Category: রাজ্য

Get West Bengal News, Bengali Breaking News, Latest News in Bengali only from মাধ্যম | Madhyom, Bengali News Portal for সম্পূর্ণ নিরপেক্ষ বাংলা সংবাদ, বাংলা খবর

  • Suvendu Attacks Partha: এসএসসির দুর্নীতির টাকায় স্ত্রীর নামে ঝাঁ চকচকে স্কুল করেছেন পার্থ! দাবি শুভেন্দুর

    Suvendu Attacks Partha: এসএসসির দুর্নীতির টাকায় স্ত্রীর নামে ঝাঁ চকচকে স্কুল করেছেন পার্থ! দাবি শুভেন্দুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এসএসসির দুর্নীতির (SSC scam) টাকায় প্রয়াত স্ত্রীর নামে ঝাঁ চকচকে বেসরকারি স্কুল করেছেন রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী তৃণমূলের (TMC) পার্থ চট্টোপাধ্যায় (Partha Chatterjee)। এমনই অভিযোগ রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর (Suvendu)। পশ্চিম মেদিনীপুরের পিংলায় ওই স্কুল রয়েছে, দাবি শুভেন্দুর। বিরোধী দলনেতার দাবি, সুরম্য এই স্কুলের চেয়ারম্যান পার্থর জামাই কল্যাণময় ভট্টাচার্য।

    আরও পড়ুন : নথি নষ্টের আশঙ্কায় “সিল” এসএসসি দফতর, নিরাপত্তায় সিআরপিএফ, মধ্যরাতে নির্দেশ হাইকোর্টের

    এসএসসিকাণ্ডে বিপাকে রাজ্য সরকার। প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে নিজাম প্যালেসে ডেকে জেরা করেছেন সিবিআই (CBI) আধিকারিকরা। তৃণমূল সরকারের শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী পরেশ অধিকারীকেও (Paresh Adhikary) বার কয়েক জেরা করেছেন তাঁরা। অবৈধভাবে স্কুল শিক্ষকের চাকরি পাওয়ায় পরেশের কন্যা অঙ্কিতাকে (Ankita Adhikary) বরখাস্তও করেছে আদালত। রাজ্যের বিরোধী দলনেতার অভিযোগ, এসএসসির দুর্নীতির টাকায় আখের গুছিয়েছেন রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী।

    [tw]


    [/tw]

    শুভেন্দুর দাবি, পার্থর ওই স্কুলে আন্তর্জাতিক মানের শিক্ষা দেওয়া হয়। সবুজের মাঝে আন্তর্জাতিক মানের শিক্ষার সমস্ত পরিকাঠামো এই স্কুলে রয়েছে। স্কুল নির্মাণে ব্যয় হয়েছে ৭০ কোটিরও বেশি টাকা। ট্যুইটে শুভেন্দু লেখেন, পশ্চিম মেদিনীপুরের পিংলায় সম্প্রতি গড়ে উঠেছে বিসিএম ইন্টারন্যাশনাল স্কুল। সবুজের মাঝে অভ্যন্তরীণ সৌন্দর্যে ভরা এই স্কুল বিশ্বমানের শিক্ষা প্রদান করছে।

    আরও পড়ুন : শান্তিপ্রসাদ সিনহা সহ ৫ জনের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের সিবিআইয়ের

    অন্য একটি ট্যুইটে শুভেন্দু লেখেন, বিসিএস ইন্টারন্যাশনাল স্কুলের উদ্বোধন করেছিলেন প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়। এই ইনস্টিটিউট প্রতিষ্ঠা করার পিছনে গভীর আগ্রহ দেখিয়েছিলেন বলে মনে করা হচ্ছে। আর একটি ট্যুইটে শুভেন্দু জানান, কাকতালীয়ভাবে বিসিএস বাবলি চ্যাটার্জি মেমোরিয়ালের সংক্ষিপ্ত রূপ। যা তাঁর স্ত্রীর নামের সঙ্গে মিলে যাচ্ছে। এই প্রকল্পে ৭০ কোটি টাকারও বেশি খরচ হয়েছে বলে শোনা যাচ্ছে। শোনা যাচ্ছে, প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী এই তাজমহল (Taj Mahal) স্বরূপ স্কুলের নির্মাণ কার্যের সময় বেশ কিছু স্থান পরিদর্শন করেছিলেন।

    [tw]<bloc


    kquote class=”twitter-tweet”>

    The swanky BCM International School has been recently developed at Pingla; Paschim Medinipur. The school is offering world class infrastructure with plush interiors, lush green landscaping and what not besides imparting education.

    Don’t get confused. This is not an advertorial.

    — Suvendu Adhikari • শুভেন্দু অধিকারী (@SuvenduWB) May 22, 2022

    [/tw]

    এর পরেই শুভেন্দুর কটাক্ষ-ট্যুইট, স্কুল সার্ভিস কমিশনের (School Service Commission) শিক্ষক নিয়োগ কেলেঙ্কারির (Teachers recruitment scam) তহবিল কোথায় হারিয়ে গিয়েছে? তাঁরা জানেন কোথা থেকে শুরু করতে হবে? কল্যাণময় ভট্টাচার্য এই স্কুলের চেয়ারম্যান, প্রতিষ্ঠাতা ও ট্রাস্টি। তিনি প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের জামাতা। তাঁর কাকা কৃষ্ণপ্রসাদ অধিকারী স্কুলের দৈনন্দিন কাজকর্ম পরিচালনা করেন।

     

  • Saugata Roy: এত টাকা এল কোথা থেকে? কেকে এর কনসার্ট নিয়ে প্রশ্ন সৌগতর

    Saugata Roy: এত টাকা এল কোথা থেকে? কেকে এর কনসার্ট নিয়ে প্রশ্ন সৌগতর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কলকাতায় সঙ্গীতশিল্পী কেকে’র (KK) মৃত্যুর পর নজরুল মঞ্চে (NaZruk Mancha) তৃণমূল ছাত্র সংসদ আয়োজিত অনুষ্ঠানের খরচ নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিল বিরোধীরা৷ সেই প্রশ্ন এবার শোনা গেল তৃণমূলের (TMC) বর্ষীয়ান সাংসদ সৌগত রায়ের (Saugata roy) মুখে৷ দলীয় একটি অনুষ্ঠানে নোয়াপাড়া এলাকায় গিয়ে দমদমের সাংসদ প্রশ্ন তোলেন, কেকে-এর কনসার্টের জন্য ৫০ লক্ষ টাকা খরচ হয়েছে। ওই বিপুল অঙ্কের টাকা এল কোথা থেকে?

