Category: রাজ্য

Get West Bengal News, Bengali Breaking News, Latest News in Bengali only from মাধ্যম | Madhyom, Bengali News Portal for সম্পূর্ণ নিরপেক্ষ বাংলা সংবাদ, বাংলা খবর

  • Weather Update: বঙ্গোপসাগরে নিম্নচাপের সম্ভাবনা, আগামী ২৪ ঘণ্টায় তাপমাত্রা বৃদ্ধির পূর্বাভাস হাওয়া অফিসের

    Weather Update: বঙ্গোপসাগরে নিম্নচাপের সম্ভাবনা, আগামী ২৪ ঘণ্টায় তাপমাত্রা বৃদ্ধির পূর্বাভাস হাওয়া অফিসের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আবার বঙ্গোপসাগরে নিম্নচাপ সৃষ্টির সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে। ফলে আগামী ২৪ ঘণ্টায় তাপমাত্রা (Temperature) বৃদ্ধির সম্ভাবনাও রয়েছে। কমতে পারে শীতের পারদ। বেশ কিছু জেলায় মেঘলা আবহাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এদিকে উত্তরবঙ্গের হাড় কাঁপানো শীতকে (Weather Update) হার মানাচ্ছে দক্ষিণবঙ্গের (South Bengal) বেশ কিছু জেলা। এই বছর শীত যে ব্যাপক ভাবে পড়েছে, তা জেলাবাসীরা স্বীকার করে নিয়েছেন। বিশেষ করে পশ্চিমের জেলাগুলিতে ঠান্ডার বিরাট প্রকোপ। রবিবার কলকাতার তাপমাত্রা নেমে যায় ১২.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসে, যা স্বাভাবিকের থেকে ৩.৬ ডিগ্রি কম। আবহাওয়া দফতর সূত্রে খবর, আগামী ১৮ ডিসেম্বর পর্যন্ত তাপমাত্রা কিছুটা বাড়বে।

    তাপমাত্রা সামান্য বাড়বে

    এদিকে সাগরে নতুন নিম্নচাপ (Weather Update) সৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে। দক্ষিণ-পূর্ব বঙ্গোপসাগর এবং সংলগ্ন দক্ষিণ আন্দামান সাগরে তৈরি হয়েছে ঘূর্ণাবর্ত। আগামী ২৪ ঘন্টায় এই ঘূর্ণাবর্ত নিম্নচাপে পরিণত হতে পারে দক্ষিণ বঙ্গোপসাগরে। যদিও এই নিম্নচাপের অভিমুখ থাকছে মূলত তামিলনাড়ু উপকূলের দিকে। সোম এবং মঙ্গলবার তুষারপাতের সম্ভাবনা রয়েছে পাহাড়ে। এটা হলে আগামী বুধবার থেকে ফের কলকাতা-সহ দক্ষিণবঙ্গের জেলাগুলিতে তাপমাত্রা (Temperature) সামান্য বাড়তে শুরু করবে। বঙ্গে এই মুহূর্তে তেমন ভাবে কোনও বৃষ্টির সম্ভাবনা নেই।

    আরও পড়ুনঃ শিলিগুড়িতে লক্ষ কণ্ঠে গীতা পাঠের আসর যেন জনসমুদ্র! হিন্দুত্ববোধে জাগরিত বাংলা

    মঙ্গলবার পর্যন্ত রাজ্যের বেশকিছু জেলায় চলবে শৈত্য প্রবাহ (Weather Update)

    অপর দিকে পশ্চিম বর্ধমান, বীরভূম এবং পুরুলিয়ায় (South Bengal) শৈত্যপ্রবাহের (Weather Update) সম্ভাবনা রয়েছে। ১৮ ডিসেম্বর পর্যন্ত স্বাভাবিক বা তার নিচে তাপমাত্রা (Temperature) থাকবে। দুই থেকে অন্তত পাঁচ ডিগ্রি তাপমাত্রা কমার সম্ভাবনাও রয়েছে। মঙ্গলবার পর্যন্ত রাজ্যের বেশকিছু জেলায় শৈত্যপ্রবাহ চলবে। তবে বঙ্গোপসাগরে নিম্নচাপ তৈরি হওয়ায় শীত কমার সম্ভাবনা রয়েছে। সেই সঙ্গে এটাও বলা হয়েছে পশ্চিমী ঝঞ্ঝার কারণে উত্তরে তুষারপাতের সম্ভাবনা তৈরি হলেও বাংলায় বৃষ্টিপাত তেমন হবে না।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Bhagavad Gita: শিলিগুড়িতে লক্ষ কণ্ঠে গীতা পাঠের আসর যেন জনসমুদ্র! হিন্দুত্ববোধে জাগরিত বাংলা

    Bhagavad Gita: শিলিগুড়িতে লক্ষ কণ্ঠে গীতা পাঠের আসর যেন জনসমুদ্র! হিন্দুত্ববোধে জাগরিত বাংলা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ইউনূস সরকারের আমলে অশান্ত বাংলাদেশ। দিনের পর দিন হিন্দুদের ওপর লাগামছাড়া অত্যাচার চলছে। জোর করে হিন্দুদের ইসলামে ধর্মান্তরিত করা চলছে। এই আবহের মাঝে রবিবার শিলিগুড়িতে বসল গীতা (Bhagavad Gita) পাঠের আসর। এক বছর আগে ব্রিগেডে লক্ষ কণ্ঠে গীতাপাঠের পর কওয়াখালি ময়দানে লক্ষ কণ্ঠে গীতাপাঠের আয়োজন করল সনাতন সংস্কৃতি সংসদ।

    কারা অংশ নিলেন গীতা পাঠে? (Bhagavad Gita)

    রবিবার বেলা বারোটায় কাওয়াখালির কুরুক্ষেত্র ময়দানে শুরু হয় লক্ষ কণ্ঠে গীতা পাঠ। সনাতনী সংস্কৃতি সংসদের আয়োজনে এই গীতা পাঠে (Bhagavad Gita) লক্ষ নয়, তারও বেশি কণ্ঠ সামিল হয়। কাওয়াখালির মাঠ থেকে এশিয়ান হাইওয়েতে মানুষের ঢল নামে সকাল থেকে। বেলা আড়াইটা পর্যন্ত চলে এই গীতা পাঠ। হাজির হয়ে গীতা পাঠ করেন বিজেপি নেতা দিলীপ ঘোষ, কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সুকান্ত মজুমদার, সাংসদ ডাঃ জয়ন্ত রায়, রাজু বিস্তা সহ একাধিক বিজেপি বিধায়ক। ছিলেন বহু সাধারণ ও অরাজনৈতিক মানুষ। এই জনসমুদ্রে আট থেকে আশি সব বয়সের মানুষ ছিলেন। উত্তরবঙ্গ বিজেপির গড়। সম্প্রতি সেখানে তৃণমূল দাগ কাটতে শুরু করলেও এখনও শক্তি বেশি বিজেপির। সেই কারণেই রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করছেন শিলিগুড়িকে (Siliguri)  বেছে নেওয়া হয়েছে।

    আরও পড়ুন: “বৈচিত্র্যের ভারতে বিভেদের বিষ ছড়াচ্ছে কেউ কেউ”, সংসদে তোপ প্রধানমন্ত্রীর

    কী বললেন সুকান্ত?

