Category: রাজ্য

Get West Bengal News, Bengali Breaking News, Latest News in Bengali only from মাধ্যম | Madhyom, Bengali News Portal for সম্পূর্ণ নিরপেক্ষ বাংলা সংবাদ, বাংলা খবর

  • SSC Jobless Teachers: ‘এই সরকারকে আমরাই টেনে নামাব’, রণহুঙ্কার চাকরিহারাদের! শিক্ষকদের উপর নির্মম লাঠিচার্জ পুলিশের

    SSC Jobless Teachers: ‘এই সরকারকে আমরাই টেনে নামাব’, রণহুঙ্কার চাকরিহারাদের! শিক্ষকদের উপর নির্মম লাঠিচার্জ পুলিশের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: চাকরিহারাদের উপর্যুপরি বিক্ষোভে উত্তাল বাংলা। কলকাতা থেকে জেলা, সর্বত্র চাকরিহারাদের প্রবল বিক্ষোভ (Teachers Protest) চলল দিকে-দিকে। মঙ্গলবারের পর বুধবারেও জেলায়-জেলায় চলল প্রতিবাদ-বিক্ষোভ। রাজ্যজুড়ে গণ-আন্দোলন চাকরিহারাদের (SSC Jobless Teachers)। এর মধ্যেই প্রতিবাদ দেখাতে গিয়ে পুলিশের বর্বরোচিত আক্রমণের শিকার হলেন চাকরিহারারা। বুধবার রাজ্য জুড়ে ডিআই অফিস ঘেরাও অভিযানে নামেন চাকরিহারারা। আর তাতেই ধরা পড়ে বিপন্নতার ছবি। পেটের অন্ন কেড়ে নিয়ে তাদের উপরেই লাঠি চালাল পুলিশ-প্রশাসন। এরপর আর নিজেদের শান্ত রাখতে পারেননি চাকরিহারারা। রণংদেহী মূর্তি নেন তাঁরা। এক চাকরিহারা বললেন, ‘‘মিলিয়ে নেবেন, এ সরকার টিকবে না, লিখে দিলাম। সরকারকে আমরাই টেনে নামাব।’’

    কসবায় ধুন্ধুমার

    কসবায় চাকরিহারা (SSC Jobless Teachers) মিছিল করে ডিআই অফিসের উদ্দেশে আসছিলেন। ডিআই অফিসের কাছে আসতেই পুলিশি বাধার মুখে পড়তে হয় তাঁদের। কসবার ডিআই অফিসের তালা ভেঙে ডিআই অফিসের ভেতরে ঢুকতে চাইছিলেন চাকরিহারারা। স্কুল পরিদর্শকের সঙ্গে দেখা করতে চেয়েছিলেন চাকরিহারারা। তবে শিক্ষকরা ডিআই অফিসে ঢোকার চেষ্টা করতেই তাঁদের আটকে দেয় পুলিশ। শুরু হয় পুলিশের সঙ্গে ধস্তাধস্তি। পুলিশ টেনে হিঁচড়ে চাকরিহারাদের সরানোর চেষ্টা করে। পড়ে যান বেশ কয়েকজন। ওই অবস্থাতেই লাঠিপেটা করা হয় বলে অভিযোগ। বেশ কয়েকজন লাঠির আঘাতে গুরুতর চোট পান। মহিলাদেরও লাঠিচার্জ করা হয়েছে বলে অভিযোগ। প্রতিবাদে (Teachers Protest) ডিআই অফিসের সামনেই শুয়ে পড়ে প্রতিবাদ জানাতে থাকেন চাকরিহারারা। এক চাকরিহারা অচৈতন্য হয়ে পড়েন। পরিস্থিতি আরও উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। এক চাকরিহারা ক্ষোভে ফেটে বলেন, “মিলিয়ে নেবেন, এ সরকার টিকবে না, লিখে দিলাম। সরকারকে আমরাই টেনে নামাব। আমরাই তো সমাজের মুখ।” তিনি প্রশ্ন তুললেন, “একজন শিক্ষিকাকে নীচে নামিয়ে মাটিতে ফেলে পিটিয়ে মারছে পুলিশ! এটা কীসের আইন? কোথাকার আইন? আইন শেখেনি ওরা? লজ্জা নেই, হাসছে।” চাকরিহারাদের দাবি, “আমাদের একটাই দাবি, মিরর ইমেজ প্রকাশ করা হোক। এসএসসির কাছে আছে, কিন্তু সেই মিরর ইমেজ প্রকাশ করা হচ্ছে না।”

    শিক্ষকদের নির্মমভাবে লাঠিপেটা পুলিশের

    চাকরিহারা শিক্ষকদের (SSC Jobless Teachers) অভিযোগ, কসবার ডিআই অফিসের সামনে চাকরিহারা শিক্ষকদের নির্মমভাবে লাঠিপেটা করে পুলিশ। কখনও ঘাড়ধাক্কা তো কখনও সপাং-সপাং করে লাঠি চালায় তারা। আবার কখনও বুট পরা পায়ে সজোরে লাথি। রক্তাক্ত হয়ে লুটিয়ে পড়েন একাধিক শিক্ষক। আহত হন ২ শিক্ষক, অভিযোগ চাকরিহারাদের। লাঠিচার্জে আহত শিক্ষকদের বক্তব্য, পুলিশ কেন এভাবে অমানবিক ভাবে তাদের ওপর লাঠিচার্জ করল? তারা শুধুমাত্র নিজেদের অধিকারের দাবি জানাতে এসেছিলেন। পুলিশ নিজে হেলমেট পরে শিক্ষকদের লাথি, কিল মেরেছে, গলা ধাক্কা দিয়েছে। কসবায় এক শিক্ষক বলেন, ‘‘পেটে আগুন জ্বলছে। সারা বাংলায় এবার আগুন জ্বলবে।’’ অপর এক শিক্ষিকা বলেন, “ওখানে উনি প্রতিশ্রুতি দিচ্ছেন আর এখন পুলিশ লাঠিপেটা করছে। আমাদের ন্যায্য দাবি চাইতে এসেছি।” আর এক শিক্ষিকা বলেন, “আমাদের ক্লাসরুমে থাকার কথা ছিল। সেই জায়গায় আমাদের রাস্তায় থাকতে হচ্ছে। আপনাদের সন্তানদেরই তো পড়াই। আমাদের লাথি মারছেন!”

    সরকারি নির্দেশেই লাঠিপেটা!

    পুলিশের মারে আর্তনাদ বিক্ষোভকারীদের (Teachers Protest)। “এরা পুলিশ নয়, এরা পার্টির দালাল। এরা পার্টির দালাল, কোন অর্ডারে এরা মেরেছে…আমরা কোনও রাজনৈতিক কর্মসূচি করিনি। আমরা শিক্ষক, যোগ্য শিক্ষক।” বারবার চিৎকার করেও লাভ হয় না। লাঠি উঁচিয়ে তেড়ে এসে ঘা দেওয়া হয় সজোরে। সহকর্মীকে সাহায্য করতে এগিয়ে গেলেন যাঁরা, তাঁরাও রেহাই পেলেন না। এক মহিলা চাকরিহারার (SSC Jobless Teachers) আর্তনাদ “সেনসিটিভ জায়গা দেখে দেখে লাঠি মারছে। ভীষণ রকম অসভ্য, বর্বরের মতো আচরণ! এটা কি সরকারি নির্দেশ ছাড়া হয়। উনি ওখানে প্রতিশ্রুতি দিচ্ছেন, আর এখানে লাঠিচার্জ করার নির্দেশ দিচ্ছেন!” পুলিশের মার খেয়ে তখন রক্ত ঝরছে। গলা ভেঙে গিয়েছে। চোখে ক্ষোভের আগুন। এক চাকরিহারার চিৎকার “লাঠিপেটা করে কী হবে, গুলি করুন গুলি, কপালে গুলি করে মেরে দিন।” কেউ চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিলেন, “মুখ্যমন্ত্রীর যদি দম থাকে, আমাদের সঙ্গে ইন্ডোর স্টেডিয়ামে ভাসা ভাসা বক্তব্য নয়, ওয়ান টু ওয়ান বক্তব্য করতে বলবেন, আমাদের সঙ্গে। উনি কতটা আইন জানেন, আমি তাই দেখব। আমাদের সমস্ত কিছু শেষ। এবার ওঁরা আমাদেরকে যদি না তুলে ধরেন তাহলে আমাদের আর কিচ্ছু হাতে নেই। সব হারিয়ে ফেলেছি। রাস্তায় এসে দাঁড়িয়েছি।”

    কসবা কাণ্ডের প্রতিবাদ অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের

    বুধবার চাকরিহারাদের ভবিষ্যত নিয়ে বিকাশভবনে গিয়ে শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসুকে চিঠি দেওয়ার কথা ছিল প্রাক্তন বিচারপতি তথা বর্তমান বিজেপি সাংসদ অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের। মুখ্যমন্ত্রীকে লেখা সেই চিঠি ব্রাত্য বসুর হাতে তুলে দেওয়ার কথা ছিল তাঁর। কিন্তু কসবায় বিক্ষোভরত শিক্ষকদের উপর পুলিশি হামলার প্রতিবাদে সেই চিঠি ছিঁড়ে ফেলেন তিনি। অভিজিৎ জানিয়েছেন, বিক্ষোভরত চাকরিহারাদের উপর পুলিশের লাঠিচার্জের প্রতিবাদে বিকাশভবন যাবেন না তিনি। তার আগে, বুধবার এসএসসি দফতরে গিয়ে চেয়ারম্যান সিদ্ধার্থের সঙ্গে বেশ কিছুক্ষণ কথা বলেন অভিজিৎ। তাঁর সঙ্গে ছিলেন বিজেপি নেতা কৌস্তভ বাগচী।

