Category: রাজ্য

Get West Bengal News, Bengali Breaking News, Latest News in Bengali only from মাধ্যম | Madhyom, Bengali News Portal for সম্পূর্ণ নিরপেক্ষ বাংলা সংবাদ, বাংলা খবর

  • Suvendu Adhikari: ‘সামনের বছর শহিদ দিবসে চোরমুক্ত বাংলা দেখবেন’, নন্দীগ্রামে বললেন শুভেন্দু

    Suvendu Adhikari: ‘সামনের বছর শহিদ দিবসে চোরমুক্ত বাংলা দেখবেন’, নন্দীগ্রামে বললেন শুভেন্দু

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শহিদ স্মরণে শুক্রবার বিজেপি এবং তৃণমূলের আলাদা সভা ছিল নন্দীগ্রামে। কিন্তু বিজেপির সভা শেষ করতে পুলিশি তৎপরতা ছিল তুঙ্গে। শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari) ওই সভায় হাজিরও ছিলেন। তবে, বিজেপির সভা কিছুটা দীর্ঘয়িত হওয়ার অভিযোগ তুলে মঞ্চ থেকে কর্মীদের তাড়া করে নামিয়ে দেয় পুলিশ। শহিদ বেদি থেকে মালাও সরিয়ে দেওয়া হয়। যা নিয়ে রাজনৈতিক মহলে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে? (Suvendu Adhikari)  

    ২০০৭ সালের ১০ নভেম্বর ‘সূর্যোদয়’ অভিযানের ডাক দিয়েছিল রাজ্যের তৎকালীন শাসকদল সিপিএম। রক্তাক্ত অভিযানে প্রাণ গিয়েছিল জমি আন্দোলনের একঝাঁক নেতা-কর্মীর। এখনও বেশ কয়েকজনের হদিশ মেলেনি। তারপর থেকেই প্রতি বছর এই দিনটিতে নন্দীগ্রামের করপল্লিতে শহিদ স্মরণ কর্মসূচির আয়োজন করা হয়। শুভেন্দু দলে যোগ দেওয়ার পর থেকে বিজেপিও এখন এই কর্মসূচি করে। গত বছর এই অনুষ্ঠানকে কেন্দ্র করে দু’পক্ষের মধ্যে ব্যাপক উত্তেজনা ছড়িয়েছিল। এবার অবশ্য পরিস্থিতি ছিল শান্ত। সূত্রের খবর, তৃণমূল-বিজেপির সঙ্গে পুলিশের বৈঠকে প্রথমে সভা করার অনুমতি চায় বিজেপি। সেই মতো শুক্রবার সকাল ৮টায় করপল্লিতে শহিদ বেদিতে স্মরণসভার আয়োজন করার কথা তাদের। এরপর ৯টা নাগাদ সভায় যোগ দেওয়ার কথা শুভেন্দুর (Suvendu Adhikari)। ১০টার মধ্যে অনুষ্ঠান শেষ হওয়ার কথা। ৯টা ৪৫ মিনিটে যান শুভেন্দু। যার জেরে সভা দীর্ঘায়িত হয়। শহিদ স্মরণে ভাষণ শেষ হতেই পুলিশ তৎপর হয়ে বিজেপি কর্মীদের তাড়া করে সরিয়ে দেয়। এমনকী মঞ্চ থেকে নামিয়ে দেয় বলে অভিযোগ। এমনকী, এরপরে  শহিদ বেদিতে থাকা ফুলের মালা দ্রুত খুলে ফেলা হয়। পরে, সেখানে তৃণমূল শহিদ স্মরণ কর্মসূচি পালন করে। যদিও সময় মতো সভা শেষ না করার অভিযোগ অস্বীকার করেছে গেরুয়া শিবির। পুলিশ ইচ্ছাকৃত বিজেপি কর্মীদের হেনস্থা করতে এসব করেছে, অভিযোগ গেরুয়া শিবিরের।

    তৃণমূল নিয়ে কী বললেন শুভেন্দু? (Suvendu Adhikari)

    ভাষণের শেষে উপস্থিত জনতার উদ্দেশে শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari) বলেন, ‘এবার আমাদের হাইকোর্টে যেতে হয়নি। কেন্দ্রীয় নিরাপত্তারক্ষী নামাতে হয়নি। ঠেলায় না পড়লে বিড়াল গাছে ওঠে না। আর পরের বছর যখন শহিদ স্মরণ হবে, তখন পশ্চিমবাংলায় আর এই চোরগুলো থাকবে না। ২৪ সালের ১০ নভেম্বর যখন শহিদ দিবস হবে, চোরমুক্ত বাংলা দেখবেন। আপনাদের কথা দিয়ে গেলাম’।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Bomb Blast: বিকট শব্দে কেঁপে উঠল এলাকা, হাত উড়ল যুবকের, আতঙ্কিত পানিহাটিবাসী

    Bomb Blast: বিকট শব্দে কেঁপে উঠল এলাকা, হাত উড়ল যুবকের, আতঙ্কিত পানিহাটিবাসী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বোমা বিস্ফোরণের ঘটনায় চরম উত্তেজনা ছড়াল খড়দা থানার পানিহাটি পুরসভার দু’নম্বর ওয়ার্ডে। পুরসভার তেজপাল নগর এলাকায় বোমা বিস্ফোরণে (Bomb Blast) গুরুতর জখম হন এক যুবক। আক্রান্ত যুবকের নাম জিতেন্দ্র গুপ্তা। তাঁর বয়স ২২ বছর। ঘনবসতি এলাকার মধ্যে এভাবে বোমা বিস্ফোরণের ঘটনায় তীব্র চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে পানিহাটি পুরসভা এলাকায়।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে? (Bomb Blast)