    সুকান্ত মজুমদার এদিন বলেন, “গীতার বাণী (Bhagavad Gita) একমাত্র সারা পৃথিবীতে শান্তির বার্তা আনতে পারে। ভগবান শ্রীকৃষ্ণ বলেছেন, পথ ভিন্ন ভিন্ন হতে পারে, লক্ষ্য সবার এক। সেই লক্ষ্যে সবার চলা উচিত। বিশ্বে শান্তি আসা উচিত। এটা ভাবা উচিত নয়, আমরা এখন ৩৩ শতাংশ রয়েছি, ৬৩ শতাংশ করে সব দখল নেব। হিন্দুদের মন্দির পোড়াব। মূর্তি ভাঙব। এটা ঠিক নয়।” এরপর তিনি আরও বলেন, “একদিকে ফিরহাদ হাকিম হুংকার দিচ্ছেন, তারা ৩৩ শতাংশ হয়ে গিয়েছেন। এরপর সংখ্যাগুরু হবেন। আর মুখে বলেননি, যে তারপর তারা ছালে-চামড়া ছাড়াবেন। অন্যদিকে হুমায়ুন কবীর হুংকার দিচ্ছেন তিনি বাবরি মসজিদ তৈরি করবেন। ওই মুর্শিদাবাদে আমরা তার দ্বিগুণ আকৃতির রাম মন্দির তৈরি করব। হিন্দু সমাজকে গীতার বাণীকে সঙ্গে নিয়ে এগোতে হবে। ভয় ত্যাগ করে যুদ্ধ জয়ের জন্য লড়াই করতে হবে। কুরুক্ষেত্র যেভাবে পান্ডবরা লড়াই করেছিল, সেভাবে হিন্দুদের লড়াই করতে হবে। কেননা এই মুহূর্তে বাংলাদেশ তো বটেই বাংলারও পরিস্থিতি উদ্বেগজনক।”

    সনাতনি ধর্মের আবহে উৎসবের আমেজ

    লক্ষাধিক কণ্ঠে  গীতা (Bhagavad Gita) শ্লোক, শঙ্খ ও উলুধ্বনিতে মুখরিত হয়ে ওঠে চারদিক। তৈরি হয় এক পবিত্র আবেগঘন সনাতনী হিন্দু সংস্কৃতির বাতাবরণ। এদিন সকাল থেকে পাহাড়-সমতল, দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে দলে দলে মানুষ ভিড় করেন এই কাওয়াখালির মাঠে। চড়া রোদকে উপেক্ষা করে মানুষের শৃঙ্খলাবদ্ধ উপস্থিতি হিন্দুত্ববোধে জাগরিত হয়। চারদিক উৎসবময় হয়ে ওঠে।

    শিলিগুড়িতে কেন এই গীতা পাঠ

    কাওয়াখালির ময়দান ভারত-বাংলাদেশ সীমান্ত থেকে কয়েক কিলোমিটার দূরে। বাংলাদেশে হিন্দু ও হিন্দুত্বের ওপর আক্রমণ চলছে। কাওয়াখালি থেকে কয়েক কিলোমিটার দূরে ফুলবাড়ি-বাংলাবান্ধা সীমান্ত। এদিনের গীতা পাঠ (Bhagavad Gita) সীমান্ত পেরিয়ে ওপারেও ছড়িয়ে পড়ে। বাংলাদেশকে বার্তা দিতে ও ওপার বাংলার হিন্দুদের মনোবল বাড়াতে এই গীতা পাঠ। উদ্যোক্তাদের তরফে স্বামী নির্গুনানন্দ বলেন, “এদিন সীমান্তের কাছে লক্ষাধিক মানুষ হিন্দু ঐক্য ও শক্তির দৃষ্টান্ত রাখল। দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে সাধুরা আজ জমায়েত হলেন। এরপরেও বাংলাদেশে হিন্দুদের ওপর অত্যাচার বন্ধ না হলে কোটি কোটি সাধু সীমান্তে জমায়েত করব।”

    বনগাঁয় কেন গীতা পাঠ?

    শিলিগুড়ির পাশাপাশি বনগাঁয় গীতা পাঠের আয়োজন করা হয়। মূলত, বাংলাদেশের বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে অবগত সকলেই। সেখানকার সংখ্যালঘু হিন্দুদের ওপর নির্বিচারে অত্যাচারের অভিযোগ প্রকাশ্যে আসছে। আর বনগাঁ হল বাংলাদেশের পার্শ্বস্ত একটি শহর। সেখানে এই গীতাপাঠ (Bhagavad Gita) ওপারের সংখ্যালঘু হিন্দুদের মনে যে মনোবল বাড়াবে তা বলার অপেক্ষা রাখে না।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • UPSC: ইউপিএসসি’তে শীর্ষে দুই কৃতী বঙ্গসন্তান, সিঞ্চন ও বিল্টুর সাফল্যে গর্বিত গোটা বাংলা

    UPSC: ইউপিএসসি’তে শীর্ষে দুই কৃতী বঙ্গসন্তান, সিঞ্চন ও বিল্টুর সাফল্যে গর্বিত গোটা বাংলা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ইউপিএসসি (UPSC) ইন্ডিয়ান স্ট্যাটিস্টিক্যাল সার্ভিস পরীক্ষায় প্রথম হয়েছেন আসানসোলের সিঞ্চনস্নিগ্ধ অধিকারী (Sinchan-Biltu)। দ্বিতীয় হয়েছেন আউশগ্রামের বিল্টু মাজি। সকল বাধা এবং প্রতিকূলতাকে হার মানিয়ে মাটি কামড়ে পড়ে থেকে সর্বভারতীয়স্তরের পরীক্ষায় সাফল্য পেয়েছেন বাংলার এই দুই সন্তান। পরিবার এবং এলাকাবাসীর মধ্যে তীব্র উচ্ছ্বাসের আবহ। বিল্টু বলেন, “স্বামী বিবেকানন্দ বলেছিলেন, লক্ষ্যে না পৌঁছনো পর্যন্ত হাল ছেড় না। স্বামীজির সেই বাণী আমাকে প্রেরণা জুগিয়েছে। অবশেষে সাফল্য পেয়েছি।”

    লক্ষ্যে অবিচল থেকে সাফল্য (UPSC)

    ইউপিএসসি (UPSC) ইন্ডিয়ান স্ট্যাটিস্টিক্যাল সার্ভিস পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশিত হয়েছে শুক্রবার। সিঞ্চনস্নিগ্ধ অধিকারী এবং বিল্টু মাজি (Sinchan-Biltu) দুজনের মধ্যে একজন রামকৃষ্ণ মিশনের প্রাক্তনী। অপর জনের জীবনের আদর্শ হলেন স্বামী বিবেকানন্দ। তবে উভয়েই খুব সামান্য পরিবার থেকে উঠে এসেছেন। জীবনের লক্ষ্যে অবিচল থেকে সাফল্যকে অর্জন করেছেন। উভয়ের পরিবারের লোকজন ভীষণ খুশি।

    খুব বেশি বেতনে কাজ করতেন না বাবা

    জানা গিয়েছে, সিঞ্চনের বাড়ি আসানসোলে ইসমাইল মাদার টেরিজা সরণিতে। বাবা প্রদীপ অধিকারী আসানসোল মাইনস বোর্ড অফ হেলথের কর্মী। তবে খুব বেশি বেতনে কাজ করতেন না, কোনও রকম নিজেদের সংসার চালান। তবে রামকৃষ্ণ মিশন সূত্রে জানা গিয়েছে সিঞ্চন ছোট থেকে খুব মেধাবী ছাত্র ছিলেন। মেডিক্যাল পরীক্ষায় র‍্যাঙ্ক হয়েছিল ১৬৮। ইঞ্জিনিয়ারিং পরীক্ষায় সপ্তম হয়েছিলেন। তবে তাঁর পছন্দের বিষয় ছিল স্ট্যাটিস্টিক্‌স। কঠিন পরিশ্রম করে পরীক্ষায় (UPSC) সাফল্য লাভ করেন।