    সৌগতর কথায়, কলেজে পড়াশোনার সময় তাঁরাও শিল্পীদের আনতেন৷ কিন্তু লাখ লাখ টাকা দিয়ে মুম্বই থেকে সঙ্গীত শিল্পীদের নিয়ে আসার প্রয়োজনীয়তা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন তৃণমূল সাংসদ৷ সৌগত বলেন, ‘এই যে কৃষ্ণকুমার গান গাইতে এসে মারা গেল, আমি শুধু ভাবি এত টাকা কোথা থেকে এল৷ ৩০ লাখ না ৫০ লাখ কত যেন নিয়েছে৷ কে দিয়েছে? টাকা তো হাওয়ায় ভেসে আসে না৷ এত খরচ করে মুম্বই থেকে শিল্পী আনার কি খুব দরকার ছিল? অনেক ছেলে হাল্লা করল, নাচল৷ তাতে কী লাভ হল?’

    আরও পড়ুন: ১৯৪৭ সালে আজকের দিনে পাশ হয় পশ্চিমবঙ্গ গঠনের প্রস্তাব, কী ঘটেছিল সেদিন?

    গত মে মাসে গুরুদাস কলেজের ফেস্টে গান গাইতে এসে মৃত্যু হয় কেকে’র৷ কলকাতার নজরুল মঞ্চে আয়োজিত ওই অনুষ্ঠানের দায়িত্বে ছিল তৃণমূল ছাত্র পরিষদ৷ নজরুল মঞ্চে গান গাওয়ার সময় অসুস্থ হয়ে পড়েন কেকে৷ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার আগে হোটেলে তাঁর মৃত্যু হয়৷ সঙ্গীতশিল্পীর মৃত্যুর পরই বিরোধীরা ওই অনুষ্ঠানে খরচ হওয়া টাকার উৎস নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিল৷ জানিয়েছিল, কলেজের ছাত্র সংসদের কাছে এত টাকা আসে কোথা থেকে৷ এবার সেই প্রশ্ন তুলে দলের ছাত্র সংগঠনের নৈতিকতা নিয়ে প্রশ্ন তুলে দিলেন সৌগত৷

     তাঁর অভিযাগ, এত টাকা খরচ করে অনুষ্ঠান করতে হলে প্রোমোটার বা স্থানীয় মস্তানদের কাছে মাথা নত করতে হয়। প্রশ্ন তুলেছেন কলেজ ছাত্র সংগঠনের নৈতিকতা নিয়েও। স্বাভাবিকভাবেই শাসকদলের সাংসদের মন্তব্যকে হাতিয়ার করে সরব হয়েছে বিরোধীরা। বিজেপি রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার বলেছেন, “এটা বাংলায় ওপেন সিক্রেট। সবাই জানে এরা কীভাবে কাজ করে। একজন প্রবীণ নেতা এবং অধ্যাপক হওয়ার কারণে তিনি অন্তত সত্যটা স্বীকার করেছেন।” রাজ্য বিজেপির প্রাক্তন সভাপতি দিলীপ ঘোষের খোঁচা, “শিক্ষিত মানুষ তো। সবটা বুঝতে পারছেন। এমন মন্তব্য করে বিপদে পড়ছেন নিজের দলেই। এই তো চলছে রাজ্যে। শুধু নাচ-গান-ফুর্তি। শিক্ষা নেই, চাকরি নেই।” সিপিএম নেতা সুজন চক্রবর্তী বলছেন, “সৌগতবাবু যা বলেছেন একদম ঠিক কথা।” উল্লেখ্য,কেকের অনুষ্ঠানের খরচ পুরোটাই কলেজ কর্তৃপক্ষ দিয়েছিল বলে দাবি করেছিল টিএমসিপি।

  • Hanskhali Rape: হাঁসখালিকাণ্ডে ক্রমেই ফাটল চওড়া হচ্ছে তৃণমূলে?

