Category: রাজ্য

Get West Bengal News, Bengali Breaking News, Latest News in Bengali only from মাধ্যম | Madhyom, Bengali News Portal for সম্পূর্ণ নিরপেক্ষ বাংলা সংবাদ, বাংলা খবর

  • Dengue in West Bengal: পুজোর আগে দুশ্চিন্তার মেঘ! ফের ভয় ধরাচ্ছে ডেঙ্গি, কলকাতাতেই আক্রান্ত ৪৫১ জন

    Dengue in West Bengal: পুজোর আগে দুশ্চিন্তার মেঘ! ফের ভয় ধরাচ্ছে ডেঙ্গি, কলকাতাতেই আক্রান্ত ৪৫১ জন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: চিন্তা বাড়াচ্ছে রাজ্যের করোনা পরিস্থিতি। এবার করোনার পাশাপাশি নতুন করে ভয় ধরাচ্ছে ডেঙ্গি (Dengue in West Bengal)। আক্রান্তের গ্রাফও ঊর্ধ্বমুখী। রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে ডেঙ্গি আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে। দুশ্চিন্তায় রাজ্যের স্বাস্থ্য দফতর। ডেঙ্গিতে মৃত্যুর সংখ্যাও উদ্বেগজনক। উত্তর ২৪ পরগনার বসিরহাট জেলার সীমান্ত থেকে সুন্দরবন অবধি, ডেঙ্গি আক্রান্তের সংখ্যা কপালে ভাঁজ ফেলেছে স্বাস্থ্য আধিকারিকদের। 

    আরও পড়ুন: ডেঙ্গি মোকাবিলায় হল না সমন্বয়, ডেঙ্গির প্রকোপে তাই জেরবার রাজ্যবাসী! 
          
    স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, স্বরূপনগর সারাফুল হাসপাতালে ডেঙ্গি রোগীর সংখ্যা বাড়ছে। জ্বর নিয়ে নতুন করে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ১০ জন। সন্দেশখালি ঘোষপুরের হাসপাতালে গতকাল থেকেই আউটডোরে ডেঙ্গি রোগীদের ভিড় বাড়ছে। বেশিরভাগেরই রক্ত পরীক্ষায় ডেঙ্গি পজিটিভ পাওয়া গিয়েছে। বসিরহাট জেলা হাসপাতালে ডেঙ্গি (Dengue) জ্বর নিয়ে ভর্তি অনেকে। হিঙ্গলগঞ্জ সান্ডেলেরবিল ব্লক হাসপাতালে ইতিমধ্যে দুজনের শরীরে ডেঙ্গির জীবাণু পাওয়া গিয়েছে। পাশাপাশি আরও বেশ কয়েকজন জ্বরে আক্রান্ত। ডেঙ্গির ন্যুনতম উপসর্গ দেখলেই পরীক্ষা করার নির্দেশ দিয়েছে স্বাস্থ্য দফতর।   

    কলকাতায় ২৪টা ওয়ার্ডে ৪৫১ জন ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়েছেন। জানুয়ারি থেকে এ পর্যন্ত মহানগরীতে মোট ৮০০ জন ডেঙ্গি আক্রান্ত হয়েছেন। কলকাতা পুরসভার কাশিপুর, কালীঘাট, পূর্বাচল হালতু শহীদ স্মৃতি, রাজডাঙ্গা, ব্যানার্জি পাড়া, কালমার্কস সরণি, চেতলা হাট, নিউ আলিপুর সহ ২০- ২৫টি এলাকায় নতুন করে সংক্রমণ ছড়াচ্ছে ডেঙ্গি। গতকাল কলকাতার এক বেসরকারি হাসপাতালে এক মহিলা ডেঙ্গিতে প্রাণ হারিয়েছেন। ডেথ সার্টিফিকেটে ডেঙ্গি ও মাল্টি অর্গান ফেলিওরের উল্লেখ রয়েছে।

    আরও পড়ুন: পুজোর আগে ফের চিন্তা বাড়াচ্ছে ডেঙ্গি, ২৪ ঘণ্টায় রাজ্যে আক্রান্ত ৪০১ জন

    ডেঙ্গি পরিস্থিতি নিয়ে সোমবার কলকাতা পুরসভায় একটি বৈঠক করেন মেয়র ফিরহাদ হাকিম। বৈঠকের পর মেয়র জানান, ডেঙ্গি প্রতিরোধে ‘‌ফিভার ক্যাম্প’‌ করবে পুরসভা। এদিন ফিরহাদ হাকিম বলেন, “কেন্দ্র সরকারের আর্থিক সহযোগিতায় কেএমডিএর জমিতে পরীক্ষাকেন্দ্র তৈরি হবে। যেসব সংস্থা ডেঙ্গি টেস্ট করার পর পজিটিভ হলে সরকারকে জানাচ্ছে না ,তাদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”

    মেয়র আরও জানিয়েছেন, “যে সমন্ত ওয়ার্ড ডেঙ্গুপ্রবণ, সেইসব ওয়ার্ডেই ফিভার ক্যাম্পগুলি করা হবে। ক্যাম্পগুলিতে ২৪ ঘণ্টা ডেঙ্গি পরীক্ষা করা যাবে। শিশুদের জন্য বেডও থাকবে সেখানে। বেলেঘাটা আইডি ও এমআর বাঙুরে ৮০টা করে বেড থাকবে। দুটি হাসপাতালেই শিশুদের জন্য ১০টি করে সিসিইউ সংরক্ষিত থাকবে।” 

