Category: রাজ্য

Get West Bengal News, Bengali Breaking News, Latest News in Bengali only from মাধ্যম | Madhyom, Bengali News Portal for সম্পূর্ণ নিরপেক্ষ বাংলা সংবাদ, বাংলা খবর

  • Vidyasagar University: তৃণমূল জমানায় ফের একবার স্বাধীনতা সংগ্রামীরা হয়ে গেলেন ‘সন্ত্রাসবাদী’

    Vidyasagar University: তৃণমূল জমানায় ফের একবার স্বাধীনতা সংগ্রামীরা হয়ে গেলেন ‘সন্ত্রাসবাদী’

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দেশপ্রেমী বিপ্লবীরা সন্ত্রাসবাদী! তৃণমূল জমানায় ফের একবার স্বাধীনতা সংগ্রামীদের দেগে দেওয়া হল ‘সন্ত্রাসবাদী’ বলে। এর আগে অষ্টম শ্রেণির পাঠ্যবইতে ক্ষুদিরাম বসুকে ‘সন্ত্রাসবাদী’ তকমা দিয়ে বিতর্কে (Controversy) জড়িয়েছিল মধ্যশিক্ষা পর্ষদ। আর এবার খোদ বিদ্যাসাগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (Vidyasagar University) ইতিহাসের প্রশ্নপত্রে স্বাধীনতা সংগ্রামীদের ‘সন্ত্রাসবাদী’ বলে উল্লেখ করা হয়েছে। তার পরেই রাজ্যজুড়ে শুরু হয়েছে ঘোর বিতর্ক। বিজেপির অভিযোগ, তৃণমূল পরিচালিত বিদ্যাসাগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস প্রশ্নপত্রে ভারতের মহান বিপ্লবীদের ‘সন্ত্রাসবাদী’ বলে উল্লেখ স্রেফ একটা ভুল নয়, চরম অপমান। ইতিহাস বিকৃতির জঘন্য নজির।

    বিতর্কিত প্রশ্ন (Vidyasagar University)

    বিশ্ববিদ্যালয়ের চতুর্থ পাতায় ১২ নম্বর প্রশ্নে লেখা হয়েছে, “মেদিনীপুরের তিনজন জেলা ম্যাজিস্ট্রেটের নাম কর যারা সন্ত্রাসবাদীদের দ্বারা নিহত হন?” শিক্ষাবিদদের মতে, প্রশ্নে যাঁদের উল্লেখ করা হয়েছে তাঁরা হলেন ব্রিটিশ আমলে মেদিনীপুরের তিন জেলা ম্যাজিস্ট্রেট – বার্জ, পেডি এবং ডগলাস। পেডিকে হত্যা করেছিলেন বিপ্লবী বিমল দাশগুপ্ত এবং জ্যোতিজীবন ঘোষ। ডগলাসকে হত্যা করেছিলেন প্রভাংশুশেখর পাল এবং প্রদ্যোৎকুমার ভট্টাচার্য। বার্জকে হত্যা করেছিলেন অনাথবন্ধু পাঁজা, মৃগেন্দ্রনাথ দত্ত, রামকৃষ্ণ রায়, নির্মলজীবন ঘোষ এবং ব্রজকিশোর চক্রবর্তী। এঁদের মধ্যে অনেকেই শহিদ হয়েছিলেন।

    ক্ষোভে ফুঁসছেন স্থানীয়রা

    এই বিপ্লবীদের নামে আজও মেদিনীপুর শহরের বিভিন্ন জায়গায় রয়েছে মূর্তি ও স্মৃতিস্তম্ভ। প্রশ্নপত্রের কথা প্রকাশ্যে আসতেই ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন মেদিনীপুরের বাসিন্দারা। তাঁরা বলেন, “এই সব ব্যক্তিরা শহিদ এবং দেশপ্রেমিক হিসেবেই পূজিত হয়ে আসছেন। তাঁদের সন্ত্রাসবাদী আখ্যা দেওয়া কতটা যুক্তিসঙ্গত?” প্রশ্ন উঠছে (Vidyasagar University), “বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস বিভাগ কীভাবে এমন প্রশ্ন বা তার শব্দচয়ন অনুমোদন দিল? কীভাবে এমন একটি প্রশ্ন পরিষদের নজর এড়িয়ে ছাপা হল?” বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের একাংশের মতে, প্রশ্নটি ভুল না ঠিক, তা সম্পূর্ণ আলাদা বিষয়। কিন্তু স্বাধীনতা সংগ্রামীদের জন্য ‘সন্ত্রাসবাদী’ শব্দচয়ন কোনওভাবেই মেনে নেওয়া যায় না।

    বিষয়টি নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে চিঠি দিয়েছে শিক্ষানুরাগী ঐক্য মঞ্চ। তাঁদের সাফ কথা, এই ঘটনার জন্য বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে ক্ষমা চাইতে হবে। ভবিষ্যতে এমন ভুল যাতে না হয়, সেজন্য (Controversy) প্রতিজ্ঞা করতে হবে। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে উপযুক্ত ব্যবস্থাও নিতে হবে (Vidyasagar University)।

  • Suvendu Adhikari: রাজ্যের কলেজে কলেজে ‘ভাইপো গ্যাং’! চাকরি করছে তৃণমূলের নেতা-কর্মীরাই, দাবি শুভেন্দুর

    Suvendu Adhikari: রাজ্যের কলেজে কলেজে ‘ভাইপো গ্যাং’! চাকরি করছে তৃণমূলের নেতা-কর্মীরাই, দাবি শুভেন্দুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কসবা ল কলেজে (Kasba Case) গণধর্ষণের অভিযোগকে কেন্দ্র করে রাজ্য রাজনীতিতে ঝড় উঠেছে। দেখা গিয়েছে, রাজ্যের বিভিন্ন কলেজে তৃণমূল ছাত্র পরিষদের নেতাদের ‘দাদাগিরি’-র ছবি। আবার বিভিন্ন কলেজে স্থায়ী ও অস্থায়ী কর্মী হিসেবে তৃণমূলের নেতা-কর্মীরা রয়েছেন বলে অভিযোগ। এই আবহে মঙ্গলবার ‘ভাইপো গ্যাং’-র তালিকা প্রকাশ করলেন বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। তাঁর দাবি, কসবার ল কলেজের মতো রাজ্যের প্রতিটি কলেজেই ‘ভাইপো গ্যাং’-এর সদস্যরা সক্রিয়, যারা শাসকদলের ছত্রছায়ায় মেয়েদের উপর নির্যাতন এবং টাকা তোলার মতো অপরাধে যুক্ত।

