Category: রাজ্য

Get West Bengal News, Bengali Breaking News, Latest News in Bengali only from মাধ্যম | Madhyom, Bengali News Portal for সম্পূর্ণ নিরপেক্ষ বাংলা সংবাদ, বাংলা খবর

  • Passport Fraud Case: সর্ষের মধ্যেই ভূত! পাসপোর্ট জালিয়াতিকাণ্ডে গ্রেফতার কলকাতা পুলিশের প্রাক্তন অফিসার

    Passport Fraud Case: সর্ষের মধ্যেই ভূত! পাসপোর্ট জালিয়াতিকাণ্ডে গ্রেফতার কলকাতা পুলিশের প্রাক্তন অফিসার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এ যেন ঠিক সর্ষের মধ্যেই ভূত! পাসপোর্ট জালিয়াতিকাণ্ডে (Passport Fraud Case) এবার পুলিশের হাতে ধরা পড়েছেন প্রাক্তন পুলিশ কর্মীই। তদন্তকারী অফিসারদের সূত্রে জানা গিয়েছে, এই জাল পাসপোর্ট তৈরির ঘটনায় বড় মাথা ছিলেন সমরেশ। তাঁর সঙ্গে যুক্ত ছিলেন প্রাক্তন পুলিশ কর্মী আব্দুল হাই। তদন্তে ঘনিষ্ঠ যোগাযোগের তথ্য উঠে এসেছিল। এখনও পর্যন্ত মোট গ্রেফতারির সংখ্যা দাঁড়াল ৯। জানা গিয়েছে, এই অফিসার কলকাতা পুলিশের (Calcutta Police Officer arrest) সিকিউরিটি কন্ট্রোলের অফিসে কাজ করতেন। গত ৩ ডিসেম্বর রাতে এক অভিযান চালিয়ে তাঁকে গ্রেফতার করা হয়।

    প্রতি পাসপোর্ট পিছু ২৫ হাজার করে টাকা নিতেন (Passport Fraud Case)

    পাসপোর্ট জালিয়াতি কাণ্ডে এক প্রাক্তন পুলিশ কর্মীর (Calcutta Police Officer arrest) গ্রেফতারের ঘটনায় ব্যাপক শোরগোল পড়েছে। কার্যত কুমিরের ছানা যেন শিয়ালের কাছে রাখার মতো শোনাচ্ছে। রক্ষক এখন ভক্ষক। যার হাতে সমাজকে সুরক্ষিত রাখার কথা তিনি এখন জালিয়াতি কারবারের সঙ্গে যুক্ত। জানা গিয়েছে, এই অফিসার এক বছর আগে নিজের কর্মজীবন থেকে অবসর গ্রহণ করেছেন। হাবড়া থেকে পুলিশ তাঁকে পাকড়াও করেছে। ১৫০টি পাসপোর্টের মধ্যে ৫২টি পাসপোর্টের এনকোয়ারিং অফিসার ছিলেন এই কলকাতা পুলিশের প্রাক্তন সাব ইন্সপেক্টর আব্দুল হাই। অভিযোগ রয়েছে প্রতি পাসপোর্ট পিছু তিনি ২৫ হাজার করে টাকা নিতেন। মূলত পাসপোর্ট ভেরিফিকেশনের কাজ করতেন এবং এখানেই নিজে টাকার বিনিময়ে বেআইনি কাজ করতেন। এখন এই ধরনের কাজে যদি পুলিশ যুক্ত থাকেন, তাহলে জালিয়াতি কারবার নিয়ে প্রশাসনের প্রত্যক্ষ মদত যে রয়েছে তা আরও একবার প্রমাণিত হয়। এই রাজ্য কি তাহলে জঙ্গিদের জন্য সুরক্ষিত মুক্তাঞ্চল? এই প্রশ্ন এখন সাধারণ মানুষের মনে ঘোরাফেরা করছে।

    আরও পড়ুনঃ “একজনের পক্ষে অসম্ভব”, আরজি করকাণ্ডে নির্যাতিতার পরিবারের সঙ্গে একমত ধৃতের আইনজীবীও!

    “অর্থের লোভে সমাজের রক্ষকরা প্রলোভনে পা দিচ্ছেন”

    প্রসঙ্গত এই পাসপোর্ট জালিয়াতি (Passport Fraud Case) মামলায় আগে আটজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তাঁদেরকে টানা জিজ্ঞাসাবাদ করছে পুলিশ। বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ নথি উদ্ধার হয়েছে। জিজ্ঞাসাবাদের মাধ্যমেই প্রাক্তন পুলিশকর্মী আব্দুল হাই-এর (Calcutta Police Officer arrest) নাম পাওয়া গিয়েছে। এই ভূয়ো মামলায় প্রাক্তন পুলিশকর্তা অরিন্দম আচার্য অত্যন্ত উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। তিনি বলেন, “অর্থের লোভে সমাজের রক্ষকরা প্রলোভনে পা দিচ্ছেন। টাকা দিয়ে জালিয়াতির কারবার মাকড়সার মতো জাল বিস্তার করেছে। আমাদের রাজ্যের গোয়েন্দাদের চূড়ান্ত ব্যর্থতার পরিণাম। চোরা কারবারিরা একেবারে ভিতরে ঢুকে পড়ছে। তাদের আটকানোর কোনও চেষ্টা রাজ্য সরকার করছে না। প্রশাসন এবং রাজ্য সরকারের বিরাট ভূমিকাকে অস্বীকার করা যাবে না।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • RG Kar Case: “একজনের পক্ষে অসম্ভব”, আরজি করকাণ্ডে নির্যাতিতার পরিবারের সঙ্গে একমত ধৃতের আইনজীবীও!