    Hanskhali Rape: হাঁসখালিকাণ্ডে ক্রমেই ফাটল চওড়া হচ্ছে তৃণমূলে?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নদিয়ার হাঁসখালিকাণ্ডে (Hanskhali case) গাড্ডায় তৃণমূল(Tmc)। ঘটনার জেরে দলের অন্দরে ক্রমেই বাড়ছে মতানৈক্য। খোদ তৃণমূল নেত্রী তথা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বক্তব্যের বিরোধিতা করেছেন দলেরই সাংসদ মহুয়া মৈত্র (Mahua Maitra)। আবার বর্ষীয়ান তৃণমূল নেতা সৌগত রায়ের(Saugata Roy) সঙ্গে সহমত পোষণ করতে পারছেন না বলে সাফ জানিয়ে দিয়েছেন তৃণমূল নেত্রী তথা দলের আর এক সাংসদ শতাব্দী রায় (Shatabdi roy)। এই চার নেতানেত্রীর পরস্পর বিরোধী মন্তব্যে যারপরনাই হতাশ তৃণমূল নেতাকর্মীরা।
    দিন কয়েক আগে বন্ধুর জন্মদিনের পার্টিতে গিয়ে বছর চোদ্দর এক কিশোরী গণধর্ষণের শিকার হন বলে অভিযোগ। বাড়ি ফেরার আগেই শুরু হয় রক্তক্ষরণ। অতিরিক্ত রক্তক্ষরণের জেরে ওই রাতেই মৃত্যু হয় নির্যাতিতার। ঘটনার পরে পরেই দেহ নিয়ে গিয়ে কেরোসিন ঢেলে পুড়িয়ে দেওয়া হয়। গোটা ঘটনায় অভিযোগের আঙুল ওঠে তৃণমূলের দিকে। এর পরেই লাভ অ্যাফেয়ারের তত্ত্ব খাড়া করেন মুখ্যমন্ত্রী। মমতার বিতর্কিত মন্তব্যে সমালোচনার ঝড় বয়ে যায় গোটা রাজ্যে। এর পরেই ড্যামেজ কন্ট্রোলে নামে তৃণমূল। তড়িঘড়ি সাংসদ মহুয়া মৈত্রকে পাঠিয়ে দেওয়া হয় নির্যাতিতার বাড়িতে। সেখানে তিনি ভারতীয় আইন তুলে ধরে বলেন, ভালোবাসা থাকলেও নাবালিকার সঙ্গে যৌন সম্পর্ক স্থাপন করা যায় না। মহুয়ার মন্তব্য যে তৃণমূল নেত্রীর বিপ্রতীপ, তা বলাই বাহুল্য। 
    গোল বেঁধেছে সৌগত-শতাব্দীর মধ্যেও। হাঁসখালির ঘটনা প্রসঙ্গে মন্তব্য করতে গিয়ে তৃণমূলের বর্ষীয়ান সাংসদ সৌগত বলেন, যে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মহিলা সেখানে নারী নির্যাতনের একটি ঘটনা ঘটলেও, তা লজ্জার। সৌগতর পাল্টা প্রতিক্রিয়া দিয়েছেন শতাব্দী। তিনি বলেন, আমি সৌগতদার সঙ্গে এক মত নই। মহিলা-পুরুষের বিভেদের বিষয় এটা নয়। মহিলা মুখ্যমন্ত্রী কি চেয়েছেন এটা?
    কথায় বলে, বিনাশকালে বুদ্ধি নাশ হয়। তাহলে কি শেষের সেদিন শুরু হয়ে গেল তৃণমূলে?

     

  • ED raid: রাজ্যে ভুয়ো পরিচয়পত্র বানাচ্ছে বাংলাদেশিরা! কলকাতা সহ ১০ জায়গায় হানা ইডি-র

    ED raid: রাজ্যে ভুয়ো পরিচয়পত্র বানাচ্ছে বাংলাদেশিরা! কলকাতা সহ ১০ জায়গায় হানা ইডি-র

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বাংলাদেশ (Bangladesh) থেকে রাজ্যে এসে ভুয়ো পরিচয়পত্র বানিয়ে বসবাস করছে এমন ব্যক্তিদের সন্ধানে তল্লাশি চালাল ইডি (ED)। শুক্রবার কলকাতা-সহ দুই ২৪ পরগণার আট থেকে দশটি জায়গায় তল্লাশি চালাল এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (Enforcement Directorate)। উত্তর ২৪ পরগনা জেলার অশোকনগরের তিনটি জায়গায়, দমদমের একটি এবং দক্ষিণ ২৪ পরগনার দু’টি জায়গা মিলিয়ে মোট ১০টি জায়গায় তল্লাশি চালায় কেন্দ্রীয় সংস্থার তদন্তকারী অফিসারেরা। এদিন সকাল থেকে ইডি-র প্রায় ৬০-৭০ জন আধিকারিক একাধিক দলে ভাগ হয়ে তল্লাশি অভিযান চালান। 

    ইডি সূত্রে দাবি, বাংলাদেশের তদন্তকারী সংস্থার দেওয়া খবরের ভিত্তিতে তল্লাশি চালানো হয়। এক আন্তর্জাতিক টাকা পাচার চক্রের মাথা প্রশান্তকুমার হালদার। বাংলাদেশে তাঁর বিরুদ্ধে বিপুল অঙ্কের টাকা প্রতারণার অভিযোগ রয়েছে। অভিযোগ প্রায় ১ হাজার কোটি টাকা পাচার করা হয়েছে। বাংলাদেশি হলেও, এপার বাংলায় ঢুকে নিজেকে ভারতীয় বলে পরিচয় দেন প্রশান্তকুমার পাল। তিনি নিজেকে পরিচয় দেন শিবশঙ্কর হালদার বলে। এমনকী, এদেশে ভুয়ো আধার কার্ড, রেশন কার্ড, ভোটার কার্ড, প্যান কার্ড তৈরি করেন তিনি। তদন্তকারীরা জানতে পেরেছেন, সেইসব জাল নথি ব্যবহার করে এদেশে প্রশান্ত কুমার পাল ও তাঁর সহযোগীরা প্রায় হাজার কোটি টাকা পাচার করেন। প্রশান্তকুমার হালদারের খোঁজে তল্লাশি শুরু হয়েছে। বেআইনি টাকার হদিশ পেতে তল্লাশি অভিযান শুরু করে ইডি দেখে এদেশে ভুয়ো পরিচয়পত্রই বানিয়ে ফেলেছে অভিযুক্তেরা। শুধু তাই নয়, ভুয়ো পরিচয়পত্রের ভিত্তিতে এরাজ্যে বাংলাদেশিরা রীতিমতো ব্যবসা খুলে বসেছে। বিপুল স্থাবর-অস্থাবর সম্পত্তি বানিয়েছে। 