    কারা রয়েছে তালিকায়

    বিধানসভার বিরোধী দলনেতার (Suvendu Adhikari) দাবি, যোগ্যরা সুযোগ পায়নি। বিভিন্ন কলেজে তৃণমূল নেতা-কর্মীদের সুযোগ পাইয়ে দেওয়া হয়েছে। ৫০ জনের একটি তালিকা প্রকাশ করে শুভেন্দু বলেন, ‘‘এই সব ছাত্ররা ভাইপোর হয়ে টাকা তোলার কাজ করে। মনোজিত মিশ্রের মতো বহু ছাত্রী নির্যাতনকারী আজ কলেজ চত্বরে ক্ষমতার রক্ষাকবচ পরে ঘুরে বেড়াচ্ছে। প্রাথমিকভাবে ৫০ জনের নাম প্রকাশ করলাম। ইচ্ছে করলে আরও ১,০০০ জনের তালিকা দিতে পারি। সেই প্রস্তুতিও চলছে।’’ সেইসব ছবিতে তৃণমূল ও টিএমসিপি-র কোন কোন নেতা-নেত্রী কোথায় চাকরি পেয়েছেন সেসব তুলে ধরেন শুভেন্দু। তার মধ্যে যেমন রয়েছেন প্রাক্তন বিধায়ক কৃষ্ণচন্দ্র সাঁতরার ছেলে পিনাকী সাঁতরা। যিনি বর্তমানে অশিক্ষক কর্মী। আবার টিএমসিপি নেত্রী শিল্পা দাস হিরালাল মজুমদার কলেজের কর্মী। আশুতোষ কলেজের টিএমসিপি-র প্রাক্তন জিএস উত্তরণ বন্দ্যোপাধ্যায় আশুতোষ কলেজের অস্থায়ী অশিক্ষক কর্মী। কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন জিএস লগ্নজিতা চক্রবর্তী উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যাসিস্টেন্ট প্রফেসর। তৃণমূল ছাত্র পরিষদের নেতা নাসির বাগানি সোনারপুর কলেজের কর্মী।

    কেন এই হাল

    শাসকদলকে তোপ দেগে তিনি বলেন, “ প্রত্যেক কলেজে একটা করে মনোজিত রয়েছে। ছাত্রছাত্রীদের সুরক্ষা আজ তলানিতে ঠেকেছে। প্রশাসন সব জেনেও নিশ্চুপ, কারণ এরা সকলেই ‘ভাইপোর’ লোক। অধিকাংশ কলেজের ছাত্র সংসদ রুমগুলোকে নোংরামির জায়গায় পরিণত করেছে। এক শ্রেণির প্রিন্সিপ্যাল ভয়ে কিছু বলেন না। আরেকদল অযোগ্য হয়ে প্রিন্সিপ্যাল হয়েছে। তাই শাসকদলের ছাত্রদের চটাতে চায় না।” শুভেন্দু (Suvendu Adhikari) বলেন, ‘‘আজ যে ৫০ জনের তালিকা দেওয়া হল তারা প্রত্যেকেই অবৈধ ভাবে চাকরি পেয়েছে। যার জন্য যোগ্যরা বঞ্চিত। সিপিএমের আমলেও বড়ো বড়ো ক্যাডারারও এভাবে যোগদান করেছে। সেই তালিকাও প্রকাশ করব। প্রথমে ক্যাজুয়াল ঢুকিয়ে দেয় তারপর কাজ দেখিয়ে রেগুলার করে দেয়।’’ এই তালিকায় ২-৪ জন অধ্যাপকও আছেন, যাদের জেলবন্দি রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় ঢুকিয়েছিলেন বলেও অভিযোগ করেন শুভেন্দু।

    পুলিশই সমস্যা

    একই দিনে কসবা ধর্ষণকাণ্ডে রাজ্য পুলিশের ভূমিকা নিয়েও বিস্ফোরক অভিযোগ তোলে বিজেপির কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দল। দিল্লিতে সাংবাদিক বৈঠকে মুম্বই পুলিশের প্রাক্তন কমিশনার ও বিজেপি সাংসদ সত্যপাল সিং জানান, ‘‘এটাই প্রথম দেখলাম, নির্যাতিতার এফআইআরে অভিযুক্তদের নাম ইচ্ছাকৃতভাবে বদলে দিয়ে ‘এম. জে.’ লেখা হয়েছে। পুলিশ নিজের মতো করে অভিযোগ বদলে দিচ্ছে। যেখানে অভিযোগই পালটে দেওয়া হয়, সেখানে কীভাবে ন্যায়বিচার পাওয়া যাবে?’’ পুলিশকে নিশানা করে এদিন শুভেন্দু বলেন, “পশ্চিমবঙ্গে মূল সমস্যা পুলিশ। পুলিশ নিরপেক্ষ হলে সব কিছুর সমাধান হবে।”

    নবান্ন অভিযানের ডাক

    আগামী ৯ অগস্ট তিলোত্তমাকে খুনের এক বছর পূর্ণ। ওইদিন নবান্ন অভিযানের ডাক দেওয়া হয়েছে। শুভেন্দু (Suvendu Adhikari) বলেন, “ওইদিন ২ জায়গা থেকে লাখ খানেক লোক আসবে। বাস আটকালে, ট্রেনে লোক আসবে। সাঁতরাগাছি থেকে লোক আসবে। সেদিন তিলোত্তমার সেন্টিমেন্টে ও তাঁর বাবার আহ্বানে ভিড় করবে মানুষ।” তিলোত্তমার খুনের ঘটনার তদন্তে সিবিআইয়ের তদন্ত নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। এই নিয়ে শুভেন্দু বলেন, “সিবিআই একটি স্বশাসিত সংস্থা। কেন্দ্রীয় সরকারের সঙ্গে জড়াবেন না। কলকাতা হাইকোর্ট ও সুপ্রিম কোর্ট রোজ মনিটরিং করেছে আরজি কর মামলা। সিবিআই নিশ্চয়ই ধোয়া তুলসি পাতা হতে পারে না। অভিজিৎ সরকারের ক্ষেত্রে তাঁর পরিবারের লড়াই দেখেছি। বাধ্য হয়েছে পরেশ পালের নাম ঢোকাতে। এখানেও সিবিআই বাধ্য হবে। ১৮ অগস্ট কলকাতা হাইকোর্টে আবার আরজি করের শুনানি রয়েছে। কেউ শিথিলতা দেখলে হাইকোর্ট বা সুপ্রিম কোর্টে যেতে পারেন।”

    উত্তরকন্যা অভিযান

    আগামী ২১ জুলাই বিজেপির উত্তরকন্যা অভিযান রয়েছে। ওইদিন ধর্মতলায় তৃণমূলের শহিদ দিবসের সমাবেশ রয়েছে। শুভেন্দু (Suvendu Adhikari) বলেন, “উত্তরকন্য়া অভিযানের অনুমতি দেবে না আমি জানি। দুটো কারণ, ২১ জুলাই কোথাও কোনও কিছু হোক এই সরকার চায় না। আমাদের কর্মসূচির কাছে ওদের ২১ জুলাই যদি ফ্লপ হয়ে যায়, তাই এটা করতে চায় না। মহামান্য আদালত অনুমতি দিলে কলকাতা থেকে ৬০০ কিমি দূরে কর্মসূচি সফল হবে।”

     

     

     

     

     

  • Weather Update: রাজ্যজুড়ে সপ্তাহভর ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস, দুর্যোগ চলবে কতদিন?

