Category: রাজ্য

Get West Bengal News, Bengali Breaking News, Latest News in Bengali only from মাধ্যম | Madhyom, Bengali News Portal for সম্পূর্ণ নিরপেক্ষ বাংলা সংবাদ, বাংলা খবর

  • Kalpataru Utsav: কল্পতরু উৎসবে জমজমাট বেলুড়-দক্ষিণেশ্বর, কাশীপুর, কামারপুকুরেও ব্যাপক ভক্ত সমাগম

    Kalpataru Utsav: কল্পতরু উৎসবে জমজমাট বেলুড়-দক্ষিণেশ্বর, কাশীপুর, কামারপুকুরেও ব্যাপক ভক্ত সমাগম

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ঠাকুর শ্রী শ্রী রামকৃষ্ণদেবের কল্পতরু উৎসবে (Kalpataru Utsav) ভক্তদের ব্যাপক ঢল দক্ষিণেশ্বর ও কাশীপুর উদ্যানবাটিতে। বছরের প্রথম দিনে এই উৎসবকে ঘিরে দূর দূরান্ত থেকে প্রচুর ভক্ত সমাগম হয়েছে। সকাল থেকেই মা কালীকে দর্শন করে পুজো দিতে লক্ষাধিক পুণ্যার্থীরা সমবেত হয়েছেন। পুলিশের কড়া নিরাপত্তা রয়েছে ভবতারিণী মন্দিরে (Dakshineswar)। অপর দিকে কাশীপুরেও সকাল থেকেই ঠাকুর দর্শন করতে প্রচুর ভক্তের সমাবেশ হয়েছে। একইভাবে যথাযথ ভাবে পালিত হচ্ছে বেলুমঠে ঠাকুরের পুজো ও আরাধনা। রামকৃষ্ণ মিশনের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, “সকল ভক্তদের জন্য প্রসাদের ব্যবস্থা করা হয়েছে। আনুমানিক লক্ষাধিক ভক্তের আগমন হয়েছে।”

    পঞ্চবটি যোগমায়া আশ্রমে ভিড় বেশ চোখে পড়ার মতো (Kalpataru Utsav)

    আজকের দিনে কাশীপুরে খুব ধুমধাম করে কল্পতরু উৎসব (Kalpataru Utsav) পালন করা হয়। পুজোর সঙ্গে চলে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। একই ভাবে হাওড়ার বেলুড়ে এদিন ভক্তদের মারাত্মক ভিড় ছিল। নতুন বছরের শুভ কামনায় ঠাকুরের কাছে সকল ভক্তরা উপস্থিত হয়েছেন। সকাল থেকেই ভক্তদের জন্য মন্দিরের দরজা খুলে দেওয়া হয়। একই ভাবে হুগলির কামারপুকুরের পাশপাশি পঞ্চবটি যোগমায়া আশ্রমে ভিড় বেশ চোখে পড়ার মতো ছিল। এই বছর জনাই পঞ্চবটি যোগমায়া আশ্রমের ৫০ তম বর্ষপূর্তি পালিত হচ্ছে।

    হংসেশ্বরী দক্ষিণা কালী মন্দিরেও ব্যাপক ভিড়

    বেলা যত বেড়েছে ভিড় তত বেড়েছে। হুগলির বাঁশবেড়িয়া হংসেশ্বরী মন্দির প্রায় ২১১ বছরের পুরাতন মন্দির। রাজা নৃসিংহ দেবরায় নির্মাণ করেছিলেন এই মন্দির। দক্ষিণাকালী রূপে মায়ের পূজা করা হয় এখানে। প্রতিবছর কল্পতরুর (Kalpataru Utsav) দিনে জেলা এবং জেলার বাইরের অনেক মানুষ এখানে আরাধনা করতে আসেন। এখানেও লৌকিক বিশ্বাস, যা চাওয়া হয় তাই পাওয়া যায় মায়ের কাছে। তাই প্রতি বছর পুজো দেওয়ার জন্য অনেক লোকসমাগম হয়।  

    বারুইপুরে কল্পতরু উৎসব কয়েক হাজার ভক্তের সমাগম

    আজকের দিনে দক্ষিণ ২৪ পরগনার বারুইপুরে কল্পতরু উৎসব (Kalpataru Utsav) উপলক্ষে কয়েক হাজার ভক্তের সমাগম ঘটে। মদনহাট গ্রাম পঞ্চায়েতের মধুবন টগরবেড়িয়া বিশালাক্ষী মায়ের মন্দিরে কল্পতরু উৎসব অনুষ্ঠিত হয়েছে। এই মন্দিরে পুজোদিলে ভক্তদের মনের বাসনা পূর্ণ হয়। আজ থেকে প্রায় ৬০-৭০ বছর আগে মন্দির প্রতিষ্ঠা করা হয়েছিল। সেই সময় ঘন জঙ্গলে ডাকাত থাকত এলাকায়। ডাকাতির পর এই মন্দিরে বসে লুটের মাল ভাগ হত। একই ভাবে ডাকাতির পর অর্জিত ধনের কিছু অংশ মায়ের মন্দিরে অর্পণ করা হত। মন্দিরে ঘোরা ফেরা করত প্রচুর সাপ।

    কবে থেকে চালু কল্পতরু উৎসব?

    ১৮৮৬ সালের ১ জানুয়ারি থেকে কল্পতরু উৎসবের (Kalpataru Utsav) সূচনা হয়েছিল। ঠাকুর রামকৃষ্ণ ভক্তদের উদ্দেশে বলেছিলেন ‘তোমাদের চৈতন্য হোক’। এরপর থেকে দিনকে স্মরণ করে পালিত হচ্ছে কল্পতরু উৎসব। এদিন ঠাকুর নিজের বিগ্রহে কল্পতরু রূপে বিরাজমান হন। মা কালী ভক্তদের সকল মনস্কামনা পূরণ করে থাকেন। উল্লেখ্য, এই দিনের কিছু মাস পরেই ঠাকুর নিজের দেহ রক্ষা করেছিলেন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Suvendu Adhikari: বিজেপি ক্ষমতায় এলে দিতে হবে না বিদ্যুৎ বিল, আশ্বাস শুভেন্দুর

