Category: রাজ্য

Get West Bengal News, Bengali Breaking News, Latest News in Bengali only from মাধ্যম | Madhyom, Bengali News Portal for সম্পূর্ণ নিরপেক্ষ বাংলা সংবাদ, বাংলা খবর

  • ED: কেঁচো খুঁড়তে কেউটে! গার্ডেনরিচে কোন সূত্রে মিলল ১৭.৩২ কোটি টাকা?

    ED: কেঁচো খুঁড়তে কেউটে! গার্ডেনরিচে কোন সূত্রে মিলল ১৭.৩২ কোটি টাকা?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক:  একেই কি বলে কেঁচো খুঁড়তে কেউটে! প্রায় দেড় বছর আগের এক মোবাইল গেমিং অ্যাপ প্রতারণার তদন্তে নেমে মিলল যখের ধন! উদ্ধার কোটি কোটি টাকা! আসলে আর্থিক তছরুপ মামলায় (PMLA) শনিবার রাজ্যের ৬ জায়গায় হানা দেয় কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা ইডি (ED)। মোবাইল অ্যাপ (Mobile App) সংক্রান্ত প্রতারণার মামলায় হানা দিয়ে চোখ ছানাবড়া হয়ে যায় তদন্তকারী দলের। সকাল থেকে রাত পর্যন্ত গণনায় মেলে ১৭.৩২ কোটি টাকা। বাজেয়াপ্ত হয় প্রচুর নথি ও নগদ টাকা। 

    কিন্তু কীসের ভিত্তিতে শুরু হয়েছিল তদন্ত? ইডি সূত্রে খবর, গত বছর ১৫ ফেব্রুয়ারি মাসে পার্কস্ট্রিট থানায় প্রতারণার একটি অভিযোগ দায়ের হয়। অভিযোগ দায়ের করেছিলেন ফেডারেল ব্যাংক কর্তৃপক্ষ। অভিযোগের আঙুল তোলা হয় জনৈক আমির খান ও আরও কয়েকজনের দিকে। সেই অভিযোগের ভিত্তিতেই তদন্তে নামে ইডি।

    জানা গিয়েছে, জনৈক নিশার আহমেদ খানের ছেলে আমির খান ই-নাগেটস নামে একটি মোবাইল গেমিং অ্যাপ্লিকেশন লঞ্চ করে। লোক ঠকানোর জন্যই পাতা হয়েছিল এই ফাঁদ। প্রথম দিকে অ্যাপ ব্যবহারকারীরা কমিশন সহ পুরস্কৃত হতেন। পুরস্কারের টাকা এবং কমিশন জমা হত ওয়ালেটে। টাকাও তোলা যেত কোনও রকম ঝুট-ঝামেলা ছাড়াই। এভাবে আমির অ্যাপ ব্যবহারকারীদের বিশ্বাস অর্জন করত। পরে মোটা টাকা কমিশন ও পারচেজ অর্ডারের লোভে বড় অঙ্কের টাকা লগ্নি করতে শুরু করেন অ্যাপ ব্যবহারকারীরা। এভাবে বিরাট অংকের টাকা হাতিয়ে নেওয়ার পর অ্যাপ থেকে আর টাকা তোলা যেত না। সিস্টেম আপগ্রেডেশন সহ নানা অছিলায় অ্যাপে সমস্যা হচ্ছে বলে বলা হত। পরে সার্ভার থেকে অ্যাপ ব্যবহারকারীর সমস্ত তথ্য মুছে ফেলা হত। তখনই প্রতারণার বিষয়টি বুঝতে পারতেন অ্যাপ ব্যবহারকারীরা।

    আরও পড়ুন : শনিবাসরীয় সকালে কলকাতার তিন জায়গায় হানা ইডি-র, কী উঠে এল?

    এদিন তদন্ত করতে গিয়ে ইডির আধিকারিকরা এ সংক্রান্ত প্রচুর নথি বাজেয়াপ্ত করেছেন। আমিরের ডেরা থেকে উদ্ধার হয়েছে ১৭.৩২ কোটি টাকা। তবে মূল চক্রী আমির খানকে গ্রেফতার করা যায়নি। সে কোথায় গা-ঢাকা দিয়েছে, তাও জানা যায়নি। এদিন গার্ডেনরিচে আমিরের বাড়ি থেকে প্রথমে অন্তত সাত কোটি টাকা বাজেয়াপ্ত করেন ইডির আধিকারিকরা। পরে নিউটাউনে তার অফিস থেকেও মেলে বেশ কয়েক কোটি টাকা। সব মিলিয়ে টাকার পরিমাণ দাঁড়ায় ১৭.৩২ কোটি।

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।  

     
     
  • ED Unearths Huge Cash: বিছানার তলায় ১৭ কোটি! মোবাইল গেমিংয়ের নামে কীভাবে চলত লোক ঠকানোর কাজ?

    ED Unearths Huge Cash: বিছানার তলায় ১৭ কোটি! মোবাইল গেমিংয়ের নামে কীভাবে চলত লোক ঠকানোর কাজ?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফের যকের ধন উদ্ধার কলকাতায়। গার্ডেনরিচের (Garden Reach Money Scam) পরিবহণ ব্যবসায়ীর বাড়ি থেকে উদ্ধার হওয়া নগদ টাকার পরিমাণ বেড়ে দাঁড়ালো ১৭ কোটি! এমনটাই জানাল এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট৷ সকাল দশটা থেকে টাকা গোনা শুরু করেছে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা৷ ৯ ঘণ্টায় ১৭ কোটি টাকা গোনা হয়েছে৷ গোয়ান্দাদের দাবি, ওই বাড়িতে আরও টাকা রয়েছে। তল্লাশি এখনও জারি রয়েছে।

    আরও পড়ুন: যোগ রাজ্যের এক মন্ত্রীরও? এবার পরিবহণ ব্যবসায়ীর বাড়ি থেকে উদ্ধার বিপুল নগদ 