    ডেঙ্গির বাড়বাড়ন্তে চিন্তায় প্রশাসন। জরুরি নাগরিক পরিষেবা বিভাগের ছুটি বাতিলের ঘোষণা করেছে রাজ্য সরকার। পুজোর সমস্ত ছুটি বাতিল করা হয়েছে নবান্নের পক্ষ থেকে। বিজ্ঞপ্তি জারি করে জানিয়েছে পুর ও নগর উন্নয়ন দফতর। স্বাস্থ্য কর্মী ও কঞ্জারভেন্সি বিভাগের ছুটিও বাতিল করা হয়েছে। ডেঙ্গু পরিস্থিতির মোকাবিলাতেই এই ছুটি বাতিলের সিদ্ধান্ত বলে জানা গিয়েছে। ৩০ সেপ্টেম্বর থেকে ১০ অক্টোবর পর্যন্ত সমস্ত ছুটি বাতিল করেছে নবান্ন। কঠোর ভাবে নির্দেশিকা পালন করার নির্দেশ দিয়েছে রাজ্য সরকার।     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • ED Unearths Huge Cash: যোগ রাজ্যের এক মন্ত্রীরও? এবার পরিবহণ ব্যবসায়ীর বাড়ি থেকে উদ্ধার বিপুল নগদ

    ED Unearths Huge Cash: যোগ রাজ্যের এক মন্ত্রীরও? এবার পরিবহণ ব্যবসায়ীর বাড়ি থেকে উদ্ধার বিপুল নগদ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: চিনা লোন-অ্যাপ (Chinese Loan App) সংক্রান্ত প্রতারণার একটি মামলার তদন্তে নেমে এবার কলকাতার (Kolkata) পরিবহণ ব্যবসায়ীর (Transport Businessman) বাড়িতে খাটের তলা থেকে উদ্ধার হল কোটি কোটি টাকা। এবারও সন্ধানকারী সংস্থার নাম এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (Enforcement Directorate)। 

    এদিন সকাল থেকেই ছোট ছোট দলে ভাগ হয়ে কলকাতার বিভিন্ন জায়গায় হানা দেয় ইডি (ED)। মূল তিনটি জায়গায় তল্লাশি অভিযান চালানো হয়। একটি পার্ক স্ট্রিট অঞ্চলে, বাকি দুটির একটি মোমিনপুর ও গার্ডেনরিচে। এর মধ্যে, এখনও পর্যন্ত পাওয়া খবর অনুযায়ী, শেষোক্ত জায়গা থেকে উদ্ধার হয়েছে রাশি রাশি টাকা। এখনও পর্যন্ত তার বাড়িতে ৭ কোটি টাকা উদ্ধার। ব্যাংক থেকে লোক ডাকা হচ্ছে। প্লাস্টিকের থলিতে মোড়া ৫০০ টাকার অসংখ্য নোটের বান্ডিল পাওয়া গিয়েছে। মিলেছে ২০০০ টাকার নোটের বান্ডিলও।

    আরও পড়ুন: শনিবাসরীয় সকালে কলকাতার তিন জায়গায় হানা ইডি-র, কী উঠে এল?

    শনিবার সকালে গার্ডেনরিচের শাহি আস্তাবল গলিতে নিসার খান নামে এক পরিবহণ ব্যবসায়ীর বাড়িতে তল্লাশিতে নামে ইডি। এই পরিবহণ ব্যবসায়ীর বাড়ির খাটের নীচ থেকে কয়েকটি প্লাস্টিকে মোড়ানো ব্যাগে বিপুল টাকা পাওয়া গেছে। গোনার জন্য মেশিন আনা হচ্ছে। বাড়ির আনাচেকানাচে আরও টাকা রয়েছে কিনা তা দেখতেও তল্লাশি চালাচ্ছেন ইডি কর্তারা। বাড়ির বাইরে মোতায়েন করা হয়েছে কেন্দ্রীয় বাহিনী। এলাকার ঢোকা ও বেরোনোর মুখও পুরোপুরি বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।  

    কে এই নিসার খান? 

    জানা গিয়েছে, নিসার আগে কলকাতা বন্দরে (Kolkata Port) কন্টেনার কাটাইয়ের ব্যবসা করতেন। এখন পরিবহণ ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত। বেশ কয়েক জন নেতা-মন্ত্রীর  টাকা গচ্ছিত থাকে তাঁর কাছে। সেই টাকা ব্যবসায় খাটাতেন তিনি। 

    কী করে নিসারের সন্ধান পেল তদন্তকারীরা?

    মোবাইল অ্যাপের মাধ্যমে ঋণ পাইয়ে দেওয়ার টোপ দিয়ে সারা দেশে প্রতারণা চক্রের বিরুদ্ধে যে তল্লাশি চলছে সেই সূত্রেই কলকাতার আমির খানের যোগাযোগ পেয়েছে ইডি। আমিরের যোগসূত্রে আসে নিসার খানের সন্ধান। এদিন সকাল সাড়ে আটটা থেকে ওখানে তল্লাশি অভিযান শুরু করেন ইডি আধিকারিকরা।

    আরও পড়ুন: দুয়ারে ইডি-সিবিআই! জেলে যেতে পারেন? নেতাদের জন্য রইল শরীর ঠিক রাখার টোটকা

    রাজ্যের এক মন্ত্রীর সঙ্গে ঘনিষ্ঠ যোগ নিসারের?

    সূত্রের খবর, ওই টাকার উৎস কী সেই সংক্রান্ত কোনও সদুত্তর দিতে পারেননি ওই ব্যবসায়ী। এমনকি, ওই টাকার কোনও বৈধ নথিপত্রও তিনি দেখাতে পারেননি বলে সূত্রের দাবি। সূত্র মারফৎ এও জানা যাচ্ছে, রাজ্য মন্ত্রিসভার এক হেভিওয়েটের সঙ্গে নিসারের ঘনিষ্ঠতার খবর পেয়েছে ইডি। কেঁচো খুঁড়তে কেউটে বেরোতে পারে বলে মনে করছেন তদন্তকারীরা। সবদিক খতিয়ে দেখছে ইডি। 

  • Anubrata Mondal: অনুব্রত-কন্যার কোটি টাকার এফডি ফ্রিজ়, সিবিআই নজরে মা কালীর গয়নার উৎসও

    Anubrata Mondal: অনুব্রত-কন্যার কোটি টাকার এফডি ফ্রিজ়, সিবিআই নজরে মা কালীর গয়নার উৎসও

