Category: রাজ্য

Get West Bengal News, Bengali Breaking News, Latest News in Bengali only from মাধ্যম | Madhyom, Bengali News Portal for সম্পূর্ণ নিরপেক্ষ বাংলা সংবাদ, বাংলা খবর

  • Sukanta Majumdar: লোকসভায় বিজেপির পাখির চোখ ৩৫টি আসন, স্পষ্ট করে দিলেন সুকান্ত

    Sukanta Majumdar: লোকসভায় বিজেপির পাখির চোখ ৩৫টি আসন, স্পষ্ট করে দিলেন সুকান্ত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দক্ষিণ দিনাজপুরের গঙ্গারামপুর মহকুমার সমস্ত থানা এলাকায় বিজেপি কর্মীদের নামে পুলিশ মিথ্যা মামলা দেওয়া হচ্ছে। নানাভাবে বিজেপি কর্মীদের হেনস্থা করা হচ্ছে। এমনই অভিযোগ বিজেপির। এবার সেই পুলিশের বিরুদ্ধে শুক্রবার আন্দোলনে নামল বিজেপি। এদিন বিকেলে বুনিয়াদপুরে গঙ্গারামপুর মহকুমা পুলিশ আধিকারিকের অফিস ঘেরাও করে বিক্ষোভ দেখায় বিজেপি কর্মী-সমর্থকরা। যার নেতৃত্বে ছিলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar), কিষাণ মোর্চার রাজ্য সভাপতি মহাদেব সরকার, বিজেপির জেলা সভাপতি স্বরূপ চৌধুরী সহ অন্যান্য বিজেপি নেতৃত্বরা।

    পুলিশকে তুলোধনা সুকান্ত-র (Sukanta Majumdar)

    এদিন বিকেলে বুনিয়াদপুর শহরের ফুটবল ময়দান থেকে বিজেপি কর্মী-সমর্থকদের প্রতিবাদ মিছিল বের হয়। যা গোটা শহর পরিক্রমার পর এসডিপিও অফিসে যায়। সেখানে বিজেপি কর্মীর-সমর্থকরা পুলিশের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ দেখান। পরে, কয়েকজনের প্রতিনিধি দল এসডিপিওকে ডেপুটেশন দেন। এদিন এসডিপিও অফিসের পাশেই সভামঞ্চ করা হয়। সেখানেই জেলার পুলিশকে এক হাতে নেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar)। তিনি বলেন, এসডিপিও অফিসের অধীনে যে সব থানা আছে, সেইসব থানার পুলিশ তৃণমূলের দলদাস হিসেবে কাজ করছে। তৃণমূলের নেতারা কোথায় ওঠাবসা করছেন তা আমাদের জানা রয়েছে। পুলিশ তৃণমূল নেতাদের কথা শুনে আমাদের কর্মীদের মিথ্যে মামলা দিয়ে গ্রেফতার করছে। পাশাপাশি দলীয় কর্মীদের ঘর বাড়ি ভাঙা হচ্ছে। এমনকী মহিলাদের শ্লীলতাহানি করছে এই পুলিশ। এসবের বিরুদ্ধে আমাদের বিক্ষোভ। কারণ, পুলিশের ভয় দেখিয়ে তৃণমূল যদি মনে করে আমাদের কর্মীদের মনোবল ভেঙে দেবে তা কখনও সম্ভব নয়। দলদাসের মতো পুলিশের এই আচরণ বন্ধ করতে হবে।

    লোকসভায় পাখির চোখ ৩৫টি আসন, বললেন সুকান্ত

    সুকান্ত (Sukanta Majumdar) বলেন, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী লোকসভায় ৩৫টি আসন লক্ষ্যমাত্রা ঠিক করে দিয়েছেন, সেটা নিয়ে আমরা এখন থেকে প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছি। তাই, রাজ্যে তৃণমূল একা লড়বে, না কংগ্রেস বা সিপিএমকে সঙ্গে নিয়ে তৃণমূল লড়াই করবে, তা নিয়ে আমাদের কোনও মাথা ব্যাথা নেই।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Nadia: বেহাল রাস্তা সারানোর দাবি তুলতেই তৃণমূলের রোষানলে, হামলা বিজেপি নেতার বাড়িতে

    Nadia: বেহাল রাস্তা সারানোর দাবি তুলতেই তৃণমূলের রোষানলে, হামলা বিজেপি নেতার বাড়িতে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিজেপি নেতার বাড়িতে হামলার অভিযোগ উঠল তৃণমূলের পঞ্চায়েত সদস্যা ও তাঁর স্বামীর বিরুদ্ধে। ঘটনাটি ঘটেছে নদিয়ার (Nadia) রানাঘাট থানার রামনগর পঞ্চায়েত এলাকায়। এই ঘটনার প্রতিবাদে শুক্রবার রানাঘাট-কৃষ্ণনগর রাজ্য সড়ক অবরোধ করলেন বিজেপির কর্মী-সমর্থকরা। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে রাজনৈতিক মহলে চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে? (Nadia)