    Weather Update: রাজ্যজুড়ে সপ্তাহভর ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস, দুর্যোগ চলবে কতদিন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজ্যজুড়ে সপ্তাহভর ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস জারি করেছে আলিপুর হাওয়া অফিস (Weather Update)। নিম্নচাপ এবং ঘূর্ণাবর্তের জেরে আজ, বুধবার থেকে তিন দিন দক্ষিণবঙ্গের বেশ কিছু জেলায় ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টি (Heavy Rainfall) হতে পারে। ৩০-৪০ কিলোমিটার বেগে বইতে পারে ঝোড়ো হওয়াও। দক্ষিণের পাশাপাশি ঝড়বৃষ্টি চলবে উত্তরবঙ্গেও।

    নিম্নচাপ অঞ্চল (Weather Update)

    হাওয়া অফিস আগেই জানিয়েছিল, গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গ এবং সংলগ্ন এলাকায় একটি নিম্নচাপ অঞ্চল তৈরি হয়েছে। সক্রিয় রয়েছে একটি ঘূর্ণাবর্তও। বঠিন্ডা, রোহতক, কানপুর, ডালটনগঞ্জ এবং গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গের নিম্নচাপ অঞ্চলের কেন্দ্র বরাবর দক্ষিণপূর্বে উত্তর বঙ্গোপসাগর পর্যন্ত বিস্তৃত একটি মৌসুমি অক্ষরেখাও। রাজ্যে সক্রিয় রয়েছে মৌসুমি বায়ুও। এ সবের জেরে সপ্তাহভর ঝড়বৃষ্টি চলবে কলকাতা-সহ দক্ষিণবঙ্গের বিস্তীর্ণ অংশে। কোথাও কোথাও হতে পারে ভারী থেকে অতি ভারী বর্ষণও।

    ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা

    মঙ্গলবার বিকেল থেকে বুধবার সকাল পর্যন্ত দুই ২৪ পরগনা, পূর্ব বর্ধমান, হুগলি, বাঁকুড়া এবং পশ্চিম মেদিনীপুরে ভারী থেকে অতিভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস ছিল। দক্ষিণের অন্যান্য জেলাগুলিতেও বজ্রবিদ্যুৎ-সহ ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। সঙ্গে ৩০-৪০ কিলোমিটার বেগে ঝোড়ো হাওয়া বইবে বলেও জানিয়েছে হাওয়া অফিস। আলিপুর আবহাওয়া অফিস সূত্রে খবর, আগামী সোমবার পর্যন্ত দক্ষিণবঙ্গে আবহাওয়ার বিশেষ কোনও উন্নতি হওয়ার সম্ভাবনা নেই। নিম্নচাপের জেরে আগামী ২৪ ঘণ্টা পশ্চিমবঙ্গ ও ওড়িশা উপকূলে সমুদ্র উত্তাল থাকবে বলেও পূর্বাভাস হাওয়া অফিসের। এই সময়ের মধ্যে মৎস্যজীবীদের গভীর সমুদ্রে যেতে নিষেধ করা হয়েছে (Weather Update)।

    সপ্তাহব্যাপী ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে উত্তরবঙ্গেও। রবি ও সোমবার জলপাইগুড়ি, আলিপুরদুয়ার, দার্জিলিং এবং  কালিম্পংয়ে ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে। এর মাঝে কমবেশি ঝড়বৃষ্টি চলবেই।

    প্রসঙ্গত, সোমবার রাত থেকে নাগাড়ে বৃষ্টি হয়ে চলেছে কলকাতা-সহ দক্ষিণবঙ্গের বিস্তীর্ণ অংশে। কলকাতার বেশিরভাগ রাস্তাই জলমগ্ন। জল জমেছে হাওড়ারও কিছু অংশে। টানা বৃষ্টিতে জলস্তর বাড়তে পারে শিলাবতী, কংসাবতীতে। ভারী বর্ষণের আশঙ্কা রয়েছে ঝাড়খণ্ডেও। ফলে জল ছাড়তে পারে ডিভিসি (Heavy Rainfall)। ডিভিসির ছাড়া জলে বিপদ বাড়তে পারে হাওড়া ও হুগলিতে (Weather Update)।

  • Dilip Ghosh: দিলীপের মুখে শমীক-প্রশস্তি, কী বললেন বিজেপির প্রাক্তন রাজ্য সভাপতি?

    Dilip Ghosh: দিলীপের মুখে শমীক-প্রশস্তি, কী বললেন বিজেপির প্রাক্তন রাজ্য সভাপতি?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দিলীপের (Dilip Ghosh) তৃণমূলে যোগদানের জল্পনায় জল ঢেলে দিলেন বিজেপির প্রাক্তন রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ স্বয়ং। এদিন বিজেপির দফতরে গিয়ে শমীকের (Shamik Bhattacharya) সঙ্গে দেখা করেন দিলীপ। দু’জনে বেশ খানিকক্ষণ কথাবার্তাও হয়। পরে দিলীপ বলেন, “মার্কেটে যাঁর দাম থাকে, তাঁকে নিয়ে অনেক জল্পনা হয়।”

    ঘাসফুল শিবিরে দিলীপ-যোগের জল্পনা (Dilip Ghosh)

    অসমর্থিত একটি সূত্রের খবর, ধর্মতলায় তৃণমূলের ২১ জুলাই সমাবেশে দিলীপ ঘাসফুল শিবিরে যোগ দিতে পারেন বলে জল্পনা ছড়াতে থাকে এক শ্রেণির সংবাদ মাধ্যম। এদিন তাতে জল ঢেলে দিয়ে দিলীপ বলেন, “বাজারে যাঁর দাম থাকে, তাঁর সেলের কথা ওঠে। যাঁদের দাম নেই, তাঁদের কিনবে কে? তাঁরা রাস্তায় পড়ে থাকেন। দিলীপ ঘোষের দাম আছে, দাম থাকবে। দিলীপ ঘোষ সেলেবল নয়।” এদিন বিজেপির নয়া রাজ্য সভাপতির ভূয়সী প্রশংসাও করেন দিলীপ। বলেন, “এক সময় শমীকদার পথেই আমি হেঁটেছি। যখন দলে এসেছিলাম, তখন শমীকদা আমার সিনিয়র ছিলেন। নতুন-পুরানো সব কর্মীরা মিলেই দলকে এই জায়গায় এনেছে। তাই লড়াই জারি থাকবে।” তিনি বলেন, “আমার মধ্যে কোনও ভেজাল নেই। তাই এত দাম।”

    আবেগ দিয়ে পার্টি দাঁড় করিয়েছি     

    বিজেপির প্রাক্তন রাজ্য সভাপতি (Dilip Ghosh) বলেন, “আবেগ দিয়ে আমরা পার্টি দাঁড় করিয়েছি। ঘাম-রক্ত দিয়েছি। ১৫০ জনেরও বেশি কর্মী প্রাণ দিয়েছেন। সেই আবেগের আগুন বুকের মধ্যে রয়েছে। শুধু আমার নয়, শত শত কর্মীর। তাই যতই বৃষ্টি হোক, আবেগের আগুন নিভে যেতে দেব না।” দিলীপের সঙ্গে বৈঠকের পর দৃশ্যতই খুশি বিজেপির রাজ্য সভাপতি শমীক ভট্টাচার্য। তিনি বলেন, “আমরা সবাই বিজেপি। আমাদের প্রতীক পদ্মফুল। ক্ষণিকের জন্য কোথাও ভুল হতে পারে। ক্ষণিকের জন্য কোথাও দূরত্ব তৈরি হতে পারে। কিন্তু এর অর্থ এই নয় যে, তিনি দলের বাইরে চলে গিয়েছেন।”

    শমীক (Shamik Bhattacharya) বলেন, “১৫ দিনের মধ্যেই সংঘবদ্ধ বিজেপিকে দেখতে পাবেন পশ্চিমবঙ্গের মানুষ। বিজেপি ঐক্যবদ্ধ ছিল, আছে, থাকবে। কাউকে অন্য দলের লোক বলে দাগিয়ে দেবেন না। কাউকে অন্য দলের লোক বলে দূরে সরিয়ে দেবেন না। এই লড়াই পশ্চিমবঙ্গ বাঁচানোর লড়াই। এটা অস্তিত্ব রক্ষার সংকট। হিন্দু বাঙালিদের জন্য শেষ নির্বাচন। জাতীয়তাবাদী মুক্তমনস্ক প্রগতিশীল মুসলমানদের জন্যও এই নির্বাচন (Dilip Ghosh) শেষ নির্বাচন।”