    দুদিন আগেই পুরানো বিবাদকে কেন্দ্র করে টিটাগড় পুরসভার উড়ানপাড়া এলাকায় এলোপাথাড়ি গুলি চালিয়ে এক যুবককে খুন করে দুষ্কৃতীরা। সেই ঘটনায় ইতিমধ্যেই দুজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। সেই ঘটনার জের মিটতে না মিটতেই খড়দা থানার পানিহাটি এলাকায় বোমা বিস্ফোরণের (Bomb Blast) ঘটনা ঘটল। এই ঘটনায় এলাকায় তীব্র আতঙ্ক তৈরি হয়েছে। দুদিন আগে দিনের বেলায় প্রকাশ্যে গুলিকাণ্ডের পরই বোমা বিস্ফোরণের ঘটনায় পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলতে শুরু করেছেন এলাকাবাসী। স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, বোমায় জখম যুবক জিতেন্দ্র গুপ্তা ঘটনার সময় বাড়িতে ছিলেন। আচমকাই বিকট আওয়াজে কেঁপে ওঠে গোটা এলাকা। প্রতিবেশী সুমনা চক্রবর্তী বলেন, আমি ঘরের মধ্যেই ছিলাম। সামনেই বাড়ি জিতেন্দ্রদের। বিকট আওয়াজে গোটা এলাকা কেঁপে ওঠে। আমি  বাইরে বেরিয়ে দেখি, চারদিকে ধোঁয়ায় ভর্তি। পাড়ার লোকজন জিতেন্দ্রকে কোলে করে তুলে নিয়ে হাসপাতালে নিয়ে যাচ্ছে। ওর হাতে অঝরে রক্ত ঝরছে। সম্ভবত, হাত উড়ে গিয়েছে। পরে পুলিশ আসার পর জানতে পারলাম, বোমা পাওয়া গিয়েছে বাড়ি থেকে।  আক্রান্ত যুবকের এক আত্মীয় বলেন, জিতেন্দ্র ঘর পরিষ্কার করছিল। সেই সময় সে একটি কৌটো দেখতে পায়। কৌটোটা খুলতে গিয়েই বিপত্তি বাধে। বাড়িতে কোনও বোমা রাখা ছিল বলে জানা নেই।  বাইরে থেকে কেউ বোমা বাড়িতে রেখে যেতে পারে। পুলিশ তদন্ত করে দেখুক।

    পুলিশ প্রশাসনের কী বক্তব্য?

    বারাকপুর পুলিশ কমিশনারেটের এক আধিকারিক বলেন, বোমা রাখা ছিল, না বাইরে থেকে কেউ বোমা রেখেছিল, তা আমাদের কাছে পরিষ্কার নয়। সমস্ত বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে। জখম যুবককে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • DGP: যাকে খুশি ডিজি করা যাবে না, কমিশনের নয়া গাইডলাইনে রাজ্যের স্বেচ্ছাচারিতায় কোপ

    DGP: যাকে খুশি ডিজি করা যাবে না, কমিশনের নয়া গাইডলাইনে রাজ্যের স্বেচ্ছাচারিতায় কোপ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজ্য পুলিশের ডিজি (DGP) নিয়োগ নিয়ে নতুন গাইডলাইন প্রকাশ করল ইউনিয়ন পাবলিক সার্ভিস কমিশন। এই গাইডলাইন থেকে একটা বিষয় পরিষ্কার, রাজ্য সরকার চাইলেই যাকে খুশি আর ওই পদে বসাতে পারবে না। এতদিন তৃণমূল সরকার রাজ্য পুলিশের এই সর্বোচ্চ পদটিতে বেছে বেছে তাঁবেদারদেরই বসিয়ে এসেছে। সেই অর্থে পদটির কোনও গুরুত্বই রাখা হয়নি। যাঁদেরই এই পদে বসানো হয়েছে, তাঁরা কার্যত জো-হুজুরপনা করেই দায় এড়িয়েছেন। এবার এই পদের গুরুত্ব অনুযায়ী কড়া গাইডলাইন জারি করা হয়েছে গত ২৬ সেপ্টেম্বর। তা পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে কেন্দ্রের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের পাশাপাশি সমস্ত রাজ্যের মুখ্যসচিবদের। জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, এই সংক্রান্ত ২০০৯ সালের যে গাইডলাইন ছিল, তা বাতিল হয়ে এটি এখন থেকেই কার্যকর করতে হবে।

    কী রয়েছে নয়া গাইডলাইনে? (DGP)

    প্রথমত, ডিজি নিয়োগে রাজ্য সরকারের একাধিপত্য খর্ব করতে একটি এমপ্যানেলমেন্ট কমিটি গঠন করার কথা বলে দেওয়া হয়েছে। তাতে থাকবেন ইউপিএসসি’র চেয়ারম্যান, কেন্দ্রের স্বরাষ্ট্র সচিব, সংশ্লিষ্ট রাজ্যের মুখ্যসচিব, ডিজি প্রমুখ। এই সংক্রান্ত যে কোনও বৈঠক বা সিদ্ধান্ত গ্রহণের সর্বোচ্চ ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে কমিশনের চেয়ারম্যানকে।

    গাইডলাইনে সাফ বুঝিয়ে দেওয়া হয়েছে, স্রেফ পছন্দের ভিত্তিতে রাজ্য পুলিশের ওই রকম একটি গুরুত্বপূর্ণ এবং সর্বোচ্চ পদে (DGP) কাউকে বসিয়ে দেওয়া যাবে না। যাকে বসানে হচ্ছে, দেখে নিতে হবে, এমন একটি বাহিনীকে পরিচালনা করার মতো যোগ্যতা তাঁর আছে কি না। তাঁর কাজের রেকর্ডকেও গুরুত্ব দিয়ে পর্যালোচনা করতে হবে। অর্থাৎ, এই পদে কেউ নির্বাচিত হবেন মেরিটের ভিত্তিতে, তাঁবেদারি করে নয়।

    তিনমাস আগে পাঠাতে হবে প্রস্তাব (DGP)