    জেলায় জেলায় চাকরিহারাদের বিক্ষোভ

    বুধবার, জেলায় জেলায় ডিআই অফিস ঘেরাওয়ের ডাক দেন চাকরিহারা শিক্ষকরা (SSC Jobless Teachers)। বিভিন্ন জেলায় শিক্ষকরা ডিআই অফিসের সামনে বিক্ষোভ দেখান। তাতে দিকে দিকে ধুন্ধুমার কাণ্ড। হুগলি, বীরভূম সহ একাধিক জেলাতেও শিক্ষকদের আন্দোলনে তুলকালাম পরিস্থিতি। কোচবিহার, বারাসত কৃষ্ণনগর, শিলিগুড়ি, মুর্শিদাবাদ, সর্বত্র এই অশান্তির আগুন ক্রমশ ছড়াচ্ছে। যোগ্য শিক্ষকদের চাকরি ফিরিয়ে দেওয়ার দাবিতে ডিআই অফিসে তালা ঝুলিয়ে বিক্ষোভ অভিযান ও ডি আই কে ডেপুটেশন যোগ্য শিক্ষক-শিক্ষিকা অধিকার মঞ্চের। বুধবার বেলা ১২টা নাগাদ মুর্শিদাবাদ ডিআই অফিসের সামনে জড়ো হয় জেলার চাকরিহারা বঞ্চিত শিক্ষকরা। এদিন শিক্ষক শিক্ষিকারা ডিআই অফিসে এসেই অফিসের মূল গেটে চেন ও তালা ঝুলিয়ে দেয়। তারা বিক্ষোভ অভিযান শুরু করে। এরপরে তারা ডিআই অফিসের সামনে রাস্তায় বসে বিক্ষোভ আন্দোলন করে।

    শিলিগুড়ি থেকে নদিয়া পথে শিক্ষকরা

    হুগলিতে ডিআই অফিসে গিয়ে গেটে তালা মারেন শিক্ষকরা (SSC Jobless Teachers)। শিলিগুড়িতেও ডিআই অফিসে তালা ঝোলানো হয়েছে। মালদাতেও চাকরিহারাদের ডিআই অফিস অভিযানকে কেন্দ্র করে ধুন্ধুমার কাণ্ড বাধে। পুলিশের সঙ্গে ধস্তাধস্তি হয়। বালুরঘাটেও পথে নামেন চাকরিহারারা। সকালে রঘুনাথপুর এলাকা থেকে বিক্ষোভ (Teachers Protest) মিছিল শুরু করেন তাঁরা। তবে সেই মিছিল ডিআই অফিসের সামনে যেতেই পুলিশি বাধার মুখে পড়েন বিক্ষোভকারীরা। পূর্ব মেদিনীপুরের তমলুকে ডিআই অফিসের সামনে জড়ো হন চাকরিহারা শিক্ষকরা। তার পর তাঁরা অফিসের মূলগেটে তালা ঝুলিয়ে সেখানেই রাস্তার উপর বসে বিক্ষোভ দেখান। পশ্চিম মেদিনীপুরে ডিআই অফিসের সামনেও বিক্ষোভ দেখান চাকরিহারারা। অভিযোগ, সেখানেও জেলা স্কুল পরিদর্শককে অফিসে ঢুকতে দেওয়া হয়নি। নদিয়াতেও একই ছবি ধরা পড়েছে। কৃষ্ণনগরে জেলা স্কুল পরিদর্শকের দফতরের সামনেও বিক্ষোভ দেখান চাকরিহারারা। টায়ার জ্বালিয়ে রাস্তা অবরোধ করে দফায় দাফায় বিক্ষোভ চলে।

    বিজেপির লালবাজার অভিযানেও ধুন্ধুমার

    কসবায় চাকরিহারাদের (SSC Jobless Teachers) ওপর পুলিশের লাঠিচার্জের প্রতিবাদে বিজেপি বিধায়কদের ‘লালবাজার অভিযান’ ঘিরেও চলে তুলকালাম। বিজেপি বিধায়কদের প্রবল বিক্ষোভ ঘিরে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে লালবাজার চত্বর। রাস্তায় বসে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেছিলেন বিজেপি বিধায়ক শঙ্কর ঘোষ, অগ্নিমিত্রা পালরা। তাঁজদের প্রিজন ভ্যানে তুলে নিয়ে যায় পুলিশ। শঙ্কর ঘোষ একসময় রাস্তায় শুয়ে পড়েছিলেন। তাঁকে চ্যাংদোলা করে পুলিশ তুলে নিয়ে গিয়েছে। বিজেপি বিধায়কদের সঙ্গে এদিন তুমুল ধস্তাধস্তি শুরু হয়ে যায় পুলিশকর্মীদের। কসবার ঘটনার প্রতিবাদ করতে গিয়ে আটক হন বিজেপি বিধায়করা।

  • Jangipur Violence: জঙ্গিপুর হিংসায় মমতাকে তীব্র আক্রমণ শুভেন্দু-মালব্যর, উদ্বেগ প্রকাশ রাজ্যপালের

    Jangipur Violence: জঙ্গিপুর হিংসায় মমতাকে তীব্র আক্রমণ শুভেন্দু-মালব্যর, উদ্বেগ প্রকাশ রাজ্যপালের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ওয়াকফ আইনের প্রতিবাদের নামে মুর্শিদাবাদের উমরপুরে উন্মত্ত জনতার তাণ্ডব। এই আবহে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করতে জঙ্গিপুরে ১৬৩ ধারা জারি করা হয়েছে। জঙ্গিপুরের (Jangipur Violence) পরিস্থিতির ওই এলাকায় কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েনের দাবি জানালেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। এনিয়ে মঙ্গলবার বিকেলেই সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করে এই দাবি জানান তিনি। একই সঙ্গে রাজ্যে আইনশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণ করতে রাজ্য পুলিশ একেবারে ব্যর্থ বলে মন্তব্য করেছেন বিরোধী দলনেতা। জঙ্গিপুরকাণ্ডে মমতা সরকারকে তীব্র আক্রমণ করেছেন বিজেপির আইটি সেলের প্রধান অমিত মালব্য। অমিত মালব্যর মতে, অনুপ্রবেশের কারণেই পশ্চিমবঙ্গের জনবিন্যাস বদলে গিয়েছে। বর্তমানে এই রাজ্য আর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নিয়ন্ত্রণে নেই। জঙ্গিপুরের (Jangipur Violence) পরিস্থিতিতে উদ্বেগ প্রকাশ করতে দেখা গেল রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসকেও। এই নিয়ে রাজভবনের তরফ থেকে একটি বিবৃতি জারি করা হয়েছে। তাতেই রাজ্য প্রশাসনকে সতর্ক করেছেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। অন্যদিকে, বুধবার হিংসা ছড়িয়ে পড়ে মুর্শিদাবাদের সুতিতে। নয়া ওয়াকফ আইনের প্রতিবাদে টায়ার জ্বালিয়ে প্রতিবাদে চলে। জাতীয় সড়কে আন্দোলন চলার জন্য দাঁড়িয়ে পড়ে গাড়ি। যানজটের সৃষ্টি হয়।

    উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ভাবে হিংসা ছড়ানো হয়েছে, বললেন রাজ্যপাল

    রাজ্যপাল জঙ্গিপুরের (Jangipur Violence) হিংসা নিয়ে নিজের বিবৃতিতে বলেন, ‘‘উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ভাবে হিংসা ছড়ানো হয়েছে। এটা কোনও ভাবেই বরদাস্ত করা উচিত নয়। যেভাবে শান্তিপূর্ণভাবে রামনবমী মিটেছে, তা থেকেই স্পষ্ট বোঝা গিয়েছে যে প্রশাসন হিংসা নিয়ন্ত্রণে সক্ষম। আর মানুষও কোনও ভাবে অশান্তি চায় না। শান্তি বিঘ্নিত করার যে কোনও চেষ্টাকে তাই কঠোর হাতে দমন করা উচিত।’’

    সমাজমাধ্যমে কী লিখলেন শুভেন্দু অধিকারী?