     স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, অশোকনগরের মাছ ব্যবসায়ী সুকুমার মৃধাও এই চক্রের সঙ্গে জড়িত। তদন্তে জানা গিয়েছে, সুকুমার মাছ ব্যবসার আড়ালে হাওয়ালার কারবারে যুক্ত। বিভিন্ন অঞ্চলে জমি জায়গা কিনে ব্যবসা করেন তিনি। অশোকনগরে তাঁর একাধিক বাড়ি ও দোকান রয়েছে। এর সঙ্গে উঠে আসছে প্রশান্ত হালদার নামে এক ব্যক্তির নাম। প্রশান্ত মারফৎ এদেশে টাকা নিয়ে আসেন সুকুমার। শুক্রবার অশোকনগরে সুকুমার মৃধা-সহ প্রণব হালদার ও স্বপন মিশ্রর বাড়িতে একযোগে হানা দেন ইডির আধিকারিকরা। ইডির এক আধিকারিক জানান, রাজ্যে হালদারের এজেন্ট হিসেবে কাজ করতেন মৃধা। মনে করা হচ্ছে, শহরের বিভিন্ন জায়গায় বেনামে জমি কিনেছে তারা। মৃধা এবং হালদারের পরিবারের লোকজনদের থেকে খোঁজখবর নিচ্ছে ইডি।

  • insas rifle snatched: “বাংলা জেহাদিদের আঁতুড়ঘর”, বিএসএফের রাইফেল ছিনতাইকাণ্ডে ট্যুইট সুকান্তর

    insas rifle snatched: “বাংলা জেহাদিদের আঁতুড়ঘর”, বিএসএফের রাইফেল ছিনতাইকাণ্ডে ট্যুইট সুকান্তর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “তৃণমূলের রাজত্বে বাংলা হয়েছে জেহাদিদের (jihadi) আঁতুড়ঘর। রাজ্যটি জেহাদিদের প্রিয় জায়গা হয়ে উঠেছে।” এমনটাই মনে করেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার (sukanta majumder)। মঙ্গলবার রাতে উত্তর ২৪ পরগনার ঘোজাডাঙা স্থলবন্দরের কাছে বিএসএফের (BSF) কর্তব্যরত এক মহিলা কনস্টেবলের কাছ থেকে ইনস্যাস (Insas) রাইফেল ছিনতাই প্রসঙ্গে এমন ট্যুইট করেন সুকান্ত।

    বিএসএফ সূত্রে খবর, মঙ্গলবার গভীর রাতে ১৫৩ ব্যাটেলিয়নের এক মহিলা কনস্টেবল পাহারা দিচ্ছিলেন ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে (India Bangladesh border) ঘোজাডাঙা স্থলবন্দরের কাছে। আচমকাই কয়েকজন দুষ্কৃতী তাঁর কাছ থেকে ছিনিয়ে নেয় ইনসাস অ্যাসল্ট রাইফেল (Assault rifle) ও ২০ রাউন্ড গুলি। বিএসএফের এক আধিকারিক জানান, প্রহরারত মহিলা কনস্টেবলকে মারধর করে দুষ্কৃতীরা তাঁর সঙ্গে থাকা রাইফেল ও গুলি ছিনিয়ে নিয়ে চম্পট দেয়।  

    এরপরই এলাকায় চিরুনি-তল্লাশি শুরু করে বিএসএফ। আটক করা হয় এক ডজনেরও বেশি সন্দেহভাজনকে। তবে বুধবার সন্ধে পর্যন্ত হদিশ মেলেনি খোয়া যাওয়া রাইফেলের। শেষমেশ বিএসএফের তরফে অভিযোগ দায়ের হয়েছে বসিরহাট থানায়। অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।

    বসিরহাট পুলিশ জেলার পুলিশ সুপার জোবি টমাস কে সংবাদমাধ্যমকে বলেন, তাদের একটি ইনসাস রাইফেল (insas rifle) চুরি গিয়েছে বলে আমরা বিএসএফের কাছ থেকে অভিযোগ পেয়েছি। সেই অনুযায়ী, আমরা মামলা শুরু করেছি। তবে এখনও পর্যন্ত কাউকে গ্রেফতার করা যায়নি। তদন্ত চলছে। আমরা সব দিক খতিয়ে দেখছি। পুলিশের একটি অংশের মতে, রাইফেলটি ছিনিয়ে নিয়ে দুষ্কৃতীরা বাংলাদেশে গা-ঢাকা দিতে পারে।

    বিএসএফের এক মহিলা কনস্টেবলকে মারধর করে রাইফেল ছিনিয়ে নিয়ে পালিয়ে যাওয়ার ঘটনায় যারপরনাই বিস্মিত বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। ঘটনার প্রতিক্রিয়া দিতে গিয়ে ট্যুইট করেন তিনি। লেখেন, “তৃণমূলের শাসনে পশ্চিমবঙ্গ জেহাদিদের আঁতুড়ঘরে পরিণত হয়েছে। ঘোজাডাঙার এই ঘটনাই চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিল এ রাজ্য জিহাদিদের প্রিয় জায়গায় পরিণত হয়েছে।”

    [tw]


    [/tw]

    বিজেপির রাজ্য সভাপতির এই ট্যুইটের প্রেক্ষিতে তৃণমূলের তরফে অবশ্য কোনও প্রতিক্রিয়া মেলেনি।

     

  • Bidisha Dey Majumdar: ফের রহস্যমৃত্যু! পল্লবীর পর আরও এক টলিউড অভিনেত্রীর ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার

