি বিধায়ক চন্দনা বাউড়ির বাড়িতে মধ্যাহ্নভোজ সারেন ‘মহাগুরু’, কী কী ছিল মেনুতে?

    Mithun Chakraborty: বিজেপি বিধায়ক চন্দনা বাউড়ির বাড়িতে মধ্যাহ্নভোজ সারেন ‘মহাগুরু’, কী কী ছিল মেনুতে?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সামনেই পঞ্চায়েত নির্বাচন। আর একেই পাখির চোখ করে প্রচারে নেমেছেন বিজেপি। বিজেপির তরফে প্রত্যন্ত এলাকায় জনসংযোগে নানা কর্মসূচি রয়েছে মিঠুন চক্রবর্তীর (Mithun Chakraborty)। গতকাল প্রচারে গিয়েছিলেন পুরুলিয়া। আর আজ বাঁকুড়া। আর তিনি প্রচারের দ্বিতীয় দিনেই পৌঁছে গিয়েছেন শালতোড়ার বিজেপি বিধায়ক চন্দনা বাউড়ির বাড়িতে। আর সেখানে গিয়েই মধ্যাহ্নভোজ সারেন তিনি। অন্যদিকে টিভির পর্দার সেই ডিস্কো ডান্সার, মহাগুরুকে খাওয়াতে পেরে আপ্লুত চন্দনা।

    শালতোড়ার বিজেপি বিধায়ক চন্দনা বাউড়ির বাড়িতে ‘মহাগুরু’

    বৃহস্পতিবার সকালে ১০.৪৫ নাগাদ বাঁকুড়ায় জেলা কমিটির সঙ্গে বৈঠক করেন মিঠুন (Mithun Chakraborty)। তারপর মণ্ডল কমিটির সঙ্গেও বৈঠক করেন তিনি। সেখান থেকে বেরিয়ে বেলা আড়াইটে নাগাদ গঙ্গাজলঘাঁটি ব্লকের কেলাই গ্রামে বিধায়ক চন্দনা বাউরির বাড়ির উদ্দেশ্যে রওনা দেন। সেখানে তাঁর সঙ্গে গিয়েছিলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার ও কেন্দ্রীয় শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী সুভাষ সরকার। তাঁরা যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে তাঁদেরকে ফুল, মালা, উত্তরীয় পরিয়ে স্বাগত জানান গ্রামের মহিলারা।

    আরও পড়ুন: হাইকোর্টে ধাক্কা খেল স্কুল সার্ভিস কমিশন! এবার কি সুপ্রিম দুয়ারে যাবে রাজ্য সরকার?

    খাবারে কী কী ছিল?

    মহাগুরুর (Mithun Chakraborty) আতিথেয়তায় কোনও ত্রুটি রাখেননি চন্দনা। নিজের হাতে সকাল থেকে অনেক পদ রান্না করেন তিনি। তার পর সাংগঠনিক বৈঠকেও যোগ দিতে যান তিনি। এমনকি খেতে দেওয়ার জন্য চন্দনা নিজের হাতেই বানায় শালপাতা। দুপুরে ‘মহাগুরু’র পাতে চন্দনা সাজিয়ে দেন ভাত, মাছ, সঙ্গে পাঁচমেশালি তরকারি, ডাল ও নায়কের পছন্দের আলু পোস্ত। শেষপাতে ছিল চাটনি, মিষ্টি। খাওয়ার মাঝেই মিঠুন বলেন, ‘‘এ খাবারে মিশে রয়েছে ভালবাসা। এ খাবার এমনিই ভাল হয়ে যায়। এটাই আমার পছন্দের খাবার। চন্দনা নিজে হাতে শালপাতা তৈরি করে এনে তাতে আমায় খেতে দিয়েছে।”

    আপ্লুত চন্দনা বাউড়ি

    মিঠুন চক্রবর্তীকে (Mithun Chakraborty) নিজের হাতে রান্না করা খাবার খাওয়াতে পেরেছেন বলে অত্যন্ত আনন্দিত চন্দনা। বৃহস্পতিবার ভোর তিনটে থেকে রান্নার আয়োজন শুরু করেছিলেন তিনি। তিনি এদিন বলেন, “ছোটবেলায় টিভির পর্দায় মহাগুরুকে দেখেছিলাম। ভাবতে পারিনি তিনি কোনও দিন আমার বাড়িতে আসবেন বা আমার হাতের রান্না খাবেন। নিজে হাতে তাঁকে খাবার পরিবেশন করে আমি ধন্য।”

  • Calcutta High Court: ডিএ-র দাবিতে আন্দোলনকারীদের গ্রেফতারি দুর্ভাগ্যজনক, বললেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়

    Calcutta High Court: ডিএ-র দাবিতে আন্দোলনকারীদের গ্রেফতারি দুর্ভাগ্যজনক, বললেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফের কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court) তোপের মুখে রাজ্য সরকার। এবারও তোপ দাগলেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় (Justice Abhijit Gangopadhya)। ডিএ-র (DA) দাবিতে আন্দোলন করতে গিয়ে গ্রেফতারির ঘটনা দুর্ভাগ্যজনক বলে মন্তব্য করেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়। হাইকোর্টের ওই কর্মীকে গ্রেফতারির পরেও ছাড়া হয়নি। প্রসঙ্গত, এসএসসি মামলা চলছে কলকাতা হাইকোর্টে। সেই মামলা চলাকালীনই স্বতঃপ্রণোদিতভাবে এই মন্তব্য করেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়।