    গাইডলাইনে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, ডিজির পদ যেদিন ফাঁকা হওয়ার কথা, তার অন্তত তিন মাস আগে নয়া কমিটির মিটিং ডাকার জন্য কমিশনকে জানাতে হবে। তাতে প্যানেল হিসেবে রাজ্য কাকে কাকে চাইছে, তাদের নাম, ধাম, রেকর্ড, কর্মদক্ষতা, পড়াশোনা ইত্যাদি একগুচ্ছ তথ্যও দিতে হবে। এমনকী ওই অফিসারের বিরুদ্ধে কোনও শৃঙ্খলাভঙ্গ বা ফৌজদারি মামলা অমীমাংসিত থাকলে, জানাতে হবে সেটাও। কোনও সময় ওই অফিসার জরিমানার সম্মুখীন হলে সেটাও চেপে গেলে চলবে না। এতকিছু বিচার বিবেচনা করার পরই ওই কমিটি সংশ্লিষ্ট রাজ্যের জন্য ডিজি নিয়োগের প্যানেল তৈরি করে রাজ্যকে পাঠাবে। আরও একটি বিষয় ওই গাইডলাইনে জানানো হয়েছে। তা হল, প্যানেলে থাকা কোনও অফিসারের বিরুদ্ধে যদি ভিজিল্যান্স বা বিভাগীয় তদন্ত চলে, তবে তাঁকে ওই পদে নিয়োগ দেওয়া হবে না। কিন্তু প্যানেলে সর্বোচ্চ তিনজনের বেশি নাম দেওয়া যাবে না।
    কমিশনের ওই গাইডলাইন থেকে পরিষ্কার, রাজ্য পুলিশের সর্বোচ্চ পদে (DGP) নিয়োগে রাজ্যের স্বেচ্ছাচারিতার আর কোনও জায়গা থাকবে না। যোগ্যতা এবং কর্মদক্ষতা থাকলে তবেই কাউকে ওই রকম একটি পদে বসানো যাবে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের , Twitter এবং Google News পেজ।

  • Sukanta Majumdar: ‘দুবাইয়ের প্রতি তাঁর বেশি প্রেম’, মহুয়াকে টেনে অভিষেককে তীব্র কটাক্ষ সুকান্তর

    Sukanta Majumdar: ‘দুবাইয়ের প্রতি তাঁর বেশি প্রেম’, মহুয়াকে টেনে অভিষেককে তীব্র কটাক্ষ সুকান্তর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এথিক্স কমিটি ইস্যুতে মহুয়ার পাশে দাঁড়িয়েছেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। এবার সেই মহুয়াকে টেনে অভিষেককে তীব্র কটাক্ষ করলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar)। হাওড়ায় দলীয় অনুষ্ঠানে যোগ দেওয়ার পরই তিনি মহুয়াকে তীব্র আক্রমণ করেন।

    মহুয়াকে নিয়ে ঠিক কী বলেছেন অভিষেক?

    টাকার বিনিময়ে প্রশ্নকাণ্ডে মহুয়া মৈত্রের বিরুদ্ধে প্রথমবার মুখ খুলেছেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। বৃহস্পতিবার তিনি বলেছিলেন, ‘এথিক্স কমিটিতে অনেকগুলি অভিযোগ পড়ে রয়েছে। আপনারা দেখেছেন, নতুন সংসদ ভবনে বিজেপি সাংসদ রমেশ বিদুরি কুকথা বলে কী করে সংসদের গরিমা নষ্ট করেছেন। বিজেপির এমন বহু সাংসদ রয়েছেন, যাদের বিরুদ্ধে স্বাধিকার ভঙ্গের নোটিশের শুনানি বকেয়া রয়েছে। কিন্তু, যদি কেউ সরকারের বিরোধিতা করে, সরকারকে প্রশ্ন করতে চায়, আদানির অপকর্ম নিয়ে প্রশ্ন করতে চায়, তাহলে কী করে তাঁকে সাংসদ পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়’। তিনি আরও বলেছেন, ‘আমার মনে হয় মহুয়া নিজেই নিজের লড়াই লড়ার জন্য যথেষ্ট। আমাকেও এরা ৪ বছর ধরে ডাকছে। আলাদা আলাদা কেসে নাম জড়াচ্ছে। একটা কেসে কিছু পাওয়া না গেলে আরেকটায় জড়াচ্ছে। এটা প্রতিহিংসার রাজনীতি ছাড়া আর কিছু নয়।’

    অভিষেককে কী বললেন সুকান্ত? (Sukanta Majumdar)

    হাওড়ায় সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar) বলেন, ‘বিষয়টার মধ্যে যখন দুবাই রয়েছে, তখন উনি (অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়) তো পাশে দাঁড়াবেনই। দুবাইয়ের প্রতি তাঁর বিশেষ প্রেম। চোখ দেখাতেও দুবাই যান, পেট দেখাতেও দুবাই যান। খেতেও দুবাই যান। আর কী কী করতে যান আমি জানি না’। মূলত এই প্রসঙ্গে টেনে অভিষেক মহুয়াকে নিয়ে যে কথা বলেছেন, তার যে কোনও গুরুত্ব নেই, তা বোঝাতে চেয়েছেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি। এমনই মনে করছে রাজনৈতিক মহল।

    মহুয়া ইস্যুতে এনআইএ তদন্তের কেন দাবি জানালেন সুকান্ত?

    মহুয়াকে নিয়ে এথিক্স কমিটির সুপারিশ প্রসঙ্গে সুকান্ত (Sukanta Majumdar) বলেন, আমরা যতদূর জানতে পেরেছি, তাতে শুধু খারিজ করার সুপারিশ করেনি কমিটি। তার সঙ্গে বলেছে যে প্রাতিষ্ঠানিক তদন্ত করানোর জন্য অর্থাৎ ইডি বা সিবিআইকে দিয়ে নির্দিষ্ট সময়সীমার মধ্যে তদন্ত করানোর জন্য বলেছে। একটি সূত্রে জানা গিয়েছে, মহুয়া মৈত্র সাংসদ হিসেবে লোকসভার ওয়েবসাইটের যে লগ-ইন আইডি ও পাসওয়ার্ড পেয়েছেন, তা তিনি দর্শন হিরানন্দানি নামে এক ব্যবসায়ীকে দেন বলে অভিযোগ। তারপর দুবাই থেকে সেই লগ-ইন আইডি ও পাসওয়ার্ড ব্যবহার করে লোকসভার ওয়েবসাইট ব্যবহার করা হয় বলেও অভিযোগ উঠেছে। সুকান্ত বলেন, একজন সাংসদের লগ ইন আইডি চলে যাচ্ছে অন্য একজনের কাছে। তাও তাঁর পিএ-র কাছে গেলে বুঝতাম। কিন্তু, জানতে পেরেছি, সেই লগ ইন আইডি চলে যাচ্ছে দুবাইয়ে। তৃণমূল কংগ্রেস গ্যারান্টি দিতে পারবে যে এই লগ ইন আইডি দুবাইয়ের কোনও নাগরিক ব্যবহার করেননি বা দুবাইয়ের কোনও নাগরিকের উপস্থিতিতে ব্যবহার করা হয়নি। দেশের আভ্যন্তরীণ নিরাপত্তার সঙ্গে সমঝোতা করেছেন মহুয়া মৈত্র। এর এনআইএ তদন্ত হওয়া উচিত’।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Madan Mitra: ‘লেবুতলা পার্কের রাম মন্দিরের দিকে যাচ্ছেন সৌগত’, কেন বললেন মদন?