  • Weather Update: রাতভর বৃষ্টি, জলমগ্ন কলকাতা! ঘূর্ণাবর্তের জেরে শক্তি বাড়ল নিম্নচাপের, চলবে দুর্যোগ

    Weather Update: রাতভর বৃষ্টি, জলমগ্ন কলকাতা! ঘূর্ণাবর্তের জেরে শক্তি বাড়ল নিম্নচাপের, চলবে দুর্যোগ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এক রাতের বৃষ্টিতেই (Weather Update) জলমগ্ন কলকাতা। বিপর্যস্ত শহরের স্বাভাবিক জীবন। উত্তর-থেকে দক্ষিণ, মধ্য কলকাতা কোথাও হাঁটু সমান, কোথাও আবার গোড়ালি পর্যন্ত জল। ফিয়ার্স লেন, বিবি গাঙ্গুলি স্ট্রিট, সেন্ট্রাল এভিনিউ, নর্থ পোর্ট থানা লাগোয়া এলাকা-সহ বেশ কিছু জায়গা জলমগ্ন হয়ে পড়েছে। কাঁকুড়গাছি, পাতিপুকুর এবং উল্টোডাঙা আন্ডারপাসেও জল জমেছে। হাওয়া অফিস সূত্রে খবর, দক্ষিণবঙ্গে আজ বিক্ষিপ্তভাবে ভারী বৃষ্টির (Rain in Kolkata) সম্ভাবনা রয়েছে। ভারী বৃষ্টির সতর্কতা কলকাতা, হাওড়া, হুগলি, পুরুলিয়া, ঝাড়গ্রাম এবং দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলাতে। বাকি জেলাতে বজ্রবিদ্যুৎ সহ হালকা ঝোড়ো হাওয়ার সঙ্গে বৃষ্টি চলবে। জেলার কিছু অংশে ৩০ থেকে ৪০ কিলোমিটার গতিবেগে দমকা ঝোড়ো বাতাস বইবে।

    জলমগ্ন উত্তর থেকে দক্ষিণ

    কলকাতা পুরসভা সূত্রে খবর, প্রবল বৃষ্টির (Rain in Kolkata) সম্ভাবনা রয়েছে। ভারী বৃষ্টির সতর্কতা কলকাতা, হাওড়া, হুগলি, পুরুলিয়া, ঝাড়গ্রাম এবং দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলাতে। বাকি জেলাতে বজ্রবিদ্যুৎ সহ হালকা ঝোড়ো হাওয়ার সঙ্গে বৃষ্টি চলবে। জেলার কিছু অংশে ৩০ থেকে ৪০ কিলোমিটাফলে ঠনঠনিয়া, কলেজ স্ট্রিট, বৌবাজারের একাংশ থেকে শুরু করে বেহালা, গার্ডেনরিচ, মেটিয়াবুরুজ-সহ বিস্তীর্ণ অঞ্চলে জল জমেছে। এই সব এলাকা থেকে জল বার করার চেষ্টাও শুরু হয়েছে। তবে যেহেতু অনেক ক্ষণ ধরে বৃষ্টি হচ্ছে, তাই জল নামতে দেরি হচ্ছে। বিভিন্ন গলিপথগুলি জলমগ্ন হয়ে পড়েছে। তবে, মাত্র এক রাতের বৃষ্টিতেই এত জল জমা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে শহরবাসীর মনে। মঙ্গলবারও সারাদিন ধরেই কমবেশি বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। সে ক্ষেত্রে বৃষ্টির পরিমাণ আরও বৃদ্ধি পেলে জল জমার পরিমাণও বৃদ্ধি পেতে পারে বলে মনে করছেন অনেকে।

    গাঙ্গেয় বঙ্গের উপর রয়েছে ঘূর্ণাবর্ত

    রাজ্যে এই মুহূর্তে বর্ষার (Rain in Kolkata) সম্ভাবনা রয়েছে। ভারী বৃষ্টির সতর্কতা কলকাতা, হাওড়া, হুগলি, পুরুলিয়া, ঝাড়গ্রাম এবং দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলাতে। বাকি জেলাতে বজ্রবিদ্যুৎ সহ হালকা ঝোড়ো হাওয়ার সঙ্গে বৃষ্টি চলবে। জেলার কিছু অংশে ৩০ থেকে ৪০ কিলোমিটাবাতাস অত্যন্ত সক্রিয়। সেই সঙ্গে গাঙ্গেয় বঙ্গের উপর রয়েছে একটি ঘূর্ণাবর্ত এবং দু’টি অক্ষরেখা। এর প্রভাবেই বৃষ্টি হচ্ছে দক্ষিণের বিস্তীর্ণ অংশে। কলকাতাতে সোমবার রাত থেকে নাগাড়ে বৃষ্টি চলছে। এর ফলে শিয়ালদহ মেইন শাখাতেও কিছু জায়গায় লাইনে জল জমতে শুরু করেছে বলে প্রাথমিক ভাবে জানা যাচ্ছে। মঙ্গলবার সকাল থেকে বেশ কিছু ট্রেন নির্ধারিত সময়ের চেয়ে কিছুটা দেরিতে চলাচল করছে বলে খবর। ফলে সকালের বৃষ্টির দুর্ভোগের মধ্যে সমস্যা আরও বৃদ্ধি পেয়েছে অফিসযাত্রীদের। রাস্তাতেও জল জমে থাকার কারণে গাড়ি ধীরে চলাচল করছে। শহরের বেশ কিছু জায়গায় ফুটপাথও জল জমে গিয়েছে। ফলে পথচারীদেরও রাস্তা দিয়ে যাতায়াতে সমস্যায় পড়তে হচ্ছে।

    কতদিন পর্যন্ত চলবে বৃষ্টি

    দিনভর বিক্ষিপ্ত ভাবে ভারী বৃষ্টি (Weather Update) হতে পারে উত্তরবঙ্গে। একই অবস্থা বজায় থাকবে হিমালয় সংলগ্ন উত্তরবঙ্গের জেলাগুলোয় অর্থাৎ দার্জিলিং, কালিম্পং, জলপাইগুড়ি, আলিপুরদুয়ার এবং কোচবিহারে বিক্ষিপ্ত ভাবে ভারী বৃষ্টি হবে। বৃহস্পতিবার থেকে বৃষ্টিকিছুটা কমতে পারে বলে পূর্বাভাস আলিপুর আবহাওয়া দফতরের। কলকাতায় আজ মূলত মেঘলা আকাশ থাকবে। বিক্ষিপ্তভাবে বৃষ্টির সম্ভাবনাও রয়েছে। বুধবার থেকে শুক্রবার পর্যন্ত বৃষ্টির সম্ভাবনা কমবে। শনিবার থেকে ফের বজ্রবিদ্যুৎসহ বৃষ্টির সম্ভাবনা বাড়বে।

     

  • CBI: শাহজাহানের বিরুদ্ধে দায়ের এফআইআর! আদালতের নির্দেশে তিন বিজেপি কর্মীর খুনের তদন্তভার নিল সিবিআই

    CBI: শাহজাহানের বিরুদ্ধে দায়ের এফআইআর! আদালতের নির্দেশে তিন বিজেপি কর্মীর খুনের তদন্তভার নিল সিবিআই