    ডিএর দাবিতে…

    বকেয়া ডিএর দাবিতে বুধবার লেনিন মূর্তির পাদদেশ থেকে বিধানসভা পর্যন্ত অভিযানের ডাক দিয়েছিল সরকারি কর্মীদের তিরিশটি সংগঠন। তিরিশটি সংগঠনের যৌথমঞ্চের বিধানসভা অভিযান ঘিরে ধুন্ধুমারকাণ্ড বাঁধে। পূর্ব কর্মসূচি অনুযায়ী মিছিল ডোরিনা ক্রসিং হয়ে রানি রাসমণি রোডে আন্দোলনকারীদের মিছিল পৌঁছতেই পথ আটকায় পুলিশ। ডিএর দাবিতে আন্দোলনকারীদের রুখতে তৈরি করা হয় ত্রিস্তরীয় ব্যারিকেড। এর মধ্যে দুটি ভেঙে এগিয়ে যান আন্দোলনকারীরা। ধর্মতলা থেকে মিছিল বিধানসভার দিকে এগোতেই রুখে দেয় পুলিশ। বকেয়া ডিএ চাওয়ায় পুলিশ কয়েকজনকে ঘুষিও মারে বলে অভিযোগ। রক্তাক্ত হন কয়েকজন। টেনে হিঁচড়ে চ্যাংদোলা করে আন্দোলনকারীদের তোলা হয় গাড়িতে। পুলিশের ধাক্কাধাক্কি থেকে রেহাই পাননি অবসরপ্রাপ্ত সরকারি কর্মীরাও। এঁদের মধ্যে অনেকের দাবি, ডিএ বকেয়া থাকায় তাঁরা পেনশনে অনেক টাকা কম পাচ্ছেন। ওই ঘটনায় কয়েকজনকে গ্রেফতারও করা হয়।

    আরও পড়ুন: মুখ্য নির্বাচন কমিশনার নিয়োগে হস্তক্ষেপ অনভিপ্রেত, সুপ্রিম কোর্টে কেন্দ্র

    কেবল একবার নয়, নানা সময়ে হাইকোর্ট জানিয়েছে যে ডিএ হল সরকারি কর্মীদের আইনি অধিকার। এটি প্রাপ্য। ডিএ দিতেই হবে। তা নিয়ে মামলা চলছে দীর্ঘদিন ধরে। রাজ্যের করা পুনর্বিবেচনার আর্জি ইতিমধ্যেই খারিজ করে দিয়েছে আদালত। হাইকোর্ট যখন নির্দেশ দিচ্ছে সরকারি কর্মীদের মহার্ঘ ভাতা দিতে হবে, তখন সেই কথা কার্যত শুনছে না রাজ্য সরকার। এর পর গতকাল একে একে গ্রেফতার করা হয় আন্দোলনকারীদের। আইনজীবী মহলের একাংশের মতে, সেই কারণেই এদিন এহেন মন্তব্য করেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়।

    এদিকে, ডিএ নিয়ে এখনও অবস্থান বদলায়নি রাজ্য সরকার। কলকাতা হাইকোর্ট তিন মাসের বকেয়া ডিএ মেটানোর যে নির্দেশ দিয়েছে, তা চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টে গিয়েছে রাজ্য সরকার। সেই মামলার শুনানি এখনও শুরু হয়নি। দেশের শীর্ষ আদালত কী রায় দেয়, আপাতত সেদিকেই তাকিয়ে ডিএর দাবিদাররা।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Dhulagarh: ‘হিজাব বিতর্কে’ ভাঙচুর ধূলাগড়ের স্কুলে, বন্ধ হয়ে গেল পরীক্ষা  

    Dhulagarh: ‘হিজাব বিতর্কে’ ভাঙচুর ধূলাগড়ের স্কুলে, বন্ধ হয়ে গেল পরীক্ষা  

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এবার হিজাব বির্তক (Hijab Controversy) হাওড়ার (Howrah) স্কুলে। মঙ্গলবার ঘটনার জেরে পরীক্ষা বাতিল করতে হয় হাওড়ার সাঁকরাইলের ধূলাগড়ি আদর্শ বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে। হিজাব বিতর্কে অশান্ত হয়েছিল কর্নাটক (Karnataka)। এবার সেই একই বিতর্ক দেখা গেল এ রাজ্যেও।

    ঠিক কী হয়েছিল?