    Madan Mitra: ‘লেবুতলা পার্কের রাম মন্দিরের দিকে যাচ্ছেন সৌগত’, কেন বললেন মদন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পুর-নিয়োগ দুর্নীতি ইস্যুতে নাজেহাল অবস্থা তৃণমূল পরিচালিত কামারহাটি পুরসভার। ইডি-র ডাকে বার বার সিজিওতে ছুটতে হচ্ছে পুর চেয়ারম্যান গোপাল সাহাকে। এরই মধ্যে বিজয়া সম্মেলনীতে প্রকাশ্যে গোপালকে কাঠগড়ায় দাঁড় করিয়ে প্রশ্নবাণে বিদ্ধ করেছেন তৃণমূল সাংসদ সৌগত রায়। গোপালের পাশে দাঁড়িয়ে কার্যত বিরোধী রাজনৈতিক দলের নেতাদের মতো দলের বিধায়ক তথা ‘কালারফুল বয়’ মদন মিত্র (Madan Mitra) বেলাগাম আক্রমণ করেছেন। সৌগতবাবুর মতো বর্ষীয়ান নেতাকে যে ভাবে আক্রমণ করা হয়েছে. বিরোধী রাজনৈতিক দলের নেতারাও সেই ঢঙে কথা বলেন না। সামনেই লোকসভা নির্বাচন। তার আগেই কি কামারহাটি কাণ্ড নিয়ে দমদম লোকসভায় তৃণমূলের চেহারা বেআব্রু হয়ে গেল। সাংসদের নাম করে বিধায়ক মদনের কড়া সমালোচনার ঘটনায় তৃণমূলের কোন্দল আরও একবার প্রকাশ্যে চলে এল।

    কামারহাটি নিয়ে সৌগত রায় ঠিক কী বলেছেন?

    কামারহাটিতে তৃণমূলের পক্ষ থেকে বিজয়া সম্মেলনীর আয়োজন করা হয়েছিল। সেখানে হাজির ছিলেন তৃণমূল সাংসদ সৌগত রায়। মঞ্চে উপস্থিত গোপাল সাহার পাশে দাঁড়িয়ে তৃণমূল সাংসদ সৌগত রায় বলেন, কামারহাটি পুরসভায় ঠিকমতো কাজ হচ্ছে না। কোন অর্ডার পাস হচ্ছে না। মানুষ কোনও পরিষেবা পাচ্ছেন না বলে অভিযোগ জানাচ্ছেন। পরিষেবা দেওয়াটা সবার আগে দরকার। এই পুরসভায় এত কাউন্সিলার আছে, নিজেদের মধ্যে অন্য গল্প না করে নাগরিক পরিষেবা যাতে আরও উন্নত করা যায় সেই বিষয়ে আলোচনা করা উচিত। এমনকী পুরসভার চেয়ারম্যান গোপাল সাহাকে নাগরিক পরিষেবা উন্নত করার জন্য ধমক দেন তিনি।

    সৌগত রায়কে নিয়ে ঠিক কী বলেছেন মদন? (Madan Mitra)

    সৌগত রায়ের বক্তব্য সামনেই আসতেই মুখ খুলেছেন তৃণমূলের ‘কালারফুল বয়’ (Madan Mitra)। তিনি বলেন, ‘আমার মনে হয়, ওনার (সৌগত রায়) একটাই উদ্দেশ্য, যেই গোপালকে ইডি ডাকল, তখন উনি বলতে শুরু করলেন, ঠাকুর ঘরে কে? আমি তো কলা খাইনি’। ‘কী বোঝাতে চাইছেন? পুর দুর্নীতিতে আমি নেই! গোপালরা দুর্নীতি করেছে? যা বলার স্পষ্ট বলুন’। ‘আর ৯ বছরে এসব চোখে পড়ল না, এসব ভোটের আগে ঠিক মনে হল আপনার, কোথায় একটা গন্ধ আছে মনে হচ্ছে’। ‘দলের খাবেন আর সুযোগ পেলেই দলের পিছনে পিন বাজি? অথচ, আপনার বাংলোটা শ্রেষ্ঠ বাংলো, আপনি মন্ত্রী থাকাকালীন ম্যানেজ করে নিয়েছেন, আর এখন গোপাল ভূত, আর আপনি রাজা হয়ে গেলেন’। ‘কিছু বলার থাকলে পার্টির মধ্যে বলুন, তবে আপনার গুণ আছে, পিসি সরকারের ম্যাজিকের মত পাল্টি খাওয়া’।

