Category: রাজ্য

Get West Bengal News, Bengali Breaking News, Latest News in Bengali only from মাধ্যম | Madhyom, Bengali News Portal for সম্পূর্ণ নিরপেক্ষ বাংলা সংবাদ, বাংলা খবর

  • Durgapur: টাকা নিয়েছেন, চাকরি কই? দুর্গাপুর স্টেশনে তৃণমূল কর্মীকে জুতোপেটা মহিলার

    Durgapur: টাকা নিয়েছেন, চাকরি কই? দুর্গাপুর স্টেশনে তৃণমূল কর্মীকে জুতোপেটা মহিলার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: চাকরি চুরি থেকে শিক্ষা চুরি, সাম্প্রতিক সংযোজন আবার রেশন কেলেঙ্কারি। এইসব দুর্নীতির প্রতিবাদে ধর্মতলায় শাহি সভা ছিল বিজেপির। এই আবহে এদিন দুর্গাপুর (Durgapur) স্টেশনে এক প্রতারক তৃণমূল কর্মীকে জুতোপেটা করলেন প্রতারিত মহিলা। আর এই ঘটনার সাক্ষী রইলেন স্টেশনে আসা যাত্রীরা। ঘটনাস্থল দুর্গাপুর স্টেশনের চার নম্বর প্লাটফর্ম। আচমকা এত ভিড়ে সবাই ভিড় জমালো প্লাটফর্মে। তৃণমূল কর্মীর প্রতারণার  বিষয়টি সামনে আসে।

    কেন প্রকাশ্যে এই মারধর? (Durgapur)

    স্থানীয় ও জিআরপি সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রতারিত মহিলার বাড়ি রানিগঞ্জ এলাকায়। তিনি বিজেপি কর্মী। আর প্রতারক তৃণমূল কর্মীর নাম অবনী মণ্ডল। তার বাড়ি জামুরিয়া এলাকায়। ডাক বিভাগে চাকরি করে দেওয়ার নাম করে অভিযুক্ত তৃণমূল কর্মী ওই মহিলার কাছে প্রায় দু লক্ষ টাকা দাবি করেছিলেন। বছর দুয়েক আগে সেই টাকা দিলেও আজও না পেয়েছেন চাকরি, না পেয়েছেন টাকা। প্রতারণা করেছেন তৃণমূল কর্মী। এই দু বছর ধরে অনেক বার ফোন করেছেন অভিযুক্ত এই ব্যক্তিকে। কিন্তু মহিলা বিজেপি কর্মীর ফোন দু একবার ধরলেও, অভিযুক্ত ব্যাক্তি এরপর ওই মহিলার ফোন নম্বর ব্লক লিস্টে ফেলে দেন। টাকা ফেরত পাওয়ার আশা ছেড়েই দিয়েছিলেন মহিলা বিজেপি কর্মী। বুধবার ধর্মতলায় দলীয় জনসভায় স্পেশাল ট্রেন ধরার জন্য রানিগঞ্জ থেকে দুর্গাপুর (Durgapur) আসেন ওই মহিলা বিজেপি কর্মী। সঙ্গে  ছিলেন দলীয় কর্মী সমর্থকরা। আচমকা স্টেশনের মধ্যে অভিযুক্ত ওই ব্যক্তিকে দেখতে পান ওই মহিলা। গুটি গুটি পায়ে তার সামনে পৌঁছে টাকা ফেরত চাইতে শুরু করেন প্রতারিত মহিলা। কিছুটা বেসামাল হয়ে পড়েন অভিযুক্ত তৃণমূল কর্মী। এরপর পায়ের চটি খুলে প্রকাশ্যে অভিযুক্ত ব্যক্তিকে মারধর শুরু করে দেন মহিলা বিজেপি কর্মী। কেন ফোন ধরেননি এতদিন সেই প্রশ্ন তো ছিলই, সঙ্গে ছিল টাকা ফেরত আর চাকরি কোথায় এই সব প্রশ্ন। পরে, জিআরপি গিয়ে পরিস্থিতি সামাল দেয়। প্রতারক তৃণমূল কর্মী অবনী মণ্ডল বলেন, টাকা নেওয়ার অভিযোগ ভিত্তিহীন।

    প্রতারিত মহিলা কী বললেন?

    প্রতারিত মহিলা বলেন, ওই তৃণমূল কর্মী বলেছিল, লকডাউনে অনেকে চাকরি ছেড়ে চলে গিয়েছে। ১৮ হাজার বেতনের চাকরি দেওয়ার কথা বলেছিল। চাকরি দেওয়ার নাম করেই আমার কাছে ২ লক্ষ টাকা নিয়ে গা ঢাকা দিয়েছিল। এদিন দেখা হতেই সে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। আমি ঘিরে ধরতেই আমার সঙ্গে বচসা শুরু করে। তখনই বাধ্য হয়ে জুতোপেটা করি।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Kalyanmoy Ganguly: নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডে প্রাক্তন পর্ষদ-কর্তা কল্যাণময়ের জামিন, মানতে হবে কী কী শর্ত?