    ঘটনার সূত্রপাত সোমবার। প্রতিদিনের মতো এদিনও সাঁকরাইলের ধূলাগড়ের (Dhulagarh) ওই স্কুলে দশম থেকে দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্রীরা হিজাব পরে স্কুলে আসে। হিজাব পরে স্কুলে প্রবেশ করা যাবে না বলে আপত্তি তোলে দ্বাদশ শ্রেণির একদল ছাত্র। তাদের দাবি, যদি হিজাব পরে স্কুলে আসা যায়, তাহলে তারাও নামাবলী গায়ে দিয়ে স্কুলে আসবে। নামাবলী গায়ে দিয়ে স্কুলে এলে তাদের প্রবেশের অনুমতি দিতে হবে। সেই মতো মঙ্গলবার দ্বাদশ শ্রেণির পাঁচ ছাত্র নামাবলী গায়ে দিয়ে স্কুলে আসে। এবার প্রতিবাদ জানায় ওই স্কুলের দশম থেকে দ্বাদশ শ্রেণির হিজাব পরা ছাত্রীরা।

    কেবল ওই ছাত্রীরাই নয়, নামাবলী গায়ে দিয়ে আসা পড়ুয়াদের নামাবলী খুলতে বলেন ধূলাগড়ের (Dhulagarh) ওই  স্কুল কর্তৃপক্ষও। স্কুলে একাদশ ও দ্বাদশ শ্রেণির পরীক্ষা চলছে। পরীক্ষা শেষে বৈঠকে বসে ম্যানেজিং কমিটি। সেখানেও সিদ্ধান্ত হয়, ইউনিফর্ম পরেই স্কুলে আসতে হবে ছাত্রছাত্রীদের। অন্য কোনও ধর্মীয় পোশাক পরে স্কুলে আসতে বারণ করা হয় পড়ুয়াদের। তার পরেও মঙ্গলবার থেকে তিন চারজন পড়ুয়া নামাবলী গায়ে দিয়ে স্কুলে আসে। ঘটনাকে কেন্দ্র করে হাতাহাতি শুরু হয় পড়ুয়াদের মধ্যে। উত্তেজিত কয়েকজন ছাত্রছাত্রী স্কুলের চেয়ার টেবিল উল্টে দেয়। স্কুলের মধ্যে ভাঙচুরও চালায় তারা।

    আরও পড়ুন: হিজাব-আইনের বিরোধিতা, জ্বলছে ইরান! পুলিশের গুলিতে নিহত অন্তত ৫০জন প্রতিবাদী

    ধূলাগড়ের (Dhulagarh) ওই স্কুলের টিটার ইনচার্জ অরিন্দম মান্না বলেন, স্কুলের ম্যানেজিং কমিটির বৈঠক হয়। সেখানে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় কোনও ধর্মীয় পোশাক পরে স্কুলে আসতে পারবে না পড়ুয়ারা। কিন্তু কয়েকজন ছাত্র গায়ে নামাবলী জড়িয়ে এলে ঝামেলা শুরু হয়। প্রশাসনের নির্দেশে একাদশ ও দ্বাদশ শ্রেণির পরীক্ষা বাতিল করা হয়েছে। তিনি বলেন, এ ব্যাপারে দু পক্ষের অভিভাবকদের ডাকা হবে এবং ফের ম্যানেজিং কমিটির বৈঠক ডাকা হবে। কর্নাটকে হিজাব বিতর্কের রেশ এখনও মেলায়নি। হাইকোর্ট হয়ে মামলা গড়িয়েছে সুপ্রিম কোর্টে। হাইকোর্ট পরে জানিয়ে দেয়, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে হিজাব পরা মৌলিক অধিকারের মধ্যে পড়ে না।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Sukanta Majumdar: ‘মুখ্যমন্ত্রী বিজেপির কাছে সারেন্ডার করেছেন’, বললেন সুকান্তও

    Sukanta Majumdar: ‘মুখ্যমন্ত্রী বিজেপির কাছে সারেন্ডার করেছেন’, বললেন সুকান্তও

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মুখ্যমন্ত্রী (CM) বিজেপির (BJP) কাছে সারেন্ডার করেছেন। রবিবার এ কথা বললেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar)। এদিন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির (PM Modi) মন কি বাত অনুষ্ঠানে যোগ দিতে বোলপুরের কাছারিপট্টিতে গিয়েছিলেন সুকান্ত। ওই অনুষ্ঠানে হাজির থাকার কথা ছিল বিজেপির তারকা নেতা মিঠুন চক্রবর্তীরও। তবে অসুবিধা থাকায় মিঠুন হাজির হতে পারেননি। যোগ দিয়েছিলেন সুকান্ত। সেখানেই মুখ্যমন্ত্রীকে নিশানা করেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি।

    সংবিধান দিবস…

    শনিবার দেশজুড়ে পালিত হয় সংবিধান দিবস। তার আগের দিন বিধানসভায় এই উপলক্ষে হয় অনুষ্ঠান। বক্তৃতা দেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা বিজেপির শুভেন্দু অধিকারী। পরে মুখ্যমন্ত্রী তাঁকে চায়ের নেমতন্ন করেন। তিন বিধায়ককে নিয়ে শুভেন্দু মুখ্যমন্ত্রীর ঘরেও যান। মমতা-শুভেন্দুর এই সাক্ষাৎকার প্রসঙ্গে সুকান্ত (Sukanta Majumdar) বলেন, মুখ্যমন্ত্রী বিজেপির কাছে সারেন্ডার করেছেন। বিজেপি বিধায়কদের নিয়ে দিল্লি যাবেন বলেছিলেন মমতা। সে প্রসঙ্গে সুকান্ত বলেন, কোনও সরকারি অনুষ্ঠানে বিজেপি বিধায়কদের ডাকা হয় না। এখন মুখ্যমন্ত্রী বলছেন, বিজেপি বিধায়কদের নিয়ে দিল্লি যাব। সুকান্ত বলেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নাকে খত দিয়েছেন!

