Category: রাজ্য

Get West Bengal News, Bengali Breaking News, Latest News in Bengali only from মাধ্যম | Madhyom, Bengali News Portal for সম্পূর্ণ নিরপেক্ষ বাংলা সংবাদ, বাংলা খবর

  • Dengue: পুজোর আগে ফের চিন্তা বাড়াচ্ছে ডেঙ্গি, ২৪ ঘণ্টায় রাজ্যে আক্রান্ত ৪০১ জন

    Dengue: পুজোর আগে ফের চিন্তা বাড়াচ্ছে ডেঙ্গি, ২৪ ঘণ্টায় রাজ্যে আক্রান্ত ৪০১ জন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফের আতঙ্ক ছড়াচ্ছে ডেঙ্গি (Dengue)। রাজ্যের বেশ কয়েকটি জেলায় ইতিমধ্যেই বেশ কিছু রোগী এই রোগের শিকার হয়েছেন। স্বাস্থ্য দফতরের (Health Department) তরফে বৃহস্পতিবার জানানো হয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় রাজ্যে ৪০১ জন ডেঙ্গিতে আক্রান্ত হয়েছেন। এদের মধ্যে ৩১৫ জনের সরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা চলছে। যে সব জেলায় ডেঙ্গির প্রকোপ সবথেকে বেশি, সেগুলি হল, কলকাতা, উত্তর ২৪ পরগনা, হাওড়া, হুগলি, মুর্শিদাবাদ, দার্জিলিং। 

    আরও পড়ুন: বর্ষাকালে রোগমুক্ত থাকবেন কীভাবে? রইল কিছু উপায়
     
    জেলা প্রশাসনকে বিষয়টিতে বাড়তি গুরুত্ব দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে স্বাস্থ্য দফতর। এরই মধ্যে বৃহস্পতিবার ডেঙ্গির বলি হয়েছেন কলকাতার এক বাসিন্দা। কালীঘাট, হরিদেবপুরের পর হালতু। ফের কলকাতায় ডেঙ্গিতে মৃত্যু। ডেথ সার্টিফিকেটে ডেঙ্গি শক সিনড্রোমের উল্লেখ করেছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। এর আগে কালীঘাটের বাসিন্দা এক বালক ও হরিদেবপুরের বাসিন্দা এক মহিলার মৃত্যু হয়েছে ডেঙ্গিতে। এবার ডেঙ্গির শিকার হালতুর এক মহিলা। হালতুর কায়স্থপাড়া মেন রোডের বাসিন্দা ৪০ বছরের মৌমিতা মুখোপাধ্যায়। পরিবার সূত্রে খবর, ৫ সেপ্টেম্বর যাদবপুর এলাকার এক বেসরকারি হাসপাতালে ভরতি হন। তার আগে তাঁর তিন-চারদিন জ্বর ছিল। বৃহস্পতিবার সকালে আচমকা শারীরিক অবস্থার অবনতি হয়। তাঁকে আইসিইউ- তে স্থানান্তরিত করা হয়। পরবর্তীতে মৃত্যু হয় তাঁর। মহিলার ৮ বছরের ছেলেও ডেঙ্গিতে আক্রান্ত এবং হাসপাতালে ভর্তি।       

    ২৪ ঘণ্টার ব্যবধানে হাওড়ার বালিতে ডেঙ্গিতে ২ জনের মৃত্যু হয়েছে বৃহস্পতিবার। রাতে বালির ভোটবাগানের বাসিন্দা এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে। ডেথ সার্টিফিকেটে সিভিয়ার ডেঙ্গি সিনড্রোমের উল্লেখ করা হয়। 

    আরও পড়ুন: মশার উপদ্রব থেকে বাঁচতে নয়া পদ্ধতি আবিষ্কার আইসিএমআর-এর

    প্রতি বছরই বর্ষার আগে পরে ডেঙ্গির প্রকোপ দেখা দেয় বাংলায়। পুজো পর্যন্ত প্রকোপ চলে। পাশাপাশি অন্যান্য ভাইরাল রোগও যাতে না হয় তা নিয়ে চিন্তা ব্যক্ত রয়েছে প্রশাসনে। গত মাসেই ডেঙ্গি নিয়ে নবান্নতে বৈঠক হয়। সেখান থেকেই জেলা প্রশাসন এবং জেলা স্বাস্থ্য আধিকারিকদের সঙ্গে কথা বলেন মুখ্যসচিব। ডেঙ্গি যে চিন্তা বাড়াচ্ছে, সে বিষয়ে সকলকে সতর্ক হতে বলেন তিনি। বিশেষভাবে সতর্ক করা হয়েছে হাওড়া, হুগলি, উত্তর ২৪ পরগনা, জলপাইগুড়ির মতো জেলাগুলিকে।  

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Suvendu Adhikari Detained: আলিপুরে শুভেন্দুকে প্রিজন ভ্যানে তুলল পুলিশ, আটক লকেট-রাহুলও

    Suvendu Adhikari Detained: আলিপুরে শুভেন্দুকে প্রিজন ভ্যানে তুলল পুলিশ, আটক লকেট-রাহুলও

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আশঙ্কাই সত্যি হল। গণতান্ত্রিক মাধ্যমে একটি রাজনৈতিক কর্মসূচিকে রুখতে বলপ্রয়োগ করল মমতা (Mamata) বন্দ্যোপাধ্যায়ের পুলিশ। বিজেপির নবান্ন অভিযানের (BJP Nabanna Abhijan) শুরুতেই বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীকে আটক করল পুলিশ (Suvendu Adhikari Detained)। একইসঙ্গে আটক করা হল বিজেপি নেত্রী লকেট চট্টোপাধ্যায় (Locket Chatterjee) ও নেতা রাহুল সিনহাকেও (Rahul Sinha)। 

    এদিন, আলিপুর পুলিশ ট্রেনিং স্কুল বা পিটিএস (Alipore PTS) থেকে দ্বিতীয় হুগলি সেতু (Vidyasagar Setu) হয়ে নবান্ন অভিমুখে রওনা দেন শুভেন্দু, লকেট এবং রাহুলরা। কিন্ত শুরুতেই তাঁদের আটকে দেয় পুলিশ। দ্বিতীয় হুগলি সেতুর সামনে পুলিশ ব্যারিকেডের কাছেই বাধা দেওয়া হয় শুভেন্দু অধিকারীকে (Suvendu)। পুলিশের সঙ্গে বচসায় জড়িয়ে পড়েন শুভেন্দু, লকেটরা। শুরু হয় ধস্তাধস্তি।

    আরও পড়ুন: দুর্নীতি নয়, বিজেপির নবান্ন অভিযান আটকাতেই সক্রিয় মমতার পুলিশ! কীসের ভয়?