    Kalyanmoy Ganguly: নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডে প্রাক্তন পর্ষদ-কর্তা কল্যাণময়ের জামিন, মানতে হবে কী কী শর্ত?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এসএসসির নিয়োগ-দুর্নীতি মামলায় অবশেষে জামিন পেলেন কল্যাণময় গঙ্গোপাধ্যায় (Kalyanmoy Ganguly)। তবে মধ্যশিক্ষা পর্ষদের এই প্রাক্তন সভাপতির গতিবিধির উপর শর্ত আরোপ করেছে কলকাতা হাইকোর্ট। শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় যেহেতু অভিযুক্ত কল্যাণময়, তাই বিচারপতি জয়মাল্য বাগচী এবং বিচারপতি গৌরাঙ্গ কান্তের ডিভিশন বেঞ্চ নির্দেশ দেয়, তাঁকে কলকাতা পুরসভা এলাকায় থাকতে হবে। সেই সঙ্গে পার্ক স্ট্রিট থানা এবং বিধাননগর কমিশনারেট এলাকায় প্রবেশ করতে পারবেন না।

    শর্ত সাপেক্ষে জামিন (Kalyanmoy Ganguly)

    শিক্ষক দুর্নীতি নিয়োগ মামলায় মধ্যশিক্ষা পর্ষদের প্রাক্তন সভাপতি কল্যাণময় গঙ্গোপাধ্যায় (Kalyanmoy Ganguly) সিবিআইয়ের কাছে প্রধান অভিযুক্ত। আদালত সূত্রে জানা গিয়েছে, বুধবার শর্ত সাপেক্ষে তাঁকে জামিন দেওয়া হয়েছে। কিন্তু তাঁর গতিবিধির উপর নজরদারি রাখা হবে। কোন কোন এলাকায় যেতে পারবেন এবং কোথায় যেতে পারবেন না, তাও হাইকোর্ট নির্দেশে বলে দিয়েছে। সেই সঙ্গে নিম্ন আদালতে তাঁর পাসপোর্ট জমা রাখার কথাও জানানো হয়েছে।

    এক বছর আগে গ্রেফতার করা হয়েছিল

    স্কুল সার্ভিস কমিশনের শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় সিবিআই কল্যাণময় গঙ্গোপাধ্যায়কে (Kalyanmoy Ganguly) গ্রেফতার করে ২০২২ সালের ১৫ সেপ্টেম্বর। ২০১০ সাল থেকে তিনি টানা মধ্যশিক্ষা পর্ষদের সভাপতি ছিলেন। সিবিআইয়ের অভিযোগ, তিনি নিজের পদের প্রভাব খাটিয়ে শিক্ষক নিয়োগে ব্যাপক দুর্নীতি করেছেন। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা আরও জানিয়েছে, সই নকল করে একের পর এক নিয়োগ করেছেন। এই দুর্নীতিকাণ্ডে আরও গ্রেফতার করা হয়েছে সুবীরেশ ভট্টাচার্য, অশোক সাহা, শান্তিপ্রসাদ সিন্‌হা, প্রাক্তন শিক্ষা মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় এবং বিধায়ক জীবন কৃষ্ণ সাহাকেও। বাকিরা সকলে জেলে রয়েছেন। এর আগেও কল্যাণময় সিবিআই আদালত এবং হাইকোর্টে জামিনের জন্য আবেদন করেছিলেন। কিন্তু আবেদন খারিজ হয়ে গিয়েছিল। এবার তাঁর জামিনের আবেদনের সিবিআই বিরোধিতা করলেও, হাইকোর্ট তাঁর জামিন মঞ্জুর করে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Amit Shah: “হিম্মত থাকলে জ্যোতিপ্রিয়, অনুব্রতদের সাসপেন্ড করে দেখান”, মমতাকে চ্যালেঞ্জ অমিত শাহের

    Amit Shah: “হিম্মত থাকলে জ্যোতিপ্রিয়, অনুব্রতদের সাসপেন্ড করে দেখান”, মমতাকে চ্যালেঞ্জ অমিত শাহের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কলকাতায় এসে সরাসরি তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ (Amit Shah)। ধর্মতলায় বিজেপির ভিড়ে ঠাসা সমাবেশ থেকে তিনি রাজ্যের শাসকদলকে নানা ইস্যুতে আক্রমণ শানান। তবে নিয়ো-দুর্নীতি এবং রেশনকাণ্ড নিয়ে তাঁর গলায় ছিল আক্রমণাত্মক সুর। এমনিতেই তৃণমূলের হেভিওয়েট বেশ কয়েকজন নেতা জেলের ঘানি টানছেন। তাঁদের নিয়ে দল যথেষ্ট বিব্রত। তার ওপর এদিন অমিত শাহের আক্রমণ কার্যত কাটা ঘায়ে নুনের ছিটে। তিনি এদিন জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক, অনুব্রত মণ্ডল এবং পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের নাম করেন। তারপরই তৃণমূল নেত্রীকে নিশানা করে বলেন, “মমতাকে বলছি হিম্মত থাকলে জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক, অনুব্রত মণ্ডল, পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে তৃণমূল কংগ্রেস থেকে সাসপেন্ড করে দেখান। আপনি পারবেন না। যারা নিজে দুর্নীতিগ্রস্ত, তারা এই রাজ্যকে দুর্নীতিমুক্ত করতে পারবে না। তৃণমূল সাংসদ সংসদকেও অপবিত্র করেছে।”

    হিসাব দিয়ে জবাব (Amit Shah)