    Bidisha Dey Majumdar: ফের রহস্যমৃত্যু! পল্লবীর পর আরও এক টলিউড অভিনেত্রীর ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পল্লবী দে-র (Pallavi Dey) পর এবার বিদিশা দে মজুমদার (Bidisha Dey Majumdar)। টলিউডে অপমৃত্যুর (mysterious death) ঘটনা যেন থামছেই না। পল্লবী দে-র মৃত্যু নিয়ে এখনও জট পুরোপুরি কাটেনি, তার আগেই আরও এক মডেল এবং অভিনেত্রীর মৃত্যুতে হতবাক টলিপাড়া (Tollywood)। দমদমের ফ্ল্যাট থেকে উদ্ধার হল উঠতি অভিনেত্রী বিদিশার দে মজুমদারের দেহ। ২১ বছর বয়সী অভিনেত্রী সেই বাড়িতে ভাড়া থাকতেন।  

    ঘটনার তদন্তে নেমেছে পুলিশ। পুলিশ সূত্রের খবর, বুধবার সন্ধ্যায় উদ্ধার হয়েছে বিদিশার দেহ। কিন্তু কীভাবে তাঁর মৃত্যু হয়েছে, খুন না আত্মহত্যা তা এখনও জানা যায়নি। বিদিশার পরিবার এবং বন্ধুবান্ধবদের সঙ্গে কথা বলার চেষ্টা চালাচ্ছেন তদন্তকারী অফিসাররা। এখনও পর্যন্ত বিশেষ কোনও তথ্য পায়নি পুলিশ।

    অভিনেত্রীর দেহ ইতিমধ্যেই আরজি কর মেডিক্যাল কলেজে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট এলে মৃত্যুর কারণ সম্পর্কে নিশ্চিত হওয়া যাবে বলে জানিয়েছে পুলিশ। মৃত্যুর কারণ নিয়ে তাঁদের কাছেও ধোঁয়াশা রয়েছে। 

    আরও পড়ুন: দক্ষিণ কলকাতার আবাসন থেকে টেলি অভিনেত্রীর ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার, খুন না আত্মহত্যা?

    বিদিশার প্রতিবেশীদের দাবি, দেড় মাস আগে ওই এলাকায় ভাড়া বাড়িতে থাকতে এসেছিলেন বিদিশা। নিয়মিত মডেলিং করতেন বিদিশা। এর পাশপাশি ‘ভাঁড়: The Clown’ নামে একটি ছবিতে অভিনয় করেছিলেন তিনি। পুলিশ সূত্রে খবর, সোশ্যাল মিডিয়ায় শেষ বুধবার ভোরে অনলাইন দেখা গিয়েছে বিদিশাকে। তারপর আর ফেসবুক বা হোয়াটসঅ্যাপে অনলাইন দেখা যায়নি। 

    কাজ না থাকলে বেলা করে ঘুম থেকে উঠতেন অভিনেত্রী। অনেকেই জানতেন সেকথা। তাই অনেক বেলা অবধি দরজা না খুললেও কারও কোনও সন্দেহ হয়নি। কিন্তু  বিকেল গড়িয়ে গেলেও ঘরের দরজা বন্ধ থাকায় বিদিশার ফ্ল্যাটমেট দিশানী দুশ্চিন্তায় পড়েন। তিনি কলেজ গিয়েছিলেন। ফিরে এসে সাড়া না পেয়ে ঘরের দরজা ঠেলে ঢুকে দেখেন, গলায় ফাঁসি দিয়ে ঝুলছেন মৃত অভিনেত্রী।  তারপরেই তিনি ফোন করে এক পরিচিতকে জানান বিষয়টি। নৈহাটির মেয়ে বিদিশা। কাজের সূত্রে থাকতেন নাগের বাজারের রামগড় কলোনির একটি ফ্ল্যাটে। দিশানীও থাকতেন তাঁর সঙ্গে। 

     

  • Partha Chatterjee: ডিভিশন বেঞ্চে ধাক্কা পার্থর, সন্ধের মধ্যে সিবিআই দফতরে হাজিরা না দিলে আদালত অবমাননা?

    Partha Chatterjee: ডিভিশন বেঞ্চে ধাক্কা পার্থর, সন্ধের মধ্যে সিবিআই দফতরে হাজিরা না দিলে আদালত অবমাননা?

    মাধ্য়ম নিউজ ডেস্ক: ফের একবার এসএসসি নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় অস্বস্তিতে পড়লেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়।  সিবিআইয়ের কাছে হাজিরার নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে ডিভিশন বেঞ্চে মামলা করেন প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী। কিন্তু, মামলায় নির্দেশ দিতে অস্বীকার করে হরিশ ট্যান্ডনের নেতৃত্বাধীন ডিভিশন বেঞ্চ। 

    এসএসসি নবম-দশম ও গ্রুপ-সি গ্রুপ-ডি দুর্নীতি কাণ্ডে রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রীকে ফের সিবিআই দফতরে হাজিরার নির্দেশ দিয়েছিল কলকাতা হাইকোর্ট। আজ, বুধবার সন্ধে ছটার মধ্যে নিজাম প্যালেসে সিবিআই দফতরের হাজিরার নির্দেশ দিয়েছিলেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। এই নির্দেশের বিরুদ্ধে রক্ষাকবচ চাইতে ডিভিশন বেঞ্চে আবেদন করেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়। কিন্তু, আদালত তাঁর সেই আবেদনের ভিত্তিতে কোনও নির্দেশ দিতে অস্বীকার করে। ফলে ডিভিশন বেঞ্চ থেকে কোনওরকম রক্ষাকবচ না মেলায় সিঙ্গল বেঞ্চের নির্দেশ বহাল থাকল। মামলাকারীর আইনজীবীর দাবি, নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যেই সিবিআই অফিসে হাজির হতে হবে পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে। না হলে, তা হবে আদালত অবমাননার সামিল।