    সোশ্যাল মিডিয়ায় শুভেন্দু অধিকারী লিখেছেন, ‘‘রাষ্ট্রপতির সইয়ের পর ওয়াকফ সংশোধনী বিল ইতিমধ্যে দেশের আইনে পরিণত হয়েছে। সেই আইনের বিরুদ্ধে প্রতিবাদের নামে মুর্শিদাবাদে ফের তাণ্ডব শুরু করেছে শান্তিপূর্ণ সম্প্রদায়ের সদস্যরা। নাগরিকত্ব আইন বিরোধী প্রতিবাদের মতো ফের সরকারি ও ব্যক্তিগত সম্পত্তি নষ্ট করা শুরু করেছে দুষ্কৃতীরা। এটা অসহমতি জানানোর পদ্ধতি নয়। এটা অসহমতি জানানোর নামে ধ্বংসলীলা যা সম্পূর্ণ অসাংবিধানিক।’’

    পশ্চিমবঙ্গের পুলিশ ও প্রশাসন আইনশৃঙ্খলা রক্ষা করতে সম্পূর্ণভাবে ব্যর্থ

    তিনি আরও লিখেছেন, ‘‘পশ্চিমবঙ্গের পুলিশ ও প্রশাসন আইনশৃঙ্খলা রক্ষা করতে সম্পূর্ণভাবে ব্যর্থ। কারণ তারা শাসকদলের ভোটব্যাঙ্ক রক্ষা করতে চোখ বন্ধ করে রয়েছে।’’ শুভেন্দু অধিকারীর দাবি, ‘‘আমি মুখ্যসচিব ও মুর্শিদাবাদের জেলাশাসককে অনুরোধ করব আপনারা রাজ্যপাল ও কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের সঙ্গে যোগাযোগ করুন ও কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েনের আবেদন জানান। কারণ পুলিশ যে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পারছে না তা স্পষ্ট। এটাই আইনের শাসন প্রতিষ্ঠার একমাত্র উপায়।’’

    মমতা সরকারকে তীব্র আক্রমণ অমিত মালব্যর

    মমতা সরকারের বিরুদ্ধে অমিত মালব্য নিজের এক্স মাধ্যমের পোস্টে লেখেন, ‘‘অন্য রাজ্যে হিংসা (Jangipur Violence) ছড়ালে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় চটজলদি কুমিরের কান্না শুরু করে দেন। তবে যখন মুর্শিদাবাদে তাঁর ভোটব্যাঙ্করা হিংসা ছড়ায়, তখন তিনি নীরব হয়ে যান। তিনি তখন ইন্টারনেট বন্ধ করে দেন সত্যিটা ধামাচাপা দেওয়ার জন্যে। এই একই মমতা যখন অন্য রাজ্যের ঘটনা নিয়ে সরব হন, নিজের রাজ্যে সেন্সরশিপের মাধ্যমে তথ্য চাপা দিচ্ছেন। জঙ্গিপুরের মতো জায়গায় ইন্টারনেট বন্ধ করা হয়েছে জনসাধারণের নিরাপত্তার জন্য নয়, সত্যিটাকে ধামাাপা দেওয়ার জন্যে। সেখানে ওয়াকফের নামে রেললাইনে যে তাণ্ডব চলেছে, সেই তথ্য চাপা দিতে চাইছে সরকার।’’

    সংবিধানের প্রতি বিন্দুমাত্র আস্থা নেই মমতার, তোপ মালব্যর

    অমিত মালব্য আরও লেখেন, ‘‘মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আসল চেহারা হল সংবিধানের প্রতি তাঁর বিন্দুমাত্র সম্মান নেই, সুপ্রিম কোর্টকে তিনি মানেন না। তাঁর পুলিশ মিথ্যা দাবি করে যে সব কিছু নিয়ন্ত্রণে আছে। সেই ফাঁকে দিনের পর দিন ব্ল্যাকআউট জারি করা ছাকে। যদি সবকিছু নিয়ন্ত্রণেই থাকে, তাহলে ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ করে রাখা হয়েছে কেন? মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কী লুকোতে চাইছেন? নাকি যে মানুষটা সিএএ প্রতিবাদের সময় ‘কা কা ছি ছি’ গেয়েছিলেন, ওয়াকফের বিরুদ্ধে গান গাওয়ার জন্যে তাঁর আর কণ্ঠস্বর নেই?’’

    জঙ্গিপুরে হিংসা (Jangipur Violence)

    এক্ষেত্রে উল্লেখ করা দরকার, ওয়াকফ সংশোধনী আইনের বিরোধিতার নামে মঙ্গলবার দুপুরে মুর্শিদাবাদের জঙ্গিপুরের উমরপুরে জাতীয় সড়ক অবরোধ করে একদল উন্মত্ত জনতা। ১২ নম্বর জাতীয় সড়ক অবরোধ করে চলছিল অবরোধ। অবরোধ তুলতে গেলে পুলিশের সঙ্গে বচসায় জড়ান বিক্ষোভকারীরা। এরপরে পুলিশের সঙ্গে ব্যাপক খণ্ডযুদ্ধ বেঁধে যায় অবরোধকারীদের। এর আগের দু’দিনও সুতি, সামশেরগঞ্জ, রঘুনাথগঞ্জ এলাকায় দফায় দফায় বিক্ষোভ চলেছিল ওয়াকফ সংশোধনীর বিরুদ্ধে। সেসময়ও উত্তপ্ত হয়ে ওঠে পরিস্থিতি। পুলিশকে লক্ষ্য করে চলে ব্যাপক ইটবৃষ্টি। আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয় একের পর এক পুলিশের গাড়িতে। উন্মত্ত জনতার আক্রমণে ২ জন পুলিশকর্মী আহত হন বলে খবর মিলেছে। এর ফলেই দীর্ঘক্ষণ অবরুদ্ধ হয়ে পড়ে জাতীয় সড়ক। সন্ধ্যার পরে বিশাল পুলিশবাহিনী মোতায়েন করা হয়। এরপর টিয়ার গ্যাসের সেল ফাটিয়ে তাণ্ডবকারীদের রাস্তা থেকে কোনওভাবে সরানো হয়। প্রায় ২ ঘণ্টা ধরে চলে খণ্ডযুদ্ধ।

  • Nabanna Abhijan: চিঁড়ে ভিজল না মুখ্যমন্ত্রীর আশ্বাসে, ২১ এপ্রিল নবান্ন অভিযানের ডাক বঞ্চিত চাকরি প্রার্থীদের

    Nabanna Abhijan: চিঁড়ে ভিজল না মুখ্যমন্ত্রীর আশ্বাসে, ২১ এপ্রিল নবান্ন অভিযানের ডাক বঞ্চিত চাকরি প্রার্থীদের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মুখ্যমন্ত্রীর আশ্বাসে কাজ হল না! তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কথায় আর ভিজল না চিঁড়ে। তাই এবার নবান্ন অভিযানের (Nabanna Abhijan) ডাক দিলেন বঞ্চিত চাকরি প্রার্থীদের একটা বড় অংশ। ২১ এপ্রিল হবে অভিযান (Suvendu Ahdikari)। তাঁদের দাবি, তাঁদের সঙ্গে দেখা করতে হবে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে। বঞ্চিত চাকরিপ্রার্থীদের অভিযানে যোগ দেওয়ার কথা ঘোষণা করল ‘পশ্চিমবঙ্গ ছাত্র সমাজ’ও। আরজি করকাণ্ডের প্রতিবাদে নবান্ন অভিযান করেছিল এই সংগঠন। বঞ্চিত চাকরি প্রার্থীদের এই অভিযানে তারা পাশে চেয়েছে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা তথা নন্দীগ্রামের বিধায়ক শুভেন্দু অধিকারিকেও। এই অভিযানে যোগ দিচ্ছে সরকারি চাকরিজীবীদের সংগঠন ‘সংগ্রামী যৌথমঞ্চ’। এই মঞ্চ রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে আন্দোলন করছে ডিএর দাবিতে।

    শুভেন্দুর সঙ্গে সাক্ষাৎ (Nabanna Abhijan)

    জানা গিয়েছে, সোমবার বিধানসভায় শুভেন্দুর সঙ্গে দেখা করতে যান চাকরিহারাদের একাংশ। তখনই রাজ্যের বিরোধী দলনেতা তাঁদের এই নবান্ন অভিযানে পাশে থাকার আশ্বাস দেন। যদিও চাকরিহারাদের তরফে এখনও এ বিষয়ে সরকারিভাবে কিছু জানানো হয়নি। শুভেন্দু বলেন, “১৫ এপ্রিলের মধ্যে যোগ্যদের তালিকা প্রকাশ না হলে লাখো মানুষ পতাকা ছাড়াই নবান্নের দিকে পা বাড়াবে।” নবান্ন অভিযানের ডাক দিয়েছেন ২০০৯ সাল থেকে নিয়োগ প্রক্রিয়ায় যাঁরা বঞ্চিত হয়েছেন, তাঁদের ১২টি সংগঠন। সংগঠনগুলির একাংশের দাবি, সুপ্রিম কোর্টের রায়ে এসএসসির চাকরিহারারাও নবান্ন অভিযানে তাদের পাশে থাকবে। মঙ্গলবার ওই অভিযানে যোগ দেওয়ার কথা ঘোষণা করল পশ্চিমবঙ্গ ছাত্র সমাজও (Nabanna Abhijan)।

    ‘আমরা চাকরিহারা শিক্ষকদের পাশে দাঁড়াব’