    আরও পড়ুনঃ বিরাট সাফল্য! ২০২৪ বর্ষে চতুর্থ জাতীয় লোক আদালতে ১.৪৫ কোটি মামলার নিস্পত্তিকরণ

    গ্রামীণ ডাকঘরে শাখা পোস্টমাস্টার হিসেবে কাজ করতেন বিল্টু

    অপর দিকে বিল্টু (Sinchan-Biltu) আউসগ্রামের এক নিম্ন মধ্যবিত্ত পরিবার থেকে এসেছেন। বাবা পেশায় কৃষক, দুই বিঘা জমি তাঁদের ভরসা। সংসার তাতেই চলে। বাবা জয়দেব মাজিকে মেয়ের বিয়ে দেওয়ার সময় দেনা করতে হয়েছিল। ঋণের জন্য আর্থিক সঙ্গতি আরও খারাপ হয়। বিএসসি পাশের পর থেকে গ্রামীণ ডাকঘরে শাখা পোস্টমাস্টার হিসেবে কাজে যোগ দিয়েছিলেন। এখন তিনি বীরভূমের রূপপুরে কাজ করছেন। এই বিভাগে কাজ করতে করতে ইউপিএসসির প্রস্তুতি এবং পরীক্ষায় বসেন। কয়েকবার ধাক্কা খাওয়ার পর ২০২১ সালের ডব্লিউবিসিএস পরীক্ষায় বসেছিলেন। তিন নম্বরের জন্য আটকে যান প্রিলিমিনারি পরীক্ষায়। তার পর আর ডব্লিউবিসিএসের জন্য চেষ্টা করেননি। ২০২২ সালে আইএএস পরীক্ষায় বসেন। প্রিলিমিলারিতে পাশ করলেও, মৌখিক পরীক্ষায় আটকে যান। ১৬ নম্বর কম পান তিনি। এর পর ২০২৩ সালে আবারও ওই পরীক্ষায় বসেন। সেই বারও দু’নম্বর কম পান। এরপর ইউপিএসসি (UPSC) ইন্ডিয়ান স্ট্যাটিস্টিক্যাল সার্ভিস স্ট্যাটিস্টিক্‌স পরীক্ষায় সফল হন।   

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Firhad Hakim: “ওপরওয়ালার আশীর্বাদে একদিন আমরা সংখ্যাগুরু হব”, বললেন ফিরহাদ, তোপ দাগলেন সুকান্ত-মালব্য

    Firhad Hakim: “ওপরওয়ালার আশীর্বাদে একদিন আমরা সংখ্যাগুরু হব”, বললেন ফিরহাদ, তোপ দাগলেন সুকান্ত-মালব্য

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অশান্ত বাংলাদেশ। সেখানে সংখ্যালঘু হিন্দুদের ওপর লাগামছাড়া অত্যাচার চলছে। বহু হিন্দু দেশ ছেড়ে সীমান্তে পেরিয়ে ভারতে এসে আশ্রয় নিচ্ছেন। এই আবহের মাঝে ভারতে মুসলিমকে সংখ্যাগুরু করার ডাক দিলেন তৃণমূলের মন্ত্রী তথা কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিম (Firhad Hakim)। একটি অনুষ্ঠানে তিনি রাজ্য ও দেশে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের মানুষের শতাংশের হিসেব তুলে ধরেন। একইসঙ্গে বলেন, ওপরওয়ালার আশীর্বাদে একদিন সংখ্যাগুরু হবেন সংখ্যালঘুরা। যদিও তাঁর এই মন্তব্যের তীব্র বিরোধিতা করেছে বিজেপি (BJP)।

    ঠিক কী বলেছেন ফিরহাদ?(Firhad Hakim)

    শনিবার ধনধান্য অডিটোরিয়ামে ‘ফিরহাদ ৩০’ নামে একটি অনুষ্ঠানে ফিরহাদ হাকিম (Firhad Hakim) বলেন, “বাংলায় আমরা ৩৩ শতাংশ। কিন্তু, দেশে আমরা ১৭ শতাংশ। আমাদের সংখ্যালঘু বলা হয়। কিন্তু, আমরা নিজেদের সংখ্যালঘু বলে মনে করি না। আমরা মনে করি, ওপরওয়ালার আশীর্বাদে একদিন আমরা সংখ্যাগুরুর চেয়েও সংখ্যাগুরু হতে পারি। ওপরওয়ালার আশীর্বাদে এটা আমরা হাসিল করব।”

    সরব বিজেপি

    ফিরহাদের (Firhad Hakim) মন্তব্যের নিন্দা করেছেন বিজেপি নেতা জগন্নাথ চট্টোপাধ্যায়। তিনি বলেন, “সাম্প্রদায়িক কারা, এটা আর বলতে হবে না। পশ্চিমবঙ্গ যাতে পশ্চিম বাংলাদেশ হয়ে উঠতে না পারে, তার জন্য পদক্ষেপ করতে হবে।”

    বাংলাদেশের মতো পরিস্থিতি তৈরির ব্লুপ্রিন্ট!

    বিজেপির রাজ্য সম্পাদক সুকান্ত মজুমদারও তীব্র নিন্দা করেছেন ফিরহাদের এই মন্তব্যের। এক্স হ্যান্ডলে তিনি লেখেন, “এটা শুধু ঘৃণা ভাষণ নয়, ভারতে বাংলাদেশের মতো পরিস্থিতি তৈরির ব্লুপ্রিন্ট। ইন্ডি জোটের শরিকরা কেন চুপ? ফিরহাদের (Firhad Hakim) এই মন্তব্য নিয়ে তাঁদের মতামত জানানোর চ্যালেঞ্জ জানাচ্ছি।”

    পরিস্থিতি উদ্বেগজনক!

    ফিরহাদ হাকিমের (Firhad Hakim) মন্তব্য দুর্ভাগ্যজনক বললেন বিজেপির আইটি সেলের প্রধান তথা বাংলায় বিজেপির কেন্দ্রীয় সহ-পর্যবেক্ষক অমিত মালব্য। এক্স হ্যান্ডলে তিনি লেখেন, “পরিস্থিতি উদ্বেগজনক। কলকাতার বিস্তীর্ণ এলাকায় অনুপ্রবেশকারীর সংখ্যা বাড়ছে। ফিরহাদ হাকিমের মন্তব্য অনুপ্রবেশে উৎসাহ দেবে।”

    নিন্দা করেছে অখিল ভারতীয় সন্ত সমিতি

    ফিরহাদের (Firhad Hakim) মন্তব্য নিয়ে মেরুকরণের রাজনীতির অভিযোগ তুললেন সিপিএম নেতা সুজন চক্রবর্তী। কলকাতার মেয়র তথা পুরমন্ত্রীর মন্তব্যের নিন্দা করেছেন অখিল ভারতীয় সন্ত সমিতির প্রদেশ অধ্যক্ষ পরমাত্মানন্দজী। তিনি বলেন, “কাণ্ডজ্ঞানহীন মন্তব্য। এরকম একটা পদে থেকে এরকম মন্তব্য করা অনুচিত।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Weather Update: ঠান্ডায় কালিম্পংকে ছাপিয়ে গেল পুরুলিয়া, দক্ষিণবঙ্গের সাত জেলায় শৈত্যপ্রবাহের সতর্কবার্তা!