    এর আগে সকালে বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় নির্দেশ দেন, এদিন সন্ধে ৬টার মধ্যে সিবিআই দফতরে গিয়ে হাজিরা দিতে হবে পার্থ চট্টোপাধ্যায়-সহ বেশ কয়েকজন সরকারি আধিকারিককে। ফলে রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় এবং মন্ত্রীর সুপারিশে গঠিত নিয়োগ সংক্রান্ত বিশেষ কমিটির পাঁচ সদস্যকে সিবিআইয়ের মুখোমুখি হওয়ার কথা। এমনকী তদন্তে সহযোগিতা না করলে মন্ত্রী-সহ বাকি আধিকারিকদের প্রয়োজনে গ্রেফতার করারও সবুজ সঙ্কেত দিয়ে রাখে আদালত।

    পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে এদিন বিকেলের মধ্যে যাঁদের সিবিআই দফতরে হাজিরার নির্দেশ দেওয়া হয়, তসেই তালিকায় রয়েছেন এসএসসি চেয়ারম্যান শান্তিপ্রসাদ সিনহা, শিল্পমন্ত্রীর ওএসডি প্রদীপ কুমার বন্দ্যোপাধ্যায়, ডেপুটি ডিরেক্টর অফ স্কুল অলোক সরকার, প্রোগ্রাম অফিসার সমরজিৎ আচার্য এবং ল অফিসার তাপস পাঁজা। আগামীকাল, বৃহস্পতিবার দুপুর ২টোর মধ্যে আদালতে রিপোর্ট পেশ করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

    “সিঙ্গল বেঞ্চের রায়ে কোনও ভুল নেই”, এসএসসি নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় বহাল সিবিআই তদন্ত

    পাশাপাশি, পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে মন্ত্রিত্ব থেকে সরিয়ে দেওয়ার জন্য রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী ও রাজ্যপালের কাছে সুপারিশ করলেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। বিচারপতি বলেন, “আমি মনে করি, মুক্ত ও স্বচ্ছ সমাজ গড়ার স্বার্থে পার্থ চট্টোপাধ্যায় পদত্যাগ করবেন বা তাঁকে তাঁর পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হবে। এটা আমার অনুরোধ।” এর পাশাপাশি বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় এও জানান, “কাস্টোডিয়াল জিজ্ঞাসাবাদ ছাড়া এই দুর্নীতির পর্দা ফাঁস হবে না”। তবে নিজেই জানান, এটা শুধুমাত্র একটা সুপারিশ, কোনও নির্দেশ নয়।

    এর আগে ১২ এপ্রিল হাজিরার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। যদিও সেবার ডিভিশন বেঞ্চ থেকে সেই নির্দেশের উপর স্থগিতাদেশ আনা হয়। মামলার উপরেও স্থগিতাদেশ আনা হয়। তারপর আজ, বুধবার ওই মামলাগুলির শুনানি হয়েছে ডিভিশন বেঞ্চ। সিঙ্গল বেঞ্চের রায়ই বহাল রেখে সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ। তারপরেই ফের সিঙ্গল বেঞ্চের তরফে সিবিআইয়ের কাছে হাজিরার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে।  

    এদিকে, শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডে দায়ের হওয়া মূল ৭টি মামলায় ডিভিশন বেঞ্চের নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টে যাচ্ছে রাজ্য। শীর্ষ আদালতে যাওয়ার প্রস্তুতি নেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে শিক্ষা দফতরকে। সূত্রের খবর, ডিভিশন বেঞ্চের অর্ডার কপি দেখে সুপ্রিম কোর্টে মামলা ফাইল করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। স্কুল শিক্ষা দফতরের সঙ্গে ইতিমধ্যেই আইনজীবীদের আলোচনা শুরু হয়েছে। এই বিষয় নিয়ে শিক্ষামন্ত্রী কথা বলেছেন দফতরের আধিকারিকদের সঙ্গে। আজই আইনজীবীদের সঙ্গে কথা বলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। 

     

     

  • Primary TET: চাকরি গেল ২৬৯ জনের! প্রাথমিক টেট দুর্নীতি মামলাও গেল সিবিআই-এর কাছে

    Primary TET: চাকরি গেল ২৬৯ জনের! প্রাথমিক টেট দুর্নীতি মামলাও গেল সিবিআই-এর কাছে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: হাইকোর্টে আবারও মুখ পুড়ল মমতা (Mamata) প্রশাসনের। এবার ২০১৪ প্রাথমিক টেট (Primary TET) দুর্নীতি মামলাতেও এবার সিবিআই (CBI) তদন্তের নির্দেশ দিল কলকাতা হাইকোর্ট (Calcutta High Court)। এই মামলায় ২৬৯ জনকে চাকরি থেকে বরখাস্তের নির্দেশ দিয়েছে উচ্চ আদালত। 

    এদিন বিচারপতি অভিজিত্‍ গঙ্গোপাধ্যায় (Justice Abhijit Ganduly) বলেন, “২০১৭ সালে দ্বিতীয় নিয়োগ তালিকা বেআইনি। দ্বিতীয় নিয়োগ তালিকার ২৬৯ জনের নিয়োগ বেআইনি, তাই সিবিআই।” আজ বিকেল সাড়ে ৫টার মধ্যে এফআইআর দায়ের করে সিবিআইকে জিজ্ঞাবাসাদ শুরুর নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি। পাশাপাশি আজই সিবিআই-এর সামনে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ সচিব ও সভাপতিকে হাজিরার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। প্রাথমিক টেট দুর্নীতিতে প্রাক্তন মন্ত্রী উপেন বিশ্বাসের উল্লেখ করা ‘রঞ্জন’ রহস্যের তদন্তভার ইতিমধ্যে সিবিআইকে দিয়েছে আদালত।