    আরও পড়ুন: বিজেপি ক্ষমতায় এলে শিল্পের জোয়ার আসবে রাজ্যে! আশ্বাস মহাগুরুর

    শুভেন্দু অধিকারীর বাড়ি যাওয়ার কথা তৃণমূল নেতা অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের। তা নিয়ে রাজ্যে শুরু হয়েছে নয়া জল্পনা। এদিন সেই জল্পনায় জল ঢেলে দিয়েছেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি (Sukanta Majumdar)। তিনি বলেন, শুভেন্দু অধিকারীর ভাই তৃণমূলের সাংসদ। তিনি তাঁর দলের নেতা অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে আমন্ত্রণ করেছেন। সুকান্ত বলেন, আমরা থার্ড পার্টি। আমরা কী বলব এতে? তিনি বলেন, এটা দলের বিষয় নয়।

    এদিন পৌষমেলা নিয়েও দলের অবস্থান স্পষ্ট করে দিয়েছেন সুকান্ত (Sukanta Majumdar)। বিজেপির রাজ্য সভাপতি বলেন, দু বছর পৌষমেলা বন্ধ ছিল। বিজেপির ঘোষিত স্ট্যান্ড পৌষমেলা আগের মতোই হোক। আমরা বোলপুরের মানুষের সঙ্গে আছি। তিনি বলেন, প্রয়োজনে তাঁদের সঙ্গে রাস্তায় নেমে লড়াই করব।

    রবিবার সুকান্ত (Sukanta Majumdar) যা বললেন, শনিবার তার নান্দীমুখের কাজটি করে রেখেছিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা। মুখ্যমন্ত্রীর সৌজন্যের রাজনীতি এক পাশে সরিয়ে রেখে ঠাকুরবাড়ির জনসভায় শুভেন্দু বলেন, নন্দীগ্রামে ওঁকে হারিয়েছি। গণতান্ত্রিক উপায়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বানাব। রবিবার মন কি বাতের সময় শুভেন্দু উপস্থিত ছিলেন নন্দীগ্রামে। ওই অনুষ্ঠানে শুভেন্দু বলেন, রাজ্যে উত্তর কোরিয়ার মতো শাসন চলছে। প্রসঙ্গত, এর আগে তৃণমূল নেত্রীকে ‘লেডি কিম’ বলে উল্লেখ করেছিলেন শুভেন্দু। শুভেন্দুর অভিযোগ, মুখ্যমন্ত্রী তাঁকে একের পর এক মিথ্যা মামলায় ফাঁসানোর চেষ্টা করছেন। সেগুলি তিনি পুস্তিকাকারে প্রকাশ করবেন বলেও জানান বিরোধী দলনেতা। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

     
     

     

     

  • Suvendu Adhikari: ‘বাংলায় আল্ট্রা ইমার্জেন্সি পরিস্থিতি’, রাজ্য সরকারকে ট্যুইট-বাণ শুভেন্দুর

    Suvendu Adhikari: ‘বাংলায় আল্ট্রা ইমার্জেন্সি পরিস্থিতি’, রাজ্য সরকারকে ট্যুইট-বাণ শুভেন্দুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তৃণমূল (TMC) সরকারের হাতে রাজ্য পচছে। বাংলায় আল্ট্রা ইমার্জেন্সি পরিস্থিতি। শনিবার এই ভাষায়ই রাজ্য সরকারকে বিঁধলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা বিজেপির (BJP) শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। এদিন একটি ট্যুইট করেন নন্দীগ্রামের বিধায়ক। সেখানেই রাজ্য সরকারকে নিশানা করেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা।

    সিটিং অ্যারেঞ্জমেন্ট ‘অপমানজনক’ হওয়ায় নয়া রাজ্যপালের শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে উপস্থিত হননি শুভেন্দু (Suvendu Adhikari)। তাঁর অভিযোগ, বিজেপির টিকিটে জয়ী হয়ে তৃণমূলে যাওয়া দুই দলবদলু বিধায়ক বিশ্বজিৎ দাস এবং কৃষ্ণকল্যাণীর সঙ্গে একাসনে বসতে দেওয়া হয়েছে তাঁকে। এর পর শুক্রবার সংবিধান দিবস উপলক্ষে বিধানসভায় ভাষণ দেন শুভেন্দু। পরে মমতাই চায়ের নেমতন্ন করেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতাকে। এদিন শুভেন্দুর সঙ্গে মুখ্যমন্ত্রীর ঘরে গিয়েছিলেন বিধায়ক বিজেপির অশোক লাহিড়ি, অগ্নিমিত্রা পল ও মনোজ টিগ্গা। তার পরেই রাজনৈতিক মহলের একাংশ ভেবেছিলেন, যে শুভেন্দুকে চায়ের নেমতন্ন এবং স্নেহের ভাই সম্বোধন করে ড্যামেজ কন্ট্রোল করতে চাইছেন মুখ্যমন্ত্রী। সম্প্রতি শুভেন্দুকে বলতে শোনা যায়, এই ডিসেম্বরেই পড়ে যাবে তৃণমূল সরকার। তিনি এও জানিয়েছিলেন, জোর করে সরকার ফেলবেন না তাঁরা। সরকার পড়ে যাবে আপনা থেকেই। রাজনৈতিক মহলের মতে, এই ‘ডিসেম্বর সিনড্রোম’-এর কারণেই শুভেন্দুকে চায়ের নেমতন্ন করেন মমতা।