    Weather Update: ঠান্ডায় কালিম্পংকে ছাপিয়ে গেল পুরুলিয়া, দক্ষিণবঙ্গের সাত জেলায় শৈত্যপ্রবাহের সতর্কবার্তা!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজ্যজুড়ে জাঁকিয়ে শীত। পাশাপাশি শৈত্যপ্রবাহ নিয়ে বড়সড় সতর্কবার্তা দিল আলিপুর আবহাওয়া (Weather Update) অফিস। চলতি সপ্তাহে তো বটেই, আগামী সপ্তাহের গোড়াতেও কনকনে শীতের (Winter) আমেজ থাকবে রাজ্যে। শনিবার আলিপুর আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, রবিবার পর্যন্ত দক্ষিণবঙ্গের সাত জেলায় শৈত্যপ্রবাহ চলবে। এই জেলাগুলি হল পশ্চিম মেদিনীপুর, ঝাড়গ্রাম, পুরুলিয়া, বাঁকুড়া, পূর্ব বর্ধমান, পশ্চিম বর্ধমান এবং বীরভূম।

    ঠান্ডায় কালিম্পঙকে ছাপিয়ে গেল পুরুলিয়া (Weather Update)

    আবহাওয়া দফতর (Weather Update) সূত্রে জানা গিয়েছে, আগামী ২ দিনে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা স্বাভাবিকের তুলনায় ৩-৫ডিগ্রি সেলসিয়াস নীচে থাকবে। গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গের জেলাগুলিতে আগামী ৩ দিনে তাপমাত্রা ২-৩ ডিগ্রি কমবে। পশ্চিমের সব জেলা অর্থাৎ বাঁকুড়া, পুরুলিয়া, পূর্ব বর্ধমান, পশ্চিম বর্ধমান, বীরভূম -এই পাঁচটি জেলায় শৈত্যপ্রবাহের সতর্কতা থাকবে। ১০ ডিগ্রির নীচে তাপমাত্রা থাকবে। কলকাতার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১৪ ডিগ্রি সেন্টিগ্রেডের নীচে থাকবে। আগামী সাতদিন তাপমাত্রা একই থাকবে। পাশাপাশি পরিবেশ ঘন কুয়াশার চাদরে ঢাকবে। বেলা বাড়লে ধীরে ধীরে কুয়াশা কাটবে। আগামী ১৮ ডিসেম্বর পর্যন্ত বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা নেই। শনিবার পুরুলিয়ায় তাপমাত্রা নেমেছিল ৭.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসে। শ্রীনিকেতনে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ৮.২ ডিগ্রি এবং ঝাড়গ্রামে ছিল ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস। কালিম্পঙে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ৯.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। ঠান্ডায় কালিম্পঙকে ছাপিয়ে গেল পুরুলিয়া।

    আরও পড়ুন: “বৈচিত্র্যের ভারতে বিভেদের বিষ ছড়াচ্ছে কেউ কেউ”, সংসদে তোপ প্রধানমন্ত্রীর

    কুয়াশার দাপট কোন কোন জেলায়?

    আবহাওয়া দফতরের (Weather Update) পূর্বাভাস, উত্তরবঙ্গের জেলাগুলিতে কুয়াশার দাপট বেশি থাকবে। সকালের দিকে দার্জিলিং, জলপাইগুড়ি, কোচবিহার এবং মালদার বিস্তীর্ণ অংশ কুয়াশাচ্ছন্ন থাকবে। ফলে দৃশ্যমানতাও অনেকটা কম থাকবে। ঘন কুয়াশা থাকবে দক্ষিণবঙ্গের পাঁচ জেলা উত্তর ২৪ পরগনা, পশ্চিম বর্ধমান, বীরভূম, মুর্শিদাবাদ এবং নদিয়ায়। হাওয়া অফিসের তরফে জানানো হয়েছে, সোমবার পর্যন্ত তাপমাত্রার বিশেষ হেরফের হবে না। তবে সোমবারের পর থেকে তাপমাত্রা ফের বাড়বে। দুই থেকে তিন ডিগ্রি পর্যন্ত তাপমাত্রা বাড়তে পারে।

    ফের ঘূর্ণাবর্ত!

    হাওয়া অফিস (Weather Update) জানিয়েছে, দক্ষিণ আন্দামান সাগরে একটি ঘূর্ণাবর্ত তৈরি হয়েছে। আগামী ২৪ ঘণ্টায় সেটি নিম্নচাপে পরিণত হবে। দক্ষিণ বঙ্গোপসাগরে এই নিম্নচাপের অভিমুখ থাকবে তামিলনাডু উপকূলের দিকে। পশ্চিম এবং উত্তর-পশ্চিম দিকে এগিয়ে দক্ষিণ-পশ্চিম বঙ্গোপসাগর হয়ে এই নিম্নচাপ তামিলনাড়ু উপকূলে স্থলভাগে প্রবেশ করবে। এর প্রভাবে আগামী দু’-তিন দিন আন্দামান ও নিকোবর দ্বীপপুঞ্জে ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে। নিম্নচাপের সরাসরি প্রভাব না-পড়লেও আগামী সপ্তাহে রাজ্যের বেশ কয়েকটি জেলায় আকাশ আংশিক মেঘাচ্ছন্ন থাকতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া দফতর।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • ISKCON: কলকাতা ইসকনের ওয়েবসাইট হ্যাক! ভেসে উঠল ইসলামের স্লোগান

    ISKCON: কলকাতা ইসকনের ওয়েবসাইট হ্যাক! ভেসে উঠল ইসলামের স্লোগান

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ইউনূস সরকার ক্ষমতায় আসার পর থেকে অশান্ত বাংলাদেশ। বিশেষ করে হিন্দু সন্ন্যাসী চিন্ময়কৃষ্ণ দাসের গ্রেফতারির পর থেকে পরিস্থিতি আরও অবনতি হতে শুরু করেছে। সংখ্যালঘু হিন্দুরা প্রতিবাদ করলেই অত্যাচারের শিকার হতে হচ্ছে। ইসকন (ISKCON)-কে নিষিদ্ধ করার দাবি উঠতে শুরু করেছে বাংলাদেশের মাটিতে। এরই মধ্যে এপার বাংলার ইসকনের ওয়েবসাইট হ্যাক হয়ে গেল।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে? (ISKCON)

    শনিবার সকালে ওয়েবসাইট খুলেই চক্ষু চড়কগাছ কলকাতা ইসকন (ISKCON) কর্তৃপক্ষের। জানা যাচ্ছে, ওয়েবসাইটে ভেসে উঠেছে বেশ কয়েকটি ইসলামিক স্লোগান। ‘‘আল মশাল” নামে এক ইসলামিক সংগঠন এই ওয়েবসাইট হ্যাক করেছিল। তাই, গত দুদিন ধরে ঠিকভাবে কাজ করছিল না নিউ টাউন, ইসকন-এর ওয়েবসাইট। প্রাথমিকভাবে সদস্যরা মনে করেছিলেন এটা কোনও প্রযুক্তিগত ত্রুটি। কিন্তু শনিবার সকালে ওয়েবসাইট খুলে চমকে যান ইসকন কর্তৃপক্ষ। যদিও পরবর্তীকালে নিজেদের ইঞ্জিনিয়র ও প্রযুক্তিবিদদের ডেকে সব কিছু ঠিক করা হয়। তবে এই ঘটনার কারণে দীর্ঘক্ষণ বন্ধ ছিল ওয়েবসাইট। যদিও বর্তমানে সবকিছু স্বাভাবিক রয়েছে বলে জানা গিয়েছে। তবে, কে বা কারা এই কাজ করেছে তা নিয়ে রীতিমতো চর্চা শুরু হয়েছে। এর পিছনে কোনও জঙ্গি সংগঠন আছে কি না তা তদন্ত করে দেখার দাবি জানানো হয়েছে।

    আরও পড়ুন: সংখ্যালঘুদের কারও পদোন্নতি আটকে, কাউকে কমিশনে না রেখে সমানে চলেছে দমন-পীড়ন!

