Category: রাজ্য

Get West Bengal News, Bengali Breaking News, Latest News in Bengali only from মাধ্যম | Madhyom, Bengali News Portal for সম্পূর্ণ নিরপেক্ষ বাংলা সংবাদ, বাংলা খবর

  • Asansol: “এত অমানবিক মুখ্যমন্ত্রী ৭ জনের মধ্যে ৪ জনের ডেথ সার্টিফিকেট দেননি” তোপ শুভেন্দুর

    Asansol: “এত অমানবিক মুখ্যমন্ত্রী ৭ জনের মধ্যে ৪ জনের ডেথ সার্টিফিকেট দেননি” তোপ শুভেন্দুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আসানসোলের (Asansol) রানিগঞ্জের নারায়ণকুড়িতে খোলামুখ খনিতে অবৈদ্ধ কয়লা কাটতে গিয়ে দুর্ঘটনায় মৃতদের পরিবারের সাথে দেখা করলেন রাজ্য বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। রবিবার বিকালে নারায়ণকুড়ি এলাকায় এসে তিনি বলেন, “অমানবিক মুখ্যমন্ত্রী, সেদিনের ঘটনায় ৭ জনের মধ্যে তিনজনকে ডেথ সার্টিফিকেট দেয়া হয়েছে, বাকি ৪ জনকে কোন ডেথ সার্টিফিকেট দেননি।” এক মাসের কিছু বেশি সময় অতিক্রান্ত হয়ে গেলেও পরিবারগুলির সাথে সরকারি কোনও আধিকারিক দেখা করতে আসেননি। তাই রাজ্য সরকারের মৃত্যু নিয়ে এই আচরণ বৈমাত্রেয় সুলভ বলে দাবি করেন তিনি। পাশাপাশি বিষয়টি নিয়ে বিধানসভায় সরব হবে বলে জানিয়েছেন তিনি।

    কী বললেন শুভেন্দু (Asansol)

    এই দিন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা তথা নন্দীগ্রামের বিধায়ক শুভেন্দু অধিকারী রানিগঞ্জে (Asansol) বলেন, “এই এলাকা একটা সময় শিল্পাঞ্চলের জন্য বিখ্যাত ছিল। কিন্তু তৃণমূল সরকারের নীতি না থাকায় বর্তমানে অনেক শিল্প কারখানা বন্ধ হয়ে যায়। বর্তমানে এখানে কেবলমাত্র কয়লা চুরির ঘটনায় কুখ্যাতি অর্জন করেছে। এই চুরির জন্য অনেকে জেলে গিয়েছেন আবার অনেকে জেলে যাওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছেন। কিন্তু উল্লেখ্য এলাকায় সিবিআই এতো বড় দুর্নীতির তদন্ত করলেও এলাকার প্রশাসনের মদতে চলছে নতুন গেলাসে পুরাতন মদ। এলাকায় পুলিশের মদতে নতুন সিন্ডিকেট তৈরি করেছে। স্থানীয় শাসক দলের নেতার পুলিশের সহযোগিতায় এই চুরির কারবারি চালাচ্ছেন। এলাকায় যাঁরা খনি অঞ্চলের কাজ করেন তাঁদেরকে কাজ দেওয়া হয়নি। বাইরে থেকে টাকার বিনিময়ে এলাকায় লোক ভাড়া করে কাজে লাগানো হচ্ছে। ফলে এলাকার মানুষের কর্ম সংস্থান নেই।”

    মৃতের সংখ্যা নিয়ে কারচুপি

    খোলামুখ খনি এলাকায় মৃতের সংখ্যা নিয়ে কারচুপি হয়েছে। এই প্রসঙ্গে শুভেন্দু আরও বলেন, “খনি অঞ্চলে (Asansol) ইএসএল কর্তৃপক্ষ এলাকার শাসক দলের চাপে সম্মিলিত ভাবে তৃণমূলের কাজকে সমর্থন করছেন। বিজেপি জেলা সভাপতির বাপ্পা এবং বিধায়ক অগ্নিমিত্রা পলের নেতৃত্বে বিক্ষোভ আন্দোলন করা হয়। ধসের কারণে যাঁদেরে মৃত্যু হয়েছে তাঁদের পরিবার পিছু ক্ষতিপূরণের দাবি জানানো হয়। আজ যদি এলাকার মানুষেরা কাজের সুযোগ পেতেন তাহলে এই রকম বিপত্তি ঘটতো না। পশ্চিমবঙ্গে করোনা হোক, ডেঙ্গি হোক মৃতের সংখ্যা কম দেখানো এই মুখ্যমন্ত্রীর একটা রোগ। এতো মৃত্যু দেখালে সারা দেশে প্রচার হবে তাই মৃতের সংখ্যা নিয়ে রাজনীতি করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাই মারা গেছেন ৭ জন আর নাম পাঠানো হয়েছে ৩ জনের। তিনটে চেক এসেছে কিন্তু বাকি চারটে মৃত্যুর ক্ষতিপূরণের টাকা দেওয়া হয়নি পরিবারকে। আমরা আগামী ডিসেম্বর মাসে কেন্দ্রের কয়লা মন্ত্রীকে এই এলাকায় আসার জন্য অনুরোধ করব। এলাকার সমস্যা সমাধানে আমরা সকালের পাশে আছি।”   

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Purulia: পুরুলিয়ার পুলিশ সুপারের নামে ভুয়ো অ্যাকাউন্ট খুলে প্রতারণা! তারপর কী হল জানেন?