    টাকা গোনার মেশিন নিয়েই ওই বাড়িতে হানা দেন ইডি (Enforcement Directorate) আধিকারিকরা। টাকার অঙ্ক যে এরকমই বিপুল হতে পারে, তা ধারণা করে আগে থেকেই প্রস্তুতি রেখেছিলেন তাঁরা। উপস্থিত আছেন সরকারি ব্যাঙ্কের কর্মীরাও৷ প্রথম কয়েক ঘণ্টা টাকা গোনার পর সাত কোটি টাকা উদ্ধার হয়েছে বলে আগে জানিয়েছিল ইডি৷ পরে জানা যায়, উদ্ধার হওয়া টাকার পরিমাণ ৮ কোটি৷ এর পর ১২ কোটি টাকা উদ্ধারের কথা জানানো হয়৷ আর এখন নগদের পরিমাণ ১৭ কোটি। ব্যবসায়ীর বাড়ির খাটের নীচ থেকে এই টাকা উদ্ধার হয়েছে বলে জানিয়েছে ইডি। 

    ইতিমধ্যেই উদ্ধার হওয়া টাকা নিয়ে আসার জন্য গার্ডেনরিচের ওই ব্যবসায়ীর বাড়ির সামনে পৌঁছেছে ট্রাক৷ কড়া নিরাপত্তা বলয়ে ঢেকে ফেলা হয়েছে গোটা এলাকা৷ উদ্ধার হওয়া টাকা নিয়ে যাওয়া হবে স্ট্র্যান্ড রোডে স্টেট ব্যাঙ্কের দফতরে৷ 

    আরও পড়ুন: সাক্ষী সরাতেই হামলা! আক্রান্ত হাওড়ার প্রয়াত ছাত্রনেতা আনিস খানের ভাই সলমন

    বেআইনি লেনদেনের মামলায় একযোগে কলকাতার ৬ জায়গায় ইডির তল্লাশি চালায়। গার্ডেনরিচ ছাড়াও মোমিনপুর, পার্ক স্ট্রিট, নিউটাউন-সহ ৬ জায়গায় অভিযান। চিনা মোবাইল গেমিং অ্যাপের মাধ্যমে পুরস্কার জেতার টোপ দিয়ে সাধারণ মানুষের থেকে অন্তত ৬৫ থেকে ৭০ কোটি টাকা প্রতারণার অভিযোগ রয়েছে গার্ডেনরিচের ব্যসায়ী নিসার খানের (Nesar Khan) বিরুদ্ধে৷ সেই অভিযোগের সূত্রেই এ দিন সকালে ওই ব্যবসায়ীর বাড়িতে হানা দেয় ইডি৷ 

    কোন পথে জালিয়াতি?

    সূত্রের খবর ‘ই-নাগেটস’ নামের একটি গেমিং অ্যাপের মাধ্যমে চলত প্রতারণা। ঠিক কী ভাবে কোন পথে এই লোক ঠকানোর চক্র চালানো হত তাও জানায় ইডির আধিকারিকরা। ইডি সূত্রে খবর, আমির খান ই-নাগেটস নামে মোবাইল গেমিং অ্যাপটি লঞ্চ করেছিলেন। লোক ঠকাতেই এই গেমিং অ্যাপ বাজারে আনা বলেই ইডির হাতে তথ্য উঠে এসেছে। এই গেমিং অ্যাপে খেলার শুরুতে ব্যবহারকারীরা ভালো টাকাই ফেরত পেতেন। সেই টাকা পেতে খুব একটা কসরতও করতে হয় না তাঁদের। ফলে এই খেলার প্রতি একটা আলাদা আগ্রহ তৈরি হয়। এই অ্যাপে ২০০ টাকা খরচেই সাধারণ মেম্বার হতে পারতেন যে কেউ।  সাধারণ মেম্বারশিপ নিয়ে খেলা শুরু হত। খেলে কয়েন জিততে হত। একটা কয়েন সমান ১ টাকা। প্রথমে জেতা টাকা ওয়ালেট মারফত ট্রান্সফার করা যেত কিংবা অনলাইন শপিং করা যেত। অ্যাপের মালিকদের প্রথম পর্যায়ে মূল লক্ষ্য ছিল, ব্যবহারকারীদের বিশ্বাস জিতে নেওয়া, যাতে তাঁরা আরও বেশি করে টাকা খাটান। ব্যবহারকারীরা বড় অঙ্কের টাকা খাটাতেই ওই অ্যাপ বন্ধ করে দেওয়া হয় বলে জানিয়েছেন ইডি। তখন একের পর এক কয়েন জিতে মোটা টাকা জিতলে টাকা তোলা যেত না। তখন সার্ভার প্রবলেম বলা হত। আর এভাবেই লোক ঠকাত এই চক্র। জানা গিয়েছে, ২০২১ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি পার্ক স্ট্রিট থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করা হয় আমির খানের বিরুদ্ধে। এরপর এই মামলার তদন্তে নামে ইডি।   

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।  

  • Saradha Scam: শুভেন্দুর বিরুদ্ধে মিথ্যে বয়ান দিতে দেবযানীকে চাপ সিআইডি-র! সিবিআইকে বিস্ফোরক চিঠি মায়ের

    Saradha Scam: শুভেন্দুর বিরুদ্ধে মিথ্যে বয়ান দিতে দেবযানীকে চাপ সিআইডি-র! সিবিআইকে বিস্ফোরক চিঠি মায়ের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফের খবরের শিরোনামে প্রায় থিতু হয়ে যাওয়া সারদাকাণ্ড (Saradha scam)। এবার সিবিআইকে (CBI) চিঠি দিলেন সারদাকাণ্ডে অভিযুক্ত দেবযানী মুখোপাধ্যায়ের মা শর্বরী মুখোপাধ্যায়। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী ওই সংস্থাকে শর্বরী জানিয়েছেন, সারদা কর্তা সুদীপ্ত সেনের কাছ থেকে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari) ছ’কোটি টাকা নিয়েছেন বলে যেন সিবিআইয়ের কাছে স্বীকার করেন দেবযানী। শর্বরীর অভিযোগ, ২৩ অগাস্ট জেলে গিয়ে সিআইডি দেবযানীকে চাপ দিয়ে একথা বলতে বলে। 