    লেবুতলা পার্কের রাম মন্দিরের দিকে যাচ্ছেন সৌগত, দাবি মদনের

    তৃণমূল সাংসদ সৌগত রায়কে পাল্টা হুঁশিয়ারি দিয়ে মদন মিত্র (Madan Mitra) বলেন, ‘সৌগত রায় ১৫ বছরে ১০টা ছেলে দেখান, যারা আপনার কাছ থেকে সাহায্য পেয়েছে’। ‘বেশি কিছু বলবেন না, দিনকাল ভালো নয় তো’। ‘হঠাৎ আপনি মেরুকরণ করে গিরগিটির মতো পাল্টাচ্ছেন কেন? জেনে রেখে দেবেন, মদন মিত্র আছে’। ‘আপনার ডানদিকে বাঁদিকে যাঁরা ঘোরেন, ওরা তো সব চোর’ । কংগ্রেস আমলে পুরানো ইতিহাস মনে করিয়ে দিয়ে মদন বলেন,  ‘লোকে জানে আপনি শিক্ষিত, কিন্তু ৭৭ সালে এমন রিগিং করেছিলেন, যে এসডিপিওকে বরখাস্ত করা হয়েছিল। তারপর থেকে বারাকপুর হাতছাড়া হয়ে গেল’। এরপর এসব বলার জন্য দল ব্যবস্থা নেবে ধরে নিয়ে মদন মিত্র বলেন. ‘পার্টির কাছে ক্ষমা চাইছি, এইসব কথা বলার জন্য আমার শাস্তি হতে পারে, উত্তর চাইতে পারে, কিন্তু উত্তর আমি দেব’। ‘তবে এটাও বলে রাখি, স্পেসিফিক কিছু না পেলে মদন মিত্ৰ বলে না’। ‘ওনার (সৌগত রায়) বলার স্টাইলটা যেন মনে হচ্ছে, লেবুতলা পার্কের রাম মন্দিরের দিকে এগোচ্ছে। তবে, কিছু যায় আসে না, তুড়ি মারব, উড়ে যাবে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Malda: আজব কাণ্ড! দুয়ারে রেশনে মিলছে টাকা! কীভাবে জানেন?

    Malda: আজব কাণ্ড! দুয়ারে রেশনে মিলছে টাকা! কীভাবে জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রাক্তন খাদ্যমন্ত্রী রেশন বন্টন দুর্নীতির অভিযোগে ইডি হেফাজতে রয়েছেন। একের পর এক দুর্নীতিগ্রস্ত রাইস মিমল মালিক, রেশন ডিলারের বাড়িতে তল্লাশি শুরু করেছে। এসব ঘটনা নিয়ে যখন রাজ্য রাজনীতি উত্তাল, তখন দুয়ারে রেশনে আজব ছবি দেখা গেল মালদার (Malda) পাকুয়ায়। খাদ্য সামগ্রীর বদলে গ্রাহকরা টাকা পাচ্ছেন। সেই টাকা গুনে গুনে দিচ্ছেন খোদ ডিলার নিজেই। দুয়ারে রেশনের এমনই ছবি প্রকাশ্যে আসতেই হইচই পড়ে যায় জেলার প্রশাসনিক মহলে।

    ঠিক কী অভিযোগ? (Malda)

    গ্রাহকদের সুবিধার্ধে দুয়ারে রেশন চালু করেছে রাজ্য সরকার। এক বছর ধরে মালদাতেও (Malda) সে প্রকল্প চলছে। তবে পাকুয়ায় কামাতিপাড়ায় দুয়ারে রেশনের কোনও চিহ্ন নেই। নেই ফ্লেক্স, ফেস্টুন কিংবা খাদ্য সামগ্রী। রেশন ডিলার বিভা রায়ের ছেলে ঝঙ্কারেশ রায় কর্মীর পাশে দাঁড়িয়ে গ্রাহকদের হাতে হাতে দিচ্ছেন নগদ টাকা। এমনই অভিযোগ গ্রাহকদের। তাঁদের দাবি, রেশনের খাদ্য সামগ্রী আটা,চালের মান খুবই নিম্নমানের। তাই, চাল, আটা খোলা বাজারে বিক্রি করতে দিতে হয়। তবে রেশন ডিলার নিজেই রেশন দোকানে বসে আটা, চালের মূল্য ধরে টাকা দিয়ে দিচ্ছেন। প্রত্যেককে টোকেন দেওয়া রয়েছে। সেই টোকেন নিয়ে ডিলারের কাছে গেলেই মিলছে টাকা। গ্রাহকদের বক্তব্য, আসলে রেশনে যে সামগ্রী দেওয়া হয় তা অত্যন্ত নিম্নমানের। রেশন ডিলার নিজেই তা কিনে নিতে চান। তাই, নিজের সামগ্রী সেখানে বিক্রি করে মূল্য পেয়ে যায়। রেশনে গুণগত মান ভাল দিলে আর আমরা বিক্রি করব না। 

    কী বললেন রেশন ডিলার?

    রেশন ডিলার বিভা রায়ের ছেলে ঝঙ্কারেশ রায় বলেন, নিয়ম মেনেই গ্রাহকদের রেশন সামগ্রী দেওয়া হয়। গ্রাহকদের কাছ থেকে রেশন কেনা কিংবা তাদের টাকা দেওয়ার অভিযোগ ঠিক নয়। প্রশাসনর পক্ষ থেকে তদন্ত করা হোক। 

    কী বললেন খাদ্য দফতরের আধিকারিক?                                     

    মালদার (Malda) পাকুয়ার কামাতিপাড়ায় ডিলারের বিরুদ্ধে অভিযোগ পেয়ে পুলিশের পাশাপাশি ঘটনাস্থলে যান বামনগোলার ফুড ইন্সপেক্টর মহম্মদ আলমেবাশেরুল। রেশন ডিলারের দোকান এবং গোডাউনেও যান তিনি। তিনি বলেন, রেশনে খাদ্য সামগ্রীর বদলে টাকা দেওয়ার কোনও নিয়ম নেই। গ্রাহকদের সঙ্গে কথা বলেছি। সমস্ত বিষয়টি খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।  বলে জানিয়েছেন খাদ্য সরবরাহ দফতরের কর্তারা।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।                                     

  • Kamarhati: ‘কামারহাটি পুরসভায় কাজ হচ্ছে না’, চেয়ারম্যানকে ধমক দিয়ে বললেন সাংসদ সৌগত