    উল্লেখ্য, বাংলাদেশের পরিস্থিতি নিয়ে বারবার প্রতিক্রিয়া দিচ্ছে ইসকন। কলকাতার ইসকন-এর (ISKCON) তরফে বাংলাদেশে হিন্দুদের ওপর অত্যাচারের তীব্র নিন্দা করা হয়েছে। সেই সঙ্গে চিন্ময়কৃষ্ণ দাসের গ্রেফতারি নিয়েও সরব হয়েছে তারা। এখনও পর্যন্ত জেলেই রয়েছেন চিন্ময়কৃষ্ণ দাস। আইনজীবী পেতেই কালঘাম ছুটেছে তাঁর। আইনজীবী পাওয়া গেলেও শুনানি পিছিয়ে যাচ্ছে। এমনকী আইনজীবীকে ধাক্কা মেরে ফেলে দেওয়ারও অভিযোগ উঠেছে। বাংলাদেশে ইসকন বিরোধী ও সংখ্যালঘুদের ওপর অত্যাচারের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ শুরু হয়েছে কলকাতায়। বাংলাদেশের ডেপুটি হাই কমিশনের সামনে প্রতিনিয়ত বিক্ষোভ দেখাচ্ছে একাধিক রাজনৈতিক-অরাজনৈতিক সংগঠন। এরমধ্যে আচমকাই কলকাতায় ইসকনের ওয়েবসাইট হ্যাক করার ঘটনায় শোরগোল পড়ে গিয়েছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • HuT Operatives: বাংলায় ঢুকেছে বাংলাদেশের দুই ‘হুত’ জঙ্গি, গড়ছে স্লিপার সেল, মডিউল! সতর্কবার্তা গোয়েন্দাদের

    HuT Operatives: বাংলায় ঢুকেছে বাংলাদেশের দুই ‘হুত’ জঙ্গি, গড়ছে স্লিপার সেল, মডিউল! সতর্কবার্তা গোয়েন্দাদের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বৈধ ভিসা নিয়ে বাংলাদেশ থেকে এ রাজ্যে চলে এসেছে নিষিদ্ধ ইসলামী জঙ্গি সংগঠন হিজবুত তাহরীর (হুত) দুই সন্ত্রাসবাদী (HuT Operatives)। একজন সাব্বির আমির, অন্যজন রিদওয়ান মানুফ। গত ৩০ মে তারা ঢুকে পড়েছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের রাজ্যে। গোয়েন্দাদের সন্দেহ, এই দুই হুত জঙ্গি এ রাজ্যে ঢুকে নিয়োগ করছে (Bangladeshi Islamists) ছাত্র ও তরুণদের।

    জঙ্গি মডিউল

    এর পাশাপাশি তারা পশ্চিমবঙ্গ ও পার্শ্ববর্তী রাজ্যগুলিতে প্রতিষ্ঠা করছে জঙ্গি মডিউল। ভারতীয় গোয়েন্দা সংস্থাগুলি এই মর্মে সতর্কতা জারি করেছে। গত কয়েক মাসে তারা পশ্চিমবঙ্গের কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়গুলির ছোট ছোট ছাত্র সমাবেশে বক্তৃতাও দিয়েছে। নিয়োগের চেষ্টা করেছে তরুণদের। ওই দুই হুত জঙ্গিকে খুঁজে বের করতে পশ্চিমবঙ্গ, অসম, বিহার, ঝাড়খণ্ড ও ওড়িশা পুলিশের পাশাপাশি রাজ্য গোয়েন্দা সংস্থা্গুলিকে নির্দেশ দিয়েছে ইন্টেলিজেন্স ব্যুরো। আইবির এক প্রবীণ আধিকারিক বলেন, “তারা কীভাবে ভিসা পেল, তা উদ্বেগজনক। এর মানে হয় তাদের ব্যাকগ্রাউন্ড ঠিকঠাক পরীক্ষা করা হয়নি, নতুবা বাংলাদেশের নিরাপত্তা সংস্থাগুলি তাদের বিষয়ে যথাযথ তথ্য দেয়নি।”

    হুত-এর ব্যাকগ্রাউন্ড

    হুত একটি বৈশ্বিক জঙ্গি সংগঠন। ১৯৫৩ সালে জেরুজালেমে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। এর লক্ষ্য ছিল সমস্ত মুসলিম জাতিকে এক খিলাফতের অধীনে ঐক্যবদ্ধ করা। ২০০০ সালে এটি বাংলাদেশে কাজকর্ম শুরু করে। ২০০৯ সালে শেখ হাসিনার সরকার একে নিষিদ্ধ ঘোষণা করে। তার পরেও গোপনে জঙ্গি কার্যকলাপ চালিয়ে যেতে থাকে হুত। পশ্চিমবঙ্গ পুলিশের এক আধিকারিক বলেন, “এই দুই হুত জঙ্গি হয়তো এ বছরের মে মাসে স্থলবন্দর দিয়ে পশ্চিমবঙ্গে প্রবেশ করেছে। তখন হুত ভারতে নিষিদ্ধ ছিল না বলে তাদের এ দেশে ঢোকাটা সহজ হয়েছিল।” ভারতের কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক ১০ অক্টোবর হুতকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করে। এর আগে মধ্যপ্রদেশ, ছত্তিশগড়, তেলঙ্গানা ও তামিলনাড়ু থেকে কয়েকজন হুত জঙ্গিকে গ্রেফতার করা হয়েছিল।

    হুত অনেক বেশি বিপজ্জনক

    অন্যান্য ইসলামপন্থী জঙ্গি সংগঠনগুলির তুলনায় হুত অনেক বেশি বিপজ্জনক। শিক্ষিত মুসলিম মহলে এর প্রভাব বিস্তর। ভারতের নিরাপত্তা সংস্থাগুলির মতে, হুত ভারতে তাদের শাখা পরিচালনা করছে তাদের বাংলাদেশ শাখার কৌশলের মতোই। বাংলাদেশে হুত শিক্ষিত যুবকদের মধ্যে অসন্তোষ, বেকারত্ব, রাজনৈতিক দুর্নীতি, স্বজনপ্রীতি এবং রাষ্ট্রের দমনমূলক নীতিকে কাজে লাগিয়ে প্রভাব বিস্তার করেছে। যার জেরে অক্টোবর মাসে ঢাকার কিছু নামী স্কুলের ছাত্ররা কালো আইএস পতাকা হাতে খিলাফত প্রতিষ্ঠার দাবিতে মিছিল করেছিল।