    ট্যুইট-বাণ

    তবে চায়ের নেমতন্ন করে যে শুভেন্দুকে (Suvendu Adhikari) বাগে আনা যাবে না, তা বোধহয় কল্পনাও করতে পারেননি তৃণমূল নেত্রী। মুখ্যমন্ত্রী-রাজ্যের বিরোধী দলনেতা সাক্ষাৎকার পর্ব চব্বিশ ঘণ্টার চৌকাঠ পেরনোর আগেই রাজ্য সরকারকে ট্যুইট-বাণে বিদ্ধ করেন নন্দীগ্রামের বিধায়ক। তিনি লেখেন, দুর্নীতি করে কেনা অবৈধ নিয়োগকে যেভাবে মন্ত্রিসভা বাঁচানোর চেষ্টা করছে, তা সত্যিই বিস্ময়কর। এটা যদি সাংবিধানিক সঙ্কট না হয়, তাহলে আর কী হবে? এর পরেই তিনি লেখেন, তৃণমূল সরকারের হাতে বাংলা পচছে। বাংলায় এক আল্ট্রা ইমার্জেন্সির পরিস্থিতি।

    এ নিয়ে রাজ্যের স্কুল শিক্ষা দফতরের লেটারহেডে মে মাসের একটি লেখাও নিজের ট্যুইটারে তুলে ধরেছেন তিনি। প্রতিলিপিগুলির একটি পাতায় লেখা রয়েছে, ৫ হাজার ২৬১টি সুপার নিউমেরারি পোস্ট তৈরির প্রস্তাব। এর মধ্যে নবম দশমের জন্য ১ হাজার ৯৩২টি পদ, একাদশ-দ্বাদশের জন্য ২৪৭টি পদ।

    একুশের বিধানসভা নির্বাচনে তৃণমূল নেত্রীকে নন্দীগ্রামে ১৯৫৬ ভোটে হারিয়েছিলেন বিজেপির শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। তার পর দীর্ঘদিন বন্ধ ছিল দুজনের মুখ দেখাদেখি। শুক্রবার সংবিধান দিবসের অনুষ্ঠানে সম্পর্ক স্বাভাবিক করার চেষ্টা করতে দেখা যায় মুখ্যমন্ত্রীকে। কিন্তু শনিবার মুখ্যমন্ত্রীর সেই চেষ্টায় জল ঢেলে দিলেন নন্দীগ্রামের বিধায়ক স্বয়ং!

    আরও পড়ুন: আবাস যোজনার বরাদ্দ পেতে রাজ্যকে মানতে হচ্ছে কোন কোন শর্ত?

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

  • Mithun Chakraborty: বিজেপি ক্ষমতায় এলে শিল্পের জোয়ার আসবে রাজ্যে! আশ্বাস মহাগুরুর

    Mithun Chakraborty: বিজেপি ক্ষমতায় এলে শিল্পের জোয়ার আসবে রাজ্যে! আশ্বাস মহাগুরুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিজেপি ক্ষমতায় এলে রাজ্যে বিনিয়োগের জোয়ার আসবে। শিল্প আসবে। স্বনির্ভর হবে শিক্ষিত যুবকরা। চাকরির জন্য হা-হুতাশ করতে হবে না। রাজ্যের বাইরে পাড়ি দিতে হবে না। পরিযায়ী শ্রমিক হয়ে অনির্দিষ্ট ভবিষ্যতের হাতে ছেলে-মেয়েদের জীবন সঁপে দিতে হবে না। বিষ্ণুপুরে বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারকে পাশে বসিয়ে এমনই মন্তব্য করলেন মিঠুন চক্রবর্তী (Mithun Chakraborty)।