    Suvendu Adhikari: বিজেপি ক্ষমতায় এলে দিতে হবে না বিদ্যুৎ বিল, আশ্বাস শুভেন্দুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিজেপি ক্ষমতায় এলে বিদ্যুতের বিল (Free Electricity) দিতে হবে না। মঙ্গলবার সন্দেশখালির সভা থেকে এমনই প্রতিশ্রুতি দেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। একইসঙ্গে বিজেপি রাজ্যে ক্ষমতায় এলে একাধিক পরিষেবা দেওয়ারও আশ্বাস দেন তিনি। মঙ্গলবারের সভায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দেওয়া প্রতিশ্রুতিকে ভাঁওতা বলে শুভেন্দু বলেন, ‘‘বিজেপি ক্ষমতায় এলে ৩ লক্ষ টাকার আবাসের ঘর তৈরি হবে। সঙ্গে শৌচালয়, আর নলবাহিত পানীয় জল পাবেন। সঙ্গে বাড়িতে লাগিয়ে দেওয়া হবে সৌর বিদ্যুৎ। যার ফলে বিদ্যুতের বিল দিতে হবে না।’’

    কেন্দ্রের টাকায় আবাস যোজনার ঘর দিচ্ছে মমতা সরকার, আক্রমণ শুভেন্দুর 

    একইসঙ্গে মমতা সরকারকে কটাক্ষ করে শুভেন্দু (Suvendu Adhikari) বলেন, ‘‘রাজ্য সরকার কেন্দ্রের কাছ থেকে ধার করে আবাস যোজনার টাকা টাকা দিচ্ছে।’’ তিনি আরও বলেন, ‘‘রাজ্য সরকার কেন্দ্রের কাছে প্রায় ৮ হাজার কোটি টাকা ধার করেছে। সেই টাকায় আবাস যোজনার টাকা মেটাচ্ছেন মুখ্যমন্ত্রী। আগামী বছরে আরও ধার নিয়ে বাকি কিস্তি দেবেন। তার পরে আবার ধার করবেন।’’ শুভেন্দু অধিকারীর (Suvendu Adhikari) মতে, ‘‘তৃণমূল সরকারের জমানায় রাজ্যে মাথাপিছু ধারের পরিমাণ পৌঁছেছে ৫৯ হাজার টাকায়।’’

    সন্দেশখালিতে গীতা বিতরণ করবেন বলে জানিয়েছেন শুভেন্দু

    বিরোধী দলনেতা মঙ্গলবার আরও বলেন, ‘‘সন্দেশখালিতে (Sandeshkhali) আমার ভাড়া বাড়ি আছে। সেখানে আমি মাঝে মাঝে আসব। দলের সভা করতে নয়, গীতা বিতরণ করা হবে। জানুয়ারি মাস থেকে শুরু করব। সোশ্যাল মিডিয়ায় তারিখ জানিয়ে দবে। গীতা পড়ার অভ্যাস করতে হবে।’’ বিরোধী দলনেতার (Suvendu Adhikari) বক্তব্য, ‘‘এত লুটপাট, চুরির পরেও বিজেপির ভোট এই রাজ্যে ৩৯ শতাংশ হয়েছে। আর মাত্র ৫ শতাংশ হিন্দু ভোট প্রয়োজন। নিরাপদবাবু মাঝে মাঝে লাল ঝান্ডা নিয়ে ঘোরেন। এরা হিন্দু ভোট কাটে তৃণমূলকে সুবিধা পাইয়ে দেওয়ার জন্য। একটা মুসলিম ভোটও কাটে না।’’

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Weather Update: পাহাড়কেও হার মানাচ্ছে পুরুলিয়া! নতুন বছরে শীতের এই আমেজ চলবে কতদিন?

    Weather Update: পাহাড়কেও হার মানাচ্ছে পুরুলিয়া! নতুন বছরে শীতের এই আমেজ চলবে কতদিন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নতুন বছরে শীত ফিরল বঙ্গে। ১৭ ডিগ্রি থেকে এক ধাক্কায় ১৪-র ঘরে কলকাতার পারদ। ১,২,৩ জানুয়ারি জমিয়ে শীত উপভোগ (Weather Update) করতে পারবে শহরবাসী, এমনই পূর্বাভাস হাওয়া অফিসের। আবহাওয়া দফতর সূত্রে খবর, ৪ তারিখ শনিবার থেকে ফের পশ্চিমী ঝঞ্ঝা বাধা হয়ে দাঁড়াবে শীতের (Winter in Bengal) পথে। ঊর্ধ্বমুখী হবে পারদ। আগামী সপ্তাহের মাঝামাঝি থেকে ফের সামান্য নামবে পারদ। পৌষ সংক্রান্তি পর্যন্ত মিলবে হালকা শীতের পরশ। 

    উত্তুরে হাওয়ার দাপট

    বছরের প্রথম দিনের সকাল থেকে শীতের (Weather Update) আমেজ কলকাতা সহ গোটা দক্ষিণবঙ্গ জুড়ে। অন্তত ৭২ ঘণ্টা জমিয়ে শীত কলকাতা সহ গোটা রাজ্যে। রাতের তাপমাত্রায় ৩ ডিগ্রি পতন। দিনের তাপমাত্রায় ৪ ডিগ্রি পতন। রাতের তাপমাত্রা ১৭.৩ থেকে নেমে ১৪.২ ডিগ্রি। দিনের তাপমাত্রা ২৬.২ থেকে এক ধাক্কায় ২২.৬ ডিগ্রি। বাতাসে জলীয় বাষ্পের পরিমাণ ৬৩ থেকে ৯৬ শতাংশ। দিনে রাতে অবাধে বইছে কনকনে উত্তুরে হাওয়া। কলকাতার পাশাপাশি উত্তরের বা পশ্চিমের জেলাগুলিতেও অনেকটাই নেমেছে পারদ (Winter in Bengal)। অনেকদিন পর কালিম্পংকে টেক্কা দিল পশ্চিমাঞ্চল। পুরুলিয়ার তাপমাত্রা নেমে হল ৭.৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস, যা উত্তরের জেলার থেকেও কম। কালিম্পঙের তাপমাত্রা ৯.৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। ফলে কালিম্পঙের থেকেও বেশি ঠান্ডা পুরুলিয়ায়। ৯.৫ ডিগ্রিতে নেমেছে ঝাড়গ্রামের পারদ। বাঁকুড়ার তাপমাত্রা ১০.৯ ডিগ্রি ও শ্রীনিকেতনের তাপমাত্রা ১১ ডিগ্রি।