    সূত্রের খবর, নদিয়ার (Nadia) রানাঘাট থানার রামনগর এক নং গ্রাম পঞ্চায়েতের কালীতলা এলাকায় দীর্ঘদিন ধরেই একটি রাস্তা বেহাল হয়ে রয়েছে। সেই রাস্তা তৈরির দাবি নিয়ে এলাকাবাসীর সই সংগ্রহ করছিলেন এলাকার প্রাক্তন বিজেপি পঞ্চায়েত সদস্য সহ অন্যান্যরা। সেই সময়ই এলাকার বর্তমান পঞ্চায়েত সদস্যের স্বামী তৃণমূল নেতা দেবাশিস দাস ওই বিজেপি নেতাকে প্রথমে ফোনে হুমকি দেন বলে অভিযোগ। পরবর্তীতে দলবল নিয়ে ওই বিজেপি নেতার বাড়িতে গিয়ে হামলা চালান। হামলাকারীদের গ্রেফতারের দাবি নিয়ে এদিন রানাঘাটে পথ অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখান বিজেপি কর্মী-সমর্থকরা। বেশ কিছুক্ষণ ধরে বিজেপির এই পথ অবরোধ এবং বিক্ষোভ কর্মসূচি চলে। ঘটনার খবর পেয়ে পরবর্তীতে ঘটনাস্থলে যায় রানাঘাট থানার বিশাল পুলিশ বাহিনী। পুলিশের পক্ষ থেকে আশ্বাস পেয়ে অবরোধ ওঠে।

    আক্রান্ত বিজেপি নেতা কী বললেন?

    বিজেপি নেতা অসীম দেবনাথ বলেন,পঞ্চায়েত সদস্য থাকার সময় একটি রাস্তা করতে পারেনি। সেই রাস্তার জন্য এলাকায় গণ স্বাক্ষর করছিলাম। তার জন্য তৃণমূলের লোকজন আমার বাড়িতে চড়াও হয়। আমাকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করা হয়। আমি চরম আতঙ্কিত বোধ করছি।

    তৃণমূল নেতৃত্ব কী সাফাই দিলেন?

    যদিও বিজেপির তোলা সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করেছেন বর্তমান পঞ্চায়েত সদস্যা সবিতা দাস এবং তাঁর স্বামী দেবাশিস দাস। তৃণমূল নেতা দেবাশিসবাবু বলেন, রাস্তাটি সংস্কার করার বিষয়ে আমরা উদ্যোগী হয়েছি। সেটা জেনে মানুষের সই সংগ্রহ করে নিজের কৃতিত্ব নেওয়ার চেষ্টা করছিলেন ওই বিজেপি নেতা। দলীয় কর্মীরা আপত্তি করেছেন। তা নিয়ে বচসা হয়। কোনও হামলা করা হয়নি। ওরা আমাদের নামে মিথ্যা অভিযোগ করছে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Weather Update: বর্ষশেষ ও নববর্ষে শীত অধরাই, তাপমাত্রা ১৫ ডিগ্রির নীচে নামার সম্ভাবনা নেই

    Weather Update: বর্ষশেষ ও নববর্ষে শীত অধরাই, তাপমাত্রা ১৫ ডিগ্রির নীচে নামার সম্ভাবনা নেই

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ঠান্ডার কামড় কী, তা এই ভরা শীতের মরশুমেও মানুষ ভুলতে বসেছে। বাতাসে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ঘোরাফেরা করছে ১৫ থেকে ১৭ ডিগ্রি সেলসিয়াসের আশপাশে। মাঝে আর মাত্র একটা দিন। তার পরই বর্ষশেষের উন্মাদনায় গা ভাসিয়ে দেবে আপামর জনতা। একই সঙ্গে চলবে ইংরাজি নতুন বছরকে স্বাগত জানানোর পালা। সবার মনেই একটা প্রশ্ন উঁকিঝুঁকি দিচ্ছে। তা হল, ওই সময় কেমন থাকবে বাংলার আবহাওয়া (Weather Update)। শীত কি ফের ঘুরে দাঁড়াবে, নাকি এমনটাই চলবে আরও কয়েক দিন। এসবেরই উত্তর মিলেছে আলিপুর আবহাওয়া দফতরের পূর্বাঞ্চলীয় অধিকর্তা সঞ্জীব বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে।

    কী জানালেন আবহাওয়া অফিসের কর্তা? (Weather Update)