    শুভেন্দুর অভিযোগ, মহিলা পুলিশরা তাঁর গায়ে হাত দিয়েছেন। এদিন পুলিশকর্মী শুভেন্দুকে ভ্যানে তুলতে এগোলে শুভেন্দু মহিলা পুলিশকর্মীর উদ্দেশে বলেন, ‘আপনি মহিলা। আমার গায়ে হাত দেবেন না।’ নন্দীগ্রামের বিধায়কের রাস্তা আটকে পুলিশ মস্করা করছে বলেও কটাক্ষ করেন শুভেন্দু। এর পরই তাঁকে প্রিজন ভ্যানে তোলা হয়। একইসঙ্গে আটক করা হয় লকেট ও রাহুল সিনহাকেও। এই প্রেক্ষিতে পুলিশমন্ত্রীর পদত্যাগ দাবি করেন শুভেন্দু। তাঁদের লালবাজারে নিয়ে যাওয়া হয়।

    তবে শুভেন্দুকে তুললেও, তাঁর নেতৃত্বাধীনে থাকা মিছিল থেমে থাকেনি। শুভেন্দুকে পুলিশ আটক করে নিয়ে যাওয়ায় সাঁতরাগাছি থেকে শুরু হওয়া বিজেপির মিছিলের নেতৃত্ব দেন বিষ্ণুপুরের সাংসদ সৌমিত্র খাঁ ()Saumitra Khan)। মিছিলে পা মেলাচ্ছেন প্রাক্তন ভারতীয় ক্রিকেটার তথা বিজেপি বিধায়ক অশোক ডিন্ডা (Ashok Dinda)। অন্যদিকে, হাওড়া স্টেশন থেকে বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের (Sukanta Majumdar) নেতৃত্বে নবান্নমুখী মিছিল শুরু হয়েছে। দক্ষিণ আসানসোলের বিধায়ক অগ্নিমিত্রা পালও (Agnimitra Pal) রয়েছেন এই মিছিলে। প্রাক্তন আইপিএস অফিসার ভারতী ঘোষও (Former IPS Bharati Ghosh) এই মিছিলে পা মেলাচ্ছেন। কলেজ স্ট্রিট থেকে দিলীপ ঘোষের (Dilip Ghosh) নেতৃত্বে মিছিল শুরু হয়েছে।

    আরও পড়ুন: ‘‘ভয় পেয়েছেন মমতা…লড়াই হবে লড়াই’’, নবান্ন অভিযানের আগে হুঙ্কার সুকান্তর

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Bengal Pending DA Case: কর্মচারীদের কোনও ডিএ পাওনা নেই, হাইকোর্টে জানাল রাজ্য সরকার

    Bengal Pending DA Case: কর্মচারীদের কোনও ডিএ পাওনা নেই, হাইকোর্টে জানাল রাজ্য সরকার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মহার্ঘ ভাতা (DA Case) বাকি রাজ্য সরকারের কর্মীদের। এই দাবি আজকের নয়। যদিও রাজ্য সরকার একই সঙ্গে দাবি করে আসছে কোনও ডিএ পাওয়া নেই কর্মচারীদের। বৃহস্পতিবার কলকাতা হাইকোর্টে (State Government) সেই দাবিই আরও একবার করল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় চালিত তৃণমূল সরকার। বিচারপতি হরিশ ট্যান্ডন ও বিচারপতি রবীন্দ্রনাথ সামন্তর বেঞ্চে বকেয়া ডিএ মামলার শুনানিতে, রাজ্য সরকারের হয়ে সে কথাই বললেন অ্যাডভোকেট জেনারেল সৌমেন্দ্রনাথ মুখোপাধ্যায়। 

    আরও পড়ুন: বকেয়া নেই সরকারি কর্মীদের মহার্ঘ ভাতা! পুজো অনুদান মামলায় দাবি রাজ্যের

    ডিএ নিয়ে হাইকোর্টের (Calcutta High Court) নির্দেশ পুনর্বিবেচনার আবেদন জানিয়েছিল রাজ্য সরকার। সেই মামলার শুনানির ছিল আজ। শুনানিতে রাজ্যের এজি বলেন, “সরকারি কর্মীদের কোনও ডিএ বকেয়া নেই। পঞ্চম বেতন কমিশনের সুপারিশ মেনেই ধাপে ধাপে বকেয়া সব ডিএ মিটিয়ে দিয়ে দেওয়া হয়েছে।”   

    মামলাকারীদের দাবি, কেন্দ্রের হারে ডিএ দেয়নি রাজ্য সরকার। আর তাতেই বকেয়া রয়েছে ডিএ। তবে এদিন এজি বলেন, “রাজ্য সরকার ২০০৯ সালের পঞ্চম বেতন কমিশনের সুপারিশ মেনেই ডিএ দিয়েছে। পরে ২০১৮-১৯ সালে ডিএ নিয়ে ষষ্ঠ, সপ্তম বেতন কমিশনের সুপারিশ করা হয়েছিল তা রাজ্য সরকার মানেনি। তাহলে কেন সেই হারে ডিএ দেওয়া হবে?”

    আরও পড়ুন: বিদ্যুৎকর্মীদের বকেয়া ডিএ-র টাকা তুলতে বিদ্যুতের দাম বাড়াল রাজ্য? 