    আরও পড়ুন: ফুটবলে ফের ভারতসেরা বাংলা, ছ’বছর পর রবি হাঁসদার গোলে সন্তোষ ট্রফি জয়

    কুয়াশার চাদর পাহাড়ে

    পূর্বাভাস অনুযায়ী, উত্তরবঙ্গে কুয়াশার (Weather Update) দাপট বেশি থাকবে। ঘন কুয়াশার সতর্কতা থাকবে দার্জিলিং, জলপাইগুড়ি, কোচবিহার ও উত্তর দিনাজপুর জেলাতে। দৃশ্যমানতা ২০০ মিটারের নিচে থাকবে বেশিরভাগ এলাকায়। কোথাও কোথাও তা ৫০ মিটারেও নেমে আসতে পারে। উত্তরবঙ্গের বাকি জেলাতেও হালকা থেকে মাঝারি কুয়াশার সম্ভাবনা। দক্ষিণবঙ্গে আগামী দু-তিন দিন হালকা থেকে মাঝারি কুয়াশা থাকবে সকালের দিকে। পূর্ব ও পশ্চিম বর্ধমান, মুর্শিদাবাদ ও বীরভূম জেলায় কুয়াশা সম্ভাবনা বেশি। তবে আবহাওয়াবিদরা জানাচ্ছেন, এই দফাতেও শীতের (Winter in Bengal) আয়ু সাময়িক। সপ্তাহের শেষে ফের বাড়বে তাপমাত্রা। ফলে, মাঝে এই কয়েকটা দিন চুটিয়ে শীত উপভোগ করতে চাইছেন সাধারণ মানুষ।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Suvendu Adhikari: ‘‘আইন মেনে, সুদ সহ বদলা নেব’’, সন্দেশখালির সভায় মমতাকে হুঁশিয়ারি শুভেন্দুর

    Suvendu Adhikari: ‘‘আইন মেনে, সুদ সহ বদলা নেব’’, সন্দেশখালির সভায় মমতাকে হুঁশিয়ারি শুভেন্দুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বছরের শেষ দিন, মঙ্গলবার সন্দেশখালিতে (Sandeshkhali) জনসভা করেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। সেখানেই তিনি তীব্র আক্রমণ করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে। মুখ্যমন্ত্রীকে হুঁশিয়ারি দিয়ে শুভেন্দু অধিকারী বলেন, ‘‘মাননীয়া মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, ভুলে কেউ যাবে না। আমিও ভুলব না। এরাজ্যে বিজেপি সরকার হবে। সন্দেশখালির ঘটনায় কমিশন বসবে। আর যে মহিলাদের আপনি জেল খাটিয়েছেন, মিথ্যা মামলায় জেল খাটানোর জন্য আপনাকেও জেল খাটাবে বিজেপি। বদলা তো নেব। সুদ সহ নেব। আইন মেনে নেব। সংবিধানের মধ্যে থেকে নেব।’’

    মাঝ রাতে পার্টি অফিসে তুলে নিয়ে যাওয়া, ভুলে যাব আমরা?

    শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari) বলেন, ‘‘মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কাল (সোমবার) বলে গিয়েছেন শাহজাহানের মাঠ থেকে। সন্দেশখালির মহিলারা ঘর থেকে না বেরোলে, রেখা-মাম্পিরা না লড়লে ওই মাঠটা শাহজাহানের নামেই থাকত। আপনি কাল বলেছেন, শিবু-শাহজাহানের কীর্তি ভুলে যান? বিঘার পর বিঘা জমি দখল, জলকর, শৌচাগার, আবাস, ১০০ দিনের কাজের টাকা লুট, এত মহিলা অত্যাচারিত, মাঝ রাতে পার্টি অফিসে তুলে নিয়ে যাওয়া, ভুলে যাব আমরা?’’

    চিরদিন কারও সমান যায় না

    এদিনও শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari) দাবি করেছেন, ‘‘বসিরহাট লোকসভার সাংসদ হওয়া রেখা পাত্রের শুধু সময়ের অপেক্ষা।’’ তিনি আরও বলেন, ‘‘রেখা মামলা করেছে। হাজি নুরুলের নোমিনেশন ডিফেক্টিভ। একই গ্রাউন্ডে বিজেপি প্রার্থী দেবাশিস ধরের বীরভূমের নমিনেশন কেটেছে। আর এখানে মমতার আমলারা পার পেয়ে যাবে? কয়েকদিন আগে হিয়ারিং ছিল। রাজ্য সরকার হলফনামা জমা দিতে গিয়েছিল। বিচারপতি হলফনামা বাতিল করে ক্ষমা চাইয়েছে। নিশ্চিন্তে থাকুন বিজেপির সাংসদ হবে। চিরদিন কারও সমান যায় না।’’

    তোপ সিপিএমকেও

    বিরোধী দলনেতা (Suvendu Adhikari) বলেন, ‘‘সন্দেশখালিতে (Sandeshkhali) আমার ভাড়া বাড়ি আছে। সেখানে আমি মাঝে মাঝে আসব। দলের সভা করতে নয়, গীতা বিতরণ করা হবে। জানুয়ারি মাস থেকে শুরু করব। সোশ্যাল মিডিয়ায় তারিখ জানিয়ে দবে। গীতা পড়ার অভ্যাস করতে হবে।’’ বিরোধী দলনেতার বক্তব্য, ‘‘এত লুটপাট, চুরির পরেও বিজেপির ভোট এই রাজ্যে ৩৯ শতাংশ হয়েছে। আর মাত্র ৫ শতাংশ হিন্দু ভোট প্রয়োজন। নিরাপদবাবু মাঝে মাঝে লাল ঝান্ডা নিয়ে ঘোরেন। এরা হিন্দু ভোট কাটে তৃণমূলকে সুবিধা পাইয়ে দেওয়ার জন্য। একটা মুসলিম ভোটও কাটে না।’’

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Dubrajpur: কৃষি জমি রক্ষা কমিটির অফিসে আটক রেশমি কোম্পানি গ্রুপের চার অফিসার

    Dubrajpur: কৃষি জমি রক্ষা কমিটির অফিসে আটক রেশমি কোম্পানি গ্রুপের চার অফিসার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দুবরাজপুর (Duborajpur) থানার লোবা গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় লোবা জেসিবি মোড়ে কৃষি জমি রক্ষা কমিটির (Krishi Jomi Raksha Committee) অফিসে আটক রেশমি কোম্পানি গ্রুপের চার অফিসার ও দুটি বোলারো গাড়ি।

    গ্রামবাসীদের দাবি (Duborajpur)

    লোবা জমিরক্ষা কমিটির দাবি, লোবা-ফকিরবেড়া-সাহেবগঞ্জ গ্রামে জমি অধিগ্রহণ করতে হলে, কৃষি জমি রক্ষা কমিটির দাবি মেনে ন্যায্য ক্ষতিপূরণ সহ পুনর্বাসন প্যাকেজ দিতে হবে।  তবেই এই এলাকায় শিল্প করা যাবে। জেলাশাসকের উপস্থিতিতে আলোচনা সাপেক্ষে ওই ক্ষতিপূরণ ও পুনর্বাসন প্যাকেজ ঘোষণা করতে হবে। তবেই লোবা গ্রামপঞ্চায়েতের জমি অধিগ্রহণ করা যাবে। মাটির নীচে যে বিপুল পরিমাণ কয়লা রয়েছে, তা উত্তোলন করা যাবে।