    সঞ্জীববাবু যা জানিয়েছেন, তাতে আপাতত দক্ষিণবঙ্গে আগামী পাঁচ দিন তাপমাত্রার খুব একটা পরিবর্তন হবে না (Weather Update)। আবহাওয়া থাকবে শুষ্ক, অর্থাৎ বৃষ্টি হবে না। ওই ৫ দিন পর সামান্য তাপমাত্রা বাড়তে পারে। ৩১ শে ডিসেম্বর থেকে ১ লা জানুয়ারির মধ্যে রাতের তাপমাত্রা খুব সামান্য কমতে পারে। সেটা এক ডিগ্রির বেশি নয়। মোটের উপর একই রকম আবহাওয়া থাকবে আগামী সাতদিন। একই সঙ্গে পশ্চিমী ঝঞ্ঝার কারণে আটকে উত্তর-পশ্চিমের শীতল হাওয়া। তাই আগামী ৭ দিন কলকাতার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নীচে নামার সম্ভাবনা নেই। কলকাতায় দিনের তাপমাত্রাও বেশি থাকার কারণে শীতের পোশাক হয়তো গায়ে তুলতে হবে না। এর পাশাপাশি পূবালি হাওয়ায় জলীয় বাষ্প ঢুকছে। আর তার ফলে খুব ভোরে বা সকালের দিকে বিক্ষিপ্তভাবে হালকা থেকে মাঝারি কুয়াশার সম্ভাবনা (Weather Update) থাকছে দক্ষিণবঙ্গ এবং উত্তরবঙ্গে।

    ফের তুষারপাতের সম্ভাবনা দার্জিলিঙে (Weather Update)

    উত্তরবঙ্গেও দুটি জেলা ছাড়া সর্বত্র আবহাওয়া থাকবে শুষ্ক। তবে রবিবার থেকে মঙ্গলবারের মধ্যে তুষারপাতের সম্ভাবনা (Weather Update) রয়েছে দার্জিলিঙে। হালকা বৃষ্টি হতে পারে দার্জিলিং এবং কালিম্পয়ে। পশ্চিমী ঝঞ্ঝার কারণেই দার্জিলিঙের উঁচু পার্বত্য এলাকায় হালকা তুষারপাতের সম্ভাবনা রয়েছে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Cooch Behar: বিজেপিতে যোগদান করলেন বংশীবদনের দাদা, লোকসভার আগে আরও মজবুত দল

    Cooch Behar: বিজেপিতে যোগদান করলেন বংশীবদনের দাদা, লোকসভার আগে আরও মজবুত দল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গ্রেটার কোচবিহারের (Cooch Behar) পিপলস অ্যাসোসিয়েশনের প্রধান বংশীবদন বর্মণের দাদা সুদর্শন যোগদান করলেন বিজেপিতে। বুধবার কোচবিহারের সাংসদ তথা দেশের স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী নিশীথ প্রামাণিক, ভেটাগুড়িতে বিজেপির দলীয় কার্যালয়ে দলের পতাকা তুলে দেন সুদর্শনের হাতে। লোকসভা ভোটের আগে এই যোগদান সংগঠনকে আরও শক্তিশালী করল বলে মনে করছে জেলার বিজেপি নেতৃত্ব। 

    বিপাকে জেলা তৃণমূল (Cooch Behar)

    উল্লেখ্য, কোচবিহারের (Cooch Behar) বংশীবদন সরাসরি তৃণমূল না করলেও মুখ্যমন্ত্রীর খুব ঘনিষ্ঠ বলে পরিচিত। এই বংশীবদনকেই তৃণমূল সুপ্রিমো রাজবংশী ভাষা আকাদেমির চেয়ারম্যান এবং রাজবংশী উন্নয়ন পর্ষদের চেয়ারম্যানের দায়িত্ব দিয়েছিলেন। ফলে দাদা যোগদান করায় বংশীবদন রীতিমতো বিপাকে পড়েছেন বলে মনে করছে বিজেপি। সেই সঙ্গে জেলা তৃণমূল কংগ্রেসও চরম অস্বস্তির মধ্যে রয়েছে। জেলা তৃণমূলের চেয়ারম্যান গিরীন্দ্র বর্মণ বলেন, “এটা কোনও দলীয় সিদ্ধান্ত নয়। ব্যক্তি বিশেষে রাজনৈতিক ভাবনা আলাদা হতেই পারে। তবে বিজেপি তাঁকে দলে নিয়েও কিছু করতে পারবে না। লোকসভায় বিজপির হার নিশ্চিত।”

    বংশীবদনের বক্তব্য

    দাদার দলীয় কার্যালয়ে (Cooch Behar) বিজেপিতে যোগদান প্রসঙ্গে বংশীবদন বলেন, “গণতান্ত্রিক দেশে সকলের মত প্রকাশের অধিকার রয়েছে। সৌগত রায় তৃণমূলে আবার দাদা তথাগত রায় বিজেপিতে। ওঁরাও আপন ভাই। রাজবংশী জনজাতির উন্নয়ন আমাদের কাছে বড় বিষয়। মানুষের জন্য কাজ করব।”

    দাদা সুদর্শন কী বললেন?