    মামলাকারীরা আরও দাবি করেন, দিল্লির বঙ্গ ভবন ও চেন্নাইতে রাজ্য সরকারের কর্মীরা কেন্দ্রীয় হারে বেতন পান। তাহলে এ রাজ্যের কর্মীরা কেন সেই হারে বেতন পাবেন না? এর উত্তরে এজি বলেন, “দিল্লি এবং চেন্নাইতে রাজ্য সরকারের কর্মচারীরা অল ইন্ডিয়া প্রাইস ইনডেক্স ১৯৮১ অনুযায়ী ডিএ পেয়ে থাকেন। তাই তাঁরা কেন্দ্রীয় হারে পান। রাজ্যের কর্মীদের পঞ্চম বেতন কমিশনের সুপারিশ অনুযায়ী ডিএ দেওয়া হয়েছে।” 

    এর আগেও পুজোর অনুদান দেওয়া নিয়ে মামলার শুনানিতেও রাজ্যের তরফের আইনজীবী জানিয়েছিলেন, রাজ্য সরকারের কর্মীদের কোনও ডিএ পাওনা নেই। এদিনের শুনানিতে বিচারপতি হরিশ ট্যান্ডন বলেন, “ডিএ-র নাম শুনলেই সরকারি কর্মচারীরা তৎপর হয়ে ওঠেন। ফাইল না চাইতেই হাতে পেয়ে যাচ্ছি। তাই মামলার শুনানি দ্রুত শেষ করতে চাই। যাতে অন্য মামলার ক্ষেত্রেও কর্মীদের মধ্যে এই উন্মাদনা বজায় থাকে।” এই মামলার পরবর্তী শুনানি হবে আগামীকাল, শুক্রবার।  

    গত ২০ মে ডিএ মামলায় কলকাতা হাইকোর্ট নির্দেশ দিয়েছিল যে, তিন মাসের মধ্যে স্যাট (স্টেট অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ ট্রাইব্যুনাল)-এর রায় কার্যকর করতে হবে। অর্থাৎ বকেয়া মহার্ঘভাতা মিটিয়ে দিতে হবে তিন মাসের মধ্যে। বিচারপতি রবীন্দ্রনাথ সামন্ত ও বিচারপতি হরিশ ট্যান্ডন তাঁদের রায় জানিয়েছিলেন, মহার্ঘ ভাতা পাওয়া রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের মৌলিক অধিকার। তাঁরা সরকারের মেরুদণ্ড। তাই আইনি অধিকার হিসাবেই তাঁদের প্রাপ্য ডিএ মিটিয়ে দিতে হবে।  

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Anubrata Mondal Case: কেন অনুব্রতর স্ত্রীর চিকিৎসা খরচ বহন? গরুপাচার কাণ্ডে সিবিআই-তলব ব্যবসায়ী রাজীব ভট্টাচার্যকে

    Anubrata Mondal Case: কেন অনুব্রতর স্ত্রীর চিকিৎসা খরচ বহন? গরুপাচার কাণ্ডে সিবিআই-তলব ব্যবসায়ী রাজীব ভট্টাচার্যকে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গরুপাচার কাণ্ডে (Cattle Smuggling Case) সিবিআইয়ের (CBI) নজরে আরও এক ব্যবসায়ীর নাম। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার দাবি, রাজীব ভট্টাচার্য (Rajeev Bhattacharya) নামের ওই ব্যবসায়ীর কাছ থেকে টাকা নিয়ে প্রয়াত স্ত্রীর চিকিৎসা করিয়েছিলেন তৃণমূলের বীরভূম জেলার সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল। তৃণমূল নেতার স্ত্রীর চিকিৎসার জন্যে প্রায় ৬৬ লক্ষ টাকা দিয়েছিলেন ওই ব্যবসায়ী। এমনটাই জানিয়েছেন গোয়েন্দারা। 

    ইতিমধ্যেই এই বিষয়ক রসিদও এসে পৌঁছেছে গোয়েন্দা সংস্থার হাতে। দু’বছর আগে ক্যানসার আক্রান্ত হয়ে মারা যান অনুব্রত মণ্ডলের স্ত্রী ছবি মণ্ডল। বীরভূম ছাড়াও কলকাতার একাধিক হাসপাতালে ছবি মণ্ডলের চিকিৎসা করিয়েছিলেন অনুব্রত। সিবিআই গোয়েন্দাদের দাবি, নিউটাউনের এক ক্যানসার হাসপাতলে ছবি মণ্ডলের চিকিৎসার খরচ বহন করেছিলেন রাজীব। রাজীব ভট্টাচার্যেরও চালকল আছে বলেও দাবি করেছেন গোয়েন্দারা। 

    আরও পড়ুন: অনুব্রত-কন্যার কোটি টাকার এফডি ফ্রিজ়, সিবিআই নজরে মা কালীর গয়নার উৎসও

    সিবিআই আরও দাবি করেছেন, অনুব্রতের হয়ে তাঁর একাধিক চালকলের দেখাশোনা করতেন রাজীব। ওই ব্যবসায়ীকে একাধিক বার জিজ্ঞাসাবাদ করেছে সিবিআই। ফের আরও একবার এই বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করতে রাজীবকে তলব করেছেন সিবিআই গোয়েন্দারা। 

    সিবিআই সূত্রে খবর, এই রাজীব ভট্টাচার্যের নামে ১০ থেকে ১২টি রাইস মিল রয়েছে ৷ এমনকি ইতিমধ্যেই রাজীব ভট্টাচার্যের নামে ব্যাংকে কোটি কোটি টাকার লেনদেন হয়েছে বলে জানতে পেরেছে তদন্তকারী সংস্থা ৷ রাজীব ভট্টাচার্যের আয়কর রিটার্নের ফাইল খতিয়ে দেখেছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা ৷ আর তাতেই হাসপাতালে আর্থিক লেনদেনের বিষয়টি সামনে আসে।

    আরও পড়ুন: গরু পাচারকাণ্ডে এবার বেসরকারি ব্যাংক কর্তাদের তলব সিবিআইয়ের! কী জানতে চাইল তারা? 