    জনতার হাতে আটক

    মঙ্গলবার যে চার আধিকারিককে জনতা আটক করে, তাঁদের মধ্যে ছিলেন প্রাক্তন ওসি দেবু সিনহা ওরফে দেবব্রত সিনহা, ফিল্ড অফিসার সত্যজিত বন্দ্যোপাধ্যায়, কাঞ্চন চক্রবর্তী এবং প্রাক্তন ডিএসপি চন্দ্রনাথ বন্দ্যোপাধ্যায়। এদের মধ্যে দেবব্রত সিনহা ও চন্দ্রনাথ বন্দ্যোপাধ্যায় দুজনেই এই জেলারই প্রাক্তন পুলিশ অফিসার। অবসর গ্রহণের পর দুজনেই এখন রেশমি কোম্পানিতে উঁচুপদে কর্মরত। তাঁদের নেতৃত্বেই ফকিরবেড়া গ্রামে জমি মাপজোক করতে এসেছিল রেশমি কোম্পানি। প্রসঙ্গত, লোবা ফকিরবেড়া সাহেবগঞ্জের মাটির নীচে প্রচুর পরিমাণ কয়লা রয়েছে। 

    আরও পড়ুন: পাক-আফগান সম্পর্ক তলানিতে, লাভবান হবে ভারত?

    বেঙ্গল এমটা গ্রুপ প্রথমে কয়লা খনি করবে বলে এই অঞ্চলে জমি অধিগ্রহণ করার কাজ শুরু করে। কিন্তু তাঁদের যা পুনর্বাসন প্যাকেজ, তা মানতে অস্বীকার করেন স্থানীয়রা। ক্ষুব্ধ গ্রামবাসীরা (Duborajpur) কৃষিজমি রক্ষা কমিটি গড়ে পথে নামেন। এর আগে প্রাক্তন শিল্পমন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় লোবা গ্রাম পরিদর্শনে এসে গ্রামবাসী ও জমি রক্ষা কমিটি প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠক করে প্রতিশ্রুতি দেন লোবায় কয়লা উত্তোলন করা হবে না। তাঁরা জেসিবি মেশিন আটকে রাখেন। পরে বিশাল পুলিশ বাহিনীকে জেসিবি উদ্ধারে পাঠায় রাজ্য সরকার। লোবা জমি রক্ষা কমিটির সঙ্গে পুলিশের ব্যাপক সংঘর্ষ হয়। জখম হন জমি রক্ষা কমিটির বেশ কয়েকজন। পিছু হটে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পুলিশ। গ্রামবাসীদের সাফ কথা, কৃষি জমি রক্ষা কমিটির (Krishi Jomi Raksha Committee) দাবি মেনে ন্যায্য ক্ষতিপূরণ সহ পুনর্বাসন প্যাকেজ (Duborajpur) দিতে হবে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  WhatsappFacebookTwitterTelegram এবং Google News পেজ।

  • Sujay Krishna Bhadra: ভেন্টিলেশনে ‘কালীঘাটের কাকু’, হল না প্রাথমিক দুর্নীতিকাণ্ডে চার্জ গঠন

    Sujay Krishna Bhadra: ভেন্টিলেশনে ‘কালীঘাটের কাকু’, হল না প্রাথমিক দুর্নীতিকাণ্ডে চার্জ গঠন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সোমবার ‘কালীঘাটের কাকু’ (Sujay Krishna Bhadra) অসুস্থ হয়ে পড়ায় চার্জ গঠন হল না। কোর্টে হাজিরার আগেই অজ্ঞান হয়ে গেলেন কালীঘাটের কাকু (Kalighat Kaku) ওরফে সুজয়কৃষ্ণ ভদ্র। সোডিয়াম পটাসিয়াম লেবেলে কিছুটা ঘাটতি রয়েছে বলে খবর। এসএসকেএমে ভর্তি করা হয়েছে তাঁকে। মামলার পরবর্তী শুনানি ২ জানুয়ারি। এমনটাই সূত্রের খবর।

    কী হয়েছে কালীঘাটের কাকুর?(Sujay Krishna Bhadra)  

    প্রেসিডেন্সি কেন্দ্রীয় সংশোধনাগার সূত্রে খবর, সোমবার সকালে হঠাৎ সংজ্ঞা হারান তিনি। হৃদযন্ত্রের সমস্যায় ভুগছিলেন ‘কাকু’। সেই সংক্রান্ত অসুস্থতা থেকেই তিনি সংজ্ঞা হারান বলে মনে করা হচ্ছে। অসুস্থ অবস্থায় তাঁকে প্রেসিডেন্সি জেল থেকে নিয়ে যাওয়া হয় এসএসকেএমে। সন্ধ্যায় তাঁকে (Sujay Krishna Bhadra) সেখান থেকে স্থানান্তর করা হয় আলিপুরের এক বেসরকারি হাসপাতালে। এর আগেও শারীরিক অসুস্থতা নিয়ে এই বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছিল নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় অভিযুক্ত সুজয়কৃষ্ণকে। এ বারও যাতে সেই হাসপাতালেই তাঁর চিকিৎসা হয়, সে বিষয়ে আদালতে আবেদন জানান ‘কাকু’র আইনজীবী। বিচার ভবন থেকে সেই আবেদন মঞ্জুর করা হয়েছে। এর পরেই সোমবার সন্ধ্যায় এসএসকেএম থেকে তাঁকে নিয়ে যাওয়া হয় আলিপুরের ওই বেসরকারি হাসপাতালে। সূত্রের খবর, তাঁর এমআরআইয়ের ব্যবস্থা করা হবে বলে খবর। তাঁর সোডিয়াম ও পটাশিয়াম লেভেলে কিছু অসংগতি রয়েছে বলে খবর। কেমন যেন আচ্ছন্ন অবস্থায় ছিলেন তিনি। বেসরকারি হাসপাতাল সূত্রে খবর, তাঁকে ভেন্টিলেশনে রাখা হয়েছে।

    আরও পড়ুন: অসমে কয়েক দশকের গড়ে ধস, কংগ্রেসকে ধরাশায়ী বিজেপির তরুণ তুর্কি দীপলুর

    সুজয়কৃষ্ণ ভদ্রের আইনজীবী কী বললেন?

