Category: রাজ্য

Get West Bengal News, Bengali Breaking News, Latest News in Bengali only from মাধ্যম | Madhyom, Bengali News Portal for সম্পূর্ণ নিরপেক্ষ বাংলা সংবাদ, বাংলা খবর

  • Nadia: শিশু নির্যাতন-নারী ধর্ষণ রুখতে একরত্তি কন্যাকে মা লক্ষ্মী রূপে আরাধনা বাগচি দম্পতির

    Nadia: শিশু নির্যাতন-নারী ধর্ষণ রুখতে একরত্তি কন্যাকে মা লক্ষ্মী রূপে আরাধনা বাগচি দম্পতির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সমাজে শিশু নির্যাতন এবং নারী ধর্ষণ রোধ করতে নিজের সাড়ে তিন বছর কন্যাকে, মা লক্ষ্মী রূপে পুজো করে অভিনব উপায়ে প্রতিবাদ জানালেন বাগচি দম্পতি। এমন পুজো কার্যত সামজিক সচেতনতার প্রতীক। এই পুজো অনুষ্ঠিত হয়েছে, নদিয়া জেলার (Nadia) ভারত বাংলাদেশ সীমান্তবর্তী কৃষ্ণগঞ্জ থানার নাঘাটা পাড়ায়। মা লক্ষ্মীর এই অভিনব পুজোতে খুশির উচ্ছ্বাস এলাকায়।

    কন্যাকে মা লক্ষ্মী রূপে পুজো (Nadia)

    লক্ষ্মী পূর্ণিমার পুণ্য তিথিতে, সারা বিশ্ব যখন ধন-সম্পদ লাভের আশায় ব্রতী, ঠিক সেই মুহূর্তে নিজের সাড়ে তিন বছর বয়সী একরত্তি শিশু কন্যাকে, দেবী লক্ষ্মী রূপে ধর্মীয় রীতি মেনে পুজো করলেন বাবা-মা। সেই সঙ্গে, পৃথিবী থেকে শিশু নির্যাতন ও নারী ধর্ষণের মতো অসামাজিক ঘটনা যাতে আর না ঘটে, তার জন্য প্রার্থনা করলেন এই বাগচি দম্পতি। নাঘাটা (Nadia) এলাকার বাগচি পরিবারের ঠাকুর ঘরের সিংহাসনে, মা লক্ষ্মীর প্রতিকৃতি রয়েছে। মায়ের সামনেই এদিন নিজের শিশু কন্যা অরিত্রিকা বাগচিকে, মা লক্ষ্মীর রূপে সজ্জিত করে, পুরোহিত ডেকে পুজো করলেন তাঁরা।

    কন্যার মায়ের বক্তব্য

    নদিয়ার (Nadia) পুজো প্রসঙ্গে, কন্যা অরিত্রিকা বাগচির মা ঝুমা বাগচি বলেন, “মেয়ে সন্তানকে পরিবারের লক্ষ্মী হিসাবে দেখছি আমরা। নারী হল মাতৃশক্তির আরেক রূপ। মূলত সেই কারণেই মা লক্ষ্মীর মৃন্ময়ী মূর্তির বদলে, ঘরের মেয়েকেই আমরা মা লক্ষ্মী হিসাবে আরাধনা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।” পাশাপাশি নিজের মেয়েকে ভগবান রূপে আরাধনা করার মধ্যে দিয়ে, সমাজ থেকে শিশু-নারী নির্যাতনের মতো অমানবিক ঘটনার, চিরতরে অবলুপ্তির আহ্বান জানিয়েছেন পরিবার।

    কন্যার বাবার বক্তব্য

    বহুক্ষেত্রে গ্রাম বাংলার বহু জায়গায় বাস্তব জীবনে মেয়েদের পিছন সারিতে ফেলে রাখার প্রবণতা লক্ষ্য করা যায়। তাই কন্যা অরিত্রিকা বাগচির বাবা অর্জুন বাগচি বলেন, “কন্যা সন্তানদের প্রতি ভ্রান্ত ধারণা ও অসামাজিক মনোভাবকে মুছে দিতে হবে। নারীদের প্রতি সামাজিক সচেতনতা গড়ে তুলতে হবে।”

    দুর্গা পুজোকে কেন্দ্র করে কুমারী পুজোর প্রচলন থাকলেও, কোনও শিশু কন্যাকে লক্ষ্মী রূপে আরাধনা করার ঘটনা এখনও পর্যন্ত নজিরবিহীন। বাগচি দম্পতির এই কর্মকাণ্ডকে স্বচক্ষে দেখে, নাঘাটার (Nadia) বাড়িতে এইদিন ভিড় জমান আশেপাশের প্রতিবেশীরাও।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Naihati: বড়মার কষ্টিপাথরের মূর্তিতে চক্ষুদান ও প্রাণ প্রতিষ্ঠা ঘিরে উৎসবে মাতলেন নৈহাটিবাসী