    পশ্চিমবঙ্গ ছাত্র সমাজের সদস্য সায়ন লাহিড়ি বলেন, “ভারতে গুরুশিষ্য পরম্পরা অতি প্রাচীন। আমরা হাজার হাজার চাকরিহারা শিক্ষকদের পাশে দাঁড়াব। এটা আমাদের কর্মসূচি নয়। পশ্চিমবঙ্গ ছাত্র সমাজের পক্ষ থেকে ছাত্র সমাজকে পাশে দাঁড়ানোর অনুরোধ করছি।” আরজি করকাণ্ডের প্রতিবাদে গত অগাস্টে নবান্ন অভিযান করেছিল পশ্চিমবঙ্গ ছাত্র সমাজ। সেবার পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষ হয়েছিল অভিযানকারীদের। গ্রেফতার করা হয়েছিল ছাত্র সমাজের সদস্য সায়নকে। পরে হাইকোর্ট জামিন দেয় সায়নকে। সেই রায়কে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিল রাজ্য সরকার। সেখানেও রায় হয় জামিনের পক্ষেই। এদিকে, নবান্ন অভিযানে পুলিশের বিরুদ্ধে দমনপীড়নের অভিযোগ (Suvendu Ahdikari) তুলে পরের দিন বাংলা বনধের ডাক দিয়েছিল বিজেপি (Nabanna Abhijan)।

  • Mamata SSC Jobless Meet: যোগ্য কারা? কীভাবে আলাদা করা হল অযোগ্যদের? মমতার বৈঠক নিয়ে প্রশ্ন বিজেপির

    Mamata SSC Jobless Meet: যোগ্য কারা? কীভাবে আলাদা করা হল অযোগ্যদের? মমতার বৈঠক নিয়ে প্রশ্ন বিজেপির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এসএসসি নিয়োগ কেলেঙ্কারির জেরে বাতিল হয়েছে ২০১৬ সালের নিয়োগ প্যানেল। তার পরেই রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে পুঞ্জীভূত হতে থাকে অসন্তোষের আগুন। সেই আগুনের আঁচ যাতে আগামী বিধানসভা নির্বাচনে না পড়ে, তাই সোমবার নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়ামে চাকরি হারানো শিক্ষক-অশিক্ষক কর্মীদের সঙ্গে বৈঠকে বসলেন মুখ্যমন্ত্রী তথা তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata SSC Jobless Meet)। এই বৈঠকের উদ্দেশ্য নিয়েই প্রশ্ন তুললেন বিজেপির (BJP) রাজ্য সভাপতি তথা কেন্দ্রীয় শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী সুকান্ত মজুমদার।

    সুকান্তর বক্তব্য

    তিনি বলেন, “যোগ্য-অযোগ্যদের মিলিয়ে দিতেই এই বৈঠক ডাকা হয়েছে। সরকার চাইলে যোগ্য-অযোগ্যদের অনেক আগেই আলাদা করতে পারত।” তিনি বলেন, “প্রথম থেকেই তৃণমূল পরিচালিত রাজ্য সরকারের উদ্দেশ্য হচ্ছে দুধ আর জলকে মিলিয়ে দিতে হবে। আজকের মিটিংয়ের উদ্দেশ্যও তাই। কোনওভাবেই যেন আলাদা করা না যায়। গন্ডগোলটা তো ওখানেই হচ্ছে। যোগ্যদের সঙ্গে অযোগ্যদেরও ডাকা হয়েছে (Mamata SSC Jobless Meet)। এই অযোগ্যরা তৃণমূল নেতাদের টাকা দিয়ে চাকরি পেয়েছে।” মন্ত্রী বলেন, “সরকার চাইলে কারা টাকা দিয়ে চাকরি পেয়েছে আর কারা মেধার ভিত্তিতে চাকরি পেয়েছে, সেই তালিকা আদালতের সামনে আনতে পারত। সরকার এখনও তা আনেনি। তাদের উদ্দেশ্য, হয় ব্যাপারটাকে ঘেঁটে দাও, যোগ্য-অযোগ্যদের মিলিয়ে দাও, যাতে কেউ ধরা না পড়ে। অথবা পুরো প্যানেলটাই বাতিল হয়ে যাক, যাতে কারও ঘাড়ে দোষ না পড়ে। যোগ্য-অযোগ্য আলাদা করলেই বিপদ। তাহলে যারা টাকা দিয়েছে, তারা টাকা ফেরত চাইবে।”

    গেট পাস নিয়ে গুচ্ছ প্রশ্ন

    এদিন নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়ামের বৈঠকে যোগ দিতে দেখাতে হয়েছে গেট পাস। তাতে লেখা ‘আমরা যোগ্য’। কোন নিরিখে যাদের গেট পাস দেওয়া হয়েছে তারা যোগ্য, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। যেমন প্রশ্ন উঠছে, এই গেট পাস কে ইস্যু করেছে? কারাই বা দিয়েছে? গেট পাস দেওয়া হয়েছে ৭ হাজার ১৪৪জনকে। অথচ চাকরি খুইয়েছেন প্রায় ২৬ হাজার শিক্ষক-অশিক্ষক কর্মী। বিরোধীদের প্রশ্ন, তাহলে হাইকোর্ট যাদের অযোগ্য বলে দাগিয়ে দিয়েছিল, তারাই কি এদিনের বৈঠকে (Mamata SSC Jobless Meet) ডাক পেয়েছিলেন? পেয়েছিলেন ‘আমরা যোগ্য’ লেখা গেট পাস? রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী বলেন, “এরা কেউ প্রকৃত মেধাযুক্ত শিক্ষক-শিক্ষিকা বা শিক্ষাকর্মী নয়। এরাই চব্বিশে ভোট করেছে, ভোট লুটের কাজও করেছে। ডায়মন্ড হারবারে তো টেন্টেড শিক্ষক-শিক্ষাকর্মীদের দিয়ে ভোট করানো হয়েছে। ওখানে সাত লক্ষ ভোট পাওয়া নিয়ে তো আমি আরটিআই-ও করেছিলাম। কিন্তু এখনও উত্তর মেলেনি। এবার আমি ভোটে আদালতে যাব।”

    তৃণমূল পার্টি অফিস থেকে পাস বিলি!

    শুভেন্দুর (BJP) দাবি, “তৃণমূল পার্টি অফিস থেকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে চাকরিহারাদের সভার পাস বিলি হয়েছে।” এদিন বিধানসভার বাইরে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে তিনি বলেন, “মুখ্যমন্ত্রী যোগ্যদের বৈঠকে ডেকেছিলেন। কিন্তু এদিন মাত্র ৭ হাজার পাস বিলি হয়েছে। তার মানে ১৮ হাজারকে অযোগ্য ঘোষণা করেছেন মমতা।” রাজ্যের বিরোধী দলনেতার দাবি, এই কেলেঙ্কারির সঙ্গে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পরিবারও জড়িত। তিনি বলেন, “মুখ্যমন্ত্রী নন, উনি তৃণমূল নেত্রী। মুখ্যমন্ত্রী বৈঠক ডাকলে ২৬ হাজার জনকেই বৈঠকে ডাকতেন। মুখ্যমন্ত্রী মানবিক নন। উনি ৭ হাজার জনের জন্য পাস জারি করেছেন। কাদাপাড়ায় তৃণমূল দফতর থেকে পাস বিলি করা হয়েছে। এরা সবাই তৃণমূলের গুন্ডা।” শুভেন্দু বলেন, “৭ হাজার পাস বিলি করে বলছে আমরা যোগ্যদের ডেকেছি (Mamata SSC Jobless Meet)। তার মানে ১৮ হাজার অযোগ্য। এই তালিকাটা কেন সুপ্রিম কোর্টে দিয়ে দিল না?”

    দম্ভ না দেখালে ২৬ হাজারের এই পরিণতি হত না! 

    রাজ্যের বিরোধী দলনেতা বলেন, “অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় ২০২২ সালে সাড়ে পাঁচ হাজার অবৈধ বলেছিলেন। সেদিন যদি দম্ভ-ঔদ্ধত্য না দেখিয়ে স্বীকার করে নিত, তাহলে আজ ২৬ হাজারের এই পরিণতি হত না।” তিনি বলেন (BJP), “কলকাতা হাইকোর্টের রায়কে চ্যালেঞ্জ করতে সুপ্রিম কোর্টে করের ২০০ কোটি টাকা খরচ করেছে। এই টাকা খরচ করা হয়েছে এই সাড়ে ৫ হাজার অযোগ্যকে বাঁচাতে। সেই টাকা তুলেছে ভাইপো। সেটা বলে দিয়েছে সুজয় কৃষ্ণ ভদ্র। যিনি লিপস অ্যান্ড বাউন্ডসের এমডি। এই সংস্থারই অন্যতম ডিরেক্টর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ভাই অমিত বন্দ্যোপাধ্যায়।”

    প্রসঙ্গত, যোগ্যদের ভিড়ে যে অযোগ্যরাও লুকিয়ে রয়েছে, এদিন তা স্পষ্ট হয়ে গিয়েছে মুখ্যমন্ত্রীর কথায়ও। তিনি বলেন, “আগে যোগ্যদের বিষয়টি মিটে যাক। তারপর যাদের অযোগ্য বলা হচ্ছে, তাদের বিরুদ্ধে কী কী তথ্য আছে আমি দেখব। সব কাগজপত্র তদন্ত করে দেখব। সত্যি যদি তারা অযোগ্য বলে প্রমাণিত হয়, তখন (BJP) আর আমার কিছু করার থাকবে না (Mamata SSC Jobless Meet)।”

  • Ram Navami: ‘‘যারা পাথর ছুড়েছিল, তাদের বুকের ওপর দাঁড়িয়ে রামনবমী করছি’’, হাওড়াতে হুঙ্কার সুকান্তর

    Ram Navami: ‘‘যারা পাথর ছুড়েছিল, তাদের বুকের ওপর দাঁড়িয়ে রামনবমী করছি’’, হাওড়াতে হুঙ্কার সুকান্তর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশ মতো ধাতব অস্ত্র ছাড়াই সম্পন্ন হয় হাওড়ায় রামনবমীর (Ramnavami 2025) মিছিল। মিছিলের আয়োজন করেছিল অঞ্জনিপুত্র সেনা। সেখানেই যোগ দিয়েছিলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি তথা সাংসদ সুকান্ত মজুমদার। সেই মিছিল থেকেই বিরোধীদের কার্যত হুঙ্কার দিলেন তিনি। তিনি বললেন, অতীতে যাঁরা তাঁদের মিছিলে বাধা দিয়েছিল, আজ তাঁদেরই বুকের ওপর দাঁড়িয়ে রামনবমী পালন করছেন তাঁরা!