    কেন্দ্র টাকার অঙ্কে রাজ্যকে ভরিয়ে দিলেও তা যে প্রকৃত উপভোক্তাদের কাছে যাচ্ছে না, এটা নিয়েই বাংলায় সরব হয়েছে বিজেপি। তাদের সাফ কথা, মোদির দেওয়া টাকা রাজ্যে চুরি করছে শাসকদল। মানুষকে বঞ্চিত করে তৃণমূলের নেতা-কর্মীরা ফুলে-ফেঁপে উঠছেন। যাঁর হাতে দেখা যেত আধ-পোড়া বিড়ি, তিনি এখন খাচ্ছেন দামী সিগারেট। মমতা নিজের দলের এই দুর্নীতিকে ঢাকতে কেন্দ্রের বিরুদ্ধে পাল্টা আক্রমণ শুরু করেছেন। মোদি টাকা আটকে দিয়েছে, এই অভিযোগ তুলে সোচ্চার হচ্ছেন। অমিত শাহর (Amit Shah) ভাষণে এদিন এই প্রসঙ্গও উঠে আসে। তিনি বলেন, কান খুলে শুনুন, আপনার জন্য হিসেব এনেছি। ইউপিএ সরকার দশ বছরে ২ লক্ষ ১৪ হাজার কোটি টাকা দিয়েছে। মনরেগায় তিনগুণ বেশি টাকা দেওয়া হয়েছে। হাইওয়ের জন্য মোট ৭০ হাজার কোটি টাকা দেওয়া হয়েছে। টাকা না দেওয়ার অভিযোগ শুধু মুখে নয়, এভাবে হিসাব দিয়ে তিনি নস্যাৎ করে দিয়েছেন। শাহের দাবি, মোদি সরকার বাংলার জন্য কোটি কোটি পাঠাচ্ছে। কিন্তু তৃণমূলের জন্যই তা বাংলার গরিব মানুষ হাতে পাচ্ছে না। দুর্নীতির পাশাপাশি ভোটে সন্ত্রাস নিয়েও এদিন সোচ্চার হতে দেখা যায় শাহকে।

    রাজ্যে দারিদ্রতা কমেনি (Amit Shah)

    দুর্নীতি ইস্যুতে শাহ (Amit Shah) আরও বলেন, সব জায়গায় দারিদ্রতা কমেছে। কিন্তু পশ্চিমবঙ্গে কমেনি। যে বাংলা সাহিত্য, বিজ্ঞান, কলা, স্বাধীনতা, উদ্যোগের ক্ষেত্রে এক নম্বরে ছিল, সেই বাংলাকে দিদি পিছিয়ে দিয়েছেন। আজ আমি বাংলার মানুষকে বলতে এসেছি, আপনারা একবার পুরো দেশের বিকাশ দেখুন। মোদি কোটি কোটি মানুষের জীবন পরিবর্তন করেছেন। শৌচালয়, রেশন, বাড়ি, ৫ লাখের বিমা, কোভিড টিকা দিয়েছেন। কিন্তু বাংলা ক্রমশ পিছিয়ে যাচ্ছে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Hooghly: “সৌভিক, চেক-আপ করিয়েছো তো?” উদ্ধারের পর ফোনে জানতে চাইলেন আবেগপ্রবণ মা

    Hooghly: “সৌভিক, চেক-আপ করিয়েছো তো?” উদ্ধারের পর ফোনে জানতে চাইলেন আবেগপ্রবণ মা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ১৭ দিনের মাথায় উত্তরকাশীর সিল্কিয়ার সুড়ঙ্গ থেকে উদ্ধারের পর ছেলের কথা শুনে উৎকণ্ঠা কাটল মায়ের। অনেকটাই স্বস্তি পেয়েছে পরিবার। হুগলির (Hooghly) বাসিন্দা সৌরভ পাখিরা এবং জয়দেব আটকে থাকা ৪১ জন শ্রমিকের মধ্যে ছিলেন। গতকাল উদ্ধার হওয়ার পর সৌভিকের সঙ্গে মায়ের কথা হয়। মা আবেগপ্রবণ হয়ে ফোনে জিজ্ঞেস করলেন, “সৌভিক, চেক-আপ করিয়েছো তো”? পাশাপাশি বাড়িতে ভিড় জমিয়েছেন আশপাশের প্রতিবেশীরা। এলাকায় খুশির আবহ।

    কী বললেন মা (Hooghly)?

    ৪১ জন ভারতীয়ের সুড়ঙ্গে আটকে থাকার খবরে নজর ছিল গোটা দেশের মানুষের। কেন্দ্র সরকার এবং উত্তরাখণ্ড রাজ্য সরকারের সঙ্গে একাধিক সংস্থা যৌথভাবে অপারেশন চালিয়ে উদ্ধারকাজকে সম্পূর্ণরূপ দিয়েছে। তবে উদ্ধারের কাজ খুব একটা সহজ ছিল না। এরপর হুগলির (Hooghly) হরিণখোলার মানুষের মধ্যে স্বস্তির নিশ্বাস নেমে এলো। সৌভিকের সঙ্গে মা ফোনে কথা বলে জানান, “সুড়ঙ্গ থেকে সকলকেই উদ্ধার করা হয়েছে। জয়দেব এবং সৌভিক একসঙ্গেই রয়েছে, দুজনকেই হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।” স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, জয়দেব এবং সৌভিকের মঙ্গলকামনায় এলাকার মানুষ বাবা তারকনাথের কাছে পুজো দিয়েছেন। তবে এখনও উদ্বেগ পুরোপুরি কাটেনি। স্বাস্থ্য পরীক্ষার পরেই পুরো ভয় কাটবে বলে মনে করা হচ্ছে।