    কী বললেন মিঠুন

    পঞ্চায়েত ভোটের আগে রাজ্য নির্বাচনী প্রচার সারছেন মহাগুরু। রাজ্যে বিনিয়োগের আকাল নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে সরব বিরোধীরা। রাজ্যে যে বড় বিনিয়োগ আসেনি তা কখনও সরাসরি, কখনও ঘুরিয়ে মেনে নিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও। বিকল্প হিসাবে তুলে ধরতে চেয়েছেন ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পকে। কিন্তু রাজ্যের এই নীতি যে ভ্রান্ত তা ইতিমধ্যে ছবির মতো স্পষ্ট। রাজ্যে কাজ না পেয়ে ভিনরাজ্যে গিয়েছেন লক্ষ লক্ষ দক্ষ ও অদক্ষ শ্রমিক। প্রতিদিন ভিন রাজ্যে শ্রমিকদের দুরবস্থা চোখে পড়ে। এরই মধ্যে এদিন বিষ্ণুপুরে সভা করতে গিয়ে মিঠুন বললেন,  “যেদিন বিজেপি ক্ষমতায় আসবে সেদিন দেখবেন, বাংলায় জোয়ার এসেছে। এত বিনিয়োগ হবে যে দেখে ভাববেন এটা সত্যি নাকি স্বপ্ন।”

    আরও পড়ুন: পরের মাসেই টেট, পরীক্ষায় স্বচ্ছতা আনতে কী কী উদ্যোগ নিয়েছে পর্ষদ?

    উল্লেখ্য, রাজ্যে শিল্পায়নের প্রথম চেষ্টা সিঙুরেই মাঠে মারা গিয়েছিল বলে মত উদ্যোগপতিদের। যে ভাবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের জেদ তৈরি হয়ে যাওয়ায়, একটা কারখানাকে ভেঙে ফেলতে বাধ্য করেছিল তা শিল্পপতিদের কাছে রীতিমতো আতঙ্কের। তার ওপর টাটা গোষ্ঠীর মতো সংস্থা, যারা গোটা বিশ্বে দেশের মর্যাদা বৃদ্ধি করেছে তাদের সঙ্গে এই আচরণ মেনে নিতে পারেনি উদ্যোগপতি সমাজ। যার জেরে সরকারে এসে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দফায় দফায় শিল্প সম্মেলনের আয়োজন করলেও বিনিয়োগ আসেনি। ফলে অবধারিতভাবে বাংলার ছেলে-মেয়েদের কাজের খোঁজে ছুটতে হয়েছে ভিনরাজ্যে। পশ্চিমের সমৃদ্ধ রাজ্যগুলি তো বটেই, উত্তর-পূর্বে মিজোরামের মতো রাজ্যে খনিশ্রমিকের কাজ করতে গিয়ে বোঘোরে প্রাণ হারাতে হচ্ছে কম বয়সী যুবকদের।

    তাই রাজ্যে এই পরিস্থিতির বদলের আহ্বান জানান মিঠুন। তিনি বলেন, তৃণমূলকে হারাতে বিরোধীদের একজোট হওয়া উচিত। শনিবার বাঁকুড়ার বিষ্ণুপুরে তিনি বলেন, তৃণমূলের মতো শক্তিকে হারাতে গেলে মতাদর্শগত বিভেদ ভুলে সবার একজোট হওয়া উচিত। পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে ৫ দিনের সফরে পশ্চিমবঙ্গে এসেছেন মিঠুন চক্রবর্তী। পাঁচ দিনের পশ্চিমবঙ্গ সফরের চতুর্থ দিনে শনিবার বিষ্ণুপুর পৌঁছন মিঠুন চক্রবর্তী। সঙ্গে ছিলেন বিজেপি রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। 

  • Mithun Chakraborty: আজ বাঁকুড়ায় সভা মহাগুরুর! মিঠুনকে দেখতে হোটেলের সামনে ভিড়

    Mithun Chakraborty: আজ বাঁকুড়ায় সভা মহাগুরুর! মিঠুনকে দেখতে হোটেলের সামনে ভিড়

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: যদি চপ না বিক্রি হয়ে থাকে, তাহলে ঢপ বিক্রি কর। এটা চলবে। এখন এটাই চলছে পশ্চিমবঙ্গে। বুধবার পুরুলিয়ার লোধুড়কায় বিজেপির পঞ্চায়েত কর্মী সম্মেলনে যোগ দিয়ে এমনই দাবি করলেন মিঠুন চক্রবর্তী (Mithun Chakraborty)। পঞ্চায়েত নির্বাচনের (Panchayat Elections 2023) আগে ফের বিজেপি-র  (BJP) হয়ে রাজ্যে ভোটের ময়দানে নেমেছেন মহাগুরু। বাঙলায় বিজেপির বাজিও তিনি। সেই মতোই বাঙালি আবেগে শান দিয়ে পুরুলিয়া থেকে প্রচার শুরু করলেন বঙ্গসন্তান মিঠুন চক্রবর্তী। বৃহস্পতিবার দ্বিতীয় দিন মিঠুন চক্রবর্তীর সাংগঠনিক বৈঠক ও পঞ্চায়েত কর্মী সম্মেলন রয়েছে বাঁকুড়ায়। তাঁকে দেখতে হোটেলের সামনে ভিড় করেছেন বহু মানুষ। গঙ্গাজলঘাঁটির দুর্লভপুরে আজ বিজেপির সাংগঠনিক বৈঠক রয়েছে। এরপর শালতোড়ার বিজেপি বিধায়ক চন্দনা বাউড়ির বাড়িতে মধ্যাহ্নভোজ সারবেন মিঠুন। মেনুতে রয়েছে ভাত-ডাল, সবজি, আলু পোস্ত, মাছ। নিজেই রান্না করেছেন বিধায়ক। বিকেলে মেজিয়া কলেজ মাঠে মিঠুনের সভা। আগামীকাল বিষ্ণুপুরের সোনামুখীতে কর্মসূচি রয়েছে মহাগুরুর।