    RG Kar Case: “একজনের পক্ষে অসম্ভব”, আরজি করকাণ্ডে নির্যাতিতার পরিবারের সঙ্গে একমত ধৃতের আইনজীবীও!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “একজনের পক্ষে অসম্ভব!” আরজি কর হাসপাতালের (RG Kar Case) চিকিৎসক-তরুণীকে ধর্ষণ করে হত্যাকাণ্ডের বিরুদ্ধে নির্যাতিতার পরিবার (Victims Family) এবং আসামিপক্ষ কার্যত একই সুরে জানাল আদালতে। শনিবার শিয়ালদা আদালতে ধৃত সিভিক ভলান্টিয়ারের সর্বোচ্চ সাজার আবেদন জানিয়েছেন নির্যাতিতার বাবা-মা। ৫৭ পাতার একটি লিখিত বক্তব্যে বিচারকের কাছে এই আবেদন করেছেন তাঁরা।

    কোনও একজন ব্যক্তির হাত ছিল না (RG Kar Case)!

    ধর্ষক এবং খুনির ফাঁসির দাবি জানিয়েছে নির্যাতিতার পরিবার (RG Kar Case)। আদালতে হাজির ছিলেন অভয়ার বাবা-মা। শুনানিতে প্রশ্ন করেছিলেন ধৃত সঞ্জয় রায়ের আইনজীবীও। তবে দুই পক্ষের বক্তব্যে অমিল থাকলেও একটি বিষয়ে তারা একমত যে এই ধর্ষণ এবং খুনের ঘটনার পিছনে কোনও একজন ব্যক্তির হাত ছিল না। মামলার তদন্তে প্রথমে পুলিশ এবং পরবর্তীকালে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা, দুই ক্ষেত্রেই প্রধান অভিযুক্ত হিসেবে একজনের নামই উঠে এসেছে। এই সিভিক ভালান্টিয়ার সঞ্জয় রায়কে চার্জশিটে দোষী হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। সেই সঙ্গে সিবিআই আরও জানিয়েছে, আরও যারা যারা ঘটনার পিছনে রয়েছে তাদের সম্পর্কে খোঁজ করে দোষী হিসেবে চিহ্নিত করার কাজ চলছে।

    ঠিক কতজন এই পাশবিক হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে যুক্ত?

    অভিযুক্ত কি একজন, নাকি একাধিক? এই নিয়ে দিল্লির এক বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক দল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার কাছে মতামত জানিয়েছে। তাতে বলা হয়েছে, একজনের পক্ষে এই ঘটনা ঘটানো সম্ভব নয়। নির্যাতিতার শরীরে (RG Kar Case) যে সব আঘাত পাওয়া গিয়েছে তাতে ঘটনার পিছনে একাধিক ব্যক্তি রয়েছে। আবার ফরেন্সিক বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, সংগৃহীত তথ্যপ্রমাণকে এক সঙ্গে মিলিয়ে দেখলে নিশ্চিত হওয়া সম্ভব হবে ঠিক কতজন এই পাশবিক হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে যুক্ত ছিল।

    আরও পড়ুনঃ মহিলা চিকিৎসককে দ্বিতীয় ‘অভয়া’ করে দেওয়ার হুমকি হাসপাতাল সুপারের

    সিভিক একা এই ঘটনার সঙ্গে যুক্ত নয়

    নির্যাতিতার (RG Kar Case) আইনজীবী অমর্ত্য দে বলেন, ‘‘এই ঘটনায় কে বা কারা জড়িত রয়েছেন, তা প্রকাশ্যে আসুক। আর কেউ জড়িত কি না, তা-ও উঠে আসুক তদন্তে।’’ একই ভাবে পরিবারের (Victims Family) পক্ষে দাবি, “ধৃত সিভিক একা এই ঘটনার সঙ্গে যুক্ত নয়, নেপথ্যে আরও অনেক লোক রয়েছে। ঘটনার আরও তদন্ত করা হক। কারা কারা যুক্ত খুঁজে বার করে চার্জশিট জমা দেওয়া হোক।”

    অপর দিকে ধৃতের আইনজীবী আদালতে শুনানির সময় দাবি করেন, “সমস্ত সাক্ষ্যপ্রমাণ এবং সিসিটিভির সাপেক্ষে বলা যায় একজনের পক্ষে এই কাজ করা সম্ভব নয়। পিছনে অনেকে রয়েছে। ধৃত এই ঘটনার সঙ্গে যুক্ত নন।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Santipur Hospital: মহিলা চিকিৎসককে দ্বিতীয় ‘অভয়া’ করে দেওয়ার হুমকি হাসপাতাল সুপারের

    Santipur Hospital: মহিলা চিকিৎসককে দ্বিতীয় ‘অভয়া’ করে দেওয়ার হুমকি হাসপাতাল সুপারের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কথা না শুনলে দ্বিতীয় অভয়া করে দেব। মহিলা চিকিৎসককে হুমকি সরকারি হাসপাতাল সুপারের। চরম আতঙ্কে অবশেষে স্বাস্থ্য দফতর এবং পুলিশের দ্বারস্থ হলেন ওই মহিলা চিকিৎসক। চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটেছে নদিয়ার শান্তিপুর স্টেট জেনারেল হাসপাতালে (Santipur Hospital)। ওই মহিলা চিকিৎসকের নাম সুকন্যা রায়। তিন মাস আগে শান্তিপুর স্টেট জেনারেল হাসপাতালে প্যাথলজি বিভাগের সিনিয়র রেসিডেন্ট হিসেবে কাজে যোগ দেন তিনি।

    ঠিক কী অভিযোগ?(Santipur Hospital)

    মহিলা চিকিৎসের (Santipur Hospital) অভিযোগ, “কাজে যোগদানের পর থেকেই হাসপাতাল সুপার তারক বর্মন আমার ওপর বিভিন্নভাবে মানসিক নির্যাতন করতেন। আমি প্যাথলজি বিভাগে কাজ করলেও আমাকে জোর করে জরুরি বিভাগে কাজ করাতে বাধ্য করতেন। পাশাপাশি নাইট ডিউটি জোর করে করাতেন। আমি প্রতিবাদ করতে গেলে আমাকে হুমকি দিতেন হাসপাতাল সুপার। আমি নাইট ডিউটি করতে অস্বীকার করলে, আমাকে দ্বিতীয় অভয়া করে দেওয়ার হুমকি দেওয়া হয়।” এরপরেই আতঙ্কিত হয়ে পড়েন ওই মহিলা চিকিৎসক। নিরুপায় হয়ে স্বাস্থ্য দফতর এবং থানার দ্বারস্থ হন তিনি। শান্তিপুর থানায় অভিযুক্ত তারক বর্মনের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন ওই মহিলা চিকিৎসক। তিনি চাইছেন অবিলম্বে তাঁকে যেন এই হাসপাতাল থেকে অন্যত্র বদলি করে স্বাস্থ্য দফতর।

    আরও পড়ুন: ৪ বছরের মধ্যে ৫০ হাজার কোটির প্রতিরক্ষা সরঞ্জাম রফতানি লক্ষ্য ভারতের, জানালেন রাজনাথ

    হাসপাতালের সুপার কী বললেন?