    আচমকা অনুব্রত মণ্ডলের স্ত্রীর চিকিৎসার বিল কেন মেটাতে গেলেন রাজীব ভট্টাচার্য? তাহলে কি অনুব্রত মণ্ডলের সঙ্গে কোনওভাবে যোগসূত্র রয়েছে ওই ব্যবসায়ীর ৷ এই প্রশ্নগুলিই রাজীবকে করতে পারেন সিবিআই গোয়েন্দারা। এ নিয়ে অনুব্রত মণ্ডলকেও একাধিকবার জিজ্ঞাসাবাদ করেছেন গোয়েন্দারা ৷ কিন্তু কোনও জবাব আসেনি অনুব্রতর তরফ থেকে।   

    গোয়েন্দারা মনে করছেন, কোটি কোটি কালো টাকা সাদা টাকায় বদলেছেন ব্যবসায়ী রাজীব ভট্টাচার্য৷ এসব বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করতেই বুধবার বিকেল ৩টের সময় তাঁকে বোলপুরে সিবিআই এর অস্থায়ী ক্যাম্পে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তলব করা হয়েছে ৷ তবে তিনি হাজিরা দেন কিনা এখন সেই অপেক্ষাতেই রয়েছেন গোয়েন্দারা।  

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

  • Weather Update: মঙ্গলবারও সারাদিন বৃষ্টি চলবে, নেমেছে তাপমাত্রার পারদ,  বুধে বৃষ্টি কমার পূর্বাভাস

    Weather Update: মঙ্গলবারও সারাদিন বৃষ্টি চলবে, নেমেছে তাপমাত্রার পারদ, বুধে বৃষ্টি কমার পূর্বাভাস

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সোমবারের পর মঙ্গলবার। সকাল না সন্ধ্যা বোঝা দায়। ঘন কালো মেঘের চাদরে ঢাকা শহরের আকাশ। চলছে অবিরাম বৃষ্টি। কখনও ঝমঝমিয়ে তো কখনও টিপটিপে। আজও সারাদিন বৃষ্টি চলবে। আলিপুর আবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাস,গভীর নিম্নচাপ দুর্বল হয়ে মধ্যপ্রদেশে চলে গিয়েছে। মধ্যপ্রদেশ এবং ছত্তিসগঢ়ের নিম্নচাপ এলাকা থেকে একটি অক্ষরেখা বাংলাদেশ পর্যন্ত তৈরি হয়েছে। এই অক্ষরেখা ঝাড়খণ্ড ও গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গের উপর দিয়ে গিয়েছে। এর প্রভাবে আজ,মঙ্গলবারও ভারী বৃষ্টি হবে গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গের বাংলাদেশ সংলগ্ন জেলাগুলিতে ৷ আজ,মঙ্গলবার ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টি হবে উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনা,নদিয়া এবং পূর্ব মেদিনীপুর জেলায়। ভারী বৃষ্টি হবে কলকাতা, হুগলি, মুর্শিদাবাদ, বীরভূম, পশ্চিম মেদিনীপুর, পূর্ব বর্ধমান এবং হাওড়া জেলায়। 

    আরও পড়ুন: ২০২৩-এই খুলে যাবে দরজা! রাম মন্দির তৈরিতে খরচ ১৮০০ কোটি টাকা

    নিম্নচাপ ও বৃষ্টির জেরে কলকাতায় এক ধাক্কায় তাপমাত্রার পারদ নেমেছে অনেকটা। মঙ্গলবার শহরের তাপমাত্রা থাকবে ২৫-২৭ ডিগ্রি সেলসিয়াসের কাছে। যা স্বাভাবিকের থেকে অনেকটাই কম। উপকূলবর্তী এলাকায় হাওয়ার গতি বেশি থাকতে পারে। তাই বুধবার পর্যন্ত মৎস্যজীবীদের সমুদ্রে যেতে নিষেধ করা হয়েছে। পর্যটকদেরও সমুদ্রে নামতে বারণ করা হয়েছে। বুধবার বৃষ্টির পরিমাণ কিছুটা হলেও কমতে পারে। জেলাগুলিতে তাপমাত্রার খুব একটা হেরফের হবে না। সোমবার সারাদিন শহর জুড়ে বৃষ্টির জেরে ব্যহত হয়েছে জনজীবন। সমস্যায় পড়েছে স্কুলের ছাত্রছাত্রীরা। সপ্তাহের প্রথম দিনে কর্মব্যস্ত অফিস যাত্রীরাও বিপদে পড়েছে।

    আরও পড়ুন: জ্ঞানবাপী মামলায় পূজার্চনার আবেদনের শুনানি চলবে, জানিয়ে দিল আদালত

    শুধু দক্ষিণবঙ্গ নয়, আগামী কয়েকদিন উত্তরবঙ্গে হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টি চলবে সব জেলাতেই। দার্জিলিং এবং কালিম্পং জেলায় আগামী ৪৮ ঘণ্টায় ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। মালদহ, উত্তর দিনাজপুর ও দক্ষিণ দিনাজপুরে ১৩ ও ১৪ সেপ্টেম্বর অর্থাৎ মঙ্গল ও বুধবার বিক্ষিপ্তভাবে ভারী বৃষ্টি হতে পারে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Coal Smuggling Scam: কয়লা পাচার কেলেঙ্কারিতে লালার সহযোগীদের বিরুদ্ধে জারি গ্রেফতারি পরোয়ানা

    Coal Smuggling Scam: কয়লা পাচার কেলেঙ্কারিতে লালার সহযোগীদের বিরুদ্ধে জারি গ্রেফতারি পরোয়ানা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কয়লা পাচার কেলেঙ্কারিতে (Coal Smuggling Scam) জারি গ্রেফতারি পরোয়ানা। মূল অভিযুক্ত অনুপ মাঝি (Anup Maji) ওরফে লালার ১৫ জন সহযোগীর নামে জারি হয়েছে ওই পরোয়ানা। মঙ্গলবার আসানসোলের (Asansole) বিশেষ সিবিআই আদালত (CBI Court) এই পরোয়ানা জারি করে। কয়লা পাচার কেলেঙ্কারিতে যে ৪১ জনের নামে চার্জশিট পেশ করা হয়েছিল, তাঁদের মধ্যে এঁরাও রয়েছেন। এদিকে, কয়লা পাচার কেলেঙ্কারিতে ধৃত বিকাশ মিশ্র ও চারজন বর্তমান এবং প্রাক্তন ইসিএল আধিকারিককে ২৭ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত জেল হেফাজতের নির্দেশ দিল আসানসোলের সিবিআই আদালত।

    বছর দুয়েক আগে কয়লাপাচারকাণ্ডে তদন্ত শুরু করে সিবিআই। এই মামলায় মূল অভিযুক্ত হিসেবে উঠে এসেছে লালার নাম। লালা সহ একাধিক অভিযুক্তের বিরুদ্ধে চার্জশিট পেশ করেছে সিবিআই। সাপ্লিমেন্টারি চার্জশিট পেশ করেছে আর এক কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা ইডিও। সুপ্রিম কোর্টে লালা জামিন পেলেও, তাঁর সঙ্গী গুরুপদ মাজি এখন তিহাড় জেলে বন্দি। এই মামলায় রাজ্যের আইনমন্ত্রী মলয় ঘটককেও ইতিমধ্যেই জেরা করেছে সিবিআই।