    Purulia: পুরুলিয়ার পুলিশ সুপারের নামে ভুয়ো অ্যাকাউন্ট খুলে প্রতারণা! তারপর কী হল জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কয়েকদিন আগেই কৃষ্ণনগরের এক স্কুল শিক্ষকের কাছে উত্তরবঙ্গের এক পুলিশ কর্তার পরিচয় দিয়ে লক্ষ লক্ষ টাকা হাতানোর অভিযোগ উঠেছিল। প্রতারিত হওয়ার বিষয়টি বুঝতে পেরে শিক্ষক থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। তবে, এখনও প্রতারকদের হদিশ মেলেনি। এবার সেই একই কায়দায় প্রতারকরা ফাঁদ পেতে প্রতারণা শুরু করেছেন। এবার উত্তরবঙ্গ নয়,পুরুলিয়া (Purulia) পুলিশ সুপারের নামে ফেক ফেসবুক অ্যাকাউন্ট খুলে সাধারণ মানুষের কাছ থেকে আর্থিক প্রতারণার করার অভিযোগ উঠল প্রতারকদের বিরুদ্ধে।  

    কীভাবে প্রতারণার ছক? (Purulia)

    পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, পুরুলিয়ার (Purulia) পুলিশ সুপার অভিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায়ের নামে ফেসবুকে একটি ভুয়ো অ্যাকাউন্ট খুলেছিল অভিযুক্তরা। তাঁর ইউনিফর্মে থাকা একটি ছবিকেও ব্যবহার করা হয়েছিল অ্যাকাউন্টে। তারপর সেখান থেকেই পাতা হয় প্রতারণার ফাঁদ। ওই প্রোফাইল থেকে বিভিন্ন ব্যক্তির কাছে একটিই মেসেজ পাঠানো হয়। সূত্রের খবর, তাতে লেখা রয়েছে, সিআরপিএফে তাঁর এক বন্ধু কাজের জায়গা থেকে অন্যত্র বদলি হয়ে যাচ্ছেন, সে কারণে তাঁর বাড়িতে থাকা আসবাবপত্র কম দামে বিক্রি করে দিচ্ছেন। কেউ চাইলে যোগাযোগ করতে পারেন। এই পোস্ট, মেসেজ দেখে অনেকেই যোগাযোগ করেন। অগ্রিম বুকিংয়ের নামে টাকা হাতিয়ে নেয় প্রতারকেরা। প্রতারণা করার অভিযোগে হাবড়া থেকে দুজনকে পুলিশ গ্রেফতার করে। পুলিশ জানিয়েছে, ধৃতদের নাম রাহুল ঘটক ওরফে প্রীতম এবং শান্ত মাঝি। রাহুলের বাড়ি হাবড়ায়। অন্যজন শান্তর বাড়ি ঝাড়খণ্ডের গুমলায়। সেও বর্তমানে হাবড়াতেই থাকে। ধৃতদের জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করে দিয়েছে পুলিশ। তাঁরা আরও বড় কোনও চক্রের সঙ্গে জড়িত কি না তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। কতজন ব্যক্তিকে তাঁদের ফাঁদে ফেলেছেন তাও দেখা হচ্ছে।

    প্রতারিতদের কী বক্তব্য?

    প্রতারিতরা বলেন, পুরুলিয়ার (Purulia) পুলিশ কর্তার প্রোফাইল দেখেই আমাদের কোনও সন্দেহ হয়নি। যে টাকা চাওয়া হয়েছিল তা মিটিয়ে দেওয়া হয়। কিন্তু, আমরা যে প্রতারিত হচ্ছেন তা তখনও বুঝতে পারেননি। পরে, আসবাবপত্র না পেয়ে পুলিশ প্রশাসনের দ্বারস্থ। এরপরই প্রতারণার বিষয়টি আমাদের সামনে আসে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Malda: অভাবে দেড় লক্ষ টাকায় সন্তান বিক্রি! অভিযুক্ত মায়ের থেকে কাটমানি নিলেন তৃণমূল নেতা

    Malda: অভাবে দেড় লক্ষ টাকায় সন্তান বিক্রি! অভিযুক্ত মায়ের থেকে কাটমানি নিলেন তৃণমূল নেতা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অভাবের তাড়নায় ১৮ দিনের সদ্যোজাতকে স্থানীয় ব্যবসায়ী দম্পতির কাছে দেড় লক্ষ টাকায় বিক্রি করার অভিযোগ উঠল পরিযায়ী শ্রমিকের স্ত্রীর বিরুদ্ধে। স্থানীয় এক তৃণমূল নেতা সেই সদ্যোজাতকে আবার মায়ের কাছে ফিরিয়ে দেন। তবে, তাঁর কাছে থেকেও কাটমানি নেওয়ার অভিযোগ উঠল তৃণমূলের ওই নেতার বিরুদ্ধে। চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটেছে মালদার (Malda) হরিশ্চন্দ্রপুর এলাকায়। সমগ্র ঘটনা সামনে আসতেই রাজনৈতিক মহলে শোরগোল পড়ে গিয়েছে।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে? (Malda)

    মালদার (Malda) হরিশ্চন্দ্রপুর এলাকায় অভিযুক্ত গৃহবধূর সংসারে অর্থাভাব। ঠিকভাবে জোটে না খাবার। রয়েছে এক বছরের শিশু সন্তান। চলতি মাসের ১ নভেম্বর আবার একটি পুত্র সন্তানের জন্ম দেন মা। কিন্তু, দ্বিতীয় সন্তানের মুখে অন্ন তুলে দেওয়ার মতো অবস্থা নেই। তাই, ১৮ দিনের শিশুকে বিনোদ আগরওয়াল নামে এক ব্যবসায়ী দম্পতির কাছে দেড় লক্ষ টাকায় বিক্রি করার অভিযোগ উঠল মায়ের বিরুদ্ধে। সেই অভিযোগ নিজের মুখে স্বীকার করে নিয়েছেন মা। যদিও এই বিক্রি করার খবর জানাজানি হতেই স্থানীয় এক তৃণমূল নেতা শিশুটিকে ওই ব্যবসায়ী  দম্পতির কাছ থেকে এনে মায়ের কোলে তুলে দেন বলে জানা গেছে। কিন্তু, ওই দেড় লক্ষ টাকা স্থানীয় সেই তৃণমূল নেতা অভাবী মায়ের কাছ থেকে কেড়ে নেয় বলে অভিযোগ। পরবর্তীতে গ্রামের সালিশিতে এক লক্ষ কুড়ি হাজার টাকা ফেরত দিলেও ত্রিশ হাজার টাকা এখনও ফেরত দেননি।

    কী বললেন অভিযুক্ত মা?