    Kamarhati: ‘কামারহাটি পুরসভায় কাজ হচ্ছে না’, চেয়ারম্যানকে ধমক দিয়ে বললেন সাংসদ সৌগত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পুর-নিয়োগ দুর্নীতি কাণ্ডে তোলপাড় কামারহাটি (Kamarhati) পৌরসভা। পুরসভার চেয়ারম্যান গোপাল সাহাকে মাঝেমধ্যেই সিজিও তো ডাকছে ই়ডি। তার বাড়িতেও তল্লাশি চালিয়েছে ইডি। ইডির তদন্তের মধ্যেই কামারহাটির অ্যাসিস্ট্যান্ট ইঞ্জিনিয়ার তমাল দত্তকে সাসপেন্ড করল পুর কর্তৃপক্ষ। এই তমালবাবুর বিরুদ্ধে বিপুল সম্পত্তি তৈরির অভিযোগ ওঠে। তমালবাবুকে ডেকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছিল ইডি। কিছু নথি ও পাওয়া গিয়েছিল তার কাছ থেকে। এরপরেই তাকে সাসপেন্ড করে দেওয়ার ঘটনায় নিয়োগ দুর্নীতির কোনও ইস্যু রয়েছে কিনা তা নিয়েও গোটা পুরসভা জুড়ে গুঞ্জন শুরু হয়েছে। এই সব ঘটনা নিয়ে যখন কামারহাটি জুড়ে তোলপাড় চলছে, তখন বিস্ফোরক অভিযোগ করলে দমদমের সাংসদ সৌগত রায়। তাঁর কথায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে রাজনৈতিক মহলে।  প্রকাশ্যে তৃণমূল সাংসদদের বক্তব্যে চরম বিড়ম্বনায় পড়েছে কামারহাটি পুর কর্তৃপক্ষ।

    ঠিক কী বলেছেন তৃণমূল সাংসদ? (Kamarhati)

    কামারহাটিতে (Kamarhati) তৃণমূলের পক্ষ থেকে বিজয়া সম্মেলনীর আয়োজন করা হয়েছিল। সেখানে হাজির ছিলেন তৃণমূল সাংসদ সৌগত রায়। মঞ্চে উপস্থিত গোপাল সাহার পাশে দাঁড়িয়ে তৃণমূল সাংসদ সৌগত রায় বলেন, কামারহাটি পুরসভায় ঠিকমতো কাজ হচ্ছে না। কোন অর্ডার পাস হচ্ছে না। মানুষ কোন পরিষেবা পাচ্ছে না বলে অভিযোগ জানাচ্ছেন। পরিষেবা দেওয়াটা সবার আগে দরকার। এই পুরসভায় এত কাউন্সিলর আছে, নিজেদের মধ্যে অন্য গল্প না করে নাগরিক পরিষেবা যাতে আরও উন্নত করা যায় সেই বিষয়ে আলোচনা করা উচিত।  এমনকী পুরসভার চেয়ারম্যান গোপাল সাহাকে নাগরিক পরিষেবা উন্নত করার জন্য ধমক দেন। সাসপেন্ড হওয়া অ্যাসিস্ট্যান্ট ইঞ্জিনিয়ার তমাল দত্ত প্রসঙ্গে তিনি বলেন, তিনি কি মহাপুরুষ। তিনি নেই বলে কাজ হবে না, এটা তো চলতে পারেনা।

    পুরসভার চেয়ারম্যান কী বললেন?

    কামারহাটি (Kamarhati) পুরসভার চেয়ারম্যান গোপাল সাহা বলেন, সৌগত দা আমাদের অভিভাবক। তিনি পুরসভা পরিচালনার ক্ষেত্রে আমাদের নির্দেশ দিয়েছেন, কোনও ধমক দেননি। তার নির্দেশ মেনে আগামী দিনে পুরসভা পরিচালনা করা হবে।

    বিজেপি নেতৃত্বের কী বক্তব্য?

    বিজেপি নেতা কিশোর কর বলেন,, আমাদের মতো কোনও বিরোধী দল এই অভিযোগ করছে না। তৃণমূল দলের সাংসদ প্রকাশ্যেই বলছে কামারহাটি পুরসভা কোনও কাজ করছে না। এর থেকে লজ্জার আর কিছু হয় না।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Murshidabad: কালীপুজোর দু’দিন আগেই শিবের মাথা ভেঙে পালালো দুষ্কৃতীরা, তদন্তে পুলিশ

    Murshidabad: কালীপুজোর দু’দিন আগেই শিবের মাথা ভেঙে পালালো দুষ্কৃতীরা, তদন্তে পুলিশ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মুর্শিদাবাদের (Murshidabad) বড়ঞা থানার শ্রীহট্ট গ্রামে কালী মায়ের নিচে থাকা শিবের মাথা ভেঙে নিয়ে পালালো দুষ্কৃতীরা! কালীপুজোর মাত্র দুই দিন আগেই এই ঘটনায় ব্যাপক উত্তেজনা সৃষ্টি হয়েছে এলাকায়। ঘটনাস্থলে দ্রুত পুলিশ পৌঁছে তদন্ত শুরু করেছে বলে জানা গিয়েছে।

    উল্লেখ্য মুর্শিদাবাদে এই ভাবে শিব ঠাকুরের মাথা ভেঙে দেওয়ার ঘটনায় কালীভক্ত হিন্দু সমাজের মধ্যে তীব্র আতঙ্কের সৃষ্টি হয়েছে। উল্লেখ্য গত দুই বছর আগে বাংলাদেশে দুর্গাপুজোর ঠিক আগেই কুমিল্লা, চট্টগ্রাম, ঢাকায় হিন্দু ধর্মের দুর্গা প্রতিমার ব্যাপক ভাঙচুরের ঘটনায় সারা বিশ্বে সমালোচনার ঝড় উঠেছিল। বাংলাদেশ এবং পাকিস্তান থেকেই হিন্দু মূর্তি ও মন্দির ভাঙার খবর আসে সবথেকে বেশি। ফলে মুর্শিদাবাদে কি বাংলাদেশের ছায়া? এই প্রশ্ন করছেন এলাকারই লোকজন।