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কলকাতা হাই কোর্টের নির্দেশ মেনে, ২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনের পর উত্তর ২৪ পরগনার সন্দেশখালিতে ঘটে যাওয়া হিংসাত্মক ঘটনার তদন্তভার শেষমেশ গ্রহণ করল সিবিআই। ওই ঘটনায় তিন বিজেপি কর্মীর খুনের মামলায় মূল অভিযুক্ত হিসেবে উঠে এসেছে তৃণমূল দুষ্কৃতী শাহজাহান শেখের নাম। ইতিমধ্যেই তাঁর বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করেছে সিবিআই (CBI)। শনিবার এই তথ্য সংবাদ সংস্থা পিটিআইকে জানিয়েছেন সিবিআই আধিকারিকেরা।

    ৩০ জুন কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশ

    গত ৩০ জুন কলকাতা হাইকোর্ট নির্দেশ দেয় যে, সন্দেশখালির তিন বিজেপি কর্মী খুনের ঘটনায় সিবিআই তদন্ত করবে। বিচারপতি জয় সেনগুপ্ত সিবিআইকে একটি বিশেষ তদন্তকারী দল (SIT) গঠনের নির্দেশও দেন। ওই তিন বিজেপি কর্মী—প্রদীপ মণ্ডল, দেবদাস মণ্ডল এবং সুকান্ত মণ্ডল। ২০১৯ সালের ৮ জুন এঁরা খুন হন বলে অভিযোগ।

    শাহজাহানের বাড়িতে ইডি

    প্রাথমিক চার্জশিটে শাহজাহান শেখের নাম থাকলেও, পরবর্তী সময়ে সিআইডি তদন্তভার গ্রহণ (CBI) করলে তাঁর নাম বাদ পড়ে বলে দাবি নিহতদের পরিবারের। নিহতদের পরিবারগুলোর অভিযোগ, উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে শাহজাহানের নাম বাদ দেওয়া হয় । উল্লেখ্য, ২০২২ সালে আরেকটি খুনের মামলার চার্জশিটেও শাহজাহানের নাম ছিল, কিন্তু পরে তিনি জামিন পান।
    ২০২৪ সালের গোড়ার দিকে (CBI) রেশন দুর্নীতির অভিযোগে তদন্ত চালাতে গিয়ে শাহজাহানের বাড়িতে কেন্দ্রীয় এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি)-এর আধিকারিক ও আধাসেনা জওয়ানরা ‘আক্রান্ত’ হন বলে অভিযোগ। এরপরই তাঁকে গ্রেফতার করা হয়।

    শাহজাহানের বিরুদ্ধে সন্দেশখালির আন্দোলন

    এই ঘটনার কিছুদিন পর থেকেই সন্দেশখালির বহু বাসিন্দা শাহজাহান ও তাঁর ঘনিষ্ঠদের বিরুদ্ধে সরব হতে থাকেন। অভিযোগ ওঠে, স্থানীয়দের কৃষিজমি জোর করে দখল করে মাছের ভেড়ি তৈরি করা হয়েছে, সেই ভেড়ির লিজের টাকা প্রাপ্যদের দেওয়া হয়নি, এবং একাধিক আর্থিক দুর্নীতির অভিযোগে তাঁরা জড়িত। এছাড়াও, এলাকায় মহিলাদের উপর নির্যাতনের অভিযোগে ব্যাপক ক্ষোভ ছড়ায় (CBI)। পরিস্থিতি উত্তপ্ত হতে থাকায় বিজেপি-সহ একাধিক বিরোধী দল রাস্তায় নেমে প্রতিবাদে অংশ নেয়। এই চাপের মুখেই তৃণমূল কংগ্রেস শাহজাহান শেখকে দল থেকে সাসপেন্ড করে।

  • PM Modi: ফের বঙ্গ সফরে প্রধানমন্ত্রী, ১৮ জুলাই জনসভা দুর্গাপুরে

    PM Modi: ফের বঙ্গ সফরে প্রধানমন্ত্রী, ১৮ জুলাই জনসভা দুর্গাপুরে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: চলতি মাসেই ফের বাংলায় আসতে পারেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)। ১৮ জুলাই তিনি সভা করতে পারেন দক্ষিণবঙ্গের দুর্গাপুরে। ২১ জুলাই তৃণমূলের সমাবেশ হবে ধর্মতলায় (Samik Bhattacharya)। তার ঠিক তিন দিন আগেই প্রধানমন্ত্রীকে দিয়ে এ রাজ্যে সভা করিয়ে তৃণমূলকে মাত দিতে চাইছে মোদি-শাহের দল। বাংলার নয়া রাজ্য সভাপতি শমীক ভট্টাচার্যকে পাশে নিয়েই ওই সভা করতে পারেন মোদি। বিহারে নির্বাচনী প্রচারে যাওয়ার আগেই দুর্গাপুরে আসতে পারেন প্রধানমন্ত্রী। বিহার যাওয়ার পথে দুর্গাপুর ছুঁয়ে যাওয়া নিয়ে দিল্লি থেকে যোগাযোগ করা হয়েছিল বঙ্গ বিজেপির নেতৃত্বের সঙ্গে। তখনই জানিয়ে দেওয়া হয়েছিল, বাংলায় একটি সভা করতে চান প্রধানমন্ত্রী। সভা সেরে তিনি চলে যাবেন বিহারে। তার আগেই তিনি সভা করবেন দুর্গাপুরে।

    জনসভা হবে দুর্গাপুরে (PM Modi)

    দিল্লির কথা শুনে রাজ্য নেতৃত্ব সিদ্ধান্ত নেন প্রধানমন্ত্রীর জনসভা হবে ১৮ জুলাই, দুর্গাপুরে। এজন্য দু’টি মাঠ পছন্দ হয়েছে পদ্ম নেতৃত্বের। এর মধ্যেই চূড়ান্ত করা হবে একটি (PM Modi)। দমদম বিমানবন্দর থেকে নোয়াপাড়া পর্যন্ত মেট্রো রেলের কাজ প্রায় সম্পূর্ণ হয়ে এসেছে। এটি উদ্বোধন করার কথা প্রধানমন্ত্রীর। কিন্তু নানা কারণে বার বার পিছিয়ে গিয়েছে সেটি। এই সমাবেশ থেকেই যাতে প্রধানমন্ত্রী মেট্রোরেলের উদ্বোধন করেন, সেজন্য তৎপরতা শুরু করে দিয়েছেন মেট্রো রেল কর্তৃপক্ষ।

    পঞ্চবাণে বিদ্ধ করেছিলেন তৃণমূলকে

    এর আগে ২৯ মে রাজ্যে এসেছিলেন প্রধানমন্ত্রী। আলিপুরদুয়ারের সভা থেকে হিংসা, অরাজকতা, নারীর নিরাপত্তাহীনতা, বেকারত্ব, দুর্নীতি এবং গরিবের অধিকার হরণ – এই পঞ্চবাণে বিদ্ধ করেছিলেন রাজ্যের শাসকদল তৃণমূলকে। সেদিন তিনি বলেছিলেন, “আজ বাংলা এক সঙ্গে একাধিক সঙ্কটে। প্রথম সঙ্কট সমাজে হিংসা ও অরাজকতা। দ্বিতীয় সঙ্কট মা-বোনেদের নিরাপত্তাহীনতা (PM Modi), তাঁদের বিরুদ্ধে ঘটে চলা জঘন্য অপরাধ। তৃতীয় সঙ্কট, তরুণ সমাজের মধ্যে বাড়তে থাকা বেকারত্ব ও হতাশা। চতুর্থ সঙ্কট দুর্নীতি। এখানে সিস্টেমের ওপর বিশ্বাস কমেছে। আর পঞ্চম সঙ্কট হল গরিবের হক ছিনিয়ে নেওয়ার শাসক দলের স্বার্থের রাজনীতি।” ১৮ জুলাই ফের রাজ্যে এসে প্রধানমন্ত্রী রাজ্যের শাসক দলকে কোনও তিরে বিদ্ধ করেন, এখন তা-ই দেখার।

    শমীককে নিয়ে সভা!