    অভিযুক্ত মা বলেন, স্বামী আমাকে দেখেন না। সংসার চালানোর টাকা নেই। দ্বিতীয় সন্তান হওয়ায় খাওয়াব কী করে তা নিয়ে দুশ্চিন্তায় ছিলাম। পরে, সন্তানকে দেড় লক্ষ টাকায় বিক্রি করে দিয়েছিলাম। আমার কাছে থেকে টাকা কেড়ে নেওয়া হয়েছিল। পরে, টাকা ফেরত পেলেও ৩০ হাজার টাকা এখনও পাইনি।

    তৃণমূল নেতার কী বক্তব্য?

    তৃণমূল নেতা তথা শিক্ষক দ্রোণাচার্য বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, আমি শুধু শিশু বিক্রি আটকেছি। কোনওরকম টাকার বিষয় আমি জানি না। শিশু বিক্রি করা অপরাধ। সেই অন্যায়ের বিরুদ্ধে আমরা রুখে দাঁড়িয়েছি। সেটা যদি অপরাধ হয় তা আমি করেছি।

    বিজেপি নেতৃত্বের কী বক্তব্য?

    বিজেপি নেতা কিষাণ কেডিয়া বলেন, রাজ্যের কর্মসংস্থানের বেহাল দশা এই ঘটনায় প্রমাণ হচ্ছে। এতটাই অভাব মানুষের যে মানুষ শিশুকে বিক্রি করতে বাধ্য হচ্ছে। আর সেখান থেকেও কাটমানি নিয়ে নিচ্ছে তৃণমূল। এর থেকে লজ্জার আর কিছু নেই।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Malda: “প্রশাসন চায় না এলাকায় রাস্তা হোক”, খাটিয়ায় রোগীমৃত্যুর ঘটনায় তোপ খগেন মুর্মুর

    Malda: “প্রশাসন চায় না এলাকায় রাস্তা হোক”, খাটিয়ায় রোগীমৃত্যুর ঘটনায় তোপ খগেন মুর্মুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মালদার (Malda) বামনগোলা ব্লকে গোবিন্দপুর মহেশপুর অঞ্চলের, মালডাঙ্গা গ্রামে এলেন উত্তর মালদার বিজেপি সাংসদ খগেন মুর্মু। রাস্তার জন্য ঘোষণা করলেন ১০ লাখ টাকা। জেলা প্রশাসনের বিরুদ্ধে তোপ দেগে বলেন, “প্রশাসন চায় না এলাকায় রাস্তা হোক”। গতকাল খারাপ রাস্তা এবং অ্যাম্বুল্যান্স না আসার কারণে খাটিয়া করে রোগীকে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল হাসপাতালে। কিন্তু হাসপাতালে নিয়ে যেতে পথেই মৃত্যু হয়েছিল ২৪ বছরের মহিলা রোগীর। এই নিয়ে যাওয়ার ভিডিও ব্যাপক ভাবে ভাইরাল হয়েছিল। রাস্তা ঠিক করার বিষয় নিয়ে প্রশাসনের বিরুদ্ধে এলাকাবাসী তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেছিল। খাটিয়া করে নিয়ে যাওয়ার ঘটনায় প্রশাসন এবং শাসক দল তৃণমূলকে তীব্র সমালোচনা করেন বিজেপি সাংসদ।

    মৃত রোগীর পরিজনের পাশে সাংসদ (Malda)

    খাটিয়ায় রোগীর মৃত্যু নিয়ে রাজ্য সরকারকেই দায়ী করে একরাশ বিক্ষোভ উগরে দিলেন উত্তর মালদা কেন্দ্রের বিজেপি সাংসদ খগেন মুর্মু। আজ ওই এলাকায় গিয়ে মৃত ওই যুবতী মামনি রায়ের পরিবারের সাথে দেখা করেন সাংসদ এবং স্থানীয় বিজেপি বিধায়ক জুয়েল মুর্মু। গ্রামবাসীদের নিয়ে প্রশাসনের বিরুদ্ধে এলাকা জুড়ে বিক্ষোভ দেখান বিজেপি সাংসদ।

    কী বললেন খগেন মুর্মু

    উত্তর মালদার (Malda) বিজেপি সাংসদ অভিযোগ করে বলেন, “এই এলাকার সাংসদ, বিধায়ক থাকলেও আমাদের কিছু করণীয় নেই। আমরা প্রশাসনকে বারবার রাস্তার জন্য প্রস্তাব পাঠিয়েছি। কিন্তু আমরা বিজেপির প্রতীকে জয়ী হয়েছি বলে রাজ্য সরকার এলাকার রাস্তা করছে না। প্রশাসন বৈঠক ডাকুক আমিও আজই যাবো। প্রধানমন্ত্রী গ্রাম সড়কের যোজনায় রাস্তার জন্য চিঠি করবো। রাস্তার জন্য ১০ লাখ টাকা অনুদান দেবো আমি। কিন্তু প্রশাসন চায় না রাস্তা হোক। পাশের জেলা দক্ষিণ দিনাজপুরের সাংসদ সুকান্ত মজুমদার এবং উত্তর দিনাজপুরের সাংসদ দেবশ্রী চৌধরিও তাঁদের জেলা শাসকদের চিঠি দিয়েছেন। কিন্তু জেলা প্রশাসন কাজ করতে চায় না। প্রশাসন রাস্তা নিয়ে যেমন রাজনীতি করছে ঠিক তেমনি রাজ্যের অ্যাম্বুল্যান্স পরিষেবা নিয়ে কোনও সদর্থক ভূমিকা দেখা যায়নি। আগেও অ্যাম্বুল্যান্সের অভাবে মৃতদেহ কাঁধে করে ঘাড়ে করে অথবা ব্যাগে করে নিয়ে যেতে হয়েছে। সরকার অত্যন্ত নির্মম।”