    ওই মহিলা চিকিৎসকের তোলা অভিযোগ অস্বীকার করেছেন শান্তিপুর হাসপাতাল (Santipur Hospital) সুপার তারক বর্মন। তিনি বলেন, “ওই মহিলা চিকিৎসক আমার বিরুদ্ধে যে অভিযোগ তুলেছেন তা সম্পূর্ণ মিথ্যা।” পাশাপাশি তিনি বলেন, “এ বিষয়ে সম্পূর্ণভাবে যা বলার জেলা স্বাস্থ্য অধিকর্তা বলবেন।” অন্যদিকে ওই মহিলা চিকিৎসকের অভিযোগের কথা স্বীকার করে নিয়েছেন জেলা স্বাস্থ্য অধিকারিক জ্যোতিষ চন্দ্র দাস। তিনি বলেন, “আমি ওই মহিলা চিকিৎসকের অভিযোগ হাতে পেয়েছি। ইতিমধ্যেই তা জেলা স্বাস্থ্য দফতরে পাঠিয়ে দিয়েছি। তবে ওই মহিলা চিকিৎসক নিজেও মানসিক রোগের ওষুধ খান। আমি জানিয়েছি, ওই চিকিৎসককে স্বাস্থ্য দফতর অন্যত্র স্থানান্তরিত করলে আমার কোনও আপত্তি নেই।”

    বিজেপি নেতা কী বললেন?

    বিজেপি নেতা সোমনাথ কর বলেন, “আমি প্রশাসনকে অনুরোধ করব, যাতে পুরো বিষয়টি (Santipur Hospital) তদন্ত করে অভিযুক্তের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়। এই থ্রেট কালচার দীর্ঘদিন ধরে চলে আসছে।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Militant: বাংলা জুড়ে সন্ত্রাসের জাল! জেলে গিয়ে জঙ্গিদের জেরা করতে চান গোয়েন্দারা

    Militant: বাংলা জুড়ে সন্ত্রাসের জাল! জেলে গিয়ে জঙ্গিদের জেরা করতে চান গোয়েন্দারা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বাংলা জুড়ে সন্ত্রাসের জাল বিস্তৃত করেছে জঙ্গিরা! সেই জালের মধ্যে থাকা একের পর এক জঙ্গিকে (Militant) গ্রেফতার করতে শুরু করেছে পুলিশ। গোয়েন্দাদের হাতে আসা তথ্য অনুযায়ী, জেল থেকে জঙ্গিদের একাংশ আনসারুল্লা বাংলা টিমের নেটওয়ার্ক নিয়ন্ত্রণ করে এখনও। বিষয়টির গভীরে যেতে জেলবন্দি জঙ্গিদের নতুন করে জেরা করতে চান গোয়েন্দারা। তাদের সম্পর্কে তথ্য জোগাড় করে ফেলেছেন গোয়েন্দারা। এই জঙ্গিদের জেরা করতে রাজ্য ও কেন্দ্রীয় গোয়েন্দারা তদ্বির করতে শুরু করেছেন।

    বাংলায় নাশকতার ছক!(Militant)

    সূত্রের খবর, রাজ্যের নানা জেলে জামাতুল মুজাহিদিন বাংলাদেশ (জেএমবি) এবং আনসারুল্লা বাংলা টিমের (এবিটি) প্রায় ৪০ জন বন্দি আছে। তাদের মধ্যে আছে খাগড়াগড় এবং বিহারের বুদ্ধগয়া বিস্ফোরণে অভিযুক্তরাও। এদের পাঁচজন বাংলাদেশের নাগরিক। বাংলায় (Militant) এরা নাশকতা করতেই জড়ো হয়েছিল। ত্রিপুরা, অসম, বিহার থেকে এখানে এসে নাশকতা করার ছক কষেছিল জঙ্গিরা। ক্যানিং থেকেও ধরা পড়েছে জঙ্গি। তাকে জেরা করা হয়েছে। সেখান থেকে নানা তথ্য হাতে এসেছে। আবার সুন্দরবনের উপকূল এলাকায় লস্কর-ই- তৈবার জঙ্গিরা ঘাঁটি গেড়েছে বলে গোয়েন্দারা গোপন সূত্রে খবর পেয়েছেন।

    জেলবন্দি বাংলাদেশি জঙ্গিদের জেরা

    গোয়েন্দাদের দাবি, বাংলাদেশের পরিস্থিতি অগ্নিগর্ভ হতেই এবিটি’র প্রধান জসিমুদ্দিন রহমানির নির্দেশে সক্রিয় হয় জঙ্গিরা। তাদের বাকি পরিকল্পনা জানতেই এবার জেলবন্দি বাংলাদেশি জঙ্গিদের (Militant) জেরা করতে চাইছেন গোয়েন্দারা। বাংলার জেলে এখন বন্দি আছে খাগড়াগড় ও বুদ্ধগয়া বিস্ফোরণে অভিযুক্ত বাংলাদেশ নাগরিক রহমতুল্লা ওরফে সাজিদ, জাহিদুল ওরফে কওসর, তারিকুল ওরফে সুমন, লিয়াকত ওরফে রফিক। এদের মধ্যে তারিকুল এখন বহরমপুর জেলে বন্দি। আর তারিকুলের সঙ্গে মুর্শিদাবাদ থেকে গ্রেফতার হওয়া এবিটি’র জঙ্গি মিনারুল শেখ ও আব্বাস আলির যোগ রয়েছে। সেই প্রমাণ পেয়েছেন গোয়েন্দারা। তাই গোয়েন্দারা তারিকুলকে হেফাজতে নিয়ে জেরা করতে চান। খাগড়াগড় বিস্ফোরণের সঙ্গে জড়িত ১২ জন এখন সাজা শেষ করে বাইরে বেরিয়ে গিয়েছে। তারা আবার নতুন করে সক্রিয় হয়ে উঠেছে কিনা সেটার খোঁজও শুরু করেছেন গোয়েন্দারা।

    গোপনে বাংলায় সংগঠন এবিটি-র!