    উদ্ধার কাজে ছিল টানটান উত্তেজনা

    গত ১৭ দিন থেকেই সুড়ঙ্গে আটকে থাকার বিষয় নিয়ে উদ্বেগের একটা কারণ কাজ করছিল। আটকে থাকা হুগলির (Hooghly) শ্রমিকদের পরিবারের মানুষদের মধ্যে ছিল তীব্র আতঙ্কের ছায়া। উদ্ধার কাজেও ছিল ব্যাপক প্রতিবন্ধকতা। সন্ধ্যা আটটার সময় প্রথম শ্রমিক উদ্ধারের খবর টিভির পর্দায় দেখা যায়। প্রথম উদ্ধার হন বিজয় হেরো এবং গণপতি হেরো। এরপর থেকেই সারা দেশের মানুষের মধ্যে আশার আলো সঞ্চার হয়। সময় ক্রমশ বৃদ্ধি পেলে উদ্ধার হওয়া শ্রমিকের সংখ্যাও বৃদ্ধি পেতে শুরু করে। মাত্র ত্রিশ মিনিটে উদ্ধার হন ৪১ জন শ্রমিক। উদ্ধারের পরেই সকল শ্রমিককে স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। উদ্ধারের সময় উপস্থিত ছিলেন উত্তরাখণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী পুষ্কর সিং ধামি। তিনি উদ্ধার হওয়া শ্রমিকদের সঙ্গে কথা বলেন। স্বাস্থ্যের সম্পর্কে খোঁজখবরও নেন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Basirhat: লোকসভা ভোটে নুসরাতকে চাইছেন না বসিরহাটের তৃণমূল কর্মীরা, পোস্টার ঘিরে হইচই

    Basirhat: লোকসভা ভোটে নুসরাতকে চাইছেন না বসিরহাটের তৃণমূল কর্মীরা, পোস্টার ঘিরে হইচই

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: লোকসভায় তৃণমূলের কে প্রার্থী হবেন, তা এখনও ঠিক হয়নি। এর মধ্যেই বসিরহাটে (Basirhat) অভিনেতা-অভিনেত্রীকে প্রার্থী করা চলবে না বলে পোস্টার পড়ল। তৃণমূলের একটা অংশের পক্ষ থেকে বসিরহাট লোকসভা কেন্দ্রের বাদুড়িয়া, হাড়োয়া-সহ বিভিন্ন জায়গায় এমনই পোস্টার লাগানো হয়েছে। যা নিয়ে রাজনৈতিক মহলে জোর চর্চা শুরু হয়েছে।

    পোস্টারে ঠিক কী লেখা রয়েছে? (Basirhat)

    বসিরহাটের (Basirhat) হাড়োয়ার কুলটি, বাদুড়িয়া-সহ বিভিন্ন জায়গায় ছোট ছোট সাদা কাগজে পোস্টার দেখতে পান স্থানীয় বাসিন্দারা। সেই পোস্টারে পরিষ্কারভাবে লেখা রয়েছে, আগামী ২০২৪ লোকসভা নির্বাচনে বসিরহাট লোকসভা কেন্দ্রে কোনও বহিরাগত বা কোনও অভিনেতা-অভিনেত্রীকে প্রার্থী করা চলবে না। এলাকার ভূমিপুত্র, কাছের মানুষ ও কাজের মানুষকে লোকসভা নির্বাচনে প্রার্থী করতে হবে। একেবারে তৃণমূলের বিরুদ্ধে হুঁশিয়ারি দিয়ে এই পোস্টার দেখা যায়। পোস্টারের নিচে ‘আমরা তৃণমূল কর্মীবৃন্দ’ বলে উল্লেখ রয়েছে।

    পোস্টার নিয়ে মুখ খুললেন হাড়োয়া পঞ্চায়েত সমিতির মৎস্য কর্মাধ্যক্ষ

    বসিরহাট (Basirhat) লোকসভা কেন্দ্র থেকে জয়ী হয়েছিলেন অভিনেত্রী নুসরাত জাহান। তিনি সাংসদ হওয়ার পর এলাকায় তেমন কোনও উন্নয়ন হয়নি। সাংসদকে এলাকার সাধারণ মানুষ তো দূরে থাক, তৃণমূলের কর্মীরাও কাছে পাননি। তা নিয়ে যথেষ্ট ক্ষোভ রয়েছে এলাকার কর্মীদের মনে, এমনটাই দাবি দলের। দলীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, গত পাঁচ বছরে বড় কোনও সমাবেশ ছাড়া সাংসদকে এলাকায় দেখা যায়নি। কোনও সাংগঠনিক বৈঠকে তাঁকে ডেকে কাছে পাননি তৃণমূলের কর্মীরা। সাংসদ তহবিলে তেমন কোনও উন্নয়ন এলাকায় হয়নি। হাড়োয়া পঞ্চায়েত সমিতির মৎস্য ও প্রাণী কর্মাধ্যক্ষ বাহার আলি মোল্লা বলেন, ‘পোস্টারটা বড় কথা নয়। প্রতিটা লোকসভা কেন্দ্রের প্রার্থী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তবে আমাদের কেন্দ্রের প্রার্থী এলাকার কর্মীদের কাউকে করা দরকার। বর্তমানে যিনি সাংসদ আছেন, তাঁকে আমরা কোনও অনুষ্ঠানে ডেকে সেভাবে কাছে পাই না। এমন কোনও ব্যক্তিকে প্রার্থী করা দরকার, তিনি আমাদের সাংগঠনিক বুদ্ধি দেবেন। তিনি আমাদের তৃণমূলের পরিবারের অভিভাবক হবেন। যাকে ডাকলে বা কোনও সমস্যায় পড়লে কাছে পাই।’