    এলাকাবাসীর বক্তব্য

    এলাকার (Malda) এক বাসিন্দা সুমন মণ্ডল বলেন, “এই পাঁচ কিলোমিটার রাস্তাটা বহুদিন ধরে বেহাল হয়ে রয়েছে। প্রশাসনকে বার বার জানিয়েও লাভ হচ্ছে না। রাস্তা ভালো থাকলে হয়তো ওই রোগীর মৃত্যু হত না। আমরা অবলম্বে রাস্তা চাই।” খাটিয়ায় রোগীকে নিয়ে যাওয়ায়, তার ভিডিও সোশ্যাল মাধ্যমে ভাইরাল হওয়ার পরই নিন্দার ঝড় উঠেছিল রাজ্য জুড়ে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Khardah: পরকীয়া মেনে নিতে না পেরে স্ত্রী, দুই সন্তানকে খুন করে আত্মঘাতী ব্যবসায়ী

    Khardah: পরকীয়া মেনে নিতে না পেরে স্ত্রী, দুই সন্তানকে খুন করে আত্মঘাতী ব্যবসায়ী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বন্ধ ফ্ল্যাট থেকে এক ব্যবসায়ীর স্ত্রী, দুই সন্তান সহ চারজনের মৃতদেহ উদ্ধার হয়। রবিবার সকালে মর্মান্তিক ঘটনাটি ঘটেছে খড়দার (Khardah) ১৯ নম্বর ওয়ার্ডের করবি টাওয়ার্স ফ্লাটে। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের অনুমান, স্ত্রীর পরকীয়া সম্পর্ক মেনে নিতে পারেননি স্বামী। এরপরই স্ত্রী, দুই সন্তানকে ধারাল অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে খুন করে নিজেই গলায় দড়ি দিয়ে আত্মঘাতী হয়েছেন ব্যবসায়ী। এই ঘটনায় এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে। পুলিশ জানিয়েছে, মৃত ব্যবসায়ীর নাম বৃন্দাবন কর্মকার। তাঁর স্ত্রী দেবশ্রী কর্মকার, মেয়ে দেবলীনা কর্মকার এবং আট বছরের ছেলের দেহ উদ্ধার হয়েছে।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে? (Khardah)

    স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, বৃন্দাবনবাবুর বাড়ি খড়দার (Khardah) আদর্শপল্লি এলাকায়। তিনি বলরাম হসপিটালের কাছে এম এস মুখার্জি রোডে একটি ফ্ল্যাটে ভাড়া থাকতেন। ব্যারাকপুর শান্তিবাজারে তাঁর একটি কাপড়ের দোকান ছিল। জানা গিয়েছে, আদর্শপল্লির জায়গাটিকে তিনি বিক্রি করে দিয়েছেন। আবার জানা গিয়েছে, আদর্শপল্লির জমিতে প্রোমোটিং হচ্ছে বলে তিনি ভাড়া বাড়়িতে পরিবার নিয়ে থাকছিলেন। পুলিশ বিষয়টি খতিয়ে দেখছে। জানা গিয়েছে, কালীপুজোয় তিনি এবার প্রতিমা ও বেনারসী দিয়েছিলেন। ফল দিয়ে তৈরি মালাও দিয়েছিলেন। স্থানীয় সূত্রে খবর, এই আবাসনে দুই সন্তান, স্ত্রীকে নিয়ে থাকতেন এক ব্যবসায়ী। সকালে ঘরের দরজায় বার বার বেল বাজিয়ে ডাকলেও কোনো সাড়া মেলেনি। স্থানীয় বাসিন্দারা খড়দা পুরসভার ১৯ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলারকে খবর দেন। বিষয়টি পুলিশকে জানানো হয়। দরজা ভেঙে পুলিশ ঘরে ঢুকে ঘরের বিভিন্ন জায়গায় দুই সন্তান সহ স্ত্রীর মৃতদেহ উদ্ধার হয়। আর ব্যবসায়ীর ঘরের ফ্যানে ঝুলন্ত অবস্থায় মৃতদেহ উদ্ধার হয়।

    সুইসাইড নোটে কী লেখা রয়েছে?

    ঘরের ভিতর থেকে সুইসাইড নোট উদ্ধার হয়। তাতে লেখা রয়েছে, স্ত্রীর সঙ্গে এক যুবকের বিবাহ বর্হিভূত সম্পর্ক ছিল। বার বার বলার পরও সে কর্ণপাত করেনি। তাই, এই চরম সিদ্ধান্ত গ্রহণ করলাম। স্থানীয় বাসিন্দাদের বক্তব্য, বৃহস্পতিবার একটি দোকান থেকে রুটি কিনতে শেষবার ব্যবসায়ীকে দেখা গিয়েছিল। তারপর আর কোনও খোঁজ মিলছিল না। এদিন ঘর থেকে তাঁদের মৃতদেহ উদ্ধার হয়।

    পুরসভার চেয়ারম্যানের কী বক্তব্য?