    সুকান্ত মজুমদারের হুঁশিয়ারি (Ramnavami 2025)

    প্রসঙ্গত, সকাল থেকেই রাজ্যের নানা প্রান্তে রামনবমীর মিছিল বের হয়। সব মিলিয়ে রবিবার কার্যত গেরুয়া রঙে ছেয়ে গিয়েছে গোটা রাজ্য। অনেক জায়গার মতো হাওড়াতেও এদিন রামনবমীর মিছিল হয় এবং তাতেই যোগ দিয়েছিলেন সুকান্ত মজুমদার। গতবারই এই অঞ্চলে মিছিলে হামলার ঘটনা ঘটেছিল। সেই প্রসঙ্গ টেনেই তিনি বলেন, ‘‘গতবার যারা পাথর মেরেছিল, এবার তাদের বুকের ওপর দিয়ে হেঁটে আমরা রামনবমী করেছি। আমাদের যারা বাধা দেবে তাদের উচিত শিক্ষা এভাবেই দেওয়া হবে।’’

    নিশানা তৃণমূল কংগ্রেসকে

    অন্যদিকে রামনবমীর মিছিলে এবারেও সওকত মোল্লা ও কুণাল ঘোষদের হাঁটতে দেখা যায়। এনিয়ে সুকান্তর কটাক্ষ, ‘‘ভোটব্যাঙ্কের জন্য রামনবমী পালন করতে হচ্ছে শাসক শিবিরকে। এমনি সময় তো জয় শ্রীরাম স্লোগানে তাঁদের সমস্যা হয়। তবে আমরা শুরু থেকেই হিন্দু এবং রামনবমী পালন করে আসছে।’’ বিজেপি (Ramnavami 2025) নেতার কথায়, তিনি পাগল হিন্দু! যতদিন শরীরে শক্তি থাকবে, প্রতিবছর রামনবমী পালন করবেন।

    পুলিশের ওপর ভরসা নেই সুকান্তর (Sukanta Majumder)

    সুকান্ত অবশ্য পুলিশের ওপর বিশেষ ভরসা রাখতে পারেননি বলে জানিয়েছেন। তাঁর কথায়, ‘‘মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে পুলিশ আমাদের থামাতে চায়। অথচ আমরা দেশের আইন মেনেই চলি। হাইকোর্টের নির্দেশ মেনেই মিছিল হচ্ছে। তবুও অনেক জায়গায় পুলিশ আটকানোর চেষ্টা করেছে তাঁদের।’’ তাঁর অভিযোগ, ‘‘সরকার সবসময় রাজনৈতিক স্বার্থে কাজ করে।’’ প্রসঙ্গত, রামনবমী নিয়ে কয়েকদিন ধরেই চাপানউতোর চলছে রাজ্যের শাসক দল ও বিরোধী দলের সদস্যদের মধ্যে। এই আবহে রাজ্যজুড়ে রামনবমীর মিছিলে ঢল নামতে দেখা গেল।

  • Ram Navami: নিষেধাজ্ঞা উড়িয়েই যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে হল রামের পুজো, ইফতার পার্টির বদলি!

    Ram Navami: নিষেধাজ্ঞা উড়িয়েই যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে হল রামের পুজো, ইফতার পার্টির বদলি!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গতবার রামনবমী (Ram Navami) পালনের অনুমতি দিয়েও, পরে তা প্রত্যাহার করা হয়েছিল। আর এবার অনুমতিই মেলেনি। তবে রামনবমী পালন করতে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ ছিলেন হিন্দু পড়ুয়াদের একটা বড় অংশ। রবিবার তাঁরাই যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় (Jadavpur University) ক্যাম্পাসে রামনবমী পালন করলেন ঘটা করে। রীতিমতো রামচন্দ্রের প্রতিমা বসিয়ে পুজোও হল। বিশ্ববিদ্যালয়ের টেকনোলজি ভবনের নীচে দেওয়ালে লেখা ‘আজাদ কাশ্মীর’। তার পাশেই ব্যানার টাঙিয়ে দিল ছাত্রছাত্রীরা। বিশ্ববিদ্যালয় চত্বর মুখরিত হল ‘জয় শ্রীরাম’, ‘ভারত মাতা কী জয়’ স্লোগানে।

    রামের পুজো (Ram Navami)

    বিশ্ববিদ্যালয় চত্বরে রামনবমী পালনের জন্য কর্তৃপক্ষের কাছে অনুমতি চেয়েছিলেন উদ্যোক্তারা। উপাচার্য নেই, এই ‘অজুহাতে’ অনুমতি দেওয়া হয়নি বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের তরফে। তখনই হিন্দু ছাত্রগোষ্ঠী প্রশ্ন তুলেছিল, বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে যদি ইফতার পার্টির আয়োজন করা যায়, তাহলে রামনবমী পালন করা যাবে না কেন? সেই সময়ই তারা জানিয়েছিল, কর্তৃপক্ষের অনুমতি ছাড়াই ক্যাম্পাসে হবে রামের পুজো। সেই মতো এদিন সকাল থেকেই বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে ভিড় করেছিলেন পড়ুয়ারা। ছিলেন বেশ কয়েকজন শিক্ষক-অশিক্ষক কর্মী। সবার উপস্থিতিতেই পুজো হয় রামের।

    এবিভিপির বক্তব্য

    এবিভিপির কলকাতা জেলা সম্পাদক দেবাঞ্জন পাল বলেন, “ইফতার পার্টির আয়োজন করা গেলে ক্যাম্পাসে রামনবমী পালন করা যাবে না কেন?” তাঁর অভিযোগ, ‘ইফতার পার্টিতে কোনওরকমের নিরাপত্তার তোয়াক্কা না করেই সবাইকে ক্যাম্পাসে ঢুকতে দেওয়া হয়েছিল। আর এদিন আইকার্ড দেখে ভেতরে ঢুকতে দেওয়া হয়েছে।’ তিনি বলেন, “আমরা তো শুধু আমাদের আরাধ্য ভগবান রামের (Ram Navami) আরাধনা করেছি। যাদবপুর তো পশ্চিমবঙ্গের বাইরে নয়! এখানে যদি ইফতার বা সরস্বতী পুজো হতে পারে, তাহলে রামের পুজো নয় কেন?” এবিভিপির দক্ষিণবঙ্গের রাজ্য সম্পাদক অনিরুদ্ধ সরকার বলেন, “এর আগের বছরও আমরা শোভাযাত্রা করতে গিয়েছিলাম। বামেরা হামলা করেছিল। আমরা প্রতিজ্ঞাবদ্ধ ছিলাম, যা-ই হোক না কেন, এবার আমরা করবই। করেওছি।”

    বামঘেঁষা যাদবপুরে সফলভাবে রামের পুজো হওয়ার ঘটনাটিকে বিশেষজ্ঞরা ‘সার্জিক্যাল স্ট্রাইক’ বলে অভিহিত করেছেন (Jadavpur University)। তাঁদের বক্তব্য, ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের ছাত্রছাত্রীদের (Ram Navami) একটা অংশের মধ্যে এবিভিপির প্রভাব রয়েছে। এবার সেটাকেই সংগঠিত রূপ দিতে পেরেছে তারা।

  • Ram Navami: “প্রেতাত্মাদের রামের নাম সহ্য হয় না,” নাম না করে মুখ্যমন্ত্রীকে নিশানা সজল ঘোষের  

    Ram Navami: “প্রেতাত্মাদের রামের নাম সহ্য হয় না,” নাম না করে মুখ্যমন্ত্রীকে নিশানা সজল ঘোষের  

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রামনবমী (Ram Navami) উৎসব উপলক্ষে ব্যাপক উন্মাদনা রাজ্যে। রবিবার রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় প্রচুর মিছিল বেরনোর কথা। এদিন মধ্য হাওড়ার রামরাজাতলায় রামনবমীর শোভাযাত্রা (BJP) বের হয়। এই শোভাযাত্রার পুরোভাগে ছিলেন বিজেপি নেতা সজল ঘোষ।

    অস্ত্র মিছিলের পক্ষে সওয়াল সজলের (Ram Navami)

    রামনবমীতে অস্ত্র মিছিলের পক্ষে সওয়াল করেন তিনি। বলেন, “কোনও কোনও সময় ধর্মকে রক্ষা করতে অস্ত্র হাতে তুলে নেওয়ার প্রয়োজন পড়ে।” তৃণমূলকে নিশানা করে তিনি বলেন, “মানুষের মনে দাঙ্গার বীজ বপন করে দেওয়া হয়েছে।” মুখ্যমন্ত্রীর নাম না করেই তিনি বলেন, “তোষণের রাজনীতিই ওঁর কাল হবে। প্রেতাত্মাদের রামের নাম সহ্য হয় না।” এদিন সকালে মধ্য হাওড়ার কদমতলা এলাকা থেকেও একটি মিছিল হয় রামনবমী। মিছিল আসে রামরাজাতলায়, রামমন্দির পর্যন্ত।

    কী বললেন দিলীপ ঘোষ?