    আরও পড়ুন : কয়লা পাচার কাণ্ডে ফের ইডির তলব অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে

    এদিকে, এদিনই কয়লা পাচার মামলায় সিবিআই আদালতে তোলা হয় ইসিএলের প্রাক্তন জেনারেল ম্যানেজার সুভাষ মুখোপাধ্যায়, সুশান্ত বন্দ্যোপাধ্যায়, অভিজিৎ মল্লিক, তন্ময় দাস, সুভাষ চন্দ্র মৈত্র, মুকেশ কুমারকে। আর আসানসোলের বিশেষ সিবিআই আদালতে তোলা হয় ইসিএলের নিরাপত্তা আধিকারিক দেবাশিস মুখোপাধ্যায় ও রিঙ্কু বেহারাকে। সিবিআই আদালতে তোলা হয় অভিযুক্ত বিনয় মিশ্রের ভাই বিকাশকেও।

    এদিন সিবিআইয়ের আইনজীবী আদালতে বলেন, ধৃতদের জামিন দিলে তদন্তে বিঘ্ন ঘটতে পারে। তাই তাঁদের ফের জেল হেফাজত দেওয়া হোক। যদিও অভিযুক্তদের আইনজীবীরা বলেন, বাকি যাঁদের নামে চার্জশিট রয়েছে, তাঁদের এখনও পর্যন্ত ধরা যায়নি। কিংবা তাঁদের শমন পাঠানো হয়েছে কিনা, তা স্পষ্ট নয়। তাই ধৃত ইসিএল আধিকারিকদের আটকে না রেখে তাঁদের জামিন দেওয়া হোক। তাঁরা তদন্তে সহযোগিতা করবেন। দু পক্ষের সওয়াল জবাব শুনে ধৃতদের ফের ২৭ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত জেল হেফাজতের নির্দেশ দেন বিচারক।  

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • TMC Councillors son hanged: গার্ডেনরিচে তৃণমূল কাউন্সিলরের ছেলের ঝুলন্ত দেহ উদ্ধারে রহস্য

    TMC Councillors son hanged: গার্ডেনরিচে তৃণমূল কাউন্সিলরের ছেলের ঝুলন্ত দেহ উদ্ধারে রহস্য

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফের খবরের শিরোনামে কলকাতার (Kolkata) গার্ডেনরিচ এলাকা। এবার রহস্যমৃত্যু তৃণমূল কাউন্সিলের (TMC Councilor) ছেলের। শনিবার নিজের অফিস থেকে ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয় পিন্টু শীলের (Pintu Shil)। তিনি ১৩৩ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর রঞ্জিত শীলের ছেলে। পিন্টু আত্মহত্যা করেছেন নাকি, তাঁকে মেরে ঝুলিয়ে দেওয়া হয়েছে, তা জানতে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।

    শনিবারই গার্ডেনরিচের পরিবহণ ব্যবসায়ী আমির খানের বাড়িতে হানা দিয়েছিল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা ইডি। বাজেয়াপ্ত করা হয় ১৭ কোটি ৩২ লক্ষ টাকা। সেই খবরের রেশ মিলিয়ে যাওয়ার আগেই নিজের অফিস থেকেই ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয় পিন্টুর। পুলিশের প্রাথমিক অনুমান, আত্মহত্যা করেছেন কাউন্সিলরের ছেলে।

    ১৩৩ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর রঞ্জিত শীল। তিনি ১৫ নম্বর বরোর চেয়ারম্যানও। এদিন রাতে নিজের অফিসে ছিলেন তাঁর ছেলে পিন্টু। তিনি প্রমোটিং করতেন। রাতে কয়েকজন তাঁর খোঁজে ওই অফিসে যান। দেখেন, গলায় দড়ি দিয়ে ঝুলছেন কাউন্সিলরের ছেলে। সঙ্গে সঙ্গে খবর দেওয়া হয় রঞ্জিতবাবুকে। খবর দেওয়া হয় মেটিয়াবুরুজ থানায়ও। গভীর রাতে পিন্টুর দেহ উদ্ধার করে পুলিশ।

    আরও পড়ুন : এবার তৃণমূল পুর-চেয়ারম্যানের বাড়ি থেকে উদ্ধার ৮০ লক্ষ নগদ! কে এই রাজু সাহানি?

    পুলিশ জানিয়েছে, পিন্টুর দেহে আঘাতের কোনও চিহ্ন নেই। তা থেকেই অনুমান, আত্মহত্যা করেছেন পিন্টু। তবে কেন তিনি নিজের অফিসে গিয়ে আত্মহত্যা করলেন, তা এখনও স্পষ্ট নয়। পুলিশ জানিয়েছে, ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পেলেই জানা যাবে ঠিক পিন্টু আত্মহত্যা করেছেন নাকি তাঁকে মেরে ঝুলিয়ে দেওয়া হয়েছে। প্রমোটিং সংক্রান্ত বিবাদের জেরে তাঁকে খুন করা হয়েছে কিনা, তাও খতিয়ে দেখছে পুলিশ।

    দিন কয়েক আগে খিদিরপুরে পথ দুর্ঘটনায় ছেলেকে হারিয়েছিলেন ৭৯ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর রাম পিয়ারি রাম। লরির চাকায় পিষ্ট হয়ে মৃত্যু হয়েছিল তাঁর ছেলে কিঙ্কর রামের। সেই ঘটনার রেশ মিলিয়ে  যাওয়ার আগে তৃণমূল শিবিরে ফের শোকের খবর। এবার সন্তান হারা হলেন আরও এক দলীয় কাউন্সিলর রঞ্জিত শীল।  

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।  

  • ED-CBI Arrest: দুয়ারে ইডি-সিবিআই! জেলে যেতে পারেন? নেতাদের জন্য রইল শরীর ঠিক রাখার টোটকা

    ED-CBI Arrest: দুয়ারে ইডি-সিবিআই! জেলে যেতে পারেন? নেতাদের জন্য রইল শরীর ঠিক রাখার টোটকা