    পোস্টার নিয়ে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা

    এই প্রসঙ্গে মিনাখাঁ এরিয়া সিপিএম কমিটির সম্পাদক প্রদ্যুৎ রায় বলেন, ‘আমরা পঞ্চায়েত নির্বাচনে দেখেছি, যিনি যত টাকা উপরের নেতাদের দিতে পেরেছেন, তিনিই টিকিট পেয়েছেন। এক্ষেত্রেও তাই হবে। কোথায় কোন তৃণমূলের কর্মীরা পোস্টার মারলেন, তা তৃণমূলের উঁচু স্তরের নেতারা দেখেন না। তাঁরা শুধু দেখেন টাকা। ‘মিনাখাঁর বিজেপি নেতা জয়ন্ত মণ্ডল বলেন, ‘এই চোরেদের দল নিয়ে আর কী বলব। যিনি প্রার্থী হবেন, তিনিই চুরি করবেন।’

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Uttarkashi tunnel:  ‘ঝুঁকির কাজে পাঠাবো না’ সুড়ঙ্গ থেকে উদ্ধারের পর মন্তব্য মানিকের স্ত্রীর

    Uttarkashi tunnel: ‘ঝুঁকির কাজে পাঠাবো না’ সুড়ঙ্গ থেকে উদ্ধারের পর মন্তব্য মানিকের স্ত্রীর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: উত্তরকাশীতে সুড়ঙ্গে (Uttarkashi tunnel) আটকে থাকা ৪১ জন শ্রমিকের মধ্যে বাংলার তিনজন শ্রমিক ছিলেন। কোচবিহারের একজন এবং হুগলির বাকি দুজন। গতকাল মঙ্গলবার সুড়ঙ্গে আটকে থাকা সকল শ্রমিককেই বের করে আনা হয়েছে। গোটা উদ্ধারকার্যকে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি স্বয়ং নজরে রেখেছিলেন। ঘটনাস্থলে উপস্থিত ছিলেন উত্তরাখণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী পুষ্কর সিং ধামি, কেন্দ্রীয়মন্ত্রী ভি.কে সিং।

    আতঙ্কের প্রহর শেষ করে বাইরে বের হওয়ার পর, কোচবিহারের শ্রমিক মানিক তালুকদারের স্ত্রী সোমা তালুকদার স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেললেন। ফোনে স্বামীর কণ্ঠ শুনে নিজের হাত কপালে জড়ো করে ভাগবানকে স্মরণ করলেন। ছেলে মণি বাবার সঙ্গে কথা বলতে বলতে ফোন কেটে যায়। কারণ মানিককে অ্যাম্বুল্যান্সে করে নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল হাসপাতালে। স্ত্রী সোমা এবং ছেলে মণি এখন অপেক্ষার প্রহর গুনছেন কত তাড়াতাড়ি মানিক ঘরে ফিরবেন।

    স্ত্রীর বক্তব্য (Uttarkashi tunnel)

    টানা ১৭ দিন ধরে সুড়ঙ্গে (Uttarkashi tunnel) আটকে থাকায় মানিকের স্ত্রী বাড়িতে অত্যন্ত উৎকণ্ঠায় দিনপাত করছিলেন। দুশ্চিন্তায় অসুস্থ হয়ে পড়লে তাঁকে স্থানীয় হাসপাতালেও নিয়ে যেতে হয়েছিল। স্বামীর প্রতি চিন্তা ব্যক্ত করে বলেন, “ভালো আছেন মানিক, আর কোনও দিন ঝুঁকির কাজে পাঠাবো না। উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে তাঁকে। টিভিতে দেখে ঠিকই মনে হয়েছে। তবে এতো দিন আটকে থাকার পর শারীরিক সমস্যা হয়েছে কী না তাই এখন দেখার। তবে ওঁর এখন চিকিৎসা দরকার।”

    ছেলের বক্তব্য

    সুড়ঙ্গে (Uttarkashi tunnel) আটকে পড়া শ্রমিক মানিকের ছেলে মণি তালুকদার বলেন, “অনেক দিন ধরে উদ্বিগ্ন ছিলাম। বাবা কবে আসবেন সেই ভাবনাই মনে মনে কাজ করছিল। তবে কাল বাবার সঙ্গে ফোনে সরাসরি কথা বলে বেশ ভালো লেগেছে। তবে কথা বলতে বলতে ফোনটা কেটে গিয়েছে। আমি চাই বাবা খুব তাড়াতাড়ি বাড়িতে ফিরে আসুক।”

    প্রতিবেশীদের উচ্ছ্বাস

    পরিবারের লোক অনেক দিন আগেই পৌঁছে গিয়েছিলেন উত্তরকাশীতে (Uttarkashi tunnel)। পারিবারের সূত্রে জানা গিয়েছে, সুড়ঙ্গে আটকে পড়ার খবর পেয়েই মানিকের দাদা বিনয় তালুদার এবং এক নিকট আত্মীয় ঘটনাস্থলে পৌঁছে গিয়েছিলেন। এদিন সুড়ঙ্গ থেকে উদ্ধারের পর থেকেই বাড়িতে ভিড় করছেন প্রতিবেশীরা। অনেকেই উদ্ধারের খবরে খুশি হয়ে মিষ্টি মুখ করালেন স্ত্রী সোমাকে। এমনকী উচ্ছ্বাসে অনেকে বাজিও ফাটান বলে জানা গিয়েছে। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • South 24 Parganas: বিজেপি জেতায় যেখানে দরকার রাস্তা হল না, হল তৃণমূল নেত্রীর বাড়ির সামনে!