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অনুব্রত-কন্যা সুকন্যা মণ্ডলের (Sukanya Mondal) নামে কোটি টাকার স্থায়ী আমানতের হদিশ পেল সিবিআই (CBI)। পিতা-পুত্রীর নথিভুক্ত বিপুল পরিমাণ সম্পত্তির খোঁজ মিলেছিল আগেই। বৃহস্পতিবার মিলল নগদ টাকার হদিশ। এদিকে, ফি বছর কালীপুজোর সময় তৃণমূলের (TMC) বীরভূম জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল (Anubrata Mondal) যে মা কালীর বিগ্রহকে প্রচুর পরিমাণ সোনার গয়না পরাতেন, তার উৎস জানতে বোলপুরের এক স্বর্ণ ব্যবসায়ীকে জেরা করেছেন সিবিআইয়ের তদন্তকারীরা।

    গরু পাচার মামলায় গ্রেফতার হয়েছেন অনুব্রত। তাঁর নামে বিপুল পরিমাণ সম্পত্তির হদিশও মিলেছে। কেবল তিনি নন, তাঁর প্রয়াত স্ত্রী এবং কন্যা সুকন্যার নামেও পাওয়া গিয়েছে সম্পত্তির হদিশ। তবে এতদিন যা পাওয়া যাচ্ছিল না, তা হল নগদ টাকা। এবার মিলল তার খোঁজও। তবে অনুব্রতর নামে নয়, এক কোটি টাকার স্থায়ী আমানতের খোঁজ মিলেছে সুকন্যার নামে। বৃহস্পতিবার বোলপুরের ইন্ডিয়ান ব্যাংকের শাখায় যান কেন্দ্রীয় সংস্থার আধিকারিকরা। খতিয়ে দেখেন ব্যাংকের বিভিন্ন নথিপত্র। তখনই নজরে আসে সুকন্যার নামে কোটি টাকার ফিক্সড ডিপোজিটের। তার পরেই ফ্রিজ করে দেওয়া হয় অ্যাকাউন্টটি।

    এদিকে, বোলপুরের নিচুপট্টি এলাকায় রয়েছে একটি রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকের শাখা। তৃণমূলের বীরভূম জেলা সভাপতি গ্রেফতার হওয়ার পরেই ওই শাখার ওপর নজর ছিল সিবিআইয়ের। কারণ এই ব্যাংকেই অ্যাকাউন্ট রয়েছে অনুব্রত ঘনিষ্ঠদের। ওই অ্যাকাউন্টগুলি থেকে বছরে কত টাকা লেনদেন হয়েছে, তার খোঁজও এদিন নেন সিবিআইয়ের তদন্তকারীরা।  

    আরও পড়ুন : কয়লাপাচার কাণ্ডে মলয় ঘটকের বাড়িতে সিবিআই হানা, এবার কি গ্রেফতার রাজ্যের আইনমন্ত্রী? 

    ফি বার দ্বীপান্বিতা অমাবস্যায় ঘটা করে কালী পুজো করেন অনুব্রত। প্রতিবার বিগ্রহকে সাজানো হয় ৫৭০ ভরি সোনার গয়নায়। এই পরিমাণ সোনার গয়নার বর্তমান বাজারমূল্য তিন কোটি টাকার কাছাকাছি। মা কালীর এই গয়না যিনি গড়িয়েছিলেন, সেই স্বর্ণ ব্যবসায়ীকেও জেরা করেছে সিবিআই। দেখতে চাওয়া হয় এই বিপুল পরিমাণ সোনার গয়নার রসিদও। সব গয়নাই তাঁর কাছে গড়ানো হয়েছিল কিনা, নাকি অন্য আরও কোনও স্বর্ণ ব্যবসায়ীর কাছ থেকেও বিগ্রহের গয়না কেনা হয়েছিল, তাও খতিয়ে দেখছেন তদন্তকারীরা।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

     

  • Coal Smuggling: এবার দুধের কন্টেনারে কয়লা, জামুরিয়ায় বিরল পাচারে তাজ্জব পুলিশ

    Coal Smuggling: এবার দুধের কন্টেনারে কয়লা, জামুরিয়ায় বিরল পাচারে তাজ্জব পুলিশ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কিছুদিন আগেই দুধের কন্টেনারে গরু পাচার করার ঘটনায় উত্তাল হয়েছিল গোটা রাজ্য। ফের একই ঘটনা ঘটল। কিন্তু এবার গরুর বদলে কয়লা। কন্টেনারে করে কয়লা পাচারের (Coal Smuggling) ছক বানচাল করল পশ্চিম বর্ধমানের (East Bardhaman) জামুড়িয়া থানার পুলিশ! এ যেন এক সিনেমার ছক। অবৈধ কয়লা পাচারের অভিযোগে গ্রেফতার হয়েছে এক জন। 

    পুলিশ সূত্রে খবর, তাদের কাছে কয়েক দিন ধরে খবর আসছিল জামুড়িয়া থানা এলাকা দিয়ে প্রচুর কয়লা পাচার হচ্ছে। সূত্র মারফত খবর পেয়ে নাকা চেকিং শুরু করে পুলিশ। জামুড়িয়া- রানিগঞ্জ রাস্তায় নাকা চেকিং চলাকালীন একটি দুধের কন্টেনার আটকায় পুলিশ। সেই গাড়ির কাগজপত্র পরীক্ষা করার সময় ভিতরে কী আছে দেখতে গিয়ে হতবাক হয়ে যায় পুলিশ। দেখা যায়, দুধের কন্টেনারের ভিতরে বস্তা বস্তা কয়লা বোঝাই রয়েছে। 

    আরও পড়ুন: আভাস ছিল কি, আগেই মলয় ঘটক রাজভবন থেকে কাগজপত্র সরিয়ে ছিলেন কেন?