    ভারতে ঘাঁটি গাড়ার কৌশল

    হুত (HuT Operatives) ভারতের কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয় এবং শিক্ষিত শ্রেণিকে লক্ষ্য করে এ দেশে ঘাঁটি গাড়ার যে কৌশল নিয়েছে, তা (Bangladeshi Islamists) ভারতের নিরাপত্তা সংস্থাগুলির মধ্যে গুরুতর উদ্বেগ সৃষ্টি করেছে। সেই কারণেই ওই দুই হুত জঙ্গির নাগাল পেতে পশ্চিমবঙ্গ ও তার পড়শি রাজ্যগুলিতে তল্লাশি চালাচ্ছেন আইবির আধিকারিকরা। এক আধিকারিক বলেন, “আমাদের কাছে রিপোর্ট আছে, এই দুই জঙ্গি শুধুমাত্র বাংলার কিছু জায়গায় ইসলাম নিয়ে সভা এবং সেমিনারের আয়োজন করেনি, কিছু কলেজ এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রদের উগ্রপন্থী করে তোলার চেষ্টাও করেছে। হুত বাংলার বিশাল মুসলিম জনগোষ্ঠী এবং পার্শ্ববর্তী রাজ্যগুলোর শিক্ষিত মানুষ ও ছাত্রদের টার্গেট করছে।

    সভা ও সেমিনার

    এই দুই হুত জঙ্গি পরিচালিত সভা ও সেমিনারগুলোর মূল বিষয় ছিল প্যালেস্তাইন ও ভারতে মুসলমানদের অবস্থা। তিনি বলেন, “এই সেমিনার ও সভার মাধ্যমে, তারা মুসলিম কলেজ এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-ছাত্রীদের, পেশাজীবীদের এবং শিক্ষিত সমাজের মগজধোলাই করার চেষ্টা করছে। তাদের উগ্রপন্থী করে তোলার পাশাপাশি সরাসরি হুতে যুক্ত করা অথবা ভবিষ্যতে সংগঠনকে সহায়তা করার জন্য সহানুভূতিশীল করে তোলার চেষ্টা করছে। আমরা সন্দেহ করছি যে, তারা কিছু ছাত্রকে উগ্রপন্থী করতে পেরেছে। বাংলায় ও বিহারে প্রায় ছটি হুত মডিউল গড়ে তুলেছে।”

    কী বলছেন আইবির আধিকারিক

    জানা গিয়েছে, হুত-এর এই জঙ্গি রাষ্ট্রীয় ও কেন্দ্রীয় নিরাপত্তা ও গোয়েন্দা সংস্থাগুলোর নজর এড়িয়ে যেতে পেরেছিল কারণ তারা নিজেদের ইসলামি পণ্ডিত হিসেবে পরিচয় দিয়েছিল। আইবির ওই আধিকারিক বলেন, “বাংলায় তাদের পৃষ্ঠপোষকেরা তাদের ইসলামি পণ্ডিত হিসেবে পরিচয় দিয়েছে। তারা খুবই কৌশলীভাবে কাজ করেছে। তারা আগ্রাসী বক্তৃতা দেয় না। খুব নরম ভাষায় ইসলাম বিপদের মুখে আছে এবং ভারতে মুসলমানরা নির্যাতিত হচ্ছে এই বিষয়টি শ্রোতাদের মাথায় ঢোকানোর চেষ্টা করে (Bangladeshi Islamists)। তারা শ্রোতাদের মধ্যে কারা তাদের বিদ্বেষমূলক এবং ‘ভিক্টিমহুডে’র বয়ান গ্রহণ করছে সেদিকে নজর রাখে। এরপর তারা ওই ব্যক্তিদের টার্গেট করে, জিহাদি মতাদর্শে পরিচিত করায় এবং শেষমেশ তাদের সংগঠনের অন্তর্ভুক্ত করে।”

    এই দুই হুত (HuT Operatives) জঙ্গি যারা সংগঠনের কৌশল এবং নিয়োগ বিভাগে কাজ করে, তারা সোশ্যাল মিডিয়ায় পশ্চিমবঙ্গ, বিহার, ঝাড়খণ্ড, ওড়িশা ও অসমের মুসলিম ছাত্রদের প্রোফাইল অনুসন্ধান করছে। যারা সামান্য ইসলামি ঝোঁকও দেখায়, তাদের সঙ্গেই যোগাযোগ করে অনলাইনে উগ্রপন্থী করার চেষ্টা করছে তারা। আইবির ওই কর্তা বলেন, “পশ্চিমবঙ্গ পুলিশ এমন একটি ঘটনার সূত্র ধরে এই দুই হুত কর্মীর উপস্থিতি আবিষ্কার করেছে।” প্রসঙ্গত, এই হুত-ই বাংলাদেশে হিন্দু ও ধর্মনিরপেক্ষ মুসলমানদের টার্গেট করছে এবং তাদের হত্যাও করছে।

    আরও পড়ুন: “মাথায় তলোয়ার ঠেকিয়ে ধর্মান্তরিত করা হচ্ছে হিন্দুদের”, বাংলাদেশ নিয়ে বিস্ফোরক রাধারমণ

    হুত-এর প্রধান ডেরা

    জানা গিয়েছে, ঢাকার প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয় নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটি হুটির একটি প্রধান কেন্দ্র। এই বিশ্ববিদ্যালয়ের অনেক ছাত্র এবং শিক্ষক, এমনকি একজন প্রাক্তন প্রো-ভাইস চ্যান্সেলরও সরাসরি এই জঙ্গি সংগঠনের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। বাংলায় এই দুই হুত জঙ্গির উপস্থিতির জেরে ভারতীয় নিরাপত্তা ও গোয়েন্দা সংস্থাগুলোর নজর ফের পড়েছে বাংলাদেশের জঙ্গি সংগঠনগুলির দিকে। বাংলাদেশে ডামাডোলের বাজারে এই সংগঠনগুলির চাঁইরা সীমান্ত পেরিয়ে ভারতে ঢুকে প্রভাব বিস্তার করছে। গড়ে তুলছে মডিউল ও স্লিপার সেল।

    আইবির ওই আধিকারিক বলেন, “হুত (HuT Operatives) জেএমবি বা এবিটির চেয়েও ঢের বেশি বিপজ্জনক একটি জঙ্গি সংগঠন। কারণ এর নেতৃত্ব ও সদস্যরা সবাই শিক্ষিত ও বুদ্ধিমান। কীভাবে আড়ালে থেকে কাজ করতে হয়, তা তারা ভালোই জানে। শিক্ষিত ও পেশাজীবী হওয়ায় তারা সাধারণত আইন প্রয়োগকারী সংস্থা ও গোয়েন্দা সংস্থাগুলোর নজরে আসে না।” প্রসঙ্গত, হুতকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছে পাকিস্তান, রাশিয়া, চিন, জার্মানি, ব্রিটেন, তুরস্ক, ইন্দোনেশিয়া এবং বেশ কিছু আরব দেশ।

    তোষণের রাজনীতির বিপদ

    বিরোধীদের অভিযোগ, তোষণের রাজনীতি করতে গিয়ে একটি বিশেষ সম্প্রদায়ের ভোটারদের তোল্লাই দিচ্ছে বাংলার তৃণমূল সরকার। ‘উদারীকরণে’র সেই আবহে নানা ছলে এ রাজ্যে ঢুকে পড়ছে জঙ্গিরা (HuT Operatives)। বিভিন্নভাবে (Bangladeshi Islamists) যার মাশুল গুণতে হচ্ছে দেশবাসীকে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  WhatsappFacebookTwitterTelegram এবং Google News পেজ।