    তানিয়া বন্দ্যোপাধ্যায় পাল: ‘দুয়ারে’ কখনও ইডি (ED) আবার কখনও সিবিআই (CBI)। এ যেন এরাজ্যে এখন নিত্যনৈমিত্তিক ঘটনা। ব্যবসায়ী হোক বা রাজনৈতিক নেতা, সিবিআই আর ইডির আতস কাচের নীচে থাকার সংখ্যা দিন দিন বাড়ছে। আর তার সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে এ রাজ্যের রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বদের শারীরিক অসুস্থতা।

    সিবিআই কিংবা ইডির কাছে হাজিরা দিতে হলে অধিকাংশ সময়েই রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বদের শারীরিক অবস্থার অবনতি ঘটে। অনেক সময়েই তাঁরা হাসপাতালের দরজায় দরজায় ঘোরেন। ভর্তি করানোর জন্য কাতর হয়ে ওঠেন। এমনকি অর্শ্ব অস্ত্রোপচারের জন্যও মরিয়া হয়ে যান। অনেক সময়েই তাঁদের শারীরিক অসুস্থতার জন্য তদন্তের গতি শ্লথ হয়। তদন্ত চলাকালীন, যাঁরা গ্রেফতার হন, নিত্যদিন তাঁদের নিয়ে হাসপাতালে ছোটেন সিবিআই, ইডি আধিকারিকেরা।

    কিন্তু চিকিৎসকেরা জানাচ্ছেন, একটু সতর্কতা অবলম্বন করলেই এই ভোগান্তি কমবে। চিকিৎসকদের পরামর্শ, প্রয়োজন ভালো ঘুম। রাতের পর্যাপ্ত ঘুম কমিয়ে দিতে পারে শারীরিক অসুস্থতা। ইডি কিংবা সিবিআইয়ের ডাক পেয়ে অনেক রাজনৈতিক নেতার হৃদরোগ দেখা দেয়। বুকে চিনচিন ব্যথা অনুভব করেন। রাজ্যের এক প্রভাবশালী প্রাক্তন মন্ত্রী হৃদরোগের উপসর্গ নিয়ে হাসপাতালেও ভর্তি হয়েছিলেন। চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, অধিকাংশ ক্ষেত্রে গুরুতর হৃদরোগ নয়, ‘অ্যাংজ়াইটি অ্যাটাক’ হয়। আর তার জেরেই বুকে ব্যথা, মাথা ঘোরার মতো উপসর্গ দেখা যায়। কোনও বিষয় নিয়ে ভয়, মাত্রারিক্ত দুশ্চিন্তা থেকেই এই সমস্যা হয়। আর অনেক সময়েই দুশ্চিন্তার জেরে ঘুম ঠিক মতো হয় না। দীর্ঘদিন পর্যাপ্ত ঘুম না হলে, দেহে একাধিক সমস্যা হতে পারে।

    আরও পড়ুন: আভাস ছিল কি, আগেই মলয় ঘটক রাজভবন থেকে কাগজপত্র সরিয়ে ছিলেন কেন?

    চিকিৎসক স্বপন বিশ্বাস বলেন, “রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বদের জীবনযাপন খুব ব্যস্ত হয়। একটু অন্যরকম হয়। কিন্তু সময় মতো ঘুমনো জরুরি। যদি তাঁরা রাতে ঠিকমতো ঘুমোন, তাহলে কিন্তু হাইপারটেনশনের মতো সমস্যা কমানো যেতে পারে। রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বদের মধ্যে হাইপারটেনশনের প্রবণতা বাড়ছে।” চিকিৎসক শারোদ্বৎ মুখোপাধ্যায় অবশ্য বলছেন, “রাজ্যের শাসক দলের নেতাদের শরীর ও মন দুটো সুস্থ রাখা বেশ মুশকিল। কারণ, এত অসুস্থ পরিবেশে কি নিজেকে সুস্থ রাখা যায়! তবে, রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বদের জন্য একটাই পরামর্শ, কী খাচ্ছেন, একটু ভেবে খান! বেশি খেলে কিন্তু হজম করা মুশকিল।”

    অতিরিক্ত মানসিক চাপ শারীরিক অসুস্থতার অন্যতম কারণ বলেই মনে করছেন চিকিৎসকদের একাংশ। ইডি কিংবা সিবিআইয়ের ডাক পেলে তাই নিজেকে একটু সৃজনশীল কাজের মধ্যে রাখার পরামর্শ দিচ্ছেন চিকিৎসকদের একাংশ। তাঁরা জানাচ্ছেন, উচ্চ রক্তচাপ থেকে স্ট্রোক কিংবা হৃদরোগের মতো সমস্যার কারণ হচ্ছে অতিরিক্ত মানসিক চাপ। ছবি আঁকা, বই পড়া, গান শোনার মতো সৃজনশীল কাজের জন্য প্রতিদিন সময় বরাদ্দ করলে মানসিক চাপ কমে। তাতে শরীর ও সুস্থ থাকে। চিকিৎসক সন্দীপন মিত্র বলেন, “রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বরা যে যথেষ্ট সৃজনশীল হতে পারেন, তার উদাহরণ তো আমরা দেখছি। সকলের শেখা উচিত। সারাদিনের ব্যস্ততার পরে একটু ছবি আঁকা বা গান লেখার মতো কাজ করলে মানসিক চাপ কমে। তাতে শরীর ও মন দুই ভালো থাকে। তখন যে কোনও পরিস্থিতিতেই নিজেকে তৈরী রাখা যায়।”

    তবে, ইডি, সিবিআইয়ের সামনে সুস্থ শরীরে উপস্থিত থাকার জন্য সবচেয়ে বেশি জরুরি খাদ্যাভ্যাস। পুষ্টিবিদদের একাংশ জানাচ্ছেন, এ রাজ্যের অধিকাংশ রাজনৈতিক নেতারা স্থুলতার সমস্যায় ভোগেন। তাদের এই সমস্যার কারণ, খাদ্যাভ্যাস। তাঁদের মতে, অনিয়মিত সময়ে খাবার খাওয়া ও অতিরিক্ত পরিমাণ খাবার খাওয়ার জেরেই স্থুলতার সমস্যা হয়। আর স্থুলতা ডেকে আনে হৃদরোগ থেকে ক্যানসার, একাধিক জটিল শারীরিক সমস্যা।