    কীভাবে ঘটল ঘটনা

    ঠিক কালীপুজোর দুই দিন আগেই শ্রীহট্ট গ্রামের (Murshidabad) বুধবার রাত্রে দুইজন দুষ্কৃতী এসে শিবের মাথা ভেঙে নিয়ে পালালো। ঘটনার দৃশ্য স্পষ্ট দেখে গিয়েছে সিসিটিভি ফুটেজে। এরপর বৃহস্পতিবার সকাল নাগাদ স্থানীয় বাসিন্দারা মন্দিরের এসে দেখে যে শিবের মাথা নেই। সঙ্গে সঙ্গে খবর দেওয়া হয় গ্রামের সমস্ত লোকজনদের। গ্রামের সবাই ছুটে আসেন, এসে তাঁরা লক্ষ করেন মন্দিরের সামনে যেখানে কালীমূর্তি তৈরি হচ্ছে, সেখান থেকে শিবের মাথার অস্তিত্ব নেই। তবে কে বা কারা করেছে তাদের নাম এখনও স্পষ্ট  হয়নি। 

    তদন্তে পুলিশে

    এরপর মূর্তি ভাঙার খবর দেওয়া হয় বড়ঞা (Murshidabad) থানার পুলিশকে। পুলিশ এসে সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখছে এবং এই ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে। শ্রীহট্ট গ্রামের মন্দিরের পাশে কালীমূর্তি থেকে শিবের মাথা ভেঙে নিয়ে পালানোর ঘটনায় এলাকার মানুষ স্তম্ভিত। এলাকার (Murshidabad) বাসিন্দা অসীম কর্মকার বলেন, “এই পুজো আমরা বাপ ঠাকুরদার আগের থেকে হচ্ছে কিন্তু কোনও দিন এইরকম ঘটনা আমাদের গ্রামে ঘটেনি। আমরা শুনেছি বাংলাদেশে এমন ঘটনা ঘটে। আমরা চাই এই ঘটনায় দোষীদের উপযুক্ত শাস্তি হোক।”

       

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের , Twitter এবং Google News পেজ।

  • Bankura: “পুলিশ আধিকারিক আমার গলা টিপে ধরেছিলেন”, বিস্ফোরক অভিযোগ বিজেপি বিধায়কের

    Bankura: “পুলিশ আধিকারিক আমার গলা টিপে ধরেছিলেন”, বিস্ফোরক অভিযোগ বিজেপি বিধায়কের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বাঁকুড়ার (Bankura) গঙ্গাজলঘাটির নিধিরামপুর গ্রামে ফের নতুন করে উত্তেজনা দেখা দিল। বুধবার স্থানীয় বিজেপি কর্মী শুভদীপ মিশ্র ওরফে দীপুর বটগাছে ঝুলন্ত মৃতদেহ উদ্ধারের ঘটনায় উত্তাল হয় ওই গ্রাম। বৃহস্পতিবার সকালে গ্রামে যান কেন্দ্রীয় শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী সুভাষ সরকার, ছাতনার বিধায়ক সত্যনারায়ণ মুখোপাধ্যায় ও শালতোড়ার বিধায়ক চন্দনা বাউড়ি। পুলিশের সঙ্গে কথা বলার সময় পুলিশের উচ্চপদস্থ আধিকারিকদের সঙ্গে তুমুল বচসায় জড়িয়ে পড়েন ছাতনার বিধায়ক সত্যনারায়ণ মুখোপাধ্যায়। এমনকী সত্যনারায়ণবাবুর গায়ে হাত তোলার অভিযোগ উঠল এক পুলিশ আধিকারিকের বিরুদ্ধে। রীতিমতো বিজেপি বিধায়কের গায়ে হাত তুলে দাদাগিরি দেখানোর চেষ্টা করেন ওই পুলিশ আধিকারিক। কর্মীদের বিক্ষোভে পুলিশ আধিকারিক কিছুটা চুপসে যান। যদিও পুলিশ প্রশাসনের পক্ষ থেকে বিধায়কের গায়ে হাত তোলার বিষয়টি অস্বীকার করা হয়েছে।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে? (Bankura)

    স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, বুধবার বাঁকুড়ার (Bankura) গঙ্গাজলঘাটি থানার নিধিরামপুর গ্রামে রহস্যজনকভাবে মৃত্যু হয় স্থানীয় বিজেপি কর্মী তথা গত পঞ্চায়েত নির্বাচনের পঞ্চায়েত প্রার্থী শুভদীপ মিশ্র ওরফে দীপুর। বাড়ির অদূরে নিধিরামপুর প্রাথমিক বিদ্যালয় চত্বরে বটগাছের ডালে তাঁর ঝুলন্ত মৃতদেহ উদ্ধার হয়। ওই বিজেপি কর্মীকে খুন করা হয়েছে দাবি তুলে শালতোড়ার বিধায়ক চন্দনা বাউড়ির নেতৃত্বে প্রবল ক্ষোভে ফেটে পড়েন এলাকার মানুষ। পরে ঘটনার সিবি আই তদন্তের দাবিতে বিজেপি কর্মীরা ৬০ নম্বর জাতীয় সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখান। বৃহস্পতিবার নিধিরামপুর গ্রামে যান কেন্দ্রীয় শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী সুভাষ সরকার। সঙ্গে ছিলেন শালতোড়ার বিধায়ক চন্দনা বাউড়ি ও ছাতনার বিধায়ক সত্যনারায়ণ মুখোপাধ্যায়। গ্রামে হাজির থাকা উচ্চপদস্থ পুলিশ আধিকারিকদের কাছে ঘটনার তদন্তের অগ্রগতি সম্পর্কে জানতে চান কেন্দ্রীয় শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী ও বিধায়করা। এক পুলিশ আধিকারিক উত্তেজিত হয়ে বিজেপি বিধায়কের গায়ে হাত দিয়ে হেনস্থা করার চেষ্টা করেন। কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর সামনেই ওই পুলিশ আধিকারিক দাদাগিরি দেখাতে শুরু করেন। বিধায়কের সঙ্গে খুব খারাপ ব্যবহার করেন বলে কর্মীদের অভিযোগ। আর তাতেই ছাতনার ওই আক্রান্ত বিধায়ক সত্যনারায়ণ মুখোপাধ্যায় উত্তেজিত হয়ে পড়েন। শুরু হয় প্রবল বচসা। পরে, দুপক্ষের আলোচনার মাধ্যমে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়।

    পুলিশের হাত তোলা নিয়ে কী বললেন বিজেপি বিধায়ক ও কেন্দ্রীয় মন্ত্রী?