    মাসকয়েক আগে সারদা কর্তা সুদীপ্ত সেন সিবিআইকে চিঠি লিখে জানিয়েছেন, শুভেন্দু অধিকারীকে তিনি নিজে কয়েক কোটি টাকা দিয়েছেন। সুদীপ্ত সেনের এই বক্তব্যকেই হাতিয়ার করেন তৃণমূল নেতৃত্ব। নানা সময়ে তাঁরা আক্রমণ শানিয়েছেন শুভেন্দুকে। সারদাকাণ্ডের জেরে ২০১৩ সালের ২৩ এপ্রিল কাশ্মীরের সোনমার্গ থেকে গ্রেফতার করা হয় সুদীপ্ত সেন ও তাঁর সহকর্মী দেবযানী মুখোপাধ্যায়কে। বর্তমানে আলিপুর মহিলা সংশোধানাগারে বন্দি রয়েছেন দেবযানী। বাংলার পাশাপাশি ওড়িশা এবং ঝাড়খণ্ডেও তাঁর বিরুদ্ধে রয়েছে একাধিক মামলা। বাংলায় রেহাই পেলেও, প্রতিবেশী দুই রাজ্যের মামলা থেকেও অব্যাহতি পেতে হবে তাঁকে। তা না পাওয়ায় বন্দি রয়েছেন তিনি।

    সারদা গ্রুপ অফ ইন্ড্রাস্ট্রিজের পদস্থ কর্তা ছিলেন দেবযানী। সারদা কেলেঙ্কারির তদন্তে নেমে এ পর্যন্ত ৬০০ কোটি টাকার সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করেছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। লগ্নিতে বেশি অর্থ ফেরতের আশ্বাস দিয়ে বাজার থেকে কয়েকশো কোটি টাকা তুলে নেওয়ার অভিযোগ রয়েছে সারদার কোম্পানির বিরুদ্ধে। সেই মামলায়ই এবার এল নয়া মোড়। 

    শর্বরী বলেন, মেয়েকে মানসিক চাপ দিচ্ছে সিআইডি (West Bengal CID)। শুভেন্দু অধিকারী ও সুজন চক্রবর্তীর (Sujan Chakraborty) নামে অভিযোগ করার জন্য চাপ দেওয়া হয়েছে। সারদার কাছ থেকে দুজনেই নিয়েছেন ৬ কোটি করে টাকা। তাঁর সামনেই টাকা দেওয়া হয়েছে বলে বয়ান দিতে চাপ দেওয়া হচ্ছে দেবযানীকে। অভিযোগ না করলে আরও ৯টি মামলায় ফাঁসানো হবে তাঁকে। ঘটনাটিকে ধিক্কার জানিয়েছেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। ট্যুইট বার্তায় তিনি লেখেন, এক সময়ের মর্যাদা সম্পন্ন সিআইডি বর্তমানে পিসি-ভাইপোর দারোয়ানে পরিণত হয়েছে।

    আরও পড়ুন : মমতার ‘গদ্দার’ কটাক্ষের জবাব দিলেন শুভেন্দু, কী বললেন জানেন?

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।  

     
  • CBI raids Moloy Ghatak House: কয়লাপাচার কাণ্ডে মলয় ঘটকের বাড়িতে সিবিআই হানা, এবার কি গ্রেফতার রাজ্যের আইনমন্ত্রী?

    CBI raids Moloy Ghatak House: কয়লাপাচার কাণ্ডে মলয় ঘটকের বাড়িতে সিবিআই হানা, এবার কি গ্রেফতার রাজ্যের আইনমন্ত্রী?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আইন রক্ষকের ভূমিকায় যিনি, এবার তাঁর বিরুদ্ধেই উঠল দুর্নীতির অভিযোগ। বুধবার সকালে রাজ্যের আইনমন্ত্রী (Law Minister) মলয় ঘটকের (Moloy Ghatak) বাড়ি হানা দিল সিবিআই (CBI)। বেআইনি কয়লাপাচার কাণ্ডে (Coal Scam) এর আগে বহুবার মন্ত্রীকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্যে তলব করেছে আর এক কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা। কিন্তু প্রতিবারই তিনি এড়িয়ে গিয়েছেন হাজিরা। তাই এবার গোয়েন্দারা সরাসরি হানা দিলেন মলয়ের ডেরায়। 

    আরও পড়ুন: ‘৮ ব্যাগ সোনা ছিল, একটা আটকেছে কাস্টমস…’, অভিষেককে আক্রমণ শুভেন্দুর

    আসানসোলে মলয় ঘটকের একাধিক বাড়ি রয়েছে। প্রথমে এদিন সকালে আসানসোলে শহরে মলয় ঘটকের বাড়িতে পৌঁছে যায় সিবিআই টিম। সেই সঙ্গে গোটা এলাকা ঘিরে নেয় কেন্দ্রীয় বাহিনী। তার পর আসানসোলের কাছে মলয় ঘটকের পৈতৃকের বাড়িতেও পৌঁছে যান সিবিআইয়ের অফিসাররা। মোট তিনটে ভাগে বিভক্ত হয়ে তল্লাশি চালাচ্ছেন গোয়েন্দারা। প্রথমে এদিন সকাল সোওয়া ৮টা নাগাদ কেন্দ্রীয় বাহিনী নিয়ে আসানসোলে শহরে মলয় ঘটকের বাড়িতে যায় ২ থেকে ৩ জন অফিসারের সিবিআই টিম। সিবিআই যাওয়ার খবর পেয়ে আসানসোল থানার এক অফিসার যান ঘটনাস্থলে। চার জন গোয়েন্দার একটি দল যান মলয়ের পৈতৃক বাড়িতে। এই দুটি বাড়িতে তল্লাশির পরে তৃতীয় বাড়িতেও যান সিবিআই গোয়েন্দারা। যদিও তল্লাশির এই সময় বাড়িতে উপস্থিত নেই মলয় ঘটক। সোম থেকে শুক্রবার তিনি কলকাতায় থাকেন বলে খবর। এই মুহূর্তে তিনি মহানগরীতেই আছেন। তাই মন্ত্রীর অনুপস্থিতিতেই চলছে তল্লাশি।কয়লাপাচার কাণ্ডে একই সঙ্গে তদন্ত চালাচ্ছে সিবিআই এবং ইডি। আগামী ১৪ সেপ্টেম্বর মন্ত্রীকে তলব করেছিল এনফোর্সমেন্ট ডিরেকটরেট। তার আগেই অতর্কিত সিবিআই হানায় উত্তাল বঙ্গ রাজনীতি।