    কী বললেন

    বুধবার পুরুলিয়ার জনসভায় আগাগোড়া রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং শাসকদলকে নিশানা করে যান মিঠুন। এ দিন কর্মী সম্মেলন চলাকালীন এক বিজেপি কর্মী প্রশ্ন ছোড়েন, “আমার চপ বিক্রি হচ্ছে না। কোনও কাজও হচ্ছে না, তাহলে আমি কী করব দিদি? ” সত্যিই চপ বিক্রি হচ্ছে না নাকি, তাঁর কাছে জানতে চান মিঠুন। জবাবে ওই কর্মী বলতে শুরু করেন, “দিদি বলেছিলেন চপ বিক্রি করে…।” কথা শেষ করার আগে তাঁকে থামিয়ে মিঠুন বলে ওঠেন, “এ বার আমি একটা কথা বলি, কাউকে ছোট করে কোনওদিন কথা বলি না। আজও বলছি না। যদি চপ না বিক্রি হয়ে থাকে, তাহলে ঢপ বিক্রি কর। এটা চলবে। এখন এটাই চলছে পশ্চিমবঙ্গে।”

    আরও পড়ুন: ‘ডেঙ্গি মোকাবিলায় ব্যর্থ রাজ্য’, হাইকোর্টে দায়ের হল জনস্বার্থ মামলা

    জিএসটি বাবদ প্রাপ্য থেকে ১০০ দিনের কাজ, কেন্দ্রীয় সরকার রাজ্যের টাকা আটকে রেখেছে বলে  অভিযোগ  তৃণমূলের। সেই নিয়েও এ দিন মন্তব্য করেন মিঠুন। আবাস যোজনায় ঘর না পাওয়ার অভিযোগ জানান বিজেপি কর্মীরা। জবাবে মিঠুন বলেন, “প্রধানমন্ত্রী এই ঘর যোজনার জন্য অনেক টাকা দিয়েছেন। সেটা দিল্লি থেকে পশ্চিমবঙ্গে আসে। ব্যাঙ্কে তার একটা নাম থাকে। প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনা। কিন্তু টাকাটা কোথায় যাবে? এখানে তো অলরেডি তার উপরে পোস্টার মেরে দিয়েছে! বাংলা আবাস যোজনা করে দিয়েছে! সেন্টার বলছে, আগে হিসেব দিন। টাকাটা কিছুদিনের জন্য আটকে রাখা হয়েছে। এটা সরকারের পয়সা। পাবলিকের পয়সা। এটা তোমার আমার পয়সা। সবাইকে হিসেব দিতে হবে।”

    বাঙালি খাবার ভীষণ প্রিয়

    পুরুলিয়ায় এদিন কাঁসার বাসনে বাঙালি খাবার দিয়ে মধ্যাহ্নভোজ সারেন ডিস্কো কিং। একেবারে বাঙালি মেনু। মাছ-ভাতে বাঙালি। এ প্রসঙ্গে মিঠুন চক্রবর্তী বললেন, ‘‘বাঙালি খাবার আমার ভীষণ প্রিয়।  আমরা খাবার নিয়ে কথা বলব না তো কি বালি, কয়লা, গরু নিয়ে কথা বলব!’’ 

  • Dengue: ডেঙ্গি মৃত্যু নিয়ে ধোঁয়াশা অব্যাহত, মুখ্যমন্ত্রীর মন্তব্যে বাড়ল বিতর্ক 

    Dengue: ডেঙ্গি মৃত্যু নিয়ে ধোঁয়াশা অব্যাহত, মুখ্যমন্ত্রীর মন্তব্যে বাড়ল বিতর্ক 

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ডেঙ্গি নিয়ে রাজ্যের লুকোচুরির রোগ যেন কিছুতেই সারছে না। ডেঙ্গি আক্রান্ত আর ডেঙ্গি মৃত্যুর সংখ্যা সরকারি হিসাবে যেন বিস্তর গোলমাল। জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের আশঙ্কা, রাজ্য সরকারের তথ্য গোপনের রোগ মুক্তি না ঘটলে, রাজ্যবাসীর ডেঙ্গি থেকে রেহাই পাওয়া মুশকিল। 

    বিধানসভায় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছেন, এ বছর ডেঙ্গিতে ১১ জনের মৃত্যু হয়েছে। আর তাতেই বিতর্ক তৈরি হয়েছে। চলতি বছরে একাধিকবার স্বাস্থ্য দফতর ও কলকাতা পুরসভার রিপোর্ট ডেঙ্গি আক্রান্তের মৃত্যু নিশ্চিত করেছে। স্বাস্থ্য দফতরের তথ্য অনুযায়ী, চলতি বছরে ডেঙ্গিতে আক্রান্ত হয়ে কমবেশি ৮০ জন মারা গিয়েছেন। কিন্তু বিধানসভায় মুখ্যমন্ত্রী জানালেন ডেঙ্গিতে মৃত্যুর সংখ্যা ১১। তথ্যের এত ফারাক কেন? এ প্রশ্নের অবশ্য উত্তর নেই রাজ্যের স্বাস্থ্য আধিকারিকদের কাছে। 