    খড়দা (Khardah) পুরসভার চেয়ারম্যান নীলু সরকার বলেন, ঘটনাটি মর্মান্তিক। সুইসাইড নোট উদ্ধার হয়েছে। পুলিশ সমস্ত বিষয়টি খতিয়ে দেখতে। এই ঘটনার পিছনে যে কারণ রয়েছে পুলিশ তা তদন্ত করে দেখছে। আমরা ওই ব্যবসায়ীর আত্মীয়দের সঙ্গে যোগযোগ করার চেষ্টা করছি।

    বারাকপুর পুলিশ কমিশনারেটের এক আধিকারিকের কী বক্তব্য?

    বারাকপুর পুলিশ কমিশনারেটের ডিসি (সেন্ট্রাল) আশিস মৌর্য ঘটনাস্থলে যান। তিনি সমস্ত দিক খতিয়ে দেখেন। এলাকার লোকজনের সঙ্গে কথা বলেন। পরে, তিনি বলেন, সুইসাইড নোট উদ্ধার হয়েছে। আমরা সব দিক খতিয়ে দেখছি। একান্তই পারিবারিক, না অন্য কিছু রয়েছে তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

     

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Partha Chatterjee: ‘অপা’ বাড়ির সামনে লেখা ‘কার্তিক ফেলবেন না, ওঁরা জেলে’, ফেসবুক পোস্ট ভাইরাল

    Partha Chatterjee: ‘অপা’ বাড়ির সামনে লেখা ‘কার্তিক ফেলবেন না, ওঁরা জেলে’, ফেসবুক পোস্ট ভাইরাল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ‘অপা’ বাড়ির সামনে লেখা ‘কার্তিক ফেলবেন না’। ফেসবুকে এরকমই একটি ছবিকে পোস্টার করে ভাইরাল করা হয়েছে। কার্তিক মাসের শেষে কার্তিক পুজোর দিন ছিল। সাধারণত কার্তিক পুজোর রীতি এমন রয়েছে যে অনেকেই বন্ধু-বান্ধব বা আত্মীয়-স্বজনের বাড়িতে কার্তিক মূর্তি পুজোর জন্য বাসিয়ে আসেন। এরপর কার্তিকের পুজো করতে হয়। অর্পিতার ‘অ’ এবং পার্থর ‘পা’ (Partha Chatterjee) নামের অক্ষরে লেখা শান্তিনিকেতনের বাড়ির ‘অপা’ ছবিকে এডিট করে ফেসবুকে পোস্টটি করা হয়। ঘটনায় নেট দুনিয়ায় ব্যাপক শোরগোল পড়েছে বলে জানা গিয়েছে।

    পোস্টে ঠিক কী লেখা হয়েছে (Partha Chatterjee)?

    এবার বীরভূমের শান্তিনিকেতনে পার্থ চট্টোপাধ্যায় (Partha Chatterjee) এবং অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের নামের ‘অপা’ বাড়ির ছবির উপরে লেখা হয় ‘এখানে কেউ কার্তিক ফেলবেন না। ওঁরা সবাই জেলে আছেন”। অবশ্য এই পোস্ট সামজিক মাধ্যমে শিক্ষক দুর্নীতির দায়ে অভিযুক্ত জেলবন্দি প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রীকে সমালোচনা করে যে করা হয়েছে, তা বোঝাই যাচ্ছে। এই বাড়ি, নিয়োগ দুর্নীতির অবৈধ টাকায় নির্মাণ করছেন বলে সূত্রে জানা গিয়েছে। বিলাসবহুল এই বাড়ি কেনার টাকার উৎস কী, সেই বিষয়েও তদন্ত করছেন কেন্দ্রীয় তদন্তকারী অফিসাররা।

    দুর্নীতির টাকায় বিলাসবহুল ‘অপা’ বাড়ি

    শিক্ষক দুর্নীতিকাণ্ডে গত বছর জুলাই মাসে গ্রেফতার হয়েছেন প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী তথা তৃণমূল দলের প্রাক্তন মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায় (Partha Chatterjee)। একই সঙ্গে গ্রেফতার হয়েছেন মন্ত্রীর বান্ধবী অর্পিতা মুখোপাধ্যায়। পার্থর সম্পত্তির খোঁজে চলে সিবিআই এবং ইডির তল্লাশি। নিউ আলিপুর, বেলঘরিয়ার ফ্ল্যাট থেকে উদ্ধার হয় কোটি কোটি টাকা এবং সোনা। সেই সঙ্গে উদ্ধার হয় এসএসসি নিয়োগের গুরুত্বপূর্ণ নথি। এরপর সম্পত্তির তল্লাশি করতে খোঁজ মেলে বীরভূমের এই বিলাসবহুল ‘অপা’ বাড়ি। সেই থেকেই সামজিক মাধ্যমে এই বাড়ি নিয়ে নানান বক্তব্য প্রকাশিত হতে দেখা যায়।

    ফেসবুকেই ভাইরাল পোস্ট

    ‘অপা’ ভাইরাল পোস্টকে ঘিরে দুর্নীতির বিরুদ্ধে ক্ষোভের কথা প্রকাশিত হল বলে মনে করছেন অনেকে। ‘ওঁরা’ বলতে পার্থ (Partha Chatterjee) এবং অর্পিতাকেই ইঙ্গিত করা হয়েছে। তবে বাস্তবে বাড়ির সামনে এইরকম কোনও পোস্টার পড়েনি বলে স্থানীয়রা জানিয়েছেন। ফলে এই ছবি এবং তাকে ঘিরে পোস্ট শুধুমাত্র ফেসবুকের মধ্যেই করা হয়েছে। কেউ কেউ বলছে সামজিক মাধ্যমে দুর্নীতির বিরুদ্ধে প্রতিক্রিয়া এমনই হয়। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Jyotipriya Mallick: রেশন কেলেঙ্কারিতে জ্যোতিপ্রিয়র ১০০০ কোটি টাকার দুর্নীতির খোঁজ পেল ইডি