    আরও পড়ুন: অনুব্রত মামলায় বিচারককে হুমকি চিঠি-কাণ্ডে ধৃত আইনজীবী! আটক তাঁর সহকারীও 

    জানা গিয়েছে, বুধবার আসানসোলের আকতার রোড গার্ডেন এবং জেলিডাঙায় মন্ত্রীর দু’টি বাড়িতে তল্লাশি অভিযান চালায় সিবিআই। মন্ত্রীর পরিবারের সদস্যদের মোবাইল ফোন জমা রাখা হয়েছে বলে সূত্রের খবর। সব মিলিয়ে মলয়ের তিনটি বাড়িতে হানা দিয়েছে দিয়েছে সিবিআই। পরে তাঁর অফিসেও যায় কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার একটি দল। প্রসঙ্গত, পুরভোটের সময় কয়লাপাচার কাণ্ডে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য রাজ্যের পূর্ত ও আইনমন্ত্রী মলয়কে দিল্লিতে ডেকে পাঠায় এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • SSC Scam: এসএসসি দুর্নীতিতে পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের ঘনিষ্ঠ প্রসন্নর চার দিনের সিবিআই হেফাজত

    SSC Scam: এসএসসি দুর্নীতিতে পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের ঘনিষ্ঠ প্রসন্নর চার দিনের সিবিআই হেফাজত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পার্থ ঘনিষ্ঠ প্রসন্ন রায়কে চার দিনের সিবিআই হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে বিশেষ আদালত। ৯ সেপ্টেম্বর আবার হাজিরা দেওয়ার কথা প্রসন্নর। ২৬ অগস্ট নিউটাউন থেকে সিবিআই-এর হাতে গ্রেফতার হন প্রসন্ন কুমার রায়। শিক্ষা দুর্নীতি কাণ্ডে ধৃত এসএসসি-র (SSC Scam তৎকালীন উপদেষ্টা শান্তি প্রসাদ সিনহা এবং মিডলম্যান প্রদীপ সিং-কে জিজ্ঞাসাবাদ করে নিউ টাউনের এই কোটিপতি প্রসন্ন রায়ের হদিশ পায় সিবিআই (CBI custody)। সেই মতোই তাঁকে গ্রেফতার করা হয় ।

    আরও পড়ুন: সামান্য রং-মিস্ত্রি থেকে দুবাইয়ে হোটেল-মালিক! পার্থ-ঘনিষ্ঠর উল্কাবেগে উত্থানে তাজ্জব সিবিআই

    সোমবার, সকালে তাকে সিবিআইয়ে বিশেষ আদালতে তোলা হলে আদালতের তরফে তাঁর জামিন মঞ্জুর করা হয়নি। সিবিআইয়ের আইনজীবী তাঁকে আরও  জিজ্ঞাসাবাদ করার আর্জি জানায়। আদালতে সিবিআইয়ের তরফে বলা হয়, এসএসএসি নিয়োগ দুর্নীতিতে একাধিক প্রভাবশালী ব্যক্তির হাত রয়েছে। বহু টাকার বেআইনি লেনদেন হয়েছে। তদন্তে উঠে আসছে অনেকের নাম। কয়েকজনকে মুখোমুখি বসিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করতে চায় সিবিআই। তাই তাঁরা আরও পাঁচদিনের জন্য প্রসন্নকে নিজেদের হেফাজতে চায়। এমনকি প্রসন্ন রায় তদন্তে সহযোগিতা করছেন না বলেও সিবিআইয়ের তরফে অভিযোগ করা হয়। সিবিআইয়ের আর্জি মেনে আদালত প্রসন্নকে চারদিনের সিবিআই হেফাজতে পাঠায়।

    আরও পড়ুন: অর্পিতার মতো প্রসন্নরও রয়েছে ফিল্মি-যোগ? পার্থ-ঘনিষ্ঠদের ‘অপ’-কর্মেও মিল!

    অভিযোগ, সল্টলেকে প্রসন্নর একটি গাড়ি ভাড়ার অফিস রয়েছে। সূত্রের খবর, এই অফিস থেকেই নিয়োগ দুর্নীতি কাণ্ডের একাধিক তথ্য এবং নথি উদ্ধার করেছে। সিবিআই গোয়েন্দাদের দাবি, এই অফিসেই বসেই নাকি হত এসএসসি কাণ্ডের টাকার লেনদেন।  তদন্ত করে সিবিআই জানতে পেরেছে, প্রায়ই রাতে একাধিক গাড়ি করে আসত টাকা। সেই টাকা কোথা থেকে আসত, কে পাঠাত, কোথায় যেত, কার কাছে যেত— এই সব প্রশ্নের উত্তর বিশদে জানতে প্রসন্নকে আরও কিছুদিন নিজেদের হেফাজতে নিতে চাইছে সিবিআই। 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

     
  • Durga Puja Donation: বকেয়া নেই সরকারি কর্মীদের  মহার্ঘ ভাতা! পুজো অনুদান মামলায় দাবি রাজ্যের

    Durga Puja Donation: বকেয়া নেই সরকারি কর্মীদের মহার্ঘ ভাতা! পুজো অনুদান মামলায় দাবি রাজ্যের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের কোনও মহার্ঘ ভাতা (DA)বকেয়া নেই। মঙ্গলবার পুজো অনুদান মামলায় হাই কোর্টে হলফনামা দিয়ে এমনটাই জানাল রাজ্য সরকার। রাজ্যের ৪৩ হাজার দুর্গাপুজো কমিটিকে আসন্ন পুজো উপলক্ষে ৬০ হাজার টাকা করে অনুদান দিয়েছে রাজ্য সরকার। এই সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ করে দুটি জনস্বার্থ মামলা দায়ের হয় কলকাতা হাই কোর্টে। মামলাকারীদের দাবি, যেখানে সরকারি কর্মচারীদের মহার্ঘ ভাতা বাকি রয়েছে, সেখানে পুজো কমিটিকে অনুদান দেওয়া ঠিক নয়। এ প্রসঙ্গেই রাজ্য সরকারের তরফে এদিন হাই কোর্টে হলফনামা পেশ করা হয়। 