    কয়লা ও গরু পাচার কাণ্ডে উত্তাল গোটা রাজ্য। ইতিমধ্যেই তদন্তের ভার পেয়েছে ইডি এবং সিবিআই। রাজ্যের তদন্তকারীর সংস্থা সিআইডিও ঘটনা নিয়ে যথেষ্ট উদ্বিগ্ন। রাতদিন তল্লাশি চালাচ্ছে পুলিশ। কিন্তু আটকানো যাচ্ছে না বেআইনি পাচার।  

    জামুড়িয়া থানার পুলিশ গাড়ির চালককে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করেছে। কোথা থেকে এল কয়লা? কোথায় নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল, সে বিষয়ে প্রশ্ন করা হয়। এই পাচারের পিছনে কারা রয়েছে সে বিষয়ে তদন্ত শুরু করেছে। 

    আরও পড়ুন: কয়লাপাচার কাণ্ডে মলয় ঘটকের বাড়িতে সিবিআই হানা, এবার কি গ্রেফতার রাজ্যের আইনমন্ত্রী?

    পাশাপাশি ওই অঞ্চলে আর কোন কোন এলাকায় বেআইনি কয়লার কারবার চলছে সে বিষয়েও খোঁজ চালাচ্ছিল। এ নিয়ে ডিসি সেন্ট্রাল ডক্টর কুলদীপ এসএস বলেন, “পুলিশ সমস্ত থানা এলাকায় প্রত্যেকদিন নাকা চেকিং করে। জামুড়িয়ায় এই কন্টেনার উদ্ধার হয়েছে। খতিয়ে দেখা হচ্ছে, কোথা থেকে এই কয়লা নিয়ে আসা হয়েছে এবং কোথায় তা পাচার হচ্ছিল।”

    এর আগে পুরুলিয়ায় দুধের কন্টেনারে গরুপাচারের ঘটনায় তিন জনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। এ বার দুধের কন্টেনারে কয়লা পাচারের ঘটনায় তাজ্জব পুলিশ। 

  • SSC Scam: শিক্ষক দিবসের দিন ‘যন্ত্রণা’ দিবস পালন করলেন বিক্ষোভরত হবু শিক্ষকরা 

    SSC Scam: শিক্ষক দিবসের দিন ‘যন্ত্রণা’ দিবস পালন করলেন বিক্ষোভরত হবু শিক্ষকরা 

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ৫৪০ দিন পার করেছে এসএসসি চাকরিপ্রার্থীদের অবস্থান। রোদে-ঝড়ে-জলে ঠায় রাস্তায় বসে রয়েছেন একদল শিক্ষিত যুবক- যুবতী। তাও দু বছর হতে চলল। দাবি একটাই। নিজেদের হকের চাকরি। আর তার দাবিতেই বেছে নিয়েছেন এই শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদের পথ। কিন্তু সরকারের ঘুম ভাঙেনি। গত দুবছরেও সময় হয়নি তাঁদের সমস্যার সুরাহা করার। 

    আজ শিক্ষক দিবসের দিনে ৫৪০ দিন পার করেছে হবু শিক্ষকদের অবস্থান বিক্ষোভ। আজকের দিনে‌ তাঁদের অভিযোগ, নিয়োগ ঠিকঠাক হলে আজ তাঁরাও শিক্ষক হতেন। আজ তাঁরাও স্কুলে গিয়ে শিক্ষক দিবস পালন করতেন। কিন্তু নিয়োগ দুর্নীতি তা হতে দেয়নি। তাই কলকাতার আজ পথে আজ প্রায় দু বছর ধরে প্রতিবাদ চালিয়ে যাচ্ছেন চাকরিপ্রার্থীরা। রাস্তার ধারে ঝড়ে-জলে-কাদায় জীবন ওষ্ঠাগত। মায়া হয়নি প্রশাসনের। তাই তারই প্রতিবাদে এই শিক্ষক দিবসকে ‘‌যন্ত্রণা দিবস’‌ (Suffering) হিসেবে পালন করলেন বিক্ষোভরত এসএসসি চাকরিপ্রার্থীরা।

    আরও পড়ুন: এসএসসি দুর্নীতিতে পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের ঘনিষ্ঠ প্রসন্নর চার দিনের সিবিআই হেফাজত  

    এদিন সকাল থেকেই গান্ধীমূর্তির পাদদেশে অবস্থান বিক্ষোভে বসেছেন এসএসসি–র (SSC SCAM) চাকরিপ্রার্থীরা। সবার মাথায় বাঁধা রয়েছে কালো কাপড়। হাতে ধরা প্ল্যাকার্ডে লেখা, ‘‌চোখের জলে পালিত হচ্ছে শিক্ষক দিবস, আজ হবু শিক্ষকদের যন্ত্রণা দিবস।’‌ 

    যুব ছাত্র অধিকার মঞ্চের স্টেট কো-অর্ডিনেটর সুদীপ মন্ডল বলেছেন, ‘”খুবই কষ্টে কাটছে বঞ্চিত চাকরি প্রার্থীদের প্রতিটি দিন। যাদের নিয়োগ অগ্রাধিকার ছিল,তারা আজ বঞ্চিত হয়েছে। যারা সমাজ গঠনের কারিগর, আজ তাঁরা চোখের জলে ভাসছেন। কবে বঞ্চিত শিক্ষক-শিক্ষিকা প্রার্থীরা (SSC SCAM) তাঁদের ন্যায্য চাকরি ফিরে পাবেন।’”

    আরও পড়ুন: ফের ১৪ দিনের জেল হেফাজত পার্থ-অর্পিতার! আদালতে কী বললেন প্রাক্তন মন্ত্রীর আইনজীবী?

    এক বিক্ষোভরত চাকরিপ্রার্থীর কথায়, তাঁদের জীবন থেকে ৬টা বছর নষ্ট হয়ে গেছে। সামনে দুর্গাপুজো আসছে। বাংলার ঘরে ঘরে খুশির উৎসব পালিত হবে, শুধু চোখের জলে ভাসবেন তাঁরাই। তাঁদের দাবি, দুর্গাপুজোর আগেই মেধাতালিকা ভুক্ত অথচ চাকরি থেকে বঞ্চিত সকলকেই নিয়োগপত্র দিতে হবে।  

    বৃষ্টি-রোদ মাথায় নিয়েও চলছে ধর্না। অনেকেই অসুস্থ হয়ে পড়ছেন। নেই পর্যাপ্ত পানীয় জলের ব্যবস্থা। নেই মহিলা টয়লেট। চাকরির দাবিতে তবুও লড়াই চালিয়ে যাচ্ছেন তাঁরা। পুজোর আগেই নিয়োগের দাবিতে সোচ্চার তাঁরা। 