    বংশীবদনের দাদা সুদর্শন বিজেপিতে যোগদান করে বলেন, “আমি এক সময় কংগ্রেস করতাম এলাকায় (Cooch Behar)। এখন মনে হচ্ছে দেশকে একমাত্র এগিয়ে নিয়ে যেতে পারবে বিজেপি। মমতা একসঙ্গে রাজবংশী এবং কামতাপুরি ভাষার অ্যাকাডেমি তৈরি করেছেন, এটা আমার পছন্দ নয়। আর তাই বিজেপিতে যোগদান করেছি।”

    জেলা বিজেপির বক্তব্য

    কোচবিহার (Cooch Behar) জেলা বিজেপির সভাপতি সুকুমার রায় বলেন, “অনেক মানুষ বিজেপিতে যোগদান করার জন্য আবেদন করছেন। তাঁদের মধ্যে অনেক তৃণমূল কর্মী-নেতাও রয়েছেন। তবে এবার থেকে বাছাই করে নেওয়া হবে।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Durgapur: কাজ করছে না তৃণমূল পঞ্চায়েত! ঘেরাও করে বিক্ষোভ আন্দোলনে বিজেপি

    Durgapur: কাজ করছে না তৃণমূল পঞ্চায়েত! ঘেরাও করে বিক্ষোভ আন্দোলনে বিজেপি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রায় এক বছর আগে পঞ্চায়েতে ক্ষমতায় এসেছে তৃণমূল। কিন্ত, উন্নয়ন করার বিষয়ে কোনও উদ্যোগই চোখে পড়ছে না। এমনই অভিযোগ তুলে পশ্চিম বর্ধমানের দুর্গাপুর (Durgapur) মহকুমার কাঁকসা গ্রাম পঞ্চায়েতে বিক্ষোভ দেখালেন বিজেপির নেতা-কর্মীরা। এলাকায় উন্নয়ন করারও দাবি জানানো হয়।

    তৃণমূল বোর্ডের বিরুদ্ধে কী অভিযোগ? (Durgapur)

    দুর্গাপুর (Durgapur) মহকুমার এই পঞ্চায়েতের পক্ষ থেকে এলাকার রাস্তাঘাট, নিকাশি, আলো সব কিছু দেখার কথা। কিন্তু, বাস্তবে সেই বিষয়ে পঞ্চায়েতের পক্ষ থেকে কোনও উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়নি বলে অভিযোগ। তাই, দীর্ঘদিন ধরে বেহাল পানাগড়ের অফিসপাড়া থেকে মাধবমাঠ পর্যন্ত নিকাশি ব্যবস্থা ভেঙে পড়ে। পঞ্চায়েতের অধিকাংশ রাস্তার অবস্থা অত্যন্ত খারাপ। পাশাপাশি পানাগড় বাজারসহ আশেপাশের এলাকার যে সমস্ত হাইমাস্ট আলো লাগানো হয়েছিল, সেই আলোও এখন ঠিকমতো জ্বলে না। ফলে, সন্ধ্যা হলেই এলাকা অন্ধকারে ডুবে থাকে। এলাকায় উন্নয়নের একগুচ্ছ দাবি নিয়ে শুক্রবার সকাল ১১ টা থেকে কাঁকসা গ্রাম পঞ্চায়েত ঘেরাও করে সামনে অবস্থান-বিক্ষোভে বসেন বিজেপির কর্মী-সমর্থকরা। বিজেপির বিক্ষোভ কর্মসূচিতে এদিন যোগ দেন বর্ধমান সদরের বিজেপির জেলা সহ-সভাপতি রমেন শর্মা, গলসি ৬ নম্বর মণ্ডলের সভাপতি পরিতোষ বিশ্বাস, কাঁকসা গ্রাম পঞ্চায়েতের বিজেপির পঞ্চায়েত সদস্যরা, বিজেপি নেতা পঙ্কজ জয়সওয়াল সহ অন্যান্যরা। প্রায় ঘণ্টাখানেক ধরে অবস্থান করেন বিজেপির কর্মী-সমর্থকরা। পরে, কাঁকসা থানার পুলিশ পৌঁছে বিক্ষোভকারীদের উঠিয়ে দেয়।

    কী বললেন বিজেপি নেতৃত্ব?

    গলসি ছয় নম্বর মণ্ডলের সভাপতি পরিতোষ বিশ্বাস বলেন, গত পঞ্চায়েত নির্বাচন হওয়ার পর থেকে এলাকায় কোনও উন্নয়নমূলক কাজ হয়নি। একাধিক রাস্তাঘাট বেহাল, বেহাল হয়ে রয়েছে এলাকার একাধিক নিকাশি-নালা। পঞ্চায়েত বোর্ড নাগরিক পরিষেবা উন্নত করার বিষয়ে নজর দিচ্ছে না।

    তৃণমূল নেতৃত্ব কী সাফাই দিলেন?

    কাঁকসা ব্লক তৃণমূলের সভাপতি ভবানীপ্রসাদ ভট্টাচার্য বলেন, নিকাশি নালা পঞ্চায়েতের পক্ষ থেকে করা সম্ভব নয়। এলাকার মানুষকে সচেতন হতে হবে। তবে, বাকি সব উন্নয়ন পঞ্চায়েতের পক্ষ থেকে করা হচ্ছে। ওরা রাজনীতি করার জন্য এসব করছে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Sisir Adhikari: শিশির অধিকারীকে প্রণামের জের! সুবল মান্নাকে সরাতে অনাস্থার অস্ত্রে শান তৃণমূলের