  • Chikungunya: শীতের মধ্যেও কলকাতায় বাড়ছে চিকুনগুনিয়া, রাজ্যজুড়ে চোখ রাঙাচ্ছে ডেঙ্গিও

    Chikungunya: শীতের মধ্যেও কলকাতায় বাড়ছে চিকুনগুনিয়া, রাজ্যজুড়ে চোখ রাঙাচ্ছে ডেঙ্গিও

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: জাঁকিয়ে পড়েছে শীত। ক্রমশ নামছে পারদ। এই আবহের মধ্যে এবার কলকাতায় বাড়ছে চিকুনগুনিয়া (Chikungunya) আক্রান্তের সংখ্যা। তাপমাত্রা কমতে থাকলেও মশাবাহিত রোগ কমছে না। ডেঙ্গি, ম্যালেরিয়ার পর এবার নতুন আতঙ্কের নাম চিকুনগুনিয়া। শীতের শুরুতে এবার ভয় ধরাচ্ছে এই অসুখ। চিকুনগুনিয়ার প্রকোপ চোখে পড়ছে দক্ষিণ কলকাতা-সহ শহরের একাধিক জায়গায়। সঙ্গে রাজ্যজুড়ে ডেঙ্গিও বাড়ছে।

    কী কী উপসর্গ রয়েছে? (Chikungunya)

    একটানা কদিন জ্বর ও গাঁটে ব্যথা হলেই বিশেষ রক্তপরীক্ষা করানোর পরামর্শ দিচ্ছেন চিকিৎসকরা। মশাবাহিত এই রোগ (Chikungunya) থেকে রেহাই পেতে ব্যবহার করতে হবে মশারিও। চিকিৎসকদের মতে, চিকুনগুনিয়ার উপসর্গ অনেকটাই ডেঙ্গির মতো। চিকুনগুনিয়া আর ডেঙ্গির বাহক একই-এডিস ইজিপ্টাই মশা। ফলে কার ডেঙ্গি হয়েছে আর কার চিকুনগুনিয়া তা নিয়ে প্রাথমিকভাবে তৈরি হচ্ছে একটা ধন্দ। এক্ষেত্রে রোগ নির্ণয়ে সেরোলজিক্যাল টেস্ট নামে একটি বিশেষ রক্ত পরীক্ষার সাহায্য নিচ্ছেন চিকিৎসকরা। চিকিৎসক অজয় সরকার বলেন, ‘‘গত ২ মাস চিকুনগুনিয়া আক্রান্ত রোগীদের পাচ্ছি। ডেঙ্গির মতো উপসর্গ। সেরোলজিক্যাল টেস্টের মাধ্যমে ধরা পড়ছে চিকুনগুনিয়া। শরীর দূর্বল হয়ে যাচ্ছে। ব্যথা ৬ সপ্তাহ পর্যন্ত থাকে। এর থেকে বেশি হলে ক্রনিক আর্থারাইটিসের মতো হয়ে যায়।”

    আরও পড়ুন: সংখ্যালঘুদের কারও পদোন্নতি আটকে, কাউকে কমিশনে না রেখে সমানে চলেছে দমন-পীড়ন!

    বাড়ছে ডেঙ্গি!

    চিকুনগুনিয়ার (Chikungunya) পাশাপাশি ডেঙ্গির সংখ্যাও রাজ্যে বাড়ছে। স্বাস্থ্য দফতরের রেকর্ড অনুযায়ী, চলতি মাসের ২ তারিখ পর্যন্ত রাজ্যে আক্রান্তের মোট সংখ্যা ২৯ হাজার ৫২২। ২৬ নভেম্বর থেকে ২ ডিসেম্বর পর্যন্ত মাত্র এক সপ্তাহে রাজ্যে ডেঙ্গিতে আক্রান্ত হয়েছেন ১ হাজার ৩৪৬ জন। সরকারি হাসপাতালে পরীক্ষা করানোর পর ডেঙ্গি পজিটিভ হয়েছেন ২৩ হাজার ৮৪ জন। বেসরকারি হাসপাতাল ও ল্যাবরেটরি থেকে পরীক্ষার পর ৬ হাজার ৪৩৮ জনের ডেঙ্গি ধরা পড়েছে। ২৬ নভেম্বর থেকে ২ ডিসেম্বর পর্যন্ত সবচেয়ে বেশি ডেঙ্গি আক্রান্তের রেকর্ড হয়েছে মুর্শিদাবাদে। এক সপ্তাহে সেখানে ডেঙ্গি আক্রান্তের সংখ্যা ২১৮ জন। একই সময়ে উত্তর ২৪ পরগনায় ডেঙ্গি আক্রান্ত হয়েছেন ১৩৮ জন। মালদায় ডেঙ্গি আক্রান্ত ১০৩ জন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Weather Update: পুরুলিয়ায় ৭.৫ ডিগ্রি, ঝাড়গ্রামে ৯, কলকাতায় কত? সাত জেলায় শৈত্য প্রবাহের সতর্কতা

    Weather Update: পুরুলিয়ায় ৭.৫ ডিগ্রি, ঝাড়গ্রামে ৯, কলকাতায় কত? সাত জেলায় শৈত্য প্রবাহের সতর্কতা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শীতের কামড়ের আঁচ আন্দাজ করে ইতিমধ্যে সাত জেলায় শৈত্যপ্রবাহের সতর্কতা জারি করেছে আলিপুর আবহাওয়া দফতর। হু হু করে নামছে তাপমাত্রা। আরও কয়েকদিন এই ধারা বজায় থাকবে বলে হাওয়া অফিস (Weather Update) জানিয়েছে। ফলে, জাঁকিয়ে শীতের (Winter) পরিস্থিতি চলবে রবিবার পর্যন্ত।

    শৈত্য প্রবাহের সতর্কতা কোন কোন জেলায়? (Weather Update)

    পশ্চিমের সাত জেলায় শৈত্য প্রবাহের সতর্কতা (Weather Update) জারি করা হয়েছে। রাত ও দিনের তাপমাত্রা স্বাভাবিকে নীচে থাকবে। জেলাগুলি হল পুরুলিয়া, বাঁকুড়া, পশ্চিম মেদিনীপুর, – ঝাড়গ্রাম, পূর্ব ও পশ্চিম বর্ধমান এবং বীরভূম জেলায়। আগামীকালও পশ্চিমের জেলায় শৈত্য প্রবাহের পরিস্থিতি। কুয়াশার দাপট থাকবে পশ্চিম বর্ধমান, বীরভূম ও মুর্শিদাবাদ জেলায়। বিক্ষিপ্তভাবে হালকা থেকে মাঝারি কুয়াশার সম্ভাবনা থাকবে কলকাতা সহ বাকি জেলাতেও। কুয়াশার পরিমাণ বাড়বে সোমবার ও মঙ্গলবার। শনিবার থেকে দার্জিলিং, জলপাইগুড়ি, উত্তর ও দক্ষিণ দিনাজপুর ও মালদা জেলাতে হালকা থেকে মাঝারি কুয়াশার সম্ভাবনা রয়েছে।

    আরও পড়ুন: সংখ্যালঘুদের কারও পদোন্নতি আটকে, কাউকে কমিশনে না রেখে সমানে চলেছে দমন-পীড়ন!

    পুরুলিয়ায় ৭.৫ ডিগ্রি, ঝাড়গ্রামে ৯, কলকাতায় কত?