    South 24 Parganas: বিজেপি জেতায় যেখানে দরকার রাস্তা হল না, হল তৃণমূল নেত্রীর বাড়ির সামনে!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফের শাসক দলের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ। ঘটনাস্থল দক্ষিণ ২৪ পরগনার (South 24 Parganas) পাথরপ্রতিমা ব্লকের দক্ষিণ গঙ্গাধরপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের ভাজনা মানিক দুয়ানি এলাক। দুর্নীতির বিষয়টি সামনে আসতেই এলাকার মানুষ এদিন বিক্ষোভ দেখান।

    তৃণমূলের বিরুদ্ধে ঠিক কী অভিযোগ? (South 24 Parganas)

    দক্ষিণ ২৪ পরগনার (South 24 Parganas) ওই এলাকায় গত পঞ্চায়েতে তৃণমূলকে হারিয়ে ১৭ নম্বর বুথের বিজেপি প্রার্থী অতসী পণ্ডিত এবং ১৮ নম্বর বুথে সিপিআইএম প্রার্থী গীতা বৈরাগী জয়ী হন। সেই কারণে ভোগান্তির শিকার হতে  হচ্ছে এই এলাকার মানুষদের। এই এলাকার জন্য দেড় হাজার ফুট রাস্তা তৈরির অনুমোদন হয়। লক্ষণ পণ্ডিতের ঘর থেকে নিমাই পণ্ডিতের ঘর ভায়া দুখিরাম হালদার রাস্তা তৈরির কথা ছিল। কিন্তু, এই দুটি এলাকায় বিরোধীরা জয়ী হয়েছে। তাই, এই রাস্তাটি বিরোধীদের এলাকায় না হয়ে তৃণমূলের পঞ্চায়েত সমিতির সদস্য অসীমা হালদারের বাড়ির সামনে তৈরি করা হয়েছে। আর দেড় হাজার ফুটের পরিবর্তে ৪০০ ফুট করা হয়েছে। সেখানে ফলক বসানো হয়েছে, যাতে লেখা রয়েছে, বর্তমান আর্থিক বর্ষে ৪ লক্ষ ২৩ হাজার ৬২৯ টাকা খরচা করে লক্ষণ পণ্ডিতের ঘর হইতে নিমাই পণ্ডিতের ঘর ভায়া দুখিরাম হালদার রাস্তা নির্মিত হইল। যার ফান্ড নম্বর ১৫ এফসি/২২/২৩। বুধবার সকালে ঘুম থেকে উঠে লোকজন জানতে পেরে অবাক হয়ে যান। তাঁদের বক্তব্য, বিরোধী পঞ্চায়েত সদস্য জয়ী হয়েছে বলে এলাকার রাস্তা তৈরি করা হয়নি। আর দেড় হাজার ফুটের জায়গায় ৪০০ ফুট রাস্তা হয়েছে। আমরা এই দুর্নীতির তদন্ত দাবি করছি।

    তৃণমূল নেতৃত্ব কী সাফাই দিলেন?

    তৃণমূলের পঞ্চায়েত সমিতির সদস্য অসীমা হালদার বলেন, এই রাস্তাটি আগে অনুমোদন হয়েছিল। তাই, রাস্তাটি করা হচ্ছে। ভুলবশত ওই বোর্ড বসেছে। কোথাও কোনও দুর্নীতি হয়নি। যা হয়েছে নিয়ম মেনে হয়েছে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Fraud: ই-শ্রমকার্ড করিয়ে দেওয়ার নামে প্রতারণার ছক! কীভাবে ফাঁদ পাতা হত জানেন?

    Fraud: ই-শ্রমকার্ড করিয়ে দেওয়ার নামে প্রতারণার ছক! কীভাবে ফাঁদ পাতা হত জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কেন্দ্রীয় সরকারের শ্রম মন্ত্রকের ই-শ্রমকার্ড করিয়ে দেওয়ার নামে প্রতারণার (Fraud) ফাঁদ পাতা হয়েছিল। বেশ কয়েকদিন ধরে দুষ্কৃতীরা বাঁকুড়া জেলার ছাতনা এলাকায় কাজ চালাচ্ছিল। সূত্র মারফত খবর পেয়ে মঙ্গলবার গভীর রাতে ছাতনা থানার পুলিশ ঝাঁটিপাহাড়ি এলাকার একটি বেসরকারি লজে হানা দিয়ে এই চক্রের মোট ১০ জনকে গ্রেফতার করে।

    যাবতীয় নথি হাতিয়ে নিচ্ছিল প্রতারকরা (Fraud)

    ছাতনা থানার পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ছাতনার ঝাঁটিপাহাড়ির ব্যাঙ্ক মোড় সংলগ্ন একটি বেসরকারি লজ ভাড়া নিয়ে সেখানেই প্রতারণার (Fraud) ফাঁদ পেতেছিল চক্রটি। কেন্দ্রীয় সরকারের ই=শ্রম কার্ড করিয়ে দেওয়ার নামে এলাকার বাসিন্দাদের কাছ থেকে প্রতারকেরা আধারকার্ড, প্যানকার্ড, ভোটারকার্ড, এমনকী ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের যাবতীয় নথিপত্র জমা নিচ্ছিল। গত তিনদিন ধরে এখানে ঘাঁটি গেড়েছিল চক্রটি। স্থানীয় কয়েকজনের বিষয়টি সন্দেহজনক লাগে। পুলিশে খবর দেওয়া হয়। এরপর প্রতারকদের ধরতে উদ্যোগী হয় পুলিশ। মঙ্গলবার গভীর রাতে ওই লজে অভিযান চালায়। এই চক্রের জনা দশেক লোক তখন ঘুমোচ্ছিল। ঘুম থেকে উঠিয়ে তাদের জিজ্ঞাসাবাদ চালায় পুলিশ। তাদের কাছে ই-শ্রমকার্ড করার কেন্দ্রীয় সরকারের অনুমতিপত্র দেখতে চাইলে পুলিশকে তারা তা দেখাতে পারেনি। এরপর তাদের কথাবার্তাতেও অসংলগ্নতা ধরা পড়ায় পুলিশ ওই ১০ জনকে গ্রেফতার করে এবং ধৃতদের কাছ  থেকে ২ টি ল্যাপটপ, পাঁচটি রেজিস্টার খাতা এবং প্রচুর ফর্ম বাজেয়াপ্ত করেছে ছাতনা থানার পুলিশ। গত দুই থেকে তিন দিন ধরে তারা ওই এলাকায় এই কার্যকলাপ চালাচ্ছিল। এর আগে জেলার আর কোথায় কোথায় এরা এমন কাজ চালিয়েছে তাও খতিয়ে দেখছে পুলিশ। এছাড়া এই চক্রের সঙ্গে আন্তরাজ্য কোনও চক্রের যোগ আছে কিনা তার খোঁজখবরও নিচ্ছে পুলিশ।