    এদিকে প্রাথমিক দুর্নীতি কাণ্ডে ইডির মামলায় সোমবার চার্জ গঠন হওয়ার কথা ছিল। এদিন পার্থ চট্টোপাধ্যায়, অর্পিতা মুখোপাধ্যায়, কুন্তল ঘোষ, তাপস মণ্ডলরা উপস্থিত ছিলেন আদালতে। কিন্তু আসতে পারলেন না কালীঘাটের কাকু। সকালে আচমকা অসুস্থ হয়ে পড়েন তিনি। তার জেরে স্বাভাবিকভাবেই চার্জ গঠন পিছিয়ে যায়। ব্যাঙ্কশালের বিশেষ সিবিআই আদালতে আসতে পারেননি তিনি। তার জেরে চার্জগঠন পিছিয়ে যায়। সুজয়কৃষ্ণ ভদ্রের (Sujay Krishna Bhadra)  আইনজীবী আদালতে জানিয়ে দেন, সকালে আদালতে আসার পথে অসুস্থ হয়ে পড়েন। তাই, হাজিরা দিতে পারেননি।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Mamata Banerjee: বদলাচ্ছে স্টার থিয়েটার, নয়া নাম বিনোদিনী, ঘোষণা মমতার

    Mamata Banerjee: বদলাচ্ছে স্টার থিয়েটার, নয়া নাম বিনোদিনী, ঘোষণা মমতার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: স্টার থিয়েটারের নাম বদলে হল বিনোদিনী। সোমবার সন্দেশখালির সভা থেকে নয়া নাম ঘোষণা করেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। তিনি বলেন, “২০২৫ থেকেই স্টার থিয়েটারের (Star Theater) নাম বদলে যাচ্ছে। বিনোদিনীর নামে নামকরণ করা হবে এই প্রেক্ষাগৃহের।” এই ঘোষণায় ব্যাপক শোরগোল পড়েছে বিনোদন জগতে। তবে কেন এই নাম?

    ১২৩ কোটি টাকা খরচ করে ৬৬টি প্রকল্পের উদ্বোধন (Mamata Banerjee)

    সোমবার দুপুর ১টার কিছু পরে সন্দেশখালি পৌঁছন মমতা (Star Theater)। রাজ্য সরকারের একাধিক প্রকল্পের সুবিধা জনসাধারণের কাছে পৌঁছে দিতেই সভা করেন মুখ্যমন্ত্রী। সভামঞ্চ থেকে একাধিক সরকারি প্রকল্পের সুবিধা এলাকার বাসিন্দাদের কাছে তুলে দেন তিনি। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “আজ এখান থেকে দ্বীপপুঞ্জের সাধারণ মানুষের জন্য ১২৩ কোটি টাকা খরচ করে ৬৬টি প্রকল্পের উদ্বোধন হয়েছে। সেই সঙ্গে আরও একাধিক প্রকল্পের শিলান্যাস করা হয়েছে। বর্ধমানের শক্তিগড়ের ল্যাংচা হাবের ধাচে সন্দেশখালিতে সন্দেশের হাব তৈরি করা হবে। একইভাবে নাম করণের যথার্থ ইতিহাসকে তুলে ধরতে হবে।”

    স্টার থিয়েটার তো আর বিনোদিনীর টাকায় গড়া নয়

    উল্লেখ্য, বিনোদিনী আর স্টার থিয়েটার (Star Theater) নাম দুটি সমার্থক। দুটি নামই অত্যন্ত প্রসিদ্ধ। নাট্য জগতে এই নামগুলি এক সময় আলোড়ন ফেলেছিল। প্রশ্ন হল, কেন নাম বদলাতে চাইছেন মুখ্যমন্ত্রী? বর্তমানে যেটি স্টার থিয়েটার, সেটি বিনোদিনীর টাকায় গড়া নয়। বিনোদিনীর স্টার থিয়েটার ছিল বিডন স্ট্রিটে। ১৯২৮ সালে সেন্ট্রাল অ্যাভিনিউ তৈরি হওয়ার সময় সেটি অবলুপ্ত হয়। কিন্তু বিনোদিনী আর স্টারের নাম-মাহাত্ম্য এমনই যে, পরবর্তী কালে হাতিবাগানে স্টার থিয়েটারের সঙ্গেও মানুষের মনে ভেসে ওঠে বিনোদিনীর স্মৃতি। ফলে মমতার (Mamata Banerjee) ঘোষণায় ব্যাপক শোরগোল পড়েছে।

    আরও পড়ুনঃ মমতার পরের দিনই সন্দেশখালিতে শুভেন্দুর জনসংযোগ যাত্রা

    কবে প্রতিষ্ঠিত হয় স্টার থিয়েটার?

    ১৮৮৩ সালে স্থাপিত স্টার থিয়েটারের (Star Theater) নেপথ্যে অন্যতম কারিগর ছিলেন বিনোদিনী। কথিত আছে, নটী বিনোদিনীর সময়কালেও তাঁর নামে স্টার থিয়েটারের নামকরণ করার প্রস্তাব আসে। প্রস্তাব দেন গিরিশচন্দ্র ঘোষ এবং গুরমুখ রায়। কিন্তু শোনা যায়, বিনোদিনী নাকি নিজে এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে ছিলেন। মমতার এই ঘোষণাকে কী ভাবে দেখছেন স্টার থিয়েটার কর্তৃপক্ষ? প্রেক্ষাগৃহের তরফে জয়দীপ মুখোপাধ্যায় জানান, এখনও পর্যন্ত খবরটা আমরা শুনিনি। তবে দিদি যদি কোনও সিদ্ধান্ত নিয়ে থাকেন, তা হলে সেটা নিশ্চয়ই সব দিক বিচার করেই নেওয়া হবে। স্টারের পক্ষ থেকে আমরা অত্যন্ত খুশি।’’ তবে  ২০২৫ সালেই মুক্তি পাচ্ছে বিনোদিনী দাসীর জীবনকাহিনী অবলম্বনে বাংলা সিনেমা ‘বিনোদিনী: নটীর উপাখ্যান’। তাতে অভিনয় করছেন দেব ঘনিষ্ঠ অভিনেত্রী রুক্মিণী। তাই নয়া নামকরণের উদ্যোগে রাজনৈতিক স্বার্থ দেখছেন অনেকেই।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Yellow Taxi: রাজ্য সরকারের প্রচেষ্টার অভাব, প্রচারের আড়ালে যাত্রী সাথী অ্যাপ! বিদায়ের পথে হলুদ ট্যাক্সি