    রাজ্যের কাছে কোনও মহার্ঘ ভাতা বকেয়া নেই। তাই এই মামলার গ্রহণযোগ্যতাও নেই। কর্মীদের মহার্ঘ ভাতা এবং পূজোর অনুদান দুটি সম্পূর্ন আলাদা বিষয়। দুটিকে এক ছাতার তলায় নিয়ে এসে অভিযোগ করা যায় না। অনুদান নিয়ে এদিন আদালতে রাজ্য বেশ কয়েকটি যুক্তি দিয়েছে। রাজ্যের মতে, কর্মীদের মহার্ঘ ভাতা এবং পূজোর অনুদান দুটি সম্পূর্ণ আলাদা বিষয়। দুটিকে এক ছাতার তলায় নিয়ে এসে অভিযোগ করা যায় না। রাজ্য সরকার পূজো কমিটিগুলোকে বিদ্যুৎ বিলে কোনও ছাড় দিচ্ছে না। পুজো সংক্রান্ত অনুদানের জন্য ২০১৮ সাল থেকেই “পুলিশ ” অনুশীর্ষে অর্থাৎ ” সেফ ড্রাইভ ও সেভ লাইফ” খাতে অর্থ বরাদ্দ করা হচ্ছে।

    আরও পড়ুন: অভিন্ন দেওয়ানি বিধি নিয়ে তিন সপ্তাহের মধ্যে কেন্দ্রের অবস্থান জানতে চাইল সুপ্রিম কোর্ট

    সংবিধান অনুযায়ী রাজ্য সরকার মনে করলে জনগণের জন্য অর্থ বরাদ্দ করতে পারে। এতে কোনও বাধা নেই। ইউনেস্কোর তরফ থেকে দুর্গাপূজোকে হেরিটেজ তকমা দেওয়া হয়েছে। এটা রাজ্যের তথা দেশের জন্যও গর্বের বিষয়।  সংবিধানের 51A ধারা অনুযায়ী হেরিটেজ রক্ষা করার দ্বায়িত্ব দেশের প্রত্যেক নাগরিকের রয়েছে এবং রাজ্য সরকারের কাছে প্রত্যাশা করা হয় যেন তারা এগুলিকে সংরক্ষণের জন্য প্রয়োজনীয় অর্থ বরাদ্দ করে। তাই দুর্গাপুজোর দিনগুলিতে উৎসবকে মসৃণ ভাবে পরিচালনা করার জন্য এই অর্থ বরাদ্দ করা হয়। কোনও নির্দিষ্ট সম্প্রদায়কে উৎসাহিত করার জন্য এই অর্থ বরাদ্দ হয় না। তাই সব দিক বিবেচনা করলে এই মামলা করার কোনও গ্রহণযোগ্য অবস্থান মামলাকারীর নেই।

  • TMC Corruption: এবার তৃণমূল পুর-চেয়ারম্যানের বাড়ি থেকে উদ্ধার ৮০ লক্ষ নগদ! কে এই রাজু সাহানি?

    TMC Corruption: এবার তৃণমূল পুর-চেয়ারম্যানের বাড়ি থেকে উদ্ধার ৮০ লক্ষ নগদ! কে এই রাজু সাহানি?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পার্থ চট্টোপাধ্যায় (Partha Chatterjee), কেষ্ট মণ্ডলের (Anubrata Mondal) কাণ্ডের রেশ এখনও কাটেনি। তার মধ্যেই এবার আরেক তৃণমূল নেতার বাড়ি থেক উদ্ধার হল বাণ্ডিল বাণ্ডিল টাকা। ফিরে এল ইডি হানায় অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের (Arpita Mukherjee) বাড়ি থেকে উদ্ধার হওয়া কোটি কোটি টাকার স্মৃতি। এই ঘটনায় নতুন চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে গোটা রাজ্যে। 

    ফের প্রকাশ্যে শাসক দলের আরেক কীর্তিমান। শুক্রবার, হালিশহর পুরসভার (Halisahar Municipality) চেয়ারম্যান তথা তৃণমূল (TMC) নেতা রাজু সাহানির (Raju Sahani) নিউটাউনের ফ্ল্যাটে হানা দেয় সিবিআই। সেখান থেকেই প্রায় নগদ ৮০ লক্ষ টাকা উদ্ধার করেন তদন্তকারীরা। এরপরই রাজু সাহানিকে গ্রেফতার করে সিবিআই (CBI)।

    আরও পড়ুন: মমতার ‘গদ্দার’ কটাক্ষের জবাব দিলেন শুভেন্দু, কী বললেন জানেন?

    কে এই রাজু সাহানি? হালিশহরের এক সময়ের দাপুটে সিপিএম নেতা ছিলেন লক্ষ্মণ সাহানি। ১১ নম্বর ওয়ার্ড থেকে দু’বার কাউন্সিলর নির্বাচিত হয়েছিলেন তিনি। রাজু হলেন সেই লক্ষ্মণ সাহানির ছেলে। কয়েকবছর আগে তিনি তৃণমূলে যোগ দেন লক্ষ্মণ। সেইসঙ্গে দলবদল করেন ছেলেও। স্রেফ প্রভাবশালী তৃণমূল নেতা নন, তিনি এখন হালিশহর পুরসভার চেয়ারম্যানও। সিবিআই সূত্রের খবর, গত কয়েক দিন ধরে পুরসভার আসছিলেন না রাজু। কলকাতায় নিজের ফ্ল্যাটে কার্যত গা-ঢাকা দিয়েছিলেন। 

    কেন সিবিআই রেডারে চলে আসেন রাজু? সিবিআই সূত্রে খবর, সনমার্গ কো অপারেটিভ চিটফান্ড মামলায় অভিযুক্ত ছিলেন তৃণমূল পরিচালিত হালিশহর পুরসভার চেয়ারম্যান। রাজু সাহানি দীর্ঘদিন ধরেই ওয়াচ লিস্টে ছিল। অভিযোগ, সুবিধা পাইয়ে দেওয়ার কথা বলে বর্ধমান সনমার্গ ওয়েলফেয়ার অর্গানাইজেশন চিটফান্ড থেকে প্রচুর টাকা ‘প্রটেকশন মানি’ হিসাবে নিয়েছেন রাজু সাহানি। মাঝে মাঝেই তার কাছে পৌঁছে যেত মোটা টাকার বাণ্ডিল।

    আরও পড়ুন: প্রকল্প ছিল কেন্দ্রের, রূপ দিয়েছিলেন তপতী গুহ-ঠাকুরতা, দুর্গাপুজোর ইউনেস্কো স্বীকৃতির নেপথ্যে এঁরাই?