    Naihati: বড়মার কষ্টিপাথরের মূর্তিতে চক্ষুদান ও প্রাণ প্রতিষ্ঠা ঘিরে উৎসবে মাতলেন নৈহাটিবাসী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শনিবার সকালে নবনির্মিত মন্দিরে নৈহাটির (Naihati) বড়মার কষ্টিপাথরের মূর্তিতে চক্ষুদান ও প্রাণ প্রতিষ্ঠা হল। শুক্রবার সেই মূর্তিতে মহা স্নান হয়েছে। হয়েছে চণ্ডীপাঠ, গীতা পাঠ, ঘট পুজো, হোম যজ্ঞ এবং বেদি পূজন। যা দেখতে বহু মানুষ হাজির হয়েছিলেন বড়মার মন্দির চত্বরে। স্বর্ণালঙ্কারে মাকে সাজানো হয়, অনেকটা দক্ষিণেশ্বরের ভবতারিনী মায়ের মতো করে। এদিন সকাল থেকে মহাসমারোহে সাড়ে চার ফুটের কষ্টিপাথরের মূর্তিতে মাকে প্রতিষ্ঠা করা হয়। আর ধর্মীয় অনুষ্ঠানে হাজার হাজার ভক্ত সামিল হন। পুজোর পরে  ভক্তদের উদ্দেশ্যে ভোগ বিতরণ করা হয়।

    কী বললেন মন্দির কমিটির সাধারণ সম্পাদক? (Naihati)

    নৈহাটি (Naihati) বড় মা মন্দির কমিটির সাধারণ সম্পাদক তাপস ভট্টাচার্য বলেন, এতদিন মা’র ফটো ফ্রেমে পুজো হতো। ১০০ বছরে পদার্পণ করে বড়মার কষ্টিপাথরে মূর্তিতে পুজো হবে। মায়ের প্রাণ প্রতিষ্ঠার পর নিত্য পুজো হবে। সাড়ে চার ফুটের এই মূর্তি তৈরি করেছেন রাজস্থানের শিল্পী ধর্মেন্দ্র সাউ। বড়মা বহু মানুষের কাছে আবেগ। হাজার হাজার ভক্তদের দাবি মেনেই এই মূর্তি তৈরি করা হলো। একেবারে নিয়ম নিষ্ঠার সঙ্গে  চার বেলা পুজো হবে, ভোগ দেওয়া হবে। সোনার গয়নায় মাকে সাজানো হয়েছে। যার জন্য নিরাপত্তার ব্যবস্থা জোরদার ব্যবস্থা করা হয়েছে।

    বড়মা মন্দির কমিটির ট্রাস্টির সভাপতির কী বক্তব্য?

    নৈহাটি (Naihati) পুরসভার চেয়ারম্যান তথা বড়মা মন্দির কমিটির ট্রাস্টির সভাপতি অশোক চট্টোপাধ্যায় জানিয়েছেন, রবিবার ১২. ৫০ মিনিটে নবনির্মিত মন্দিরের উদ্বোধন হবে। সেই উদ্বোধন অনুষ্ঠানে বহু বিশিষ্ট ব্যক্তি উপস্থিত থাকবেন। তিনি আরও বলেন, ভক্তদের দানে একটি অসাধারণ মন্দির তৈরি হয়েছে। চারতলার মন্দিরের একতলায় মা অধিষ্ঠান করবেন। হবে ধর্মশালা ও বৃদ্ধাশ্রম। এদিকে কালী পুজোর সময় ২২ ফুটের যে বড়মার পুজো হয় তারও প্রস্তুতি শুরু হয়ে গিয়েছে। শুরু হয়েছে কাঠামো পুজো। ফলে, বড়মাকে কেন্দ্র করে জাঁকজমকভাবে উৎসবে মেতে উঠেছেন নৈহাটিবাসী।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Woman Loco Pilot: প্রথম মহিলা লোকো পাইলট দীপান্বিতা চালালেন মেদিনীপুর-হাওড়া লোকাল

    Woman Loco Pilot: প্রথম মহিলা লোকো পাইলট দীপান্বিতা চালালেন মেদিনীপুর-হাওড়া লোকাল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: লোকাল ট্রেনে প্রথম মহিলা লোকো পাইলট (Woman Loco Pilot) হিসাবে কাজ শুরু করলেন দীপান্বিতা দাস। বর্তমানে তিনি মেদিনীপুর-হাওড়া রুটের লোকাল ট্রেন চালাবেন। ১০ বছর মালগাড়ি চালানোর পর, পদোন্নতি পেয়ে এখন যাত্রীবাহী ট্রেন চালাবেন তিনি। গতকাল শুক্রবার, এই প্রথম মেদিনীপুর-হাওড়া শাখায় লোকাল ট্রেন চালালেন, একজন মহিলা লোকো পাইলট।

    মহিলা লোকো পাইলট (Woman Loco Pilot)

    ৪৫ বছরের এই মহিলা লোকো পাইলট (Woman Loco Pilot) দীপান্বিতা দাসের বাড়ি হল পশ্চিম মেদিনীপুরের খড়গপুরে। তাঁর কর্মস্থল হল, দক্ষিণ-পূর্ব রেলের খড়গপুর বিভাগ। এই বিভগের শাখায় তিনি প্রথম মহিলা হিসাবে মেদিনীপুর-হাওড়া লোকাল ট্রেন চালিয়েছেন।

    এই প্রসঙ্গে দীপান্বিতা দাস বলেন, “নারী পুরুষ বলে কোনও ভেদ নেই। এখন সবাই সমান। মালবাহী ট্রেনের তুলনায় এই যাত্রীবাহী ট্রেন, অনেক বেশি সতর্কতা দিয়ে চালাতে হয়। মালবাহী ট্রেন চালাতে সময় বেশি লাগলেও, যাত্রীবাহী ট্রেনে সময় অনেক কম লাগে। তবে ট্রেন চালানোর আগে শারীরিক পরীক্ষার পর, ট্রেন চালানোর অনুমতি পাওয়া যায়।” তাঁর স্বামীও রেল দফতরে কাজ করেন। তাঁদের এক মেয়ে মাধ্যমিক পরীক্ষার্থী এবং ছেলে পঞ্চম শ্রেণীর ছাত্র।