    গোয়েন্দাদের প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী, খাগড়াগড় কাণ্ডের পরেও বাংলায় জঙ্গি (Militant) নেটওয়ার্ক নির্মূল হয়নি। ২০২২ সালে অসম এবং মধ্যপ্রদেশ থেকে এবিটি’র কয়েকজন জঙ্গি গ্রেফতার হতেই জানা যায়, গোপনে বাংলায় সংগঠন তৈরি করেছে আল-কায়দার উপমহাদেশীয় শাখা এবিটি। এবার অসম পুলিশের হাতে গ্রেফতার হওয়া নূর ইসলাম মণ্ডলকে জেরা করে উঠে এসেছে, খাগড়াগড় বিস্ফোরণের আগে বর্ধমানের শিমুলিয়া মাদ্রাসায় প্রশিক্ষণ নিয়েছিল সে। ২০২৪ সালে বাংলার নানা জায়গায় ঘুরেছিল নূর। আব্বাস এবং মিনারুলের সঙ্গে বৈঠকও করেছিল নূর। গোয়েন্দারা এবার সব বিষয়টা খুঁজে বের করতেই এখন জেলে গিয়ে জঙ্গিদের জেরা করতে চান।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Suvendu Adhikari: “সীমান্তে নকল আধার, এপিক কার্ড তৈরিতে জড়িত তৃণমূল নেতারা”, তোপ শুভেন্দুর

    Suvendu Adhikari: “সীমান্তে নকল আধার, এপিক কার্ড তৈরিতে জড়িত তৃণমূল নেতারা”, তোপ শুভেন্দুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “ধর্মীয় উৎপীড়নের কারণে যে সব হিন্দুরা এখানে চলে আসছে তাদের বেছে বেছে গ্রেফতার করে জেলে ভরছে পুলিশ। রোহিঙ্গা মুসলিমদের জায়গা দিচ্ছে তৃণমূল। আর মুখ্যমন্ত্রী এবং তাঁর ভাইপো বিএসএফদের গালাগালি দিচ্ছে। এ রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী নিরাপত্তা দিতে পুরোপুরি ব্যর্থ।” শনিবার নদিয়ার শান্তিপুর ফুলিয়ায় হ্যান্ডলুম কলেজের উদ্বোধনে এসে রাজ্য সরকারকে এই ভাষাতেই আক্রমণ করলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)।

    নকল আধার, এপিক কার্ড তৈরিতে জড়িত তৃণমূল নেতারা (Suvendu Adhikari)

    এদিন ৮০ কোটি টাকা ব্যয়ে ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অফ হ্যান্ডলুম টেকনোলজির নতুন ভবন উদ্বোধন হয়। সেই উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় বস্ত্রমন্ত্রী গিরিরাজ সিং। উপস্থিত ছিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীও। অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে রাজ্য সরকারকে তীব্র আক্রমণ করেন তিনি। তিনি (Suvendu Adhikari) বলেন, “এ রাজ্যের কোটি কোটি মানুষের কোনও নিরাপত্তা নেই। এখানে সীমান্ত এলাকা রয়েছে। প্রায় ৬০০ কিলোমিটার জায়গা জুড়ে বিএসএফদের কাজ করতে দিচ্ছে না রাজ্য সরকার। আর ধর্মীয় উৎপীড়নের কারণে ওপার বাংলা থেকে যে সব হিন্দু এখানে আসছেন তাদের বেছে বেছে গ্রেফতার করে জেলে পাঠাচ্ছে রাজ্য পুলিশ। আর যখন রোহিঙ্গা মুসলিমরা এ রাজ্যে ঢুকছে তাদের জায়গা দিচ্ছে তৃণমূল। আর তাদের তৃণমূল নেতারা নকল আধার কার্ড থেকে শুরু করে বিভিন্ন নথি তৈরি করে কোটি কোটি টাকা রোজগার করছে।” তিনি বলেন, “বর্ডার এলাকাগুলিতে নকল আধার, এপিক কার্ড তৈরিতে তৃণমূল নেতারা জড়িত। এই তদন্তভার অবিলম্বে এনআইএর নেওয়া উচিত।”

    বামেদের অনুষ্ঠানে আসছেন বাংলাদেশের শিল্পী

    বামেদের একটি অনুষ্ঠানে আসছেন বাংলাদেশের শিল্পী। এ প্রসঙ্গে শুভেন্দু (Suvendu Adhikari) বলেন, “ভারতের পতাকাকে অপমান করেছে সেখানকার মৌলবাদীরা। ওই শিল্পীকে এদেশের মাটিতে এসে আগে ক্ষমা চাইতে হবে। তারপর এখানে এসে তিনি অনুষ্ঠান করবেন।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Abhijit Ganguly: “মত্ত অবস্থায় গাড়ি আটকে গালিগালাজ, মারধর করেছেন বাবুল”, আদালতে যাচ্ছেন অভিজিৎ