    ছাতনার বিধায়ক সত্যনারায়ণ মুখোপাধ্যায় বলেন, পুলিশ আধিকারিককে আমরা কিছু প্রশ্ন করি। ওই পুলিশ আধিকারিক ভয় দেখিয়ে আমার গলা টিপে ধরেছিলেন। তখনই আমি ক্ষোভ জানাই। ধমকে, চমকে আমাদের ভয় দেখিয়ে কোনও লাভ নেই। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সুভাষ সরকার বলেন, পুলিশের তদন্ত নিয়ে গ্রামবাসীরা সন্দিহান। তাই, সিবিআই তদন্তের দাবি জানাচ্ছেন। পুলিশের সঙ্গে কথা হয়েছে। প্রকৃত তদন্ত করবে বলে তারা আশ্বাস দিয়েছে। আর বিধায়কের গায়ে পুলিশ আধিকারিকের হাত তোলা নিয়ে মন্ত্রী বলেন, বিধায়ককে আঙুল তুলে কথা বলতে পারেন না পুলিশ। সেখানে বিধায়কের গায়ে হাত তোলা হয়েছে। এটা মেনে নেওয়া যায় না।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Jalpaiguri: জেল থেকে বেরিয়েই যুব তৃণমূল নেতার ৫০ লক্ষ টাকার কালীপুজো! উৎস নিয়ে উঠছে প্রশ্ন

    Jalpaiguri: জেল থেকে বেরিয়েই যুব তৃণমূল নেতার ৫০ লক্ষ টাকার কালীপুজো! উৎস নিয়ে উঠছে প্রশ্ন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দক্ষিণবঙ্গে বীরভূমের বেতাজ বাদশা অনুব্রত মণ্ডলের কালীপুজো এক সময় খবরের শিরোনামে থাকত। তিনি মাকে ৩০০ ভরি সোনার গয়না পরাতেন। এবার জেল ফেরত জলপাইগুড়ি (Jalpaiguri) যুব তৃণমূলের জেলা সভাপতি সৈকত চট্টোপাধ্যায়ের কালীপুজো ঘিরে নতুন করে চর্চা শুরু হয়েছে।

    কেন তৃণমূল নেতার পুজো ঘিরে চর্চা? (Jalpaiguri)

    গত কয়েক বছর ধরে সৈকত ‘যুব ঐক্য’ নাম দিয়ে কালীপুজো এবং সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান করে আসছেন। জলপাইগুড়ির (Jalpaiguri) এক দম্পতিকে আত্মহত্যায় প্ররোচনা দেওয়ায় অভিযুক্ত হয়ে গত ১৬ অক্টোবর থেকে সৈকত প্রথমে পুলিশ, তার পরে জেল হেফাজতে ছিলেন। এবার সৈকতের নির্দেশ ছিল, পুজো চালিয়ে যাওয়ার। তবে আড়ম্বর না করার কথা বলা হয়েছিল। ১ নভেম্বর সৈকত জামিন পেতেই পুরো সিদ্ধান্ত বদলে যায়। বড় অনুষ্ঠানেরই পরিকল্পনা হয়। প্রায় একশোটি বিমান টিকিট কাটা হয়েছে শিল্পীদের আসা-যাওয়ার জন্য। কলকাতা থেকে নামী শিল্পীদের আনা হচ্ছে। ত্রিপুরা থেকে আসবে মেয়েদের একটি গানের দল। শিল্পী এবং সঙ্গীদের কয়েক জন আসবেন বিমানে। শুধু বিমান ভাড়াতেই লাখ পাঁচেক টাকা খরচ হচ্ছে বলে দাবি। সঙ্গে রয়েছে শিল্পীদের বাকি সঙ্গীদের জন্য ট্রেন ভাড়া। আগামী ১৩ থেকে ১৫ নভেম্বর তিন দিন টানা সাত জন শিল্পীকে আনতেই প্রায় পঁচিশ লক্ষ টাকা খরচ হচ্ছে বলে দাবি। মণ্ডপ তৈরিতে পড়ছে প্রায় আট লক্ষ টাকা। চন্দননগর থেকে আসছে আলোকসজ্জা। মণ্ডপের ভিতরে এক রকম, বাইরে এক রকম এবং মঞ্চে আর এক রকম আলোর সাজসজ্জা থাকছে। জলপাইগুড়ি ফণীন্দ্রদেব স্কুলের মাঠে পুজো এবং সাংস্কৃতি অনুষ্ঠানে বাঁশের কাজ, আলো মিলিয়ে অন্তত পাঁচটি ডেকোরেটর সংস্থা এবং ইভেন্ট পরিচালনা সংস্থা কাজ করছে।

    কী বললেন তৃণমূল নেতা?

    জেল থেকে বেরিয়ে ৫০ লক্ষ টাকার পুজোর আয়োজন। এক তাড়াতাড়ি এতগুলো টাকা জোগাড় হল কী করে? অন্য পুজোর মতো রসিদ ছাপিয়ে বাড়ি-দোকান থেকে চাঁদা তোলা হয় না সৈকতের পুজোয়। টাকার উৎস নিয়ে তৃণমূল নেতা সৈকত বলেন, মানুষের ভালোবাসাতেই সব জোগাড় হচ্ছে। সদস্য চাঁদা রয়েছে। যাঁদের সঙ্গে মানুষ নেই, তাঁরা হিংসে থেকে অনেক কিছু বলতে পারেন। এটা নিয়ে বিতর্ক হওয়ার কিছু নেই।

    কী বললেন বিজেপি নেতৃত্ব?

    বিজেপির জেলা সভাপতি বাপি গোস্বামী বলেন, তৃণমূল নেতার পুজোর আয়োজন দেখলেই বোঝা যাচ্ছে, চাঁদা তুলে এই পুজো করা সম্ভব নয়। এর পিছনে অর্থের জোগান রয়েছে। তৃণমূল নেতাদের কারা এই বিপুল পরিমাণ অর্থের জোগান দিচ্ছেন তার তদন্ত করলেই সব কিছু বেরিয়ে আসবে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share