    রামনবমীতে অস্ত্র নিয়ে বেরলে কোনও সমস্যা নেই বলেই মনে করে বিজেপির প্রাক্তন রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। তিনি বলেন, “রামনবমীতে অস্ত্র নিয়ে বেরবো, এতে সমস্যা কোথায়…ভগবান রামের ছবি তো অস্ত্র ছাড়া হয় না। ভগবান অস্ত্র নিয়ে না বেরলে এত রাক্ষসকে মারলেন কীভাবে?” তিনি বলেন, “নতুন রাক্ষসরা অস্ত্র দেখে ভয় পাচ্ছে। ভয় পাওয়ার কারণ নেই। বিনা কারণে অস্ত্র বেরোবে না।” তিনি বলেন, “রামের নামেই মুক্তি। তাই সকলে জয় শ্রীরাম বলুন। রামনবমী হলে অনেকের বুক দুরদুর করে। যাদের বুক দুরদুর করে, তারা যেন রাস্তায় না বের হয়।” দিলীপ বলেন, “রামের ইচ্ছেতেই এই জাগরণ।”

    অন্যদিকে, রামনবমী (Ram Navami) উপলক্ষে এদিন দেড় কোটি হিন্দুকে রাস্তায় নামার ডাক দিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। ছোটবড় মিলিয়ে এদিন রাজ্যে প্রায় আড়াই হাজার শোভাযাত্রা বের হওয়ার কথা। স্পর্শকাতর এলাকাগুলিতে ব্যাপক পুলিশি প্রহরার ব্যবস্থা করা হয়েছে। সংবেদনশীল বলে চিহ্নিত করা হয়েছে ১০ পুলিশ জেলা ও পুলিশ কমিশনারেটকে। এই সব এলাকার দায়িত্বে থাকছেন ২৯ জন আইপিএস। বড় মিছিলগুলির ওপর নজরদারি চালানো হবে ড্রোন দিয়ে। বিশেষ কন্ট্রোল রুম থেকে পরিস্থিতি তদারকি (Ram Navami) করবেন খোদ এডিজি আইনশৃঙ্খলা জাভেদ শামিম (BJP)।

  • Anti Hindu Attacks: শুধু মার্চেই ৮ জায়গায় হামলা! মমতা জমানায় এপার বাংলায়ও বাড়ছে মন্দির-মূর্তি ধ্বংসের ঘটনা

    Anti Hindu Attacks: শুধু মার্চেই ৮ জায়গায় হামলা! মমতা জমানায় এপার বাংলায়ও বাড়ছে মন্দির-মূর্তি ধ্বংসের ঘটনা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বাংলাদেশে হিন্দু নির্যাতনের ঢেউ আছড়ে পড়েছে পশ্চিমবঙ্গেও (Anti Hindu Attacks)! এখানেও নির্বিচারে ভাঙচুর করা হচ্ছে হিন্দুদের (West Bengal) মন্দির-বিগ্রহ। বিরোধীদের অভিযোগ, এ রাজ্যে আইন-শৃঙ্খলা ভেঙে পড়েছে। হিন্দু সম্প্রদায়ের ওপর হামলা চলছে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বাধীন তৃণমূল কংগ্রেস সরকার এই হিংসা নিয়ন্ত্রণ করতে হিমশিম খাচ্ছে। হিন্দুদের উপাসনালয়, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান এবং বাড়িঘরে অগ্নিসংযোগ, ভাঙচুর এবং হামলার ঘটনা ঘটছে। যার সাম্প্রতিকতম উদাহরণ মালদার মোথাবাড়ি। অভিযোগ, সেখানে পুলিশ গিয়ে হিন্দু মহিলাদের বলছেন শাঁখা-পলা খুলে ফেলতে, কালো কাপড়ে মুখ ঢাকতে। তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের তোষণ নীতি, পুলিশি নিষ্ক্রিয়তা এবং হিংসা মোকাবিলায় ব্যর্থতার কারণে পরিস্থিতি দিন দিন আরও খারাপ হচ্ছে। চলতি বছরের মার্চেই এ রাজ্যে হিন্দু সম্প্রদায়ের ওপর হামলার ঘটনা ঘটেছে আটটি। এই তালিকায় রয়েছে মোথাবাড়িও। আসুন, দেখে নেওয়া যাক গত মাসে কোথায় কোথায় আক্রান্ত হয়েছে হিন্দুদের দেবালয়।

    বারুইপুরে মূর্তি পোড়ানোর অভিযোগ (Anti Hindu Attacks)

    ৭ মার্চ দক্ষিণ ২৪ পরগনার বারুইপুর শহরে মা শীতলার মূর্তি ভাঙচুর করা হয়। পরে তাতে আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয়। খবরে প্রকাশ, শেখ ইন্দু নামে এক ব্যক্তি মূর্তিটি ভাঙচুর করে আগুন লাগিয়ে দেয় বলে অভিযোগ। সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হওয়া ছবিতে দেখা গিয়েছে, মূর্তিটি পুড়ে খাক হয়ে গিয়েছে। যে মন্দিরে মূর্তিটি ছিল, ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে সেটিও। স্থানীয় বাসিন্দারা অভিযুক্ত শেখকে আটক করে পুলিশে খবর দেয়। পরে পুলিশ তাকে নিয়ে যায়। এদিনই এক ট্যুইট-বার্তায় বারুইপুর পুলিশ জানায়, আটক ব্যক্তি বহিরাগত। তার মানসিক স্বাস্থ্যের সমস্যা রয়েছে। ওই ট্যুইটে তাকে অসুস্থ মস্তিষ্কের ব্যক্তি বলে উল্লেখ করা হয়। পুলিশ জানিয়েছে, মামলা দায়ের হয়েছে। শুরু হয়েছে তদন্ত।

    নওদায় হিন্দুদের দোকান ও সম্পত্তি ভাঙচুর

    এর ঠিক দুদিন পরেই মুর্শিবাদের (West Bengal) নওদায় হিন্দুদের দোকান ও সম্পত্তির ওপর হামলা হয়। গত ৯ মার্চ রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী এক্স হ্যান্ডেলে জানান, পশ্চিমবঙ্গের মুর্শিদাবাদ জেলার নওদা ব্লকের পাটিকাবাড়ি বাজারে হিন্দুদের দোকান ও সম্পত্তিতে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করা হয়েছে। ট্যুইট-বার্তায় তিনি লেখেন, “কয়েক ঘণ্টা আগে, অপরাধীরা মুর্শিদাবাদ জেলার নওদা ব্লকের পাটিকাবাড়ি বাজারে হিন্দুদের দোকান ও সম্পত্তি ভাঙচুর করে আগুন লাগিয়ে দেয়।” তিনি পশ্চিমবঙ্গ পুলিশ ও মুখ্য সচিবের হস্তক্ষেপ চেয়ে দ্রুত শান্তি-শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনার জন্য বাহিনী মোতায়েনের দাবি জানান। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে শুভেন্দু বিএসএফ মোতায়েনের দাবিও জানান। তিনি বলেন, “যদি পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে না আসে, তাহলে আমি অনুরোধ করব, মাননীয় রাজ্যপালকে বিএসএফ পার্সোনাল মোতায়েনের অনুরোধ করুন, যাতে শীঘ্রই আইন-শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনা যায় এবং স্বাভাবিক অবস্থা ফিরিয়ে আনা যায়।”

    বসিরহাটে কালী মন্দিরে হামলা

    এই ৯ মার্চ উত্তর ২৪ পরগনার (Anti Hindu Attacks) বসিরহাট শহরের শাঁখচূড়া বাজারে একটি কালী মন্দিরে হামলার খবর প্রকাশিত হয়। এক্স হ্যান্ডেলে এ নিয়ে একটি পোস্ট করেন বিজেপির প্রাক্তন রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। তার পরেই ঘটনাটি আসে প্রকাশ্যে। তিনি জানান, হিন্দু দেবতার মূর্তি ভাঙচুর করা হয়েছে। তাঁর অভিযোগ, স্থানীয় তৃণমূল নেতা শাহানূর মণ্ডলের নেতৃত্বে ওই মন্দিরে হামলা চালানো হয়েছে। এর ঠিক কয়েক ঘন্টা পরেই পুলিশের তরফে সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে জানিয়ে দেওয়া হয়, এই ঘটনায় কোনও সাম্প্রদায়িক ব্যাপার নেই। কালী মূর্তি ভাঙচুরের জন্য অভিযুক্ত ব্যক্তির মানসিক স্বাস্থ্য সমস্যা রয়েছে।