    স্বাস্থ্য ভবনের তথ্য অনুযায়ী, রাজ্যের প্রায় ৮০ হাজার মানুষ চলতি বছরে ডেঙ্গিতে আক্রান্ত হয়েছেন। পুজোর পরে ডেঙ্গির গ্রাফ মারাত্মক বাড়তে শুরু করে। প্রতি সপ্তাহে কলকাতা, উত্তর চব্বিশ পরগনা, জলপাইগুড়ির মতো জেলাগুলোতে ১০ হাজারের বেশি মানুষ আক্রান্ত হন। কিন্তু এ নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী কিছুই বলেননি। তিনি আশ্বাস দিয়েছেন, শীত আসছে, ডেঙ্গি নিয়ে আর উদ্বেগ বিশেষ নেই। জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের আশঙ্কা, মুখ্যমন্ত্রীর এই আশ্বাস পরের বছরের জন্য আরও বড় বিপদ তৈরি করবে না তো? 

    আরও পড়ুন: ‘ডেঙ্গি মোকাবিলায় ব্যর্থ রাজ্য’, হাইকোর্টে দায়ের হল জনস্বার্থ মামলা

    জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের মতে, ডেঙ্গির মতো মশাবাহিত সংক্রমক রোগের মোকাবিলা বছরভর করতে হবে। তাই শীতে ডেঙ্গির দাপট কিছুটা কমলেও প্রশাসনের কাজ থামালে চলবে না। ডেঙ্গি মোকাবিলায় এ বছরে বড় সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়ে ছিল পুর কর্মীর অভাব। নজরদারি করার জন্য পর্যাপ্ত পুর কর্মী ছিল না। তাছাড়া, প্রশাসনের একাধিক বিভাগের সমন্বয়ের অভাব, একটি বড় সমস্যা। এই সমস্যাগুলোকে এড়িয়ে গেলে চলবে না। শীতের দাপটে ডেঙ্গির গ্রাফ নিম্নমুখী হলেও ডেঙ্গি নিয়ন্ত্রণের কাজ চালিয়ে যেতে হবে। কিন্তু মুখ্যমন্ত্রীর ডেঙ্গি কমার আশ্বাসে, সেই কাজে ভাটা পড়বে কিনা সে নিয়েও সন্দেহ প্রকাশ করছেন বিশেষজ্ঞদের একাংশ। 

    চিকিৎসকদের মতে, ডেঙ্গির তথ্য গোপনের রোগ না সারলে রাজ্যবাসীর ডেঙ্গির থেকে মুক্তি পাওয়া কঠিন। কারণ, ডেঙ্গির ভয়াবহতা মানুষকে বোঝাতে হলে, সচেতন করতে হলে সরকারকে স্বচ্ছ হতে হবে। ডেঙ্গি নিয়ে এই লুকোচুরির প্রবণতা থাকলে, সেই কাজ সম্ভব নয়। চিকিৎসক শারোৎদ্বত মুখোপাধ্যায় বলেন, “মানুষকে বোঝানোর আগে সরকারের বোঝা দরকার প্রত্যেক বছর রাজ্যের মানুষকে কোন পরিস্থিতির মধ্যে দিয়ে যেতে হচ্ছে। হাজার হাজার মানুষ ডেঙ্গি আক্রান্ত হচ্ছেন। অথচ, কয়েকটা কথা বলে দায় এড়াতে চাইছে প্রশাসন। ডেঙ্গি মোকাবিলার সদিচ্ছা আদৌও রাজ্য সরকারের আছে কি? ” 

    চিকিৎসক অরুণাচল দত্ত বলেন, “ডেঙ্গি মোকাবিলা নিয়ে সরকারের স্বচ্ছতার বড় অভাব। মানুষ ভুগছে, অথচ মানুষকে বুঝতে দেওয়া চলবে না। জানানো যাবে না। সত্যি এভাবে গোপন করা যায় না। এতে সমস্যা বাড়ে। জনস্বাস্থ্যের মতো বিষয়ে মানুষকে সতর্ক করতে সরকারের নূন্যতম স্বচ্ছতা প্রয়োজন। ডেঙ্গির ক্ষেত্রে যে রাজ্য সরকারের তা নেই, সেটা প্রমাণিত।” বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ, নিজেদের আশপাশ পরিষ্কার রাখতে হবে। জল জমানো যাবে না। কোনও ভাবেই যাতে মশা জন্মাতে না পারে, সেটা সাধারণ মানুষকে দেখতে হবে। পাশপাশি পুরসভাকেও বারবার জানাতে হবে। যাতে ডেঙ্গি রোধে পুরসভা সক্রিয় থাকে, সে নিয়েও নাগরিক সমাজকেই সজাগ থাকতে হবে।

LinkedIn
Share