    এছাড়া আরও এক অনন্য প্রদিবাদে শামিল হলেন হবু শিক্ষকরা। শিক্ষক দিবসের দিন আন্দোলনে শিক্ষকরা। বৃত্তিমূলক শিক্ষাদানকারী চুক্তিভিত্তিক শিক্ষকরা হাওড়া স্টেশন ও বাসস্ট্যান্ড চত্বরে বাটি হাতে ভিক্ষা করে প্রতিবাদ করলেন। বিভিন্ন সরকারি ও সরকার সাহায্যপ্রাপ্ত স্কুলে কারিগরি শিক্ষা দেন এই শিক্ষকরা। এজেন্সি মারফত রাজ্য সরকারের কারিগরি দপ্তর থেকে নিয়োগ করা হয়েছে। নবম থেকে দ্বাদশ শ্রেণির এই শিক্ষকদের এই আন্দোলন পথচারীদের নজর কেড়েছে। ১৩০০ জন কর্মীর মধ্যে ৩৫০ জন ল্যাব কর্মীকে ছাঁটাইয়ের অভিযোগ রয়েছে। রয়েছে নিয়মমতো বেতন না মেলার অভিযোগ।    

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।  

  • Heavy rain in Kolkata: নিম্নচাপের প্রভাব! কলকাতা-সহ দক্ষিণবঙ্গের বিভিন্ন জেলায় চলছে বৃষ্টি

    Heavy rain in Kolkata: নিম্নচাপের প্রভাব! কলকাতা-সহ দক্ষিণবঙ্গের বিভিন্ন জেলায় চলছে বৃষ্টি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সোমবার, সকাল থেকেই চলছে অঝোর বৃষ্টি। আকাশের মুখভার। নিম্নচাপের জেরে রবিবার বিকেল থেকেই শুরু হয়েছে বিক্ষিপ্ত বৃষ্টি। রাতভর কখনও মুষলধারে, কখনও ঝিরঝিরে বৃষ্টি হয়েছে কলকাতা-সহ দক্ষিণবঙ্গের বিভিন্ন জেলায়। 

    আলিপুর আবহাওয়া দফতর(West Bengal Weather) সূত্রে খবর, সোমবার সারা দিন বৃষ্টি হবে দক্ষিণবঙ্গে। দুপুর গড়ালে বাড়তে পারে বৃষ্টির পরিমাণ। দুই ২৪ পরগনা ও পূর্ব মেদিনীপুরে ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টির সতর্কতা জারি করা হয়েছে। কলকাতা, হাওড়া, হুগলি, ঝাড়গ্রাম, মুর্শিদাবাদ, বীরভূম, নদিয়া, পশ্চিম মেদিনীপুরে ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে। হলুদ সতর্কতা জারি করা হয়েছে কলকাতায়। পূর্ব মেদিনীপুর ও দুই দক্ষিণ ২৪ পরগণায় জারি হয়েছে কমলা সতর্কতা। শুধু আজই নয়, মঙ্গলবারও বৃষ্টি চলার কথা। ওই দিন ভারী বৃষ্টি হতে পারে দুই ২৪ পরগনা, পূর্ব মেদিনীপুর, মুর্শিদাবাদ, নদিয়া, পূর্ব বর্ধমান, বীরভূমে। কলকাতায় হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টি হতে পারে। বুধবার দুই ২৪ পরগনা, মুর্শিদাবাদ, নদিয়ায় ভারী বৃষ্টির সতর্কতা জারি করা হয়েছে। বৃষ্টির সঙ্গে কোথাও কোথাও চলবে ঝোড়ো হাওয়া। আগামী বুধবার পর্যন্ত দক্ষিণ ২৪ পরগনা ও পূর্ব মেদিনীপুরে ঘণ্টায় ৩৫-৪৫ কিমি বেগে ঝড়ো হাওয়া বইতে পারে। ঘণ্টায় ৫৫ কিমি বেগ ঝড়ো হাওয়াও বইতে পারে। কোটাল ও নিম্নচাপের কারণে সমুদ্র উত্তাল থাকবে। তাই আগামী বুধবার পর্যন্ত মৎস্যজীবীদের সমুদ্রে যেতে বারণ করা হয়েছে।

    আরও পড়ুন: ডেঙ্গি মোকাবিলায় হল না সমন্বয়, ডেঙ্গির প্রকোপে তাই জেরবার রাজ্যবাসী!

    নিম্নচাপ ক্রমশ শক্তিশালী হওয়ার কারণে কয়েকদিন দক্ষিণবঙ্গে ব্যাপক বৃষ্টি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। কয়েকটি অঞ্চলে বজ্র-বিদ্যুৎ-সহ বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে। হাওয়া অফিস সূত্রে জানা গেছে, পশ্চিম মধ্য বঙ্গোপসাগর এবং উত্তর-পশ্চিমে তৈরি হওয়া নিম্নচাপটি ধীরে ধীরে আরও ঘনীভূত হয়ে ওড়িশার দক্ষিণে এবং সংলগ্ন এলাকার ওপরে গভীর নিম্নচাপে রূপে দেখা দিয়েছে। এই নিম্নচাপ ঘন্টায় ২৫ কিমি বেগে পশ্চিম উত্তর-পশ্চিম দিকে এগিয়ে চলেছে। 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Calcutta University: কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যকে পুনর্নিয়োগ করা যাবে না, সাফ জানাল হাইকোর্ট

    Calcutta University: কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যকে পুনর্নিয়োগ করা যাবে না, সাফ জানাল হাইকোর্ট

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের (University of Calcutta) উপাচার্য পদে সোনালি চক্রবর্তী বন্দ্যোপাধ্যায়কে (Sonali Chakraborty) ফের নিয়োগ করার বিষয়ে রাজ্য সরকার যে সিদ্ধান্ত নিয়েছিল, তা খারিজ করে দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট (Calcutta Highcourt)। এই সিদ্ধান্ত রাজ্য একা নিতে পারে না, এই কারণ দেখিয়ে বাতিল করা হয়েছে পুনর্নিয়োগ। ২০২১ সালের ২৭ অগাস্ট । 