    নন্দীগ্রামে মন্দিরে মূর্তি ভাঙচুর

    ১৪ মার্চ পূর্ব মেদিনীপুরের নন্দীগ্রাম ২ ব্লকের কামালপুরের একটি হিন্দু মন্দিরে দেবদেবীর মূর্তি ভাঙচুরের অভিযোগ ওঠে। বিজেপির জাতীয় মুখপাত্র অমিত মালব্য এক্স হ্যান্ডেলে একটি পোস্টের মাধ্যমে ঘটনাটি জনসমক্ষে আনেন। ওই পোস্টে ভাঙচুর করা মূর্তির একটি ভিডিও-ও জোড়া ছিল। মালব্যর অভিযোগ, কিছু ব্যক্তি পূজা ও রাম নারায়ণ কীর্তন সহ্য করতে না পেরে মন্দিরে ভাঙচুর চালায় এবং মূর্তির অবমাননা করে। তিনি পরিস্থিতির গুরুত্বও তুলে ধরেন। পোস্টের ওই ভিডিওয় দেখা যায়, এক ব্যক্তি পুলিশের নিষ্ক্রিয়তা নিয়ে হতাশা প্রকাশ করে বলছেন যে তারা কিছুই (West Bengal) করছে না। ভিডিওতে আরও দেখা যায়, ভাঙচুর করা মূর্তির ভিডিও যিনি বানাচ্ছিলেন, একজন পুলিশ অফিসার তাঁকে ভয় দেখাচ্ছেন।

    শিরোনামে মোথাবাড়িও

    ২৭ মার্চ মোথাবাড়ি গ্রামে ব্যাপক হিংসা হয়। অভিযোগ, মুসলিম জনতা হিন্দুদের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ও বাড়িগুলিকে টার্গেট করেছিল (Anti Hindu Attacks)। বিজেওয়াইএম নেতা অচিন্ত্য মণ্ডলের শেয়ার করা একটি ভিডিও-সহ প্রত্যক্ষদর্শীদের বিবরণে ধ্বংসযজ্ঞের বর্ণনা দেওয়া হয়েছে। এক হিন্দু মহিলা ঘটনার বর্ণনা দিতে গিয়ে বলেন, “মুসলিমরা হিন্দুদের বাড়িঘর ধ্বংস করেছে।ভয়ে আমরা লুকিয়েছিলাম।” তাঁর অভিযোগ, বাড়িঘর ও দোকানপাট ভাঙচুর করার পর টাকা-পয়সা ও জিনিসপত্রও লুট করা হয়েছে। তিনি বলেন, “পুলিশ তাদের প্রাণ নিয়ে দৌড়েছে। তারা আমাদের বাঁচায়নি।”

    আর এক হিন্দু মহিলার দাবি, তাঁদের ধর্মীয় পরিচয় গোপন করতে বাধ্য করা হচ্ছে। তিনি বলেন, “আমাদের শাঁখা-পলা খুলে হিজাবের মতো মাথা ঢাকতে হচ্ছে। আমরা অনিচ্ছা সত্ত্বেও তা করতে বাধ্য হচ্ছি।” তাঁর অভিযোগ, নারীদের অপহরণ ও নির্যাতন করা হচ্ছে। হিন্দুদের বাড়ি লক্ষ্য করে অবিরাম পাথর ছোড়া হচ্ছে। হিন্দু নারীরা কোনও দাবি মানতে না চাইলে শিশুদের অপহরণ ও হত্যার হুমকিও দেওয়া হচ্ছে।

    ঝাউবোনায় হিন্দুদের ওপর অত্যাচার

    ২৯ মার্চ বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার এক্স হ্যান্ডেলে কয়েকটি ভিডিও ফুটেজ শেয়ার করে মুর্শিদাবাদের ঝাউবোনায় হিন্দুদের (Anti Hindu Attacks) ওপর হামলার অভিযোগ তোলেন। তাঁর দাবি, হিন্দুদের মালিকানাধীন সুপারি বাগানে আগুন দেওয়া হয়েছে এবং দোকান লুট করা হয়েছে। এই ঘটনাগুলিকে তিনি জিহাদি মবস দ্বারা সংঘটিত হিংসা হিসেবে বর্ণনা করেছেন। ট্যুইট-বার্তায় তিনি বলেন, “মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের তোষণ নীতির অধীনে হিন্দুদের ওপর আর একটি ভয়ঙ্কর হামলা! মোথাবাড়ি হাঙ্গামার পর জিহাদি মবস ঝাউবোনা, নওদা (মুর্শিদাবাদ)-এ সন্ত্রাস ছড়িয়েছে। অন্ধকারের আড়ালে তারা ইচ্ছাকৃতভাবে হিন্দুদের সুপারি বাগানে আগুন ধরিয়ে দেয়, ঝাউবোনা ও ত্রিমোহিনী বাজারের দোকান লুটপাট করে এবং নিরীহ হিন্দুদের আক্রমণ করে।”

    দক্ষিণ দিনাজপুর মন্দিরে ভাঙচুর

    ৩০ মার্চ সুকান্ত ফের এক্স হ্যান্ডেলে একটি পোস্ট করেন। সেখানে তিনি দক্ষিণ দিনাজপুরের কেশবপুর গ্রামের একটি হিন্দু মন্দিরে ভাঙচুর করা হয়েছে বলে অভিযোগ করেন। সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রকাশিত ছবিগুলিতে দেখা গিয়েছে, মন্দির চত্বরে শীতলা মায়ের মূর্তি ভাঙচুর করা হয়েছে। ট্যুইট-বার্তায় তিনি লেখেন, “দক্ষিণ দিনাজপুরের (West Bengal) জাহাঙ্গিরপুর অঞ্চলের কেশবপুরে শ্রী শ্রী শীতলা মায়ের মন্দিরের ধ্বংসস্তূপ দেখুন। রাতের আড়ালে মন্দিরটি ভাঙচুর করা হয়েছে। মায়ের মূর্তিটি এমনভাবে ভেঙে ফেলা হয়েছে যা বাংলাদেশের মৌলবাদী জিহাদিদের কথা স্মরণ করিয়ে দেয় (Anti Hindu Attacks)।”

  • Ram Navami: মমতা জমানায় রামনবমী পালনে বাধা? মূর্তি তৈরিতে ভয় পাচ্ছেন শিল্পীরা, বিধিনিষেধে জেরবার উদ্যোক্তারা

    Ram Navami: মমতা জমানায় রামনবমী পালনে বাধা? মূর্তি তৈরিতে ভয় পাচ্ছেন শিল্পীরা, বিধিনিষেধে জেরবার উদ্যোক্তারা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাত পোহালেই রামনবমী। দেশ জুড়ে ভক্তরা মেতে উঠবেন শ্রী রামের আরাধনায় (Ram Navami)। পশ্চিমবঙ্গের রামনবমী নিয়েও চড়ছে রাজনীতির পারদ। এই আবহে মমতা প্রশাসনের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠছে রামনবমীর শোভাযাত্রায় বাধা দেওয়ার। স্বরাজ্য পত্রিকায় প্রকাশিত প্রতিবেদন অনুযায়ী, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee) সরকার হিন্দু সংগঠনগুলির ওপর ব্যাপক বিধিনিষেধ জারি করেছে রামনবমী পালনের বিষয়ে। এক বিশ্ব হিন্দু পরিষদের কর্মীর কথায়, ‘‘পশ্চিমবঙ্গ সরকার কখনও চায় না যাতে আমরা রামনবমী পালন করতে পারি।’’

    হুমকি-হুঁশিয়ারি কুমোরটুলিতে! কী বলছেন শিল্পী?

    এদিকে হুমকি ও ভয়ের কারণে কুমোরটুলির শিল্পীরা রামের (Ram Navami) মূর্তি তৈরি করতে ভয় পাচ্ছেন বলেও অভিযোগ উঠেছে। এক সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে কুমোরটুলির শিল্পী মালা পাল বলেন, ‘‘রামের অর্ডার এসেছিল। তা একটু রাজনীতির মধ্যে চলে গেছে বলে ওই জন্য রামটা আর এবছর করলাম না। মানে অনেকটা রাজনীতির মধ্যে চলে গেছে বলে অনেকে একটু নিতে ভয়ও পাচ্ছে। আমাদের এটা পেশা। বানাতেও ভয় লাগে। কে যে কী বলবে না বলবে।’’

    কী বলছেন রামনবমীর (Ram Navami) উদ্যোক্তা

    রামনবমীর (Ram Navami) এক উদ্যোক্তা বলছেন, ‘‘রামের মূর্তি তৈরির জন্য, এবার শিল্পী খুঁজতে বেশ বেগ পেতে হয়েছে। অনেকেই আমাদের মূর্তির অর্ডার নিতে চাইছিল না। কিন্তু শেষমেশ রুদ্র পাল নামের একজন আমাদের মূর্তি করছেন। অনেকেই নিতে চাইছে না। তাঁরা বলছেন এই সময় করতে পারব না। সরাসরি তো কেউ বলতে পারে না। কিন্তু যেটা বোঝা যাচ্ছে যে একটা ভয়ের পরিবেশ তৈরি করে রেখেছে। আমরা তো ৬ বছর ধরে পুজো করে আসছি কিন্তু এ বছর এখনও পর্যন্ত আমরা সিপি অফিস, পিডাব্লুডি অফিস, ডিএম অফিস, আমাদের লোকাল পুলিশ স্টেশন ও থানাগুলোতে ঘুরে যাচ্ছি। এখনও পর্যন্ত পরিষ্কার করে আমাদের কোনও অনুমতি এখনও দেওয়া হয়নি।’’