    ৩ জুলাই রাজ্য বিজেপির নয়া সভাপতি হয়েছেন শমীক ভট্টাচার্য (Samik Bhattacharya)। বিজেপি সূত্রের খবর, তাঁকে পাশে নিয়েই দুর্গাপুরে জনসমাবেশ করবেন প্রধানমন্ত্রী। বিজেপির এই সভার প্রস্তুতির জন্য ইতিমধ্যেই সাত সদস্যের কমিটিও গঠন করা হয়েছে বলে সূত্রের খবর। ২১ জুলাই ধর্মতলায় তৃণমূলের সমাবেশ। ওয়াকিবহাল মহলের মতে, তার আগেই প্রধানমন্ত্রীকে দিয়ে জনসভা করিয়ে তৃণমূলকে খানিকটা হলেও ব্যাকফুটে ঠেলে দিতে চাইছে পদ্ম শিবির।

    জনসভার প্রস্তুতিপর্ব দেখলেন বঙ্গ বিজেপির নেতারা

    গেরুয়া শিবিরের খবর, ১৮ জুলাই প্রধানমন্ত্রীর জনসভার প্রস্তুতি দেখতে শনিবার দুর্গাপুরের নেহরু স্টেডিয়াম পরিদর্শন করেন বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতা সতীশ ধন্ড, বিজেপির রাজ্য সাধারণ সম্পাদক জগন্নাথ চট্টোপাধ্যায়, দুর্গাপুর পশ্চিমের বিধায়ক বিজেপির লক্ষ্ণণ ঘোড়ুই, বিজেপির বাঁকুড়া জেলা সভাপতি প্রসেনজিৎ চ্যাটার্জি, বিজেপির বর্ধমান সাংগঠনিক জেলার সভাপতি অভিজিৎ তা, সহ-সভাপতি চন্দ্রশেখর-সহ পদ্ম শিবিরের অন্যান্য নেতৃত্ব। এদিন ওই স্টেডিয়াম পরিদর্শন করেন বিজেপির যুব নেতা পারিজাত গঙ্গোপাধ্যায়, জেলা মুখপাত্র সুমন্ত মণ্ডল, সম্পাদক অভিজিৎ দত্ত-সহ অন্যরা। সেখান থেকে তাঁরা গিয়েছিলেন এএসপি স্টেডিয়ামেও (Samik Bhattacharya)।

    তৃণমূলকে উৎখাত করতে পদ্ম শিবিরে নয়া রথী

    ২০২৬ সালে রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচন। তার আগে রাজ্য থেকে তৃণমূলকে উৎখাত করতে পদ্ম শিবির বেছে নিয়েছে বাগ্মী তথা লড়াকু নেতা শমীক ভট্টাচার্যকে (PM Modi)। কলকাতার সায়েন্স সিটির মঞ্চে বঙ্গ বিজেপির দায়িত্ব নিয়েই তিনি ঘোষণা করেছিলেন, “এবার আর দু’শো পার নয়, তৃণমূলের পরপার নিশ্চিত।” তিনি বলেন, “একদিন বাংলায় বিজেপি অপাঙক্তেয় ছিল। আমাদের ভোট এক শতাংশেরও নীচে ছিল। আর আজ বাংলার মানুষ তৃণমূলকে হঠিয়ে বাংলায় বিজেপি সরকার গঠনের জন্য তৈরি হচ্ছেন।” শমীক বলেছিলেন, “মমতার বিকল্প মুখ কোথায়? বাংলার মানুষ স্থির করে নিয়েছেন, ছাব্বিশের ভোটে তৃণমূলকে তাঁরা বিদায় দেবেন। কারণ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সততার প্রতীক আর কাজে লাগছে না। দুর্নীতির সরকারকে হঠাতে মানুষ এখন বদ্ধপরিকর।”

    মাসখানেক আগে উত্তরবঙ্গের আলিপুরদুয়ারে জনসভা করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী। ১৮ জুলাই জনসভা করবেন দক্ষিণবঙ্গে। সেই সভায় প্রধানমন্ত্রী প্রচারের কী সুর বেঁধে দেন, সেদিকেই তাকিয়ে বিজেপির নেতা-কর্মী-সমর্থকরা। সেই সুর ধরেই (Samik Bhattacharya) কোমর কষে লড়াইয়ের ময়দানে নেমে পড়বেন পদ্ম নেতারা (PM Modi)।

  • Weather Update: টানা চারদিন দক্ষিণবঙ্গে ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস হাওয়া অফিসের

    Weather Update: টানা চারদিন দক্ষিণবঙ্গে ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস হাওয়া অফিসের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: টানা চারদিন দক্ষিণবঙ্গের অধিকাংশ জেলায় ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস দিল আলিপুর আবহাওয়া (Weather Update) দফতর। ঘূর্ণাবর্তের জেরেই হতে পারে এই বৃষ্টি। শুক্রবার সকাল থেকেই মুখভার কলকাতার। যমজ শহর হওড়ায়ও এদিন সকাল থেকে আকাশ ছিল মেঘে ঢাকা। টিপটিপ করে বৃষ্টিও (Heavy Rain) হয়েছে। আরও কিছুদিন আবহাওয়া থাকবে এমনই। বিক্ষিপ্তভাবে বৃষ্টি হবে কলকাতায়। দক্ষিণবঙ্গের বাকি জেলাগুলিতে দেখা দিতে পারে দুর্যোগের ঘনঘটা।

    হাওয়া অফিসের খবর (Weather Update)

    আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, এই মুহূর্তে বিকানের, জয়পুর, আসানসোল এবং কলকাতার ওপর দিয়ে বঙ্গোপসাগর পর্যন্ত বিস্তৃত মৌসুমি অক্ষরেখা। গাঙ্গেয় বঙ্গের উত্তরভাগে রয়েছে একটি ঘূর্ণাবর্তও। আরও একটি উচ্চ অক্ষরেখা গিয়েছে গুজরাট থেকে মধ্যপ্রদেশ, ছত্তিশগড়, ঝাড়খণ্ড হয়ে গাঙ্গেয় বঙ্গের ওপর দিয়ে। সেটি মিশেছে ঘূর্ণাবর্তের সঙ্গে। রাজ্যে সক্রিয় রয়েছে মৌসুমী বায়ুও। এই ত্র্যহস্পর্শেই পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন জেলায় চলবে হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টি। কোথাও কোথাও ভারী বর্ষণও হতে পারে। আগামী চারদিনের পূর্বাভাস দিয়ে বিশেষ বুলেটিন প্রকাশ করা হয়েছে হাওয়া অফিসের তরফে।