    Sisir Adhikari: শিশির অধিকারীকে প্রণামের জের! সুবল মান্নাকে সরাতে অনাস্থার অস্ত্রে শান তৃণমূলের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বর্ষীয়ান রাজনৈতিক নেতা শিশির অধিকারীকে (Sisir Adhikari) প্রণাম করার মাশুল এভাবে দিতে হবে, তা ভাবতে পারছেন না কাঁথি পুরসভার তৃণমূলের চেয়ারম্যান সুবল মান্না। তাঁকে পদ থেকে সরাতে পুরসভার একটি বড় অংশের কাউন্সিলরদের নিয়ে ইতিমধ্যে বৈঠকও সেরে ফেলেছেন শাসকদলের নেতারা। যা নিয়ে রাজনৈতিক মহলে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছিল? (Sisir Adhikari)

    কয়েকদিন আগে একটি অনুষ্ঠানে সাংসদ শিশির অধিকারী (Sisir Adhikari) হাজির ছিলেন। সেখান সুবলবাবুও আমন্ত্রিত ছিলেন। অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে রাজনৈতিক সৌজন্যতা দেখিয়ে তিনি সকলের সামনে শিশিরবাবুকে প্রণাম করে রাজনৈতিক ‘গুরু’ করে সম্বোধন করেন। এটা সামনে আসতেই জোর বিতর্ক তৈরি হয়। দলের পক্ষ থেকে প্রথমে তাঁকে শো-কজ করা হয়। পরে, তাঁকে পদত্যাগের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বলেও সূত্রের খবর। শুধু তাই নয় ইতিমধ্যেই দলের রাজ্য নেতৃত্বের সঙ্গে মুখোমুখি বৈঠকও করেছেন তিনি। কিন্তু, কোনও নির্দেশই নাকি টলাতে পারছে না সুবলবাবুকে। পদত্যাগ করা তো দূরের কথা, নিয়মিত অফিসে যাচ্ছেন এই তৃণমূল নেতা। তাই এবার কড়া পদক্ষেপের কথা ভাবা হচ্ছে বলে সূত্রের খবর। সুবলবাবুর স্পষ্ট বক্তব্য, আমি রাজনৈতিক সৌজন্যতা দেখিয়েছি। সেই বিষয়টি দলীয় নেতৃত্বকে আমি বলেছি।

    অনাস্থার পথে দলীয় কাউন্সিলররা!

    কাঁথি পুরসভায় মোট কাউন্সিলরের সংখ্যা ২১। সুবল মান্নাকে নিয়ে তৃণমূল কাউন্সিলর রয়েছেন ১৭ জন। বৃহস্পতিবার তৃণমূলের কাঁথি সাংগঠনিক জেলার সভাপতি পীযূষ পণ্ডা এক জরুরি বৈঠক ডেকেছিলেন। সেখানে ১৬ জন কাউন্সিলর হাজির ছিলেন। রাত সাড়ে ৯ টা নাগাদ শুরু হয় সেই বৈঠক, চলে রাত প্রায় ১১ টা পর্যন্ত। প্রত্যেকেই সুবলের বিরুদ্ধে অনাস্থা আনতে সম্মত হয়েছে বলে সূত্রের খবর। শীর্ষ নেতৃত্বের সবুজ সংকেত মিললেই অনাস্থা প্রস্তাব আনা হতে পারে। ফলে, সুবলকে সরাতে দলের অন্দরে জোর তৎপরতা শুরু হয়ে গিয়েছে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Ram Mandir: কৃষ্ণনগরের মৃৎশিল্পীর তৈরি টেরাকোটার ম্যুরালে সেজে উঠছে রাম মন্দিরের প্রবেশদ্বার

    Ram Mandir: কৃষ্ণনগরের মৃৎশিল্পীর তৈরি টেরাকোটার ম্যুরালে সেজে উঠছে রাম মন্দিরের প্রবেশদ্বার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কৃষ্ণনগরের মৃৎশিল্পের সুনাম সারা বিশ্বে। এখানকার শিল্পীদের হাতের কাজ এবং শিল্প নৈপুণ্যের খ্যাতির কথা আজ আর কারও অজানা নয়। শিল্পীরা তাঁদের কাজের স্বীকৃতি হিসেবে পেয়েছেন দেশ-বিদেশের নানা পুরস্কার। এবার এখানকারই টেরাকোটা শিল্প জায়গা করে নিল অযোধ্যার রাম মন্দিরে (Ram Mandir)। মন্দিরের মূল প্রবেশদ্বার ধরমপথের দু’ ধারে সাজানো থাকবে কুড়ি ফুট বাই দশ ফুটের প্রায় ১০০ টি টেরাকোটার ম্যুরাল। কৃষ্ণনগরের শিল্পী বিশ্বজিৎ মজুমদার প্রায় ২৭ জন শিল্পীকে নিয়ে এই কাজ শুরু করেছেন গত সেপ্টেম্বর মাসে। ১০০ টি ম্যুরালই তৈরি হচ্ছে রামায়ণের কাহিনী অবলম্বনে। তবে যুদ্ধকালীন তৎপরতায় কাজ করে এখনও পর্যন্ত ৬০ শতাংশ কাজ সম্পূর্ণ হয়েছে। ১৩জন শিল্পী কাজ করছেন অযোধ্যার রাম মন্দিরে এবং বাকি ১৪ জন শিল্পী রয়েছেন কৃষ্ণনগরে শিল্পীর ওয়ার্কশপে।