    Jyotipriya Mallick: রেশন কেলেঙ্কারিতে জ্যোতিপ্রিয়র ১০০০ কোটি টাকার দুর্নীতির খোঁজ পেল ইডি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রেশন দুর্নীতির তদন্তে ইডির জিজ্ঞাসাবাদ এবং জেরায় এখনও পর্যন্ত এক হাজার কোটি টাকার দুর্নীতি হয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে। ইতিমধ্যেই দুর্নীতির মামলায় রাজ্যের প্রাক্তন খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক (Jyotipriya Mallick) এবং তাঁর ঘনিষ্ঠ বাকিবুর রহমান ইডির হাতে গ্রেফতার হয়েছেন। এছাড়াও রাজ্যে শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডে আগেই প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় গ্রেফতার হয়েছেন। ফলে শাসক দল তৃণমূলের একাধিক মন্ত্রী আর্থিক দুর্নীতির অভিযোগে জেলে থাকায় তৃণমূল যে চাপের মুখে, তা রাজনীতির একাংশ মানুষ মনে করছেন।

    রেশন দোকান থেকে টাকা তোলা হত (Jyotipriya Mallick)

    ইডি সূত্রে জানা গিয়েছে, রাজ্যের প্রায় ২১ হাজার ৩০০ টি রেশন দোকান আছে। অধিকাংশ রেশন দোকান থেকে মাসে ৪ হাজার করে টাকা তোলা হত বলে জানা গিয়েছে। তৃণমূলের শাসনে মন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক (Jyotipriya Mallick) টানা দশ বছর খাদ্যমন্ত্রী ছিলেন। এই দশ বছরে প্রত্যেক রেশন দোকান থেকে মাসে মাসে টাকা তুলতেন। ফলে ইডি অনুমান করছে, প্রায় ৭০০ কোটি টাকা পর্যন্ত তোলা হয়। সূত্রে আরও জানা গিয়েছে, ভুয়ো দোকানের সংখ্যা প্রায় ৩০০র থেকে বেশি বলে সন্ধান পাওয়া গিয়েছে। কেন্দ্রের পাঠানো ন্যায্যমূল্যের রেশনকে দুর্নীতি করে খোলা বাজারে বিক্রি করা হয়েছে। হিসাবে আরও জানা গিয়েছে, গত ৮ বছরে এখান থেকে ১৫০ কোটি টাকা তোলা হয়েছে বলে মনে করছেন তদন্তকারী অফিসাররা। এছাড়াও অনুমোদিত দোকানগুলি থেকে দুর্নীতি-সিন্ডিকেটের সদস্যরা রেশন সামগ্রী বাজারে বিক্রির করে ২০০ কোটি টাকা তুলেছে বলে মনে করছেন ইডির অফিসাররা। এভাবেই রেশন কেলেঙ্কারিতে জ্যোতিপ্রিয়র ১০০০ কোটি টাকার দুর্নীতির খোঁজ পেয়েছে ইডি।

    মন্ত্রীর আপ্ত সহায়ক থেকে উদ্ধার ডায়েরি

    প্রাক্তন খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের (Jyotipriya Mallick) আপ্ত সহায়ক অভিজিৎ দাসের কাছ থেকে উদ্ধার হওয়া ডায়েরির তথ্যে জানা গিয়েছে, বাকিবুর রেশনের ডিস্ট্রিবিউটর, ডিলার এবং রেশন দোকানের মালিকদের কাছ থেকে কোটি কোটি কালো টাকা আদায় করতেন। গত দশ বছর ধরে এই ভাবেই দুর্নীতির টাকা আদায় করেছেন মন্ত্রী এবং বাকিবুর।

    এই টাকা কোথায় গেল?

    তদন্তকারী অফিসাররা জানিয়েছেন, এখনও পর্যন্ত সব মিলিয়ে মাত্র ৫০ কোটি টাকার খোঁজ পাওয়া গিয়েছে। বেশির ভাগ টাকার এখনও সন্ধান পাওয়া যায়নি। রেশনের বণ্টনের দুর্নীতির টাকা ৫০-৫০ ভাগ হত। একভাগ যেত বাকিবুর এবং সহযোগীদের কাছে। আর অপর আরেক ভাগ যেত মন্ত্রীর কাছে। ইডি মনে করছে, দুর্নীতির একটা বড় অংশের টাকা বিদেশে চলে গিয়েছে। তদন্তকারী অফিসারদের অনুমান, জ্যোতিপ্রিয় (Jyotipriya Mallick) পর্যন্ত টাকা শুধু পৌঁছায়নি। টাকা আরও অনেক প্রভাবশালীদের কাছে পৌঁছেছে বলে অনুমান করা হচ্ছে।

    তদন্তকারী অফিসারের বক্তব্য

    ইডির এক তদন্তকারী অফিসার জানান, “বাকিবুরের পরিবারের সদস্য এবং মন্ত্রীর (Jyotipriya Mallick) স্ত্রী, মেয়েকে ডিরেক্টর করে মোট তিনটি সংস্থা খোলা হয়েছিল। এই সংস্থার মাধ্যমে ২০ কোটি কালো টাকা সাদা করা হয়। কিন্তু এর মধ্যে ১০ কোটি টাকা মন্ত্রী এবং মেয়ের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে সরিয়ে রাখা হয়।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Alipurduar:  চা শ্রমিকদের নিয়ে উত্তরে ফের বাজিমাত করতে তৈরি হচ্ছে বিজেপি