    Yellow Taxi: রাজ্য সরকারের প্রচেষ্টার অভাব, প্রচারের আড়ালে যাত্রী সাথী অ্যাপ! বিদায়ের পথে হলুদ ট্যাক্সি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দোতলা বাস, ট্রামের পর এবার হলুদ ট্যাক্সি (Yellow Taxi)। হারিয়ে যাচ্ছে কলকাতার (Kolkata Taxi) পরিচিতি। ইতিহাস বলছে, ইউরোপে অষ্টাদশ শতাব্দীর গোড়ার দিক থেকে হলুদ ক্যাবের আনাগোনা শুরু হয়। প্যারিস ও লন্ডনে সেই সময় শুধু হলুদ ক্যাবের দাপট ছিল। ঊনিশ শতকে কলকাতার রাস্তায় আসে হলুদ ট্যাক্সি। ক্রমেই হাওড়া ব্রিজ, ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়াল হলের মতোই হলুদ ট্যাক্সি হয়ে ওঠে কলকাতার পরিচিতি। হলুদ ট‌্যাক্সির সঙ্গে কলকাতার নস্ট্যালজিয়া জড়িয়ে রয়েছে। ট্রাম প্রায় উঠেই গিয়েছে। এবার হলুদ ট্যাক্সি বিদায় নেওয়ার পালা।

    হলুদ ট্যাক্সির ইতিহাস

    স্বাধীনতা লাভের অনেক আগে থেকেই এই শহরের রাজপথে দাপিয়ে বেড়াত ট্যাক্সি (Yellow Taxi)। ইতিহাস বলছে, ১৯০৮ সালে কলকাতায় শুরু হয় পরিষেবা। তখন ভাড়া ছিল মাইল প্রতি আট আনা। দেশ স্বাধীন হওয়ার পরই ১৯৪৮ সালে উত্তরপাড়ার হিন্দুস্তান মোটর ফ্যাক্টরিতে শুরু হয় গাড়ি তৈরি। ১৯৫৮ সাল থেকে সেখানে তৈরি হতে থাকে অ্যাম্বাসাডর। ১৯৫৬ সালের মরিস অক্সফোর্ড সিরিজ ৩-কে মাথায় রেখেই তৈরি হয় নকশা। এর পর ১৯৬২ সালে কলকাতা ট্যাক্সি (Kolkata Taxi) অ্যাসোসিয়েশন অ্যাম্বাসাডরকেই পরিণত করল ট্যাক্সিতে। রং হিসেবে বেছে নেওয়া হয় হলুদকেই। কারণ একটাই, দূর থেকে পরিষ্কার দেখা যায় এই রং। এমনকী, রাতের বেলাতেও।

    কলকাতার পরিচয়

    শহর কলকাতার পরিচয় যেন এই হলুদ ট্যাক্সি (Yellow Taxi)। কলকাতা বললেই ভিন রাজ্য বা দেশের মানুষের কাছে প্রথমেই ভেসে ওঠে এই হলুদ যান৷ বিভিন্ন সেলিব্রেটিদেরও কলকাতায় এসে এই হলুদ ট্যাক্সি চেপে শহর চষে বেড়াতে দেখা গিয়েছে৷ সম্প্রতি তার উদাহরণ হল, বিখ্যাত পাঞ্জাবি গায়ক দিলজিৎ দোসাঞ্জ৷ কলকাতায় এসে তিনি হলুদ ট্যাক্সি চড়ার বেশকিছু ছবি পোস্ট করেছেন তাঁর সোশাল মিডিয়া হ্যান্ডেলে৷ এর আগে কার্তিক আরিয়ানকেও দেখা গিয়েছিল ছবির প্রচারে শহরে এসে হলুদ ট্যাক্সির মাথায় উঠে ছবি তুলতে৷ তাঁর সঙ্গে ছিলেন বিদ্যা বালানও৷ বাংলা সাহিত্য, সিনেমা, সিরিয়াল প্রভৃতিতে হলুদ ট্যাক্সির ছিল অবাধ বিচরণ। এখন তা বিলুপ্তির পথে।

    রাজ্য সরকারের প্রচেষ্টার অভাব 

    সূত্রের খবর, করোনার আগে কলকাতায় রাস্তায় চলত ১৬,৫০০ ট্যাক্সি। এখন মহানগরের রাস্তায় ট্যাক্সির সংখ্যা কমে ৭-৮ হাজার। কলকাতায় সকালের রাস্তায় প্রায় ২,৫০০ বৈধ ট্যাক্সি চলে। রাতে প্রায় ৩০০০ ট্যাক্সি চলে, ৯০ শতাংশের বৈধ নথি নেই। চালকের অভাব ও অন্যান্য কারণে বসে গেছে ৬,৫০০ ট্যাক্সি। সেই ২০১৪ সাল থেকে হিন্দুস্তান মোটর্সের অ্যাম্বাসাডর গাড়ির বাণিজ্যিক উৎপাদন বন্ধ। এবার ধরুন যে ট্যাক্সির মেরামতির প্রয়োজন হল, তখন আবার গাড়ির আসল যন্ত্রাংশ অনেক সময় মিলছে না। হাজারও সমস্যা। তার উপর ধরুন, মান্ধাতার আমলের মিটার। এসবের মধ্যে ২০০৮-০৯ থেকে যে সব ট্যাক্সি পথে নেমেছিল, তাদের মেয়াদও ফুরোনোর মুখে। মাঝখানে অতিমারি-পর্বে দু’বছরেরও বেশি হলুদ ট্যাক্সি কার্যত বসে ছিল। চালকদের একাংশ বলছেন, তখন গাড়ির ইঞ্জিনের সেভাবে ক্ষতি হয়নি ঠিকই। কিন্তু, গাড়ি না নামায় রোজগারও তো বন্ধ ছিল। এর মধ্যে ব্যাঙ্কে ঋণের কিস্তি মেটাতে হয়েছে। অতিমারি কেটে যাওয়ার পরে পরিষেবা স্বাভাবিক হলেও জ্বালানির দাম বেড়েছে লাফিয়ে লাফিয়ে। চালকদের অভিযোগ, ট্র্যাফিক-বিধি ভাঙায় জরিমানা বেড়েছে অনেকটাই। পুলিশের জুলুম চলে। এর পাশাপাশি কমেছে যাত্রী। সব মিলিয়ে সঙ্কটের মুখোমুখি। এর ফলে একের পর এক ট্যাক্সি বসে যাচ্ছে। এই পরিস্থিতির জন্য রাজ্য সরকারকে দুষছে একাধিক সংগঠন।