    কী মিলেছে তল্লাশি থেকে? শুক্রবার কলকাতার নিউটাউনের ফ্ল্যাট থেকেই রাজুকে গ্রেফতার করেন কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার আধিকারিকরা। ফ্ল্যাটে তল্লাশি চালিয়ে উদ্ধার করা হয় নগদ ৮০ লক্ষ টাকা। ধৃতকে নিয়ে আসা হয় হালিশহরে। সেখানকার বাড়ি থেকে কয়েক কোটি টাকা সম্পত্তি ও একটি দেশি পিস্তল পাওয়া যায়। এমনকী তাইল্যাণ্ডের ব্যাংক একাউন্টের হদিশও মিলেছে। দাবি, সেই ব্যাংক একাউন্টে রয়েছে বিপুল পরিমাণ টাকা।
     
    সাম্প্রতিককালে, শাসক দলের একের পর এক নেতার বিরুদ্ধে উঠেছে বিস্তর দুর্নীতির অভিযোগ। পার্থ ও তাঁদের ঘনিষ্ঠদের বাড়ি থেকে বিপুল নগদ থেকে শুরু করে প্রচুর নামী-বেনামী সম্পত্তির হদিশ উঠে এসেছে ইডি-সিবিআইয়ের (ED-CBI) হাতে। পার্থ, অনুব্রত ও তাঁদের ঘনিষ্ঠরা এখন শ্রীঘরে। তাঁদের বিরুদ্ধে চলছে মামলা। তার মধ্যেই শাসক দলের আরেক মূর্তিমানের আবির্ভাব ঘটায় রাজ্য রাজনীতিতে রীতিমতো হইচই পড়ে গিয়েছে। শনিবার রাজুকে আসানসোল সিবিআই আদালতে পেশ করা হলে, তাঁকে পাঁচদিনের সিবিআই হেফাজতে পাঠিয়ে দেন বিচারক। 

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।  

  • Baguiati Students Murder: বাগুইআটিতে জোড়া খুন, নিহত দুই মাধ্যমিক পরীক্ষার্থী

    Baguiati Students Murder: বাগুইআটিতে জোড়া খুন, নিহত দুই মাধ্যমিক পরীক্ষার্থী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বাগুইআটিতে অপহরণের (Baguiati Twin Kidnapping and Murder) পরে দুই মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীকে নৃশংসভাবে খুনের অভিযোগ। বাসন্তীরই দুই পৃথক জায়গা থেকে উদ্ধার করা হয় অপহৃত দুই ছাত্রের মৃতদেহ। মৃতদের নাম অভিষেক নস্কর ও অতনু দে। নয়ানজুলিতে তাদের দেহগুলি পাওয়া যায়। এই ঘটনায় এখনও পর্যন্ত চার জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তবে, মূল অভিযুক্ত সত্যেন্দ্র চৌধুরী-সহ ২ জন এখনও ফেরার। পুলিশের দাবি, অপহরণের পর চলন্ত গাড়িতেই ওই দুই ছাত্রকে খুন করা হয়। 

    ২২ অগাস্ট বাগুইআটির জগত্‍পুর থেকে দুই ছাত্রকে অপহরণের অভিযোগ ওঠে। ১ কোটি টাকা মুক্তিপণ চেয়ে বাড়িতে এসএমএস পাঠায় অপহরণকারীরা। টাকা না দিলে খুনের হুমকিও দেওয়া হয় বলে অভিযোগ পরিবারের। এরপর ২৩ অগাস্ট বাগুইআটি থানায় অভিযোগ দায়ের করে পরিবার। ২৪ অগাস্ট নিখোঁজ ডায়েরি করা হয়। তার পরেও পুলিশ তৎপর হয়নি বলে অভিযোগ উঠেছে। দুই ছাত্রকে অপহরণ করে মুক্তিপণ চাওয়ার পরও ওই দুই ছাত্রের মৃতদেহ মিলল বসিরহাটে। বাগুইআটি থানার ভূমিকা নিয়ে ক্ষোভ উগড়ে দিলেন ছাত্রের পরিবার। এই ঘটনায় চারজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। মূল অভিযুক্ত সত্যেন্দ্র চৌধুরী পলাতক। তার খোঁজে বিভিন্ন জায়গায় তল্লাশি চালাচ্ছে পুলিশ।

    আরও পড়ুন: ব্রিটেনের নতুন প্রধানমন্ত্রী লিস ট্রাস, ভারত-ব্রিটেন সম্পর্কের নতুন সমীকরণ?