    Alipurduar: চা শ্রমিকদের নিয়ে উত্তরে ফের বাজিমাত করতে তৈরি হচ্ছে বিজেপি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আলিপুরদুয়ারে (Alipurduar) তৃণমূলের ছন্নছাড়া অবস্থা। আলিপুরদুয়ারে বিশিষ্ট আইনজীবী তথা তৃণমূল নেতা জহর মজুমদার প্রকাশ্যে তৃণমূলের বিরুদ্ধে বোমা ফাটিয়ে দলত্যাগ করেছেন। প্রবীণ এই নেতার দলত্যাগের ফলে দলীয় কর্মীদের মধ্যে ব্যাপক প্রভাব পড়েছে। দলীয় নেতৃত্ব চাপে রয়েছেন। এই অবস্থায় লোকসভা ভোটকে পাখির চোখ করে জোর প্রস্তুতি শুরু করেছে বঙ্গ বিজেপি। এবার আলিপুরদুয়ারের রণকৌশল ঠিক করতে গুরুত্বপূর্ণ মিটিং-এ করলেন বিজেপি নেতৃত্ব। বিজেপির সাত বিধায়ক ও কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী জন বার্লার উপস্থিতিতে এই মিটিং অনুষ্ঠিত হয়।

    বৈঠকে কী আলোচনা হয়? (Alipurduar)

    দলীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বিজেপির পক্ষ থেকে তিনটি ধাপে বৈঠক শুরু করা হয়েছে। ২০২৪ সালে আলিপুরদুয়ারের (Alipurduar) আসনটি বিজেপি দখল করতে পারে তার রুপরেখা তৈরি করা। বুথ ভিত্তিক দলের সার্বিক অবস্থা খতিয়ে দেখার জন্য কর্মীদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। সংগঠনকে আরও মজবুত করতে কর্মীদের কী কী করা দরকার তা নিয়ে বৈঠকে বিস্তারিত আলোচনা হয়। নির্বাচনে জন্য রণকৌশল ঠিক করা হয়। চা বাগান,পুরসভা ও বস্তিকেন্দ্রিক এই তিনটি ভাগে ভাগ করা হয়েছে। মূলত চা বাগানের শ্রমিকেরা এই এলাকায় মস্তবড় ভোট ব্যাঙ্ক। তাই, বঞ্চিত শ্রমিকদের পাশে থেকে তাঁদের দাবিদাওয়া নিয়ে কর্মীদের সোচ্চার হওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।  

    কী বললেন বিজেপির জেলা সভাপতি?

    বিজেপির আলিপুরদুয়ার (Alipurduar) জেলার সভাপতি মনোজ টিজ্ঞা বলেন, বাগানে অনেক ইস্যু রয়েছে। চা বাগানের জন্য রাজ্য সরকার কিছু করছে না। শ্রমিকদের পিএফ এর টাকা দিচ্ছে না। এফআইআর হলেও মালিক পক্ষের বিরুদ্ধে ব্যাবস্থা নিচ্ছে না রাজ্য সরকার। এই বিষয় নিয়ে দলীয় কর্মীদের চা শ্রমিকদের পাশে থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।  আলিপুরদুয়ারে বিশিষ্ট আইনজীবী তথা তৃণমূল নেতা জহর মজুমদার সম্প্রতি টিএমসি দলত্যাগ করেছেন। এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, তিনি বিজেপিতে এলে স্বাগত জানানো হবে। তাতে লাভ হবে আমাদের। আর আলিপুরদুয়ারে টিএমসি চালাচ্ছে বিজেপি। টিএমসি বিজেপি নেতাদের ধার করে নিয়ে দল চালাচ্ছে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Nadia: হাতে নয়, পেট দিয়ে বিশ্বকাপ ফাইনালে মহম্মদ শামির ছবি এঁকে নজির গড়লেন নদিয়ার তুহিন

    Nadia: হাতে নয়, পেট দিয়ে বিশ্বকাপ ফাইনালে মহম্মদ শামির ছবি এঁকে নজির গড়লেন নদিয়ার তুহিন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিশ্বকাপ ফাইনাল নিয়ে গোটা দেশে এখন উন্মাদনা তুঙ্গে। বিশ্বকাপে নিজের ক্যারিশ্মায় দেশবাসীর মন জয় করে নিয়েছেন ক্রিকেটার মহম্মদ শামি। ক্রিকেটার মহম্মদ শামির ছবি পেট দিয়ে এঁকে এক অনন্য নজির গড়লেন নদিয়ার (Nadia) চাপড়ার অঙ্কন শিল্পী তুহিন মণ্ডল।

    পেট দিয়ে ছবি আঁকলেন শিল্পী

    আজ বহু অপেক্ষিত বিশ্বকাপের ফাইনাল ম্যাচ। যেখানে ভারত বনাম অস্ট্রেলিয়া প্রতিদ্বন্দ্বিতাই মাঠে নামবে। যদিও গোটা ভারতবাসীর স্বপ্নের জালে শুধুই জয়। ঠিক তেমনি নদিয়ার (Nadia) চাপড়ার অঙ্কন শিল্পী তুহিনবাবু তার পেট দিয়ে এঁকে একে ফেললেন জয়ের গুরু দায়িত্ব সামলানোর মহম্মদ শামির ছবি। ভারতের ১৩৫ কোটি মানুষের স্বপ্নের জালে শুধুই বিশ্বকাপ জয়। যার নেপথ্যে অন্যতম নাম শামি। আর সেই  ছবি এঁকে সকলের মন জয় করলেন শিল্পী তুহিন। তবে, হাতে নয়, দুহাত ছাড়াও পেট দিয়ে ছবি এঁকেছেন এই শিল্পী ।

    কী বললেন অঙ্কন শিল্পী?