    Abhijit Ganguly: “মত্ত অবস্থায় গাড়ি আটকে গালিগালাজ, মারধর করেছেন বাবুল”, আদালতে যাচ্ছেন অভিজিৎ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শুক্রবার রাতেই দ্বিতীয় হুগলি সেতুতে রাজ্যের মন্ত্রী বাবুল সুপ্রিয়র (Babul Supriyo) অভব্য আচরণ দেখে হতবাক পথ চলতি সাধারণ মানুষ। গাড়ির গতি বেশি থাকার অভিযোগ তুলে বিজেপি সাংসদ অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের (Abhijit Ganguly) সঙ্গে আচমকাই বিবাদে জড়িয়ে পড়েন রাজ্যের মন্ত্রী বাবুল। বিষয়টি প্রকাশ্যে আসতেই রাজনৈতিক মহলে জোর চর্চা শুরু হয়েছে। এবার ওই ঘটনায় বাবুলের বিরুদ্ধে আদালতের দ্বারস্থ হবেন বলে সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন তমলুকের বিজেপি সাংসদ তথা কলকাতা হাইকোর্টের প্রাক্তন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে? (Abhijit Ganguly)

    শুক্রবার রাতে ঘড়িতে তখন রাত ন’টা। এমন সময় বিজেপি সাংসদ (Abhijit Ganguly) এবং রাজ্যের মন্ত্রীর এই ঝামেলার জেরে দ্বিতীয় হুগলি সেতুতে (বিদ্যাসাগর সেতু) ব্যাপক যানজট তৈরি হয়েছিল। দুটি গাড়িই হাওড়ার দিকে যাচ্ছিল। অভিজিৎবাবু হর্ন বাজানোয় মাঝ রাস্তায় গাড়ি দাঁড় করিয়ে দাদাগিরি দেখাতে শুরু করেন বাবুল। গাড়ি আটকে নিজের ক্ষমতা জাহির করতে থাকেন বলে বিজেপি সাংসদের অভিযোগ। এই ঘটনায় গোটা এলাকায় শোরগোল পড়ে যায়। ঘটনার ভিডিও ইতিমধ্যেই ভাইরাল হয়েছে। সেখানে দেখা যাচ্ছে অভিজিৎবাবুকে ক্ষমা চাইতে হবে বলে দাবি করছেন বাবুল সুপ্রিয়। যদিও অভিজিৎবাবু গাড়ি থেকে নামেননি। আর বাবুল সুপ্রিয় জানিয়ে দেন ক্ষমা না চাইলে তিনি তাঁর গাড়ি যেতে দেবেন না।

    আরও পড়ুন: ৪ বছরের মধ্যে ৫০ হাজার কোটির প্রতিরক্ষা সরঞ্জাম রফতানি লক্ষ্য ভারতের, জানালেন রাজনাথ

    বাবুলের বিরুদ্ধে ঠিক কী অভিযোগ?

    বাবুলের বিরুদ্ধে বিজেপি সাংসদ অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় (Abhijit Ganguly) বলেন, “বাবুল মত্ত অবস্থায় আমার গাড়ি থামিয়ে হামলার চেষ্টা করেন। তর্কাতর্কির সময় গাড়ির জানলা দিয়ে হাত ঢুকিয়ে দেন বাবুল। তাতে আমার মোবাইল পড়ে গিয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এমনকী ‘চাকরি খেয়েছেন’ বলেও বাবুল আমাকে কটু মন্তব্য করেছেন। আমার গাড়ি ভাঙচুর করারও চেষ্টা করা হয়। শুধু তাই নয়, আমাকে ‘বুড়ো ভাম’-এর মতো অশ্রাব্য ভাষায় গালিগালাজও করা হয়।” অন্যদিকে, বাবুল সুপ্রিয়র অভিযোগ তমলুকের সাংসদ ট্রাফিক নিয়ম ভেঙে বেপরোয়া গতিতে গাড়ি ছোটাচ্ছিলেন। তারই প্রতিবাদ জানাতে তিনি বিজেপি সাংসদের গাড়ির ওপর চড়াও হন। যদিও সমস্ত অভিযোগ উড়িয়ে দিয়ে অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের বক্তব্য, তাঁর গাড়ির চালক যদি কোনও ভুল করত তাহলে পুলিশ ধরত। কেস দিতেই পারত। কিন্তু এমন কিছুই হয়নি। তাঁর দাবি, গাড়ির সামনে  ‘এমপি তমলুক’ লেখাটি দেখতে পেয়েই বাবুল ইচ্ছাকৃত এসব করেছেন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Partha Chatterjee: পার্থর বিরুদ্ধে চার্জশিটে অনুমোদন রাজ্যপালের, আদালতে কপি জমা সিবিআই-এর

    Partha Chatterjee: পার্থর বিরুদ্ধে চার্জশিটে অনুমোদন রাজ্যপালের, আদালতে কপি জমা সিবিআই-এর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের (Partha Chatterjee) বিরুদ্ধে চার্জশিটে অনুমোদন দিয়েছেন রাজ্যপাল। চার্জ গঠনের অনুমতি পেয়েই চার্জশিটের কপিও আদালতে জমা করেছে সিবিআই। উল্লেখ্য স্কুল শিক্ষক নিয়োগ মামলায় (Recruitment Corruption) টাকা নিয়ে চাকরি দেওয়ার অভিযোগে অভিযুক্ত রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী। ফলে নিয়োগ দুর্নীতি মামলা আরও একধাপ এগিয়ে গেলো। আরও চাপের মুখে পড়বেন এই দুর্নীতিগ্রস্থ তৃণমূল নেতা।

    দুর্নীতি মামলায় মূল মাস্টার মাইন্ড পার্থ (Partha Chatterjee)

    শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় (Recruitment Corruption) গ্রেফতারের ৮৮ দিনের মাথায় পার্থ চট্টোপাধ্যায় (Partha Chatterjee) সহ অন্য অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে আদালতে দ্বিতীয় সাপ্লিমেন্টারি চার্জশিট জমা দিয়েছে সিবিআই। চার্জশিটে পার্থকেই নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় মূল মাস্টার মাইন্ড হিসেবে দাবি করা হয়েছে। গত বছর ১ অক্টোবর তাঁকে জেল থেকেই গ্রেফতার করেছিল সিবিআই। প্রসঙ্গত গত বছরের নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় ৮৫৭ দিনের মাথায় জামিন দিয়েছিল ইডির বিশেষ আদালত। পার্থর বান্ধবী অর্পিতা জামিন পেলেও পার্থ এখনও পাননি। ২০২২ সালের ২৩ জুলাই বেলঘরিয়া এবং টালিগঞ্জের ফ্ল্যাট থেকে প্রায় ৫০ কোটি টাকা নগদ এবং ২ কোটি টাকার সোনার গয়না উদ্ধার করেছিল ইডি। পার্থ নিজের নাকতলার বাড়ি থেকেই টাকার বিনিময়ে অযোগ্যদের তালিকা তৈরি করে পাঠাতেন বলে চার্জ গঠন করেছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা।

    আরও পড়ুন: মুর্শিদাবাদে স্যাটেলাইট স্টেশন তৈরি, জেল ভেঙে সঙ্গীদের ছাড়ানোর ছক ছিল ধৃত এবিটি জঙ্গিদের!