    ২০২১ সালের অগাস্ট মাসে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়সহ একাধিক বিশ্ববিদ্যালয়ে উপাচার্য নিয়োগ করেছিল রাজ্য সরকার। সেই সময়ই কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য পদে সোনালিকে পুনর্নিয়োগ করা হয়েছিল। কিন্তু, তৎকালীন রাজ্যপাল তথা বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য জগদীপ ধনখড় সেই নিয়োগে অনুমতি দেননি। রাজভবনের সিলমোহর ছাড়াই বিশ্ববিদ্যালয়গুলিতে উপাচার্য নিয়োগ করেছিল রাজ্য সরকার। 

    আরও পড়ুন: যেখানে ইউনিফর্ম রয়েছে, পড়ুয়ারা কি ইচ্ছেমতো পোশাক পরতে পারে? প্রশ্ন সুপ্রিম কোর্টের
        
    রাজ্য সরকারের এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে জনস্বার্থ মামলা দায়ের করা হয়েছিল। পিটিশনে দাবি করা হয়, নিয়োগ বেআইনি। রাজভবনকে এড়িয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য নিয়োগ করার মানে সরাসরি সাংবিধানিক পদকে অস্বীকার করা। মামলাকারীর পিটিশনে আরও উল্লেখ করেন, একটা গনতান্ত্রিক দেশের রাজ্য সরকার যদি সাংবিধানিক পদকে উপেক্ষা করে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের মাথায় পছন্দের লোক বসায় তাহলে তা দেশের জন্যে অত্যন্ত ভয়ঙ্কর বিষয়। 

    দীর্ঘ শুনানির পর মঙ্গলবার কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি প্রকাশ শ্রীবাস্তবের ডিভিশন বেঞ্চ সোনালি চক্রবর্তী বন্দ্যোপাধ্যায়ের নিয়োগকে খারিজ করে দেয়। আদালত স্পষ্ট করেই বলেছে, এইভাবে বিশ্ববিদ্যালয়ের মাথায় পছন্দের লোক বসানো যায় না।

    আরও পড়ুন: কেন দুর্গোৎসব কমিটিগুলোকে দেওয়া হচ্ছে অনুদান? রাজ্যের ব্যাখ্যা তলব হাইকোর্টের  
     
    প্রসঙ্গত, এই উপাচার্য নিয়োগ নিয়ে রাজ্যপাল তথা আচার্যের সঙ্গে মতবিরোধ হওয়ার পরেই রাজ্য সরকার নতুন বিল আনে, রাজ্যের সমস্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য হবেন মুখ্যমন্ত্রী। সেই বিল বিধানসভায় পাশ হয়ে এখন রাজভবনে পড়ে রয়েছে। আর এর মাঝেই কলকাতা হাইকোর্ট নির্দেশ দিল, সোনালি চক্রবর্তী বন্দ্যোপাধ্যায়কে উপাচার্য পদে পুনর্বহাল করা যাবে না।    

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Sabina Yasmin: গঙ্গা ভাঙন দেখতে এসে বিক্ষোভের মুখে নদী পথে পালালেন রাজ্যের সেচ প্রতিমন্ত্রী

    Sabina Yasmin: গঙ্গা ভাঙন দেখতে এসে বিক্ষোভের মুখে নদী পথে পালালেন রাজ্যের সেচ প্রতিমন্ত্রী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মুর্শিদাবাদ জেলার গঙ্গা ভাঙন বেশ কিছু দিন ধরেই চোখ রাঙাচ্ছিল। প্রতিদিনই নদীর গর্ভে তলিয়ে যাচ্ছে বাড়ি, জমি, গবাদি পশু। সব কিছু হারিয়ে কার্যত খোলা আকাশের নিচে দিন কাটাচ্ছে বহু পরিবার। বারংবার প্রশাসনের কাছে আবেদন সত্ত্বেও প্রশাসন নির্বিকার। বহুদিন পরে গঙ্গাভাঙ্গন কবলিত এলাকা পরিদর্শন করতে যান রাজ্যের সেচ প্রতিমন্ত্রী সাবিনা ইয়াসমিন। তাঁকে দেখেই ক্ষোভে ফেটে পড়েন স্থানীয় বাসিন্দারা। তাঁদের অভিযোগ, গত বছরও সেখানে গিয়ে নানান প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন মন্ত্রী। কিন্তু কোনও কিছুরই বাস্তবায়ন হয়নি। স্বভাবতই স্থানীয় বাসিন্দাদের মধ্যে উত্তেজনা দেখা যায়। রাজ্যের সেচ প্রতিমন্ত্রীর সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন সামশেরগঞ্জের বিধায়ক আমিরুল ইসলাম সহ অন্যান্য প্রশাসনিক কর্মকর্তারা।

    আরও পড়ুন: মেধাবী ছাত্রকে অপহরণ করে খুন, বাগুইআটিকাণ্ডের ছায়া বীরভূমে?

    ভাঙন পরিদর্শন শেষে মন্ত্রীকে ঘিরে শুরু হয় বিক্ষোভ। তাদের অভিযোগ প্রতিবছর এভাবে অস্থায়ী কাজ করে ভাঙন রোধ সম্ভব নয়। বালির বস্তা ফেলে গঙ্গা ভাঙন রোধ সম্ভব নয়। চাই স্থায়ী সমাধান। তৃণমূলের স্থানীয় নেতৃত্ব এই বিক্ষোভ জোর করে আটকাতে গেলে গ্রামবাসীদের সঙ্গে খন্ডযুদ্ধ বাধে। শুরু হয় ইট বৃষ্টি। দুপক্ষের সংঘর্ষে মাথা ফাটে দু’জন তৃণমূল সদস্যের। অবস্থা বেগতিক বুঝে মন্ত্রী ও প্রশাসনিক কর্মকর্তারা নৌকায় চেপে পালিয়ে যান। তৃণমূল বিধায়ক আমিরুল ইসলাম মন্ত্রীকে হেনস্থার পিছনে সিপিএমের উস্কানি রয়েছে বলে অভিযোগ করেন। ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে  রাতেই সামসেরগঞ্জ থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করে তৃণমূল নেতৃত্ব। শনিবারই ঘটনার মূল অভিযুক্ত সিপিআইএমের ধুলিয়ান এরিয়া কমিটির সদস্য হারুন অল রশিদকে গ্রেপ্তার করে সামসেরগঞ্জ থানার পুলিশ।পরে তাকে জঙ্গিপুর মহুকুমা আদালতে পাঠানো হয়। যদিও সিপিআইএমের ধুলিয়ান এরিয়া কমিটির সম্পাদক মোদাসসার হোসেন তাদের দলের সদস্য হারুন অল রশিদকে অন্যায় ভাবে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলেই দাবি করেছেন। অবিলম্বে তাকে মুক্তির দাবিও জানান তিনি।