    আরও পড়ুন: জামিনের আবেদন খারিজ সিবিআই আদালতে, ফের জেলেই ফিরতে হল অনুব্রতকে

    সূত্রের খবর, ইডি হেফাজতে থাকাকালীন, পার্থ চট্টোপাধ্যায় মটন কারি খাওয়ার আবদার করেছিলেন। ডায়বেটিসের জন্য ভাত না দেওয়ায় তিনি খুব বিরক্ত হয়েছিলেন। চিকেন স্ট্যু তার মুখে রোচে না। জেল হেফাজতে বিকেল হলেই পার্থবাবু বেগুনি আর আলুর চপ চান। এদিকে সিবিআই হেফাজতে অনুব্রত মটন কারী আর ভাত পেয়ে খুব খুশি। এই ধরণের খাদ্যাভ্যাস একেবারেই অস্বাস্থ্যকর বলে মনে করছেন পুষ্টিবিদদের একাংশ। কলকাতার এক পুষ্টিবিদ বলেন, “পার্থ চট্টোপাধ্যায় কিংবা অনুব্রত মণ্ডল যে স্থুলতার সমস্যায় ভুগছেন, তা তাঁদের দেখলেই বোঝা যায়। অতিরিক্ত তেল-মশলা ও ভাজা খাবার একেবারেই খাওয়া উচিত নয়। নিয়মিত শারীরিক কসরত করা উচিত।” তবে, এই পরামর্শ শুধু পার্থ বা অনুব্রতর জন্য নয়। ওই পুষ্টিবিদ বলেন, “জেলে থাকাকালীন কিন্তু পরিমিত আহার ও শারীরিক কসরত করা উচিত। যদি বেশি শারীরিক পরিশ্রম করতে না হয়, তাহলে যোগাভ্যাসে অভ্যস্ত হয়ে উঠতে হবে। তবেই শরীর সু্স্থ থাকবে। সব রকম ধকল নেওয়ার জন্য প্রস্তুত থাকা যাবে।”

  • Menoka Gambhir: হঠাৎ মধ্যরাতে আইনজীবীকে নিয়ে ইডি দফতরে হাজির মেনকা গম্ভীর! কেন?

    Menoka Gambhir: হঠাৎ মধ্যরাতে আইনজীবীকে নিয়ে ইডি দফতরে হাজির মেনকা গম্ভীর! কেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এমনটা ঘটার কথা নয়। তবু ঘটল। রবিবার রাত সাড়ে ১২ টার সময় ইডির দফতরে পৌঁছলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Abhishek Banerjee) শ্যালিকা (sister-in-law) মেনকা গম্ভীর (Menoka Gambhir)। কয়লা মামলায় (Coal scam) জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তাঁকে তলব করে ইডি (ED)। মধ্য রাতে সিজিও কমপ্লেক্সে স্বাভাবিক ভাবেই সেই সময়ে সিজিও-র মূল দরজায় তালা ঝোলানো ছিল। কর্তব্যরত জওয়ানদের মেনকারা জানান, এই সময়ে তাঁদের তলব করা হয়েছে। তারপর তাঁদের ঢুকতে দেওয়া হয়। মেনকা এবং তাঁর আইনজীবী যান পাঁচতলায়। কিন্তু সেখানেও কেউ ছিলেন না। ফলে খানিকক্ষণ অপেক্ষা করে রাত একটা নাগাদ সেখান থেকে বেরিয়ে আসেন তাঁরা।

    কিন্তু এত রাতে এই নাটকের মানে কী? স্বভাবতই যে কেউ বুঝতে পারবেন এত রাতে কাউকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ডাকা হতে পারে না। এটা হয়ত বা যান্ত্রিক ত্রুটি। কী কোনওভাবে ভুলবশত হয়ে গিয়েছে। যদিও বা এই ধরনের ভুল কাম্য নয়। কিন্তু এই বিচিত্র সময়ে ডাকার কারণ আগেই চিঠি দিয়ে জানতে চাইতে পারতেন মেনকা। কিন্তু তিনি তা না করে নিজের আইনজীবী  সৌমেন মহান্তিকে নিয়ে রাতেই ইডির দফতরে যান। শুরু হয় নাটক। সংবাদ মাধ্যমকে ডেকে এই খবর দেওয়া হয়। এটা কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাকে ছোট করার জন্য পরিকল্পিত ভাবে করা হয়েছে, বলেই মত রাজনৈতিক মহলের।

    আরও পড়ুন: বাংলায় কালো টাকার পাহাড়! এবার ইডি হানা কোথায়?

    এর আগে শনিবার অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের শ্যালিকা মেনকাকে ব্যাঙ্কক যাওয়ার আগে কলকাতা বিমানবন্দরেই আটকে দেয় ইডি। লুকআউট সার্কুলার থাকায় তাঁকে ফিরতে হয় কলকাতা বিমানবন্দর থেকে।  বিমানবন্দর সূত্রে খবর,মেনকা অভিবাসন দফতরের কাউন্টারে যাওয়ার পরই সেখানকার অফিসাররা তাঁকে ইডির লুকআউট সার্কুলারের কথা জানান।  এরপর তাঁকে প্রায় আড়াই ঘণ্টা বসিয়ে রাখা হয় অভিবাসন দফতরের একটি ঘরে। অভিবাসন দফতর বিষয়টি জানায় দিল্লির ইডি দফতরে। তারপর কলকাতার ইডি দফতরের এক অফিসার পৌঁছে যান বিমানবন্দরে। আগামী সপ্তাহে কলকাতার ইডি দফতরে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তলব করে ইডির নোটিস ধরানো হয় মেনকাকে। ওই নোটিসেই সোমবার, ১২ সেপ্টেম্বর ‘টুয়েলভ থার্টি PM’-এর বদলে কোনওভাবে ‘টুয়েলভ থার্টি AM’হয়ে যায়। 

    সূত্রের খবর, নোটিস পাঠিয়েও ইডির তরফে কারও না থাকাকে হাতিয়ার করে এবার পাল্টা আইনি লড়াইয়ে হাঁটতে পারেন মেনকা গম্ভীর। যদিও এ ব্যাপারে সোমবার পর্যন্ত স্পষ্ট করে কিছু জানা যায়নি। সময়ের গণ্ডগোলের জন্য আজ হয়ত হাজিরা দেবেন না মেনকা যদি না পাল্টা সমন জারি করা হয় এমনটাই জানিয়েছেন তাঁর আইনজীবী।

    এদিকে, ভুল সংশোধন করে সোমবার সকালে মেনকাকে নতুন সমন পাঠানো হয়। সেই মতো, দুপুর ১২টা ৪৩ মিনিটে সিজিও কমপ্লেক্সে ইডি দফতরে হাজিরা দেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের শ্যালিকা। এদিন তাঁকে দীর্ঘ জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। 

  • Bengal BJP: পশ্চিমবঙ্গ বিজেপির পর্যবেক্ষক নিযুক্ত মঙ্গল পাণ্ডে, জানেন কে তিনি?