    ইডির বিশেষ আদালতেও চার্জ গঠনের প্রক্রিয়া শুরু

    তবে নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় (Recruitment Corruption) ইডির কাছ থেকে আগেই জামিন পেয়েছিলেন রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ (Partha Chatterjee)। আবার সিবিআই মামলায় জামিন নিয়ে আদালতের বিচারপতিদের মধ্যে মতভেদ হলে মামলাটি অন্য বিচারপতির বেঞ্চে পাঠিয়ে দেন হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি টিএস শিব জ্ঞানম। এখন সেই বেঞ্চে পার্থর জামিন মামলাটি ঝুলে রয়েছে। অপর দিকে ইডির বিশেষ আদালত পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে চার্জগঠনের প্রক্রিয়াও শুরু হয়েছে। তার মধ্যে সিবিআইয়ের এই চার্জশিট এবং তাতে রাজ্যপালের অনুমোদন পাওয়ার ফলে চাপ যে আরও প্রবল হতে চলেছে এই কথা রাজনীতির অনেক মানুষই মনে করছেন। অপর দিকে নিয়োগ মামলায় আরও একাধিক অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। তার মধ্যে আবার কেউ কেউ জামিনও পেয়ে গিয়েছে। এই দুর্নীতি মামলায় এখনও পর্যন্ত ৫৪ জনকে অভিযুক্ত করা হয়েছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • NIA: ময়নায় বিজেপি নেতা খুনে অভিযুক্তকে পুণে থেকে গ্রেফতার করল এনআইএ

    NIA: ময়নায় বিজেপি নেতা খুনে অভিযুক্তকে পুণে থেকে গ্রেফতার করল এনআইএ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পূর্ব মেদিনীপুরের ময়নায় বিজেপি নেতা বিজয়কৃষ্ণ ভুঁইয়াকে খুনের ঘটনায় এবার মহারাষ্ট্র থেকে গ্রেফতার করা হল এক অভিযুক্তকে। জানা গিয়েছে, ধৃতের নাম মোহন মণ্ডল। তাকে পুণে থেকে গ্রেফতার করে এনআইএ (NIA)। পলাতক মোহনের বিরুদ্ধে আগেই জামিন অযোগ্য গ্রেফতার পরোয়ানা জারি হয়েছিল। এর আগে এই মামলায় নবকুমার মণ্ডল ও শুভেন্দু ভৌমিক নামে দুই তৃণমূল কর্মীকে গ্রেফতার করা হয়। এদিন মহারাষ্ট্রের আদালত থেকে ট্রানজিস্ট রিমান্ডে ধৃতকে এরাজ্যে নিয়ে আসা হচ্ছে।

    ঠিক কী ঘটেছিল?(NIA)

    ২০২৩ সালের পয়লা মে ময়নার বাকচায় খুন হন বিজেপির বুথ সভাপতি বিজয়কৃষ্ণ ভুঁইয়া। জানা গিয়েছে, ভর সন্ধেয় বাড়ি ফেরার পথে স্ত্রীর সামনেই প্রথমে মারধর করা হয়েছিল বিজেপির (BJP) বুথ সভাপতি বিজয়কৃষ্ণ ভুঁইয়াকে। এরপর তাঁকে মোটরবাইকে চাপিয়ে জোর করে তুলে নিয়ে যায় তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা, দাবি পরিবারের। ওই দিনই গভীর রাতে বাড়ি থেকে বেশ কিছুটা দূরে বিজেপি নেতার দেহ উদ্ধার হয়। মাথায় ভারী কিছু দিয়ে মেরে খুন করা হয়েছিল তাঁকে, প্রাথমিক তদন্তে অনুমান পুলিশের। রাতে থানার সামনে ময়নার বিধায়ক অশোক দিন্দার নেতৃত্বে বিক্ষোভ দেখায় বিজেপি। বিজয়ের স্ত্রী লক্ষ্মীরানি ভুঁইয়া তৃণমূলের অঞ্চল সভাপতি মনোরঞ্জন হাজরা, তৎকালীন পঞ্চায়েত প্রধান সুখলাল মণ্ডল-সহ মোট ৩৪ জনের বিরুদ্ধে ময়না থানায় খুনের অভিযোগ দায়ের করেছিলেন। অভিযুক্তদের মধ্যে সাত জনকে গ্রেফতার করেছিল পুলিশ। পরে আদালতের নির্দেশে তদন্তভার যায় এনআইএ-র হাতে। বেশ কয়েকজনকে গ্রেফতার করা হলেও পালিয়ে যায় কয়েকজন। এর আগে সেপ্টেম্বর মাসে গোড়ামহলে অভিযান চালিয়ে ১০ জন তৃণমূল নেতার বাড়ি সিল করে দেয় এনআইএ। কয়েকদিন আগেও এনআইএ এর হাতে ধরা পড়েছিল দুই অভিযুক্ত। তাঁদের জেরা করেই অভিযুক্ত মোহন মণ্ডলের সম্পর্কে তথ্য জানতে পারেন তদন্তকারীরা। এরপরই পুণের উদ্দেশে রওনা দেয় এনআইএর (NIA) দল।

    আরও পড়ুন: ৪ বছরের মধ্যে ৫০ হাজার কোটির প্রতিরক্ষা সরঞ্জাম রফতানি লক্ষ্য ভারতের, জানালেন রাজনাথ