    প্রচারের আড়ালে ‘যাত্রী সাথী’ অ্যাপ 

    কলকাতায় ধুঁকছে হলুদ ট্যাক্সি (Yellow Taxi)। অথচ, লন্ডনে ব্ল্যাক ক্যাব অর্থাত্‍ কালো ট্যাক্সিকে যথেষ্ট গুরুত্ব দেওয়া হয়। সেখানে সংস্কৃতি বাঁচিয়ে পরিবহণের চাকা এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা হয়। অনেকেই বলছেন, যাত্রী সাথী অ্যাপ আনার পর ট্যাক্সি পাওয়ার ক্ষেত্রে কিছুটা হয়রানি কমলেও, সেই অ্যাপ ব্যবহারের ক্ষেত্রেও প্রচারের অভাব পদে পদে। এখানেও তো সেই প্রশ্ন সদিচ্ছার। এখন তো স্মার্টফোন থাকলেই অ্যাপের মাধ্যমে নিমেষে ট্যাক্সি বুক হয়ে যায়। আবার সেই বেসরকারি অ্যাপ নির্ভর ক্যাব নিয়েও বিস্তর অভিযোগ রয়েছে। কিন্তু, তারপরও অ্যাপ ক্যাবের গ্রহণযোগ্যতা রয়েছে। হারিয়ে যাচ্ছে ট্যাক্সি। 

    আরও পড়ুন: নিয়মের বেড়াজালে বন্ধ হয়ে গেল শ্রীরামপুর-কলকাতা ৯৮ বছরের পুরানো ৩ নম্বর বাসরুট

    ফিরবে না আর কোনও দিন!

    একদা শহর কলকাতা মানেই তো ছিল ট্রাম এবং হলুদ ট্যাক্সি (Yellow Taxi)। তবে বর্তমানে গণপরিবহণ অনেক বেশি স্মার্ট। তাই এক সময় অতি ব্যবহৃত ট্রাম বা হলুদ ট্যাক্সি অপরিহার্য থাকলেও শহরবাসী এখন অনেক বেশি নির্ভরশীল মেট্রো এবং অ্যাপ ক্যাবের উপর। রাজ্যে বন্ধ হয়েছে অ্যাম্বাসেডর গাড়ি নির্মাণকারী সংস্থা হিন্দুস্থান মোটরস৷ হলুদ ট্যাক্সিগুলো হল অ্যাম্বাসেডর গাড়ি৷ হিন্দুস্থান মোটরস কোম্পানি বন্ধ হয়ে যাওয়ায় তাই তার সঙ্গে অস্তাচলে গিয়েছে অ্যাম্বাসেডর গাড়ির নির্মাণও। হিন্দুস্থান মোটরসের বিড়লার কারখানাও বন্ধ হয়ে গিয়েছে। আর তাই পথে যেই অ্যাম্বাসেডর ট্যাক্সিগুলো চলছে, সেগুলি অচিরেই বয়সের ভারে স্বাভাবিক নিয়মে চলা বন্ধ করে দেবে। আড়াই হাজার ট্যাক্সি বাতিল হয়ে গেলে বাকি ট্যাক্সি (Kolkata Taxi) দিয়ে যাত্রিচাহিদা সামলানো অসম্ভব। একটি ট্যাক্সি পিছু পাঁচটি করে পরিবারের অন্নসংস্থান হয়। এত সংখ্যক ট্যাক্সি এক সঙ্গে বসে গেলে পথে বসবেন অনেকে। মুম্বই এই বিষয়ে পথ দেখিয়েছে। একসময় মুম্বইয়ে ট্যাক্সির যাত্রা শুরু হয়েছিল ফিয়াট কোম্পানির প্রিমিয়ার পদ্মিনী দিয়ে। কিন্তু যুগের সঙ্গে তাল মিলিয়ে বাণিজ্যনগরীতে এখন বিভিন্ন গাড়ি নির্মাণ সংস্থার নানা মডেলের গাড়ি চলে। কলকাতাতেও এই ধরনের ব্যবস্থা আনতে চাইছেন ট্যাক্সি চালকেরা। আর নস্ট্যালজিক কলকাতাবাসীও বলছে “ফিরবে না, সে কী ফিরবে না…ফিরবে না আর কোনও দিন!”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Suvendu Adhikari: মমতার পরের দিনই সন্দেশখালিতে শুভেন্দুর জনসংযোগ যাত্রা

    Suvendu Adhikari: মমতার পরের দিনই সন্দেশখালিতে শুভেন্দুর জনসংযোগ যাত্রা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শাহজাহানকাণ্ডের প্রায় এক বছর পরে সন্দেশখালিতে (Sandesh Khali) পা রাখতে চলেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মুখ্যমন্ত্রীর সফরের মাত্র এক দিন পরেই সবন্দেশখালি যাচ্ছেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। চলতি বছর লোকসভা ভোটের আগেই উত্তাল হয়েছিল সন্দেশখালি। তৃণমূল কংগ্রেস নেতা শেখ শাহজাহানের বিরুদ্ধে রেশন দুর্নীতি থেকে মহিলাদের ওপর অত্যাচার, একাধিক অভিযোগ উঠেছিল। বর্তমানে জেলবন্দি শাহজাহান। তাঁকে তৃণমূল থেকেই বহিষ্কার করা হয়েছে। সেই সময় রাজ্যের তো বটেই জাতীয় সংবাদ মাধ্যমেও জায়গা করে নিয়েছিল সন্দেশখালি। বর্ষশেষে মমতা ও শুভেন্দুর সফর ঘিরে আবারও উত্তাল হতে চলেছে সন্দেশখালি। 

    শুভেন্দুর কটাক্ষ

    বছরের শুরুতে নারী নির্যাতন, জমি লুট-সহ নানা অভিযোগে তেতে উঠেছিল সন্দেশখালি (Sandesh Khali)। বছর শেষে আগামী ৩০ ডিসেম্বর সরকারি কর্মসূচিতে সেখানে যাবেন বলে বৃহস্পতিবারই জানিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তার পরের দিনই সন্দেশখালিতে জনসংযোগ কর্মসূচিতে যাচ্ছেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। বিধাননগরে বিজেপির নতুন রাজ্য দফতরের বাইরে শুভেন্দু (Suvendu Adhikari) শুক্রবার বলেছেন, “মুখ্যমন্ত্রী যাচ্ছেন যান। আমি তার পরের দিন (৩১ ডিসেম্বর) জনসংযোগ কর্মসূচি করব। মুখ্যমন্ত্রীর মতো বড় আয়োজন হয়তো করতে পারব না। কিন্তু কঠিন সময়ে আমি সন্দেশখালির পাশে ছিলাম। এখনও সেই বার্তাই দিয়ে আসব।” তিনি এ-ও মনে করিয়ে দিয়েছেন ২০২১-এর বিধানসভা ভোটে সন্দেশখালিতে তৃণমূল বড় ব্যবধানে জিতলেও গত লোকসভা নির্বাচনে ওই এলাকায় বিজেপি সাড়ে ৭ হাজার ভোটে এগিয়ে রয়েছে। এই সূত্রেই মমতার সরকারি বিলি-বণ্টন কর্মসূচিকে কটাক্ষ করে শুভেন্দুর দাবি, “মুখ্যমন্ত্রী গিয়ে এক কোটি টাকা দিলেও জনজাতি সম্প্রদায়ের মানুষ তৃণমূলকে ভোট দেবেন না!”