    জেলা পুলিশের এক আধিকারিক কী বললেন?

    জেলা পুলিশের এক আধিকারিক বলেন, ই-শ্রমকার্ডের নামে যাবতীয় নথি নিয়ে এই চক্রটি আর্থিক প্রতারণা (Fraud) বা ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট খুলে জালিয়াতির কারবার চালাবার ফন্দি এঁটেছিল কি না তাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে। আজ ধৃত ১০ জনকে বাঁকুড়া জেলা আদালতে তোলা হয়। ধৃতদের হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করে এই চক্রের কিংপিনকে ধরার চেষ্টা চলছে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • BJP Rally: শাহি সভায় হাজির হতে সকাল থেকেই কর্মীদের ভিড়ে উপচে পড়ল ট্রেন

    BJP Rally: শাহি সভায় হাজির হতে সকাল থেকেই কর্মীদের ভিড়ে উপচে পড়ল ট্রেন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ধর্মতলায় শাহি সভায় (BJP Rally) যোগ দিতে মঙ্গলবার থেকে উত্তরবঙ্গের নেতা-কর্মীরা ট্রেনে আসতে শুরু করেন। বুধবার সকাল থেকে হাওড়া, শিয়ালদা স্টেশনে বিজেপি রাজ্য নেতৃত্ব ক্যাম্প করে দলীয় কর্মীদের সুষ্ঠুভাবে সভায় পাঠানোর ব্যবস্থা করছেন। পাশাপাশি এদিন সকাল থেকে বর্ধমান, আসানসোল, দুর্গাপুর, কৃষ্ণনগর সহ দক্ষিণবঙ্গের জেলাগুলি থেকে কর্মীরা ট্রেনে করে সভায় হাজির হয়েছেন।

    আসানসোল, দুর্গাপুর থেকে সকালের ট্রেনেই কর্মীদের ভিড় (BJP Rally)

    এদিন সকালে আসানসোল স্টেশনে আসানসোলের সাংগঠনিক জেলা সভাপতি বাপ্পা চট্টোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে কয়েকশো কর্মী-সমর্থক ট্রেনে করে কলকাতার উদ্দেশে রওনা দেন। আসানসোল শিল্পাঞ্চল ও দুর্গাপুর শিল্পাঞ্চল থেকে সকালের ট্রেনগুলিতে কয়েক হাজার কর্মী, সমর্থক কলকাতার উদ্দেশে রওনা দিয়েছেন। বাপ্পা চট্টোপাধ্যায় বলেন, দলীয় কর্মীরা মিছিল করে স্টেশনে জমায়েত হন। ভোর থেকে কর্মীরা ট্রেনে করে কলকাতার উদ্দেশে রওনা দেন। বেলা যত গড়িয়েছে সভায় (BJP Rally) যাওয়ার জন্য ট্রেনে কর্মীদের ভিড় বেড়়েছে।

    বর্ধমানে তৃণমূলীদের বাধার মুখে বিজেপি কর্মীরা

    এদিন সকাল থেকেই বর্ধমান শহরে দলে দলে বিজেপি কর্মী-সমর্থকেরা সভার উদ্দেশে (BJP Rally) যেতে শুরু করেছেন। পূর্ব বর্ধমান জেলা সহ বর্ধমান শহর থেকে ট্রেন ও বাসে করে যাচ্ছেন বিজেপির নেতা-কর্মীরা। বিজেপির দলীয় পতাকা নিয়ে দফায় দফায় বিজেপি কর্মীদের ট্রেনে চাপতে দেখা গিয়েছে বর্ধমান স্টেশনে। জেলা বিজেপির নেতা মনোজ মাহাত বলেন, এদিন সকাল ৬.১৫ মিনিট নাগাদ কর্মীরা ট্রেনে করে কলকাতার উদ্দেশে রওনা দেন। ট্রেনপথে কোনও বাধা আমাদের আসেনি। তবে, বাসপথে দলীয় কর্মীদের বহু জায়গায় তৃণমূল বাধা দিচ্ছে। তবে, অনেক জায়গায় তৃণমূলের শত বাধা পেরিয়ে কর্মীরা সভার উদ্দেশে রওনা দিয়েছেন। বেলা সাড়ে দশটার ট্রেনেও হাজার হাজার কর্মী-সমর্থক সভার উদ্দেশে রওনা দিয়েছেন।