    ২০০৩ থেকে কাজ করছেন দীপান্বিতা

    ২০০৩ সালে আদ্রা বিভাগে কাজে যোগদান করেন দীপান্বিতা। এরপর ২০০৬ থেকে খড়গপুরে আসেন, ২০১৪ থেকে মালবাহী ট্রেনের লোকো পাইলট (Woman Loco Pilot) হিসাবে কাজ শুরু করেছিলেন। প্রায় দুই মাসের বেশি সময় ধরে প্রশিক্ষণ নেন তিনি। এরপর গতকাল শুক্রবার একাদশীর দিন, মেদিনীপুর থেকে হাওড়া রুটে লোকাল চালিয়েছেন তিনি। সকাল ৬ টা ২০ মিনিটে মেদিনীপুর থেকে ট্রেনটি ছেড়ে ছিল। এরপর হাওড়ায় পৌঁছানোর পর, আবার সকাল ১০ টা ৩০ মিনিটে ট্রেন চালিয়ে, মেদিনীপুরে নিয়ে যান তিনি। এই মহিলা লোকো পাইলটকে ঘিরে বেশ খুশির আবহ রেলের এই শাখায়।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Dengue: ডেঙ্গির নতুন রূপ ধরা পড়ল শিলিগুড়িতে, উদ্বেগ, উপসর্গ কী জানেন?

    Dengue: ডেঙ্গির নতুন রূপ ধরা পড়ল শিলিগুড়িতে, উদ্বেগ, উপসর্গ কী জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নতুন রূপ ধারন করে প্র্যানক্রিয়াস সহ শরীরের বিভিন্ন অঙ্গ প্রত্যঙ্গ আক্রমণ করছে ডেঙ্গি। সময় মতো ধরা পড়া ও চিকিৎসা না হলে প্রাণ সংশয় দেখা দিতে পারে। সম্প্রতি শিলিগুড়িতে ধরা পড়েছে ডেঙ্গির (Dengue) এই নতুন রূপ। সম্প্রতি শিলিগুড়ি জেলা হাসপাতালে এক যুবকের শরীরে ডেঙ্গির নতুন রূপের দেখা মিলতে উদ্বেগে রয়েছেন চিকিৎসক মহল। কারণ, শিলিগুড়ি তথা উত্তরবঙ্গে এটিই প্রথম ঘটনা।

    শিলিগুড়িতে কীভাবে ধরা পড়ল ডেঙ্গির নতুন ভাইরাস? (Dengue)

    ওই যুবকের ডেঙ্গির (Dengue) এই বিরল রূপ ধরার পুরো কৃতিত্ব শিলিগুড়ি জেলা হাসপাতালের মেডিসিনের মেডিক্যাল অফিসার কল্যাণ দাসের। তিনি বলেন, কয়েকদিন আগে শিলিগুড়ির সেবক রোডের আসরাফ নগরের ২৬  বছরের এক যুবক ডেঙ্গি আক্রান্ত অবস্থায় প্রবল জ্বর নিয়ে শিলিগুড়ি জেলা হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিল। ভর্তি হওয়ার দ্বিতীয় দিন প্রবল জ্বরের সঙ্গে প্রচন্ড পেটে ব্যাথা ও বমি শুরু হয়। ডেঙ্গির পরিচিত উপসর্গ যেমন, প্লেটলেট কমে যাওয়ার মতো কিছুই ছিল না। সেই সঙ্গে  ওই যুবকের শোয়া ও বসার লক্ষণ ধরণ দেখে সন্দেহ হয়। তার  রক্তের লাইপেজ পরীক্ষা করাই। দেখা যায়, লাইপেজ ও অ্যামাইলেজ প্রচুর পরিমাণে বেড়ে গিয়েছে। লিভারও আক্রান্ত। লাইপেজ বাড়তে থাকার সঙ্গে সঙ্গে ত্বক ও গ্রন্থির সঙ্গে থাকা চর্বি গলে যাচ্ছে। একে পেরিফেরাল লাইপোলাইসিস বলা হয়। এতে ডায়াবেটিস না থাকলেও রক্তে অস্বাভাবিক হারে কিটোন বেড়ে যায়। ডেঙ্গি ভাইরাসের এই নতুন রূপে ওই যুবক ইউগ্লাইসেমিক প্যানক্রিয়েটিক কিটো অ্যাসিডোসিসে আক্রান্ত হয়েছিল। এটি ডেঙ্গির একেবারেই নতুন চরিত্র। ওই যুবক ধীরে ধীরে সুস্থ করা গিয়েছে। তিনি এখন সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরে গিয়েছেন। 

    ডেঙ্গি ভাইরাসের কেন এই রূপ পরিবর্তন?

    উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের সুপার ও মাইক্রোবায়োলজির অধ্যাপক ডাঃ সঞ্জয় মল্লিক বলেন, সব ভাইরাসেরই ঘনঘন চরিত্রগত পরিবর্তন ঘটতে থাকে। এটা স্বাভাবিক ঘটনা। এই কারণে পোস্ট কোভিড এফেক্টে অনেকের হার্ট, কিডনি, লাঙ আক্রান্ত হয়েছে। ডেঙ্গি (Dengue) ভাইরাসেরও সেরকম পরিবর্তন ঘটেছে।

    কীভাবে সময় মতো ডেঙ্গির নতুন রূপ ধরা পড়বে, বাঁচার উপায় কী?

    চিকিৎসক কল্যাণ দাস বলেন, ডেঙ্গি (Dengue) ভাইরাসের এই নতুন রূপে কারও প্যানক্রিয়াস আক্রান্ত হয়েছে কি না তা বোঝার জন্য চিকিৎসকদেরই সজাগ হতে হবে। ডেঙ্গি আক্রান্ত রোগীর পেটে ব্যাথা হলেই দ্রুত তার  লাইপেজ, অ্যামাইলেজ পরীক্ষা করে দেখে নিতে হবে। দ্রুত নির্ণয় করা গেলে রোগীর প্রাণ সংশয় এড়ানো সম্ভব।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • ED: ‘স্বাধীনতা সংগ্রামীর ছেলে এত দুর্নীতিগ্রস্ত! বালুর নাম মুখে আনতে লজ্জা লাগে’, বললেন মন্ত্রীর গ্রামের বাসিন্দারা

    ED: ‘স্বাধীনতা সংগ্রামীর ছেলে এত দুর্নীতিগ্রস্ত! বালুর নাম মুখে আনতে লজ্জা লাগে’, বললেন মন্ত্রীর গ্রামের বাসিন্দারা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বনমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের গ্রেফতারিতে অবাক পূৰ্ব বর্ধমানের মন্তেশ্বর ব্লকের পূর্ব খাঁপুর গ্রামের বাসিন্দারা। তাঁদের প্রিয় বালুর নাম যে রেশন কেলেঙ্কারিতে জড়িয়ে যাবে, তা ভাবতেও পারছেন না খাঁপুরবাসী। তবে, ইডি-র (ED) সূত্র ধরে বিপুল সম্পত্তির বিষয়টি সামনে আসতেই পূর্ব বর্ধমানের মন্তেশ্বর ব্লকের এই গ্রামেই জন্ম রাজ্যের দোর্দণ্ডপ্রতাপ এই মন্ত্রীর। এভাবে দুর্নীতির অভিযোগে তিনি গ্রেফতার হওয়ায় গ্রামবাসীরা ছি: ছি: করছেন।

    স্বাধীনতা সংগ্রামীর ছেলে বালু দুর্নীতির দায়ে ইডি-র জালে (ED)

    রেশন দুর্নীতি মামলায় এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি)(ED) কয়েক ঘণ্টা তল্লাশি চলার পর বাড়ি থেকে বালুকে গ্রেফতার করে। বালু মন্তেশ্বরের খাঁপুরে চতুর্থ শ্রেণি অবধি পড়াশোনা করেছিলেন। তারপর গিয়েছিলেন কলকাতায়। বর্ধমান জেলার খাঁপুরেও পুরনো বাড়ি ছিল তাঁদের। সেই বাড়ি ভেঙে প্রাসাদোপম বাড়ি বানানো হয়েছে। ওই গ্রামে জ্যোতিপ্রিয়ের দাদা দেবপ্রিয় মল্লিকের একটি বাড়ি রয়েছে। তাঁর বাবা শক্তিপদ মল্লিক ছিলেন একজন স্বাধীনতা সংগ্রামী। এরকম স্বাধীনতা সংগ্রামীর ছেলের বিরুদ্ধে দুর্নীতি অভিযোগে অবাক গ্রামবাসীরা। পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, কংগ্রেসে নিজের রাজনৈতিক জীবন শুরু করেছিলেন বালু। পরে, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে তৃণমূল কংগ্রেসে যোগ দেন। উত্তর ২৪ পরগনা জেলায় তৃণমূলের দীর্ঘদিন জেলা সভাপতি ছিলেন তিনি। বিরোধীদের অভিযোগ, গত কয়েক বছরে জ্যোতিপ্রিয়র সম্পত্তি কয়েক গুণ বেড়েছে।

    স্থানীয় বাসিন্দদের কী বক্তব্য?

    ইডির (ED) হাতে বালুর গ্রেফতারির পর খাঁপুর গ্রামেরের বাসিন্দারা বলেন, একজন স্বাধীনতা সংগ্রামীর ছেলে এতটাই দুর্নীতিগ্রস্ত তা ভাবতে অবাক লাগছে। এই গ্রামের ছেলে ক্যাবিনেট মন্ত্রী হয়েছে বলে আমরা গর্ব করতাম।  আর এখন তাঁর নাম মুখে আনতে লজ্জা লাগছে। কী ভাবে এই বিপুল সম্পত্তির মালিক হলেন বালু? তাই গ্রামের মানুষ চাইছেন, সঠিকভাবে তদন্ত হোক এবং সত্যি সামনে আসুক। রেশনে দুর্নীতি হয়েছে বলা হছে। তদন্ত হলেই সঠিক বিষয়টি জানা যাবে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Mukesh Ambani: ২০ কোটি টাকা না পেলে গুলি করে হত্যা! হুমকি-চিঠি মুকেশ আম্বানিকে

    Mukesh Ambani: ২০ কোটি টাকা না পেলে গুলি করে হত্যা! হুমকি-চিঠি মুকেশ আম্বানিকে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ২০ কোটি টাকা না পেলে গুলিতে ঝাঁঝরা করে খুন করা হবে। ঠিক এই ভাবেই ভারতের সবচেয়ে ধনী ব্যক্তি, মুকেশ আম্বানিকে (Mukesh Ambani) হত্যার হুমকি দেওয়া হয়েছে। ইমেলের মাধ্যমে হুমকি দেওয়া হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। এর পরই মুম্বই পুলিশের কাছে দ্বারস্থ হয়েছেন রিলায়েন্স কর্তা। এই ঘটনায় তীব্র শোরগোল পড়ে গেছে দেশজুড়ে।

    কীভাবে ঘটল ঘটনা (Mukesh Ambani)?

    পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, গত ২৭ অক্টোবর রিলায়েন্স ইন্ডাস্ট্রিজের চেয়ারম্যান মুকেশ আম্বানিকে (Mukesh Ambani) হত্যার হুমকি দেওয়া হয়। খুনের হুমকি-চিঠি আসে একটি ইমেলে। সেখানে বলা হয়, ২০ কোটি টাকা দিতে হবে, আর যদি টাকা না দেওয়া হয়, তাহলে গুলি করে হত্যা করা হবে। হুমকি চিঠি পেয়েই পুলিশের দ্বারস্থ হয় আম্বানি পরিবার। বিষয়টির গুরুত্ব বুঝে তড়িঘড়ি তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। আইপিসির ধারা ৩৮৭ এবং ৫০৬ (২) ধারার অধীনে একটি মামলা দায়ের করেছে। বর্তমানে অভিযুক্তদের খোঁজে তল্লাশি চালানো হচ্ছে।

    আগেও হুমকি দেওয়া হয়েছিল

    সূত্রের খবর, গতবছরও প্রাণনাশের হুমিকে পেয়েছিলেন মুকেশ আম্বানি (Mukesh Ambani)। তাঁর বাড়ি বোমা দিয়ে উড়িয়ে দেওয়ার হুমকি দেওয়া হয়েছিল। পূর্বে ২০২১ সালে, তাঁর বাড়ির সামনে একটি গাড়িতে প্রচুর পরিমাণে বিস্ফোরক উদ্ধার হয়েছিল। পুলিশ গাড়ি থেকে ২০টি জেলটিন স্টিক এবং একটি চিঠি উদ্ধার করেছিল। সেই চিঠিতেই মুকেশ আম্বানি এবং পরিবারকে হত্যার হুমকি দেওয়া হয়েছিল। এবারে ইমেলের মাধ্যমে হুমকিতে ফের উতেজনা ছড়িয়েছে।

    বহুজাতিক সংস্থা রিলায়েন্স

    ১৯৫৮ সালে রিলায়েন্স কমার্শিয়াল কর্পোরেশন, ধীরুভাই আম্বানি প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। রিলায়েন্স ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড হল, একটি ভারতীয় বহুজাতিক ব্যবসায়ী সংস্থা। এই সংস্থার কেন্দ্রীয় অফিস হল মুম্বই শহরে। তাঁদের (Mukesh Ambani) ব্যবসায়িক উপাদানের মধ্যে রয়েছে পেট্রোকেমিক্যাল, প্রাকৃতিক গ্যাস, খুচরা, টেলিযোগাযোগ, গণমাধ্যম, টেক্সটাইল ইত্যাদি। উল্লেখ্য, এই কোম্পানি তার বাজারের মূলধন এবং রাজস্বের বিচারে বর্তমানে বিশ্বের ১০০ বৃহত্তম কোম্পানির অন্যতম।  

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Kharagpur:  লক্ষ্মীপুজোর দিনই খড়্গপুরে ফুল বোঝাই গাড়িতে ভয়াবহ দুর্ঘটনা, মৃত ৬

    Kharagpur: লক্ষ্মীপুজোর দিনই খড়্গপুরে ফুল বোঝাই গাড়িতে ভয়াবহ দুর্ঘটনা, মৃত ৬

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: লক্ষ্মীপুজোর দিন ভোরে ভয়াবহ দুর্ঘটনায় তিন ফুল ব্যবসায়ী সহ ৬ জনের মৃত্যু হল। শনিবার ভোর তিনটে নাগাদ ঘটনাটি ঘটেছে ডেবরা টোল প্লাজা কাছে খড়্গপুর (Kharagpur) লোকাল থানার বুড়ামালাতে এলাকায়। দুর্ঘটনায় আরও চারজন গুরুতর জখম হয়েছে।পুলিশ সূত্রে খবর, যাঁরা মারা গিয়েছেন তাঁদের প্রত্যেকের বাড়ি খড়্গপুর লোক থানার অন্তর্গত মুকসুদপুর এলাকায়। এই ঘটনায় এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে। মৃতদের পরিবারের লোকজনের সঙ্গে পুলিশ যোগাযোগ করার চেষ্টা করছেন।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে? (Kharagpur)