    গত মাসের ২২ তারিখে বাগুইআটির জগৎপুর খাল ধারের বাসিন্দা অতনু দে ও অর্জুনপুরের বাসিন্দা অভিষেক নস্কর দুই ছাত্র বাড়ি থেকে নিখোঁজ হয়ে যায়। পরের দিন পরিবারের কাছে এক কোটি টাকার মুক্তিপণ চেয়ে ফোনে এসএমএস আসে। তারপরেই পরিবারের তরফে বাগুইআটি থানায় অভিযোগ জানানো হয়। 

    পরিবারের অভিযোগ, পুলিশ কোনওরকম ভাবেই সাহায্য করেনি। গতকাল রাতে পুলিশের তরফে জানানো হয় অতনু দে ও অভিষেক নস্কর নামে নিখোঁজ দুই ছাত্রের দেহ মিলেছে বসিরহাটে। এরপরে পুলিশের ভূমিকা নিয়ে ক্ষোভপ্রকাশ করেন মৃতের পরিবার থেকে স্থানীয় বাসিন্দারা। পরিবার সূত্রে খবর, অতনু দে বাইক কেনার জন্য সত্যেন্দ্র চৌধুরীকে পঞ্চাশ হাজার টাকা দেয়। এরপর ২২ অগাস্ট বাইক কেনার জন্য অতনু দে ও অভিষেক নস্করকে সঙ্গে নিয়ে যায় সত্যেন্দ্র চৌধুরী। তারপর থেকে দুই অতনু দে ও অভিষেক নস্কর নিখোঁজ হয়ে যায়। এরা সম্পর্কে মামাতো পিসতুতো ভাই।

    আরও পড়ুন: তিনবছরে বিজয়ীদের আয় ৫৮ হাজার কোটি টাকা, সিবিডিটির নজরে গেমিং অ্যাপ

    ২৪ অগাস্ট বাগুইআটি থানায় অপহরণের অভিযোগ করেন অতনু দে’র বাবা বিশ্বনাথ দে। বিশ্বনাথ দে’র ফোনে এক কোটি টাকা মুক্তিপণ চেয়ে এসএমএস আসতে থাকে। পরিবারের দাবি, পুলিশকে অভিযোগ জানানোর পর এবং এক কোটি মুক্তিপণ চাওয়ার কথা জানানোর পরও পুলিশ যথাযথ ব্যবস্থা নেয়নি। পুলিশ ব্যবস্থা নিলে দুই ছাত্রকে জীবিত পাওয়া যেত। এভাবে মাধ্যমিক পরীক্ষার্থী দুই ছাত্রের মৃত্যুর খবর মিলত না। গতকাল অভিজিৎ বোস নামে একজনকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করে বাগুইআটি থানার পুলিশ। জিজ্ঞাসাবাদে উঠে আসে মূল অভিযুক্ত সত্যেন্দ্র চৌধুরীর নাম। অভিজিৎ বোস, শামীম আলী, সাহিল মোল্লা ও দিব্যেন্দু দাস কে গ্রেফতার করা হয়েছে। মূল অভিযুক্ত সত্যেন্দ্র চৌধুরী পলাতক। তার খোঁজে বিভিন্ন জায়গায় তল্লাশি চালানো হচ্ছে।

    এদিকে সত্যেন্দ্র চৌধুরীর জগৎপুরে বাড়িতে ভাঙচুর চালায় অতনুর পরিবার ও প্রতিবেশীরা। ঘটনাস্থলে যায় বাগুইআটি থানার পুলিশ। পুলিশের দাবি, খুন করার উদ্দেশ্য নিয়ে আগে থেকে গাড়িতে দড়ি রেখেছিল। অতনুর থেকে বাইক কিনে দেওয়ার পঞ্চাশ হাজার টাকা নেয় সত্যেন্দ্র চৌধুরী। পরে আরও টাকার দাবি করে সত্যেন্দ্র। সেই টাকা দিতে অস্বীকার করে অতনু। এরপরই দুজনকে চলন্ত গাড়িতে খুন করা হয়। এরপর বসিরহাটের আলাদা আলাদা জায়গায় ফেলা দুই ছাত্রের মৃতদেহ।

    ধৃতরা হল…..
    ১) অভিজিৎ বোস (২৫), নিউটাউনে থাকত। বর্তমানে হাওড়ায় থাকে। ধাবায় কাজ করে। বছর তিনেক আগে জগাছা থানায় ল্যাপটপ চুরি কেসে গ্রেফতার হয়।
    ২) শামীম আলী (২০), বাগুইআটি থানার আটঘড়ার বাসিন্দা।
    ৩) সাহিল মোল্লা (২০), আটঘড়ার বাসিন্দা।
    ৪) দিব্যেন্দু দাস, বাগুইআটি থানার চণ্ডীবেড়িয়ার বাসিন্দা।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

  • Anubrata Mondal: ফের মিলল অনুব্রতর সম্পত্তির হদিশ, কোথায় জানেন?  

    Anubrata Mondal: ফের মিলল অনুব্রতর সম্পত্তির হদিশ, কোথায় জানেন?  

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফের মিলল অনুব্রত মণ্ডলের (Anubrata Mandol) বিপুল পরিমাণ সম্পত্তির হদিশ। অনুব্রতর হিসাব রক্ষক মণীশ কোঠারিকে  জিজ্ঞাসাবাদ করে বীরভূমের তৃণমূল (TMC) নেতা অনুব্রতর সম্পত্তির হদিশ পেল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা (CBI)। বুধবারই ফের আদালতে পেশ করা হবে গরু পাচার মামলায় (Cattle Sumggling Scam) ধৃত তৃণমূলের বীরভূম জেলা সভাপতিকে। তার ঠিক আগের দিনই খোঁজ মিলল সম্পত্তির।

    গরু পাচার মামলায় সিবিআইয়ের হাতে গ্রেফতার হয়েছেন অনুব্রত। ইতিমধ্যেই তাঁর নামে বেনামে থাকা প্রচুর সম্পত্তির হদিশও পেয়েছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী এই সংস্থা। পেয়েছে রেজিস্টার্ড সম্পত্তির হদিশও। অনুব্রত তো বটেই, তাঁর কন্যা এবং প্রয়াত স্ত্রী ছাড়াও অনুব্রত ঘনিষ্ঠদের সম্পত্তির পরিমাণও চমকে দেওয়ার মতো। সিবিআই সূত্রে খবর, অনুব্রতর একার নামেই রয়েছে ২৪টি সম্পত্তি। তাঁর মেয়ের সম্পত্তির পরিমাণ ২৬টি। অনুব্রতর প্রয়াত স্ত্রী ছবির নামেও রয়েছে ১২টি সম্পত্তি। সব মিলিয়ে মণ্ডল পরিবারের নথিভুক্ত সম্পত্তির পরিমাণ ৬২টি।