    ভোট পরবর্তী হিংসা

    গতবছর লোকসভা ভোটের পাঁচদিন আগে কাঁথির ভূপতিনগরে বিজেপি নেতাদের বাড়িতে চড়াও হয়ে মারধরের ঘটনার অভিযোগ উঠেছিল। সেবার বিজেপি নেতাদের মারধরের অভিযোগ উঠেছিল তৃণমূলের বিরুদ্ধে। আহত হয়েছিলেন অর্জুননগরের বিজেপি বুথ সভাপতি অবনী দে-সহ ৩ নেতা। তারও আগে ২০২১-এর ২ মে বিধানসভা ভোটের ফল ঘোষণার দিন, খুন হয়েছিলেন, কাঁকুড়গাছির বিজেপি কর্মী অভিজিৎ সরকার। পরিবারের অভিযোগ ছিল, শ্বাসরোধ করে, মাথায় ভারী কিছু দিয়ে আঘাত করে খুন করা হয়েছিল বিজেপি কর্মী অভিজিৎকে। হাইকোর্টের নির্দেশে এরপর তদন্তভার গিয়েছিল সিবিআইয়ের হাতে। একুশ থেকে পঁচিশের মাঝে ভোট পরবর্তী হিংসার ঘটনা ক্রমশই বেড়ে চলেছে বলেই চাপানউতোর রাজনৈতিক মহলে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • BSF: বাংলাদেশ সীমান্তে লাগানো একাধিক ক্যামেরা, সরঞ্জাম চুরি! কেন্দ্রকে রিপোর্ট বিএসএফের

    BSF: বাংলাদেশ সীমান্তে লাগানো একাধিক ক্যামেরা, সরঞ্জাম চুরি! কেন্দ্রকে রিপোর্ট বিএসএফের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অশান্ত বাংলাদেশ। অগ্নিগর্ভ হয়ে রয়েছে গোটা দেশের পরিস্থিতি। এই আবহের মধ্যে এবার উদ্বেগ বাড়াচ্ছে সীমান্ত দিয়ে অনুপ্রবেশের ঘটনা। মূলত, সীমান্তে চুরির ঘটনা প্রকাশ্যে আসতেই চক্ষু চড়কগাছ বিএসএফ (BSF) কর্তাদের। স্বাভাবিকভাবে এই ঘটনা সীমান্তের সুরক্ষা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে।

    সীমান্তে কোন কোন জেলায় চুরির ঘটনা ঘটছে? (BSF)

    ভারত বাংলাদেশ সীমান্তে (BSF) কড়া নজরদারিতে অত্যাধুনিক ড্রোন ও পিজিটি ক্যামেরা বসানো হয়েছিল। সেই ক্যামেরা থেকে দামী ব্যাটারি ও তার চুরি হয়ে যাচ্ছে। ফলে বিকল হচ্ছে ক্যামেরা। প্রশ্ন উঠছে, বড় কোনও নাশকতার ছক কষা হয়েছিল? মূলত, সীমান্তে কুয়াশাকে হাতিয়ার করে হচ্ছে অনুপ্রবেশ। দক্ষিণবঙ্গ ফ্রন্টিয়ারে নাইট ভিশন ক্যামেরা, থার্মাল ইমেজ ক্যামেরা-সহ একাধিক সরঞ্জাম চুরি গিয়েছে। বিএসএফ সূত্রে খবর, এই ড্রোন ক্যামেরা ও টিবিজেড ক্যামেরা সীমান্তের স্পর্শকাতর এলাকাগুলোতে লাগানো হয়েছিল। অর্থাৎ এই এলাকাগুলো থেকে অনুপ্রবেশের আশঙ্কা বেশি। আর এই এলাকায় যদি ক্যামেরা বিকল করে দেওয়া হয়, তাহলে অনুপ্রবেশকারীদের অনেকটাই সুবিধা হবে। মূলত, অনুপ্রবেশের জন্যই পরিকল্পিতভাবে এই সব ক্যামেরা চুরি করা হয়েছে। শীতের রাত আর কুয়াশাচ্ছন্ন ভোরকেই কাজে লাগাচ্ছে অনুপ্রবেশকারীরা। বাড়বাড়ন্ত হচ্ছে দুষ্কৃতীদেরও। মূলত মালদা, নদিয়ার কৃষ্ণনগর, মুর্শিদাবাদের সীমান্তে (Border) হচ্ছে চুরি। এখনও পর্যন্ত ১৫টি ক্যামেরার ব্যাটারি চুরি হয়ে গিয়েছে। চুরি গিয়েছে সাড়ে তিন কিলোমিটার পর্যন্ত তার। যে তার কন্ট্রোল রুমের সঙ্গে ক্যামেরাগুলোকে যুক্ত করে, সেটাও চুরি গিয়েছে।

    আরও পড়ুন: মুর্শিদাবাদে স্যাটেলাইট স্টেশন তৈরি, জেল ভেঙে সঙ্গীদের ছাড়ানোর ছক ছিল ধৃত এবিটি জঙ্গিদের!

     স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকে রিপোর্ট জমা

    বিএসএফের (BSF) আশঙ্কা, ক্যামেরা বিকল করে বড় নাশকতারও ছক কষা হতে পারে। এই ব্যাপারে যাবতীয় রিপোর্ট ইতিমধ্যেই স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের কাছে পাঠানো হয়েছে। দক্ষিণবঙ্গের ডিআইজি বিএসএফ নীলোৎপাল কুমার পাণ্ডে বলেন, “এটা একটা বড় প্রক্রিয়া। কোনও কিছু খারাপ হলে, একটা প্রক্রিয়ার মধ্যে দিয়ে সেটা দ্রুত বদলানো হয়।” 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • ABT Militants: মুর্শিদাবাদে স্যাটেলাইট স্টেশন তৈরি, জেল ভেঙে সঙ্গীদের ছাড়ানোর ছক ছিল ধৃত এবিটি জঙ্গিদের!