    স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, লক্ষ্মীপুজো উপলক্ষে শনিবার ভোরে খড়্গপুর (Kharagpur) লোকাল থানার বুড়ামালা এলাকায় দুর্ঘটনাগ্রস্ত গাড়িটিতে ফুল লোডিংয়ের কাজ চলছিল। ফুল নিয়ে কোলাঘাটে যাওয়ার কথা ছিল গাড়িটির। গাড়িতে ফুল তোলার কাজ করছিলেন কয়েক জন ফুল ব্যবসায়ী-সহ মোট দশ থেকে পনেরো জন। সেই সময় হঠাৎই সিমেন্ট বোঝাই ওই লড়িটি সজোরে এসে ধাক্কা মারে ফুলের গাড়িতে। পাশের একটি নয়নজুলিতে গিয়ে পড়ে ফুলের গাড়িটি। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় তিন জনের। এই ঘটনায় আহতদের স্থানীয় হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। পরে, আরও তিনজনের মৃত্যু হয়। মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল থেকে একজনকে চিকিৎসার জন্য কলকাতায় পাঠানো হয়েছে। হাসপাতালে চিকিৎসাধীন তপন সামন্ত এক ব্যক্তি। আর উত্তমকুমার বাগ নামে এক ব্যক্তিকে প্রাথমিক চিকিৎসার পর ছেড়ে দেওয়া হয়। তবে, একসঙ্গে ৬ জনের মৃত্যুর ঘটনায় জাতীয় সড়কে যান চলাচলের গতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশ যে পুরোপুরি ব্যর্থ তা আরও একবার প্রমাণিত হল।

    প্রত্যক্ষদর্শীদের কী বক্তব্য?

    এক প্রত্যক্ষদর্শী বলেন, বাসস্ট্যান্ডের কাছেই গাড়িতে ফুল লোড করার কাজ চলছিল। খড়্গপুর (Kharagpur) লোকাল থানার বুড়ামালা থেকে ফুল বোঝাই গাড়িটি কোলাঘাটের দেউলটি যাওয়ার কথা ছিল। দ্রুত গতিতে আসা ট্রাকটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ওই ফুল বোঝাই গাড়িটিকে পিষে দেয়। তাতেই এই ভয়াবহ দুর্ঘটনা ঘটে। আমরা সঙ্গে সঙ্গে ঘটনাস্থলে গিয়ে দু-তিনজনকে উদ্ধার করি। অনেকে ঘটনাস্থলেই মারা যান।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Ration Distribution Scam: জ্যোতিপ্রিয়-বাকিবুর যোগের হদিশ, ভুয়ো সংস্থায় বিনিয়োগ কোটি কোটি টাকা!

    Ration Distribution Scam: জ্যোতিপ্রিয়-বাকিবুর যোগের হদিশ, ভুয়ো সংস্থায় বিনিয়োগ কোটি কোটি টাকা!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রেশন বণ্টন কেলেঙ্কারি (Ration Distribution Scam) মামলায় গ্রেফতার হয়েছেন দু’জনেই। একজন ছিলেন খাদ্য দফতরের মন্ত্রী, বর্তমানে বনমন্ত্রী। আর একজন ব্যবসায়ী। প্রথম জন তৃণমূল নেতা জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক। আর দ্বিতীয় জন বাকিবুর রহমান। দু’জনকে মুখোমুখি বসিয়ে জেরা করার প্রস্তুতি নিচ্ছে ইডি।

    ভুয়ো সংস্থায় কোটি কোটি টাকা বিনিয়োগ

    এমতাবস্থায় ইডির তদন্তকারীরা জেনেছেন, জ্যোতিপ্রিয়র সঙ্গে বাকিবুরের পারিবারিক সম্পর্ক রয়েছে। তদন্তে নেমে ইডির আধিকারিকরা জেনেছেন, দুই পরিবারের সদস্যরা একযোগে একাধিক সংস্থা চালাতেন। ওই সব সংস্থা আবার বিভিন্ন ভুয়ো সংস্থায় কোটি কোটি টাকা বিনিয়োগ করত। ইডি সূত্রে খবর, এ পর্যন্ত যেসব তথ্য তদন্তকারীদের হাতে এসেছে, তা থেকেই স্পষ্ট হয়েছে দুই পরিবারের যোগ। ইডি সূত্রে খবর, আপাতত তিনটি সংস্থার খোঁজ পেয়েছেন তদন্তকারীরা।

    তিন সংস্থায় যোগ জ্যোতিপ্রিয়র 

    এই তিন সংস্থা হল ‘শ্রী হনুমান রিয়েলকন প্রাইভেট লিমিটেড’, ‘গ্রেসিয়াস ইনোভেটিভ প্রাইভেট লিমিটেড’ এবং ‘গ্রেসিয়াস ক্রিয়েশন প্রাইভেট লিমিটেড’। এই তিন সংস্থার মারফত ভুয়ো কোম্পানির মাধ্যমে বিনিয়োগ করা হয়েছে অন্তত ১২ কোটি টাকা। এই (Ration Distribution Scam) সংস্থাগুলির প্রতিটির সঙ্গেই কোনও না কোনওভাবে যোগ রয়েছে জ্যোতিপ্রিয় ও বাকিবুরের পরিবারের। শুধু তাই নয়, ২০২২ সালে এই কোম্পানিগুলির সব সম্পত্তি বিক্রি করে লাটে তুলে দেওয়া হয়েছে সংস্থাগুলি। বিক্রি বাবদ পাওয়া গিয়েছিল ২০ কোটি ২৪ লক্ষ ১৬ হাজার ১৯৪ টাকা। বাকিবুরের শ্যালক অভিষেক বিশ্বাসের নামে থাকা একটি বেসরকারি ব্যাঙ্কের অ্যাকাউন্টে ওই টাকা গিয়েছে বলে জেনেছেন তদন্তকারীরা।