    জানা গিয়েছে, অনুব্রতর হিসাব রক্ষক মণীশকে সোমবার তলব করে সিবিআই। সেখানে তাঁর কাছ থেকে বিভিন্ন নথিপত্র চেয়ে নেন কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার আধিকারিকরা। এর আগে অগাস্ট মাসেও একবার মণীশকে তলব করেছিল সিবিআই। সেদিন ঘণ্টা দুয়েক ধরে জেরা করা হয় তাঁকে। এদিন মণীশকে ফের জেরা করেই জানা গেল, বোলপুরে আরও সম্পত্তি রয়েছে অনুব্রতর নামে। কেবল অনুব্রত নন, তাঁর ঘনিষ্ঠ অনেকের নামেও আরও প্রচুর পরিমাণ সম্পত্তির হদিশ মিলেছে।

    আরও পড়ুন : অনুব্রত, তাঁর ঘনিষ্ঠদের নথিভুক্ত সম্পত্তি ঠিক কত? জানলে চোখ কপালে উঠবে

    এসএসসি নিয়োগ কেলেঙ্কারিতে রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে গ্রেফতার করেছে আর এক কেন্দ্রীয় সংস্থা ইডি। গ্রেফতার করা হয়েছিল পার্থ ঘনিষ্ঠ অর্পিতা মুখোপাধ্যায়কেও। অর্পিতার ফ্ল্যাটে হানা দিয়ে ইডি বাজেয়াপ্ত করেছে প্রায় ৫০ কোটি টাকা। গরু পাচার মামলায় অনুব্রতকে গ্রেফতার করেছে সিবিআই। তবে তাঁর ব্যাংক অ্যাকাউন্টে বিপুল পরিমাণ অর্থের হদিশ মেলেনি। যা মিলেছে, তা হল বিপুল পরিমাণ সম্পত্তির। অনুব্রত ঘনিষ্ঠদের জেরা করে সেই সম্পত্তিরই খোঁজ পেতে চাইছেন তদন্তকারীরা।  

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।  

  • Dengue: রাজ্যে চোখ রাঙাচ্ছে ডেঙ্গি, দিনের পর দিন বাড়ছে সংক্রমণ

    Dengue: রাজ্যে চোখ রাঙাচ্ছে ডেঙ্গি, দিনের পর দিন বাড়ছে সংক্রমণ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এবার সেই অর্থে বঙ্গে (West Bengal) বর্ষার বৃষ্টি হয়নি। তাতে কি? পুজোর মুখে ডেঙ্গি (Dengue) এসে হাজির। কেবল হাজির নয়, রীতিমতো চোখ রাঙাচ্ছে মশাবাহিত এই রোগ। জানা গিয়েছে, গত দু সপ্তাহে এ রাজ্যে ডেঙ্গিতে আক্রান্ত হয়েছেন দু হাজার ২৪০ জন। গোটা রাজ্যের ছবিটাও চোখ কপালে তোলার পক্ষে যথেষ্ট। সংক্রমিতের সংখ্যা ছ হাজার ৪২৪ জন। গত এক সপ্তাহে কেবল সরকারি হাসপাতালেই ভর্তি হয়েছেন ছশোর কাছাকাছি ডেঙ্গি সংক্রমিত রোগী।

    ফি বৃহস্পতিবার ডেঙ্গি পরিস্থিতি নিয়ে হয় সাপ্তাহিক আলোচনা। সেখানকার একটি সূত্র থেকেই জানা গিয়েছে, গোটা রাজ্যে ডেঙ্গি চোখ রাঙালেও, সংক্রমণ সব চেয়ে বেশি হাওড়া (Howrah), জলপাইগুড়ি এবং উত্তর ২৪ পরগনায় (North 24 Pargana)। সম্প্রতি হাওড়ায় ডেঙ্গি সংক্রমিত হয়ে মৃত্যু হয়েছে বছর এগারোর শুভম সরকারের। শনিবার এনআরএস (NRS) মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে মৃত্যু হয় তাঁর। কিছু দিন আগে হাওড়া পুরসভারই আট নম্বর ওয়ার্ডে ডেঙ্গিতে মৃত্যু হয়েছিল এক যুবকের। 

    আরও পড়ুন : প্রাণঘাতী রোগ থেকে মুক্তি পেতে চান? প্রতিদিনের ডায়েটে রাখুন দানা শস্য বা হোল গ্রেন

    প্রাণঘাতী ডেঙ্গিতে মৃত্যু হয়েছে বছর সাঁইত্রিশের সন্দীপকুমার মুখোপাধ্যায়ের। উত্তরপাড়া পুরসভার ১৭ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা ছিলেন তিনি। দিন কয়েক আগেও এই ওয়ার্ডেরই এক যুবকের মৃত্যু হয়েছিল ডেঙ্গিতে। ডেঙ্গি মারণ থাবা বসিয়েছে লাগোয়া শহর শ্রীরামপুরেও। কিছু দিন আগে এখানেও মৃত্যু হয় ডেঙ্গি সংক্রমিত এক মহিলার। জানা গিয়েছে, গত এক সপ্তাহে কলকাতা পুরসভায় ডেঙ্গি সংক্রমিতের সংখ্যা বেড়েছে ১৪২ জন। যমজ শহর হাওড়ায় ৬৪ জন। বালি পুরসভায় ৬৩ জন।আর উত্তরপাড়ায় ৩৭ জন। উত্তর ২৪ পরগনায়ও দিন দিন বাড়ছে ডেঙ্গি সংক্রমিতের সংখ্যা।

    ডেঙ্গি সংক্রমণ যে ক্রমেই বাড়ছে, সে ছবি ধরা পড়ছে রোগ পরীক্ষায়ও। কলকাতায় ডেঙ্গির এনএস-১ পরীক্ষা করিয়েছিলেন ৪২৪০ জন। তাঁদের মধ্যে পজিটিভ কেস ২৯৬। আইজিএম টেস্ট করিয়েছিলেন ১৫৭১ জন। তাঁদের মধ্যে পজিটিভ ১৩৩। হাওড়ায় এনএস-১ টেস্ট করিয়েছিলেন ২৯৮১। তার মধ্যে পজিটিভ রোগীর সংখ্য ৪৬১। উত্তর ২৪ পরগনায় ওই টেস্ট করিয়েছেন ৫৭৭১। পজিটিভ ৪৬৭।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

LinkedIn
Share