    ভারী বৃষ্টি

    শুক্রবার ভারী বৃষ্টি হতে পারে দুই ২৪ পরগনা, দুই বর্ধমান, বীরভূম, বাঁকুড়া, হুগলি এবং মুর্শিদাবাদে। বাকি জেলাগুলিতে জারি করা হয়েছে বজ্রবিদ্যুৎ-সহ বৃষ্টির সতর্কতা। ঘণ্টায় ৩০ থেকে ৪০ কিলোমিটার বেগে বইতে পারে ঝোড়ো হাওয়া। শনিবার বিক্ষিপ্তভাবে ভারী থেকে অতিভারী বৃষ্টি হতে পারে বাঁকুড়া, পূর্ব বর্ধমান, হুগলি ও নদিয়ায়। ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে পশ্চিম বর্ধমান, পুরুলিয়া, পশ্চিম মেদিনীপুর, মুর্শিদাবাদ, বীরভূম এবং দুই ২৪ পরগনায়। রবিবার ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টি হতে পারে পুরুলিয়া, বাঁকুড়া, ঝাড়গ্রাম এবং পশ্চিম মেদিনীপুরে। দক্ষিণবঙ্গের বাকি জেলাগুলিতেও হতে পারে ভারী বর্ষণ।

    ভারী বৃষ্টি হতে পারে সোমবারও। এদিন পুরুলিয়া (Heavy Rain), বীরভূম, পশ্চিম বর্ধমান এবং মুর্শিদাবাদের বেশ কিছু এলাকায় ভারী বৃষ্টি হতে পারে (Weather Update)। বৃহস্পতিবার পর্যন্ত দক্ষিণবঙ্গের জেলাগুলিতে চলবে হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টি। শুক্রবার উত্তরবঙ্গের জেলাগুলিতে ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা থাকলেও, শনি ও রবিবার বৃষ্টির দাপট তুলনামূলকভাবে কম থাকবে। সোমবার থেকে ফের হতে পারে ভারী বর্ষণ। চলবে বুধবার পর্যন্ত। এই পর্বে বৃষ্টি হতে পারে দার্জিলিং, জলপাইগুড়ি, কোচবিহার, মালদহ, আলিপুরদুয়ার এবং কালিম্পংয়ে (Weather Update)।

  • BJP leaders Death Case: “এটা কি রসিকতা হচ্ছে?” ভোট পরবর্তী হিংসা মামলায় সিবিআইকে ধমক আদালতের

    BJP leaders Death Case: “এটা কি রসিকতা হচ্ছে?” ভোট পরবর্তী হিংসা মামলায় সিবিআইকে ধমক আদালতের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “এটা কি রসিকতা হচ্ছে?” ভোট পরবর্তী হিংসা মামলায় ঠিক এই প্রশ্ন তুলেই সিবিআইকে (CBI) ধমক দিল আদালত। তথ্যপ্রমাণ জোগাড় হয়ে গিয়েছে দু’বছর আগেই (BJP leaders Death Case)। তার পরেও কেন অতিরিক্ত চার্জশিট জমা দেওয়া হল চার বছর পর? প্রশ্ন আদালতের।

    ভোট পরবর্তী হিংসায় খুন (BJP leaders Death Case)

    একুশের বিধানসভা নির্বাচনের ফল প্রকাশের পর ভোট পরবর্তী হিংসায় খুন হয়েছিলেন কাঁকুড়গাছির বিজেপি কর্মী অভিজিৎ সরকার। সেই মামলায় মাত্র দু’দিন আগেই অতিরিক্ত চার্জশিট জমা দিয়েছে সিবিআই। এই চার্জশিটে নাম রয়েছে ১৮ জনের। তার মধ্যে আবার তিনজনই হলেন তৃণমূলের নেতা। তাঁদের মধ্যে রয়েছেন বেলেঘাটার তৃণমূল বিধায়ক পরেশ পাল এবং কলকাতা পুরসভার দুই কাউন্সিলর স্বপন সমাদ্দার এবং পাপিয়া ঘোষ। শুক্রবার কলকাতার বিচার ভবন সেই মামলায় ১৮ জনকেই সমন পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছে। পাঠাতে বলা হয়েছে চার্জশিটের প্রতিলিপিও। আদালত এদিন জানিয়ে দেয়, কেবল ওই ১৮ জনই নন, মূল চার্জশিটে যে ২০ জনের নাম রয়েছে, তাঁদেরও সমন পাঠাতে হবে।

    সিবিআইকে ধমক আদালতের

    বিচারকের এই নির্দেশের পর সিবিআইয়ের তরফে আদালতকে জানানো হয়, সকলকে চার্জশিট পাঠাতে তাদের মাসখানেক সময় লাগবে। এতেই ক্ষোভ প্রকাশ করেন বিচারক। বলেন, “চার বছর পর সাপ্লিমেন্টারি চার্জশিট দিচ্ছেন। এটা কী ম্যাটার অফ জোক? চার বছর ধরে কী করছিলেন? চার্জশিটে তো দেখলাম তথ্যপ্রমাণ জোগাড় করা হয়েছে দু’বছর আগেই।” তিনি বলেন, “তদন্তের অধিকার দেওয়া হয়েছে মানে সেটা আপনাদের খামখেয়ালির ওপর নির্ভর করতে পারে না।” এই মামলার পরবর্তী শুনানি হবে ১৮ জুলাই। সিবিআই (CBI) সূত্রে খবর, ওই দিনই অভিযুক্তদের আদালতে হাজির থাকতে বলা হবে (BJP leaders Death Case)।

    একুশের বিধানসভা নির্বাচনের ফল ঘোষণার পর রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে শুরু হয় ভোট পরবর্তী হিংসা। প্রতিটি ক্ষেত্রেই কাঠগড়ায় তোলা হয়েছে বিজয়ী দল তৃণমূলকে। ওই সময়ই ভোট পরবর্তী হিংসায় অভিজিৎ খুন হন বলে অভিযোগ। পরিবারের দাবি, ২ মে ফল ঘোষণার দিনই অভিজিৎকে পিটিয়ে, গলায় কেবল টিভির তার জড়িয়ে খুন করা হয়। এই ঘটনায় অন্যতম মূল অভিযুক্ত অরুণ দে সিবিআইয়ের হাতে গ্রেফতার হন গত সপ্তাহে (BJP leaders Death Case)।

  • Shamik Bhattacharya: “তলোয়ার নয়, আমরা তাদের হাতে কলম তুলে দিতে চাই,” ‘মেইডেন স্পিচে’ বললেন শমীক

    Shamik Bhattacharya: “তলোয়ার নয়, আমরা তাদের হাতে কলম তুলে দিতে চাই,” ‘মেইডেন স্পিচে’ বললেন শমীক

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “বিজেপি (BJP) মুসলমান বিরোধী নয়, বরং মুসলমানদের হাত থেকে তলোয়ার কেড়ে নিয়ে কলম ধরাতে চায়।” বৃহস্পতিবার কলকাতার সায়েন্স সিটির বিশাল মঞ্চ থেকে কথাগুলি বললেন বিজেপির নয়া রাজ্য সভাপতি শমীক ভট্টাচার্য (Shamik Bhattacharya)। বস্তুত, এ রাজ্যে বিজেপি এখনও মুসলমানদের ‘কাছের লোক’ হয়ে উঠতে পারেনি। তৃণমূলের চটকদারির রাজনীতিতে (স্বয়ং মুখ্যমন্ত্রী ইদের জমায়েতে গিয়ে নমাজ পড়েন) ভুলে গিয়ে ‘স্বজাতি’কেই (পড়ুন, তমান্না খাতুন)খুন করে বসে।

    মুসলিমদের প্রতি বার্তা শমীকের (Shamik Bhattacharya)