    আরও পড়ুুন: ‘রেশন কেলেঙ্কারিতে খতিয়ে দেখা হোক মমতার ভূমিকা’, ইডিকে আর্জি শুভেন্দুর

    এদিন আদালতে ইডির দাবি, রেশন বণ্টন কেলেঙ্কারিতে সরাসরি যোগ রয়েছে মন্ত্রীর। অভিজিৎ দাসের বাড়ি থেকে উদ্ধার হওয়া মেরুন ডায়েরিতে বালুদা (জ্যোতিপ্রিয়র ডাক নাম) নামের উল্লেখ রয়েছে। ইডির দাবি, তিনটি ভুয়ো সংস্থা খুলে ১২ কোটি কালো টাকা সাদা করা হয়েছে। বাড়ির রাঁধুনির নামেও ভুয়ো কোম্পানি খুলেছিলেন তিনি। ইডি সূত্রে খবর, ওই তিন সংস্থায় জমা পড়েছে ৮ কোটি টাকা।

    ইডি সূত্রে খরব, ওই তিন সংস্থার ডিরেক্টর পদে ছিলেন জ্যোতিপ্রিয়র স্ত্রী মণিদীপা এবং মেয়ে প্রিয়দর্শিনী। এই প্রিয়দর্শিনী আবার উচ্চ শিক্ষা সংসদের সচিব। সংস্থাগুলিতে যুক্ত ছিলেন বাকিবুরের পরিবারের সদস্যরাও (Ration Distribution Scam)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ। 

     

  • Jyotipriya Mallick: গ্রেফতারির পর বালুর হালও কি হবে কেষ্টর মতো? জেলা জুড়ে জল্পনা তুঙ্গে

    Jyotipriya Mallick: গ্রেফতারির পর বালুর হালও কি হবে কেষ্টর মতো? জেলা জুড়ে জল্পনা তুঙ্গে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গ্রেফতার হওয়ার পর এবার কি কেষ্টর মতো জেলার সংগঠন থেকে ডানা ছাঁটা হবে জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের (Jyotipriya Mallick)? তৃণমূল কংগ্রেস ২৪ পরগনা জেলাকে লোকসভা ভিত্তিক সাংগঠনিক ভাগ করেছে। উল্লেখ্য, কোনও ভাগের বিশেষ দায়িত্বে রাখা হয়নি তাঁকে। কেন? খাদ্য দফতর থেকে তুলনামূলক কম গুরুত্বপূর্ণ বন দফতরেও কি পরিকল্পনা করেই সারানো হয়েছিল তাঁকে? আগামী দিনে দলে কি গুরুত্ব আরও কমবে? এই ধরনের নানা জল্পনা চলছে। প্রশ্ন উঠছে, শেষ পর্যন্ত দল পাশে থাকবে তো?

    কেষ্টর মতো কি অপ্রাসঙ্গিক হবেন জ্যোতিপ্রিয়ও (Jyotipriya Mallick)?

    উত্তর ২৪ পরগনায় দীর্ঘদিন ধরে রাজনীতি করে এসেছেন মন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক (Jyotipriya Mallick)। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গী হয়ে, সিপিএমের বিরুদ্ধে নেতৃত্ব দিয়েছেন। ঠিক একই রকমভাবে, বীরভূমের রাজনীতিতে শিরোনামে ছিলেন অনুব্রত মণ্ডল। যদিও কয়লা, গরু পাচারকাণ্ডে সিবিআই-ইডির হাতে গ্রেফতার হয়ে দিল্লির তিহাড় জেলে রয়েছেন কেষ্ট। দীর্ঘ এক বছরের বেশি সময় ধরে জেলে রয়েছেন তিনি। দিন যত এগিয়ে যাচ্ছে, বীরভূমের রাজনীতি থেকে ক্রমশ অপ্রাসঙ্গিক হয়ে যাচ্ছেন অনুব্রত মণ্ডল। ফলে ওয়াকিবহাল মহল মনে করছে, উত্তর ২৪ পরগনা থেকে এবার জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকও অপ্রাসঙ্গিক হবেন। কারণ খাদ্য বণ্টন দুর্নীতির মামলায় ইডি তাঁকে গ্রেফতার করেছে। দল এবার তাঁর মাথা থেকেও হাত সরিয়ে নেবে।

    জেলায় শেষ কথা বলতেন

    জ্যোতিপ্রিয় (Jyotipriya Mallick) নিজে ছাত্র রাজনীতি থেকে উঠে এসেছিলেন। তৃণমূলের জন্মলগ্ন থেকেই প্রথম সারির নেতা ছিলেন তিনি। ২০০১ সালে প্রথম বিধায়ক হিসাবে নির্বাচিত হন তৃণমূল কংগ্রেসের প্রতীকে। ২০০৬ সাল থেকে উত্তর ২৪ পরগনার জেলা রাজনীতির ময়দানে অদ্বিতীয় ব্যক্তি ছিলেন জ্যোতিপ্রিয়। এমনকি তাঁর কথা ছাড়া, জেলার রাজনীতিতে একটা গাছের পাতাও নড়ত না বলে জানা যায়।