    আরও পড়ুন: এসএসসি দুর্নীতিতে কোটি কোটি টাকার লেনদেন! গেছে কার পকেটে? তদন্তে ইডি

    মামলাকারীদের অভিযোগ ছিল, ২০১৪ প্রাথমিক টেটে ২৬৯ জনকে অতিরিক্ত ১ নম্বর করে দিয়েছে প্রাথমিক শিক্ষা সংসদ। কেন তারা এই অতিরিক্ত নম্বর দিয়েছে তার কোনও ব্যাখ্যা দিতে পারেননি সংসদের আধিকারিকরা। বিচারপতি আদালতে প্রশ্ন করেন, ২৩ লক্ষ পরীক্ষার্থীর মধ্যে বেছে বেছে এই ২৬৯ জনকে ১ নম্বর বেশি দেওয়া হল কেন? কোনও বিজ্ঞপ্তি ছাড়াই কীভাবে ২৬৯ জনের জন্য নিয়োগ তালিকা প্রকাশিত হল, সেই প্রশ্নও তোলেন তিনি৷

    জবাবে পর্ষদের আইনজীবী জানান, যোগ্যদের বঞ্চনা করা হয়েছে, এই অভিযোগে বিক্ষোভ আন্দোলন হয়। আন্দোলনকারীরা পর্ষদে আবেদন করেন। জেলা ভিত্তিক প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত টেট পরীক্ষার্থীদের কাছ থেকে আবেদন জমা পড়ে। সেই আবেদন থেকেই প্রশ্ন ভুলে ১ নম্বর করে যোগ করে ২৬৯ জন টেট উত্তীর্ণ হন। যদিও পর্ষদের আইনজীবীর এই যুক্তি মানতে চাননি বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়৷ 

    এসএসসি দুর্নীতি মামলায় সিবিআইয়ের ডাকে ফের নিজাম প্যালেসে পার্থ চট্টোপাধ্যায়

    এর পরই ওই ২৬৯ জনকে চাকরি থেকে বহিষ্কারের নির্দেশ দেন বিচারপতি। তাঁদের বেতন বন্ধ করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। সঙ্গে তাঁরা যেন স্কুলে প্রবেশ করতে না পারেন তাও নিশ্চিত করতে বলা হয়েছে। রমেশ মালিক নামে এক টেট পরীক্ষার্থীর করা মামলার ভিত্তিতেই এ দিন এই নির্দেশ দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট৷

     

  • Prophet Row: বেথুয়াডহরি স্টেশনে ভাঙচুর বিক্ষোভকারীদের, প্রতিবাদে ৭২-ঘণ্টা ব্যবসা বন‍্‍ধ

    Prophet Row: বেথুয়াডহরি স্টেশনে ভাঙচুর বিক্ষোভকারীদের, প্রতিবাদে ৭২-ঘণ্টা ব্যবসা বন‍্‍ধ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: হাওড়া, মুর্শিদাবাদের পর এবার নদিয়া।

    পয়গম্বর হজরত মহম্মদকে (Prophet) নিয়ে বিজেপির (BJP) প্রাক্তন মুখপাত্র নূপুর শর্মার (Nupur Sharma) মন্তব্যের প্রতিবাদে গতকাল মিছিল বের হয়েছিল বেথুয়াডহরিতে (Bethuadahari)। সেই মিছিলই হিংসাত্মক রূপ নেয়। বেথুয়াডহরি স্টেশনে ট্রেনে ভাঙচুর চালানো হয়। একটি মিছিলের পর হঠাৎ করেই ভাঙচুর শুরু হয় বলে দাবি স্থানীয়দের।

    বেথুয়াডহরি হাসপাতালের সামনে এবং ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়কেও ভাঙচুর করা হয়। বাদ যায়নি দোকান ও বাড়িও। এই ঘটনার পরেই পরিস্থিতি সামলাতে নাকাশিপাড়া ব্লকে রবিবার রাত থেকে ১৪৪ ধারা জারি করে প্রশাসন। ট্রেনে ভাঙচুর ও গণ্ডগোলের অভিযোগে ২৫ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে পুলিশ সূত্রে দাবি। বেথুয়াডহরি স্টেশনে বিপুল সংখ্যায় মোতায়েন করা হয় জিআরপি (GRP)।

    আরও পড়ুন: হাওড়ায় ‘ফেল’ দুই পুলিশকর্তার কলকাতায় ‘প্রোমোশন পোস্টিং’!

    অবরোধের জেরে আপ রানাঘাট-লালগোলা প্যাসেঞ্জার আটকে পড়ে। বেথুয়াডহরি স্টেশনের বাইরে দাঁড়িয়ে পড়ে ডাউন হাজারদুয়ারি এক্সপ্রেস। অবরোধের জেরে রানাঘাট লালগোলা শাখায় ট্রেন চলাচল পুরোপুরি বন্ধ হয়ে যায়। অবরোধের জেরে বেথুয়াডহরি স্টেশনে দু’টি ট্রেন আটকে পড়ে।

    অন্য দিকে স্টেশন সংলগ্ন ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়ক অবরোধ করেন বিক্ষোভকারীরা। টায়ার জ্বালিয়ে চলতে থাকে বিক্ষোভ। এর ফলে কলকাতার সঙ্গে উত্তরবঙ্গের সংযোগের প্রধান রাস্তা পুরোপুরি স্তব্ধ হয়ে পড়ে। রাস্তায় দাঁড়িয়ে পড়ে একের পর এক বাস, ট্রাক, গাড়ি। চরম ভোগান্তিতে পড়েন সাধারণ মানুষ।

    আরও পড়ুন: সুকান্তর পর শুভেন্দু! এবার হাওড়া যাওয়ার পথে বিরোধী দলনেতাকে আটকাল পুলিশ!