    আরও পড়ুন: গার্ডেনরিচে তৃণমূল কাউন্সিলরের ছেলের ঝুলন্ত দেহ উদ্ধারে রহস্য

    গঙ্গা ভাঙ্গনের সমস্যাটি বহু দিনের। প্রতি বছর বর্ষায় মালদা ও মুর্শিদাবাদ জেলার বিস্তীর্ণ অঞ্চল নদীর গর্ভে তলিয়ে যায়। উত্তরপ্রদেশ ও বিহারে অতিবৃষ্টির জেরে বন্যা সৃষ্টি হলে নদীর জল প্রচন্ড গতিতে ঝাড়খন্ড হয়ে মালদায় প্রবেশ করে, ফলে জলের তোড়ে মালদহের ভুতনি, মানিকচক, ডোমহাট সহ মূর্শিদাবাদের বিস্তীর্ন এলাকায় নদী পাড়ে দেখা যায়। বছর বছর এই সমস্যার সমাধান না হওয়ায় এলাকার মানুষ স্বাভাবিকভাবেই ক্ষুব্ধ। মন্ত্রীরা শুধু দেখেই যান, কাজের কাজ কিছুই করেন না। আর এর প্রতিবাদেই বিক্ষোভ মাথাচাড়া দেয় সামসেরগঞ্জে। মন্ত্রীকে পালাতে হয় নদী পথে। 

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

  • DA Case: ডিএ মামলার শুনানি বৃহষ্পতিবার, তার আগে গুরুত্বপূর্ণ মন্তব্য আদালতের

    DA Case: ডিএ মামলার শুনানি বৃহষ্পতিবার, তার আগে গুরুত্বপূর্ণ মন্তব্য আদালতের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পিছিয়ে দেওয়া হল হাইকোর্টে বকেয়া মহার্ঘ ভাতা (DA) মামলার শুনানি। কলকাতা হাইকোর্ট থেকে জানানো হয়েছিল এই মামলার শুনানি হবে ৭ সেপ্টেম্বর, বুধবার। কিন্তু তা পিছিয়ে দেওয়া হল । আগামিকাল দুপুর দুটোয় এই মামলার শুনানি হতে চলেছে।

    গত ২০ মে আদালত রাজ্যকে নির্দেশ দিয়েছিল, সরকারি কর্মীদের বকেয়া ডিএ তিন মাসের মধ্যে মিটিয়ে দিতে হবে। কিন্তু সেই সময় পেরিয়ে গেলেও রাজ্যের তরফে কোনও পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি। বরং রায় পুনর্বিবেচনার জন্য আদালতের দ্বারস্থ হয় রাজ্য। গত ১২ অগাস্ট, শুক্রবার সেই রায় পুনর্বিবেচনার আর্জি (Review Petition) জানায় সরকার। আজ সেই শুনানি ছিল। তবে পিটিশনের কপি সকল মামলাকারীদের দেওয়া হয়নি বলে মামলার শুনানি পিছিয়ে দেওয়া হয়। পদ্ধতিগত ত্রুটি শুধরে মামলাকারীদের পিটিশনের কপি দেওয়ার নির্দেশ দেয় আদালত। তাই বুধবার নয়, এই মামলার শুনানি হবে আগামীকাল।

    শুনানির দিন পিছিয়ে গেলেও আজ এক গুরুত্বপূর্ণ মন্তব্য করেন বিচারপতি হরিশ ট্যান্ডনের ডিভিশন বেঞ্চ। অ্যাডভোকেট জেনারেলকে উদ্দেশ্য করে আদালতের মন্তব্য, রায় পুনর্বিবেচনার সুযোগ খুব কম। ফলে সরকারি কর্মীদের বকেয়া ডিএ মেটানোর যে নির্দেশ হাইকোর্ট মে মাসে দিয়েছিল, তা নিয়ে আদালত কী রায় দেয়, সেদিকে নজর সকলেরই।

    আরও পড়ুন: বকেয়া নেই সরকারি কর্মীদের মহার্ঘ ভাতা! পুজো অনুদান মামলায় দাবি রাজ্যের

    এরমধ্যেই মঙ্গলবার দুর্গাপুজো অনুদান সংক্রান্ত মামলায় রাজ্য সরকার দাবি করেছে, রাজ্যের সরকারি কর্মচারীদের কোনও ডিএ বকেয়া নেই। যদিও রাজ্যের এই দাবি মিথ্যা বলে দাবি করেছেন সরকারি কর্মচারীরা। রাজ্যের ৪৩ হাজার দুর্গাপুজো কমিটিকে দুর্গা পুজো উপলক্ষে ৬০ হাজার টাকা করে অনুদান দিয়েছে রাজ্য সরকার। এই সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ করে দুটি জনস্বার্থ মামলা দায়ের হয় কলকাতা হাই কোর্টে। মামলাকারীদের দাবি, যেখানে সরকারি কর্মচারীদের মহার্ঘ ভাতা বাকি রয়েছে, সেখানে পুজো কমিটিকে অনুদান দেওয়া ঠিক নয়। এই প্রেক্ষিতে ডিএ মামলায় আদালতের রায় খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এদিন রাজ্যের পুনর্বিবেচনা আর্জির শুনানির পর রাজ্যের বিরুদ্ধে দায়ের করা আদালত অবমাননার শুনানি হবে। 