    Bengal BJP: পশ্চিমবঙ্গ বিজেপির পর্যবেক্ষক নিযুক্ত মঙ্গল পাণ্ডে, জানেন কে তিনি?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পাখির চোখ ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনে (2024 Lok sabha Elections)। আরও বেশি সংখ্যক আসন নিয়ে কেন্দ্রে ক্ষমতায় ফিরতে চাইছেন বিজেপি (BJP) নেতৃত্ব। সেই কারণেই পশ্চিমবঙ্গ (West Bengal) সহ বিভিন্ন রাজ্যের রশি তুলে দেওয়া হল দক্ষ সংগঠকদের হাতে। শুক্রবার বৈঠকে বসেন বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব। সেখানে বিভিন্ন রাজ্যের পর্যবেক্ষক নিয়োগ করা হয়। বাংলার দায়িত্ব বর্তাল মঙ্গল পাণ্ডের হাতে। বিহারের প্রাক্তন মন্ত্রী কাঁধে তুলে দেওয়া হল দায়িত্ব। 

    কে এই মঙ্গল পাণ্ডে? জানা গিয়েছে, বিহারের প্রাক্তন স্বাস্থ্যমন্ত্রী মঙ্গল পাণ্ডে বাংলার সংগঠনের দেখভাল করবেন। পশ্চিমবঙ্গ বিজেপির পর্যবেক্ষক নিয়োগ করা হয়েছে তাঁকে। বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডা তাঁকে নিয়োগ করেন। মঙ্গল পাণ্ডেকে সাহায্য করবেন বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতা অমিত মালব্য এবং নেত্রী আশা লাখরা। এরাজ্যে সহ-পর্যবেক্ষকের দায়িত্ব পালন করবেন তাঁরা।

    নীতীশ কুমার যখন বিজেপির সঙ্গে হাত মিলিয়ে সরকার চালাচ্ছিলেন, তখন মঙ্গল পাণ্ডে পালন করেছিলেন স্বাস্থ্যমন্ত্রীর দায়িত্ব। দুঁদে রাজনীতিকের পাশাপাশি তিনি দক্ষ সংগঠকও। সেই কারণেই তাঁর হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে বাংলার দায়িত্ব। একুশের ভোটে বাংলায় আশাব্যঞ্জক ফল হয়নি বিজেপির। তাই রাজ্য বিজেপির তরফে কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের কাছে একাধিকবার স্থায়ী পর্যবেক্ষকের জন্য আবেদন করা হয়েছিল। রাজ্য বিজেপির সেই আবেদনের প্রেক্ষিতেই মঙ্গল পাণ্ডেকে দেওয়া হল বাংলার দায়িত্ব। 

    আরও পড়ুন : লক্ষ্য ২০২৪, মেগা বৈঠকে বিজেপি, কী আলোচনা হল জানেন?

    গতমাসেই রাজ্যের ভারপ্রাপ্ত নেতা নিযুক্ত হন বহু-যুদ্ধের ঘোড়া সুনীল বনসল। গেরুয়া শিবির সূত্রে খবর, বর্তমানে পশ্চিমবঙ্গ ছাড়াও, ওড়িশা ও তেলঙ্গানার দায়িত্বে রয়েছেন সুনীল। ওড়িশা ও তেলঙ্গানায় বিধানসভা ভোট আসন্ন। দীনদয়াল উপাধ্যায় মার্গের নেতৃত্বের কাছে, এই দুই বিরোধী-শাসিত রাজ্যে জয়ী হতে চাইছে বিজেপি নেতৃত্ব। ফলত, সুনীলের ওপর গুরুদায়িত্ব রয়েছে। সব দিক বিচার করে, পশ্চিমবঙ্গকে গুরুত্ব দিয়ে পর্যবেক্ষক হিসেবে মঙ্গলকে পাঠানোর সিদ্ধান্ত হয়। জানা গিয়েছে, সুনীলের অধীনে থাকবেন মঙ্গল পাণ্ডে, অমিত মালব্য ও আশা লখরা।

    বাংলার পাশাপাশি বিজেপি নজর দিয়েছে বিহারের দিকেও। বিহারের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে বিনোদ টাওডেকে। বিহারের সহ পর্যবেক্ষক থাকছেন হরিশ দ্বিবেদী। দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে বিজেপির মুখপাত্র সম্বিত পাত্রকেও। উত্তর পূর্বের আটটি রাজ্যের কোঅর্ডিনেটর করা হয়েছে তাঁকে। দলের জাতীয় সম্পাদক ঋতুরাজ সিনহাকে দেওয়া হয়েছে জয়েন্ট কো-অর্ডিনেটরের দায়িত্ব। প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বিজয় রূপানিকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে পাঞ্জাব ও ছত্তিশগড়ের। ত্রিপুরার প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব কুমার দেবকে দেওয়া হয়েছে হরিয়ানার দায়িত্ব। কেরলের ভার দেওয়া হয়েছে প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী প্রকাশ জাভড়েকরের হাতে। 

    গুজরাট এবং ত্রিপুরায় সামনেই বিধানসভা নির্বাচন। আরও কয়েকটি রাজ্যেও রয়েছে নির্বাচন। লোকসভা নির্বাচনের আগে সেই রাজ্যগুলির কুর্সি দখলই এই মুহূর্তে পাখির চোখ গেরুয়া নেতৃত্বের। এই বিধানসভা নির্বাচনের পর্ব মিটতে মিটতে বাজবে লোকসভা ভোটের বাদ্যি। রাজনৈতিক মহলের মতে, সেই কারণেই অগোছাল বিরোধীদের একজোট হওয়ার আগেই ঘর গুছিয়ে ফেলল বিজেপি। সেই কারণেই রদবদল হল পদ্মশিবিরে। 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।  

     
     
LinkedIn
Share