    তৃণমূলের বক্তব্য

    পদাধিকার বলে জ্যোতিপ্রিয় (Jyotipriya Mallick) কোণঠাসা হলেও, উত্তর ২৪ পরগনার সংগঠনে তাঁর বেশ প্রভাব রয়েছে বলে মনে করছেন জেলা তৃণমূলের একাংশের মানুষ। এই জেলায় মতুয়া সম্প্রদায়ের একটি বিরাট ভোট ব্যাঙ্ক রয়েছে। আর তাকে প্রভাবিত করার ক্ষেত্রে, তাঁর ভূমিকা বেশ গুরুত্বপূর্ণ। বলা হয়ে থাকে, একটা সময় পর্যন্ত মুকুল রায় অতি সক্রিয় থাকলেও, তাঁর প্রতাপের সামনে কেউ জেলায় হাত দিতে পারতেন না। অবশ্য বরানগরের বিধায়ক তথা ব্যারাকপুর জেলার তৃণমূল সভাপতি তাপস রায় বলেন, “সমর্থকরা প্রতিবাদে আরও শক্তিশালী হবেন। তৃণমূল দলের সংগঠন দুর্বল হওয়ার কোনও সম্ভাবনা নেই। জেলার সংগঠন পিছু হটবে না। আমরা আরও লড়াই করবো।”

    কিন্তু মন্ত্রীর দফতর বদল থেকে শুরু করে সাংগঠনিক দায়িত্ব এবং ইডির হাতে গ্রেফতার হওয়ার পর কি আরও গুরুত্ব কমবে? এটাই এখন বড় প্রশ্ন।    

           

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Jyotipriya Mallick: জ্যোতিপ্রিয় গ্রেফতার হতেই সরগরম বরুণ বিশ্বাস হত্যা মামলা, ফাঁসি চাইল পরিবার

    Jyotipriya Mallick: জ্যোতিপ্রিয় গ্রেফতার হতেই সরগরম বরুণ বিশ্বাস হত্যা মামলা, ফাঁসি চাইল পরিবার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রেশন দুর্নীতিকাণ্ডে ইডির হাতে গ্রেফতার হতেই, প্রাক্তন খাদ্যমন্ত্রী তথা বনমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের (Jyotipriya Mallick) বিরুদ্ধে বরুণ বিশ্বাস হত্যা মামলার প্রতিবাদীরা আবার সরব হয়ে উঠলেন। তৃণমূলের এই মন্ত্রীর বিরুদ্ধে বিস্ফোরক হলেন মৃত বরুণ বিশ্বাসের বাবা এবং দাদা। তাঁদের দাবি, বরুণের হত্যার পিছনে আসল চক্রী হলেন তৃণমূলের মন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক। ‘আমরা ওর ফাঁসি চাই’, সংবাদ মাধ্যমের সামনে ঠিক এভাবেই বিস্ফোরক হল পরিবার। ফলে উত্তর ২৪ পরগনার স্কুল শিক্ষক হত্যা মামলাকে ঘিরে আরও একবার সরগরম হয়ে উঠল রাজ্য রাজনীতি।

    মৃত বরুণ বিশ্বাসের পরিবারের বক্তব্য (Jyotipriya Mallick)

    হাবড়ার বিধায়ক তথা তৃণমূলের দাপুটে নেতা জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক (Jyotipriya Mallick) ইডির হাতে গ্রেফতার হতেই সংবাদ মাধ্যমকে মৃত বরুণ বিশ্বাসের বাবা জগদীশ বিশ্বাস বলেন, “জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের ফাঁসি চাই। ওই আমার ছেলেকে খুন করেছে। আর এই কথা আমার মেয়ে বলেছিল বলে, আমার মেয়ের নামে মানহানির মামলা করে দিয়েছিল এই তৃণমূল নেতা। আমার একটাই শেষ ইচ্ছা, ওর যেন ফাঁসি হয়।” সেই সঙ্গে বরুণের দাদা অসিত বিশ্বাস বলেন, “কার্যত বরুণের মৃত্যুর কোনও তদন্ত হয়নি।” বরুণের মৃত্যু মামলায় সিবিআই তদন্তের কথাও বলেন তিনি। সিবিআই তদন্ত হলেই একমাত্র আসল দোষীদের চেনা যাবে। তিনি আরও দাবি করেন, “সঠিক তদন্ত হলেই স্পষ্ট হবে মন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের নাম।”

    খুন হয়েছিলেন ১১ বছর আগে

    বরুণের খুন হওয়ার পর ১১ বছর কেটে গেল। ছেলে বরুণ বিশ্বাসের মৃত্যুর পর থেকেই, শাসক দলের দুষ্কৃতীদের আতঙ্কে সুটিয়ার বাড়িতে থাকতে পারেন না পরিবারের লোকজন। অথচ, সেই ঘরের মধ্যে বরুণের স্মৃতি জড়িয়ে রয়েছে। পরিবারের অভিযোগ, জ্যোতিপ্রিয়র (Jyotipriya Mallick) আশ্রিত দুষ্কৃতীরা পরিকল্পনা করে খুন করেছে বরুণকে। এমনকী যে বন্দুক দিয়ে বরুণকে খুন করা হয়েছে, সেই বন্দুকটা পর্যন্ত সরিয়ে ফেলেছে এই তৃণমূল নেতা। অপর দিকে বিজেপির নেত্রী অগ্নিমিত্রা পল বলেন, “আমরা চাই বরুণের হত্যাকারীরা ধরা পড়ুক। মামলার তদন্ত সিবিআই করুক।”

           

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share