    গর্ববোধ করছেন শিল্পী (Ram Mandir)

    শিল্পী জানালেন, প্রায় ১৫ বছর আগে থেকে অযোধ্যার একটি সরকারি মিউজিয়ামে তাঁর শিল্পকর্ম রয়েছে। যোগী আদিত্যনাথ তাঁকে সেখানেই ডাকেন এবং সংবর্ধনা দেন। শুধু তাই নয়, এই শিল্পের ব্যাপারে তিনি বেশ আগ্রহ প্রকাশ করেন। তবে রাম মন্দিরের (Ram Mandir) মূল প্রবেশপথ ধরমপথে এই শিল্প স্থান পাওয়াতে শিল্পী বিশ্বজিৎ মজুমদার গর্ববোধ করছেন। শিল্পী বিশ্বজিৎবাবু বলেন, এর আগে যেহেতু অযোধ্যার একটি সরকারি মিউজিয়ামে আমি কাজ করেছিলাম, তা দেখেই তাঁরা খুব খুশি হয়েছিলেন। এরপরই ২০২৩ সালে আমাকে তাঁরা আমন্ত্রণ জানান এবং কাজের বরাত দেন। আমি এই কাজ পেয়ে যথেষ্টই খুশি।

    দিনরাত এক করে চলছে কাজ (Ram Mandir)

    উল্লেখ্য রাম মন্দিরের কাজ প্রায় শেষের দিকে। ইতিমধ্যেই এই উদ্বোধন ঘিরে দেশের বিভিন্ন প্রান্তের সম্মানীয় ব্যক্তিদের আমন্ত্রণ জানানো হচ্ছে। আর কিছুদিন পরেই উদ্বোধন হবে রাম মন্দিরের। উদ্বোধনের আগেই যাতে কাজের বরাত শেষ করা যায়, সেই কারণে শিল্পীদের নিয়ে দিনরাত কাজ চলছে বিশ্বজিৎবাবুর। তাঁর এখন একটাই লক্ষ্য, বাংলার এই শিল্পকর্মকে রাম মন্দিরের (Ram Mandir) মাধ্যমে বিশ্বের দরবারে পৌঁছে দেওয়া। তাই নাওয়া-খাওয়া ভুলে দিনরাত এক করে তাঁরা কাজ করে চলেছেন।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Balurghat: বিজেপি করার মাশুল? ভোটার তালিকায় ‘মৃত’ বৃদ্ধ নিজেকে জীবিত প্রমাণ করতেও ব্যর্থ!

    Balurghat: বিজেপি করার মাশুল? ভোটার তালিকায় ‘মৃত’ বৃদ্ধ নিজেকে জীবিত প্রমাণ করতেও ব্যর্থ!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: খাতায় কলমে মারা গিয়েছেন। কিন্তু, তাঁরা দিব্যি চলে ফিরে বেড়াচ্ছেন। এমনই ঘটনা ঘটেছে দক্ষিণ দিনাজপুরের বালুরঘাট (Balurghat) ব্লকের নাজিরপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের জন্তীগ্রামে। এই এলাকার শম্ভুচন্দ্র দাস, মলিনা সরকাররা প্রশাসনের খাতায় মৃত। নিজেদের জীবিত করতে প্রশাসনের এই দরজা থেকে ওই দরজায় তাঁরা ঘুরছেন। তাঁদের আর্জি, ভোটার তালিকায় যেন আবার তাঁদের নাম তোলা হয়। কারণ, ভোটার তালিকা থেকে নাম বাদ পড়ায় তাঁদের বন্ধ হয়ে গিয়েছে সরকারি সুযোগ-সুবিধা। দক্ষিণ দিনাজপুর জেলাশাসক বিজিন কৃষ্ণা বলেন, বিষয়টি খোঁজ নিয়ে দেখব।

    বিজেপি করার জন্য ভোটার তালিকা থেকে নাম বাদ! (Balurghat)