    ABT Militants: মুর্শিদাবাদে স্যাটেলাইট স্টেশন তৈরি, জেল ভেঙে সঙ্গীদের ছাড়ানোর ছক ছিল ধৃত এবিটি জঙ্গিদের!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রকাশ্যে এল আনসারুল্লা বাংলা টিমের জঙ্গিদের (ABT Militants) ছক। গোয়েন্দা সূত্রে জানা গিয়েছে, মুর্শিদাবাদে (Murshidabad) ছোটখাটো স্যাটেলাইট স্টেশন তৈরি থেকে বহরমপুরের জেল ভেঙে জঙ্গি ছিনতাইয়ের মতো মারাত্মক সব ছক ছিল গ্রেফতার হওয়া আনসারুল্লা বাংলা টিমের (এবিটি) জঙ্গিদের। ধৃত এবিটি জঙ্গি নূর ইসলাম মণ্ডল ট্রেনিং-ও নিয়েছিল কুখ্যাত শিমুলিয়া মাদ্রাসায়। একইসঙ্গে জঙ্গিদের এই খাগড়াগড়-যোগ মিলেছে।

    কীভাবে খাগড়াগড়-যোগ প্রকাশ্যে এল?

    খাগড়াগড় বিস্ফোরণকাণ্ডে জড়িত জঙ্গি গোষ্ঠী, জামাত উল মুজাহিদিন বাংলাদেশ কিংবা জেএমবির সঙ্গে বর্তমানে বাংলাদেশে অত্যন্ত শক্তিশালী ও সক্রিয় জঙ্গি সংগঠন আনসারুল্লা বাংলাদেশ টিমের (ABT Militants) সম্পর্ক অত্যন্ত জোরালো! অন্যদিকে, কয়েকদিন আগে অসম পুলিশের হাতে গ্রেফতার হয়েছে বাংলাদেশের জঙ্গি গোষ্ঠী আনসারুল্লা বাংলা টিমের (ABT Militants) একাধিক জঙ্গি! এখনও অবধি ধৃত ১২ জনের মধ্যে ২ জনকে মুর্শিদাবাদ থেকে গ্রেফতার করেছে অসম পুলিশ। এমনকী, কেরল থেকে যাকে গ্রেফতার করা হয়েছে, সেই বাংলাদেশি নাগরিক শাদ রাডিরও বাড়ি মুর্শিদাবাদেই। সূত্রের খবর, মুর্শিদাবাদের (Murshidabad) হরিহরপাড়া থেকে আনসারুল্লা বাংলা টিমের জঙ্গি যে আব্বাস আলিকে গ্রেফতার করে অসম পুলিশের এসটিএফ, সেই আব্বাস যখন পকসো মামলায় বহরমপুর জেলে বন্দি ছিল, সেই সময় জেলে তার সঙ্গে আলাপ হয় খাগড়াগড়কাণ্ডে ধৃত জঙ্গি, সাদিক সুমন ওরফে তারিকুল ইসলামের। আর তখনই সাদিককেই জেল থেকে বের করার ছক কষছিল এবিটি-র জঙ্গিরা! জেল ভেঙে তাকে মুক্ত করার পরিকল্পনা ছিল তাদের।

    এবিটি জঙ্গিদের (ABT Militants) পশ্চিমবঙ্গে ঘাঁটি! 

    বিশেষজ্ঞদের মতে, আনসারুল্লা বাংলা টিমের জঙ্গিদের পশ্চিমবঙ্গে ঘাঁটি গেড়ে থাকা অত্যন্ত বিপজ্জনক। সূত্রের দাবি, ভৌগলিক অবস্থানের সুযোগ নিয়ে বাংলাদেশে জঙ্গিগোষ্ঠী সংখ্যালঘু অধ্যুষিত জেলা মুর্শিদাবাদে (Murshidabad) ছোটখাটো ‘স্যাটেলাইট শিবির’ তৈরির ছক কষেছিল! এছাড়া এবিটি-র (ABT Militants) বহু জঙ্গি, আগে জামাত-উল-মুজাহিদিন বাংলাদেশ বা জেএমবি-র সঙ্গে যুক্ত ছিল। আর জেএমবি হল সেই সংগঠন, যাদের জঙ্গিরা সেই ২০১৪ সালেই নাশকতার ছক নিয়ে পশ্চিমবঙ্গে ঢুকেছিল। বর্ধমানে বাড়ি ভাড়া নিয়ে, সেখানে বিস্ফোরক বানাচ্ছিল। খাগড়াগড়ে ভয়াবহ বিস্ফোরণে সেই চক্রান্ত ফাঁস হয়ে যায়। এরপর বাংলাদেশে হাসিনা সরকার তৎপর হতেই, জেএমবির জঙ্গিরা নাম লেখায় আনসারুল্লা বাংলা টিমে। আর এবার তারা ঘাঁটি গাড়ছে এরাজ্যে।

    শিমুলিয়া মাদ্রাসায় ট্রেনিং!

    এবিটি-র ধৃত ১২ জন জঙ্গির (ABT Militants) অন্যতম নুর ইসলাম মণ্ডল। তার বাড়ি অসমের কোকরাঝাড়ে হলেও পুলিশ সূত্রে দাবি, খাগড়াগড়কাণ্ডের আগে নূর ইসলাম কুখ্যাত শিমুলিয়া মাদ্রাসায় ট্রেনিং পর্যন্ত নিয়েছিল। এমনকী, তাঁর অবাধ যাতায়াত ছিল আলিপুরদুয়ারের ফালাকাটাতেও। ‘অপারেশন প্রঘাত’-এ ধৃত নূর ইসলামকে জেরা করে তদন্তকারীরা জানতে পেরেছেন, অসমের বরপেটার এই জায়গা থেকেই প্রায় ২০৭ কিমি দূরে পশ্চিমবঙ্গের ফালাকাটাতে কমপক্ষে ২-৩ বার বিভিন্ন বাড়িতে দাওয়াতের নামে বৈঠক হয়। উপস্থিত ছিল এবিটির (ABT Militants) আরও কয়েকজন সদস্য। কী পরিকল্পনা তাদের হয়েছিল, তা জানার চেষ্টা চালাচ্ছেন তদন্তকারীরা।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share