    ভক্তিমূলক গান খুব জোরে বাজানো যাবে না

    স্বরাজ্য পত্রিকার মতে, রামনবমী সমাবেশে যাঁরা উদ্যোক্তা এবং আয়োজক তাঁদের কাছ থেকে প্রশাসনের কর্তারা প্রতিশ্রুতি নিয়েছেন। যেকোনও শোভাযাত্রায় ২০০ জনের বেশি রামভক্ত অংশগ্রহণ করতে পারবেন না। এর পাশাপাশি শ্রীরামের পতাকা উত্তোলনের জন্য ব্যবহৃত লাঠি যেন লম্বা না হয়। কোনও অস্ত্র যেন না থাকে সেই নির্দেশও দেওয়া হয়েছে। স্বরাজ্য পত্রিকা আরও লিখছে, রামনবমীর সমাবেশগুলি সেই সমস্ত রাস্তা দিয়ে যেতে দেওয়া হবে না যেখানে মসজিদ রয়েছে। এর পাশাপাশি, একাধিক রামনবমীর শোভাযাত্রাকে একত্রিত হতে দেওয়া হবে না। পুলিশ নির্ধারিত রুটগুলিকে কঠোরভাবে মেনে চলতে হবে। মিছিল চলাকালীন ভক্তিমূলক গান খুব জোরে বাজানো যাবে না। এমনও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বলে উল্লেখ করা হয়েছে স্বরাজ্য পত্রিকার ওই প্রতিবেদনে।

    কী বলছেন বিশ্ব হিন্দু পরিষদের নেতা

    রিপোর্ট অনুযায়ী, কলকাতা, হাওড়া, বর্ধমান, শিলিগুড়ি সমেত রাজ্যের বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ স্থানে রামনবমীর সমাবেশের আয়োজকদেরকে প্রশাসন তলব করেছে। তাঁদের বলা হয়েছে, সমাবেশের আকার যেন খুব বড় না হয়। সেই জন্য তাদের ওপরে চাপ প্রয়োগ করারও অভিযোগ উঠেছে। স্বরাজ্য পত্রিকাকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে বিশ্ব হিন্দু পরিষদের এক নেতা। যিনি উত্তর কলকাতার একটি বড় রামনবমীর (Ram Navami) আয়োজক। তিনি বলেন, ‘‘এত বিধি নিষেধ এবং সতর্কতা দেখেই বোঝা যাচ্ছে যে রাজ্য প্রশাসন কখনও চায় না আমরা যাতে রামনবমী উদযাপন করি। প্রশাসনের তরফ থেকে আরও জানানো হয়েছে যে সমাবেশ চলাকালীন কোনও রকমের অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটলে তার জন্য সম্পূর্ণভাবে দায়ী করা হবে আয়োজকদের।’’

    বদলে যাচ্ছে জনবিন্যাস, অভিযোগ শুভেন্দুর

    এক্ষেত্রে উল্লেখ করা দরকার, গত ২৬ মার্চ হিংসা ছড়ায় মালদার মোথাবাড়িতে। এ নিয়ে বিস্তর অভিযোগ উঠেছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রশাসনের বিরুদ্ধে। রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী স্বরাজ্য পত্রিকাকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে বলেন, ‘‘মোথাবাড়ির এই অঞ্চলগুলিতে এবং রাজ্যের অন্যান্য সীমান্তবর্তী জেলাগুলিতে অবৈধ বাংলাদেশি মুসলিমদের ব্যাপক অনুপ্রবেশের ফলে জনবিন্যাসের পরিবর্তন ঘটে গিয়েছে। তিনি আরও বলেন, ‘‘আমরা সকলেই জানি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সরকার এবং অতীতের বামফ্রন্ট সরকার এদেরকে (বাংলাদেশি মুসলিম অনুপ্রবেশকারী) ভোট ব্যাঙ্ক হিসেবে ব্যবহার করে।’’

    শঙ্খ বাজানো, ঢোল বাজানোতে আপত্তি তুলছে মৌলবাদীরা, অভিযোগ দিলীপের

    শুভেন্দু অধিকারীর মতো একই অভিযোগ তুলেছেন বিজেপির প্রাক্তন রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। তিনি জানিয়েছেন যে পশ্চিমবঙ্গের মৌলবাদীরা হিন্দুদের ধর্মীয় শোভাযাত্রার বিষয়ে নানা জায়গায় আপত্তি জানাচ্ছে। একইসঙ্গে শঙ্খ বাজানো, ঢোল বাজানো, ঘণ্টা বাজানো, ভজন-কীর্তন করা এ বিষয়ে তাদের (মৌলবাদীদের) আপত্তি রয়েছে। বিজেপির প্রাক্তন রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ এই ইস্যুতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সরকারকে নিশানা করেন এবং তিনি বলেন, ‘‘সংখ্যালঘুদের তোষণ করতেই ব্যস্ত রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী।’’

  • Waqf Bill Protest: ওয়াকফ বিলের প্রতিবাদে অবরুদ্ধ পার্কসার্কাস, আন্দোলনের নেপথ্যে তৃণমূলের ভোট-অঙ্ক?

    Waqf Bill Protest: ওয়াকফ বিলের প্রতিবাদে অবরুদ্ধ পার্কসার্কাস, আন্দোলনের নেপথ্যে তৃণমূলের ভোট-অঙ্ক?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: লোকসভা ও রাজ্যসভা – সংসদের উভয় কক্ষেই পাশ হয়ে গিয়েছে ওয়াকফ সংশোধনী বিল (Waqf Bill Protest) ২০২৫। সেই বিল পাশ হওয়ায় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন মুসলমানদের একটা বড় অংশ। অথচ, এই বিলের প্রতিবাদেই শুক্রবার পার্কসার্কাসে হল মিছিল। শুক্রবার দুপুর থেকে বিকেল পর্যন্ত ওয়াকফ সংশোধনী বিলের প্রতিবাদে মুসলিম অধ্যুষিত পার্ক সার্কাসের দখল কার্যত চলে গিয়েছিল মুসলিমদের বিভিন্ন সংগঠনের হাতে। পার্ক সার্কাস সেভেন পয়েন্টস অবরুদ্ধ করেন বিক্ষোভকারীরা।

    ‘শক্তিপরীক্ষা’ (Waqf Bill Protest)

    ওয়াকিবহাল মহলের মতে, রবিবার রামনবমী (Ramnavami)। তার আগে বস্তুত ‘শক্তিপরীক্ষা’ করে নিল মুসলিম সংগঠনের আড়ালে তৃণমূল। বছর ঘুরলেই এ রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচন। তার আগে রাজ্যের শাসক দল ওয়াকফ বিল তাস খেলে দিয়ে মুসলিম ভোটকে ঘাসফুলের ঝুলিতে ফেলতে চাইছে। এটা সম্ভব হলে আগামী পাঁচ বছরের জন্য ফের একবার গদি নিশ্চিত হয়ে যাবে তৃণমূল সুপ্রিমোর।

    জমায়েতের পিছনে তৃণমূলের ‘মস্তিষ্ক’!

    শুক্রবার জুম্মাবার। সেদিনই জমায়েতের পিছনে তৃণমূলের ‘মস্তিষ্ক’ কাজ করছে বলে ধারণা ভোট বিশেষজ্ঞদের। যদিও এদিনের সমাবেশে কোথাও তৃণমূলের নাম ছিল না, ছিল না তৃণমূলের কোনও সংগঠনের ব্যানার কিংবা ফেস্টুন। তবে পার্ক সার্কাসের ওই জমায়েতে দেখা গিয়েছে তপসিয়া, কসবা, তিলজলা এবং বেকবাগান এলাকার তৃণমূল নেতাদের। তৃণমূলের এক প্রবীণ নেতা বলেন, “হয়তো দলের সরাসরি নির্দেশে কোনও কর্মসূচি পালিত হয়নি। কিন্তু রামনবমীর আগে এমন জমায়েত উত্তেজনা প্রশমনের বদলে বাড়াতেই সাহায্য করবে (Waqf Bill Protest)।”

    ইদের দিনে রেড রোডে নমাজ আদায়ের জমায়েতে যোগ দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। সেখানে তিনি নমাজ আদায়ও করেন। ওই জমায়েতেই তিনি বলেছিলেন, ‘কাউকে গন্ডগোল করতে দেবেন না।’ তার পরেও জুম্মাবারে যেভাবে শক্তিপ্রদর্শন হল, তাতে অশান্তির আশঙ্কা করছে তৃণমূলেরই একাংশ।

    ২০২৩ সালে রামনবমীর মিছিলে হামলা হয়েছিল হাওড়ায়। সেদিন মিছিলে অংশগ্রহণকারীদের লক্ষ্য করে ছাদ থেকে ইট-পাটকেল-বোতল ছোড়া হয়েছিল বলে অভিযোগ। অশান্তি হয়েছিল হুগলির শ্রীরামপুর-সহ আরও কয়েকটি জায়গায়। এবারও সেই সব স্পর্শকাতর এলাকাগুলিতে অশান্তির আশঙ্কা করছে প্রশাসনেরই একাংশ (Ramnavami)। তার আগে পার্কসার্কাসে যেভাবে ব-কলমে জমায়েত করল তৃণমূল (!), তাতে সিঁদুরে মেঘ দেখছেন প্রশাসনেরই বড় কর্তারা (Waqf Bill Protest)।

LinkedIn
Share