    ট্রেনে আসা কর্মীদের ভিড়ে কলকাতার রাজপথ জনপ্লাবন

    বারাকপুর, বারাসত, বনগাঁ, চুঁচুড়া, কৃষ্ণনগর, গেদে, বহরমপুর, দক্ষিণ ২৪ পরগনা, পূর্ব মেদিনীপুর সহ আশপাশের এলাকা থেকে এদিন সকালের ট্রেনগুলিতে কর্মীদের ভি়ড় উপচে পড়ে। অধিকাংশ ট্রেনেই হাজার হাজার কর্মীদের ভিড় লক্ষ্য করা গিয়েছে। সকাল থেকেই হাওড়া এবং শিয়ালদা স্টেশন কর্মীদের ভিড়ে কলকাতার রাজপথ জন প্লাবনের আকার নেয়। পাশাপাশি বাস, প্রাইভেট গাড়়ি করেও হাজার হাজার কর্মীরা সভার উদ্দেশে রওনা হয়ে গিয়েছেন।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Uttarkashi Tunnel Rescue: ৪১ জন শ্রমিক বের হতেই জয়দেবের গ্রামে বেজে উঠল শঙ্খ, হল মিষ্টি বিতরণ

    Uttarkashi Tunnel Rescue: ৪১ জন শ্রমিক বের হতেই জয়দেবের গ্রামে বেজে উঠল শঙ্খ, হল মিষ্টি বিতরণ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আজ ফিরবেন, কাল ফিরবেন করে সতেরো দিন হয়ে গিয়েছিল। কিন্তু, ঘরে ফেরেননি উত্তরকাশীর (Uttarkashi Tunnel Rescue) সুড়ঙ্গে আটকে থাকা হুগলির পুরশুড়ার দুই ছেলে সৌভিক পাখিরা এবং জয়দেব প্রামাণিক। ছেলেদের ঘরে ফেরা নিয়ে আশঙ্কা আর উদ্বেগে দিন কাটছিল পরিবারের লোকজনের। মঙ্গলবার সকাল থেকে উদ্বেগে ছিলেন পরিবারের লোকজন। কিন্তু, বিকেলের পর আশার আলো দেখতে শুরু করেন জয়দেবের পরিবারের লোকজন। একে একে ৪১ জনের মধ্যে জয়দেবও বেরিয়ে এলেন।

    মায়ের সঙ্গে কী কথা বললেন জয়দেব? (Uttarkashi Tunnel Rescue)

    জয়দেবের মা তপতী দেবী ছেলে আটকে থাকার পর থেকে কথা বলার মতো অবস্থায় ছিলেন না। মঙ্গলবারও কান্নাকাটি করেছেন। অবশেষে ছেলে বেরোলেন। একগাল হাসি ফুটল মায়ের মুখে। ভিডিয়ো কলে কথাও হল। মা ছেলেকে জিজ্ঞেস করলেন, “কেমন আছিস?” কয়েক সেকেন্ডের স্তব্ধতা। তার পর জবাব এল- ‘ভালো… ভালো।” মায়ের পরের প্রশ্ন, “বাড়ি কখন আসবি?” এবার জবাব এল, “এখন আর ফিরব না। কাজ আছে।” শুনেই হেসে ফেললেন মা। হাসছেন পরিবারের সবাই।

    গ্রামজুড়ে উৎসবের আমেজ

    উত্তরকাশী (Uttarkashi Tunnel Rescue) জেলার ব্রহ্মতাল-যমুনোত্রী জাতীয় সড়কের উপর সিল্কিয়ারা এবং ডন্ডালহগাঁওের মধ্যে নির্মীয়মাণ সুড়ঙ্গে কাজ করতে গিয়েছিলেন হুগলির পুরশুড়ার বাসিন্দা জয়দেব প্রামাণিক। গত ১২ নভেম্বর হঠাৎই সেই সুড়ঙ্গের একাংশে ধস নামে। জয়দেবের পরিবারের সঙ্গে গোটা গ্রামের মানুষ গত কয়েকদিনে মুষড়ে পড়েছিলেন। ৪১ জন শ্রমিক উদ্ধার হওয়ার দিন গুনতেন। মঙ্গলবার উদ্ধার হওয়ার খবর ছড়িয়ে পড়তেই গ্রামবাসীর এসে জয়দেবের বাড়িতে ভিড় করতে শুরু করেন। টিভির পর্দায় নজর রাখেন সকলেই। একে একে সকলে উদ্ধার হতেই জয়দেবের দিকে নজর ছিল সকলের। জয়দেব উদ্ধার হতেই গ্রামজুড়ে বাঁধভাঙা উচ্ছ্বাস। জয়দেবের উদ্ধারের খবর পেতেই শঙ্খধ্বনি শুরু হয় গ্রামে। মিষ্টিমুখ করলেন পাড়া-প্রতিবেশীরা। গোটা গ্রামজুড়ে উৎসবের আমেজ।

    উদ্ধারকারী দলকে ধন্যবাদ জানালেন জয়দেবের বাবা

    জয়দেবের বাবা তাপস প্রামাণিক ধন্যবাদ দিলেন উদ্ধারকারী দলকে। তিনি বলেন, ঈশ্বরকে বললাম, তোমরা আছো। ছেলের সঙ্গে কথা হয়েছে। ও ভালো আছে। ছেলেদের সাহস দেখে তো আমরাও বল পেয়েছি। ভেবেছি, ওরা যদি ওভাবে আটকে থেকে এরকম থাকতে পারে, আমরা কেন সাহস নিয়ে থাকতে পারব না? গত কয়েক দিন দোকান খুলতে ইচ্ছে করেনি। আজ আমি খুশি। যে ভাবে আমার প্রতিবেশীরা আমার পাশে দাঁড়িয়েছে, তাতে আমি ধন্য।

     

     দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share