    শনিবার কলকাতার (Weather Update) সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১৪ ডিগ্রি! রাত ও দিনের দুই তাপমাত্রাই স্বাভাবিকের বেশ কিছুটা নীচে। আপাতত ১৫ ডিগ্রির নীচেই থাকবে তাপমাত্রা। পশ্চিমের জেলাগুলির সর্বনিম্ন তাপমাত্রা কলকাতার প্রায় অর্ধেক! আলিপুর আবহাওয়া দফতরের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, শনিবার সকালে পুরুলিয়ার তাপমাত্রা ছিল ৭.৫ ডিগ্রি, শ্রীনিকেতনে ৮.২ ডিগ্রি, ঝাড়গ্রামে ৯ ডিগ্রি, পানাগড়ে ৯.৬ ডিগ্রি, কল্যাণীতে ১০.৫ ডিগ্রি, বর্ধমানে ১০ ডিগ্রি, বাঁকুড়ায় ১১.৪ ডিগ্রি, দিঘাতে ১২ ডিগ্রি! একইভাবে উলুবেড়িয়ায় ১১.৪ ডিগ্রি, ডায়মন্ড হারবারে ১৩.৪ ডিগ্রি, ক্যানিং: ১৩.৬ ডিগ্রি এবং দমদমে ১৪ ডিগ্রি। জাঁকিয়ে শীতের স্পেল উত্তরবঙ্গেও। স্বাভাবিকের নীচেই থাকবে পারদ। বৃষ্টির সম্ভাবনা নেই ১৮ ডিসেম্বর পর্যন্ত।

    বৃষ্টির সম্ভাবনা কোথায়?

    হাওয়া অফিস (Weather Update) সূত্রে জানা গিয়েছে, আগামী দু’তিন দিন ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে আন্দামান ও নিকোবর দ্বীপপুঞ্জে। সোম, মঙ্গলবার নাগাদ ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে তামিলনাড়ু, পন্ডিচেরি এবং কেরালাতে। ঘন কুয়াশার দাপট থাকবে ওড়িশা, অসাম, মেঘালয়, নাগাল্যান্ড, মণিপুর, মিজোরাম এবং ত্রিপুরাতে। চরম শৈত্য প্রবাহ থাকবে পঞ্জাব, মধ্যপ্রদেশ, জম্মু-কাশ্মীর-সহ একাধিক রাজ্যে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • NIA: আরামবাগে পাক-জঙ্গির হদিশ! অভিযুক্তের বাড়িতে এনআইএ, তল্লাশিতে কী কী মিলল?

    NIA: আরামবাগে পাক-জঙ্গির হদিশ! অভিযুক্তের বাড়িতে এনআইএ, তল্লাশিতে কী কী মিলল?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অশান্ত বাংলাদেশ পরিস্থিতির আবহে হুগলির আরামবাগে এক জঙ্গির হদিশ পেল এনআইএ। শুক্রবার ওই জঙ্গির খোঁজে আরামবাগের সানাপাড়া এলাকায় হানা দেয় এনআইএ (NIA)। সাবিরউদ্দিন নামে ওই সন্দেহভাজন যুবক পাকিস্তানের মদতপুষ্ট জঙ্গি সংগঠন জৈশ-ই-মহম্মদের সঙ্গে যুক্ত বলে তদন্তকারীরা মনে করছেন।

    তল্লাশিতে কী কী পেল এনআইএ? (NIA)

    শুক্রবার দেশের ৮টি রাজ্যের ১৯ জায়গায় তল্লাশি চালিয়েছিল এনআইএ। তাঁদের (NIA) কাছে খবর ছিল রাজ্যে রাজ্যে জাল ছড়িয়েছে জৈশ-ই-মহম্মদ। বিভিন্ন রাজ্যে রয়েছে তাদের লোক। ধৃত শেখ সুলতান সালাউদ্দিন আয়ুবির থেকে এই তথ্য পেয়ে রাজ্যে রাজ্যে ছড়িয়ে পড়েন এনআইএ গোয়েন্দারা। তল্লাশি চালানো হয়, অসম, মহারাষ্ট্র, উত্তরপ্রদেশ, বিহার, বাংলা, জম্মু-কাশ্মীর, রাজস্থান, গুজরাটে। বাংলায় এনআইএ-র দলটি চলে যায় হুগলিতে। সেখানে এক যুবককের খোঁজ করা হয় বলে খবর। সূত্রের খবর, এনআইএ বৃহস্পতিবার আরামবাগের (Arambagh) মায়াপুরের সানাপাড়া এলাকায় হানা দেয়। সেখানে শেখ সাবিরউদ্দিন আলি নামক এক যুবকের খোঁজ চালান গোয়েন্দারা। যদিও এখনও তার খোঁজ মেলেনি বলেই জানা গিয়েছে। জানা গিয়েছে, আরামবাগে এনআইএ টিম বেশ কিছু ক্ষণ সন্দেহভাজনের বাড়িতে তল্লাশি চালায়। তাতে নাকি পাওয়া গিয়েছে ল্যাপটপ, পেনড্রাইভ, নগদ টাকা, সিডি, হার্ড ডিস্ক। এ থেকেই মিলেছে সন্দেহজনক চ্যাট। এরপর থানার হাজিরা দিতে একটি নোটিশও ঝুলিয়ে দেন গোয়েন্দারা।

    আরও পড়ুন: সংখ্যালঘুদের কারও পদোন্নতি আটকে, কাউকে কমিশনে না রেখে সমানে চলেছে দমন-পীড়ন!

    কী বললেন পরিবারের লোকজন?

    নোটিশ পেয়েই সাবিরউদ্দিন ও তাঁর বাবা সাইফুদ্দিন কলকাতার অফিসে (NIA) হাজিরা দিতে চলে যান। এদিকে খবর চাউর হতেই এলাকায় রীতিমতো হইচই কাণ্ড শুরু হয়ে গিয়েছে। তবে এলাকার অনেক বাসিন্দাই বলছেন, সাবিরউদ্দিন মেধাবি। আলিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র। বিএড পাশও করেছেন। আচরণও ভালো। এলাকায় কারও সঙ্গে কোনও ঝামেলা করতে না। সেই তিনি কী করে এই ধরনের কাজে যুক্ত থাকতে পারেন তা ভেবে কূল-কিনারা পাচ্ছেন না কেউ। সন্দেহভাজনের এক আত্মীয় জানালেন, কারও সঙ্গে মেলামেশা করে না সাবিরউদ্দিন। চুপচাপই থাকে। বাড়ির ছেলের বিরুদ্ধে ঠিক কী অভিযোগ, তাও বুঝে উঠতে পারেননি তাঁরা। তাঁদের দাবি, দিল্লির কোনও কেসে সাবিরউদ্দিনের খোঁজ করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন গোয়েন্দারা।

    হতবাক প্রতিবেশীরা!

    এদিকে সাবিরের বাড়ির আর্থিক অবস্থাও বিশেষ ভালো নয়। ভগ্নপ্রায় অবস্থায় রয়েছে মাটির বাড়ি। দিন আনা দিন খাওয়া পরিবারের সম্বল বলতে শুধুই কিছু জমি। এলাকার লোকজন জানাচ্ছেন, ধান চাষের ওপর নির্ভর করেই মূলত চলে সংসার। সেই পরিবারের ছেলে কী করে এমন কাজ করতে পারে তা ভেবেই অবাক প্রতিবেশীরা। এদিকে এনআইএ আসতেই কান্নায় ভেঙে পড়েছেন মা নাসিমা বেগম।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share