    আরও পড়ুন: প্রয়াত প্রাক্তন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জিমি কার্টার, মৃত্যুকালে বয়স হয়েছিল ১০০ বছর

    জমজমাট সন্দেশখালি

    সন্দেশখালির (Sandesh Khali) একদিকে রয়েছে সুন্দরবনের জঙ্গল, অন্য দিকে রয়েছে বাংলাদেশ সীমান্ত। তাই বর্ষশেষে মমতা ও শুভেন্দুর (Suvendu Adhikari) সফর নিয়ে সন্দেশখালিতে নিরাপত্তা কঠোর করা হচ্ছে। মুখ্যমন্ত্রীর সন্দেশখালি সফর নিয়ে ইতিমধ্যেই সরব বিরোধীরা। তাদের দাবি, যখন সন্দেশখালির মানুষ মুখ্যমন্ত্রীকে পাশে চেয়েছিলেন, তখন তিনি ছিলেন না। এখন লোক-দেখানো সফর মমতার। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  WhatsappFacebookTwitterTelegram এবং Google News পেজ।

  • Birbhum: ‘অভিষেক-ঘনিষ্ঠ’ পাথর ব্যবসায়ীর মেয়ের বিয়েতে ঝাঁপিয়ে পড়ল টলিউড-বলিউড!

    Birbhum: ‘অভিষেক-ঘনিষ্ঠ’ পাথর ব্যবসায়ীর মেয়ের বিয়েতে ঝাঁপিয়ে পড়ল টলিউড-বলিউড!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজ্যজুড়ে জোর চর্চা বীরভূমের (Birbhum) এক পাথর ব্যবসায়ীর মেয়ের বিয়ে নিয়ে! বলিউড-টলিউডের অভিনেতা-অভিনেত্রী ছাড়াও বিয়েতে নিমন্ত্রিতের সংখ্যা ছিল সাড়ে ১২ হাজার! ভাবা যায়!  টলিউড-বলিউডের অভিনেতা-অভিনেত্রীরা শুধু এসেছেন, এমনটাও নয়! রীতিমতো ঢাক-ঢোল পিটিয়ে সামাজিক মাধ্যমে বিজ্ঞপ্তি দিয়ে (Birbhum) তাঁরা হাজির হন টুলুর মেয়ের বিয়েতে! এখানেই শেষ নয়, নিমন্ত্রিতদের প্রত্যেকের জন্য ছিল দামি উপহার! অতিথিদের গাড়ি রাখার জন্য ঘিরে ফেলা হয় এক্কেবারে সাড়ে পাঁচ বিঘা জমি! সঙ্গে আধুনিক কার-কলিং সিস্টেম! ড্রাইভারদের জন্য রেস্ট রুম, সঙ্গে খাওয়ার ব্যবস্থা! ব্যবসায়ীর মেয়ে-জামাইকে আশীর্বাদ দেওয়ার জন্য ও অতিথিদের বসার জন্য প্রায় ২০ বিঘা এলাকাজুড়ে তৈরি হয় বিবাহ মণ্ডপ! প্যান্ডেল রয়েছে একেবারে দেড় কিলোমিটার রাস্তা জুড়ে! এত বিপুল আয়োজন করে কোন ব্যবসায়ীর মেয়ের বিয়ে হল? ব্যক্তির নাম টুলু মণ্ডল ওরফে মহম্মদ নাজিবউদ্দিন। বীরভূমের রাজনীতির অন্দরে কান পাতলে শোনা যায়, টুলু (Tulu Mondal) হলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছের লোক। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় ছাড়াও, টুলুর মাথায় হাত রয়েছে অনুব্রত মণ্ডল সমেত জেলা তৃণমূলের অন্যান্য নেতারও।

    কীভাবে হল টুলুর উত্থান?

    মহম্মদবাজার থানার (Birbhum) সোঁতশালে আদি বাড়ি এই টুলু মণ্ডলের! পাথরের ট্রাকে চেলি মেশানোই ছিল টুলু মণ্ডলের প্রথম জীবনের কাজ! রাজ্যে পালা বদলের সঙ্গে সঙ্গে অনুব্রত মণ্ডলের ঘনিষ্ঠ হয়ে ওঠেন তিনি। পাথর, বালি, সহ বিভিন্ন ট্রাকের কাছ থেকে সরকারি নির্ধারিত টোল তোলার বরাত দেওয়া হয় এই টুলু মণ্ডলকে। সেই শুরু। জেলার শাসক দলের অন্দরে শোনা যায়, নামে বেনামে কলকাতা থেকে বীরভূম একাধিক বাড়ি জমি ফ্ল্যাট বাংলো কিনে রেখেছেন এই টুলু মণ্ডল! ব্যবসায়ীর একাধিক আস্তানায় ২০২২ সালের ৩ অগাস্ট ইডি হানা দেয়। তবে তখন তাঁকে বাড়িতে পাওয়া যায়নি। রবীন্দ্রপল্লি, সাজানোপল্লির বাড়ি সহ একাধিক বাড়িতে তল্লাশি চালায় কেন্দ্রীয় সংস্থা! কেউ কেউ বলছেন, বেআইনি পাথর খাদানের ব্যবসাতেই বর্তমানে এই ব্যবসায়ী ফুলেফেঁপে উঠেছেন।

    টুলুর বেয়াই বারিক বিশ্বাসকে গ্রেফতার করেছিল ইডি

    একইভাবে টুলুর বেয়াই বারিক বিশ্বাসের উত্থান কাহিনিও বেশ চমকপ্রদ। এক কালে বারিক বিশ্বাস ছিলেন সামান্য ট্রাক চালক। বারিকের বিরুদ্ধে সোনা পাচারেরও অভিযোগ উঠেছিল ২০১৫ সালে। সেসময় তাঁকে গ্রেফতার করে শুল্ক দফতর। পরে অবশ্য জামিনে মুক্তি পান তিনি। ২০২১ সালে গরু পাচার মামলায় সিবিআই বারিককে জিজ্ঞাসাবাদও করেছিল। ২০২২ সালে রাজ্য পুলিশের সিআইডি কয়লা পাচার মামলায় বারিককে গ্রেফতার করে। ২০২৪ সালে রেশন দুর্নীতি মামলায় ইডি বারিকের চালকলে তল্লাশি চালিয়ে তাঁকে গ্রেফতার করে। বারিক বর্তমানে জামিন পেয়ে এখন উত্তর ২৪ পরগনার বাড়িতে থাকেন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share