    বৃদ্ধ শম্ভু চন্দ্র দাস পেশায় কৃষক। তাঁর বাড়ি বালুরঘাট (Balurghat) ব্লকের নাজিরপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের জন্তীগ্রামে। বছর দেড়েক আগে তার স্ত্রীর মৃত্যু হয়েছে। ভোটার তালিকা দেখে তিনি হতবাক হয়ে গিয়েছেন। কারণ, তাঁর মৃত স্ত্রীর নাম ভোটার তালিকায় জ্বল জ্বল করলেও তাঁর নাম বাদ গিয়েছে। খাতায় কলমে তিনি মৃত। কেন, কীভাবে বাদ হয়ে গেলেন তা বোঝার আগেই চলে আসে পঞ্চায়েত নির্বাচন। ওই নির্বাচনে তিনি ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারেননি। এরপর থেকে তিনি নিজের নাম ভোটার তালিকায় তুলতে ও স্ত্রীর নাম বাদ দিতে প্রশাসনের দরজায় দরজায় ঘুরে বেড়াচ্ছেন। কিন্তু, এখনও তিনি ভোটার তালিকায় তুলতে পারেননি। তিনি বলেন, বিজেপিকে সমর্থন করি বলে হয়তো আমার নাম বাদ দেওয়া হয়েছে। মলিনা সরকার নামে আর এক মহিলা বলেন, আমাকে মৃত বলে আমার নাম ভোটার তালিকা থেকে বাদ দিয়ে দেওয়া হয়েছে। এর কারণ আমি কিছুটা বুঝতে পারছি। আমি বিজেপি করি বলে, শাসকদলের মদতেই আমার নাম বাদ দেওয়া হয়েছে। কিন্তু এই গণতন্ত্রের দেশে এভাবে ভূত হয়ে বেঁচে থাকতে হবে এ কেমন কথা? গত পঞ্চায়েত নির্বাচনে আমি ভোট দিতে পারিনি। আগামী লোকসভা নির্বাচনেও পারব কি না জানিনা।

    কী বললেন বিজেপি নেতা?

    বিজেপির স্থানীয়  মণ্ডল সভাপতি প্রবীর মণ্ডল বলেন, গ্রামে গ্রামে এমন মানুষের সংখ্যা প্রচুর। শুধুমাত্র বিজেপি করার অপরাধে নানা কায়দাতে এভাবে ভোটার তালিকা থেকে নাম বাদ দেওয়া হচ্ছে। আমরা প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি। এসব অন্যায় চলতে পারে না।

    তৃণমূল নেতৃত্বের কী বক্তব্য?

    তৃণমূল নেতা বালুরঘাট পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি অরূপ সরকার বলেন, বিজেপি মিথ্যা অভিযোগ করছে। যদি ওই বাসিন্দাদের নাম তালিকা থেকে বাদ গিয়ে থাকে, তবে নিয়ম মেনে আবেদন করলেই নাম উঠে যাবে। নাম না উঠলে আমরা সাহায্য করব।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Ram Mandir: ১ জানুয়ারি থেকে ‘অক্ষত’ চাল নিয়ে বিজেপি কর্মীরা পৌঁছে যাবেন বাংলার ঘরে ঘরে

    Ram Mandir: ১ জানুয়ারি থেকে ‘অক্ষত’ চাল নিয়ে বিজেপি কর্মীরা পৌঁছে যাবেন বাংলার ঘরে ঘরে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: চালের সঙ্গে মেশানো হয়েছে ঘি এবং হলুদ। ‘অক্ষত’ নামের এই চাল এসেছে সরাসরি অযোধ্যার রাম মন্দির (Ram Mandir) থেকে। এর সঙ্গে থাকবে রাম মন্দিরের ল্যামিনেশন করা ছবি এবং রাম মন্দিরের ইতিহাস তুলে ধরা লিফলেট। এসব নিয়েই বিজেপি কর্মীরা পৌঁছে যাবেন বাংলার মানুষের ঘরে ঘরে। আগামী ২২ জানুয়ারি সেই বহু প্রতীক্ষিত দিন, যেদিন রামলালার মূর্তি প্রতিষ্ঠা করা হবে। সেই মেগা উদ্বোধন কর্মসূচির সবচেয়ে আকর্ষণীয় দিক হল, সেখানে হাজির থাকবেন খোদ দেশের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। স্বাভাবিকভাবেই গোটা অযোধ্যা সেই উপলক্ষে নতুনভাবে সেজে উঠছে। দেশের মানুষও সেই শুভক্ষণের অপেক্ষায় দিন গুনছেন। আর এর ঠিক আগেই ১ জানুযারি থেকে টানা ১৫ দিন ভগবান শ্রীরামচন্দ্র এবং অযোধ্যার রাম মন্দিরের মহিমাকে বাংলার ঘরে ঘরে পৌঁছে দেওয়ার কর্মসূচি নিয়েছে বঙ্গ বিজেপি। এই কাজে তাদের পাশে থেকে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিচ্ছেন আরএসএস তথা রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘের কর্মীরাও।

    কর্মসূচি নিয়ে বৈঠক (Ram Mandir)