    প্রায় কয়েক মাস ধরেই রাজ্যে সরকারি কর্মচারীরা তাঁদের অধিকারের টাকা পাওয়ার জন্য লড়াই চালিয়ে যাচ্ছেন। গত ২০ মে তে হাইকোর্ট থেকে নির্দেশ দেওয়া হলেও কোনও ভ্রূক্ষেপ নেই রাজ্য সরকারের। ফলে এত মাস অপেক্ষার পর আগামীকালের শুনানির দিকে তাকিয়ে রাজ্য সরকারি কর্মচারীরা।  

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • SSC Scam: পার্থ ‘ঘনিষ্ঠ’ মোনালিসার দাদার নামে বিপুল জমির হদিশ! বেনামে মালিক প্রাক্তন মন্ত্রী-ই?

    SSC Scam: পার্থ ‘ঘনিষ্ঠ’ মোনালিসার দাদার নামে বিপুল জমির হদিশ! বেনামে মালিক প্রাক্তন মন্ত্রী-ই?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এসএসসি দুর্নীতিকাণ্ডে (SSC scam) ধৃত ফের পার্থ চট্টোপাধ্যায় (Partha Chatterjee) ঘনিষ্ঠের নামে বিপুল সম্পত্তির হদিশ পেল সিবিআই (CBI)। কেন্দ্রীয় তদন্তকারীর সংস্থার তরফে আশঙ্কা করা হয়েছে যে, শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতিতে (Teachers Recruitment Scam) প্রায় ১০০ কোটিরও বেশি দুর্নীতি হয়েছে। ফলে প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের নামে আরও সম্পত্তির হদিশ পাওয়া যাবে বলে মনে করেছেন কেন্দ্রীয় সংস্থার গোয়েন্দারা। তাই শুধুমাত্র জেলবন্দি পার্থ নয়, প্রাক্তন মন্ত্রীর ঘনিষ্ঠদের সম্পত্তিও খুঁজে বের করতে তৎপর তদন্তকারী সংস্থা।

    সূত্রের খবর, তদন্তে নেমে সিবিআই এবার একাধিক জমির খোঁজ পেয়ছে, যা পার্থ ঘনিষ্ঠ মোনালিসা দাসের (Monalisa Das) দাদা, মানস দাসের বলে উঠে এসেছে। জানা যায়, শনিবার রানাঘাট-২ ব্লকের ভূমিরাজস্ব দফতরে হানা দেন কেন্দ্রীয় সংস্থার তদন্তকারীরা। সেখানে বিভিন্ন নথি ঘেঁটে রানাঘাট ২ ব্লকের পাঁচটি জায়গা— বৈদ্যপুর-১, বৈদ্যপুর-২, আনুলিয়া, পায়রাডাঙা ও শ্যামনগরে মানস দাসের নামে বেশ কয়েকটি জমির খোঁজ পেয়েছেন তাঁরা।

    সিবিআই সূত্রে আরও জানা যায়, পায়রাডাঙার জমির মালিক দু’জন। মানস দাস ও তাঁর সহকারী মনোজ ঘোষ। তবে এখন প্রশ্ন উঠছে যে এইসব জমিতে পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের কোনও বিনিয়োগ আছে কি না। আর এই তথ্য খুঁজে বের করতেই তৎপর কেন্দ্রীয় তদন্তকারীরা। এজন্য রানাঘাটে রেজিস্ট্রি অফিসেও কেন্দ্রীয় আধিকারিকরা গিয়েছিলেন বলে জানা যায়। এমনকি সেখান থেকেও বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে বেশ কিছু নথি-দলিল। রেজিস্ট্রি অফিসের পাশাপাশি রানাঘাট এডিএসআর অফিসেও তদন্তকারীরা হানা দেন। আর সেখান থেকেও উদ্ধার করা হয়েছে কম্পিউটারের হার্ড ডিস্ক সহ বেশ কিছু নথি। আর এই সব নথিতেই এক চাঞ্চল্যকর তথ্য উঠে এল। কারণ নথিতে মানস দাসের পরিচয়ে একজন সমাজসেবী বলে উল্লেখ করা আছে। ফলে একজন সমাজসেবী হয়ে কীভাবে এত সম্পত্তির মালিক হতে পারে তা নিয়ে জল্পনা শুরু হয়েছে। এর পেছনের রহস্য বের করতে সমস্ত তথ্য খতিয়ে দেখবে তদন্তকারীরা।

    আরও পড়ুন: এসএসসি দুর্নীতিতে পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের ঘনিষ্ঠ প্রসন্নর চার দিনের সিবিআই হেফাজত

    অন্যদিকে এই মানস দাস ও মনোজ ঘোষের নামেও একাধিক অভিযোগ উঠে এসেছে। বৈদ্যপুরের স্থানীয় বাসিন্দাদের একাংশের অভিযোগ, মানস ও তাঁর সহকারী মনোজ নিজেদের পার্থর ‘ঘনিষ্ঠ’ বলে পরিচয় দিয়ে প্রচুর জমি ‘জবরদখল’ করেছেন। মন্ত্রীর ‘ঘনিষ্ঠ’ হওয়ার কারণে তাঁরা ভয়ে অভিযোগও জানাতে পারেননি। স্থানীয়রা দাবি করেছেন, কেউ সাহস করে অভিযোগ দায়ের করতে গেলেও এইক্ষেত্রে পুলিশ নিষ্ক্রিয়তা দেখিয়েছে।

    যদিও এই বিষয়ে কিছুই জানেন না বলেই জানিয়েছেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের ঘনিষ্ঠ অধ্যাপক মোনালিসা দাসের দাদা। এমনকি কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা কেউ যোগাযোগ করেনি বলেও জানিয়েছেন তিনি। তার বিরুদ্ধে স্থানীয় এলাকাতে একাধিক অভিযোগ রয়েছে, এইসব শুনে তিনি সমস্ত কিছু অস্বীকার করেছেন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।  

LinkedIn
Share