    এর প্রতিবাদে এবার বড় পদক্ষেপ স্থানীয় ব্যবসায়ী সমিতির। প্রতিবাদের নামে বিক্ষোভকারীদের তাণ্ডবের প্রতিবাদে স্থানীয় ব্যবসায়ী সমিতি ৭২ ঘণ্টা ব্যবসা বন্ধের ডাক দেন বেথুয়াডহরিতে। 

    [tw]


    [/tw]

    বিতর্কিত মন্তব্যের আঁচ পড়ে উত্তর ২৪ পরগনার (North 24 Parganas) হাসনাবাদেও। সোমবার সকালে শিয়ালদা হাসনাবাদ শাখায় কাজিপাড়া স্টেশনে ট্রেন অবরোধ করেন বিক্ষোভকারীরা। এর জেরে সপ্তাহের প্রথম দিনই সকালের ব্যস্ত সময়ে শিয়ালদা-হাসনাবাদ শাখায় বেশ কিছুক্ষণ ট্রেন চলাচল বিপর্যস্ত হয়। মিনিট ২০ পর অবরোধ ওঠে।

    এদিকে, সোমবারেও মুর্শিদাবাদে দেখা গেল চাপা উত্তেজনা। নূপুর শর্মার গ্রেফতারের দাবিতে কয়েক হাজার ইসলাম ধর্মীয় মানুষ বিশাল প্রতিবাদ মিছিল ও বিক্ষোভ সমাবেশ করেন বড়ঞায়। তবে মিছিল চললেও অবরোধ কর্মসূচি ও অন্য কোনও অপ্রীতিকর ঘটনা এড়ানো জন্য বড়ঞা থানার পক্ষ থেকে নিরাপত্তা বলয় তৈরি করা হয়েছে। 

  • BJP Inquiry Committee: নবান্ন অভিযানের পুলিশি অত্যাচারের তদন্তে বিশেষ কমিটি গঠন বিজেপির

    BJP Inquiry Committee: নবান্ন অভিযানের পুলিশি অত্যাচারের তদন্তে বিশেষ কমিটি গঠন বিজেপির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নবান্ন অভিযানে (Nabanna Chalo campaign) দলের কর্মীদের বিরুদ্ধে পুলিশের আচরণে বেশ কিছুদিন ধরেই সরব গেরুয়া শিবির (BJP)। এবার এ বিষয়ে আরও বড় পদক্ষেপ নিল বিজেপি। বিজেপি হেড কোয়ার্টার থেকে প্রেস বিজ্ঞপ্তি জারি করে দোষী পুলিশ আধিকারিকদের শাস্তি দাবি করা হয়েছে। পাশাপাশি, এই ঘটনার তদন্তের জন্যে পাঁচ জনের একটি বিশেষ কমিটি (BJP Inquiry Committee) গঠন করা হয়েছে। কমিটি তদন্ত করে দিল্লিতে ফিরে রিপোর্ট জমা দেবে। কমিটিটি গঠন করেছেন দলের কেন্দ্রীয় সভাপতি জেপি নাড্ডা (JP Nadda)। ওই কমিটিতে আছেন, বিজেপির রাজ্যসভার সাংসদ ব্রিজলাল, লোকসভার সাংসদ রাজ্যবর্ধন সিং রাঠৌর, অপরাজিতা ষড়ঙ্গী, পাঞ্জাবের বিজেপি নেতা সুনীল জাখর এবং রাজ্যসভার সাংসদ সুনীল ওঁরাও। ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে তাঁরা বিভিন্ন বিষয় খতিয়ে দেখে তথ্য সংগ্রহ করবেন। সেই রিপোর্ট তাঁরা তুলে দেবেন নাড্ডার হাতে। বিজেপির সোশ্যাল মিডিয়া হেড অমিত মালব্য (Amit Malviya) বিষয়টি ট্যুইট করে জানিয়েছেন। 

    আরও পড়ুন: ‘‘রাজ্যটাকে উত্তর কোরিয়া বানিয়ে দিয়েছেন ‘লেডি কিম’…’’, মমতাকে আক্রমণ শুভেন্দুর

     

     

    আরও পড়ুন: আহত পুলিশকর্তাকে ফোন করে খোঁজ নিলেন সুকান্ত, বললেন ‘‘উনিও তো মানুষ…’’

    ১৩ সেপ্টেম্বর বিজেপির নবান্ন অভিযানকে কেন্দ্র করে রণক্ষেত্রের চেহারা নেয় হাওড়া এবং কলকাতা। হাওড়ার সাঁতরাগাছি, হাওড়া ময়দান থেকে হাওড়া ব্রিজে ব্যারিকেড করে পুলিশ নবান্নমুখী বিজেপির মিছিল আটকালে ধুন্ধুমার পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়। পুলিশের সঙ্গে ধ্বস্তাধস্তিতে আহত হন বিজেপি-কাউন্সিলর-সহ কয়েকজন নেতা-কর্মী। আহত হন পুলিশ কর্মীরাও। পুলিশের কাঁদানে গ্যাস, জল কামান, লাঠিচার্জ, নবান্ন অভিযান যেন এক টান টান সিনেমা। অভিযানের শুরুতেই আটকানো হয় শুভেন্দু অধিকারী, সুকান্ত মজুমদারের নেতৃত্বে হওয়া দুই মিছিল। সকাল থেকে সন্ধ্যে অবধি যেন যুদ্ধক্ষেত্রের রূপ নেয় দুই শহর। বিজেপির পক্ষ থেকে পুলিশের শাস্তির দাবি করা হয়েছে। একইসঙ্গে অনুসন্ধান কমিটি গঠন করেছে বিজেপির কেন্দ্রীয় দল। অনুসন্ধান করে রিপোর্ট তলব করা হয়েছে।     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

     
LinkedIn
Share