    আগামী বছরই লোকসভার ভোট। তার প্রস্তুতিও বিভিন্ন দল শুরু করে দিয়েছে। এরকম একটা মোক্ষম সময়ে রাম মন্দিরের উদ্বোধন যে বিজেপির কাছে তুরুপের তাস হয়ে উঠেছে, তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না। মানুষের ধর্মীয় আবেগ এবং রামের প্রতি শ্রদ্ধার কথা তাদের অজানা নয়। তাই রাম মন্দির উদ্বোধনের আগে এই ‘ঘর ঘর যাত্রা’ কর্মসূচির মাধ্যমে বিজেপি ভোটের আগে জনসংযোগের কাজেও অনেকটা এগিয়ে যাবে বলে অভিজ্ঞ মহলের ধারণা। এই কর্মসূচি যাতে সার্থক হয়, তার জন্য রাজ্যের বিজেপি নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করে গিয়েছেন দলের নতুন পর্যবেক্ষক সুনীল বনশল। ইতিমধ্যে জেলায় জেলায়ও এ নিয়ে অজস্র বৈঠক হয়ে গিয়েছে। সিদ্ধান্ত হয়েছে, বাড়ি বাড়ি অক্ষত চাল পৌঁছে দেওয়ার পাশাপাশি ২২শে জানুয়ারি উদ্বোধনের দিন কী করণীয়, তার একটি নির্দেশিকা সকলের কাছে পৌঁছে দেওয়া হবে। অযোধ্যায় রাম মন্দিরে (Ram Mandir) যাওয়ার জন্য সমর্থক ও রাজ্যবাসীকে আমন্ত্রণও জানাবেন বিজেপি নেতারা।

    কী বললেন বিজেপি নেতৃত্ব?

    রাজ্য বিজেপির মুখপাত্র শমিক ভট্টাচার্যের মতে, এই রাম মন্দির (Ram Mandir) আদপে দেশের পরিচয়ই বহন করছে। রামলালা এবং রাম মন্দিরের মাহাত্ম্য সকলের কাছে পৌঁছে দেওয়াটাই দলের মূল লক্ষ্য। তাঁর সাফ বক্তব্য, বিজেপি জাতীয়তাবাদী রাজনৈতিক দল এবং তারা সাংস্কৃতিক জাতীয়তাবাদে বিশ্বাস করে। তাদের এই চিন্তাভাবনা সবার কাছে পৌঁছে দেওয়াটাও অন্যতম কাজ। তাঁর আশা, সারা দেশ ভেসে যাবে রামের জোয়ারে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • South 24 Parganas: ভাঙড়ে জোর করে জমি দখল! অভিযুক্ত তৃণমূল

    South 24 Parganas: ভাঙড়ে জোর করে জমি দখল! অভিযুক্ত তৃণমূল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: জোর পূর্বক জমি দখল করে সেই জমিতে বিল্ডিং তৈরি করার অভিযোগ উঠল স্থানীয় তৃণমূল নেতার বিরুদ্ধে। এমনই ঘটনা ঘটেছে দক্ষিণ ২৪ পরগনারে (South 24 Parganas) ভাঙড়ের লেদার কমপ্লেক্স থানার হাতিশালা এলাকায়। আর শাসক দল হওয়ায় কেউ এই অন্যায়ের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করার সাহস পাচ্ছেন না। পুলিশ প্রশাসনের পক্ষ থেকে কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি বলে অভিযোগ। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে রাজনৈতিক মহলে চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়়েছে।

    ঠিক কী অভিযোগ? (South 24 Parganas)  

    দক্ষিণ ২৪ পরগনার (South 24 Parganas) ভাঙড়ের হাতিশালা দাসপাড়া এলাকার বাসিন্দা সমীর ঘোষ। তিনি বলেন, ১৯৫৪ সালে আমি জমি কিনেছিলাম। সেই জমি আমাদের দখলেই রয়েছে। কিন্তু, সেই জমি জোর করে দখল করে নেওয়া হচ্ছে। তৃণমূল নেতা রশিদ মোল্লা, রিন্টু মোল্লা ও ছুন্নত মোল্লা সহ তাঁর  দলবল জোর করে জমি দখল করে সেই জমিতে বিল্ডিং তৈরি করার কাজ করছেন। জানা গিয়েছে, এই রশিদ মোল্লা হচ্ছেন ভাঙড় দু নম্বর ব্লকের পঞ্চায়েত সমিতির কৃষি কর্মাধ্যক্ষ তুহিনা বিবির স্বামী। এলাকার প্রভাবশালী তৃণমূল নেতা তিনি। তাঁর নেতৃত্বের জোর করে জমি দখল করার অভিযোগ উঠেছে। কাজ বন্ধ করার জন্য নিষেধ করলেও তা উপেক্ষা করে কাজ করছেন। এ বিষয়ে কলকাতা লেদার কমপ্লেক্স থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়।

    কী বললেন তৃণমূল নেতৃত্ব?

    তৃণমূল নেতা তথা জেলা পরিষদ সদস্য হাকিমূল ইসলাম বলেন, বিষয়টি আমার জানা নেই। খোঁজ নিয়ে দেখছি। যদি এরকম ঘটনা ঘটে থাকে তাহলে দলের পক্ষ থেকে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। দল এই ধরনের ঘটনাকে সমর্থন করে না।

    বিজেপি নেতৃত্ব কী বললেন?

    বিজেপি নেতা বিকাশ সর্দার বলেন, তৃণমূল নিজেদের ক্ষমতা দেখাচ্ছে। তৃণমূলের অত্যাচারে নিজের জমিও রাখতে পারছে না। এই ঘটনা মেনে নেওয়া যায় না। রাজ্যজুড়ে এসব চলছে। এই ধরনের ঘটনা তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি। অবিলম্বে জমি হাঙরদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার আর্জি জানাচ্ছি।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share