    রাজনৈতিক মহলের মতে, তৃণমূলের পাল্লায় পড়ে মুসলিমদের এই বিপথগামিতা থেকে সরিয়ে আনতে বিজেপির নয়া রাজ্য সভাপতি যে আগ্রহী, এদিন সেই বার্তাই দিলেন শমীক। বঙ্গ বিজেপির রাজ্য সভাপতি হিসেবে এদিন তাঁর ‘মেইডেন স্পিচে’ শমীক মুসলমানদের কাছে টানার চেষ্টা করলেন আন্তরিকভাবেই। এদিন শমীকের হাতে রাজ্য সভাপতির দায়িত্বের শংসাপত্র তুলে দেন গৈরিক শিবিরের কেন্দ্রীয় নেতা তথা প্রাক্তন মন্ত্রী রবিশঙ্কর প্রসাদ। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বিদায়ী সভাপতি তথা কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সুকান্ত মজুমদার এবং রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। হাতে শংসাপত্র পাওয়ার পর বঙ্গ বিজেপির নয়া সারথি হিসেবে তাঁর ‘মেইডেন স্পিচে’ শমীক বলেন, “দিনের পর দিন বাংলার মাটিতে সাম্প্রদায়িক বিভাজন তৈরি করা হয়েছে। কিন্তু বিজেপির লড়াই কোনও মুসলমানের বিরুদ্ধে নয়। যারা পাথর হাতে ঘোরে, তাদের আমরা বই ধরাতে চাই। যারা তলোয়ার নিয়ে রাস্তায় নামে, তাদের হাতে আমরা কলম তুলে দিতে চাই।”

    হিন্দু-মুসলিম সৌহার্দ্যের বার্তা

    হিন্দু-মুসলিম সৌহার্দ্যের বার্তা দিয়ে বিজেপির নয়া রাজ্য সভাপতি বলেন, “আমরা চাই দুর্গাপুজোর বিসর্জন আর মহরমের শোভাযাত্রা একই রাস্তা দিয়ে যাক, এক সঙ্গে, সংঘর্ষ ছাড়াই। আমরা চাই সম্প্রীতির বাংলাকে (BJP) বাঁচাতে।” তিনি বলেন, “এজন্য কোনও দাঙ্গা হবে না, সংঘর্ষ হবে না। কোনও রাজনৈতিক সম্প্রীতির বিভাজন থাকবে না। পশ্চিমবঙ্গকে বাঁচাতে হবে, বাঁচাতে হবে এর বহুত্ববাদকে। এই মাটিকে রক্ষা করতে হবে। এটাই বিজেপির (Shamik Bhattacharya) লড়াই। এটা আমরা করেও দেখাব।”

    মুসলমানদের গৌরবোজ্জ্বল অতীতের কথা স্মরণ

    এদিনের মঞ্চ থেকে মুসলমানদের গৌরবোজ্জ্বল অতীতের কথা স্মরণ করিয়ে দিয়ে শমীক বলেন, “বাংলার সংখ্যালঘু ভাইবোনেরা সৈয়দ মুজতবা সিরাজ, সৈয়দ মুস্তাফা আলি, এস ওয়াজেদ আলি, নজরুলের কথা শুনবে, না কি কোনও উগ্রপন্থীর কথা শুনবে? না কি হুমায়ুন কবীরের বক্তব্যকে গ্রহণ করবে?” তিনি বলেন, “আপনাকেই চিন্তা করতে হবে, আপনার পরবর্তী প্রজন্ম তলোয়ার নিয়ে রাস্তায় বেরবে, না কি রাস্তায় পাথর ছুড়বে? মুসলমান মানেই সমাজবিরোধী! দেখুন রাজ্যের দিকে তাকিয়ে। মারছে মুসলমান, মরছেও মুসলমানই। কারা এই অবস্থা তৈরি করল?” বিজেপির নয়া রাজ্য সভাপতি বলেন, “আপনারা মনে করলে বিজেপিকে ভোট দেবেন না, কিন্তু আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে নিজেকে প্রশ্ন করুন, গত তিন বছরে পশ্চিমবঙ্গে যত খুন হয়েছে, তার মধ্যে মুসলমানদের সংখ্যা কত। ৯০ শতাংশই মুসলমান খুন হয়েছেন। যারা মারছে আর যারা মরছে, তারা সবাই মুসলমান। আর তাদের পরিবার বলছে সিবিআই তদন্ত চাই।”

    ঘাসফুল বিরোধী সব ভোটকে পদ্মঝুলিতে ফেলার চেষ্টা

    বছর ঘুরলেই রাজ্যে বাজবে বিধানসভা নির্বাচনের ডংকা। তাই তৃণমূলকে (Shamik Bhattacharya) রাজ্য থেকে উৎখাত করতে ঘাসফুল বিরোধী সব ভোটকে পদ্মঝুলিতে ফেলার চেষ্টাও এদিন করেছেন শমীক। বঙ্গ বিজেপির দণ্ডমুণ্ডের নয়া কর্তা বামেদের উদ্দেশে (BJP) বলেন, “বামদের বলছি, ভোট কাটাকাটি করবেন না। পেছনের দরজা দিয়ে তৃণমূলকে ক্ষমতায় ফেরাবেন না। ২০২৬ সালে নির্বাচন, তৃণমূলের বিসর্জন। তাই যার যা পতাকা আছে, সেগুলি সরিয়ে রেখে আসুন এক সঙ্গে লড়ুন। সমস্ত মত-পথ ভুলে যান। এগিয়ে আসুন। তৃণমূলকে সরিয়ে দিন। তারপর আবার যে যার মত-পথে চলবেন।” তিনি বলেন, “মানুষ শিল্প চায়, চাকরি চায়। অথচ রাজ্যে তা নেই। অথচ আমাদের সোনার বাংলা ছিল। আবার সোনার বাংলা বানাতে হবে।” শমীক (Shamik Bhattacharya) বলেন, “বাংলার মানুষ তৃণমূলের শাসন থেকে মুক্তি চাইছেন।”

    ছাব্বিশের ভোটে বিজেপিই জিতবে

    তবে ছাব্বিশের ভোটে যে আর তৃণমূল আর রাজ্যের ক্ষমতায় ফিরবে না, এদিন সে কথাও প্রত্যয়ের সঙ্গে জানিয়ে দেন শমীক। বলেন, “তৃণমূল শেষ হয়ে গিয়েছে। আর থাকবে না। তৃণমূলের মুখ কোথায়? মানুষ সবাইকে প্রত্যাখ্যান করছে। আমরা সবাইকে নিয়ে ঐক্যবদ্ধভাবে লড়াই করব। আগামী নির্বাচনে তৃণমূলকে হারিয়ে আমরা ক্ষমতায় আসব।” তবে এ রাজ্যে বিজেপির সংগঠন বিস্তার যে অনায়াস নয়, তা বেশ বোঝেন শমীক। বলেন, “এতদিন ধরে বিজেপি এতটা রাস্তা পেরিয়েছে। সেই রাস্তা কিন্তু মসৃণ ছিল না। আমাদের কর্মীদের ওপর অনেক অত্যাচার হয়েছে, মিথ্যে মামলা দেওয়া হয়েছে। তা সত্ত্বেও কর্মীরা সাহসের সঙ্গে লড়াই করেছেন।” তিনি (Shamik Bhattacharya) বলেন, “আমরা সর্বস্তরের সব নেতা-কর্মীকে সঙ্গে নিয়ে এক সঙ্গে লড়াই করব। কোথাও কোনও ভেদাভেদ থাকবে না।” শমীক বলেন, “আগামী নির্বাচনে বিজেপিই জিতছে। পৃথিবীর কোনও শক্তি নেই, যারা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে চতুর্থবারের জন্য মুখ্যমন্ত্রী পদে বসাবেন (BJP)।”

LinkedIn
Share