    শিল্পীর এই শিল্পকলা চাক্ষুষ দেখার জন্য ভিড় করেছেন ক্রীড়া প্রেমীরা। নদিয়া (Nadia) জেলার চাপড়ার বড় অন্দুলিয়ার বাসিন্দা তুহিন মণ্ডল ছোট থেকে বাবার কাছে তার আঁকা শেখা। তবে সেভাবে কোনও শিক্ষক শিক্ষিকার কাছে আঁকা শেখেননি। নিজের চেষ্টায় তিনি শিল্পী হিসেবে পারদর্শী হওয়ার পর পেটকে নিয়ন্ত্রণ করেছেন রং তুলির মাধ্যমে। তবে এবার বিশ্বকাপ ফাইনালের আগে একজন দেশবাসী হিসেবে সর্বোপরি একজন শিল্পী হিসাবে বিশ্বকাপের জয়ের প্রার্থনায় অপরূপ তাঁর এই প্রচেষ্টা দেখেই বোঝা যাচ্ছে কত আবেগ রয়েছেন তুহিনবাবু। অঙ্কন শিল্পী তুহিনবাবু বলেন, ভবিষ্যতে যদি কখনও মহম্মদ শামির কাছে পৌঁছাতে পারি, তাহলে তাঁর হাতে এই ছবি তুলে দিয়ে নিজেকে ধন্য মনে করব। আমরা চাইব, মহম্মদ শামি আগামীদিনে ক্রিকেটার এক অনন্য নক্ষত্র হয়ে উঠুক। যার নাম ইতিহাসের পাতায় অক্ষরে অক্ষরে লেখা থাকবে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Malda: মামনির মৃত্যুতে টনক নড়ল প্রশাসনের, ২ কোটি টাকা খরচে হচ্ছে রাস্তা

    Malda: মামনির মৃত্যুতে টনক নড়ল প্রশাসনের, ২ কোটি টাকা খরচে হচ্ছে রাস্তা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বহুবার গ্রামবাসীরা দরবার করেছিলেন। কাজ হয়নি। প্রশাসন রাস্তা তৈরির বিষয়ে কোনও গা করেনি। কিন্তু, হতশ্রী রাস্তার জন্য যেভাবে একজনের প্রাণ গেল, তার দায় রাজ্য সরকারের। এলাকার মানুষ সেই সরকারের গাফিলতিকে তুলে ধরে শনিবার রাস্তা অবরোধে সামিল হয়েছিলেন। মালদার (Malda) বামানগোলায় মালডাঙিতে বেহাল রাস্তার জন্য মামনি রায় নামে এক গৃহবধূর মৃত্যু হয়। সেই ঘটনা নিয়ে রাজ্যজুড়ে তোলপাড় শুরু হতেই টনক নড়ে প্রশাসনের। অবশেষে বামানগোলায় মালডাঙিতে রাস্তা তৈরির আশ্বাস দিলেন বিডিও। সূত্রের খবর, বিডিও এবং বামোনগোলা থানার আইসি লিখিত প্রতিশ্রুতি দিয়ে জানিয়েছেন, আগামী তিন মাসের মধ্যেই তৈরি হয়ে যাবে রাস্তা।

    রাস্তা তৈরির আশ্বাস নিয়ে অবরোধকারীরা কী বললেন? (Malda)

    মালদার (Malda) মালডাঙা গ্রাম থেকে গঙ্গাপ্রাসাদ কলোনি পর্যন্ত প্রায় ৫ কিলোমিটার রাস্তা তৈরি হবে। তার জন্য প্রায় ২ কোটি টাকা অনুমোদন করা হয়েছে। অবরোধকারীদের সামনে  লিখিত প্রতিশ্রুতি দেওয়ার পরেই ওঠে অবরোধ। অবরোধকারীদের বক্তব্য, পথশ্রী প্রকল্পে লক্ষ লক্ষ চাকা খরচ করে রাস্তা তৈরির কথা বলা হলেও এই রাস্তা তৈরিতে প্রশাসনের কোনও হেলদোল নেই। বার বার বলার পরও কোনও কাজ হয়নি। মর্মান্তিক মৃত্যুর পরই প্রশাসন নড়েচড়ে বসল। এলাকাবাসীর দাবি মেনে রাস্তা তৈরি হলে মামনির প্রাণ এভাবে যেত না।

    প্রসঙ্গত, বিগত কয়েকদিন ধরেই জ্বরে ভুগছিলেন মালডাঙা গ্রামের গৃহবধূ মামনি রায়। শুক্রবার তাঁর অবস্থার অবনতি হওয়ায় হাসপাতালে নিয়ে যেতে অ্যাম্বুল্যান্সের খোঁজ শুরু করেন বাড়ির লোকজন। অভিযোগ, রাস্তার অবস্থা এতই খারাপ যে ওই এলাকায় ঢুকতে চায়নি কোনও অ্যাম্বুল্যান্সই। অনেকে বেশি টাকা দাবি করেন। অগত্যা খাটিয়া করেই মামনি দেবীকে হাসপাতালে নিয়ে যান গ্রামের লোকজন। কিন্তু, শেষরক্ষা হয়নি। বাঁচানো যায়নি ওই গৃহবধূকে। এই ছবি সামনে আসতেই জোর শোরগোল শুরু হয়ে গিয়েছে রাজনৈতিক মহলে। যদি মন্ত্রী সিদ্দিকুল্লাহ চৌধুরী আবার বলেছেন, রাস্তার জন্য নয়, ভাগ্যে ছিল তাই মৃত্যু হয়েছে ওই মহিলার। তাঁর মন্তব্যেও উঠেছে বিতর্কের ঝড়।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share